Tag: tmc

tmc

  • Purulia: পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    Purulia: পুরুলিয়া লোকসভায় হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের চিত্র প্রকাশ্যে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ায় (Purulia) লোকসভা নির্বাচনে হারের চর্চায় তৃণমূলের অন্দরে দলীয় সংঘাতের কথা উঠে আসল। তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলির মধ্যে কোন্দল, সমন্বয়ের অভাব, এবং বুথস্তরে জনপ্রতিনিধিদের জনসংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়াই অন্যতম বিপর্যয়ের কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বুধবার দলের জেলা কমিটির পর্যালোচনায় এমন তথ্যই উঠে এসেছে। ফলে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।

    বৈঠকে গরহাজির একাধিক তৃণমূল নেতা (Purulia)!

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, লোকসভা ভোটের দায়িত্বে থাকা ব্লক ও শহর কমিটির সভাপতি এবং জেলা তৃণমূলের প্রাথমিক পর্যালোচনা করে রিপোর্ট জমা দিয়েছে রাজ্য নেতৃত্বের কাছে। দলের নির্বাচন পর্যবেক্ষক তন্ময় ঘোষ বলেছেন, “কিছু ত্রুটি আমাদের নজরে এসেছে। দলের কাছে পেশ করা রিপোর্টে সবটাই জানানো হবে। রিপোর্টের প্রেক্ষিতে রাজ্য তৃণমূল নেতৃত্ব নিশ্চই সিদ্ধান্ত নিয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।” উল্লেখ্য এদিন পুরুলিয়ায় (Purulia) বৈঠকে গরহাজির থেকে বিতর্ক বাড়িয়েছেন লোকসভা প্রার্থী শান্তিরাম মাহাতো, লোকসভার নির্বাচনী কোর কমিটির চেয়ারম্যান সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়, ছাত্র, যুব এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতারা। ইচ্ছে করেই তাঁরা বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছেন। ফলে এই কোন্দলের কারণে দল নির্বাচনে হেরেছে বলে মনে করেছেন দলেরই একাংশ।

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    জেলার (Purulia) এক তৃণমূল (TMC) নেতার বক্তব্য, “আজকের বৈঠকে কিছু মঞ্চপ্রেমী নেতা-নেত্রী ও অনেক শাখা সংগঠনের প্রধানদের দেখতে পেলাম না। এর কারণ কী? লোকসভা নির্বাচনে হারের লজ্জা না কি গ্লানি? জেলা তৃণমূলের কর্মী হিসাবে আমি মনে করি অবিলম্বে পুরুলিয়া জেলা কমিটিতে বড় পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে। মঞ্চে ওঠা তথাকথিত নেতাদের বাদ দিয়ে কাজের নেতাদের স্থান দিন।” একই ভাবে বৈঠকে বুথস্তরে আর্থিক সহায়তা ঠিক করে পৌঁছায়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

    আরও পড়ুনঃ হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    কী বললেন শান্তিরাম?

    বৈঠকে যোগদান না করে পুরুলিয়ার (Purulia) প্রার্থী শান্তিরাম বলেছেন, “আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত বলেই বৈঠকে যাইনি। অন্তর্ঘাতের বিষয়টি যখন উঠে এসেছে তখন বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখা উচিত।” আবার সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “এই দিন যে সাংগঠনিক বৈঠক বলা হচ্ছে, তা ভোটের আগেই করা উচিত ছিল। যদি ২১ জুলাইের প্রস্তুতি এবং ফলাফল পর্যালোচনার বিষয় আলোচনায় থাকত, তবে যেতাম।” আবার এই বিষয়ে তৃণমূল (TMC) জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেছেন, “সুজয় বাবু সহ একাধিক নেতাকে আমি ফোন করে মিটিং-এর কথা বলেছিলাম। তবুও কেন আসেননি আমার কাছে স্পষ্ট নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • East Burdwan: সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ প্রৌঢ় দম্পতির

    East Burdwan: সালিশি সভায় না যাওয়ায় মারধর, তৃণমূলের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে নালিশ প্রৌঢ় দম্পতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চোপড়াকাণ্ডের জের মিটতে না মিটতেই এবার ফের একই ঘটনা ঘটল পূর্ব বর্ধমানের (East Burdwan) জামালপুর থানা এলাকার কুবাজপুর গ্রামে। সালিশি সভা ডাকার পর সেখানে না যাওয়ার জন্য বাড়িতে গিয়ে এক প্রৌঢ় দম্পতি ও তাঁদের ছেলেকে মারধর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার শাগরেদদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (East Burdwan)

    জামালপুর (East Burdwan) ব্লকের চকদিঘি পঞ্চায়েতের কুবাজপুর গ্রামের বাসিন্দা প্রৌঢ় দম্পতি শেখ বোরহান আলি এবং সাহানারা বিবি। তাঁদের সঙ্গেই থাকেন তাঁদের বড় ছেলে বসির আলিও। মূলত কৃষিকাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করে পরিবারটি। অভিযোগ, বসিরের বিবাহ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে একটি বিচারাধীন মামলার বিচার করতে সালিশি সভা ডেকেছিলেন এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি শেখ আজাদ রহমান। গত ১৪ জুন চকদিঘির তৃণমূল পার্টি অফিসে ডাকা ওই সালিশি সভায় উপস্থিত থাকতে বলা হয় ওই দম্পতি ও তাঁদের পুত্র বসিরকে। তৃণমূল নেতার শাগরেদরা এ-ও জানিয়ে যায় যে, যদি আজাদ রহমানের বিচার সভায় হাজিরা না দেয়,তবে ওরা বাড়িঘর ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেবে। এমনকী, প্রাণে মেরে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেয় ওরা।

    আরও পড়ুন: চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    লাঠি-ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা

    সালিশি সভায় না যাওয়ায় তৃণমূল নেতার শাগরেদরা লাঠিসোঁটা এবং ধারালো অস্ত্র নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। এর পরেই ওই দম্পতির পুত্র বসিরকে মারধর করতে থাকে তারা। বাধা দিতে গিয়ে মার খান প্রৌঢ় দম্পতিও। পরে পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে জামালপুর (East Burdwan) ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যায়। আর বসিরকে বর্ধমান হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই ঘটনার পরেও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানা কোনও পদক্ষেপ না করায় আতঙ্কে ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নেন তিন জনেই। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।

    মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন প্রৌঢ় দম্পতি

    অসহায় অবস্থায় ওই দম্পতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে তাঁদের ওপর হওয়া অত্যাচারের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা লিখেছেন, “এলাকার তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির ডাকা সালিশি সভায় না যাওয়ায় তাঁর শাগরেদরা বাড়িতে এসে মারধর করেছেন আমাদের। খুনের হুমকিও দিয়ে গিয়েছেন। প্রাণের ভয়ে গবাদি পশু, ক্ষেত-খামার ফেলে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি।”  একই চিঠি ‘লিখিত অভিযোগ’ হিসাবে তাঁরা পাঠিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি, জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে। দম্পতির ছেলে বসির বলেন, এমনিভাবে চলতে থাকলে আমাদের সপরিবারে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোন উপায় থাকবে না।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূলের (Trinamool Congress) চকদিঘির অঞ্চল সভাপতি আজাদ রহমান বলেন, “বসির আলির পরিবারকে আমি চিনি। তাঁদের যে মামলার বিচার আদালতে চলছে, তার বিচারের জন্য আমি কোনও বিচার সভা বা সালিশি সভা ডাকিনি। তবে, খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, বসিরের পরিবারের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, তা গ্রাম্য বিবাদ জনিত ঘটনা। ওই ঘটনার সঙ্গে ইচ্ছাকৃত ভাবে আমার নাম জড়ানো হয়েছে।” জেলা তৃণমূলের (Trinamool Congress) সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ও বলেন, “এমন কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে, আমি খোঁজখবর নিয়ে দেখব। অভিযোগ সত্য হলে যথাযথ পদক্ষেপ করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    Bolpur: হকার উচ্ছেদে অক্ষত পার্টি অফিস! তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? শোরগোল বোলপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি জমিতে অবৈধ দখল বিষয়ে কড়া অবস্থান নিয়ে উচ্ছেদের নির্দেশ দিয়েছেন। এরপর থেকে কলকাতা সহ জেলায় জেলায় পুরসভা এবং পুলিশ প্রশাসন হকার উচ্ছেদ অভিযানে নেমে পড়েছে, কিন্তু এই উচ্ছেদ অভিযানে তৃণমূল কার্যালয় এখনও অক্ষত রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বোলপুরে (Bolpur) উচ্ছেদ অভিযানে ফুটপাত থেকে সরকারি জায়গা উদ্ধার করতে গেলে, তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়কে উচ্ছেদ না করার অভিযোগ করে সরব হয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের কার্যালয় বলেই কি ছাড়? এই প্রশ্ন উঠেছে এলাকায়।

    অবৈধ নির্মাণ ছিল তৃণমূল কার্যালয় (Bolpur)!

    বৃহস্পতিবার বোলপুর শহর জুড়ে চলেছে বেআইনি উচ্ছেদ অভিযান। দখল করা রাস্তার জমি পুনরুদ্ধার কাজে নেমেছে পুরসভা। শান্তিনিকেতনের ভুবনডাঙায় পে-লোডার নামিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে বহু দোকান। কিন্তু রাস্তার উপরে নির্মাণ করা তৃণমূলের পার্টি অফিসকে ভাঙা হয়নি। বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ, সরকারি জমি দখল করে এই অবৈধ নির্মাণ হয়েছিল। সমস্ত দোকান ভাঙা হলেও এই তৃণমূল কার্যালয়ে হাত দেওয়া হয়নি!

    প্রশাসনকে ধিক্কার বিজেপির

    বিজেপির বোলপুর (Bolpur) সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ মণ্ডল বলেছেন, “এই কাজ অত্যন্ত বেআইনি। তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় (Tmc party office) রেখে দিয়ে বাকি সমস্ত কিছু ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল, এই ঘটনা অত্যন্ত অন্যায়। ভাঙলে এক সঙ্গে সব ভেঙে দেওয়া উচিত। পুরসভার ওয়ার্ডগুলিতে তৃণমূলের ফল খারাপ হওয়ায় এই ভাবে মানুষের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আমি বোলপুর পুরসভা ও প্রশাসনকে ধিক্কার জানাই।”

    আরও পড়ুনঃকুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    পুর-প্রতিনিধির বক্তব্য

    বোলপুর (Bolpur) পুরসভার পুর-প্রতিনিধি এবং দলীয় কার্যালয়ের (Tmc party office) দায়িত্বে থাকা সুকান্ত হাজরা বলেছেন, “ইতিমধ্যেই আমরা দলীয় কার্যালয়ের উপর টিনের ছাউনি থেকে শুরু করে ভিতরের জিনিসপত্র সরাতে শুরু করে দিয়েছি। দোকান যখন ভাঙা পড়েছে, ঠিক এই পার্টি অফিসও ভাঙা পড়বে। বিরোধীদের উচিত রাজনীতি না করে অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে আমাদের পাশে দাঁড়ানো।” আবার বোলপুরের পুরপ্রধান পর্ণা ঘোষ বলেছেন, “দলীয় পার্টি অফিস হোক বা অন্য নির্মাণ, যা কিছুই সরকারি জায়গা দখল করে থাকবে, সেটাই ভাঙা পড়বে। এখানে রাজনীতির কোনও যোগ নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    South 24 Parganas: কুলপিতে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে কাজিয়া!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনায় (South 24 Parganas) একটি সংবর্ধনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে এসেছে। কুলপিতে প্রকাশ্য সংবর্ধনা সভায় বিধায়ক ও ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির কাজিয়া প্রকাশ্যে এসেছে। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য পঞ্চায়েত নির্বাচন এবং লোকসভা নির্বাচনের আগেও একাধিক বার মাদার বনাম যুব তৃণমূলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।

    দলের শৃঙ্খলা নিয়ে দ্বন্দ্ব (South 24 Parganas)!

    কুলপিতে মথুরাপুর (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদের সংবর্ধনা সভায় তৃণমূল বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বৃহস্পতিবার দিন কুলপির পথের সাথী গেস্ট হাউসে নবনির্বাচিত সাংসদ বাপি হালদারের সংবর্ধনা সভা আয়োজন করা হয়। একদিকে যখন বিধায়ক দলের শৃঙ্খলা ও সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে ব্লক সভাপতির নাম না করেই একাধিক বক্তব্য রাখলেন, ঠিক উল্টোদিকে ব্লক সভাপতিও বিধায়কের নাম না করে দলের শৃঙ্খলা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুললেন। ফলে উভয়ের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে।

    তৃণমূল বিধায়কর বক্তব্য

    কুলপি (South 24 Parganas) বিধানসভার বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার বলেছেন, “দলের মধ্যে থেকে কেউ কেউ আমার বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িকতার তকমা লাগাচ্ছে। আমি যদি সাম্প্রদায়িক হতাম তাহলে চারবারের বিধায়ক হতে পারতাম না। মানুষ সব জানে আমি তাঁদের জন্য কী করেছি। দল থাকলে তবেই কর্মীরা থাকবে, দলের মধ্যে থাকলে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে সকলকে।” কিন্তু সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে বিধায়ক বলেন, “এখানে তৃণমূলের কোন গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই, তবে সম্প্রদায়িকতার বিষয়ে কেউ কেউ অপপ্রচার করে করছেন।”

    তৃণমূল ব্লক সভাপতির বক্তব্য

    অন্যদিকে কুলপি (South 24 Parganas) বিধানসভার ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি সুপ্রিয় হালদার, বিধায়কের নাম না করে দলের সাংসদের সামনেই বলেন, “দলের মধ্যে থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচন, বিধানসভা নির্বাচন ও লোকসভা নির্বাচনকে কেউ যদি আলাদা আলাদা করে গুরুত্ব দিয়ে দেখেন, তা হলে মানা হবে না। কোনও ব্যক্তির জন্য যদি অপর কোনও ব্যক্তির সম্মানহানি হয়, সেই বিষয়টিও বিধায়ক ও সাংসদকে গুরুত্ব দিয়ে দেখতে হবে। এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি গঠন করা একান্ত প্রয়োজন।” দ্বন্দ্ব নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনি আরও বলেন, “যাঁরা দলের মধ্যে থেকে ভুল কাজ করছে সেই বিষয়টি আমি বিধায়কের কাছে তুলে ধরতে চেয়েছি। অন্যদিকে দল যাঁকেই টিকিট দিক না কেন, দলের মধ্যে থেকে শৃঙ্খলা পরায়ণ হয়ে কাজ করা উচিত তাঁর।”

    তৃণমূল সাংসদের বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে মথুরাপুর (South 24 Parganas) লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ বাপি হালদার বলেছেন, “দল বড় হলে তার মধ্যে সমস্যা থাকতে পারে, তবে তা নিজেদের মধ্যে মিটিয়ে নিতে হবে। অন্যদিকে যাঁরা দলের মধ্যে থেকে বিজেপির হয়ে ভোট করিয়েছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবে দল।”

    আরও পড়ুনঃ চোপড়াকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের দাবি জানালেন শুভেন্দু

    বিজেপির বক্তব্য

    তবে এই বিষয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কুলপি (South 24 Parganas) ব্লকের শ্রমিক ইউনিয়নের বিজেপি সভাপতি স্বপন হালদার বলেছেন, “বিধায়ক ও ব্লক সভাপতির মধ্যে লেনদেনের ভাগ-বাটোয়ারা ঠিকঠাক না হওয়ার জন্যই এই ঘটনা ঘটছে। তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সর্বোচ্চ তোলাবাজের দল। আর সেখানে বিধায়ক বেশি খাবে, নাকি ব্লক সভাপতি বেশি খাবে তা নিয়েই এই দ্বন্দ্ব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহাড় জেলে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূল প্রার্থীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহাড় জেলে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলকে ভোট দিলে কৃষ্ণ কল্যানীর সঙ্গে দেখা করতে তিহাড় জেলে যেতে হবে। তাই আপনারা সাবধান হন, সতর্ক হন। লড়াইটা হবে সরাসরি। যারা চোরেদের পক্ষে তাঁরা কৃষ্ণ কল্যানী পক্ষে। কৃষ্ণবাবু আপনাকে হারতেই হবে, কারণ এরপর আপনি কয়েক বছর পরে জেলেই থাকবেন। বৃহস্পতিবার বিকালে রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী মানস ঘোষের সমর্থনে প্রচারে এসে এমনই মন্তব্য করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই সভাতে বিরোধী দলনেতা ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন রায়গঞ্জ লোকসভার সাংসদ কার্তিক পাল, বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার, শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ সহ আরও অন্যান্য নেতা-কর্মীরা।

    কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এবারের রায়গঞ্জ লোকসভায় হেমতাবাদ, কালিয়াগঞ্জ, করণদিঘি ও রায়গঞ্জে আমাদের লিড হয়েছে। আপনাদের জেলায় ৪ টি বিধানসভায় আমরা লিড করতে পেরেছি। মালদা ৬ টি বিধানসভা কেন্দ্রে আমরা লিড করেছি। আপনারা আশ্বস্ত থাকুন আমাদের লড়াই চলছে, আগামীতেও চলবে। ২০২১ সালের পর থেকে আমরা রাজ্যে বিরোধী দল হিসাবে লড়ছি। তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করছে একমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টি। রায়গঞ্জ বিধানসভা উপ-নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী মোহিত সেনগুপ্ত দাঁড়ানোর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বাবু বলেন, আমি মোহিতবাবুকে সম্মান করি, শ্রদ্ধা করি। তিনি ভোট কাটার জন্য এই বিধানসভা উপ-নির্বাচনে দাঁড়িয়েছেন। আমি মোহিত বাবুকে চ্যালেঞ্জ করে বলছি, দিল্লি থেকে কোনও নেতাকে নিয়ে এসে সভা করিয়ে দেখান। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একটা শব্দ বলাতে পারবেন না আপনি। আপনাদের প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী, সোনিয়া গান্ধিকে ডেকেছিলেন, সোনিয়া গান্ধি আসেননি। রাহুল গান্ধিকে ডেকেছিলেন তিনিও আসেননি। কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেগে যাবেন, ইন্ডি জোটের পিন্ডি চটকে যাবে। তাই, কংগ্রেসকে ভোট দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    কৃষ্ণ কল্যাণীকে জেতালে দেখা করতে যেতে হবে তিহার জেলে!

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, কৃষ্ণ কল্যাণী রায়গঞ্জ বিধানসভায় ৪৭০০০ ভোটে হেরেছিলেন আপনি। যারা বিধানসভায় আপনাকে জিতিয়ে ছিলেন, তাঁরা আপনাকে জয়ী করেননি, পদ্মফুলকে জিতিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের বঞ্চনার জন্য জিতিয়েছিলেন, আর রায়গঞ্জে এইমস এর জন্য জিতিয়েছিলেন। কৃষ্ণবাবু দশ বছর ধরে ইনকাম ট্যাক্স দেয়নি। ৫০ কোটি টাকা ইনকাম ট্যাক্স ফাঁকি দিয়েছেন তিনি। ভোট দিলে কৃষ্ণ কল্যানীর সঙ্গে দেখা করতে হলে তিহাড় জেলে যেতে হবে। কৃষ্ণ কল্যাণী ৩৩ লক্ষ টাকার গাছ সাপ্লাই করেছেন। ২২ টাকার আম গাছের চারা কল্যাণী বাবু ৮৫ টাকায় সাপ্লাই দিয়েছেন। ৪০ টাকা নারিকেল গাছের চারা ২৫০ টাকায় দিয়েছেন।

    রাজ্যে লোকসভায় বেশি ভোট পেয়েছে বিজেপি

    পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবঙ্গে লোকসভায় ২২ টি আসন পেলে খুশি হতাম। ১২ তে আটকে গিয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের লোকসভা ভোট গণতান্ত্রিকভাবে হয়নি। পশ্চিমবঙ্গে এবার লোকসভায় আমরা (BJP) বেশি ভোট পেয়েছি। ২০১৯ এ ২ কোটি ৩০ লক্ষ ছিল। এবারে লোকসভায় ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ভোট ভারতীয় জনতা পার্টি পেয়েছে (BJP)। ২ কোটি ৩৩ লক্ষ ২৭ হাজার ভোটে একটুকু জল মেশানো নেই। এবারের লোকসভায় পঞ্চম ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় কি হয়েছে আপনারা জানেন না। লুটের ভোট হয়েছে এবারে লোকসভায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় জোর করে জমি দখল করে ইটভাটা! দাপট দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা

    Malda: মালদায় জোর করে জমি দখল করে ইটভাটা! দাপট দেখাচ্ছেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে বসে জমি দখল করা যাবে না বলে বার্তা দিচ্ছেন। সেই নির্দেশকে অমান্য করেই তৃণমূলের লোকজনই জোর করে জমি দখল করছেন। ইটভাটা তৈরির নাম করেই গৃহস্থের জমি রীতিমতো দাদাগিরি করেই দখল করছে জমি মাফিয়ারা। আর তাতে প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে স্থানীয় তৃণমূল নেতার। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মালদার (Malda) কালিয়াচকের ভবানীপুরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    কালিয়াচক (Malda) থানার রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বালিয়াডাঙা এলাকায় বসবাস করেন প্রদীপ পোদ্দার,অমিত পোদ্দারের পরিবার। ২০২২ সালে ভবানীপুর এলাকায় ৩৫ কাটা জমি কেনেন তাঁরা। সেখানেই তাঁদের একটি কলকারখানা গড়ে তোলার পরিকল্পনা ছিল। কিছুদিন ধরেই পোদ্দার পরিবারের জমি জোর করে দখল করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কয়েকজন জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে। আর এই ঘটনায় তৃণমূল পরিচালিত রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা স্থানীয় তৃণমূল নেতা বরজাহা শেখের মদত রয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতাসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। পাশাপাশি, জমির মালিক পোদ্দার পরিবারের সদস্যরা ভূমি রাজস্ব দফতর, কালিয়াচক থানা থেকে শুরু করে পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন। কিন্তু, পুলিশ ও ভূমি রাজস্ব দফতর কোনও সহযোগিতা না করায় অবশেষে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে গিয়ে অভিযোগ জানানোর হুমকি দিয়েছেন কালিয়াচকের পোদ্দার পরিবারের সদস্যরা। প্রদীপ পোদ্দার নামে পরিবারের এক সদস্য বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলছেন যে জমি দখল করা যাবে না। সেখানে তৃণমূলের লোকজনই আমাদের জমি জোর করে দখল করছেন। আমরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছি। কিন্তু, লাভ হচ্ছে না।”

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এদিকে দলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ সামনে আসতেই রীতিমতো অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে জেল তৃণমূল   (Trinamool Congress) নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি শুভময় বসু বলেন, “অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল কোনও ভাবেই পাশে থাকবে না”। অভিযুক্ত তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা বরজাহা শেখ বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা ভিত্তিহীন।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়া প্রকাশ্যে

    Bankura: ২১ জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে বাঁকুড়ায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কাজিয়া প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি নিয়ে বাঁকুড়া  (Bankura) পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বনাম দলের ওন্দা ব্লক সভাপতির মধ্যে প্রকাশ্যে লড়াই শুরু হয়ে গিয়েছে। ব্লক সভাপতি এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিজেদের উদ্যোগে প্রস্তুতি সভা করেছেন। কিন্ত, কেউ অন্য গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের ডাকেননি। আর এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল (TMC Conflict) একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Bankura)

    বাঁকুড়ার (Bankura) ওন্দা বিধানসভা একসময় ছিল তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিধানসভাটি তৃণমূলের হাতছাড়া হলেও ২০২৩-এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলেই থাকে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে বসেন ওন্দার প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক অরুপ খাঁ-র ভাইপো অভিরূপ খাঁ। তৃণমূলে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিরূপ খাঁ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হতেই তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উত্তম বিটের সঙ্গে শুরু হয় বিবাদ। ২১ জুলাইয়ের আগে যা একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে।  জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় ওন্দায় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক ও নিজের অনুগামীদের নিয়ে ২১ শে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভা করেন ওন্দা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিরূপ খাঁ। এই ঘটনায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের ডাকা হয়নি।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    ব্লক সভাপতির কী বক্তব্য?

    তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উত্তম বিট বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রস্তুতি সভা করেছেন কি না তা তাঁর জানা নেই। দলে কোনও কোন্দল (TMC Conflict) নেই। তবে, দলের ব্লক নেতৃত্বকে বাদ দিয়ে এভাবে দলীয় কর্মসূচি করার অধিকার অন্য কারও নেই। ওন্দার সাংগঠনিক কোনও পদে না থেকেও প্রাক্তন বিধায়ক সংগঠনে অযথা নাক গলানোর চেষ্টা করছেন। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ওন্দা ব্লকে তৃণমূলের সংগঠনকে শেষ করার চেষ্টা করছেন।

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কী বললেন?

    পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অভিরূপ খাঁ বলেন, দলের ব্লক সভাপতি ২১ শে জুলাইয়ের যে প্রস্তুতি সভা করেছেন তাতে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সহ কর্মাধ্যক্ষদের কাউকে ডাকা হয়নি। তাই আলাদাভাবে আমাদের প্রস্তুতি বৈঠক করতে হয়েছে। ফলে, সভাপতির নীতি আমরা শুধু মেনে চলেছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: সরকারি দফতরে বিডিও-কে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন তৃণমূল নেত্রী! শোরগোল

    Purba Bardhaman: সরকারি দফতরে বিডিও-কে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন তৃণমূল নেত্রী! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিডিও সাহেবকে আইবুড়ো ভাত খাওয়ালেন তৃণমূল কংগ্রেসের জাঁদরেল নেত্রী। গদগদ হয়ে বিডিও আশীর্বাদ নিলেন তৃণমূল নেত্রীর। তাঁর সঙ্গে ছিলেন আর এক বিতর্কিত তৃণমূলের যুবনেতা। এরপর শোনা গেল শাঁখ-উলুধ্বনি। এই ঘটনা কতদূর নীতিসম্মত এবং কতটা রুচিসম্মত, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছেন। একে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে পূর্ব বর্ধমানে (Purba Bardhaman)।

    পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম বিডিও-র (Purba Bardhaman)

    পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের বিডিও হলেন রজনীশকুমার যাদব। তরুণ এই আধিকারিক শিগগিরই বাঁধা পড়বেন সাতপাকের বন্ধনে। তাই তড়িঘড়ি অফিস শেষে তাঁর জন্য আয়োজন করা হয় এলাহি ভোজের। ফুল, মালা, চন্দনে তাঁকে বরণ করা হয়, ছিল শঙ্খধ্বনিও। তবে সেই ধ্বনি বেশ দুর্বল ছিল। গোটা অনুষ্ঠান হয়েছে ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (বিডিএ) চেয়ারম্যান কাকলী তা গুপ্তের নেতৃত্বে। উপস্থিত ছিলেন এলাকার দাপুটে নেতা যুব সভাপতি মানস ভট্টাচার্য। এতে বিডিও সাহেবের কোনও সংকোচ ছিল না, জড়তাও ছিল না। কাকলী তা, বিডিও রজনীশ কুমার যাদবকে চন্দনের ফোঁটা দিয়ে ও ধান-দূর্বা মাথায় ছুঁয়ে আর্শীবাদ করতেই তরুণ বিডিও সাহেবকে রীতিমতো তৃণমূল নেত্রীর পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতেও দেখা গিয়েছে।

    কী বললেন বিডিও?

    সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক (Purba Bardhaman) রজনীশকুমার যাদব পুরো বিষয়টি নিয়ে আদৌ অনুতপ্ত নন। তাঁর হাবভাব হল, ডোন্ট কেয়ার, কুছ পরোয়া নেহি। তিনি মেনুর বিবরণও দিয়েছেন। ভাত, ডাল, মাছের মাথা দিয়ে বাঙালি থালিতে নানা ব্যঞ্জন ছিল। তিনি বলেন, “আমার অফিসে নয়, সমিতির পাশের ঘরে এই অনুষ্ঠান হয়েছে। আর কাকলীদেবী মায়ের বয়সী। তাই পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছি।” উল্লেখ্য বছর তিনেক আগে ২০২১ সালের ১৭ জুন পূর্ব বর্ধমানের গুসকরায় করোনা কালে কৃষি মাণ্ডিতে একটি অনুষ্ঠানে আউশগ্রামের তৎকালীন বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল দোর্দণ্ডপ্রতাপ বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করতে। সেই নিয়ে তখন কম জলঘোলা হয়নি।

    তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য

    স্থানীয় (Purba Bardhaman) তৃণমূল নেত্রী (TMC) কাকলী তা গুপ্ত অবশ্য বলেন, “আমরা সমিতির পক্ষ থেকে বিডিও-কে শুভেচ্ছা জানিয়েছি। এটা রাজনীতির কোনও ব্যাপার নয়। একসঙ্গে কাজ করার জন্য আমাদের সৌজন্য ছিল, আমাদের ভালোবাসা ছিল। তাই এই ভাবে আমরা অনুষ্ঠান করেছি। তবে এতে খারাপ কিছু নেই। বিরোধীদের কাছে কোনও ইস্যু নেই। তাই অপপ্রচার করা হয়েছে। আমি ওঁর মায়ের বয়সী, তাই প্রণাম করেছেন।”

    আরও পড়ুনঃ বিজেপি করার অপরাধে ‘মিড ডে মিলে’র রান্নার কাজ থেকে বাদ মহিলাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল

    শুভেন্দুর পোস্ট

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ভিডিয়োটি পোস্ট করে এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, “এটা অবাক করার মতো বিষয় নয় যে, রাজ্যের শাসকদল এবং প্রশাসনের (Purba Bardhaman) মধ্যে থাকা সীমারেখাটা বরাবরই অস্পষ্ট। এবার তা পুরোপুরি মুছে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বিজেপি করার অপরাধে ‘মিড ডে মিলে’র রান্নার কাজ থেকে বাদ মহিলাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল

    Murshidabad: বিজেপি করার অপরাধে ‘মিড ডে মিলে’র রান্নার কাজ থেকে বাদ মহিলাকে! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে মুর্শিদবাদের (Murshidabad) বেলডাঙা হরিমতি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলের রান্নার কাজে বাদ দেওয়া হয়েছে মহিলা কর্মীকে। প্রতিবাদে স্কুলের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে নেমেছেন এই রান্নার কর্মী। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, সবটাই পুরসভা দেখে, আমাদের এখানে কোনও ভূমিকা নেই। ঘটনায় রাজনৈতিক উত্তাপে শোরগোল পড়েছে এলাকায়।

    রান্নাকর্মীর বক্তব্য (Murshidabad)

    বিরোধী রাজনীতি করায় রাজনৈতিক হিংসার শিকার হন সাইফুন বিবি। তিনি বলেছেন, “প্রতিদিনের মতো আমি স্কুলের কাজে গেলে, স্কুলের শিক্ষিকা বলেন তোমাকে আর কাজে আসতে হবে না, তুমি পুরসভায় দেখা করে কথা বলো। আমি এলাকায় বিজেপি (BJP) করেছি, তাই আমাকে স্কুলে মিড ডে মিলের কাজ থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি চাই, যে অন্যায় আচরণ হয়েছে, তা সকলের কাছে পৌঁছে যাক। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি আমি। তৃণমূল নেতারা ষড়যন্ত্র করেছে আমার বিরুদ্ধে। আমি এখানে ১৫ বছরের ধরে কাজ করছি। এখন বর্তমানে এখানে ৮ জন কাজ করছেন। আমাকে সরিয়ে অন্য লোককে আনা হয়েছে। আমি ন্যায় বিচার চাই।”

    স্কুল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য

    স্কুলের (Murshidabad) দায়িত্বে থাকা শিক্ষিকা সাংবাদিকদের এই বিষয়ে বলেছেন, “পুরসভা থেকে আমাদের স্পষ্ট করে লোক পাঠিয়ে জানানো হয়েছে, এখানে মিড ডে মিলে রান্নার কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মধ্যে সাইফুন বিবিকে তুলে নেওয়া হল। তাঁর পরিবর্তে অন্য আরেক জন সাগরী হাজরাকে কাজে দেওয়া হল। একই ভাবে পুরসভার চেয়ারম্যানের প্রতিনিধি সৌরভ ঘোষ জানিয়েছেন, সাইফুন বিবি যেন পুরসভার অফিসে এসে দেখা করেন। এরপর আমরা সাইফুন বিবিকে পুরসভায় গিয়ে দেখা করতে বলেছি। স্কুলের মিড ডে মিলের কোনও রান্নার কাজের লোককে আমরা নিয়োগ করিনা এবং বেতনও দিই না। তাই স্কুলের কোনও বিষয় এখানে নেই।”

    আরও পড়ুনঃ রাজ্যপালের মানহানি মামলা, শুনানির দিন ঠিক করল হাইকোর্ট

    তৃণমূল চেয়ারম্যানের বক্তব্য (Murshidabad)

    বেলডাঙ্গা (Murshidabad) পুরসভার চেয়ারম্যান অনুরাধা হাজরা ব্যানার্জি বলেছেন, “এই ধরনের কর্মীরা কেউ স্থায়ী কর্মী নন। পুরসভা চাইলে পরিবর্তন করতে পারে। এসএইচগ্রুপের মধ্যে থাকা অনেকে কাজ করে থাকেন। তাঁদেরকে সময়ে সময়ে অদলবদল করে কাজ করানো হয়। কেউ ১৫ বছর ধরে কাজ করছেন! এটা বড় প্রশ্ন নয়। রাজনীতির (BJP) কোনও ব্যাপার নেই। আগামীদিনে আরও কিছু কর্মীকে পরিবর্তন করা হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে যুবককে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

    Barrackpore: বারাকপুরে যুবককে রাস্তায় ফেলে লোহার রড দিয়ে হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী

     মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আড়িয়াদহে রাস্তায় ফেলে এক যুবককে গণপিটুনি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সিংয়ের বিরুদ্ধে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার বারাকপুরে (Barrackpore) এক যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। জখম যুবক আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২ জুলাই রাতে বারাকপুরের (Barrackpore) সদর বাজার এলাকার যুবক রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। বারাকপুর উড়ালপুরের কাছে বুড়িরবাজার এলাকায় তৃণমূল কর্মী সাদ্দামের নেতৃত্বের তাঁর ওপর হামলা চালানো হয়। লোহার রড দিয়ে তাঁর মাথায় আঘাত করা হয়। সাদ্দামের সঙ্গে থাকা তার অনুগামীরাও ওই যুবককে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক পেটান। জখম যুবকের পরিবারের লোকজন বলেন, রাতেই ছেলে বাড়ি ফিরে আসছে না দেখে খোঁজ খবর শুরু করি। কিন্তু, কোনওভাবেই আমরা তার হদিশ পাচ্ছিলাম না। পরে, এক পরিচিতের মাধ্যমে জানতে পারি, বুড়িবাজার এলাকায় সাদ্দামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয়েছে। বুড়িবাজার এলাকায় এসে দেখি ও রাস্তাতেই পড়ে রয়েছে। ওর মাথা দিয়ে গল গল করে রক্ত বের হচ্ছে। যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল। আমরা সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএন বসু হাসপাতালে ভর্তি করি। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কেন এভাবে হামলা চালালো তা বুঝতে পারছি না। আমরা পুলিশের কাছে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: “এত সহজে সরানো যাবে না”, নামফলক সরাতেই শওকতকে বার্তা আরাবুলের

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, এটা ঘটনাটি বারাকপুর পুরসভার মধ্যে হয়েছে। তবে, এই পুরসভা এলাকার কেউ নয়। কারণ, জখম যুবকের বাড়ি সদর বাজারে। আর সাদ্দাম তৃণমূল (Trinamool Congress) কর্মী হলেও তার বাড়ি সদর বাজার এলাকায়। এলাকাটি উত্তর বারাকপুর পুরসভার মধ্যে পড়ে। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। হামলাকারীদের (Trinamool Congress) অবিলম্বে গ্রেফতার করার দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share