Tag: tmc

tmc

  • Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    Birbhum: “রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন”! তৃণমূল সাংসদের মন্তব্যে তীব্র বিতর্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘রাম বোধ হয় বিপিএল ছিলেন’ ঠিক এমন মন্তব্য করে তীব্র বিতর্ক উস্কে দিলেন বীরভূমের (Birbhum) সাংসদ শতাব্দী রায়। উল্লেখ্য, মাত্র আর কয়েকটা দিন পরেই অযোধ্যায় প্রভু শ্রীরামের মন্দির উদ্বোধন হবে। গর্ভগৃহে রাম লালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হবে। দেশ জুড়ে এখন রাম ভক্তদের মধ্যে তীব্র উন্মাদনা। ঠিক এমন সময়েই তৃণমূল সাংসদ সাঁইথিয়ার রবীন্দ্রভবনে মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম চন্দ্রকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করায় ব্যাপক নিন্দার ঝড় শুরু হয়েছে। পালটা বিজেপির বক্তব্য ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা উচিত এই তৃণমূল নেত্রীকে।

    কী বললেন তৃণমূল সাংসদ (Birbhum)?

    সাঁইথিয়ায় (Birbhum) তৃণমূলের এক প্রশিক্ষণ শিবিরের এক সভায় বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায় বলেন, “বিজেপি রামকে নিয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করছে। রাম বোধ হয় বিপিএল! আমরা যেমন বিপিএল কার্ড দিয়ে বাড়ি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি, ঠিক সেই ভাবে রামকে বাড়ি দিয়েছে বিজেপি। রামের ছেলে লব-কুশকেও একটি করে বাড়ি দেওয়া প্রয়োজন।” ভিডিওর এই বক্তব্য সর্বত্র ভাইরাল হয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে। পরে অবশ্য সাংবাদিকদের নিজের সাফাই দিয়ে শতাব্দী বলেন, “বিজেপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছে আমরা রামের বাড়ি করে দিয়েছি। এত ঔদ্ধত্য কোথা থেকে এলো, তারা ভগবানের বাড়ি করে দিচ্ছে!”

    বিজপির বক্তব্য

    বীরভূম (Birbhum) জেলার বিজেপি জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা তৃণমূল সাংসদকে তীব্র সমালোচনা করে বলেন, “বীরভূমের সনাতনী মানুষকে বলব এলাকায় ভোট চাইতে এলে সাংসদ শতাব্দীকে যেন ঝাঁটা দিয়ে তাড়া করা হয়।” এলাকার নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “রামপুরহাটে শতাব্দী হারেন নি হেরেছে তৃণমূল। পুরনির্বাচনে দিদির পুলিশ, গুন্ডা বাহিনীর বোমা, কাটমানি, তোলাবাজি, দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসের বাতাবরণের ভয় দেখিয়ে মনোনয়ন করতে দেওয়া হয়নি বিরোধীদের। ভোটাদের ভোট দিতে দেয়নি বলেই এলাকায় তৃণমূল জয়ী হতে পেরেছিল। আগামী দিনে স্বচ্ছ নির্বাচন হলে তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবেনা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED in Sujit Bose House: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    ED in Sujit Bose House: সন্দেশখালি থেকে শিক্ষা! মাথায় হেলমেট, হাতে ঢাল নিয়ে দমকলমন্ত্রীর বাড়িতে ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি এবং বনগাঁর ঘটনার থেকে ‘শিক্ষা’ নিয়ে অভিযানের সময় সাবধানী কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (ED in Sujit Bose House)। পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার সকালে তিন জায়গায় নতুন করে অভিযানে নেমেছে ইডি। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, বরাহনগরের তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায় এবং উত্তর দমদম পুরসভার কাউন্সিলর সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছয় ইডির আধিকারিকরা। এদিন আত্মরক্ষার জন্য বাহিনীর হাতে ছিল ঢাল এবং মাথায় হেলমেট। বাহিনীর বেশির ভাগ সদস্যের হাতে লাঠিও চোখে পড়েছে।

    কেন এই পদক্ষেপ

    সন্দেশখালি থেকে বনগাঁ দুর্নীতির (ED Raid) তদন্তে তল্লাশিতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। হামলার শিকার হয়েছিল তাদের সঙ্গে থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীও (Central Force)। তাই এবার বাড়তি সতর্ক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।  এর আগে কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিভিন্ন অভিযানে যত সংখ্যক সিআরপিএফ দেখা যেত, এদিন সব জায়গাতেই তার চেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা গিয়েছে। শুধু তাই নয়, অভিযানে যাওয়া বহু জওয়ানকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতেও দেখা গিয়েছে। 

    বডি প্রোটেক্টর শিল্ড

    শুক্রবার পুর নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের অভিযান চলে শহরের নানা প্রান্তে। এই সময় দেখা যায়, মন্ত্রী সুজিত বসুর (Sujit Bose) বাড়ির সামনে পাহারায় থাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মাথায় রয়েছে হেলমেট। গায়ে বডি প্রোটেক্টর শিল্ড। উত্তর দমদম পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবোধ চক্রবর্তীর বাড়ির সামনেও একই দৃশ্য চোখে পড়ে। সেখানে আবার সিআরপিএফ-এর সঙ্গে ছিল কাঁদানে গ্যাসও। বউবাজারে তৃণমূল বিধায়ক তাপস রায়ের (Tapash Roy) বাড়ির সামনে ঢাল আর লাঠি নিয়ে পাহারা দিতে দেখা যায় জওয়ানদের। 

    আরও পড়ুন: পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় মন্ত্রী সুজিত বসু, বিধায়ক তাপস রায়ের বাড়িতে হানা ইডি-র

    বিশেষ নির্দেশ

    ঠিক এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ, গত শুক্রবার সকালে রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করতে বনগাঁ এবং সন্দেশখালিতে হানা দিয়েছিল ইডি। কিন্তু তল্লাশি অভিযানে গিয়ে কার্যত মার খেতে হয় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার আধিকারিকদের। আক্রান্ত হন ইডির তিন অফিসার। তাঁদের মধ্যে এক জনের আঘাত ছিল গুরুতর। সেই সময় ইডির অফিসারদের ল্যাপটপ, মোবাইল, ব্যাগ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। ওই একই দিনে বনগাঁতেও বাধার মুখে পড়তে হয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। ইডি সূত্রে খবর, সন্দেশখালি এবং বনগাঁ ‘মডেল’-এর যাতে আর পুনরাবৃত্তি না হয়, সেই কারণেই শুক্রবারের তদন্ত অভিযানে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সাবধানী কেন্দ্রীয় বাহিনীও। এই ঘটনার পরই জওয়ানদের নির্দেশ দেওয়া হয়, এই ধরনের অভিযানের সময়, মাথায় পরতে হবে হেলমেট, থাকবে বডি প্রোটেক্টর জ্যাকেট, লাঠি রাখাও বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নতুন প্রচার, শুরু ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’

    Durgapur: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির নতুন প্রচার, শুরু ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’ প্রচার অভিযানের সূচনা হল। সামনেই লোকসভার নির্বাচন। তাই প্রচার নিয়ে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে দুর্গাপুরে (Durgapur)। কেন্দ্রীয় সরকারের নানান জনমুখী কাজের প্রচার করতেই এই ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’ ক্যাম্পের আয়োজন। রাজ্যের মধ্যে দুর্গাপুর নগর নিগমের চার নম্বর ওয়ার্ডের ইস্পাতপল্লিতে এই প্রকল্পের সূচনা করলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া। তৃণমূলের অবশ্য বক্তব্য, আমাদের ‘দুয়ারে সরকার’-এর দেখাদেখি বিজেপি ভোটের আগে প্রচারের আলো পেতে নাটক করছে।

    রাজ্যে রাজ্যে আগে এই যাত্রার সূচনা হলেও বাংলায় এবার শুরু হয়েছে। রাজ্যে মোট এই সংকল্প যাত্রায় দলের কেন্দ্রীয় স্তর থেকে মোট ১৮ টি ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র রথ পেয়েছে। রথের মতো করে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের পোস্টার দিয়ে একটি গাড়িকে সাজানো হয়েছে। গাড়িতে রয়েছে একটি করে বড় টিভি। সঙ্গে চলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ এবং ভিডিও।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ (Durgapur)?

    দুর্গাপুরে (Durgapur) এই দিন ‘বিকশিত ভারত প্রকল্প’-এর সূচনা করে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া বলেন, “মোদি সরকারের জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা সকল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়াটাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। এই ক্যাম্প থেকে উজ্জলা যোজনা, মুদ্রা লোন, প্রধানমন্ত্রী জীবন বিমা যোজনা, প্রধানমন্ত্রী স্বনিধি যোজনা-সহ আরও একধিক কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকল্পের কথা সম্পর্কে বিস্তৃত জানা যাবে। কীভাবে আবেদন করবেন, কীভবে প্রকল্পের সুবিধা পাবেন, কোনও অসুবিধা হলে কোথায় জানাবেন ইত্যাদি বিষয়ে ক্যাম্প থেকে সহযোগিতা করা হবে। এমনকী আবেদনকারীরা কীভাবে ঋণ পাবেন সেই ব্যবস্থা করা হবে।” শুধু ক্যাম্প নয়, ক্যাম্পের বিষয় নিয়ে একটি ভ্রাম্যমাণ গাড়ি এলাকায় এলাকায় প্রচার করবে বলে জানা গিয়েছে। এই সাংসদ ‘বিকশিত প্রকল্প’ প্রচারে প্রসঙ্গে হুঁশিয়ারি দিয়ে তৃণমূলকে বলেন, “যদি বাধা প্রদান করে তাহলে তারাও বুঝতে পারবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বিজেপির এই কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে স্থানীয় তৃণমূলের বক্তব্য, “আমাদের সফল প্রকল্প ছিল ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্প। বিজেপি তৃণমূল সরকারকে অনুকরণ করছে।” দুর্গাপুর (Durgapur) জেলার তৃণমূলের সহ-সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের প্রাপ্য টাকা যদি বিজেপি সরকার না দেয় তাহলে ‘বিকশিত ভারত’ প্রকল্পের কর্মীদের আটক করে বিক্ষোভ দেখানো হবে।” প্রসঙ্গত এই ক্যাম্পে যে সব উপভোক্তারা এসেছেন তাঁরা এই উদ্যোগে বেশ খুশি বলে জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    Abhishek Banerjee: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে অভিষেক, কী আর্জি তৃণমূল নেতার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনেকের কাছে তিনি সাক্ষাৎ ভগবান। কারও কারও কাছে তিনি ভগবানের দূত। তবে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আবার কারও কাছে গলার কাঁটাও। এই যেমন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। অভিষেক অবশ্য মুখে কিছু বলেননি।

    অভিষেকের আর্জি

    তবে বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের এই দাপুটে বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড। আর্জি জানিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চ থেকে মামলা সরানোরও। দেশের শীর্ষ আদালতে করা আবেদনে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো জানিয়েছেন, বিচারাধীন বিষয় নিয়ে আদালতের বাইরে মন্তব্য করেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। তাই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযথ পদক্ষেপ করা হোক। এ সংক্রান্ত নির্দেশ দেওয়া হোক কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় আদালতের বাইরে বারংবার যে এক পক্ষের বয়ান তুলে ধরছেন, তা থেকে তাঁকে বিরত থাকার নির্দেশও দেওয়া হোক। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ বেঞ্চ গঠনের নির্দেশও দেওয়া হোক। নিয়োগ সংক্রান্ত মামলা শুনবে (Abhishek Banerjee) সেই বেঞ্চ। বিচারপতি সিনহার এজলাসে যে মামলাগুলি রয়েছে, সেগুলি যাতে ওই বেঞ্চে যায়, তার ব্যবস্থাও করা হোক।

    বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অভিষেকের সম্পত্তি সংক্রান্ত বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি প্রশ্ন করেন, একজন নেতা হিসেবে অভিষেকের সম্পত্তির উৎস কী? তিনি কি তাঁর সম্পত্তির হিসেব সমাজমাধ্যমে পোস্ট করবেন? তিনি বলেন, “সাধারণ মানুষ হিসেবে আমরা দেখতে চাই, কার কত সম্পত্তি আছে। কে কত সম্পত্তি করেছেন। কার সম্পত্তির উৎস কী? বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “অভিষেক যদি সমাজমাধ্যমে ওই পোস্ট করেন, তবে তাঁর সমসাময়িক নেতা, ধরুন, মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় বা অন্য নেতাদের কাছেও একই আবেদন রাখব। তাঁরাও সম্পত্তির হলফনামা তৈরি করে সোশ্যাল মিডিয়ায় দিন, আমরা দেখতে চাই।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালির ‘বাঘ’কে ধরতে জাল পাতছে ইডি, হাত মেলাল এনআইএ, আয়কর, বিএসএফ-ও

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমার বিভিন্ন পদক্ষেপে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ওদের বিভিন্ন চোরেরা জেলে রয়েছেন। আরও কিছু জেলে যাবেন। সেই জন্যই আমার ওপর এত রাগ।” প্রসঙ্গত, ইডি এবং সিবিআই চাইলে শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবেন বলে গত বছরই নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

    তাই কি বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের পায়ে বেড়ি পরাতে চাইছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি অফিসারদের ওপর হামলাকারীদের বঙ্গরত্ন দেওয়া হবে’, তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইডি অফিসারদের ওপর হামলার অর্থ ভারতের সংবিধানের ওপর হামলা। বিজেপি ছেড়ে কথা বলবে না। ইডি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, রাজ্য সরকারের ভুয়ো কোনও সংস্থা নয়। বুধবার গঙ্গাসাগরে গিয়ে একথা বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পাশাপাশি গঙ্গাসাগরের মেলার খরচ নিয়ে রাজ্য সরকারকে তোপ দাগেন তিনি।

    মেলার ২০০ কোটি কোথায় যায়, প্রশ্ন সুকান্তর (Sukanta Majumdar)

    সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেলা উদ্বোধনে এসে বলেছিলেন, গঙ্গাসাগর মেলায় কেন্দ্রীয় কোনও সাহায্য মেলে না। সেই প্রসঙ্গ টেনে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বুধবার বলেন, মেলার সাহায্য পেতে গেলে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানাতে হবে। উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীকে ডাকতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ছবি লাগাতে হবে। এখানে মেলা দেখে মনে হচ্ছে, মুখ্যমন্ত্রী ছাড়া আর কেউ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন, হেলিকপ্টার সার্ভিসটা কোথায়? ১৯ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটার কোনও খোঁজ পাওয়া যায় না। আর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গঙ্গাসাগর মেলা করতে ২০০ কোটি টাকা খরচ হয়. সেই প্রসঙ্গে সুকান্ত এদিন বলেন, ২০০ কোটি টাকা কোথায় যায়, সেটা খোঁজ নিয়েছেন? মুখ্যমন্ত্রীর ছবির পিছনে সব টাকা কি খরচ হয়ে যায়?

    ইডি-র ওপর হামলা নিয়ে সরব সুকান্ত

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আগামীকাল ইডি-র ওপর হামলার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করার কর্মসূচি রয়েছে রাজ্য বিজেপির। ইডি ভারতীয় সংবিধানের দ্বারা পরিচালিত হয়। লোকসভায় ও রাজ্যসভায় আইন প্রণয়ন করে নিয়োগ করা হয়েছে। ইডি অফিসারদের ওপর হামলা মানে ভারতবর্ষের সংবিধানের উপর হামলা। এই হামলা ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের উপর হামলা। বিচ্ছিন্নবাদী মানসিকতা, পশ্চিমবঙ্গকে ভারতবর্ষ থেকে আলাদা করার মানসিকতা। এই বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির বিরুদ্ধে বিজেপি লড়ছে। যারা ইডি অফিসারদের ওপর হামলা করেছে, তাদেরকে তো গ্রেফতার করতে পারবে না, বরং তাদেরকে ‘বঙ্গরত্ন পুরস্কার’ দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর হার্মাদরা তো ভোটে জেতায়। মুখ্যমন্ত্রী কি জনতার ভোটে জেতে! তৃণমূল সরকার যে কাজ করছে সেটি ভারতবর্ষের সংবিধানের ওপর আক্রমণ, ভারতবর্ষের সর্বভৌমত্বের ওপর আক্রমণ। ইডি উপর যেভাবে আক্রমণ হয়েছে, যেভাবে আইন ভাঙা হয়েছে আমরা ছেড়ে কথা বলবো না। সময় আসছে বিজেপি সরকার তৈরি হবে। যে বাড়ির তালা ভাঙা যায়নি, সেই বাড়িতে বুলডোজার চলবে।

    গঙ্গাসাগরে সুকান্ত

    দলীয় একগুচ্ছ কর্মসূচি নিয়ে বুধবার গঙ্গাসাগরে পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখানে গঙ্গাস্নান করেন তিনি। গঙ্গাস্নানের পর তিনি কপিলমুনির মন্দিরে গিয়ে পুজো দেন। এরপর গঙ্গাসাগর মেলা চত্বর ঘুরে দেখেন তিনি। শুধুমাত্র এ রাজ্যই নয়, ভিন রাজ্য থেকেও এই মুহূর্তে লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিড় জমিয়েছেন গঙ্গাসাগরে। গঙ্গাসাগরে বিজেপি শিবিরের পক্ষ থেকেও বিভিন্ন সেবামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    Mahua Moitra: তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে তৈরি রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই। টাকার বিনিময় প্রশ্নকাণ্ডে লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে নদিয়ার কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়াকে। লোকসভার এথিক্স কমিটির সুপারিশে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। খারিজ করা হয় সাংসদপদও।

    রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল সিবিআই

    লোকসভার সচিবালয়ের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বাংলার তৃণমূল নেত্রী। এই মামলায় লোকসভার জেনারেল সেক্রেটারির হলফনামা তলব করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এই পরিস্থিতিতেই এথিক্স কমিটির রিপোর্ট চেয়ে পাঠালেন সিবিআই আধিকারিকরা। রিপোর্টটি খতিয়ে দেখতে চান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। লোকসভার সচিবালয়ের কাছে এই মর্মে আবেদনও করা হয়েছে। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার লিখিত আবেদন এসে পৌঁছেছে লোকসভার সচিবালয়ে। তবে এখনও পর্যন্ত সেই রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়নি সিবিআইয়ের হাতে।

    কোন শর্তে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই 

    উল্লেখ্য, লোকসভার সচিবালয় ওই রিপোর্ট সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিলেই দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের অনুচ্ছেদ ১৭এ-র অধীনে মহুয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। মহুয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে চিঠি দিয়েছিলেন লোকপাল। তার পরেই (Mahua Moitra) এথিক্স কমিটির রিপোর্ট চেয়ে লোকসভার সচিবালয়কে চিঠি দেওয়া হয় সিবিআইয়ের তরফে।

    আরও পড়ুুন: ‘ভাইব্র্যান্ট গুজরাটে’র আগে মোদি-বিন জায়েদের রোড শো, কী বললেন আমিরশাহির প্রেসিডেন্ট?

    ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে সংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন মহুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে আদানিদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন করার অভিযোগ তুলেছিলেন সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে লেখা চিঠিতে নিশিকান্ত জানিয়েছিলেন, হিরানন্দানি গোষ্ঠীর স্বার্থরক্ষায় ঘুষ নিয়েছেন কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। কেন্দ্রীয় তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে লেখা চিঠিতে নিশিকান্ত লোকসভার ওয়েবসাইটে মহুয়ার লগইন শংসাপত্রগুলির আইপি অ্যাড্রেসগুলি অন্য কেউ অ্যাক্সেস করেছে কিনা, তা পরীক্ষা করতে বলেন।

    নিশিকান্তর অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে লোকসভার এথিক্স কমিটি। পরে মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ করে ওই কমিটি। সেই মতো সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেই বহিষ্কার করা হয় মহুয়াকে। দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ। প্রসঙ্গত, হিরানন্দানিকে সংসদের লগইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন বলে কবুল করলেও, ঘুষ নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন মহুয়া (Mahua Moitra)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের পুরনো মামলায় শাহজাহানের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারির তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে প্রহৃত হয়েছিলেন ইডির আধিকারিকরা। অভিযোগ, তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের অনুগামীদের ছোড়া ইটের ঘায়ে জখম হন ইডির আধিকারিকরা। ঘটনার পর পরই গা ঢাকা দেন তৃণমূল নেতা।

    আদালতে শুভেন্দু 

    শাহজাহানের বিরুদ্ধে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগও রয়েছে। এই ঘটনায় এবার সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, “ওরা চাপে আছে। ওরা আদালতে শাহজাহানকে আত্মসমর্পণ করাতে চায়। বরিশালের সঙ্গে যোগ আছে। বাংলাদেশে পাচারে যুক্ত শাহজাহান।” বাংলাদেশের বন্ধু সরকার শাহজাহানকে ধরতে পারবে বলেও আশা প্রকাশ করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    এনআইএ দাবি

    তিন বিজেপি কর্মী খুনে শাহজাহান যে জড়িত, তা আগেই জানিয়েছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ বিজেপির দিলীপ ঘোষ। সোমবার শুভেন্দুও বলেন, “কেবল রেশন কেলেঙ্কারি নয়, তিনজনের দেহ লোপাটেও অভিযুক্ত শাহজাহান। তিনটি পরিবার বিচার পায়নি, পুলিশ মামলা থেকে শাহজাহানকে নিষ্কৃতি দিয়েছে। সন্দেশখালির দুই মহিলা আমার কাছে নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছেন। ওই দুই পরিবারের ন’জনকে আমি নিরাপদে রাখার ব্যবস্থা করেছি।” বিজেপি কর্মী খুনে মূল অভিযুক্ত শাহজাহান। তার পরেও পুলিশ তাঁর টিকি না ছোঁওয়ায় বিস্ময় প্রকাশ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। পুলিশের চার্জশিট চ্যালেঞ্জ করে সিবিআই বা এনআইএ তদন্ত দাবি করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।

    আরও পড়ুুন: শিক্ষা দুর্নীতির চারটি মামলাতেই নাম জড়াল পার্থের! চূড়ান্ত চার্জশিট দিল সিবিআই

    ২০১৯ সালের ৬ জুন সন্দেশখালিতেই খুন হন বিজেপির তিন কর্মী। তাঁদের প্রত্যেকের দেহ লোপাট করা হয়েছে বলে অভিযোগ পদ্ম শিবিরের। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “নিরাপত্তা নেই। তাই বাংলায় নির্বাচনকে ঘিরে এত হিংসা।” তিনি বলেন, “সিপিএম শুরু করেছিল। বৃত্ত সম্পূর্ণ করেছে তৃণমূল। গতকাল (রবিবার) ব্রিগেডে শাহজাহান শেখকে নিয়ে একটাও কথা নেই কেন?” জায়ান্ট কিলার (গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারানোর পর রাজনৈতিক মহলে এই নামেই পরিচিত শুভেন্দু) (Suvendu Adhikari) বলেন, “তিনজনের দেহ লোপাট করেও স্থানীয় থানার পুলিশের সহযোগিতায় রেহাই পেয়ে গিয়েছিলেন শাহজাহান। ওই মামলা রি-ওপেন করে সিবিআই কিংবা এনআইএ তদন্তের দাবিতে হাইকোর্ট আর্জি জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    Sukanta Majumdar: সুকান্তর বাইক মিছিলে পুলিশি বাধা! ব্যাপক ধস্তাধস্তি, প্রতিবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাইক মিছিলে পুলিশের বাধা। কিন্তু নিজেদের কর্মসূচিতে অনড় থাকে বিজেপি। সড়কে বসে প্রতিবাদে পুলিশের বিরুদ্ধে তীব্র বিক্ষোভ জানায় বিজেপি। সেই সঙ্গে চলে ব্যারিকেডকে ঘিরে পুলিশের সঙ্গে তীব্র ধস্তাধস্তি। এই মিছিলে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি যুবমোর্চার রাজ্য সভাপতি নেতা ইন্দ্রনীল খাঁ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তিনি তৃণমূলকে আক্রমণ করে হিরণ বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণ ভাবে এগিয়ে যাচ্ছিলাম কিন্তু মমতার গুন্ডাদের পুলিশের পোশাক পরিয়ে এখানে পাঠিয়ে অশান্তির চেষ্টা করেছে। সন্দেশখালিতে পুলিশ নেই আর এখানে পুলিশে পুলিশে ছয়লাপ। এভাবে বিজেপিকে আটকানো যাবে না।” ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।

    ঠিক কোথায় মিছিল চলছিল (Sukanta Majumdar)?

    আজ রবিবার হুগলির ডানকুনি থেকে ১২ কিমি পর্যন্ত হাওড়ার ডোমজুড় থানা পর্যন্ত বিজপির বাইক মিছিলের মাধ্যমে সংকল্প যাত্রা চলছিল। এই যাত্রা আয়োজন করা হয়েছিল শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে। এই যাত্রায় উপস্থিত ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উল্লেখ্য এই বাইকের মিছিল পুলিশ আটকাবে আগেই জানিয়েছিল। কিন্তু পুলিশের বাধাকে অতিক্রম করে যাত্রা করা হয়েছিল। আর তার ফলেই বাধে গোলমাল। প্রথমে এস এন মুখার্জি রোডে পুলিশ ব্যারিকেড দিয়ে আটকায়। এরপর বিজেপির কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যায়। তারপর আবার ডানকুনি হাউজিং মোড়ে পুলিশ আটকালে রাস্তায় নেমে অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা। এরপর ঘটনায় তীব্র চাঞ্চল্য তৈরি হয়।

    কী বললেন সুকান্ত?

    বিজেপি রাজ্যসভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “পুলিশ কোনও রকম প্ররোচনা ছাড়া আমাদের কয়েকজন কর্মীকে আটক করে ভ্যানে তুলে নেয়। তবে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ছাড়িয়ে নিয়ে আসি। পুলিশের দুই কর্মী আমার মাথায় আঘাত করেছে। কার্যত পুলিশ এখন তৃণমূলের গুন্ডায় পরিণত হয়েছে। আমরা কখনও জাতীয় সড়ক অবরোধ করতে চাইনি। কিন্তু পুলিশদের আজ অহেতুক অত্যাচারে আমরা বাধ্য হয়েছি। আমাদের যে কর্মীদের মারধর করা হয়েছে, পুলিশ সেই বিষয়ে তদন্ত করবে বলে আমাদের জানিয়েছে। আমাদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি পালন না করলে এরপর আমরা এবার থানা ঘেরাও করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মুসলিম মন্ত্রীদের বার করে দিয়ে সাজছে মমতার অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ঘর, দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: মুসলিম মন্ত্রীদের বার করে দিয়ে সাজছে মমতার অর্থনৈতিক উপদেষ্টার ঘর, দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের ৩ সংখ্যালঘু মন্ত্রীকে ঘরছাড়া করে সেই বাড়ি সাজানো হচ্ছে সদ্য অবসরপ্রাপ্ত মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জন্য। সোশ্যাল সাইটে সম্প্রতি এমনই অভিযোগ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করে শুভেন্দু দাবি করেছেন, এটাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চরিত্র। তৃণমূলের ধর্মনিরপেক্ষ ভাবমূর্তিকে আরও চকচকে করতে ও মুসলিম ভোট টানতে মুসলিম নেতারা তাদের কাছে নিছকই মুখ। ক্যামেরা বন্ধ হলেই তাদের সঙ্গে অবমাননাকর ও অসম্মানজনক আচরণ করা হয়।

    শুভেন্দুর দাবি

    কলকাতার পার্ক সার্কাসের কাছে সরকারি পালাটিয়াল বাংলো সম্প্রতি সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। ৭০০০ স্কোয়ার ফিটের এই বাংলোয় রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যসচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী থাকবেন। বাংলো সংস্কার, সাজানো ও আসবাব কিনতে ২ কোটি টাকা খরচ করছে সরকার। এই বাংলোর বর্তমান বাসিন্দারা হলেন রাজ্যের বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী জনাব আখতারুজ্জমান, প্রাক্তন সংখ্যালঘু প্রতিমন্ত্রী গিয়াসউদ্দিন মোল্লা। সেচ দফতরের প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন।

    গত ৩০ ডিসেম্বর অবসর নিয়েছেন বিদায়ী মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। তাঁর স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন স্বরাষ্ট্রসচিব ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন, যে বিধায়ক ও মন্ত্রীদের কলকাতায় বাড়ি নেই তাদের ঘরছাড়া করে কেন কলকাতায় ২টি বাড়ির মালিক হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর জন্য সরকারি বাংলো বরাদ্দ হল? সঙ্গে শুভেন্দুবাবু মনে করিয়েছেন, মুখ্যসচিব থাকাকালীন সরকারি বাংলোয় থেকেও এইচআরএ নিয়েছেন হরিকৃষ্ণবাবু। যেজন্য সরকারের ১৬.৪ লক্ষ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত ইডি, ভাঙল গাড়ির কাচ

    Ration Scam: বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত ইডি, ভাঙল গাড়ির কাচ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় বনগাঁ পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করতে গিয়েও আক্রান্ত হল ইডি। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ঘনিষ্ঠ ওই নেতাকে শুক্রবার রাতে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের লক্ষ্য করে উড়ে আসে ইট, ভাঙে গাড়ির কাচ। 

    আক্রান্ত ইডি

    প্রায় ১৭ ঘণ্টা পর শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ রেশন দুর্নীতি (Ration Scam) মামলায় উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁর প্রাক্তন পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্যকে গ্রেফতার করে ইডি। সন্দেহজনক লেনদেন এবং বক্তব্যে অসঙ্গতির কারণেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। শুক্রবার রাতেই বনগাঁ থেকে শঙ্করকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন ইডির আধিকারিকেরা। সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। শনিবার শঙ্করকে আদালতে হাজির করিয়ে তাঁকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানাতে পারে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনটাই ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে। 

    গ্রেফতার শঙ্কর

    শঙ্করকে গ্রেফতার করে তাঁর বনগাঁর বাড়ি থেকে তাঁকে নিয়ে বেরনোর সময় বিক্ষোভের মুখোমুখি হতে হয় ইডিকে। শুক্রবার সন্দেশখালিতে অভিযানে গিয়ে ভয়াবহ ভাবে আক্রান্ত হন ইডি আধিকারিক ও সিআরপিএফ জওয়ানরা। রাতে ফের আক্রান্ত হন তাঁরা। শঙ্করকে গাড়িতে তোলার সময় রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বনগাঁ। মহিলাদের সামনে রেখে বিক্ষোভ দেখিয়ে ইডির গাড়ি আটকানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেতার অনুগামীরা। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাঠিচার্জ করায় পিছু হঠে বিক্ষোভকারীরা।  পিছনে ইডির একটি গাড়ির কাচ ইট মেরে ভেঙে দেন ধৃত তৃণমূল নেতার অনুগামীরা।

    আরও পড়ুন: ইডির উপর হামলায় যুক্ত কারা? ছবি দেখিয়ে তিন জনকে ‘শনাক্ত’ করলেন শুভেন্দু

    ইডির অনুমান

    ইডি সূত্রে খবর, শঙ্করের শ্বশুরবাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে প্রায় সাড়ে আট লক্ষ টাকা উদ্ধার হয়েছে। ইডির দাবি, নথিপত্র ঘেঁটে লেনদেন সংক্রান্ত যে সকল তথ্য পাওয়া গিয়েছে তা সন্দেহজনক। ইডি জানতে পেরেছেন,  শঙ্কর ওরফে ডাকুর একাধিক সংস্থা রয়েছে। ইডি-র অভিযোগ, শঙ্কর এবং তাঁর পরিবার একাধিক বিদেশি মুদ্রা বিনিময় ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। রয়েছে অর্থলগ্নি সংস্থাও। ইডি নজরে সেই সংস্থা গুলির আর্থিক লেনদেন। শনিবার সকাল হতেই সিজিও কমপ্লেক্সে এসে হাজির হন শঙ্কর আঢ্যের স্ত্রী ও মেয়ে। তখনও আধিকারিকরা অফিসে এসে পৌঁছননি। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের অপেক্ষা করতে হয়। কিছু নথি দিয়ে তাঁরা চলে যান বলে ইডি সূত্রে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share