Tag: tmc

tmc

  • Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সবার সামনে আমাকে উলঙ্গ করল, শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজ-শঙ্কর সামনে রেখে চলত অত্যাচার।’ ঠিক এই ভাবে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি গ্রেফতার হয়েছেন। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দার। প্রতিবাদী মহিলাদের আন্দোলনে ফের একবার উত্তাল গোটা এলাকা।

    উলঙ্গ করার অভিযোগ (Sandeshkhali)

    সোমাবার সকাল থেকে আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বেড়মজুর এলাকায় ফের মহিলারা হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নামেন। নির্যাতিতা, নিগৃহীত মহিলাদের ক্ষোভ ছিল শঙ্কর সর্দারের বিরুদ্ধে। যে কোনও সমস্যা মেটাতে গেলে যেতে হতো শাহজাহানের ভাই সিরাজের কাছে। তারপর চলত সেখানে যৌননিগ্রহ। গ্রামের এক নির্যাতিতার বক্তব্য, “গত বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা, আমাদের পরিবারে সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিরাজের কাছে। সঙ্গে ছিল অজিত মাইতি। কোষাধ্যক্ষ এবং আরও অনেক মহিলা ছিল। অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা। সেই সময় আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে কাউকে জানাতে পারিনি। আমার পাশে কেউ এসে দাঁড়ায়নি। আমার কোলে বাচ্চা ছিল দিদির কাছে। সেই বাচ্চাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর নাম করে আমার শ্লীতাহানি করে শঙ্কর-সিরাজেরা।”

    শঙ্করের বাড়িতে জনরোষ

    শঙ্করের গ্রেফতারে পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। নির্যাতিত মহিলাদের ক্ষোভের উত্তাপ গিয়ে পড়ে শঙ্করের পরিবারের উপর। বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। খড়ের গাদায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। শঙ্করের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলাকার নিগৃহীতদের বক্তব্য, “আমাদের উপর যখন আক্রমণ হয় সেই সময় ওঁরা বুঝতে পারেনি অত্যাচার কাকে বলে। এবার বুঝুক।”

    অপর দিকে গতকাল বজবজে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শাজাহানকে গ্রেফতারে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ রয়েছে। অপরে আজ সোমবার হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট হয় করে গ্রেফতারে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। এরপর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সুন্দরবনে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে চলছে ট্রলারঘাট নির্মাণ

    South 24 Parganas: সুন্দরবনে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে চলছে ট্রলারঘাট নির্মাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে চলছে ট্রলারঘাট তৈরির কাজ। এলাকার মানুষের অভিযোগ এই অবৈধ কাজে নির্বিকার প্রশাসন। এলাকায় এই নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ শাসক দল, প্রশাসনের মদতে চোরাচালানের কাজ করছে।

    ম্যানগ্রোভ কেটে হচ্ছে নদীর গতিপথ রুদ্ধ (South 24 Parganas)

    সুন্দরবনকে (South 24 Parganas) রক্ষার্থে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যখন প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচা করে ম্যানগ্রোভ চারা বসানোর কাজ করছে, ঠিক তখনই এক অন্য ছবি ধরা পরল কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গোবিন্দপুর গয়লার চক এলাকায়। নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে তৈরি করা হচ্ছে ট্রলারঘাট। এই অবৈধ নির্মাণে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাস বলেন, “আমি ম্যানগ্রোভ কাটিনি। আমার কাছে জায়গার সঠিক কাগজপত্র রয়েছে।” তবে এই বিষয়ে এই জায়গার বর্তমান মালিক ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ওই এলাকায় (South 24 Parganas) পাশ থেকেই বয়ে গেছে কালনাগিনী নদী। এলাকার স্থানীয় শোভন নায়েক বলেন, “এইভাবে যদি নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয় তাহলে আগামী বর্ষার মরশুমে জলমগ্ন হয়ে পড়বে গোটা এলাকা। মূলত এলাকা থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বই রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের অফিস। কিন্তু তারপরেও কীভাবে দিনের পর দিন এইভাবে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করা হচ্ছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তবে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মন্টু রাম পাখিরা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “কোনও রকম অবৈধ কাজ হয়ে থাকলে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া হবে।” তবে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাস বলেন, “কোথায় পদক্ষেপ! প্রশাসনকে তো বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রীতিমতো কাজ করে চলেছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে মথুরাপুর সাংগঠনিক (South 24 Parganas) জেলা বিজেপির সম্পাদক কৌশিক দাস বলেন, “শাসকদল ও প্রশাসনের মদত না থাকলে এমন কাজ করা যায় না, পরিকল্পিত ভাবেই টাকার বিনিময়ে চলছে। এই অবৈধ কাজকর্ম অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে ডেকে বজবজের এলাকাবাসী দেখালেন জমা জলের সমস্যা

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে ডেকে বজবজের এলাকাবাসী দেখালেন জমা জলের সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম হোক বা শীতকাল, সারা বছর বাড়ির সামনে জল জমে থাকে। বৃষ্টির দিনে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের পায়ে হাঁটার মতো পরিস্থিতি থাকেনা। অনেকদিনের এই সমস্যার কথা অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল রবিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে দেখালেন জল জমার সমস্যার কথা। তবে গাড়ি থেকেই দেখলেন অভিষেক এবং সেইসঙ্গে দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিলেন।

    মূল অভিযোগ কী (Abhishek Banerjee)?

    পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ইন্দ্রানী মণ্ডল সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, “প্রায় ১৫-২০ বছরের সমস্যা। পাশের যে ট্যাঙ্ক আছে তা থেকে উপচে পড়ে জল জমে থাকে। আর এই জমা জল থেকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির দিনে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যাচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। সামনে ভোট তবুও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। যখন জানলাম এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যাচ্ছেন, সেটা ভেবেই সমস্যার কথা জানিয়ে বললাম দেখুন কী অবস্থা। এরপর গাড়ি করে এসে দেখেন তিনি। আমাদের কথা শুনলেন। আমরাও দেখালাম সবটা। তবে তিনি আশ্বাস দিলেন সবটাই সমাধান হবে।”

    তৃণমূল কাউন্সিল কী বলেন?

    মহেশতলা স্থানীয় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিল গোপাল সাহাকে ওই বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। তৃণমূলের সেকেন্ড ইনকমান্ডের নির্দেশ পেতেই কাউন্সিল ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের নেতা (Abhishek Banerjee) বলেছেন দ্রুত যাতে সমস্যার সমাধান হয়। আমাদের সাংসদ কথা দিলে কথা রাখেন।”

    গতকাল বজবজ ট্রাঙ্ক রোড এবং মহেশতলায় ৪০ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর উড়াল পুলের নিচ দিয়ে ফিরছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় ডাকঘরের কাছে একটি বাড়ি থেকে হাত দেখালে অভিষেক থামেন এবং এরপর অনুরোধে এলাকার মানুষের কথা শোনেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা”, মহিলাদের ক্ষোভের মুখে মেয়র

    Asansol: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা”, মহিলাদের ক্ষোভের মুখে মেয়র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা” ঠিক এইভাবেই এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের তৃণমূল মেয়রকে। জানা গিয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা, মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে পেয়ে এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। এলাকায় দীর্ঘ দিনের একটা প্রধান সমস্যা হল জলের সমস্যা। যদিও মেয়র আস্বস্ত করেছেন জলের সঙ্কট মিটে যাবে।

    রক্তদান শিবিরে ক্ষোভের মুখে মেয়র (Asansol)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার আসানসোলের (Asansol) সার্থকপুর এলাকায় একটি রক্তদানব শিবিরে যোগদান করেছিলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। কিন্তু এলাকার মানুষ পানীয় জলের সমস্যার মধ্যে অনেকদিন ছিলেন আর তাই তৃণমূল মেয়রকে কাছে পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু মেয়র, এলাকার মানুষকে পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের কথা বললেও মানুষের রাগকে প্রশমিত করা যায়নি। এলাকার মানুষ তীব্র স্বরে চেঁচামেচি শুরু করেন এবং বিক্ষোভ দেখান। এরপর মহিলারা বলেন, “লাল কালিতে কাগজে লিখে দিন। তারিখ লিখে দিলে তবেই বিশ্বাস করব।” একই সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও এক বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় অনেক দিন ধরে জলের সমস্যা। অনেক অভিযোগ জানিয়েও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। আমরা দ্রুত এলাকার সমস্যার সমাধান চাই।”

    তৃণমূল মেয়রের বক্তব্য

    মেয়র (Asansol) মানুষের ক্ষোভের মুখে নিজের মেজাজ হারিয়ে বিক্ষোভকারীদের বলেন, “সিপিএমের আমলে এই ভাষায় এভাবে মেয়র বিধায়কদের সরাসরি বলতে পারতেন? আমরা মানুষের সঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশে থাকি তাই এই ভাবে বলতে পারছেন। তাছাড়া জামুড়িয়া এলাকায় জলের সমস্যা আজকের নতুন নয়। বহু পুরাতন। বর্তমানে জলের ট্যাঙ্কারে করে জল এনে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জলের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ দ্রুত শেষ হলেই এলাকার সমস্যা মিটে যাবে।” এই প্রসঙ্গে মেয়র আরও বলেন, “আমিও এলাকার মানুষ, গ্রামীণ এলাকার বিধায়ক। ফলে গ্রামের সমস্যা আমি খুব ভালো ভাবে জানি। তবে এটা কোনও ক্ষোভ নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    Malda: সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আবাস যোজনার তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার জন্য বৃদ্ধার একমাত্র সম্বল জমানো ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় আরও ২০ হাজার টাকার দাবি করে ওই তৃণমূল নেতা। টাকা না দিতে পারায় হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন বৃদ্ধা। ইতিমধ্যে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। মূল অভিযোগ, এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) কালিয়াচক ব্লকের সাহাবানচক গ্রামের ভাগজান এলাকায়।

    বৃদ্ধার অভিযোগ (Malda)?

    ভাগজান (Malda) এলাকার সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা রানি বেওয়া বলেন, “আবাস যোজনার পূর্ণ চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম ছিল কিন্তু আমি ঘরের টাকা পাইনি। আমার নামের টাকা অন্য জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠনো হয়েছে। এই কাজের জন্য তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রধান আমার কাছ থেকে কাটমানি চেয়েছিলেন। সেই কাটমানির কিছুটা অংশ টাকা তাঁকে দিয়েও ছিলাম। আমার নিজের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, স্বামী বহুদিন আগে মারা গিয়েছেন, চিন্তায় চিন্তায় আমার সংসার চলে। আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাইলে কীভাবে দেবো? আমি দিতে না পারায় আমার বাড়ির টাকা অন্য জনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এই ঘটনায় স্থানীয় (Malda) তৃণমূল নেতা জিয়াউল হক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কারো কাছে আমি কাটমানি দাবি করিনি। রানি বেওয়া নামে মালতিপুর মৌজায় কারো নামে ঘর তালিকায় ছিলনা। গোপালপুরে বনি বেওয়া নামক একজনের নাম ছিল। ঘটনা চক্রে স্বামীর নাম এক হওয়ায় গোলমাল হয়েছিল। আমি তৃণমূল করি বলে আমার উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।” ইতিমধ্যে ঘটনার কথা জানিয়ে মালদা জেলা শাসক এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।  


     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল! মৌসম নূরের সামনেই কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি

    Malda: ফের তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল! মৌসম নূরের সামনেই কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মৌসম বেনজীর নূর এবং বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষকে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূলেরই কর্মীরা। কার্যত পঞ্চায়েত ভোটে হার নিয়ে তৃণমূলের কর্মীরাই দলের নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। সেই সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতি। তৃণমূলের অন্দরে এই বিক্ষোভকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Malda)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার চাঁচল (Malda) বিধানসভার অন্তর্গত হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রাশিদাবাদ, বরুই কুশদা, তুলসীহাটা অঞ্চলে ১০০ দিনের জব কার্ড হোল্ডারদের তথ্য সংগ্রহ করতে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই সংগ্রহের জন্য রাজ্য সরকার একটি ক্যাম্পও বসিয়েছিল। এই ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা ছিল সাংসদ মৌসম নূর, বিধায়ক নীহার ঘোষ, রবিউল ইসলাম এবং মর্জিনা খাতুনের। কিন্তু রশিদাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতে রবিউলের অনুগামীরা, তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়ককে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। কুশিদা এলাকায় একপক্ষ, অপরপক্ষের বিরুদ্ধে হাতাহাতিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ে। রবিউলের বক্তব্য, “দল বড় হয়েছে তাই একটি বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে কিন্তু কোনও মারামারি হয়নি।” অপরে মৌসম নূর বলেন, “আমি এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেবনা।”

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারে কোন্দল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁচল (Malda) বিধানসভার অন্তর্গত রাশিদাবাদ, বরুই কুশিদা এবং তুলসীহাটা এই চারটি অঞ্চল শাসক দলের হাত ছাড়া হয়ে যায়। বিক্ষুদ্ধ তৃণমূলের কর্মীদের অভিযোগ, এই হারের জন্য একমাত্র দায়ী হলেন দলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ এবং রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর। উল্লেখ্য এই অভিযোগকে আবার অস্বীকার করেছে জেলার নেতৃত্ব। তবে এই ভাবে দলের মধ্যেই লোকসভার আগে এই ধরনের কোন্দলে চাপের মুখে পড়েছে তৃণমূল। ঘটনায় তীব্র আক্রমণ করেছে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বক্তব্য চোরেদের মধ্যে টাকার ভাগ নিয়ে কোন্দল হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটের আগে সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) এবার রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তুলে আনা হবে। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে বিশেষ রণকৌশল বিজেপির। রাজ্যে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, সন্দেশখালির নিপীড়িত মহিলাদের নিয়ে ধর্নায় বসবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিপীড়িত মানুষের অধিকার নিয়ে টানা তিন দিন ধর্না করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন, এবং জোর করে জমি দখলের প্রতিবাদে জনরোষ উত্তাল হয়ে উঠেছে। কিন্তু শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক। পুলিশের কাছে খোঁজ নেই।

    ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি হবে ধর্না (Sandeshkhali)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্নায় বসা হবে। ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলবে এই ধর্না। এই ধর্নামঞ্চে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে আসা হবে। অত্যাচারের নির্মম কথা তাঁদের মুখে উপস্থাপন করে রাজ্যের শাসক দলের উপর আরও চাপ বৃদ্ধি করা হবে। শাসক দলকে লাগাতার চাপে রাখতে বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে আসার কথা ছিল, কিন্তু আপাতত ফোকাস সন্দেশখালি এবং আগামী লোকসভার দিকেই থাকুক, সেই কথা ভেবেই তাঁর সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।

    আন্দোলনের রেশ ধরে রাখতে লাগাতার কর্মসূচি

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের অতাচারের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনজাগরণ ঘটেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে দিল্লি সদর দফতর থেকে লাগাতার সাংবাদিক সম্মলেন করে আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূলকে। ইতিমধ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় কমিশন, এসসি, আদিবাসী, মহিলা, মানবাধিকারের মতো সংস্থাগুলি পরিদর্শনে এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করেছে এই কমিশনগুলি। সেই সঙ্গে বার বার চিঠি দিয়ে সন্দেশখালি সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ফলে তৃণমূল যে সন্দেশখালিকাণ্ডে বেকফুটে, সেকথা অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। অপর দিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চান, এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন বণ্টনে দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল এবং ক্যাগ রিপোর্ট সহ একাধিক বিষয়ে ব্যাপক ভাবে আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করতে হবে। এই রাজ্যের লোকসভার আসন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই আন্দোলন ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই সন্দেশখালির বিষয়কে কলকাতার রাজপথে এনে আন্দোলন করা প্রয়োজন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: খেলার মাঠের পর এবার তিনশো বিঘার জমি ফেরানোর কাজ শুরু হল

    Sandeshkhali: খেলার মাঠের পর এবার তিনশো বিঘার জমি ফেরানোর কাজ শুরু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহানের দখল করা খেলার মাঠের পর এবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তিনশো বিঘার জমি ফরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল প্রশাসন। ভূমি এবং ভূমি সংস্কারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দখলকৃত জমির প্রকৃত মালিকদের চিহ্নিত করে গতকাল বৃহস্পতিবার মোট ৯ জনকে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘমেয়াদী বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তদন্তকারী অফিসারদের মাথা ফাটানো হয়। একই ভাবে সেনা জওয়ানদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে শেখ শাহজাহান এবং অনুগামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখল, বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে পার্টি অফিসে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকাবাসীরা ব্যাপক ভাবে সরব হয়ে ওঠেন। পুলিশ গ্রেফতার না করায় শাহজাহান-শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণ লক্ষ্য করা যায়। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে ঝুপখালিতে শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধেও গতকাল প্রতিবাদী হন মহিলারা। তাঁর আলাঘরেও দেওয়া হয় আগুন। যদিও শিবু-উত্তমকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও শাহজাহান এখনও পালাতক। রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি পরিদর্শন করলেও এখনও ধরা পড়েনি এই তৃণমূল নেতা।

    জমির জরিপের পর শুরু কাজ (Sandeshkhali)

    গতকাল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের দখল করা ফুটবল খেলার মাঠ প্রশাসন এলাকার মানুষের কাছে হস্তান্তর করেছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’-এর উপর চুনকাম করে মুছে দেওয়া হয়েছে। মাঠের তালা খুলে দেওয়া হয় সকলের জন্য। ইতিমধ্যেই গত বুধবার রাত থেকেই পুলিশ টহল চালিয়েছে এলাকায়। একইভাবে মাঠের জমির জরিপের কাজ শুরু করা হয়েছে। এরপর আগের অবস্থায় জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এই ভাবেই অশান্ত সন্দেশখালির পরিস্থিতিকে শান্ত করার প্রক্রিয়া করা হবে বলে আরও মনে করা হচ্ছে প্রশাসন।

    আন্দোলনকে দমন করতে তড়িঘড়ি জমি ফেরত?

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তিনশো বিঘার জমির প্রকৃত মালিকের জমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও এই জমি ফেরানোর কাজটি অত্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। তবে এলাকার মানুষের দাবি “আন্দোলনকে দমন করতে তড়িঘড়ি করে এই জমি ফেরানোর কাজ করছে প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসন, তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে এখন সক্রিয় হয়েছে।” সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত মোট নয়জনের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার থানার এসপি জানিয়েছেন, যাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের জমিই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি থানার সামনে টানা দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ তাদের নৌকায় তুলল। পুলিশের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার আগে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্তকে নিয়ে নৌকা অনেকক্ষণ মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে ছিল। তাতে আলোও জ্বালানো ছিল না। ফলে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

    উল্লেখ্য, আজ সন্দেশখালিতে পৌঁছান সুকান্ত। বিজেপি কর্মী বিকাশ সিং-এর বাড়িতে দেখা করে সন্দেশখালি থানায় যান তিনি। কিন্তু ঢুকতে বাধা দিলে থানার সামনে অবস্থান করেন। এরপর তিনি বলেন, “শাহজাহান শেখ গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে রাতভর চলবে বিক্ষোভ।” সরস্বতী পুজোর দিন যাত্রা শুরু করলেও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। পথেই নিগ্রহের শিকার হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। 

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এলাকার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানার সামনে অবস্থান করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে শেখ শাহজাহান-উত্তম-শিবুর নাম জেনে গিয়েছেন সকলে। ওঁরা মাথা। কিন্তু ওঁদের নিচে একটা পরিকল্পিত টিম রয়েছে। পুরো কাজ করা হয়েছে এখানে পরিকল্পিত ভাবে। এলাকার আদিবাসীদের বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে। জমির মালিকদের জমির উপর কোনও অধিকার নেই। নিচুতলার জিয়াউদ্দিন, সিরাজ, আল্মগীর এঁরাই হলেন আসল লোক। সকল দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। ভেড়ির লিজের টাকা কোথায় যাচ্ছে, কারা আদায় করছে জানতে হবে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা সরে গেলেই আবার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।”

    উলুধ্বনিতে স্বাগত সুকান্তকে (Sukanta Majumdar)

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে যাত্রা শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, তাঁকে একাই যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। অবশ্য এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অবশ্য দলের একজনকে নিয়ে যেতে পারবেন বলে অনুমতি চাইলে পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। এরপর একাই লঞ্চে ওঠেন। তারপরে সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর পর তাঁকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি এবং পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে স্বাগত জানায় এলাকার মানুষ। এরপর এলাকার নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য শোনেন।

    উপসংশোধনাগারে বিজপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বসিরহাট উপসংশোধনাগারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে দেখা করতে না দিলে পরে কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন শিবু প্রসাদ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আগেই ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বসিরহাট আদালতে আজ বুধবার একটি গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নতুন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় (Sandeshkhali)

    গত শনিবার শিবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বসিরহাটের ন্যাজাট এলাকা থেকে। তাঁর অবর্তমানে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক সুকুমার মাহতো। গত ছয় বছর আগে দল, শিবুকে ব্লকের সভাপতি করেছিল। এরপর থেকেই তাঁর এলাকায় আধিপত্য বৃদ্ধি হতে শুরু করে। নানা দুর্নীতি, অসামাজিক কাজের প্রত্যক্ষ মদত দিতো শিবু। এরপর এলাকার নেতা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অপর দিকে ইডি, শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে আক্রান্ত হতে হয়। এরপরেই জমি জোর করে দখল করা, মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগে ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপর সেখানে শিবুর মুরগির খামারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার ক্ষিপ্ত মানুষ প্রতিবাদে ভাঙচুর করে শিবুর বাগান বাড়িও। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ আবার আদালতে পেশ করলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। একইভাবে তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ শ্লোগান দেওয়া হয়। কিন্তু পলাতক নেতা শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

    পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন ডিজি

    অপর দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আইন শৃঙ্খলার বিষয়কে খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। সেখানে করা হবে একধিক বৈঠক। পাঁচ জায়গায় মোট ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি নজরদারি ইতিমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share