Tag: tmc

tmc

  • Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    Madan Mitra: না জানিয়ে হানা দিলে সিবিআই, ইডিকে রাস্তায় আটকে রাখা হবে, হুমকি মদনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন কয়েকের মধ্যে এ রাজ্যে কি কোনও বড়মাপের চমকপ্রদ ঘটনা ঘটতে চলেছে? সম্প্রতি দিল্লি থেকে আগত পদস্থ সরকারি কর্তাদের কলকাতায় আনাগোনা দেখে তেমনটাই মনে করছে রাজনৈতিকমহল। তাহলে কি এ রাজ্যে দুর্নীতির মাথার খোঁজ পাওয়া গিয়েছে? এসব নিয়ে যখন রাজ্যজুড়ে চর্চা চলছে তখন ইডি, সিবিআইকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিলেন কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে বুধবার রাজ্যজুড়ে একাধিক পুরসভায় সিবিআই হানা দেয়, আর সেদিনই বরানগরে দলীয় সভায় যোগ দিয়ে মদনের সিবিআই, ইডিকে কড়া বার্তা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন কামারহাটির বিধায়ক (Madan Mitra)?

    পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর মদনকে সেভাবে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছিল না। এমনকী কয়েকদিন আগেই ব্যারাকপুর সাংগঠনিক জেলা অফিসের বৈঠকে অধিকাংশ বিধায়ক, মন্ত্রী হাজির থাকলেও মদন (Madan Mitra) গরহাজির ছিলেন। যা নিয়ে দলের মধ্যে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল। কারণ, পিজি হাসপাতালের ঘটনার পর তিনি সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। তাঁদের ভূমিকা নিয়ে তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে দলের অন্দরে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। দলের সঙ্গে মদনের দূরত্ব বাড়়ছে বলেও গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। যদিও সে সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে বরানগরে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেন মদন। বক্তব্য রাখতে গিয়ে ইডি, সিবিআইকে নিশানা করেন তিনি। তিনি বলেন, “কোথায় যাচ্ছেন, তৃণমূলকে আগে থেকে না জানালে রাস্তায় আটকে যেতে পারেন। এমন সভা হবে ট্রাফিক ক্লিয়ারেন্স পাবে না ইডি, সিবিআই। তাপসকে (বরানগরের বিধায়ক তাপস রায়) বলব সিজিও কমপ্লেক্স, ইডি অফিসে একটি চিঠি দিয়ে দিতে। অভিষেকের বাড়িতে একটি অফিস রয়েছে।” সিবিআই, ইডি আধিকারিকদের উদ্দেশে বলেন,” কোথায় যাচ্ছেন তা চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেবেন। নাহলে এমন সভা করব যে যাওয়ার রাস্তা পাবেন না। কাকে ভয় দেখাচ্ছেন? আমাকে ২৩ মাস আটকে রেখেছিলেন। আমার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ আনলেন, বাহুবলী, প্রভাবশালী, ক্ষমতাশালী। এসব উপমা তো হনুমানকে দেওয়া হয়। এরপর অভিষেকের নবজোয়ারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, নবজোয়ার কার্যত জনজোয়ারে পরিণত হয়ে গিয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ! অনশনে তৃণমূল কাউন্সিলার

    Siliguri: দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে তোলাবাজির অভিযোগ! অনশনে তৃণমূল কাউন্সিলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) নিয়ন্ত্রিত বাজারের দখলদারি তথা তোলাবাজি নিয়ে তৃণমূলের কাজিয়া চরমে। আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং (সমতল) জেলা কমিটির বিরুদ্ধে তোলাবাজি ও রাজ্য সরকারের প্রশাসনের বিরুদ্ধে অব্যবস্থার অভিযোগে অনশন বসেছেন তৃণমূলেরই নেতা তথা শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপ বর্মন।

    কেন অনশনে তৃণমূল নেতা?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) পুরসভার মেয়র পারিষদ সদস্য দিলীপ বর্মনের অভিযোগ, শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে ভিন রাজ্যের  শ্রমিক নিয়োগ করে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলছেন আইএনটিটিইউসির জেলা সভাপতি নির্জল দে ও তাঁর লোকজন। তাঁরা অন্যায়ভাবে পুরনো শ্রমিক ছাঁটাই করছেন। এর পাশাপাশি  বাজারে অবৈধ নির্মাণ ও চূড়ান্ত অব্যবস্থা চলছে। তিনি বলেন, নিয়ন্ত্রিত বাজার কমিটি থেকে শুরু করে প্রশাসনের শীর্ষকর্তাদের জানিয়েও এখানকার অনিয়ম বন্ধ করা যায়নি। তাই এবার অনশনে বসেছি। দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অনশন চলবে। বুধবার বিকেল থেকে আইএনটিটিইউসির ব্যানারে তিনি এই অনশন মঞ্চে বসেছেন।

    কী বলছে প্রশাসন?

    শিলিগুড়ি (Siliguri) রেগুলেটেড মার্কেটের সরকারি কমিটির সচিব তমাল দাস বলেন, দিলীপ বর্মন ও তাঁর লোকেরা বাজারে অবৈধ নির্মাণ, স্টল বন্টনে অনিয়ম নিয়ে যে অভিযোগ করেছেন তার কোনওটাই ঠিক নয়। আর শ্রমিক নিয়োগ স্টল মালিকের ইচ্ছেতেই হবে। সরকার কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। আইএনটিটিইউসির দুই গোষ্ঠীর বিবাদ থেকেই এটা হচ্ছে। সরকারি জমিতে অনশন মঞ্চ করা হয়েছে। কিন্তু রেগুলেটেড মার্কেট কমিটির কোনও অনুমতি দিলীপ বর্মনদের কাছে নেই। অনশনে বসার ব্যাপারে তিনি আমাদের চিঠি দিয়েছিলেন। কিন্তু আমরা কোনও অনুমতি দিইনি। এতে অভিযোগ উঠেছে, দিলীপ বর্মন নিজের মর্জি মতো তৃণমূলের প্রভাব খাটিয়ে অবৈধভাবে অনশন মঞ্চ করেছেন।

    কী বললেন আইএনটিটিইউসি নেতৃত্ব?

    আইএনটিটিইউসি-র দার্জিলিং জেলা (সমতল) সভাপতি নির্জল দে বলেন, দিলীপ বর্মন আইএনটিটিইউসির কেউ নন। তিনি যে অভিযোগ করেছেন, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এই বাজারের দখল নিতেই তিনি এসব করছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার! বালি পাচারে অভিযুক্ত খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    TMC: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ থোড়াই কেয়ার! বালি পাচারে অভিযুক্ত খোদ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা সফরে গিয়ে নদীর ধার থেকে বালি না তোলার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বার বার নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে তৃণমূলের (TMC) একজন অঞ্চল সভাপতি অবাধে বালি তুলছেন বলে অভিযোগ। রীতিমতো গাড়ি করে কয়েকদিন ধরেই এই বালি তোলা চলছিল। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার ধাদকিডাঙ্গা এলাকায়। অবাধে বালি তুলে তা ট্রাক্টরে করে পাচারের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) ওই অঞ্চল সভাপতির বিরুদ্ধে। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় বাসিন্দারা বালি বোঝাই ওই ট্রাক্টর আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    বাঁকুড়ার তালডাংরা ও সিমলাপাল ব্লকের মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে জয়পণ্ডা নদী। এই নদীতে ধাদকিডাঙ্গা এলাকায় কোনও বৈধ বালি খাদান নেই। সম্প্রতি  সেই নদীর ধার থেকেই অবৈধভাবে বালি তুলে ট্রাক্টরে করে অন্যত্র পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। আর বেআইনি এই কারবারে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC)  সিমলাপাল ব্লকের মণ্ডলগ্রাম অঞ্চলের অঞ্চল সভাপতি অর্ধেন্দু সিংহ মহাপাত্রর বিরুদ্ধে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এক সপ্তাহ ধরে এই বালি পাচার চলছিল। বিষয়টি নজরে আসতেই স্থানীয় ধাদকিডাঙ্গা গ্রামের মানুষ বালি বোঝাই ট্রাক্টরটিকে আটক করে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। পরে সিমলাপাল থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালক সহ ট্রাক্টরটিকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। নিজের দলীয় পদের প্রভাব খাটিয়েই সম্পূর্ণ অবৈধভাবে এই বালি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) অঞ্চল সভাপতি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিব্যেন্দু সিংহ মহাপাত্র বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। ব্লক নেতৃত্ব আমাকে কিছু জানায়নি। বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। এই ঘটনা সত্যি হয়ে থাকলে তা পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের ভাবমূর্তির ক্ষেত্রে ক্ষতিকারক হবে।

    বালি পাচার নিয়ে সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    বিজেপি নেতা তথা সিমলাপাল পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেতা শিশির দত্ত বলেন, এই বালি পাচারের সঙ্গে তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব ও প্রশাসনের একাংশ যুক্ত রয়েছে। ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষী ব্যক্তির শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    Murshidabad: হাইকোর্টের নির্দেশে ৫টি বুলডোজার দিয়ে ভাঙা হল তৃণমূল বিধায়কের পার্টি অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হাইকোর্টের নির্দেশে বড়ঞায় তৃণমূলের পার্টি অফিস ভেঙে দিল জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলার বড়ঞা ব্লকের অন্তর্গত আফ্রিকা হিমঘর মোড় সংলগ্ন এলাকায় বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার দলীয় কার্যালয় ছিল বলে সূত্রে জানা গেছে। অবশেষে তা ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন। সবটাই আইন মেনে, প্রশাসনের উপস্থিতিতে হয়েছে। যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের দাবি, এই অবৈধ ভবন তৃণমূলের কার্যালয় ছিল না। 

    মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) অভিযোগ কী ছিল?

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য, বড়ঞায় আফ্রিকা মোড়ে এই ভবনটি মূলত তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়, যা বেআইনিভাবে পূর্ত দফতরের (Murshidabad) সরকারি জায়গায় তৈরি হয়েছিল। এই অবৈধ নির্মাণের বিষয়কে সমানে রেখে স্থানীয়রা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ দায়ের করার পর মামলা হয়। এরপর কোর্টের রায় ঘোষণা হলে বেআইনি তৃণমূল ভবনটি ভাঙা হয়। বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা বেআইনিভাবে এখানে তৃণমূলের পার্টি অফিস গড়ে তুলেছিলেন বলে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন। বর্তমানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে এই তৃণমূল বিধায়ক জেলে রয়েছেন। বিধায়কের অফিস ভাঙাকে ঘিরে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ভাঙা হয়েছে?

    গত ২৪ মে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল এই অবৈধ ভবনটি ভাঙার জন্য! সেই মতো ভাঙার কাজ শুরু হয়েছিল। কিন্তু ভবন ভাঙার জন্য আইনি জটিলতায় পড়তে হয়েছিল স্থানীয় প্রশাসনকে। এমনকী কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েও রক্ষা হয়নি ভবন নির্মাণকারীর আবেদন। অবৈধ এই নির্মাণটি বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় ৫ টি বুলডুজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল। যদিও বড়ঞা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, এটি কোনও দলীয় কার্যালয় ছিল না, তবে এখানে দলের বিভিন্ন অনুষ্ঠান হত। পাশাপাশি তৃণমূলের দাবি, দলের কার্যালয় বলে বদনাম করার চেষ্টা করছে বিরোধীরা। অন্যদিকে বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অবৈধ নির্মাণ এবং ভেঙে ফেলার বিষয় থেকে নিজেরা রক্ষা পেতে, তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা বলেছেন, অবৈধ ভবনটি দলীয় কার্যালয় নয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জনজোয়ার সভার তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। এই জেলার আরামবাগ, পোলবা এবং বলাগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনজোয়ার কর্মসূচি পালন করছেন। ইতিমধ্যেই এই জেলার তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। আর তাই, এই সুযোগে বিজেপির মহা জনসম্পর্ক যাত্রা চলাকালীন তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদ সুকান্ত মুজমদার (BJP) জনসম্পর্ক অভিযানে চুঁচুড়ার কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আরামবাগে জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! যারা টাকা কালেকশন করে পৌঁছে দেবে, তারা এখন জেলে। অভিষেকের ট্রাক্টরে করে রোড শো করাকে কটক্ষ করেন তিনি। বলেন, তৃণমূলের জেলা জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও হয়নি। কিন্তু যদি রাজ্য সরকার নির্বাচন সঠিক সময়ে না করে, তাহলে যতজন লোক অভিষেকের পিছনে ঘুরছে, তাও আর ঘুরবে না। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। সুকান্তবাবু বলেন, আহতদের আর্থিক সাহায্যের জন্য স্থানীয় নেতারা প্রথমে চেক দিলেও, তারপর আবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে, সেই চেক ঘটা করেপুনরায় প্রদান করেছেন। এটা রীতিমতো আহত ব্যক্তিদের হেনস্থা ছাড়া আর কিছু নয়। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী যখন চেক বিলি করছিলেন, সেই সময় মন্তব্য করেন, ‘সিবিআই এখন বাথরুমেও ঢুকছে’। আর তাঁর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তবাবু বলেন, টাকা-সোনা যদি তৃণমূল নেতাদের বাথরুমেও রাখা থাকে, তাহলে বাথরুমেও সিবিআই-ইডি ঢুকবে। কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূরণের উপলক্ষে বিজেপি সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষের বাড়িতে গিয়ে জনসম্পর্ক অভিযান করছে। কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে এই সুবাদেই যাওয়া সুকান্ত মজুমদারের। অরুণবাবু অবশ্য বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Panchayat: এটাই কি উন্নয়ন? ত্রিপল দেওয়া ঘরে ঝড়বৃষ্টির সময় ঠাঁই চৌকির নিচে!

    Panchayat: এটাই কি উন্নয়ন? ত্রিপল দেওয়া ঘরে ঝড়বৃষ্টির সময় ঠাঁই চৌকির নিচে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙা বেড়া। তার ওপরে ছেঁড়া ত্রিপল! বৃষ্টি এলেই ভিজে যায় ঘর, দমকা হাওয়া দিলেই উড়ে যায় ত্রিপল। নিরুপায় হয়ে ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিয়ে চৌকির তলায় ঠাঁই নিতে হয়। তার ওপর বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের লাইন বসলেও পড়ে না জল। আর্সেনিকযুক্ত জল খেয়েই বেঁচে থাকতে হয় তাঁদের। এভাবে চূড়ান্ত সমস্যায় একাধিক আদিবাসী পরিবার। এরকম একটা দুঃসহ অবস্থায় মেলেনি কোনও সরকারি পরিষেবা। তাই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের (Panchayat) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ক্ষোভ এলাকাবাসীর। নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরদারপাড়া। শতাধিক মানুষের বসবাস। বছরের পর বছর ধরে বসবাস করলেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি পঞ্চায়েতের কোনও পরিষেবা।

    কী বলছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা (Panchayat)?

    এই বিষয়ে ওই এলাকার এক দিনমজুর রাম সরদার বলেন, আমরা কোনও কিছুই সুবিধা পাই না। ঘর এখনও পাইনি। ভোট এলে তবেই পঞ্চায়েত সদস্যদের এলাকায় দেখা যায়। একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আমরা চাই, যাতে অন্তত সরকারি ঘরটা তাড়াতাড়ি পাই। আরেক বাসিন্দা নিমাই সরদার বলেন, জন্মের পর থেকেই এই ত্রিপলের ঘরে বসবাস করছি। ঝড়বৃষ্টি এলে ভয় হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। একাধিকবার পঞ্চায়েত সদস্যকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তিনি শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন।কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই এলাকার বাসিন্দা খুদু সরদার বলেন, বৃষ্টি হলেই বাড়ির সামনে এক হাঁটু জল জমে যায়। বাড়িতে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। এর আগে একাধিকবার ঘরে সাপ ঢুকেছিল। বাড়িতে ছোট বাচ্চা নিয়ে চরম আতঙ্কে থাকি। কিন্তু আমাদের কোনও ঘর দেওয়া হয়নি। বয়স্ক ভাতা থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিছুই আমি পাই না। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে একজন আসেন, দেখে চলে যান। কাজের কাজ কিছুই হয় না। সবকিছু বিক্রি করে কোনও রকমে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগটা করিয়েছি। আমরা চাই অবিলম্বে সরকার এবং পঞ্চায়েতের (Panchayat) তরফ থেকে পরিষেবার ব্যবস্থা করুক।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্র্রী?

    যদিও পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই এলাকার বিজেপি নেত্রী শিলা হালদার মণ্ডল। হরিপুর পঞ্চায়েতের (Panchayat) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, যাঁরা মূলত তৃণমূল করছেন, তাঁরাই ঘর পাচ্ছেন। একবারের জায়গায় দু থেকে তিনবার একই নামে ঘর আসছে। অথচ যাঁরা নিম্নবিত্ত শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ, যাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত এলাকার এক শ্রেণির তৃণমূল নেতা কাজ না করে রাতারাতি ফুলেফেঁপে উঠছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, শুধুমাত্র ঘর নয়, প্রতিটি প্রকল্পে ব্যাপক হারে দুর্নীতি করেছে এই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat)?

    এ বিষয়ে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) প্রধান শোভা সরকার বলেন, ঘর মূলত কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার উভয়ের আর্থিক বরাদ্দ থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য না মেলায় ঘর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ওই প্রকল্পের টাকা আমাদের হাতে এলেই আমরা ঘর দেওয়া শুরু করব। অন্যদিকে অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, সঠিক নথিপত্র যাদের রয়েছে তাদের আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছি।

    ওই এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত (Panchayat) সদস্যা তনুশ্রী সাহার স্বামী এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তাপস কুমার সাহা বলেন, বাম আমলে কোনও কাজ হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এবং আমি প্রথম মেম্বার হওয়ার পর ওই এলাকায় একশো শতাংশ উন্নয়ন করেছি। সরদার পাড়ার প্রত্যেকেই ঘর পেয়েছে। পাশাপাশি বিধবা ভাতা এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবাই পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়েও তৃণমূল নেতার সামনে দিতে হচ্ছে ভোট!

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়েও তৃণমূল নেতার সামনে দিতে হচ্ছে ভোট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হুগলি জেলার আরামবাগ। তৃণমূলের (TMC) ভোটগ্রহণ কর্মসূচিতে কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। একাধিক জেলার কর্মসূচিতে এরকম গণ্ডগোলের উদাহরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে আগেই, যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। এবার আরামবাগে নবজোয়ার কর্মসূচির ভোটাভুটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আরামবাগের কালিপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে অভিষেকের অধিবেশন শুরু করার আগেই ভোটাভুটি শুরু হয়। কিন্তু এই ভোটাভুটিতেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

    ভোটাভুটি নিয়ে কী অভিযোগ (TMC)?

    অভিযোগ, ভোট চলাকালীন আরামবাগের হরিণখোলা এক নম্বর অঞ্চলের সভাপতি (TMC) পার্থ হাজারি ভোট বাক্সের কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং তাঁর সামনে ভোট দিতে হচ্ছে তৃণমূ্লের নেতা-কর্মীদের। আরও অভিযোগ, জেরক্স করে এনে ভোটার স্লিপ ভোট বাক্সে দেওয়া হচ্ছে। এরপর আই প্যাকের লোকেরা তা জানতে পেরে প্রাথমিকভাবে হরিণখোলা এক নম্বর অঞ্চলের যে তাঁবুতে ভোট হচ্ছিল, তা বন্ধ করে দেন।

    কী বললেন কুণাল ঘোষ (TMC)?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” যদি কোথাও এই রকম ঘটনা ঘটে, সেখানে পুনরায় ভোট করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এত বড় একটা কর্মকাণ্ড চলছে। একটা দলের (TMC) প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এরকম ভোটগ্রহণ কর্মসূচি প্রথম। সেখানে এক-আধটা জায়গায় এরকম বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটতেই পারে। এতে আসল বিষয়টিতে কোনও অসুবিধা হবে না। কুণাল যাই বলুন, এই রকম কারচুপি করে ভোট হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূল মহলে। যদিও যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ উঠছে, সেই পার্থ হাজারি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের (TMC) জন্যই চলছে ভোটগ্রহণ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হুগলি জেলায় দ্বিতীয় দিনের নবজোয়ার কর্মসূচিতে একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)। মঙ্গলবার দুপুরে তারকেশ্বর মন্দিরে যান অভিষেক। সেখানে পুজো দেন। এরপর যান রাধানগর রামমোহন রায় মেমোরিয়ালে। সেখান থেকে কামারপুকুরে শ্রী রামকৃষ্ণের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যান আরামবাগের কালীপুর মাঠে। প্রসঙ্গত, গত মে মাস থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। জেলায় জেলায় জন সংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। এর মাঝেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য চলছে ভোটগ্রহণ কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘২ হাজারের নোটে ক্ষতিপূরণ, কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি’’, খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘২ হাজারের নোটে ক্ষতিপূরণ, কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি’’, খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কালো টাকা সাদা করতেই তৃণমূলের এই উদ্যোগ বলে তোপ দেখেছেন বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর আরও দাবি , দু’লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ২ হাজার টাকার নোটে দেওয়া হচ্ছে। যা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে বদল করে আসতে হবে।

    কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    এই নিয়ে মঙ্গলবারই ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য করছেন রাজ্যের একজন মন্ত্রী। একে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ প্রসঙ্গে আমার প্রশ্ন, একসঙ্গে ২ হাজার টাকার নোটে দু লাখ টাকার বান্ডিলের উৎসটা ঠিক কি?’’ অর্থাৎ স্পষ্টভাবেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলতে চেয়েছেন যে ঘুষ এবং দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল দু লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে।

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বর্তমানে ২০০০ টাকার নোট বাজারে যোগান কম এবং তা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিবর্তন করার পদ্ধতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারগুলোকে দুই হাজার টাকার নোট প্রদান করে তাদের সমস্যা কি বৃদ্ধি করা হল না?  দ্বিতীয়ত, এটা কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতির নয় কি?’’

    আরও পড়ুন: রেললাইনে চলে এল ট্রাক, অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস!

    গতকালই ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল দিতে দেখা যায় মন্ত্রী শশী পাঁজাকে

    প্রসঙ্গত, এই দিনই স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক শওকত মোল্লা, জয় নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলরা। ২০০০ টাকার নোট ইতিমধ্যে প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যাদের কাছে এই নোট রয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা বদল করারও নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। তা সত্ত্বেও এদিন ২০০০ টাকার নোটে ক্ষতিপূরণ দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন”, অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন”, অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুতো মেরে গরুদান। বাংলার একটা বিখ্যাত প্রবাদ। অভিষেকের ফুরফুরা শরিফে আসাকে ঠিক এই প্রবাদেই ভূষিত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার বিকেলে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা প্রবেশ করেছিল হুগলি জেলায়। হাওড়ার ডোমজুড় থেকে অভিষেকের কনভয় হুগলিতে ঢোকে জাঙ্গিপাড়ার মধ্য দিয়ে। তিনদিনের কর্মসূচির সূচনা হিসেবে জাঙ্গিপাড়ার অন্তর্গত ফুরফুরা শরিফকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ফুরফুরা শরিফের পবিত্র মাজার দর্শন করে পিরজাদাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। কিন্তু অভিষেকের ফুরফুরার অভিষেক মসৃণ ছিল না। কারণ ওইদিন সকালেই তাঁর (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে সেই পর্ব মিটে যায়। তবুও খোদ নওশাদ সিদ্দিকির বাসস্থান যেখানে, সেখানে তো ক্ষোভ থাকবেই। কারণ এই নওশাদকেই বেশ কিছুদিন হাজতবাস করতে হয় শাসকদলের অঙ্গুলি হেলনে।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) হুগলি জেলার কর্মসূচি

    আর মঙ্গলবার প্রবাস কর্মসূচি উপলক্ষে দুদিনের সফরে হুগলি এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঠিক সেই জায়গাতেই খোঁচাটা দিলেন। রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে হুগলি জেলায় মঙ্গলবার ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। একদিকে অভিষেকের জনজোয়ার কর্মসূচি চলছে হরিপাল থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত, অন্যদিকে বিজেপির প্রবাস কর্মসূচি উপলক্ষে খোদ রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) হুগলি আগমন। এদিন দুপুরে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কিছু মণ্ডলের মিটিং সেরে চণ্ডীতলার কৃষ্ণরামপুর এলাকায় সন্ধ্যায় জনসভা করেন সুকান্তবাবু। সেখানে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশেই ফুরফুরার পিরজাদা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে জেলে ঢুকিয়ে ছিল। সেই ফুরফুরাতে গিয়েই উনি শ্রদ্ধাদান করেছেন!

    অভিষেকের নবজোয়ারকে কটাক্ষ

    এদিন হরিপালে রোড শো-তে অভিষেককে ট্রাক্টরে চেপে যেতে দেখা গিয়েছিল। সেই বিষয়েও কটাক্ষ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, উনি এসব নাটক করছেন। চেহারা টেহারা কমিয়েছেন। একটু স্লিম হয়েছেন। হিরো হওয়ার শখ হয়েছে হয়তো। দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন। সেই জন্য ট্রাক্টরে চড়ছেন, গাড়ির মাথায় চড়ছেন, ফুল ছড়াচ্ছেন। তাঁর কথায়, আগে তো কখনও গ্রামে বাংলায় যাননি, তাই এখন যাচ্ছেন। দেখছেন জমিতে ধান কেমন হয়, ধান হয় না কাঠ হয়। আসলে সব নাটক।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে সুকান্তর দাবি, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হলে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে বেশি আসন নিয়ে জয়লাভ করবে। এদিন শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভা সেরেই চুঁচুড়া ফিরে আসেন তিনি (Sukanta Majumdar)। হুগলি জেলা পূর্ত ভবনের পাশে পথসাথীতে রাত্রিবাস করে বুধবার হুগলি সাংগঠনিক জেলাতে বেশ কিছু দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, মার খেয়ে হাসপাতালে অঞ্চল সভাপতি

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, মার খেয়ে হাসপাতালে অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসক দলের (TMC) কঙ্কালসার চেহারাটা যেন ততই প্রকাশ্যে চলে আসছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যাচ্ছে যে, দলেরই এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর নেতার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছে না। এমনই ঘটনা ঘটল এবার উত্তর দিনাজপুরে। সেখানে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলে এল প্রকাশ্যে। বুথ কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দলেরই অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূপালপুর এলাকায়। আহত অঞ্চল সভাপতি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে তৃণমূলেরই গোষ্ঠী কোন্দল বলে মেনে নিলেও এতে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেছেন উপপ্রধান।

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা (TMC)?

    উল্লেখ্য, সোমবার রাতে বীরঘই অঞ্চলের ভূপালপুর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নতুন বুথ কমিটি ঘোষণা করতে গিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি কৈলাশ চন্দ্র বর্মন সহ কয়েকজন নেতৃত্ব। ফেরার পথে ভূপালপুর এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য গোষ্ঠী লাঠিসোটা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সোমবার মধ্য রাতে আহত অঞ্চল সভাপতিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। ঘটনায় আহত কৈলাশ চন্দ্র বর্মন অবশ্য ক্যামেরার সামনে উপ প্রধানের নাম না তুললেও উপ প্রধানের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই তাঁকে মারধরের অভিযোগ তোলেন।

    কী বললেন অভিযুক্ত উপপ্রধান (TMC)?

    অন্যদিকে, বীরঘই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল আলম এই ঘটনাকে তৃণমূলেরই (TMC) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না, আর বিষয়টি তিনিও উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। একটা বিষয় পরিষ্কার, ঘটনা ঘটলেও এর দায় কোনও পক্ষই নিতে রাজি নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share