Tag: tmc

tmc

  • TMC: তৃণমূলের জেলা কমিটিতে এবার ঠিকাদারদেরই রমরমা! বেজায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা

    TMC: তৃণমূলের জেলা কমিটিতে এবার ঠিকাদারদেরই রমরমা! বেজায় ক্ষুব্ধ নিচুতলার কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঠিকাদার-আবৃত তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) জেলা কমিটি। আর পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই কমিটি আলিপুরদুয়ারের শাসকদলের অন্দরে এখন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বছরখানেক আগে তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়ির সভায় ঠিকাদারদের সম্পর্কে কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। অনেকেই শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে পঞ্চায়েত এলাকায় ঠিকাদারি চালাত বলে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছেও আলিপুরদুয়ার জেলা থেকে অভিযোগ গিয়েছিল। অভিষেক জেলায় এসে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, ঠিকাদারি করলে দল করা যাবে না। ফলে, দলের নিচুতলার নেতাকর্মীরা অনেকেই আশায় ছিলেন, ঠিকাদারমুক্ত এবং স্বচ্ছ ভাবমূর্তির নেতাদেরকেই এবারে দলের জেলা কমিটিতে ঠাঁই দেওয়া হবে। আর বাস্তবে নতুন কমিটি দেখে কর্মীরা হতবাক। নিচুতলার কর্মীদের বক্তব্য, এই ঠিকাদারদের দলে নেওয়ার অর্থ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ অমান্য করা। এতে দলের ভাবমূর্তি খারাপ হবে। সাধারণ মানুষের কাছে আমাদের প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে।

    জেলা কমিটিতে কতজন ঠিকাদার রয়েছে, জানেন?

    ১২৭ জনের জেলা কমিটিতে আলিপুরদুয়ার শহর এলাকারই প্রায় ১০ জনের মতো প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার ঠাঁই পেয়েছেন। এছাড়াও নামে-বেনামে ছোটখাট আরও কুড়িজন মতো ঠিকাদার রয়েছেন গ্রামাঞ্চলে, যাঁরা শাসকদলের প্রভাব খাটিয়ে নিজেদের ব্যবসাকেই মূলত ফুলেফেঁপে তুলেছেন। তৃণমূলের (TMC) জেলা কমিটিতে ভাইস প্রেসিডেন্ট থেকে জেলার সাধারণ সম্পাদক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ পেয়েছেন ঠিকাদাররা। আর জেলা কমিটিতে ঠিকাদারদের পদ দেখে নিচুতলার কর্মীদের মধ্যে একটা চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে ওই হতাশা শাসকদলকে আরও অনেকটাই বিপাকে ফেলতে পারে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দলের ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়েছেন চিন্ময় ভট্টাচার্য। তিনি পেশায় একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার। চিন্ময়বাবু বলেন, নিজের পেশাকে অস্বীকার করতে পারি না। তবে, দল যে দায়িত্ব দিয়েছে, তা নিষ্ঠার সঙ্গেই পালন করব।

    জেলা কমিটিতে ঠিকাদার থাকা নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের (TMC) আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবরাইক বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, বিভিন্ন পেশার মানুষ দলের জেলা কমিটিতে রয়েছেন। এনিয়ে কোথাও কোনও বিরোধ নেই। প্রশ্ন হচ্ছে, দলের যুবরাজ ঠিকাদারদের দলে না নেওয়ার নির্দেশ দিয়ে গিয়েছিলেন, জেলা নেতৃত্ব সে কথা কি বেমালুম ভুলে গিয়েছেন।

    এই প্রসঙ্গে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির বিধায়ক মনোজ টিগ্গা কটাক্ষ করে বলেছেন, তৃণমূল (TMC) দলটাই তো এখন ঠিকাদারদের দ্বারা পরিচালিত। তারাই লুটেপুটে খাবে, সাধারণ মানুষের কোনও লাভ হবে না। এই নতুন কমিটি তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সাধারণ মানুষের জন্য এই দল আর কাজ করবে না। এটা ব্যবসাদার, ঠিকাদারদের পার্টিতে পরিণত হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Demonstration: দিকে দিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার, পিএইচই-র জলাধারের সামনে বিক্ষোভে গ্রামের মহিলারা

    Demonstration: দিকে দিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার, পিএইচই-র জলাধারের সামনে বিক্ষোভে গ্রামের মহিলারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে তীব্র তাপপ্রবাহ চলছে রাজ্যজুড়ে। অন্যদিকে পানীয় জলের জন্য হাহাকার পড়ে গিয়েছে দিকে দিকে। সোমবার সকালেই আরামবাগে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন গ্রামবাসীরা, যার জেরে আটকে পড়েছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। এদিন সেই পানীয় জলের দাবিতেই পিএইচই-র জলাধারের সামনে গ্রামের মহিলাদের বিক্ষোভে (Demonstration) উত্তেজনা ছড়াল আসানসোলে। তাঁদের এই আন্দোলনে যোগ দিলেন স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মণ্ডল।

    কী অভিযোগ ঘিরে ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা?

    আসানসোল পুরসভার ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কিছুটা অংশে জল পরিষেবা দিয়ে থাকে পিএইচই এবং কিছুটা অংশে আসানসোল পুরসভা। তীব্র গরমে বেশ কয়েকদিন ধরে গোবিন্দপুর গ্রামে পিএইচই’র জল পরিষেবা অত্যন্ত অনিয়মিত বলে অভিযোগ। যা নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সঞ্চার হয়। সোমবার গ্রামের বেশ কিছু মহিলা একত্রিত হয়ে পিএইচই’র জলাধারের সামনে উপস্থিত হয়ে তীব্র বিক্ষোভে (Demonstration) ফেটে পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, এই তীব্র গরমেও জল পাচ্ছেন না তাঁরা। মহিলাদের আসতে দেখে স্থানীয় কাউন্সিলর শ্রাবণী মন্ডল এসে উপস্থিত হন সেখানে। তিনিও অভিযোগ করেন, জল পরিষেবা মানুষকে দিতেই হবে। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে পিএইচই জল দিচ্ছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছেন এলাকার মানুষ। গ্রামবাসীদের অভিযোগকে সমর্থন করে পিএইচইর আধিকারিকদের জল সরবরাহের ক্ষেত্রে দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি জানান তিনি। পরে পুলিশি আশ্বাসে বিক্ষোভ উঠে যায়।

    কী বলছেন এখানকার কর্মীরা?

    বিক্ষোভ (Demonstration) প্রসঙ্গে এখানকারই এক অপারেটর বললেন, গরমের সময় এধরনের সমস্যা একটু হয়ে থাকে। সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা যে কোনও কারণে হতে পারে। পুরসভা এবং পিএইচই মিলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। তবে এখানে কর্মীরা থাকেন না বলে যে অভিযোগ উঠেছে, তা তিনি মানতে চাননি। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, এতবড় প্রজেক্টে লোক না থাকলে কি চলে?  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ অটো বন্ধের ফতোয়া! ধুন্ধুমার তারাপীঠে, বিক্ষোভ বিজেপির

    Tarapith: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ অটো বন্ধের ফতোয়া! ধুন্ধুমার তারাপীঠে, বিক্ষোভ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমিত শাহের সভায় যাওয়ার ‘অপরাধে’ বেশ কয়েকজন অটোচালককে অটো চালাতে দিচ্ছে না তৃণমূল। এই অভিযোগ ঘিরে সোমবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল তারাপীঠ (Tarapith)। বিজেপির পক্ষ থেকে এদিন আটলা মোড়ে রাস্তার ওপর বসে পড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বিজেপি-তৃণমূল বচসায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। দুপক্ষের হাতাহাতিও হয়। পুলিস গিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সাধারণ যাত্রীরা পড়েন দুর্ভোগে।

    বিজেপির মূল অভিযোগ কী?

    বিজেপি নেতা তারক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, তৃণমূল ইউনিয়নের নেতা বলেছে, তারাপীঠে (Tarapith) রামনবমীর পতাকা সব খুলে ফেলতে হবে। আমরা সব দেখে নেবো। অমিত শাহর সভায় যাওয়ার জন্য নাকি দুজন অটোচালককে অটো লাগাতে দেবে না। গরিব, খেটেখাওয়া মানুষের পেটে লাথি মারার জন্য তৃণমূল কংগ্রেস? পশ্চিমবঙ্গবাসী দেখুন, কোন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যটাকে নিয়ে যাচ্ছে। তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ওরা আমাদের ওপর হামলাও চালিয়েছে। এ নিয়ে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারি তিনি দিয়েছেন।

    অভিযোগের উত্তরে কী বললেন তৃণমূল ইউনিয়নের নেতা?

    তৃণমূল পরিচালিত অটো ইউনিয়নের সেক্রেটারি নাশির শেখের বক্তব্য, এটা ভুল ধারণা। পাটির কোনও ব্যাপারে গাড়ি বন্ধ করা হয়নি। তারাপীঠে (Tarapith) ইউনিয়নের একটা সিস্টেম আছে। সেই অনুযায়ীই গাড়ি বন্ধ করা হয়েছিল সাতদিন। ইউনিয়নের নিয়মভঙ্গ করার জন্য ওদের সাসপেন্ড করা হয়েছিল। অনেকেই আছে, বেলাইনে ভাড়া খাটে। ওদের ক্ষেত্রেও তাই হয়েছিল। সেটা নিয়ে বিজেপি এরকম করবে, আমরা ভাবতে পারিনি। এই সমস্যার সমাধান আমরা কালই করে দিয়েছিলাম এবং ওদের লাইনে গাড়ি লাগাতে বলেছিলাম। তা না করে ওরা আজ অত্যাচার শুরু করে দিল। ওরা আমাকেও মারধর  করেছে। দোষীকে গ্রেফতার করা না হলে তাঁরাও অটো চলাচল বন্ধ করে দেবেন বলে হুমকি দেন।

    কী বললেন রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা অশিস বন্দ্যোপাধ্যায়

    অবরোধ, ধর্মঘট এসব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নীতির বিরুদ্ধে। তাই যারা ধর্মঘট করবে বলেছিল, আমি তাদের তা না করার জন্য অনুরোধ করেছি। ওরা সেই আবেদনে সাড়া দিয়েছে। একইসঙ্গে আমি পুলিশকেও অনুরোধ করেছি, যারা দোষী, তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। বিজেপির অমিত শাহের সভায় যাওয়ার জন্যই তারাপীঠে (Tarapith) অটো চালাতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এর জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ তদন্ত করে দেখুক না, কোনটা সত্যি, কোনটা মিথ্যা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বিধায়ককে তোপ উপপ্রধানের

    TMC: পঞ্চায়েত ভোটের মুখে তৃণমূলে গৃহযুদ্ধ তুঙ্গে, সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভে এসে বিধায়ককে তোপ উপপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) পূর্ব বর্ধমানের গোষ্ঠীকোন্দলের জেরে ততই অস্বস্তিতে জেলা নেতৃত্ব। সোশ্যাল মিডিয়ায় ১৫ মিনিটের ওপর লাইভ করে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলি এলাকার বিধায়ককে প্রকাশ্যে নানাভাবে আক্রমণ করেছেন। পঙ্কজ গাঙ্গুলি জানান, এরপর হয়তো তাঁকে গাঁজার কেস দিয়ে জেলে ঢোকাতেও পারেন বিধায়ক। পাশাপাশি তাঁর প্রাণহানির আশঙ্কাও করছেন। স্বাভাবিকভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এইভাবে বিধায়কের বিরুদ্ধে উপপ্রধানের নানারকম বক্তব্য অস্বস্তিতে ফেলেছে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূলকে।

    কেন এই বিতর্ক?

    গত কয়েকদিন ধরে পূর্বস্থলী উত্তরের বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে প্রায়শই বিতর্ক দানা বাঁধছে পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পঙ্কজ গাঙ্গুলির। পূর্বস্থলী পঞ্চায়েতের বিভিন্ন কাজ বিনা টেন্ডারে পাইয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় কালনা মহকুমাশাসকের কাছে অভিযোগ জানান। তারপর থেকেই এই বিতর্কের সৃষ্টি।

    কী বলেছেন তৃণমূলের উপপ্রধান?

    শুক্র এবং শনি, পরপর দুদিন ফেসবুক লাইভে আসার পর পঙ্কজ গাঙ্গুলি আজও ফেসবুক লাইভে এসে পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক (TMC) তপন চট্টোপাধ্যায়ের নামে কুৎসা করেন। পাশাপাশি পঙ্কজ গাঙ্গুলি জানালেন, দুমাস আগে তাঁর সিকিউরিটি ছিল। সেগুলি পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় অভিযোগ করে তুলে নেন। ফলে যে কোনও সময় তাঁর ওপর আক্রমণ হতে পারে। তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়।

    কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের জেলা সভাপতির?

    এই সমস্যার কথা জেলা সভাপতি (TMC) রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে জানাতে তিনি বলেন , উপপ্রধানের উচিত হয়নি সোশ্যাল মিডিয়ায় এরকম বক্তব্য রাখা। যদি কোনও বক্তব্য থাকে, তাহলে দলকে জানাতে পারতেন।

    আক্রমণে বিজেপি

    অপরদিকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশে আসতেই আক্রমণ হেনেছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কাটোয়া জেলা সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় জানান, এটা নতুন কোনও ঘটনা নয়।। বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় আগে বিজেপির কর্মীদের বহুবার গাঁজার কেস দিয়ে জেলে দিয়েছে। এবার খোদ উপপ্রধানকে এই কেস দিলে দিতেও পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Road Block: রাজ্যে পানীয় জলের সমস্যা কী ভয়াবহ, রাস্তায় বেরিয়ে টের পেলেন মন্ত্রী, মুক্তি মিলল আশ্বাস দিয়ে

    Road Block: রাজ্যে পানীয় জলের সমস্যা কী ভয়াবহ, রাস্তায় বেরিয়ে টের পেলেন মন্ত্রী, মুক্তি মিলল আশ্বাস দিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের কাবলে এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধের (Road Block) জেরে আরামবাগ-কলকাতা রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় যানবাহনের লাইন পড়ে যায়। ওই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। অবরোধের জেরে আটকে পড়েন তিনিও।  

    কী দাবিতে গ্রামবাসীদের এই অবরোধ?

    অবরোধকারীদের অভিযোগ, হরিণখোলা ২ নং সুলতানপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন বাসিন্দারা। প্রায় ৩০০ টি পরিবারের ভরসা মাত্র একটি টিউওয়েল। এলাকায় রাস্তার কাজ হওয়ার সময় জলের পাইপলাইন নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে জলের সংকট আরও তীব্র হয়েছে বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বারবার পঞ্চায়েত ও প্রশাসনিক দফতরে জানানোর পরেও কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই কাবলে এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ (Road Block) করেন গ্রামবাসীরা।

    কী আশ্বাস দিলেন পরিবহণমন্ত্রী?
     
    সেই অবরোধে আটকে পড়ে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর গাড়ি। তাঁকে ঘিরেও অভিযোগ জানাতে শুরু করেন অবরোধকারীরা। পরে মন্ত্রী দ্রুত সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিলে অবরোধ (Road Block) ওঠে। ঘটনাস্থলে যায় আরামবাগ থানার পুলিশ। এ বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, জল সংকটের মুখে পড়েছে বলেই মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তবে দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপাতত দুটো পাম্প বসিয়ে যাতে পানীয় জলের সমস্যা মেটানো যায়, সেই ব্যবস্থা করছি।

    বিজেপির বিধায়ক কী বললেন?

    বিজেপি রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়া বিধানসভার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, সুলতানপুর এলাকাটি আমার পুরশুড়া বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ছে। এলাকার মানুষ আমাকে জানিয়েছিল, আমি গিয়েছিলাম। ওখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার যেটা করণীয়, এমএলএ ল্যাডের টাকা দিয়ে আমি ওই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি। কিন্তু এই রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে ওই এলাকায় কাজটি এখনও হয়ে ওঠেনি। যার ফলে আজকে ওই বিক্ষোভ চলাকালীন মন্ত্রীর গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে আটকে (Road Block) ছিল। সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আর মন্ত্রী সেই অবরোধের মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য মিথ্যে কথা ও নাটক করে গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: চাকরির জন্য বেঁধে দিতেন রেট! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    CBI: চাকরির জন্য বেঁধে দিতেন রেট! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে গত দুদিন ধরে চলছে সিবিআই (CBI) তল্লাশি। মোবাইলের খোঁজে পুকুরের জল তুলে চলছে তল্লাশি। ইতিমধ্যে একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। আরও একটি মোবাইলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সিবিআই (CBI) তল্লাশি চালানোর সময় বিধায়কের বাড়ি থেকে দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়। সেসবই চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট। উদ্ধার হওয়া নথিতে পাঁচ জেলার চাকরিপ্রার্থীর তালিকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করল সিবিআই (CBI)। সেই তালিকায় মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও মালদহ, দুই দিনাজপুর ও নদিয়া জেলার চাকরিপ্রার্থীদের নাম পাওয়া গিয়েছে। প্রার্থীদের নামের তালিকার ফটোকপি রয়েছে।

    তৃণমূল বিধায়কের কাছে বিভিন্ন চাকরির দর ঠিক করা ছিল, কত জানেন?

    কোন পদে চাকরির জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তা দেখে নিয়ে সেইমতো টাকা নেওয়া হত। তৃণমূল বিধায়ক এর জন্য নির্দিষ্ট রেট ঠিক করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে মিলেছে কোন পদে চাকরির জন্য কত টাকা নিয়েছেন জীবন সাহা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য দর ছিল ১০-১২ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে দর ছিল ১০ ও ৮ লক্ষ টাকা। নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য মাথপিছু নেওয়া হয়েছে ১৫-১৭ লক্ষ টাকা। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য মাথাপিছু দর ধার্য ছিল ২০-২২ লক্ষ টাকা।

    বিধায়কের নামে কত সম্পত্তি আছে জানেন?

    মুর্শিদাবাদের একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন তৃণমূল বিধায়ক। এরপর ১৯৯২ সালে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে ইতিহাস নিয়ে স্নাতক হন। বিশ্বভারতী থেকে তিনি  স্নাতকোত্তর পাশ করেন। পৈতৃক সম্পত্তি প্রচুর থাকলেও, গত কয়েকবছরে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল চোখে পড়ার মতো। জীবনকৃষ্ণের বাবার বরাবরই প্রচুর সম্পত্তি ছিল। বিঘার পর বিঘা জমি, একাধিক বাড়ি, তেলের কল রয়েছে। তবে, দ্বিতীয় বিয়ে করার পর ছেলে জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আর বিধায়কের মায়ের সম্পত্তিও কিছু কম ছিল না। প্রায় তিন বিঘা জমির উপর বাড়ি,  ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা সবই ছিল তাঁর মায়ের নামে। বর্তমানে একটি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে বিধায়ক হওয়ার পর স্কুলে যেতে হয় না। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন জীবনকৃষ্ণ। কান্দিতে রয়েছে একটি রাইস মিল। রয়েছে ৪ বিঘা জমি। কান্দি হাইস্কুলের পিছনে রয়েছে বিধায়কের একটি পুকুর ও গ্যাসের গোডাউন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মুর্শিদাবাদের কৌশিক ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর বাড়ির আশেপাশে কম করে ৩৫ বিঘা জমি রয়েছে বিধায়কের। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, বীরভূমেও প্রচুর সম্পত্তি কিনেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকায় ৫ কাঠা জায়গা রয়েছে তাঁর। লাউতোর এলাকায় মোট ২৪ কাঠা জায়গা বিধায়কের নামে। সাঁইথিয়া তালতলা মোড়ে একটি রাইস মিল রয়েছে। এছাড়া সাঁইথিয়া শহরে পৈতৃক বাড়ি মিলিয়ে ৪ টি বাড়ি রয়েছে তাঁর। এখনও পর্যন্ত এই যা সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে তাঁর মূল্য দুশো থেকে তিনশো কোটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Land Mafia: রাতের অন্ধকারে পাঁচিল ভেঙে জমি দখলের চেষ্টা! কুলটিতে জমি-মাফিয়াদের তাণ্ডব?

    Land Mafia: রাতের অন্ধকারে পাঁচিল ভেঙে জমি দখলের চেষ্টা! কুলটিতে জমি-মাফিয়াদের তাণ্ডব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলটিতে ফের জমি মাফিয়াদের (Land Mafia) তাণ্ডব? একটি জমি দখলের অভিযোগকে ঘিরে এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুলটির ডিসেরগড় সাঁকতোড়িয়া অঞ্চলে।

    জমি দখলের মূল অভিযোগ কী?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলটির সাঁকতোড়িয়া অঞ্চলের যশাইডি মৌজার ১৭৭ নং প্লটের জমিটি নিজের দাবি করে সীমানা-প্রাচীর দিয়ে ঘিরতে শুরু করেন বিজয় মাজি। কিন্তু তাঁর জমির সীমানা-প্রাচীর কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এসে ভেঙে দিয়ে যায়। এই বিষয়ে সংবাদ মাধ‍্যমের সামনে বিজয় মাজি অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় জমি মাফিয়া (Land Mafia) হিসাবে পরিচিত ছোটন ওরফে চিত্তরঞ্জন রায়। সেই এক সঙ্গী নিয়ে রাতের অন্ধকারে এই সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে। আসলে তারা চাইছে জমিটি অন‍্য কারও কাছে বিক্রি করে দিতে।  

    কী বললেন অভিযুক্ত?

    অন‍্যদিকে চিত্তরঞ্জন রায় জানিয়েছেন, পেশাগতভাবে তিনি নিজে আসানসোল আদালতের আইনজীবী। তিনি বিনা পয়সায় কারও আবেদনপত্রও লিখে দেন। তাঁর কাছে এত সময় নেই যে তিনি রাতের অন্ধকারে পাঁচিল ভাঙতে যাবেন। তিনি আরও জানান, তাঁর স্ত্রী একজন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি বিগত ১০-১৫ বছর আগে থেকেই ভবিষ‍্যতের দিকে তাকিয়ে জমিতে বিনিয়োগ করে আসছেন। যদিও এই সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার (Land Mafia) সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। তাছাড়া গতকাল স্ত্রীর শাড়ি বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিনি দিনভর ব‍্যস্ত ছিলেন। তাঁর ঘরেও অনেক রাত পর্যন্ত লোকজনের আসাযাওয়া লেগে থাকে। এখন কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন। সঠিক বিচারের প্রয়োজনে তিনি আদালতেও যেতে পারেন। আসলে তাঁর স্ত্রী একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। তাই জমি দখলের নামে অযথাই তৃণমূলকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

    যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি পরিচিত বলেও তাঁর দাবি। এমনকী অভিযোগকারীর পরিবারের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ আছে। এরপরেও কী করে ওই অভিযোগ তিনি করলেন, তা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না বলে তিনি জানান। এর পিছনে রাজনীতি আছে বলেও তিনি মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Clock Tower: বাম আমলের টাওয়ারে নতুন ‘তৃণমূলী ক্লক’, ৯ লাখি ঘড়িতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা

    Clock Tower: বাম আমলের টাওয়ারে নতুন ‘তৃণমূলী ক্লক’, ৯ লাখি ঘড়িতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমলের বেহাল টাওয়ার ক্লক (Clock Tower) সরিয়ে নতুন ক্লক বসানো হল বালুরঘাট শহরের বাসস্ট্যান্ডে। যার খরচ নাকি ৯ লক্ষ টাকা। পুরসভার বসানো ঘড়ির খরচ শুনে চক্ষু চড়কগাছ শহরবাসীর। যা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের গলায়। বাম ও বিজেপির অভিযোগ, টাওয়ার তো আগেই ছিল। শুধুমাত্র ঘড়ির খরচ কেন এত টাকা? পুরবোর্ড অবশ্য দাবি করেছে, সম্পূর্ণ নতুন ঘড়ি এনে লাগানো হয়েছে। তবে বাম আমলে এর চেয়ে বেশি খরচ করা হয়েছে। যুক্তি যাই দেখানো হোক, এই ঘড়ির বিষয়টি নিয়ে শহরের চায়ের দোকানগুলিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।  

    নতুন কি না, সন্দেহ প্রকাশ আরএসপি-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের

    আরএসপির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বলেন, সঠিক খরচ মনে না পড়লেও আমরা লাখ দু’য়েক টাকা খরচ করে ওই ঘড়ি বসিয়েছিলাম। তাই বলে এই বোর্ডের মতো ৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়নি। আর আমাদের সময়কালের টাওয়ারই (Clock Tower) তো রয়েছে। নতুন করে শুধু ঘড়ি বসানো হয়েছে। ওই ঘড়িটি নতুন কিনা, তাও সন্দেহ রয়েছে। 

    এটা কি লন্ডন থেকে আনা? প্রশ্ন বিজেপি-র

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, বামেদের আমলে এই ঘড়ি (Clock Tower) বসানো হয়েছিল। সেই ঘড়িই বিগত তৃণমূল বোর্ড সংস্কারের নামে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। এখন নতুন পুরবোর্ড আবার একই ঘড়ি সংস্কার করে ৯ লক্ষ টাকা খরচ দেখাচ্ছে। এটা কি লন্ডন থেকে আনা? 

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ দত্ত বলেন, এই ঘড়ি (Clock Tower) দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। নতুন করে লাগানো হয়েছে। খুব ভালো কথা। কিন্তু এই ঘড়ির জন্য এত খরচ করার কোনও মানে হয় না। এই ঘড়ির খরচ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরের মূল কেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চৌমাথা মোড়ে এই টাওয়ার ঘড়ির অবস্থান। ২০১৩ সালের আগে বাম আমলে এই ঘড়িটি লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বসানো হয়েছিল। বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে এই টাওয়ার ঘড়িই শহর চেনার মূল আকর্ষণ হয়। ২০১৩ সালে পালাবদলের পরে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর তা নষ্ট হলে ২০১৬ সালে সংস্কার করা হয়৷ পরে ফের নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ বছর এই ঘড়ি খারাপ থাকায় নতুন পুরবোর্ড ঘড়ি সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে। নববর্ষের উপহার স্বরূপ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র এই ঘড়ি উদ্বোধন করেন। যাকে ঘিরেই বিতর্ক।

    কী জবাব দিলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, বামেদের আমলে ওই ঘড়ি (Clock Tower) বসাতে আমাদের চেয়ে বেশি টাকা লেগেছে। আর ওরা যেভাবে ঘড়িটি বসিয়েছিল, তা সংস্কারও করা হত না। যে ঘড়িটি বসানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন। এটি উন্নতমানের জিপিআরএস সিস্টেমে বসানো হয়েছে। শহরের সৌন্দর্যের জন্যই এই উদ্যোগ। যা বিরোধীরা এতদিন করতে পারেনি বলেই এই ধরনের কথা বলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটি-মাফিয়াদের কি স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে আরামবাগ মহকুমার বেশ কিছু এলাকা? অভিযোগ, সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে মাটি-মাফিয়াদের (Mafia Raj) দৌরাত্ম্য। পুকুর থেকে মাটি জেসিবি দিয়ে কেটে, ট্রাক্টরে পাচার হচ্ছে অন্যত্র। ঘটনাস্থল গোঘাটের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতের ভাতশালা এলাকা। সেখানেই শতাধিক ট্রাক্টরে চাপিয়ে মাটি এইভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। শুধু তাই নয়, সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি গ্রামের লোকজন ডেকে ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেওয়া হয়।

    খবর সংগ্রহে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হুমকির মুখে

    কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, ভাতশালা এলাকার একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এবং পুকুরের পাড়ে না ফেলে তা অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভাতশালা এলাকায় ঢুকতেই পুকুরপাড়ে থাকা সমস্ত ট্রাক্টর তড়িঘড়ি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের দেখে সাময়িক ভয় পেলেও মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মী। তারপরেই সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী গ্রামের লোকজন ডেকে তারা ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেয়। তাদের কথাতেই বোঝা গেল, এই মাটি চুরির (Mafia Raj) ক্ষেত্রে মাথায় হাত রয়েছে একাধিক নেতার। শুধু তাই নয়, রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের সমর্থনও। সেই প্রভাব খাটিয়েই দেদার চলছে পুকুর থেকে মাটি তুলে অন্যত্র পাচার।

    কী বলছে শাসকদল এবং প্রশাসন?

    কয়েকদিন ধরে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর মাটি পাচার (Mafia Raj) হলেও, কেন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না? তাহলে কি শাসকদলের নেতাদের হাত মাথায় থাকলে সব সম্ভব? যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় পাবে না বলে জানান গোঘাট ২ নং তৃণমূল ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া। অন্যদিকে ঘটনায় আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মন্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। দুজনেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার ধৃত দুজনকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭ এপ্রিল তাদের ফের আদালতে তোলা হবে বলে জানান বালুরঘাট জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সজল ঘোষ।

    দণ্ডিকাণ্ডে গ্রেফতার (Arrest) নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি করার প্রায়শ্চিত হিসেবে তৃণমূলের জেলার প্রাক্তন মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী তিনজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি ছেড়ে আসার পর তাঁদের হাতে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এমনিতেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সংগঠন একজোট হয়ে আন্দোলনে নামে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাতারাতি অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু তপনের ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে, এতদিন এই ঘটনায় দলগতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রশাসনিক স্তরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল। এবার এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপি-র জেলা নেতা বাপি সরকার বলেন, জেলার ওই তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে দণ্ডিকাণ্ড হয়েছিল। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাঁকে আড়াল করতে লোক দেখানো দুজনকে গ্রেফতার (Arrest)  করা হয়েছে। আমাদের প্রথম থেকে দাবি অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেলা তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, দণ্ডিকাণ্ডকে প্রথম থেকে দল সমর্থন করেনি। তাই , ঘটনার পর পরই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share