Tag: tmc

tmc

  • Mahua Moitra: মহুয়াকে ৩০ দিনে বাংলো খালির নির্দেশ! মন্ত্রককে চিঠি সংসদের আবাসন কমিটির 

    Mahua Moitra: মহুয়াকে ৩০ দিনে বাংলো খালির নির্দেশ! মন্ত্রককে চিঠি সংসদের আবাসন কমিটির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  আগামী ৩০ দিনের মধ্যে দিল্লির বাসভবন ছাড়তে হবে তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra)। ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’কাণ্ডে মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে গত শুক্রবার।  এবার তাঁকে বাংলো খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই মহুয়া মৈত্রকে দিল্লির বাসভবন ছেড়ে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে লোকসভা সচিবালয়ের তরফে। 

    মহুয়াকে বহিষ্কার

    বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে অভিযোগ করেছিলেন, ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া (Mahua Moitra)। নিশানা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। এ সবের জন্য শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির থেকে উপহার নিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি, মহুয়ার প্রাক্তন বান্ধব জয় অনন্ত দেহাদ্রাই অভিযোগ করেছিলেন, সংসদে নিজের মেল আইডির লগইন, পাসওয়ার্ড হীরানন্দানিকে দিয়েছিলেন মহুয়া। সেখানে সরাসরি প্রশ্ন পাঠাতেন শিল্পপতি। মহুয়া ‘ঘুষ’ নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে সংসদে নিজের মেল আইডির লগইন, পাসওয়ার্ড দেওয়ার কথা স্বীকার করেছিলেন। সেই ঘটনার জেরেই মহুয়াকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করার সুপারিশ করে লোকসভার এথিক্স কমিটি। হাতছাড়া হয় মহুয়ার সাংসদ পদ। মহুয়া মৈত্র এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।

    আরও পড়ুন: চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠক! হঠাৎ কেন ঘুম ভাঙল প্রশাসনের?

    কী কী সুবিধা হাতছাড়া মহুয়ার

    দিল্লির ৯বি, টেলিগ্রাফ লেন, এইচ সি মাথুর লেনের বাংলোতে থাকেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ২০১৯ সালে কৃষ্ণনগর থেকে তৃণমূলের টিকিটে জয়ের পরই তিনি সাংসদ হিসেবে এই বাংলোতে থাকার সুযোগ পান। একইসঙ্গে সেখানে তিনি পেতেন টেলিফোন কানেকশন, দেড় লাখ ফোনকল, ৫০ হাজার ইউনিট বিদ্যুৎ এবং ৪ হাজার কিলোলিটার জলের পরিষেবাও। এখন সাংসদ পদ হাতছাড়া হওয়ার পর সেগুলি ছেড়ে দিতে হবে মহুয়াকে। পাশাপাশি, বিনামূল্যে ট্রেন এবং বিমানের টিকিট আর পাবেন না সদ্য বহিষ্কৃত এই সাংসদ। স্বাভাবিক নিয়মেই সাংসদের বেতন এবং অন্যান্য সুযোগ সুবিধাও পাবেন না মহুয়া। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: লোকসভা থেকে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর! কী বললেন সুকান্ত?

    Mahua Moitra: লোকসভা থেকে মহুয়ার বহিষ্কার নিয়ে কটাক্ষ শুভেন্দুর! কী বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা থেকে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বহিষ্কারের পরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিয়ো পোস্ট করে তাঁকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। একইসঙ্গে মহুয়া দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছেন। তাঁর আরও কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত, অভিমত  রাজ্য বিজেপির সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। 

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    মহুয়ার কালী বিতর্ক অত্যন্ত পুরনো। কানাডার একটি তথ্য চিত্রের পোস্টারে কালীর ছবি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল। মহুয়া মৈত্র কালীর শাক্ত আচারে পুজো সম্পর্কে একটি মন্তব্য করেছিলেন। তা নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। এদিন পরোক্ষে সেই প্রসঙ্গ উসকে দিয়ে  বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমাজ মাধ্যমে লেখেন, ‘ভগবানকে নিয়ে অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করবেন না। তাঁর ক্রোধ আপনাকে পুরোপুরি ধ্বংস করতে পারে। জয় মা কালী। তুমি তাঁর মহিমাকে ছোট করতে পারবে না। বরং তাঁর প্রকোপে তুমি মুছে যাবে।’ টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন করায় শুক্রবার লোকসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে। ২ ঘণ্টা আলোচনার পর ধ্বনীভোটে গৃহীত হয় সহবৎ সমিতির চেয়ারম্যান বিনোদ সোনকরের পেশ করা প্রস্তাব।

    সুকান্তর অভিমত

    এদিন সুকান্ত বলেন, ‘মহুয়াকে বহিষ্কার অনৈতিক হয়ে থাকলে দেশের সমস্ত সাংসদের বাড়ির দরজায় রেট চার্ট টাঙিয়ে দেওয়া উচিত। সুকান্ত মজুমদারকে দিয়ে প্রশ্ন করাতে হলে প্রশ্নপ্রতি ১০ হাজার। সৌগত রায় যেহেতু অনেক দিনের সংসদ তাই তাঁর ১৫ হাজার। মহুয়া মৈত্র যখন দেশে ছিলেন তখন তাঁর আইডি দিয়ে বিদেশ থেকে লগ ইন হয়েছে। উনি নিজে স্বীকার করেছেন যে উপহারের বিনিময়ে প্রশ্ন করেছেন। ওনাকে সহবৎ সমিতির সামনে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। সেখানে উনি নিজের সমর্থনে বক্তব্য রেখেছেন। তার পর ওনাকে প্রশ্ন করা হলে উনি পালিয়ে গিয়েছেন। এখন উনি দাবি করছেন সংসদে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। লোকসভা চলে রুল বুক অনুসারে। মহুয়া মৈত্রের ইচ্ছায় লোকসভা চলে না। লোকসভার রুল বুকে এরকম কোনও অভিযুক্তকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা নেই।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের

    Calcutta High Court: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় হাইকোর্টে স্বস্তি বিজেপি বিধায়কদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মামলায় বিজেপি বিধায়কদের স্বস্তি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। বিজেপি বিধায়কদের ‘গ্রেফতার নয়’। এমনই মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ফলে, আরও একটি মামলায় ধাক্কা খেল রাজ্য। এদিন উচ্চ আদালতের পর্যবেক্ষণ, হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না।

    তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, গত ২৯ তারিখ বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে তাঁরা যখন জাতীয় সঙ্গীত গাইছিলেন, তখন নাকি বিজেপি বিধায়করা না দাঁড়িয়ে ঘাসফুল শিবিরকে চোর চোর স্লোগান দিতে থাকে! যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, যেখানে সেখানে, যে কোনও জায়গায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যায় না। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের শাসক দল এফআইআর-ও দায়ের করে পুলিশের কাছে। সেইমতো বেশ কয়েকজন বিধায়ককে তলব করে লালবাজার। পুলিশি তলবকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে পাল্টা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয় গেরুয়া শিবির। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে দায়ের হয় মামলা। সেখানেই আদালত এই মামলায় বিজেপিকে স্বস্তি দিয়েছে ৷ বিধায়কদের গ্রেফতার না করার মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট ৷

    ঠিক কী অভিযোগ বিজেপির

    গত ২৯ তারিখ ধর্মতলার সভায় বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই দিনই কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে কালো পোশাক পরে বিধানসভা চত্বরে অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধরনায় বসে তৃণমূল। নেতৃত্বে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমন সময় পাল্টা প্রতিবাদ জানাতে সেখান থেকে বেশ খানিকটা দূরে হাজির হন বিজেপি বিধায়করা। এই সময় হঠাৎ তৃণমূল জাতীয় সঙ্গীত শুরু করে।

    নেপথ্যে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা?

    বিজেপির অভিযোগ, জাতীয় সঙ্গীত কোথায় বাজছিল বা ওই বিধায়করা তখন কোথায় ছিলেন— এ সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখা হয়নি। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসাকে চরিতার্থ করতে (Calcutta High Court) এবং বিজেপি বিধায়কদের হেনস্থা করতেই এই জাতীয় এফআইআর দায়ের করেছে শাসক। বিজেপির দাবি, সেদিনই বিজেপি বিধায়কদের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননার অভিযোগ তুলে বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দেয় তৃণমূলের পরিষদীয় দল। এর পর বিধানসভায় এসে স্পিকারের সঙ্গে দেখা করেন ডিসি সেন্ট্রাল দীনেশ কুমার। তার পর ১১ বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়। সেই ইস্যুতেই এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয় পদ্মশিবির।

    কী জানাল আদালত?

    বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা বিষয়ক এই মামলাটি ওঠে। সেখানে বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, ‘‘হঠাৎ করে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করা যায় না। এখানে যদি এখন কেউ জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করেন, তা হলে তো সব কাজ বন্ধ করে সবাইকে দাঁড়িয়ে পড়তে হবে। এমনটা করা যায় নাকি! অবশ্যই জাতীয় সঙ্গীতের জন্য একটা নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলা উচিত।’’ বিচারপতির আরও পর্যবেক্ষণ, বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, এমন নয় যে, যখন তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীরা জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া শুরু করেন, তখন থেকে বিজেপি বিধায়কেরাও স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা বিধানসভায় আগে থেকেই স্লোগান দিচ্ছিলেন। ফলে জাতীয় সঙ্গীতের জন্য নিয়ম মানা দরকার। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: আজই ‘সদস্য’ পদ হারাবেন মহুয়া? সোমবার লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ

    Mahua Moitra: আজই ‘সদস্য’ পদ হারাবেন মহুয়া? সোমবার লোকসভায় এথিক্স কমিটির রিপোর্ট পেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বল্পমেয়াদী শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই মহুয়া (Mahua Moitra) ইস্যুতে উত্তাল হয়ে উঠতে পারে লোকসভা (Loksabha Winter Session)।  আজ, সোমবার থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন বসছে। চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই অধিবেশনে সরকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সাতটি সহ ২১টি বিল পাশ করাতে চায়। তার মধ্যে অন্যতম হল ফৌজদারি দণ্ডবিধি সংশোধনী বিল। এ ছাড়া মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনারদের নিয়োগ সংক্রান্ত বিলও এই অধিবেশনে পাশ করানোর কথা। 

    মহুয়ার ভবিষ্যত

    শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনেই নজরে থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC) সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়ার বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে প্রশ্ন করার অভিযোগে লোকসভার এথিক্স কমিটির তদন্ত রিপোর্ট আজই অধিবেশনে পেশ হওয়ার কথা। নানা সূত্রে ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে, এথিক্স কমিটি মহুয়াকে লোকসভা (Loksabha Winter Session) থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করেছে। এই রিপোর্ট লোকসভার অধিবেশনে পেশ করার পর সেটির উপরে আলোচনা হতে পারে অথবা সরাসরি ভোটাভুটির মাধ্যমে প্রস্তাব পাশ করানো যায়। মহুয়ার ব্যাপারে এখন স্পিকারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। তাঁর উপর নির্ভর করবে পরবর্তী পরিস্থিতি। স্পিকার ওম বিড়লা চাইলে প্রস্তাব পেশের পর ভোটাভুটি আপাতত স্থগিত রাখতে পারেন।

    আরও পড়ুন: রাজস্থানের যোগী! বালকনাথ কি বসতে চলেছেন মরুরাজ্যের কুর্সিতে?

    আজই কি শেষ দিন

    ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) সাংসদ নিশিকান্ত দুবে, তার সোশ্যাল মিডিয়ায় ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে মহুয়ার (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। লোকসভার (Loksabha Winter Session) পোর্টালে প্রত্যেক সাংসদের আলাদা লগইন ও পাসওয়ার্ড থাকে। এথিক্স কমিটি (Ethics Committee) রিপোর্টে উল্লেখ, ‘সেই লগইন ও পাসওয়ার্ড শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। এরপরই দেশের বাইরে থেকে পোর্টালে লগইন করা হয়’। কমিটির মতে, ‘স্রেফ অনৈতিক নয়, এই কাজ সংসদের অবমাননা’।  কমিটির আরও সুপারিশ, ‘টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন’ বিতর্কে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে আইন ও প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করা উচিত কেন্দ্রীয় সরকারের’। এ প্রসঙ্গে লোকসভার অধিকাংশ সাংসদই চাইছেন মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সংখ্যাধিক্যের জোরে এথিক্স কমিটির প্রস্তাব আজ পাস হয়ে যেতে পারে লোকসভায়। তেমন হলে সোমবারই এই লোকসভায় হবে মহুয়ার শেষ দিন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: সোমবারই লোকসভায় পেশ এথিক্স কমিটির রিপোর্ট! কী হবে মহুয়ার ভবিষ্যৎ?

    Mahua Moitra: সোমবারই লোকসভায় পেশ এথিক্স কমিটির রিপোর্ট! কী হবে মহুয়ার ভবিষ্যৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশসম্বলিত রিপোর্ট লোকসভায় জমা পড়তে চলেছে আগামী সোমবার। টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপনের অভিযোগে মহুয়ার বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। লোকসভার সচিবালয় থেকে যে অ্যাজেন্ডা পেপার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদকুমার সোনকর প্যানেলের প্রথম রিপোর্ট জমা পড়বে সোমবার।

    মহুয়া মৈত্রর ভবিষ্যৎ

    শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) ভবিষ্যৎ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির সুপারিশ-সহ গোটা রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করা হবে। লোকসভার সচিব তথা এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদ কুমার সোনকর মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সেই রিপোর্ট স্পিকারের কাছে পেশ করবেন। তারপর এথিক্স কমিটির সুপারিশ গ্রাহ্য করা হবে কি না সেটা আলোচনার ভিত্তিতে স্থির করবেন স্পিকার। ‘হিরানন্দানি গ্রুপের থেকে টাকা নিয়ে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন’ কাণ্ডে গত ৯ নভেম্বর মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ দিয়ে একটি রিপোর্ট দেয় এথিক্স কমিটি। ৬:৪ ভোটে এই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন” সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে কেন বললেন মানিক?

    মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে রিপোর্ট

    সোমবার, সংসদের নিম্নকক্ষে সেই রিপোর্ট জমা পড়লেই মহুয়ার (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাবে না। মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ তখনই হবে, যখন লোকসভায় এথিক্স কমিটির সুপারিশের পক্ষে ভোট দেবে সংসদের নিম্নকক্ষ। লোকসভা যদি মহুয়ার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়, তাহলে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগেই সাংসদ পদ হারাবেন মহুয়া। বর্তমানে লোকসভায় বিজেপি তথা এনডিএর যত জন সাংসদ রয়েছেন, তার নিরিখে রিপোর্টের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা সহজ হবে বলেই বিশ্বাস। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে জিতেছিলেন মহুয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ ছিল ২৯ নভেম্বর। সেদিনই বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল বিধায়করা। কালো পোশাক পরে তৃণমূলের এই বিক্ষোভে সমাবেশে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ হলেও ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকেই রীতিমত পরিসংখ্যান পেশ করে তৃণমূলের এই মিথ্যা দাবিকে নস্যাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার শুক্রবার অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশ গঙ্গা জল দিয়ে ধুতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, ‘‘চোরেরা বসে ওই স্থান অপবিত্র করেছে। তাই গঙ্গাজল দিয়ে তা ধুতে হবে।’’ এদিন মাথায় কলসি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গঙ্গা জল আনতেও দেখা যায়। তারপরে তিনি সেই জল ঢালেন এবং পরে নিজে গামছা দিয়ে মোছেন।

    ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের পাল্টা ধরনা বিজেপির 

    প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের এই ধর্না কর্মসূচির মধ্যেই বিধানসভায় পাল্টা অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে স্লোগান উঠতে থাকে ‘পিসি চোর ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর’। বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও করে শাসক দল। শুক্রবার পলিথিনের জারে করে প্রথমে গঙ্গা জল নিয়ে আসা হয়, তারপর তা পিতলের কলসিতে ভরা হয়। সেই জল দিয়েই অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ পরিষ্কার করা হয়।

    রাস্তা থেকে বিধানসভা প্রতিবাদে সামিল বিজেপি বিধায়করা

    শুভেন্দুর এই অম্বেডকর-এর মূর্তি শুদ্ধিকরণ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিধানসভার অন্দরে। বিধানসভায় এদিন স্পিকার আবার ডেকে পাঠান মার্শালকে। কিভাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই কর্মসূচি পালন করলেন, তা জানতে চান তিনি। বিধানসভা চত্বরে যাবতীয় ধর্না বিক্ষোভ তথা প্রতিবাদ কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার জানিয়ে দেন, এ বার থেকে বিধানসভা চত্বরে কোনও রকম প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ বা মিটিং, মিছিল করা যাবে না। যদিও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ থামাতেই স্পিকার এমন ঘোষণা করেছেন। নির্দেশের কপি হাতে পেলে তিনি এ বিষয়ে যা করণীয়, তাই করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় দুর্নীতির শিকড়ে (Recruitment Scam) পৌঁছতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান। তৃণমূলের বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছছে সিবিআই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসাবেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে ওই দুই কাউন্সিলরের বাড়িতে।  

    পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য

    পাটুলিতে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসাবেই পরিচিত তিনি। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বাপ্পাদিত্যের বাড়ির সামনে পৌঁছন বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা বাড়ির সদর দরজার সামনে কড়া নাড়েন। বেশ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর নিজেই দরজা খুলে দেন বাপ্পাদিত্য। সিবিআই আধিকারিকেরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ দেবরাজ

    এদিন সকাল ৯টা ১০ নাগাদ বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। তখন দেবরাজ বাড়িতে ছিলেন না। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বাড়ি পৌঁছে যান। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ভিতরে ঢুকে যান। দেবরাজ তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী। এর আগেও তাঁকে একটি মামলায় তলব করেছিল সিবিআই। রাজনৈতিক মহলে তাঁকে অনেকেই চেনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে।

    আরও পড়ুন: শক্তিশালী সাইক্লোনের রূপ নেবে ‘মিগজাউম’! শনি-রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা

    সিবিআই তল্লাশি মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারেও

    সকাল থেকেই নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। ডোমকলের পাশাপাশি বড়ঞাতেও চলছে তল্লাশি। সেখানে ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। আবার বড়ঞাতে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি।” বুধ-দুপুরে ‘শাহি’ মঞ্চে কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন সভা ছিল বিজেপির। সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত?

    শাহি-ভাষণের আগে বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “অমিত শাহের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। ভয় পাচ্ছেন। ভাবছেন, ধরে নিয়ে যাবে। পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিয়েছে। এদের চিনে রাখুন। ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের ৩৫ লক্ষ্যমাত্রা পার করব। এই বার, ৩৫ পার।” সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি জিতবে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের কেন্দ্রে সরকার গড়বে বিজেপি। ২০২৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    শাহি-বচন 

    বাংলায় বিজেপি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভোট-হিংসা সব চেয়ে বেশি হয় বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেননি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “এক সময় যে বাংলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে কেবলই শোনা যায় বোমার শব্দ। আমি গুজরাটে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি। যে বাংলা এক সময় গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত, সেই বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন দিদি।” তিনি বলেন, “মোদিজির পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছেন। ভোট দিয়ে বিজেপি কর্মীরা বদলা নেবেন এই প্রতিটি রাজনৈতিক হত্যার।” শাহ বলেন, “মোদিজিকে উন্নয়ন করতে (Sukanta Majumder) দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে যখন সরগরম বিজেপির ধর্মতলার সভামঞ্চ, ঠিক তখনই রাজ্যবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিধানসভা চত্বরে ধরনায় বসল তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ আবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই ‘নিস্তরঙ্গ’আন্দোলনে ‘সুনামি’আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্মতলার সভা শেষ করে তিনি সটান চলে যান বিধানসভা চত্বরে। সেখানে ঢুকেই ‘মমতা চোর’স্লোগান দিতে থাকেন।

    বিজেপির সভা

    বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোর পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করে বিজেপি। সভামঞ্চ আলোকিত করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপির একঝাঁক নেতার উপস্থিতিও জৌলুস বাড়িয়েছিল পদ্ম-সভার। বিজেপির এই সভার উদ্দেশ্য ছিল, কীভাবে তৃণমূল বিরোধী মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে। কীভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুটেপুটে খেয়েছেন তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী। সভা উপলক্ষে এদিন আক্ষরিক অর্থেই যখন অল রোডস লিড টু ধর্মতলা, ঠিক তখনই কালো পোশাক পরে শাসক দলের বিধায়করা বসেছিলেন বিধানসভা চত্বরের ধর্নায়। ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তাতে যে আদতে বিশেষ লাভ হয়েছে, তা মনে করছেন না রাজনীতির কারবারিরাও। তাঁদের মতে, এদিন তামাম রাজ্যের ফোকাসে ছিলেন অমিত শাহ। তিনিই কেড়ে নিয়েছিলেন প্রচারের (Suvendu Adhikari) সবটুকু আলো। তাই হালে পানি পাননি মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা।

    শুভেন্দুর আগমনে উঠল ঢেউ 

    এই ধর্নায়ই অবশ্য হাজার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্ব ঝলসে উঠল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আগমনের পর। সভা শেষের পর দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ‘জায়ান্ট কিলার’ (নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর রাজ্যবাসী তাঁকে চেনেন এই নামেই) চলে আসেন বিধানসভা চত্বরে। ‘চোর’, ‘চোর’স্লোগান দিতে দিতে তিনি চলে আসেন নাট্য-রঙ্গের মূল দৃশ্যে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘চোর’, ‘চোর’, ‘মমতা চোর’। ‘চাকরি চোর মমতা’, ‘ডিএ চোর মমতা’। তাঁর সতীর্থরা ধ্বনি দিতে থাকেন, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’। পরে বিধানসভার প্রধান প্রবেশদ্বারের মুখে বসে পড়েন গেরুয়া বিধায়করা। পদ্ম ও ঘাসফুল শিবিরের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে সরগরম বিধানসভা চত্বর। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সরকার চোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর। তিনিই সব দুর্নীতির মাথা। আমরা তাঁর শাস্তি চাই।”

    আরও পড়ুুন: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     
LinkedIn
Share