Tag: tmc

tmc

  • Lok Sabha Election 2024: ১৭ লক্ষ ‘ভুয়ো ভোটার’! ২৪ ব্যাগ ভর্তি অভিযোগ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    Lok Sabha Election 2024: ১৭ লক্ষ ‘ভুয়ো ভোটার’! ২৪ ব্যাগ ভর্তি অভিযোগ নিয়ে কমিশনে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে ভুয়ো ভোটার নিয়ে ফের সরব বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বুধবার প্রায় ১৭ লক্ষ ডুপ্লিকেট ভোটারের তালিকাসহ রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিককে চিঠি পাঠিয়েছেন তিনি। এদিন বিরোধী দলনেতার নেতৃত্বে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের (Election Commission) দফতরে গিয়ে এই সংক্রান্ত তালিকা জমা দিয়ে আসে বিজেপির প্রতিনিধি দল। 

    ভুয়ো ভোটারের নথি

    নির্বাচন কমিশনের পক্ষে গত ২৫ জানুয়ারি লোকসভা নির্বাচনের সংশোধিত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় প্রায় ১৭ লাখ নাম ‘ভুয়ো’ বলে দাবি বিজেপির। একই ভোটারের নাম একাধিকবার তালিকায় রয়েছে। বিজেপির পক্ষে দাবি করা হয়েছে, দলের হিসাবে মোট ‘ভুয়ো ভোটার’-এর সংখ্যা ১৬,৯১,১৩২। বুধবার ২৪টি ব্যাগে করে দলের দাবি করা ‘ভুয়ো ভোটার’-দের তালিকা কমিশন দফতরে জমা দিয়েছে বিজেপি। সেই সঙ্গে কমিশনকে দেওয়া স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি তৃণমূলের থেকে ১৭ লাখ ভোট কম পেয়েছিল। আর ‘ভুয়ো ভোটার’-এর সংখ্যাও সমান সমান। বুধবার কমিশন দফতরে এই অভিযোগ জানাতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং দলের দুই নেতা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও শিশির বাজোরিয়া। 

    শুভেন্দুর দাবি

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘এই মেকানিজমটা মমতা ব্যানার্জি করে রেখেছেন। আমরা এটা, চুরিটাকে ধরেছি। কারণ, আমরা ভোটার তালিকাটাকে পরিষ্কার এবং পরিচ্ছন্ন চাই। পশ্চিমবঙ্গের গণতন্ত্র শেষ হয়ে গিয়েছে, পঞ্চায়েতে ১ কোটি গ্রামের মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। সন্দেশখালির যার কাছে গিয়ে আপনারা জিজ্ঞাসা করছেন – ভোট দিয়েছেন? বলছে, না…ভোট দিইনি। যতদিন মমতা, ততদিন আমাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। শেষ ১১ সালে ভোট দিয়ে তো ওনাকে ক্ষমতায় এনেছিলাম। এই ১৬ লক্ষ ৯১ হাজার ১৩২ ভোটারের ডকুমেন্ট আমরা নিয়ে এলাম, দিয়ে গেলাম।’  রাজ্যে নির্বাচন কমিশনের ফুল বেঞ্চ এলে সেখানেও এই অভিযোগ জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শুভেন্দু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shahjahan Sheikh: সন্দেশখালির ‘হাঙর’ তৃণমূলের শেখ শাহজাহান গ্রেফতার

    Shahjahan Sheikh: সন্দেশখালির ‘হাঙর’ তৃণমূলের শেখ শাহজাহান গ্রেফতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh) গ্রেফতার। রাজ্যের শাসক দলের এই ‘অপরাধী’কে ধরতে পুলিশের সময় লাগল ৫৫ দিন। শাহজাহান যে এলাকায়ই গা ঢাকা দিয়েছিলেন, তার প্রমাণ মিনাখাঁ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। গ্রেফতার করার পরেই তৃণমূলের এই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বসিরহাট কোর্ট লকআপে। আজ, বৃহস্পতিবারই তাঁকে তোলা হবে আদালতে।

    তৃণমূলের ‘ছেঁদো’ যুক্তি

    শাহজাহানকে ধরার জন্য রাজ্যকে ৭২ ঘণ্টা সময়সীমা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই মন্তব্যের দুদিন পরই গ্রেফতার সন্দেশখালির এই তৃণমূল নেতা। শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে দেরি হওয়া প্রসঙ্গে আদালতকেই দুষছে তৃণমূল। গত ২৫ তারিখে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “শেখ শাহজাহানকে ধরার ক্ষেত্রে রাজ্যের হাত বেঁধে রেখেছে বিচার ব্যবস্থা।” অভিষেকের আইনি জটিলতা মন্তব্যের বিষয়টি আদালতে উত্থাপন করেছিলেন আদালত বান্ধব জয়ন্ত নারায়ণ। সেই সময় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম বলেছিলেন, “শাহজাহানকে গ্রেফতার না করার জন্য পুলিশকে কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি। আমরা পুলিশকে বলিনি যে কাউকে গ্রেফতার করা যাবে না। ইডির মামলায় শুধু সিট গঠনের ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল (Shahjahan Sheikh)।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের জেলা সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানার গাড়ি ও হোটেল খরচ কত জানেন?

    শাহজাহান বাহিনীর (কু)কীর্তি!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিকাণ্ডে নাম জড়ায় তৃণমূলের শাহজাহানের। এর পরেই তাঁর সন্দেশখালির বাড়িতে তল্লাশি অভিযানে যান ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, শাহজাহানের অনুগামী তৃণমূল কর্মীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের বাঁচাতে গিয়ে জখম হন কেন্দ্রীয় বাহিনীর দুই জওয়ানও। তার পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তৃণমূলের এই নেতা ও তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগে সরব হয়েছেন স্থানীয় মহিলারা। নানা অছিলায় স্থানীয়দের জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে তৃণমূলের এই নেতার দলবলের বিরুদ্ধে। তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে জবকার্ডের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন স্থানীয়রা। শাহজাহান বাহিনীর কথা মতো না চললে মারধর, শ্লীলতাহানি, ধর্ষণ সহ নানা অত্যাচার করা হত বলেও অভিযোগ স্থানীয়দের। অভিযোগ, এহেন এক অপরাধী নিশ্চিন্তে ছিলেন তৃণমূলের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে। যার জেরে শাহজাহানকে গ্রেফতার করতে সময় লাগল প্রায় দু’মাস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    Sandeshkhali Incident: ‘‘মণিপুর নিয়ে শুধু কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’’, কলকাতায় এসে প্রশ্ন অর্থমন্ত্রী নির্মলার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (SandeshKhali Incident) ইডির উপরে হামলার ৫৪ দিন অতিক্রান্ত। তবুও অধরা মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। সেখানকার মহিলারা নির্যাতনের শিকার। বিরোধীদের সেখানে কথা বলতে দেওয়া হয় না। সর্বত্র আতঙ্কের পরিবেশ। এবার রাজ্যে এসে সন্দেশখালির ঘটনা নিয়ে সুর চড়ালেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন (Nirmala Sitharaman)। তিনি বলেন, ‘বলা হচ্ছে ৭ দিনে গ্রেফতার হবে শেখ শাহজাহান। তা হলে শেখ শাহজাহান কোথায়, সবাই জানে?’ লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে মহানগরে দাঁড়িয়ে নির্মলা বলেন, ‘পঞ্চায়েত ভোটে এত মৃত্যু হয়েছে। তার জবাব না দিয়ে শুধুই অন্যদের আক্রমণ। মণিপুর নিয়ে এত কথা, সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে?’

    কী বললেন নির্মলা

    জাতীয় গ্রন্থাগারের ভাষা ভবনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে নির্মলা (Nirmala Sitharaman) দাবি করেন, “ইন্ডিয়া জাস্টিস রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যের পুলিশি ব্যবস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলার তালিকায় পশ্চিমবঙ্গ প্রায় নীচের দিকে।” তিনি বলেন, ‘‘গত জানুয়ারিতে শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে কী ভাবে ইডি আধিকারিকরা উন্মত্ত জনতার দ্বারা আক্রান্ত হন। গুরুতর জখম হন। তার পরেও পুলিশ রাজনৈতিক প্রভুদের নির্দেশ মতো কাজ করে।’’ শাহজাহানের গ্রেফতার না হওয়া নিয়েও এ দিন সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন নির্মলা। তাঁর কথায়, ‘‘সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত এখনও গ্রেফতার হয়নি। প্রশাসনের ঔদ্ধত্য দেখে অবাক হতে হয়!” তাঁর অভিযোগ, “সন্দেশখালিতে ১৪৪ ধারা জারি করে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। অথচ মন্ত্রীরা যাচ্ছেন। পুলিশের আচরণ তৃণমূলের গুন্ডাদের মতো।”

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    মণিপুর প্রসঙ্গ

    রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।  মণিপুর নিয়ে তৃণমূলের ভূমিকা মনে করিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর বক্তব্য, “সন্দেশখালির (SandeshKhali Incident) কথা বলতে গিয়ে আমার গা-হাত-পা কেঁপে ওঠে। আইন শৃঙ্খলার কেমন ছবি এটি? সংসদে মণিপুর নিয়ে কত প্রশ্ন! কেন গেলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী? তিনি তো সেখানে গিয়েছেন। শিবিরে থেকেছেন। যাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দরকার, নিয়েছেন।” কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি চলতি মাসের মাঝামাঝিই সন্দেশখালির অত্যাচার নিয়ে সরব হয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক বলেছিলেন,”শুধু জমি নয়, সন্দেশখালির মহিলাদের সম্মান লুঠ করেছে তৃণমূল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    Locket Chatterjee: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়বে, আরামবাগে লকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির আওয়াজ সুনামির মতো সারা বাংলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়বে। বাংলায় যেখানে যেখানে ছোট ছোট সন্দেশখালি হয়ে আছে আগামীদিনে তা বেরিয়ে আসবে। ১লা মার্চ প্রধানমন্ত্রীর আরামবাগে জনসভার আগে মঙ্গলবার আরামবাগে দলীয় নেতৃত্বদের সঙ্গে বৈঠক করেন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় (Locket Chatterjee) । বিজেপির সাংগঠনিক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে একথা বললেন হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি লোকসভা নির্বাচনে হুগলি থেকেই তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বলে আরও একবার পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিলেন তিনি।  তিনি বলেন,  হুগলি থেকেই আমি দাঁড়াচ্ছি। হুগলি ছেড়ে কোথাও যাব না। হুগলি থেকে জিতেই আবার সংসদে যাব।

    সন্দেশখালিতে নিয়ে সরব বিজেপি সাংসদ (Locket Chatterjee)

    সন্দেশখালিতে ইডি-র ওপর হামলার পর থেকে শাহজাহান ফেরার। শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে অতিষ্ঠ থাকা মানুষ একে একে মুখ খুলছেন। জনরোষ আছড়ে পড়েছে সন্দেশখালি জুড়ে। পার্টি অফিসে ডেকে সুন্দরী মহিলাদের পর নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে গর্জে উঠেছেন মহিলারা। সন্দেশখালির এই ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ (Locket Chatterjee) বলেন, সন্দেশখালির  ঘটনা খুব দুঃখজনক।‌ সন্দেশখালিতে গণধর্ষণের মামলা রুজু করেছে পুলিশ। কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছে। সাধারণ মানুষের কাছে থেকে জোর করে জমি দখল করেছিল শাহজাহান বাহিনী। সেই জমি প্রশাসনের মাধ্যমে ফেরানো শুরু হয়েছে। এটা থেকে প্রমাণিত যে সন্দেশখালির ঘটনা সত্য। যা হয়েছে তা উস্কানি নয় এবং সত্য ঘটনাই  মহিলাদের মুখ থেকে শোনা যাচ্ছে।‌

    মুখ্যমন্ত্রী তোপ দাগলেন লকেট

    লকেট (Locket Chatterjee) বলেন, বিগত ১২বছর ধরে মহিলা মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের সুরক্ষা দেওয়ার বদলে মহিলাদের অত্যাচারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এখান থেকে মহিলা পাচার পর্যন্ত হচ্ছে। খানাকুলে একজন মহিলাকে পুলিশ মেরেছে। এটা মেনে যাও সন্দেশখালির ঘটনার পর রাজ্যের মহিলা শক্তিকে এগিয়ে আসতে হবে। এই মহিলা শক্তিই পারবে রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রীকে চেয়ার থেকে নামিয়ে আনতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    Sandeshkhali Incident: সন্দেশখালি যেতে গিয়ে গ্রেফতার ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা, হাইকোর্টে দায়ের মামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) যাওয়ার পথে আটকে দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের। গ্রেফতার করা হয় অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিকেও। এবার এই বিষয়টি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। মঙ্গলবার বিচারপতি কৌশিক চন্দর এজলাসে মামলা দায়ের করেছে দিল্লির স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। 

    কেন আটকানো হল

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি বলেন, “শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের যেতে দিচ্ছে পুলিশ, কিন্তু বাকিদের আটকানো হচ্ছে।” মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গত রবিবার সন্দেশখালি গিয়েছিল ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম। সেদিন ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির (Sandeshkhali Incident) পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়ায় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিমের সদস্যদের যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলে ছিলেন বিচারপতি নারসিমা রেড্ডি, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের যুগ্ম রেজিস্ট্রার রাজপাল সিং, ওপি ব্যাস, জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশনের কনসালট্যান্ট ভাবনা বাজাজ এবং বর্ষীয়ান সাংবাদিক সঞ্জীব নায়ক। পথেই তাঁদের আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তায় বসে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ওই প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। টেনেহিঁচড়ে তাঁদের প্রিজন ভ্যানে তোলা হয়। কেন সন্দেশখালি যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে, পুলিশের উদ্দেশে সেই প্রশ্ন করতে থাকেন তাঁরা। সেই ঘটনার প্রেক্ষিতে এবার কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করা হল।

    আরও পড়ুন: ‘দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন’’, ফের শামির পাশে প্রধানমন্ত্রী, ধন্যবাদ জানালেন পেসারও

    এর আগে জাতীয় মহিলা সুরক্ষা কমিশন থেকে শুরু করে এসসি কমিশন সন্দেশখালি (Sandeshkhali Incident) এলাকা পরিদর্শন করে। সন্দেশখালি এলাকায় যান স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। পাশাপাশি, একাধিক রাজনৈতিক দল সন্দেশখালি যাওয়ার চেষ্টা করলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁদের বাধার সম্মুখীন হতে হয়। সন্দেশখালির একাধিক জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তবে বিরোধীদের অভিযোগ, শাসক দলের নেতারা খুব সহজেই সেখানে পৌঁছে যেতে পারছেন। এলাকায় ভয়ের পরিবেশ রয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    Mamata Banerjee: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’, দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ মমতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সায়নীকে হারিয়েছিল এখানকার তৃণমূলই’ কার্যত লোকসভার ভোটের আগে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এইভাবেই আসানসোলে বিধানসভা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। জেলা তৃণমূলের কর্মীদের উপর এবার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। উল্লেখ্য গত ২০২১ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছিলেন যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ। অপর দিকে তাঁকে পরাজিত করেছিলেন বিজেপির জয়ী প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পল। মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের মধ্যেই অস্বস্থির ছায়া।

    কী বললেন মমতা (Mamata Banerjee)?

    গতকাল সোমবার পশ্চিম বর্ধমান জেলার লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি বৈঠক ছিল দুর্গাপুর সার্কিট হাউসে। বিধানসভা কেন্দ্রিক দলকে জয়ী করার লক্ষ্য মাত্রা ঠিক করা হচ্ছিল। এরপর আসানসোল দক্ষিণের কথা উঠলে জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গতবারের বিধানসভায় এই কেন্দ্রের হারকে নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কাছে সব খবর রয়েছে। জেলার তৃণমূলের নেতারা বিশ্বাস ঘাতকতা করলে কাউকেই ছেড়ে কথা বলা হবেনা।” সেই সঙ্গে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনকে নির্বাচনের সময় পিছনের সারিতে থাকার কথা বলেছেন তিনি। কারণ হিসাবে তিনি বলেন, “ওই সংগঠনের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ এসেছে আমার কানে। দলের কর্মীদের বাদ দিয়ে বিরোধী দলের কর্মীদের কলকারখানা, সরকারি-বেসরকারি জায়গায় কাজের সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। যাঁরা এমন কাজ করেছেন তাঁরা ঠিক কাজ করেননি।”

    দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ ছিলেন সায়নী

    আসানসোলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজয়ের পর সায়নী সেই সময় বলেছিলেন, “কিছু ভাল খেলা হয়েছে। কিছু খারাপ খেলাও হোয়েছে। তুমিও জানো আমিও জানি, কে ঠিক করে খেলেছে আবার কে ভুল খেলেছে। কে দলের হয়ে খেলেছে আবার কে দলের বিরুদ্ধে খেলেছে। সব থেকে বেশি কর্মীরাই জানেন।” তাই মমতার (Mamata Banerjee) মন্তব্যে তৃণমূলের অন্দরে কোন্দল স্পষ্ট বলে মনে করছে বিজেপি। মমতার স্পষ্ট বক্তব্য ছিল, “প্রত্যেকে বিধানসভার যে সব আসনে তৃণমূলের বিধায়কেরা রয়েছেন, সেই সব আসনে লোকসভা ভোটে তাঁদেরকে দায়িত্ব নিয়ে জয়ী করতে হবে দলের প্রার্থীদের। বাকি আসনের দায়িত্ব থাকবে জেলা নেতৃত্বের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    Sandeshkhali: “অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা”, বিস্ফোরক নির্যাতিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘সবার সামনে আমাকে উলঙ্গ করল, শাহজাহান-শিবু-উত্তম-সিরাজ-শঙ্কর সামনে রেখে চলত অত্যাচার।’ ঠিক এই ভাবে ফের বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নির্যাতিতা। ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা অজিত মাইতি গ্রেফতার হয়েছেন। একই ভাবে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল নেতা শঙ্কর সর্দার। প্রতিবাদী মহিলাদের আন্দোলনে ফের একবার উত্তাল গোটা এলাকা।

    উলঙ্গ করার অভিযোগ (Sandeshkhali)

    সোমাবার সকাল থেকে আবার উত্তপ্ত সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। বেড়মজুর এলাকায় ফের মহিলারা হাতে লাঠি, বাঁশ নিয়ে রাস্তায় নামেন। নির্যাতিতা, নিগৃহীত মহিলাদের ক্ষোভ ছিল শঙ্কর সর্দারের বিরুদ্ধে। যে কোনও সমস্যা মেটাতে গেলে যেতে হতো শাহজাহানের ভাই সিরাজের কাছে। তারপর চলত সেখানে যৌননিগ্রহ। গ্রামের এক নির্যাতিতার বক্তব্য, “গত বেশ কয়েক মাস আগের ঘটনা, আমাদের পরিবারে সমস্যা সমাধানের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সিরাজের কাছে। সঙ্গে ছিল অজিত মাইতি। কোষাধ্যক্ষ এবং আরও অনেক মহিলা ছিল। অত লোকের সামনে আমাকে উলঙ্গ করে দিল সিরাজেরা। সেই সময় আমি একা হয়ে গিয়েছিলাম। ভয়ে কাউকে জানাতে পারিনি। আমার পাশে কেউ এসে দাঁড়ায়নি। আমার কোলে বাচ্চা ছিল দিদির কাছে। সেই বাচ্চাকেও ব্যাপক মারধর করা হয়। পারিবারিক বিবাদ মেটানোর নাম করে আমার শ্লীতাহানি করে শঙ্কর-সিরাজেরা।”

    শঙ্করের বাড়িতে জনরোষ

    শঙ্করের গ্রেফতারে পর ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। নির্যাতিত মহিলাদের ক্ষোভের উত্তাপ গিয়ে পড়ে শঙ্করের পরিবারের উপর। বাড়িতে চলে ব্যাপক ভাঙচুর। খড়ের গাদায় লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। শঙ্করের পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এলাকার নিগৃহীতদের বক্তব্য, “আমাদের উপর যখন আক্রমণ হয় সেই সময় ওঁরা বুঝতে পারেনি অত্যাচার কাকে বলে। এবার বুঝুক।”

    অপর দিকে গতকাল বজবজে তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন শাজাহানকে গ্রেফতারে হাইকোর্টের স্থাগিতাদেশ রয়েছে। অপরে আজ সোমবার হাইকোর্ট একটি মামলার শুনানিতে স্পষ্ট হয় করে গ্রেফতারে কোনও স্থগিতাদেশ নেই। এরপর রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুনাল ঘোষ নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে জানিয়েছেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সুন্দরবনে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে চলছে ট্রলারঘাট নির্মাণ

    South 24 Parganas: সুন্দরবনে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে চলছে ট্রলারঘাট নির্মাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপে অবৈধভাবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে চলছে ট্রলারঘাট তৈরির কাজ। এলাকার মানুষের অভিযোগ এই অবৈধ কাজে নির্বিকার প্রশাসন। এলাকায় এই নিয়ে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। বিজেপির অভিযোগ শাসক দল, প্রশাসনের মদতে চোরাচালানের কাজ করছে।

    ম্যানগ্রোভ কেটে হচ্ছে নদীর গতিপথ রুদ্ধ (South 24 Parganas)

    সুন্দরবনকে (South 24 Parganas) রক্ষার্থে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে যখন প্রতিবছর কোটি কোটি টাকা খরচা করে ম্যানগ্রোভ চারা বসানোর কাজ করছে, ঠিক তখনই এক অন্য ছবি ধরা পরল কাকদ্বীপের প্রতাপাদিত্য নগর গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর গোবিন্দপুর গয়লার চক এলাকায়। নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করে তৈরি করা হচ্ছে ট্রলারঘাট। এই অবৈধ নির্মাণে এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাস বলেন, “আমি ম্যানগ্রোভ কাটিনি। আমার কাছে জায়গার সঠিক কাগজপত্র রয়েছে।” তবে এই বিষয়ে এই জায়গার বর্তমান মালিক ও স্থানীয় পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ক্যামেরার সামনে মুখ খুলতে রাজি হননি।

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    ওই এলাকায় (South 24 Parganas) পাশ থেকেই বয়ে গেছে কালনাগিনী নদী। এলাকার স্থানীয় শোভন নায়েক বলেন, “এইভাবে যদি নির্বিচারে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করা হয় তাহলে আগামী বর্ষার মরশুমে জলমগ্ন হয়ে পড়বে গোটা এলাকা। মূলত এলাকা থেকে ঢিল ছড়া দূরত্বই রয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে প্রশাসনিক আধিকারিকদের অফিস। কিন্তু তারপরেও কীভাবে দিনের পর দিন এইভাবে ম্যানগ্রোভ কেটে নদীর গতিপথ রুদ্ধ করা হচ্ছে তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    তবে এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মন্টু রাম পাখিরা এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, “কোনও রকম অবৈধ কাজ হয়ে থাকলে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেয়া হবে।” তবে স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী উজ্জ্বল দাস বলেন, “কোথায় পদক্ষেপ! প্রশাসনকে তো বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে রীতিমতো কাজ করে চলেছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিরোধী দল বিজেপির পক্ষ থেকে মথুরাপুর সাংগঠনিক (South 24 Parganas) জেলা বিজেপির সম্পাদক কৌশিক দাস বলেন, “শাসকদল ও প্রশাসনের মদত না থাকলে এমন কাজ করা যায় না, পরিকল্পিত ভাবেই টাকার বিনিময়ে চলছে। এই অবৈধ কাজকর্ম অবিলম্বে বন্ধ হওয়া প্রয়োজন। দোষীদের চিহ্নিত করে অবিলম্বে শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেককে ডেকে বজবজের এলাকাবাসী দেখালেন জমা জলের সমস্যা

    Abhishek Banerjee: অভিষেককে ডেকে বজবজের এলাকাবাসী দেখালেন জমা জলের সমস্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম হোক বা শীতকাল, সারা বছর বাড়ির সামনে জল জমে থাকে। বৃষ্টির দিনে তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মানুষের পায়ে হাঁটার মতো পরিস্থিতি থাকেনা। অনেকদিনের এই সমস্যার কথা অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। অবশেষে গতকাল রবিবার তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) ডেকে দেখালেন জল জমার সমস্যার কথা। তবে গাড়ি থেকেই দেখলেন অভিষেক এবং সেইসঙ্গে দ্রুত সুরাহার আশ্বাস দিলেন।

    মূল অভিযোগ কী (Abhishek Banerjee)?

    পেশায় স্কুল শিক্ষিকা ইন্দ্রানী মণ্ডল সমস্যার কথা জানিয়ে বলেন, “প্রায় ১৫-২০ বছরের সমস্যা। পাশের যে ট্যাঙ্ক আছে তা থেকে উপচে পড়ে জল জমে থাকে। আর এই জমা জল থেকে ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাচ্ছে। বৃষ্টির দিনে আরও ভয়ঙ্কর হয়ে যাচ্ছে। এলাকার কাউন্সিলরকে জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। সামনে ভোট তবুও সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। যখন জানলাম এখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) যাচ্ছেন, সেটা ভেবেই সমস্যার কথা জানিয়ে বললাম দেখুন কী অবস্থা। এরপর গাড়ি করে এসে দেখেন তিনি। আমাদের কথা শুনলেন। আমরাও দেখালাম সবটা। তবে তিনি আশ্বাস দিলেন সবটাই সমাধান হবে।”

    তৃণমূল কাউন্সিল কী বলেন?

    মহেশতলা স্থানীয় ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিল গোপাল সাহাকে ওই বাড়িতে যাওয়ার নির্দেশ দেন অভিষেক। তৃণমূলের সেকেন্ড ইনকমান্ডের নির্দেশ পেতেই কাউন্সিল ওই বাড়ির লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন। এই প্রসঙ্গে তৃণমূল কাউন্সিলর বলেন, “আমাদের নেতা (Abhishek Banerjee) বলেছেন দ্রুত যাতে সমস্যার সমাধান হয়। আমাদের সাংসদ কথা দিলে কথা রাখেন।”

    গতকাল বজবজ ট্রাঙ্ক রোড এবং মহেশতলায় ৪০ মিলিয়ন গ্যালন পানীয় জল সরবরাহের প্রকল্প উদ্বোধন করেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর উড়াল পুলের নিচ দিয়ে ফিরছিলেন তিনি। সন্ধ্যায় ডাকঘরের কাছে একটি বাড়ি থেকে হাত দেখালে অভিষেক থামেন এবং এরপর অনুরোধে এলাকার মানুষের কথা শোনেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা”, মহিলাদের ক্ষোভের মুখে মেয়র

    Asansol: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা”, মহিলাদের ক্ষোভের মুখে মেয়র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লাল কালিতে লিখুন কবে মিটবে জলের সমস্যা” ঠিক এইভাবেই এলাকার মানুষের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে আসানসোল (Asansol) পুরনিগমের তৃণমূল মেয়রকে। জানা গিয়েছে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা, মেয়র বিধান উপাধ্যায়কে পেয়ে এদিন ক্ষোভ উগরে দেন। এলাকায় দীর্ঘ দিনের একটা প্রধান সমস্যা হল জলের সমস্যা। যদিও মেয়র আস্বস্ত করেছেন জলের সঙ্কট মিটে যাবে।

    রক্তদান শিবিরে ক্ষোভের মুখে মেয়র (Asansol)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গতকাল রবিবার আসানসোলের (Asansol) সার্থকপুর এলাকায় একটি রক্তদানব শিবিরে যোগদান করেছিলেন মেয়র বিধান উপাধ্যায়। কিন্তু এলাকার মানুষ পানীয় জলের সমস্যার মধ্যে অনেকদিন ছিলেন আর তাই তৃণমূল মেয়রকে কাছে পেয়ে রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দেন এলাকার মহিলারা। কিন্তু মেয়র, এলাকার মানুষকে পানীয় জলের সমস্যার সমাধানের কথা বললেও মানুষের রাগকে প্রশমিত করা যায়নি। এলাকার মানুষ তীব্র স্বরে চেঁচামেচি শুরু করেন এবং বিক্ষোভ দেখান। এরপর মহিলারা বলেন, “লাল কালিতে কাগজে লিখে দিন। তারিখ লিখে দিলে তবেই বিশ্বাস করব।” একই সঙ্গে ক্ষোভ প্রকাশ করে আরও এক বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় অনেক দিন ধরে জলের সমস্যা। অনেক অভিযোগ জানিয়েও লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না। আমরা দ্রুত এলাকার সমস্যার সমাধান চাই।”

    তৃণমূল মেয়রের বক্তব্য

    মেয়র (Asansol) মানুষের ক্ষোভের মুখে নিজের মেজাজ হারিয়ে বিক্ষোভকারীদের বলেন, “সিপিএমের আমলে এই ভাষায় এভাবে মেয়র বিধায়কদের সরাসরি বলতে পারতেন? আমরা মানুষের সঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশে থাকি তাই এই ভাবে বলতে পারছেন। তাছাড়া জামুড়িয়া এলাকায় জলের সমস্যা আজকের নতুন নয়। বহু পুরাতন। বর্তমানে জলের ট্যাঙ্কারে করে জল এনে মানুষকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে। একই সঙ্গে জলের প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। এই কাজ দ্রুত শেষ হলেই এলাকার সমস্যা মিটে যাবে।” এই প্রসঙ্গে মেয়র আরও বলেন, “আমিও এলাকার মানুষ, গ্রামীণ এলাকার বিধায়ক। ফলে গ্রামের সমস্যা আমি খুব ভালো ভাবে জানি। তবে এটা কোনও ক্ষোভ নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share