Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু, তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু্

    Suvendu Adhikari: নন্দীগ্রাম থেকে নির্বাচনী প্রচার শুরু, তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু্

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার শুরু করে দিলেন নন্দীগ্রাম থেকে। দলের প্রার্থী এবং নেতানেত্রীদের নিয়ে দুর্নীতি এবং অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন ইস্যুতে তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এই প্রচারেই রাজ্য থেকে তৃণমূলকে নির্মূল করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    কীভাবে পদযাত্রা করলেন?

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামে ঢাক, ঢোল, মাদল বাজিয়ে পদযাত্রা শুরু করেন। প্রচার যাত্রার সঙ্গে ছিল বিজেপির দলীয় পতাকা, পদ্মফুলের প্রতীক এবং গেরুয়া বেলুন। এই পদযাত্রা টেঙ্গুয়া মোড় থেকে জানকীনাথ মন্দির পর্যন্ত হয়েছে বলে জানা গেছে। জেলার অনেক বিজেপি কর্মী-সমর্থক পদযাত্রায় যোগদান করেন। শেষে মন্দির সংলগ্ন এলাকায় ভাষণের মধ্যে দিয়ে প্রচার শেষ হয়।

    কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে হাইকোর্টের আদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে। রাজ্যের নির্বাচন যাতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হয়, তার দায়িত্ব রাজ্য নির্বাচন কমিশন এবং রাজ্য সরকারকে নিতে হবে। নির্বাচনে কোনও প্রাণহানি যাতে না ঘটে, সেজন্য নির্বাচন কমিশনকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঠিক প্রয়োগ করতে হবে। শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ২০১৩ সালে ৮০ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা হয়েছিল। এই দশ বছরে পশ্চিমবঙ্গের আইন শৃঙ্খলার আরও অবনমন ঘটেছে। তাই ২০১৩ সালের থেকেও ডবল বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করা প্রয়োজন। কোর্টের আদেশকে মান্যতা দিয়ে বাহিনীর হাতেই রাজ্যকে ছেড়ে দিক কমিশন! নির্বাচনের প্রচার, ভোটদান, ফলাফল এবং ফলাফল ঘোষণার পরও বাহিনীকে রাজ্যে রাখতে হবে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষিত থাকবে। তিনি আরও বলেন, ডায়মন্ড হারবার, ক্যানিং, বসিরহাটের বিডিও এবং রাজ্যের বেশ কিছু এসপি এবং আইসি প্রত্যক্ষভাবে তৃণমূল পার্টির হয়ে কাজ করছেন। অবিলম্বে তাঁদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    সব মিলিয়ে নন্দীগ্রামের নির্বাচনী প্রচার এদিন ছিল বেশ জমজমাট।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ মেমারিতে! অস্বস্তিতে তৃণমূল

    Panchayat Vote: টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রির অভিযোগ মেমারিতে! অস্বস্তিতে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) শাসক শিবিরে অন্তর্কলহ লেগেই রেয়েছে। জেলায় জেলায় যা নিয়ে অস্বস্তিতে তৃণমূল। এবার ত্রিস্তর পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘোষিত প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা সত্ত্বেও দলীয় প্রতীক না পাওয়ার অভিযোগ পূর্ব বর্ধমান জেলার মেমারি-১ ব্লকের তৃণমূল কর্মীদের। দলীয় প্রতীক না পেয়ে তাঁরা প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগরে দেন। সেই সঙ্গে মেমারি-১ ব্লক  সভাপতি নিত্যানন্দ চ্যাটার্জির বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে দলীয় প্রতীক বিক্রির চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুললেন বিক্ষুব্ধরা। সব মিলিয়ে বেশ অস্বস্তিতে শাসক শিবির। এমনিতেই দুর্নীতি সহ একাধিক ইস্যুতে বেশ ব্যাকফুটে শাসক শিবির। তারপর দলের এই গোষ্ঠীকোন্দল সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।

    বিদ্রোহী কর্মীদের দাবি

    বিদ্রোহীদের একাংশের দাবি, মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও মলয় ঘটকের সম্মতিতে জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চ্যাটার্জি এই প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও শেষ মুহূর্তে দলীয় প্রতীক পেলেন না প্রার্থী তালিকায় নাম থাকা তৃণমূল কর্মীরা। অদৃশ্য কোনও অঙ্গুলিহেলন বা উপঢৌকনের বিনিময়ে তালিকায় পরিবর্তন হয়েছে বলে অভিযোগ। দলে যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে এমন দুর্নীতি হয়েছে, তা কার্যত স্বীকার করে নেন মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য। তিনি জানান, প্রথমে একটি প্রার্থী তালিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে পুনরায় আরেকটি প্রার্থী তালিকা প্রকাশিত হয় মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস, স্বপন দেবনাথ ও মলয় ঘটকের নেতৃত্বে।

    পুরনো কর্মীদের টিকিট দেয়নি দল

    জানা গিয়েছে, মেমারি-১ ব্লকের ২১২টি আসনের মধ্যে ৫৯ জন রয়েছেন, যাঁরা দলের দীর্ঘদিনের কর্মী হিসাবে এলাকায় পরিচিত। সেই হিসাবে তাঁদের প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণবশত তাঁদের অনেকেই শেষ মুহূর্তে তৃণমূলের প্রতীক পাননি। স্বাভাবিকভাবেই আদি ও নব্য তৃণমূলের এই দ্বন্দ্বের প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Vote) পড়ে কিনা, তার দিকেই তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    Bardhaman: নবজোয়ারে দু’হাজার পুলিশ, আর নির্বাচনে মাত্র ২২০০ আধা সেনা? কটাক্ষ অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলায় জেলায় এক কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট কি সম্ভব? এই প্রশ্নের উত্তরে আসানসোলের (Bardhaman) বিজেপি বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল কটাক্ষের সুরে বলেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে যুবরাজের নিরাপত্তার জন্য মোতায়ন দু’হাজার রাজ্য পুলিশ। অন্যদিকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের মানুষের নিরাপত্তার জন্য মাত্র ২২০০ আধা সেনা। সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! 

    কী বললেন বিধায়িকা?

    বিজেপি নেত্রী (Bardhaman) বলেন, রাজ্যে এই নির্বাচনের সময় নতুন জুটি তৈরি হয়েছে রাজীব সিনহা ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! এই জুটি রাজ্যের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে বাজারে নেমেছে। গণতন্ত্রকে হত্যা ও মানুষ খুনের খেলায় মত্ত এই জুটিকে আটকাতে বাংলার মানুষ সর্বত্র নামছেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট ২২ কোম্পানি আধা সেনা দিয়ে করলে অবশ্যই রক্তগঙ্গা বইবে, যদি না অতিরিক্ত আধা সেনা আসে। এই বিষয়ে আমরা আদালতের দারস্থ হব।

    প্রশাসনকে নিয়ে কী বললেন?

    দেগঙ্গায় আইএসএফ এবং তৃণমূলের ফের খণ্ডযুদ্ধ নিয়ে বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদিকা অগ্নিমিত্রা পল বলেন, ১২ বছর ধরে পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বলে কিছুই নেই! বিজেপির বুকের পাটা আছে বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে এককভাবে মনোনয়ন জমা করছে। অন্যদিকে তৃণমূল নির্বাচনে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে মাঠে নেমেছে। পুলিশ-প্রশাসন এবং তৃণমূল প্রার্থীরা একত্রিত হয়েছে বলেই মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। দুদিনের মধ্যেই তৃণমূল ১০০% জায়গায় তাদের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা করতে পেরেছে। তা না হলে দু-মিনিট করে সময়ে কীভাবে তৃণমূল প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারে! অন্যদিকে এই পুলিশ পশ্চিম বর্ধমানে (Bardhaman) বিরোধীদের মনোনয়ন জমা করার কাজে বাধা দিতে সব রকম চেষ্টা চালিয়ে গেছে।

    তৃণমূল বিধায়কের দল ছাড়া নিয়ে কী বললেন?

    হুগলির বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী সোশ্যাল মিডিয়ায় তৃণমূল ছাড়ার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। এ নিয়ে বিজেপি বিধায়িকা বলেন, তিনি দলে থাকবেন, না বেরিয়ে যাবেন, তা তৃণমূলের একান্ত নিজস্ব ব্যাপার। কিন্তু যাঁরা তৃণমূলের প্রথম দিন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে লড়াই করে এসেছেন, তাঁদের জায়গা বর্তমানে মঞ্চের নিচে। কেবল মাত্র যুবরাজের জায়গা মঞ্চের উপরে। বর্তমানে যুবরাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সুপার মুখ্যমন্ত্রী, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও উপরে।

    বুধবার বর্ধমানের (Bardhaman) বিজেপি সদর কার্যালয়ে রাঢ়বঙ্গের দলীয় বৈঠকে যোগ দিতে আসেন বিধায়িকা অগ্নিমিত্রা পল। সেই সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, বীরভূমের দুবরাজপুরের বিজেপি বিধায়ক অনুপ সাহা। এছাড়াও আসানসোল, বীরভূম ও বর্ধমান সদর জেলার সভাপতি  এবং  অন্যান্য নেতৃত্বরা বৈঠকে ছিলেন বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Bardhaman: বিজেপির প্রার্থীকে প্রচার না করার জন্য হুমকি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    Paschim Bardhaman: বিজেপির প্রার্থীকে প্রচার না করার জন্য হুমকি, অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রথমে মনোনয়নপত্র তোলা, তারপর মনোনয়নপত্র জমা করা এবং এরপরই মনোনয়ন প্রত্যাহার। বিরোধীরা শাসক দলের দুষ্কৃতীদের হাতে বার বার আক্রান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই ধরনের বহু খবর সংবাদ মাধ্যমে শিরোনাম হয়েছে। এবার নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের ভোটের প্রচারকে ঘিরে শাসক দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলল বিজেপি। তাদের প্রচার করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠল পূর্ব বর্ধমানে (Paschim Bardhaman)। কাঁকসার মাধবমাঠ এলাকায় এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। বুধবার সকাল থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে।

    কী ঘটেছে?

    কাঁকসা (Paschim Bardhaman) গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ৬৫ নম্বর বুথে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন ছোটন বাগদী। তাঁর অভিযোগ, নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর থেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাঁকে ভয় দেখাত। গতকাল গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে তৃণমূল আশ্রিত একদল দুষ্কৃতী চড়াও হয় এবং তাঁকে নানা ভাবে হুমকি দিয়ে বলে, তিনি যেন এলাকায় কোনও রকম ভোটের প্রচার না করেন। এমনকী ভোটের প্রচারে বের হলে তাঁকে দেখে নেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় দুষ্কৃতীরা। তবে তিনি জানান, অন্ধকারে কাউকে চিনতে পারেননি। এই ঘটনার পরই কাঁকসা থানায় ফোন করতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। ছোটন বাগদী অবশ্য তাঁর দলের উচ্চ নেতৃত্বকে বিষয়টি জানিয়েছেন। বুধবার তিনি পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন বলে জানা গেছে।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূলের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কাঁকসা (Paschim Bardhaman) ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরন্ময় ব্যানার্জি। তাঁর দাবি, এই এলাকায় একশো শতাংশ বিরোধীরা মনোনয়ন জমা করেছেন। কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যের একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। সেই সঙ্গে দুই কোটি বেকারের চাকরি দিতে পারেনি কেন্দ্র! আর তাই বিজেপি প্রচার করতে গেলে তাঁদের প্রত্যাখ্যান করছে মানুষ। কার্যত প্রচারের আলোয় আসার জন্যই তৃণমূলের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে বিজেপি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ (Panchayat Election 2023) উঠেছে বারবার। ফের তার প্রমাণ মিলল একটি প্রাণের বিনিময়ে। রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটে ঝরল আরও একটি প্রাণ। চোপড়ার গুলিকাণ্ডে গুরুতর জখম মনসুর আলমের মৃত্যুতে এমনই অভিযোগ উঠেছে। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মনসুরের।

    কী হয়েছিল?  

    গত ১৫ জুন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। মাঝপথে তাদের সশস্ত্র আক্রমণ করা হয়। রক্ত ঝরে। জখম হন একাধিক। তিনজন গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’ জন, মনসুর আলম ও নাইমূল হককে শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

    কারা আক্রমণ করেছিল, কী বলছে মনসুরের পরিবার

    মনসুরের পিসেমশাই মজফফর আলম বুধবার শিলিগুড়িতে বলেন, আমরা ১৮ কিলোমিটার পথ মিছিল করে মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) জমা দিতে যাচ্ছিলাম। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর হঠাৎই রাস্তা আটকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চলে। আমাদের বেশ কয়েক জন জখম হয়। তার মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছিল। নাইমূল হক ও মনসুরকে শিলিগুড়িতে আনা হয়। মনসুরের মাথায় গুলি লেগেছিল। এজন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জুন এই ঘটনার পর আমাদের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা এই ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত ছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    চিকিৎসকরা কী বলছেন

    শিলিগুড়ির যে বেসরকারি নার্সিংহোমে মনসুর মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যায়, সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মনসুরের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, মনসুরের মাথায় সেদিন গুলি (Panchayat (Election 2023) লেগেছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সবটা জানা যাবে। তার আগে তারা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: তৃণমূল জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারি শেয়ার করতে বলে বিতর্কে পুলিশ আধিকারিক

    Panchayat Vote: তৃণমূল জেলা সভাপতির হুঁশিয়ারি শেয়ার করতে বলে বিতর্কে পুলিশ আধিকারিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাঞ্চল্যকর অভিযোগ নদিয়ার শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, তৃণমূল জেলা সভাপতির রাজনৈতিক বক্তব্য হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে শেয়ার করে প্রচার করতে বলছেন শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার। এই পোস্ট ভাইরাল হতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে ওই পুলিশ আধিকারিককে অপসারিত না করা হলে এসপি অফিস ঘেরাও এবং বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপির সাংসদ। একজন পুলিশ আধিকারিক কীভাবে তৃণমূল জেলা সভাপতির বক্তব্য প্রচার করতে পারেন, তা নিয়েই বিরোধীরা তুলেছেন প্রশ্ন। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Vote) দিন ঘোষণা হতেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় বিরোধীদের উপর আক্রমণের অভিযোগ উঠে আসছে। মনোনয়ন জমা থেকে শুরু করে বিজেপি এবং সিপিআইএম প্রার্থীদের জোরপূর্বক নমিনেশন বাতিল করানোর অভিযোগ উঠছে শাসকদলের বিরুদ্ধে। বিজেপি এবং সিপিএম উভয়েই অভিযোগ করছে, শাসকদল প্রশাসনকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করছে। শাসকদলের তাঁবেদারি করছে পুলিশ। এই ঘটনা যেন বিরোধীদের তোলা অভিযোগকেই মান্যতা দিল।

    হোয়াটসঅ্যাপে কোন বার্তা শেয়ার করলেন আইসি? 

    জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত মালাকার একটি গ্রুপে নদীয়া জেলা দক্ষিণ তৃণমূলের সভাপতি দেবাশিষ গাঙ্গুলির একটি বক্তব্য শেয়ার করেছেন। নিচে লিখে দিয়েছেন এই বক্তব্যটি প্রচার করার জন্য। যেখানে দেখা যাচ্ছে, তৃণমূল সভাপতি তাঁর দলের নির্দল প্রার্থীদের হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন। অর্থাৎ পুরো বক্তব্যটি রাজনৈতিক। শেয়ার করা সেই বক্তব্য নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক শোরগোল।

    কী বলছেন বিজেপি সাংসদ?

    এ বিষয়ে রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর থেকেই আমাদের কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এর পিছনে সম্পূর্ণ মদত দিচ্ছে প্রশাসন। এর আগেও দেখা গেছে, তৃণমূলের যুব কমিটির তালিকায় একজন পুলিশ রয়েছে। আর গতকালকের ঘটনা থেকে স্পষ্ট পুলিশ সরাসরি শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। আমরা জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অনুরোধ করব ৭২ ঘন্টার মধ্যে এই পুলিশ আধিকারিককে অপসারিত করতে হবে। যদি না হয়, তাহলে গোটা দক্ষিণ জেলা স্তব্ধ করে দেব এবং বৃহত্তর আন্দোলনের নামব।’’ অন্যদিকে গোটা ঘটনার নিন্দা করে সিপিআইএম নেতা সঞ্জিত ঘোষ বলেন, ‘‘প্রশাসনের দায়িত্ব যাঁরা প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়া। কিন্তু যদি সেটা না করে শাসকদলের অঙ্গুলিহেলনে উল্টো কাজ করে, তাহলে আগামী দিনে আমরা অবশ্যই বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।’’ 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: তৃণমূল বিধায়কের স্বামীকে মারধরের অভিযোগ দলেরই মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে

    Panchayat Vote: তৃণমূল বিধায়কের স্বামীকে মারধরের অভিযোগ দলেরই মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের কুশমন্ডিতে তৃণমূল বিধায়কের স্বামীকে হেনস্থার অভিযোগ দলেরই মহিলা কর্মীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই গোষ্ঠীকোন্দলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলা জুড়ে। অস্বস্তিতে শাসক দল। এদিন রীতিমতো কলার ধরে মাটিতে বসানো হয় বিধায়কের স্বামীকে। বিদ্রোহী মহিলা কর্মীদের অভিযোগ, দলের প্রার্থীপদ (Panchayat Vote) বিলি নিয়ে অনিয়ম করেছেন বিধায়কের স্বামী।

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ…

    ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থানার ৩ নং উদয়পুর অঞ্চলে। কুশমন্ডি বিধানসভার বিধায়ক রেখা রায়ের স্বামী নকুল রায়। অভিযোগ, নকুল রায়ের অঙ্গুলিহেলনে এলাকার দলীয় যোগ্য কর্মীরা প্রার্থী হতে পারেননি। টাকার বিনিময়ে অযোগ্যদের টিকিট পাইয়ে দিয়েছেন বিধায়কের স্বামী। আর এই অভিযোগে দলেরই মহিলারা বিধায়কের স্বামীকে হাতের নাগালে পেয়ে তার উপর চড়াও হন। জামার কলার ধরে বসিয়ে আটকে রাখেন ও বিক্ষোভ দেখান। ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। ঘটনার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। খবর পেয়ে কুশমন্ডি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, ‘‘এরকম একটা খবর আমাদের কাছে এসেছে। আমরা দলীয় পর্যায়ে নির্দেশ দিয়েছি প্রকৃত ঘটনা জানার জন্য। দলের উচ্চপদস্থ যাঁরা আছেন, তাঁরা যে সিদ্ধান্ত নেবেন সেটাই চূড়ান্ত। কলকাতাতেও এই খবর দেওয়া হয়েছে। তারা যা সিদ্ধান্ত জানাবে, আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করব। দলের ওপরে তো কেউ নয়।’’

    কী বলছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কুশমন্ডির বিধায়কের স্বামীকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। এটা নতুন কিছু নয়। তৃণমূলে তো টাকা দিয়েই টিকিট হয়। বিশেষ করে ভাইপো জমানা শুরু হতেই তৃণমূলে টাকা ছাড়া টিকিট হয় না। টাকা ছাড়া টিকিট কেন, টাকা ছাড়া কিছুই হয় না।’’

    কী বলছেন বিদ্রোহী মহিলারা? 

    বিদ্রোহী মহিলাদের বক্তব্য, তাঁদের অন্ধকারে রেখে টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিলি করেছেন অসীম রায়। এদিন এক বিক্ষোভকারী বলেন, ‘‘আমাকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করা হয়। আমি ব্যানার ছাপিয়ে ফেলি। পরে শুনি আমি বাদ গিয়েছি। আসলে টাকার বিনিময়ে প্রার্থীপদ বিক্রি হয়। ’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Vote: শাসকদলের সন্ত্রাসে এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি দম্পতি

    Panchayat Vote: শাসকদলের সন্ত্রাসে এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া বিজেপি দম্পতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট-পরবর্তী হিংসার ছবি যেন ফিরে এসেছে পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) প্রাক্কালে। তৃণমূল আছে সন্ত্রাসেই! এবার এক মাসের বাচ্চাকে কোলে নিয়ে ঘরছাড়া এক দম্পতি বিজেপি প্রার্থী। বর্তমানে তাঁরা আশ্রয় নিয়েছেন আসানসোলের এক গোপন ডেরায়। সালানপুর ব্লকের দেন্দুয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ কিসকু ও সুনীতা কিসকু। তাঁদের অভিযোগ, তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করার জন্য হুমকি দিচ্ছে ও বাড়ি বয়ে শাসিয়ে গেছে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের তরফে পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা থেকেই চলছে বিতর্ক। বিজেপির অভিযোগ, শাসকদলকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কোনওরকম সর্বদলীয় বৈঠক না করেই রাজীব সিনহা ভোট ঘোষণা করেছেন। অন্যদিকে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন ঘিরে অশান্তি ছড়ায় সারা রাজ্য জুড়ে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ আনে বিরোধীরা। ভাঙড়, ক্যানিং সহ একাধিক জায়গা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। এখনও পর্যন্ত সন্ত্রাসের বলি ৯ জন।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীকে বাড়ি বয়ে হুমকি! সুকান্তর তাড়ায় চম্পট দিল শাসক দল

    কী বলছেন আক্রান্ত দম্পতি?

    আসানসোলের ওই গোপন আস্তানা থেকে বিজেপি প্রার্থী সুভাষ কিসকু বলেন, ‘‘প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করতে ক্রমাগত হুমকি দিচ্ছে শাসকদল। আমরা আতঙ্কিত। কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে শুনছি। এতে কিছুটা আশাবাদী।’’ অন্যদিকে একমাসের বাচ্চাকে কোলে শুইয়ে সুনীতা কিসকু বলেন, ‘‘তৃণমূল ভয় দেখাচ্ছে। ভোটে দাঁড়ালে এর ফল ভালো হবে না। তাই আমরা ঘরছাড়া।’’ আসানসোলের বিজেপি নেতৃত্বের মতে, ‘‘শাসকদলের এই সন্ত্রাস নতুন কিছু নয়। পঞ্চায়েতে মনোনয়নের সময় ৭২ বছর বয়সী বৃদ্ধকেও রাস্তায় ফেলে মেরেছে তৃণমূল।’’

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যথারীতি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসক দল। তৃণমূলের সালানপুরের ব্লক সহ সভাপতি ভোলা সিং বলেন, ‘‘এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। এমন কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’

     

    আরও পড়ুন: ‘র’-এর প্রধান পদে অভিজ্ঞ আইপিএস অফিসার রবি সিনহা, জানেন কে তিনি?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    Panchayat Election: লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি, তোপ দলেরই বিধায়কের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলকে এলাকায় জেতালেও নিজের মেয়েকে দলীয় টিকিটে দাঁড় করাতে পারলেন না চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক হামিদুল রহমান। তাঁর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে টিকিট বন্টন (Panchayat Election) করা হয়েছে। অভিযোগের তীর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের বিরুদ্ধে। অপরদিকে, যারা টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে, দলনেত্রী মমতা ব্যানার্জি তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে করিম চৌধুরীর অনুগামী হিসেবে নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন। আর তার ফলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব খানিকটা বিপাকে পড়েছে। মেয়েকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জেতাতে মরিয়া বিধায়ক হামিদুল রহমান। এই ঘটনায় আবারও তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে।

    কেন প্রার্থী (Panchayat Election) করা হল না বিধায়কের মেয়েকে?

    উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয় চোপড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগমকে। নির্বাচনে প্রায় ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তৃণমূল কংগ্রেসের উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাজকর্ম পছন্দ না হওয়ায় অর্জুনা বর্ষীয়ান তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর অনুগামী হয়ে কাজকর্ম করেন। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিদ্রোহী বিধায়ক করিম চৌধুরীর মনোনীতদের প্রার্থী তালিকার বাইরে রেখেছেন বলে অভিযোগ। বাতিলদের তালিকায় স্থান পেয়েছেন ৪৮ হাজার ভোটের ব্যবধানে জয়ী হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুন বেগমও। শুধুমাত্র করিম চৌধুরীর অনুগামী হবার কারণেই তাঁকে জেলা পরিষদের চার নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়নি বলে অভিযোগ।

    দলের বিরুদ্ধেই তোপ বিধায়কের

    অপরদিকে মেয়েকে প্রার্থী না করায় জেলা সভাপতিকে এক হাত নিয়েছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। বিধায়কের অভিযোগ, একজন অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে জেলা পরিষদের প্রার্থী করে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন জেলা সভাপতি। চার নম্বর আসনে দল যাকে প্রার্থী (Panchayat Election) করেছে, সে নিজের এলাকাতেই জিততে পারবে না। জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ফারহাদ বানু একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ত্ব হওয়ার পরেও তাঁকেও প্রার্থী করা হয়নি। বিধায়কের আরও অভিযোগ, রাজ্যের সমস্ত জেলায় বিধায়কদের প্রার্থী নির্বাচনের প্রধান দায়িত্ব থাকলেও একমাত্র ইসলামপুরের বিধায়ককে সেই দায়িত্বের বাইরে রাখা হয়েছে। জেলা সভাপতি এবং রাজ্যের মন্ত্রী গোলাম রব্বানীর ভূমিকার কড়া সমালোচনা করেছেন চোপড়ার বিধায়ক হামিদুল রহমান। হামিদুল রহমানের মেয়ে অর্জুনা বেগম আরেক ধাপ এগিয়ে বলেন, জেলা সভাপতি তাঁদের প্রতি অবিচার করেছেন। তাই তাঁরা নির্দল প্রার্থী হয়ে লড়াই করছেন।

    কী জবাব দিলেন দলের জেলা সভাপতি?

    অপরদিকে, এ বিষয়ে জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগারওয়াল ফোনে জানিয়েছেন, “টাকা নেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই। কে টিকিট পাবে না পাবে, সমস্তটাই দল ঠিক করেছে। দলের ওপরে আমরা কেউ নই। দল যেটা সিদ্ধান্ত নেবে (Panchayat Election) সেটাই মেনে চলতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Panchayat Election: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাস্যকর পরিণতি, একই বুথে দলের দুজন প্রার্থী!  

    Panchayat Election: শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের হাস্যকর পরিণতি, একই বুথে দলের দুজন প্রার্থী!  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর বিধানসভার মধুসূদন চকের মাঝিপাড়া। এখানকার ২৮১ নম্বর বুথে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election) প্রকাশ্যে। এই বুথে তৃণমূলের পক্ষে দুজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এমনই দাবি করছেন দুই প্রার্থী। দুজনেই আবার শাসকদলের অনুগামী বলেও দাবি করছেন। ভারতীয় সংবিধানে এমন নজির কি আছে, যেখানে একই দলের দুজন প্রার্থী লড়বেন একই দলের হয়ে? এটা হাস্যকর বলে ব্যঙ্গ করতে ছাড়েনি অনেকেই।

    কীভাবে প্রকাশ্যে এল গোষ্ঠী কোন্দল (Panchayat Election)?

    বহুদিন ধরেই মথুরাপুর ২ নম্বর ব্লকের নন্দকুমারপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের (Panchayat Election) খবর সামনে উঠে আসছে। বিগত দিনে জ্যোৎস্না পাত্র ছিলেন শাসক দলের প্রধান। হঠাৎ করেই গত বছর দল তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে বিরোধীদের সাহায্য নিয়ে অন্য আরেক জনকে প্রধান করে। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও প্রকাশ্যে এল। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ২৮১ নম্বর বুথে মনোরঞ্জন জানা পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন শাসকদলের। এবার তাঁর স্ত্রী তারামণি মণ্ডল জানা শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেন। তাঁর স্বামী মনোরঞ্জন জানার দাবি, নির্দল হিসাবে তাঁর স্ত্রী নমিনেশন করতে গিয়েছিলেন। সেখানে দলের পক্ষ থেকে বলা হয়, তাঁকে তৃণমূলের প্রার্থী হতে হবে। সেই মতো তাঁর স্ত্রী নমিনেশন জমা করেন। পরবর্তী কালে দেখা যায়, প্রিয়াঙ্কা মাইতিও সেখানে শাসকদলের হয়ে নমিনেশন জমা করেছেন। তবে এখনও পর্যন্ত দলের পক্ষ থেকে কাউকে প্রতীক দেওয়া হয়নি। ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে, দুজনই টিএমসি প্রার্থী। তবে নমিনেশনের শেষ দিনে প্রকৃত কে তৃণমূলের প্রতীক পাবে, সেটাই এখন দেখার। দলের প্রতীক না পেলে তাঁর স্ত্রী নির্দল হয়ে লড়বে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মনোরঞ্জন জানা।

    একই আসনে আরেক প্রার্থী কে (Panchayat Election)?

    অন্যদিকে দলীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রিয়াঙ্কা মাইতিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষ থেকে প্রার্থী (Panchayat Election) করা হয়েছে। তিনি দলীয় প্রতীক পাবেন। আর প্রতীক না পেলে তিনিও নমিনেশন তুলবেন না, নির্দল হয়ে লড়বেন, এমনটাই জানা গেছে। একমাত্র আগামীকালই জানা যাবে প্রকৃত তৃণমূলের প্রার্থী কে। কারণ আগামীকাল নমিনেশন তোলার শেষ দিন। তবে যাই হোক না কেন, শাসকদলের কোন্দলের মধ্যে বিজেপি প্রার্থী শেষ হাসি হাসেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share