Tag: tmc

tmc

  • ISL 2023-24: রাজনীতি ছাপিয়ে খেলার আবেগ! তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই ডার্বি যুবভারতীতে চূড়ান্ত হল সময়

    ISL 2023-24: রাজনীতি ছাপিয়ে খেলার আবেগ! তৃণমূলের ব্রিগেডের দিনই ডার্বি যুবভারতীতে চূড়ান্ত হল সময়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকদল তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশের ঘোষণার পরই জটিলতা তৈরি হয়েছিল কলকাতা ডার্বি (Kolkata Derby) ঘিরে। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে (ISL 2023-24) ফিরতি লেগে মোহনবাগানের সঙ্গে ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ রবিবার যুবভারতীতে। একই দিনে ডার্বি এবং ব্রিগেডে তৃণমূলের সভা থাকায় সমস্যা তৈরি হয়েছিল। সেই কারণেই ডার্বির সময় পরিবর্তন হতে পারে বলে শোনা গিয়েছিল। অন্য রাজ্যে ম্যাচ সরে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও উঠেছিল। মঙ্গলবার এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ডার্বির আয়োজক ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বৈঠক হয় বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের। সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যুবভারতীতেই ১০ মার্চ রাত ৮.৩০ মিনিট থেকে ম্যাচ শুরু হবে।

    কেন দেরিতে খেলা শুরু

    ১০ মার্চ ব্রিগেডে সভা রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের। সে কারণে যুবভারতীতে পর্যাপ্ত পুলিশ দেওয়া সম্ভব নয় জানিয়ে আইএসএল (ISL 2023-24) ডার্বি (Kolkata Derby) আয়োজক ইস্টবেঙ্গলকে ম্যাচের দিন বদলের অনুরোধ করেছিলেন বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের আধিকারিকেরা। ক্লাব কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ আধিকারিকদের একাধিক বৈঠকেও জট খোলেনি। বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেট অনুরোধ করেছিল ৯ এবং ১০ মার্চ ডার্বি না করতে। কিন্তু রাজনীতিকে ছাপিয়ে যায় খেলার আবেগ। ফুটবল প্রেমী বাংলা গর্জে ওঠে। কলকাতা থেকে ডার্বি সরবে তা মানতে পারেনি সমর্থকরা। খেলার দিন বদলে আপত্তি তোলে সম্প্রচারকারী চ্যানেল। শেষ পর্যন্ত  দীর্ঘ বৈঠকের পরে দু’পক্ষের দাবি মেনে মাঝামাঝি একটি সময় ধার্য করা হয়েছে। সেই কারণে, রাত ৮.৩০ মিনিটে হবে কলকাতা ডার্বি।

    সমস্যায় সমর্থকরা

    বহু আগেই ডার্বির (Kolkata Derby) দিন ঠিক হয়েছিল ১০ মার্চ। একই দিনে শাসকদলের ব্রিগেড সমাবেশ থাকায় পুলিশি নিরাপত্তা নিয়ে জট তৈরি হয়। ফুটবল বনাম রাজনীতিতে মধ্যপন্থা অবলম্বন করা হয়। এটি ইস্টবেঙ্গলের হোম ম্যাচ। ক্লাব কর্তারাও যেন অনেকটা স্বস্তি পেলেন। তবে পুরোপুরি স্বস্তি অবশ্য বলা যায় না। রাতের ম্যাচ শুরু হয় ৭.৩০ থেকে। এক ঘণ্টা দেরিতে খেলা শুরু হওয়া মানে সমর্থকদের খেলা দেখে ঘরে ফিরতে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। রবিবার, তার উপর ব্রিগেড আবার রাতে দেরিতে খেলা। রাত সাড়ে দশটা নাগাদ যুবভারতী থেকে শহর বা শহরতলিতে ফেরা সমস্যার মানছেন সমর্থক থেকে ক্লাব কর্তারা।

     

    আরও পড়ুন: ধর্মশালায় হিমাঙ্কের নীচে তাপমাত্রা! ভেস্তে যেতে পারে ভারত-ইংল্যান্ডের পঞ্চম টেস্ট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Election Commission of India: আধার না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission of India: আধার না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জেলায় বহু মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার কথা বললেও, নানা রকম গুজব ছড়াতে থাকে অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে ঘোলাজলে রাজনীতি করতে নেমে পড়ে তৃণমূলও। আধার কার্ড না থাকলে সমস্যা হবে? ভোট কি দেওয়া যাবে? এসব প্রশ্নের জবাব দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। কমিশন মঙ্গলবার সাফ জানিয়েছে, আধার না থাকলে ভোট দিতে কোনও অসুবিধা হবে না। বিকল্প পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। মঙ্গলবারই এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাগুলি বলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (CEC on Aadhaar)।

    কী বললেন রাজীব কুমার?

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission of India) রাজীব কুমার বলেন, ‘‘সর্বদল বৈঠকে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাদের অনুরোধ করে আধারের (CEC on Aadhaar) বিকল্প ব্যবস্থা রাখার জন্য। ভোট দেওয়ার জন্য আধার কার্ড লাগবে এমন কোনও বিষয় নয়। পাঁচ থেকে ছ’ দিন আগে ভোটার স্লিপ পেয়ে যাবেন ভোটাররা। যদি কারও আধার কার্ড না থাকে তিনি ভোট দিতে পারবেন। আরও ১২-১৩ রকমের ডকুমেন্ট আছে সেগুলি দেখিয়েই ভোট দেওয়া যাবে। ভোটার কার্ড না থাকলেও অন্য বৈধ ডকুমেন্ট দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। আধার বাধ্যতামূলক নয়। যদি ভোটার স্লিপ না থাকে তাহলেও ওই একই ডকুমন্টে দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে।’’

    লোকসভা নির্বাচনে নজরদারিতে থাকবে অ্যাপ (Election Commission of India)

    লোকসভা নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফ থেকে। দেশের অন্যান্য রাজ্যে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা এবং ভোটের সময় হিংসা নিয়ে কমিশন সদা চিন্তিত। তাই সব থেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্যই। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করতে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করছি। প্রতিটি এলাকায় অবজারভার রাখার পাশাপাশি হেল্পলাইনও থাকবে। সেখানে সমস্ত রকম অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে।’’  জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশপাশি থাকবে অ্যাপও। যার মাধ্যমে অশান্তির ঘটনা ঘটলে সরাসরি তার ছবি তুলে কমিশনের দফতরে পাঠানো যাবে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন (Election Commission of India) । অবৈধ আর্থিক কার্যকলাপ রুখতেও একটি অ্যাপ থাকবে। প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা আছে কিনা তা জানা যাবে এই অ্য়াপ থেকেই। ভোটের সময় অনুপ্রবেশ রুখতেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: সন্দেশখালিতে এবার ঘরভাড়া নিয়ে ‘সেবাকেন্দ্র’ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: সন্দেশখালিতে এবার ঘরভাড়া নিয়ে ‘সেবাকেন্দ্র’ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে এবার ঘরভাড়া নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর অবশ্য বক্তব্য ওটা ‘সেবাকেন্দ্র’। এলাকায় মানুষের বক্তব্য, “আমাদের অভাব, অভিযোগ এবং সমস্যার কথা জানাবো ওই কেন্দ্রে।” তৃণমূল নেতাদের অত্যাচারে জনজীবন বিপন্ন সন্দেশখালির মানুষের। তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে জনরোষ তীব্র হয়েছে। এবার মানুষের এই আন্দোলনের রাশকে ধরে রাখতে এই ঘর ভাড়া নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    উল্লেখ্য সন্দেশখালির যে যে মানুষের জমি জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে সেই জমিকে ফেরানোর কাজ শুরু করেছে তৃণমূল প্রশাসন। তাই লোকসভা ভোটের আবহে বিরোধী দলনেতা তিন মাস ঘর ভাড়া নিয়ে এলাকায় থাকবেন বলে জানা গিয়েছে। এই এলাকায় এখন বিজেপির সংগঠনকে মজবুত করাই একমাত্র লক্ষ্য।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    সন্দেশখালির স্থানীয় মানুষ জানিয়েছেন, “শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আমাদের প্রতিবেশী হলে আমরা খুব খুশি হবো। আমাদের আতঙ্ক অনেকটাই কম হবে। আমাদের সকল সুবিধা অসুবিধার কথা তাঁকে জানাতে পারব। তাঁর এই পদক্ষেপ শুনে আমরা অনেকটাই আশ্বস্ত হয়েছি।” জানা গিয়েছে এই এলাকার পুকুরপাড়া এলাকায় থাকবেন শুভেন্দু। আবার সন্দেশখালির বিজেপি নেতা গঙ্গাধর কয়াল বলেন, “সন্দেশখালির মাটিতে বিজেপিকে আরও শক্তিশালী করতে শুভেন্দু অধিকারী এই পরিকল্পনা নিয়েছেন। আমরা তিন মাসের জন্য বাড়িটি নিচ্ছি।”

    শুভেন্দুর বক্তব্য

    সন্দেশখালিতে ঘরভাড়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ওখানে বাদল দাসের বাড়িতে সেবাকেন্দ্র করা হয়েছে। আমরা ভাড়া নিয়েছি। নিপীড়িত মানুষের পাশে থাকা এবং তাঁদের আইনি সহযোগিতা করার জন্য এই সেবাকেন্দ্র খোলা হয়েছে।” অপর দিকে ঘর ভাড়া নিয়ে আদি তৃণমূল নেতা বাদল দাস বলেন, “আমি এক সময় এলাকায় তৃণমূল করতাম। সেই সঙ্গে একটি ভয় কাজ করছে। তবে এখন আমরা ভয়কে জয় করেছি। আমাদের একটাই সুর ছিল, পার্টি যে যাই করি, আন্দোলন সবাইকার। আমি এলাকার মানুষের চাহিদা বুঝে বাড়ি ভাড়া দিচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok sabha Elections 2024: তৃণমূলকে টেক্কা! যাদবপুরে প্রচার শুরু বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Lok sabha Elections 2024: তৃণমূলকে টেক্কা! যাদবপুরে প্রচার শুরু বিজেপি প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘর সামলাতে ব্যস্ত তৃণমূল। এখনও প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে পারেনি ‘ইন্ডি’ জোটের অন্যতম এই শরিক। এদিকে, বিজেপির তরফে প্রকাশ করা হয়েছে (Lok sabha Elections 2024) প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা। ১৯৫ জনের এই তালিকায় রয়েছেন বাংলার ২০ জনও। এরই একটি কেন্দ্র হল যাদবপুর লোকসভা। সোমবার বারুইপুর পূর্ব বিধানসভার গোয়ালবাড়িয়া শিব মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করলেন পদ্ম প্রার্থী অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়।

    প্রচারে বিজেপির প্রার্থী

    গত লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন অনুপম হাজরা। তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন তৃণমূলের তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী। সেবার অবশ্য হেরে যান পদ্ম প্রার্থী। তবে এবার যে তিনি জিততে চলেছেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী। প্রচারে (Lok sabha Elections 2024) বেরিয়ে তিনি বলেন, “নারী সুরক্ষা ও দুর্নীতিমুক্ত রাজ্য গড়ার সংকল্প নিয়েছে বিজেপি।” এদিন ভোটারদের নানা অভাব-অভিযোগের কথাও শোনেন অনির্বাণ। তিনি বলেন, “আরামবাগের রাজনৈতিক জনসভায় এসে প্রধানমন্ত্রী সন্দেশখালির ঘটনার নিন্দে করেছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করেন মহিলাদের সুরক্ষা নিয়ে। শাহজাহান বাহিনীর মহিলাদের ওপর অত্যাচারের পর মুখ্যমন্ত্রীকে কিছু বলতে শোনা যায়নি। এই সব কিছুকে ইস্যু করেই এবার প্রচারে নেমেছি।”

    কে এই অনির্বাণ?

    অনির্বাণ ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখার্জি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও ট্রাস্টি। পুদুচেরির শ্রী অরবিন্দ ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার অফ এডুকেশন থেকে প্রাথমিক শিক্ষা নেন। অধ্যয়ন করেন ভাষা, দর্শন, ইতিহাস ও সঙ্গীত। ইংরেজি, ফরাসি, সংস্কৃত ও বাংলায় দক্ষ। গুজরাটি বোঝেন কিছুটা। তামিল ও ওড়িয়া ভাষায় কথা বলতে পারেন। অনির্বাণ খেলাধুলোয়ও পারদর্শী। আন্নামালাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্কে স্নাতকোত্তর, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা ও পিএইচডি করেছেন। কলেজে পড়ার সময়ই আরএসএসের সংস্পর্শে আসেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “একটাও বোমাবাজির কথা যেন শুনতে না হয়”, সাফ কথা কমিশনের

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক প্রচার করেন তিনি। ‘মোদির জন্য বাংলা, বাংলার জন্য মোদি’ এই বিশেষ প্রচারে নেতৃত্ব দেন তিনি। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বোলপুর-শান্তিনিকেতন বিধানসভা কেন্দ্রে পদ্ম প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। ৯৪ হাজারেরও বেশি ভোট পেয়ে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন অনির্বাণ (Lok sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “তাপস দা-কে দিয়ে শুরু, আরও হবে”, কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ?

    Dilip Ghosh: “তাপস দা-কে দিয়ে শুরু, আরও হবে”, কীসের ইঙ্গিত দিলেন দিলীপ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূলে মূল্যবোধ শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই তাঁদের (তাপস রায়ের মতো রাজনীতিকদের) পক্ষে দলে টিকে থাকা কষ্টের।” সোমবার তাপসের তৃণমূল-সঙ্গ ত্যাগ প্রসঙ্গে কথাগুলি বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এদিনই তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্ক চুকিয়েছেন তাপস। ইস্তফা দিয়েছেন বিধায়ক পদেও। এ প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে দিলীপ বলেন, “তাপস দার মতো ওই জেনারেশনের রাজনীতিকরা দলে থাকতে পারছেন না। তৃণমূলে মূল্যবোধ শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই তাঁদের পক্ষে দলে টিকে থাকা কষ্টের। উনি অনেক চেষ্টা করেছেন, পারেননি।” তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “যাদের হাতে দল গিয়েছে, তারা মূল্যবোধ শেষ করে দিয়েছে। তাপস দা-কে দিয়ে শুরু হল, আগামীতে আরও অনেক এরকম দৃশ্য দেখা যাবে।”

    “মাথা উঁচু করে কাজ করবেন”

    তাপসের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের সম্পর্ক রয়েছে জানিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, “অনেকবারই তাপস দা এরকম কথা বলেছেন। দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে মনের কথা বলেছেন। আজও তা-ই করেছেন। ওঁর মতো রাজনীতিক নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেবেন। ভবিষ্যতে মাথা উঁচু করে কাজ করবেন।” তিনি বলেন, “তাপস রায়ের মতো প্রবীণ নেতারা দলে প্রাসঙ্গিকতা হারাচ্ছেন। তাঁদের গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। তাই তাঁদের পক্ষে দলে থাকা সম্ভব হচ্ছে না।”

    তাপসের তৃণমূল ছাড়ার কারণ

    প্রসঙ্গত, প্রায় দু’ মাস ধরে ইডি তল্লাশি চালাচ্ছে তাপসের বাড়িতে। তৃণমূল ছাড়ার কারণ হিসেবে তাপস বলেন, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন। অন্য কারও বাড়িতে গেলে বলেন ইডি কৌটো নাড়াল। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।” তিনি বলেন, “বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন, অথচ আমার বাড়িতে ইডির হানার কথা উল্লেখই করলেন না। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।” তৃণমূলের এই প্রাক্তন সেনানী বলেন, “বাহান্ন দিন আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী, কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম, ক্রিয়েটেড ইডি রেইডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি (Dilip Ghosh)।”

    আরও পড়ুুন: “একটাও বোমাবাজির কথা যেন শুনতে না হয়”, সাফ কথা কমিশনের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার নাম ঘোষণা হতেই কোন্দল স্পষ্ট। চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বীরভূমে (Birbhum) কেষ্টমণ্ডলের গড়ে রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করা যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেষ্ট এবং কাজল শেখের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কথা অনেক দিন ধরেই আলোচনার শীর্ষে ছিল। কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। অপরে কাজল শেখের গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অনুষ্ঠানিক ভাবে দলের জেলা সভাপতিত্বের পদ থেকে সরানোনি। ফলে বীরভূমের শাসক দলের অন্দরে ফাটল স্পষ্ট।

    “জনগর্জন সভা”য় গোষ্ঠী কোন্দল (Birbhum)

    রাজ্যের মন্ত্রীর সামনে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। সোমবার ছিল তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের সভা। আজ সোমবার, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের “জনগর্জন সভা”র একটি প্রস্তুতি সভা ছিল বীরভূমের (Birbhum) মুরারই পশুহাটে। এখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বস্ত্র, ক্ষুদ্র, কোটির শিল্প দফতরের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সাহা। এই সভায় মুরারই-১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসাবে কাজী আশরাফুল ইসলাম ওরফে নবাবের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলে সংখালঘু সেলের নেতা রাজ্য সম্পাদক আলি রেজা খান। নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় একংশের মধ্যে বিক্ষোভ। এমনকী তৃণমূল জেলা কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তবুও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সভা ছেড়ে চলে যান।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    বোলপুর (Birbhum) বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অবশ্য দলের কর্মীদের সভায় বিক্ষোভ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। সেই কারণে কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল। সকলে অপেক্ষা করে আছেন কবে ভোট। আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব। দল একটি সমষ্টি গত রূপ। এক কর্মী ভুল করলে অন্য কর্মী তাঁকে ঠিক করে দেবেন। কোনও কোন্দল নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    Tapas Roy: তৃণমূল ছাড়লেন তাপস রায়, ইস্তফা বিধায়ক পদেও, ওগরালেন একরাশ ক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সঙ্গে ২৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানলেন বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় (Tapas Roy)। ছাড়লেন বিধায়ক পদও। সোমবার বিধানসভায় পৌঁছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দিলেন ইস্তফাপত্র। দলের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দেন তাপস। বলেন, “৫২ দিন হয়ে গেল। ইডি অভিযানে বিধ্বস্ত আমি ও আমার পরিবার। ভেবেছিলাম, মুখ্যমন্ত্রী পাশে দাঁড়াবেন। অন্য কারও বাড়িতে গেলে বলেন ইডি কৌটো নাড়াল। আমারও স্ত্রী-পুত্র রয়েছে। এগুলো হৃদয়কে নাড়াচাড়া করে।” তাপস বলেন, “বিধানসভায় মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শেখ শাহজাহানকে ইডি টার্গেট করেছে বললেন, অথচ আমার বাড়িতে ইডির হানার কথা উল্লেখই করলেন না। আমি আহত, আঘাতপ্রাপ্ত।”

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ তাপসের

    পোড়খাওয়া এই রাজনীতিবিদ (Tapas Roy) বলেন, “কেউ আমাকে বা আমার পরিবারকে ফোন করেনি। এর পেছনে আমার দলের কেউ কেউ রয়েছে। আজ কুণাল ঘোষ আমায় বোঝাতে এসেছিল। ও আমার সামনে শোকজ হয়েছিল।” তিনি বলেন, “যাঁদের শোকজ বা সাসেপেন্ড হওয়ার কথা, তারা বহাল তবিয়তে রয়েছে।” তাপস বলেন, “বাহান্ন দিন আমি মুখ্যমন্ত্রীর ডাক পাইনি। আমার স্ত্রী, কন্যাও ডাক পায়নি। উনি সকলের পাশে দাঁড়িয়ে যান। আমিও আশা করেছিলাম, ক্রিয়েটেড ইডি রেইডের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যাবেন। কিন্তু তা হয়নি।”

    আরও পড়ুন: রাজ্য পুলিশের কথায় যেন বিশ্বাস না করা হয়, কমিশনের কাছে দাবি বিজেপির

    ব্যর্থ চেষ্টা, হাতছাড়া তাপস

    তাপসকে দলে ধরে রাখতে চেষ্টার কম কসুর করেনি তৃণমূল। এদিন সাতসকালে তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন বরানগর পুরসভার কাউন্সিলররা। তাঁদের সঙ্গে দলের তরফে ছিলেন কুণাল ঘোষ ও ব্রাত্য বসু। ঘণ্টাখানেক ধরে বোঝানো হলেও, তৃণমূল ছাড়ার সিদ্ধান্ত থেকে এক চুলও সরেননি ঘাসফুল শিবিরের এই প্রাক্তন সেনানী। এক সময় কংগ্রেস করতেন তাপস (Tapas Roy)। পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস ভেঙে যখন তণমূল কংগ্রেস তৈরি করলেন, তখন যাঁরা মমতার সঙ্গে ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন তাপসও। বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ইদানিং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছিল তাপসের। উত্তর কলকাতা জেলা সভাপতির পদ থেকে তাপসকে সরিয়ে দিতেই হতাশ হন তাঁর অনুগামীরা। বাড়িতে ইডি কর্তারা হানা দিলে সরাসরি আক্রমণ করে বসেন তৃণমূল নেতা তথা সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বলেন, “আমার বাড়িতে ইডি আসার পিছনে হাত রয়েছে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।” এরপর অবশ্য চুপচাপই হয়ে গিয়েছিলেন তিনি। শেষমেশ এদিন ছাড়লেন তৃণমূল-সঙ্গ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব”, বিজেপি প্রার্থী হয়ে বললেন লকেট

    Hooghly: “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব”, বিজেপি প্রার্থী হয়ে বললেন লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার টিকিট পেয়েই সক্রিয় বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভার পদপ্রার্থী হওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। হুগলি (Hooghly) লোকসভার ১৮ লক্ষ মানুষের আওয়াজ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো লোকসভায় যেতে বদ্ধপরিকর লকেট। তাঁর নাম গত শনিবার প্রেস কনফারেন্সে প্রকাশিত হতেই দলীয় পার্টি অফিসে ব্যাপক উচ্ছ্বাস লক্ষ্য করা যায়। উল্লেখ্য, আসন্ন লোকসভা উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় বিজেপি প্রথম দফায় সারা দেশে ১৯৫ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। তার মধ্যে এই রাজ্যের রয়েছেন ২০ জন প্রার্থী। এই ২০ জনের মধ্যে দেখা যায় হুগলি থেকে লকেট চট্টোপাধ্যায় পুনরায় টিকিট পেয়েছেন।

    কী বললেন লকেট (Hooghly)?

    হুগলিতে (Hooghly) প্রেসমিট করে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গতবারের তুলনায় ডবল মার্জিনে আমরা জয়ী হব। তৃণমূল রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসায় বিজেপি কর্মীদের উপর ব্যাপক অত্যাচার করেছে। আমরা সেই ধাক্কা সামলে নিজেদের ঘর গুছিয়ে নিয়েছি। আমাদের কর্মীরা এলাকায় ভীষণ ভাবে সক্রিয় রয়েছেন। আমি প্রধানমন্ত্রী এবং দলের নেতৃত্বকে অনেক ধন্যবাদ জানাই। আমরা এবার ৩৫টি আসন বাংলা থেকে উপহার দেবো। আমি আমার রাজ্যের কথা সংসদে বলতে সক্ষম হয়েছি। লোকসভার আগে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল শুরু হয়েছে, সরকার ভেঙে যেতে পারে। এলাকায় তৃণমূলের মদতে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে কিন্তু আমাদের সংগঠন অনেক মজবুত রয়েছে। এই বারে সংসদে ৪০০ আসন পাবে বিজেপি।”

    শুরু দেওয়াল লেখন

    রবিবার দুপুর থেকেই হুগলীতে (Hooghly) লকেটের সমর্থনে দেওয়াল লিখন শুরু হয়ে গিয়েছে। লকেটের সমর্থনে এলাকায় বিজপি কর্মীরা নির্বাচনী প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। এদিন চুঁচুড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের পিপুলপাতি এলাকায় দেওয়াল লেখার সূচনা করেন খোদ প্রার্থী। পাশাপাশি কর্মীসভা, চায়ে পে চর্চার মাধ্যমে সারাদিনই ব্যস্ত থাকেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। জনসংযোগের মাধ্যমে অন্য দলগুলির তুলনায় প্রথম রাউন্ডে এগিয়ে থাকাই যে তাঁর লক্ষ্য তা তিনি এদিন বুঝিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    BJP: মমতার সভার আগেই শুভেন্দু গড়ে ধরাশায়ী তৃণমূল, সমবায় বোর্ড দখল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমোর পূর্ব মেদিনীপুরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার আগেই তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি (BJP)। সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে জিতল বিজেপি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এড়াশাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির নির্বাচনে তৃণমূলকে ধরাশায়ী করে বিজেপি। লোকসভা ভোটের আগে শুভেন্দুর গড়ে জোর ধাক্কা খেল তৃণমূল।

    সমবায়ের ৬টি আসনে জয়লাভ করে বিজেপি (BJP)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চণ্ডীপুর ব্লকের বৃন্দাবনপুর ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের এড়াশাল সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটকে ঘিরে সকাল থেকে উত্তেজনা ছিল। কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে মোতায়েন করা হয় চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। ওই সমিতিতে মোট ৯টি আসন। সব আসনেই প্রার্থী দেয় দুইপক্ষ। সমবায় সমিতি নির্বাচনে কোনও প্রতীক না থাকলেও সকাল থেকে লড়াই ও উত্তেজনা ছিল চরমে। ৯টি আসনের মধ্যে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি (BJP) ৬টি আসন পায়। শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ৩টি আসনে জয়লাভ করে। জয়ের পর আবির খেলায় মেতে উঠেন জয়ী সমবায় সমিতির সদস্যরা থেকে বিজেপি কর্মীরা। আবির ও বাজি ফাটিয়ে উল্লাস করেন তাঁরা। এই জয় লোকসভা নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতি তরজা

    স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এখানে কোনও প্রতীক থাকে না। বিজেপি অহেতুক উল্লাস করছে। প্রতীক থাকে না, তাই ব্যক্তি কেন্দ্রিক ভোট হয়। তাই, লোকসভায় এর কোনও প্রভাব পড়বে না। তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপির (BJP) সহ- সভাপতি পুলক কুমার গুড়িয়া বলেন, “সব থেকে পুরনো সমবায় সমিতি। ১০৪ বছরের বেশি পুরনো। সেখানেই তৃণমূল ও সিপিএম যেভাবে দুর্নীতি করে গিয়েছে তা বাঁচানোর জন্য এলাকার নেতৃত্ব থেকে ও স্থানীয় বাসিন্দারা গর্জে উঠেছেন। মানুষ তৃণমূলকে মেনে নিতে পারছেন না। তাই, লোকসভা ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের কাছে এই ফল বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Modi Krishnanagar Rally: “টিএমসি মানেই তু, ম্যায় অউর করাপশান”, জনসভায় তোপ মোদির

    Modi Krishnanagar Rally: “টিএমসি মানেই তু, ম্যায় অউর করাপশান”, জনসভায় তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “তৃণমূল কংগ্রেস মানেই তু, ম্যায় অউর করাপশান, এখানকার দুষ্কৃতীরাই শেষ কথা বলে। কখন তারা আত্মসমর্পণ করবে আর কখন গ্রেফতার হবে। তৃণমূল মানেই অত্যাচার এবং দুষ্কৃতীর দ্বিতীয় নাম। তৃণমূল মানেই বিশ্বাসঘাতক। তৃণমূল সরকার সব স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করে তুলেছে। স্কিমকে স্ক্যামে পরিণত করায় মাস্টারি করেছে তৃণমূল।” তোপ দেগে ঠিক এই ভাবেই আক্রমণ করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ নদিয়ার কৃষ্ণনগরে (Modi Krishnanagar Rally) তৃণমূল সরকারের একাধিক দুর্নীতির অভিযোগকে হাতিয়ার করে তীব্র আক্রমণ করলেন তিনি। রাজ্যে তৃণমূল বার বার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা নিয়ে অভিযোগ করলে পালটা মোদি জাবাব দিলেন বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    কী বললেন মোদি? (Krishna Nagar)

    কৃষ্ণনগর কলেজের মাঠে মোদি (Modi Krishnanagar Rally) আজ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের মানে বদলে গিয়েছে। টিএমসি-র নতুন মানে হল তু, ম্যায় অউর করাপশন হি করাপশান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে যুবকরা একটি তথ্য দিন – মনরেগাতে ২৫ লক্ষ ভুয়ো জব কার্ড তৈরি হয়েছে। যে জন্ম গ্রহণ করেননি তাঁরও ভুয়ো জবকার্ড তৈরি হয়েছে। যে টাকা গরিব শ্রমিকের প্রাপ্য ন্যায্য টাকা, তা তৃণমূলের তোলাবাজরা তুলে নিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ৬ কোটি মানুষকে বিনামূল্যে রেশন দেওয়া হচ্ছে। আগামী ৫ বছর পর্যন্ত এই রেশন দেওয়া হবে। কিন্তু এই প্রকল্পে তৃণমূল জোর করে নিজেদের স্টিকার লাগিয়ে দিচ্ছে। ওঁরা গরিবের রেশন লুট করেছে।”

    মোদির গ্যারান্টি নিয়ে কী বললেন?

    কৃষ্ণনগর সভা থেকে মোদি (Modi Krishnanagar Rally) তৃণমূলকে সমালোচনা করে আরও বলেন, “নরেন্দ্র মোদি গ্যারান্টি দিয়েছিল কল্যাণীতে এইমস হাসপাতাল তৈরি করা হবে। সেখানে আজ এইমস হাসপাতাল তৈরি হয়েছে। তাও এ রাজ্যের তৃণমূল সরকারের পছন্দ হয়নি। বিজেপি সরকার আয়ুষ্মান প্রকল্পে পাঁচ লাখ করে চিকিৎসায় টাকা দেওয়ার সুবিধা করেছে। কিন্তু টিএমসি সরকার তা কার্যকর করতে দিচ্ছে না এই রাজ্যে। স্বাস্থ্য সুবিধা থেকে শুরু করে মেডিক্যাল কলেজ আরও বৃদ্ধি করা হয়েছে। এই রাজ্যের পাট চাষী এবং জুট মিলগুলির জন্য আরও অনেক টাকা বরাদ্দ করা হবে।”

    ১১ কোটি টাকা বিনিয়গের ঘোষণা

    এদিন জনসভায় যাওয়ার আগে প্রধানমন্ত্রী (Modi Krishnanagar Rally) কৃষ্ণনগর সরকারি সভায় ১৫ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। ফরাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত ৪ লেনের জাতীয় সড়ক উদ্বোধন করেন তিনি। বাজারসাউ-আজিমগঞ্জ ডবললাইন রেলপথের উদ্বোধন করেন তিনি। একই সঙ্গে পুরুলিয়ার তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিটের সূচনা করেন আজ। এই প্রকল্পে ১১ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share