Tag: tmc

tmc

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, কেন জানেন?

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের আগে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার জেলার প্রার্থী নিয়ে অসন্তোষের জেরে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) ছাড়া ও দলীয় পদ থেকে পদত্যাগের হিরিক শুরু হয়েছে। আলিপুরদুয়ার জেলায় শাসকদলের নিচু তলায় ক্ষোভ বিক্ষোভ পঞ্চায়েত ভোটের আগে যথেষ্টই অস্বস্তিতে ফেলেছে দলের জেলা নেতৃত্বকে। যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চিত করে অনেক জায়গায় অযোগ্য ও বিতর্কিতদের দল প্রার্থী করায় শাসকদলের এই কোন্দল ক্রমশ চওড়া হয়েছে। পুরনো অনেক তৃণমূল নেতা অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কেউ কেউ কংগ্রেসে নাম লিখিয়ে সেই দলের প্রার্থী হয়েছেন। কেউ কেউ আবার নির্দল হয়ে দলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়ছেন। পঞ্চায়েত ভোটের দিন যত এগিয়ে আসবে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আরও মারাত্মক আকার নিতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    কারা তৃণমূল (TMC) ছাড়লেন?

    আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সহ-সভাপতি সুরেশ চন্দ্র রায়,তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা কমিটির সদস্য রঞ্জন রায়, বঞ্চুকামারী অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান জগদীশচন্দ্র রায় সহ অনেকেই দলীয় পথ থেকে অব্যাহতি চেয়ে পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন। তোমার গ্রামের একসময়ের তৃণমূলের বিধানসভার প্রার্থী স্বপন কুজুর নিজে অনুগামীদের নিয়ে দুদিন আগে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। আলিপুরদুয়ার ১ ব্লকের একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবারে বিরোধীদল থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) নেতা?

    দলের নেতৃত্বের উপর ক্ষুব্ধ আলিপুরদুয়ার জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সহ-সভাপতি সুরেশ চন্দ্র রায়। তিনি বলেন, ১২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে আমাকে দল প্রার্থী করবে বলে অনেক আগে থেকেই সেখানে সাংগঠনিক কাজকর্ম ও রাজনৈতিক কাজকর্ম শুরু করে দিয়েছিলাম।  কিন্তু, শেষ মুহূর্তে দেখা যায় বাইরে থেকে একজনকে এনে সেখানকার জেলা পরিষদ আসনে প্রার্থী করা হয়। দলের নীচু তলার কর্মী সমর্থকরা কেউ এটা মানতে পারছেন না। তাদের কাছে আমাকেও জবাবদিহি করতে হচ্ছে। বাধ্য হয়েই দলীয় পদ থেকে ইস্তফা পত্র পাঠিয়েছি। সুরেশবাবু দলীয় পদ থেকে সরে যেতেই ১২ নম্বর জেলা পরিষদ আসনের তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শাসকদলের ভোটারদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। সুরেশবাবু রাজবংশী সমাজের একজন বুদ্ধিজীবী মানুষ। রাজবংশী সমাজে আলিপুরদুয়ার জেলার গ্রামীণ এলাকায় তার ব্যাপক জনপ্রিয়তাও রয়েছে। ফলে, সামনের পঞ্চায়েত ভোটে সুরেশবাবুকে দল টিকিট না দেওয়ায় তার ফল শাসক দলকেই  ভোগ করতে হতে পারে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    শাসক দলের এই ভাঙন এবং ক্ষোভ, বিক্ষোভ পঞ্চায়েত ভোটের মুখে যথেষ্টই চাপে ফেলে দিয়েছে জেলা নেতৃত্বকে। যদিও তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, দল যাদেরকে প্রার্থী করেছে তাদেরকেই মানুষ সমর্থন করবেন। আমরা দেখে শুনে বিচার বিশ্লেষণ করেই দলের সমস্ত প্রার্থী ঠিক করেছি। ফলে এই সময় যারা দলের বিরোধিতা করছেন তারা কেউ দলকে ভালবাসতে পারেন না। মানুষ তাদেরকে যোগ্য জবাব দেবেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: তৃণমূলের একী অবস্থা! পাহাড়ে শাসকদল কত আসনে প্রার্থী দিয়েছে জানেন?

    Panchayat Election: তৃণমূলের একী অবস্থা! পাহাড়ে শাসকদল কত আসনে প্রার্থী দিয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাহাড়ের প্রচুর উন্নয়ন করেছে রাজ্য সরকার। এমনই দাবি করেন শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা। অথচ সেই পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার জিটিএ সব আসনেই প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। রাজ্যের শাসকদলের পাহাড়ে কেন এই করুণ অবস্থা? যেখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের  ঘনঘন পাহাড় সফর করে দাবি করেন তিনি পাহাড়ের ঢালাও উন্নয়ন করেছেন। পাহাড়ে এসে রাস্তায় বেরিয়ে দোকানে ঢুকে মোমো বানিয়েছেন, সাধারণ মানুষের  বাড়িতে ঢুকে দাওয়ায় বসে  চা খেয়েছেন, রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা কোনও মায়ের কোল থেকে শিশুকে কোলে নিয়ে আদর করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধায়ের পাহাড়বাসীর কাছে,’ আমি তোমাদের লোক ‘ প্রমাণের এই মরিয়া চেষ্টা ফ্ল্যাশের ঝলকানিতে ঝলমল করছে। কিন্তু, এসব করেও পাহাড়বাসীর মন নাড়া দিতে পারেনি তিনি। পাহাড়বাসীর আস্থা অর্জনে ব্যর্থ বলেই পঞ্চায়েত নির্বাচনে সারা পাহাড়ে ৫০ জন প্রার্থীও খুঁজে পায়নি মমতা বন্দ্যোপাধায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    পাহাড়ে কত আসনে প্রার্থী দিল তৃণমূল?

    পাহাড়ে দ্বিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার জিটিএ এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েত এবং পঞ্চায়েত সমিতি মিলিয়ে মোট ১১১১ টি আসন রয়েছে। সেখানে সবমিলিয়ে তৃণমূল মাত্র ৪৯ টি আসনে প্রার্থী দিতে পেরেছে। দার্জিলিংয়ে ৭০ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ৫৯৮টি আসন রয়েছে। আর পাঁচটি পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৫৬ টি আসন রয়েছে। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৬ টি ও পঞ্চায়েত সমিতিতে ১৩ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। কালিম্পঙে ৪২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৮১ টি আসন এবং  চারটি পঞ্চায়েত সমিতিতে ৭৬ টি আসন রয়েছে। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০ টি আসনে প্রার্থী দিলেও পঞ্চায়েত সমিতিতে তৃণমূলের কোনও প্রার্থী নেই।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) পাহাড়ে কেন এই করুণ অবস্থা তৃণমূলের?

    পাহাড়ের রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য,তৃণমূল কংগ্রেস পাহাড়ের মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অনেকদিন আগেই হারিয়েছে নিজেদের ভুলে। কখনও বিমল গুরুং,কখনও অনিত থাপা,বিনয় তামাং কখনও আবার অনিত থাপার লেজ ধরার জন্যই পাহাড় থেকে তৃণমূল হারিয়ে গিয়েছে। বিমল গুরুঙ্গের নেতৃত্বে তীব্র আন্দোলন দমন করতে পুলিশের গুলিতে  ১৭ টি তরতাজা প্রাণ অকালে ঝরে পড়ার ঘটনা পাহাড়বাসী আজও মনে রেখেছে। দেশদ্রোহী মামলায় বিমল গুরুঙ্গকে পাহাড় ছাড়া করে অনিত- বিনয়কে পাহাড়ের নায়ক বানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আবার গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই বিমল গুরুঙ্গকে ‘কার্পেট বিছিয়ে’ পাহাড়ে ফেরার পথ করে দিয়েছেন।পাহাড়ের এক প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা বলেন, চোখের সামনে এ সব ঘটনা দেখে দেখে  মুখ্যমন্ত্রীর দলের প্রতি পাহাড়বাসীর কোনওদিনই আস্থা ছিল না। নীরব ক্ষোভ থেকে পাহাড়ের মানুষ তৃণমূলকে চিরস্থায়ীভাবে প্রত্যাখান করেছে। মুখ্যমন্ত্রী পাহাড়ে এলে ভয়ে মানুষ ভিড় জমান।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    পার্বত্য তৃণমূলের এক নেতা বলেন, দার্জিলিং পুরসভা এবং জিটিএ নির্বাচনেও তৃণমূল সব আসনে প্রার্থী দেয়নি। অনিত থাপার দলের সঙ্গে জোট করেছিল। একারণেই কেউ আর ত়ৃণমূল করতে চায় না। পাহাড়ে  তৃণমূলের অস্তিত্ব নেই।  যদিও দার্জিলিং জেলা ( পার্বত্য) তৃণমূলের সভানেত্রী শান্তা ছেত্রী বলেন, রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশ ছিল পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) পাঁচ থেকে ছয় শতাংশ আসনে প্রার্থী দেওয়ার। যেখানে যেখানে আমাদের শক্তি রয়েছে সেখানেই প্রার্থী দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই পাহাড়ে ভোট শান্তিতে হোক।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barasat: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা বিজেপিতে

    Barasat: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারাসতে (Barasat) বিজেপির কার্যালয়ে জেলা সভাপতি তাপস মিত্রর হাত থেকে দলীয় পতাকা গ্রহণ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্যা পুষ্পারানি বৈদ্য (মজুমদার)। সেই সঙ্গে একই দিনে এলাকার ২০০ জন তৃণমূল কংগ্রেসের সক্রিয় কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। পুষ্পারানি ২০০৩ সালে হাবড়া ২ নম্বর ব্লকে তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্যা ছিলেন। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে তিনি হাবড়া ২ নম্বর ব্লকেরই ১৯ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে বিজেপির প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে জানা গেছে।

    কী বললেন বিজেপির প্রতীকে লড়াই করা প্রার্থী

    বিজেপির জেলা কার্যালয়ে (Barasat) শ্রীমতি পুষ্পারানি বৈদ্য (মজুমদার) বলেন, রাজ্য জুড়ে কোনও গণতন্ত্র নেই। সন্ত্রাসের আবহ চলছে, চারদিকে গণতন্ত্রকে রোজ হত্যা করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গে অপশাসন চলছে। তিনি আরও বলেন, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকেই আমরা রাজ্যে হাজার হাজার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিছনে হেঁটেছি। ৩৪ বছরের সিপিএমের অত্যাচারের বিরুদ্ধে এক সঙ্গে লড়াই করেছি। কিন্তু ক্ষমতায় আসার পর যে স্বপ্ন নিয়ে সমাজ পরিবর্তনের কথা মানুষ ভেবেছিল, তা বাস্তবায়িত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের বিশ্বাসের সঙ্গে বঞ্চনা করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

    একজন জন প্রতিনিধি হিসাবে কী বললেন?

    ২০১৩ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত তিনি একজন জন প্রতিনিধি (Barasat) ছিলেন। কিন্তু ২০১৮ সাল থেকে দল তাঁর সঙ্গে বঞ্চনা করেছে বলে তাঁর অভিযোগ। তিনি বলেন, আমি গত পাঁচ বছর ধরে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম। রাজনীতি আমার রক্তে বইছে, রাজনীতি থেকে আমার পক্ষে দূরে থাকা সম্ভব নয়। আমি বুঝেছি, মানুষের কাছে এবং মানুষের পাশে থেকে কাজ করাটাই আমার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য। তিনি আরও বলেন, কেউ বলতে পারবেন না, আমি জনগণের একটা টাকাও কাটমানি বা চুরি করেছি। কোনও ঠিকাদার বলতে পারবেন না, কাজের বিনিময়ে টাকা নিয়েছি। বরং আমি বলেছি রাস্তাটা ঠিক নেই, ঠিক করে দাও। কাজের বিনিময়ে প্রাপ্য অধিকার সকলকে দিয়েছি। কিন্তু আজ তৃণমূলের কাছে যোগ্য মানুষের কোনও গুরুত্ব নেই। আজ যে মমতা দিদিকে দেখছি, তিনি এখন অনেক বদলে গেছেন। পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের আত্মনির্ভর ভারত গঠনের ভাবনা এবং নরেন্দ্র মোদির সুশাসনকে দেখছি আমি। মনে মনে দলের প্রার্থী হিসাবে নয়, সাধারণ সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চাই। বাংলার জন্য কিছু করার দায়িত্ব আমাদের সকলের। দল যেভাবে আমাকে ব্যবহার করবে, আমিও ঠিক সেই ভাবেই কাজ করব।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল, বহু আসনে গোঁজ প্রার্থী

    Barrackpore: বারাকপুরে গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত তৃণমূল, বহু আসনে গোঁজ প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বারাকপুরে (Barrackpore) গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত শাসক দল। এমনিতেই বারাকপুর মহকুমার বারাকপুর-২ ব্লকে ৫০ শতাংশ আসনে তৃণমূল নতুন মুখ এনেছে। আর তাতেই দলীয় কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে। বারাকপুর-১ এবং বারাকপুর-২ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে এক একটি আসনে একাধিক প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এর মধ্যে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থীই বেশি। স্বাভাবিকভাবে এই ঘটনায় চরম বিড়়ম্বনায় পড়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

    একাধিক আসনে তৃণমূলের গোঁজ প্রার্থী

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাকপুর-২ ব্লকে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে মোট ১৬১টি আসন রয়েছে। এর মধ্যে বিজেপি ১১৪টি আসনে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। সিপিএম দিয়েছে ১৩৩টি আসনে এবং কংগ্রেসের প্রার্থীর সংখ্যা ২৫টি। আর তৃণমূল কংগ্রেস ১৯৫ জন প্রার্থী দিয়েছে। নির্ধারিত আসন সংখ্যার থেকে অনেক বেশি প্রার্থী দেওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ, পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলীয় কর্মীরাই মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। যেমন, বারাকপুর-২ ব্লকের শিউলি গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রতিটি আসনে দুজন করে দাঁড়িয়েছেন। এই ব্লকের অন্য পঞ্চায়েতগুলিতে বহু আসনেই তৃণমূলের একাধিক গোঁজ প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ প্রার্থীরা?

    গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করেছে বারাকপুর (Barrackpore)-১ ব্লকের মামুদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে। এই পঞ্চায়েত এলাকায় পার্টি অফিসের মধ্যে নেতাকর্মীরা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। বহু আসনে নতুন প্রার্থীদের মেনে নিতে পারছে না দলেরই একাংশ। ব্যালটে এর প্রভাব পড়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এই ব্লকের কাঁপা চাকলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রবীন্দ্রনাথ নিয়োগী এবং ব্লকের তৃণমূল নেতা রানা দাশগুপ্ত। রবীন্দ্রনাথবাবু বলেন, রানার প্রার্থী তালিকায় নাম নেই। ও এবং ওর স্ত্রী মনোনয়ন জমা দিয়েছে। এটা দলবিরোধী কাজ। নেতৃত্বকে জানিয়েছি। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতা রানা দাশগুপ্ত বলেন, প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হয়নি। সিপিএম, বিজেপি যারা করত, তারা আমাদের দলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছে। বিরোধী দলের যারা আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে, তারাই এবার তৃণমূলের প্রার্থী। তাই, আমরা মনোনয়ন জমা দিয়েছি। দল যা ঠিক করবে, সেই মতো সিদ্ধান্ত নেব।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের বারাকপুর (Barrackpore) সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, দলের নিয়ম সকলকে মানতে হবে। যাঁরা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন, তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হবে। আশ করছি, নাম প্রত্যাহারের আগে সব ঠিক হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: একই আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন স্বামী-স্ত্রীর! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি এবার বাড়িতেও?

    Malda: একই আসনে তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন স্বামী-স্ত্রীর! গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কি এবার বাড়িতেও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদায় (Malda) একই আসনে স্বামী ও স্ত্রী একসঙ্গে মনোনয়নপত্র জমা করলেন। দুজনই আবার নিজেদের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে দাবি করলেন। মালদার কালিয়াচক ৩ নং ব্লকের জেলা পরিষদের ৪৩ নং আসনে এই দম্পতি মনোনয়নপত্র জমা  করেছেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    কেন একই আসনে মনোনয়ন?

    দলীয়ভাবে মালদা (Malda) জেলা পরিষদের ৪৩ নং আসনটির জন্য বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক চন্দনা সরকারের স্বামী পরিতোষ সরকারের নাম স্থির করা হয়েছে। কিন্তু চন্দনা সরকার বৈষ্ণবনগর বিধানসভার বিধায়ক এবং মালদা জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতিও। তাই দল কালিয়াচক আসনটির জন্য বিধায়িকার স্বামী পরিতোষ সরকারের নাম স্থির করে। এরপরই দম্পতির মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে বিবাদ শুরু হয়। ৪৩ নং আসনটিতে প্রার্থী হতে দাবি জানাতে থাকেন বিধায়ক চন্দনা সরকার। ইতিমধ্যেই জেলা নেতৃত্ব বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছেন। দলের তরফ থেকে রাজ্য নেতৃত্ব চন্দনা সরকারের দাবিকে নাকচ করে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, চন্দনা সরকারের স্বামী তাঁদের গৃহযুদ্ধকে বন্ধ করতে নিজের প্রার্থীপদ থেকে নাম প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করেন দলের কাছে। আর তাই রাজ্য থেকে জেলা নেতৃত্ব সকলকেই পারিবারিক সমস্যার কথা জানিয়েছেন তিনি, এমনটাই জানা গেছে। কিন্তু দলীয়ভাবে সেই আবেদনও নাকচ করে দেওয়া হয়। শেষ পর্যন্ত দল প্রার্থী হিসাবে পরিতোষ সরকারকেই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর পরিতোষ সরকার এবং তাঁর পত্নী একসাথে এসে একই আসনে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এই মনোনয়নকে ঘিরেই শুরু হয়েছে জেলায় উত্তেজনা।

    মনোনয়নের পর স্বামী-স্ত্রীর বক্তব্য

    স্বামী বলেলেন, আমার স্ত্রী গত তিনবার ধরে নির্বাচনে জয়ী হয়ে আছেন এবং তিনি জেলার সহকারী সভাধিপতি। তাই দল তাঁকে টিকিট দিলেই ভালো হতো। অপর দিকে বিধায়িকা স্ত্রী বলেন, দলের সিদ্ধান্তই আমাদের কাছে শেষ সিদ্ধান্ত। আমার স্বামী অনেক দিন ধরেই হার্টের অসুখে অসুস্থ। আমাদের মধ্যে পারিবারিক কোনও বিবাদ নেই। তাই দুজনে এক সঙ্গেই মনোনয়নপত্র জমা করলাম বলে জানান বৈষ্ণবনগরের (Malda) বিধায়িকা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দম্পতির মৃত্যুকাণ্ডে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ

    TMC: দম্পতির মৃত্যুকাণ্ডে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতির আগাম জামিনের আবেদন খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত জলপাইগুড়ি পুরসভার উপ পুরপ্রধান তথা জেলার যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে দিল হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ। শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চের বিচারপতি সৌমেন সেন এবং রাজা বসু চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করে। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, অভিযুক্তরা প্রভাবশালী। তাই তদন্তকে প্রভাবিত করার আশঙ্কা রয়েছে। সেই কারণে তাঁর আগাম জামিনের আর্জি খারিজ করা হল।

    যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ১ এপ্রিল জলপাইগুড়ির পান্ডাপাড়ার বাসিন্দা অপর্ণা ভট্টাচার্য এবং তাঁর স্বামী সুবোধ ভট্টাচার্যের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁরা কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যা করেন বলে পরিবারের দাবি। উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট। তাতে সৈকত চট্টোপাধ্যায়, পুর প্রতিনিধি সন্দীপ ঘোষ সহ চারজনের নাম ছিল। এদিন সৈকত সহ আরও এক অভিযুক্তের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ হয়েছে। আত্মহত্যার ঘটনার পর অভিযুক্তদের দুজনকে গ্রেফতার করা হলেও সৈকতবাবু অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন। শুক্রবার সেই মামলারই শুনানি ছিল। শুক্রবার সৈকতবাবুর জামিনের আবেদন খারিজ হওয়ায় তাঁকে গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না পুলিশের। এই মামলায় অভিযুক্ত আরও দুজন জেলে রয়েছেন। উল্লেখ্য, মৃত দম্পতির মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে জলপাইগুড়ির ১৪ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার সন্দীপ ঘোষকে আগেই গ্রেফতার করেছে কোতোয়ালি থানার পুলিশ। জেলে যে দুজন রয়েছেন, তার মধ্যে তিনি একজন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) জেলা চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। আদালতের নির্দেশ দেখার পর ভালোভাবে বুঝে এই ব্যাপারে মন্তব্য করব।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপির সভাপতি বাপী গোস্বামী বলেন, অহংকার আর ঔদ্ধত্যের পতন হল। আদালতের প্রতি আমাদের পূর্ণ আস্থা আছে। আমরা আশা করি, পুলিশ নিশ্চয়ই আদালতের নির্দেশ মতো কাজ করবে। দোষীরা কড়া শাস্তি পাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর থমথমে চোপড়া, গ্রেফতার ১৭

    Panchayat Election: গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর থমথমে চোপড়া, গ্রেফতার ১৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা। বাম-কংগ্রেসের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তার মধ্যে ৮ জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। তবে ধৃত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা নির্দোষ। কেউ আবার জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    শুক্রবার কেমন রয়েছে চোপড়া?

    বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়ে হেঁটেই মনোনয়ন জমা দিতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন কাঁঠালবাড়ি এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। সেই সময় তাঁদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সশস্ত্র হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চলে এলোপাথাড়ি গুলি। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে মনোনয়ন পর্বে এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসে কার্যত কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। গতকালের এই সন্ত্রাস ও গোলাগুলির ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে চোপড়ার বিভিন্ন এলাকা। রাস্তাঘাটে লোকজন কম রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার চোপড়া গাইসাল-২ পঞ্চায়েতের মালকাডাঙা এলাকায় নতুন করে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। সাইকেলে ধাক্কাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে পাঁচজন জখম হয়েছেন।

    কী বললেন বিরোধী দলের নেতারা?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে গ্রেফতারি দেখাতে পুলিশ আসল অপরাধীদের না ধরে নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি। সিপিএম নেতা বিদ্যুৎ তরফদার বলেন, আমাদের কেউই বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। শাসক দলের সন্ত্রাসের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে দলের প্রার্থী, নেতা ও কর্মীরা চা বাগানে আত্মগোপন করেছিলেন। অনেকের এখনও খোঁজ নেই। একই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা অশোক রায়ের। বিজেপি নেতা সুবোধ সরকার বলেন, পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য করতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই এলাকায় বিরোধীদের ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করুক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই একাধিক গোঁজ প্রার্থী, শোরগোল

    Paschim Medinipur: চন্দ্রকোনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে দলেরই একাধিক গোঁজ প্রার্থী, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকিট পাওয়াকে কেন্দ্র করে ভোটের আগে শাসক দলের মধ্যেই প্রধানের সঙ্গে অঞ্চল সভাপতির দ্বন্দ্ব। পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট মেলেনি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের। তাঁর অনুগামীদেরও সেই মতো দেওয়া হয়নি টিকিট। মনোনয়নের শেষ দিনে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন প্রধানের অনুগামীরা। অপরদিকে প্রধানের পক্ষে যাঁরা দলের টিকিট পেয়েছেন, এমন ৫টি আসনে নির্দল প্রার্থী খাড়া করেছেন অঞ্চল সভাপতি, এমনই দাবি খোদ প্রধানের। একাধিক নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা চন্দ্রকোনাতে (Paschim Medinipur)।

    কেমন ভাবে মনোনয়ন জমা হল?

    ভগবন্তপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের (Paschim Medinipur) আসন সংখ্যা ২১টি। তার মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ইসমাইল খানের অনুগামীরা ৫টি টিকিট পেয়েছেন বলে তিনি জানান। অপরদিকে ওই অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়, তিনি নাকি ১৬টি টিকিট পেয়েছেন। এই টিকিট বন্টনকে ঘিরেই উভয়ের মধ্যে বিবাদ প্রকাশ্য আসে। জানা যায়, পঞ্চায়েত প্রধান ইসমাইল খানের অনুগামীরা ১৫টির উপর নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন গোঁজ প্রার্থী হিসাবে। প্রধান ইসমাইল খান তাঁর অনুগামীদের নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দেওয়ার ঘটনা স্বীকার করে নেন। টিকিট বন্টনে যে তিনি অসন্তুষ্ট, তাও জানান।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    ইসমাইল খান বলেন, আমি আশা করেছিলাম দল আমাকে কোথাও একটা জায়গা করে দেবে। কিন্তু তা হয়নি। পাশাপাশি আমার এলাকা মহেশপুর মুড়াকাটা (Paschim Medinipur) সংখ্যালঘু এলাকা। সেখানে ৯টি আসন রয়েছে। সেখানে অন্তত আমাকে টিকিট দেবে, এই আশা ছিল। কিন্তু তা হয়নি। মাত্র ৫টি আসনে টিকিট দেওয়া হয়েছে। ফলে আমার দলের পুরনো কর্মীদের আমি প্রার্থী করতে পারিনি। ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁরা আমার থেকে সরে গিয়ে নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন। অঞ্চল সভাপতি রামকৃষ্ণ রায়ের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে ইসমাইল খান বলেন, যাঁকে দল ১৬টি টিকিট দিল, তিনি আমার অঞ্চলের আমার ৫টি আসনে নির্দল প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতির বক্তব্য

    ভগবন্তপুর (Paschim Medinipur) ১ নং অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, দল আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে নির্দলদের দলে কোনও স্থান নেই। মনোনয়নের শেষ দিনে কে কত নির্দল দিয়েছে জানি না। তিনি আরও বলেন, প্রধান ইসমাইল খান এবং আমাদের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দল নেই। একটাই গোষ্ঠী, একটাই দল, তা হল তৃণমূল কংগ্রেস। তবে যদি কোনও ক্ষোভ-বিক্ষোভ থেকে নির্দল প্রার্থী দিয়ে থাকে, তাহলে সেই ক্ষোভ প্রশমিত করার দায়িত্ব আমার বলেও জানান অঞ্চল সভাপতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bhangar: সন্ত্রাস কবলিত ভাঙড়ে রাজ্যপাল, কথা শুনলেন এলাকাবাসীর

    Bhangar: সন্ত্রাস কবলিত ভাঙড়ে রাজ্যপাল, কথা শুনলেন এলাকাবাসীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গত কয়েকদিন ধরে তুমুল অশান্তি ছড়ায় ভাঙড়ে (Bhangar)। কার্যত দুষ্কৃতীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে গোটা এলাকা। মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে সমস্ত হিংসাকে ছাপিয়ে গেল ভাঙড়। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া বোমা-গুলির লড়াইয়ে তিনজন রাজনৈতিক কর্মীর মৃত্যু হয়। এরপরই ভাঙড় যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পূর্ব নির্ধারিত সব কর্মসূচি বাতিল করে শুক্রবার ভাঙড়ে যান তিনি। এরই মধ্যে এদিন ভাঙড় থানার পিছনে এক পুরনো বাড়ির কাছ থেকে সাতটি ব্যাগের মধ্যে প্রচুর বোমা উদ্ধার করে পুলিশ। কে বা কারা সেই বোমা মজুত করে রেখেছিল, তা তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

    ভাঙড়ের (Bhangar) হিংসা নিয়ে কী বলেছিলেন রাজ্যপাল?

    মনোনয়ন জমার শেষ বেলার হিংসা নিয়ে গতকালই কড়া বিবৃতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তাঁর বার্তা ছিল, ‘নির্বাচনে জয় মৃতদেহ গণনার উপর নয়। ভোট গণনার উপর নির্ভর করা উচিত। আমাদের সংবিধান আক্রমণের মুখে। শয়তানের এই খেলা শেষ হওয়া উচিত। শেষের শুরুটা হবে পশ্চিমবঙ্গে। গণতন্ত্রে জনগণই প্ৰভু। নির্ভয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ অবিচ্ছেদ্য অধিকার। গণতান্ত্রিক নির্বাচনে হিংসার কোনও অবস্থান নেই। যে কোনও মূল্যে হিংসা নির্মূল করা হবে।’ এদিন রাজ্যপাল আসছেন বলে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছিল। সাধারণ মানুষ গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশও জানিয়েছেন।

    ভাঙড়ে (Bhangar) রাজ্যপালকে পেয়ে কী বললেন আইএসএফ কর্মীরা?

    বৃহস্পতিবারই ভাঙড়ের (Bhangar) কাঁঠালিয়ার বিজয়গঞ্জ বাজারে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি হয়। চলে গুলি। খুন হন রাজনৈতিক কর্মী। শুক্রবার ভাঙড়ে ঢুকে বিজয়গঞ্জ বাজারে গাড়ি থেকে নামেন রাজ্যপাল। ঘুরে দেখেন এলাকা। কথা বলেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে। রাজ্যপালকে দেখেই এগিয়ে যান স্থানীয়রা। রাজ্যপাল আসবেন বলে এদিন বহু আইএসএফ কর্মী-সমর্থক সেখানে জমায়েত হন। এরই মধ্যে কয়েকজন আইএসএফ প্রার্থী রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলেন।রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানিয়ে তাঁরা বলেন, ভয় দেখিয়ে, পথ আটকে তাঁদের মনোনয়ন জমা দিতে দেওয়া হয়নি। ক্যানিং থেকে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা ভাঙড়ে ঢুকেছিল। ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকাত মোল্লার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীদের ওই বাহিনী ভাঙড়ে ঢুকে দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেন তাঁরা।

    কী বললেন রাজ্যপাল?

    আইএসএফ কর্মীদের কাছে নালিশ পেয়ে রাজ্যপাল নিজের অফিসারদের কাছে জানতে চান, ‘কে এই শওকত মোল্লা?” তাঁরা সিভি আনন্দ বোসকে জানান, শওকাত মোল্লা ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল বিধায়ক। এরপরই রাজ্যপাল ভাঙড় ২ নং বিডিও অফিসে ঢুকে যান। সেখানে কর্তব্যরত আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবারই এই ভাঙড় (Bhangar) ২ বিডিও অফিস কার্যত দুষ্কৃতীদের দখলে চলে গিয়েছিল। বিডিও অফিসের গেট আটকে রেখে ভিতরে চলে মনোনয়ন জমার পর্ব। মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বিরোধীরা। সেই হিংসা কবলিত এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি এদিন ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    Purba Medinipur: এবার শুরু মনোনয়ন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি! কাঠগড়ায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুর (Purba Medinipur) ২ নম্বর ব্লকের আডগোয়াল অঞ্চলের পানিলালা বুথে বিজেপি মনোনীত প্রার্থী সমীরণ ঋষির বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালাল তৃণমূলীরা। তাঁকে নমিনেশন তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। বিজেপির হয়ে কেন প্রার্থী? আমাদের নেতৃত্বের সঙ্গে কেন কোনও কথা বলেনি? অবিলম্বে নমিনেশন তুলে ফেলতে হবে। এইভাবেই চলে হুমকি। পরিবারের আরও দাবি, নমিনেশন না তুলে নিলে যে কোনও ঘটনার জন্য প্রস্তুত থাকারও হুঁশিয়ারি দিয়ে গেছে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা।

    বিজেপির কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতির বক্তব্য

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। পটাশপুরে (Purba Medinipur) রাতের অন্ধকারে বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে নমিনেশন তুলে নেওয়ার হুমাকি দেওয়া হচ্ছে। সমীরণবাবুকে বাড়িতে ঢুকে হুমকি দেওয়া হয়, নমিনেশন তুলে না নিলে বাড়ির কাউকেই খুঁজে পাওয়া যাবে না। এটাই তৃণমূলের আসল রূপ বলে উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, যদি বাংলায় মানুষ ঠিকঠাক নিজের ভোট নিজে দিতে পারেন, তাহলে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূল ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে যাবে।

    কেন হুমকির রাজনীতি

    মনোনয়নের আগে থেকেই পূর্ব মেদিনীপুর (Purba Medinipur) জেলায় শাসক দলের অন্দরে তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দল হিসাবে বিজেপি যত মনোনয়ন করেছে, তা সুস্থ, অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট হলে তৃণমূল পায়ের নিচের মাটি একেবারেই হারিয়ে ফেলবে, বলছে বিজিপি। আর তাই এক প্রকার হারের ভয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের গ্রামে-গ্রামে, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে বিজেপি পদপ্রার্থীদের হুমকি দেওয়ার কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। বিরোধী শিবিরের আরও দাবি, শাসক দলের মধ্যে গোষ্ঠী কোন্দলের জন্য অনেক তৃণমূল প্রার্থী বিজেপিকে ভোট দেবে। আর এই কারণে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব হারের ভয়ের মধ্যে রয়েছেন। এলাকায় বিজেপির দাবি, সিপিএমের হার্মাদরা আগে বাড়িতে বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে হত্যার ভয় দেখাত। আর বর্তমানে তৃণমূল কংগ্রেস রাতের অন্ধকারে বাড়িতে গিয়ে বিরোধী দল করার জন্য বিজেপিকে খুনের হুমকি দিচ্ছে। সিপিএম এবং তৃণমূলের মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই বলে জানান বিজেপির স্থানীয় নেতারা।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share