Tag: tmc

tmc

  • Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    Dakshin Dinajpur: বালুরঘাটের যে মাঠে সভা করলেন মমতা, ইডেন গার্ডেন্সে পারবেন? প্রশ্ন ক্রীড়াপ্রেমীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। যা নিয়ে আগেই বিতর্ক তৈরি হয়েছিল বালুরঘাটে। এত মাঠ থাকার পরও কেন রঞ্জি ক্রিকেট খেলার মাঠেই সভা? এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর সভামঞ্চ খোলার পর থেকে গোটা মাঠে বিশালাকৃতির বড় বড় গর্ত নজরে এসেছে। যা নিয়ে সরব হয়েছেন জেলার ক্রীড়াপ্রেমী থেকে বিরোধীরা। শহরের ক্রীড়াপ্রেমীদের বক্তব্য, “মুখ্যমন্ত্রী কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বা যুবভারতীতে এরকম ভাবে সভা করতে পারতেন? এর প্রতিবাদ হওয়া দরকার।”

    সভার জন্য বাতিল হয়েছিল খেলা (Dakshin Dinajpur)?

    মুখ্যমন্ত্রী বালুরঘাটে (Dakshin Dinajpur) প্রশাসনিক সভা প্রথমে হওয়ার কথা ছিল শহরের টাউন ক্লাব বা ফ্রেন্ডস উনিয়ন মাঠে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সভাস্থল নিয়ে যাওয়া হয় বালুরঘাট স্টেডিয়ামে। এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভার জন্য জেলা ক্রীড়া সংস্থার বার্ষিক অ্যাথলেটিক মিট বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল। যা গত জানুয়েরির ২৯ ও ৩০ তারিখে ওই মাঠে এই খেলা ছিল। এমনকি চলতি সপ্তাহের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারিতে সিএবি-র অনূর্ধ্ব ১৬ দলের ক্রিকেট খেলা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল এই মাঠে। তাও সাময়িক ভাবে বাতিল করা হয়েছে। কিছু খেলা অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হচ্ছে।

    সভার পরেও বড় বড় গর্ত!

    বছর কয়েক আগে বালুরঘাট (Dakshin Dinajpur) স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়েছিল রঞ্জি ক্রিকেট ম্যাচ। এই মাঠে রয়েছে চারটি ক্রিকেট পিচ। মুখ্যমন্ত্রী সভার জন্য ক্রিকেট পিচে গর্ত করা না হলেও তার চারপাশ দিয়ে বড় বড় গর্ত করা হয়েছে। পাশাপাশি ভারী ভারী লরি ওই পিচের উপর দিয়ে গেছে। যার ফলে বহু অংশে বসে গেছে পিচ। যেখানে খেলা একপ্রকার সম্ভবই নয়।

    ক্রীড়া প্রেমীদের বক্তব্য

    নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বালুঘাটের (Dakshin Dinajpur) এক ক্রীড়াপ্রেমী বলেন, “আরও অনেক মাঠ বালুরঘাটে ছিল। সেগুলোতে এই সভা করা যেত। কী কারণে বালুরঘাট স্টেডিয়ামে করা হল তা বুঝতে পারলাম না। মাঠটি এই মরসুমে খেলার অনুপযোগী হয়ে গেল।” এবিষয়ে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সম্পাদক অমিতাভ ঘোষ বলেন, “জেলা প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করছেন। মাঠটি পূর্বের অবস্থা যাতে করা হয় তার আবেদন প্রশাসনের কাছে করব।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এবিষয়ে বিজেপির জেলা (Dakshin Dinajpur) সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, “জেলার একমাত্র বালুরঘাট স্টেডিয়ামে রঞ্জি ম্যাচ খেলার মত পরিকাঠামো রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এই মাঠে চলতি মরসুমে কোনও টুর্নামেন্ট করা যাবে না। জেলায় আসার পরও জেলাবাসী কিছু পেল না। অথচ যুব সমাজের চরম সর্বনাশ করে গেলেন।”

    তৃণমূলের বক্তব্য?

    অন্যদিকে, এবিষয়ে তৃণমূলের জেলা (Dakshin Dinajpur) সভাপতি সুভাষ ভাওয়াল বলেন, “সভা হবে এটাও যেমন ঠিক তেমনি মাঠটাকে পূর্বের মত করতে হবে এটাও ঠিক। জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে মাঠটি খেলার উপযোগী করার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ২ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব কোথায়? ক্যাগের রিপোর্ট দেখিয়ে প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’ লক্ষ কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। সেই টাকা কোথায় গেল? ক্যাগের রিপোর্ট তুলে ধরে মোক্ষম প্রশ্নটি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যের বকেয়া টাকার দাবিতে বুধবার থেকে রেড রোডে ধর্নায় বসছেন মুখমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সময়ই কার্যত বোমা ফাটালেন সুকান্ত।

    দুর্নীতির নয়া পন্থা

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির অভিযোগ, বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা নেওয়া হয়েছে ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে। তিনি বলেন, “দুর্নীতির এটি একটি নয়া পন্থা। সাধারণ মানুষের টাকা কোথায় গিয়েছে, তা কেউ জানে না।” বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, “কোনও প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। তা থেকেই বোঝা যায়, প্রকল্পের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছে, তা খরচ হয়েছে কোন খাতে, খরচই বা হয়েছে কত। কিন্তু ক্যাগের রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, ১.৯৫ লক্ষ কোটি টাকার কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা করা হয়নি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) দাবি, কন্টিজেন্সি ফান্ড থেকেও প্রায় তিন হাজার চারশো কোটি টাকা তোলা হয়েছে। তার মধ্যে এক হাজার ১৬৯ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র দফতর থেকে। তবে কোনও খরচেরই বিল জমা দেওয়া হয়নি।

    সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি

    সুকান্তর অভিযোগ, শিক্ষা থেকে গ্রামোন্নয়ন সব দফতরে দুর্নীতি হয়েছে। গ্রামীণ বিকাশ, নগর উন্নয়ন ও শিক্ষা দফতরে সব চেয়ে বেশি দুর্নীতি হয়েছে বলেও দাবি তাঁর। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা গৌরব ভাটিয়া। তিনি বলেন, “বাংলায় যা হয়েছে, তা মাদার অব অল স্ক্যাম।” কংগ্রেসের মনমোহন সিং সরকারের আমলে যে টু জি স্ক্যামের অভিযোগ উঠেছিল, তার সঙ্গেও বাংলার তুলনা করেছেন গৌরব।

    আরও পড়ুুন: বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠানো হল জেএমএম সুপ্রিমো হেমন্তকে

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    Purba Medinipur: তৃণমূলের সভায় বিরিয়ানির প্যাকেট পেতে হুড়োহুড়ি, ক্ষুব্ধ হয়ে সভা ছাড়লেন মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ‘সঙ্ঘবদ্ধ শপথ গ্রহণ’ কর্মসূচিতে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা গেল। অনুষ্ঠানে বিরিয়ানি বিলিকে ঘিরে ব্যাপক গোলমালের চিত্র দেখ লক্ষ্য করা গেল আজ বৃহস্পতিবার। এই সভায় রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের ভাষণের সময় টিফিন বিলিকে ঘিরে উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা সভা খালি করে খাবারের দিকে হুড়মুড়িয়ে পড়লেন। এরপর সৃষ্টি হয় ব্যাপক হট্টগোল। আর এরপর এই ঘটনায় অত্যন্ত ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে যান মন্ত্রী। ঘটনা ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) কাঁথির বীরেন্দ্র স্মৃতি সৌধে। ঘটনায় দল অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে পড়েছে তৃণমূল।

    সভায় ব্যাপক চিৎকার চেঁচামেচি (Purba Medinipur)

    এদিন কাঁথি (Purba Medinipur) সভাগৃহ ছিল কানায় কানায় ভর্তি। ঠিক ১ টায় চন্দ্রিমা ওঠেন মঞ্চে। তাঁকে মঞ্চে বরণ করা নিয়েও একপ্রকার বিশৃঙ্খলা হয়। এরপর হলে  চিৎকার চেঁচামেচি শুরু হয়। অপর দিকে তৃণমূলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি পীয়ূষকান্তি পন্ডা সকলকে শান্ত হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর চন্দ্রিমা ভাষণ দিতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত হল রাজ্যের স্বাস্থ্য সাথীর নকল। আয়ুষ্মান ভারত কার্যকর হলে মাত্র ৭০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন। আর স্বাস্থ্য সাথী প্রকল্পে আড়াই কোটি মানুষ সুবিধা পাচ্ছেন।” এরপরই টিফিনের জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় সভাস্থলে। যদিও মাইকে বলা হয় সকলের জন্য খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু বিশৃঙ্খা আরও চরমে উঠে যায়। এরপর ভাষণের মাঝ পথেই রেগেমেগে আসন ছেড়ে বেরিয়ে যান রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিজেপি কাঁথি (Purba Medinipur) সাংগঠনিক জেলার সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রশেখর মণ্ডল বলেন, “তৃণমূলের সভায় ভাষণ শোনায় মন নেই। টাকা দিয়ে টিফিনের লোভ দেখিয়ে তৃণমূল নিজেদের মহিলা সভায় লোক ভরার কাজ করছে।” পালটা তৃণমূলের জেলা সভাপতি রাজিয়া বিবি বলেন, “আশাতীত ভিড় হয়েছিল সভায়। তবে অনেকে বসার আসন দেওয়া সম্ভব হয়নি। অনেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রেখেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরই তৃণমূলে ধস, নিশীথের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদানের ঢল

    Cooch Behar: মুখ্যমন্ত্রী যাওয়ার পরই তৃণমূলে ধস, নিশীথের নেতৃত্বে বিজেপিতে যোগদানের ঢল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে (Cooch Behar) মুখ্যমন্ত্রী জেলা থেকে প্রস্থান করতেই যেন ধস নামলো তৃণমূলে। লোকসভা ভোটের আগেই বিজেপিকে আরও শক্ত করতে দলে দলে তৃণমূল কর্মীরা যোগদান করলেন বিজেপিতে। এই যোগদান সভায় বিশেষ নেতৃত্ব দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক।

    বিজেপির পার্টি অফিসে যোগদান (Cooch Behar)

    তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহারের (Cooch Behar) রাসমেলা ময়দানে একাধিক প্রকল্পের কথা যখন ঘোষণা করে গেলেন। সেই সঙ্গে ২১০ টি রাজবংশী বিদ্যালয়ের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করে গেলেন তিনি। আর ঠিক তার পরেই ২৪ ঘণ্টা ঘুরতে না ঘুরতেই তাঁর সভাস্থল থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিজেপির পার্টি অফিস থেকে দেশের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে কোচবিহার পৌরসভার ৫, ১৫, ১৬, ১৯, ২০ নম্বর ওয়ার্ড থেকে একাধিক তৃণমূলকর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন। একই সঙ্গে কোচবিহার শহর লাগোয়া মধুপুরগ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সহ পঞ্চায়েত সদস্য এবং মধুপুর অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতৃত্বের একাধিক কর্মী-সমর্থকরা এদিন বিজেপিতে যোগদান করতে দেখা গেল।

    কোন কোন তৃণমূল নেতা যোগ দিলেন(Cooch Behar)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ মঙ্গলবার কোচবিহারের (Cooch Behar) মধুপুর অঞ্চলের উপপ্রধান তথা অঞ্চলের তৃণমূলের চেয়ারম্যান যোগেশচন্দ্র বর্মন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলেন। সেই সঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য দীপ্তি রায়, সাধারণ সম্পাদক দীপক রায়, মধুপুর অঞ্চলের ভাইস প্রেসিডেন্ট জাহাঙ্গীর আলম-এর সাথে আরও একাধিক তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা বিজেপিতে যোগদান করেন। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এক নেতা বলেন, “১৯৯৮ সাল থেকে আমি তৃণমূল করি। কোনও রাগের জায়গা থেকে দল ছাড়ছি না। কাউর প্রতি কোনও দোষারোপ করব না। বিজেপি একটি সর্ব ভারতীয় দল। ভারতে গত এক দশক ধরে শাসন করছে এই দল। তাঁদের উন্নয়নের কাজে আমি খুশি। আঞ্চলিক দলের হয়ে আর কাজ করব না। এবার জাতীয় দলের সৈনিক হয়ে কাজ করবো। আজ আমরা মোট ১৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য যোগদান করলাম। আগামী দিনে আরও অনেক মানুষ যোগদান করবে।”

    কী বলেন নিশীথ প্রামাণিক?

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক কোচবিহারে (Cooch Behar) এদিন বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ ভাওতাবাজি দিয়ে গিয়েছেন। মানুষ এই ভাওতার প্রকল্পগুলিকে গ্রহণ করেনি। সাধারণ মানুষ বিজেপির সঙ্গে আছেন এবং থাকবেন। কোচবিহার থাকে আলিপুরদুয়ার পর্যন্ত সকল স্থানে মানুষ তৃণমূলকে আগামী লোকসভার ভোটে উচিত জবাব দেবেন। একই ভাবে ২০২৬ সালের বিধানসভার নির্বাচনে তৃণমূল দলটা পুরোপুরি উঠে যাবে। এই সরকারের দুর্নীতি এবং অগণতান্ত্রিক আচরণ মানুষের হিতের বিপরীত।”  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    Malda: “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরবেন”, উস্কানি দিলেন তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের বালুরঘাটের প্রাক্তন সাংসদ অর্পিতা ঘোষের ফের বিজেপি সাংসদকে উস্কানি মূলক মন্তব্য করলেন। সোমবার মালদার (Malda) টাউনহলে এক প্রকাশ্য সভামঞ্চ থেকে তিনি বলেন, “বাড়িতে ঢুকলে বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুকে চেপে ধরে রাখবেন।” পালটা মালদা উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেনবাবু বলেন, “তৃণমূল কেন বাংলায় এতো চুরি করেছে সেই কৈফিয়ৎ মানুষ চাইবে।” এই তৃণমূল নেত্রীর হুমকির বক্তব্যে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে জেলায়।

    ঠিক কী বলেন তৃণমূল প্রাক্তন সংসদ (Malda)

    তৃণমূল প্রাক্তন সংসদ অর্পিতা ঘোষ মালদার (Malda) টাউন হলে এদিন বলেন, “একদম বিজেপি সাংসদদের চেপে ধরবেন। বাংলার প্রতিটি মেয়েদের কাছে মায়েদের কাছে এই বার্তা তুলে ধরবেন। ১৫ লক্ষ টাকা না দিলে, বাড়িতে ঢুকলে বেরোতে দেবেন না। অনেক হয়েছে, বড় বড় কথা বলেছেন। কোন সুবিধা মেয়েদের দিয়েছেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো আজ পর্যন্ত এই ভারতবর্ষে মেয়েদের এতখানি সম্মান কেউ দেননি। এই বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। দেশের অর্থনীতি কোথায় গিয়ে পৌঁছেছে। আমরা যাতে বুঝতে না পাড়ি তাই ধর্মের সুড়সুড়ি দিয়ে যাচ্ছে। মানুষকে ধর্মের আফিম খাইয়ে গন্ডগোল লাগিয়ে কেবল সুবিধা নিতে চাইছে। বাংলার মেয়েরাই বিজেপিকে আটকাবে, বোঝাবে কত ধানে কত চাল।”

    আর কী বললেন?

    তৃণমূল নেত্রী অর্পিতা মেয়েদের অধিকার প্রসঙ্গে মালদায় (Malda) আরও বলেন, “সংসদের নতুন বাড়ি হল, সাধু-সন্তরা যজ্ঞ করলেন। অপর দিকে দলিত বলে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে ডাকা হল না। রাম মন্দিরের উদ্বোধন করলেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। একটা গ্যাস দিয়ে ছিলেন ঢাক পিটিয়ে কিন্তু এখন এতো দাম যে কিনতেই পারছি না। গ্যাসের দাম এখন হাজার টাকা।”

    বিজপির বক্তব্য

    তৃণমূল নেত্রীর এই উস্কানি মূলক মন্তব্যের বিরুদ্ধে উত্তর মালদার (Malda) বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু তৃণমূলের সমালোচনা করে বলেন, “বাংলায় তৃণমূল নেতারা এতো চুরি করেছে যে মানুষ এবার হিসাব চাইবে। কেন্দ্রের টাকা লুট করেছে তৃণমূলের নেতারা। মানুষ হিসেব চাইবে তাই আগে থেকে বুঝতে পেরে অন্যের উপর দায় চাপানো হয়েছে। আসলে তৃণমূলের নেতারাই তাঁদের উপর বিরক্ত হয়ে আছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “যাঁদের খাবার জুটতো না, তাঁদের আজ তিনতলা বাড়ি”, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    Murshidabad: “যাঁদের খাবার জুটতো না, তাঁদের আজ তিনতলা বাড়ি”, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অনেক কাউন্সিলর আছেন, যাঁরা দোতলা, তিনতলা বাড়ি করেছেন। অথচ তাঁদের বাড়িতে একটা সময় খাবার জুটতো না। তার মানেই তাঁরা দুনম্বরি করেছেন। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করব। আমি তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।” আজ রবিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রঘুনাথগঞ্জে তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন নিজের কার্যালয় থেকে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়কের মুখেই শোনা গেলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের দুর্নীতির কথা। ফের চরম অস্বস্তির মধ্যে তৃণমূল। 

    তৃণমূল মানুষকে শোষণ করে (Murshidabad)

    রঘুনাথগঞ্জে (Murshidabad) জাকির হোসেন নিজের কার্যালয়ে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে একটি বৈঠক করেন। তিনি দলের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “আমি না থাকলে দলের অনেক মেম্বার হেরে যেতেন। এই সব তৃণমূল নেতাদের ৫০০, ১ হাজার ভোট পাওয়ার ক্ষমতা ছিল না। কারণ তাঁরা মানুষকে কেবল শোষণ করেন।”

    রাজ্যে তৃণমূল সরকারের কয়লা, বালি, গরু, মাটি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, সমবায়ের টাকা নয়ছয়, পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি, মিড-ডে-মিল, আম্ফান, যশ, চাল, ত্রিপল, আবাস, রেশন দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীরা বারবার সমালোচনা করেছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই, ইডি করছে। রাজ্যের শাসক দলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতা ইতিমধ্যেই জেলে বন্দি রয়েছেন।

    বিজপির বক্তব্য

    জঙ্গিপুরের (Murshidabad) এই তৃণমূল নেতার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি জয়দেব দাস বলেন, “বিধায়ক জাকির হোসেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের উপস্থিতিতে এই কথা বলেছেন। পুরসভা থেকে পঞ্চায়েত সর্বত্র তৃণমূল দুর্নীতিগ্রস্থ নেতাদেরকে কেবলমাত্র টিকিট দেয়। আর এরপর তাঁরাই সাধারণ মানুষের অধিকার লুট করে শোষণ করেন। কিছু দিন আগে তিনি নিজেই পুরপ্রধানের বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। আজ তিনি তাঁর সঙ্গে একমঞ্চে মিটিং করছেন। তিনি একদিকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছেন, আবার পরক্ষণেই দুর্নীতিগ্রস্থ তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে কথা ঘোরাফেরা করছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূলের দেবরাজ-বাপ্পাদিত্যের

    Recruitment Case: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই দফতরে হাজিরা তৃণমূলের দেবরাজ-বাপ্পাদিত্যের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) পেয়েছিলেন সিবিআইয়ের সমন। সেই মতো আজ, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে হাজির হলেন তৃণমূল নেতা দেবরাজ চক্রবর্তী। তিনি বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর। তাঁর আরও একটি পরিচয় রয়েছে। তিনি কীর্তন শিল্পী তথা তৃণমূল বিধায়িকা অদিতি মুন্সীর স্বামী। দেবরাজের পাশাপাশি তলব করা হয়েছিল তৃণমূলের আর এক নেতা কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তকেও। হাজিরা দিয়েছেন তিনিও। দুই তৃণমূল নেতাকেই এদিন কলকাতার সিবিআই দফতর নিজাম প্যালেসে হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সিবিআই দফতরে দেবরাজ-বাপ্পাদিত্য

    নভেম্বর মাসে দেবরাজের বাড়িতে (Recruitment Case) তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। তাঁর স্ত্রী বিধায়িকা-কীর্তনশিল্পী অদিতির গানের স্কুলেও তল্লাশি চালানো হয়। উদ্ধার হয় টেটের কয়েকটি মার্কশিট ও বদলির আবেদনপত্র। বাপ্পাদিত্যের বাড়িতেও মিলেছিল নিয়োগ সংক্রান্ত নথি। সিবিআই সূত্রে খবর, দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যের ঠিকানায় চালানো তল্লাশিতে যেসব নথি উদ্ধার হয়েছিল, সেগুলি বিশ্লেষণ করার পরেই তলব করা হয়েছে তৃণমূলের এই দুই নেতাকে। এই নথি ধরেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁদের। দেবরাজ বলেন, “বুধবার নোটিশ দিয়ে বৃহস্পতিবার ডাকা হয়েছে। ২৪ ঘণ্টাও সময় দেওয়া হয়নি। তবে আমি তদন্তে সহযোগিতা করব।”

    নিয়োগের এজেন্ট ছিলেন এই তৃণমূল নেতারা!

    সিবিআই সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআই কলকাতা হাইকোর্টে যে রিপোর্ট জমা দিয়েছে, তাতে নাম রয়েছে দেবরাজ ও বাপ্পাদিত্যের। রিপোর্টে এঁদের নিয়োগ কেলেঙ্কারির এজেন্ট হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এজেন্ট হিসেবে নাম রয়েছে মহিদুল আনসারি, জফিকুল ইসলাম, সজল কর ও সৌরভ ঘোষের। তৃণমূলে দেবরাজের উত্থান রকেটের গতিতে। এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের পূর্ণেন্দু বসুর আপ্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করতেন। পূর্ণেন্দুর সুপারিশে বিধাননগর পুরসভা নির্বাচনে প্রার্থী হন তিনি। পরে মেয়র পারিষদের সদস্য করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতই মিত্র দেশ’’, যৌথ বিবৃতি জারি মলদ্বীপের দুই প্রধান দলের

    বাপ্পাদিত্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ। পার্থ যে সংস্থায় চাকরি করতেন, সেখানেই কাজ করতেন বাপ্পাদিত্যও। পার্থর হাত ধরেই রাজনীতিতে এসেছিলেন তিনি। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজনৈতিক সম্পর্ক ছাড়াও বাপ্পাদিত্যের সঙ্গে পার্থর আর্থিক লেনদেনের সম্পর্কও ছিল (Recruitment Case)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: বকেয়া ডিএ, চলছে আমরণ অনশন, রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপের আর্জি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: বকেয়া ডিএ, চলছে আমরণ অনশন, রাজ্যপালকে হস্তক্ষেপের আর্জি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ন্যায় দিতে হবে ডিএ (DA Issue)। মমতা সরকারের কাছে এই দাবি জানিয়ে আন্দোলনে রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন চারজন আন্দোলনকারী। এবার এ বিষয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যপাল এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করুন বলে আবেদন জানান তিনি। সমাজ মাধ্যমে এ কথা জানিয়েছেন তিনি।

    রাজ্যপালকে চিঠি

    সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের চারজন সরকারি কর্মচারী গত কয়েকদিন ধরে বকেয়া ডিএ-র (DA Issue) দাবিতে আমরণ অনশনে বসেছেন। মঙ্গলবার সেই অনশন মঞ্চে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের যন্ত্রণা দেখে এবার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি লিখলেন তিনি। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধানকে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ করার জন্য আবেদন জানান শুভেন্দু। এক্স হ্যান্ডেলে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, ‘সংগ্রামী যৌথমঞ্চের চারজন সদস্য আমরণ অনশনে বসেছেন। তাঁরা কেন্দ্রের হারে রাজ্যের কাছে ডিএ-র দাবি করেছেন। আমি এ নিয়ে রাজ্যপালকে চিঠি লিখেছি।’

    শুভেন্দু রাজ্যপালকে জানান, ডিএ (DA Issue) আন্দোলনকারীদের অনশন চলছে। তাই বিষয়টি দেখুন রাজ্যপাল। যেহেতু অনশন অবস্থান, ফলে চারজনের শারীরিক অবস্থাও বিশেষ নজরে রাখা দরকার। যে কোনও সময় অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন তাঁরা। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, একটি মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা দরকার। সেখানে চিকিৎসক, নার্সরা থাকবেন। যাঁরা নিয়মিত অনশনকারীদের স্বাস্থ্যের অবস্থার নজরদারি চালাবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: বাংলার পর পাঞ্জাবেও ধাক্কা খেল কংগ্রেস, ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল স্পষ্ট

    Indi Alliance: বাংলার পর পাঞ্জাবেও ধাক্কা খেল কংগ্রেস, ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটে (Indi Alliance) ফের ধাক্কা। তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার আপ। বাংলার পর পাঞ্জাব। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে পাঞ্জাবে জোট করবে না আম আদমি পার্টি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন, পাঞ্জাবের ১৩ টি লোকসভা আসনের জন্য ইতিমধ্যেই ৪০ জন প্রার্থীর নাম স্থির করেছে আপ। এরপর এখান থেকে শেষ ১৩ জনকে বেছে নেওয়া হবে। আপের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। 

    বাংলার পর পাঞ্জাব

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন বঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। আপের এই সিদ্ধান্তের ফলে কংগ্রেস শিবির যে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জোট হবে কী হবে না তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। কিন্তু কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি একাই লড়বেন। অর্থাৎ বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডি’ জোট (Indi Alliance) বাংলায় ধাক্কা খেল। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, পাঞ্জাবেও একা লড়াই করার কথা ঘোষণা করে দিল আম আদমি পার্টি। বুধবার মান রীতিমতো ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে আপ পঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে না। কারণ, পঞ্জাবে কংগ্রেসই আম আদমি পার্টির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। দুই প্রধান বিরোধী দল পঞ্চনদের রাজ্যে জোট করলে সুবিধা পেয়ে যাবে সুরজিৎ সিং বাদলের অকালি দল এবং বিজেপি। সেটা হতে দিতে চান না আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব। জানা গেছে, ১৩ টি লোকসভা আসনেই তারা প্রার্থী দেবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে। 

    আরও পড়ুন: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    নড়বড়ে ইন্ডি জোট

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর পাঞ্জাবে আপ একক লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এর ফলে বড় নড়বড়ে হয়ে গেল ইন্ডি জোট (Indi Alliance)। কেন্দ্রে শক্তিশালী বিজেপি সরকারের সামনে এই জোট খুব একটা দাঁড়াতে পারবে না বলেও অভিমত অনেকের। যে জোটে শুরু থেকেই একে অপরের সঙ্গে সমঝোতা হয় না তারা একমত হয়ে ভবিষ্যতে দেশ চালাতে পারবে না এমন ভাবনা অমূলক, বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। বিরোধীদের নিজেদের মধ্যেই বিরোধিতা প্রতিদিনই চোখে পড়ছে দেশবাসীর। আসন বন্টন তো বিরোধী জোটের গলার কাঁটা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Distribution Case: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    Ration Distribution Case: রেশন বিলি মামলায় শঙ্করের ভাই মলয়কে ফের তলব ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Ration Distribution Cas) মামলায় এবার তলব তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যের ভাই মলয়কে। মঙ্গলবার সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয় তাঁকে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান শঙ্করের যে সংস্থার হাতফের হয়ে রেশন কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করা হত, তার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন মলয়। শুধু তাই নয়, মলয়ের স্ত্রী তানিয়া বনগাঁর মিল মালিক কালিদাস সাহার ভাগ্নি।

    আঢ্য ফোরেক্স

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। গ্রেফতার করা হয়েছে শঙ্করকেও। এবার তলব করা হয়েছে তাঁর ভাইকেও। জ্যোতিপ্রিয় ছাড়া রেশন কেলেঙ্কারির যে ২০ হাজার কোটি টাকা শঙ্কর মারফত বাংলাদেশ ও দুবাইয়ে পাচার হয়েছে, তার মধ্যে কালিদাসের টাকাও রয়েছে বলে অনুমান ইডির। তৃণমূল নেতা শঙ্করের বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থার নাম ‘আঢ্য ফোরেক্স’। এই (Ration Distribution Cas) সংস্থার ডিরেক্টর মলয়। ‘ত্রিনয়নী ফোরেক্স প্রাইভেট লিমিটেড’ নামে শঙ্করের আরও একটি বিদেশি মুদ্রা বিনিময় সংস্থা রয়েছে। মলয়ের স্ত্রী তানিয়ার নাম রয়েছে এই সংস্থায়। শঙ্করের একটি ভুয়ো সংস্থাও ছিল। ‘অঞ্জলি আইসক্রিম প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের ওই জাল সংস্থায় নাম ছিল সস্ত্রীক মলয়ের।

    বিদেশে পাচার হাজার হাজার কোটি টাকা 

    ইডি জেনেছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় জ্যোতিপ্রিয়র হাজার হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে শঙ্করের মুদ্রা বিনিময় সংস্থার মাধ্যমে। এই টাকার পরিমাণ ৯ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে দু’ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ‘আঢ্য ফোরেক্স’ মারফত। এর আগে তিনবার ইডি তলব করেছে মলয়কে। প্রতিবারই হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। এদিন ফের একবার তাঁকে ডেকে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে খবর, মলয় এদিন ইডির সমন উপেক্ষা করলে অন্য ব্যবস্থা নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: দুয়ারে লোকসভা ভোট, মোদিকে দিয়ে শতাধিক সভা করাতে চাইছে বিজেপি

    শঙ্কর গ্রেফতার হওয়ার পরে পরেও তাঁর মেয়ে ঋতুপর্ণাকে তলব করেছিল ইডি। প্রায় ছ’ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। তবে ইডির জেরা-পর্বে তাঁকে কী কী প্রশ্ন করা হয়েছে, তা বলেননি ঋতুপর্ণা। ঋতুপর্ণার পর এবার সমন গেল তাঁর কাকু মলয়ের কাছে (Ration Distribution Cas)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share