Tag: tmc

tmc

  • Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিভি দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের এক তৃণমূল নেতার ছেলে। এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে খোঁজ করে না পেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ধর্ষণের প্রতিবাদে এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইলেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল। 

    মূল অভিযোগ কী(Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর সোমাবার ১৩ বছরের এক নাবালিকা, পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। সেই সময় এক যুবক ওই নাবালিকাকে জোর করে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এলাকার একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়িতে। এরপর ওই নির্জন বাড়িতে শারীরিক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী দেখে ফেলেন, কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে আটকানোর চেষ্টা করলে উলটে হুমকি দেয় যুবক। এরপর গত মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত যুবক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলনেতা

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বাবা তৃণমূলের নেতা। এরপর আজ বুধবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে এলাকার মানুষ গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গেলে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও পৌঁছান। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণকরা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দুস্কৃতীরা দলের নাম ভাঙিয়ে খারাপ কাজ করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজদের উদ্দেশ্যকে পূরণ করে।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (Hooghly) অঞ্জনা দাস বলেন, “অভিযুক্তরা চার ভাই, ওরা পাড়ায় একদম ভালো ব্যবহার করেনা।” আবার অভিযুক্তের বাবা বলেছেন, “আমার পরিবার রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হচ্ছে। আমি আগে কংগ্রেস করতাম, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কাজে থাকি। আমার ছেলে অন্য রাজ্যে কাজ করে। এখন বাড়িতে এসেছে। একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত। ওর সামনেই বিয়ে। চক্রান্ত করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর তৃণমূল মন্ত্রীপুত্রের হামলা, শোরগোল

    Cooch Behar: বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর তৃণমূল মন্ত্রীপুত্রের হামলা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের মন্ত্রী, নেতা-নেত্রী এবং কর্মীরা বিরোধী দলের সমর্থকদের উপর আক্রমণ হামলার ঘটনার কথা বার বার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। রাজ্যে যে বিরোধীদের মত প্রকাশ এবং গণতন্ত্রর অধিকার নেই এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে সায়ন্তন এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে কোচবিহার (Cooch Behar) পুলিশের কাছে মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্তনন মন্ত্রীপুত্র।

    ঘটনা কীভাবে ঘিটেছে (Cooch Behar)?

    গত শুক্রবার দিনহাটার (Cooch Behar) ঝুড়িপাড়ায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের একটি দল বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করে। জানা গিয়েছে, বিজেপি মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথের বাড়িতে বৈঠক চলাকালীন সেখানে আচমকা হামলা করে তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর মণ্ডল সভাপতিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এই হামলার পিছনে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেন মন্ত্রীপুত্র। অবশ্য জেলা কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির তরফ থেকে জেলা (Cooch Behar) বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় বলেন, “মন্ত্রীপুত্র সায়ন্তন এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। একই ভাবে আমাকেও মারধর করা হয়। ঈশ্বর দেবনাথের স্ত্রী তৃণমূলের মন্ত্রী পুত্র সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার কথা অস্বীকার করে মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Cooch Behar) বলেন, “আমাকে হেনস্থা করতেই এই অভিযোগ। ছেলেকে এলাকার প্রত্যেকেই চেনে। পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।” আবার ঘটনায় বিজেপির সমালোচনা করে তৃণমূল মন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে সায়ন্তন গুহ বলেন, “আমার বাবাকে নানা ভাবে বিব্রত করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে এইভাবে তৃণমূল কর্মীদের আটকে রাখা যাবনা। বিজেপি তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে তৃণমূলের মহুয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে তৃণমূলের মহুয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ পদ খুইয়েছেন। তাই ছাড়তে হবে দিল্লির সরকারি বাংলো। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে নোটিশও পান তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। কেন্দ্রের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন তৃণমূল নেত্রী।

    মহুয়ার আবেদন

    রিট পিটিশন দাখিল করে মহুয়ার আবেদন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা পর্যন্ত যাতে তিনি ওই বাংলোয় থাকতে পারেন, সেই নির্দেশ দিক আদালত। মঙ্গলবার এই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাত এড়াতেই এই নির্দেশ বলে জানান বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ। বিচারপতি প্রসাদের পর্যবেক্ষণ, “মহুয়া (Mahua Moitra) লোকসভা থেকে তাঁর বহিষ্কারকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি। তাই এখন সরকারি বাংলো নিয়ে হাইকোর্ট যদি কোনও নির্দেশ দেয়, তবে বাধাপ্রাপ্ত হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপ্রক্রিয়া। তাই আপাতত ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।

    কী বললেন বিচারপতি?

    তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদের উদ্দেশে বিচারপতি প্রসাদের মন্তব্য, “আপনি একটি রিট পিটিশন দায়ের করে সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আবার অন্য মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যদি শীর্ষ আদালত সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়, তাহলে এই বিষয়টির শুনানি হতে পারে।” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে মহুয়ার মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানি হতে পারে ৩ জানুয়ারি। ওই দিন পর্যন্ত মহুয়ার বাংলো মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাই ৪ জানুয়ারি মামলাটি শুনবেন বিচারপতি প্রসাদ। এই সময়ের মধ্যে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতেও অস্বীকার করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’ কল্যাণের, ‘মুর্খো কা সর্দারে’র আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    ঘুষ নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে অভিযুক্ত হন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, নগদ টাকা ও দামি দামি উপহার নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন তিনি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদের এথিক্স কমিটি তলব করে মহুয়াকে (Mahua Moitra)। এথিক্স কমিটির বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে যান মহুয়া। তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে এথিক্স কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jalpaiguri: বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, ভাঙল বুকের পাঁজর!

    Jalpaiguri: বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, ভাঙল বুকের পাঁজর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মীকে মারধর করে বুকের পাঁজর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এই বছরেই গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের দৌরাত্ম্য, হামলা, মারধর, অত্যাচার এমনকি খুনের অভিযোগের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়ে উঠেছিল। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তৃণমূলের আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সামনেই আবার লোকসভার ভোট ফলে রাজনৈতিক উত্তাপের আবহ যে শুরু হয়ে গিয়েছে একথা রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মী এফাজুদ্দিন। তাঁর বাড়ি হল ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ১ নং গ্রাম পাঞ্চায়েতের ঝাড় মাগুরমাড়ির পাইক পাড়া এলাকায়। আজ তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে কাজ চলছিল। পাশেই শ্রমিক ডাকতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তাঁর উপর। আক্রমণকারীদের মধ্যে ছিল এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ আজাদ ও মহম্মদ রাজু নামক দুই দুষ্কৃতী। রীতিমতো দুইজন মিলে তাঁকে মাটিতে ফেলে লাথি, চড়, ঘুষির আঘাতে ব্যাপক ভাবে আহত করে। এরপর তাঁকে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা দেখে প্রাথমিক অনুমান করেন, তাঁর বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়ে থাকতে পারে।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মী এফাজুদ্দিন বলেন, “আমি বাড়িতে কাজের জন্য শ্রমিকে আনতে গেলে আমাকে আজাদরা আচমকা হামলা করে। এলাকায় কেবল মাত্র বিজেপি করার জন্য আমাকে ব্যাপক মারধর করে। আমি থানায় অভিযোগ জানাবো।” পালটা তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা রাজেশ লাকরা বলেন, “আক্রান্তের পাশে আছি, অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়’ চালসাতে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়’ চালসাতে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “উত্তরবঙ্গের বন্ধ চা বাগানে কখনোই অধিগ্রহণ করতে পারবে না তৃণমূল সরকার। চা বাগানগুলিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তুলে দিতে চায়। ওয়েস্ট বেঙ্গল টি কর্পোরেশন ২০১৮ সালেই উঠে গেছে। রাজ্য সরকার লাটাগুড়ির চা বাগান হর্ষ নিয়োগীকে দিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকারের চা বাগান নিয়ে কোনও সদর্থক ভাবনাই নেই। সিপিএম যেমন চাঁদবণিক নামক চা বাগান করেছিল ঠিক তৃণমূল এই চালসায় চা বাগান  করেছে। সব বাগানগুলি বন্ধ করে দিয়েছে। মমতাও চা বাগানকে পুরোপুরি তুলে দিতে চাইছেন।” চালসা  (Jalpaiguri) সভায় করতে এসে রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ঠিক এই ভাবেই তোপ দাগলেন মমতাকে।

    চা বাগানের জমি পাট্টা হয় না(Suvendu Adhikari)

    চালসায় সভায় করতে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “কোনও জায়গা যদি খাস ঘোষণা না হয় তাহলে পাট্টা হয় না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চা বাগানের জমিকে অনৈতিক ভাবে পাট্টা দিয়েছেন। চা সুন্দরীর বাড়িগুলি হয়েছে কেন্দ্রের মোদি সরকারের টাকায়। সেখানে কেউ যাচ্ছে না। সব বাড়ি পরিত্যক্ত হয়ে পড়ে রয়েছে। আগে মালিকরা এখানে চা শ্রমিকদের বাড়ি সারিয়ে দিত কিন্তু এখন দিচ্ছে না। কারণ তাঁদের কাছ থেকে তৃণমূল নেতারা কোটি কোটি টাকা লুট করেছে। চা বাগানের শ্রমিকদের ভাওতা দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের ভুল বোঝানো হচ্ছে। চা বাগানের জমিকে কখনোই অধিগ্রহণ করতে পারে না রাজ্য সরকার। চা বাগানের জমি কেন্দ্রের বিষয়। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের সম্পত্তি। চা বাগানের জন্য বিজেপি লাগাতার মিটিং-আন্দলন করবে।”

    আর কী বলেন শুভেন্দু?

    জলপাইগুড়ির চালসাতে এই দিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “সিপিএম নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র নিজে সামাজিক মাধ্যমে বলেছেন যারা চাকরি পায়নি তারাই সংসদে প্রতিবাদ করেছে। কিন্তু এটা প্রতিবাদ নয় রীতিমতো আক্রমণ! বিকশিত ভারত যাত্রা হোক বা ফসল বীমা যোজনা, তৃণমূল সরকার এই রাজ্যে ঢুকতে দিচ্ছে না। কারণ ঢুকতে দিলেই কেন্দ্রিয় প্রকল্পের সুবিধার কথা সকলে জেনে যাবেন। আর এটাই মমতার ভয়। এসএসকেএম হল সারকারি খোঁয়াড়। তৃণমূলের চোরদের সেখানে লালন-পালন করা হয়। চালসা-নাগরাকাটা থেকে কোনও মানুষ অসুস্থ হয়ে ভর্তি হতে চাইলে বেড পাবেন না। চোর ডাকাতদের বিরিয়ানি খাইয়ে রাখা হয় সেখানে। হাসপাতাল হল ইডি-সিবিআইয়ের তদন্ত থেকে বাঁচার নিরাপদ আশ্রয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে ফের উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক! এর পিছনেও কি তৃণমূল নেতার হাত?

    Birbhum: বীরভূমে ফের উদ্ধার প্রচুর বিস্ফোরক! এর পিছনেও কি তৃণমূল নেতার হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক মজুত থাকার হদিশ পেল পুলিশ। মজুত করা বিষ্ফোরকগুলির মধ্যে রয়েছে জিলেটিন স্টিক, ডিটোনেটর ও অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) নলহাটি থানার বাহাদুরপুর পাথর শিল্পাঞ্চলের চন্দননগর গ্রামে। উল্লেখ্য আগেও এক তৃণমূল নেতাকে বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থা গ্রেফতার করে ছিল। এবারও কী তৃণমূল নেতার হাত রয়েছে? বিজেপির অবশ্য দাবি, বিস্ফোরক সামগ্রীর আসল মালিক তৃণমূলের নেতারাই। তাই রাজ্যের নয় কেন্দ্রিয় তদন্তকারি সংস্থার দ্বারা তদন্তের দাবিতে তুলেছে বিজেপি।

    উল্লেখ্য গত একবছরের বেশি আগে রামপুরহাটের বগটুই হত্যাকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন অবৈধ বোমা, অস্ত্র, বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য। কিন্তু লাভ হয়নি। আবার এগরায় বাজি বিস্ফোরণের পরেও একই নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু তাতেও লাভের লাভ কিছুই হয়নি। উপরন্তু পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক পরিমাণে বিস্ফোরকের ব্যবহারে ভাঙর থেকে সালার সর্বত্র উত্তপ্ত হয়ে গিয়েছিল। এবারও ফের একবার বীরভূমে বিস্ফোরক উদ্ধারে প্রশাসনের বিরুদ্ধে আঙুল উঠছে বলে মনে করছেন এলাকার মানুষ।

    পুলিশ নিশ্চিত করেছে বিস্ফোরক (Birbhum)

    গতকাল শুক্রবার রাতে সূত্র মারফত খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নলহাটি (Birbhum) থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ সেখানে অভিযান চালিয়ে চন্দননগর গ্রামের একটি বাড়িতে বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক মজুত থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে। বাড়িটির চারিদিকে পুলিশ মোতায়েন করে ঘিরে রাখা হয়েছে। আজ শনিবার পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক ও বম্বস্কোয়ার্ডের লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে মজুত থাকা বিষ্ফোরকগুলি উদ্ধার করে।

    আগেও গ্রেফতার হয়েছনে তৃণমূল নেতা

    উল্লেখ্য রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন চালার সময় গত ১০ জুন এই বীরভূমের (Birbhum) এলাকা থেকে বিষ্ফোরক মজুত রাখার অভিযোগে মনোজ ঘোষ নামে এক তৃণমূল কংগ্রেসের গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যকে গ্রেফতার করে এনআইএ। তার পরেও ওই এলাকায় বিপুল পরিমানে বিষ্ফোরক মজুত থাকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এরপর তাঁর সূত্র ধরে গ্রেফতার করা হয় ইসলাম চৌধুরী নামক এক ব্যক্তিকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বীরভূমের (Birbhum) জেলা বিজেপির সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনেও এই বিস্ফোরক ব্যবহার করে মানুষের ভোট লুট করেছে তৃণমূল। পুলিশ সেই সময় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আশ্রয় দিয়েছিল। আজকে উদ্ধার হওয়া এই বিস্ফোরকের পিছনে তৃণমূলের বিকি শেখ হল প্রধান অভিযুক্ত। এলাকার তৃণমূল নেতা আসাদ উদ্দিন, বিধায়ক এই বিস্ফোরকের পিছনে জড়িত। রাজ্য প্রশাসনের উপর আমাদের কোনও বিশ্বাস নেই। কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি জানাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: সুপ্রিম কোর্টে খারিজ অভিষেকের আর্জি, কী আবেদন ছিল তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সুপ্রিম কোর্টেও ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! দেশের শীর্ষ আদালতে খারিজ হয়ে গেল তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের আবেদন। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁর আর্জি ছিল, কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের শুনানি পর্বের রিপোর্ট প্রকাশের ওপর জারি করা হোক নিষেধাজ্ঞা। অভিষেকের এই আবেদনই শুক্রবার খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

    কী বলেছিলেন বিচারপতি সিনহা?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার? তদন্তে নাম জড়ায় অভিষেকের সংস্থা ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সম্প্রতি একটি মুখবন্ধ খামে পাঁচ হাজার পৃষ্ঠার রিপোর্ট আদালতে জমা দেয় ইডি। এর পরেই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “সম্পত্তির পরিমাণ কম হলে কি এত নথি জমা পড়ত? এসব সম্পত্তির জন্য আয়ের উৎস কী তা কি খতিয়ে দেখা হয়েছে?” বিচারপতি সিনহা এও বলেছিলেন, “দেখা যাচ্ছে সিংহভাগ সম্পত্তিই হয়েছে ২০১৪ সালের পর। ঘটনাচক্রে সেই সময়ই হয়েছিল নিয়োগ কেলেঙ্কারি। এই ব্যপারটা কি তদন্ত করে দেখা হয়েছে?”

    অভিষেকের আবেদন

    বিচারপতি সিনহার সেই পর্যবেক্ষণ প্রকাশিত হয় সংবাদ মাধ্যমে। এর পরেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। তৃণমূল নেতার আইনজীবী শীর্ষ আদালতে বলেন, “এই ধরনের পর্যবেক্ষণ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় সম্মানহানি হচ্ছে তাঁর মক্কেলের (Abhishek Banerjee)।” কলকাতা হাইকোর্টের যে বেঞ্চে বর্তমানে মামলাটি রয়েছে, সেখানে থেকে মামলাটি সরানোর আর্জিও জানানো হয়। অভিষেকের সেই আর্জিও খারিজ করে দেয় সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার মন্তব্য, “যদি প্রয়োজন হয়, সেক্ষেত্রে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে নিজের আপত্তি জানাতে পারবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।”

    আরও পড়ুুন: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’কে নিয়ে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার রিপোর্টটি জমা দেওয়া হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। এই ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র বিস্তারিত নথি আদালতে জানানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এই সংস্থার ডিরেক্টরদের নাম, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ এবং সংস্থার লেনদেন, গ্রাহক কারা, সিইওর সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য, সংস্থার কর্মীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্য জমা দেওয়ার (Abhishek Banerjee) নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতির তদন্ত নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে পরামর্শ-চিঠি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) ঘর থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের। শুক্রবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের নির্দেশ, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় থাকবে সিআরপিএফ। মন্ত্রীর ঘরে কারা ঢুকছেন, বেরচ্ছেনই বা কারা, এবার থেকে তা নজরদারি করবে সিআরপিএফ। ব্যবহার করতে হবে রেজিস্টার খাতা। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘরে যে ক্যামেরা লাগানো রয়েছে, তা খুলে ফেলার নির্দেশও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দিয়েছে আদালত।

    ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি ভর্তি রয়েছেন রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এসএসকেএমে। মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাতে সিসি ক্যামেরা বসিয়েছে ইডি। এর পরেই ব্যক্তিগত গোপনীয়তা খর্ব হচ্ছে বলে আদালতে মামলা করেন মন্ত্রী। তার জেরেই এদিন মন্ত্রীর কেবিন থেকে সিসি ক্যামেরা খুলে নেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত।

    সিসি ক্যামেরা খুলে ফেলার নির্দেশ

    বিচারপতি ঘোষের নির্দেশ, মন্ত্রীর ঘরে কোনও সিসি ক্যামেরা রাখা যাবে না। তবে রুমের বাইরে সিসি ক্যামেরা আগে থেকে লাগানো থাকলে, তদন্তের স্বার্থে তার ফুটেজ দেখতে পারবেন ইডির তদন্তকারী অফিসার। সিসি ক্যামেরার পরিবর্তে মন্ত্রীর ওপর নজরদারি চালাবেন সিআরপিএফ জওয়ানরা। মন্ত্রীর ঘরে যাঁরা যাতায়াত করবেন, তাঁদের প্রত্যেকের গতিবিধি নথিভুক্ত করতে হবে রেজিস্টার খাতায়। 

    রাজ্য পুলিশকে চিঠি ইডির

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি (Jyotipriya Mallick) মামলায় তদন্তে নেমে ইডি জেনেছে, রেশন ব্যবস্থায় অনিয়ম সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ জমা পড়লেও, সেভাবে তদন্ত হয়নি। তদন্তকারীদের বিশ্বাস, এই অভিযোগগুলির তদন্ত হলে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির হদিশ মিলবে। তাই রাজ্য পুলিশকে এ ব্যাপারে চিঠি দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: “রাজনীতি করবেন না”, লোকসভাকাণ্ডে বিরোধীদের পরামর্শ শাহের

    রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যের কাছে পাঠানো ওই চিঠিতে ইডি জানিয়েছে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে কলকাতা পুলিশ সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলা পুলিশের কাছে যেসব অভিযোগ জমা পড়েছে, তার বিস্তারিত তদন্ত হয়নি। এ ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত করা প্রয়োজন। চিঠিতে এও বলা হয়েছে, রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে রেশন কেলেঙ্কারির জাল। এ ব্যাপারে তথ্যপ্রমাণ কিংবা সাহায্যের প্রয়োজন হলে ইডি তা (Jyotipriya Mallick) করতে প্রস্তুত বলেও জানানো হয়েছে চিঠিতে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Parliament Security Breach: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    Parliament Security Breach: ললিতের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়কের সেলফি, লোকসভাকাণ্ডে ‘প্রমাণ’ দিলেন সুকান্ত!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভাকাণ্ডের (Parliament Security Breach) সঙ্গে উঠল তৃণমূল যোগের অভিযোগ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের দাবি, সংসদে তাণ্ডবের মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা দীর্ঘদিন ধরে বিধায়ক তৃণমূলের তাপস রায়ের ঘনিষ্ঠ।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বক্তব্যের স্বপক্ষে তাপসের সঙ্গে ললিতের ছবিও শেয়ার করেছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। একই অভিযোগ করেছেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে এক ফ্রেমে বন্দি ললিতের ছবিও দেখিয়েছেন লকেট। যদিও এই ছবির সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। বিজেপির জোড়া সাংসদের এই একই দাবিকে ঘিরে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। লকেট যেখানে সাংবাদিক বৈঠক করে তাপসের সঙ্গে ললিত যোগের ‘প্রমাণ’ দিচ্ছেন (Parliament Security Breach), তখন এক্স হ্যান্ডেলে বিধায়কের সঙ্গে ললিতের ছবি শেয়ার করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

    ‘সেদিনের রাজনীতিক’ আখ্যা

    ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, “ললিত ঝা, আমাদের গণতন্ত্রের মন্দিরে আঘাত হানার মাস্টারমাইন্ডের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের তাপস রায়ের দীর্ঘদিন ধরে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।…এটা কী তদন্তের জন্য প্রমাণ হিসেবে যথেষ্ঠ নয়?” বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাপস। তাঁর দাবি, ললিত ঝা-কে তিনি চেনেনই না। সুকান্তকে ‘সেদিনের রাজনীতিক’ আখ্যা দিয়ে তাপস বলেন, “এটা ওঁকে প্রমাণ করতে হবে, নাহলে ওঁর সঙ্গে আমার দেখা হবে আদালতে।”

    এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লিখেছেন, “এ পর্যন্ত এই পুরো এপিসোডে যারা যুক্ত, তাদের সঙ্গে কংগ্রেস, সিপিআই (মাওবাদী) এবং এখন তৃণমূলের লিঙ্ক রয়েছে।”

    প্রসঙ্গত, বুধবার অধিবেশন চলাকালীন লোকসভার দর্শক গ্যালারি থেকে আচমকাই ঝাঁপিয়ে পড়ে দুই হানাদার। ‘স্মোক গ্রেনেড’ ছড়িয়েও দেয় তারা। শেষমেশ তাদের পাকড়াও করে লোকসভারই দুই সাংসদ। তুলে দেওয়া হয় মার্শালদের (Parliament Security Breach) হাতে।

    আরও পড়ুুন: শুভেন্দুর নিরাপত্তায় বিস্তর ত্রুটি! রাজ্যের থেকে রিপোর্ট চাইল হাইকোর্ট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়নি! বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালালেন তৃণমূল নেতার ছেলে

    Malda: জন্মদিনে নিমন্ত্রণ করা হয়নি! বাড়িতে এসে তাণ্ডব চালালেন তৃণমূল নেতার ছেলে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের দাদাগিরি। আর সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হতেই শোরগোল মালদা (Malda) জেলা জুড়ে। যদিও ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। প্রতিবেশী আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে সদ্য প্রসূতিকে মারধর ও ভাঙচুর করার অভিযোগ। বাবার ক্ষমতার অপব্যবহার করে এলাকায় দলবল নিয়ে হামলা করার অভিযোগে নাম জড়াল মালদার পুরাতন মালদা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদীর ছেলে সুতিম ত্রিবেদীর বিরুদ্ধে।

    কেন হামলা? (Malda)  

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরাতন মালদা (Malda) পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পেশায় আইনজীবী অমরেশ দত্তের ছোট ছেলে অভিষেক দত্তের জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলেকে নিমন্ত্রণ করা হয়নি। এটাই অপরাধ।  সেই জন্মদিনে অনুষ্ঠানে আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তার স্ত্রী এবং অন্যান্য আত্মীয়রা আসেন। হঠাৎ অতর্কিতভাবে তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলে সুতিম ত্রিবেদী দলবল নিয়ে বাড়িতে চড়াও হয়। অভিষেক দত্ত নামে আক্রান্ত যুবক বলেন, আমার জন্মদিনে কেন নিমন্ত্রণ করা হয়নি তা জানতে চান। আমি নিমন্ত্রণ করিনি বলে ঝামেলা করা শুরু করে। বাড়িতে থাকা সমস্ত খাবার ফেলে দেয়। আমাদের উপর চড়াও হয়। তৃণমূল নেতার ছেলে বলে যা খুশি করবে। জানা গিয়েছে, আইনজীবীর বড় ছেলে অর্কপ্রভ দত্ত ও তাঁর স্ত্রী মৌসুমী মন্ডলকে বাবার বাড়িতে রেখে আসলে, সেখানে গিয়ে রাত্রি ১ টা নাগাদ প্রথমে পেটে লাথি ও চুলের মুঠি ধরে তাঁর স্ত্রী কে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। আরে এই গোটা ঘটনা নিয়ে মালদা থানায় দারস্থ হয়েছেন আইনজীবীর পরিবার।  অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলারের ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও ঘটনার তদন্তে নেমেছে মালদা থানার পুলিশ।

    তৃণমূল কাউন্সিলার কী সাফাই দিলেন?

     এদিকে এই ঘটনা নিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার বশিষ্ঠ ত্রিবেদী বলেন, মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে আমার ছেলের বিরুদ্ধে। এরকম কোনও ঘটনায় ঘটেনি। ওইদিন রাতে সেখানে একজন পুরসভার অস্থায়ী কর্মী মারা গিয়েছিল, সে কারণে গোটা এলাকা শোকোস্তব্ধ ছিল। যারা অভিযোগ করছে তারাই মাইক বাজিয়ে সেখানে পার্টি করছিল। আর তাতেই স্থানীয়রা বাধা দিতে যায় এবং গন্ডগোল হয়। এখন আমার ছেলের বিরুদ্ধে যারা অভিযোগ করছে, অভিযোগ যদি সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে আইন আইনের পথে চলবে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

     যদিও পাল্টা সাফাই জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি শুভময় বসুর, ঘটনাটি শুনেছি। প্রশাসনিক যদি কোনও অভিযোগ হয়ে থাকে, তাহলে দলের যে কোনও স্তরের নেতা কর্মী যাই হোক না কেন প্রশাসন সঠিক ঘটনার তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই ঘটনাকে নিয়ে কড়া ভাষায় নিন্দা করেছে মালদা (Malda)  বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক গোপাল চন্দ্র সাহা। তিনি বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। অনুষ্ঠানে কে কাকে ডাকবে সে তার ব্যক্তিগত ব্যাপার, সেখানে গিয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলার এর ছেলের এই সমস্ত করাটা ঠিক হয়নি। আসলে তৃণমূলের এটাই কালচার। সারা রাজ্য জুড়ে চলছে। অভিযোগ হয়েছে পুলিশ তদন্ত করবে।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share