Tag: tmc

tmc

  • Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    Paschim Medinipur: তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতেই জেলায় শুরু বিজেপির জনসম্পর্ক অভিযান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচি শেষ হতেই ময়দানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এবং দলের কার্যকর্তারা। রবিবার থেকেই একাধিক জায়গায় কর্মসূচি করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সামনেই পঞ্চায়েত এবং লোকসভার ভোট। আর তাকে লক্ষ্য করেই ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল। বিজেপি এবার শুরু করে দিল জনসম্পর্ক অভিযান।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে (Paschim Medinipur) কোথায় গেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি

    রবিবার কেশিয়াড়িতে জনসম্পর্ক সভা করেন সুকান্ত মজুমদার। তারপরই সোমবার সকালে ডেবরার (Paschim Medinipur) পিংলা ব্লক এলাকায় বিশেষ জনসম্পর্ক অভিযান করেন তিনি। গত ন-বছরে কেন্দ্রীয় সরকারের নানাবিধ প্রকল্প এবং সুবিধার কথা তিনি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে গিয়ে বলার চেষ্টা করেন বলে জানা গেছে।

    কী বলেন সুকান্ত মজুমদার?

    রাজ্য সরকারের শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে পিংলায় (Paschim Medinipur) সুকান্ত মজুমদার বলেন, কাকু হোন বা ডাকু হোন, বাঁচবে না কেউ। মুখে কুলুপ দেন আর কুলপি নিন, যাই করে থাকুন না কেন, কীভাবে কথা বের করতে হয়, সিবিআই-ইডি সব জানে। সব কথা প্রকাশ পাবে, গোপনে কিছুই থাকবে না। সুকান্ত মজুমদার আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন গোটা দেশে ৫৪০ টির বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। সেই সঙ্গে ১৪০০ জনের বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছিল এবং ৮০০ টির বেশি ঘটনায় লাইনচ্যুত হয় রেল। মুখ্যমন্ত্রী রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ দাবি করছেন! কিন্তু তার আগে তো ডবল ডবল পদত্যাগ করা উচিত মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ রাজ্যে ডবল ডবল চাকরি হয়নি। এই প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু আরও বলেন, এই মুখ্যমন্ত্রীর সময়েই জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা ঘটেছিল। কিন্তু এই দুর্ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট সামনে আসতে দেননি তিনিই। এর কারণ, মূলচক্রী মাওবাদী নেতা ছত্রধর মাহাতো এখন তাঁরই দলের লোক। ঠিক এই ভাবেই জনসম্পর্ক অভিযানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    Rujira Banerjee: দুবাই যাওয়ার পথে রুজিরাকে আটকানো হল বিমানবন্দরে! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা বিমানবন্দরে অভিবাসন দফতরের বাধার মুখে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। এদিন সকালে দুবাই যাওয়ার জন্য কলকাতা বিমানবন্দরে আসেন তিনি। সঙ্গে ছিল দুই সন্তান। কেন হঠাৎ বাধা দেওয়া হল? সূত্রের খবর, ইডির একটি মামলায় লুকআউট নোটিশ জারি করা হয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে, তার জেরেই তাঁকে আটকেছেন অভিবাসন দফতরের কর্তারা। তাঁদের দাবি, বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে বিধি-নিষেধ রয়েছে রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তৃণমূল অবশ্য পাল্টে দাবি করেছে, গত সেপ্টেম্বর মাসে ওই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট অভিষেক-রুজিরাকে (Rujira Banerjee) জানিয়েছিল, বিদেশ যাত্রায় তাঁদের কোনও বাধা নেই।

    ঘটনাক্রম……

    সোমবার সকাল সাতটা নাগাদ বিমানবন্দরে হাজির হন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা (Rujira Banerjee)। জানা গেছে, তিনি দুবাই-এর বিমান ধরার জন্য আসেন। সঙ্গে ছিল তাঁর দুই সন্তান। বিমানে ওঠার আগে ইমিগ্রেশন কাউন্টারে যাওয়ার পর তাঁকে বলা হয়, তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না। কারণ তাঁর বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ রয়েছে। এরপরে দীর্ঘক্ষণ অভিবাসন দফতরের ওয়েটিং রুমে বসে থাকতে দেখা যায় রুজিরাকে।

    আরও পড়ুন: ৫১ ঘণ্টা পর বালাসোরে গড়াল ট্রেনের চাকা! চোখে জল রেলমন্ত্রীর

    কী বললেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য

    বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের কথায়, “আমি জানি না কেন আটকানো হল। যদি বৈধ অনুমতির পরও তাঁকে আটকানো হয়, তাহলে অন্যায়। এয়ারপোর্ট অথারিটি তা দেখবে। কিন্তু যাঁরা প্রতিহিংসার তত্ব সামনে আনছেন, তাঁদের জন্য বলি যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানেন প্রতিহিংসার অর্থ কী।”

    আরও পড়ুন: ট্রেন দুর্ঘটনায় বাইডেনের দুঃখ প্রকাশ! বিশ্বনেতাদের সাহায্যের আশ্বাস

    কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে বেশ কয়েক দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি

    কয়লা পাচার মামলাতে এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে দিল্লিতে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজিরা দেননি রুজিরা। পরবর্তীকালে কলকাতায় তিনি হাজিরা দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    TMC: তৃণমূলের জেলা সভাপতির সামনে পদত্যাগের হুমকি দিলেন কাউন্সিলর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংগঠন মজবুত করার বার্তা দিতেই তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলা কমিটির বৈঠক ডাকা হয়েছিল। আর সেই বৈঠকেই তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল। জেলা সভাপতির সামনেই জগদ্দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন সাংসদ অর্জুন সিং ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তাঁর বিক্ষোভের জেরে নড়েচড়ে বসে জেলা নেতৃত্ব। জেলা সভাপতি তাপস রায় জগদ্দল এর বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম এর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন। সেই বৈঠক উপস্থিত ছিলেন সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিকও। সত্যেনবাবুর সঙ্গে আলাদা করে কথা বলেন জেলা সভাপতি।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব জোয়ার কর্মসূচি সফল করে তুলতে টিটাগরের জেলা তৃণমূল (TMC) দফতরে মিটিং করলেন দমদম বারাকপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। নব জোয়ারের মিটিং এর শেষে গোষ্ঠী কোন্দল নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক হল জেলা অফিসেই। পরে, তৃণমূলের বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তাপস রায় বলেন, উভয়পক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। এইভাবে কথা বললে সমস্যা অনেক মিটে যায়। আমি কয়েক দিনের মধ্যে ভাটপাড়া পুরসভায় গিয়ে একটি মনিটরিং মিটিং করব। আলোচনা করেই সমস্যার সমাধান করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) কাউন্সিলর?

    এদিন বৈঠক চলাকালীন প্রকাশ্যেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন ভাটপাড়া পুরসভা ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়। তিনি বলেন, প্রথমদিন থেকে আমি দল করছি। অথচ যারা কয়েকদিন আগে দল ঢুকল তারা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরসভায় ঢুকে আমার উপর চড়াও হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। জেলা নেতৃত্বের সামনে সমস্ত সমস্যার কথা বললাম। আশানুরূপ বিচার না পেলে আমি পদত্যাগ করব।

    কী বললেন জগদ্দল বিধায়ক?

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যাম বলেন, কাউন্সিলররা তাঁর সঙ্গে আলোচনা করতে গিয়েছিলেন। কোনও মারধর করা হয়নি। এখন তিনি মারধরের কথা কেন বললেন জানি না। দলীয় নেতৃত্ব সমস্ত বিষয়টি দেখছে। তারা এই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Transfer: একদিনেই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার! তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে স্বাস্থ্য ভবন?

    Transfer: একদিনেই বদলির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার! তৃণমূলের অঙ্গুলি হেলনেই চলছে স্বাস্থ্য ভবন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিযোগ ওঠে বারবার। আর এবার কার্যত সেই অভিযোগে সিলমোহর দিল খোদ স্বাস্থ্য ভবন। চব্বিশ ঘণ্টা পার হতে না হতেই বদলির (Transfer) সিদ্ধান্ত বদলে গেল। রাজ্যের চিকিৎসক মহল বলছে, শাসক দলের ঘনিষ্ঠ না হলে সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব পাওয়া যায় না। এমনকী, কোন হাসপাতালে কোন কাজ চিকিৎসক করবেন, সবটাই হয় রাজ্যের শাসক দলের অঙ্গুলি হেলনে।

    কোন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক? 

    সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন থেকে এক নির্দেশিকা (Transfer) জারি করা হয়। সেখানে বলা হয়েছিল, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে বদলি করা হচ্ছে। তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অর্থোপেডিক বিভাগের প্রধান হিসাবে পাঠানো হচ্ছে। আর এই সিদ্ধান্তে শোরগোল পড়ে যায়।

    কে এই সন্দীপ ঘোষ? 

    চিকিৎসক সন্দীপ ঘোষ মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের সুপার হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তবে, তিনি তৃণমূলের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। সূত্রের খবর, সেই সম্পর্কের জেরেই তাঁকে কয়েক বছর আগে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপারের দায়িত্ব দিয়ে বদলি করে কলকাতায় আনা হয়। তার কিছুদিনের মধ্যেই তাঁকে অধ্যক্ষ পদে নিযুক্ত করে আরজিকর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়। বছর দুয়েক আগে আরজিকর হাসপাতালের পড়ুয়াদের একাংশ অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে হেনস্থার অভিযোগ তোলে। এমনকী ছাত্রীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ ওঠে। প্রাক্তন ও বর্তমান পড়ুয়ারা নানান অভিযোগ জানিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনও প্রতিকার হয়নি। বরং, ওই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত দুই ছাত্রের যাতে মেডিক্যাল কাউন্সিলে রেজিস্ট্রেশন না হয়, সে বিষয়ে তৎপর হয়ে ওঠে তৃণমূলের একাংশ। এরপরে আদালতের দ্বারস্থ হন ওই ছাত্ররা। তারপর তাঁরা রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন। হঠাৎ, সেই সন্দীপ ঘোষকে বদলি করার সিদ্ধান্ত নিয়েই আলোচনা শুরু হয়। যদিও স্বাস্থ্য ভবনের সিদ্ধান্তের চব্বিশ ঘন্টার মধ্যেই ফের বদল করতে হয় নির্দেশিকা। জানানো হয়, সন্দীপ ঘোষকে বদলি (Transfer) করা যাবে না। তিনি আরজিকর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দায়িত্বেই থাকছেন।

    কোন সমীকরণ কাজ করছে এই বদলির সিদ্ধান্তে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তৃণমূলের নিজস্ব গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাবেই যাবতীয় সিদ্ধান্ত হচ্ছে। সূত্রের খবর, সন্দীপ ঘোষের সঙ্গে তৃণমূলের চিকিৎসক সাংসদ শান্তনু সেনের সুসম্পর্ক নেই। বরং তিনি তৃণমূলের আরেক নেতা সুদীপ্ত রায়ের ঘনিষ্ঠ। এতদিন আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি ছিলেন সুদীপ্ত রায়। সম্প্রতি, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির সভাপতি হয়েছেন শান্তনু সেন। আর তারপরেই স্বাস্থ্য ভবন থেকে বদলির (Transfer) নির্দেশ এসেছিল। যদিও সন্দীপ ঘোষ শুধু সুদীপ্ত রায় নয়, তৃণমূল দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের অত্যন্ত কাছের বলেই পরিচিত ঘনিষ্ঠ মহলে। তাই রাতারাতি তাঁর বদলির নির্দেশ বদলে যায় বলেই জানা যাচ্ছে।

    কী বলছেন সন্দীপ ঘোষ? 

    সন্দীপ ঘোষ অবশ্য পুরো ঘটনা (Transfer) প্রসঙ্গে কোনও মন্তব্য করতে নারাজ। তিনি জানান, সরকারি চাকরি করছেন। স্বাস্থ্য দফতর যে সিদ্ধান্ত নেবে, যে কাজ দেওয়া হবে, সেটাই তিনি করবেন। এর বাইরে তিনি কিছুই জানেন না।

    শান্তনু সেন কী বলছেন? 

    তৃণমূলের সাংসদ চিকিৎসক শান্তনু সেন বলেন, “এসব বিষয়ে (Transfer) জানি না। বদলির সিদ্ধান্ত পুরোটাই স্বাস্থ্য ভবনের। সেটা যদি পরিবর্তন হয়, সেটাও স্বাস্থ্য ভবন থেকে হয়েছে। “

    প্রশাসনের অস্বচ্ছ বদলি নীতি ফের প্রকাশ্যে, মত চিকিৎসক মহলের! 

    রাজ্যের চিকিৎসক মহল অবশ্য জানাচ্ছে, সরকারের বদলি (Transfer) নীতি যে পুরোটাই শাসক দলের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, তা ফের প্রমাণিত হল। তারা জানাচ্ছে, একজন অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ উঠলেও প্রশাসন নির্বিকার থাকে। কয়েক বছর পরে বদলির সিদ্ধান্ত নিলেও রাতারাতি কেন তা পরিবর্তন করতে হয়, তার স্পষ্ট উত্তর নেই। এতেই প্রমাণ হয়, এ রাজ্যে স্বচ্ছ নিরপেক্ষ প্রশাসন নেই। যা হয়, পুরোটা রাজনৈতিক সমীকরণে চলে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা, কেন জানেন?

    TMC: তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করলেন গ্রামবাসীরা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম শিস মহম্মদ ওরফে ডালিম। তিনি তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতি। আর তাঁকেই কিনা বিদ্যুতের খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে চলছে মারধর। গ্রামবাসীরা সকলেই সেই দৃশ্য তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ইলামবাজার থানার ভগবতী বাজার এলাকায়। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। শাসক দলের নেতাকে মারধর করার ঘটনা নিয়ে এলাকায় শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চা।

    তৃণমূল (TMC) নেতাকে বেঁধে রেখে কেন এমনটা করলেন গ্রামবাসীরা?

    বীরভূমের ইলামবাজারের নানাশোল অঞ্চলের খাদিমপুকুর গ্রামে তৃণমূলের বুথ সভাপতি হচ্ছেন ডালিম। তাঁর সঙ্গে ইলামবাজারের ভগবতী বাজার এলাকার এক মহিলার বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিষয়টি নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরেই গ্রামবাসীদের মধ্যে চর্চা হচ্ছিল। কিন্তু, কেউ তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পাননি বলে কোনও পদক্ষেপ নিতে পারেননি। আর শাসক দলের নেতার নামে কোনও অপবাদ দেওয়ার পর তা মিথ্যা প্রমাণিত হলে তার পরিণাম খারাপ হতে পারে, সেটা এলাকাবাসী জানতেন। তাই এলাকার মানুষ এতদিন ওৎ পেতে ছিলেন। বৃহস্পতিবার তাঁদের একসঙ্গে দেখতে পেয়ে এলাকার লোকজন ঘিরে ধরেন। এরপরই বিদ্যুতের খুঁটিতে ওই তৃণমূল নেতা ও মহিলাকে বেঁধে রেখে চলে মারধর। গ্রামবাসীদের অনেক বলেন, ওই মহিলার সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেওয়া হোক। ১৬ লক্ষ টাকা জরিমানা করার কথাও বলা হয়। যদিও আপাতত তাঁরা সেই পথে যাননি। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

    এই ঘটনা নিয়ে কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা জানাজানি হতে চরম বিড়ম্বনায় পড়ে তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব। এই বিষয়ে তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সৈয়দ সিরাজ জিম্মি বলেন, বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব। দলগতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার, দলই তা নেবে। এই বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের মিছিলে হাঁটছেন পুলিশ সুপার! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের মিছিলে হাঁটছেন পুলিশ সুপার! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের নবজোয়ারে উর্দি পরে হাঁটছেন জেলার পুলিশ সুপার। এমনই চাঞ্চল্যকর ভিডিও ট্যুইট করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় ছিল অভিষেকের নবজোয়ার যাত্র। বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে তিনটে নাগাদ চণ্ডীপুর থেকে যাত্রা শুরু হয়। নন্দীগ্রাম পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার পদযাত্রায় উর্দি পরে হাঁটতে দেখা যায় পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার আইপিএস অমরনাথকে। যা নিয়ে শুভেন্দু বলেন, তৃণমূল ক্যাডারের মতোই কাজ করছেন পুলিশ সুপার।

    ট্যুইটে কী লিখলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    নন্দীগ্রামের বিধায়ক তাঁর ট্যুইটে লেখেন, ‘‘এই ভিডিওটা না দিলে অনেকেই হয়তো বিশ্বাস করতেন না, চণ্ডীপুরে তৃণমূলের রাজনৈতিক পদযাত্রায় দলের কর্মীদের সঙ্গে হাঁটছেন একজন আইপিএস আধিকারিক মিস্টার অমরনাথ। তৃণমূল দলের কর্মীরা দয়া করে বলবেন না, উনি নিরাপত্তা দিতে মিছিলে ছিলেন। এক কথায় পুলিশের পোশাক পরে তিনি তৃণমূলের ক্যাডারের মতো কাজ করছেন।’’

    এই ভিডিওতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্য পুলিশের ডিজি এবং জাতীয় নির্বাচন কমিশনকেও ট্যাগ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী।

    তাঁর যাত্রাপথে নজরদারি চালাচ্ছে মমতার সিভিক পুলিশ! অভিযোগ বিরোধী দলনেতার

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেন, তাঁর যাত্রাপথে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে না। স্পিড ক্যামেরা নিয়ে তাঁর কোনও সমস্যা নেই। তবে নন্দীগ্রামের বিধায়কের প্রশ্ন, ‘‘বিরোধী দলনেতার কনভয় চলে যাওয়ার পর কেন তা লুকিয়ে ফেলা বা সরিয়ে ফেলা হচ্ছে?’’ তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর যাত্রাপথে ট্রাফিক জ্যাম ইচ্ছাকৃতভাবে করার জন্যই মমতার সরকার এই অপচেষ্টা চালাচ্ছে। শুধু তাই নয়, শুভেন্দু অধিকারীর আরও অভিযোগ, রাজ্য জুড়ে তাঁর যাত্রাপথে সিভিক ভলান্টিয়ারদের সাদা পোশাকে মোতায়ন করিয়ে তাদের দিয়ে ভিডিওগ্রাফি করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: কালীঘাটের কাকু গ্রেফতার হতেই শহরে ইডি প্রধান! বড় কোনও অপারেশনের প্রস্তুতি?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে,” কেন বললেন অর্জুন?

    TMC: “তৃণমূল নেতৃত্ব ব্যবস্থা না নিলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে,” কেন বললেন অর্জুন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার সত্যেন রায়ের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ সাংসদ অর্জুন সিং। বৃহস্পতিবার অর্জুন বলেন, “সিপিএমের বিরুদ্ধে সত্যেন লড়াই করে বার বার আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর পরিবারের লোকজনও বাদ যাননি। ভাঙচুর করা হয়েছে তাঁর বাড়ি। আর এখন তৎকাল তৃণমূলের কাউন্সিলারদের হাতে তাঁকে মার খেতে হল। আসলে এই সব কাউন্সিলাররা করোনা কালে তৃণমূলে এসেছে। টিকিট পেয়ে গিয়ে কাউন্সিলার হয়ে গেছে। এখনও তারা পুরসভায় ঠিকাদারি করে। বিষয়টি দলীয় নেতৃত্বকে জানাব। সেখানে কাজ না হলে জগদ্দল, কাঁকিনাড়ায় যা হওয়ার তাই হবে।” মূলত হামলার পাল্টা হামলার তিনি হুমকি দিয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বুধবার ভাটপাড়া পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার তরুণ সাউ ও ২০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অভিমন্যু তেওয়ারির নেতৃত্বে ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার সত্যেন রায়কে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। পুরসভায় ঢুকে এই হামলা চালানো হয়েছিল। এই ঘটনার পর আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলার হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। দলগতভাবে অভিযুক্ত কাউন্সিলারদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সত্যেন অর্জুন অনুগামী হিসেবে পরিচিত। আক্রান্ত কাউন্সিলার থানায় অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু অভিযুক্তদের ধরার বিষয়ে পুলিশও কোনও পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ। আর এতেই অর্জুন ক্ষুব্ধ। তিনি বলেন, দলের পক্ষ থেকে দেখার পরই পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আজ, শুক্রবার তৃণমূলের (TMC) বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার বৈঠক রয়েছে। সেখানে দলের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। সংগঠনের জেলা সভাপতি তাপস রায় বলেন, দলে গোষ্ঠী কোন্দল বরদাস্ত করা হবে না। দলীয় কাউন্সিলারের উপর হামলার ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। কারও বিরুদ্ধে কোনও ক্ষোভ, বিক্ষোভ থাকলে দলীয় নেতৃত্বের কাছে বিষয়টি বলা যেতে পারে। কিন্তু, এভাবে প্রকাশ্যে পুরসভার ভিতরে ঢুকে হামলার ঘটনার আমরা তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। দলীয় বৈঠকে এই বিষয়ে কড়া বার্তা দেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের নব জোয়ারের ঠেলায় আরামবাগ থেকে উধাও সরকারি বাস, ভোগান্তি

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের নব জোয়ারের ঠেলায় আরামবাগ থেকে উধাও সরকারি বাস, ভোগান্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার আরামবাগ ডিপো থেকে নন্দীগ্রামে যাওয়ার সরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে। মোট ২০টি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ফলে, কলকাতা-আরামবাগ নন-স্টপ পরিষেবা সহ বিভিন্ন রুটে সরকারি বাস পরিষেবা বন্ধ রয়েছে। এমনকী আরামবাগে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার ডিপোর টিকিট কাউন্টারে কোনও বাস নেই বলে কাগজে লিখে টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি বাস তুলে নেওয়ায় যাতায়াতে নাকাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। বাস তুলে নেওয়ার জন্য তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নব জোয়ার কর্মসূচির ভূমিকা রয়েছে বলে বিরোধীরা অভিযোগ করছে।  

    কী কারণে এত বাস একসঙ্গে তুলে নেওয়া হল?

    জেলায়-জেলায় চলছে ‘নব জোয়ার’ কর্মসূচি। পঞ্চায়েত ভোটের পূর্বে জনসংযোগে নেমে পড়েছে শাসকদল। জনসাধারণের পাশাপাশি দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিতে দু’মাসের জন্য এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এখন পূর্ব মেদিনীপুরে রয়েছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামে জনসভা রয়েছে তাঁর। আর সেখানের জনসভায় বাসে করে কর্মী নিয়ে যেতে সরকারি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    বাস পরিষেবা না পেয়ে কী বললেন সাধারণ মানুষ?

    বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে জানা গিয়েছে, একমাত্র ক্ষীরপাই ডিপোর একটি সরকারি বাস মুর্শিদাবাদ থেকে লালগোলার উদ্দেশে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে ও সকাল ১১ টা ২০ মিনিট নাগাদ খাতরাগামী একটি বাস আরামবাগ ডিপো থেকে ছেড়েছিল। এরপর আর কোনও বাস ছাড়েনি। এই বাসগুলিই প্রথম এবং শেষ বাস ছিল। ফলে, বাসস্ট্যান্ডে এসে বাস না পেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাধারণ মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, সরকার যেখানে আইন তৈরি করছে, সেই আইন আবার সরকারই ভাঙছে। এ কোন রাজ্যে বসবাস  করছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে পুড়শুড়ার বিজেপি বিধায়ক তথা রাজ্য বিজেপির সম্পাদক  বিমান ঘোষ বলেন, “অভিষেক (Abhishek Banerjee) যেখানে যাচ্ছেন সেখানে লোক হচ্ছে না। সেই কারণে বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন জড়ো করতে হচ্ছে। আজ নন্দীগ্রাম অভিষেকের কর্মসূচি আছে। সেখানে লোকজন নেই। তাই, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোক জড়ো করে সেখানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আরামবাগ থেকে যত সরকারি বাস রয়েছে সব তুলে নেওয়া হয়েছে। কারণ, সেখানে লোক ভর্তি করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমাদের কাছে খবর আছে, গোটা দক্ষিণবঙ্গজুড়ে প্রায় ৩০০ বাস ওখানে যাচ্ছে।” বাস মালিক সংগঠনের সদস্য অভয় বিট বলেন, “বেসরকারি কুড়িটি বাস তুলে নেওয়া হয়েছে নন্দীগ্রামে নব জোয়ার কর্মসূচির জন্য। আরামবাগ থেকেও লোক নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নব জোয়ারে বন্ধ ভোটদান প্রক্রিয়া, অভিষেকের সামনেই কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: নব জোয়ারে বন্ধ ভোটদান প্রক্রিয়া, অভিষেকের সামনেই কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতের কোনও নির্বাচন নয়। পঞ্চায়েত ভোটে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নব জোয়ার কর্মসূচিতে চলছে ভোটগ্রহণ। স্বাভাবিকভাবে সেখানে বিরোধী দলের কারও থাকার কথা নয়। সকলেই তৃণমূল কর্মী। কিন্তু, ভোট দিতে এসে না দিয়ে চলে গেলেন ভোটাররা। ফলে, ভোট প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়। বুধবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের চণ্ডীপুর এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে চারদিনের জেলা সফরে এসেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। বুধবার রাতে তিনি চণ্ডীপুরে পৌঁছান। তিনি চলে যাওয়ার পর পরই ক্যাম্পে নিয়ম মেনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচনে ভোটেগ্রহণ শুরু হয়। কিন্তু, ভোটাভুটি শুরু হওয়ার পর পরই চণ্ডীপুর বিধানসভার ১০ অঞ্চলের তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। ভোট বয়কট করা তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, বুথ স্তর থেকে যে নাম ঠিক করা হয়েছিল, সেই নামের কোনও প্রার্থী তালিকায় নেই। একেবারে নতুন মুখ। প্রার্থী পরিবর্তন কারা করল? এভাবে প্রার্থী চাপিয়ে দেওয়ার ঘটনা আমরা মেনে নেব না। তাই, ভোট প্রক্রিয়া শুরু হলেও আমরা ভোট দিইনি। প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলে। আর ভোট না দেওয়ার কারণে চণ্ডীপুর বিধানসভার জলপাই-১, চৌখালি-২, বৃন্দাবনপুর-১, বৃন্দাবনপুর-২, ঈশ্বরপুর, ওসমানপুর, ব্রজলালচক, কুলবারি, দিবাকরপুর, নন্দপুর, বরাঘুনি সহ ১০ টি অঞ্চলের ভোট বন্ধ রয়েছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। এমনিতেই এই চণ্ডীপুরে তৃণমূল বিধায়ক সোহম চক্রবর্তীর অনুগামীর সঙ্গে প্রাক্তন বিধায়ক অমিয়কান্তি ভট্টাচার্যের অনুগামীর দ্বন্দ্ব নতুন নয়। এবার পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এই কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল। যদিও এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কেউ মুখ খুলতে চাননি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপনকুমার বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল দলটাই দুর্নীতিগ্রস্ত। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নব জোয়ার কর্মসূচির শুরু থেকে বিশৃঙ্খলা। দলীয় কোন্দলের জেরে ভোট বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আগামীদিনে এই কোন্দলের জেরে দলটাই শেষ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে রণক্ষেত্র কল্যাণী, বোমাবাজি, জখম ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার রাতে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কল্যাণীর সগুনা পঞ্চায়েতের কাঁটাবেলে এলাকা। তৃণমূলের পার্টি অফিসের সামনেই বুথ সভাপতিকে ধরে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে সংখ্যালঘু সেলের নেতার বিরুদ্ধে। পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটে। ঘটনার জেরে এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। ভাঙচুর চালানো হয় দলীয় কার্যালয়ে। দুপক্ষের চারজন জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    নব জোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দিতে তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নদিয়ায় আসছেন। কল্যাণীর সগুনায় তাঁর আসার কথা রয়েছে। সেই কর্মসূচি উপলক্ষে তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডলের উদ্যোগে বুধবার রাতে কাঁটাবেলে তৃণমূল পার্টি অফিসে একটি আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মিটিং চলাকালীন তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল দলবল নিয়ে এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। এমনকী এলাকায় বোমাবাজি করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত তৃণমূলের বুথ সভাপতি সাইফুল মণ্ডল বলেন, “আসলে আমি নতুন সভাপতি নির্বাচিত হয়েছি। সেটা অনেকেই মেনে নিতে পারছে না। মিটিং চলাকালীন জাহাঙ্গিরের নেতৃত্বে হামলা হয়। মেরে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এলাকায় বোমাবাজি করে ওরা।” অন্যদিকে, সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি জাহাঙ্গির মণ্ডল বলেন, “সাইফুলের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। বিজেপির মদতে ওরা এসব করছে। আমি সহ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছি। আমরা কোনও হামলা করিনি। বোমাবাজির অভিযোগ ঠিক নয়।”

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতি তারক চন্দ বলেন, “পার্টি অফিসে বসা নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। ভুল বোঝাবুঝি থেকে এসব হয়েছে। দলীয় কোন্দলের বিষয় নেই। তবে, আমাদের আরও সংযত হওয়া দরকার। দুপক্ষের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রত্যেকে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছে। ফলে, আর কোনও সমস্যা নেই। আমরা সকলেই একজোট হয়ে লড়াই করব।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা শুভাশিস বিশ্বাস বলেন, “তৃণমূলের (TMC) এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আজকের নয়। এই দল শুরু থেকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সূত্রপাত। এই ঘটনা শুধু কাঁটাবেলের এলাকা জুড়ে নয়, গোটা রাজ্যজুড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়েছে। দুর্নীতির জেরেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে। এই দলটি লুটের রাজত্ব চালাচ্ছে। এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ঘটনায় মানুষ আতঙ্কিত হয়ে রয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share