Tag: tmc

tmc

  • Land Mafia: ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের!

    Land Mafia: ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য, নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেক এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা থেকে যেতেই ফের প্রকাশ্যে মাটি মাফিয়াদের (Land Mafia) দৌরাত্ম্য। আর এই কাণ্ডে নাম জড়ালো এক সিভিক ভলান্টিয়ারের। যিনি আবার তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ২ নম্বর ব্লকের সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত সরনপুর গ্রামের ঘটনা। ওই গ্রামেরই তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা ফারহানা রহমানের স্বামী উমর ফারুক। তিনিই আবার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার। তাঁর বিরুদ্ধে রাতের অন্ধকারে সরকারি জমি দখল করে মাটি কেটে ক্যানাল ভরাটের অভিযোগ উঠেছে। যে ক্যানাল গ্রামের একমাত্র নিকাশি ব্যবস্থা। আর যা নিয়ে ব্যাপক ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।

    জানাজানি হতেই বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা

    দিনের আলো ফুটতেই ঘটনাস্থলে যান গ্রামবাসীরা। সেখানে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, কোনওভাবেই এই জমি দখল হতে দেওয়া যাবে না। ক্যানাল ভরাট (Land Mafia) করলে গ্রামের চাষবাস ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে আশঙ্কা এলাকাবাসীর। তাঁদের অভিযোগ, ওই সিভিক ভলান্টিয়ার গ্রামে সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছেন। তাঁর ভয়ে সব সময় সন্ত্রস্ত থাকছে এলাকার মানুষ। এমনকী এলাকাবাসীর অভিযোগে সহমত পোষণ করে অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ধর্মা মণ্ডল। যেখানে পুলিশের কাজ আইন রক্ষা করা, সেখানে একজন সিভিক ভলান্টিয়ার হয়ে কীভাবে আইন ভাঙলেন ফারুক, উঠেছে প্রশ্ন। ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সমগ্র এলাকায়। 

    কী অভিযোগ বিজেপির? কী বলছে তৃণমূল?

    যদিও অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ার উমর ফারুক ক্যামেরার সামনে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। অন্যদিকে বিজেপির দাবি, মাটি মাফিয়াদের (Land Mafia) পিছনে শাসকদল এবং প্রশাসনের একাংশের মদত রয়েছে। সেটা এই ঘটনায় দিনের আলোর মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে। আইন আইনের পথে চলবে, পাল্টা সাফাই তৃণমূলের। তাঁদের বক্তব্য, এটা বিরোধীদের চক্রান্ত। দলকে কালিমালিপ্ত করার জন্যই এটা করা হয়েছে। যে অভিযোগ উঠেছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। এভাবেই পঞ্চায়েত ভোটের প্রাক্কালে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: কুড়মিদের নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়াল না দল, কোন্দল প্রকাশ্যে

    TMC: কুড়মিদের নিয়ে তৃণমূল বিধায়কের পাশে দাঁড়াল না দল, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মি আন্দোলন নিয়ে বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের (TMC) কো-অর্ডিনেটের  অজিত মাইতির বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে তোলপাড় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রাজনীতি। ব্যাপক প্রভাব পড়েছে কুড়মি জনজাতির মধ্যেও। দিকে দিকে কুড়মি অসন্তোষ প্রকাশ্যে এসেছে। অবশেষে কার্যত চাপে পড়ে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। মেদিনীপুর সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, অবিলম্বে ক্ষমা চাওয়া উচিত অজিত মাইতির। এমন বক্তব্যকে দল সমর্থন করে না। অজিত মাইতির পাশে যে দল নেই তা জেলা সভাপতির বক্তব্যেই স্পষ্ট। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    জেলা সভাপতির নির্দেশের পরও ফের বেফাঁস অজিত মাইতি, কী বললেন?

    একদিকে যখন জেলা সভাপতি সাংবাদিক বৈঠক করছে তখন ফের বেলাগাম অজিত মাইতি। কুড়মি সমাজের মানুষেরা পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও রাজনৈতিক দলকে দেওয়াল লিখতে দেওয়া হবে না বলে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার বিরোধিতা করে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে অজিতবাবুর  হুঁশিয়ারি, আমরা হাতে চুড়ি পড়ে বসে নেই। দেওয়াল আমরা লিখবই। দাসপুরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর সফরের প্রস্তুতি সভা থেকেই হুঁশিয়ারি দেন তিনি। উল্লেখ্য, অজিতবাবু কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থী নেতাদের সঙ্গে তুলনা করেন। তাঁর মন্তব্যের পর থেকেই কুড়মি আন্দোলন সম্পর্কে অজিত মাইতির মন্তব্য ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অপমানিত হয়ে পথে নেমেছে কুড়মি সমাজ।  অবিলম্বে অজিত মাইতিকে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবিতে সরব হয়েছে কুড়মি জনজাতির মানুষেরা। এই আবহেও ক্ষমা চাওয়া তো দূর অস্ত, শাসকদলের দাপুটে নেতার ঔদ্ধত্যে স্তম্ভিত শাসক দলের একাংশ। সব মিলিয়ে দল পাশে না থাকলেও তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অজিত মাইতির মুখে যে লাগাম টানা যাচ্ছে না তা কার্যত স্পষ্ট। দেওয়াল লিখন নিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করে দিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন,  দেওয়াল লিখনের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। গায়ের জোরে দেওয়াল লিখনের কোনও প্রশ্নই আসে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    TMC: জেলা তৃণমূল সভাপতি ছুটলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে, কোন্দল কি মিটল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অবশেষে সাক্ষাৎ হল বিধায়ক ও জেলা সভাপতির। অভিষেক ব্যানার্জির নির্দেশমতো রবিবার রাতে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর বাড়িতে গিয়ে সাক্ষাৎ করলেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। এদিন সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উভয়ের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। সাম্প্রতিক নানা ঘটনাবলীতে তিক্ততার সূত্রপাত হলেও, অবশেষে তার অবসান ঘটল বলে আপাতভাবে মনে করা হচ্ছে। যদিও বিবাদ কি আদৌ মিটল? সন্দিহান জেলার মানুষই।

    কীভাবে বিবাদে জড়িয়েছিল দু-পক্ষ?

    রবিবার রাতে ইসলামপুরের গোলঘরে বিধায়কের বাড়িতে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেন জেলা তৃণমূল (TMC) সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল। সাম্প্রতিক বিভিন্ন ঘটনাবলীকে কেন্দ্র করে জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে বিধায়কের সংঘাতের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এমনকী তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় গত ৩০ শে এপ্রিল অভিষেক ব্যানার্জি ইসলামপুরে সভা করলেও সেখানে আমন্ত্রণ পাননি বিধায়ক। এরপর বিধায়কের বাড়িতে অভিষেক ব্যানার্জির আসার সম্ভাবনার কথা শোনা গেলেও বাস্তবে তা হয়নি। যা নিয়ে নিজের হতাশা ও ক্ষোভ ব্যক্ত করেন তিনি। গত ২রা মে রায়গঞ্জ থানার দুর্গাপুরে অভিষেক ব্যানার্জির ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকেও আব্দুল করিম চৌধুরী অনুপস্থিত থাকায় রাজ্য রাজনীতিতে জোর জল্পনা শুরু হয়েছিল। তাঁকে বিদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করাতেই এই বৈঠক বয়কট বলে দাবি করেছিলেন বিধায়ক। এই বৈঠকেই জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জি। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে ররিবার বিধায়কের বাড়িতে গিয়েছিলেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল। 

    বৈঠক নিয়ে কে কী বললেন?

    সেখানে সাংগঠনিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা সভাপতি। তিনি বলেন, আগেরদিন ইটাহারে যে সমাবেশ হয়েছিল, সেখানে আমাদের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনি একবার করিম সাহেবের বাড়ি যান। আমাকে নির্দেশ দেওয়াতেই আমি করিম সাহেবের বাড়ি যাই। গত পরশু আমি উনাকে ফোন করি এবং তারপর গতকাল উনার বাড়িতে যাই। সাংগঠনিক আলোচনা হয়েছে, এটুকুই শুধু। অন্যদিকে জেলা সভাপতির আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। দলীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয় বলে জানান তিনিও। পাশাপাশি জেলায় দল (TMC) পরিচালনার ক্ষেত্রে নিজের মতামত ও প্রস্তাবনা জেলা সভাপতির সামনে তুলে ধরেছেন, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সভা ফেরত বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ফের আক্রান্ত, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সভা ফেরত বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা ফের আক্রান্ত, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পটাশপুরে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) প্রতিবাদ সভা থেকে ফেরার পথে আক্রান্ত হলেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনের প্রতিবাদে দিন কয়েক আগে জেলা জুড়ে এক ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচির ডাক দিয়েছিল বিজেপি। সেই কর্মসূচি চলাকালীন পটাশপুরে অবরোধকারীদের ওপর ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পুলিশের সেই লাঠিচার্জের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে পটাশপুরের দাইতলা বাজারে প্রতিবাদ সভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি। প্রশাসনিক অনুমতি না মেলায় রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে পথসভার মধ্য দিয়েই প্রতিবাদ সভা শেষ করতে হয় বিজেপিকে। সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) শুভেন্দু অধিকারী। তিনি চলে যাওয়ার পরই সভা থেকে ফেরার সময় পটাশপুর বাজারের কাছে বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার জেরে বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছেন। ভাঙচুর করা হয়েছে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি। বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই হামলা চালিয়েছে। পুলিশের সামনেই এই হামলা হয়েছে। বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হয়েছেন। অনেকের মোবাইলও ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। যদিও তৃণমূল নেতৃত্ব হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিজেপির এই অভিযোগ ঘিরে নতুন করে রাজনৈতিক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে পটাশপুরে।

    এদিনের প্রতিবাদ সভায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) কী বললেন?

    রবিবার বিকেলে পটাশপুরে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, গোটা রাজ্য চুরি, দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। রাজ্যবাসী পার্থ-অর্পিতার, কেষ্ট-সুকন্যার খেলা দেখেছেন। একইসঙ্গে মানিক-জীবনকৃষ্ণের খেলা সকলে দেখেছেন। শুধু পিসি-ভাইপোর খেলাটা বাকি রয়েছে, ওটাও হয়ে যাবে। এই রাজ্যে বিচারব্যবস্থা দুর্নীতির মূল উত্পাটন করতে চাইছে। কোনও বিশেষ বিচারপতি বা আইনজীবী নয়, সমগ্র বিচারব্যবস্থা এই বিষয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমার বিরুদ্ধে এই সরকার ৩০টি মামলা করেছে, সাতবার সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে। কিন্তু, হতাশ হয়ে ফিরেছে। আজ আইনকে সম্মান জানাতেই আমি সভা করলাম না। আগামী রবিবার এই পটাশপুরে হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে বিরাট জনসভা করার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি (Suvendu Adhikari) ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে তুলনা, তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল

    TMC: কুড়মি নেতাদের খালিস্তানপন্থীদের সঙ্গে তুলনা, তৃণমূল বিধায়কের মন্তব্যে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুড়মিদের আন্দোলনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করা হবে। কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতার মতো আচরণ করছেন। সরকারকে টেনে নামানোর চেষ্টা যাঁরা করছেন, তাঁদের কোনওভাবেই সমর্থন নয়। কুড়মি আন্দোলন নিয়ে বিস্ফোরক তৃণমূল (TMC) বিধায়ক তথা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি। ১৪ ই মে মেদিনীপুর শহরে আদিবাসী জমায়েতের ডাক দিয়েছেন জেলা তৃণমূলের এই হেভিওয়েট নেতা। তৃণমূল নেতার এমন মন্তব্যে শাসকদলের সঙ্গে কুড়মি সমাজের সংঘাত বাড়বে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল (TMC) বিধায়ক অজিত মাইতি?

    এবার কুড়মিদের সঙ্গে কার্যত সম্মুখ সমরে শাসকদল তৃণমূল (TMC)।  উল্লেখ্য, এস টি তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে সিআরআই রিপোর্টের ওপর রাজ্যের তরফে জাস্টিফিকেশন পাঠাতে হবে কেন্দ্রের কাছে, এই দাবিকে সামনে রেখে টানা আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে কুড়মি সম্প্রদায়ের মানুষ। গত এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে টানা প্রায় পাঁচদিন অবরুদ্ধ হয়েছে রেল এবং জাতীয় সড়ক। রাজ্যের তরফে বৈঠকের ডাক পেয়েও আশানুরূপ ফল না মেলায় কুড়মিদের দেওয়ালে কোনও রাজনৈতিক প্রচার নয় বলে সম্প্রতি ফরমান জারি করেছে কুড়মি সংগঠন ঘাঘরগেরা কেন্দ্রীয় কমিটি। জঙ্গলমহলের একাধিক এলাকায় কুড়মিরা রাজনৈতিক দলের বিজ্ঞাপন মুছে সেখানে জয় গরাম লিখে দিয়েছে। এই আবহেই অজিত মাইতির গলায় রীতিমতো হুমকির সুর। তৃণমূল (TMC) বিধায়ক বলেন, কুড়মি আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল ও সরকারকে ছোট করার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিছু কুড়মি নেতা স্বঘোষিত খালিস্তানি নেতার মতো আচরণ করছেন। তাই এই আন্দোলনের সর্বাত্মক বিরোধিতা করা হবে। শুধু এখানেই শেষ নয়, কুড়মি আন্দোলনের পিছনে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির মদত রয়েছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি। অন্যদিকে, দেওয়াল লিখন করতে দেওয়া হবে না বলে কুড়মিদের পক্ষ থেকে যে ফরমান জারি করা হয়েছে, তা মানা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অজিতবাবু।

    কী বললেন কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি?

    পশ্চিমবঙ্গ কুড়মি সমাজের রাজ্য সভাপতি রাজেশ মাহাত বলেন, আমরা নিজেদের দাবিদাওয়া আদায়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করছি। কিন্তু, অজিতবাবুর মতো নেতার কাছে এই ধরনের উস্কানিমূলক মন্তব্য আমি আশা করিনি। তৃণমূল (TMC) নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জঙ্গলমহলে এলে বিনয়ের সঙ্গে আমাদের কথা বলেন। অজিতবাবুর সেটা মেনে চলা উচিত। জঙ্গলমহলে অশান্তি ছড়ালে তার দায় অজিত মাইতিকে নিতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার আরও দুই তৃণমূল কর্মী

    BJP: ময়নায় বিজেপি নেতা খুনে গ্রেফতার আরও দুই তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নায় বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুনে নতুন করে আরও দুজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে শনিবার নন্দন মণ্ডল ও সুজয় মণ্ডলকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এর আগে মিলন ভৌমিক নামে একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।

    ধৃতদের কোথায় থেকে গ্রেফতার করা হল?

    কয়েকদিন আগে বিজেপি (BJP) নেতা বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে স্ত্রী, সন্তানের সামনে অপহরণ করে তুলে নিয়ে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন করা হয়। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। এই  খুনের ঘটনায় তপ্ত হয়ে ওঠে ময়না এলাকা। বিধায়ক অশোক দিন্দার নেতৃত্বে বিজেপি (BJP) কর্মীরা রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ময়নায় এসে ১২ ঘণ্টা বনধ ঘোষণা করেছিলেন। পরে, শুভেন্দুর নেতৃত্বে এলাকায় প্রতিবাদ মিছিলও হয়। এরপরই পুলিশ মিলন ভৌমিককে গ্রেফতার করে। তবে, বিজেপির (BJP) পক্ষ থেকে ৩৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারমধ্যে একজন গ্রেফতার হওয়ায় বিজেপি (BJP) কর্মীরা আন্দোলনের হুমকি দেয়। এরইমধ্যে আরও দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুজনেরই বাড়ি ময়না থানার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার গোড়ামাহাল গ্রামে। তারা এলাকায় তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ঘটনার পর থেকে তারা বাগচায় একটি ইটভাটাতে লুকিয়ে ছিল। শনিবারই পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে সেখান থেকে গ্রেফতার করে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বিজেপি (BJP) নেতা খুন হওয়ার পর তৃণমূল নেতৃত্ব বিষয়টি ব্যক্তিগত কারণে বা বিজেপি-র দলীয় কোন্দলের জেরেই খুন বলে চালানোর চেষ্টা করেছে। এই খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তারা তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এদিন আরও দুজন গ্রেফতার হওয়া প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতা সংগ্রাম দলুই বলেন, তৃণমূল কোনও দুর্নীতি বা খুনিদের সমর্থন করে না। কেউ দোষ করে থাকলে তার সাজা হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব ?

    বিজেপির (BJP) তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি আশিস মণ্ডল বলেন, দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় আমরা ৩৪ জনের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। পুলিশ অভিযুক্তদের আড়াল করার চেষ্টা করছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে সকল অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC:দলীয় নেতাদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন?

    TMC:দলীয় নেতাদের শাস্তির দাবিতে টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করলেন তৃণমূল কর্মীরা, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিনের মধ্যেই জেলা সফরে আসছেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তাঁর সেই কর্মসূচি সফল করতে শনিবার মেদিনীপুর শহরে জেলা নেতৃত্বের পক্ষ থেকে প্রস্তুতি বৈঠক করা হয়। জেলা নেতৃত্বের যখন বৈঠক চলছে, তখন এই জেলার মোহনপুরে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের আগুনে জ্বলছে। দলীয় কোন্দল এতটাই তীব্র আকার ধারণ করে যে  রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে পথ অবরোধ করলেন তৃণমূলের (TMC) এক গোষ্ঠীর কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটেছে?

     মোহনপুর ব্লক তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের সভাপতি মানিক মাইতির সঙ্গে সিয়ালশাই-২ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বশরুল আলি,  মাজেদ মল্লিকের দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব রয়েছে। এরইমধ্যে গত কয়েকদিন আগে মানিকবাবুর হাত ধরে বেশ কয়েকজন কর্মী বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। এই নব্য তৃণমূলীরা (TMC)  এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধ গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত মাজেদসাহেবরা তার প্রতিবাদও করেন। কিন্তু, তাতে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উলটে শনিবার মাজেদসাহেবের এক অনুগামীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে মানিকবাবুর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে (TMC) যোগদান করা কর্মীরা এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনার প্রতিবাদে এদিন আঁতলা- মোহনপুর রাজ্য সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীরা বিক্ষোভ দেখান। জখম তৃণমূল কর্মীকে রাস্তায় রেখেই চলে বিক্ষোভ। তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য খলিল মল্লিক বলেন, আমরা বহুদিন ধরে দল করি। এখন নব্য তৃণমূলরা এলাকায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। তারা আমাদের দলীয় কর্মীকে বেধড়ক মারধর করেছে। অভিযুক্ত নেতাদের শাস্তির দাবিতে আমাদের এই কর্মসূচি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব?

     পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কয়েকটি ব্লকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে তা এক কথায় স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা তৃণমূলের (TMC) কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি । তিনি বলেন, কয়েকটি ব্লকের মধ্যে ওই মোহনপুরে দলীয় নেতাদের নিজেদের মধ্যে মনোমালিন্য রয়েছে। খুব শীঘ্রই তা মিটিয়ে ফেলা হবে। কাউকে রেয়াত করা হবে না। প্রয়োজনে শোকজ করা হবে।

    কী বললেন বিজেপির জেলা নেতৃত্ব?

     বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক গৌরী শঙ্কর অধিকারী বলেন, তৃণমূলের দুই পক্ষ দেখাতে চাইছে কাদের কাছে কত বোমা-বন্দুক আছে, তারই লড়াই চলছে । পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে, তৃণমূলের (TMC) কোন্দল তত প্রকাশ্যে আসবে। এসব করে ওরা সাধারণ মানুষের থেকে আরও দূরে চলে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: সরকারি প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকার কাজ বন্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    TMC: সরকারি প্রকল্পের ৬ লক্ষ টাকার কাজ বন্ধ, অভিযুক্ত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক নেতাদের (TMC) আবদার মেটাতে না পারায় সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ গোঘাটে। প্রায় এক সপ্তাহ ধরে গোঘাট-২ ব্লকের মান্দারণ পঞ্চায়েতের সরকারি মার্কেট কমপ্লেক্স নির্মাণ প্রকল্পের কাজ বন্ধ। অভিযোগের তীর স্থানীয় যুব তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে।

    কাজ বন্ধ কেন!

    এলাকার সাধারণ মানুষের অভিযোগ, নির্মাণ কাজের জন্য তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি ঠিকাদারের কাছ থেকে মোটা টাকা দাবি করেছেন। কিন্তু টাকা না পাওয়ার জন্যই বর্তমানে কাজ বন্ধ। যাঁর বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ, সেই তৃণমূলের যুবনেতা তথা অঞ্চল সভাপতি আশাদুল খান (TMC) বলেন, কাজটা ঠিকঠাক হচ্ছে না বলে গ্রামবাসীরা অভিযোগ করছিলেন। আমরা কাজটা ঠিকভাবে করতে বলেছি। কোথায় গোলমাল তাহলে? তাঁর জবাব, ইট-বালি ভাল নয় বলেই তো শুনলাম। তাহলে ত্রুটি থাকলে কেন লিখিত অভিযোগ করছেন না? উত্তর মেলেনি। তিনি একটাই কথা বললেন, বিষয়টি নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে আলোচনায় বসতে হবে। ঠিকাদার সংস্থার পক্ষে অমিত পান জানান, ওই মার্কেটে আরও তিনটি ঘর বাড়ানো হচ্ছে। তাঁর অভিযোগ, মালপত্র যে নিম্নমানের, তেমন কোনও অভিযোগ নেই। কিন্তু কেন প্রায় ৬ লক্ষ টাকার সরকারি প্রকল্পের কাজ বন্ধ রাখা হল, সেটাও বোঝা যাচ্ছে না। কাজে এলেই আশাদুল খান ও তাঁর সঙ্গীরা বাধা দিচ্ছেন রোজ। তবে নির্মাণ কাজ বন্ধের পিছনে যে শাসকদলের একটা প্রভাব রয়েছে, তা এলাকার মানুষ মনে করছেন।

    পঞ্চায়েত প্রধানের বক্তব্য

    স্থানীয় তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত প্রধান সানোয়ারা বেগম বলেন, কাজে বাধার কোনও অভিযোগ পাইনি। কাজের বিস্তারিত পরিকল্পনার সঙ্গে সরঞ্জাম সরবরাহের কোনও বিশেষ গরমিল নেই। যাঁরা বাধা দিচ্ছেন তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সদুত্তর মেলেনি। গোঘাট-২ ব্লকের যুব সভাপতি অভিজিৎ বিশ্বাস দলের নেতাদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, বিষয়টা শুনেছি। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, অন্যায়ভাবে নির্মাণ যেমন আটকানো যাবে না, তেমনই ওই কাজে দুর্নীতি থাকলে সেটাও ব্লক প্রশাসনকে নিশ্চিত করতে হবে। এই অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগের মাঝে সরকারি প্রকল্পের কাজ কবে আবার শুরু হবে, তার অপেক্ষায় সাধারণ গ্রামবাসী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    Post Poll Violence: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের সপ্তম পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের পছন্দের রাজনৈতিক দলকে ভোট দিয়েছিলেন। অভিযোগ, ফলাফল ঘোষণার পর স্থানীয় শাসকদলের মদতপুষ্ট মস্তানদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে জখম হন (Post Poll Violence)। কিন্তু পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা এবং অবহেলায় বাঁচানো যায়নি ধর্ম মণ্ডলকে। নদিয়ার চাপড়া, হৃদয়পুর সীমান্তের বাসিন্দা। মূলত চাষাবাদ করতেন। বিজেপির সক্রিয় সদস্য এবং কর্মী ছিলেন। ছয় বছর ধরে পার্টি করতেন বলে জানা যায়। বিজেপি করার জন্য সরকারি সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত ছিল এই পরিবার। দোষ একটাই, কেন বিজেপি করবে?

    হত্যার প্রেক্ষাপট

    পরিবারের অভিযোগ, বিজেপি করার জন্য তৃণমূলের গুন্ডারা বাড়ি থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা বাবদ আদায় করে নিয়ে যায় ফলাফল বের হওয়ার আগেই। ধর্ম মণ্ডলকে অনেকদিন ধরেই হুমকি দেওয়া হচ্ছিল, বিজেপি ছেড়ে যেন তৃণমূলে যোগদান করে। ঝগড়া হলেই তৃণমূলের দুই মাতব্বর হুমকি দিত, ভোট মিটলেই দেখে নেব (Post Poll Violence)। সারাদিন মাঠে কাজকর্ম করার পর সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে গেলে তৃণমূলের গুন্ডারা রীতিমতো হুমকি দিত। 

    পুলিশ ছিল কাছেই, তবুও খুন!

    পরিবার সূত্রে জানা যায়, ভোটের ফলাফল প্রকাশের পর বাড়ি থেকে দোকানের কাছে পাকা রাস্তায় যেতেন না ধর্ম মণ্ডল। কারণ, একটা আতঙ্ক কাজ করত, উনি বিজেপি করতেন বলে। ঈদের দিন ছিল ১৪ মে। চাষের জমিতে ধর্মবাবু গরুর জন্য ঘাস তুলতে যান। ঠিক দুপুর সাড়ে ১২ টায় বাড়ির লিচুবাগানে তৃণমূল সমর্থক প্রায় ২০ জন মিলে ধর্ম মণ্ডলের ভাই সঞ্জিতকে আক্রমণ করে। ধর্ম মণ্ডলের ভাইকে মস্তানরা বাঁশ দিয়ে মেরে হাত ভেঙে দেয়। পরিস্থিতি বুঝে থানায় গিয়ে অভিযোগ জানান স্থানীয় এক ব্যক্তি। ঠিক সেই সময় ধর্ম মণ্ডল বাঁচাতে যান ভাইকে। আর তখনই ধর্ম মণ্ডলকেও রড দিয়ে আঘাত করে দুষ্কৃতীরা। আটকাতে গেলে ধর্মবাবুর স্ত্রীকে লাথি মেরে দূরে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়। ধর্ম মণ্ডলের স্ত্রী পা ধরে মাফ চান। কিন্তু নির্মম কসাইদের মনে কোনও দয়ার ছাপ ছিল না। উজ্জ্বল নামে একজন একটা বড় দা দিয়ে ধর্ম মণ্ডলকে কোপ দেয় (Post Poll Violence)। সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত কালু মস্তান বলে, একেবারে শেষ করে দে! উল্লেখ্য, ঘটনাস্থলের সামান্য দূরেই পুলিশ এসে উপস্থিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু পুলিশ ছিল নীরব দর্শক। পরে আহত ধর্মবাবুকে গাড়িতে করে প্রথমে বাঙ্গালঝী, তারপর শক্তিনগর এবং পরবর্তীতে কলকাতায় নীলরতন সরকার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু রক্তক্ষরণ এতই হয়েছিল যে শেষরক্ষা হয়নি।

    তদন্তে সিবিআই, ন্যায় বিচারের অপেক্ষায় পরিবার

    আতঙ্কিত পরিবার ঘটনার প্রায় দু দিন পর চাপড়া থানায় অভিযোগ জানানোর চেষ্টা করে। কিন্তু লাভ হয়নি। ধর্ম মণ্ডলের স্ত্রী-ছেলের কোনও অভিযোগ জমা নেয়নি পুলিশ। ঘটনার সমস্ত ভিডিও মোবাইল থেকে পুলিশ জোর করে নিয়ে নেয়। সমস্ত ঘটনাটি পুলিশের উপস্থিতিতে ঘটে বলে পরিবারের দাবি। পরে হাইকোর্টের নির্দেশে মামলা দায়ের করা হয় এবং তদন্ত সিবিআই করবে, আদেশ দেয় হাইকোর্ট। খুনে প্রধান অভিযুক্ত হল লাল্টু ঘোষ (তৃণমূলের যুব সভাপতি) কালু শেখ, কিংকর মণ্ডল, বিজয় শেখ, পিন্টু ঘোষ, আবুল শেখ, আলমগীর শেখ, ভগীরথ দাস, গণেশ মণ্ডল এবং আরও অনেকে। অভিযুক্তদের মোট ১৮ জন ধরা পড়ে এবং চারজন পলাতক ছিল। সিবিআই প্রথমদিন তদন্ত করতে গেলে তাদের উপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা, গাড়িতেও ভাঙচুর (Post Poll Violence) করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। বর্তমানে তাঁর স্ত্রী ছেলে-বৌমাকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ন্যায় এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র। 

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    Post Poll Violence: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের ষষ্ঠ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের ফলাফল ঘোষণার পর ‘খেলা হবে, কঠিন খেলা হবে’-এই স্লোগান দিয়ে বেপরোয়া হত্যাকাণ্ড (Post Poll Violence) চালিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। সন্তান হারানো মায়ের আর্তনাদ, স্বামী হারানো স্ত্রীর কান্না, পিতা হারানো সন্তানের বেদনা আপামর বঙ্গবাসীর কাছে ছিল জাতীয় বিভীষিকা, এমনটাই অভিযোগ বিরোধীদের। না হলে শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হয়েছিলেন বলে এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়!

    কে এই অরূপ রুইদাস?

    অরূপ রুইদাস ছিলেন বাঁকুড়ার ইন্দাসের তফশিলি সমাজের মানুষ। বাবা গণেশ রুইদাস এবং মা কাঞ্চন রুইদাস দুজনই বৃদ্ধ। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সংস্কৃতে এমএ পাশ করেন অরূপ। রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ না থাকায় কলকাতায় একটি বইয়ের দোকানে কাজ করতেন। পরিবারে একমাত্র উপার্জনকারী ব্যক্তি ছিলেন অরূপ। প্রধানমন্ত্রীর মিটিং-এ গিয়ে বিজেপির পতাকা লাগিয়েছিলেন। ভোটের দিন বুথে বিজেপির এজেন্ট হিসাবেও বসেছিলেন অরূপ। আর তারই খেসারত দিতে হল তাঁকে। শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট হওয়ার জন্যই তাঁকে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়েছিল বলে দাবি পরিবারের।

    কীভাবে হল নির্মম হত্যা!

    পরিবারের সদস্যদের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, ২ মে ফলাফল ঘোষণার পরদিন, অর্থাৎ ৩ মে সকাল ১১ টা নাগাদ বাড়িতে এসে ৫-৬ জন প্রথমে দেখে নেবো বলে হুমকি দিয়ে যায়। তারপর ৪ মে ঠিক দুপরবেলা ‘খেলা হবে খেলা হবে/ ঠিক ঠিক খেলা হবে’ ডিজে গান আর অশ্রাব্য গালিগালাজ শুরু হয়। দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি তখনও, এমন সময় প্রায় ১০০ জন তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডা বাড়িতে হামলা করে। বাড়িতে বাবা-মাকে বেধড়ক মারধর করে। তারপরই অরূপের গায়ের জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে এবং গলায় একটা লাল গামছা বেঁধে টানতে টানতে নিয়ে যায় খামারের দিকে। এরপর আর অরূপকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। পরের দিন ৫ মে সকালে বর্ধমানের বল্লভপুর এবং দিগল গ্রামের মাঝের এক বটগাছে ঝুলন্ত দেহ (Post Poll Violence) খুঁজে পাওয়া যায়। পুলিশ এসে দেহ শনাক্ত করে। বৃদ্ধ নিরুপায় বাবা-মা কান্নায় ভেঙে পড়েন।

    একইসঙ্গে চলেছিল লুটপাট 

    সেই হামলা ছিল ভয়াবহ। পরিবারের বিবরণ অনুযায়ী, মাটির ঘরের সিমেন্টের সব চাল ভেঙে ফেলা হয়। বাড়িতে পায়খানা, রান্নাঘরের গেট ভেঙে দেয় দুষ্কৃতীরা। লোহার করাত দিয়ে বাঁশ-বেত কেটে নিয়ে চলে যায় দুষ্কৃতীরা। বাড়ির চাল, ডাল, শাক-সবজি, গচ্ছিত টাকা, গয়না সব লুট করে নিয়ে চলে যায় তারা। হত্যার (Post Poll Violence) পর অরূপের কাকা প্রায় ৬ মাস ঘরছাড়া ছিলেন।

    পুলিশ উল্টে বাড়ির লোকের বিরুদ্ধেই মামলা করল

    পরিবারের অভিযোগ, খুনের (Post Poll Violence) বিষয়ে থানায় অভিযোগ করতে গেলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে কোনও অভিযোগ জমা নেয়নি। উল্টে পুলিশ বাড়ির লোকের বিরুদ্ধে কেস দায়ের করে বলে অভিযোগ মায়ের। পুলিশ পরিবারের বিরুদ্ধে ৩২৫, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭, ৫০৬ ধারায় মামলা করেছিল। পুলিশের প্রতি পরিবারের কোনও আস্থাই নেই বলে পরিবারের লোকজন সেই সময় মন্তব্য করেছিলেন।

    সিবিআই তদন্ত চলছে

    নির্যাতনের সময় এবং পরে পরিবারের সঙ্গে পুলিশ অত্যন্ত অমানবিক আচরণ করে বলে অভিযোগ। পরিবার বাধ্য হয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানিয়ে মামলা দায়ের করে। চাপে পড়ে পুলিশ বাড়িতে একজন রক্ষী নিযুক্ত করে। মায়ের দাবি, প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে ছিল শেখ সইফুদ্দিন, শেখ হামিদ, শেখ নাসের, শেখ কালু, ফকির আহম্মদ শেখ, শেখ বাবু। এই খুনের পিছনে প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে অধিকাংশ শাসক দলের ঘনিষ্ঠ। হাইকোর্টের নির্দেশে পরবর্তীতে সিবিআই খুনের (Post Poll Violence) তদন্ত করছে। অভিযুক্তদের মধ্যে অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে। কিন্তু পরিবারের দাবি, হত্যাকারীদের ফাঁসিকাঠে ঝোলাতে হবে।

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩ : ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে! 

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share