Tag: tmc

tmc

  • TMC:দলীয় নেতাদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন?

    TMC:দলীয় নেতাদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা সফরে আসছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই কর্মসূচি সফল করতে শনিবার মেদিনীপুর শহরে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়। জেলা নেতৃত্বের যখন বৈঠক চলছে, তখন এই জেলার মোহনপুরে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আগুনে জ্বলছে। দলীয় কোন্দল এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে  রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করলেন তৃণমূলের (TMC) এক গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটেছে?

     মোহনপুর ব্লক তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি মানিক মাইতির সঙ্গে সিয়ালশাই-২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বশরুল আলি,  মাজেদ মল্লিকের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরইমধ্যে গত কয়েকদিন আগে মানিকবাবুর হাত ধরে বেশ কয়েকজন কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই নব্য তৃণমূলীরা (TMC)  এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত মাজেদসাহেবরা তার প্রতিবাদও করেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে শনিবার মাজেদসাহেবের এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে মানিকবাবুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করা কর্মীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন আঁতলা- মোহনপুর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। জখম তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় রেখেই চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য খলিল মল্লিক বলেন, আমরা বহুদিন ধরে দল করি। এখন নব্য তৃণমূলরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আমাদের দলীয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে। অভিযুক্ত নেতাদের শাস্তির দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব?

     পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা তৃণমূলের (TMC) কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি । তিনি বলেন, কয়েকটি ব্লকের মধ্যে ওই মোহনপুরে দলীয় নেতাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা মিটিয়ে ফেলা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রয়োজনে শোকজ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

     বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরী শঙ্কর অধিকারী বলেন, তৃণমূলের দুই পক্ষ দেখাতে চাইছে কাদের কাছে কত বোমা-বন্দুক আছে, তারই লড়াই চলছে । পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, তৃণমূলের (TMC) কোন্দল তত প্রকাশ্যে আসবে। এসব করে ওরা সাধারণ মানুষের থেকে আরও দূরে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সরকারি প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকার কাজ বন্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    TMC: সরকারি প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকার কাজ বন্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক নেতাদের (TMC) আবদার মেটাতে না পারায় সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ গোঘাটে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গোঘাট-২ ব্লকের মান্দারণ পঞ্চায়েতের সরকারি মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ। অভিযোগের তীর স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে।

    কাজ বন্ধ কেন!

    এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, নির্মাণ কাজের জন্য তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করেছেন। কিন্তু টাকা না পাওয়ার জন্যই বর্তমানে কাজ বন্ধ। যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, সেই তৃণমূলের যুবনেতা তথা অঞ্চল সভাপতি আশাদুল খান (TMC) বলেন, কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে না বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছিলেন। আমরা কাজটা ঠিকভাবে করতে বলেছি। কোথায় গোলমাল তাহলে? তাঁর জবাব, ইট-বালি ভাল নয় বলেই তো শুনলাম। তাহলে ত্রুটি থাকলে কেন লিখিত অভিযোগ করছেন না? উত্তর মেলেনি। তিনি একটাই কথা বললেন, বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে অমিত পান জানান, ওই মার্কেটে আরও তিনটি ঘর বাড়ানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, মালপত্র যে নিম্নমানের, তেমন কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু কেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকার সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হল, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। কাজে এলেই আশাদুল খান ও তাঁর সঙ্গীরা বাধা দিচ্ছেন রোজ। তবে নির্মাণ কাজ বন্ধের পিছনে যে শাসকদলের একটা প্রভাব রয়েছে, তা এলাকার মানুষ মনে করছেন।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    স্থানীয় তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান সানোয়ারা বেগম বলেন, কাজে বাধার কোনও অভিযোগ পাইনি। কাজের বিস্তারিত পরিকল্পনার সঙ্গে সরঞ্জাম সরবরাহের কোনও বিশেষ গরমিল নেই। যাঁরা বাধা দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সদুত্তর মেলেনি। গোঘাট-২ ব্লকের যুব সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, বিষয়টা শুনেছি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, অন্যায়ভাবে নির্মাণ যেমন আটকানো যাবে না, তেমনই ওই কাজে দুর্নীতি থাকলে সেটাও ব্লক প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মাঝে সরকারি প্রকল্পের কাজ কবে আবার শুরু হবে, তার অপেক্ষায় সাধারণ গ্রামবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    Post Poll Violence: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের সপ্তম পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে ভোট দিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর স্থানীয় শাসকদলের মদতপুষ্ট মস্তানদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন (Post Poll Violence)। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং অবহেলায় বাঁচানো যায়নি ধর্ম মণ্ডলকে। নদিয়ার চাপড়া, হৃদয়পুর সীমান্তের বাসিন্দা। মূলত চাষাবাদ করতেন। বিজেপির সক্রিয় সদস্য এবং কর্মী ছিলেন। ছয় বছর ধরে পার্টি করতেন বলে জানা যায়। বিজেপি করার জন্য সরকারি সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল এই পরিবার। দোষ একটাই, কেন বিজেপি করবে?

    হত্যার প্রেক্ষাপট

    পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করার জন্য তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা বাবদ আদায় করে নিয়ে যায় ফলাফল বের হওয়ার আগেই। ধর্ম মণ্ডলকে অনেকদিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, বিজেপি ছেড়ে যেন তৃণমূলে যোগদান করে। ঝগড়া হলেই তৃণমূলের দুই মাতব্বর হুমকি দিত, ভোট মিটলেই দেখে নেব (Post Poll Violence)। সারাদিন মাঠে কাজকর্ম করার পর সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে গেলে তৃণমূলের গুন্ডারা রীতিমতো হুমকি দিত। 

    পুলিশ ছিল কাছেই, তবুও খুন!

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বাড়ি থেকে দোকানের কাছে পাকা রাস্তায় যেতেন না ধর্ম মণ্ডল। কারণ, একটা আতঙ্ক কাজ করত, উনি বিজেপি করতেন বলে। ঈদের দিন ছিল ১৪ মে। চাষের জমিতে ধর্মবাবু গরুর জন্য ঘাস তুলতে যান। ঠিক দুপুর সাড়ে ১২ টায় বাড়ির লিচুবাগানে তৃণমূল সমর্থক প্রায় ২০ জন মিলে ধর্ম মণ্ডলের ভাই সঞ্জিতকে আক্রমণ করে। ধর্ম মণ্ডলের ভাইকে মস্তানরা বাঁশ দিয়ে মেরে হাত ভেঙে দেয়। পরিস্থিতি বুঝে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান স্থানীয় এক ব্যক্তি। ঠিক সেই সময় ধর্ম মণ্ডল বাঁচাতে যান ভাইকে। আর তখনই ধর্ম মণ্ডলকেও রড দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। আটকাতে গেলে ধর্মবাবুর স্ত্রীকে লাথি মেরে দূরে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। ধর্ম মণ্ডলের স্ত্রী পা ধরে মাফ চান। কিন্তু নির্মম কসাইদের মনে কোনও দয়ার ছাপ ছিল না। উজ্জ্বল নামে একজন একটা বড় দা দিয়ে ধর্ম মণ্ডলকে কোপ দেয় (Post Poll Violence)। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত কালু মস্তান বলে, একেবারে শেষ করে দে! উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলের সামান্য দূরেই পুলিশ এসে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। পরে আহত ধর্মবাবুকে গাড়িতে করে প্রথমে বাঙ্গালঝী, তারপর শক্তিনগর এবং পরবর্তীতে কলকাতায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু রক্তক্ষরণ এতই হয়েছিল যে শেষরক্ষা হয়নি।

    তদন্তে সিবিআই, ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় পরিবার

    আতঙ্কিত পরিবার ঘটনার প্রায় দু দিন পর চাপড়া থানায় অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। ধর্ম মণ্ডলের স্ত্রী-ছেলের কোনও অভিযোগ জমা নেয়নি পুলিশ। ঘটনার সমস্ত ভিডিও মোবাইল থেকে পুলিশ জোর করে নিয়ে নেয়। সমস্ত ঘটনাটি পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটে বলে পরিবারের দাবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয় এবং তদন্ত সিবিআই করবে, আদেশ দেয় হাইকোর্ট। খুনে প্রধান অভিযুক্ত হল লাল্টু ঘোষ (তৃণমূলের যুব সভাপতি) কালু শেখ, কিংকর মণ্ডল, বিজয় শেখ, পিন্টু ঘোষ, আবুল শেখ, আলমগীর শেখ, ভগীরথ দাস, গণেশ মণ্ডল এবং আরও অনেকে। অভিযুক্তদের মোট ১৮ জন ধরা পড়ে এবং চারজন পলাতক ছিল। সিবিআই প্রথমদিন তদন্ত করতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা, গাড়িতেও ভাঙচুর (Post Poll Violence) করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ছেলে-বৌমাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ন্যায় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। 

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ষষ্ঠ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ‘খেলা হবে, কঠিন খেলা হবে’-এই স্লোগান দিয়ে বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড (Post Poll Violence) চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সন্তান হারানো মায়ের আর্তনাদ, স্বামী হারানো স্ত্রীর কান্না, পিতা হারানো সন্তানের বেদনা আপামর বঙ্গবাসীর কাছে ছিল জাতীয় বিভীষিকা, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। না হলে শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন বলে এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়!

    কে এই অরূপ রুইদাস?

    অরূপ রুইদাস ছিলেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের তফশিলি সমাজের মানুষ। বাবা গণেশ রুইদাস এবং মা কাঞ্চন রুইদাস দুজনই বৃদ্ধ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ পাশ করেন অরূপ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় কলকাতায় একটি বইয়ের দোকানে কাজ করতেন। পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন অরূপ। প্রধানমন্ত্রীর মিটিং-এ গিয়ে বিজেপির পতাকা লাগিয়েছিলেন। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হিসাবেও বসেছিলেন অরূপ। আর তারই খেসারত দিতে হল তাঁকে। শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হওয়ার জন্যই তাঁকে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।

    কীভাবে হল নির্মম হত্যা!

    পরিবারের সদস্যদের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, ২ মে ফলাফল ঘোষণার পরদিন, অর্থাৎ ৩ মে সকাল ১১ টা নাগাদ বাড়িতে এসে ৫-৬ জন প্রথমে দেখে নেবো বলে হুমকি দিয়ে যায়। তারপর ৪ মে ঠিক দুপরবেলা ‘খেলা হবে খেলা হবে/ ঠিক ঠিক খেলা হবে’ ডিজে গান আর অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু হয়। দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি তখনও, এমন সময় প্রায় ১০০ জন তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর করে। তারপরই অরূপের গায়ের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং গলায় একটা লাল গামছা বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যায় খামারের দিকে। এরপর আর অরূপকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ৫ মে সকালে বর্ধমানের বল্লভপুর এবং দিগল গ্রামের মাঝের এক বটগাছে ঝুলন্ত দেহ (Post Poll Violence) খুঁজে পাওয়া যায়। পুলিশ এসে দেহ শনাক্ত করে। বৃদ্ধ নিরুপায় বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

    একইসঙ্গে চলেছিল লুটপাট 

    সেই হামলা ছিল ভয়াবহ। পরিবারের বিবরণ অনুযায়ী, মাটির ঘরের সিমেন্টের সব চাল ভেঙে ফেলা হয়। বাড়িতে পায়খানা, রান্নাঘরের গেট ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। লোহার করাত দিয়ে বাঁশ-বেত কেটে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির চাল, ডাল, শাক-সবজি, গচ্ছিত টাকা, গয়না সব লুট করে নিয়ে চলে যায় তারা। হত্যার (Post Poll Violence) পর অরূপের কাকা প্রায় ৬ মাস ঘরছাড়া ছিলেন।

    পুলিশ উল্টে বাড়ির লোকের বিরুদ্ধেই মামলা করল

    পরিবারের অভিযোগ, খুনের (Post Poll Violence) বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে কোনও অভিযোগ জমা নেয়নি। উল্টে পুলিশ বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করে বলে অভিযোগ মায়ের। পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭, ৫০৬ ধারায় মামলা করেছিল। পুলিশের প্রতি পরিবারের কোনও আস্থাই নেই বলে পরিবারের লোকজন সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন।

    সিবিআই তদন্ত চলছে

    নির্যাতনের সময় এবং পরে পরিবারের সঙ্গে পুলিশ অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করে বলে অভিযোগ। পরিবার বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করে। চাপে পড়ে পুলিশ বাড়িতে একজন রক্ষী নিযুক্ত করে। মায়ের দাবি, প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল শেখ সইফুদ্দিন, শেখ হামিদ, শেখ নাসের, শেখ কালু, ফকির আহম্মদ শেখ, শেখ বাবু। এই খুনের পিছনে প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশ শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তীতে সিবিআই খুনের (Post Poll Violence) তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, হত্যাকারীদের ফাঁসিকাঠে ঝোলাতে হবে।

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩ : ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে! 

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    Post Poll Violence: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পঞ্চম পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্র, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারের চূড়ান্ত কালা অধ্যায় ছিল ভোট-পরবর্তী মাসগুলি। এমনটাই মনে করেন বিরোধীরা। তা না হলে কৃষ্ণনগরের অত্যন্ত সাধারণ এবং সামান্য দিনমজুর পলাশ মণ্ডলকে কেবলমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করা এবং নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়!

    কে এই পলাশ মণ্ডল? কীভাবে খুন করা হয়েছিল তাঁকে?

    পলাশ মণ্ডলের জন্ম ১৯৭৬ সালের ২ জুন এবং মৃত্যু হয় ২০২১ সালের ১৪ জুন। বাড়ি কৃষ্ণনগরের মনীন্দ্রপল্লি, বারইহুদায়। বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন। ঘটনার একদিন আগে রাত এগারোটা নাগাদ আচমকা হামলা করে খুনের হুমকি দিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডারা, এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় গুন্ডারা বাড়িতে ঢুকে দরজায় প্রথমে আঘাত করে। তারপর খুলতে না পেরে উপরের টিন কেটে রড, দা, কাঁচি, চাকু, তলোয়ার ইত্যাদি নিয়ে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। দলে তারা ছিল প্রায় ২০০ জন। বাড়িতে টিভি, বাসনপত্র, শাড়ি, গয়না আসবাবপত্র লুট করে গুন্ডারা। সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির দেওয়ালে কোপ দেয়। ভয়ে পলাশ নিজের জীবন বাঁচাতে ঘরের খাটের নীচে আশ্রয় নেন। কিন্তু হিংস্র গুন্ডারা ঘরে ঢুকে রড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারতে মারতে খাটের নিচ থেকে বের করে তাকে। এরপর ঘর থেকে বের করে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে এবং পরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে কানের কাছে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তার। উল্লেখ্য, সবটাই পলাশবাবুর দুই মেয়ে এবং স্ত্রীর সামনে ঘটে। স্ত্রী শেফালি মণ্ডল কৃষ্ণনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
    এত নির্মমভাবে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয় যে আশপাশের মানুষ বাঁচানোর সাহস করেনি। পরিবারের অভিযোগ ছিল, পলাশবাবুর দোষ একটাই ছিল, উনি বিজেপির পতাকা-পোস্টার লাগাতেন এবং বিজেপির মিটিং-মিছিলে যেতেন। বাড়ির দেওয়ালে তারপরেও ছিল রক্তের দাগ। দরজায় ছিল দা দিয়ে বড় বড় কোপের দাগ। পলাশবাবু গেঞ্জির রিপ কাটার কাজ করতেন। ঘটনার দিন খুন করে আততায়ীরা রিপকাটার মেশিনটিও তুলে নিয়ে চলে যায়।

    পরিবার ঘরছাড়া, দিন কেটেছে অসহায় অবস্থায়

    পরিবারে উপার্জনের একটা বড় দায়িত্ব ছিল পলাশের উপর। পলাশবাবুর মেয়ে পম্পা মণ্ডল তখন দশম ক্লাসের ছাত্রী। শক্তিনগর গার্লস স্কুলে পড়াশুনা করত। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী কলকাতায় গিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাতেন। পলাশবাবুর মায়ের কথা সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁরা পূর্ববঙ্গের ফরিদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। দেশ ছেড়ে এসে ছেলেকে এইভাবে মরতে হবে, কেউ ভাবতে পারেননি। শুধু খুন (Post Poll Violence) করেই আততায়ীরা ক্ষান্ত হয়নি। এলাকায় বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে অপরাধীদের আত্মীয়রা প্রভাতী দেবনাথ, মাম্পী দেবনাথ, মান্তু দেবনাথ রোজ হুমকি দিয়ে যেত বলে অভিযোগ। গালিগালাজ এবং লোক লাগিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করবে বলেও হুমকি চলেছিল প্রতিনিয়ত।

    সিবিআই তদন্ত চলছে, বিচার সময়ের অপেক্ষা

    বর্তমানে ওই হত্যার (Post Poll Violence) তদন্ত সিবিআই করছে। প্রধান অভিযুক্ত হল আজাহার শেখ, কুষাই দাস, পাপ্পু মুখার্জি, বলরাম দাস, অপু দেব, বাবু সোনা মুখার্জি, আনন্দ সরকার, হারান চাকি, হুদা চাকি, অখিল ভৌমিক, সুরেষ পারসি, তাপস দেবনাথ। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তৎকালীন তৃণমূলের কাউন্সিলর নিত্য প্রামাণিকের পরোক্ষ ইন্ধন আছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তদন্ত এখনও চলছে। হত্যার বিচার এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩–৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Road: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নেই পাকা রাস্তা, ভোট বয়কটের পথে বাসিন্দারা  

    West Bengal Road: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নেই পাকা রাস্তা, ভোট বয়কটের পথে বাসিন্দারা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা (West Bengal Road) হয়নি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকোডাঙা গ্রামে। লাল মাটির রাস্তা, তাও খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশ পথ। পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও যা অযোগ্য হয়ে ওঠে। হাসপাতাল যাওয়ার ২ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। 

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা?

    এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা (West Bengal Road) সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির জেলা সফরের আগেই এবার রাস্তার দাবিতে সরব এলাকাবাসী। দ্রুত রাস্তার কাজ না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি। এই গ্রামে এক প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, ২০০১ সালে যে রাস্তা তৈরি হয়েছিল, সেটাও লাল মাটির। তারপরে আজ পর্যন্ত একটা ইটও পড়েনি। এমনকী লালমাটিও নয়। যাওয়ার মতো অবস্থাই ছিল না। ক্লাবের ছেলেরা নিজেরা পয়সা খরচ করে গর্তগুলো বুজিয়েছে। এখান থেকে চাঁচল অ্যাম্বুল্যান্সে যেতে হলে তুলসীহাট্টা হয়ে দশ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। অথচ এই রাস্তা ধরে গেলে সেটা মাত্র দু কিলোমিটার। দুপাশের জমিতে চাষবাস হয়। তাই পাট নিয়ে কেউ শহরে যাবে, তার কোনও উপায় নেই। ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজ যেতেও খুবই অসুবিধায় পড়ছে। নেতারা তো ভোট এলে বলে রাস্তা করে দেবো। কিন্তু এরকম যদি অবস্থা হয়, তাহলে আমরা গ্রামবাসীদের ভোট দিতে দেব না।  

    এখানেও রাজনৈতিক তরজা

    এদিকে তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত হওয়ায় সেখানে উন্নয়ন হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বিমানবিহারী বসাক সাফাই দিয়েছেন, এনআরজিএস প্রকল্পের টাকা বন্ধ থাকায় রাস্তার (West Bengal Road) কাজ শুরু করা যায়নি। তাই এ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা দিয়েও কথা রাখেননি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ইসলামপুর শহরে মিটিং করলেও দলীয় বিধায়কের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি যুবরাজ। দিনভর অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করে আশাহত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের সামনে তিনি অপমানিতও হয়েছিলেন। তারপর অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েও যোগ দিলেন না ইসলামপুরের এই বিধায়ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী নিয়ে বৈঠক?

    সোমবার ইটাহারের দুর্গাপুর ফুটবল ময়দানে রাত্রিবাস করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার সেখানে দলীয় পদাধিকারী ও জেলার সমস্ত বিধায়কদের থাকার কথা ছিল। সাংগঠনিক বৈঠকে পঞ্চায়েতের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সকল বিধায়ক, দলীয় নেতৃত্বকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য অভিষেক নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে সমস্ত দলীয় নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েও ছিলেন। শুধু ছিলেন না ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এ নিয়ে দলের মধ্যেই জোর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। গত দুদিন ধরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় একাধিক সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরের সভায় যাওয়ার জন্য করিমসাহেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ নিয়ে প্রকাশ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। শুধু ইসলামপুর নয়, অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  কোনও জনসভাতে করিমসাহেব যোগ দেননি। এবার অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেকও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জেলা সভাপতির সঙ্গে কথাও বলেছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “আমাকে অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দিয়েছে বিষয়টা দেখবার জন্য।  বিষয়টা দেখে নিচ্ছি। আমরা বিষয়টা মিটিয়ে নেব।”  যদিও এ বিষয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    BJP: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের যে হার্মাদরা বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করেছে, তারা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অভিমত রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) প্রতিবাদে মঙ্গলবার ধর্মতলায় ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’ পালন করল বিজেপি (BJP)। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের উপর শাসক শিবিরের অত্যাচারের অভিযোগের কথা তুলে ধরলেন সুকান্ত। এদিন ট্যুইটেও ঝড় তোলেন তিনি। ২০২১ ভোট পরবর্তী হিংসার কথা স্মরণ করে তৃণমূল ও তার সঙ্গীদের রাজ্য থেকে বহিষ্কারের আর্জি জানান সুকান্ত।

    সুকান্তর ট্যুইট

    ট্যুইটে সুকান্ত দাবি করেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যেভাবে বাংলার বিজেপি কর্মীরা দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে, তাঁদের কাজকে কুর্নিশ।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার কথাও বলেন তিনি।

    শুভেন্দুর দাবি

    তৃণমূলের অত্যাচার নিয়ে এদিন সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় তৃণমূল যা অত্যাচার করেছে, ব্রিটিশরাও করেনি।’ এদিন ‘সন্ত্রাস নিয়ে’ ফের বিরোধী দলনেতার নিশানায় শাসকদল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন, আপনার চার-পাঁচ প্রজন্ম রাজ্য শাসন করবে, তাহলে ভুল ভাবছেন। অত্যাচারীদের যেতেই হবে। আবার খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন। গত ১০-১২ দিনে ৩ জন বিজেপি নেতা-কর্মী খুন।’ শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে চম্বলের রাজত্বে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ময়নার (Moyna) বাকচায় বিজেপি নেতা খুন প্রসঙ্গে এই কথা বলেন তিনি। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার ময়নায় বনধের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    Post Poll Violence: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করাটাই কি ছিল এই রাজ্যের মানুষের সবচেয়ে বড় অপরাধ? বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মে মাস জুড়ে রাজ্যজুড়ে যে হত্যালীলা চলেছে, তাতে এমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা। তাদের আরও অভিযোগ, একদিকে যখন একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে, তখন পুলিশ-প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। ফলে নিরুপায় এবং অসহায় সাধারণের একমাত্র আশ্রয় ছিল সাংবিধানিক বিচার বিভাগ।

    মে মাসে ভোট-পরবর্তী হত্যালীলার খতিয়ান

    ২ মে ভোট গণনার সময় বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। সোনারপুরের প্রতাপনগরে হারান অধিকারীকে বোমা মেরে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয়। জামদার বস গ্রামে গুলিতে খুন হন হারাধন রায়। সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার আনন্দে মত্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। চাকদায় বিজেপি দাবি করে, তাদের কর্মী উত্তম ঘোষকে গুলি করে হত্যা করেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। ফলাফল প্রকাশের পর আক্রমণ এবং হিংসা যে হয়েছে, একথা বার বার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও বিবৃতি এবং এলাকা পরিদর্শন করে সেই সময় জানিয়েছিলেন।

    ৩ মে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের উলাগ্রামে খুন হন বিজেপি সদস্য মহম্মদ আলি। শীতলকুচিতে হত্যা করা হয় মানিক মৈত্রকে। মগরাহাটে খুন হন সৌরভ বর, বর্ধমানের রায়নায় খুন হন দুর্গাবালা বাগ, জগদ্দলে মৃত্যু হয় শোভারানী মণ্ডলের। ভাঙড়ে হাসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে দুষ্কৃতীরা একমাত্র বিরোধী দল করায় বল্লম, চাকু, তলোয়ার দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই সঙ্গে হাসানুজ্জামানের অন্তঃসত্ত্বা বধূকে পেটে লাথি মেরে গুরুতর জখম করে।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    ৪ মে বাঁকুড়ার ইন্দাসে খুন হন অরূপ রুইদাস। বুথে বিজেপির এজেন্ট হওয়াটাই তাঁর একমাত্র অন্যায় ছিল। একই দিনে দিনহাটায় খুন হন বিজেপি সমর্থক হারাধন রায়।  

    ৫ মে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় বিজেপি কর্মী রসিদুল হকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের শ্রীপুরে বলরাম মাঝিকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মেদিনীপুরের সবংয়ের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মার্কণ্ডচক গ্রামের বিশ্বজিৎ মহেশ নির্মমভাবে খুন হন। ঝাড়গ্রাম কিষাণ মোর্চার জাম্বনির ভাডুয়া গ্রামের কিশোর মাণ্ডিকে খাটসুরা এলাকার মহুয়াচকের কাছে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। 

    এই মাসেই ৬ মে কোতুলপুরে কুশ ক্ষেত্রপাল, ৭ মে নলহাটিতে মনোজ জসওয়াল, ১০ মে সন্দেশখালিতে আস্তিক দাস, ১১ মে আমডাঙায় রঞ্জিত দাস, ১২ মে বারাসতে জ্যোৎস্না মল্লিক, ১৩ মে নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি, ১৬ মে নদিয়ার চাপড়ায় ধর্ম মণ্ডল, ২০ মে নির্মল মণ্ডল, ২৩ মে রাজারহাটে প্রসেনজিৎ দাস, ৩০ মে কোচবিহারের সিতাইয়ে অনিল বর্মনকে হত্যা করা হয়। এই নিরীহ মানুষগুলিকে হত্যা করার দায় কার, মানবাধিকার কর্মীরা সেই প্রশ্ন তুলছেন। বিরোধীরা এই হত্যার পিছনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদেরই দায়ী করছেন। প্রত্যেকটি কেস এখন সিবিআই তদন্তের অধীনে।  

    ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন! 

    বিভিন্ন সূত্রের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, ভোট-পরবর্তী তিন-চার মাসে প্রায় ৬২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছিল সাধারণ নাগরিক সমাজ। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গড়া বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ ভোট পরবর্তী হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। খুনের মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনেক কেসে সিবিআই লুক আউট নোটিস জারি করেছে। বর্তমানে ন্যায় বিচারের আশায় নিহতদের পরিবারগুলি দিন গুনছে। সেই বিচার এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। (চলবে)

     

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    Post Poll Violence: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে এই ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস শুধু রাজনৈতিক সংঘর্ষ (Post Poll Violence) ছিল না, সামজিক, আর্থিক ও ধর্মীয় সন্ত্রাসেরও শিকার হতে হয়েছে অসহায় মানুষকে। ৩৮.২ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি, তাই চরম হিসাব দিতে হয়েছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের। নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি বাংলার নারীসমাজ। এমনটাই অভিযোগ বিরোধী দলের। অভিজ্ঞ মানুষের মুখেও বারবার শোনা গিয়েছে একটাই কথা, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বামপন্থী লাল সন্ত্রাসকেও বহুগুণ ছাপিয়ে গেছে এই রাজনৈতিক সবুজ সন্ত্রাস। 

    কেমন ছিল নারী নির্যাতনের ছবি?

    নির্বাচন সময়পর্বে কোচবিহারে রাজবংশী সমাজের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। নিখোঁজ তরুণীর বাবা পুলিশ সুপারের কাছে তা জানান। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসন ছিল নিষ্ক্রিয়। বিজেপির অভিযোগ, হুগলির বদনগঞ্জের মাধবী আদককে খুন করা হয়েছে কেবলমাত্র তাঁর ছেলে তাদের দল করে বলে। নন্দীগ্রামে বিবস্ত্র করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন (Post Poll Violence) করা হয়। সেই নির্যাতিতা নারীর সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। কোচবিহারের মাথাভাঙার শিকারপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে দুবার ভাবেনি দুষ্কৃতীরা। থানায় অভিযোগ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছিল। বর্ধমানের আউশগ্রামেও দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি সমর্থক দেবনাথ প্রামাণিকের স্ত্রী আর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ভোটদানের আগের দিন। ফলে তাঁদের পক্ষে আর ভোট দেওয়াই সম্ভব হয়নি।

    শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে এক গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে মায়ের গলায় দা ঠেকিয়ে কোলের সন্তানকে অপহরণ করেছিল স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় গুন্ডারাই এই অপকর্ম করেছে বলে সন্তানের মা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মেদিনীপুরের পটাশপুরে শাশ্বতী জানাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভাস্বতী বর্মনকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পায়ে গুলি চালায় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। এই খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বর্ধমানের জামালপুরে আশিষ ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপালকে টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয়। খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের বারাতলা পঞ্চায়েত এলাকায় এক পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। 

    বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুরের হ্যাচারি রোড ক্যানালপাড়ের বাজারে শুধুমাত্র বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে মেয়ের সামনে মাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে। ২৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় হইচই পড়ে যায়। সভ্য সমাজের আক্ষেপ, পশ্চিমবঙ্গ এইভাবে মা ও মেয়ের উপর অত্যাচার দেখবে বলে কোনওদিনই প্রস্তুত ছিল না। ১০ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক প্রতিনিধিদল গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে ধনিয়াখালির চকহিরণ্যবাটীতে গেলে অর্চনা মাঝি নামে এক সাধারণ মহিলা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ঘরছাড়া ছিলেন ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই। তৃণমূলের লোকেরা রোজ শাসাচ্ছে। অর্চনাদেবীর কাতর আবেদন ছিল, শান্তিতে যাতে থাকতে পারি, সেই ব্যবস্থা করুন। লোকাবাটি গ্রামের গৃহবধূ আসমা তারা জানিয়েছিলেন, ফল প্রকাশের পরের দিন দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে সমাজবিরোধীরা। ৩১ মে ভাটপাড়া পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুষ্কৃতীরা মা সুজাতা নাথ এবং ছেলে সঞ্জীব নাথকে মারধর করে। সঞ্জীব নিজে বিজেপি করত, এটাই ছিল তার অপরাধ। 

    সক্রিয় জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা এবং মহিলা কমিশন

    হিংসার কারণে ১ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ধর্ষণ, খুন নিয়ে (Post Poll Violence) বিশেষ চিঠি পাঠিয়েছিলেন। রামনগরে সন্ত্রাস চালায় তৃণমূল সন্ত্রাসীরা, এমনটাই অভিযোগ। যার প্রভাব পড়ে শিশুদের উপর। প্রায় ৬০০ পরিবার ঘরছাড়া এবং প্রায় ২০০ শিশু অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বলে কমিশন জানিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান। আবার বর্ধমানের আউসগ্রামের ৬০টি পরিবার ঘরছাড়া হয়। তাঁবুতে দিন কাটে তাদের। পরিবারগুলি অনাহারে দিনপাত করে। শিশুরা অভুক্ত, খাদ্য নেই, বস্ত্র নেই, চিকিৎসা নেই, এমনই ছিল করুণ অবস্থা। বারাসতের ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৫০ টি পরিবার, কল্যাণীতে ৩৫ টি পরিবার এবং নানুরে ১০০ পরিবার ঘরছাড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। (চলবে)

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share