Tag: tmc

tmc

  • Post Poll Violence: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    Post Poll Violence: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের পঞ্চম পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গণতন্ত্র, সাংবিধানিক অধিকার, মানবাধিকারের চূড়ান্ত কালা অধ্যায় ছিল ভোট-পরবর্তী মাসগুলি। এমনটাই মনে করেন বিরোধীরা। তা না হলে কৃষ্ণনগরের অত্যন্ত সাধারণ এবং সামান্য দিনমজুর পলাশ মণ্ডলকে কেবলমাত্র বিজেপিকে সমর্থন করা এবং নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্য দুষ্কৃতীদের হাতে নৃশংসভাবে খুন (Post Poll Violence) হতে হয়!

    কে এই পলাশ মণ্ডল? কীভাবে খুন করা হয়েছিল তাঁকে?

    পলাশ মণ্ডলের জন্ম ১৯৭৬ সালের ২ জুন এবং মৃত্যু হয় ২০২১ সালের ১৪ জুন। বাড়ি কৃষ্ণনগরের মনীন্দ্রপল্লি, বারইহুদায়। বিজেপির একজন সাধারণ কর্মী ছিলেন। ঘটনার একদিন আগে রাত এগারোটা নাগাদ আচমকা হামলা করে খুনের হুমকি দিয়ে গিয়েছিল তৃণমূলের গুন্ডারা, এমনটাই পরিবারের অভিযোগ। ঘটনার দিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় গুন্ডারা বাড়িতে ঢুকে দরজায় প্রথমে আঘাত করে। তারপর খুলতে না পেরে উপরের টিন কেটে রড, দা, কাঁচি, চাকু, তলোয়ার ইত্যাদি নিয়ে হামলা (Post Poll Violence) চালায়। দলে তারা ছিল প্রায় ২০০ জন। বাড়িতে টিভি, বাসনপত্র, শাড়ি, গয়না আসবাবপত্র লুট করে গুন্ডারা। সেই সঙ্গে ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির দেওয়ালে কোপ দেয়। ভয়ে পলাশ নিজের জীবন বাঁচাতে ঘরের খাটের নীচে আশ্রয় নেন। কিন্তু হিংস্র গুন্ডারা ঘরে ঢুকে রড দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মারতে মারতে খাটের নিচ থেকে বের করে তাকে। এরপর ঘর থেকে বের করে বাঁশ দিয়ে আঘাত করে এবং পরে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে রাস্তায় ফেলে কানের কাছে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে শক্তিনগর হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করে ডাক্তার। উল্লেখ্য, সবটাই পলাশবাবুর দুই মেয়ে এবং স্ত্রীর সামনে ঘটে। স্ত্রী শেফালি মণ্ডল কৃষ্ণনগর থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করেন।
    এত নির্মমভাবে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয় যে আশপাশের মানুষ বাঁচানোর সাহস করেনি। পরিবারের অভিযোগ ছিল, পলাশবাবুর দোষ একটাই ছিল, উনি বিজেপির পতাকা-পোস্টার লাগাতেন এবং বিজেপির মিটিং-মিছিলে যেতেন। বাড়ির দেওয়ালে তারপরেও ছিল রক্তের দাগ। দরজায় ছিল দা দিয়ে বড় বড় কোপের দাগ। পলাশবাবু গেঞ্জির রিপ কাটার কাজ করতেন। ঘটনার দিন খুন করে আততায়ীরা রিপকাটার মেশিনটিও তুলে নিয়ে চলে যায়।

    পরিবার ঘরছাড়া, দিন কেটেছে অসহায় অবস্থায়

    পরিবারে উপার্জনের একটা বড় দায়িত্ব ছিল পলাশের উপর। পলাশবাবুর মেয়ে পম্পা মণ্ডল তখন দশম ক্লাসের ছাত্রী। শক্তিনগর গার্লস স্কুলে পড়াশুনা করত। স্বামীর মৃত্যুর পর স্ত্রী কলকাতায় গিয়ে মানুষের বাড়িতে কাজ করে কোনওরকমে সংসার চালাতেন। পলাশবাবুর মায়ের কথা সূত্রে জানা গিয়েছিল, তাঁরা পূর্ববঙ্গের ফরিদপুরের বাসিন্দা ছিলেন। দেশ ছেড়ে এসে ছেলেকে এইভাবে মরতে হবে, কেউ ভাবতে পারেননি। শুধু খুন (Post Poll Violence) করেই আততায়ীরা ক্ষান্ত হয়নি। এলাকায় বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলে অপরাধীদের আত্মীয়রা প্রভাতী দেবনাথ, মাম্পী দেবনাথ, মান্তু দেবনাথ রোজ হুমকি দিয়ে যেত বলে অভিযোগ। গালিগালাজ এবং লোক লাগিয়ে মেয়েকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করবে বলেও হুমকি চলেছিল প্রতিনিয়ত।

    সিবিআই তদন্ত চলছে, বিচার সময়ের অপেক্ষা

    বর্তমানে ওই হত্যার (Post Poll Violence) তদন্ত সিবিআই করছে। প্রধান অভিযুক্ত হল আজাহার শেখ, কুষাই দাস, পাপ্পু মুখার্জি, বলরাম দাস, অপু দেব, বাবু সোনা মুখার্জি, আনন্দ সরকার, হারান চাকি, হুদা চাকি, অখিল ভৌমিক, সুরেষ পারসি, তাপস দেবনাথ। অনেকেই গ্রেফতার হয়েছে। তৎকালীন তৃণমূলের কাউন্সিলর নিত্য প্রামাণিকের পরোক্ষ ইন্ধন আছে বলে পরিবারের অভিযোগ। তদন্ত এখনও চলছে। হত্যার বিচার এখন সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩–৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal Road: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নেই পাকা রাস্তা, ভোট বয়কটের পথে বাসিন্দারা  

    West Bengal Road: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নেই পাকা রাস্তা, ভোট বয়কটের পথে বাসিন্দারা  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও পাকা রাস্তা (West Bengal Road) হয়নি মালদার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ঝিকোডাঙা গ্রামে। লাল মাটির রাস্তা, তাও খানাখন্দে ভরা। দীর্ঘ দুই দশক সংস্কারের অভাবে কার্যত বেহাল দশা। পারো থেকে ঝিকোডাঙা পর্যন্ত প্রায় ৩ কিলোমিটার রাস্তা গ্রামের মূল প্রবেশ পথ। পার্শ্ববর্তী ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ দৈনন্দিন যাতায়াত করে এই রাস্তা দিয়ে। যানবাহন তো বটেই, বৃষ্টি হলে মানুষের চলাচলের পক্ষেও যা অযোগ্য হয়ে ওঠে। হাসপাতাল যাওয়ার ২ কিলোমিটার দূরত্বের রাস্তা ঘুরে যেতে হচ্ছে ১০ কিলোমিটার। আগুন লাগলে গ্রামে আসতে পারছে না দমকলের গাড়ি। 

    কী বলছেন গ্রামবাসীরা?

    এদিকে কিছুদিন আগেই পথশ্রী প্রকল্পের আওতায় রাজ্যের কয়েক হাজার বেহাল রাস্তা (West Bengal Road) সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু তাতেও ভাগ্যের শিকে ছেঁড়েনি ঝিকোডাঙা গ্রামের রাস্তার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং অভিষেক ব্যানার্জির জেলা সফরের আগেই এবার রাস্তার দাবিতে সরব এলাকাবাসী। দ্রুত রাস্তার কাজ না হলে ভোট বয়কটের হুঁশিয়ারি। এই গ্রামে এক প্রবীণ বাসিন্দা বললেন, ২০০১ সালে যে রাস্তা তৈরি হয়েছিল, সেটাও লাল মাটির। তারপরে আজ পর্যন্ত একটা ইটও পড়েনি। এমনকী লালমাটিও নয়। যাওয়ার মতো অবস্থাই ছিল না। ক্লাবের ছেলেরা নিজেরা পয়সা খরচ করে গর্তগুলো বুজিয়েছে। এখান থেকে চাঁচল অ্যাম্বুল্যান্সে যেতে হলে তুলসীহাট্টা হয়ে দশ কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয়। অথচ এই রাস্তা ধরে গেলে সেটা মাত্র দু কিলোমিটার। দুপাশের জমিতে চাষবাস হয়। তাই পাট নিয়ে কেউ শহরে যাবে, তার কোনও উপায় নেই। ছেলেমেয়েরা স্কুল-কলেজ যেতেও খুবই অসুবিধায় পড়ছে। নেতারা তো ভোট এলে বলে রাস্তা করে দেবো। কিন্তু এরকম যদি অবস্থা হয়, তাহলে আমরা গ্রামবাসীদের ভোট দিতে দেব না।  

    এখানেও রাজনৈতিক তরজা

    এদিকে তৃণমূলের দাবি, কংগ্রেসের পঞ্চায়েত হওয়ায় সেখানে উন্নয়ন হয়নি। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান বিমানবিহারী বসাক সাফাই দিয়েছেন, এনআরজিএস প্রকল্পের টাকা বন্ধ থাকায় রাস্তার (West Bengal Road) কাজ শুরু করা যায়নি। তাই এ নিয়েও শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ডাকা বৈঠকে যোগ দিলেন না ক্ষুব্ধ আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথা দিয়েও কথা রাখেননি তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। ইসলামপুর শহরে মিটিং করলেও দলীয় বিধায়কের বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি যুবরাজ। দিনভর অভিষেকের জন্য অপেক্ষা করে আশাহত হয়েছিলেন বর্ষীয়ান তৃণমূল বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। হাজার হাজার কর্মী-সমর্থকদের সামনে তিনি অপমানিতও হয়েছিলেন। তারপর অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে আমন্ত্রণ পেয়েও যোগ দিলেন না ইসলামপুরের এই বিধায়ক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তর দিনাজপুর জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী নিয়ে বৈঠক?

    সোমবার ইটাহারের দুর্গাপুর ফুটবল ময়দানে রাত্রিবাস করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার সেখানে দলীয় পদাধিকারী ও জেলার সমস্ত বিধায়কদের থাকার কথা ছিল। সাংগঠনিক বৈঠকে পঞ্চায়েতের রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। স্বাভাবিকভাবেই সকল বিধায়ক, দলীয় নেতৃত্বকে বৈঠকে উপস্থিত থাকার জন্য অভিষেক নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই নির্দেশ মেনে সমস্ত দলীয় নেতৃত্ব উপস্থিত হয়েও ছিলেন। শুধু ছিলেন না ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। এ নিয়ে দলের মধ্যেই জোর জল্পনা সৃষ্টি হয়েছে। গত দুদিন ধরে নবজোয়ার কর্মসূচিতে উত্তর দিনাজপুর জেলায় একাধিক সভা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ইসলামপুরের সভায় যাওয়ার জন্য করিমসাহেবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এ নিয়ে প্রকাশ্যে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। শুধু ইসলামপুর নয়, অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  কোনও জনসভাতে করিমসাহেব যোগ দেননি। এবার অভিষেকের ডাকা সাংগঠনিক বৈঠকে তিনি অনুপস্থিত ছিলেন।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে এই ধরনের ঘটনায় চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিষেকও বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন। তিনি জেলা সভাপতির সঙ্গে কথাও বলেছেন। এ ব্যাপারে তৃণমূলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল বলেন, “আমাকে অভিষেক ব্যানার্জি (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দিয়েছে বিষয়টা দেখবার জন্য।  বিষয়টা দেখে নিচ্ছি। আমরা বিষয়টা মিটিয়ে নেব।”  যদিও এ বিষয়ে ইসলামপুরের বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    BJP: ‘তৃণমূল হার্মাদরা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়’! বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের যে হার্মাদরা বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের সঙ্গে অমানবিক ব্যবহার করেছে, তারা তালিবানের থেকে কোনও অংশে কম নয়। অভিমত রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। ভোট পরবর্তী হিংসার (Post Poll Violence) প্রতিবাদে মঙ্গলবার ধর্মতলায় ‘শহিদ শ্রদ্ধাঞ্জলি দিবস’ পালন করল বিজেপি (BJP)। আর সেই সভামঞ্চ থেকেই বিজেপির কর্মী ও সমর্থকদের উপর শাসক শিবিরের অত্যাচারের অভিযোগের কথা তুলে ধরলেন সুকান্ত। এদিন ট্যুইটেও ঝড় তোলেন তিনি। ২০২১ ভোট পরবর্তী হিংসার কথা স্মরণ করে তৃণমূল ও তার সঙ্গীদের রাজ্য থেকে বহিষ্কারের আর্জি জানান সুকান্ত।

    সুকান্তর ট্যুইট

    ট্যুইটে সুকান্ত দাবি করেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও যেভাবে বাংলার বিজেপি কর্মীরা দলের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছে, তাঁদের কাজকে কুর্নিশ।’ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে রাজ্য থেকে তৃণমূলকে উৎখাত করার কথাও বলেন তিনি।

    শুভেন্দুর দাবি

    তৃণমূলের অত্যাচার নিয়ে এদিন সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। এদিন তিনি বলেন, ‘বাংলায় তৃণমূল যা অত্যাচার করেছে, ব্রিটিশরাও করেনি।’ এদিন ‘সন্ত্রাস নিয়ে’ ফের বিরোধী দলনেতার নিশানায় শাসকদল এবং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভাবেন, আপনার চার-পাঁচ প্রজন্ম রাজ্য শাসন করবে, তাহলে ভুল ভাবছেন। অত্যাচারীদের যেতেই হবে। আবার খুনের রাজনীতি শুরু করেছেন। গত ১০-১২ দিনে ৩ জন বিজেপি নেতা-কর্মী খুন।’ শুভেন্দু এদিন বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গকে চম্বলের রাজত্বে পরিণত করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘ময়নার (Moyna) বাকচায় বিজেপি নেতা খুন প্রসঙ্গে এই কথা বলেন তিনি। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে আগামীকাল ১২ ঘণ্টার ময়নায় বনধের ডাক দেন বিরোধী দলনেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    Post Poll Violence: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের দ্বিতীয় পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করাটাই কি ছিল এই রাজ্যের মানুষের সবচেয়ে বড় অপরাধ? বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর মে মাস জুড়ে রাজ্যজুড়ে যে হত্যালীলা চলেছে, তাতে এমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা। তাদের আরও অভিযোগ, একদিকে যখন একের পর এক খুনের ঘটনা ঘটে চলেছে, তখন পুলিশ-প্রশাসন ছিল সম্পূর্ণ নিষ্ক্রিয়। ফলে নিরুপায় এবং অসহায় সাধারণের একমাত্র আশ্রয় ছিল সাংবিধানিক বিচার বিভাগ।

    মে মাসে ভোট-পরবর্তী হত্যালীলার খতিয়ান

    ২ মে ভোট গণনার সময় বীরভূমের ইলামবাজারের গোপালনগর গ্রামের বিজেপি কর্মী গৌরব সরকারকে হত্যা করে দুষ্কৃতীরা। সোনারপুরের প্রতাপনগরে হারান অধিকারীকে বোমা মেরে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয়। জামদার বস গ্রামে গুলিতে খুন হন হারাধন রায়। সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার আনন্দে মত্ত তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। চাকদায় বিজেপি দাবি করে, তাদের কর্মী উত্তম ঘোষকে গুলি করে হত্যা করেছে শাসকদলের দুষ্কৃতীরা। ফলাফল প্রকাশের পর আক্রমণ এবং হিংসা যে হয়েছে, একথা বার বার রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও বিবৃতি এবং এলাকা পরিদর্শন করে সেই সময় জানিয়েছিলেন।

    ৩ মে উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের উলাগ্রামে খুন হন বিজেপি সদস্য মহম্মদ আলি। শীতলকুচিতে হত্যা করা হয় মানিক মৈত্রকে। মগরাহাটে খুন হন সৌরভ বর, বর্ধমানের রায়নায় খুন হন দুর্গাবালা বাগ, জগদ্দলে মৃত্যু হয় শোভারানী মণ্ডলের। ভাঙড়ে হাসানুজ্জামান নামে এক ব্যক্তিকে দুষ্কৃতীরা একমাত্র বিরোধী দল করায় বল্লম, চাকু, তলোয়ার দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। সেই সঙ্গে হাসানুজ্জামানের অন্তঃসত্ত্বা বধূকে পেটে লাথি মেরে গুরুতর জখম করে।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    ৪ মে বাঁকুড়ার ইন্দাসে খুন হন অরূপ রুইদাস। বুথে বিজেপির এজেন্ট হওয়াটাই তাঁর একমাত্র অন্যায় ছিল। একই দিনে দিনহাটায় খুন হন বিজেপি সমর্থক হারাধন রায়।  

    ৫ মে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় বিজেপি কর্মী রসিদুল হকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রামের শ্রীপুরে বলরাম মাঝিকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। মেদিনীপুরের সবংয়ের বিষ্ণুপুর গ্রাম পঞ্চায়েত মার্কণ্ডচক গ্রামের বিশ্বজিৎ মহেশ নির্মমভাবে খুন হন। ঝাড়গ্রাম কিষাণ মোর্চার জাম্বনির ভাডুয়া গ্রামের কিশোর মাণ্ডিকে খাটসুরা এলাকার মহুয়াচকের কাছে হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। 

    এই মাসেই ৬ মে কোতুলপুরে কুশ ক্ষেত্রপাল, ৭ মে নলহাটিতে মনোজ জসওয়াল, ১০ মে সন্দেশখালিতে আস্তিক দাস, ১১ মে আমডাঙায় রঞ্জিত দাস, ১২ মে বারাসতে জ্যোৎস্না মল্লিক, ১৩ মে নন্দীগ্রামে দেবব্রত মাইতি, ১৬ মে নদিয়ার চাপড়ায় ধর্ম মণ্ডল, ২০ মে নির্মল মণ্ডল, ২৩ মে রাজারহাটে প্রসেনজিৎ দাস, ৩০ মে কোচবিহারের সিতাইয়ে অনিল বর্মনকে হত্যা করা হয়। এই নিরীহ মানুষগুলিকে হত্যা করার দায় কার, মানবাধিকার কর্মীরা সেই প্রশ্ন তুলছেন। বিরোধীরা এই হত্যার পিছনে তৃণমূলের দুষ্কৃতীদেরই দায়ী করছেন। প্রত্যেকটি কেস এখন সিবিআই তদন্তের অধীনে।  

    ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন! 

    বিভিন্ন সূত্রের তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে, ভোট-পরবর্তী তিন-চার মাসে প্রায় ৬২ জনকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। ভোট পরবর্তী হিংসা (Post Poll Violence) নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছিল সাধারণ নাগরিক সমাজ। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দলের নেতৃত্বে গড়া বিশেষ ডিভিশন বেঞ্চ ভোট পরবর্তী হত্যা মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। খুনের মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অনেক কেসে সিবিআই লুক আউট নোটিস জারি করেছে। বর্তমানে ন্যায় বিচারের আশায় নিহতদের পরিবারগুলি দিন গুনছে। সেই বিচার এখন শুধুই সময়ের অপেক্ষা। (চলবে)

     

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    Post Poll Violence: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের চতুর্থ পর্ব।

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গে এই ভোট-পরবর্তী সন্ত্রাস শুধু রাজনৈতিক সংঘর্ষ (Post Poll Violence) ছিল না, সামজিক, আর্থিক ও ধর্মীয় সন্ত্রাসেরও শিকার হতে হয়েছে অসহায় মানুষকে। ৩৮.২ শতাংশ ভোট পেয়েছে বিজেপি, তাই চরম হিসাব দিতে হয়েছে তাদের কর্মী-সমর্থকদের। নির্যাতন থেকে বাদ যায়নি বাংলার নারীসমাজ। এমনটাই অভিযোগ বিরোধী দলের। অভিজ্ঞ মানুষের মুখেও বারবার শোনা গিয়েছে একটাই কথা, স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বামপন্থী লাল সন্ত্রাসকেও বহুগুণ ছাপিয়ে গেছে এই রাজনৈতিক সবুজ সন্ত্রাস। 

    কেমন ছিল নারী নির্যাতনের ছবি?

    নির্বাচন সময়পর্বে কোচবিহারে রাজবংশী সমাজের মেয়েকে অপহরণ করা হয়েছিল। নিখোঁজ তরুণীর বাবা পুলিশ সুপারের কাছে তা জানান। কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ-প্রশাসন ছিল নিষ্ক্রিয়। বিজেপির অভিযোগ, হুগলির বদনগঞ্জের মাধবী আদককে খুন করা হয়েছে কেবলমাত্র তাঁর ছেলে তাদের দল করে বলে। নন্দীগ্রামে বিবস্ত্র করে এক গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন (Post Poll Violence) করা হয়। সেই নির্যাতিতা নারীর সামজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিও ব্যাপক ভাইরাল হয়েছিল। কোচবিহারের মাথাভাঙার শিকারপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণ করতে দুবার ভাবেনি দুষ্কৃতীরা। থানায় অভিযোগ পর্যন্ত নেওয়া হয়নি বলে নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছিল। বর্ধমানের আউশগ্রামেও দুই নাবালিকাকে ধর্ষণ করা হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে বিজেপি সমর্থক দেবনাথ প্রামাণিকের স্ত্রী আর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ভোটদানের আগের দিন। ফলে তাঁদের পক্ষে আর ভোট দেওয়াই সম্ভব হয়নি।

    শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথে এক গৃহবধূ ভোট দিতে গেলে মায়ের গলায় দা ঠেকিয়ে কোলের সন্তানকে অপহরণ করেছিল স্থানীয় দুষ্কৃতীরা। স্থানীয় গুন্ডারাই এই অপকর্ম করেছে বলে সন্তানের মা অভিযোগ জানিয়েছিলেন। মেদিনীপুরের পটাশপুরে শাশ্বতী জানাকে ধর্ষণ করে খুন করা হয় নির্বাচন পরবর্তী সময়ে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় ভাস্বতী বর্মনকে ধর্ষণের হুমকি দিয়ে পায়ে গুলি চালায় শাসকদলের দুষ্কৃতীরা, এমনটাই অভিযোগ। এই খবর সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। বর্ধমানের জামালপুরে আশিষ ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপালকে টাঙ্গি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা (Post Poll Violence) করা হয়। খেজুরি ২ নম্বর ব্লকের বারাতলা পঞ্চায়েত এলাকায় এক পঞ্চাশোর্ধ্ব মহিলাকে বাড়িতে ঢুকে গণধর্ষণ করে দুষ্কৃতীরা। 

    বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুরের হ্যাচারি রোড ক্যানালপাড়ের বাজারে শুধুমাত্র বিজেপিতে ভোট দেওয়ার জন্য প্রকাশ্যে মেয়ের সামনে মাকে কান ধরে ওঠবস করানো হয়েছে। ২৬ সেকেন্ডের এই ভিডিও প্রকাশিত হওয়ায় হইচই পড়ে যায়। সভ্য সমাজের আক্ষেপ, পশ্চিমবঙ্গ এইভাবে মা ও মেয়ের উপর অত্যাচার দেখবে বলে কোনওদিনই প্রস্তুত ছিল না। ১০ মে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এক প্রতিনিধিদল গোবিন্দ মোহনের নেতৃত্বে ধনিয়াখালির চকহিরণ্যবাটীতে গেলে অর্চনা মাঝি নামে এক সাধারণ মহিলা জানিয়েছিলেন, তাঁরা ঘরছাড়া ছিলেন ফলাফল ঘোষণার পর থেকেই। তৃণমূলের লোকেরা রোজ শাসাচ্ছে। অর্চনাদেবীর কাতর আবেদন ছিল, শান্তিতে যাতে থাকতে পারি, সেই ব্যবস্থা করুন। লোকাবাটি গ্রামের গৃহবধূ আসমা তারা জানিয়েছিলেন, ফল প্রকাশের পরের দিন দুপুরে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে লাঠি, বাঁশ নিয়ে বাড়িতে হামলা (Post Poll Violence) চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর করে সমাজবিরোধীরা। ৩১ মে ভাটপাড়া পৌরসভার ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডে দুষ্কৃতীরা মা সুজাতা নাথ এবং ছেলে সঞ্জীব নাথকে মারধর করে। সঞ্জীব নিজে বিজেপি করত, এটাই ছিল তার অপরাধ। 

    সক্রিয় জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা এবং মহিলা কমিশন

    হিংসার কারণে ১ জুন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় সহ একাধিক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্তের সুপারিশ করে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। জাতীয় মহিলা কমিশন রাজ্য পুলিশের ডিজিকে ধর্ষণ, খুন নিয়ে (Post Poll Violence) বিশেষ চিঠি পাঠিয়েছিলেন। রামনগরে সন্ত্রাস চালায় তৃণমূল সন্ত্রাসীরা, এমনটাই অভিযোগ। যার প্রভাব পড়ে শিশুদের উপর। প্রায় ৬০০ পরিবার ঘরছাড়া এবং প্রায় ২০০ শিশু অনাহারে দিন কাটাচ্ছে বলে কমিশন জানিয়েছিল। এই ঘটনার পিছনে প্রধান অভিযুক্ত ছিলেন তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির খান। আবার বর্ধমানের আউসগ্রামের ৬০টি পরিবার ঘরছাড়া হয়। তাঁবুতে দিন কাটে তাদের। পরিবারগুলি অনাহারে দিনপাত করে। শিশুরা অভুক্ত, খাদ্য নেই, বস্ত্র নেই, চিকিৎসা নেই, এমনই ছিল করুণ অবস্থা। বারাসতের ৬, ৭, ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডে ৫০ টি পরিবার, কল্যাণীতে ৩৫ টি পরিবার এবং নানুরে ১০০ পরিবার ঘরছাড়া হয় বলে অভিযোগ উঠেছিল। (চলবে)

     

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    পর্ব ৩: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Post Poll Violence: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    Post Poll Violence: ৪০ হাজার ঘরবাড়িতে লুটপাট, এক লক্ষ পরিবার ঘরছাড়া, হামলা চলেছিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়েও!

    ঠিক দু-বছর আগের কথা। ২০২১ সালের ২ মে। কোভিড দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্যে। কিন্তু তাতে কী। শাসক তৃণমূল তখন ফের ‘মধুভাণ্ড’ ফিরে পাওয়ার নেশায় বুঁদ। ভোটের ফলে যখন পরিষ্কার হয়ে গেল, তৃতীয়বারের জন্য মসনদের দখলদারি তাদের হাতেই থাকছে, তখনই যেন বেরিয়ে পড়ল নখ-দন্ত। বিরোধীদের অভিজ্ঞতা অন্তত তেমনটাই। তাদের অভিযোগ, বিজয়োল্লাসের নামে শুরু হয়ে গেল প্রতিপক্ষকে ‘টাইট’ দেওয়ার কাজ। তাদের স্মৃতিতে ভাসছে, চটুল গান, অশ্রাব্য গালিগালাজ, অভব্য অঙ্গভঙ্গি, রাস্তার দোকানে ভাঙচুর এবং বিরোধী দলের কর্মীদের প্রতি হিংসাত্মক কর্মকাণ্ড-কিছুই বাদ যায়নি। ভয়ঙ্কর সেইসব ঘটনা নিয়েই আমাদের ধারাবাহিক প্রতিবেদনের তৃতীয় পর্ব।

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যজুড়ে নির্যাতনের চিত্রটা ছিল ভয়ঙ্কর। শুধুমাত্র ২ মে থেকে ৫ মে পর্যন্ত রাজ্যে রাজনৈতিক হত্যার সংখ্যা প্রায় ৪০। প্রায় ৩৫০০ গ্রাম প্রত্যক্ষভাবে হিংসার শিকার হয়, ৪০ হাজার ঘরবাড়ি প্রত্যক্ষভাবে লুটপাট হয় এবং ১ লাখ মানুষকে নিজের প্রার্থী নিজে নির্বাচন করে ভোট দেওয়ার জন্য ঘরছাড়া হতে হয়। কেন্দ্রীয় মানবাধিকার কমিশন, তফশিলি জাতি-উপজাতি কমিশন, নারী সুরক্ষা কমিশন এবং শিশু সুরক্ষা কমিশন এই বিষয়ে বিস্তৃত তথ্য দিয়েছে। এই রাজনৈতিক হিংসার (Postpoll Violence) দায়ভার কার? বিরোধীরা বারবার এই প্রশ্ন তুললেও এখনও তার উত্তর মেলেনি।

    পছন্দের প্রার্থীকে ভোটদানের জন্য আক্রমণ!

    ২ মে রবিবার থেকেই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রাম, নয়ানান, শেরখানচক, বয়ালে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চলে। উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া, ইসলামপুর, বীরভূমের দুবরাজপুর, নানুরে শাসক-বিরোধীদের চিহ্নিত করে বাড়িঘর ভাঙচুর, লুটপাট এবং বাড়ির মা-বোনের সম্ভ্রমহরণ করার চেষ্টা হয়। তৃণমূলের দুষ্কৃতীরাই এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে সেইসময় জোরালো অভিযোগ উঠেছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার আমডাঙা বিধানসভার সন্দেশখালি, ছোট শেয়ারা, বসিরহাট এবং হিঙ্গলগঞ্জ বিধানসভার পারঘুমটি, রূপমারি, মাধবকাটি, হাটগাছায় দোকানপাট ভাঙচুর হয়, লুটপাট ও বোমাবাজি চলে। উল্লেখ্য, বসিরহাটে মহকুমা শাসকের বাড়ির সামনেই একটি বাড়িতে লুটপাট (Postpoll Violence) হয়। বসিরহাটে প্রায় পাঁচশো বাড়িঘর, দোকানপাট লুটপাট করে দুষ্কৃতীরা। এছাড়াও মালঞ্চ, বামনপুকুর, কালীনগর এলাকায় প্রায় ত্রিশটির বেশি দোকান লুট করে রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি করে দুষ্কৃতীরা। হাড়োয়ার উচিলদহ গ্রাম এবং মিনাখাঁতে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করে ঘরছাড়া করে তৃণমূলের গুন্ডারা, এমনটাই অভিযোগ রয়েছে। আবার ক্যানিং পূর্ব বিধানসভা এলাকায় ভাঙচুর, লুটপাট এবং বুলডোজার চালিয়ে বাড়িঘর ধ্বংস করা হয়। প্রধান অভিযোগের তির ছিল শওকত মোল্লার দিকে।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!  

    উত্তর ২৪ পরগনার জগদ্দল থানার সামনে বোমার আঘাতে মৃত্যু হয় এক তরুণের। দেগঙ্গাতে প্রচুর মানুষ ঘরছাড়া হয় অত্যাচারে। বাড়িতে বাড়িতে ভয় দেখিয়ে রেশন কার্ড, ভোটার কার্ড, আধার কার্ড ছিনতাই করে তৃণমূলের স্থানীয় মাতব্বররা, অভিযোগ এমনটাই। এলাকার মানুষের আরও অভিযোগ, শাসকদলের নেতারা এই অপকর্মে পূর্ণ মদত দিয়েছেন। লক্ষ্যণীয় হল, পশ্চিমবঙ্গে গণতান্ত্রিক উৎসব নির্বাচনের পর এই সন্ত্রাস (Postpoll Violence) নিয়ে শাসকদল একটাও বিবৃতি দেয়নি। 

    পর্ব ২: ৩-৪ মাসে খুন ৬২ জন, দুষ্কৃতীরা ছাড়েনি অন্তঃসত্ত্বাকেও!

    হুগলির আরামবাগে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা একটি কাপড়ের দোকান ভাঙচুর করে কাপড় লুট করে আগুন লাগিয়ে দেয়। গোঘাটে এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর দোকান দুষ্কৃতীরা জোর করে ভোট পরবর্তী সময়কালে বন্ধ করে রাখে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে হাজার মানুষ ঘরছাড়া (Postpoll Violence) হয়ে পড়েছিল। দুর্গাপুরে প্রায় ১০০ পরিবার অত্যাচারে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। 

    ১৬ মে হাওড়ার জগাছায় ১ নম্বর মৌখালিতে চাঁদখান পাড়াতে সাধারণ ভোটারের উপর দুষ্কৃতী বাহিনী ব্যাপক হামলা (Postpoll Violence) চালায়। বেছে বেছে বিরোধীদের বাড়িতে ব্যাপক বোমাবাজি করে। এমনকী তরোয়ালের আঘাতে আঙুল কাটা গেছে এক ব্যক্তির, এমন অভিযোগও দায়ের হয়েছে। বাড়ির সম্পত্তি লুটপাট হয়। 

    এলাকা পরিদর্শনে এলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কনভয়ে হামলা

    ৫ মে শপথ গ্রহণের আগে সেই সময় মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন ‘এখন আইনশৃঙ্খলা তাদের (নির্বাচন কমিশন) সামলানো দরকার, এই দুটো দিন আমার হাতে কিছু নেই। যতক্ষণ না পর্যন্ত শপথ নিচ্ছি, ততক্ষুণ পর্যন্ত…’। ৬ মে মেদিনীপুর সদর পাঁচখুরিতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ভি মুরলীধরন আক্রান্ত (Postpoll Violence) হন। এলাকায় পরিদর্শনে এলে তাঁর কনভয়ে হামলা চলে। হিংসার জেরে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জগতপ্রকাশ নাড্ডা সেই সময় বলেছিলেন, “বিধানসভা নির্বাচনে ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর সারা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী তৃণমূল কংগ্রেস দ্বারা সংঘটিত হিংসা চরম সীমায় পৌঁছেছে… যেখানে ভারত সরকারের মন্ত্রীর উপর হামলা হয়ে চলেছে, সেখানে সাধারণ মানুষ কতটা সুরক্ষিত?” রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে বলেছিলেন, ‘কোচবিহার থেকে সুন্দরবন সর্বত্র আতঙ্ক আর ত্রাস ছড়িয়ে পড়ছে। সাম্প্রদায়িক অশান্তি যারা ছড়াচ্ছে, তারা কারও পরোয়া করছে না। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার কোনও চেষ্টা করছে না রাজ্য পুলিশ। সব মিলিয়ে পশ্চিমবঙ্গের আইনের পরিস্থিতি খুব খারাপ।’ অন্যদিকে, পরিস্থিতির যারা প্রত্যক্ষ শিকার হয়েছিল, তারা ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও পায়নি বলে দুই বছর পরেও অভিযোগ উঠছে। (চলবে)

     

    পর্ব ৪: ছেলে বিজেপি করে, এই ‘অপরাধে’ই কি নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল মাকে!

    পর্ব ৫: পলাশকে খাটের নিচ থেকে খুঁচিয়ে বের করে নৃশংসভাবে খুন করেছিল দুষ্কৃতীরা!

    পর্ব ৬: এমএ পাশ অরূপকে অকালে চলে যেতে হয়েছিল শুধুমাত্র বিজেপির বুথ এজেন্ট ছিলেন বলে?

    পর্ব ৭: দরিদ্র চাষিকে রাজনৈতিক মত প্রকাশের মূল্য দিতে হয়েছিল নিজের জীবন দিয়ে!

    পর্ব ৮: কমিশনের কোর্টে বল ঠেলে ভোট-পরবর্তী হিংসার দায় এড়িয়েছিলেন তিন-তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেলেঘাটা, পার্টি অফিসে ভাঙচুর, গুলি চালানোরও অভিযোগ

    TMC Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত বেলেঘাটা, পার্টি অফিসে ভাঙচুর, গুলি চালানোরও অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষ (TMC Clash) এবার খাস কলকাতায়। রবিবার ছুটির দিনে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বেলেঘাটা। পার্টি অফিসে যথেচ্ছ ভাবে ভাঙচুর চালানো হয়। এমনকি গুলিও চলেছে বলে বিভিন্ন মহল থেকে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। গুলিবিদ্ধ এক যুবককে ভর্তি করা হয়েছে স্থানীয় একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে। অন্যান্য ক্ষেত্রে যা হয়, এখানেও পুলিশ গুলি চলেছে বলে স্বীকার করেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ইস্ট কুলিয়া রোডে এলাকার নেতা রাজু নস্করের অফিসে মূলত ওই ভাঙচুর চলেছে। অফিসের কাচ থেকে শুরু করে আসবাবপত্রে ভাঙচুর চালানো হয়। ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয় অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা একটি গাড়িও।

    এলাকায় আতঙ্ক, দোকানপাট বন্ধ

    হাসপাতালে শুয়ে গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যেভাবে এদিন আচমকা গুলি চালানো হয়েছে, তাতে তিনিও হতবাক। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মূলত এলাকা দখলকে কেন্দ্র করেই এদিন রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বেলেঘাটা। মুহূর্তের মধ্যে এলাকার সমস্ত দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মানুষ আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন। তবে শুধু গলির মধ্যে তৃণমূল নেতার ওই অফিসকে ঘিরেই যে আতঙ্কের পরিবেশ ছিল, তা নয়। গন্ডগোলের (TMC Clash) রেশ ছড়িয়ে পড়ে মূল রাস্তা বেলেঘাটা মেন রোডেও। সংঘর্ষ চলে সেখানেও। ফলে সেখানেও দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। মেন রোডে দাঁড়িয়ে এখানকার এক বাসিন্দাও জানিয়েছেন যে তিনি বেশ কয়েকটি গুলির আওয়াজ শুনেছেন।

    কী সাফাই দিলেন তৃণমূল নেতা?

    এলাকার তৃণমূল নেতা রাজু নস্করের অভিযোগ, বিজেপির লোকজন তার দলের লোককে পয়সা খাইয়ে তৃণমূলে ঢুকেছে। এছাড়া বেলেঘাটাতে যে সমাজ বিরোধীরাও দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেকথাও তিনি স্বীকার করেছেন। এটা তৃণমূলের কোনো গোষ্ঠী কোন্দলের (TMC Clash) লড়াই নয় বলে তার দাবি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল! রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

    BJP: বিজেপিকে ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল! রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপিকে (BJP) ভোট দেওয়ার অপরাধে মিলছে না পানীয় জল। বিস্ফোরক অভিযোগ এলাকাবাসীর। তীব্র দাবদাহের মধ্যে জলের জন্য হাহাকার। জলের দাবিতে রাস্তায় নেমে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। বালতি, কলসি নিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন এলাকার মহিলারা। এলাকাবাসীর সঙ্গে বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের  তুলসীহাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের বড়োল বাজারের ঘটনা।

    কেন বিক্ষোভ?

    এই এলাকায় স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যা বিজেপির (BJP) । যদিও গ্রাম পঞ্চায়েতটি শাসকদল তৃণমূলের দখলে রয়েছে। জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতরের পক্ষ থেকে এই এলাকায় পানীয় জলের কোনও ব্যবস্থা নেই। এমনকি বসানো হয়নি কোন সাবমার্সিবল পাম্প। ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম। বিজেপি (BJP) নেতা কৌশিকচন্দ্র দাস বলেন, তৃণমূল ইচ্ছাকৃতভাবে এই এলাকায় কোনও উন্নয়নমূলক কাজ করছে না। কিছু দিন আগে একটি সাবমার্সিবল পাম্প বসানো হলেও সেটি বসানো হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যা তৃণমূল নেত্রী সুজাতা সাহার বাড়ির সামনে। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্প না বসিয়ে তৃণমূলের ওই নেত্রীর বাড়ির সামনে পাম্প বসানো হয়েছে। আমার স্ত্রী বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যা। এলাকার মানুষ আমাদের ভোট দিয়েছে বলে তৃণমূল এই শাস্তি দিচ্ছে। এদিন আমরা পানীয় জলের দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেছি। দাবিপূরণ না হলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এলাকাবাসীর বক্তব্য, গরম পড়তেই জলস্তর অনেকটাই নেমে গিয়েছে। ফলে, পানীয় জলের সংকট দেখা দিয়েছে। বিজেপিকে সমর্থন করার জন্যই পরিষেবা থেকে আমরা বঞ্চিত। এই অবস্থায় বিক্ষোভ থেকে এলাকাবাসীর একটাই দাবি দ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    ওই এলাকায় জল কষ্টের কথা মেনে নিয়েছেন স্থানীয় বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ। কিন্তু বিজেপি (BJP) করার জন্য কাজ হয়নি এ কথা মানতে নারাজ তিনি। তিনি বলেন, এটা বিজেপির মনগড়া অভিযোগ। ওই এলাকার সমস্যা নিয়ে জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর নিয়ে কথা বলেছি। সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবি জানালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে পুলিশ সুপারের অপসারণের দাবি জানালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের জেরে উত্তর দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপারকে বদলের দাবি জানালেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রবিবার বালুরঘাটে মন কি বাত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জকাণ্ডে শুধু থানার আইসিকে বদল করলে হবে না। কারণ, এই ঘটনার জন্য শুধু আইসি একা দায়ী নয়। পুলিশ সুপারও সমান অপরাধী। এরকম ঘটনা তিনি বার বার ঘটাচ্ছেন। তাই পুলিশ সুপারকে অপসারণ করা প্রয়োজন। ইতিমধ্যেই ওই ছাত্রীর পরিবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে। আগামীদিনে মৃত্যুঞ্জয় বর্মনের (পুলিশের গুলিতে মৃত্যু হওয়া যুবক) পরিবারও আদালতে যাবে। প্রসঙ্গত, কালিয়াগঞ্জের আইসি দীপাঞ্জন দাসকে শিলিগুড়ি জিআরপিতে বদলি করা হয়েছে। আর শিলিগুড়ির জিআরপি ইন্সপেক্টর সুবলচন্দ্র ঘোষকে কালিয়াগঞ্জের আইসি করা হয়েছে।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) পঞ্চায়েতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করলেন কেন?

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের জন্য আমরা তৈরি আছি। সরকার যখন পঞ্চায়েত ভোট করতে চাইবে, আমরা নির্বাচনে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত। আমরা  চাইছি, পঞ্চায়েত ভোট এবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর মাধ্যমে হোক। কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া এখানে পঞ্চায়েত ভোট করা সম্ভব না। কারণ, তৃণমূল কর্মীরা নিজের দলের প্রার্থীর  নির্বাচনে ব্যালট বক্স লুঠ করে নিচ্ছে। তাহলে পঞ্চায়েত নির্বাচন যখন হবে, তখন তো ওরা ব্যালট বক্স লুঠ করতে আসবে। যদিও যেখানে আমরা শক্তিশালী সেখানে লুঠ করতে এলে আমরা ছেড়ে দেব না। তার ফলে কিছু মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হবে। আমরা সেটা চাইছি না। তারপরও  কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া ভোট হলে প্রতিরোধ হবে। বহু জায়গায় গণ্ডগোল হবে।

    অনুব্রতকে নিয়ে কী বললেন?

    গরু পাচারকাণ্ডে অনুব্রত এখন তিহার জেলে। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তার মেয়ে সুকন্যাকে গ্রেফতার করেছে ইডি। এদিন অনুব্রত প্রসঙ্গে সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, অনুব্রত মণ্ডল নয়, এই রাজ্যে বহু তৃণমূল নেতার সপরিবারে জেলযাত্রা হবে। আগে পূণ্য করতে পরিবারের সকলকে নিয়ে মানুষ তীর্থযাত্রা করতেন। আর এই জমানায় তৃণমূলের যারা চোর রয়েছে, তারা সপরিবারে জেলে যাবে, তৃণমূলের পাপের প্রায়শ্চিত করতে। তৃণমূল করলে এভাবে জেলেই যেতে হবে।

    মন কি বাত অনুষ্ঠান নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট ব্লকের তপন বিধানসভার অন্তর্গত ঠাকুরপুরার জোতগোপাল ১৩৭ নম্বর বুথে মন কি বাত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এলইডি প্রজেক্টরের মাধ্যমে গ্রামবাসীদের মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনানো হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তপন বিধানসভার বিধায়ক বুধরায় টুডু, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। প্রায় শতাধিক গ্রামবাসীর উপস্থিতিতে মন কি বাত অনুষ্ঠান শোনেন সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মন কি বাত নিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে এবং সমগ্র উত্তরবঙ্গে যেভাবে আদিবাসী সমাজ ও রাজবংশী সমাজকে অপমান করা হচ্ছে, আমরা তার প্রতিবাদে এই সমাজের মানুষদের একত্রিত করে মন কি বাত শুনলাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share