Tag: tmc

tmc

  • Panchayat Vote: শাসকদলের সন্ত্রাসে এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি দম্পতি

    Panchayat Vote: শাসকদলের সন্ত্রাসে এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসার ছবি যেন ফিরে এসেছে পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) প্রাক্কালে। তৃণমূল আছে সন্ত্রাসেই! এবার এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া এক দম্পতি বিজেপি প্রার্থী। বর্তমানে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন আসানসোলের এক গোপন ডেরায়। সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ কিসকু ও সুনীতা কিসকু। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দিচ্ছে ও বাড়ি বয়ে শাসিয়ে গেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা থেকেই চলছে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কোনওরকম সর্বদলীয় বৈঠক না করেই রাজীব সিনহা ভোট ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি ছড়ায় সারা রাজ্য জুড়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনে বিরোধীরা। ভাঙড়, ক্যানিং সহ একাধিক জায়গা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসের বলি ৯ জন।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    কী বলছেন আক্রান্ত দম্পতি?

    আসানসোলের ওই গোপন আস্তানা থেকে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ কিসকু বলেন, ‘‘প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে শাসকদল। আমরা আতঙ্কিত। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে শুনছি। এতে কিছুটা আশাবাদী।’’ অন্যদিকে একমাসের বাচ্চাকে কোলে শুইয়ে সুনীতা কিসকু বলেন, ‘‘তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে। ভোটে দাঁড়ালে এর ফল ভালো হবে না। তাই আমরা ঘরছাড়া।’’ আসানসোলের বিজেপি নেতৃত্বের মতে, ‘‘শাসকদলের এই সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। পঞ্চায়েতে মনোনয়নের সময় ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধকেও রাস্তায় ফেলে মেরেছে তৃণমূল।’’

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যথারীতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূলের সালানপুরের ব্লক সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’

     

    আরও পড়ুন: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলকে এলাকায় জেতালেও নিজের মেয়েকে দলীয় টিকিটে দাঁড় করাতে পারলেন না চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হামিদুল রহমান। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে টিকিট বন্টন (Panchayat Election) করা হয়েছে। অভিযোগের তীর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। অপরদিকে, যারা টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে, দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে করিম চৌধুরীর অনুগামী হিসেবে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন। আর তার ফলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব খানিকটা বিপাকে পড়েছে। মেয়েকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতাতে মরিয়া বিধায়ক হামিদুল রহমান। এই ঘটনায় আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

    কেন প্রার্থী (Panchayat Election) করা হল না বিধায়কের মেয়েকে?

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয় চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগমকে। নির্বাচনে প্রায় ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাজকর্ম পছন্দ না হওয়ায় অর্জুনা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী হয়ে কাজকর্ম করেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিদ্রোহী বিধায়ক করিম চৌধুরীর মনোনীতদের প্রার্থী তালিকার বাইরে রেখেছেন বলে অভিযোগ। বাতিলদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুন বেগমও। শুধুমাত্র করিম চৌধুরীর অনুগামী হবার কারণেই তাঁকে জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়নি বলে অভিযোগ।

    দলের বিরুদ্ধেই তোপ বিধায়কের

    অপরদিকে মেয়েকে প্রার্থী না করায় জেলা সভাপতিকে এক হাত নিয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। বিধায়কের অভিযোগ, একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন জেলা সভাপতি। চার নম্বর আসনে দল যাকে প্রার্থী (Panchayat Election) করেছে, সে নিজের এলাকাতেই জিততে পারবে না। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ফারহাদ বানু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব হওয়ার পরেও তাঁকেও প্রার্থী করা হয়নি। বিধায়কের আরও অভিযোগ, রাজ্যের সমস্ত জেলায় বিধায়কদের প্রার্থী নির্বাচনের প্রধান দায়িত্ব থাকলেও একমাত্র ইসলামপুরের বিধায়ককে সেই দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে। জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, জেলা সভাপতি তাঁদের প্রতি অবিচার করেছেন। তাই তাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন।

    কী জবাব দিলেন দলের জেলা সভাপতি?

    অপরদিকে, এ বিষয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল ফোনে জানিয়েছেন, “টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কে টিকিট পাবে না পাবে, সমস্তটাই দল ঠিক করেছে। দলের ওপরে আমরা কেউ নই। দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে (Panchayat Election) সেটাই মেনে চলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাস্যকর পরিণতি, একই বুথে দলের দুজন প্রার্থী!  

    Panchayat Election: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাস্যকর পরিণতি, একই বুথে দলের দুজন প্রার্থী!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর বিধানসভার মধুসূদন চকের মাঝিপাড়া। এখানকার ২৮১ নম্বর বুথে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election) প্রকাশ্যে। এই বুথে তৃণমূলের পক্ষে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনই দাবি করছেন দুই প্রার্থী। দুজনেই আবার শাসকদলের অনুগামী বলেও দাবি করছেন। ভারতীয় সংবিধানে এমন নজির কি আছে, যেখানে একই দলের দুজন প্রার্থী লড়বেন একই দলের হয়ে? এটা হাস্যকর বলে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি অনেকেই।

    কীভাবে প্রকাশ্যে এল গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election)?

    বহুদিন ধরেই মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Panchayat Election) খবর সামনে উঠে আসছে। বিগত দিনে জ্যোৎস্না পাত্র ছিলেন শাসক দলের প্রধান। হঠাৎ করেই গত বছর দল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিরোধীদের সাহায্য নিয়ে অন্য আরেক জনকে প্রধান করে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৮১ নম্বর বুথে মনোরঞ্জন জানা পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শাসকদলের। এবার তাঁর স্ত্রী তারামণি মণ্ডল জানা শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেন। তাঁর স্বামী মনোরঞ্জন জানার দাবি, নির্দল হিসাবে তাঁর স্ত্রী নমিনেশন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে হবে। সেই মতো তাঁর স্ত্রী নমিনেশন জমা করেন। পরবর্তী কালে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা মাইতিও সেখানে শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি। ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, দুজনই টিএমসি প্রার্থী। তবে নমিনেশনের শেষ দিনে প্রকৃত কে তৃণমূলের প্রতীক পাবে, সেটাই এখন দেখার। দলের প্রতীক না পেলে তাঁর স্ত্রী নির্দল হয়ে লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন জানা।

    একই আসনে আরেক প্রার্থী কে (Panchayat Election)?

    অন্যদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা মাইতিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয়েছে। তিনি দলীয় প্রতীক পাবেন। আর প্রতীক না পেলে তিনিও নমিনেশন তুলবেন না, নির্দল হয়ে লড়বেন, এমনটাই জানা গেছে। একমাত্র আগামীকালই জানা যাবে প্রকৃত তৃণমূলের প্রার্থী কে। কারণ আগামীকাল নমিনেশন তোলার শেষ দিন। তবে যাই হোক না কেন, শাসকদলের কোন্দলের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শেষ হাসি হাসেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Purba Medinipur: সিপিএমের পথেই তৃণমূল! বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হুমকি

    Purba Medinipur: সিপিএমের পথেই তৃণমূল! বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমলে বিরোধী প্রার্থীর বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে যেভাবে প্রাণনাশের হুমিক দেওয়া হত, ঠিক তেমনই ঘটনার প্রতিফলন এবার পুর্ব মেদিনীপুরে। অভিযোগের তীর এবার তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সমানে পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন নীলিমা দত্ত। কাঁথি (Purba Medinipur) ১ নম্বর ব্লক এলাকার সাবাজপুট গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৯৬ বুথের বিজেপির মনোনীত প্রার্থী তিনি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে তিনি দেখেন, বাড়ির উঠানে একটা সাদা থান এবং সঙ্গে মিষ্টি, ফল, ফুলের মালা। সেই সঙ্গে রয়েছে একটি ছোট্ট চিরকূট। তাতে লেখা রয়েছে, ‘স্বামীর ভালো চাইলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়া’… । যদিও তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।

    বিজেপি প্রার্থীর প্রতিক্রিয়া

    বিজেপির প্রার্থী নীলিমা দত্ত বলেন, আমরা রাতে খাওয়াদাওয়া শেষ করে ঘুমিয়ে পড়ি। ভোরবেলা আমার শ্বশুরমশাই বাইরে বের হলে দেখেন, কারা যেন বাড়ির (Purba Medinipur) উঠানে এই সাদা থান এবং একটি চিরকূট রেখে গেছে। তিনি খুব স্পষ্ট বলেন, তৃণমূলের হার্মাদরাই এই কাজ করেছে! আগে সিপিএমের লোকেরা এই কাজ করত, এখন তৃণমূল করছে। গণতন্ত্র বলে কিছু নেই রাজ্যে। মানুষ নিজের পছন্দ এবং মতামত প্রকাশ করলেই এভাবে বিরোধীদের বাড়িতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই থান এবং চিরকূটের মাধ্যমে তাঁকে বিধবা করার হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে মনে করছেন নীলিমা দেবী। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কোনও প্রশ্ন নেই, লড়াই করব। তৃণমূল সরকারের দুর্নীতি এবং সামাজিক বঞ্চনার বিরুদ্ধে মানুষের মধ্যে জনমত তৈরি করার চেষ্টা করব।

    কতটা সুরক্ষিত পঞ্চায়েত নির্বাচন?

    কলকাতা হাইকোর্ট নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের যে নির্দেশ দিয়েছিল, তাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মামলা করলে সুপ্রিম কোর্টও রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দেয়। বাহিনী দিয়েই ভোট করাতে হবে বলে নির্দেশ বহাল রাখা হয়। পাশাপাশি রাজ্যপাল রাজভবনে ‘পিস রুম’ খুলে মানুষের অভিযোগ জানানোর বিশেষ ব্যবস্থা করেছেন। অপর দিকে হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আগামী দশ দিনের মধ্যে রাজ্যের কাছে হলফনামা চেয়েছেন। মিনাখাঁ, ভাঙড়ে যে সব বিরোধীরা মনোনয়ন করতে পারেননি, তাঁদের সুরক্ষা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় রাজ্য পুলিশের কী ভূমিকা ছিল? যে কোনও রকম হিংসা ঠেকাতে কী ব্যবস্থা নিয়েছিল প্রশাসন? হিংসার আগে-পরে কী কী ঘটেছে? কত জন গ্রেফতার হয়েছে! সেইসব কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। সব মিলিয়ে নির্বাচনে মনোনয়ন জমা, মনোনয়ন প্রত্যাহার এবং নির্বাচনের দিনে বিরোধী রাজনৈতিক দল কতটা সুরক্ষিত! তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোটাররা। ৮ই জুলাই নির্বাচনের দিন কাঁথিতে (Purba Medinipur) কেমন নিরাপত্তা বলয় থাকে, তাই এখন দেখার।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: টিকিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা

    Panchayat Vote: টিকিট না পেয়ে ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুরের তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছেই। এবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) প্রার্থী না হতে পারায় ফেসবুকে ক্ষোভ উগরে দিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের অন্যতম মুখ দুধকুমার ধাড়া। সিঙ্গুর (Singur) পঞ্চায়েত সমিতির ৩ নম্বর আসনে দলীয় তালিকায় নাম ছিল দুধকুমার ধাড়ার। সেই মতো মনোনয়নও জমা দিয়েছিলেন তিনি। অভিযোগ, এরপর দলের প্রতীক অন্য একজন পেয়ে যায়। এ নিয়ে দুধকুমার জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় খোলা চিঠিও খেলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের এই কৃষক নেতা।

    আরও পড়ুুন: বহাল হাইকোর্টের রায়, পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীই, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    কী লিখলেন দুধকুমার?

    ফেসবুকে দুধকুমার ধাড়া লেখেন, ‘‘এই নির্বাচনে আমাকে বেড়াবেড়ি পিএস ৩ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য নাম দেওয়া হয়। সেই মতো নমিনেশন জমা দিই। কিন্তু জানতে পারলাম আমাকে প্রার্থী করা হচ্ছে না। কারণ জানতে বেচারাম মান্নার কাছে যাই। আমার অপরাধ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার কোনও অপরাধ নেই’। ‘এত বড় অপমান সহ্য করতে পারছি না।’’ দুধকুমারের আরও প্রশ্ন, ‘‘২০০৩ সাল থেকে নিষ্ঠার সঙ্গে দীর্ঘদিন দলের কাজ করার পরও কেন তিনি টিকিট পেলেন না?’’ দুধকুমারের এই পোস্ট নিয়ে জোর শোরগোল ছড়িয়েছে জেলার রাজনীতিতে। পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে দুধকুমার বলেন, “এই পোস্ট আমার অপমানের পোস্ট। আমাকে যে অপমান করা হল তার বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছি।”

    দুধকুমারের পরিবর্তে কে প্রার্থী হলেন?  

    জানা গিয়েছে, দুধকুমার ধাড়ার আসনে যিনি দলীয় প্রতীক পেয়ে প্রার্থী হয়েছেন, তিনিও সিঙ্গুর জমি আন্দোলনেরই অন্যতম আরেক মুখ তথা হুগলি জেলা পরিষদের বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ মানিক দাস। মানিক বলেন, “উনি টিকিট পেয়েছিলেন তা আমার জানা ছিল না। আগে থেকে কেউই জানত না, কে কোথায় টিকিট পাবে। দল যেটা ভাল মনে করেছে সেটা করেছে। আমিও ভেবেছিলাম জেলা পরিষদে টিকিট পাব কিন্তু দল দেয়নি। তাতে আমার কিছু বলারও নেই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Paschim Bardhaman: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি, আক্রান্ত বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী

    Paschim Bardhaman: মনোনয়ন তুলে নিতে হুমকি, আক্রান্ত বিজেপির জেলা পরিষদের প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের শুরু থেকেই শাসক দলের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্যে বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং প্রার্থীদের আক্রান্ত হওয়ার অভিযোগ উঠছে সর্বত্র। মনোনয়ন জমার পর এবার মনোনয়ন প্রত‍্যাহারের চাপ দিয়ে প্রার্থীর বাড়িতে হামলা চালালো দুষ্কৃতীরা। আক্রান্ত হলেন পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) এক বিজেপি প্রার্থী। অভিযোগ‍ের তীর শাসক দলের বিরুদ্ধে।

    পশ্চিম বর্ধমানের (Paschim Bardhaman) কোথায় ঘটল এমন ঘটনা?

    বারাবনি (Paschim Bardhaman) বিধানসভার সালানপুর ব্লকের আছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত হরিষাডি গ্রামের বাসিন্দা চিন্ময় তিওয়ারি ও তাঁর স্ত্রী সিঙ্কু তিওয়ারি। তাঁরা যথাক্রমে বিজেপির পক্ষ থেকে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। অন‍্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সঞ্জয় সুকুলের স্ত্রী নবনীতা সুকুল পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী হয়েছেন। বিজেপি প্রার্থীদের নাম প্রত‍্যাহারে চাপ দিতে সোমবার রাতে চিন্ময় তিওয়ারিকে ফোন করা হয়। এরপর বচসার সৃষ্টি হওয়ায়, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা চিন্ময়ের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তাঁকে মারধর করে। আর তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে তাঁর কাকা সজল তিওয়ারিও আক্রান্ত হন বলে জানা গেছে।

    প্রশাসন এবং সংবাদ মাধ্যমের কাছে অভিযোগ

    মনোনয়ন প্রত্যহার এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী ইতিমধ‍্যে রূপনারায়ণপুর (Paschim Bardhaman) ফাঁড়িতে অভিযোগ জানিয়েছেন। পাশাপাশি সংবাদ মাধ‍্যমকে তিনি জানিয়েছেন, এইভাবেই এই রাজ্যে বিরোধীরা বারবার রাজনৈতিক ভাবে হিংসার শিকার হচ্ছেন। তিনি বলেন, তাঁর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতী হরেরাম তিওয়ারি, সঞ্জয় সুকুল ও পল্লব তিওয়ারিরা হামলা চালিয়েছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    সালানপুর ব্লকের (Paschim Bardhaman) তৃণমূলের সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, দোকান ও ব‍্যবসা সংক্রান্ত একটি পারিবারিক বিবাদকে রাজনৈতিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। যদিও ঘটনার সাথে কোনও রাজনীতির সংযোগ নেই। তিনি আরও বলেন, চেষ্টা করবেন উভয় পক্ষের সাথে একযোগে বৈঠক করে সমস‍্যার সমাধান করতে। অন‍্যদিকে সঞ্জয় সুকুল দাবি করেছেন, তাঁর স্ত্রী নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন বলেই তাঁকে ভিত্তিহীন অভিযোগে বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Durgapur: তারুণ্যের জোশ, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিজেপির প্রার্থী বৃদ্ধা উমারানী!

    Durgapur: তারুণ্যের জোশ, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গড়তে বিজেপির প্রার্থী বৃদ্ধা উমারানী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির অন্ধ ভক্ত। স্বামীও এক সময় সক্রিয় কর্মী ছিলেন। অভিযোগ, বিজেপি করায় জোটেনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি। তবুও থেমে থাকেননি। ৮৫ বছর বয়সে পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন কাঁকসার আমলাজোড়ার (Durgapur) উমারানী। এই বয়সে প্রার্থী হয়ে যেমন দলের যুব কর্মীদের অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন, তেমনই পঞ্চায়েত ভোটে নতুন চমক বিজেপির।

    কে এই উমারানী মিশ্র (Durgapur)?

    বয়স ৮৫। বয়সের ভারে শ্রবণশক্তি কমেছে। পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকের আমলাজোড়া পঞ্চায়েতের ধোবাঘাট গ্রামের বাসিন্দা। দুই ছেলের মধ্যে বছর কয়েক আগে এক ছেলে মারা গেছেন। স্বামীরও মৃত্যু হয়েছে। অনটনের সংসার। বার্ধ্যকভাতা যেটুকু পান, তাতে কোনওভাবে সংসার চলে। স্বামী কুবীর মিশ্র বামফ্রন্টের দোর্দণ্ড প্রতাপের সময় সক্রিয় বিজেপি কর্মী ছিলেন। দীর্ঘ ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিজেপির অন্ধ ভক্ত উমারানী। বছর কুড়ি আগে আমলাজোড়ার বিহারপুর গ্রাম থেকে (Durgapur) বিজেপির হয়ে প্রথম প্রার্থী হয়েছিলেন। ৮৫ বছর বয়সেও সাহস ও ইচ্ছাশক্তি প্রবল এবং সক্রিয় বিজেপি কর্মী। নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। বিজেপি করার অপরাধে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়িটুকুও জোটেনি বলে অভিযোগ উমাদেবীর। সম্প্রতি রাজ্য ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব উমাদেবীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছে।

    কী বলছেন ৮৫ বছরের এই প্রার্থী (Durgapur)?

    কাঁকসার আমলাজোড়া অঞ্চলের ২৭৬ নং গ্রাম সংসদে বিজেপি প্রার্থী উমারানী মিশ্র। মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর ইতিমধ্যে প্রচারও (Durgapur) শুরু করেছেন। এই বয়সে কেন প্রার্থী হয়েছেন? প্রশ্ন করতেই উমাদেবীর সপাটে জবাব, “স্বামী একনিষ্ঠ বিজেপি কর্মী ছিলেন। আমি বিজেপি ও নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। করোনা আবহে লকডাউনে বিনামূল্যে রেশন সামগ্রী দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। উজ্বালা যোজনায় গ্যাস। প্রত্যেকের পাকা বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। আয়ুষ্মান কার্ড, যেটা রাজ্যে চালু করতে দেয়নি তৃণমূল, তার জন্য আমাদের মতো গরিব মানুষকে চিকিৎসা করাতে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। কেন্দ্র সরকারের উন্নয়নমুলক কাজে আপ্লুত। তাই নরেন্দ্র মোদির অন্ধ ভক্ত। বিজেপিই একমাত্র গরিব মানুষের সাহারা। তাই এই বয়সে প্রার্থী হয়েছি।” তিনি আরও বলেন,” গ্রামের মানুষের চাপে বার্ধক্যভাতাটুকু চালু করেছে। বিজেপি করায় আমাকে  প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি দেয়নি তৃণমূল সরকার। তাই রাজ্য থেকে দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূল নামক জগদ্দল পাথরটাকে সরাতে প্রার্থী হয়েছি।” জেতার বিষয়ে উমাদেবী বলেন,” আমাদের মতো অসহায় বয়স্ক মানুষের জন্য কাজ করব। গ্রামের মানুষ খুব ভালোবাসে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে, মানুষ ভোট দেওয়ার সুযোগ পেলে আমি অবশ্যই জিতব।”

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Durgapur)?

    উমাদেবীর অভিযোগ অস্বীকার করেছে স্থানীয় Durgapur তৃণমূল নেতৃত্ব। আমলাজোড়া পঞ্চায়েত প্রধান চয়নিকা পাল বলেন, “উমাদেবীর দুই ছেলে। এক ছেলে মারা গেছেন। দুই ছেলের পরিবারের দুটি জব কার্ড। উমাদেবীর আলাদা কোনও জবকার্ড নেই। উমাদেবীর নাম এক বৌমা লক্ষ্মী মিশ্রর জবকার্ডে সংযুক্ত রয়েছে। দুটি পরিবারের দুটি জবকার্ডে আবাস যোজনায় বাড়ি পেয়েছে। জবকার্ড অনুযায়ী আবাস যোজনার বাড়ি দেওয়া হয়েছে।”

    কী বলছে বিজেপি (Durgapur)?

    প্রসঙ্গত, গত ২০১৯ সালের লোকসভা ও ২০২১ সালের বিধানসভার নিরিখে আমলাজোড়া অঞ্চলের ধোবাঘাট গ্রামে (Durgapur) বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে। তাই স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বও উমাদেবীর জয়ের বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী। স্থানীয় বিজেপিকর্মী অসীম ঘড়ুই, প্রসেঞ্জিত বাগদী বলেন,” ঠাকুমা এবারে জিতবে। গ্রামের মানুষ তৃণমূলের অত্যাচার থেকে পরিত্রাণ চাইছে। দু হাত তুলে সমর্থন করছে বিজেপিকে।” উল্লেখ্য, বিজেপির প্রত্যেক নির্বাচনে প্রার্থী পদে চমক রাখে। গত ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়ার শালতোড়া আসনে রাজমিস্ত্রির পরিবার থেকে চন্দনা বাউরীকে প্রার্থী করে চমক দিয়েছিল। এছাড়াও আউশগ্রাম বিধানসভায় পরিচারিকা কলিতা মাজিকে প্রার্থী করে বড় চমক দিয়েছিল। চন্দনা বাউরী বিপুল ভোটে জয়ীও হয়েছেন। তবে কলিতা মাজি টক্কর দিয়ে কয়েক হাজার ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হয়েছেন। বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই বলেন,” উমারানী আমাদের গর্ব। বামফ্রন্টের দোর্দণ্ড প্রতাপের সম প্রার্থী হয়েছিলেন। এখন তৃণমূলের অত্যাচার থেকে গ্রামবাসীকে পরিত্রাণ দিতে প্রার্থী হয়েছেন। উমাদেবীর সাহসিকতা বিজেপির অনুপ্রেরণা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Dakshin Dinajpur: প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি! তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা

    Dakshin Dinajpur: প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি! তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতীতের নির্বাচনে রক্তপাত, গুলি চালানো থেকে বোমাবাজি, এমনকী প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur)। গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর পঞ্চায়েতের নাম শুনলেই সাধারণ মানুষের মনে ভেসে ওঠে এমন সব আতঙ্কের কথা। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনেও শাসকদলের দুষ্কৃতীদের সন্ত্রাসে ঘরছাড়া বিজেপি প্রার্থীরা।

    কী ঘটেছে?

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের নন্দনপুর, সুখদেবপুর ও বেলবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁদের হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। এছাড়াও ওই পঞ্চায়েতের এক বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শাসক দলের হাতে প্রাণহানির ভয়ে আপাতত বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে আশ্রয় নিলেন দলীয় প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। নমিনেশন প্রত্যাহারের সময়সীমা পার হওয়ার পরেই নিজেদের এলাকায় ফিরবেন বলে তাঁরা জানিয়েছেন।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি পদপ্রার্থী খগেশ্বর বর্মন এই প্রসঙ্গে বলেন, ২০১৩ সাল থেকে এই এলাকায় ভোট দিতে পারিনি। এবারে ভোটে বিজেপির টিকিটে মনোনয়ন দিয়েছি। কিন্তু তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। তারা বাইক বাহিনী নিয়ে গোটা এলাকা শাসিয়ে বেড়াচ্ছে। আমরা সেই আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে পার্টি (Dakshin Dinajpur) অফিসে আশ্রয় নিয়েছি। স্থানীয় পুলিশ-প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীও দাবি করেছেন, গঙ্গারামপুরের (Dakshin Dinajpur) একাধিক জায়গায় বিজেপি প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হয়েছে৷ এমনকী প্রাণে মেরে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘শাসক দল ও প্রশাসন যৌথভাবে এমনটা করছে।’

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের জেলার (Dakshin Dinajpur) সহ সভাপতি সুভাষ চাকী। তিনি বলেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। বিজেপি জিততে পারবে না বলেই এত নাটক করছে। সব জায়গাতেই স্বেচ্ছায় মানুষ মনোনয়ন প্রত্যাহার করছে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ১৯, তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা ৩১টি!

    TMC: ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ১৯, তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা ৩১টি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জঙ্গলমহলের জেলা ঝাড়গ্রামেও গোঁজ নিয়ে অস্থির অবস্থা তৃণমূলের (TMC)। দলের টিকিট না পেয়ে জেলা পরিষদের বিদায়ী সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, একাধিক কর্মাধ্যক্ষ, দলের বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান, এসটি সেলের নেতার মতো অনেকেই জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী হয়ে গিয়েছেন। একাধিক আসনে এক বা একাধিক কুড়মি নির্দল প্রার্থীও রয়েছেন। সূত্রের খবর, দলে সম্মানজনক পদ কিংবা জেলা পরিষদের মেন্টরের মতো আলঙ্কারিক পদ দেওয়ার টোপেও কাজ হচ্ছে না। ২০১৮ সালে ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের আসন সংখ্যা ছিল ১৬। সেবার ১৩টি আসনে জিতে জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল। এই জেলা পরিষদে এবার আসন সংখ্যা ১৯। তবে তৃণমূলের হয়ে লড়তে চেয়ে মনোনয়ন জমা পড়েছে ৩১টি। শেষ পর্যন্ত কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে এবার জেলা পরিষদের ১২টি আসনেই তৃণমূলের গোঁজ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

    কোথায় কোথায় গোঁজ প্রার্থী (TMC)?

    ৩ নম্বর আসনে তৃণমূলের ‘অফিসিয়াল’ প্রার্থীর সঙ্গে দলের হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ সুজলা তরাই। ৫ নম্বর আসনে তৃণমূল (TMC) প্রার্থীর বিরুদ্ধে এক নির্দলকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন জেলা পরিষদের এক বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ। ৬ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে রয়েছেন নির্দল কুড়মি প্রার্থী। ৭ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থীর সঙ্গে দলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন বিদায়ী বনভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামনি মুর্মু। ঝাড়গ্রাম ব্লকের সাপধরা অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি দীননাথ সিংও ওই আসনে দলের হয়েই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ৮ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী কমল মাহাতোর অস্বস্তি বাড়িয়েছেন তপন বন্দ্যোপাধ্যায় ও উদয়শঙ্কর সেন। দু’জনেই ওই আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। তপন জেলা পরিষদের বিদায়ী কৃষি কর্মাধ্যক্ষ আর উদয়শঙ্কর চুবকা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান।

    উদয়শঙ্করের কথায়, “তৃণমূল যাঁকে প্রার্থী করেছে, এলাকায় তাঁর ২১০টি আসনে গ্রহণযোগ্যতা নেই। তাই প্রার্থী হয়েছি।” ওই আসনে দু’জন নির্দল কুড়মি প্রার্থীও আছেন। ১২ নম্বর আসনে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন যিনি, সেই কার্তিক শিট কয়েকদিন আগে পর্যন্ত সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের নেতা ছিলেন। ওই আসনেই মনোনয়ন দিয়েছেন বিদায়ী সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস। তৃণমূলের হয়েই মনোনয়ন দিয়েছেন তিনি। ১৭ নম্বর আসনে তৃণমূলের (TMC) হয়েই মনোনয়ন দিয়েছেন বিদায়ী মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ সুপ্রিয়া মাহাতো। যদিও তিনি টিকিট পাননি। ১৮ নম্বর আসনে তৃণমূল প্রার্থী কুনামি হাঁসদা। তৃণমূলের জেলা এসটি সেলের সভাপতি অর্জুন হাঁসদাও ওই আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। ১৯ নম্বর আসনের তৃণমূল প্রার্থী নিশীথ মাহাতোর বিপক্ষে আবার দাঁড়িয়ে পড়েছেন তিনজন নির্দল কুড়মি প্রার্থী। এই জেলায় ৮টি পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীর সংখ্যা ১১০ জন। ৭৯টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০০৭টি আসনে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী আছেন ৩০৯ জন। জেলার একাধিক প্রবীণ তৃণমূল নেতাকে বিক্ষুব্ধদের বোঝানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

    কী বলছেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি (TMC)?

    রবিবার বিকেলে জেলা তৃণমূলের কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে দলের গোঁজ প্রার্থীদের উদ্দেশে জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “দলের আদর্শে বিশ্বাসী হলে তাঁদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করা উচিত।” না হলে দলে আর ফেরা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দুলাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করালো তৃণমূল, চলল হাতাহাতি

    Dakshin Dinajpur: বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করালো তৃণমূল, চলল হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur) বিডিও অফিসে বিজেপির পঞ্চায়েত স্তরের এক প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা। চাপ দিয়ে প্রার্থীর মনোনয়ন প্রত্যাহার করার অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। শেষে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে হাতাহাতি পর্যন্ত হয় বলে জানা যায়।

    কীভাবে মনোনয়ন প্রত্যাহার?

    বিজেপি সূত্রে জানা যায়, মনোনয়ন প্রত্যাহার করার শেষ দিনে বিজেপির এক পঞ্চায়েত প্রার্থীকে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী-সমর্থকরা জোর করে ব্লক (Dakshin Dinajpur) অফিসে নিয়ে আসে। তারপর তাঁর মনোনয়ন প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করে। বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বিডিও অফিসে গিয়ে বাধা দেয়। এরপর সেখান থেকেই উত্তেজনা ছড়ায়। গোলমাল শেষ পর্যন্ত হাতাহাতিতে পৌঁছায়। এনিয়ে বিজেপি শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। অন্যদিকে শাসক দল বিজেপির বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ করেছে বলে জানা গেছে। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, গতকাল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ১৪৪ নম্বর পাঠন বুথে (Dakshin Dinajpur) আমাদের কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করে। তৃণমূল এই ভাবে অত্যাচার করে যে বিজেপির যারা প্রার্থী হয়েছিল, তারা যেন নিজেদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়। তিনি আরও বলেন, পুলিশের সামনেই আমাদের কর্মীদের আজ মারধর করে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। আজ নন্দনপুরের ৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থীকে জোর করে নিয়ে এসে মনোনয়ন প্রত্যাহার করানো হয়েছে এবং আমাদের কর্মীদের মারধর করা হয়।

    তৃণমূল এবং প্রশাসনের বক্তব্য

    অপর দিকে, তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ যদি নিজের ইচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বিডিও অফিসে আসে, তাহলে কেউ তাকে বাধা দিতে পারবে না। কিন্তু বিজেপি উল্টে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। তিনি আরও বলেন, বিজেপিই বলেছিল তারা যেন মনোনয়ন প্রত্যাহার না করে। অথচ বিজেপি তৃণমূলকে দোষারোপ করছে! এর মধ্যে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। যদিও গঙ্গারামপুরের (Dakshin Dinajpur) বিডিও দেওয়া শেরপা বলেন, একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছিল! তবে বড় কিছু হয়নি। বিষয়টি জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share