Tag: tmc

tmc

  • Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন শাসক নিরো। প্রায় একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবাংলায়ও। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বাহিনীর অত্যাচারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে, তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় একটি রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নেবেন তিনি। সেই শোয়েরই শ্যুটিং চলছে হাওড়ায়।

    শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত!

    জানা গিয়েছে, এই শোয় নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন না সেখানকার নির্যাতিতাদের কথা শুনতে। তিনি দিদি নং ১ এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত।” ‘দিদি নম্বর ১’ শীর্ষক রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিয়ে জীবন সংগ্রাম কিংবা সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেন মহিলারা। দিন কয়েক আগে রচনাকে নবান্নে দেখা যায়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি দিদি নম্বর ওয়ানে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে? এ ব্যাপারে অবশ্য রচনা কিছু বলেননি (Sukanta Majumdar)। মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রীও।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বিলিকাণ্ডে কেলেঙ্কারির জেরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থেকেও ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি শাহজাহান। পরে শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। চারজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এর পরে পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    শাহজাহান এলাকা ছাড়তেই তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সোচ্চার হন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মিটিংয়ের কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তাঁদের। পরে বাছাই করা কয়েকজনকে রেখে বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত। যাঁদের রেখে দেওয়া হত, তাঁদের হয় পার্টি অফিসে, নয় বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। যাঁরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিতেন না, তাঁদের বাড়িতে সাদা থান কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া হত। নির্যাতিতাদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার বদলে শ্যুটিং করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সুপ্রিমো।

    সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ (পড়ুন রাজ্য)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই আবহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর থানার পানিপিয়া এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম এনামুল মণ্ডল। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুলসাহেব ও তাঁর ছেলেরা পঞ্চায়েত ভোটে জোট প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই সময় থেকে চলত হুমকি। তারপর ছেলেরা কেরলে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে এনামুল তাঁর বাড়ির সামনের একটি মুদিখানা দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরেই বাঁশ, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় এনামুলকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছেন এনামুলকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা মারধর করে। পরে, এলাকা ছেড়ে ওরা পালায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, এটা গ্রাম্য বিবাদ। আর সেটাকেই রাজনীতির রং চড়ানো হচ্ছে। তাই, গ্রামের সাধারণ বিবাদের সঙ্গে যদি রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সে সব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া খুব মুশকিল। মৃত্যুর ঘটনা সমর্থন করা যায় না। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আইন আইনের কাজ করবে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে তাঁর খাসতালুক বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেন। অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরদিনই কেষ্ট গড়ে হানা দিল ইডি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূল কার্যালয়ের আগে ভূমি দফতরে ইডি (ED)

    তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির (ED) তিন আধিকারিক বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, অফিসে বসে কেষ্ট মণ্ডলের তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তাঁরা। বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ঝাঁ চকচকে দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি বছর ওই কার্যালয়ে জাঁকজমকভাবে কালী পুজো করতেন কেষ্ট। ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও চর্চা ছিল জেলা জুড়ে। এত গয়নার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন ইডি আধিকারিকরা সেই কার্যালয়ে হানা দিতেই নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির (ED) একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়, সব বিষয় নিয়ে ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রশাসন, অন্যদিকে দল। ‘জোড়া অস্ত্রে’ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘ক্ষত’ মেরামতিতে নেমেছে শাসকদল। গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বাড়ি বাড়ি ঘুরে সন্দেশখালির সাধারণ বাসিন্দাদের ক্ষোভ-অভিযোগের কথা শুনছিল। রবিবার থেকে সেখানে শিবিরও বসিয়েছে প্রশাসন। তৃণমূল টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। সমর্থন করবেন তো? সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাকি এ কথাই বলা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ উঠল শাসকদলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাধ্যম ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Sandeshkhali)

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ  দীপিকা পোদ্দারকে দেখা যাচ্ছে। তিনি সন্দেশখালির এক মহিলার বাড়ি গিয়ে বলছেন, “আপনাকে তো টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো?” এমনিতেই সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ, তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরা (শিবু)দের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। তার পর থেকেই স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমনে নেমেছে শাসকদল। উত্তম-শিবুরা যাঁদের জমির লিজ়ের টাকা দেননি বলে অভিযোগ, তাঁদের পাওনা টাকা মেটাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, তাঁরাই ভোটে সমর্থনের বিনিময়ে এইভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। যাঁদের টাকা ফেরত পাওয়ার কথা, তাঁদের টাকা ফেরত দেবে দল। সেই মতো স্থানীয়ভাবে একটি কমিটিও গঠন করেছিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, সেই দলে রয়েছেন সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার। সেই দলে দীপিকা কী করে এলেন, তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরে ধন্দ তৈরি হয়েছে। ভিডিও প্রসঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দায়িত্বপ্রাপ্ত আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ওই মহিলা সদস্যকে এ রকম কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali Incident)  গণধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা শিবু হাজরা। তৃণমূলের আর এক নেতা পলাতক শেখ শাহজাহানের সাগরেদ ছিল শিবু। শনিবার ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সন্দেশখালিকাণ্ডে গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার ধারা যোগ করেছে পুলিশ। তাতে নাম রয়েছে শিবু ও বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারের। মামলা রুজু হয়েছে খুনের চেষ্টার ধারায়ও। আগেই গ্রেফতার হয়েছিল উত্তম। এদিন ধরা পড়ল শিবুও।

    শাহজাহান কোথায়?

    তবে শনিবার সন্ধে পর্যন্ত শাহজাহানের টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। বসিরহাট পুলিশ জেলার সুপার হোসেন মেহেদি রহমান বলেন, “ন্যাজাট থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিবপ্রসাদকে (ডাক নাম শিবু। এই নামেই সবাই চেনেন শিবপ্রসাদকে)। রবিবার তাঁকে হাজির করানো হবে আদালতে।” শনিবারই আদালতে সন্দেশখালির এক বধূর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে (Sandeshkhali Incident) গণধর্ষণ ও খুনের চেষ্টার মামলা দায়ের করতে বাধ্য হয় পুলিশ। এর পরেই বসিরহাটের পুলিশ জানিয়ে দেয়, কাউকে ছাড়া হবে না। এর পরে পরেই সাংবাদিক বৈঠক করে একই কথা বলেন রাজ্য পুলিশের ডিআইজি রাজীব কুমার। এরই কিছুক্ষণ পরে গ্রেফতার করা হয় শিবুকে।

    শিবুর গুণপনা

    তৃণমূল নেতা শিবুর গুণপনার শেষ নেই। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ এই নেতা স্থানীয়দের জমি দখল করে ভেড়ি বানিয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে লিজের টাকা দিত না। তৃণমূল নেতা হওয়ায়, তাকে কেউ ঘাঁটাতেও সাহস পেতেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের বৈঠকের অছিলায় গ্রামের সুন্দরী মহিলাদের কখনও তৃণমূল পার্টি অফিসে, কখনওবা নিজের খামারবাড়িতে নিয়ে যেত শিবু। কেউ যেতে না চাইলে বাড়িতে সাদা থান পাঠিয়ে দিত। শিবুর ডাকে মহিলারা উপস্থিত হলে কিছুক্ষণ পার্টির কর্মসূচি নিয়ে কথা হত। পরে বাছাই করা (অভিযোগ, যাঁকে যেদিন মনে ধরত শিবুর) কয়েকজনকে থেকে যেতে বলত শিবু ও তার অনুগামীরা। তারপর তাঁদের ওপর হত নির্যাতন।

    আরও পড়ুুন: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    ৭ ফেব্রুয়ারির শিবুদের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন সন্দেশখালির মহিলারা। ভাঙচুর করা হয় তৃণমূলের তৎকালীন অঞ্চল সভাপতি উত্তমের বাড়ি। শিবুর বাগানবাড়ি ও মুরগির খামারও ভাঙচুর করা হয়। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় মুরগির খামারে (Sandeshkhali Incident)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মমতা দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না”, তোপ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করেন না।” শনিবার সকালে দিল্লির উড়ান ধরার আগে কলকাতা বিমানবন্দরে কথাগুলি বললেন বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    প্রসঙ্গ: বালুর মন্ত্রীত্ব

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রায় তিন মাস আগে গ্রেফতার করা হলেও, মন্ত্রীত্ব কেড়ে নেওয়া হয় শুক্রবার। এ প্রসঙ্গেই দিলীপ বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু-তিনজন ছাড়া কাউকে বিশ্বাস করতে পারেন না। উনি ভাবছেন যদি বেল পেয়ে যান জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এসে আবার মন্ত্রী হবেন। আবার কাকে করবেন, সে কি করবে, সে থাকবে না চলে যাবে এই চিন্তা-দুশ্চিন্তায় তিনি কাউকে দায়িত্ব দেন না।” বিজেপির এই সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, “কেষ্ট জেলে থাকলেও পদে থাকেন, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলে থাকলেও মন্ত্রী থাকেন। এটা তৃণমূল ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করার ধরন।”

    প্রসঙ্গ: রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    সন্দেশখালিকাণ্ডের জেরে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি তুলেছে জাতীয় এসসি কমিশন। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যেখানে পৌঁছেছে এবং টিএমসির লোকজন যেভাবে অত্যাচার করছে এর থেকে বাঁচার কোন রাস্তা নেই। যে সরকার মানুষকে সুশাসন দেবে তারা যদি লুটপাট, খুনখারাপি করে তাহলে মানুষের যাওয়ার রাস্তা থাকে না। প্রত্যেকে এখান থেকে মুক্তির রাস্তা খুঁজছেন। কেউ রাজ্যপালের কাছে যাচ্ছেন, কেউ রাষ্ট্রপতির কাছে যাচ্ছেন, কেউ কোর্টে যাচ্ছেন। দেখা যাক কোন রাস্তাটা ঠিক থাকে।”

    প্রসঙ্গ: আধার কার্ড বাতিল 

    পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরে একাধিক ব্যক্তির আধার কার্ড বাতিল প্রসঙ্গে বিজেপির এই সাংসদ বলেন, “অনেক জায়গায় চিঠি এসেছে। আমরা জানি, পশ্চিমবঙ্গে বহু ধরনের কার্ড আছে যেগুলি ভুয়ো। রেশন কার্ড, আধার কার্ড, জবকার্ড লক্ষ লক্ষ, একটা-দুটো নয়, ৬২ লক্ষ রেশন কার্ড বাতিল হয়েছে। সাড়ে ১৪ লক্ষ জবকার্ড আছে যেটা ভুয়ো, আধার কার্ড ভুয়ো। যাদের কাছে নথি নেই তাদের চিঠি দেওয়া হয়েছে, বাতিলও করছে। এ ব্যাপারে অথরিটি সঙ্গে যোগাযোগ করুন যাঁরা সমস্যায় পড়ছেন।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির অশান্তির আবহে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী! মার্চের প্রথম সপ্তাহে বারাসতে সভা?

    আধার কার্ড বাতিলকে বিজেপির চক্রান্ত বলে দাবি তৃণমূলের। এদিন সে প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শাসক দল যদি বাংলাদেশ থেকে লোক নিয়ে এসে, অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে এসে জোর করে আধার কার্ড বানিয়ে দেয়, নথি ছাড়া ভোটার লিস্টে নাম তুলে দেয়, তারা তো ভোটার হতে পারে না। সরকারের দায়িত্ব আছে বিদেশিদের আলাদা করা এবং দেশে ফেরত পাঠানো।”

    প্রসঙ্গ: কোথায় শাহজাহান

    শিবু হাজরা গ্রেফতার না হওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, “শিবু হাজরা বলুন বা শেখ শাহজাহান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সবাই জানে কে কোথায় রয়েছেন। মিডিয়াকে ইন্টারভিউ দিচ্ছেন কিন্তু পুলিশ খুঁজে পাচ্ছে না। কারণ পুলিশ ওঁদের বাঁচিয়ে রেখেছে, পুলিশই ওঁদের তৈরি করেছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হল বালুকে, গ্রেফতারির সাড়ে তিনমাস পরে পদ খোয়ালেন

    Ration Scam: মন্ত্রিসভা থেকে সরানো হল বালুকে, গ্রেফতারির সাড়ে তিনমাস পরে পদ খোয়ালেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অক্টোবর মাসে পুজোর পরে রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছিলেন। শুক্রবারই রাজ্যের বনমন্ত্রী এবং শিল্পোদ্যোগ মন্ত্রীর পদ থেকে সরানো হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Ration Scam)। শুক্রবার রাজভবন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছেন। জানা গিয়েছে, জ্যোতিপ্রিয়ের বদলে বিরবাহা হাঁসদা এবং পার্থ ভৌমিক ওই দুই দফতর সামলাবেন। রাজভবনের দেওয়া বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সংবিধানের ১৬৬(৩) অনুচ্ছেদ মেনে রাজ্যপাল জ্যোতিপ্রিয়কে রাজ্যের বন দফতর এবং শিল্পোদ্যোগ ও শিল্প পুনর্গঠনের দফতরের দায়িত্ব থেকে ‘অব্যাহতি’ দিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার জ্যোতিপ্রিয়ের বিরুদ্ধে ইডি ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছে চার্জশিট।

    বালুর মন্ত্রীপদ গেল

    বালুকে পুরোপুরি মন্ত্রিসভা (Ration Scam) থেকেই সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কিনা তা নিয়ে অবশ্য তৃণমূলের তরফে কোনও বিবৃতি সামনে আসেনি। শাসক দলের কোনও কোনও অংশ জানিয়েছে, বালুর হাত থেকে দু’টি দফতর কেড়ে নেওয়া হয়েছে। তিনি এখন দফতরবিহীন মন্ত্রী। আবার এমন প্রশ্নও উঠছে, দফতর কেড়ে নিয়ে কি বালুকে মন্ত্রিসভা থেকে সরিয়ে দেওয়ার প্রাথমিক পদক্ষেপ করা হল? প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে রাজ্যের তৎকালীন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে ইডি। পাঁচ দিনের মাথায় পার্থকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় অভিযুক্ত জ্যোতিপ্রিয়কে গত ২৬ অক্টোবর গ্রেফতার করেছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ঠিক সাড়ে তিন মাস পর মন্ত্রীপদ গেল বালুর।

    ছোট হচ্ছে তদন্তের জাল

    বুধবারই গ্রেফতার হয়েছে শঙ্কর আঢ্য ঘনিষ্ঠ বিশ্বজিৎ দাস। তদন্তে নেমে ইডি জানতে পারে গ্রেফতারির আগে এই ব্যবসায়ী বাংলাদেশে গিয়েছিলেন ৷ আর এই তথ্য সামনে আসতেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে বাংলাদেশ যোগ রয়েছে বলে মনে করছে ইডি ৷ তদন্তকারী সংস্থার সন্দেহ, বাংলাদেশ থেকে হাওয়ালার মাধ্যমে দুবাই চলে যেত টাকা। সেই লিঙ্কই এখন খুঁজছে ইডি। বালু ও শঙ্করের কালো টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতে কি ভূমিকা নিতেন বিশ্বজিৎ? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে তদন্তকারীদের মনে। পাশাপাশি ইডি-র আরও সন্দেহ এ রাজ্যের পাশাপাশি এই দুর্নীতিতে সে দেশের (বাংলাদেশ) ব্যবসায়ীরাও (Ration Scam) যুক্ত থাকতে পারেন। প্রসঙ্গত, ইডি ইতিমধ্যে আদালতে জানিয়েছে, বালুর ২০০০ কোটি টাকা শঙ্করের মাধ্যমে দুবাই পাঠানো হয়েছে, সেই টাকার একটা অংশ দুবাইয়ে গিয়ে নিয়েছিলেন বিশ্বজিৎ।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMCs Earnings: নির্বাচনী বন্ডে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের আয় কত জানেন?

    TMCs Earnings: নির্বাচনী বন্ডে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের আয় কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় দলের তকমা ঘুচেছে আগেই। শিবরাত্রির সলতের মতো টিমটিম করে কেবল একটি রাজ্যেই রাজত্ব করে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এহেন ‘ক্ষয়িষ্ণু’ একটি দলের এক বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। নির্বাচনী বন্ড থেকে তাদের আয় (TMCs Earnings) হয়েছে মোট চাঁদার ৯৭ শতাংশেরও বেশি।

    নির্বাচনী বন্ড

    ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে চাইলে নির্বাচনী বন্ড কিনতে হয়। সেই বন্ড বিক্রির দায়িত্বে থাকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার, নির্বাচনী বন্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই, শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিতে দেখা যায় তৃণমূলের মুখপাত্রকে। অথচ, গত ২ বছর ধরে, শতাংশের বিচারে এই তৃণমূল দলই সবচেয়ে বেশি আয় করেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমেই! অর্থাৎ, নির্বাচনী বন্ডের সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল তৃণমূল, আর সেই দলই কিনা এদিন নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে!

    ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’ কত পড়ল?

    জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ঝুলিতে পড়েছিল প্রায় ৪১ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫২৫ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। যা ছিল মোট আয়ের (৫৪৫ কোটি ৭৪ লক্ষ)  ৯৬ শতাংশ। ফি বছর প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে দিতে হয় আয়-ব্যয়ের হিসেব। সেই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের আয়ে উপচে পড়ছে তৃণমূলের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’।

    গত অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের আয় (TMCs Earnings) হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯৭ শতাংশই (৩২৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা) এসেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। বাকি ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে সদস্যদের চাঁদা, মুখপাত্রের গ্রাহক চাঁদা এবং অর্থসংগ্রহ কর্মসূচির মাধ্যমে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    অ-বিজেপি দলগুলির আয়

    আরেকটি আঞ্চলিক দল ডিএমকের কোষাগারে নির্বাচনী বন্ড বাবদ জমা পড়েছে মোট আয়ের ৮৬.৩০ শতাংশ। বিজু জনতা দলের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৮৩.৯৫ শতাংশ। ভারত রাষ্ট্র সমিতি এই খাতে আয় করেছে ৭১.৭১ শতাংশ টাকা। আর নির্বাচনী বন্ডে ৬৯.৫২ শতাংশ টাকা আয় করেছে ওয়াইএসআরসিপি। সব চেয়ে করুণ দশা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেসের। বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’তে যেসব আঞ্চলিক দল রয়েছে, তাদের মধ্যে বোধহয় নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে কম আয় হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দলের। এই খাতে কংগ্রেসের আয় শতাংশের হিসেবে মাত্রই ৩৭.৮০ টাকা (TMCs Earnings)।

    এবার তাকানো যাক বিজেপির আয়ের দিকে। কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের সব চেয়ে বেশি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে পদ্ম-পার্টি। অঙ্কের হিসেবে তাদের আয় (TMCs Earnings) সবচেয়ে বেশি। তবে শতাংশের বিচারে বিজেপির আয় তৃণমূলের আয়ের কাছে নেহাতই শিশু। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডে গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছে মোট আয়ের মাত্র ৫৪.৮১ শতাংশ টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Lok Sabha Election 2024: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

    Lok Sabha Election 2024: প্রথমে দেব, এবার মিমি! পদত্যাগের হিড়িক তৃণমূলের তারকা-সাংসদদের, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনীতি ছাড়তে চান! লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বুঝিয়ে বললেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী। পাঁচ বছর ধরে সাংসদ পদে রয়েছেন মিমি। যাদবপুরের মতো গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র থেকে তাঁকে টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। এবার চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতার কাছে ক্ষোভের কথা জানিয়ে চিঠি দিলেন অভিনেত্রী-সাংসদ। প্রথমে দেব, এবার মিমি! কেন তৃণমূলের একের পর এক তারকা-সাংসদ পদত্যাগ করছেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।

    মিমির চিঠি মমতাকে

    সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি পাঠান মিমি। সূত্রের খবর, চিঠিতে মিমি জানিয়েছেন রীতিমতো মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছেন তিনি। কখনও মঞ্চে, কখনও ফোনে, কখনও অন্যভাবে তাঁকে অপমান সহ্য করতে হয়েছে বলেও দাবি করেছেন মিমি। শুধু অপমান নয়, উপেক্ষাও নাকি সহ্য করতে হয়েছে তাঁকে। সেই যন্ত্রণার কথা বলে শেষ করতে পারবেন না, এমনটাও দাবি করা হয়েছে চিঠিতে। তবে, কার বিরুদ্ধে অভিযোগ মিমির? কে তাঁকে অপমান করেছেন? চিঠিতে সে কথা উল্লেখ করেননি মিমি। এরপরই বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ডাকা হয়েছিল মিমি চক্রবর্তীকে। 

    কী বললেন মিমি

    বিধানসভা থেকে বেরিয়ে মিমি জানিয়েছেন, এখনও মমতা তাঁর ইস্তফার বিষয়ে সম্মতি জানাননি। মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে সবুজ সঙ্কেত পেলে তিনি লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দেবেন। মিমি বলেন—‘‘আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়। কারণ, রাজনীতি করলে আমার মতো মানুষকে গালাগালি দেওয়ার লাইসেন্স পেয়ে যায় লোকে। আমি জেনেশুনে জীবনে কারও কোনও ক্ষতি করিনি। আমি রাজনীতিক নই। কখনও রাজনীতিক হবও না। সব সময় আমি কর্মী হিসাবে মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েছি। আমি অন্য দলের কারও বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ কথা বলিনি।’’ 

    আরও পড়ুন: আজ শুরু উচ্চমাধ্যমিক, জেনে নিন কী কী নিয়ম আছে?

    রাজ্য রাজনীতিতে নানা প্রশ্ন

    সম্প্রতি অভিনেতা দেব রাজনীতি ছাড়তে চেয়েছিলেন আর এবার মিমির গলায় একই সুর। দেবকে কোনও মতে মানাতে সক্ষম হয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু, রাজ্যের শাসক দলের তারকা-সাংসদরা কেন এমন পদক্ষেপ নিচ্ছেন? নেপথ্যে দলের এক শ্রেণির নেতাদের ‘অত্যাচার’? স্থানীয়দের প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হওয়ার জের? নাকি, দলের ভাবমূর্তি এখন তলানিতে ঠেকে যাওয়ায়, নিজেদের ভাবমূর্তি বা ব্র্যান্ড-ইমেজ বাঁচাতে ব্যস্ত এই তারকা-সাংসদরা? তৃণমূলের অন্দরে যে ক্ষোভের চোরাস্রোত বইছে, এটা কি তারই ইঙ্গিত? রাজ্য-রাজনীতিতে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এমনই নানা প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Sandeshkhali: সন্দেশখালির মহিলাদের দৈহিক গঠন ও বর্ণ নিয়ে মন্তব্য, বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ শিবু হজরা এবং উত্তম সর্দারের নারী নির্যাতন, যৌনশোষণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে গ্রামের নারীসমাজ সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে আগেই প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। কীভবে বাড়ির সুন্দরী, কমবয়সী মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে পার্টি অফিসে ‘ভোগ’ করা হত, সে কথা জানিয়ে স্পষ্টভাবে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। ইতিমধ্যে নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে গেলে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের কাছে একই বিষয়ে অভিযোগ করেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু এর মধ্যেই গ্রামবাসীদের পরিচয়, মহিলাদের দৈহিক গঠন এবং গায়ের বর্ণ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি করলেন উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সভাধিপতি তথা অশোকনগরের বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের কড়া সমালোচনা করেছে রাজ্যের বিরোধী দল।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক (Sandeshkhal)?

    তৃণমূল নেতা নারায়ণ গোস্বামী সন্দেশখালির (Sandeshkhali) প্রতিবাদী নারীদের সম্পর্কে বলেন, “একজন তফশিলি আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষকে গঠন এবং দেহের রং দিয়ে বোঝা যায়। মনে রাখবেন, একজন মানুষ কোন সম্প্রদায়ের, তা শরীরের গঠন এবং রং তথাকথিত আমরা যা বলি ফর্সা, শ্যামবর্ণ এই দেখেই কিন্তু বোঝা যায়। কিন্তু ক্যামেরার সামনে যে সব মহিলা এসেছেন, তাঁরা সকলেই ধবধবে ফর্সা। তাহলে কি তাঁরা তফশিলি জনজাতি বা আদিবাসী জনগোষ্ঠীর? যে মহিলারা সামনে এসেছেন, সকলে সিপিএমের মহিলা সংগঠনের সদস্য। যে বাচ্চাদের সামনে আনা হচ্ছে, সকলকে স্ক্রিপ্ট পড়িয়ে আনা হয়েছে। চিত্র পরিচালক এবং চিত্রনাট্যের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে সবটা। রাজ্যপালের সঙ্গে হিন্দিতে কথা বলতে দেখা গিয়েছে এক মহিলাকে। আবার সুকান্তের ধর্নামঞ্চে বোরখা পরা মহিলাকেও দেখা গিয়েছে। ওঁরা কি আদৌ সন্দেশখালির?”

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেতার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “জাতীয় তফসিলি জাতি এবং উপজাতি কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। ওঁকে গ্রেফতার করা উচিত। সন্দেশখালির অপকর্ম ধরা পড়ে গিয়েছে। রুচিহীন মন্তব্য করেছেন তিনি। জনজাতি পরিবারে জন্ম হলেই গায়ের রং কালো হতে হবে?” আবার সিপিএমের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “আদিবাসীদের পোশাক দিয়ে চেনে তৃণমূল।” পাশাপাশি আজ বৃহস্পতিবার তফশিলি জাতীয় কমিশনের ভাইস চেয়রাম্যান অরুণ হালদার সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share