Tag: tmc

tmc

  • Malda: সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    Malda: সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসহায় দরিদ্র বৃদ্ধকে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আবাস যোজনার তালিকায় নাম তুলে দেওয়ার জন্য বৃদ্ধার একমাত্র সম্বল জমানো ৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় আরও ২০ হাজার টাকার দাবি করে ওই তৃণমূল নেতা। টাকা না দিতে পারায় হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয় বলে অভিযোগে সরব হয়েছেন বৃদ্ধা। ইতিমধ্যে জেলা শাসকের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন ওই বৃদ্ধা। মূল অভিযোগ, এলাকার প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা তৃণমূল নেতা জিয়াউল হকের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) কালিয়াচক ব্লকের সাহাবানচক গ্রামের ভাগজান এলাকায়।

    বৃদ্ধার অভিযোগ (Malda)?

    ভাগজান (Malda) এলাকার সত্তর ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধা রানি বেওয়া বলেন, “আবাস যোজনার পূর্ণ চূড়ান্ত তালিকায় আমার নাম ছিল কিন্তু আমি ঘরের টাকা পাইনি। আমার নামের টাকা অন্য জনের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠনো হয়েছে। এই কাজের জন্য তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রধান আমার কাছ থেকে কাটমানি চেয়েছিলেন। সেই কাটমানির কিছুটা অংশ টাকা তাঁকে দিয়েও ছিলাম। আমার নিজের নুন আনতে পান্তা ফুরায়, স্বামী বহুদিন আগে মারা গিয়েছেন, চিন্তায় চিন্তায় আমার সংসার চলে। আমার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা চাইলে কীভাবে দেবো? আমি দিতে না পারায় আমার বাড়ির টাকা অন্য জনকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”

    তৃণমূল নেতার বক্তব্য

    এই ঘটনায় স্থানীয় (Malda) তৃণমূল নেতা জিয়াউল হক তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সকল অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, “কারো কাছে আমি কাটমানি দাবি করিনি। রানি বেওয়া নামে মালতিপুর মৌজায় কারো নামে ঘর তালিকায় ছিলনা। গোপালপুরে বনি বেওয়া নামক একজনের নাম ছিল। ঘটনা চক্রে স্বামীর নাম এক হওয়ায় গোলমাল হয়েছিল। আমি তৃণমূল করি বলে আমার উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়েছে।” ইতিমধ্যে ঘটনার কথা জানিয়ে মালদা জেলা শাসক এবং বিডিওর কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে।  


     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল! মৌসম নূরের সামনেই কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি

    Malda: ফের তৃণমূলে গোষ্ঠীকোন্দল! মৌসম নূরের সামনেই কর্মীদের তুমুল ধস্তাধস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ মৌসম বেনজীর নূর এবং বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষকে তুমুল বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় তৃণমূলেরই কর্মীরা। কার্যত পঞ্চায়েত ভোটে হার নিয়ে তৃণমূলের কর্মীরাই দলের নেতৃত্বকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। সেই সঙ্গে চলে ব্যাপক ধস্তাধস্তি এবং হাতাহাতি। তৃণমূলের অন্দরে এই বিক্ষোভকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। ঘটনা ঘটেছে মালদার (Malda) হরিশ্চন্দ্রপুরের ১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদে।

    ঘটনা কী ঘটেছিল (Malda)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার চাঁচল (Malda) বিধানসভার অন্তর্গত হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রাশিদাবাদ, বরুই কুশদা, তুলসীহাটা অঞ্চলে ১০০ দিনের জব কার্ড হোল্ডারদের তথ্য সংগ্রহ করতে বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এই সংগ্রহের জন্য রাজ্য সরকার একটি ক্যাম্পও বসিয়েছিল। এই ক্যাম্প পরিদর্শন করার কথা ছিল সাংসদ মৌসম নূর, বিধায়ক নীহার ঘোষ, রবিউল ইসলাম এবং মর্জিনা খাতুনের। কিন্তু রশিদাবাদ গ্রামপঞ্চায়েতে রবিউলের অনুগামীরা, তৃণমূল সাংসদ এবং বিধায়ককে ঘিরে ব্যাপক বিক্ষোভ দেখায়। কুশিদা এলাকায় একপক্ষ, অপরপক্ষের বিরুদ্ধে হাতাহাতিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ে। রবিউলের বক্তব্য, “দল বড় হয়েছে তাই একটি বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে কিন্তু কোনও মারামারি হয়নি।” অপরে মৌসম নূর বলেন, “আমি এই নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেবনা।”

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে হারে কোন্দল?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছ, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে চাঁচল (Malda) বিধানসভার অন্তর্গত রাশিদাবাদ, বরুই কুশিদা এবং তুলসীহাটা এই চারটি অঞ্চল শাসক দলের হাত ছাড়া হয়ে যায়। বিক্ষুদ্ধ তৃণমূলের কর্মীদের অভিযোগ, এই হারের জন্য একমাত্র দায়ী হলেন দলের বিধায়ক নীহার রঞ্জন ঘোষ এবং রাজ্যসভার সাংসদ মৌসম নূর। উল্লেখ্য এই অভিযোগকে আবার অস্বীকার করেছে জেলার নেতৃত্ব। তবে এই ভাবে দলের মধ্যেই লোকসভার আগে এই ধরনের কোন্দলে চাপের মুখে পড়েছে তৃণমূল। ঘটনায় তীব্র আক্রমণ করেছে জেলার বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির বক্তব্য চোরেদের মধ্যে টাকার ভাগ নিয়ে কোন্দল হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    Sandeshkhali: নির্যাতিত মহিলাদের নিয়ে কলকাতায় ধর্নায় বসবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার ভোটের আগে সন্দেশখালিকে (Sandeshkhali) এবার রাজ্যের রাজধানী কলকাতায় তুলে আনা হবে। তৃণমূলের অত্যাচার এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনকে আরও তীব্র করতে বিশেষ রণকৌশল বিজেপির। রাজ্যে শাসক দলের দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে, সন্দেশখালির নিপীড়িত মহিলাদের নিয়ে ধর্নায় বসবেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। নিপীড়িত মানুষের অধিকার নিয়ে টানা তিন দিন ধর্না করবেন বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালিতে তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বিরুদ্ধে হিন্দু মহিলাদের উপর যৌন নির্যাতন, এবং জোর করে জমি দখলের প্রতিবাদে জনরোষ উত্তাল হয়ে উঠেছে। কিন্তু শেখ শাহজাহান এখনও পলাতক। পুলিশের কাছে খোঁজ নেই।

    ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি হবে ধর্না (Sandeshkhali)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত টানা, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতারের দাবিতে ধর্নায় বসা হবে। ধর্মতলার গান্ধীমূর্তির পাদদেশে চলবে এই ধর্না। এই ধর্নামঞ্চে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) নিপীড়িত মানুষদের নিয়ে আসা হবে। অত্যাচারের নির্মম কথা তাঁদের মুখে উপস্থাপন করে রাজ্যের শাসক দলের উপর আরও চাপ বৃদ্ধি করা হবে। শাসক দলকে লাগাতার চাপে রাখতে বিজেপির এই কৌশল বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের রাজ্যে আসার কথা ছিল, কিন্তু আপাতত ফোকাস সন্দেশখালি এবং আগামী লোকসভার দিকেই থাকুক, সেই কথা ভেবেই তাঁর সফর বাতিল করা হয়েছে বলে মনে করা হয়েছে।

    আন্দোলনের রেশ ধরে রাখতে লাগাতার কর্মসূচি

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতাদের অতাচারের প্রতিবাদে সাধারণ মানুষের মধ্যে জনজাগরণ ঘটেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে দিল্লি সদর দফতর থেকে লাগাতার সাংবাদিক সম্মলেন করে আক্রমণ করা হচ্ছে তৃণমূলকে। ইতিমধ্যে একাধিক কেন্দ্রীয় কমিশন, এসসি, আদিবাসী, মহিলা, মানবাধিকারের মতো সংস্থাগুলি পরিদর্শনে এসেছে। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে বার বার প্রশ্ন করেছে এই কমিশনগুলি। সেই সঙ্গে বার বার চিঠি দিয়ে সন্দেশখালি সম্পর্কে রাজ্যের মুখ্যসচিব এবং ডিজিকে রিপোর্ট দিতে বলেছেন। ফলে তৃণমূল যে সন্দেশখালিকাণ্ডে বেকফুটে, সেকথা অনেক রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মনে করছেন। অপর দিকে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব চান, এই আন্দোলনকে হাতিয়ার করে রাজ্যের মমতা সরকারের বিরুদ্ধে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, রেশন বণ্টনে দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার, একশো দিনের কাজে দুর্নীতি, আবাস দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল এবং ক্যাগ রিপোর্ট সহ একাধিক বিষয়ে ব্যাপক ভাবে আন্দোলনকে আরও তীব্রতর করতে হবে। এই রাজ্যের লোকসভার আসন বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এই আন্দোলন ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আর তাই সন্দেশখালির বিষয়কে কলকাতার রাজপথে এনে আন্দোলন করা প্রয়োজন।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: খেলার মাঠের পর এবার তিনশো বিঘার জমি ফেরানোর কাজ শুরু হল

    Sandeshkhali: খেলার মাঠের পর এবার তিনশো বিঘার জমি ফেরানোর কাজ শুরু হল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহানের দখল করা খেলার মাঠের পর এবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) তিনশো বিঘার জমি ফরিয়ে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করল প্রশাসন। ভূমি এবং ভূমি সংস্কারের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, দখলকৃত জমির প্রকৃত মালিকদের চিহ্নিত করে গতকাল বৃহস্পতিবার মোট ৯ জনকে জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যদিও প্রক্রিয়াটি অনেক দীর্ঘমেয়াদী বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য, গত দেড় মাস ধরে উত্তপ্ত সন্দেশখালি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তদন্তকারী অফিসারদের মাথা ফাটানো হয়। একই ভাবে সেনা জওয়ানদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এরপর থেকে শেখ শাহজাহান এবং অনুগামীদের বিরুদ্ধে এলাকায় জমি দখল, বাড়ির বউদের তুলে নিয়ে পার্টি অফিসে ধর্ষণ করার অভিযোগে এলাকাবাসীরা ব্যাপক ভাবে সরব হয়ে ওঠেন। পুলিশ গ্রেফতার না করায় শাহজাহান-শিবু-উত্তমের বিরুদ্ধে জনবিস্ফোরণ লক্ষ্য করা যায়। শিবু হাজরার পোলট্রি ফার্মে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। একই ভাবে ঝুপখালিতে শাহজাহানের ভাই সিরাজের বিরুদ্ধেও গতকাল প্রতিবাদী হন মহিলারা। তাঁর আলাঘরেও দেওয়া হয় আগুন। যদিও শিবু-উত্তমকে পুলিশ গ্রেফতার করলেও শাহজাহান এখনও পালাতক। রাজ্যের ডিজি রাজীব কুমার সন্দেশখালি পরিদর্শন করলেও এখনও ধরা পড়েনি এই তৃণমূল নেতা।

    জমির জরিপের পর শুরু কাজ (Sandeshkhali)

    গতকাল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের দখল করা ফুটবল খেলার মাঠ প্রশাসন এলাকার মানুষের কাছে হস্তান্তর করেছে। মাঠের দেওয়ালে লেখা ‘শেখ শাহজাহান ফ্যান ক্লাব’-এর উপর চুনকাম করে মুছে দেওয়া হয়েছে। মাঠের তালা খুলে দেওয়া হয় সকলের জন্য। ইতিমধ্যেই গত বুধবার রাত থেকেই পুলিশ টহল চালিয়েছে এলাকায়। একইভাবে মাঠের জমির জরিপের কাজ শুরু করা হয়েছে। এরপর আগের অবস্থায় জমি ফিরিয়ে দেওয়ার কাজ শুরু হবে। এই ভাবেই অশান্ত সন্দেশখালির পরিস্থিতিকে শান্ত করার প্রক্রিয়া করা হবে বলে আরও মনে করা হচ্ছে প্রশাসন।

    আন্দোলনকে দমন করতে তড়িঘড়ি জমি ফেরত?

    গতকাল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তিনশো বিঘার জমির প্রকৃত মালিকের জমিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। যদিও এই জমি ফেরানোর কাজটি অত্যন্ত দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা। তবে এলাকার মানুষের দাবি “আন্দোলনকে দমন করতে তড়িঘড়ি করে এই জমি ফেরানোর কাজ করছে প্রশাসন। পুলিশ প্রশাসন, তৃণমূল নেতাদের বাঁচাতে এখন সক্রিয় হয়েছে।” সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত মোট নয়জনের জমি ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার থানার এসপি জানিয়েছেন, যাঁদের জমি কেড়ে নেওয়া হয়েছে তাঁদের জমিই ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    Sukanta Majumdar: সন্দেশখালি থানার সামনে ধুন্ধুমার, টেনে-হিঁচড়ে অবস্থান থেকে সরানো হল সুকান্তকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি থানার সামনে টানা দেড় ঘণ্টা অবস্থানের পর সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) আটক করে টোটোয় চাপিয়ে পুলিশ তাদের নৌকায় তুলল। পুলিশের অভিযোগ, ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি। এই নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। তার আগে পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্তকে নিয়ে নৌকা অনেকক্ষণ মাঝ নদীতে দাঁড়িয়ে ছিল। তাতে আলোও জ্বালানো ছিল না। ফলে তাঁকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তা নিয়ে অনেকেই সন্দিহান।

    উল্লেখ্য, আজ সন্দেশখালিতে পৌঁছান সুকান্ত। বিজেপি কর্মী বিকাশ সিং-এর বাড়িতে দেখা করে সন্দেশখালি থানায় যান তিনি। কিন্তু ঢুকতে বাধা দিলে থানার সামনে অবস্থান করেন। এরপর তিনি বলেন, “শাহজাহান শেখ গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত অবস্থান চালিয়ে যাব। প্রয়োজনে রাতভর চলবে বিক্ষোভ।” সরস্বতী পুজোর দিন যাত্রা শুরু করলেও পুলিশের বাধার সম্মুখীন হতে হয়েছিল তাঁকে। পথেই নিগ্রহের শিকার হলে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এরপর কলকাতায় চিকিৎসা করানোর জন্য তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয়। 

    কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এলাকার বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে থানার সামনে অবস্থান করে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “সংবাদ মাধ্যমে শেখ শাহজাহান-উত্তম-শিবুর নাম জেনে গিয়েছেন সকলে। ওঁরা মাথা। কিন্তু ওঁদের নিচে একটা পরিকল্পিত টিম রয়েছে। পুরো কাজ করা হয়েছে এখানে পরিকল্পিত ভাবে। এলাকার আদিবাসীদের বিঘার পর বিঘা জমি দখল করে ভেড়ি তৈরি করা হয়েছে। জমির মালিকদের জমির উপর কোনও অধিকার নেই। নিচুতলার জিয়াউদ্দিন, সিরাজ, আল্মগীর এঁরাই হলেন আসল লোক। সকল দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। ভেড়ির লিজের টাকা কোথায় যাচ্ছে, কারা আদায় করছে জানতে হবে। সাংবাদিকদের ক্যামেরা সরে গেলেই আবার ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে।”

    উলুধ্বনিতে স্বাগত সুকান্তকে (Sukanta Majumdar)

    বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির পথে যাত্রা শুরু করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশ জানায়, তাঁকে একাই যেতে হবে। নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে যেতে দেওয়া হবে না। অবশ্য এই নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। পরে অবশ্য দলের একজনকে নিয়ে যেতে পারবেন বলে অনুমতি চাইলে পুলিশ তার অনুমতি দেয়নি। এরপর একাই লঞ্চে ওঠেন। তারপরে সন্দেশখালিতে পৌঁছানোর পর তাঁকে উলুধ্বনি, শঙ্খধ্বনি এবং পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে স্বাগত জানায় এলাকার মানুষ। এরপর এলাকার নিপীড়িত মহিলাদের বক্তব্য শোনেন।

    উপসংশোধনাগারে বিজপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা

    উল্লেখ্য, সন্দেশখালি যাওয়ার আগে বসিরহাট উপসংশোধনাগারে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়া বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে যান সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রথমে তাঁকে দেখা করতে না দিলে পরে কিছুক্ষণ বিক্ষোভের পর সংশোধনাগারে প্রবেশ করেন এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন। ইতিমধ্যে পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    Sandeshkhali: শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পলাতক তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ শিবু হাজরার বিরুদ্ধে এবার দ্বিতীয় ধর্ষণের মামলা দায়ের করল পুলিশ। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূল সভাপতি ছিলেন শিবু প্রসাদ। তাঁর বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে আগেই ধর্ষণের একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিল। বসিরহাট আদালতে আজ বুধবার একটি গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মূলত আদালতে দায়ের করা হয়েছে মামলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সেই সঙ্গে আরও দুই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই নতুন অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    গত শনিবার গ্রেফতার করা হয় (Sandeshkhali)

    গত শনিবার শিবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে বসিরহাটের ন্যাজাট এলাকা থেকে। তাঁর অবর্তমানে দলের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বিধায়ক সুকুমার মাহতো। গত ছয় বছর আগে দল, শিবুকে ব্লকের সভাপতি করেছিল। এরপর থেকেই তাঁর এলাকায় আধিপত্য বৃদ্ধি হতে শুরু করে। নানা দুর্নীতি, অসামাজিক কাজের প্রত্যক্ষ মদত দিতো শিবু। এরপর এলাকার নেতা শেখ শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। অপর দিকে ইডি, শাহজাহানের সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে আক্রান্ত হতে হয়। এরপরেই জমি জোর করে দখল করা, মহিলাদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচারের অভিযোগে ব্যাপক উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা এলাকা। এরপর সেখানে শিবুর মুরগির খামারে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার ক্ষিপ্ত মানুষ প্রতিবাদে ভাঙচুর করে শিবুর বাগান বাড়িও। অবশেষে অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করে পুলিশ। আজ আবার আদালতে পেশ করলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় এলাকার মানুষ। একইভাবে তাঁকে ঘিরে ‘চোর চোর’ শ্লোগান দেওয়া হয়। কিন্তু পলাতক নেতা শাহজাহান এখনও পুলিশের কাছে অধরা।

    পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন ডিজি

    অপর দিকে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) আইন শৃঙ্খলার বিষয়কে খতিয়ে দেখতে পর্যবেক্ষণে যাচ্ছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার। তাঁর সঙ্গে থাকবেন এডিজি সুপ্রতিম সরকার এবং বসিরহাটের পুলিশ সুপার হোসেন মেহেদি রহমান। সেখানে করা হবে একধিক বৈঠক। পাঁচ জায়গায় মোট ১০টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পুলিশি নজরদারি ইতিমধ্যে বৃদ্ধি করা হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘সন্দেশখালি না গিয়ে শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত মুখ্যমন্ত্রী’, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোম যখন পুড়ছিল, তখন বাঁশি বাজাচ্ছিলেন শাসক নিরো। প্রায় একই ঘটনা ঘটছে পশ্চিমবাংলায়ও। সৌজন্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল বাহিনীর অত্যাচারে যখন অশান্তির আগুন জ্বলছে উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালিতে, তখন শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় একটি রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নেবেন তিনি। সেই শোয়েরই শ্যুটিং চলছে হাওড়ায়।

    শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত!

    জানা গিয়েছে, এই শোয় নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ঘটনাটিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ট্যুইট-বার্তায় তিনি লেখেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী সন্দেশখালিতে যাচ্ছেন না সেখানকার নির্যাতিতাদের কথা শুনতে। তিনি দিদি নং ১ এর শ্যুটিংয়ে ব্যস্ত।” ‘দিদি নম্বর ১’ শীর্ষক রিয়েলিটি শোয়ে যোগ দিয়ে জীবন সংগ্রাম কিংবা সাফল্যের কাহিনি তুলে ধরেন মহিলারা। দিন কয়েক আগে রচনাকে নবান্নে দেখা যায়। তার পরেই প্রশ্ন ওঠে, তাহলে কি দিদি নম্বর ওয়ানে অংশ নিতে তিনি গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমন্ত্রণ জানাতে? এ ব্যাপারে অবশ্য রচনা কিছু বলেননি (Sukanta Majumdar)। মুখ খোলেননি তৃণমূল নেত্রীও।

    নেপথ্য কথন

    রেশন বিলিকাণ্ডে কেলেঙ্কারির জেরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। অভিযোগ, বাড়িতে থেকেও ইডির আধিকারিকদের ঘরে ঢুকতে দেননি শাহজাহান। পরে শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। তাঁদের সঙ্গে থাকা সিআরপিএফের দুই জওয়ানও জখম হন। চারজনকেই ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। এর পরে পরেই গা ঢাকা দেয় শাহজাহান।

    আরও পড়ুুন: “১৯৭১ সালের মতো ফের ভাঙতে পারে পাকিস্তান”, বললেন আফগান মন্ত্রী

    শাহজাহান এলাকা ছাড়তেই তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে সোচ্চার হন সন্দেশখালির মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, মিটিংয়ের কথা বলে রাতে ডেকে নিয়ে যাওয়া হত তাঁদের। পরে বাছাই করা কয়েকজনকে রেখে বাকিদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হত। যাঁদের রেখে দেওয়া হত, তাঁদের হয় পার্টি অফিসে, নয় বাগান বাড়িতে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করা হত। যাঁরা তাঁদের ডাকে সাড়া দিতেন না, তাঁদের বাড়িতে সাদা থান কাপড় পাঠিয়ে দেওয়া হত। নির্যাতিতাদের আন্দোলনের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে সন্দেশখালি। সেখানে গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলার বদলে শ্যুটিং করে চলেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা (Sukanta Majumdar) তৃণমূল সুপ্রিমো।

    সত্যিই সেলুকাস, কি বিচিত্র এই দেশ (পড়ুন রাজ্য)!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
  • Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই আবহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর থানার পানিপিয়া এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম এনামুল মণ্ডল। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুলসাহেব ও তাঁর ছেলেরা পঞ্চায়েত ভোটে জোট প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই সময় থেকে চলত হুমকি। তারপর ছেলেরা কেরলে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে এনামুল তাঁর বাড়ির সামনের একটি মুদিখানা দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরেই বাঁশ, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় এনামুলকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছেন এনামুলকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা মারধর করে। পরে, এলাকা ছেড়ে ওরা পালায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, এটা গ্রাম্য বিবাদ। আর সেটাকেই রাজনীতির রং চড়ানো হচ্ছে। তাই, গ্রামের সাধারণ বিবাদের সঙ্গে যদি রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সে সব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া খুব মুশকিল। মৃত্যুর ঘটনা সমর্থন করা যায় না। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আইন আইনের কাজ করবে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    ED: মমতার জেলা সফরের পরদিনই অনুব্রতর পার্টি অফিসে হানা দিল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার মামলায় বীরভূমের “বেতাজ বাদশা” অনুব্রত মণ্ডল এখন জেলে রয়েছেন। সোমবার বিকেলে তাঁর খাসতালুক বোলপুরের নিচুপট্টি এলাকায় ইডি (ED) আধিকারিকরা হানা দেন। অনুব্রত মণ্ডল যে দলীয় কার্যালয়ে বসতেন, সেখানে হানা দিয়েছেন ইডি আধিকারিকেরা। রবিবার বীরভূমের সিউড়ি থেকে অনুব্রতের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। মুখ্যমন্ত্রীর সফরের পরদিনই কেষ্ট গড়ে হানা দিল ইডি। যা নিয়ে জেলাজুড়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    তৃণমূল কার্যালয়ের আগে ভূমি দফতরে ইডি (ED)

    তৃণমূল কার্যালয়ে যাওয়ার তার আগে ইডির (ED) তিন আধিকারিক বোলপুর মহকুমা ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়েছিলেন। সেখানে তাঁরা বিএলআরও-র সঙ্গে কথা বলেন। একটি সূত্রে খবর, অফিসে বসে কেষ্ট মণ্ডলের তৃণমূল কার্যালয় যে জমির উপর তৈরি তার কাগজপত্র দেখেন। আশপাশের জায়গার হিসাব নেন। কার্যালয়ের আশপাশের দোকানগুলি সম্পর্কেও খোঁজখবর নেন তাঁরা। বস্তুত, অনুব্রত গরুপাচার মামলায় গ্রেফতারের আগে তাঁর বাড়ির কাছে ঝাঁ চকচকে দলীয় কার্যালয় তৈরিতে খরচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। যা নিয়ে জেলা জুড়ে চর্চা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রতি বছর ওই কার্যালয়ে জাঁকজমকভাবে কালী পুজো করতেন কেষ্ট। ওই কার্যালয়ে কালীপুজোর সময় মূর্তিতে যে সোনার গয়না পরানো হয়, সে নিয়েও চর্চা ছিল জেলা জুড়ে। এত গয়নার টাকার উৎস নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। এদিন ইডি আধিকারিকরা সেই কার্যালয়ে হানা দিতেই নতুন করে ফের চর্চা শুরু হয়েছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এদিন বিকেলে তৃণমূল কার্যালয়ের সামনে ইডির (ED) একটি গাড়ি এসে দাঁড়ায়। আধিকারিকেরা গাড়ি থেকে নেমেই কার্যালয়ের মাপজোক শুরু করে দেন। ওই কার্যালয়ের বিল্ডিংয়ে বেশ কয়েকটি দোকান রয়েছে। আশপাশের দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। স্থানীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল কার্যালয় যে বিল্ডিংয়ে সেখানে দোকান ভাড়া নেওয়ার সময় কার সঙ্গে তাঁরা কথা বলেছিলেন, কে ভাড়া দিয়েছিলেন এবং ভাড়ার টাকা কাকে দিতে হয়, সব বিষয় নিয়ে ইডি আধিকারিকরা কথা বলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    Sandeshkhali: ‘‘টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে, তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো’’! বাড়ি বাড়ি গিয়ে বলছেন নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একদিকে প্রশাসন, অন্যদিকে দল। ‘জোড়া অস্ত্রে’ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) ‘ক্ষত’ মেরামতিতে নেমেছে শাসকদল। গত কয়েক দিন ধরেই তৃণমূলের প্রতিনিধি দল বাড়ি বাড়ি ঘুরে সন্দেশখালির সাধারণ বাসিন্দাদের ক্ষোভ-অভিযোগের কথা শুনছিল। রবিবার থেকে সেখানে শিবিরও বসিয়েছে প্রশাসন। তৃণমূল টাকা পাইয়ে দিচ্ছে। সমর্থন করবেন তো? সন্দেশখালির বিভিন্ন এলাকা ঘুরে স্থানীয় বাসিন্দাদের নাকি এ কথাই বলা হচ্ছে, এমনই অভিযোগ উঠল শাসকদলের প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে। একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসায় বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। মাধ্যম ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি।

    ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে? (Sandeshkhali)

    প্রকাশ্যে আসা ভিডিওতে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ  দীপিকা পোদ্দারকে দেখা যাচ্ছে। তিনি সন্দেশখালির এক মহিলার বাড়ি গিয়ে বলছেন, “আপনাকে তো টাকা পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। আপনি তৃণমূলকে সমর্থন করবেন তো?” এমনিতেই সন্দেশখালিতে শাহজাহান শেখ, তাঁর শাগরেদ উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরা (শিবু)দের বিরুদ্ধে স্থানীয়দের জমি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তা নিয়ে চলতি মাসের শুরুতে উত্তপ্ত হয়েছিল সন্দেশখালি। তার পর থেকেই স্থানীয়দের ক্ষোভ প্রশমনে নেমেছে শাসকদল। উত্তম-শিবুরা যাঁদের জমির লিজ়ের টাকা দেননি বলে অভিযোগ, তাঁদের পাওনা টাকা মেটাতে শুরু করেছে তৃণমূল। তার জন্য বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন শাসকদলের প্রতিনিধিরা। অভিযোগ, তাঁরাই ভোটে সমর্থনের বিনিময়ে এইভাবে সাহায্যের আশ্বাস দিচ্ছেন।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    গত দু’বছর ইজারার টাকা, ভেড়ির টাকা না দেওয়ার অভিযোগ আছে। যাঁদের টাকা ফেরত পাওয়ার কথা, তাঁদের টাকা ফেরত দেবে দল। সেই মতো স্থানীয়ভাবে একটি কমিটিও গঠন করেছিল তৃণমূল। দলীয় সূত্রে খবর, সেই দলে রয়েছেন সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ হালদার, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অষ্টমী সর্দার এবং তৃণমূলের এসসি-এসটি-ওবিসি সেলের নেতা মহেশ্বর সর্দার। সেই দলে দীপিকা কী করে এলেন, তা নিয়ে শাসকদলের অন্দরে ধন্দ তৈরি হয়েছে। ভিডিও প্রসঙ্গে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) দায়িত্বপ্রাপ্ত আর এক তৃণমূল নেতা বলেন, “ওই মহিলা সদস্যকে এ রকম কোনও দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share