Tag: tmc

tmc

  • Panchayat Election: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দিচ্ছে কুড়মিরা

    Panchayat Election: ‘নো ভোট টু তৃণমূল’, বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েতে সব আসনে প্রার্থী দিচ্ছে কুড়মিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মি জনজাতিকে তফশিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবিতে বারবার আন্দোলনে নেমেছে কুড়মি সমাজ। অবিলম্বে কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের তরফে সিআরআই রিপোর্টের ওপর কমেন্ট এবং জাস্টিফিকেশন পাঠানোর দাবিতে রেল অবরোধ, জাতীয় সড়ক অবরোধের মতো কর্মসূচি নিয়েছিলেন তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) এবার জঙ্গলমহলে শাসকদলের উপরে আরও চাপ বাড়াতে চলেছে তাঁরা। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিম মেদিনীপুর সহ জঙ্গলমহলের চার জেলায় প্রার্থী দিতে চলেছে কুড়মিরা। পাশাপাশি কুড়মি সমাজের পক্ষ থেকে “নো ভোট টু টিএমসি” বা শাসক দলকে একটিও ভোট না দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

    কী বললেন কুড়মি নেতৃত্ব?

    কিছুদিন আগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঝাড়গ্রাম গিয়েছিলেন। সেই সময় নিজেদের দাবিদাওয়ার কথা জানাতে কুড়মিরা অভিষেকের কনভয়ের সামনে যান। সেই সময় মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করার অভিযোগ ওঠে। তৃণমূল কর্মীরা আক্রান্ত হন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্তভার গ্রহণ করেছে সিআইডি। এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়েছে কুড়মি সমাজের একাধিক নেতাকে। এমনিতেই দাবিপূরণ না হওয়ায় তৃণমূলের প্রতি ক্ষুব্ধ ছিল কুড়মিরা। এবার অভিষেকের কনভয়কাণ্ডে সংগঠনের নেতাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেওয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election)তৃণমূলকে উচিত শিক্ষা দিতে চাইছে কুড়়মিরা। কুড়মি সমাজের নেতা সুমন মাহাত বলেন,  “জঙ্গলমহলে পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম সহ চার জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা প্রার্থী দেব। সেই মতো আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। ইতিমধ্যেই কারা প্রার্থী হবে তা একপ্রকার চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল তৃণমূলকে একটাও ভোট নয়। জঙ্গলমহলে কুড়মি সমাজের কোনও সদস্য একটি ভোটও তৃণমূলকে দেবে না। তারজন্য সমস্ত এলাকায় প্রচার করা শুরু হয়েছে।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতির দাবি, “কুড়মিদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ প্রকল্প নিয়েছে। জঙ্গলমহলে শাসকের পাশে সব থেকে বেশি দাঁড়াবে কুড়মি সমাজের মানুষেরাই। ফলে, কে কী বলল তা কিছু এসে যায় না। নির্বাচনের (Panchayat Election) ফলাফলে তা প্রমাণিত হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    BJP: বারাকপুরে মনোনয়নে এগিয়ে বিজেপি, এখনও প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারল না তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে কে প্রার্থী হবে তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। যার জেরে বারাকপুর মহকুমার দুটি ব্লকের একটি আসনেও এখনও প্রার্থী দিতে পারল না তৃণমূল। বিজেপি (BJP) থেকে অনেকটাই ব্যাকফুটে রয়েছে তৃণমূল। এখনও দলের নীচুতলার কর্মীরা কার হয়ে প্রচার করবে তা বুঝতে পারছেন না। ফলে, দলের অন্দরে এই বিষয় নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কবে, শাসক দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা করবেন তা নিয়ে জল্পনা চলছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল একটি আসনেও প্রার্থী দিতে না পারলেও বিজেপি অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে। বিজেপির (BJP) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সন্দীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “প্রথম দিন থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৪০ শতাংশ আসনে আমরা প্রার্থী দিয়ে দিয়েছি। আসলে তৃণমূল এখনও প্রার্থী ঠিক করতে পারেনি। দলের মধ্যেই কোন্দল চলছে।” জানা গিয়েছে, ব্যারাকপুর-১ ব্লকে বিজেপি সহ বিরোধীরা মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শুরু করেছেন। কিন্তু, সেখানে মাত্র একটি ডিসিআর কাউন্টার রয়েছে। ফলে, প্রার্থীদের চরম নাকাল হতে হচ্ছে। বিরোধী প্রার্থীদের বক্তব্য, ডিসিআরের কাউন্টারের সংখ্যা না বাড়ানোর কারণে মনোনয়ন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। শাসক দলের নির্দেশে প্রশাসন এসব করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় সহ মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক নির্মল ঘোষ সহ একাধিক জেলা নেতৃত্ব বৈঠকে বসেন। প্রার্থী নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, বারাকপুর-১ এবং বারাকপুর-২ ব্লকে মোট ১৪টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এক একটি বুথের জন্য জেলা নেতৃত্বের কাছে একাধিক নাম জমা পড়েছিল। সেই তালিকা রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো হয়েছে। তবে, সেখান থেকে কোনও সবুজ সংকেত না আসায় জেলা নেতৃত্ব প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করতে পারেনি। ফলে, মনোনয়ন জমা দেওয়ার তৃতীয় দিনেও তৃণমূলের কোনও প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা করতে পারল না। বিলকান্দা-১ পঞ্চায়েত এলাকার এক তৃণমূল কর্মী বলেন, বহুদিন ধরেই প্রার্থী তালিকা নিয়ে প্রস্তুতি চলছে। মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়ও শেষ হতে চলল। কবে, প্রার্থী চূড়ান্ত করবে আমরা বুঝতে পারছি না। এলাকায় প্রচারও করতে পারছি না। এই বিষয়ে জেলা নেতৃত্বের উদ্যোগ গ্রহণ করার দরকার। তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, “প্রার্থী তালিকা তৈরি রয়েছে। রাজ্য নেতৃত্বের কাছে পাঠানো রয়েছে। সেখান থেকে সবুজ সংকেত মিললেই আমরা তালিকা ঘোষণা করব। এক বা দুদিনের মধ্যেই সমস্ত কিছু হয়ে যাবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    Panchayat Election: নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে। নবজোয়ার কর্মসূচির মাধ্যমে রাজ্য জুড়ে প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এমনই দাবি তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের। কিন্তু, সেই দাবি যে একেবারেই ভিত্তিহীন তা প্রমাণ হয়ে গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল ব্লকের দেওয়ানচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। তাঁদের বক্তব্য, বুথের কর্মীদের মতামত না নিয়েই তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। সেই প্রার্থী পছন্দ নয়। তাই নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন জমা দিলেন ৮ জন তৃণমূল কর্মী।

    কী বললেন নির্দল প্রার্থীরা?

    একাধিকবার ব্লক নেতৃত্ব থেকে শুরু করে জেলা নেতৃত্ব এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানানো হলেও প্রার্থী তালিকাতে বিস্তর ফারাক। ঘাটাল ব্লকের দেওয়ানচক-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ে বুথের তৃণমূল কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই,  তৃণমূল কর্মীরা দল বেঁধে সোমবার ঘাটাল বিডিও অফিসে গিয়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন। দেওয়ানচক ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের নলগেড়িয়া, রঘুনাথপুর, চকসাদি গ্রামের নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দেওয়া প্রার্থীদের বক্তব্য, আমরা দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল করছি। এমনকী অঞ্চলের একাধিক পদের দায়িত্ব সামলেছেন অনেকেই। কিন্তু, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমাদের কথা না শুনে তৃণমূলের ব্লকস্তরের নেতা কর্মীরা তাঁদের খেয়াল খুশি মতো প্রার্থী বাছাই করেছে। তাই, এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের পঞ্চায়েতে মোট ১৯টি আসন রয়েছে। আপাতত ৮টি আসনে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আরও প্রার্থী দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ঘাটাল সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিষ হুতাইত বলেন, দলগতভাবে আমাদের মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়নি। যারা নির্দল হিসেবে মনোনয়ন জমা দিয়েছে তারা আদৌ তৃণমূল করে কি না তা আমরা জানি না। ফলে, ওরা কী অভিযোগ করল তা নিয়ে আমরা চিন্তিত নই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: ” চোর চোর বলে ডাকে”, ডাকযোগে বার্তা পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য

    TMC: ” চোর চোর বলে ডাকে”, ডাকযোগে বার্তা পাঠিয়ে তৃণমূল ছাড়লেন ৪ জন পঞ্চায়েত সদস্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাস্তায় বের হলে চোর চোর বলে ডাকে। চায়ের দোকানে, বাজারেও গেলেও কথা শুনতে হয়। নেতৃত্ব দুর্নীতিগ্রস্তদের প্রশ্রয় দিচ্ছে।” শাসকদল সম্পর্কে এমনই মন্তব্য করলেন উত্তর দিনাজপুর রায়গঞ্জ ব্লকের ৪ নম্বর বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) চারজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য। অভিমানে তাঁরা তৃণমূল ছাড়লেন। সোমবার  অভিনব কায়দায় তাঁরা তৃণমূল দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন। এদিন তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সমস্তরকম সম্পর্ক ত্যাগ করার পাশাপাশি তাঁদের কাছে থাকা দলের সমস্ত ফ্ল্যাগ,ফেস্টুন তাঁরা ডাকযোগে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পাঠিয়ে দেন। তৃণমূল কংগ্রেস ত্যাগ করলেও তারা অন্য রাজনৈতিক দলে যোগদান করছেন না বলে জানিয়েছেন। তবে ওই পঞ্চায়েতে নির্দল হিসেবে নির্বাচনে লড়াই করার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল অবশ্য তাদের দলে থেকে যাবার ব্যাপারে বোঝানো হবে বলে জানিয়েছেন।

    কী বললেন দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা?

    জানা গিয়েছে, বিগত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রায়গঞ্জ ব্লকের বিন্দোল গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ টি আসনের মধ্যে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস ৭ টিতে জয়ী হয়েছিল। পরবর্তীতে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনসুর আলির উদ্যোগে কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। মনসুর আলির স্ত্রী লায়লা খাতুন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার বছরখানেক পর তাঁর বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ তছরুপ করার অভিযোগ ওঠার পর দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁকে ওই প্রধান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকেই দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রধান ও তাঁর কয়েকজন অনুগামী পঞ্চায়েত সদস্যের দূরত্ব বাড়তে থাকে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান চারজন সদস্য লায়লা খাতুন, মলয় সরকার, রুপো জালি ও উৎপলা বর্মন  প্রচুর সংখ্যক দলীয় কর্মী সমর্থক নিয়ে রায়গঞ্জের মুখ্য ডাকঘরে এসে তাদের কাছে থাকা দলীয় পতাকা, ফেস্টুন  খামে ভরে উত্তর দিনাজপুর জেলা সভাপতি কানাইলাল আগরওয়ালার ঠিকানায় পাঠিয়ে দেন। দলত্যাগী পঞ্চায়েত সদস্যরা বলেন, আমরা একনিষ্ঠ দলীয় কর্মী হওয়া সত্ত্বেও বেশ কিছুদিন ধরে দলীয় নেতৃত্ব আমাদের প্রাপ্য  সম্মান দিচ্ছে না। এলাকার কোনও উন্নয়নমূলক কাজে আমাদের সিদ্ধান্তের মর্যাদা দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতে একাধিক দুর্নীতি নিয়ে আমরা দলীয় নেতৃত্বের কাছে অভিযোগ জানালেও তা আমল দেওয়া হয়নি।এর প্রতিবাদেই আমরা এদিন দলের সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করলাম। দলত্যাগী এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা মনসুর আলি জানিয়েছেন,” পাড়ায়, গ্রামে, চা এর দোকানে তাদের প্রতিনিয়ত “চোর ” বলে সম্বোধন করা হয়। নেতৃত্বকে বারবার জানিয়েও কোনও লাভ হয় নি। এলাকার দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের প্রশ্রয় দেওয়ার জন্য দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভেই আমরা এদিন দলত্যাগ করেছি।তবে দলের প্রতীক ও পতাকার প্রতি আমাদের সন্মান রয়েছে।এগুলো যত্রতত্র পড়ে থাকার থেকে ফ্ল্যাগ,ফেস্টুনগুলির যাতে অবমাননা না হয়, সেই কারনেই আমরা সেগুলো ডাকযোগে এদিন জেলা সভাপতির কাছে পাঠিয়ে দিচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, ” ছোটখাটো মানঅভিমান থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া যায়। আমি তাদের দলত্যাগ না করারই কথা বলবো। তবে দলীয় পতাকার অবমাননা না হওয়ার জন্য তাঁরা যে ফেরত পাঠিয়েছে, এটা প্রশংসার। “

    তৃণমূলে (TMC) ভাঙন ধরাল বিজেপি

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে রায়গঞ্জ ব্লকের ৬ নম্বর রামপুর অঞ্চলে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি। সোমবার এই পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মলয় সরকার সহ একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে। এদিন জেলা বিজেপির কার্যালয়ে মলয় বাবু প্রায় ৩০০ জন অনুগামী নিয়ে দলবদল করলেন। সদ্য বিজেপিতে যোগদানকারি মলয় সরকার বলেন, তৃণমূল দলে ক্রমশ দুর্নীতি বেড়ে চলেছে। এই পঞ্চায়েতের অধীনেও প্রচুর দুর্নীতি হয়েছে। সেই দুর্নীতি মুক্ত করে স্বচ্ছ পঞ্চায়েত গড়তেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। এই যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন শিলিগুড়ির বিধায়ক শংকর ঘোষ, উত্তর দিনাজপুর জেলার জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    TMC: পুলিশের গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যার হুমকি তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরনো মামলায় একজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে এসে তুমুল বিক্ষোভের মুখে পুলিশ। দীর্ঘক্ষণ গ্রামের মধ্যে পুলিশকে আটকে রাখা হয়। আর এসবের নেতৃত্ব দেন তৃণমূলের (TMC) গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান। পুলিশের চলন্ত গাড়ির সামনে শুয়ে পড়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন তিনি। এমনকী আরামবাগ থানার আইসি-র পা জড়িয়ে ধরেন তিনি। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলার পূর্ব কৃষ্ণপুর এলাকায়। শাসক দলের প্রধানের এই রূপ দেখে সকলেই হতবাক।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    শনিবার গভীর রাতে আরামবাগের হরিণখোলার ফড়িংখলার পূর্ব কৃষ্ণপুর  এলাকায় শেখ বাবুসোনা নামে একজনের বাড়িতে পুলিশ হানা দেয়। তার নামে পুলিশের খাতায় অভিযোগ রয়েছে। পুরনো মামলায় তাকে গ্রেফতার করতে পুলিশ হানা দেয়। বাবুসোনা হরিণখোলা ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান শেখ আব্দুল আজিজ খাঁ ওরফে শেখ লাল্টু খানের অনুগামী হিসেবে পরিচিত। দরজা খুলে ঢোকার পর বাবুসোনার স্ত্রী এবং মায়ের সঙ্গে অভব্য আচরণ করে পুলিশ। এমনই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। দীর্ঘক্ষণ স্থানীয় ফাঁড়ির ইনচার্জ সহ পুলিশ কর্মীদের গ্রামের মধ্যে আটকে রাখা হয়। পরে, আরামবাগ থানার আইসি-র নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মহিলাদের উপর নির্যাতন চালানোর অভিযোগ তুলে বিচারের আশায় আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের গাড়ির সামনে হরিণখোলা-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাল্টু খান শুয়ে পড়েন। থানার আইসি-র পা চিপে ধরেন তিনি। গাড়ির চাকার সামনে শুয়ে আত্মহত্যা করার হুমকি দিতে থাকেন। পরে প্রধানকে বুঝিয়ে ফাঁড়ির ইনচার্জকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান?

    হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) প্রধান লাল্টু খান বলেন, বাবুসোনার বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করুক। কিন্তু, সে বাড়়িতে ছিল না। বাড়িতে মহিলারা ছিল। লেডি কনস্টেবল ছাড়াই আরামবাগ থানার পুলিশ অর্থাৎ হরিণখোলা ক্যাম্পের অফিসার ইনচার্জ মদ্যপ অবস্থায় পুলিশ নিয়ে বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের ওপর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদের শ্লীলতাহানি করা হয়েছে। এই অন্যায়ের সুবিচারের দাবিতে ফাঁড়ির ইনচার্জ শংকর কোলেকে এলাকার মানুষ আটকে রাখেন। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমার সামনে পুলিশ নির্যাতন চালিয়েছিল। আমি মেনে নিতে পারিনি। তাই, পুলিশের গাড়ির নিচে শুয়ে আমি আত্মহত্যার হুমকি দিয়েছিলাম। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়ন শুরু হতেই ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে যোগ দিলেন সংখ্যালঘু নেতা

    BJP: মনোনয়ন শুরু হতেই ভাঙন তৃণমূলে! বিজেপিতে যোগ দিলেন সংখ্যালঘু নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন পর্ব শুরু হতেই ভাঙন শাসক দলে। রবিবার মেদিনীপুর জেলার ভগবানপুরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল বেশ কিছু পরিবার। এরা প্রত্যেকেই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বলেই জানা গেছে। বিজেপি (BJP) এতদিন বলে এসেছে, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে শুধু ভোটার হিসেবেই ব্যবহার করেছে তৃণমূল। এদিন এই কথারই প্রতিধ্বনি শোনা গেল যোগদানকারীদের কণ্ঠেও।

    জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতে থেকে হয় এই যোগদান কর্মসূচি

    জেলার ভগবানপুর-২ ব্লকের জুখিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলেন জুখিয়া অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সভাপতি শেখ রমজান আলি। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কিছু পরিবার এদিন হাজির ছিল যোগদান কর্মসূচিতে। তাঁদের হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দেন ভগবানপুর বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তৃণমূল ছেড়ে সংখ্যালঘু মানুষজনের বিজেপিতে যোগদানের মাধ্যমে পঞ্চায়েত ভোটের মুখে কিছুটা হলেও চমক দিল বিজেপি। যদিও এই নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    আরও পড়ুন: “তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র হোম ডেলিভারি দেওয়া হচ্ছে”, আক্রমণ শুভেন্দুর

    কী বললেন যোগদানকারী তৃণমূল নেতা?

    এদিন শেখ রমজান বলেন, ‘‘১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল দল করতাম। কিন্তু দলটাতে আজ আর দুর্নীতি ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই।’’ রাজনৈতিক সন্ত্রাস নিয়েও এদিন রমজান সরব হন তাঁর পুরনো দলের বিরুদ্ধে। তাঁর মতে, ‘‘গরিব মানুষদের ওপর তৃণমূল যে সন্ত্রাস করেছে তা এর আগে কখনও দেখা যায়নি। এই জেলায় একাধিক গরিব মানুষের বাড়ি লুঠ, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ করেছে তৃণমূল। বিজেপিই একমাত্র মানুষের কথা ভাবে। বিজেপিতে থেকে সাধারণ মানুষের কাজ করব।’’

    কী বললেন এলাকার বিজেপি (BJP) বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি?

    রবীন্দ্রনাথ মাইতি এদিন বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংখ্যালঘুদের শুধু ভোটার হিসেবেই দেখেন। রাজ্যে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের কোনও উন্নয়ন হয়নি।’’

    আরও পড়ুুন: পাহাড়়ে চাপে তৃণমূল! পঞ্চায়েতে মহাজোটের পথে বিজেপি

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    Abhishek Banerjee: ঠাকুরনগরে তুমুল বিক্ষোভ মতুয়াদের, অভিষেককে গো-ব্যাক স্লোগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় মতুয়ারা ছিলেন তৃণমূলের ভোট ব্যাঙ্ক। গত লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন মতুয়ারা। গত বিধানসভাতেও মতুয়াদের আস্থা ফিরে পায়নি তৃণমূল। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে হারানো মাটি ফিরে পেতে মরিয়া চেষ্টা চালান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। কিন্তু মতুয়াদের পীঠস্থান ঠাকুরনগরে এসে অভিষেককে কার্যত মুখ ঝামটা খেতে হল। মন্দিরে ঢোকার আগেই তুমুল বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। অভিষেককে ঠাকুরবাড়িতে ঢুকতেই দেওয়া হবে না বলে স্লোগান তোলেন মতুয়ারা। শুধু তাই নয়, অভিষেক আসতেই তাঁর সামনে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখান মতুয়ারা। কালো পতাকা দেখানো হয়। কার্যত বিক্ষোভের জেরে অভিষেক মতুয়াদের মন্দিরে ঢুকতে পারেননি। মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে, মূল মন্দিরে পুজো না দিয়েই অভিষেককে ফিরতে হয়।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    তৃণমূলে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি নিয়ে রবিবার ঠাকুরনগরে আসার কথা ছিল অভিষেকের (Abhishek Banerjee)। তার আগে পাল্টা প্রস্তুতি নিয়েছিল অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘ। মতুয়াদের আরাধ্য হরিচাঁদ ও গুরুচাঁদ ঠাকুরের নাম বিকৃতভাবে উচ্চারণ করার জন্য আজও মুখ্যমন্ত্রী ক্ষমা না চাওয়ায় ঠাকুরবাড়িতে অভিষেক পুজো দিতে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মতুয়ারা। অভিষেক আসার আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে ‘ধিক্কার’ পোস্টারেও ছেয়ে গিয়েছিল ঠাকুরবাড়ি এলাকা। এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ ঠাকুরনগরে পৌঁছয় অভিষেকের কনভয়। ঠাকুরবাড়ির সামনেই অনুগামীদের নিয়ে হাজির ছিলেন বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সঙ্গে ছিলেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া। অভিষেক ঠাকুরবাড়িতে পৌঁছতেই শান্তনু মূল মন্দিরের দরজা ভিতর থেকে বন্ধ করে দেন বলে অভিযোগ। বাইরে তৃণমূল কর্মী এবং মতুয়া ভক্তদের মধ্যে বচসা বেধে যায়। পুলিশের সামনেই ভেঙে ফেলা হয় তোরণ। অভিষেককে দেখে চোর, চোর স্লোগান ওঠে। কালো পতাকা দেখানো হয়। আর মতুয়াদের তুমুল বিক্ষোভের জেরে হরিচাঁদ ঠাকুরের স্মৃতিবিজড়িত মন্দিরে আর প্রবেশ করা হয়নি অভিষেকের। সেই সময় আগাগোড়াই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশে ছিলেন প্রয়াত কপিলকৃষ্ণ ঠাকুরের পত্নী তথা প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ মমতাবালা ঠাকুর। বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষার পরে পাশেই অন্য একটি মন্দিরে পুজো দেন অভিষেক।

    কী বললেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

    মন্দিরে ঢুকতে না পেরে মমতাবালাকে পাশে নিয়েই ক্ষোভ উগরে দেন অভিষেক। তিনি (Abhishek Banerjee) বলেন, ‘‘আমার কোনও কর্মসূচি ঠাকুরনগরে ছিল না। ছিল ২০ কিলোমিটার দূরে হাবড়ায়। আমি এখানে এসেছিলাম পুজো দিতে। কিন্তু দরজা বন্ধ করে আমাকে পুজো দিতে দেওয়া হল না। বিজেপি ও শান্তনু ঠাকুর মিলে এই কাজ করেছে। আমি তার জবাব দেওয়ার দায়িত্ব এখানকার জনগণকে দিয়ে রাখলাম।’’ একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ঠাকুরবাড়ি কারও একার সম্পত্তি নয়।’’

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    শান্তনুর মন্তব্য, ‘‘মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত হলে প্রতিবাদ তো হবেই। তবে, বিজেপি নয়, যা করেছে মতুয়ারা করেছে। মতুয়ার নাটমন্দিরে কেন পুলিশ? গোবরজলে শোধন হবে মন্দির।” তবে, তিনি নিজে উদ্যোগী হয়ে নাটমন্দির থেকে সমস্ত পুলিশকে সরিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    Anubrata Mondal: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে ধৃত অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহার জেলে রয়েছেন। অনুব্রতহীন (Anubrata Mondal) পঞ্চায়েত নির্বাচন হতে চলেছে বীরভূমে। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই জেলার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন। জেলায় কোর কমিটি গঠন করে সংগঠন মজবুত করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, এসব করার পরও অনুব্রতের গড়ে তৃণমূলের বড়সড়় ভাঙন ধরাল বিজেপি। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ুরেশ্বর- ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে। এর আগেও এই জেলায় তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে একের পর এক দলত্যাগের ঘটনায় এই জেলায় ফের অস্বস্তিতে শাসক দল।

    বিজেপিতে কারা যোগ দিলেন?

    ময়ুরেশ্বর- ১ নম্বর ব্লকের দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই তৃণমূলে ভাঙন ধরবে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল। মূলত, এই এলাকায় পঞ্চায়েতে প্রার্থী হওয়া নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে। দলের পক্ষ থেকে যাদের প্রার্থী করা হয়েছে, দলের অন্য পক্ষ তাঁদের মেনে নিতে পারছে না। প্রকাশ্যে বিদ্রোহ ঘোষণা করছে। এদিন দক্ষিণগ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান শিউলি দে-এর নেতৃত্বে প্রায় ৩০০ জন কর্মী ও সমর্থক বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে শিউলি দে বলেন, তৃণমূল চোরের দল। এই দল আর করা যায় না। তাই কয়েকশো কর্মী, সমর্থক নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলার আহ্বায়ক অর্জুন সাহা বলেন, অনুব্রত (Anubrata Mondal) এখন জেলে। জেলায় তৃণমূলের এখন ছন্নছাড়া অবস্থা। এই এলাকায় আমাদের সংগঠন মজবুত। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূলের প্রধান সহ বহু কর্মী, সমর্থক আমাদের দলে যোগ দেওয়ায় সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    মাইক হাতে রাস্তায় নেমে কী বার্তা দিলেন তৃণমূল বিধায়ক?

    এতদিন পর বিরোধীদের কথা মনে পড়ল শাসক দলের বিধায়কের! ২০১৩, ২০১৮ সালে লাভপুর বিধানসভা এলাকায় পঞ্চায়েত বিরোধী শূন্য ছিল। শাসক দলের বিরুদ্ধে বিজেপি সহ বিরোধীরা কেউ প্রার্থী দিতে পারেনি। বলা ভালো, প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। সেই লাভপুরে কি না তৃণমূল বিধায়ক অভিজিত্ সিংহ রবিবার মাইক হাতে নিয়ে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছেন। শাসক দলের নেতার এই ভিজে বিড়ালের মতো পাল্টি খাওয়া দেখে এলাকার লোকজনও হাসাহাসি শুরু করেছেন। অনেকে আড়ালে আবডালে বলতে শুরু করেছেন, কেষ্ট (Anubrata Mondal) এখন জেলে। বিপাকে পড়ে বিধায়ক এখন এই ভেক ধারণ করেছেন। তৃণমূল বিধায়ক বলেন, বিরোধীরা যেন মনোনয়ন জমা দেয়। মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় যদি তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মী বাধা দেয় বা আটকানোর চেষ্টা করে, সেক্ষেত্রে সেই কর্মী বা সমর্থকদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তেমনি প্রশাসনও কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে,” সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    Panchayat Election: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে,” সরব তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলা জুড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। সব রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে মনোনয়ন জমা দেওয়া শুরু হয়েছে। শাসক দলের প্রার্থীরাও মনোনয়নপত্র জমা করা শুরু করেছেন। আর তৃণমূল প্রার্থীদের মনোনয়ন জমা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই জেলার মাল মহকুমার ক্রান্তি ব্লকে গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্য চলে এসেছে। শনিবার বিডিও অফিসের সামনে তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মেহেবুব আলমের নেতৃত্বে বিক্ষোভ দেখানো হয়। পরে, পুলিশ গিয়ে বিক্ষোভ সামাল দেয়।

    ঠিক কী অভিযোগ তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতির?

    তৃণমূলের ক্রান্তি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি মেহবুব আলম বলেন, যোগ্য প্রার্থীদের পরিবর্তে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) টাকার বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। আর এসবই করছেন বর্তমান তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি মহাদেব রায়। তিনি বৈষম্যের রাজনীতি করছেন। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সবসময় স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন যোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন। আর সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বর্তমান ব্লক সভাপতি প্রকৃত যোগ্য প্রার্থীদের ব্রাত্য করে রেখে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্য প্রার্থীদের টিকিট দিচ্ছেন। দলের কারও সঙ্গে আলোচনা না করেই তিনি একাই সিদ্ধান্ত নিয়ে এসব কিছু করছেন। বিরোধীদের সুবিধা করে দেওয়ার লক্ষ্যেই তিনি এসব করছেন। এসব বন্ধ না হলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) তৃণমূল কংগ্রেসের ভরাডুবি হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের বর্তমান ব্লক সভাপতি?

    এবিষয়ে বর্তমান ব্লক সভাপতি মহাদেব রায় বলেন, আমার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। তবে, তাঁর যদি কোনও বক্তব্য থাকে সেটা আমাদের কাছে বলতে পারতেন। এভাবে সংবাদ মাধ্যমের কাছে খোলাখুলি এসব কিছু বলে তিনি দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন। টিকিট দেওয়ার বিষয়ে আমার কোনও হাত নেই। ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব এটা ঠিক করবেন। এদিকে পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মুখে  প্রাক্তন ও বর্তমান ব্লক সভাপতির একে অপরকে আক্রমণের  ঘটনায় রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়েছেন দলের সাধারণ কর্মীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মনোনয়নে বাধা! তৃণমূলের হামলায় আক্রান্ত বিজেপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    BJP: মনোনয়নে বাধা! তৃণমূলের হামলায় আক্রান্ত বিজেপি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দ্বিতীয় দিন শনিবার আবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল আসানসোলের বারাবনি ব্লকের বিডিও অফিস চত্বর। শনিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় অশান্তির ঘটনা ঘটে। বিডিও অফিসের কাছে দোমহানি বাজার এলাকায় ডিসিআর তোলায় বিজেপির (BJP) নেতা ও কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। হামলার ঘটনা দেখে এলাকার বাসিন্দারা রুখে দাঁড়ালে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় বিজেপি (BJP) কর্মী স্বপন রায় এবং বিজেপির মণ্ডল সভাপতি প্রতীক গড়াই জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তৃণমূলীদের হামলায় সিপিএম কর্মীরাও আক্রান্ত হন।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেতা?

    আক্রান্ত বিজেপির মণ্ডল সভাপতি প্রতীক গড়াই বলেন, হামলাকারীদের মধ্যে একজন বারাবনি থানার সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। বাকিদের বেশিভাগের মুখ কাপড় দিয়ে ঢাকা ছিল। প্রত্যেকের হাতে লাঠি ও বাঁশ ছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রথমে আমাদের বিডিও অফিসে ঢুকতে বাধা দিয়েছিল। কিছুটা জোর করে আমরা বিডিও অফিসের ভিতরে যাই। সেখানে একটা করে ডিসিআর কাটতে বলা হয়। ডিসিআর কাটার পর বাইরে আসতে পারছিলাম না। বারবার বলার পরে পুলিশের সাহায্য বাইরে বের হয়। তারপর চোমহানি বাজারে আমাদের উপর হামলা চালানো হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মনোনয়নে বাধা এবং বিজেপি (BJP) কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব বারাবনির মাজিয়ারা মোড়ে রাস্তা অবরোধে সামিল হন।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএমের বারাবনি এরিয়ার সম্পাদক তপন দাস বলেন,  দলের কর্মীরা ডিসিআর কাটতে গেলে আটকানো হয়। দলীয় কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় তিনজন কর্মী জখম হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, তৃণমূল আমাদের দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। তাই ওরা আমাদের মনোনয়নে বাধা দিয়েছে। আমাদের দাবি, দলের নেতা ও কর্মীদের মারধরের সঙ্গে যারা যুক্ত রয়েছে তাদের গ্রেফতার করতে হবে। আমরা পুলিশকে সময় দিলাম। সোমবার আমরা আবারও মনোনয়ন জমা দিতে যাব। পুলিশকে বলছি, সেদিন কিছু হলে আমরা আরও বড় আন্দোলন করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের বারাবনি ব্লকের সভাপতি অসতি সিং বলেন, বিরোধীরা ৩৫টি ডিসিআর কেটেছে। আমরা বাধা দিলে বা হামলা করলে এটা কি সম্ভব ছিল? আসলে বিজেপির (BJP) কোনও সংগঠন নেই। নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে ওরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share