Tag: tmc

tmc

  • Road Block: রাজ্যে পানীয় জলের সমস্যা কী ভয়াবহ, রাস্তায় বেরিয়ে টের পেলেন মন্ত্রী, মুক্তি মিলল আশ্বাস দিয়ে

    Road Block: রাজ্যে পানীয় জলের সমস্যা কী ভয়াবহ, রাস্তায় বেরিয়ে টের পেলেন মন্ত্রী, মুক্তি মিলল আশ্বাস দিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরামবাগের কাবলে এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধের (Road Block) জেরে আরামবাগ-কলকাতা রাজ্য সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেল। এর ফলে গুরুত্বপূর্ণ ওই রাস্তায় যানবাহনের লাইন পড়ে যায়। ওই সময় সেখান দিয়ে যাচ্ছিলেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। অবরোধের জেরে আটকে পড়েন তিনিও।  

    কী দাবিতে গ্রামবাসীদের এই অবরোধ?

    অবরোধকারীদের অভিযোগ, হরিণখোলা ২ নং সুলতানপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে পানীয় জলের সমস্যায় ভুগছেন বাসিন্দারা। প্রায় ৩০০ টি পরিবারের ভরসা মাত্র একটি টিউওয়েল। এলাকায় রাস্তার কাজ হওয়ার সময় জলের পাইপলাইন নষ্ট হয়ে যায়। তারপর থেকে জলের সংকট আরও তীব্র হয়েছে বলে অভিযোগ। ভুক্তভোগী বাসিন্দাদের ক্ষোভ, বারবার পঞ্চায়েত ও প্রশাসনিক দফতরে জানানোর পরেও কোনও কাজ হয়নি। তাই বাধ্য হয়েই কাবলে এলাকায় রাজ্য সড়ক অবরোধ (Road Block) করেন গ্রামবাসীরা।

    কী আশ্বাস দিলেন পরিবহণমন্ত্রী?
     
    সেই অবরোধে আটকে পড়ে মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তীর গাড়ি। তাঁকে ঘিরেও অভিযোগ জানাতে শুরু করেন অবরোধকারীরা। পরে মন্ত্রী দ্রুত সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিলে অবরোধ (Road Block) ওঠে। ঘটনাস্থলে যায় আরামবাগ থানার পুলিশ। এ বিষয়ে রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, জল সংকটের মুখে পড়েছে বলেই মানুষ বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। তবে দ্রুত এই সমস্যা মেটানোর জন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আপাতত দুটো পাম্প বসিয়ে যাতে পানীয় জলের সমস্যা মেটানো যায়, সেই ব্যবস্থা করছি।

    বিজেপির বিধায়ক কী বললেন?

    বিজেপি রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়া বিধানসভার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, সুলতানপুর এলাকাটি আমার পুরশুড়া বিধানসভা এলাকার মধ্যেই পড়ছে। এলাকার মানুষ আমাকে জানিয়েছিল, আমি গিয়েছিলাম। ওখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার যেটা করণীয়, এমএলএ ল্যাডের টাকা দিয়ে আমি ওই এলাকায় পানীয় জলের সমস্যা মেটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানিয়েছি। কিন্তু এই রাজ্য সরকারের গাফিলতিতে ওই এলাকায় কাজটি এখনও হয়ে ওঠেনি। যার ফলে আজকে ওই বিক্ষোভ চলাকালীন মন্ত্রীর গাড়ি রাস্তা দিয়ে যাওয়ার পথে আটকে (Road Block) ছিল। সাধারণ মানুষ ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। আর মন্ত্রী সেই অবরোধের মুখ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য মিথ্যে কথা ও নাটক করে গেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: চাকরির জন্য বেঁধে দিতেন রেট! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    CBI: চাকরির জন্য বেঁধে দিতেন রেট! বড়ঞার তৃণমূল বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ জেলার বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে গত দুদিন ধরে চলছে সিবিআই (CBI) তল্লাশি। মোবাইলের খোঁজে পুকুরের জল তুলে চলছে তল্লাশি। ইতিমধ্যে একটি মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। আরও একটি মোবাইলের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সিবিআই (CBI) তল্লাশি চালানোর সময় বিধায়কের বাড়ি থেকে দুবস্তা অ্যাডমিট কার্ড উদ্ধার হয়। সেসবই চাকরিপ্রার্থীদের অ্যাডমিট। উদ্ধার হওয়া নথিতে পাঁচ জেলার চাকরিপ্রার্থীর তালিকা উদ্ধার হয়েছে বলে দাবি করল সিবিআই (CBI)। সেই তালিকায় মুর্শিদাবাদ জেলা ছাড়াও মালদহ, দুই দিনাজপুর ও নদিয়া জেলার চাকরিপ্রার্থীদের নাম পাওয়া গিয়েছে। প্রার্থীদের নামের তালিকার ফটোকপি রয়েছে।

    তৃণমূল বিধায়কের কাছে বিভিন্ন চাকরির দর ঠিক করা ছিল, কত জানেন?

    কোন পদে চাকরির জন্য আবেদন করা হচ্ছে, তা দেখে নিয়ে সেইমতো টাকা নেওয়া হত। তৃণমূল বিধায়ক এর জন্য নির্দিষ্ট রেট ঠিক করে দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। সিবিআই (CBI) সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে মিলেছে কোন পদে চাকরির জন্য কত টাকা নিয়েছেন জীবন সাহা। জানা গিয়েছে, প্রাথমিক শিক্ষক পদে চাকরির জন্য দর ছিল ১০-১২ লক্ষ টাকা। গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি-র ক্ষেত্রে দর ছিল ১০ ও ৮ লক্ষ টাকা। নবম ও দশম শ্রেণীর জন্য মাথপিছু নেওয়া হয়েছে ১৫-১৭ লক্ষ টাকা। আর একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর জন্য মাথাপিছু দর ধার্য ছিল ২০-২২ লক্ষ টাকা।

    বিধায়কের নামে কত সম্পত্তি আছে জানেন?

    মুর্শিদাবাদের একটি স্কুল থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন তৃণমূল বিধায়ক। এরপর ১৯৯২ সালে সিউড়ি বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে ইতিহাস নিয়ে স্নাতক হন। বিশ্বভারতী থেকে তিনি  স্নাতকোত্তর পাশ করেন। পৈতৃক সম্পত্তি প্রচুর থাকলেও, গত কয়েকবছরে বিধায়কের সম্পত্তির পরিমাণ ছিল চোখে পড়ার মতো। জীবনকৃষ্ণের বাবার বরাবরই প্রচুর সম্পত্তি ছিল। বিঘার পর বিঘা জমি, একাধিক বাড়ি, তেলের কল রয়েছে। তবে, দ্বিতীয় বিয়ে করার পর ছেলে জীবনকৃষ্ণের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। আর বিধায়কের মায়ের সম্পত্তিও কিছু কম ছিল না। প্রায় তিন বিঘা জমির উপর বাড়ি,  ট্রান্সপোর্টের ব্যবসা সবই ছিল তাঁর মায়ের নামে। বর্তমানে একটি স্কুলের শিক্ষক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তবে বিধায়ক হওয়ার পর স্কুলে যেতে হয় না। স্থানীয় সূত্রে খবর, ২০১৮ সাল থেকে ২০২২ পর্যন্ত প্রচুর সম্পত্তি কিনেছেন জীবনকৃষ্ণ। কান্দিতে রয়েছে একটি রাইস মিল। রয়েছে ৪ বিঘা জমি। কান্দি হাইস্কুলের পিছনে রয়েছে বিধায়কের একটি পুকুর ও গ্যাসের গোডাউন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মুর্শিদাবাদের কৌশিক ঘোষের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন জীবনকৃষ্ণ। তাঁর বাড়ির আশেপাশে কম করে ৩৫ বিঘা জমি রয়েছে বিধায়কের। শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, বীরভূমেও প্রচুর সম্পত্তি কিনেছিলেন জীবনকৃষ্ণ। সাঁইথিয়া পুরসভা এলাকায় ৫ কাঠা জায়গা রয়েছে তাঁর। লাউতোর এলাকায় মোট ২৪ কাঠা জায়গা বিধায়কের নামে। সাঁইথিয়া তালতলা মোড়ে একটি রাইস মিল রয়েছে। এছাড়া সাঁইথিয়া শহরে পৈতৃক বাড়ি মিলিয়ে ৪ টি বাড়ি রয়েছে তাঁর। এখনও পর্যন্ত এই যা সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গিয়েছে তাঁর মূল্য দুশো থেকে তিনশো কোটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Land Mafia: রাতের অন্ধকারে পাঁচিল ভেঙে জমি দখলের চেষ্টা! কুলটিতে জমি-মাফিয়াদের তাণ্ডব?

    Land Mafia: রাতের অন্ধকারে পাঁচিল ভেঙে জমি দখলের চেষ্টা! কুলটিতে জমি-মাফিয়াদের তাণ্ডব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলটিতে ফের জমি মাফিয়াদের (Land Mafia) তাণ্ডব? একটি জমি দখলের অভিযোগকে ঘিরে এমন প্রশ্নই উঠতে শুরু করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুলটির ডিসেরগড় সাঁকতোড়িয়া অঞ্চলে।

    জমি দখলের মূল অভিযোগ কী?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, কুলটির সাঁকতোড়িয়া অঞ্চলের যশাইডি মৌজার ১৭৭ নং প্লটের জমিটি নিজের দাবি করে সীমানা-প্রাচীর দিয়ে ঘিরতে শুরু করেন বিজয় মাজি। কিন্তু তাঁর জমির সীমানা-প্রাচীর কে বা কারা রাতের অন্ধকারে এসে ভেঙে দিয়ে যায়। এই বিষয়ে সংবাদ মাধ‍্যমের সামনে বিজয় মাজি অভিযোগ করে বলেন, এলাকায় জমি মাফিয়া (Land Mafia) হিসাবে পরিচিত ছোটন ওরফে চিত্তরঞ্জন রায়। সেই এক সঙ্গী নিয়ে রাতের অন্ধকারে এই সীমানা প্রাচীর ভেঙে দিয়েছে। আসলে তারা চাইছে জমিটি অন‍্য কারও কাছে বিক্রি করে দিতে।  

    কী বললেন অভিযুক্ত?

    অন‍্যদিকে চিত্তরঞ্জন রায় জানিয়েছেন, পেশাগতভাবে তিনি নিজে আসানসোল আদালতের আইনজীবী। তিনি বিনা পয়সায় কারও আবেদনপত্রও লিখে দেন। তাঁর কাছে এত সময় নেই যে তিনি রাতের অন্ধকারে পাঁচিল ভাঙতে যাবেন। তিনি আরও জানান, তাঁর স্ত্রী একজন তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তিনি বিগত ১০-১৫ বছর আগে থেকেই ভবিষ‍্যতের দিকে তাকিয়ে জমিতে বিনিয়োগ করে আসছেন। যদিও এই সীমানা প্রাচীর ভেঙে ফেলার (Land Mafia) সঙ্গে তিনি কোনওভাবেই জড়িত নন। তাছাড়া গতকাল স্ত্রীর শাড়ি বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে তিনি দিনভর ব‍্যস্ত ছিলেন। তাঁর ঘরেও অনেক রাত পর্যন্ত লোকজনের আসাযাওয়া লেগে থাকে। এখন কেউ কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করতেই পারেন। সঠিক বিচারের প্রয়োজনে তিনি আদালতেও যেতে পারেন। আসলে তাঁর স্ত্রী একজন সক্রিয় তৃণমূল কর্মী। তাই জমি দখলের নামে অযথাই তৃণমূলকে কলঙ্কিত করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।

    যিনি অভিযোগ করেছেন, তিনি পরিচিত বলেও তাঁর দাবি। এমনকী অভিযোগকারীর পরিবারের সঙ্গেও তাঁর যোগাযোগ আছে। এরপরেও কী করে ওই অভিযোগ তিনি করলেন, তা তাঁর বোধগম্য হচ্ছে না বলে তিনি জানান। এর পিছনে রাজনীতি আছে বলেও তিনি মনে করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Clock Tower: বাম আমলের টাওয়ারে নতুন ‘তৃণমূলী ক্লক’, ৯ লাখি ঘড়িতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা

    Clock Tower: বাম আমলের টাওয়ারে নতুন ‘তৃণমূলী ক্লক’, ৯ লাখি ঘড়িতে দুর্নীতির গন্ধ পাচ্ছে বিরোধীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাম আমলের বেহাল টাওয়ার ক্লক (Clock Tower) সরিয়ে নতুন ক্লক বসানো হল বালুরঘাট শহরের বাসস্ট্যান্ডে। যার খরচ নাকি ৯ লক্ষ টাকা। পুরসভার বসানো ঘড়ির খরচ শুনে চক্ষু চড়কগাছ শহরবাসীর। যা নিয়ে কটাক্ষ বিরোধীদের গলায়। বাম ও বিজেপির অভিযোগ, টাওয়ার তো আগেই ছিল। শুধুমাত্র ঘড়ির খরচ কেন এত টাকা? পুরবোর্ড অবশ্য দাবি করেছে, সম্পূর্ণ নতুন ঘড়ি এনে লাগানো হয়েছে। তবে বাম আমলে এর চেয়ে বেশি খরচ করা হয়েছে। যুক্তি যাই দেখানো হোক, এই ঘড়ির বিষয়টি নিয়ে শহরের চায়ের দোকানগুলিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।  

    নতুন কি না, সন্দেহ প্রকাশ আরএসপি-র প্রাক্তন চেয়ারপার্সনের

    আরএসপির প্রাক্তন চেয়ারপার্সন সুচেতা বিশ্বাস বলেন, সঠিক খরচ মনে না পড়লেও আমরা লাখ দু’য়েক টাকা খরচ করে ওই ঘড়ি বসিয়েছিলাম। তাই বলে এই বোর্ডের মতো ৯ লক্ষ টাকা খরচ হয়নি। আর আমাদের সময়কালের টাওয়ারই (Clock Tower) তো রয়েছে। নতুন করে শুধু ঘড়ি বসানো হয়েছে। ওই ঘড়িটি নতুন কিনা, তাও সন্দেহ রয়েছে। 

    এটা কি লন্ডন থেকে আনা? প্রশ্ন বিজেপি-র

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, বামেদের আমলে এই ঘড়ি (Clock Tower) বসানো হয়েছিল। সেই ঘড়িই বিগত তৃণমূল বোর্ড সংস্কারের নামে কয়েক লক্ষ টাকা ব্যয় দেখিয়েছিল। এখন নতুন পুরবোর্ড আবার একই ঘড়ি সংস্কার করে ৯ লক্ষ টাকা খরচ দেখাচ্ছে। এটা কি লন্ডন থেকে আনা? 

    কী বলছেন এলাকার বাসিন্দারা?

    এবিষয়ে বালুরঘাট শহরের চকভবানী এলাকার বাসিন্দা সুরজিৎ দত্ত বলেন, এই ঘড়ি (Clock Tower) দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। নতুন করে লাগানো হয়েছে। খুব ভালো কথা। কিন্তু এই ঘড়ির জন্য এত খরচ করার কোনও মানে হয় না। এই ঘড়ির খরচ নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। প্রসঙ্গত, বালুরঘাট শহরের মূল কেন্দ্র বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চৌমাথা মোড়ে এই টাওয়ার ঘড়ির অবস্থান। ২০১৩ সালের আগে বাম আমলে এই ঘড়িটি লক্ষাধিক টাকা খরচ করে বসানো হয়েছিল। বিগত এক দশকের বেশি সময় ধরে এই টাওয়ার ঘড়িই শহর চেনার মূল আকর্ষণ হয়। ২০১৩ সালে পালাবদলের পরে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল। এরপর তা নষ্ট হলে ২০১৬ সালে সংস্কার করা হয়৷ পরে ফের নষ্ট হয়ে যায়। দীর্ঘ বছর এই ঘড়ি খারাপ থাকায় নতুন পুরবোর্ড ঘড়ি সংস্কারে উদ্যোগী হয়েছে। নববর্ষের উপহার স্বরূপ বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র এই ঘড়ি উদ্বোধন করেন। যাকে ঘিরেই বিতর্ক।

    কী জবাব দিলেন বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান?

    এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক মিত্র বলেন, বামেদের আমলে ওই ঘড়ি (Clock Tower) বসাতে আমাদের চেয়ে বেশি টাকা লেগেছে। আর ওরা যেভাবে ঘড়িটি বসিয়েছিল, তা সংস্কারও করা হত না। যে ঘড়িটি বসানো হয়েছে, তা সম্পূর্ণ নতুন। এটি উন্নতমানের জিপিআরএস সিস্টেমে বসানো হয়েছে। শহরের সৌন্দর্যের জন্যই এই উদ্যোগ। যা বিরোধীরা এতদিন করতে পারেনি বলেই এই ধরনের কথা বলছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    Mafia Raj: পুকুরের মাটি কেটে ট্রাক্টরে দেদার পাচার, মাটি-মাফিয়াদের মাথায় কাদের হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটি-মাফিয়াদের কি স্বর্গরাজ্য হয়ে উঠছে আরামবাগ মহকুমার বেশ কিছু এলাকা? অভিযোগ, সরকারি নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে প্রকাশ্যে চলছে মাটি-মাফিয়াদের (Mafia Raj) দৌরাত্ম্য। পুকুর থেকে মাটি জেসিবি দিয়ে কেটে, ট্রাক্টরে পাচার হচ্ছে অন্যত্র। ঘটনাস্থল গোঘাটের পশ্চিমপাড়া পঞ্চায়েতের ভাতশালা এলাকা। সেখানেই শতাধিক ট্রাক্টরে চাপিয়ে মাটি এইভাবে পাচার হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। শুধু তাই নয়, সেই খবর সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। এমনকি গ্রামের লোকজন ডেকে ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেওয়া হয়।

    খবর সংগ্রহে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের হুমকির মুখে

    কয়েকদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল, ভাতশালা এলাকার একটি পুকুর থেকে অবৈধভাবে জেসিবি দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে এবং পুকুরের পাড়ে না ফেলে তা অন্যত্র পাচার করে দেওয়া হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভাতশালা এলাকায় ঢুকতেই পুকুরপাড়ে থাকা সমস্ত ট্রাক্টর তড়িঘড়ি এলাকা থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়। সাংবাদিকদের দেখে সাময়িক ভয় পেলেও মুহূর্তের মধ্যে হাজির হয় স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মী। তারপরেই সাংবাদিকদের ক্যামেরা বন্ধ করার হুমকি দেওয়া হয়। এমনকী গ্রামের লোকজন ডেকে তারা ঘেরাও করে রাখার হুমকি দেয়। তাদের কথাতেই বোঝা গেল, এই মাটি চুরির (Mafia Raj) ক্ষেত্রে মাথায় হাত রয়েছে একাধিক নেতার। শুধু তাই নয়, রয়েছে সরকারি আধিকারিকদের সমর্থনও। সেই প্রভাব খাটিয়েই দেদার চলছে পুকুর থেকে মাটি তুলে অন্যত্র পাচার।

    কী বলছে শাসকদল এবং প্রশাসন?

    কয়েকদিন ধরে ট্রাক্টরের পর ট্রাক্টর মাটি পাচার (Mafia Raj) হলেও, কেন পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হল না? তাহলে কি শাসকদলের নেতাদের হাত মাথায় থাকলে সব সম্ভব? যদিও ঘটনায় তৃণমূলের কেউ জড়িত থাকলে ছাড় পাবে না বলে জানান গোঘাট ২ নং তৃণমূল ব্লক সভাপতি অরুণ ক্যাউড়া। অন্যদিকে ঘটনায় আরামবাগ এসডিপিও অভিষেক মন্ডলের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    Arrest: দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে গ্রেফতার দুই তৃণমূল কর্মী, সরব বিজেপি নেতৃত্ব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে দণ্ডিকাণ্ডে অবশেষে দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার (Arrest) করল। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম বিশ্বনাথ দাস এবং আনন্দ রায়। দুজনেই তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বৃহস্পতিবার ধৃত দুজনকে বালুরঘাট আদালতে তোলা হয়। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারক ধৃতদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। আগামী ১৭ এপ্রিল তাদের ফের আদালতে তোলা হবে বলে জানান বালুরঘাট জেলা আদালতের ভারপ্রাপ্ত সরকারি আইনজীবী সজল ঘোষ।

    দণ্ডিকাণ্ডে গ্রেফতার (Arrest) নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি করার প্রায়শ্চিত হিসেবে তৃণমূলের জেলার প্রাক্তন মহিলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী তিনজন আদিবাসী মহিলাকে দণ্ডি কাটার নিদান দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। এমনকী বিজেপি ছেড়ে আসার পর তাঁদের হাতে তিনি তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়েছিলেন। ওই তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিজেপি-র অভিযোগ। এমনিতেই এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সংগঠন একজোট হয়ে আন্দোলনে নামে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে রাতারাতি অভিযুক্ত তৃণমূল নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে এক আদিবাসী মহিলাকে তৃণমূলের জেলার মহিলা সভানেত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়। আদিবাসী সংগঠনের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু তপনের ওই গ্রামে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশে থাকার আশ্বাস দেন। তবে, এতদিন এই ঘটনায় দলগতভাবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলেও প্রশাসনিক স্তরে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল। এবার এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হল। বিজেপি-র জেলা নেতা বাপি সরকার বলেন, জেলার ওই তৃণমূল নেত্রীর নির্দেশে দণ্ডিকাণ্ড হয়েছিল। কিন্তু, তার বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হল না। তাঁকে আড়াল করতে লোক দেখানো দুজনকে গ্রেফতার (Arrest)  করা হয়েছে। আমাদের প্রথম থেকে দাবি অভিযুক্ত নেত্রীকে গ্রেফতার করতে হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেলা তৃণমূল নেতা সুভাষ চাকি বলেন, দণ্ডিকাণ্ডকে প্রথম থেকে দল সমর্থন করেনি। তাই , ঘটনার পর পরই দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Forest Minister: মিছিল করলে বিরোধীদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    Forest Minister: মিছিল করলে বিরোধীদের ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা মিছিল করলে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার নিদান দিলেন রাজ্যের বনমন্ত্রী (Forest Minister) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। বারাসতে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বনমন্ত্রী (Forest Minister) বলেন, “সিপিএম, কংগ্রেস, বিজেপি যেই এবার থেকে মিছিল করতে আসুক, আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রাখবেন। কোথাও মারব না! মারতে হবে ঠ্যাংয়ের গোড়ালি দুটোতে! মেরে পায়ের গোড়ালি ভেঙে দিতে হবে। যাতে বিরোধীরা জব্দ হয়ে যায়”। দুদিন আগে বারাসত জেলা পরিষদের সামনে বিভিন্ন ইস্যুতে সিপিএমের কর্মসূচি ছিল। সেখানে পুলিশের সঙ্গে সিপিএম কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। ১০ জন পুলিশ কর্মী জখম হন। এই গন্ডগোলের ঘটনা নিয়ে সিপিএমকে দায়ী করে প্রকাশ্যে তাদের ক্ষমা চাওয়ার নিদানও দিয়েছেন রাজ্যের এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী।

    চিরকুট প্রসঙ্গে কী বললেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Forest Minister)?

    রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড়। তৃণমূলের একের পর এক নেতা, মন্ত্রী জেলে যাচ্ছেন। এই অবস্থায় বামফ্রন্টের আমলে হওয়া নিয়োগ দুর্নীতি সামনে এনে শাসক দলের নেতারা সিপিএমকে পাল্টা চাপে ফেলতে চাইছেন। শাসক দলের একাধিক মন্ত্রী প্রকাশ্যে বলছেন, সিপিএমের আমলে চিরকুট দিয়ে বহু চাকরি হয়েছে। সেই ‘চিরকুট’-বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না। যত দিন যাচ্ছে ততই এই ইস্যুতে বিরোধী সিপিএমের উপর পাল্টা চাপ বাড়াচ্ছে শাসক শিবির। এবার সেই ‘চিরকুট’-অস্ত্রে আরও একবার শান দিলেন রাজ‍্যের বনমন্ত্রী (Forest Minister) জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। রীতিমতো দলীয় মঞ্চ থেকে ‘চিরকুট’-এ চাকরি পাওয়া সিপিএমের ৭১ জনের তালিকা তুলে ধরে নিশানা করলেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় (Forest Minister) বলেন, “চোরের মায়ের বড় গলা। চিরকুটে চাকরি পেয়েছে, সে আবার বড় বড় কথা বলছে। আমরা যদি আদালতে যাই। তখন সব টাকা সুদে আসলে মেটাতে হবে”। এখানেই থেমে থাকেননি রাজ‍্যের বনমন্ত্রী। কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেছেন, বাকি তালিকাও তৈরি করছি আমরা। সেই নামের তালিকা দিয়ে পরবর্তী সময়ে আলাদাভাবে একটি বই তৈরি করে জনসমক্ষে আনা হবে”। যদিও বনমন্ত্রীর (Forest Minister) এই ‘চিরকুট’ হুঁশিয়ারিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ সিপিএম নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

    Bridge: ‘উন্নয়নের নমুনা!’ পাকা ব্রিজ ভেঙে পড়ে আছে এক বছর, ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক বছরেরও বেশি সময় ধরে পাকা সেতু ভেঙে পড়ে রয়েছে। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুঘাট ব্লকের বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের কাশিয়াডাঙা এলাকার ঘটনা। অভিযোগ, হেলদোল নেই প্রশাসনের। সমস্যায় বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষজন। মাঝেমধ্যেই এই এলাকায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। এমনকি মৃত্যুও হয়েছে।

    কীভাবে ভেঙে পড়েছিল ব্রিজ?

    ২০২২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি বহনকারী একটি লরি ওই পাকা ব্রিজের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় ব্রিজটি হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। ব্রিজের উত্তর প্রান্তে রয়েছে বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েত এবং দক্ষিণ দিকে জলঘর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও ব্রিজটি বোয়ালদা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত। ফলে ওই এলাকার দুই গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা যাতায়াতে চরম সমস্যায় রয়েছেন এক বছরের বেশি সময় ধরে। বর্তমানে বাঁশের মাচার উপর বৈদ্যুতিক সিমেন্টের খুঁটি ফেলে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করছেন তাঁরা। গ্রামবাসীদের দাবি, প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও পাকা ব্রিজ তৈরি করা হয়নি। তাঁদের প্রশ্ন, এটাই কি উন্নয়নের নমুনা!  

    কী বলছেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি ললিতার টিগ্গা বলেন, আমি ওই ব্রিজটির কথা শুনেছিলাম। তবে আজ সবটা ভালো করে জানলাম। দ্রুত ওই ব্রিজটির কাজ করা হবে। এ বিষয়ে জেলাশাসকের সঙ্গে তিনি কথা বলবেন এবং অতি দ্রুত যাতে ব্রিজটির মেরামতির কাজ শুরু হয়, সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।

    ‘দ্বিচারিতা’, বলছে দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপি নেতৃত্ব

    দক্ষিণ দিনাজপুর বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপী সরকার বলেন, কাশিয়াডাঙা ব্রিজটি দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। ওই গোটা এলাকাটি আদিবাসী অধ্যুষিত। আমার বিশ্বাস, সেই কারণেই শাসকদল ওই ব্রিজটি সারানোর বিষয়ে নজর দিচ্ছে না। এখানে অন্য কোনও সম্প্রদায় থাকলে এই ঘটনা ঘটত না। এটা এই সরকারের দ্বিচারিতা ছাড়া আর কিছুই নয়। মিডিয়াতেই তো দেখলাম আদিবাসী সেলের সভাপতি এসেছেন। উনাকে বলব, ওই ব্রিজটা একবার ঘুরে আসুন। আদিবাসীদের প্রতি তৃণমূল সরকার যে বঞ্চনা করে, কাশিয়াডাঙা ব্রিজ তার একটা জ্বলন্ত উদাহরণ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Municipality:  উন্নয়নের নমুনা ! বালুরঘাটে স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ তৃণমূল বোর্ড

    Municipality: উন্নয়নের নমুনা ! বালুরঘাটে স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা করতে ব্যর্থ তৃণমূল বোর্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত নতুন বোর্ডের এক বছর পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তবু এখনও শহরের মানুষ পায়নি স্থায়ী পার্কিং ব্যবস্থা। এমনটাই দাবি বালুরঘাট পুরসভার (Municipality) বাসিন্দাদের। গাড়ি, বাইক ইত্যাদি নিয়ে রাস্তায় বেরোলেই হচ্ছে বিপত্তি। রাস্তার ধারেই বাইক, গাড়ি রেখে বাজার করতে হচ্ছে বাসিন্দাদের। ফলে যানজটও বাড়ছে। আবার রাস্তার ধারে বাইক, গাড়ি রাখার ফলে পুলিশ জরিমানা করছে। এতে জলে কুমির, ডাঙায় বাঘের মতো অবস্থা সেখানকার বাসিন্দাদের। পুরসভার তরফ থেকে শহরের দু জায়গায় পার্কিং তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও এখনও অবধি তা গড়ে ওঠেনি। 

    শহরের বাসিন্দারা কী বলেছেন পার্কিংয়ের এই দুর্দশা নিয়ে ?
     
    এই শহরেরই (Municipality) এক বাসিন্দা সুবীর কুন্ডু জানান, বাজার এলাকাগুলিতে সাধারণত প্রচণ্ড ভিড় হয়। তাই যারা বাইক এবং গাড়ি নিয়ে আসে, পার্কিং ব্যবস্থা না থাকার জন্য যেখানে সেখানে তাদের গাড়ি রেখে যেতে হয়। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে সকলকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার পুলিশের জরিমানা তো আছেই। সেখান থেকেও বাঁচার উপায় নেই ।

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য এ ব্যাপারে কী জানিয়েছেন ?

    বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য সুমন বর্মন বলেন, “তৃণমূল এতদিন মানুষের উন্নয়নের কথা ভাবেনি। এক বছর তারা কী কাজ করল, কে জানে? জায়গা থাকলেও পুরসভা পার্কিং জোন তৈরি করতে পারছে না।” গত বছরের ২৩ শে মার্চ পুরসভায় (Municipality) যখন নতুন বোর্ড ক্ষমতায় আসে, তখনই সিদ্ধান্ত হয় যে পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে তোলা হবে। এই প্রতিশ্রুতি পূরণের অপেক্ষাতেই মানুষ এতদিন বসে ছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত সেই ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি।

    কী বলছেন পুরসভার চেয়ারম্যান ?

    পুরসভার (Municipality) চেয়ারম্যান অশোক মিত্রকে এ ব্যাপারে জানানো হলে তিনি বলেন, “শহরে দুটি জায়গায় স্থায়ীভাবে পার্কিং জোন তৈরি করা শুরু হয়েছে। একটি ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে এবং আরেকটি আন্দোলন সেতুর কাছে। দ্রুত ওই কাজ শেষ করা হবে। কাজ হয়ে গেলে শহরের যানজট ও পার্কিংয়ের সমস্যা মিটে যাবে।” বালুরঘাট ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছে পার্কিং গড়ে তোলা নিয়ে কথা হলে সেখানে জমিজটের সমস্যায় পড়ে পুরসভা। এখানে ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পরিবর্ত পার্কিং জোনের কাজ শুরু হবে। অন্যদিকে আন্দোলন সেতুর কাছে কুড়ি লক্ষ টাকা ব্যয়ে পার্কিং জোন তৈরি করা হবে। আপাতত এমনটাই জানিয়েছে পুরসভা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: কেষ্টর গড়ে দাঁড়িয়ে পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে উত্খাতের ডাক দিলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট কোথায়? অনুব্রত মণ্ডলের গড় বীরভূমের মাটিতে দাঁড়িয়ে জনসভায় আসা কর্মী, সমর্থকদের প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, চড়াম-চড়াম, নকুল দানার খাওয়ানোর কথা বলতেন। বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতেন না। এখন তিনি কোথায়? কর্মী, সমর্থকরা চিত্কার করে বলে তিহারে। এরপর তিনি মুরারইয়ের তৃণমূল নেতা আলী মুর্তজা খান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রদীপ ভকত, মুরারই ১ নম্বর ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষের নাম নিয়ে চোর বলে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, “এরা মাসে ৯ হাজার কোটি টাকা ডিসিআরের নামে আদায় করে পিসি- ভাইপোকে পাঠাচ্ছে। এই টাকা পাচারের জন্য আইপিএস শ্যাম সিং কে ডি আই জি পদে নিয়ে আসা হয়েছে। ওই অফিসার সামনে পিছনে পুলিশ নিয়ে টাকা কলকাতায় পৌঁছে দিচ্ছে”। তিনি আরও বলেন,”তৃণমূলের সবাই চোর। এখনও এই জেলার জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ কেরিম খান, বিধায়ক রানা সিংহ তালিকায় রয়েছে। এরকম সমস্ত নেতা মন্ত্রী লাইনে আছেন। তবে ধেরে ইঁদুরদের আমরা দেখব”।

    এনআরসি নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    সাগরদিঘি নির্বাচনে সংখ্যালঘুরা শাসক দল তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। কেষ্টহীন বীরভূমে শাসক দলের এখন নড়বড়ে অবস্থা। গোষ্ঠী কোন্দলে জেরবার তৃণমূল। এই অবস্থায় এবার মুর্শিদাবাদ লাগোয়া বীরভূমের সংখ্যালঘু অধ্যুষিত মুরারইয়ের কেস্তারা গ্রামে সৌজন্য ও সম্প্রীতি জনসভা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূলকে আরও চাপে ফেলে দিলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ, এদিনের জনসভায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় উপচে পড়েছিল। এদিন তিনি (Suvendu Adhikari) গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ ও আসামের উদাহরন দিয়ে বলেন, “তৃণমূল বলছে এনআরসি হলে মুসলিমদের তাড়িয়ে দেওয়া হবে। ওই তিন রাজ্যে দেখান কতজন মুসলিমকে তাড়ানো হয়েছে? এসব বলে সংখ্যালঘু ভাইদের আর বিজেপি থেকে সরানো যাবে না। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা সেকথা স্বীকার করে নিয়েছেন”। তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ১০ জনকে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। সেই স্বজনহারারা আজ আমাদের সঙ্গে। আমরা বগটুই গ্রামে স্মরণ সভা করার প্রথম উদ্যোগ নিয়েছিলাম। আমাদের দেখে ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় গ্রামে গিয়েছিলেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে। এজন্য ধন্যবাদ জানায় বগটুই গ্রামের মানুষকে”।

    পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    এদিনের সভায় সভায় দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়, হজ কমিটির সদস্যা মাফুজা খাতুন, রাজ্য সম্পাদক শ্যামা পদ মণ্ডল, মহিলা মোর্চার বীরভূম সাংগঠনিক সভাপতি রশ্মি দে, জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা উপস্থিত ছিলেন। এদিন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)  বলেন, পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের। আপনারা বুথ আগলে রাখুন। আর তোলামূলকে একটাও ভোট নয়। শুধু তাই নয়, তিনি নো ভোট টু মমতা লেখা গেঞ্জি মঞ্চে সকলের সামনে পড়েন। তিনি আরও বলেন,”সোমবার ঠাকুরনগরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর মুখোশ খুলব”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share