Tag: tmc

tmc

  • BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    BJP: অভিষেকের জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! জনসম্পর্ক অভিযানে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির জনজোয়ার সভার তীব্র সমালোচনা করলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি। এই জেলার আরামবাগ, পোলবা এবং বলাগড়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জনজোয়ার কর্মসূচি পালন করছেন। ইতিমধ্যেই এই জেলার তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে শিক্ষক দুর্নীতির অভিযোগে সিবিআই-ইডি গ্রেফতার করেছে। আর তাই, এই সুযোগে বিজেপির মহা জনসম্পর্ক যাত্রা চলাকালীন তৃণমূল সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন সুকান্ত মজুমদার (BJP)?

    কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূর্তি উপলক্ষে সাংসদ সুকান্ত মুজমদার (BJP) জনসম্পর্ক অভিযানে চুঁচুড়ার কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেন, আরামবাগে জনজোয়ার নয়, জনভাটা চলছে! যারা টাকা কালেকশন করে পৌঁছে দেবে, তারা এখন জেলে। অভিষেকের ট্রাক্টরে করে রোড শো করাকে কটক্ষ করেন তিনি। বলেন, তৃণমূলের জেলা জুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চলছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন এখনও হয়নি। কিন্তু যদি রাজ্য সরকার নির্বাচন সঠিক সময়ে না করে, তাহলে যতজন লোক অভিষেকের পিছনে ঘুরছে, তাও আর ঘুরবে না। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, রেল দুর্ঘটনা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করছেন। সুকান্তবাবু বলেন, আহতদের আর্থিক সাহায্যের জন্য স্থানীয় নেতারা প্রথমে চেক দিলেও, তারপর আবার মুখ্যমন্ত্রী তাঁদের কলকাতায় নিয়ে গিয়ে, সেই চেক ঘটা করেপুনরায় প্রদান করেছেন। এটা রীতিমতো আহত ব্যক্তিদের হেনস্থা ছাড়া আর কিছু নয়। উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী যখন চেক বিলি করছিলেন, সেই সময় মন্তব্য করেন, ‘সিবিআই এখন বাথরুমেও ঢুকছে’। আর তাঁর এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে সুকান্তবাবু বলেন, টাকা-সোনা যদি তৃণমূল নেতাদের বাথরুমেও রাখা থাকে, তাহলে বাথরুমেও সিবিআই-ইডি ঢুকবে। কেন্দ্র সরকারের ৯ বছর পূরণের উপলক্ষে বিজেপি সমাজের বিভিন্ন বিশিষ্ট মানুষের বাড়িতে গিয়ে জনসম্পর্ক অভিযান করছে। কবি অরুণ চক্রবর্তীর বাড়িতে এই সুবাদেই যাওয়া সুকান্ত মজুমদারের। অরুণবাবু অবশ্য বলেন, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Panchayat: এটাই কি উন্নয়ন? ত্রিপল দেওয়া ঘরে ঝড়বৃষ্টির সময় ঠাঁই চৌকির নিচে!

    Panchayat: এটাই কি উন্নয়ন? ত্রিপল দেওয়া ঘরে ঝড়বৃষ্টির সময় ঠাঁই চৌকির নিচে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাঙা বেড়া। তার ওপরে ছেঁড়া ত্রিপল! বৃষ্টি এলেই ভিজে যায় ঘর, দমকা হাওয়া দিলেই উড়ে যায় ত্রিপল। নিরুপায় হয়ে ঝড়বৃষ্টির সময় বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিয়ে চৌকির তলায় ঠাঁই নিতে হয়। তার ওপর বাড়ি বাড়ি পানীয় জলের লাইন বসলেও পড়ে না জল। আর্সেনিকযুক্ত জল খেয়েই বেঁচে থাকতে হয় তাঁদের। এভাবে চূড়ান্ত সমস্যায় একাধিক আদিবাসী পরিবার। এরকম একটা দুঃসহ অবস্থায় মেলেনি কোনও সরকারি পরিষেবা। তাই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের (Panchayat) বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ক্ষোভ এলাকাবাসীর। নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সরদারপাড়া। শতাধিক মানুষের বসবাস। বছরের পর বছর ধরে বসবাস করলেও এখনও পর্যন্ত মেলেনি পঞ্চায়েতের কোনও পরিষেবা।

    কী বলছেন ভুক্তভোগী বাসিন্দারা (Panchayat)?

    এই বিষয়ে ওই এলাকার এক দিনমজুর রাম সরদার বলেন, আমরা কোনও কিছুই সুবিধা পাই না। ঘর এখনও পাইনি। ভোট এলে তবেই পঞ্চায়েত সদস্যদের এলাকায় দেখা যায়। একাধিকবার জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। আমরা চাই, যাতে অন্তত সরকারি ঘরটা তাড়াতাড়ি পাই। আরেক বাসিন্দা নিমাই সরদার বলেন, জন্মের পর থেকেই এই ত্রিপলের ঘরে বসবাস করছি। ঝড়বৃষ্টি এলে ভয় হয়। কিন্তু কিছু করার নেই। বাধ্য হয়ে থাকতে হয়। একাধিকবার পঞ্চায়েত সদস্যকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। তিনি শুধু আশ্বাস দিয়ে গেছেন।কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ওই এলাকার বাসিন্দা খুদু সরদার বলেন, বৃষ্টি হলেই বাড়ির সামনে এক হাঁটু জল জমে যায়। বাড়িতে সাপের উপদ্রব বেড়ে যায়। এর আগে একাধিকবার ঘরে সাপ ঢুকেছিল। বাড়িতে ছোট বাচ্চা নিয়ে চরম আতঙ্কে থাকি। কিন্তু আমাদের কোনও ঘর দেওয়া হয়নি। বয়স্ক ভাতা থেকে শুরু করে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কিছুই আমি পাই না। পঞ্চায়েতের তরফ থেকে একজন আসেন, দেখে চলে যান। কাজের কাজ কিছুই হয় না। সবকিছু বিক্রি করে কোনও রকমে বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগটা করিয়েছি। আমরা চাই অবিলম্বে সরকার এবং পঞ্চায়েতের (Panchayat) তরফ থেকে পরিষেবার ব্যবস্থা করুক।

    ক্ষোভ উগরে দিলেন বিজেপি নেত্র্রী?

    যদিও পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ওই এলাকার বিজেপি নেত্রী শিলা হালদার মণ্ডল। হরিপুর পঞ্চায়েতের (Panchayat) বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, যাঁরা মূলত তৃণমূল করছেন, তাঁরাই ঘর পাচ্ছেন। একবারের জায়গায় দু থেকে তিনবার একই নামে ঘর আসছে। অথচ যাঁরা নিম্নবিত্ত শ্রেণির খেটে খাওয়া মানুষ, যাঁরা ঘর পাওয়ার যোগ্য, তাঁরা ঘর পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত এলাকার এক শ্রেণির তৃণমূল নেতা কাজ না করে রাতারাতি ফুলেফেঁপে উঠছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, শুধুমাত্র ঘর নয়, প্রতিটি প্রকল্পে ব্যাপক হারে দুর্নীতি করেছে এই তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব (Panchayat)?

    এ বিষয়ে হরিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat) প্রধান শোভা সরকার বলেন, ঘর মূলত কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার উভয়ের আর্থিক বরাদ্দ থেকে দেওয়া হয়। কিন্তু কেন্দ্র থেকে কোনও আর্থিক সাহায্য না মেলায় ঘর দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ওই প্রকল্পের টাকা আমাদের হাতে এলেই আমরা ঘর দেওয়া শুরু করব। অন্যদিকে অন্যান্য প্রকল্প নিয়ে তিনি বলেন, সঠিক নথিপত্র যাদের রয়েছে তাদের আমরা বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছি।

    ওই এলাকার বর্তমান পঞ্চায়েত (Panchayat) সদস্যা তনুশ্রী সাহার স্বামী এবং প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তাপস কুমার সাহা বলেন, বাম আমলে কোনও কাজ হয়নি। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর এবং আমি প্রথম মেম্বার হওয়ার পর ওই এলাকায় একশো শতাংশ উন্নয়ন করেছি। সরদার পাড়ার প্রত্যেকেই ঘর পেয়েছে। পাশাপাশি বিধবা ভাতা এবং লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সবাই পেয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়েও তৃণমূল নেতার সামনে দিতে হচ্ছে ভোট!

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়েও তৃণমূল নেতার সামনে দিতে হচ্ছে ভোট!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার হুগলি জেলার আরামবাগ। তৃণমূলের (TMC) ভোটগ্রহণ কর্মসূচিতে কারচুপির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য। একাধিক জেলার কর্মসূচিতে এরকম গণ্ডগোলের উদাহরণ লক্ষ্য করা গিয়েছে আগেই, যা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন বিরোধীরা। এবার আরামবাগে নবজোয়ার কর্মসূচির ভোটাভুটি নিয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ। আরামবাগের কালিপুর স্পোর্টস কমপ্লেক্স মাঠে অভিষেকের অধিবেশন শুরু করার আগেই ভোটাভুটি শুরু হয়। কিন্তু এই ভোটাভুটিতেও কারচুপির অভিযোগ ওঠে।

    ভোটাভুটি নিয়ে কী অভিযোগ (TMC)?

    অভিযোগ, ভোট চলাকালীন আরামবাগের হরিণখোলা এক নম্বর অঞ্চলের সভাপতি (TMC) পার্থ হাজারি ভোট বাক্সের কাছে দাঁড়িয়ে থাকেন এবং তাঁর সামনে ভোট দিতে হচ্ছে তৃণমূ্লের নেতা-কর্মীদের। আরও অভিযোগ, জেরক্স করে এনে ভোটার স্লিপ ভোট বাক্সে দেওয়া হচ্ছে। এরপর আই প্যাকের লোকেরা তা জানতে পেরে প্রাথমিকভাবে হরিণখোলা এক নম্বর অঞ্চলের যে তাঁবুতে ভোট হচ্ছিল, তা বন্ধ করে দেন।

    কী বললেন কুণাল ঘোষ (TMC)?

    এই বিষয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” যদি কোথাও এই রকম ঘটনা ঘটে, সেখানে পুনরায় ভোট করা হচ্ছে। তিনি আরও জানান, গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এত বড় একটা কর্মকাণ্ড চলছে। একটা দলের (TMC) প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য এরকম ভোটগ্রহণ কর্মসূচি প্রথম। সেখানে এক-আধটা জায়গায় এরকম বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ঘটতেই পারে। এতে আসল বিষয়টিতে কোনও অসুবিধা হবে না। কুণাল যাই বলুন, এই রকম কারচুপি করে ভোট হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় তৃণমূল মহলে। যদিও যে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ উঠছে, সেই পার্থ হাজারি বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের (TMC) জন্যই চলছে ভোটগ্রহণ

    উল্লেখ্য, মঙ্গলবার হুগলি জেলায় দ্বিতীয় দিনের নবজোয়ার কর্মসূচিতে একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (TMC)। মঙ্গলবার দুপুরে তারকেশ্বর মন্দিরে যান অভিষেক। সেখানে পুজো দেন। এরপর যান রাধানগর রামমোহন রায় মেমোরিয়ালে। সেখান থেকে কামারপুকুরে শ্রী রামকৃষ্ণের বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। সেখান থেকে রাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যান আরামবাগের কালীপুর মাঠে। প্রসঙ্গত, গত মে মাস থেকে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। জেলায় জেলায় জন সংযোগ যাত্রা শুরু করেছেন তিনি। এর মাঝেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য চলছে ভোটগ্রহণ কর্মসূচি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘২ হাজারের নোটে ক্ষতিপূরণ, কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি’’, খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘২ হাজারের নোটে ক্ষতিপূরণ, কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতি’’, খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু ২ লাখ টাকা করে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে রীতিমতো কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। কালো টাকা সাদা করতেই তৃণমূলের এই উদ্যোগ বলে তোপ দেখেছেন বালুরঘাটের সাংসদ। তাঁর আরও দাবি , দু’লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ২ হাজার টাকার নোটে দেওয়া হচ্ছে। যা ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ব্যাঙ্কে গিয়ে বদল করে আসতে হবে।

    কী লিখলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)?

    এই নিয়ে মঙ্গলবারই ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। একটি ভিডিও পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল দলের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারকে ২ লাখ টাকার আর্থিক সাহায্য করছেন রাজ্যের একজন মন্ত্রী। একে আমি সাধুবাদ জানাই। কিন্তু এ প্রসঙ্গে আমার প্রশ্ন, একসঙ্গে ২ হাজার টাকার নোটে দু লাখ টাকার বান্ডিলের উৎসটা ঠিক কি?’’ অর্থাৎ স্পষ্টভাবেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলতে চেয়েছেন যে ঘুষ এবং দুর্নীতির কালো টাকা সাদা করার উদ্দেশ্যেই তৃণমূল দু লাখ টাকার ক্ষতিপূরণের কথা ঘোষণা করেছে।

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘বর্তমানে ২০০০ টাকার নোট বাজারে যোগান কম এবং তা ব্যাঙ্কের মাধ্যমে পরিবর্তন করার পদ্ধতি চলছে। এই পরিস্থিতিতে অসহায় পরিবারগুলোকে দুই হাজার টাকার নোট প্রদান করে তাদের সমস্যা কি বৃদ্ধি করা হল না?  দ্বিতীয়ত, এটা কালো টাকা সাদা করার তৃণমূলী পদ্ধতির নয় কি?’’

    আরও পড়ুন: রেললাইনে চলে এল ট্রাক, অল্পের জন্য রক্ষা পেল রাজধানী এক্সপ্রেস!

    গতকালই ২০০০ টাকার নোটের বান্ডিল দিতে দেখা যায় মন্ত্রী শশী পাঁজাকে

    প্রসঙ্গত, এই দিনই স্বজনহারা পরিবারগুলির হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় গিয়েছিলেন মন্ত্রী শশী পাঁজা, বিধায়ক শওকত মোল্লা, জয় নগরের সাংসদ প্রতিমা মণ্ডলরা। ২০০০ টাকার নোট ইতিমধ্যে প্রত্যাহারের কথা ঘোষণা করেছে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। যাদের কাছে এই নোট রয়েছে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তা বদল করারও নির্দেশ দিয়েছে ভারতের সর্বোচ্চ ব্যাঙ্ক। তা সত্ত্বেও এদিন ২০০০ টাকার নোটে ক্ষতিপূরণ দিতে দেখা যায় তৃণমূল নেতৃত্বকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন”, অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন”, অভিষেককে কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জুতো মেরে গরুদান। বাংলার একটা বিখ্যাত প্রবাদ। অভিষেকের ফুরফুরা শরিফে আসাকে ঠিক এই প্রবাদেই ভূষিত করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সোমবার বিকেলে অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা প্রবেশ করেছিল হুগলি জেলায়। হাওড়ার ডোমজুড় থেকে অভিষেকের কনভয় হুগলিতে ঢোকে জাঙ্গিপাড়ার মধ্য দিয়ে। তিনদিনের কর্মসূচির সূচনা হিসেবে জাঙ্গিপাড়ার অন্তর্গত ফুরফুরা শরিফকেই বেছে নেওয়া হয়েছিল। উদ্দেশ্য ছিল ফুরফুরা শরিফের পবিত্র মাজার দর্শন করে পিরজাদাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করা। কিন্তু অভিষেকের ফুরফুরার অভিষেক মসৃণ ছিল না। কারণ ওইদিন সকালেই তাঁর (Abhishek Banerjee) বিরুদ্ধে পোস্টার পড়েছিল। যদিও পুলিশি হস্তক্ষেপে সেই পর্ব মিটে যায়। তবুও খোদ নওশাদ সিদ্দিকির বাসস্থান যেখানে, সেখানে তো ক্ষোভ থাকবেই। কারণ এই নওশাদকেই বেশ কিছুদিন হাজতবাস করতে হয় শাসকদলের অঙ্গুলি হেলনে।

    সুকান্তর (Sukanta Majumdar) হুগলি জেলার কর্মসূচি

    আর মঙ্গলবার প্রবাস কর্মসূচি উপলক্ষে দুদিনের সফরে হুগলি এসে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ঠিক সেই জায়গাতেই খোঁচাটা দিলেন। রাজনৈতিক দিক থেকে দেখতে গেলে হুগলি জেলায় মঙ্গলবার ছিল খুব গুরুত্বপূর্ণ দিন। একদিকে অভিষেকের জনজোয়ার কর্মসূচি চলছে হরিপাল থেকে তারকেশ্বর পর্যন্ত, অন্যদিকে বিজেপির প্রবাস কর্মসূচি উপলক্ষে খোদ রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) হুগলি আগমন। এদিন দুপুরে শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার কিছু মণ্ডলের মিটিং সেরে চণ্ডীতলার কৃষ্ণরামপুর এলাকায় সন্ধ্যায় জনসভা করেন সুকান্তবাবু। সেখানে তিনি বলেন, কয়েকদিন আগে তৃণমূল কংগ্রেস এই অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশেই ফুরফুরার পিরজাদা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে জেলে ঢুকিয়ে ছিল। সেই ফুরফুরাতে গিয়েই উনি শ্রদ্ধাদান করেছেন!

    অভিষেকের নবজোয়ারকে কটাক্ষ

    এদিন হরিপালে রোড শো-তে অভিষেককে ট্রাক্টরে চেপে যেতে দেখা গিয়েছিল। সেই বিষয়েও কটাক্ষ করেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, উনি এসব নাটক করছেন। চেহারা টেহারা কমিয়েছেন। একটু স্লিম হয়েছেন। হিরো হওয়ার শখ হয়েছে হয়তো। দেবের সিনেমাগুলো হয়তো আগামী দিনে করবেন। সেই জন্য ট্রাক্টরে চড়ছেন, গাড়ির মাথায় চড়ছেন, ফুল ছড়াচ্ছেন। তাঁর কথায়, আগে তো কখনও গ্রামে বাংলায় যাননি, তাই এখন যাচ্ছেন। দেখছেন জমিতে ধান কেমন হয়, ধান হয় না কাঠ হয়। আসলে সব নাটক।

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন উপলক্ষে সুকান্তর দাবি, ফ্রি অ্যান্ড ফেয়ার ইলেকশন হলে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের থেকে বেশি আসন নিয়ে জয়লাভ করবে। এদিন শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার সভা সেরেই চুঁচুড়া ফিরে আসেন তিনি (Sukanta Majumdar)। হুগলি জেলা পূর্ত ভবনের পাশে পথসাথীতে রাত্রিবাস করে বুধবার হুগলি সাংগঠনিক জেলাতে বেশ কিছু দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, মার খেয়ে হাসপাতালে অঞ্চল সভাপতি

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে, মার খেয়ে হাসপাতালে অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, শাসক দলের (TMC) কঙ্কালসার চেহারাটা যেন ততই প্রকাশ্যে চলে আসছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় যাচ্ছে যে, দলেরই এক গোষ্ঠী অন্য গোষ্ঠীর নেতার গায়ে হাত তুলতেও দ্বিধাগ্রস্ত হচ্ছে না। এমনই ঘটনা ঘটল এবার উত্তর দিনাজপুরে। সেখানে ফের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চলে এল প্রকাশ্যে। বুথ কমিটি গঠন নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে দলেরই অঞ্চল সভাপতিকে মারধরের অভিযোগে ব্যাপক চাঞ্চল্য এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার রায়গঞ্জের বীরঘই গ্রাম পঞ্চায়েতের ভূপালপুর এলাকায়। আহত অঞ্চল সভাপতি রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ ওই পঞ্চায়েতের উপপ্রধানের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে তৃণমূলেরই গোষ্ঠী কোন্দল বলে মেনে নিলেও এতে তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেছেন উপপ্রধান।

    কীভাবে ঘটল এই ঘটনা (TMC)?

    উল্লেখ্য, সোমবার রাতে বীরঘই অঞ্চলের ভূপালপুর বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) নতুন বুথ কমিটি ঘোষণা করতে গিয়েছিলেন অঞ্চল সভাপতি কৈলাশ চন্দ্র বর্মন সহ কয়েকজন নেতৃত্ব। ফেরার পথে ভূপালপুর এলাকাতে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্য গোষ্ঠী লাঠিসোটা নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় সোমবার মধ্য রাতে আহত অঞ্চল সভাপতিকে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সমস্ত ঘটনা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে বলেই জানিয়েছেন আক্রান্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতারা। ঘটনায় আহত কৈলাশ চন্দ্র বর্মন অবশ্য ক্যামেরার সামনে উপ প্রধানের নাম না তুললেও উপ প্রধানের গোষ্ঠীর বিরুদ্ধেই তাঁকে মারধরের অভিযোগ তোলেন।

    কী বললেন অভিযুক্ত উপপ্রধান (TMC)?

    অন্যদিকে, বীরঘই পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল আলম এই ঘটনাকে তৃণমূলেরই (TMC) দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বলে স্বীকার করে নিয়েছেন। তবে তিনি এই বিষয়ে কিছু জানেন না, আর বিষয়টি তিনিও উর্ধ্বতন নেতৃত্বকে জানিয়েছেন বলে দাবি করেন। একটা বিষয় পরিষ্কার, ঘটনা ঘটলেও এর দায় কোনও পক্ষই নিতে রাজি নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: রাজ্য জুড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মন্ত্রী শোভনদেব!

    TMC: রাজ্য জুড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় পুলিশকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন মন্ত্রী শোভনদেব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এগরার বাজি বিস্ফোরণে ১১ জনের মৃত্যু হয়। এর পরই পুলিশি অভিযানে রাজ্য জুড়ে বস্তা বস্তা বোমা উদ্ধার হয়। এখনও চলছে বোমা উদ্ধারের কাজ। এর মধ্যে সোমবার সকালেই বনগাঁয় শৌচালয়ের মধ্যে থাকা বোমা বিস্ফোরণে ১২ বছরের এক কিশোরের মৃত্যু হয়। একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন খড়দার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তথা রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়।

    বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে কী বললেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী?

    খড়দহে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে মন্ত্রী (TMC) বলেন, “রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় কোথাও হচ্ছে বোমা বিস্ফোরণ, কোথাও আবার প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যাচ্ছে তাজা বোমা। বোমা বিস্ফোরণে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ছোটদের মৃত্যু হচ্ছে। বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রশাসন নিষ্ক্রিয়। পুলিশ-প্রশাসনকে আরও বেশি করে সক্রিয় হতে হবে। এই মৃত্যুগুলো আমাদের কাঙ্খিত নয়। পুলিশ আরও বেশি সতর্ক হোক, আরও বেশি করে এগিয়ে চলুক। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স আরও ভালো করে কাজ করুক। পুলিশের আইবি ও এসবি দফতর ভালো করে কাজ করে দেখুক, কোথায় বোমা রাখা আছে। যারা জড়িত রয়েছে তাদেরকে গ্রেফতার করুক। বিভিন্ন জেলায় থানা বাড়ছে, কিন্তু পুলিশে নিয়োগ হচ্ছে না।”

    বোমা নিয়ে অর্জুনের কী বক্তব্য?

    কয়েকদিন আগে বারাকপুরে সোনার দোকানে খুনের ঘটনায় পুলিশ-প্রশাসনের কড়া সমালোচনা করেছিলেন সাংসদ অর্জুন সিং। দলীয় কাউন্সিলার আক্রান্ত হওয়ার পর ক্ষোভ জানিয়েছিলেন তিনি। দলের একাংশের বিরুদ্ধে তিনি সরব হয়েছেন বার বার। এবার বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে আজব তত্ত্ব খাড়া করলেন অর্জুন। তিনি বলেন, “বোমা সস্তার অস্ত্র। প্রচণ্ড গরমে বিস্ফোরণ হচ্ছে।” এর আগেও রাজ্যে একের পর এক বোমা বিস্ফোরণ নিয়ে তৃণমূল (TMC) সাংসদ সৌগত রায় গরমকে দায়ী করেছিলেন। যা নিয়ে রাজনীতিতে জলঘোলা হয়েছিল। এবার অর্জুনের তত্ত্ব নিয়ে রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sukanta Majumdar: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: “অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রীর গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত”, কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সন্ধ্যায় খড়্গপুর-২ নম্বর ব্লকের পলশ্যা গ্রামের গোকুলপুর বাজারে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে জনসম্পর্ক সভার আয়োজন করা হয়। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী, আপনার লজ্জা লাগে না? আপনি একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। আপনারই রাজত্বে স্বামী বিজেপি করে বলে একজন মহিলাকে শুনতে হয়, তোমাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করব! এরকম মুখ্যমন্ত্রী হলে তাঁর লজ্জা লাগা উচিত, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করা উচিত। অপদার্থ মুখ্যমন্ত্রী।” উল্লেখ্য, দলীয় কর্মীর স্ত্রীকে এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানার পরই বিস্ফোরক হয়ে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে একের পর এক তোপ দাগেন।

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সবেরাতি আলি এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে বলে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের অভিযোগ। এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সভাপতি তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, “সবেরাতি আলি ব্লক প্রেসিডেন্ট তৃণমূলের। তাকে পরিষ্কার বলে দিচ্ছি, ভাই সময় আছে, শুধরে যাও। না হলে পরে যোগীর ট্রিটমেন্ট করব। এমন অবস্থা করব, পশ্চিমবঙ্গে লুকনোর জায়গা খুঁজে পাবে না। অন্য রাজ্যে গিয়ে কবরে স্থান পাবে।”

    পুলিশকে তোপ দাগেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “আরে, চামচাগিরি করার ইচ্ছে হয়েছে তো পুলিশের ড্রেস খুলে রাখুন। তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা নিয়ে পঞ্চায়েতে দাঁড়ান। আমরা বুঝিয়ে দেব, কত ধানে কত চাল। পুলিশের ড্রেস পরে চামচাগিরি করতে আসবেন না। আপনার টুপিতে অশোকস্তম্ভ থাকে। যদি চামচাগিরি করতে হয়, অশোকস্তম্ভটা খুলে ফেলে দিন। হাওয়াই চটি লাগিয়ে চামচাগিরি করুন। লোকে তাও কিছুটা হলেও মানবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Murshidabad: অধীরের সভার প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: অধীরের সভার প্রচার করতে গিয়ে আক্রান্ত মহিলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার আনুমানিক রাত নটা নাগাদ মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগরে রাস্তার উপর তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী এক মহিলাকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। ওই মহিলাকে এমন ভাবে মারধর করা হয়, তাঁর ডান হাতের আঙুল থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে। মহিলাকে মারধর করার জন্য তৃণমূলের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক মহল প্রশ্ন তুলছে, রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা কোথায়?

    রানিনগরে (Murshidabad) কী হয়েছিল?

    আগামী কয়েকদিনের মধ্যে রানিনগরে (Murshidabad) কংগ্রেসের একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরি থাকবেন বলে ওই মহিলা সামাজিক মাধ্যমে প্রচারও করেন। আর তার পরেই তৃণমূলের নাজমুল সহ আরও অনেক নেতা তাঁকে আক্রমণ করে বলে অভিযোগ। 

    আক্রান্ত মহিলার বক্তব্য

    আহত মহিলার দাবি, কিছুতেই তিনি এই রাস্তা থেকে সরবেন না, যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন (Murshidabad) তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আটক করছে। সেই সঙ্গে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় শুয়ে থাকবেন। তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রশাসন নেই। সভার প্রচারকে কেন্দ্র করে শহরে মিছিল করা হবে বলে আমি কর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে জানাই। আর তার পরেই তাঁর উপর এই আক্রমণ হয় বলে তিনি জানান। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, যারা আমার উপর আক্রমণ করেছে, তাদের মধ্যে আমি নাজমুলকে চিনি, সে তৃণমূল করে। আর যারা সাথে ছিল তাদেরকেও চিনি আমি। কিন্তু নাম জানি না।

    প্রশাসনের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ

    রানিনগরের (Murshidabad) শেখপাড়ায় ওই ঘটনা এলাকার ব্যবসায়ীদের আতঙ্কিত করে তুলেছে। রাতে রাস্তায় লোকজন বেরোতে ভয় পাচ্ছেন। এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, পুলিশ কী সহযোগিতা করবে! আমাদেরকেই পুলিশকে সহযোগিতা করতে হয়। পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী একজন মহিলা। সেই অবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিন মহিলারা মার খাচ্ছে, ধর্ষিতা হচ্ছে। কিন্তু মহিলাদের উপর আক্রমণ চলছে, অথচ প্রশাসনের কোনওরকম ভ্রুক্ষেপ নেই। বিরোধী রাজনৈতিক দলের বক্তব্য, এরপরও কী করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, পশ্চিমবঙ্গে এখনও আইন আছে! উনি কোন চশমা ব্যবহার করে পশ্চিমবঙ্গের আইন ব্যবস্থাকে জাগ্রত রেখেছেন, সেটাই প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    TMC: ভাটপাড়ায় তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে, বল গড়াল পুলিশ কমিশনারের কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপেও মিটল না ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এবার এই কোন্দল বারাকপুর পুলিশ কমিশনারের অফিস পর্যন্ত গড়াল। ভাটপাড়ার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এদিন পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান। মাসখানেক আগেই সত্যেনবাবুর স্ত্রী পুলিশ কমিশনারের কাছে স্বামীর উপর হামলা হওয়ার আশঙ্কা করে চিঠি দিয়েছিলেন। সত্যেনবাবুর উপর হামলা হওয়ার পর তিনিও পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। এবার তাঁর বিরুদ্ধে ২৪ জন কাউন্সিলর এসে পুলিশ কমিশনারের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অভিযোগ জানিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলররা?

    কয়েকদিন আগে ভাটপাড়া পুরসভার ভিতরেই অর্জুন ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবুকে বেধড়ক পেটানো হয়েছিল। সেই ঘটনার জের জেলা তৃণমূলের কার্যালয় পর্যন্ত গড়িয়েছিল। সুবিচার চেয়ে সত্যেনবাবু জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। এমনকী নিজে কাউন্সিলর থেকে পদত্যাগ করার হুমকি দেন। সাংসদ অর্জুন সিং কাউন্সিলর হামলার ঘটনায় সত্যেনবাবুর পাশে দাঁড়িয়েছেন। এমনকী দল কোনও ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ার মতো ঘটনা ঘটবে বলে হুমকি দিয়েছিলেন। এই ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল নেতৃত্ব। বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেছিলেন, খুব শীঘ্রই ভাটপাড়ায় গিয়ে সমস্যার সমাধান করব। তার আগেই ফের কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল। এদিন ভাটপাড়া পুরসভার ২৪ জন কাউন্সিলর দল বেঁধে পুলিশ কমিশনারের কাছে পুলিশি হয়রানি এবং সত্যেন রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানান। তাঁদের বক্তব্য, সত্যেনবাবু আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছেন। পুরসভাকে নানা ভাবে বদনাম করছেন। পুরসভার উন্নয়নে বাধা দিচ্ছেন। তাই, আমরা পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ করলাম।

    কী বললেন সাংসদ অর্জুন সিং?

    এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর সত্যেনবাবু বলেন, আমিও আগে অভিযোগ করেছি। পুলিশ দুপক্ষের অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। ২৪ জন কাউন্সিলরের পুলিশ কমিশনারের কাছে অভিযোগ জানানো প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, আমাদের দলের জেলা সভাপতি তাপস রায়। পুলিস কমিশনার তো জেলা সভাপতি নয়। তাহলে তাঁর কাছে কেন এসব অভিযোগ জানাতে গেলেন, আমি বলতে পারব না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share