Tag: tmc

tmc

  • Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাজের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তাঁকে রোল মডেল করার কথা বলা হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের বিজুর ১ নম্বরের এরকম একজন দক্ষ পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায়কে টিকিট দিল না তৃণমূল। তবে, ঝর্ণাদেবীও এই অপমান সহ্য করার পাত্রী নন। তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে, তিনি একা দলত্যাগ করেছেন এমন নয়। এলাকার শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তিনি দলবদল করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দোড়গোড়ায় এই ঘটনা শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন দলত্যাগী তৃণমূল প্রধান?

    শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে গাড়ি, বাড়ি হাঁকিয়ে ফেলে। চারচাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সাধারণ বিষয়। সেই শাসক দলের প্রধান হওয়ার পরও ঝর্ণা রায় পরিচারিকার কাজ করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে দুর্গাপুরে প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী ঝর্ণা রায়ের কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তাঁকে রোল মডেল করার কথাও তিনি বলেছিলেন। তাঁর আশা ছিল, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তাঁকে ফের প্রার্থী করবে। কিন্তু, দলের টিকিট না পেয়ে ঝর্ণাদেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে আমি সার্টিফিকেট পেয়েছি। দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কাছে কাজের সম্মান পাওয়ার পরও দল আমাকে প্রার্থী করার জন্য যোগ্য মনে করল না। কার নিরিখে প্রার্থী ঠিক হল, তা বুঝতে পারলাম না। আমি সততার দাম পেলাম না। তাই আমি দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলাম।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল থেকে প্রায় দু’হাজার পরিবার কংগ্রেসে যোগদান করেছে। আসলে তারা টাকা তুলে দলকে দিতে পারেনি, দলের কাছে তাদের সম্মান নেই। আগামী দিনে এরাই কংগ্রেসের হাতকে শক্তিশালী করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমরা ভাল ফল করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দলে দু’টো দিক থাকে। একটা প্রশাসনিক আর অন্যদিক হল সাংগঠনিক। তাই দল হয়তো কিছু ভেবেছিল, ঝর্ণা রায়কে সাংগঠনিক কাজে লাগাবে। কিন্তু তিনি তড়িঘড়ি দল ছেড়ে অন্য দলে চলে গেলেন। আমরাও তাঁর কাজের প্রসংশা করি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর কাজের প্রসংশা করেছিলেন।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    TMC: তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে গুলি করে খুন, নবগ্রামে ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের ডাক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ব্যালট পেপারের যে যুদ্ধ হতে চলেছে ৮ জুলাই, তার আগে বুলেটরাজ দেখছে বাংলা। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন বাংলায় ৭ জন খুন হয়েছেন। মনোনয়ন শুরু হওয়ার দিন মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামের ফুলচাঁদ শেখ নামে এক কংগ্রেস কর্মী খুন হয়েছিলেন। আর মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন নবগ্রামে গুলিবিদ্ধ হন এক কংগ্রেস প্রার্থীর বাবা। অন্যদিকে তৃণমূল (TMC) কর্মীকে গুলি করে খুন করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম মোজাম্মেল শেখ (৪২)। তিনি হজবিবিডাঙা এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে তৃণমূল শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বনধ ডেকেছে। শুক্রবার সকাল থেকে এলাকা থমথমে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    মনোনয়ন পর্ব শেষ হওয়ার পর বৃহস্পতিবার রাতে ছেলে রমজান শেখের হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন মাহারুল্লা শেখ। তাঁকে লক্ষ্য করে প্রথমে গুলি করা হয়। তাঁকে গুরুতর জখম অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাদের কর্মীকে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গুলি করেছে বলে কংগ্রেসের অভিযোগ। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার রাতে কংগ্রেসের পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল সাহেব। নবগ্রাম থানার হজবিবিডাঙা গ্রামে প্রচারে গেলে তাঁকে ঘিরে ধরে এলাকার মানুষ বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। শুরু হয় মারপিট। এরপরই দু রাউন্ড গুলি চলে। তৃণমূলের (TMC) এই অঞ্চল সভাপতিকে মারধর এবং গুলি করে করে দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। তড়িঘড়ি স্থানীয় বাসিন্দারা রক্তাক্ত অবস্থায় মোজাম্মেলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদিনের ঘটনায় আহত হয়েছেন কয়েকজন। হামলা চালানোর অভিযোগ  উঠেছে কংগ্রেস-সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    নবগ্রামের বিধায়ক কানাইচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘দলীয় ওই নেতা প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রাস্তাতে তাঁদের আটকে কংগ্রেস এবং সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। নবগ্রামে আগে কোনও রাজনৈতিক খুন দেখা যায়নি। শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বন্‌ধ ডেকেছি।’ নবগ্রাম ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মহম্মদ এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘অঞ্চল সভাপতি প্রচারে বেরিয়ে ছিলেন। তখন কংগ্রেস-সিপিএমের হার্মাদরা ওঁর উপরে হামলা চালায়। লাঠি-বাঁশ-লোহার রড-গুলি করে খুন করা হয়।’

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    জেলা কংগ্রেসের মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন, ভয়ের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল (TMC) ভোট বানচাল করে দিতে চাইছে। আমাদের এক দলীয় কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষ তৃণমূলের প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এই খুনের ঘটনায় জেলার পুলিশ সুপার সুরিন্দর সিং বলেন, “একজনের মৃত্যু হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে। কারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত, পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    Panchayat Election: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন ঘিরে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়গ্রামে জেলা পরিষদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এল। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রার্থী তালিকা ঠিক করা হয়েছে, এমনই অভিযোগ করে মনোনয়নের শেষ বেলায়, বৃহস্পতিবার দলীয় টিকিট না পেয়ে জেলা সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস ছাড়াও আরও পাঁচজন কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দিলেন জেলা পরিষদ আসনে। তাঁদের দাবি, তাঁরা নির্দল নয়, তৃণমূলের হয়েই মনোনয়নপত্র (Panchayat Election) জমা দিলেন। উল্লেখ্য, দীর্ঘ টানা-পোড়েনের পর বুধবার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ না করেই ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের ১৯টি আসনে প্রার্থীদের ফোন করে গোপনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু। দলীয় সূত্রে অন্তত এমনটাই খবর। বুধবার ১৭ জন মনোনয়ন জমা দেন এবং বৃহস্পতিবার বাকি দু’জন তৃণমূল প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন।

    কারা বিক্ষুব্ধ হয়ে মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দিলেন?

    অন্যদিকে, ঝাড়গ্রাম জেলা পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, সুজলা তরাই (বিদ্যুৎ কর্মাধ্যক্ষ), শুভ্রা মাহাত (পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ), মামণি মুর্মু (বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ), সুপ্রিয়া মাহাত (মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ) এবং তপন ব্যানার্জি (কৃষি কর্মাধ্যক্ষ) মনোনয়নপত্র জমা করেন তৃণমূলের হয়ে। এছাড়াও ঝাড়গ্রাম জেলা এসটি সেলের জেলা সভাপতি অর্জুন হাঁসদা ওরফে লাল জেলা পরিষদের আসনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেন তৃণমূলের হয়ে। জেলা পরিষদের তালিকায় অর্জুনের নাম ছিল। শেষ মুহূর্তে অর্জুনকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। এদিন অর্জুন তৃণমূলের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।

    কী বলছেন বিক্ষুব্ধরা (Panchayat Election)?

    তবে মাধবী ও পাঁচ কর্মাধ্যক্ষ মনোনয়ন জমা দেওয়ায় অস্বস্তি শুরু হয়েছে তৃণমূলের অন্দরে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ অন্যান্য কর্মাধ্যক্ষদের মনোনয়ন (Panchayat Election) জমা দেওয়ার পরেই শোরগোল পড়ে যায় জেলা তৃণমূলের মধ্যে। এদিন মাধবী বিশ্বাস বলেন, “দলীয় কর্মসূচিতে এসেছিলেন আমাদের দাদা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, ভোটাভুটির মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী নির্বাচন হবে। দাদার কথা না রেখে দাদাকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে এখানকার রাজনৈতিক নেতারা টাকার বিনিময়ে নিজেদের মতে প্রার্থী ঠিক করেছে।  তাঁর আরও অভিযোগ,”চক্রান্ত করে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে। তাই জেলা পরিষদের পুরনো একজনকেও প্রার্থী তালিকায় রাখা হয়নি। একজন জেলা সভাধিপতি, যিনি দলের মুখ, তাঁকে যেখানে টিকিট দেওয়া হল না, সেখানে কর্মাধ্যক্ষদের টিকিট দেওয়া হবে, তা কি আশা করা যায়।’’ সভাধিপতি জানান, “দলীয় প্রতীক না পাওয়া গেলে নির্দলেই লড়াই করবেন।’’ বিদায়ী বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মামণি মুর্মু বলেন, ‘‘দলের হয়েই মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসেছি। এখনও কিন্তু আমি দল থেকে পদত্যাগ করিনি। দলেই রয়েছি।’’

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি (Panchayat Election)?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি দুলাল মুর্মু বলেন, “প্রত্যেকটা মানুষেরই আশা, স্বপ্ন থাকতে পারে। কিন্তু প্রত্যেকটা স্বপ্ন পূরণ হবে, তা তো নয়। দলীয় সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে প্রার্থী নির্বাচন (Panchayat Election) করা হয়েছে। আমি ওঁদের অনুরোধ করব দলের সিদ্ধান্ত মেনে দলীয় প্রার্থীদের জেতানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘এমন দিন আসবে তৃণমূলকে নৌকা, সাইকেল প্রতীক বাছতে হবে’’, খোঁচা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ পঞ্চায়েত নির্বাচন। বৃহস্পতিবারই ছিল মনোনয়নে শেষ দিন। ঘটনাক্রমে কয়েক মাস আগেই জাতীয় দলের তকমা খুইয়েছে ঘাসফুল শিবির। এনিয়ে পঞ্চায়েত ভোটের তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, এমন দিন আসবে যেদিন তৃণমূলকে কলাগাছ নারকেল গাছ প্রতীক হিসেব বেছে নিতে হবে।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক এদিন ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আঞ্চলিক তোলামূল দল বিজেপির সঙ্গে গোয়া, ত্রিপুরা ও মেঘালয়ে টক্কর দিতে গিয়েছিল। এরপর তারা জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়েছে। এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে তোলামূল পার্টির দলীয় প্রতীক চিহ্ন আঞ্চলিক দলের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছে।’’

    শুভেন্দু আরও লিখেছেন, ‘‘এমন দিন আসবে যখন আঞ্চলিক তোলামূল পার্টি থেকে কেউ ভোটে লড়তে চাইলে তাঁদের নৌকা, সাইকেল রিকশ, নারকেল বা কলাগাছের মতো প্রতীক চিহ্ন, যা ফ্রি সিম্বল, সেটাই বেছে নিতে হবে।’’

    পঞ্চায়েত ভোটে আঞ্চলিক দল ও জাতীয় দল

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে লড়াইয়ের জন্য ৬টি জাতীয় দল রয়েছে। আম আদমি পার্টির ঝাড়ু, বহুজন সমাজ পার্টির হাতি, ভারতীয় জনতা পার্টির পদ্মফুল, সিপিআই(এম)-এর কাস্তে-হাতুড়ি-তারা, কংগ্রেসের হাত ও ন্যাশনাল পিপলস পার্টির বইয়ের চিহ্ন রয়েছে। আঞ্চলিক দলের তালিকায় তৃণমূলের ঘাসফুলের পাশাপাশি রয়েছে সর্বভারতীয় ফরওয়ার্ড ব্লকের সিংহ।

     

    আরও পড়ুুন: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বদলে দেওয়া হল পার্টি অফিস। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামের তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অফিস থেকে খুলে ফেলা হল পতাকা এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স। মুছে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপগঞ্জ (Murshidabad) অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়, চূড়ান্ত তালিকায় জাহাঙ্গিরের বদলে অন্য একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাই কার্যত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। বৃহস্পতিবার সকালেই কোহেতপুর গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা সহ যাবতীয় ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুনও। মুছে দেওয়া হয় দেওয়াল লিখন এবং তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের যাবতীয় পতাকা সরিয়ে কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করার কথা ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ।

    কী বললেন এলাকার মানুষ?

    যুব সভাপতি (Murshidabad) মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ অনেক দিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, আমরা এই এলাকায় ২০০৯ থেকে তৃণমূল করি। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে বাইরের ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষকে এলাকার কাজ করার কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? বহিরাগত কোনও লোককে আমরা নেতা বলে মানতে পারব না। জাহাঙ্গির শেখ বলেন, এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আজ পদত্যাগ করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এলাকার সমস্ত তৃণমূল অফিসকে আজ থেকে কংগ্রেসের পার্টি অফিস বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    Paschim Medinipur: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) নারায়ণগড়ে গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে ভাঙন শাসক দল তৃণমূলে। তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি, বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সহ ৩০০ জন তৃণমূল কর্মী। দলের তরফে রাজ্য নেতৃত্বের উপস্থিতিতে প্রাক্তন তৃণমূল কর্মীদের হাতে পতাকা তুলে দিলেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, যে সমস্ত নেতাকর্মীরা আজ বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁদের মধ্যে ২০ জন আজই মনোনয়ন জমা দিলেন বিজেপির পক্ষ থেকে।

    নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) কী ঘটেছে?

    উল্লেখ্য, নারায়ণগড়ে (Paschim Medinipur) শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল বার বার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। নারায়ণগড়ের গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও প্রকাশ্যে মুখ খুলতে দেখা যায়। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই কোন্দল যে কোনও ভাবেই মেটানো গেল না, বৃহস্পতিবারের ঘটনা ফের তা প্রমাণ করল।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Paschim Medinipur) বিজেপি নেতা লক্ষ্মীকান্ত সাউ বলেন, এলাকায় তৃণমূলের কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে ভালো মানুষগুলো বিজেপিতে যুক্ত হয়েছেন। তার কারণ, তাঁরা ভালো করে জানেন, তৃণমূলের শাসনে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। মাত্র ৮ দিন সময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন চলছে। আমরাও বিরোধী হিসাবে ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে লড়াই করছি। তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিজেপি শক্তিশালী হল বলে দাবি করলেন এই বিজেপির নেতা।

    তৃণমূল বিধায়কের প্রতিক্রিয়া

    যদিও এ প্রসঙ্গে নারায়ণগড়ের (Paschim Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক সূর্য অট্টর দাবি, আজ যারা বিজেপিতে যোগদান করেছে, তারা এর আগেও বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল। পরে অবস্থা অনুকূল নয় বুঝতে পেরে তারা আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছিল। দীর্ঘদিন ধরেই তারা দলের সাথে দূরত্ব তৈরি করেছিল। তিনি আরও বলেন, প্রায় চার বছর আগে ২০১৯ সালে ওরা সবাই বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিল! এখন আবার এই সময় যুক্ত হল। একই মানুষকে কতবার যুক্ত করবে বিজেপি? এই প্রশ্নের উত্তর বিজেপিই জানে। বিধায়ক আরও বলেন, ওরা বিজেপিতে চলে যাওয়াতে এলাকায় শান্তি ফিরে আসবে। সব মিলিয়ে মনোনয়নের শেষ দিনে যোগদান প্রসঙ্গে রীতিমতো রাজনৈতিক তরজা জারি জেলা জুড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    Nadia: প্রার্থী বাছাই এবং মনোনয়ন নিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক দলের বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নেই নির্দিষ্ট কোনও গাইডলাইন। কেউ কাউকে মানে না। একশ্রেণির নেতারা এই দলটাকে শেষ করছে। যাদের কথা শুনে দল প্রার্থী ঠিক করছে সেই প্রার্থীর দায়িত্ব তাদেরকেই নিতে হবে। এখানে আমার কিছু করার নেই। দলের কর্মীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় দলের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক তেহট্টের (Nadia) তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা।

    নদিয়ায় (Nadia) মনোনয়নকে ঘিরে কী হয়েছে?

    উল্লেখ্য, এক দফা পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে চলছে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ। আজ তার শেষ দিন। সেইমতো তেহট্ট (Nadia) বিডিও অফিসে দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তাপসকুমার সাহা। আর সেখানেই পছন্দের প্রার্থীদের নাম না থাকায় দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন তিনি। 

    বিক্ষুব্ধ বিধায়ক কী বললেন?

    নির্বাচনে মনোনয়নের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে এই তৃণমূল বিধায়ক (Nadia) বলেন, ব্লক সভাপতি, অঞ্চল সভাপতি এবং আমি একসঙ্গে বসে দলের নির্দেশে যে তালিকা দলকে পাঠিয়েছিলাম, সেখান থেকে অনেকের নাম বাদ গেছে। অথচ দল যেভাবে বলেছে, সই করে নাম সেই ভাবেই পাঠিয়েছি। কিন্তু তারপরেও আমাদের অনেকের নাম বাদ গেছে। আমরা বুঝতে পারছি, কেউ দলকে শেষ করার জন্যই এই ঘটনা ঘটাচ্ছে। এরপর তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের আইপ্যাক এবং দলের শীর্ষ স্তর থেকেও কেউ কেউ এই নাম বদল করেছেন বলে অভিযোগ করেন। বলেন, আমার তালিকার বাইরে যে নামগুলি এসেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নেবো না! আর আমার দেওয়া যে সমস্ত নাম দল নির্বাচিত করেছে, তাঁদের দায়িত্ব আমি নিচ্ছি। পাশাপাশি তিনি আরও আক্রমণাত্মক হয়ে বলেন, এই দলের কোনও অনুশাসন নেই, নির্দিষ্ট গাইডলাইন নেই। জেলা সভাপতি, আইপ্যাক, অঞ্চল সভাপতিদের মধ্যে কোনও সংযোগ নেই। দলের তরফ থেকে নেই কোনও বিশেষ নির্দেশিকাও। এই প্রসঙ্গে আরও স্পষ্ট করে বলেন, দলের একটা অংশের নির্দেশে এই ঘটনা ঘটছে এবং এই বিষয়ের মধ্যে প্রদেশের কিছু নেতা যুক্ত হয়ে তৃণমূল দলকে নষ্ট করছেন বলে অভিযোগ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: প্রার্থী পছন্দ নয়! জেলায় জেলায় দলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা

    Panchayat Election 2023: প্রার্থী পছন্দ নয়! জেলায় জেলায় দলের বিরুদ্ধেই বিক্ষোভে তৃণমূল কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) টিকিট না পেয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলই জেলায় জেলায় বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। এমনই চিত্র দেখা যাচ্ছে বহু জায়গায়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নব্য তৃণমূল এবং আদি তৃণমূলের দ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে আসছে। এরকমই বিক্ষোভের চিত্র দেখা গেল পূর্ব বর্ধমানের কালনা এবং মুর্শিদাবাদের লালগোলায়। 

    টিকিট না পেয়ে কালনায় বিক্ষোভ

    গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Election 2023) প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দল সামনে এল। বুধবার বিকেলে হাট কালনা পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধর্মডাঙ্গা এলাকায় প্রার্থী পছন্দ না হওয়ায় তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিসের সামনে বিক্ষোভে সরব হল দলেরই একাংশ। এঁদের দাবি, নির্মল বৈদ্য এবং শোভা রায় দুজনই তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন এই এলাকায়। কিন্তু এই প্রার্থীদের মেনে নিতে চাইছেন না এলাকার তৃণমূলের একাংশ। আর তাই গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন এলাকার আদি তৃণমূল কর্মীরা। এলাকার এক তৃণমূল কর্মী অরুণ মণ্ডল বলেন, আমরা এলাকায় ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করছি। বহু সময় ধরে আমরা অত্যাচার সহ্য করে সিপিএমের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে এলাকায় রাজনীতি করছি। আজ আমাদের উপেক্ষা করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য লোককে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনা না করলে, আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। কালনা ছাড়া মুর্শিদাবাদেও টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভের চিত্র নজরে আসে।

    লালগোলায় প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই তৃণমূলের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী তালিকায় নাম নেই তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য হজরত উমরের। তাঁর বদলে নাম রয়েছে মোতাহার হোসেনের। আর তার জেরেই প্রকাশ্যে ক্ষোভ জানালেন তৃণমূলের নশিপুর এলাকার নেতা ও কর্মীরা। ক্ষোভে গত বুধবার পথ অবরোধও করেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সমর্থকরা। এদিন লালগোলার তৃণমূলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় কর্মীরা। অপর দিকে মোতাহার হোসেন রিপন নামক ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রার্থী হলেও তাঁর স্ত্রীকে আবার পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী করা হয়েছে। এক পরিবার থেকে এত প্রার্থী কেন? এই নিয়েও তৃণমূলের অন্দরে উঠেছে প্রশ্ন! আর তাই শাসক দলের প্রার্থী তালিকায় নাম দেখেই এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে তৃণমূলের বিক্ষোভ প্রকাশ্যে এসেছে। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, এখানকার তৃণমূল বিধায়ক এবং সাংসদ টাকা নিয়ে প্রার্থী ঠিক করে আমাদের উপর চাপিয়ে দিয়েছেন। পাশাপাশি যাদের প্রার্থী করা হয়েছে তারা এই অঞ্চলের বাসিন্দা নয়। কোনও বহিরাগত লোককে অঞ্চলের পদপ্রার্থী হিসাবে মানতে নারাজ তাঁরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী নেই! জাল শংসাপত্র বিলি করছে শাসক দল, অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী নেই! জাল শংসাপত্র বিলি করছে শাসক দল, অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী খুঁজে পাচ্ছে না তৃণমূল, সেখানে জেনারেল ক্যাটিগরির মানুষজনদের প্রার্থী করার জন্য জাল কাস্ট সার্টিফিকেট বিলি করছে শাসক দল। তৃণমূলকে এভাবেই নজিরবিহীন আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন নিজের ট্যুইটার হ্যান্ডেলে একথা লেখেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। এই উদ্দেশ্যে মহকুমা শাসকদের একাংশকে চাপ দিয়ে জাল জাতিগত শংসাপত্র বিলিরও অভিযোগ তুলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতার হতেই গণ-ইস্তফা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল     

    কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বুধবার ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘সূত্র মারফত জানতে পেরেছি, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আদিবাসী কল্যাণ এবং অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন দফতরের ইনসপেক্টরেরা মহকুমা শাসকদের চাপের মুখে তৃণমূলের প্রার্থীদের ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দিতে বাধ্য হচ্ছেন। তাঁরা যাতে তফসিলি জাতি ও জনজাতির প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত আসনে লড়তে পারেন, সেই উদ্দেশ্যেই এই পদক্ষেপ।’’

    আদিবাসী কল্যাণ এবং অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন দফতরে অনিয়ম  

    বিরোধী দলনেতার মতে, সরকারের আদিবাসী কল্যাণ এবং অনগ্রসর জাতি উন্নয়ন দফতর তফসিলি জাতি ও জনজাতি এবং ওবিসি সমাজের সামাজিক, অর্থনৈতিক সাংস্কৃতিক উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করবে। এটাই হওয়া উচিত। জাতিগত শংসাপত্র বিলি করা এবং পরিষেবা দেওয়াই তাদের কাজ কিন্তু তার বদলে অনিয়মে অংশ নিতে বাধ্য করা হচ্ছে দফতরকে।

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতার হতেই গণ-ইস্তফা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    Panchayat Election: জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ গ্রেফতার হতেই গণ-ইস্তফা! প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়নের মাঝেই গ্রেফতার পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা সোমনাথ বেরা। আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সোমনাথ বেরার গ্রেফতারিতে ইতিমধ্যে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শাসক দলের অন্দরে। বৃহস্পতিবার মনোনয়নের শেষ দিন। তার আগে এমন ঘটনায় প্রকাশ্যে এসেছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল! প্রতিবাদে পদত্যাগ করলেন তমলুক ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রদ্যুৎ বর্মন। পাশাপাশি আরও ১২ টি অঞ্চলের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিরা পদত্যাগ করেছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রথমে থানার সামনে একপ্রস্থ বিক্ষোভ দেখান তাঁর অনুগামীরা। তারপর সেখান থেকে তাঁরা পৌঁছে যান এলাকার বিধায়ক তথা তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের অফিসের সামনে। সেখানেও তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে থাকেন।। তাঁরা অভিযোগ জানাতে থাকেন, অন্যায়ভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে সোমনাথকে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এমনিতেই বিভিন্ন ইস্যুতে পূর্ব মেদিনীপুরে ব্যাকফুটে রয়েছে শাসকদল। তারপর মনোনয়নের মাঝে সোমনাথের গ্রেফতারিতে যেভাবে শাসক দলের বিবাদ প্রকাশ্যে এসেছে, তার প্রভাব পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) পড়বে।

    আরও পড়ুুন: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ 

    সোমনাথ বেরার বিরুদ্ধে দলের অন্দরেই অভিযোগ উঠে আসছিল আর্থিক দুর্নীতির। চাকরি দেওয়ার নাম করে লাখ লাখ টাকা তিনি বেকার ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে নিয়েছেন বলে অভিযোগ। একের পর এক এফআইআর দায়ের হতে থাকে সোমনাথের নামে।

    বেকার যুবক-যুবতীদের চাপে পড়েই কি পুলিশ গ্রেফতার করল সোমনাথকে?

    একাধিক প্রতারণা মামলা দায়ের হতে থাকে সোমনাথের বিরুদ্ধে। বেকার যুবক-যুবতীদের অভিযোগ, ‘‘লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন সোমনাথ। এলাকার বহু শিক্ষিত বেকার ঘটি-বাটি হারিয়েছে সোমনাথের কারণে।’’ এরপরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেকের গাড়ি ঘিরেও বিক্ষোভ দেখান প্রতারিতরা।

    আরও পড়ুন: বিজেপি প্রার্থীদের নির্বাচন কমিশন অফিসের সামনে এনে বিক্ষোভ সুকান্ত-শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share