Tag: tmc

tmc

  • Uttar Dinajpur: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    Uttar Dinajpur: সরকারি অনুষ্ঠানেই ব্রাত্য, ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) সরকারি অনুষ্ঠানে ইসলামপুরের বিধায়ককে ব্রাত্য করে রাখার অভিযোগ উঠল। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূলের ওই বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ, সরকারি অনুষ্ঠানে তাঁকে ব্রাত্য রেখে শুধুমাত্র ইসলামপুর পুরসভার পুরপিতাকেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আর এই ঘটনায় জেলার রাজনীতিতে ফের চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

    কী ঘটেছিল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুরে?

    বুধবার ইসলামপুর মহকুমা (Uttar Dinajpur) প্রশাসনের উদ্যোগে স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়। আমন্ত্রিত ছিলেন উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক, ইসলামপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার, পুরপিতা, বিডিও এবং মহকুমা যুব আধিকারিক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আধিকারিকরা। তবে সবাইকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও তাঁকে আমন্ত্রণই জানাননি মহকুমা প্রশাসক, এমনটাই অভিযোগ করেন ইসলামপুরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানোর ঘটনায় জোর বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    তৃণমূলের বিধায়ক বনাম উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) জেলা সভাপতি

    বেশ কিছু দিন ধরে ইসলামপুরের তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা (Uttar Dinajpur) সভাপতির বিবাদ চরমে উঠেছিল। তৃণমূল কংগ্রেসের সেকেন্ড ইন কমান্ডের নবজোয়ার যাত্রায় যাননি বিধায়ক। বিধায়কের এই ভূমিকা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নজরে আসার পর দলের নেতাদের মধ্যে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। বিধায়কের অভিযোগ ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের পর কেবলমাত্র নামেই বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি। আবার সূত্রে জানা যায়, বিধায়ক জেলা সভাপতির উপর বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছিলেন। বিধায়কের সেই শর্তের মান্যতা দেওয়া জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের পক্ষে কঠিন কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের দুই নেতার বিবাদ এবার প্রশাসনের কাজের উপর পড়ল বলে মনে করছে রাজনীতিকদের একাংশ।

    মহকুমা শাসকের বিরুদ্ধে ইসলামপুর বিধায়কের ক্ষোভ

    বুধবার বিধায়ককে বাইরে রেখেই ইসলামপুর স্টেডিয়ামে খেলার উদ্বোধন হল। মহকুমা (Uttar Dinajpur) প্রশাসনের এহেন ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। তিনি জানান, মহকুমা শাসক একজন আইএএস অফিসার। উন্নয়নের কথা বললেই, তিনি আইন দেখান। সরকারি অনুষ্ঠানে বিধায়ককে আমন্ত্রণ না জানানো কোন আইনে আছে? তাঁকে চক্রান্ত করেই সরকারি অনুষ্ঠানে ব্রাত্য রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন এই তৃণমূলের বিধায়ক।

    মহকুমা শাসকের বক্তব্য

    অন্যদিকে, ইসলামপুরের মহকুমা (Uttar Dinajpur) শাসক মহঃ আব্দুল শাহিদ বলেন, স্টেডিয়ামের উদ্বোধন আগেই হয়েছিল। আজ একটি মাত্র ফুটবল খেলা এখানে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এরপর বড় কোনও খেলার প্রতিযোগিতা হলে সবাইকে আমন্ত্রণ জানিয়েই করা হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    Nadia: তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বিস্ফোরণ! উড়ল বাড়ির ছাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণের ঘটনায় তৃণমূল নেতা ভানু বাগের বাড়ি উড়ে গিয়েছিল। মৃত্যু হয়েছিল ১১ জনের। তার কয়েকদিন পরই বীরভূমের দুবরাজপুরে এক তৃণমূল নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। রাজ্যু জুড়ে সর্বত্র মুড়ি মুড়কির মতো বোমা উদ্ধার করছে পুলিশ। এইসব ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই তৃণমূল নেতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়ের বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির ছাদ, ভেঙে পড়ল দেওয়াল। বিকট আওয়াজে চরম আতঙ্কে এলাকাবাসী। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়া এলাকায়।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বুধবার রাতে নদিয়ার (Nadia) চাপড়া থানার মহিষনগর পূর্বপাড়ায় সাইফুল শেখ নামে এক ব্যক্তির বাড়িতে আচমকা বিকট আওয়াজ শুনতে পান এলাকাবাসী। সাইফুল তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের আত্মীয়। প্রথমে কেউ বাড়ি থেকে ভয়ে না বের হলেও পরে গিয়ে দেখতে পান, সাইফুল শেখের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে। ঘরের চারপাশের দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। যেহেতু বিকট আওয়াজের সঙ্গে এই বিস্ফোরণ ঘটে, তাই এলাকাবাসী মনে করছেন, বোমা বিস্ফোরণই হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় চাপড়া থানার পুলিশ। খবর দেওয়া হয় বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলকে। তবে, বোমা বিস্ফোরণের সময় সাইফুলের বাড়িতে কেউ ছিল না বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন স্থানীয় বাসিন্দা?

    এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা সেলিম শেখ বলেন, বিকট আওয়াজ শুনতে পেয়ে গিয়ে দেখি, সাইফুলের বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছে এবং দেওয়াল ভেঙে পড়েছে। সামনে পঞ্চায়েত ভোট। সেই কারণে অনুমান করা হচ্ছে, একাধিক বোমা মজুত ছিল ওই বাড়িটিতে। ঘটনার পর আমরা রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছি।

    বোম্ব স্কোয়াডের আধিকারিক কী বললেন?

    বোমা নিষ্ক্রিয়কারী প্রতিনিধি দলের এক আধিকারিক জানান, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে বোমা ফেটেই এই ঘটনা ঘটেছে। তবে, বিস্ফোরণের তীব্রতা কতটা ছিল, সেটা যাচাই করা হচ্ছে। ঘটনার পর চাপড়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা

    বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে সিআইডি ঘটনাস্থলে যায়। ফরেনন্সিক টিম গিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এদিন ঘটনাস্থল থেকে একাধিক তাজা বোমা পুলিশ বাজেয়াপ্ত করে। আর কোথাও বোমা রয়েছে কি না তার খোঁজে তল্লাশি চালানো হয়। তবে, ঘটনার পর এলাকার লোকজন চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    TMC: পুরসভার ভিতরে তৃণমূল কাউন্সিলরকে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত দলীয় দুই কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভার মধ্যে ঢুকে তৃণমূলের (TMC) এক কাউন্সিলরকে মারধর করার অভিযোগ উঠল দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ভাটপাড়া পুরসভা এলাকায়। জখম কাউন্সিলরের নাম সত্যেন রায়। তিনি বরাবরই সাংসদ অর্জুন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। জগদ্দল বিধানসভার বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের মা রেবা রাহা ভাটপাড়া পুরসভায় চেয়ারপার্সন। পুরসভার চেয়ারপার্সন সহ একাধিক কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে তিনি মুখ খুলেছেন। পুরসভাকে ব্যবহার করে কয়েকজন কাউন্সিলর লুটেপুটে খাচ্ছেন বলে তিনি অভিযোগ করেছিলেন। এরপরই পুরসভার ভিতরে এই হামলার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। হামলার এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন আক্রান্ত তৃণমূল (TMC) কাউন্সিলর?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং ছিল। তার আগেই পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সত্যেন রায়ের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দলেরই দুই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কাউন্সিলরকে চিকিৎসার জন্য ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এবিষয়ে থানায় অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে। আক্রান্ত তৃণমূল (TMC)  কাউন্সিলর সত্যেন রায় বলেন, “আমাকে একা পেয়ে সাত-আটজন মিলে মারধর করেছে। তাদের মধ্যে দুজনকে চিনতে পেরেছি। তাঁরা ১১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ২০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। আসলে আমি অন্যায়ের প্রতিবাদ করি। ওরা আমার মুখ বন্ধ করতে চায়। তাই এই হামলা।” ঘটনার পর অবশ্য ভাটপাড়া পুরসভায় বোর্ড মিটিং হয়েছে। সেখানে দলের কাউন্সিলরের ওপর আরেক কাউন্সিলারের হামলার ঘটনাটি উত্থাপিত হয়।

    হামলার ঘটনা নিয়ে কী বললেন ভাটপাড়া পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    এই প্রসঙ্গে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, “ঘটনার সময় আমি পুরসভায় ছিলাম না। তবে, বিষয়টি মোটেই কাঙ্খিত হয়। অভিযুক্ত কাউন্সিলর জানিয়েছেন, উত্তপ্ত পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার কারণে ঘটনাটি ঘটে গিয়েছে। আগামী দিনে এই রকম ঘটনা ঘটবে না বলে প্রত্যেক কাউন্সিলর জানিয়েছেন।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীর ধাক্কায় জখম মন্ত্রী অখিল গিরি

    Abhishek Banerjee: নবজোয়ারে অভিষেকের নিরাপত্তারক্ষীর ধাক্কায় জখম মন্ত্রী অখিল গিরি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনও সাধারণ মানুষ বা দলীয় কর্মী নন। তিনি তৃণমূলের ক্যাবিনেট মন্ত্রী। আর তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ারে যোগ দিয়ে সেই মন্ত্রীকে নিরাপত্তা রক্ষীর ধাক্কা খেতে হল। এমনকী নিরাপত্তারক্ষীর সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে তিনি হাতে গুরুতর চোট পান। ঘটনার পর তিনি রেগে ঘটনাস্থল ছেড়ে চলে যান।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বুধবার উত্তর কাঁথির মুকুন্দপুরে অভিষেক আসেন। সেখানে আগে থেকেই মন্ত্রী অখিল গিরি হাজির ছিলেন। কনভয় ছেড়ে নেমে অভিষেক (Abhishek Banerjee) পদযাত্রার মাধ্যমে এলাকায় জনসংযোগ করেন। তার সঙ্গে অখিলবাবুও ছিলেন। এই কর্মসূচি শেষ করার পর চণ্ডিভেটিতে বীরেন্দ্র শাসমলের জন্মভিটেতে অভিষেকের সঙ্গে মন্ত্রীর যাওয়ার কথা ছিল। অভিষেক পদযাত্রা শেষ করে নিজের গাড়িতে উঠে পড়েন। অখিল গিরি নিজের গাড়ির দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন। সেই সময় অভিষেকের গাড়ির পিছনে থাকা নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধাক্কা দেন। মন্ত্রী হাতে গুরুতর চোট পান। এনিয়ে তাঁর অনুগামীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নিরাপত্তারক্ষীর হাতে ধাক্কা খেয়ে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তারক্ষীরা সাধারণ মানুষকে ঠেলেছে। আমাকে ঠেলেছে। আমি হাতে চোট পেয়েছি। এরপরই তিনি এলাকা ছেড়ে চলে যান। তবে, অভিষেকের কনভয়ের পিছনে আর তিনি যাননি। ঘটনার পর পরই তিনি অভিষেকের কর্মসূচিতে না গিয়ে সোজা বাড়ি ফিরে যান।

    নবজোয়ারে অভিষেকের কনভয় যাওয়ার আগে দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল মহিলার!

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় যাবে বলে রাস্তার দুধারে দড়ি টাঙানো হয়েছিল। সেই দড়িতে লেগে এক বাইকের পিছনে থাকা মহিলা পড়ে যান। পিছন দিক দিয়ে একটি গাড়ি এসে তাঁকে ধাক্কা মারলে ওই মহিলার মৃত্যু হয়। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে রামনগর ব্লকের কাদুয়া অঞ্চলের মাইতি মোড় এলাকায়। প্রত্যক্ষদর্শী স্বপন পট্টনায়েক বলেন, বাইকে করে যাওয়ার সময় দড়িতে লেগেই ওই মহিলা পড়ে যান। তারপরই পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    স্থানীয় তৃণমূল নেতা কমলেশ দাস বলেন, কোনও দড়ি লেগে বাইক থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয়নি। আসলে ওই মহিলা বাইকের মধ্যে ঘুমিয়েছিলেন। সামনে পিকআপ ভ্যান আসতেই ভয় পেয়ে তিনি পড়ে যান। পরে, পিকআপ ভ্যানের ধাক্কায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি অসীম মিশ্র বলেন, আসলে অভিষেক কাটমানি আর চোরেদের সংগঠিত করার জন্য এসেছেন। সেই কাজ করতে এসে যখন দেখছেন তার দলের নেতার দ্বারা ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না, তখন তাঁর নিরাপত্তারক্ষীদের দিয়ে মন্ত্রীর হাত মুচড়ে দিচ্ছেন।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    TMC: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে উত্তপ্ত আরামবাগ, জখম ১, থানায় অবস্থানে পঞ্চায়েত সদস্যরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে। ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল আরামবাগের হরিণখোলা। তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী সংঘর্ষে জখম এক তৃণমূল কর্মী। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের দর্জিপোতা এলাকায়। জখম তৃণমূল কর্মীর নাম শেখ মহিদুল ইসলাম।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    হরিণখোলা এলাকায় মাদার এবং যুব তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগেই রয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। মহিদুল সাহেব তৃণমূলের মাদার সংগঠন করেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার বাজার দিয়ে বাইকে করে যাওয়ার সময় তাঁর উপর যুব তৃণমূলের কর্মীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। তাঁকে আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনার পর পুলিশ রশিদ আলি নামে এক যুব তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করে। এরপর সোমবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ হরিণখোলা ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচজন সদস্যা আরামবাগ থানায় অবস্থান বিক্ষোভে বসেন। সাবিনা বেগম নামে এক পঞ্চায়েত সদস্যা বলেন, “আমার স্বামী অসুস্থ। ঘটনার সময় গণ্ডগোল থামাতে ও গিয়েছিল। পুলিশ আমার স্বামীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। স্বামীকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে।” আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষ অবস্থান তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পুলিশের সঙ্গে পঞ্চায়েত সদস্যরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন।

    পুলিশের বিরুদ্ধে একী বললেন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্যা?

    অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন আরামবাগ থানার আইসি-র সামনে ক্ষোভ জানান হরিণখোলা-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের (TMC) সদস্যা শ্রাবণী মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমার পঞ্চায়েত এলাকায় একটি পুলিশ ক্যাম্প রয়েছে, সেখানকার ইনচার্জের নাম শঙ্কর কোলে। তিনি ওই এলাকায় তৃণমূলের নেতা হয়ে উঠেছেন। তিনি ঠিক করে দেন কে কীভাবে কাজ করবে। ২০২১ সালে তৃণমূলের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়াই করেছিলেন, ওই পুলিশ অফিসারের হাত ধরেই তাঁরা এখন ওই এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। তিনি এলাকায় তোলাবাজি করছেন। আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে তিনি মাথা গলাচ্ছেন। তিনি কি তৃণমূলের বড় লিডার? আরামবাগ থানার আইসি বরুণ ঘোষের মদতেই এসব হচ্ছে বলে দাবি করেন ওই পঞ্চায়েত সদস্যা।” বেশ কিছুক্ষণ বিক্ষোভ চলার পর পুলিশ তাদের সরিয়ে দেয়।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, “আমাদের কোনও গোষ্ঠী নেই। দল একটাই, তৃণমূল কংগ্রেস। দলের নেত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মান-অভিমান এক সংসারে থাকলে হয়েই থাকে, নিন্দুকেরা নিন্দাও করবে। এতে আমাদের কিছু এসে যায় না। আমরা একই পরিবারের সদস্য। আগামী নির্বাচনে এর প্রমাণ আবার পাবে।”

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুশান্ত বেড়া বলেন, “এখন অনেক কিছুই দেখার বাকি আছে। এই তো সবে শুরু হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, এই ধরনের ঘটনা তত বাড়বে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    Durgapur: সরকারি স্কুলে তৃণমূলের পতাকা উড়িয়ে ‘পান্তা ভাত উৎসব’! সরব বিরোধীরা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরের (Durgapur) বেনাচিতি হাই স্কুল হল একটি সরকারি বিদ্যালয়। অথচ সেই স্কুলের ভিতরেই উড়ছে তৃণমূলের পতাকা, চারদিক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী এবং মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তীর ছবিতে ছয়লাপ। এই ঘটনা দেখে বিরোধীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শাসক দলের রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন।

    দুর্গাপুরে (Durgapur) কী ঘটেছে স্কুলে?

    দুর্গাপুর (Durgapur) শহরের ১৫ নং ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের উদ্যোগে ওই ‘বিশাল পান্তা ভাত উৎসব’-এর আয়োজন করা হয়। সরকারি স্কুল ভরে যায় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের আনাগোনাতে। বেনাচিতি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভিতর পান্তা ভাত উৎসব করে বিতর্কের শিরোনামে ১৫ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল নেতৃত্ব। আর একেই হাতিয়ার করে আসরে নেমেছে বিরোধীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশিকায় পরিষ্কার বলা ছিল, কোনও সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রাজনৈতিক রং লাগানো যাবে না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে এই মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে খোদ মুখ্যমন্ত্রীকেই। অথচ ‘বিশাল পান্তা উৎসব’-এর আয়োজন বিদ্যালয়ের ভিতরেই। মেনুতে ছিল পান্তা ভাত, পেঁয়াজ, কাঁচা লঙ্কা, গন্ধরাজ লেবু, আলুভাজা, পেঁয়াজি, পোস্তর বড়া, মাছের কালিয়া, চাটনি, পাঁপর, সব শেষে মিষ্টি। স্কুলে কয়েকশো অতিথি আমন্ত্রিত ছিল এদিন। পান্তা উৎসবে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, জেলা সভানেত্রী অসিমা চক্রবর্তী এবং ১৫ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল নেতৃত্ব।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    বেসরকারি হোটেল বা লজে না করে সরকারি বিদ্যালয়ে (Durgapur) এই উৎসব করে বিদ্যালয়কে রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই ঘটনায় এভাবেই সমালোচনায় সরব হয়েছে বিজেপি। সিপিআইএম-এর তরফ থেকে বলা হয়, এই তৃণমূল সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনগুলি রাজনীতির আঙিনায় পরিণত হয়েছে।

    জেলার (Durgapur) তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য

    বিরোধীদের সমালোচনাকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূলের মহিলা সভানেত্রী অসীমা চক্রবর্তী বলেন, গ্রীষ্মের ছুটি চলছে। বিদ্যালয়  (Durgapur) কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই তাঁরা এই অনুষ্ঠান করছেন। তিনি আরও জানান, বেসরকারি হোটেল বা লজে অনুষ্ঠান করার মতো আর্থিক ক্ষমতা নেই। আর সেজন্যই তাঁরা বিদ্যালয়ের ভিতর এই অনুষ্ঠান করেছেন। সরকারি স্কুল প্রাঙ্গণকে এভাবে রাজনৈতিক দলের কর্মক্ষেত্র কীভাবে বানানো যায়? সেই বিষয়ে শিক্ষাবিদরাও প্রশ্ন তুলছেন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “কংগ্রেসের ভোটে আমি জয়ী হইনি”! তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সাগরদিঘির বিধায়ক

    TMC: “কংগ্রেসের ভোটে আমি জয়ী হইনি”! তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সাগরদিঘির বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে (TMC) ধরাশায়ী করে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হয়েছিলেন। বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়েই এই বাজিমাত হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের মত। সাগরদিঘিকে রোল মডেল করেই কংগ্রেস সামনের পঞ্চায়েত, লোকসভা ভোটে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছিল। উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণার তিনমাস কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিষেকের নবজোয়ারের দলীয় ক্যাম্পে হাজির হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস?

    মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয়। আর সেই উপনির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন বাইরন বিশ্বাস এবং বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দিলীপ সাহা। ২ মার্চ ফল ঘোষণা হয়। সেই উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হন। এদিন ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাম্প অফিসে গিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। বাইরন বলেন, “আরও বেশি করে উন্নয়ন করতেই আমি তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছি। সাগরদিঘির মানুষের কথা ভেবেই আমি দল বদলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বরাবরই তৃণমূলে ছিলাম। টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে গিয়েছি। আর তৃণমূলের লোকজন ভোট দিয়েছে বলেই এত বিপুল ভোটে আমি জয়ী হয়েছি।” তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, সাগরদিঘি তথা রাজ্যজুড়েই তাঁকে নিয়ে এই চর্চা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকলে সেটা সময় বলবে। আমার বিশ্বাস, পরে আবার ভোট হলে আমি বেশি ভোটে জিতব। আর কংগ্রেসে থেকে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। আমি তো কংগ্রেসের ভোটে জয়ী হইনি। আগে মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাঁদের ভোটে আমি জয়ী হয়েছি।”

    কী বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি?

    প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “কংগ্রেস দল বাইরন বিশ্বাসকে চিনিয়েছে। আগে তৃণমূল (TMC) তোমার কাছে যায়নি। তোমার বাজারদর তৈরি করার পর তোমাকে নিয়ে বেচাকেনা হয়েছে। তাই, তুমি কংগ্রেস ছেড়ে চলে গিয়েছ। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে, কংগ্রেসকে গালিগালাজ কোরো না। আর বাইরনের মতো এই জেলা তথা রাজ্যের অনেক বিধায়ক তৃণমূলে গিয়েছে, তাতে কংগ্রেস শেষ হয়ে যায়নি। তৃণমূলের নগ্ন চেহারা আরও প্রকট হয়ে গেল। আর এতে আমাদের আরও বেশি জেদ চেপে গেল। কংগ্রেসের অবস্থা এখন অনেক ভালো। আমাদের এখন আর কেউ থামাতে পারবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ফতোয়া না মানায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, আতঙ্কে ঘরছাড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ফতোয়া না মানায় বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা, আতঙ্কে ঘরছাড়া, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে রহড়া থানার রুইয়া এলাকায়। ইতিমধ্যেই আক্রান্ত বিজেপি (BJP) কর্মীদের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য ওই বিজেপি কর্মীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিন্তু তাঁরা তা না করায় তৃণমূলীদের হুমকির ভয়ে গোটা পরিবার ঘরছাড়া। বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করা হয়েছে।

    কেন হামলা?

    এলাকায় থাকতে হলে বিজেপি (BJP) করা যাবে না। তৃণমূল কর্মীদের পক্ষ থেকে এমনই ফতোয়া জারি করা হয়েছিল বলে দাবি বিজেপি (BJP) কর্মীর। ফতোয়া না মানার কারণে বিজেপি কর্মীর প্রথমে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে প্রথমে থানায় অভিযোগ করা হয়। তৃণমূল কর্মীরা অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দেয়। অভিযোগ না তোলায়  বিজেপি কর্মী ও তাঁর স্বামীকে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল কর্মী শ্রীদাম বিশ্বাস, রিনা বিশ্বাস, বিশ্বজিৎ বিশ্বাস ও মিতা বিশ্বাসরা ওই কর্মী ও তাঁর পরিবারকে বিজেপি করা যাবে না বলে ফতোয়া জারি করে। এমনটাই অভিযোগ বিজেপি কর্মীর। তিনি বলেন, “ফতোয়া না মানার কারণে কিছুদিন আগে এক তৃণমূল কর্মী আমার বাড়িতে ঢুকে শ্লীলতাহানি করে। এই বিষয়ে থানায় অভিযোগ করি। সেই অভিযোগ তুলে নেওয়ার জন্য হুমকি দিতে থাকে। আমরা অভিযোগ তুলতে অস্বীকার করায় জামাইষষ্ঠীর দিন আমাদের উপর তারা চড়াও হয়। আমাকে এবং আমার স্বামীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয় ওরা। আতঙ্কে আমরা বাড়িছাড়া। তৃণমূলীদের ভয়ে আমরা বাড়ি ফিরতে পারছি না। পুলিশ-প্রশাসনকে সমস্ত বিষয়টি জানিয়েছি। তবে, এখনও বাড়িতে ঢুকতে পারিনি। আমরা চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। “

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    হামলার ঘটনা নিয়ে পাতুলিয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তথা কিশোর বৈশ্য বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এটা বিজেপির (BJP) দুই পরিবারের লড়াই। পারিবারিক গণ্ডগোলে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। দুটোই বিজেপি পরিবার বলে আমরা তাদের পুলিশ-প্রশাসনের কাছে যেতে বলেছি। আমরা তাদের পারিবারিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করিনি। তারপরও ওরা তৃণমূলকে কালিমালিপ্ত করার জন্য মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মমতার নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে হাজির শিশির-দিব্যেন্দু

    TMC: মমতার নির্দেশকে থোড়াই কেয়ার! নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনে হাজির শিশির-দিব্যেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায়-কলমে শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারী এখনও তৃণমূলের (TMC) সাংসদ। কিন্তু দলীয় হুইপকে অগ্রাহ্য করে পিতা-পুত্র রবিবার হাজির ছিলেন নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। প্রসঙ্গত, নয়া ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দ্রৌপদী মুর্মুর পাল্টা প্রার্থী হিসেবে যশবন্ত সিনহাকে খাড়া করে তৃণমূল। এবার সেই দ্রৌপদী মুর্মুকে দিয়ে সংসদ ভবন উদ্বোধন কেন করানো হবে না? এই প্রশ্নে নয়া ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করে তারা। তৃণমূলের (TMC) সমস্ত সাংসদ এদিন গরহাজির থাকলেও উপস্থিত ছিলেন কাঁথি ও তমলুকের সাংসদ।

    আরও পড়ুন: বড়ঞায় মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দলীয় কর্মীকে বোমা মেরে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল 

    মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন পিতা ও পুত্র

    অন্দরের খবর, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর তাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। তবে দলীয় হুইপ অমান্য করা এই প্রথম নয়, গত বছরের জুলাই মাসে উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন বয়কটের ডাক দিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তখনও দলের কোনও সাংসদ বা বিধায়ককে ভোট দিতে দেখা যায়নি। কিন্তু সেই নির্দেশ না মেনে পিতা-পুত্র দুজনেই জগদীপ ধনকড়কে ভোট দিয়েছিলেন। আবার রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তৃণমূলের অধিকাংশ সাংসদ এবং বিধায়ক যখন পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় ভোট দিয়েছিলেন, তখন শিশির অধিকারী ও দিব্যেন্দু অধিকারী দিল্লি গিয়ে লোকসভায় ভোট দিয়ে এসেছিলেন।

    দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে ২০২০ সাল থেকেই

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল (TMC) ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই শিশির অধিকারী এবং দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দূরত্ব বাড়তে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের। একাধিকবার পুলিশ তলব করে দিব্যেন্দু অধিকারীকে। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার প্রশ্নেও সরব হতে দেখা যায় শিশির-দিব্যেন্দুকে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সাল থেকে শিশির অধিকারী কাঁথির সংসদ সদস্য। পরপর তিনবার তিনি ওই কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে, দিব্যেন্দু অধিকারী ২০১৬ উপনির্বাচনে জিতে পরপর দুবার তমলুক থেকে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: বড়ঞায় মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দলীয় কর্মীকে বোমা মেরে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    TMC: বড়ঞায় মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার সময় দলীয় কর্মীকে বোমা মেরে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল (TMC) কর্মীকে বোমা মেরে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বড়ঞা থানার পাঁপরদহ গ্রামে। হামলাকারীও তৃণমূল করে বলে মৃতের পরিবারের লোকজনের অভিযোগ। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পরিবারের লোকজন। এই খুনের ঘটনায় তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে গ্রামে তৃণমূলের (TMC) দুই গোষ্ঠী গড়ে ওঠে। গত কয়েকদিন ধরেই দু পক্ষের মধ্যে রেষারেষি চলছিল। রবিবার মসজিদ থেকে নমাজ পড়ে বাড়ি ফেরার সময় এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি বোমা ছোঁড়া হয় বলে অভিযোগ। আমির আলি শেখ (৫০) নামে ওই তৃণমূল কর্মীর ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। মৃতের এক আত্মীয় বলেন, “আইসিডিএস পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফেরার সময় হিল্লাল নামে এক যুবক আমার গালে চড় মারে। এরপরই আমাদের পরিবারের লোকজন তার প্রতিবাদ করে। দুপক্ষের মধ্যে বচসা বাধে। তবে, ঘটনার সময় দাদা মসজিদে ছিলেন। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার পথেই বোমা মেরে আমার দাদাকে খুন করা হয়।” ঘটনার পরই মৃতের পরিবারের লোকজন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। পুলিশের সামনে তাঁরা ক্ষোভ জানান। কারণ, হামলাকারীদের মধ্যে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার ছিলেন। তাই পুলিশ-প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে তাদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভও দেখান এলাকাবাসী। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা সানির নেতৃত্বে এই হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। মুড়ি-মুড়কির মতো গ্ৰামে বোমাবাজি হয়েছে বলে অভিযোগ মৃতের পরিবারের। পরে কান্দি মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাগর রানার নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থল থেকে চার বালতি তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    তৃণমূলের বড়ঞা ব্লকের সহ সভাপতি মাহে আলম বলেন, তৃণমূল (TMC) কর্মী মসজিদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে দুষ্কৃতীরা বোমা মেরে তাঁকে খুন করেছে। এর সঙ্গে তৃণমূলের কোনও কোন্দল নেই। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাদের কাউকে ছাড়া হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share