Tag: tmc

tmc

  • TMC: রাজ্য জুড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মন্ত্রী শোভনদেব!

    TMC: রাজ্য জুড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মন্ত্রী শোভনদেব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার বাজি বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়। এর পরই পুলিশি অভিযানে রাজ্য জুড়ে বস্তা বস্তা বোমা উদ্ধার হয়। এখনও চলছে বোমা উদ্ধারের কাজ। এর মধ্যে সোমবার সকালেই বনগাঁয় শৌচালয়ের মধ্যে থাকা বোমা বিস্ফোরণে ১২ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন খড়দার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী?

    খড়দহে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী (TMC) বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোথাও হচ্ছে বোমা বিস্ফোরণ, কোথাও আবার প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে তাজা বোমা। বোমা বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ছোটদের মৃত্যু হচ্ছে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। পুলিশ-প্রশাসনকে আরও বেশি করে সক্রিয় হতে হবে। এই মৃত্যুগুলো আমাদের কাঙ্খিত নয়। পুলিশ আরও বেশি সতর্ক হোক, আরও বেশি করে এগিয়ে চলুক। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স আরও ভালো করে কাজ করুক। পুলিশের আইবি ও এসবি দফতর ভালো করে কাজ করে দেখুক, কোথায় বোমা রাখা আছে। যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করুক। বিভিন্ন জেলায় থানা বাড়ছে, কিন্তু পুলিশে নিয়োগ হচ্ছে না।”

    বোমা নিয়ে অর্জুনের কী বক্তব্য?

    কয়েকদিন আগে বারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। দলীয় কাউন্সিলার আক্রান্ত হওয়ার পর ক্ষোভ জানিয়েছিলেন তিনি। দলের একাংশের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন বার বার। এবার বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে আজব তত্ত্ব খাড়া করলেন অর্জুন। তিনি বলেন, “বোমা সস্তার অস্ত্র। প্রচণ্ড গরমে বিস্ফোরণ হচ্ছে।” এর আগেও রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে তৃণমূল (TMC) সাংসদ সৌগত রায় গরমকে দায়ী করেছিলেন। যা নিয়ে রাজনীতিতে জলঘোলা হয়েছিল। এবার অর্জুনের তত্ত্ব নিয়ে রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর-২ নম্বর ব্লকের পলশ্যা গ্রামের গোকুলপুর বাজারে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে জনসম্পর্ক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আপনার লজ্জা লাগে না? আপনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আপনারই রাজত্বে স্বামী বিজেপি করে বলে একজন মহিলাকে শুনতে হয়, তোমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করব! এরকম মুখ্যমন্ত্রী হলে তাঁর লজ্জা লাগা উচিত, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত। অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী।” উল্লেখ্য, দলীয় কর্মীর স্ত্রীকে এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানার পরই বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে একের পর এক তোপ দাগেন।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সবেরাতি আলি এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে বলে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “সবেরাতি আলি ব্লক প্রেসিডেন্ট তৃণমূলের। তাকে পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, ভাই সময় আছে, শুধরে যাও। না হলে পরে যোগীর ট্রিটমেন্ট করব। এমন অবস্থা করব, পশ্চিমবঙ্গে লুকনোর জায়গা খুঁজে পাবে না। অন্য রাজ্যে গিয়ে কবরে স্থান পাবে।”

    পুলিশকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “আরে, চামচাগিরি করার ইচ্ছে হয়েছে তো পুলিশের ড্রেস খুলে রাখুন। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা নিয়ে পঞ্চায়েতে দাঁড়ান। আমরা বুঝিয়ে দেব, কত ধানে কত চাল। পুলিশের ড্রেস পরে চামচাগিরি করতে আসবেন না। আপনার টুপিতে অশোকস্তম্ভ থাকে। যদি চামচাগিরি করতে হয়, অশোকস্তম্ভটা খুলে ফেলে দিন। হাওয়াই চটি লাগিয়ে চামচাগিরি করুন। লোকে তাও কিছুটা হলেও মানবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: অধীরের সভার প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: অধীরের সভার প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আনুমানিক রাত নটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরে রাস্তার উপর তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী এক মহিলাকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে এমন ভাবে মারধর করা হয়, তাঁর ডান হাতের আঙুল থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মহিলাকে মারধর করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলছে, রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা কোথায়?

    রানিনগরে (Murshidabad) কী হয়েছিল?

    আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রানিনগরে (Murshidabad) কংগ্রেসের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি থাকবেন বলে ওই মহিলা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারও করেন। আর তার পরেই তৃণমূলের নাজমুল সহ আরও অনেক নেতা তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। 

    আক্রান্ত মহিলার বক্তব্য

    আহত মহিলার দাবি, কিছুতেই তিনি এই রাস্তা থেকে সরবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন (Murshidabad) তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আটক করছে। সেই সঙ্গে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রশাসন নেই। সভার প্রচারকে কেন্দ্র করে শহরে মিছিল করা হবে বলে আমি কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানাই। আর তার পরেই তাঁর উপর এই আক্রমণ হয় বলে তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যারা আমার উপর আক্রমণ করেছে, তাদের মধ্যে আমি নাজমুলকে চিনি, সে তৃণমূল করে। আর যারা সাথে ছিল তাদেরকেও চিনি আমি। কিন্তু নাম জানি না।

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    রানিনগরের (Murshidabad) শেখপাড়ায় ওই ঘটনা এলাকার ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। রাতে রাস্তায় লোকজন বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, পুলিশ কী সহযোগিতা করবে! আমাদেরকেই পুলিশকে সহযোগিতা করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন মহিলারা মার খাচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে। কিন্তু মহিলাদের উপর আক্রমণ চলছে, অথচ প্রশাসনের কোনওরকম ভ্রুক্ষেপ নেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, এরপরও কী করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও আইন আছে! উনি কোন চশমা ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের আইন ব্যবস্থাকে জাগ্রত রেখেছেন, সেটাই প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও মিটল না ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার এই কোন্দল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিস পর্যন্ত গড়াল। ভাটপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এদিন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। মাসখানেক আগেই সত্যেনবাবুর স্ত্রী পুলিশ কমিশনারের কাছে স্বামীর উপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা করে চিঠি দিয়েছিলেন। সত্যেনবাবুর উপর হামলা হওয়ার পর তিনিও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এসে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিযোগ জানিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলররা?

    কয়েকদিন আগে ভাটপাড়া পুরসভার ভিতরেই অর্জুন ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবুকে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। সেই ঘটনার জের জেলা তৃণমূলের কার্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সুবিচার চেয়ে সত্যেনবাবু জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী নিজে কাউন্সিলর থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দেন। সাংসদ অর্জুন সিং কাউন্সিলর হামলার ঘটনায় সত্যেনবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনকী দল কোনও ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ার মতো ঘটনা ঘটবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেছিলেন, খুব শীঘ্রই ভাটপাড়ায় গিয়ে সমস্যার সমাধান করব। তার আগেই ফের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। এদিন ভাটপাড়া পুরসভার ২৪ জন কাউন্সিলর দল বেঁধে পুলিশ কমিশনারের কাছে পুলিশি হয়রানি এবং সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাঁদের বক্তব্য, সত্যেনবাবু আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। পুরসভাকে নানা ভাবে বদনাম করছেন। পুরসভার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন। তাই, আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করলাম।

    কী বললেন সাংসদ অর্জুন সিং?

    এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবু বলেন, আমিও আগে অভিযোগ করেছি। পুলিশ দুপক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। ২৪ জন কাউন্সিলরের পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানো প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, আমাদের দলের জেলা সভাপতি তাপস রায়। পুলিস কমিশনার তো জেলা সভাপতি নয়। তাহলে তাঁর কাছে কেন এসব অভিযোগ জানাতে গেলেন, আমি বলতে পারব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হতেই ময়দানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং দলের কার্যকর্তারা। রবিবার থেকেই একাধিক জায়গায় কর্মসূচি করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সামনেই পঞ্চায়েত এবং লোকসভার ভোট। আর তাকে লক্ষ্য করেই ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বিজেপি এবার শুরু করে দিল জনসম্পর্ক অভিযান।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) কোথায় গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    রবিবার কেশিয়াড়িতে জনসম্পর্ক সভা করেন সুকান্ত মজুমদার। তারপরই সোমবার সকালে ডেবরার (Paschim Medinipur) পিংলা ব্লক এলাকায় বিশেষ জনসম্পর্ক অভিযান করেন তিনি। গত ন-বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের নানাবিধ প্রকল্প এবং সুবিধার কথা তিনি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বলার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।

    কী বলেন সুকান্ত মজুমদার?

    রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে পিংলায় (Paschim Medinipur) সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাকু হোন বা ডাকু হোন, বাঁচবে না কেউ। মুখে কুলুপ দেন আর কুলপি নিন, যাই করে থাকুন না কেন, কীভাবে কথা বের করতে হয়, সিবিআই-ইডি সব জানে। সব কথা প্রকাশ পাবে, গোপনে কিছুই থাকবে না। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন গোটা দেশে ৫৪০ টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সঙ্গে ১৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮০০ টির বেশি ঘটনায় লাইনচ্যুত হয় রেল। মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করছেন! কিন্তু তার আগে তো ডবল ডবল পদত্যাগ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ রাজ্যে ডবল ডবল চাকরি হয়নি। এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু আরও বলেন, এই মুখ্যমন্ত্রীর সময়েই জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসতে দেননি তিনিই। এর কারণ, মূলচক্রী মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতো এখন তাঁরই দলের লোক। ঠিক এই ভাবেই জনসম্পর্ক অভিযানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    Rujira Banerjee: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের বাধার মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। এদিন সকালে দুবাই যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই সন্তান। কেন হঠাৎ বাধা দেওয়া হল? সূত্রের খবর, ইডির একটি মামলায় লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, তার জেরেই তাঁকে আটকেছেন অভিবাসন দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ রয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল অবশ্য পাল্টে দাবি করেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক-রুজিরাকে (Rujira Banerjee) জানিয়েছিল, বিদেশ যাত্রায় তাঁদের কোনও বাধা নেই।

    ঘটনাক্রম……

    সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে হাজির হন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। জানা গেছে, তিনি দুবাই-এর বিমান ধরার জন্য আসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান। বিমানে ওঠার আগে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয়, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ রয়েছে। এরপরে দীর্ঘক্ষণ অভিবাসন দফতরের ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে দেখা যায় রুজিরাকে।

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    কী বললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “আমি জানি না কেন আটকানো হল। যদি বৈধ অনুমতির পরও তাঁকে আটকানো হয়, তাহলে অন্যায়। এয়ারপোর্ট অথারিটি তা দেখবে। কিন্তু যাঁরা প্রতিহিংসার তত্ব সামনে আনছেন, তাঁদের জন্য বলি যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন প্রতিহিংসার অর্থ কী।”

    আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

    কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি

    কয়লা পাচার মামলাতে এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরবর্তীকালে কলকাতায় তিনি হাজিরা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠন মজবুত করার বার্তা দিতেই তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেই বৈঠকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। জেলা সভাপতির সামনেই জগদ্দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তাঁর বিক্ষোভের জেরে নড়েচড়ে বসে জেলা নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি তাপস রায় জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। সেই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। সত্যেনবাবুর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন জেলা সভাপতি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচি সফল করে তুলতে টিটাগরের জেলা তৃণমূল (TMC) দফতরে মিটিং করলেন দমদম বারাকপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। নব জোয়ারের মিটিং এর শেষে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল জেলা অফিসেই। পরে, তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এইভাবে কথা বললে সমস্যা অনেক মিটে যায়। আমি কয়েক দিনের মধ্যে ভাটপাড়া পুরসভায় গিয়ে একটি মনিটরিং মিটিং করব। আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) কাউন্সিলর?

    এদিন বৈঠক চলাকালীন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ভাটপাড়া পুরসভা ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকে আমি দল করছি। অথচ যারা কয়েকদিন আগে দল ঢুকল তারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরসভায় ঢুকে আমার উপর চড়াও হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা নেতৃত্বের সামনে সমস্ত সমস্যার কথা বললাম। আশানুরূপ বিচার না পেলে আমি পদত্যাগ করব।

    কী বললেন জগদ্দল বিধায়ক?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, কাউন্সিলররা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। কোনও মারধর করা হয়নি। এখন তিনি মারধরের কথা কেন বললেন জানি না। দলীয় নেতৃত্ব সমস্ত বিষয়টি দেখছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Transfer: একদিনেই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার! তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে স্বাস্থ্য ভবন?

    Transfer: একদিনেই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার! তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে স্বাস্থ্য ভবন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ওঠে বারবার। আর এবার কার্যত সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল খোদ স্বাস্থ্য ভবন। চব্বিশ ঘণ্টা পার হতে না হতেই বদলির (Transfer) সিদ্ধান্ত বদলে গেল। রাজ্যের চিকিৎসক মহল বলছে, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ না হলে সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব পাওয়া যায় না। এমনকী, কোন হাসপাতালে কোন কাজ চিকিৎসক করবেন, সবটাই হয় রাজ্যের শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে।

    কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক? 

    সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে এক নির্দেশিকা (Transfer) জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বদলি করা হচ্ছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে যায়।

    কে এই সন্দীপ ঘোষ? 

    চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে, তিনি তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সূত্রের খবর, সেই সম্পর্কের জেরেই তাঁকে কয়েক বছর আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের দায়িত্ব দিয়ে বদলি করে কলকাতায় আনা হয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। বছর দুয়েক আগে আরজিকর হাসপাতালের পড়ুয়াদের একাংশ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলে। এমনকী ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা নানান অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও প্রতিকার হয়নি। বরং, ওই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুই ছাত্রের যাতে মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না হয়, সে বিষয়ে তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূলের একাংশ। এরপরে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্ররা। তারপর তাঁরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। হঠাৎ, সেই সন্দীপ ঘোষকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা শুরু হয়। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের সিদ্ধান্তের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই ফের বদল করতে হয় নির্দেশিকা। জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে বদলি (Transfer) করা যাবে না। তিনি আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্বেই থাকছেন।

    কোন সমীকরণ কাজ করছে এই বদলির সিদ্ধান্তে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তৃণমূলের নিজস্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাবেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ শান্তনু সেনের সুসম্পর্ক নেই। বরং তিনি তৃণমূলের আরেক নেতা সুদীপ্ত রায়ের ঘনিষ্ঠ। এতদিন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন সুদীপ্ত রায়। সম্প্রতি, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হয়েছেন শান্তনু সেন। আর তারপরেই স্বাস্থ্য ভবন থেকে বদলির (Transfer) নির্দেশ এসেছিল। যদিও সন্দীপ ঘোষ শুধু সুদীপ্ত রায় নয়, তৃণমূল দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অত্যন্ত কাছের বলেই পরিচিত ঘনিষ্ঠ মহলে। তাই রাতারাতি তাঁর বদলির নির্দেশ বদলে যায় বলেই জানা যাচ্ছে।

    কী বলছেন সন্দীপ ঘোষ? 

    সন্দীপ ঘোষ অবশ্য পুরো ঘটনা (Transfer) প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি জানান, সরকারি চাকরি করছেন। স্বাস্থ্য দফতর যে সিদ্ধান্ত নেবে, যে কাজ দেওয়া হবে, সেটাই তিনি করবেন। এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না।

    শান্তনু সেন কী বলছেন? 

    তৃণমূলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, “এসব বিষয়ে (Transfer) জানি না। বদলির সিদ্ধান্ত পুরোটাই স্বাস্থ্য ভবনের। সেটা যদি পরিবর্তন হয়, সেটাও স্বাস্থ্য ভবন থেকে হয়েছে। “

    প্রশাসনের অস্বচ্ছ বদলি নীতি ফের প্রকাশ্যে, মত চিকিৎসক মহলের! 

    রাজ্যের চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছে, সরকারের বদলি (Transfer) নীতি যে পুরোটাই শাসক দলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তা ফের প্রমাণিত হল। তারা জানাচ্ছে, একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকে। কয়েক বছর পরে বদলির সিদ্ধান্ত নিলেও রাতারাতি কেন তা পরিবর্তন করতে হয়, তার স্পষ্ট উত্তর নেই। এতেই প্রমাণ হয়, এ রাজ্যে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ প্রশাসন নেই। যা হয়, পুরোটা রাজনৈতিক সমীকরণে চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা, কেন জানেন?

    TMC: তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম শিস মহম্মদ ওরফে ডালিম। তিনি তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি। আর তাঁকেই কিনা বিদ্যুতের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে চলছে মারধর। গ্রামবাসীরা সকলেই সেই দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ইলামবাজার থানার ভগবতী বাজার এলাকায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শাসক দলের নেতাকে মারধর করার ঘটনা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা।

    তৃণমূল (TMC) নেতাকে বেঁধে রেখে কেন এমনটা করলেন গ্রামবাসীরা?

    বীরভূমের ইলামবাজারের নানাশোল অঞ্চলের খাদিমপুকুর গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি হচ্ছেন ডালিম। তাঁর সঙ্গে ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই গ্রামবাসীদের মধ্যে চর্চা হচ্ছিল। কিন্তু, কেউ তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পাননি বলে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেননি। আর শাসক দলের নেতার নামে কোনও অপবাদ দেওয়ার পর তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে তার পরিণাম খারাপ হতে পারে, সেটা এলাকাবাসী জানতেন। তাই এলাকার মানুষ এতদিন ওৎ পেতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন ঘিরে ধরেন। এরপরই বিদ্যুতের খুঁটিতে ওই তৃণমূল নেতা ও মহিলাকে বেঁধে রেখে চলে মারধর। গ্রামবাসীদের অনেক বলেন, ওই মহিলার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হোক। ১৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করার কথাও বলা হয়। যদিও আপাতত তাঁরা সেই পথে যাননি। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা জানাজানি হতে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। দলগতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, দলই তা নেবে। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের মিছিলে হাঁটছেন পুলিশ সুপার! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের মিছিলে হাঁটছেন পুলিশ সুপার! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের নবজোয়ারে উর্দি পরে হাঁটছেন জেলার পুলিশ সুপার। এমনই চাঞ্চল্যকর ভিডিও ট্যুইট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ছিল অভিষেকের নবজোয়ার যাত্র। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ চণ্ডীপুর থেকে যাত্রা শুরু হয়। নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পদযাত্রায় উর্দি পরে হাঁটতে দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার আইপিএস অমরনাথকে। যা নিয়ে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল ক্যাডারের মতোই কাজ করছেন পুলিশ সুপার।

    ট্যুইটে কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘‘এই ভিডিওটা না দিলে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতেন না, চণ্ডীপুরে তৃণমূলের রাজনৈতিক পদযাত্রায় দলের কর্মীদের সঙ্গে হাঁটছেন একজন আইপিএস আধিকারিক মিস্টার অমরনাথ। তৃণমূল দলের কর্মীরা দয়া করে বলবেন না, উনি নিরাপত্তা দিতে মিছিলে ছিলেন। এক কথায় পুলিশের পোশাক পরে তিনি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছেন।’’

    এই ভিডিওতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও ট্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    তাঁর যাত্রাপথে নজরদারি চালাচ্ছে মমতার সিভিক পুলিশ! অভিযোগ বিরোধী দলনেতার

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, তাঁর যাত্রাপথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। স্পিড ক্যামেরা নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তবে নন্দীগ্রামের বিধায়কের প্রশ্ন, ‘‘বিরোধী দলনেতার কনভয় চলে যাওয়ার পর কেন তা লুকিয়ে ফেলা বা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে?’’ তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর যাত্রাপথে ট্রাফিক জ্যাম ইচ্ছাকৃতভাবে করার জন্যই মমতার সরকার এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে তাঁর যাত্রাপথে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সাদা পোশাকে মোতায়ন করিয়ে তাদের দিয়ে ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share