Tag: tmc

tmc

  • TMC: শাসকদলে ফের ভাঙন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন উপপ্রধান!

    TMC: শাসকদলে ফের ভাঙন, নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন উপপ্রধান!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী তালিকা নিয়ে শিলিগুড়ি লাগোয়া ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি বিধানসভা এলাকা জুড়ে তৃণমূলের (TMC) ক্ষোভ-বিক্ষোভ চরমে উঠেছে। প্রার্থী তালিকায় নাম থাকবে না ধরে নিয়েই একাধিক তৃণমূলের নেতানেত্রী দলীয় প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এদের মধ্যে স্থানীয় স্তরে দুই হেভিওয়েট নেতানেত্রী রয়েছেন। তাঁরা হলেন, ডাবগ্রাম-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী উপপ্রধান নির্মল বর্মন ও এই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্য সন্ধ্যা রায়।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (TMC) নেতা?

    সময় যত গড়াচ্ছে, প্রার্থী তালিকা নিয়ে তৃণমূলের (TMC) মধ্যে বিদ্রোহ ততই ছড়িয়ে পড়ছে। মনোনয়ন পর্ব মেটার পর তৃণমূলের করুণ দশা আরও প্রকট হয়ে উঠবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেন। তার পরও কেন দিকে দিকে এত বিক্ষোভ, বিদ্রোহ? এ প্রশ্ন করছেন দলের নেতাকর্মীরা। ডাবগ্রামের তৃণমূলের উপ প্রধান নির্মল বর্মন বলেন, কোটি কোটি টাকা খরচ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটাভুটি করে পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকা তৈরি হল। কিন্তু প্রক্রিয়ার পুরোটাই প্রহসন ছিল। কেননা ভোটাভুটিতে যাঁদের নাম প্রার্থী তালিকায় ছিল, তাঁদের প্রায় কেউই সেই তালিকা মতো টিকিট পাননি। যারা দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূল করে আসছে তাদের চক্রান্ত করে ছেঁটে ফেলা হচ্ছে। কিছু নেতাদের পছন্দ মতো প্রার্থী তালিকা হয়েছে। এ কারণেই দলের একটা বড় অংশ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। দলের মধ্যে ভাঙন শুরু হয়েছে।

    কী বল তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের (TMC) মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ বলেন, যাঁরা দলের থেকে নিজের স্বার্থকেই বড় করে দেখেন, তাঁরাই দলবদল করছেন বা নির্দল হয়ে দাঁড়াচ্ছেন। এতে ভোটে তৃণমূলের কোনও ক্ষতি হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই  এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    Murshidabad: সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তৃণমূলের টিকিট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট না পেয়ে বিক্ষোভ দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরাই। মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দি থানার অন্তর্গত কুমারষণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের ডাঙ্গাপাড়া মোড়ে রীতিমতো রাস্তায় নেমে, এলাকার তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধের আন্দোলন করতে দেখা যায়। প্রতিবাদীদের একটাই দাবি, কেন তৃণমূল কর্মীদের টিকিট না দিয়ে সিপিএম, সিপিআই এবং কংগ্রেস কর্মীদের টিকিট দেওয়া হল।

    কী ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দিতে

    কান্দির (Murshidabad) দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার যাঁদের মনোনয়ন করার কথা ছিল, সকালে হঠাৎ তাঁরা জানতে পারেন, নাম বাদ গিয়েছে। আর তার পরিবর্তে সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের টিকিট বিক্রি করেছেন কান্দির বিধায়ক অপূর্ব সরকার। সংবাদ মাধ্যমের কাছে এই অভিযোগ করেন কান্দি ব্লক মাদার তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পাদক হাবিবুর রহমান। তিনি আরও বলেন, এই এলাকায় বর্তমান বিধায়ক এবং তাঁর ভাই মিলে একনায়কতন্ত্র চালাচ্ছেন। টিকিট না পেয়ে আরেক প্রতিবাদী তৃণমূল কর্মী বলেন, আমরা এই এলাকায় ২০০১ সাল থেকে তৃণমূল দল করি। অত্যাচার সহ্য করে, তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, এই এলাকা থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছি। তিনি আরও বলেন, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আমাদের নেতা বগবুল হোসেন। আজ পুরাতন তৃণমূল কর্মী হওয়ায় আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। এই এলাকার তৃণমূল নেতা বগবুল হোসেনের অনুগামী হওয়ার জন্য আমাদের বাদ দেওয়া হয়েছে।

    কেন এই দ্বন্দ্ব?

    বগবুল হোসেন বলেন, আমার অনুগত কেউ নন, সবাই আমরা দলের অনুগত। কে বা কারা বিক্ষোভ করছেন, আমার জানা নেই। তবে সবাইকে বলব, দলের হাত শক্ত করুন। অপরদিকে পাশেই রয়েছে ভরতপুর (Murshidabad) বিধানসভা এবং বিধায়ক হলেন হুমায়ন কবীর। উল্লেখ্য, অঞ্চলে ভোটের আগেই প্রায় ৪১ জনকে নিয়ে একটি বিশেষ অঞ্চল কমিটি গঠন করেন বিধায়ক হুমায়ন কবীর। কিন্তু কান্দি তৃণমূল ব্লক সভাপতি বগবুল হোসেন এবং তাঁর অনুগামীদের কাউকেই কমিটিতে রাখা হয়নি। ফলে কীভাবে নির্বাচন হবে এবং কারা দলের হয়ে কাজ পাবেন, তাও স্পষ্ট হয় এই কিমিটিতে। বিশেষজ্ঞ মহল মনে করছে, পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট না পাওয়াটা দলের অন্দরে কোন্দলেরই ফল।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    Panchayat Election: গভীর রাত পর্যন্ত তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ, প্রকাশ্যে কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিন ধরেই জলপাইগুড়ি জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) প্রার্থী নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে বিদ্রোহ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে বহু তৃণমূল নেতা গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। এবার এই বিদ্রোহের আঁচে দগ্ধ হলেন তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ। মঙ্গলবার রাতে তাঁর বাড়ির সামনেই কয়েকশো তৃণমূল কর্মী বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। গভীর রাত পর্যন্ত চলে বিক্ষোভ। পরে, পুলিশ গিয়ে সামাল দেয়।

    কী বক্তব্য বিক্ষোভকারীদের?

    মঙ্গলবার রাতে তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর বাড়িতে জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) প্রার্থীদের নাম সহ মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। রাত ১১ টা নাগাদ ময়নাগুড়ি-২ নম্বর ব্লকের সাপটিবাড়ি ১ ও ২,পদমতি ১ ও ২, ধর্মপুর সহ বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ময়নাগুড়ি-২ নম্বর ব্লক সভাপতি শিবশঙ্কর দত্ত সাদা কাগজে প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করেছেন। সেই তালিকা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায়। তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের বেশিরভাগের  তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। এমনকী অনেকেই প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য। ময়নাগুড়ি -২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি টাকার বিনিময়ে অযোগ্য এবং বিজেপি মনোভাবাপন্ন প্রার্থীদের তৃণমূলের টিকিট দিয়েছেন। আর এই কারণে জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে বিক্ষোভ।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী?

    তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী মহুয়া গোপ বিক্ষুব্ধ কর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে এখনও নাম চূড়ান্ত হয়নি। প্রার্থীদের শান্ত থাকার বার্তা দেন তিনি। পরবর্তীতে জেলা সভানেত্রীর বাড়ির সামনে মাল মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রবীন থাপার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী উপস্থিত হয়। জেলা সভাপতি মহুয়া গোপ রীতিমতো মাইক হাতে কর্মীদের আশ্বস্ত করেন এবং তাঁদের বাড়ি ফিরে যেতে বলেন। রাত প্রায় ১টা নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। জেলা সভানেত্রী বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রার্থী নিয়ে কোনও বিক্ষোভ হয়নি। কেননা এখনও প্রার্থীর নামের তালিকা চূড়ান্ত হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

    Jalpaiguri: ঘর ওয়াপসি, তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাল (Jalpaiguri), রাজগঞ্জ এবং ধূপগুড়ি ব্লকের অনেকেই তৃণমূল ছাড়লেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিনগুলিতে বড় চমকের ঘটনা ঘটল জলপাইগুড়ি জেলায়। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি রীনা বরা নির্দল হিসাবে মনোনয়ন জমা দিলেন। আবার খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার সহ শতাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে ফিরলেন। একই সঙ্গে ধূপগুড়িতে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করল। জলপাইগুড়ি জেলায় সব মিলিয়ে একদিকে তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক এবং অপরদিকে বিজেপিতে যোগদান নিয়ে জেলার রাজনীতি বেশ সরগরম।

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) মাল পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কেন তৃণমূল ছাড়লেন?

    তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত মাল পঞ্চায়েত (Jalpaiguri) সমিতির জন্য দলের প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা হয়নি। অথচ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দলের সিদ্ধান্ত ঘোষণার আগেই স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যক্ত করে গত সোমবার সরাসরি এসে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেন। মনোনয়ন জমা দিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রীনা বরা বলেন, আমি একজন মহিলা। দলের ব্লক সভাপতি সুশীল প্রসাদের অনৈতিক কাজের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি, অনশন-ধর্নায় বসেছিলাম, দলের নেতৃত্বের কাছেও জানিয়েছি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি আমাকে আশ্বাস দিয়েছিলেন। কিন্তু সাময়িক ভাবে সুশীল প্রসাদকে সরিয়ে দিলেও আবার পঞ্চায়েত নির্বাচনের মুখে তাঁকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে! বিচার না পেয়ে আমি তৃণমূল ছেড়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছি।

    ধূপগুড়ি ব্লকে ৩৫ টি পরিবারের বিজেপিতে যোগদান

    ধূপগুড়ি ব্লকের (Jalpaiguri) ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মমতা রায়ের বুথে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে প্রায় ৩৫ টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করে। এদিনই তৃণমূল দল ছাড়লেন রাজগঞ্জের শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান রঞ্জিতা রায়। তাঁর সঙ্গে শতাধিক কর্মী-সমর্থক তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোটে জয়লাভ করে শিকারপুর অঞ্চলের প্রধান হিসেবে রঞ্জিতা রায় কাজ করেছেন। কিন্তু তাঁকে শান্তিপূর্ণভাবে কাজ করতে দেওয়া হয়নি, একের পর এক দুর্নীতি হয়েছে শিকারপুর অঞ্চলে। আর যার কারণে সোমবার তিনি তৃণমূল দল ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি করেন।

    মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে মেটেলি বাজার এলাকায় তৃণমূলে ভাঙন। বিজেপিতে যোগ দিলেন মেটেলি (Jalpaiguri) বাজারের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সহ একাধিক তৃণমূল নেতা। মেটেলি বাজার হাটখোলায় ওই যোগদান সভা হয়। মেটেলি বাজারের শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের নির্বাচিত পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মাহাতো, ইনডং মাটিয়ালি অঞ্চলের তৃণমূলের প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি মনোজ মন্ডল, তৃণমূল চা বাগান শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা রাজেন লোহার সহ একাধিক তৃণমূল নেতা এদিন বিজেপির ঝান্ডা হাতে তুলে নেন বলে জানা গেছে।

    খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লিতে শতাধিক ‘ঘর ওয়াপসি’

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) খড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ বিবেকানন্দ পল্লি এলাকার বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যা অঞ্জলি সরকার, তাঁর স্বামী প্রশান্ত সরকার সহ শতাধিক মানুষ বিজেপিতে ফিরলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন অঞ্জলি সরকার। পরে তিনি ও তাঁর স্বামী তৃণমূলে যোগ দেন। অভিযোগ, চাপ দিয়ে তাঁদের তৃণমূলে যোগদান করানো হয়েছিল। আজ সেই চাপ দূরে সরিয়ে রেখে অনুগামীদের নিয়ে ঘর ওয়াপসি করলেন তাঁরা। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে স্বাগত জানান বিজেপি নেতা সৌজিৎ সিংহ, জীবেশ দাস, অলীক দত্ত। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই অভূতপূর্ব যোগদানে এই জেলা থেকে তৃণমূল নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ শাসকদলের কর্মী

    TMC: ক্যানিংয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ শাসকদলের কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবারই ক্যানিংয়ে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময় রক্ত ঝরেছিল বিজেপি প্রার্থীর। অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর। এই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্র হয়ে উঠল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং। বাসন্তী হাইওয়েতে তৃণমূলের (TMC) দু’পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি এবং গুলি চলার অভিযোগ উঠেছে। তার জেরে সুনীল হালদার নামে এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শাসক দল সূত্রে জানা গিয়েছে। তবে পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। এর প্রতিবাদে শুরু হয় বাসন্তী হাইওয়ে অবরোধ। ক্যানিংয়ের এসডিপিও-সহ কয়েক জন পুলিশ কর্মীও ওই সংঘর্ষে জখম হয়েছেন।

    ঠিক কী নিয়ে গন্ডগোল?

    তৃণমূলের (TMC) একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার ব্লক সভাপতি এবং স্থানীয় বিধায়কের গোষ্ঠীর মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া নিয়ে বিবাদের জেরে বুধবার ছড়িয়ে পড়ে উত্তেজনা। ক্যানিং শহরে সিপিএমের একটা অফিসেও হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। বুধবার তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ীর অনুগামীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে গেলে তাঁদের ক্যানিং বাসস্ট্যান্ডের কাছে দুষ্কৃতীরা আটকে দেয়। স্থানীয় বিধায়ক পরেশরাম দাসের অনুগামীরা বাধা দেয় বলে অভিযোগ। এরপরই দু’দলের মধ্যে ইটবৃষ্টি এবং বোমাবাজি হয়। গুলিও চলেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিবাদে ক্যানিংয়ের হাসপাতাল মোড়ে অনুগামীদের নিয়ে অবরোধ শুরু করেন ব্লক সভাপতি। তাঁর হুঁশিয়ারি, পরেশরামের অনুগামীদের জমায়েত না সরালে অবরোধ চলবে। অবরোধের জেরে ওই রাস্তায় বড়ালি থেকে ঘটকপুকুর পর্যন্ত যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে, পুলিশ গিয়ে কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটায়।

    পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস বলেন, ওই সংঘর্ষে কারা জড়িত রয়েছে জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ ফের শুরু হয়। সংঘর্ষে দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং জখম হয়েছেন কয়েক জন পুলিশকর্মী।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    ক্যানিংয়ের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শৈবাল লাহিড়ী বলেন, দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়। বিধায়কের লোকজন এসব করেছে। তা নিয়ে গন্ডগোল হয়েছে। হয়েছে রাস্তা অবরোধ। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, মনোনয়নে কোনও বাধা দেওয়া হয়নি। ব্লক সভাপতি যে অভিযোগ করছেন, তা সঠিক নয়।

    ফের উত্তপ্ত ভাঙড়!

    মঙ্গলবারের পর বুধবারও মনোনয় জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ভাঙড়। এদিনও সকাল থেকেই নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে দেওয়া হয়েছিল এলাকা। এদিন ভাঙড়-১ নম্বর ব্লকে তৃণমূল নেতা শাজাহান মোল্লার নেতৃত্বে মিছিল হয়। মিছিল থেকে বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। নারায়ণপুরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় বোমাবাজি করার অভিযোগ উঠেছে আইএসএফের বিরুদ্ধে। গাড়ি ভাঙচুরেরও অভিযোগ। হামলায় আইএসএফ এবং তৃণমূল কর্মী জখম হন। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb: ফোনে ফোনে দেওয়া হচ্ছে বোমার অর্ডার! দুটি গাড়ির চালক সহ আটক ৮

    Bomb: ফোনে ফোনে দেওয়া হচ্ছে বোমার অর্ডার! দুটি গাড়ির চালক সহ আটক ৮

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার মধ্যেই ব্যাগ ভর্তি বোমা (Bomb) সহ দুটি গাড়িকে আটক করল বাঁকুড়ার ইন্দাস থানার পুলিশ। পাটরাইয়ের দিক থেকে বাঁকুড়ার ইন্দাসে যাওয়ার পথে বাঁধেরপাড় এলাকায় গাড়ি দুটিকে আটক করে তল্লাশি করতেই ব্যাগ ভর্তি বোমার হদিশ পায় পুলিশ।

    কতজনকে আটক করল পুলিশ?

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মনোনয়নে গন্ডগোল পাকাতে ইন্দাসে গাড়িতে করে বোমা (Bomb) আনা হতে পারে, এমন খবর মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের কাছে পৌঁছায়। এর পরই সতর্ক করা হয় ইন্দাস থানার সবকটি নাকা পয়েন্টকে। বুধবার সকাল সাড়ে সাতটার আশপাশে দুটি গাড়ি পাটরাইয়ের দিক থেকে ইন্দাসের দিকে যেতে দেখে সেগুলিকে থামিয়ে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। সেই সময়ই গাড়ি দুটির একটির মধ্যে থেকে এক ব্যাগ ভর্তি সুতলি বোমা উদ্ধার হয়। এর পর গাড়ি দুটিকে আটক করে ইন্দাস থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। আটক করা হয় দুই চালক সহ দুটি গাড়িতে থাকা আটজনকে।

    বোমা (Bomb) উদ্ধার নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    এসডিপিও কুতুবউদ্দিন খান বলেন, ফোনে ফোনে বরাত পেয়ে বোমাগুলি (Bomb)  ইন্দাসে আনা হচ্ছিল। কে বা কারা এবং কেন এই বোমার বরাত দিয়েছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। চালককে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুজনের নাম আমরা জানতে পেরেছি। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করা হয়েছে। এই চক্রে কারা জড়িত রয়েছে, তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

    বোমা (Bomb) উদ্ধার নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    ইন্দাসের বিজেপি বিধায়ক নির্মলকুমার ধাড়া বলেন, গাড়িগুলিতে করে বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে ইন্দাসের বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন। সেই সময় চক্রান্ত করে তৃণমূল গাড়িগুলিকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। গাড়িগুলিতে বোমা (Bomb) রেখে উদ্ধারের নাটক করা হচ্ছে। তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে। ইন্দাস ব্লক তৃণমূলের সভাপতি শেখ হামিদ বলেন, যে ফেঁসে যায়, সে-ই ফাঁসানোর গল্প বলে। নাকা চেকিংয়ের সময় পুলিশ পেয়েছে। ফলে, আমাদের বিরুদ্ধে ফাঁসানোর অভিযোগ এনে কোনও লাভ নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    TMC: দিনহাটায় তৃণমূল নেতাকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ, চলল চার রাউণ্ড গুলি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের দিনহাটা। পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল দিনহাটা বিধানসভার সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারে। স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হককে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখানোর সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কারা পর পর চার রাউন্ড গুলি চালিয়েছে তা স্পষ্ট নয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল (TMC) নেতা নজরুল হের স্ত্রী স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যা। আর স্ত্রী সদস্যা হওয়ায় বকলমে তিনি জনপ্রতিনিধি হিসেবে কাজ করতেন। এদিন বাজারে কুর্শাহাট বাজারে তিনি আসলে তাঁকে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘিরে ধরেন। তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে নজরুলের অনুগামীরাও সেখানে জমায়েত হন। এরমধ্যেই দুপক্ষের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা চলে। পরে, চার রাউণ্ড গুলি ছোঁড়া হয়। আর এতেই এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয়। গ্রামবাসীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    তৃণমূল (TMC) নেতাকে ঘিরে ধরে গ্রামবাসীরা দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, স্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্য হওয়ার ক্ষমতাকে কাজে লাগিয়ে নজরুল আমাদের কাছে থেকে সরকারি প্রকল্পের ঘর দেওয়ার নাম করে ২০ হাজার, ৩০ হাজার টাকা করে তুলতে শুরু করেন। শাসক দলের নেতা বলে বিশ্বাস করে এলাকার বহু মানুষ তাঁকে টাকা দিয়েছিলেন। আমরাও দিয়েছিলাম। কিন্তু, কেউ ঘর পাইনি। ওই নেতা কাউকে টাকাও ফেরত দেননি। কিন্তু, শাসক দলের নেতা বলে কেউ কিছু বলার সাহস ছিল না। তবে, এবার পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় ওই নেতা বা তাঁর স্ত্রীর ঠাঁই হয়নি। বিষয়টি জানাজানি হতেই ওই নেতাকে ঘিরে টাকা ফেরত চেয়েছি।

    জেলা পুলিশের কী বক্তব্য?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এদিন দুপুর আড়াইটা নাগাদ সীমান্ত সংলগ্ন কুর্শাহাট বাজারের স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া ব্রাঞ্চের সামনে পরপর চার রাউন্ড গুলি চালানো হয়। ইতিমধ্যেই গুলি চালানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে একজনকে আটক করেছে। গুলি চালানোর কারণ এখনও স্পষ্ট নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: প্রার্থী বাছাই নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে তুমুল গণ্ডগোল, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইকে কেন্দ্র করে আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের (TMC) দুই  গোষ্ঠীর লড়াই এবার প্রকাশ্যে এল। সোমবার রাতে আলিপুরদুয়ারের কাঁঠালতলা এলাকায় দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে হাতাহাতি থেকে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে দলের ওই গোষ্ঠী কোন্দল শাসক দলকে চরম অস্বস্তিতে ফেলে দিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    আলিপুরদুয়ার বিবেকানন্দ ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঠালতলা এলাকায় একটি দলীয় কার্যালয়ে শাসক দলের (TMC) কয়েকজন নির্বাচিত সদস্যের উপস্থিতিতে সোমবার সন্ধ্যায় দলের বিরুদ্ধে শাসক দলের অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিচ্ছিলেন। কিছুক্ষণ পর দলের অঞ্চল সভাপতি সুকান্ত দের নেতৃত্বে একদল ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নেতা কর্মীরা সেখানে চলে আসেন। এরপরেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে, বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আলিপুরদুয়ার থানার আই সি অনিন্দ্য ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একদল পুলিশবাহিনী। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ দুই গোষ্ঠীর নেতা কর্মী সমর্থকদের দলীয় কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিরা বলেন, “দীর্ঘদিন এলাকা থেকে নির্বাচিত স্বচ্ছ ভাব মূর্তির বেশ কিছু পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিকে এবারে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না বলে দল থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। অথচ এমন প্রার্থী করা হয়েছে, যাদের সম্পর্কে অনেক অভিযোগ রয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    দলীয়ভাবে প্রার্থী তালিকা এখনও ঘোষণা না করলেও প্রার্থী নিয়ে অঞ্চল নেতৃত্বদের উপস্থিতিতে ইতিমধ্যে দল একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে এসেছে। দলের জেলা সভাপতি জানিয়েছেন ৫০ শতাংশের বেশি বিদায়ী জনপ্রতিনিধিকে এবারে দল টিকিট দেবে না। পারফরম্যান্স বিচার করেই প্রার্থী চয়ন করা হয়েছে। ফলের শাসকদলের টিকিট না পেয়ে এবারে অনেকেই দলের বিরুদ্ধেই যেমন লড়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন। পাশাপাশি শাসক শিবিরও কার্যত দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে, একে অপরের বিরুদ্ধে শুধু প্রচার নয়, চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও দলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক জানিয়েছেন, “দল যাদেরকে প্রার্থী করবে,তাদের হয়েই সকলে লড়বেন। কেউ দলের টিকিট না পেয়ে নির্দল হয়ে বা অন্য কোনও দলের হয়ে লড়তে পারেন। এ নিয়ে শাসক দল বাধা দেবে না। শান্তিপূর্ণভাবেই মানুষ ভোট দেবেন, এবং আমরা দলের যোগ্য প্রার্থীদের নির্বাচিত করব।” আলিপুরদুয়ারে পঞ্চায়েত ভোটে শাসকদলের বড় কাঁটা শাসক দলই। এহেন পরিস্থিতিতে রাজনৈতিকভাবে ফায়দা তুলতে পারেন বিরোধীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

     

  • Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: রণক্ষেত্র ভাঙড়, ব্যাপক বোমাবাজি, গুলিবিদ্ধ আইএসএফ কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকের বিজয়গঞ্জ বাজারে আইএসএফ কর্মীদের রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিডিও অফিসের কাছে  পুলিশের সামনেই মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজির ঘটনা ঘটে। গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন এক আইএসএফ কর্মী। তৃণমূলীদের হামলায় বেশ কয়েকজন আইএসএফ কর্মী জখম হন। পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটান। অন্যদিকে, এদিন ক্যানিং-১ নম্বর ব্লকেও মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূলীদের তাণ্ডবে রক্ত ঝরল বিজেপি প্রার্থীদের। বিডিও অফিসের ভিতরে পুলিশের সামনেই বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূলীদের বাধায় বিজেপি প্রার্থীরা কেউ মনোনয়ন জমা দিতে পারলেন না।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেত্রী?

    আক্রান্ত দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল, সজল ঘোষ সহ একাধিক নেতৃত্ব। বিডিও অফিসে  জমায়েত হওয়ার পরই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিব্রেওয়াল বলেন, তৃণমূল এখানে পুলিশের সামনেই তাণ্ডব চালাল। কাউকে ওরা মনোনয়ন জমা দিতে দিল না। এখানে আমরা আর মনোনয়ন জমা দেব না। বিরোধীদের কাউকে মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি। তাই, এখানকার নির্বাচন (Panchayat Election) বাতিল করার জন্য প্রশাসনকে বলব। বিজেপি নেতা সজল ঘোষ রক্তাক্ত এক বিজেপি প্রার্থীকে দেখিয়ে বলেন, দলীয় প্রার্থীর অবস্থা দেখুন। ভাইপো (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) গণতন্ত্রের কথা বলেছিলেন না, তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়েছে।

    কী বললেন আইএসএফ কর্মীরা?

    আইএসএফ কর্মী নাসির আলি মোল্লা বলেন, দলীয় প্রার্থীকে সঙ্গে নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election)  মনোনয়ন জমা দিতে  আমরা বিডিও অফিসের দিকে যাচ্ছিলাম। পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে তৃণমূলের। ওই চোরগুলো কুকুরের মতো করে বিডিও অফিসের রাস্তার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। দলীয় প্রার্থীদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যেতেই ওরা আমাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। লাঠি, লোহার রড দিয়ে পেটানোর পাশাপাশি বোমাবাজি করে গুলিও চালায়। আমাদের বহু কর্মী জখম হয়েছে। একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা বলেন, এদিন অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচি রয়েছে। সেটা বানচাল করতেই আইএসএফ দুষ্কৃতীদের জমায়েত করে এই তাণ্ডব চালিয়েছে। এখন আমাদের নামে মিথ্যা অফিযোগ করছে। নির্বাচনে (Panchayat Election) মানুষ ওদের যোগ্য জবাব দেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election:  উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    Panchayat Election: উপযুক্ত কারণ না দেখালে মনোনয়ন প্রত্যাহার নয়! ঘোষণা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী মাসের ৮ তারিখ রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা করেছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। শুরু হয়েছে মনোনয়ন পর্ব। তানিয়েও বিস্তর অভিযোগ বিরোধীদের। কোথাও প্রশাসনিক কর্তারা বৈষম্যমূলক আচরণ করছেন কোথাও বা সন্ত্রাস করছে শাসক দল। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করেছে। এবার মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর তা নিয়ে এল বিশেষ নিয়ম। কমিশন জানিয়েছে, যদি ২০২৩ পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হিসাবে কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে চান, তাহলে উপযুক্ত কারণ দর্শাতে হবে। সোমবার কমিশনের তরফে এমনই নির্দেশ এসেছে রাজ্যের সমস্ত জেলাশাসকদের কাছে। প্রশাসনিক কর্তারা প্রথমে দেখে নেবেন, যিনি আবেদন প্রত্যাহার করতে এসেছেন তিনি আসল প্রার্থী কিনা! 

    আরও পড়ুন: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    বিরোধীদের চাপেই কি কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত?

    ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, বিরোধীদের লাগাতার চাপের ফলেই কমিশন এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে। রাজভবন থেকে আদালত প্রতিটি সংস্তাই এখন কড়া নজর রাখছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে। নজর দিচ্ছে মানবাধিকার কমিশনও। তাই রাজ্য নির্বাচন কমিশন অনেকটা বাধ্য হয়েই এমন সিদ্ধান্তগুলি নিচ্ছে, মত বিরোধী রাজনৈতিক মহলের একাংশের। ১৪৪ ধারা লাগু করার পরেও রোখা যায়নি রাজনৈতিক সন্ত্রাস। সোমবারই রাজ্যের একাধিক জায়গা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মনোনয়ন ঘিরে। বাঁকুড়ার সোনামুখীতে মাথা ফাটে বিজেপি বিধায়কের। 

    হাইকোর্টে বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) শাসকদলকে একতরফা সুবিধা দিতেই সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে নির্বাচন ঘোষণা করেছে কমিশন, এমন অভিযোগ বিজেপি গত কয়েকদিন ধরেই করে আসছে। ইতিমধ্যে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো সহ একাধিক দাবিতে হাইকোর্টের দারস্থও হয়েছে বিজেপি। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সোমবার হাইকোর্ট জিজ্ঞেস করে, ‘‘আইনে কি কোথাও বলা আছে মনোনয়নের জন্য ৭ দিনের সময়সীমার কথা?’’ এর পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের উত্তর, ‘‘ না সেরকম কোনও আইন নেই।’’ তখনই রাজ্য নির্বাচন কমিশন হাইকোর্টে জানাল, ১৬ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়াতে প্রস্তুত তারা।

    আরও পড়ুন: লোডশেডিংয়ে জেরবার রাজ্যবাসী! আচমকা বিদ্যুৎ ভবনে ‘হানা’ শুভেন্দুর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share