Tag: tmc

tmc

  • SSC: অযোগ্যদের নিয়োগ ‘কবুল’, ৩ হাজার ৫১২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    SSC: অযোগ্যদের নিয়োগ ‘কবুল’, ৩ হাজার ৫১২ জনের নামের তালিকা প্রকাশ এসএসসির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডির অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সব মিলিয়ে ওই তালিকায় নাম রয়েছে ৩ হাজার ৫১২ জনের (Tainted Staff)। সোমবার সন্ধে ৭টার পর এই তালিকা প্রকাশ করা হয়।

    অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ (SSC)

    এদিনই এসএসসির তরফে প্রকাশ করা হয় গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডির জন্য আলাদা অযোগ্যদের তালিকা। এসএসসির তরফে প্রকাশিত ওই তালিকায় গ্রুপ-সিতে ১ হাজার ১৬৩ জন এবং গ্রুপ-ডিতে ২ হাজার ৩৪৯ জন অযোগ্যের নাম রয়েছে। এঁদের মধ্যে গ্রুপ-সিতে ওএমআর শিটে জালিয়াতি করে চাকরি পেয়েছিলেন ৭৮৩ জন। সুপারিশপত্র ছাড়া চাকরি পেয়েছিলেন ৫৭ জন অযোগ্য। গ্রুপ-ডির তালিকায় দাগি রয়েছেন ১ হাজার ৭৪১ জন। ওএমআর শিটে জালিয়াতির পাশাপাশি র‌্যাঙ্ক জাম্পেরও অভিযোগ রয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। অযোগ্যদের নাম ও রোল নম্বর দিয়ে তালিকা প্রকাশ করেছে এসএসসি। এদিনের তালিকায় যাঁদের নাম প্রকাশিত হয়েছে, তাঁরা আর স্কুল সার্ভিস কমিশনের গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির নয়া নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন না।

    নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতি

    প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পর গত অগাস্ট মাসে অযোগ্য শিক্ষকদের তালিকা প্রকাশ করেছিল এসএসসি। নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ মিলিয়ে মোট ১ হাজার ৮০৪জনের নাম ছিল ওই তালিকায়। এবার গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডির অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করল এসএসসি (SSC)। এই তালিকা প্রকাশ করে ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্তদের বিষয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে দিল কমিশন। শীর্ষ আদালতের রায়ে গত ৩ এপ্রিল চাকরি খুইয়েছিলেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী। পুরানো প্যানেল বাতিল করে নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। এজন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছিল সময়ও। সেই সব নিয়ম মেনেই আপাতত চলছে শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া। এবার পালা শিক্ষাকর্মী নিয়োগের। এই মর্মে ১০ অক্টোবরহ বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করেছিল এসএসসি। আবেদনপত্র জমা নেওয়া শুরু হয়েছে সোমবার থেকে, চলবে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে এতে অংশ নিতে পারবেন না দাগিরা।

    উল্লেখ্য, এই দাগিদের (Tainted Staff) তালিকায় রয়েছেন কোচবিহারের তৃণমূল যুব সভাপতি, বাঁকুড়ার তৃণমূল বুথ সভাপতি, শিলিগুড়ির যুব তৃণমূল নেতা, দুর্গাপুরের তৃণমূল শ্রমিক নেতার ছেলে। তৃণমূল কর্মী কিংবা তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজনের নামও ওই তালিকায় রয়েছে বলে অসমর্থিত সূত্রের খবর (SSC)।

  • Fake Birth Certificate Factory: পঞ্চায়েতের অন্দরে জাল শংসাপত্রের রমরমা কারবার, কড়ি ফেললেই মিলছে ‘কাগজ’!

    Fake Birth Certificate Factory: পঞ্চায়েতের অন্দরে জাল শংসাপত্রের রমরমা কারবার, কড়ি ফেললেই মিলছে ‘কাগজ’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা জমানায় প্রকাশ্যে এল বিরাট আন্তঃসীমান্ত পরিচয় জালিয়াতি চক্রের (Fake Birth Certificate Factory) হদিশ। ভারতের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার ভিতকেই নাড়িয়ে দিয়েছে এই জালিয়াতি চক্র। ‘বাংলাদেশি বার্থ সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারি’ নামে পরিচিত এই ঘটনায় জড়িয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের নাম (Bangladeshis)। অভিযোগ, কেবল ২০২৪ সালেই এখান থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে ৩,৫০০-এরও বেশি জাল বার্থ সার্টিফিকেট।

    প্রকাশ্যে কেলেঙ্কারি (Fake Birth Certificate Factory)

    বিজেপি নেতা কিরীট সোমাইয়ার এক্স হ্যান্ডেলে প্রকাশিত এই কেলেঙ্কারির কথা প্রকাশ্যে আসার পরেই উঠছে নানা প্রশ্ন। প্রশ্ন উঠেছে, তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের ভূমিকা, তাদের নজরদারির শিথিলতা এবং অনুপ্রবেশে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতার অভিযোগ নিয়েও। একসময় সুন্দরবনের একটি দ্বীপে অবস্থিত এই নিরিবিলি পঞ্চায়েতটি এখন কুখ্যাত হয়ে উঠেছে ‘ভারতের জাল বার্থ সার্টিফিকেটের রাজধানী’ হিসেবে।পাঠানখালি গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসটি রয়েছে স্থানীয় জেটি থেকে মাত্র পাঁচ মিনিটের হাঁটা পথের দূরত্বে। এই পঞ্চায়েত ভবনেরই বেগুনি-সবুজ দেওয়ালের আড়ালে তদন্তকারীরা সন্ধান পেয়েছেন একটি সুচারুভাবে পরিচালিত জালিয়াতি চক্রের। প্রশাসনিক উদাসীনতা এবং রাজনৈতিক আশ্রয় ও প্রশ্রয়ের জেরে বছরের পর বছর ধরে বিকশিত হয়েছে এই চক্র (Fake Birth Certificate Factory)।

    হাজার হাজার ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট

    চলতি বছর একটি সংবাদ মাধ্যমের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, পাসপোর্ট চক্রের সূত্র প্রথমে পুলিশকে পাঠানখালিতে নিয়ে যায়। সেখানে দেখা যায় মাত্র ৪ হাজার পরিবারের এই ছোট্ট গ্রামপঞ্চায়েত ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে হাজার হাজার ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট ইস্যু করেছে। এখন এই চক্র আরও আধুনিক রূপে ফিরে এসেছে। সরকারি পোর্টাল ব্যবহার করে বিদেশিদের জন্য জাল ভারতীয় পরিচয়পত্রও তৈরি করছে। এই তদন্তের কেন্দ্রীয় ব্যক্তি হলেন গৌতম সর্দার। স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের এই কর্মী পাঠানখালি পঞ্চায়েত অফিসের অস্থায়ী কর্মী। ২০১৯ সালে বছরে মাত্র ৩,৫০০ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে নিয়োগ করা হয় তাঁকে। অভিযোগ, তিনি ‘জন্ম-মৃত্যু তথ্য’ (রাজ্যের সরকারি জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন) পোর্টালে অ্যাক্সেসের অপব্যবহার করেন। তিনি নাকি গ্রাম প্রধানের লগইন তথ্য হ্যাক করে ওটিপি নিজের মোবাইল নম্বরে ঘুরিয়ে নিতেন (Bangladeshis)। ৭ জুন গ্রেফতার করা হয় সর্দারকে। অভিযোগ, তিনি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জন্য হাজার হাজার জাল জন্ম শংসাপত্র তৈরি করেছেন। এই সার্টিফিকেটগুলির অনেকগুলিই পরে ব্যবহার করা হয়েছে ভারতীয় পাসপোর্ট, আধার কার্ড, রেশন কার্ড ও ভোটার আইডি পেতে। কলকাতা পুলিশ ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে সর্দারের অ্যাকাউন্টে বিপুল আর্থিক লেনদেনের হদিশও পেয়েছে (Fake Birth Certificate Factory)। এ থেকে স্পষ্ট, পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীদের সঙ্গে এই চক্রের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের গভীর যোগসাজশ রয়েছে।

    বাংলাদেশিদের ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সাহায্য

    অবশ্য এর আগেও খবরের শিরোনামে এসেছে পাঠানখালি। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছিল, এই একই পঞ্চায়েত শত শত ভুয়ো শংসাপত্র ইস্যু করে বাংলাদেশিদের ভারতীয় পাসপোর্ট পেতে সাহায্য করেছিল। সেই সময় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতারও করেছিল। এত সবের পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পক্ষ থেকে কোনও কাঠামোগত সংস্কার বা ডিজিটাল অডিট ব্যবস্থা চালু করা হয়নি। যে ব্যবস্থায় স্বচ্ছতা থাকা জরুরি ছিল, সেটিই পরিণত হয়েছে জালিয়াতির আঁতুড়ঘরে, বিশেষত সীমান্ত-লাগোয়া জেলাগুলিতে। এই জেলাগুলিই তৃণমূল কংগ্রেসের গুরুত্বপূর্ণ ভোটব্যাঙ্ক। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই রাজনৈতিক লাভের উদ্দেশ্যেই পঞ্চায়েতের মধ্যেই চলছে জালিয়াতির রমরমা কারবার!

    #বাংলাদেশিবার্থসার্টিফিকেটস্ক্যাম

    এসব ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এক্স হ্যান্ডেলে কিরীট লিখেছেন, “#বাংলাদেশিবার্থসার্টিফিকেটস্ক্যাম – শুধু ২০২৪ সালেই পাঠানখালি পঞ্চায়েত থেকে ৩,৫০০-এরও বেশি ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট দিয়েছে বাংলাদেশিদের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন কি বেআইনি অভিবাসীদের জন্য বাংলার সীমান্তবর্তী গ্রামগুলিকে পাসপোর্ট কারখানায় (Bangladeshis) পরিণত করছে?” কিরীট-সহ বিজেপির অন্যান্য নেতা এই চক্রের শেকড় খুঁজতে সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, রাজ্যের এই সংস্থাগুলি তৃণমূল-ঘনিষ্ঠ মূল অপারেটিভদের রক্ষা করছে (Fake Birth Certificate Factory)।

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    বিজেপির এক প্রবীণ নেতা বলেন, “এটি কোনও দফতরের কর্মী কিংবা আধিকারিকের ভুল নয়, এটি ভারতের নিরাপত্তা কাঠামোকে ইচ্ছাকৃত ও পদ্ধতিগতভাবে দুর্বল করে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টা। ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেট থেকে জাল পাসপোর্ট – এই পথ দিয়ে বৈধতা পাওয়া প্রতিটি অনুপ্রবেশকারী শেষমেশ পরিণত হচ্ছে রাজনৈতিক হাতিয়ারে।” বাংলাদেশের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ২ হাজার ২০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ঝুঁকিপূর্ণ ও ফাঁক-ফোকরযুক্ত সীমান্ত থাকায় অনুপ্রবেশের বিষয়টি দীর্ঘদিন ধরেই বিতর্কিত একটি ইস্যু। এনআরসি–সিএএ বিতর্কও সবচেয়ে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হয়েছে এই বাংলায়। এটি এমন একটি রাজ্য, যেখানে নির্দিষ্ট অর্থের বিনিময়েই তৈরি করে নেওয়া যায় দলিলভিত্তিক নাগরিকত্ব। আর তার পৃষ্ঠপোষকরা এসআইআর-এনআরসি কিংবা সিএএর বিরুদ্ধে চিৎকার করেন গলার রগ ফুলিয়ে (Fake Birth Certificate Factory)।

    কথায় বলে না, চোরের মায়ের বড় গলা!

  • BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে বেরলো?” দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডের পর এমনই মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহিলা এই মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের রাত ৮টার (BJP) মধ্যেই ঘরে ‘সেঁধিয়ে’ যাওয়ার পরামর্শও দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সেই তিনিই এবার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় দলকে।

    মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জয় ভারতের (BJP)

    রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২৯৮ রান তোলে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারত। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে সব উইকেট হারিয়ে গোহারা হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাত ১২টার কিছু পরে বিশ্বকাপ ওঠে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের হাতে। তার পরেই দেশজুড়ে শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যান ভারতীয় ক্রিকেট দলের মহিলা সদস্যরা। এই টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষ। এই তালিকায় রয়েছেন মমতাও। তার পরেই কার্যত তাঁকে ধুয়ে দিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেই তাঁর অভিনন্দন-বার্তাকে খোঁচা দিয়েছে পদ্মশিবির।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন-বার্তায় খোঁচা বিজেপির

    ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ, গোটা দেশ উইমেন ইন ব্লু-র বিশ্বকাপ ফাইনালের কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। টুর্নামেন্টজুড়ে তাঁরা যে লড়াই এবং যে কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন, তা তরুণীদের প্রজন্মে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আপনারা প্রমাণ করেছন যে আপনারা শীর্ষ স্তরে একটি বিশ্বমানের দল এবং আপনারা আমাদের কিছু অসাধারণ মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। আপনারা আমাদের নায়ক। ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য আরও বড় সাফল্য অপেক্ষা করে রয়েছে। আমরা (Mamata Banerjee) আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য তুলে ধরেই এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে খোঁচা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (BJP)। “ওএমজি (ও মাই গড) ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন! কিন্তু আপনি তো ৮টার মধ্যেই বাড়ি ঢুকে যেতে বলেছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওটি একটি প্রাইভেট কলেজ। মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মেয়েটি কীভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে গেল? জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কী হয়েছে, জানি না। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলির উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত। রাতে তাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ কীভাবে জানবে রাতে কে কখন বেরোবে? বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব রাতে তারা যেন না বেরোয়। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় কোথাও যায়, পুলিশ তো আর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না (BJP)।”

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন মন্তব্য করা মুখ্যমন্ত্রীই কিনা এখন রাত ১২টা পর্যন্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মহিলা ক্রিকেট দলকে ‘শুভনন্দন’ (শুভ অভিনন্দন না বলে এই শব্দটি ব্যবহার (Mamata Banerjee) করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। যদিও শব্দটি কোনও অভিধানেই নেই।) জানাচ্ছেন (BJP)!

    ভূতের মুখে রাম নাম!

  • Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “পানিহাটির ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করছে তৃণমূল”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গদি টেকাতে তৃণমূলের হাতিয়ার সেই এনআরসি জুজু! পানিহাটিতে প্রদীপ কর নামে এক ব্যক্তি এনআরসির ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি তৃণমূলের। রাজ্যে এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। বুধবার তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার কথা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। পানিহাটির ঘটনা নিয়ে তৃণমূল মিথ্যাচার করছে বলে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। স্থানীয়দের একাংশেরও দাবি, অযথা মৃত্যু নিয়ে রাজনীতি করছে রাজ্যের শাসক দল।

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ (Suvendu Adhikari)

    তৃণমূলের মিথ্যাচারের ‘মুখোশ’ খুলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “যিনি মারা গিয়েছেন বা আত্মহত্যা করেছেন, তাঁর নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় ছিল। তিনি তখন ভোট দিয়েছেন। ফলে এসআইআর হলে তো তাঁর চিন্তার কিছু নেই। তাছাড়া, যে পরিবারের কথা বলা হচ্ছে, তারা তৃণমূল করে। মৃতের আত্মীয় বলতেও তেমন কেউ নেই। দেখা উচিত, সুইসাইড নোট কে লিখেছেন।” তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “ওঁরা বলেছিলেন এসআইআর হতে দেব না, ঘেরাও করা হবে। বাস্তবে দেখা গেল, এসআইআর হচ্ছে এবং বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের নামও বাদ পড়ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপোর রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছে। মমতা কালীঘাটে বাটি নিয়ে বসবেন, ভাইপো যাবেন জেলে।”

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ

    বিএলওদের রাজনৈতিক যোগ নিয়েও একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এক্স হ্যান্ডেলে নথি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “ফলতার ১৭৬ নম্বর পার্টে চাঁদপালা সন্তোষপুর রামকৃষ্ণ বিদ্যামন্দিরের ক্ষেত্রে বিএলও হিসেবে নিযুক্ত দিব্যেন্দু সরকার ফলতা ব্লকের হরিণডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য।” তাঁকে বিএলওর পদ থেকে সরিয়ে দিতে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধও জানান শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “বিএলওদের বিহারের কথা মনে করাব। দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন না করায় ৫২ জন এখনও জেলে রয়েছেন। ভাবতে পারেন ওখানে নীতীশ কুমারের পুলিশ বলে জেলে, এখানে কিছু হবে না। কিন্তু আপনাদের জেলে পাঠাতে আমরা সবরকম বন্দোবস্ত করব। তাই বিজেপি কিংবা অন্য কোনও (SIR) পার্টির কথা না শুনে সঠিকভাবে কাজ করুন, কেবল নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে (Suvendu Adhikari)।”

  • SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    SIR: বাংলা-বিহার দুই রাজ্যেরেই ভোটার ভোটকুশলী পিকে! হলটা কী ‘SIR’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি ভোটকুশলী। মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে ‘কৌশল’ বেচে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে জেতানোয় তাঁর নাকি (SIR) দারুন হাতযশ! আদতে বিহারের বাসিন্দা এই প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) ওরফে পিকে-কে ২০১৪ সালে বাংলায় ডেকে নিয়ে এসেছিলেন কালীঘাটের বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারের সদস্য তথা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। উদ্দেশ্য ছিল, বাংলায় তৃণমূলকে ভোট-বৈতরণী পার করে দেওয়া। জনশ্রুতি এই যে, পিকের সংস্থার দাওয়াইয়ের জেরেই পর পর দু’বার ক্ষমতায় এসে টানা তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর গদিতে রয়ে গিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘জন সুরাজ পার্টি’ নামে নিজে একটি দলও খুলেছেন পিকে। আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচনে গুচ্ছের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট-ময়দানে নেমেও পড়েছে তাঁর দল। এহেন পিকেই ফের একবার চলে এলেন খবরের শিরোনামে। না, রাতারাতি বিরাট কিছু করে ফেলেননি তিনি। তবে বাংলায় এসআইআরের ঢাকে কাঠি পড়তেই ‘মুখোশ’ খুলে পড়েছে এই ভোটকুশলীর।

    বাংলায় এসআইআর (SIR)

    ফেরা যাক খবরে। ২০২৬ সালে বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনের আগে এসআইআর করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কেবল এ রাজ্যেই নয়, গোটা দেশেই, যে প্রক্রিয়ার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে পড়শি রাজ্য বিহারে। সোমবার বিকেলে নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করেন। রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হয় ভোটার তালিকা। তার পরেই দেখা গেল, কেঁচো খুঁড়তে গিয়ে বেরিয়েছে কেউটে! জানা গেল, বাংলা এবং বিহার দু’রাজ্যেরই ভোটার তালিকায় জ্বলজ্বল করছে ভোটকুশলীর নাম! পশ্চিমবঙ্গে ভোটার তালিকা অনুযায়ী, তিনি কলকাতার বাসিন্দা। ঠিকানা ১২১, কালীঘাট রোড। এই ঠিকানাটি আবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলের শীর্ষ কমান্ডার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিধানসভা কেন্দ্র ভবানীপুর এলাকার মধ্যে পড়ে। প্রশান্ত কিশোরের নাম রয়েছে বিহারের করহাগর বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায়ও। ওই রাজ্যে তাঁর ভোটকেন্দ্র মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কোনার। এই গ্রামই প্রশান্ত কিশোরের পৈতৃক গ্রাম।

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার পিকে

    অর্থাৎ একই প্রশান্ত কিশোর একই সঙ্গে দুই রাজ্যের (SIR) ভোটার। একটি রাজ্যে লড়ছে তাঁর দল, আর একটি রাজ্যে তৃণমূলকে জেতাতে মরিয়া তাঁরই হাতে গড়া সংস্থা আই-প্যাক। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন জানতে চেয়েছে, প্রশান্ত কিশোর (Prashant Kishor) কি নাম কাটার জন্য আবেদন করেছিলেন? বিষয়টি ইচ্ছাকৃত কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে কমিশন। উল্লেখ্য, কোনও একজন ভোটারের একই সঙ্গে দুই জায়গার ভোটার তালিকায় নাম থাকা নিয়ম বহির্ভূত।

    পিকের টিমের বক্তব্য

    একই সঙ্গে দুই রাজ্যের ভোটার তালিকায় নাম থাকার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেননি পিকে স্বয়ং। তবে তাঁর টিমের এক সদস্য বলেন, “বঙ্গের ভোট শেষ হওয়ার পরই তিনি ভোটার হন বিহারের। ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গের ভোটার তালিকা থেকে নাম বাদ দেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।” তবে সেই আবেদন বর্তমানে কোন পর্যায়ে রয়েছে, তা স্পষ্ট নয় (SIR)। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি বিহারের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক বিনোদ সিং গুঞ্জিয়াল।

    কী বলছে আইন

    প্রসঙ্গত, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫০ এর ১৭ নম্বর ধারা অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তি একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় নাম রাখতে পারেন না। ১৮ নম্বর ধারায়ও বলা হয়েছে, একই কেন্দ্রের ভোটার তালিকায় একাধিকবার নাম তোলা আইন বিরুদ্ধ। তবে, কোনও ভোটার বাসস্থান পরিবর্তন করলে তিনি ফর্ম ৮ পূরণ করে নয়া ঠিকানার ভোটার তালিকায় তাঁর নাম স্থানান্তর করতে পারেন (SIR)। নির্বাচন কমিশনের মতে, দেশে একাধিক জায়গায় ভোটার তালিকায় নাম থাকা নতুন কিছু নয় (Prashant Kishor)। এই কারণেই নির্বাচন কমিশন চালু করেছে এসআইআর, যার নান্দীমুখ হয়ে গিয়েছে বিহারে। কমিশনের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত বিহারের ভোটার তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে ৬৮.৬৬ লাখ নাম। এর মধ্যে ৭ লাখ ভোটারের নামই ছিল একাধিক জায়গার ভোটার তালিকায়।

    বিজেপির বক্তব্য

    এ প্রসঙ্গে এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোরের নাম ভোটার তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার — দুই জায়গায়ই… আরও তাৎপর্যপূর্ণ হল, রাহুল গান্ধীর সব সহযোগীরাই ‘ভোট চুরি’তে জড়িত। এই কপটতা বিস্ময়কর।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    কলকাতার ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভ্রাতৃবধূ কাজরি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “১২১, কালীঘাট রোড আমাদের দলীয় কার্যালয়। প্রশান্ত কিশোর তখন এখানে কাজ করতেন এবং প্রায়ই থাকতেন। তবে তিনি এখান থেকে ভোটার হিসেবে নাম তুলেছেন কিনা, তা জানি না (SIR)।” রাজনৈতিক মহলের মতে, কাজরি না জানলেও, বিষয়টি নিশ্চিত জানতেন তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর জানতেন পিকের টিমের সদস্যরা। তাছাড়া, পার্টি অফিসের ঠিকানা (Prashant Kishor) দেখিয়ে যে কোনও ‘গৃহস্থে’র নাম (পার্টির সর্বক্ষণের কর্মী এবং পার্টি অফিসই যাঁর ঘর, তাঁদের কথা অবশ্য আলাদা) ভোটার তালিকায় তোলা যায়, তা দেখিয়ে দিলেন (SIR) ভোটকুশলী স্বয়ং।

    এটাও কি ভোটকৌশলেরই অঙ্গ ‘SIR’?

  • ECI: মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু এসআইআর, জানুন কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া

    ECI: মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু এসআইআর, জানুন কীভাবে সম্পন্ন হবে এই প্রক্রিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে শুরু হয়ে যাচ্ছে বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সংক্ষেপে এসআইআর-এর (SIR) কাজ। আগেই জানা গিয়েছিল, সোমবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এসআইআরের সময়সূচি ঘোষণা করবে জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। প্রথম পর্যায়ে তারা ঘোষণা করেছিল বিহারে এসআইআরের কাজের নির্ঘণ্ট। তার কারণ, নভেম্বরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে সে রাজ্যে।

    কোন কোন রাজ্যে এসআইআর (ECI)

    এদিন দ্বিতীয় দফায় ১২টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআরের দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। যে সব রাজ্যে আগামী বছরেই বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে, সেই সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এসআইআর হবে আগে। যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন হওয়ার কথা মার্চের শেষাশেষি, তাই মঙ্গলবার থেকেই রাজ্যে শুরু হয়ে যাবে এসআইআর প্রক্রিয়া। এই তালিকায় রয়েছে তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরির নামও। এদিন বিকেল ৪টে ১৫মিনিট নাগাদ দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, সফল হয়েছে প্রথম দফার এসআইআর। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে মঙ্গলবার থেকে।

    এসআইআরের মূল উদ্দেশ্য

    এসআইআরের মূল উদ্দেশ্যগুলির একটি হল (ECI), অবৈধ অভিবাসীদের চিহ্নিত ও অপসারণ করা। এজন্য ভোটারদের জন্মস্থান যাচাই করার কাজেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে যেসব অবৈধ অনুপ্রবেশকারী ভারতে ঢুকেছে, তাদের বিরুদ্ধেই তৎপরতা চালানো হচ্ছে (SIR)। এদিনের বৈঠকে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই এই এসআইআর প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। পশ্চিমবঙ্গ-সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই দফায় এসআইআর প্রক্রিয়া চালু হতে চলেছে। তবে অসমে এই পর্বে এসআইআর হচ্ছে না। সেখানে এসআইআর হবে আলাদা করে।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার বলেন, “এসআইআরের দায়িত্ব বৈধদের রাখা, অবৈধদের বাদ দেওয়া। আর যে কোনও নির্বাচনের আগে এই প্রক্রিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিহারে এসআইআর সফল হয়েছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ বা আবেদন আসেনি।” এসআইআরের সময় প্রথমে এনুমারেশন ফর্ম প্রিন্ট করা হবে। যে রাজ্যে এসআইআর হবে, সেখানকার ভোটারদের সূচি সোমবার রাত ১২টায় ফ্রিজ করে দেওয়া হবে। সেই সূচিতে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের ওই ফর্ম দেওয়া হবে। বিহারের মতো আধার কার্ডকেও পরিচয়পত্র হিসেবে মান্যতা দেওয়া হবে। যদিও আধার কখনওই নাগরিকত্ব ও জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে না (SIR)।

    মঙ্গলবার শুরু প্রশিক্ষণের কাজ

    মঙ্গলবার থেকে (ECI) শুরু হবে প্রশিক্ষণের কাজ। চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। তার পরের দিন থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া ও জমা নেওয়ার কাজ চলবে। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। ২০২৬ সালের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নেওয়া হবে অভিযোগ। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। যা চলবে ৯ ডিসেম্বর থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। জানা গিয়েছে, আগামী ১ নভেম্বর থেকে বাড়ি বাড়ি এনুমারেশন ফর্ম নিয়ে যাবেন বুথ লেভেল অফিসার, সংক্ষেপে বিএলওরা। এই ফর্মের সফট কপি ইআরও পোর্টালে আগেই তুলে দেবে কমিশন। পরে সেগুলি যাবে ছাপার জন্য। একজন ভোটারের জন্য দু’টো করে এনুমারেশন ফর্ম ছাপানো হবে।

    এনুমারেশন ফর্ম

    বর্তমানে বাংলায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। এনুমারেশন ফর্মগুলি ভোটারদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। এই ফর্মে ভোটারের নাম, এপিক নম্বর, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ বেশিরভাগ তথ্য ছাপা থাকবে। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ জমা দিতে হবে। দু’টি ফর্মের মধ্যে একটি থাকবে সংশ্লিষ্ট ভোটারের কাছে, অন্যটি নিয়ে যাবেন বিএলওরা। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, বিহারের মতোই এ রাজ্যেও বর্তমানে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা সবাই এনুমারেশন ফর্ম পাবেন (ECI)। প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে, বাম জমানায়। সেবারের সংশোধিত তালিকার (SIR) সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এসআইআর করে সব ভোটারের নাম নতুনভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতেই পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশের ভোটার তালিকায় কোনও ভুয়ো ভোটার বা ভুতুড়ে ভোটার বা একই নামের ভোটার দু’জায়গায় রয়েছেন কিনা কিংবা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা – এসবই সংশোধন করার এক বিশেষ প্রক্রিয়া হল এসআইআর।

    এসআইআর হলে বিপাকে পড়বে তৃণমূল!

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বিপাকে পড়বে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ শাসক দলের নেতাদের একাংশকে হাত করে বিভিন্ন আইডি প্রুফ সংগ্রহ করে ভোটার তালিকায় নাম তুলেছে বহু বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী এবং রোহিঙ্গা। বাম আমলে ২০০২ সালের পরে দলে দলে এদের পশ্চিমবঙ্গে ঠাঁই দেওয়া হলেও, সময় যত গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে অনুপ্রবেশকারীদের সংখ্যা। বিরোধীদের মতে, এদের ভোটেই পুষ্ট হয়েছে শাসক দল। তাই এসআইআরের মাধ্যমে এদের ছাঁটাই করতে পারলেই কেল্লাফতে। রাজনৈতিক মহলের মতে, এই একই ভয় পাচ্ছে রাজ্যের শাসক দলও। গদি খোয়াবার ভয়ে তারা সোচ্চার হয়েছে এসআইআরের বিরুদ্ধে। এসআইআর নিয়ে অপপ্রচারও চালানো (SIR) হচ্ছে বলে অভিযোগ।

    এখন দেখার, এ রাজ্যে এসআইআর নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হয় কিনা (ECI)!

  • Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে?” পশ্চিমবঙ্গের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টের (Calcutta High Court) কাছে মুখ পুড়ল রাজ্যের! রাজ্যের সব আর্থিক লেনদেন বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের। রাজ্যের উচ্চ ও নিম্ন আদালতগুলির পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন খাতে পর্যাপ্ত অর্থের বরাদ্দ নিয়ে আরও একবার আদালতের ক্ষোভের মুখে পড়ল তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকার (West Bengal Govt)। এর আগেও মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে ভর্ৎসনা করেছিল বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    অর্থ চেয়েও না মেলায় ক্ষোভ আদালতের (Calcutta High Court)

    পরিকাঠামো উন্নয়ন-সহ প্রয়োজনীয় নানা কাজে অর্থ চেয়ে রাজ্যের দ্বারস্থ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসন। অর্থের জন্য হন্যে হলেও, অর্থ তো মেলেইনি, বরং এ সংক্রান্ত অন্তত ৫৩টি ফাইল আটকে রয়েছে। এর সমাধান হওয়া তো দূর অস্ত, পেপারলেস অবস্থায় চলছে আদালতের কাজকর্ম। হাইকোর্ট এবং জেলা আদালতগুলিতে প্রয়োজনীয় কর্মী নেই। লাখ লাখ টাকা বকেয়া রয়েছে যে  সংস্থা আদালতে ইন্টারনেট সংযোগ দিয়েছে, তাদের। এনিয়ে একাধিকবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ। তার পরেও পরিস্থিতি যথা পূর্বং, তথা পরং। পুজোর ছুটির মধ্যে কলকাতা হাইকোর্ট প্রশাসনের সঙ্গে রাজ্যের অর্থ দফতরের সচিবের বৈঠকে সমস্যার সমাধান করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল আদালতের তরফে। তাতেও সুরাহা হয়নি। এদিকে সোমবার রাজ্যের পক্ষে ফের সময় চাওয়া হয়। এর পরেই ক্ষোভ উগরে দেন দেবাংশু বসাক এবং মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ।

    কী বলছে আদালত

    বিচারপতি বসাক বলেন, “বিএসএনএলের তিন বছরের বিল বাবদ বাকি ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকা। হাইকোর্টের ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দিলে কী হবে? আজ সরকারি ছুটি মানেই তো আর ইন্টারনেট হলি-ডে নয়! রাজ্য কি কনসলিডেলেট ফান্ড রিজার্ভ ব্যাঙ্কে রাখে? তাহলে তার অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন। অ্যাটাচ করে দেব। সব লেনদেন বন্ধ রাখুন তাহলে! আরবিআইকে বলছি লেনদেন বন্ধ করতে।” তিনি বলেন, “রাজ্যের প্রশাসনিক (Calcutta High Court) মাথা, মুখ্যসচিব, অর্থসচিব – তাঁরা এক মাসেও কিছু করতে পারলেন না। রাজ্যের ভূমিকায় আমরা বাকরুদ্ধ। আমরা এগুলি রাজ্যের নজরে আনছি।” এই মামলায় এর আগে দু’বার (West Bengal Govt) ভার্চুয়াল হাজিরা দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব। এদিন সে প্রসঙ্গ টেনে বিচারপতি বসাক বলেন, “উনি (মুখ্যসচিব) প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তার পরেও কেন টাকা দেওয়া হল না?” এর পরেই তিনি বলেন, “রাজ্যে কি আর্থিক জরুরি অবস্থা চলছে? আপনারা তো প্রথম লাইনেই মিথ্যে কথা বলছেন!” প্রসঙ্গত, বছর তিনেক ধরে বকেয়া থাকায় ৩৬টি প্রকল্পের কাজ আটকে রয়েছে। মেটানো হয়নি বিএসএনের প্রাপ্য বকেয়া বিলও।

    রাজ্য সরকার মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে!

    বেঞ্চের তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, “হাইকোর্টের কাজে অর্থ বরাদ্দ করা কি প্রশাসনিক কাজের মধ্যে পড়ে না? গত তিন বছর যথেষ্ট সময়। বিল দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি? দেখে তো মনে হচ্ছে শামুক আর কচ্ছপের দৌড় প্রতিযোগিতা হচ্ছে।” বিচারপতি দেবাংশু বসাক বলেন, “এই যদি হাইকোর্টের অবস্থা হয়, তাহলে নিম্ন আদালতগুলির কী অবস্থা!” এদিন রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, ৬০ লাখ টাকা মিটিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৩০ তারিখের মধ্যে (West Bengal Govt) বাকি টাকা দেওয়া হবে। অর্থ দফতরের আধিকারিক বলেন, “আমরা দু’দিনের মধ্যে অর্ধেক টাকা মিটিয়ে দিচ্ছি।” বিচারপতি (Calcutta High Court) বসাকের ফের প্রশ্ন, “কেন দু’দিন সময় লাগবে? এখন তো সঙ্গে সঙ্গে টাকা পাঠানো যায়!” রাজ্যের তরফে জানানো হয় রাজ্য সরকারের ছুটি রয়েছে। এর পরেই বেঞ্চ বলে, “এখন তো অনলাইনেই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া যায়। ছুটি বলে তো আর ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ নয়! আদালত মনে করে, রাজ্য সরকার এই বিষয়ে মিথ্যের আশ্রয় নিচ্ছে।”

    রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিন

    এদিন শুনানির সময় আদালতে হাজির ছিলেন রাজ্যের অর্থ দফতরের এক আধিকারিক। বেঞ্চ তাঁর কাছে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানতে চাইলে তিনি জানান, আরবিআইয়ের অ্যাকাউন্ট নম্বর জানা নেই তাঁর। এর পরেই আদালত (Calcutta High Court) বলে, “আমরা বসে আছি। এখনই মুখ্যসচিবকে ফোন করে অ্যাকাউন্ট নম্বর জেনে জানান।” এদিন রাজ্যের তরফে উপস্থিত আইনজীবী বলেন, “দয়া করে একটু সময় দেওয়া হোক। বিলের ২.৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছে।” বেঞ্চের প্রশ্ন, “কিন্তু সেই টাকা কি আদৌ আদালতের হাতে এসেছে?”

    আদালতের নির্দেশ

    এর পরেও রাজ্যের তরফে এক সপ্তাহ সময় চাওয়া হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১০ নভেম্বর। বেঞ্চের নির্দেশ, তার আগে ২৯ অক্টোবর এবং ৬ নভেম্বর বিষয়টি (West Bengal Govt) নিয়ে ফের বৈঠকে বসতে হবে রাজ্য এবং হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশাসনকে। মুখ্যসচিবের পাশাপাশি বৈঠকে উপস্থিত থাকতে হবে অর্থসচিবকেও।

  • Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে মমতাকে হারাবই, বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন’, অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘ভবানীপুরে মমতাকে হারাবই, বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন’, অঙ্ক কষে বোঝালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে ভবানীপুর আসন থেকে বিজেপি প্রার্থীই জয়ী হবে, বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) ভবানীপুর আসনে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল প্রার্থী হবেন ধরে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে হারানোর দাবি করেছেন তিনি। রবিবার অঙ্ক কষে শুভেন্দু বললেন, “ভবানীপুরে বিজেপির যিনিই প্রার্থী হবেন, তিনিই জিতবেন।” একইসঙ্গে শুভেন্দু দাবি করেছেন, আজ, সোমবারই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর ঘোষণা করতে পারে কমিশন।

    ভবানীপুর বিজেপির জায়গা

    রবিবার ভবানীপুর বিধানসভার ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন বিজেপি নেতা রাকেশ সিং। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) ‘আউটসাইডার’ মন্তব্য তুলে ধরে সরব হন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। কয়েকদিন আগে ভবানীপুরে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফোনে বক্তব্য রাখার সময় মমতা বলেছিলেন, ভবানীপুরে ‘আউটসাইডারদের’ দিয়ে ভরিয়ে দেওয়া হচ্ছে। পরে নিজের মন্তব্য নিয়ে তিনি বলেন, “আমার কথা অন্যভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। আমি বহিরাগত বলতে এখানে যাঁরা বাস করেন, তাঁদের কথা বলিনি।” এদিন মুখ্যমন্ত্রীর ওই মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দু বলেন, “রাজস্থান, পঞ্জাব, ঝাড়খণ্ড, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশের লোককে বলেছেন বহিরাগত। এটা কেউ বলতে পারে? এরা সবাই ভারতীয়। পরের দিন ঢোঁক গিলেছেন। বুঝেছেন, একটু গোলমাল হয়েছে। এই ভাগ করার রাজনীতি ওঁর রয়েছে, এটা সবাই বুঝেছে। এবার বিজেপির যিনিই দাঁড়াবেন, জিতবেন।” ভবানীপুরকে ‘মিনি ইন্ডিয়া’ বলে উল্লেখ করে জানালেন, ভবানীপুর বিজেপি-রই জায়গা, যা তারা ধরে রাখবে।

    ভবানীরে প্রার্থী কে

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election) নন্দীগ্রামে মমতা এবং শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মধ্যে জোর টক্কর দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভবানীপুর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জল্পনা উস্কে দিয়েছেন শুভেন্দু। ভবানীপুরে বিজেপির প্রার্থী প্রসঙ্গ বিরোধী দলনেতা বলেন, “বিজেপিতে এভাবে হয় না। পার্টি ঠিক করবে, কে প্রার্থী হবে।” তারপরই শুভেন্দু অঙ্ক দিয়ে বোঝান কেন ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থীই জিতবেন। বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, “ম্যাপিংয়েই এক লক্ষ ২০ হাজারের নাম বাদ গিয়েছে। বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হলে কমপক্ষে ৫০ হাজার মৃত ও ভুয়ো ভোটার ও চেতলায় থাকা বাংলাদেশি ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর যাদের ক্যানিং ও ভবানীপুরে, ফলতা ও ভবানীপুরে নাম রয়েছে, এবার আর উঠবে না। তারপর তো এই সিটে লিড ৩০ হাজার দিয়ে শুরু করবে বিজেপি।”

    ভবানীপুর মিনি ইন্ডিয়া

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আমাদের তথাগত রায়, শিক্ষাবিদ, ত্রিপুরার রাজ্যপাল হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি এখান থেকে ৪০০ ভোটের লিড নেন। এটা হচ্ছে মিনি ইন্ডিয়া…নানা ভাষা নানা মত নানা পরিধান, বিবিধের মাঝে দেখো মিলন মহান। ভবানীপুরে শিখ, সিন্ধি, মাড়োয়ারি, বিহার-উত্তরপ্রদেশের হিন্দিভাষী, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, উৎকল, গুজরাটি, রাজস্থানের সব জেলার মানুষ রয়েছেন। সেই সঙ্গে আছেন বাঙালিরা। ধর্ম বাঁচাতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে আসা হিন্দু বাঙালিরা রয়েছেন এখানে। বর্ধিষ্ণু পরিবার, শিক্ষিত মানুষ আছেন। এটা বিজেপি-র জায়গা। অতএব এই জায়গা ধরে রাখার কাজ করবে বিজেপি। বিজেপি এখানে আছে। কালীঘাটের কাছে…ওয়াকিং ডিসট্যান্স। কয়েকশো মিটার হাঁটলেই পৌঁছনো যাবে। ইয়ে তো পহেলে ঝাঁকি হ্যায়, অভি বহুত বাকি হ্যায়। পোস্টার ব্যালট গোনা চলছে, ইভিএম-এ হাত পড়েনি এখনও। লাফিয়ে গিয়েছিলেন নন্দীগ্রামে আমাকে হারাতে। আমি ওঁকে হারিয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি। মরে গেলে উপনির্বাচন হয়। উনি শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে খড়দা পাঠিয়ে, নিজে ছাপ্পা মেরে এখানে জিতেছেন।”

    সোমবারই এসআইআর ঘোষণা

    আজ, সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক ডেকেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। এদিনই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরুর নির্ঘণ্ট ঘোষণা করতে পারে নির্বাচন কমিশন। সেই নিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আপনারা জোট বেঁধে কাজ করুন। সংবাদমাধ্যমে দেখলাম, সোমবার এসআিআর-এর (SIR) ঘোষণা করতে পারে কমিশন। আপনারা প্রস্তুত তো! বাড়ি বাড়ি বিএলও-রা যাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর কেন্দ্র। বিএলও-রা চাপে থাকবেন। ভয় পাবেন না। চারটি ডব্লুবিসিএস অফিসার সাসপেন্ড হয়েছে। এফআইআর পেন্ডিং। আরও দু’জন সাসপেন্ড হওয়ার পথে। বিচার-বিবেচনা চলছে। আগে এসব করেনি কমিশন।” শুভেন্দুর আরও দাবি, “এমনিতে কয়েক লক্ষ পালিয়ে গিয়েছে। আবার এসআইআর ঘোষণা হলে তো দেখতে হবে না। ৮০ ভাগ এমনি পালাবে। আবার কমিশন যদি ঘোষণা করে, কোনও বাংলাদেশি মুসলিমকে ধরে দিলে ৫০০ টাকা দেওয়া হবে। তাহলে এই কাজটা বিএলও ও বিজেপিকে করতে হবে না। তৃণমূলই করে দেবে।” নন্দীগ্রামে মমতাকে হারানোর কথা ফের স্মরণ করে বিজেপি কর্মীদের উদ্দেশে শুভেন্দু বলেন, “ওকে হারাবই। শুধু সাহায্য করুন। ভয় পাবেন না। মিথ্যা মামলা করলে পাশে থাকব।”

  • Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    Suvendu Adhikari: ধাক্কা নয়, হাইকোর্টের রায়ে খুশিই শুভেন্দু, ‘রক্ষাকবচ’ প্রত্যাহার নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)-এর রায়ে খুশি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২২ সালে বিচারপতি রাজশেখর মান্থার দেওয়া রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করেছে বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। এরপরই শুভেন্দু জানান, হাইকোর্ট তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া বেশিরভাগ মিথ্যা মামলা খারিজ করেছে আদালত। তাই রক্ষাকবচের প্রয়োজন সেই অর্থে নেই।

    কেন খুশি শুভেন্দু

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “আমি হাইকোর্টের রায়ে খুশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর পুলিশকে দিয়ে গত ৫ বছরে আমার বিরুদ্ধে যত মামলা করেছিল, হাইকোর্ট সেই সব মামলার বেশিরভাগ খারিজ করেছে। বাকি মামলা সিবিআইকে দিয়ে সিট বানিয়েছে। রাজ্য পুলিশ যে মমতার ক্রীড়নক, রাজনৈতিক টুল, এটা হাইকোর্টের রায়ে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। আবার মিথ্যা মামলা করলে আবার হাইকোর্টে আমি যেতে পারব, সেই স্বাধীনতাও হাইকোর্ট দিয়েছে। অতএব দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মতো ফুলবি। নন্দীগ্রামে হারিয়েছি। ভবানীপুরে হারাব। মমতাকে প্রাক্তন করব। ওর ভাইপোকে জেলে পাঠাব।”

     রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ

    ২০২১ সালে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) রক্ষকবচ দিয়েছিলেন। যার ফলে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করার আগে অভিযোগকারীদের আদালতের অনুমতি নিতে হত। এদিন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর সিঙ্গল বেঞ্চ শুভেন্দুর রক্ষাকবচ প্রত্যাহারের নির্দেশ দেন। তবে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ১৫টি মামলা খারিজ করে দেয় সিঙ্গল বেঞ্চ। আর তাঁর বিরুদ্ধে মানিকতলা-সহ চারটি মামলায় সিবিআই ও রাজ্য পুলিশের যুগ্ম সিট গঠনের নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আগে যা ছিল, এখনও তাই

    এদিন ২০২২ সালে শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) দেওয়া হাইকোর্টের রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে বিচারপতির মন্তব্য, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে রক্ষাকবচের যে রায় ছিল, তা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ ছিল। কোনও অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশ অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। এর ফলে থেকে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করতে রাজ্যকে আর আদালতের অনুমতি নিতে হবে না। হাইকোর্ট রায় ঘোষণার পরই শাসকদের একাধিক নেতারা সব সুর চড়াতে শুরু করেন। তবে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “তৃণমূল বেকার নাচছে। এই মামলা আমারই পক্ষে গেছে”। ব্যাখ্যা দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমার বিরুদ্ধে যত গুলো মিথ্যে মামলা দিয়েছিল এই জেহাদি সরকার সব স্থগিত করে দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি, খুন, হামলা থেকে শুরু করে যা যা মিথ্যে মামলা সাজিয়েছিল সেগুলোও খারিজ করেছে।” বিরোধী দলনেতার কথায়, “এই রায় আমার কাছে কোন নেগেটিভ রায় নয়। তৃণমূল নাচছে নাচুক। ওরা সারাদিন আমাকে নিয়েই ব্যস্ত থাকে।” বিজেপি নেতা তথা আইনজ্ঞ তাপস রায়ও বলেন, রক্ষাকবচ তুলে নেওয়া হয়েছে বলে হইচই করা হচ্ছে, এই ব্যাখ্যাটাই আসলে ভুল। তাপসবাবু বলেন, “বিরোধী দলনেতার আগেও কোনও রক্ষাকবচ ছিল না, এখনও নেই। আগেও আদালত বলেছিল, হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে এফআইআর দায়ের করতে হবে। এখনও সেই অবস্থানই রয়েছে।”

    যে কোনও ঘটনায় শুভেন্দুকে জড়ানোর চেষ্টা

    বিরোধী দলনেতার অভিযোগ ছিল, তিনি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকে তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক এফআইআর করছে পুলিশ। ছোটবড় যে কোনও ঘটনার সঙ্গে তাঁর নাম জড়ানো হচ্ছে। এফআইআরগুলিকে ভুয়ো বলে উল্লেখ করে ২০২১ এবং ২০২২ সালে দু’বার হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু। সেই সময়ে বিচারপতি মান্থা এফআইআরগুলিতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেন এবং জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া নতুন করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর আর করা যাবে না। রাজ্য সরকার সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল। তবে শীর্ষ আদালত এ বিষয়ে হাইকোর্টের(Calcutta High Court) সিদ্ধান্তে হস্তক্ষেপ করেনি।

    শুভেন্দুর আইনজীবীর দাবি

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য বলেছেন, ‘‘বিচারপতি সেনগুপ্ত অধিকাংশ এফআইআর বাতিল করে দিয়েছেন। চার-পাঁচটি এফআইআর শুধু বাতিল করা হয়নি। আদালত জানিয়েছে, সিবিআই এবং রাজ্য পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের নিয়ে সিট গঠন করতে হবে। তাঁরা ওই মামলাগুলির তদন্ত করবেন। আগের মামলাগুলির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়েছে। তাই একে ঠিক রক্ষাকবচ প্রত্যাহার বলা চলে না।’’ ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন আসন্ন। তার আগে রাজ্য সরকার নানা ভাবে বিরোধী দলনেতার গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করবে বলে আশঙ্কা শুভেন্দুর আইনজীবীর। রাজ্য পুলিশের কাজে আস্থা নেই বলেই সিবিআইকে সিটে শামিল করা হয়েছে, দাবি তাঁর।

  • Suvendu Adhikari: ‘অভারতীয়রা টাটা বাইবাই…’, কালীপুজোয় রাজ্যে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘অভারতীয়রা টাটা বাইবাই…’, কালীপুজোয় রাজ্যে হিন্দুদের একজোট হওয়ার বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে ফের রাজ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ নিয়ে সরব হলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রবিবার, কালীপুজোর উদ্বোধনে দক্ষিণ ২৪ পরগনার একাধিক জায়গায় গিয়েছিলেন শুভেন্দু (Suvendu on President Rule)। সেখান থেকেই সমস্ত বাঙালি হিন্দুদের একজোট হওয়ার কথা বলেন তিনি। তাঁর কথায়, দক্ষিণ ২৪ পরগনার আদি বাসিন্দারা ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছেন। বদলে যাচ্ছে জনবিন্যাস। প্রতিদিন রাতের অন্ধকারে ঘটছে অনুপ্রবেশ। নির্বাচনের আগে এসআইআর হলেই তা স্পষ্ট হবে, বলে জানান শুভেন্দু।

    অনুপ্রবেশ রুখতেই হবে

    রবিবার আমতলায় একটি কালীপুজোর উদ্বোধনে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “যাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মূল নিবাসী তাদের সংখ্যা কমছে। অন্যরা দখল করে নিয়েছে। ভারতীয় মুসলমানদের নিয়ে আমার কোনও বক্তব্য নেই। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিমরা অনুপ্রবেশকারী। তাঁরা ভারতীয় নয়। আপনারা যাঁরা ভারতকে ভালবাসেন আমি জানি তাঁরাও চান অভারতীয়রা টাটা বাইবাই।” তিনি আরও বলেন, “এখানে গণতন্ত্র নেই। ভোট কাকে দেবেন আপনার ব্যাপার। কালীমাতার মঞ্চে আমি বলব না আমাদের দিন কিন্তু মনে রাখবেন আপনাদের ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। ইভিএম-এ সেলোটেপ। আমার কাছে কয়েকশো ভিডিয়ো আছে। ক্যামেরা বন্ধ ছিল। ডায়মন্ড হারবারের ক্যামেরার লিঙ্ক যাদবপুরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। ৪ নভেম্বরের পর দেখিয়ে দেব প্রমাণ সহ।”

    জিহাদিদের জন্য নন্দীগ্রামের শুভেন্দু যথেষ্ট

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) কথায়, “আমি রায়দিঘিতে গিয়েছি ২০০০ হাজার লোক ছিল। আমায় অনেকে প্রশ্ন করে আপনাদের দলের লোক কেন লড়ে না? আমি বলি, কর্মীদের দিয়ে আর কত লড়াব? মিথ্যা মামলা আর মার খেতে খেতে আপনাদের পিঠও দেওয়ালে ঠেকে গেছে। জিহাদিদের জন্য নন্দীগ্রামের শুভেন্দু যথেষ্ট।” এদিন, রায়দিঘি ও পাথরপ্রতিমা যাওয়ার পথে বিক্ষোভের মুখে পড়েন বিরোধী দলনেতা। রায়দিঘিতে কালীপুজোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে যাওয়ার পথে তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখানো হয়। গাড়িতে চাপড় মারা হয়। এই নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা। তাঁর বক্তব্য, রাজনৈতিক কর্মসূচিতে নয়। কালীপুজোর অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন তিনি। তারপরও তাঁকে আটকানোর চেষ্টা করা হল। শুভেন্দু বলেন, “এটা একটা প্রীতিপূর্ণ অনুষ্ঠান। সব হিন্দুরা এসেছেন অনুষ্ঠানে। আমি হিন্দু হিসাবে এসেছি। দলের ঝান্ডা নিয়ে আসিনি। আমায় রাস্তার উপর আটকানো চেষ্টা করছে। গাড়িতে ধাক্কা মারছে। গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পড়ছে। আমি ধর্ম পালন করতে এসেছি। আমি আজ বিজেপি করতে আসিনি। আমি হিন্দু ধর্ম পালন করতে এসেছিলাম। মায়ের দর্শন করতে এসেছি।”

    বাংলায় হিন্দুরা এক হোন

    এরপরই হিন্দুদের একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি। তাঁর বক্তব্য, যে সকল হিন্দু তৃণমূল বা সিপিএম করেন, তাঁরা এখনও ভাবুন। বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে জিততে হলে হিন্দুদের একজোট হতে হবে বলে গত কয়েকমাস ধরে বলে আসছেন শুভেন্দু। এদিন ফের সেকথা শোনা গেল তাঁর কণ্ঠে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “বাংলাদেশে যে ভাবে হিন্দুদের সংখ্যা কমছে, হিন্দুরা হারিয়ে যাওয়ার পথে। আজ পশ্চিমবঙ্গ তো বটেই, সব থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বেশি করে হচ্ছে। আমি এখনও বলব যে সকল হিন্দুরা তৃণমূল বা সিপিএম করছেন, বলব ভাবুন আপনাদের অবস্থাও যোগেন মণ্ডলের মতো হবে।”

    বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবি

    পাথরপ্রতিমার সভা থেকে এদিন রাষ্ট্রপতি শাসনের (Suvendu on President Rule) দাবি ওঠে। সেখান থেকে তিনি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “জনগণ আওয়াজ তুলুন। আমার হাতে তো ওটা নেই। আমার হাতে থাকলে ওটা এক ঘণ্টা লাগত না।” এর আগে আরামবাগের সভা থেকে শুভেন্দু নিজেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। সুর চড়িয়েছিলেন এসআইআরের পক্ষে। তৃণমূলের তুলোধনা করে স্পষ্ট বলেছিলেন, “নো এসআইআর, নো ইলেকশন। আর রাষ্ট্রপতি শাসন হলে সিপিএম তো তাও টিকে আছে কিন্তু এদের তো অস্তিত্বই থাকবে না। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বালি মাফিয়া আর পুলিশ নির্ভর এই তৃণমূল কংগ্রেস হাওয়াতে উবে যাবে। আর খুঁজে পাওয়া যাবে না।” কিছুদিন আগেই দুর্গাপুরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাষ্ট্রপতি শাসন নিয়ে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা গিয়েছিল তাঁকেও। সাফ বলেছিলেন বাংলার মানুষ চাইছে রাজ্যে ৩৫৬ ধারা লাঘু হোক। এবার ফের বিরোধী দলনেতার সামনেও একই দাবি উঠল।

LinkedIn
Share