Tag: tmc

tmc

  • TMC: “তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে,” কেন বললেন অর্জুন?

    TMC: “তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে,” কেন বললেন অর্জুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার সত্যেন রায়ের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংসদ অর্জুন সিং। বৃহস্পতিবার অর্জুন বলেন, “সিপিএমের বিরুদ্ধে সত্যেন লড়াই করে বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের লোকজনও বাদ যাননি। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর বাড়ি। আর এখন তৎকাল তৃণমূলের কাউন্সিলারদের হাতে তাঁকে মার খেতে হল। আসলে এই সব কাউন্সিলাররা করোনা কালে তৃণমূলে এসেছে। টিকিট পেয়ে গিয়ে কাউন্সিলার হয়ে গেছে। এখনও তারা পুরসভায় ঠিকাদারি করে। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানাব। সেখানে কাজ না হলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে।” মূলত হামলার পাল্টা হামলার তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বুধবার ভাটপাড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার তরুণ সাউ ও ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অভিমন্যু তেওয়ারির নেতৃত্বে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সত্যেন রায়কে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুরসভায় ঢুকে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই ঘটনার পর আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দলগতভাবে অভিযুক্ত কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সত্যেন অর্জুন অনুগামী হিসেবে পরিচিত। আক্রান্ত কাউন্সিলার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে পুলিশও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। আর এতেই অর্জুন ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে দেখার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আজ, শুক্রবার তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বৈঠক রয়েছে। সেখানে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সংগঠনের জেলা সভাপতি তাপস রায় বলেন, দলে গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। দলীয় কাউন্সিলারের উপর হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। কারও বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ, বিক্ষোভ থাকলে দলীয় নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি বলা যেতে পারে। কিন্তু, এভাবে প্রকাশ্যে পুরসভার ভিতরে ঢুকে হামলার ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দলীয় বৈঠকে এই বিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নব জোয়ারের ঠেলায় আরামবাগ থেকে উধাও সরকারি বাস, ভোগান্তি

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নব জোয়ারের ঠেলায় আরামবাগ থেকে উধাও সরকারি বাস, ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার আরামবাগ ডিপো থেকে নন্দীগ্রামে যাওয়ার সরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। মোট ২০টি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, কলকাতা-আরামবাগ নন-স্টপ পরিষেবা সহ বিভিন্ন রুটে সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এমনকী আরামবাগে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোর টিকিট কাউন্টারে কোনও বাস নেই বলে কাগজে লিখে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বাস তুলে নেওয়ায় যাতায়াতে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাস তুলে নেওয়ার জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নব জোয়ার কর্মসূচির ভূমিকা রয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে।  

    কী কারণে এত বাস একসঙ্গে তুলে নেওয়া হল?

    জেলায়-জেলায় চলছে ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচি। পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে জনসংযোগে নেমে পড়েছে শাসকদল। জনসাধারণের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিতে দু’মাসের জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এখন পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে জনসভা রয়েছে তাঁর। আর সেখানের জনসভায় বাসে করে কর্মী নিয়ে যেতে সরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    বাস পরিষেবা না পেয়ে কী বললেন সাধারণ মানুষ?

    বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে জানা গিয়েছে, একমাত্র ক্ষীরপাই ডিপোর একটি সরকারি বাস মুর্শিদাবাদ থেকে লালগোলার উদ্দেশে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ও সকাল ১১ টা ২০ মিনিট নাগাদ খাতরাগামী একটি বাস আরামবাগ ডিপো থেকে ছেড়েছিল। এরপর আর কোনও বাস ছাড়েনি। এই বাসগুলিই প্রথম এবং শেষ বাস ছিল। ফলে, বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস না পেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, সরকার যেখানে আইন তৈরি করছে, সেই আইন আবার সরকারই ভাঙছে। এ কোন রাজ্যে বসবাস  করছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সম্পাদক  বিমান ঘোষ বলেন, “অভিষেক (Abhishek Banerjee) যেখানে যাচ্ছেন সেখানে লোক হচ্ছে না। সেই কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন জড়ো করতে হচ্ছে। আজ নন্দীগ্রাম অভিষেকের কর্মসূচি আছে। সেখানে লোকজন নেই। তাই, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক জড়ো করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরামবাগ থেকে যত সরকারি বাস রয়েছে সব তুলে নেওয়া হয়েছে। কারণ, সেখানে লোক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে প্রায় ৩০০ বাস ওখানে যাচ্ছে।” বাস মালিক সংগঠনের সদস্য অভয় বিট বলেন, “বেসরকারি কুড়িটি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রামে নব জোয়ার কর্মসূচির জন্য। আরামবাগ থেকেও লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নব জোয়ারে বন্ধ ভোটদান প্রক্রিয়া, অভিষেকের সামনেই কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: নব জোয়ারে বন্ধ ভোটদান প্রক্রিয়া, অভিষেকের সামনেই কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের কোনও নির্বাচন নয়। পঞ্চায়েত ভোটে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নব জোয়ার কর্মসূচিতে চলছে ভোটগ্রহণ। স্বাভাবিকভাবে সেখানে বিরোধী দলের কারও থাকার কথা নয়। সকলেই তৃণমূল কর্মী। কিন্তু, ভোট দিতে এসে না দিয়ে চলে গেলেন ভোটাররা। ফলে, ভোট প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়। বুধবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে চারদিনের জেলা সফরে এসেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বুধবার রাতে তিনি চণ্ডীপুরে পৌঁছান। তিনি চলে যাওয়ার পর পরই ক্যাম্পে নিয়ম মেনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে ভোটেগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু, ভোটাভুটি শুরু হওয়ার পর পরই চণ্ডীপুর বিধানসভার ১০ অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ভোট বয়কট করা তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বুথ স্তর থেকে যে নাম ঠিক করা হয়েছিল, সেই নামের কোনও প্রার্থী তালিকায় নেই। একেবারে নতুন মুখ। প্রার্থী পরিবর্তন কারা করল? এভাবে প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়ার ঘটনা আমরা মেনে নেব না। তাই, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হলেও আমরা ভোট দিইনি। প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলে। আর ভোট না দেওয়ার কারণে চণ্ডীপুর বিধানসভার জলপাই-১, চৌখালি-২, বৃন্দাবনপুর-১, বৃন্দাবনপুর-২, ঈশ্বরপুর, ওসমানপুর, ব্রজলালচক, কুলবারি, দিবাকরপুর, নন্দপুর, বরাঘুনি সহ ১০ টি অঞ্চলের ভোট বন্ধ রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনিতেই এই চণ্ডীপুরে তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর অনুগামীর সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্যের অনুগামীর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এই কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নব জোয়ার কর্মসূচির শুরু থেকে বিশৃঙ্খলা। দলীয় কোন্দলের জেরে ভোট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে এই কোন্দলের জেরে দলটাই শেষ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কল্যাণীর সগুনা পঞ্চায়েতের কাঁটাবেলে এলাকা। তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনেই বুথ সভাপতিকে ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে সংখ্যালঘু সেলের নেতার বিরুদ্ধে। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। ঘটনার জেরে এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় দলীয় কার্যালয়ে। দুপক্ষের চারজন জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নব জোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় আসছেন। কল্যাণীর সগুনায় তাঁর আসার কথা রয়েছে। সেই কর্মসূচি উপলক্ষে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডলের উদ্যোগে বুধবার রাতে কাঁটাবেলে তৃণমূল পার্টি অফিসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডল বলেন, “আসলে আমি নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। মিটিং চলাকালীন জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে হামলা হয়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করে ওরা।” অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল বলেন, “সাইফুলের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। বিজেপির মদতে ওরা এসব করছে। আমি সহ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছি। আমরা কোনও হামলা করিনি। বোমাবাজির অভিযোগ ঠিক নয়।”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি তারক চন্দ বলেন, “পার্টি অফিসে বসা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝি থেকে এসব হয়েছে। দলীয় কোন্দলের বিষয় নেই। তবে, আমাদের আরও সংযত হওয়া দরকার। দুপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রত্যেকে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। ফলে, আর কোনও সমস্যা নেই। আমরা সকলেই একজোট হয়ে লড়াই করব।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের (TMC) এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজকের নয়। এই দল শুরু থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এই ঘটনা শুধু কাঁটাবেলের এলাকা জুড়ে নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। দুর্নীতির জেরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই দলটি লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttar Dinajpur: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    Uttar Dinajpur: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) সরকারি অনুষ্ঠানে ইসলামপুরের বিধায়ককে ব্রাত্য করে রাখার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূলের ওই বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাত্য রেখে শুধুমাত্র ইসলামপুর পুরসভার পুরপিতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর এই ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কী ঘটেছিল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুরে?

    বুধবার ইসলামপুর মহকুমা (Uttar Dinajpur) প্রশাসনের উদ্যোগে স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। আমন্ত্রিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক, ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, পুরপিতা, বিডিও এবং মহকুমা যুব আধিকারিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা। তবে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁকে আমন্ত্রণই জানাননি মহকুমা প্রশাসক, এমনটাই অভিযোগ করেন ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনায় জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    তৃণমূলের বিধায়ক বনাম উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) জেলা সভাপতি

    বেশ কিছু দিন ধরে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতির বিবাদ চরমে উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নবজোয়ার যাত্রায় যাননি বিধায়ক। বিধায়কের এই ভূমিকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসার পর দলের নেতাদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের অভিযোগ ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের পর কেবলমাত্র নামেই বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি। আবার সূত্রে জানা যায়, বিধায়ক জেলা সভাপতির উপর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছিলেন। বিধায়কের সেই শর্তের মান্যতা দেওয়া জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পক্ষে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতার বিবাদ এবার প্রশাসনের কাজের উপর পড়ল বলে মনে করছে রাজনীতিকদের একাংশ।

    মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে ইসলামপুর বিধায়কের ক্ষোভ

    বুধবার বিধায়ককে বাইরে রেখেই ইসলামপুর স্টেডিয়ামে খেলার উদ্বোধন হল। মহকুমা (Uttar Dinajpur) প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি জানান, মহকুমা শাসক একজন আইএএস অফিসার। উন্নয়নের কথা বললেই, তিনি আইন দেখান। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানো কোন আইনে আছে? তাঁকে চক্রান্ত করেই সরকারি অনুষ্ঠানে ব্রাত্য রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন এই তৃণমূলের বিধায়ক।

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    অন্যদিকে, ইসলামপুরের মহকুমা (Uttar Dinajpur) শাসক মহঃ আব্দুল শাহিদ বলেন, স্টেডিয়ামের উদ্বোধন আগেই হয়েছিল। আজ একটি মাত্র ফুটবল খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরপর বড় কোনও খেলার প্রতিযোগিতা হলে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েই করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়ি উড়ে গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। তার কয়েকদিন পরই বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাজ্যু জুড়ে সর্বত্র মুড়ি মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। এইসব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির ছাদ, ভেঙে পড়ল দেওয়াল। বিকট আওয়াজে চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বুধবার রাতে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়ায় সাইফুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আচমকা বিকট আওয়াজ শুনতে পান এলাকাবাসী। সাইফুল তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়। প্রথমে কেউ বাড়ি থেকে ভয়ে না বের হলেও পরে গিয়ে দেখতে পান, সাইফুল শেখের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। ঘরের চারপাশের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। যেহেতু বিকট আওয়াজের সঙ্গে এই বিস্ফোরণ ঘটে, তাই এলাকাবাসী মনে করছেন, বোমা বিস্ফোরণই হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাপড়া থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলকে। তবে, বোমা বিস্ফোরণের সময় সাইফুলের বাড়িতে কেউ ছিল না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম শেখ বলেন, বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে গিয়ে দেখি, সাইফুলের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে এবং দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণে অনুমান করা হচ্ছে, একাধিক বোমা মজুত ছিল ওই বাড়িটিতে। ঘটনার পর আমরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি।

    বোম্ব স্কোয়াডের আধিকারিক কী বললেন?

    বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, সেটা যাচাই করা হচ্ছে। ঘটনার পর চাপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা

    বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে সিআইডি ঘটনাস্থলে যায়। ফরেনন্সিক টিম গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে একাধিক তাজা বোমা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। আর কোথাও বোমা রয়েছে কি না তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। তবে, ঘটনার পর এলাকার লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার মধ্যে ঢুকে তৃণমূলের (TMC) এক কাউন্সিলরকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায়। জখম কাউন্সিলরের নাম সত্যেন রায়। তিনি বরাবরই সাংসদ অর্জুন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের মা রেবা রাহা ভাটপাড়া পুরসভায় চেয়ারপার্সন। পুরসভার চেয়ারপার্সন সহ একাধিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। পুরসভাকে ব্যবহার করে কয়েকজন কাউন্সিলর লুটেপুটে খাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই পুরসভার ভিতরে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং ছিল। তার আগেই পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কাউন্সিলরকে চিকিৎসার জন্য ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবিষয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)  কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, “আমাকে একা পেয়ে সাত-আটজন মিলে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে চিনতে পেরেছি। তাঁরা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। আসলে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। ওরা আমার মুখ বন্ধ করতে চায়। তাই এই হামলা।” ঘটনার পর অবশ্য ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে দলের কাউন্সিলরের ওপর আরেক কাউন্সিলারের হামলার ঘটনাটি উত্থাপিত হয়।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    এই প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “ঘটনার সময় আমি পুরসভায় ছিলাম না। তবে, বিষয়টি মোটেই কাঙ্খিত হয়। অভিযুক্ত কাউন্সিলর জানিয়েছেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। আগামী দিনে এই রকম ঘটনা ঘটবে না বলে প্রত্যেক কাউন্সিলর জানিয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীর ধাক্কায় জখম মন্ত্রী অখিল গিরি

    Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীর ধাক্কায় জখম মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও সাধারণ মানুষ বা দলীয় কর্মী নন। তিনি তৃণমূলের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। আর তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ারে যোগ দিয়ে সেই মন্ত্রীকে নিরাপত্তা রক্ষীর ধাক্কা খেতে হল। এমনকী নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তিনি হাতে গুরুতর চোট পান। ঘটনার পর তিনি রেগে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বুধবার উত্তর কাঁথির মুকুন্দপুরে অভিষেক আসেন। সেখানে আগে থেকেই মন্ত্রী অখিল গিরি হাজির ছিলেন। কনভয় ছেড়ে নেমে অভিষেক (Abhishek Banerjee) পদযাত্রার মাধ্যমে এলাকায় জনসংযোগ করেন। তার সঙ্গে অখিলবাবুও ছিলেন। এই কর্মসূচি শেষ করার পর চণ্ডিভেটিতে বীরেন্দ্র শাসমলের জন্মভিটেতে অভিষেকের সঙ্গে মন্ত্রীর যাওয়ার কথা ছিল। অভিষেক পদযাত্রা শেষ করে নিজের গাড়িতে উঠে পড়েন। অখিল গিরি নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় অভিষেকের গাড়ির পিছনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধাক্কা দেন। মন্ত্রী হাতে গুরুতর চোট পান। এনিয়ে তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নিরাপত্তারক্ষীর হাতে ধাক্কা খেয়ে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা সাধারণ মানুষকে ঠেলেছে। আমাকে ঠেলেছে। আমি হাতে চোট পেয়েছি। এরপরই তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান। তবে, অভিষেকের কনভয়ের পিছনে আর তিনি যাননি। ঘটনার পর পরই তিনি অভিষেকের কর্মসূচিতে না গিয়ে সোজা বাড়ি ফিরে যান।

    নবজোয়ারে অভিষেকের কনভয় যাওয়ার আগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মহিলার!

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় যাবে বলে রাস্তার দুধারে দড়ি টাঙানো হয়েছিল। সেই দড়িতে লেগে এক বাইকের পিছনে থাকা মহিলা পড়ে যান। পিছন দিক দিয়ে একটি গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মারলে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রামনগর ব্লকের কাদুয়া অঞ্চলের মাইতি মোড় এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী স্বপন পট্টনায়েক বলেন, বাইকে করে যাওয়ার সময় দড়িতে লেগেই ওই মহিলা পড়ে যান। তারপরই পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমলেশ দাস বলেন, কোনও দড়ি লেগে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়নি। আসলে ওই মহিলা বাইকের মধ্যে ঘুমিয়েছিলেন। সামনে পিকআপ ভ্যান আসতেই ভয় পেয়ে তিনি পড়ে যান। পরে, পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, আসলে অভিষেক কাটমানি আর চোরেদের সংগঠিত করার জন্য এসেছেন। সেই কাজ করতে এসে যখন দেখছেন তার দলের নেতার দ্বারা ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না, তখন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে মন্ত্রীর হাত মুচড়ে দিচ্ছেন।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের হরিণখোলা। তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দর্জিপোতা এলাকায়। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মহিদুল ইসলাম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    হরিণখোলা এলাকায় মাদার এবং যুব তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মহিদুল সাহেব তৃণমূলের মাদার সংগঠন করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাজার দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁর উপর যুব তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ রশিদ আলি নামে এক যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন সদস্যা আরামবাগ থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সাবিনা বেগম নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। ঘটনার সময় গণ্ডগোল থামাতে ও গিয়েছিল। পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। স্বামীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে একী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যা?

    অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন আরামবাগ থানার আইসি-র সামনে ক্ষোভ জানান হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) সদস্যা শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে, সেখানকার ইনচার্জের নাম শঙ্কর কোলে। তিনি ওই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি ঠিক করে দেন কে কীভাবে কাজ করবে। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, ওই পুলিশ অফিসারের হাত ধরেই তাঁরা এখন ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকায় তোলাবাজি করছেন। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি মাথা গলাচ্ছেন। তিনি কি তৃণমূলের বড় লিডার? আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের মদতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।” বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মান-অভিমান এক সংসারে থাকলে হয়েই থাকে, নিন্দুকেরা নিন্দাও করবে। এতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আগামী নির্বাচনে এর প্রমাণ আবার পাবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “এখন অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। এই তো সবে শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) বেনাচিতি হাই স্কুল হল একটি সরকারি বিদ্যালয়। অথচ সেই স্কুলের ভিতরেই উড়ছে তৃণমূলের পতাকা, চারদিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তীর ছবিতে ছয়লাপ। এই ঘটনা দেখে বিরোধীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসক দলের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।

    দুর্গাপুরে (Durgapur) কী ঘটেছে স্কুলে?

    দুর্গাপুর (Durgapur) শহরের ১৫ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ওই ‘বিশাল পান্তা ভাত উৎসব’-এর আয়োজন করা হয়। সরকারি স্কুল ভরে যায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আনাগোনাতে। বেনাচিতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতর পান্তা ভাত উৎসব করে বিতর্কের শিরোনামে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল নেতৃত্ব। আর একেই হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা ছিল, কোনও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক রং লাগানো যাবে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই। অথচ ‘বিশাল পান্তা উৎসব’-এর আয়োজন বিদ্যালয়ের ভিতরেই। মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, গন্ধরাজ লেবু, আলুভাজা, পেঁয়াজি, পোস্তর বড়া, মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপর, সব শেষে মিষ্টি। স্কুলে কয়েকশো অতিথি আমন্ত্রিত ছিল এদিন। পান্তা উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা সভানেত্রী অসিমা চক্রবর্তী এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    বেসরকারি হোটেল বা লজে না করে সরকারি বিদ্যালয়ে (Durgapur) এই উৎসব করে বিদ্যালয়কে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় এভাবেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। সিপিআইএম-এর তরফ থেকে বলা হয়, এই তৃণমূল সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনগুলি রাজনীতির আঙিনায় পরিণত হয়েছে।

    জেলার (Durgapur) তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য

    বিরোধীদের সমালোচনাকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী বলেন, গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। বিদ্যালয়  (Durgapur) কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তাঁরা এই অনুষ্ঠান করছেন। তিনি আরও জানান, বেসরকারি হোটেল বা লজে অনুষ্ঠান করার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। আর সেজন্যই তাঁরা বিদ্যালয়ের ভিতর এই অনুষ্ঠান করেছেন। সরকারি স্কুল প্রাঙ্গণকে এভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মক্ষেত্র কীভাবে বানানো যায়? সেই বিষয়ে শিক্ষাবিদরাও প্রশ্ন তুলছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share