Tag: tmc

tmc

  • BJP: বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাতিল করা হল মনোনয়ন!

    BJP: বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে তুলে নিয়ে গিয়ে বাতিল করা হল মনোনয়ন!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাতের অন্ধকারে বিজেপির (BJP) দুই মহিলা প্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে মনোনয়ন বাতিল করিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার চাকদা চৌমাথা মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল বিজেপি। যতক্ষণ না অভিযুক্তরা গ্রেফতার হবে, ততক্ষণ এই বিক্ষোভ কর্মসূচি চলবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চলছে মনোনয়ন বাতিল করার কাজ। গোটা রাজ্য জুড়ে বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, এখানেও শাসকদলের সন্ত্রাস শুরু হয়েছে। নদিয়ার চাকদহ থানার ছাতিমতলা ২০২ নম্বর বুথের বিজেপি (BJP) প্রার্থীকে জোর করে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠে ওই বুথের মহিলা প্রার্থীকে জোরপূর্বক মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে। এরপরেই বিজেপির পক্ষ থেকে চাকদা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু, প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পরও অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় অবশেষে চাকদা চৌমাথা মোড়ের ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি প্রার্থীরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে টায়ার জ্বালিয়ে চলে অবরোধ। উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক তথা নদীয়া দক্ষিণ বিজেপি বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় এবং চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপির (BJP) বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায় বলেন, মনোনয়নন জমা দেওয়ার পর থেকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি প্রার্থীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। নদিয়ার একাধিক জায়গায় এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে। রবিবার রাতে তাণ্ডব চালিয়ে দুই বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল করিয়েছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। মূলত এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আজকের এই বিক্ষোভ। শাসক দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে চাকদার বিজেপি বিধায়ক বঙ্কিমচন্দ্র ঘোষ বলেন, পর পর দু রাত ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপি মহিলা প্রার্থীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে এবং তাঁদের মনোনয়ন বাতিল করতে বাধ্য করা হচ্ছে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা সনৎ চক্রবর্তী বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ভিত্তিহীন। বিরোধীদের তৈরি করা গল্প। রাজ্যে কয়েকটি বিচ্ছিন্ন ঘটনাকে সামনে রেখে বিরোধীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছে। আমরাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে স্বাগত জানাচ্ছি। সংগঠনের দুর্বলতা ঢাকতে ওরা নাটক করছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: হেঁশেল ছেড়ে ভোটের ময়দানে! মুখোমুখি লড়াইয়ে একই পরিবারের দুই বৌমা

    Purba Medinipur: হেঁশেল ছেড়ে ভোটের ময়দানে! মুখোমুখি লড়াইয়ে একই পরিবারের দুই বৌমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বী ময়নার একই পরিবারের দুই গৃহবধূ। ময়না (Purba Medinipur) ব্লকের গোজিনা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২১৫ নম্বর বুথে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এঁরা। একজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপির হয়ে, অন্যজন তৃণমূলের হয়ে। হেঁশেলের সুসম্পর্ক রাজনীতির উঠোনে এসে কী দাঁড়ায়, তা নিয়ে এলাকায় রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে।

    কারা এই প্রার্থী

    গোজিনা (Purba Medinipur) গ্রামের ২১৫ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী মন্দিরা পাল এবং তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা পাল। তাঁরা দুজনে দুই ভাইয়ের স্ত্রী অর্থাৎ দুজনে সম্পর্কে জা। দুজনই গৃহবধূ। এই প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে নামলেন। প্রসঙ্গত, পরিবারের কর্তা ঈশ্বর মুরারীমোহন পালের ছয় ছেলে। তাঁর পরিবারেই মোট ভোট রয়েছে ১৫টি। যদিও প্রত্যেকে পৃথক বাড়ি করে আলাদা রয়েছেন। তবে এই পরিবারের সবার সঙ্গে সবার সম্পর্ক ভালো। পরিবারের দুই বৌমা হলেন নির্বাচনে দুই বিরোধী প্রার্থী।

    প্রার্থীদের বক্তব্য

    এলাকার (Purba Medinipur) মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তৃণমূল প্রার্থী সুমিতা পালের স্বামীর নাম সুশান্ত পাল এবং বিজেপি প্রার্থী মন্দিরা পালের স্বামীর নাম প্রশান্ত পাল। দুই জা বলেন, পারিবারিক সম্পর্ক ঠিক রেখে আমরা রাজনীতির ময়দানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। রাজনৈতিক লড়াই যাই হোক না কেন, দুই জায়ের সম্পর্ক ভালোই থাকবে বলে জানান তাঁরা।

    পরিবারের বক্তব্য

    পরিবারের (Purba Medinipur) বড় ভাই কৃষ্ণপ্রসাদ পাল জানিয়েছেন, আমাদের চোখে দুই ভাই কিংবা দুই বৌমা সমান। আমরা সবার সাফল্য কামনা করি। পরিবারের ভোট আমরা ভাগ করে দুজনকেই দেওয়ার চেষ্টা করব।

    গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে রাজনৈতিক সংঘর্ষে ময়না (Purba Medinipur) খবরের শিরোনামে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে দূরে সরিয়ে রেখে, সাংসারিক সম্পর্ককে অক্ষুন্ন রেখে কীভাবে এই লড়াই লড়বেন এই দুই জা, এটা দেখায় বিষয়। রাজনীতির ময়দানে কোন জা জয়লাভ করে সাধারণ জনগণের আশীর্বাদ লাভ করেন, সেটাও দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মোদির কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    Purba Medinipur: মোদির কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন এলেই দল বদলের চিত্র দেখা যায়। যেমনটা দেখা গেল মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের নাটশাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিপুর এলাকার ১১৪ নম্বর বুথে। শাসক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করায় জেলায় দল আরও মজবুত বলে মনে করছে নেতৃত্ব।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার রাতে এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে প্রায় ১৫০ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন মহিষাদল বিধানসভার বিজেপি কিষান মোর্চার জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ ব্যানার্জি এবং বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস। মোদিজির কাজে খুশি হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যোগদান করায় লড়াইয়ে পথ অনেকটাই শক্ত হল বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী দিনে শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে, দাবি বিজেপির। বাংলার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে স্বচ্ছ  ও সুন্দর গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি, জানান বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও এই ভাবে বিজেপিতে যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, বুথ, পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের নেতারা কেউ কেউ সামজিক সম্মান চান, সমাজের কাছে স্যার স্যার শুনতে চান! কিন্তু আমাদের দল নবজোয়ারের মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় সমীক্ষা করে যোগ্য ব্যক্তিদেরই টিকিট দিয়েছে। এখানে যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁরা হয়তো নির্দলে মনোনয়ন করেছেন। কিন্তু দল তাঁদের পাশে নেই। তাছাড়া ব্লকের অধিকাংশ আসনে প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিজেপি। সুতরাং শাসক দলের কর্মীদের তৃণমূল থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা অত্যন্ত হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ কাদের সঙ্গে আছেন, তা ১১ ই জুলাই পরিস্কার হয়ে যাবে। তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    Dakshin Dinajpur: দুর্নীতি ও অনুন্নয়নের প্রতিবাদ, তৃণমূল ছেড়ে ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনের (Dakshin Dinajpur) দুটি এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে প্রায় ১৭০টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। আবার বামফ্রন্ট থেকেও কিছু পরিবার বিজপিতে যোগদান করে বলে জানা গেছে। এর ফলে এলাকায় বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বলে দাবি করছে বিজেপি।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার বিকেলে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলার গুড়াইল গ্রাম পঞ্চায়েতের শ্যামপুর ও গুড়াইল বুথে বিজেপির যোগদান সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। এছাড়াও যোগদান শিবিরে উপস্থিত ছিলেন তপনের বিজেপি বিধায়ক বুধরাই টুডু সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব। যোগদান অনুষ্ঠানে মূলত আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ বাম ও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এলাকায় উন্নয়নের কাজ হয়নি বলেই এদিন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন তাঁরা৷ গুরাইল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধানের ছেলে রাজেন মুর্মুর নেতৃত্বে এই যোগদান শিবির অনুষ্ঠিত হয় বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে তপনে বিজেপিতে বড়সড় যোগদানের ফলে দলের সাংগঠনিক ক্ষমতা অনেকটাই বাড়ল বলে জেলা নেতৃত্ব দাবি করেছে।

    যোগদানকারীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে যোগাদানকারী এক ব্যক্তি বলেন, আমরা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে আসছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত এলাকায় (Dakshin Dinajpur) কোনও সুযোগসুবিধা ও কোনও উন্নয়ন পাইনি। তাই আমরা আজ সবাই মিলে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তপনের গুরাইল ও শ্যামপুর গ্রামে (Dakshin Dinajpur) তৃণমূল ছেড়ে অনেক পরিবার বিজেপিতে যোগাদান করেছে। তাদের মধ্যে বেশ কিছু আদিবাসী পরিবারও রয়েছে। তারা এতদিন ধরে তৃণমূল দল করে এসেছিল। কিন্তু শাসক দলের দুর্নীতির কারণে সবাই তৃণমূল ছেড়েছে। তিনি আরও বলেন, এই যোগদানের ফলে আমাদের পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল আরও ভালো হবে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যোগদানের বিষয়ে জেলা (Dakshin Dinajpur) তৃণমূলের সহ সভাপতি সুভাষ চাকি জানান, কয়েকশো লোক নয়, মাত্র গুটিকয়েক লোক হয়তো বিজেপিতে যোগদান করেছেন। যাঁরা যোগদান করেছেন, তাঁরা তৃণমূলের নয়, বামফ্রন্টের হতে পারে। তৃণমূলের কেউ বিজেপিতে যোগদান করেনি বলে সাফ জানিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    TMC: ‘৩ লক্ষ টাকা দিলেই মিলছে তৃণমূলের প্রতীক’, রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে সরব দলেরই কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিকায় নাম আসার পরেও দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থীরা। মোটা টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে দুর্নীতিগ্রস্তদের। ব্লক তৃণমূল (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে টায়ার চালিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। রবিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবানপুর গ্রামে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কুশিদা ১ নম্বর বুথের প্রার্থী মেহেতাজ বানু  এবং ২ নম্বর বুথের  প্রার্থী রেজা আলির নাম তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী তালিকায় রয়েছে। প্রার্থী তালিকায় নাম থাকার পরই তাঁরা দলের নিয়ম মেনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। কিন্তু, শনিবার স্ক্রুটিনির পর তাঁরা জানতে পারেন, দল থেকে তাঁদের কোনও প্রতীক দেওয়া হচ্ছে না। ফলে তাঁদের নাম বাদ যায়। মেহেতাজ বানু ও রেজা আলির পরিবর্তে দলীয় প্রতীক দেওয়া হয়েছে নিখাদ বানু ও প্রকাশ দাসকে। এই খবর শোনার পরই ক্ষোভে ফেটে পড়ে রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেন তাঁরা।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) প্রার্থীদের অভিযোগ, হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাস লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে প্রার্থী পদে কারচুপি করেছেন। মোটা টাকা নিয়ে দুর্নীতিগ্রস্তদের দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন। শুধু তাই নয়, ৩ লক্ষ টাকা দিলে তবেই মিলছে দলীয় প্রতীক। ব্লক তৃণমূল সভাপতি মানিক দাসের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে সরব প্রার্থী সহ তৃণমূল কর্মীরা।

    কী বলল তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মানিক দাসকে ধরা হলে তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সি বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক বিক্রির অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তৃণমূল কংগ্রেস দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রার্থী করে না। যারা অভিযোগ করছে তারা পদলোভী।

    বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    মালদা জেলা বিজেপি কমিটির সাধারণ সম্পাদক রতন দাস বলেন, টাকা ছাড়া তৃণমূলে (TMC) পদ, প্রার্থী কোনও কিছুই হয় না। স্বচ্ছ ভাবমূর্তিদের দূরে ঠেলে দুর্নীতিগ্রস্তদের ঠাঁই দিচ্ছে তৃণমূল। অন্যদিকে, মালদা জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রনারায়ণ মজুমদার বলেন, টাকার বিনিময় দলীয় প্রতীক, এটা পুরোপুরি বাস্তব। টাকা ছাড়া তৃণমূল আর কিছু চেনে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে বন্ধ করে দেওয়া হল পানীয় জলের সংযোগ, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি বিজেপি (BJP) প্রার্থী। এটাই তাঁর অপরাধ। আর এই অপরাধে তাঁর বাড়িতে জল বন্ধ করল তৃণমূল। এমনই অভিযোগ বিজেপি প্রার্থীর। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের আগরা গ্রামে। জল বন্ধের অভিযোগ পেয়ে বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে পৌঁছে যান দলের জেলা সভাপতি সহ জেলা নেতৃত্ব। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে ফোন করে নালিশ জানান তাঁরা।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) প্রার্থীর পরিবারের লোকজন?

    পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের মাংরুল গ্রাম পঞ্চায়েতের ২২৩ নম্বর বুথের আগড়া গ্রামের বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়েছেন ভারতী দিগার। তাঁর বাবা স্বপন দিগার বলেন, মেয়ে বিজেপি প্রার্থী হয়েছে বলে পানীয় জল বন্ধ করে দিয়েছে তৃণমূল। প্রতিবেশীদের বাড়ি থেকে জল আনতে গেলে আমাদের গালিগালাজ করছে। আর রাতে তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে এসে মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। হামলা চালানোর হুমকি দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে বিডিওর কাছে আমি অভিযোগ জানিয়েছি। তিনি ঘণ্টাখানেকের মধ্যে পানীয় জল পরিষেবা দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু, চারদিন হয়ে গেল আমরা পানীয় জল সংযোগ পাইনি।

    কী বলল বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিষয়টি জানার পর বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তন্ময় দাসের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল দলীয় প্রার্থীর বাড়িতে আসে। প্রার্থীর বাড়ি থেকে বিডিওকে বিজেপির জেলা সভাপতি ফোন করেন অভিযোগ জানান। পরে তন্ময়বাবু বলেন, এই গরমে পানীয় জল পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়ার মতো জঘন্য ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা এর তীব্র বিরোধিতা করছি। তৃণমূল যদি সন্ত্রাস করার চেষ্টা করে, তাহলে পাল্টা প্রতিরোধ হবে।

    কী বলল তৃণমূল নেতৃত্ব?

    সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস হুতাইত বলেন, এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। দলের নামে মিথ্যা অপপ্রচার করছে বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: গুলি করে প্রাণে মারার হুমকি, ঘরছাড়া বিজেপির দুই প্রার্থী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন প্রত্যাহার না করলে গুলি করে প্রাণে মেরে ফেলা হবে। দুই বিজেপি (BJP) প্রার্থী এবং তাঁদের পরিবারকে এমনই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামে। ঘটনার পর থেকে গ্রামছাড়া দুই বিজেপি প্রার্থী। পরিবারের পাশে দাঁড়াতে রবিবার দুই বিজেপি প্রার্থীর বাড়িতে যায় বিজেপির এক প্রতিনিধি দল। তাঁরা গ্রামবাসীদের জোটবদ্ধ হয়ে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার পরামর্শ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বীরভূমের রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের আয়াস গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলেবাড়ি গ্রামের দুটি আসনে বিজেপির (BJP) প্রার্থী হয়েছেন দয়াল কোনাই এবং সুনিতা লেট। হুমকির আশঙ্কা ছিলই। তাই মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর থেকেই তাঁরা গ্রামের বাইরে ছিলেন। শনিবার গভীর রাতে বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী দয়াল কোনাইয়ের বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আসে। দয়ালবাবু বলেন, “আমরা বাড়িতে ছিলাম না। তবে বাড়িতে পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেয় মনোনয়ন তুলে না নিলে রাস্তায় গুলি করে মেরে ফেলা হবে। লাশ খুঁজে পাওয়া যাবে না। বাঁচতে চাইলে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে আকবার আলির (অঞ্চল সভাপতি) সঙ্গে দেখা করে আসতে বলবে”।

    বিজেপি (BJP) প্রার্থীদের আত্মীয়রা কী বললেন?

     বিজেপি (BJP) প্রার্থী দয়াল কোনাইয়ের দিদি ঠান্ডু কোনাই বলেন, “দুষ্কৃতীদের মুখে কাপড় বাঁধা ছিল। ওরা প্রথমেই ভাইয়ের খোঁজ করছিল। যাওয়ার সময় হুমকি দিয়ে যায় মনোনয়ন তুলে না নিলে খুন করে দেওয়া হবে। সকালে যেন আকবরের সঙ্গে দেখা করে আসে।” আর এক বিজেপি প্রার্থী সুনিতা লেটের শ্বশুর সনত লেটে বলেন, “দুষ্কৃতীদের হাতে পিস্তল ছিল। বার বার তারা আকবরের নাম করছিল। বলে যায় সকাল ১০ টার মধ্যে আকবরের সঙ্গে দেখা করতে হবে। ভয়ে বউমা এখন গ্রামের বাইরে রয়েছে।”

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    হুমকির খবর পেয়ে বেলেবাড়ি গ্রামে যান বিজেপির (BJP) জেলা সাধারণ সম্পাদক শান্তনু মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক জেলার সভানেত্রী রশ্মি দে, জেলা সহ সভাপতি স্বরূপ রতন সিনহা, শ্রাবস্তি মুখোপাধ্যায়, রূপা মণ্ডল। শান্তনু মণ্ডল বলেন, “আমরা তৃণমূলের হুমকির নিন্দা করছি। সেই সঙ্গে গ্রামবাসীদের কাছে আবেদন রেখেছি ভোট পর্যন্ত বহিরাগত কেউ রাতে গ্রামে ঢুকলে তাদের বেঁধে রাখুন। গ্রামে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য আমরা আবেদন করব।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে চাননি তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি। তবে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, “দলের নির্দেশ কাউকে কোনওরকম হুমকি দেওয়া যাবে না। এক্ষেত্রে কি হয়েছে খোঁজ নিয়ে দেখব।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    TMC: দলীয় ফতোয়াকে ফুৎকারে উড়িয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নির্দল প্রার্থীদের পাশে দাঁড়ালেন উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের তৃণমূল (TMC) বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। পঞ্চায়েত নির্বাচনে নির্দল প্রার্থীদের নিয়ে তৃণমূলের সুপ্রিমো যতই চাপ সৃষ্টি করুক তাতে চিন্তিত নন করিমসাহেব। দলীয় নেতা কর্মীরা দলের অফিসিয়াল প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হয়ে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁদের প্রার্থী পদ প্রত্যাহারের আবেদন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। শনিবার দলের বৈঠকে নির্দল প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    কী বললেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী?

     উত্তর দিনাজপুর জেলাতেও বহু তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নেতা কর্মীরা প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ইসলামপুর তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামীরা দলের প্রার্থী হতে না পেরে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী বলেন, দুর্নীতিমুক্ত,স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গঠন করতে দলনেত্রীর কাছে স্বচ্ছভাবমূর্তি থাকা মানুষদের তালিকা পাঠিয়েছিলেন। দল সেই তালিকা অনুমোদন করেনি। দলের এই ভূমিকায় হতাশ হয়ে পড়েন কর্মীরা। ২০১৯ বিধানসভা নির্বাচনে যারা আমার হয়ে নির্বাচনে পরিশ্রম করেছেন তাঁদের দলে রাখতেই আমি নির্দল প্রার্থী হিসেবে দাঁড় করিয়েছি। পঞ্চায়েত নির্বাচনে তাঁদের হয়ে আমি প্রচারেও যাবে। দলের বিধায়ক হয়েও দলের কোনও প্রার্থীর হয়ে প্রচার বা বিরুদ্ধে কিছুই করব না। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন ইসলামপুর ব্লক নিয়ে যেন কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তিনি। পুলিশকে লেলিয়ে দিয়ে নির্দল প্রার্থীদের যাতে হেনস্থা না করেন তাঁর আবেদন করেছেন বিদ্রোহী এই বিধায়ক।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, তৃণমূল (TMC)  কংগ্রেসের অফিসিয়াল প্রার্থীর বিরুদ্ধে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করা দলবিরোধী কাজ। কোনও নেতা বা বিধায়কের মদতে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানোর উপযুক্ত প্রমাণ পেলে দল ওই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি, দোকান লুটপাট, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি, দোকান লুটপাট, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য বিজেপির মহিলা প্রার্থীকে প্রাণনাশের হুমকি। প্রার্থীর স্বামীর দোকানে লুটপাট চালানোর অভিযোগ উঠলো শাসক দল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে  জলপাইগুড়ির পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি ১৮/১৮৪ নম্বর বুথের ঘটনা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রবিবার সকাল থেকে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। এদিন দুপুরে কোতোয়ালি থানায় এসে অভিযোগ দায়ের করেন বিজেপি প্রার্থী মিনতি সন্ন্যাসীর স্বামী বিপ্লব সন্ন্যাসী। কোতোয়ালি থানার আইসি জানান,অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থীর স্বামী?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পর্বের পর এবার প্রত্যাহারের দিন যতই এগিয়ে আসছে ততই তপ্ত হয়ে উঠছে গ্রাম বাংলা। জলপাইগুড়ির বিভিন্ন এলাকায় বিজেপি প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানোর জন্য নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। শনিবার রাত থেকে পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি ১৮/১৮৪ নম্বর বুথের বিজেপির মহিলা প্রার্থী মিনতি সন্ন্যাসী ও তাঁর পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ পরিবারের। পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের রঙধামালি এলাকা থেকে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মিনতিদেবী। ২০১৮ পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই আসন থেকে মনোনয়ন পত্র তুলে ছিলেন তাঁর স্বামী বিপ্লববাবু। তিনি বলেন, ২০১৮ সালে আমাকে মারধর করে মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করিয়ে নিয়েছিল তৃণমূল। এবার বিজেপি নেতৃত্ব পাশে থাকার আশ্বাস পেয়ে স্ত্রীকে প্রার্থী করেছিলাম। শনিবার রাত থেকে শুরু হয়েছে অত্যাচার। বাড়ি বয়ে এসে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। ভয়ে আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়ে উঠেছেন স্ত্রী। রঙধামালি বাজারের উপর আমার খাতা-পেনের দোকান রয়েছে। সেই দোকানের তালা ভেঙে লুটপাট করা হয়।  এদিন দুপুরে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে কোতোয়ালি থানায় এসে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সম্পাদক শ্যাম প্রসাদের বক্তব্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহার করানোর জন্য জলপাইগুড়ি পলাতকা, বারোপেটিয়া, পাহাড়পুর সহ বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বিজেপি প্রার্থী ও তাঁদের পরিবারের উপর নানা ভাবে চাপ সৃষ্টি করছে শাসক দল। প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। 

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল নেতা তথা পাতকাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান হেমব্রম। তিনি বলেন,পুরোটাই সাজানো নাটক। একটা পারিবারিক সমস্যাকে রাজনৈতিক রঙ দিচ্ছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    Hooghly: “বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও টিকিট!” তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির (Hooghly) বলাগড় এখন বিখ্যাত। প্রাথমিক শিক্ষার নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডের মাথা শান্তনু-কুন্তলদের খাসতালুক এই বলাগড়। এবার বলাগড় শিরোনামে মূলত পঞ্চায়েতের টিকিট বণ্টনকে কেন্দ্র করে। প্রার্থী ঘোষণা হবার পর থেকে বেশ কিছু এলাকার মতো বলাগড়েও শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব তীব্র আকার ধারণ করেছে। উঠে এসেছে টাকা দিয়ে প্রার্থী করার মতো গুরুতর অভিযোগ। প্রকাশ্যে কাদা ছোড়াছুড়িতে মেতে উঠেছেন স্থানীয় বিধায়ক ও ব্লক সভাপতি। একে অপরের নামে বিস্ফোরক সব অভিযোগ তুলেছেন। মূল দ্বন্দ্ব টাকা নিয়ে জেলখাটা দুষ্কৃতীদের কেন টিকিট দেওয়া হয়েছে!

    কেন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব?

    প্রার্থী তালিকা প্রকাশের পর থেকে ক্ষোভ দেখা যাচ্ছিল বলাগড়ের (Hooghly) তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। শনিবার বিকালে তার গণবিস্ফোরণ ঘটে। ওই দিন হুগলির বলাগড়ের জিরাটে একটি লজে দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন বলাগড় ব্লক তৃণমূল সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি। আর সেখানেই ক্ষোভ উগরে দেন তৃণমূলের কর্মীরা। বলাগড় পঞ্চায়েত সমিতির আগের বারের বোর্ডের ছজন বিজয়ী কর্মাধ্যক্ষ বাদ পড়েছেন, একাধিক প্রধান, উপ-প্রধান এমনকী ব্লক সভাপতি, সহ-সভাপতিদেরও টিকিট দেওয়া হয়নি। আর এর পিছনে বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর বিশেষ হাত রয়েছে বলে মনে করেন তৃণমূল দলেরই কর্মী-সমর্থকরা।

    ব্লক সভাপতি গোষ্ঠীর বক্তব্য

    ব্লক (Hooghly) সভাপতি নবীন গাঙ্গুলি বলেন, যে কোনওদিন দল করেনি, এরকম, এমনকি বিজেপির লোককেও টিকিট দিয়েছেন বিধায়ক। এখন দল বলছে ভোট করতে হবে। কর্মীরা যারা সারা বছর কাজ করে, তাদের বঞ্চিত করা হয়েছে। দলকে সব জানিয়েছি। দেখি কী হয়। ব্লকের সাধারণ সম্পাদক সুজয় মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়া হয়েছে। বিধায়কের বাড়িতে ঝাঁট দেয়, তাকেও প্রার্থী করা হয়েছে। বিদায়ী বোর্ডের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ বাদল সরকার বলেন, প্রথম থেকে দল করছি। প্রতি বছরই টিকিট নিয়ে এই ধরনের গন্ডগোল হয়। বাইরে সিপিএমের সঙ্গে লড়াই করতে হয়, আর ভিতরে দলের টিকিট নিয়ে লড়াই করতে হয়। তবে এবারে পঞ্চায়েতে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে, তাতে দলের কর্মীদের কথা শোনা হয়নি বলে জানান তিনি।

    বিধায়ক গোষ্ঠীর বক্তব্য

    এই বিষয়ে বলাগড়ের (Hooghly) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, ২৩৮ টা গ্রাম পঞ্চায়েতের আসনের মধ্যে ৯০ টা আমি নিয়েছি। যারা আমাকে জেতাতে সাহায্য করেছিল, তাদের দেওয়া হয়েছে। আমি একটাকাও নিইনি। টাকা নিয়ে টিকিট দিয়েছে ব্লক সভাপতি স্বয়ং। যাদের থেকে টাকা নিয়েছে ব্লক সভাপতি তাদের টিকিট দিতে পারছে না বলে এসব বলছেন। বিজেপিকে টিকিট ওরাই দিয়েছে। বিধায়ক আরও বলেন, সব কানে যাচ্ছে বিজেপির। মুচকি মুচকি হাসছে তারা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বিজেপির হুগলি (Hooghly) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক সুরেশ সাউ বলেন, যে দলের কোনও গণতন্ত্র নেই, যে দলের উদ্দেশ্য কেবলমাত্র টাকা কামানো, সেই দলের মিটিংয়ে বলাগড়ে যেটা হয়েছে, সেটাই স্বাভাবিক। আজ যারা টাকা দিয়েছে, তারা টিকিট পেয়েছে। আর যারা দেয়নি, তারা পায়নি। যার ফলেই ঝামেলা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share