Tag: tmc

tmc

  • Dilip Ghosh: “মুষল পর্ব চলছিলই, সেটা প্রকাশ্যে এল”, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের

    Dilip Ghosh: “মুষল পর্ব চলছিলই, সেটা প্রকাশ্যে এল”, তৃণমূলকে নিশানা দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মুষল পর্ব আগেই চলছিল। কাল সেটা প্রকাশ্যে এল।” বয়ঃ-তত্ত্ব নিয়ে তৃণমূলের ‘বুয়া-ভাতিজা’র দ্বন্দ্বের বহিঃপ্রকাশকে মঙ্গলবার এই ভাষাতেই ব্যাখ্যা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)।

    তৃণমূলকে আক্রমণ দিলীপের

    নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে অশান্তি শুরু হয়েছে তৃণমূলে। ঘটনার জেরে বেসামাল ঘাসফুল শিবির। একেই নিশানা করেছেন দিলীপ। বলেন, “কোনও দলের যদি ভাবাদর্শ বা কর্মপদ্ধতি না থাকে, কোনও বড় উদ্দেশ্য না থাকে, তাহলে তা বেশিদিন টেকে না। তৃণমূলের অবস্থাও তা-ই। মানুষ সিপিএমের অত্যাচার থেকে বাঁচার হাতিয়ার হিসেবে এদের এনেছিল। কেবল ক্ষমতা ও টাকা যদি কোনও পার্টির উদ্দেশ্য হয়, তাহলে তার কী পরিণতি হয়, আমরা দেখতে পাচ্ছি।” এর পরেই বিজেপি সাংসদ বলেন, “মুষল পর্ব আগেই চলছিল। কাল সেটা প্রকাশ্যে এল। নেতাদের সঙ্গে স্বার্থের সম্পর্ক। সেটা ফুরিয়ে গেলেই শেষ। তৃণমূল, সিপিএম, কংগ্রেস যেই থাকুক, তাতে আমাদের সুবিধা-অসুবিধা কিছু নেই। এই দল তো একদিন যাবেই। বিজেপি একটা লক্ষ্য নিয়ে চলে। লক্ষ লক্ষ কর্মী পরিশ্রম করেন। আমরা ভোটে জিতে মানুষকে উন্নয়ন দিই।”

    কটাক্ষ ফিরহাদকেও

    মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের ‘বিলম্বিত বোধদয়’কেও এদিন কটাক্ষ করেন দিলীপ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “ভোট এলে এরকম হয়। একটু ক্ষমা-টমা চায়। সিবিআই, ইডি কাজ করলে বা চোর ধরলে রাস্তায় নামেন কেন? পদ থেকে লোকগুলিকে সরান না কেন? এটা দ্বিচারিতা নয়? দোষীদের আড়াল করা বন্ধ করুন। ওঁনারা নিজেদের মধ্যে আগে বিচার করুন। বেশিরভাগ লোক জেলে। কেউ কেউ বেইলে (জামিনে)। কেউ লিস্টে আছে। তাই উনি কী বললেন, সেটা নিয়ে রাজ্যের মানুষ খুব একটা ভাবিত নন। এগুলো সবই পাবলিক জানে। পরিস্থিতি খারাপ দেখে উনি এখন এগুলি বলছেন।”

    আরও পড়ুুন: গোল্ডি ব্রারকে ‘জঙ্গি’ তকমা কেন্দ্রের, শুনবেন গ্যাংস্টারের কীর্তি?

    তৃণমূলের জনসংযোগ প্রসঙ্গে বঙ্গ বিজেপির প্রাক্তন সভাপতি বলেন, “আগে পার্টি বাঁচান। তারপর তো জনসংযোগ। মানুষ তো এবার এলাকায় গেলে গাছে বেঁধে রাখবে। চাকরির দাবিতে, ডিএ-র দাবিতে সর্বত্র ধর্না চলছে। এরপর আবার উন্নয়ন!” কামদুনি মামলার শুনানি প্রসঙ্গে দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “বিজেপি কামদুনির আন্দোলনকারীদের পাশে রয়েছে। আইনি সমর্থন করছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Murshidabad:  “তৃণমূলের নেতারা নাকি দলের মধ্যেই আলাদা দোকান খুলেছে” গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    Murshidabad: “তৃণমূলের নেতারা নাকি দলের মধ্যেই আলাদা দোকান খুলেছে” গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিস্ফোরক হুমায়ুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় শাসক দল তৃণমূলের মধ্যে রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কলহের কথা বার বার শিরোনামে এসেছে। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বরাবরই স্পষ্টবাদী নেতা হিসেবে নিজেকে বারবার সংবাদ মাধ্যমে বক্তব্য প্রকাশ করে থাকেন। দলের জেলা প্রেসিডেন্ট সাওনি সিংহরায়ের বিরুদ্ধে বারবার বিস্ফোরক হয়েছেন তিনি। এবার সেই স্পষ্টবাদী তৃণমূল বিধায়ক খোদ দলের প্রতিষ্ঠা দিবসের দিনেই মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বলেন, “তৃণমূলের নেতারা নাকি দলের মধ্যেই আলাদা দোকান খুলেছে।” ফলে দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা আরও একবার স্পষ্ট হল।

    কী বললেন হুমায়ন কবীর (Murshidabad)?

    মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ভরতপুরের তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “তৃণমূলের নেতারা নাকি দোকান খুলে বসে আছে, আমরা যদি সিপিএম-বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি, তাহলে নিজেদের ঘরে যে সমস্ত গাদ্দাররা বসে আছেন তাঁদের দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করতে আমার বেশি সময় লাগবে না।” একদিকে নতুন বছরের শুরু আরেক দিকে দলের প্রতিষ্ঠা দিবস আর সেদিনই এই ধরনের মন্তব্য। কার্যত বিধায়ক আবারও লোকসভার আগে তৃণমূলের অন্তরকলহ কথা প্রকাশ্যে আনলেন।

    বললেন ডান্ডা ধরব!

    ভরতপুরের (Murshidabad) তৃণমূলের বিধায়ক হুমায়ুন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠা দিবসে বলেন, “বিনয়ের সঙ্গে জানাচ্ছি আপনারা সাবধান হন, যাঁরা দলকে আলাদা আলাদা ভাবে ভাগ করার চেষ্টা করছেন। আমরা স্পষ্ট করে বলছি দলের স্বার্থে সকলে এক থাকুন। যদি গোষ্ঠীগুলি দলের স্বার্থে কাজ না করে তা হলে ডান্ডা ধরব। সালারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করলে বিশেষ ব্যবস্থা নেবো। দলের মধ্যে আলাদা দোকান খুলে ডান্ডা দিয়ে ঠান্ডা করব। এরপর দোকান পুড়িয়ে ঘরে বন্দি করে দেবো। বিরোধীদের সঙ্গে যেমন তৃণমূল লড়াই করছে তেমনি দলের মধ্যে নতুন দল করলে তাঁদের বিরুদ্ধেও তৃণমূল লড়াই করবে। তাই শুধু ভরতপুর নয়, সালার নয় গোটা মুর্শিদাবাদ জুড়ে লড়াই করার ক্ষমতা রাখি আমি। জেলার শেষ কথা আমিই বলব এখানে। দলের নির্দেশ সকলকে মানতে হবে। তৃণমূল কংগ্রেস আজকের দিনে এই শপথ নেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Inner Clash: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    TMC Inner Clash: ‘বয়ঃ-বিধি’ দ্বন্দ্বে বেসামাল তৃণমূল, নেত্রীর রোষেই কি ‘অন্তরালে’ অভিষেক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের ‘যুবরাজ’। সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। তাঁর একটা পদও রয়েছে। দলের সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের এহেন এক কর্তাই দিন কয়েক ধরে সেঁধিয়ে রয়েছেন গোঁসাঘরে। কারণ কি? রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলে সম্প্রতি নবীন-প্রবীণ নিয়ে বিতর্ক (TMC Inner Clash) দানা বেঁধেছে।

    দলের প্রতিষ্ঠা দিবসেও অন্তরালে ভাতিজা!

    বয়সবিধি নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দিয়েছে তাঁরই ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সেই কারণেই দলের নবীন ‘মুখ’ অভিষেককে সাইড করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই ১ জানুয়ারি, দলের প্রতিষ্ঠা দিবেসেও তিনি রইলেন অন্তরালে। কারণ হিসেবে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি বলেছেন, তিনি যে আগ্রাসী আন্দোলনের পথে হেঁটেছিলেন, তা থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি শুধুমাত্র নিজের কেন্দ্র নিয়েই থাকবেন। তবে নেপথ্যে রইলেও চালিয়ে যাচ্ছেন ছায়াযুদ্ধ! অবশ্য সরাসরি ভাতিজা নন, তাঁর স্তাবকরা।

    বক্সি-কুণাল বাক্-যুদ্ধ

    ধানাইপানাই ছেড়ে আসা যাক কেজো কথায়। এদিন ভাষণ দিতে গিয়ে তৃণমূলের (TMC Inner Clash) রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লড়াইয়ের ময়দান (লোকসভা নির্বাচন) থেকে পিছিয়ে যাবেন না। যদি লড়াই করেন, তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সামনে রেখে লড়াই করবেন উনি।” বক্সির এই “যদি…কিন্তু”তে বেজায় আপত্তি অভিষেক ‘ফ্যান-ক্লাবে’র। তাদের বক্তব্য, “যদি…কিন্তু”তে অভিষেকের ‘পলায়নী মনোবৃত্তি’ প্রকাশ পেয়েছে। তাই বক্সির বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়।

    তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (অভিষেক অনুগামী বলে দলে পরিচিত) বলেন, “রাজ্য সভাপতির বাক্যগঠন নিয়ে আপত্তি রয়েছে। এটা কখনওই কাঙ্খিত নয়।” তিনি বলেন, “অভিষেক লড়াইয়ের ময়দানেই রয়েছেন। আর তিনি যে কথা বলতে চান, তা শুনলে দলেরই মঙ্গল।” অভিষেক-বৃত্তের এক নেতা বলেন, “এই ধরনের আলটপকা কথা বলে আসলে অভিষেকের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা হয়েছে। যা দলের জন্য মোটেই ভালো সঙ্কেত নয়।” অভিষেক ঘনিষ্ঠদের দাবি, অভিষেকের বয়ঃ-তত্ত্বে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন অনেক প্রবীণ নেতা। তাই মমতাকে তোষামোদ করতে এই ধরনের মন্তব্য করে আদতে অস্তস্তিতে ফেলা হচ্ছে দলকেই।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের তোলাবাজির রাজনীতির বলি দলেরই কর্মী, টাকা না পেয়ে পিটিয়ে খুন

    বুয়া-ভাতিজার এই দ্বন্দ্বের জেরে যে ভাতিজা- গোষ্ঠীই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তা বুঝতে পেরে যুবরাজের দ্বারস্থ হন তাঁর ‘ফ্যান-ক্লাবে’র সদস্যরা। তাই দলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের ‘গোঁসা’ ভাঙাতে অভিষেকের কালীঘাটের অফিসে বৈঠকে বসেছিলেন কুণাল, ব্রাত্য বসু, পার্থ ভৌমিক, তাপস রায়দের মতো কয়েকজন। তবে গোঁসা যে ভাঙেনি, তার প্রমাণ মিলল ১ জানুয়ারি। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে পিকচারেই ছিলেন না অভিষেক।

    মমতার গুরুত্ব অস্বীকার (TMC Inner Clash) করলে যে বিপদ বাড়বে, তা জানিয়েছেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন রাজনীতিতে থাকবেন না, সেদিন বাংলা ছাগলের তৃতীয় সন্তান হয়ে যাবে।” সুদীপের নিশানায় যে অভিষেকই তা বুঝতে রাজনীতিবিদ হতে হয় না। সুদীপের বক্তব্যেরও পাল্টা (TMC Inner Clash) দিয়েছেন কুণাল। তিনি বলেন, “অন্ধ ভক্তি দেখাতে গিয়ে এঁরা আসলে বিভাজন রেখা তৈরি করছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dibyendu Adhikari: শান্তিকুঞ্জে ফুটবে আরও পদ্ম? শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু শুনলেন মোদির ‘মন কি বাত’

    Dibyendu Adhikari: শান্তিকুঞ্জে ফুটবে আরও পদ্ম? শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু শুনলেন মোদির ‘মন কি বাত’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খাতায় কলমে এখনও তিনি তৃণমূলের সাংসদ। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ শুনলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। রবিবার ছিল মোদির এই বছরের শেষতম পর্বের ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠান। রাজ্যজুড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিরোধী দলনেতা-সহ প্রত্যেক বিজেপি নেতা শুনেছেন মোদির বক্তব্য। তাহলে কি শুভেন্দুর ভাই তথা তৃণমূলের সাংসদ এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন? এটা নিয়েই চলছে তীব্র জল্পনা। শান্তিকুঞ্জে কি তাহলে আরও পদ্ম ফুটবে?

    অনেক দিন ধরেই তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব (Dibyendu Adhikari)

    যদিও দিব্যেন্দু (Dibyendu Adhikari) এখনও তৃণমূলের সাংসদ। দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক অত্যন্ত তালানিতে ঠেকেছে। রাজ্য বা জেলার মধ্যে শাসক দলের কোনও অনুষ্ঠানে তাঁকে দেখা যায় না। বিরোধী দলের নেতা হিসেবে দাদা শুভেন্দু দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকেই সরকারের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের কথা নিয়ে সরব হলেও এই তৃণমূল সাংসদ কোনও সময়েই প্রতিক্রিয়া দেননি। শাসক দলের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের যথার্থতা রয়েছে, আর তাই হয়তো তৃণমূলের সাংসদ বুঝতে পেরেছেন। এই জন্যই তৃণমূলের হয়ে তিনি কোনও ব্যাটিং করেন না। ঠিক এমনটাই মনে করছেন জেলার বিজেপি নেতৃত্বরা। কিন্তু মোদির ‘মন কি বাত’ শোনার মধ্যে দিয়ে কি জল্পনা তৈরি করে দিলেন না দিব্যেন্দু?

    কী বললেন সাংসদ?

    দিব্যন্দু (Dibyendu Adhikari) বিজেপিতে যোগ দেবেন কি না সেই বিষয়ে কোনও মন্তব্য না করে বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অনেক তৃণমূল নেতা লুকিয়ে লুকিয়ে দেখা করেন। আমি তেমন সাংসদ নই। যা করার আমি সামনা সামনি করি। তবে মোদিজির সঙ্গে আমার দেখা করার ইচ্ছে আছে। আমার অনেক কথা রয়েছে সুযোগ পেলে বলবো।”

    ১০৮ তম মোদির ‘মন কি বাত’

    গত রবিবারের মোদির ‘মন কি বাত’ ছিল ১০৮ তম পর্ব। এই অনুষ্ঠান নিজের অফিসে বসে শোনেন দিব্যন্দু। শুভেন্দু অধিকারী এবং আরেক ভাই সৌমেন্দু অধিকারীর চেষ্টায় ২০১৯ সালের লোকসভার পর বিধানসভা নির্বাচনে শান্তিকুঞ্জে পদ্মফুল ফুটিয়ে ছিলেন। তবে এই শান্তিকুঞ্জের দুই তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারী এবং দিব্যন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari) কেউ বিজেপিতে যোগদান করেননি। তবে মোদি-অমিত শাহের সভায় শিশির অধিকারীকে দেখা গেলেও দিব্যেন্দুকে কোনও প্রকার বিজেপির সভা-সমিতিতে দেখা যায়নি। আর তাই সামনেই লোকসভা নির্বাচন, ফলে শান্তিকুঞ্জে আরও পদ্মফোটে কিনা তাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক

    Purba Medinipur: আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তির হদিশ মেলায় আয়কর দফতরের নজরে এবার পটাশপুর (Purba Medinipur) তৃণমূল বিধায়ক। সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দুই বছরের আয়ব্যয়ের হিসেব চাওয়া হয়েছে তাঁর কাছ থেকে। উল্লেখ্য, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতি ইত্যাদি নিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা শাসক দল তৃণমূলের একাধিক মন্ত্রী, বিধায়ক, নেতাকে গ্রেফতার করেছে। আবার কয়লা, গরু পাচারকাণ্ডে ইতিমধ্যে তৃণমূলের যুব নেতৃত্বের মধ্যে বিনয় মিশ্র দেশ ছেড়ে পালিয়াছেন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইডি তলব করেছে বেশ কয়েকবার। সম্প্রতি ইডি, হাইকোর্টে মুখবন্ধ খামে জমা দিয়েছে তাঁর সম্পত্তির হিসাব। ফলে ফের একবার পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) তৃণমূল বিধায়ককে আয়কর দফতরে হিসাব চাইলে রাজ্য রাজনীতিতে উত্তেজনা ছড়ায়।

    আয়করের রিটার্ন জমা দেননি (Purba Medinipur)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipur) পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক উত্তম বারিকের আয়ব্যয় সংক্রান্ত বিষয়ে গোলমাল পাওয়া গিয়েছে। তিনি গত তিন বছর ধরে রিটার্ন জমা দেননি বলে জানা গিয়েছে। আর এই জন্যই আয়কর দফতর তাঁকে নোটিশ দিয়েছে। আগামী জানুয়ারির ৮ তারিখ তাঁকে আয়ব্যয় সংক্রান্ত নথি পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আয়কর দফতর। উল্লেখ্য, স্বশরীরে হাজিরার কথা বলা হয়নি তাঁকে। তবে নোটিশ যে তিনি পেয়েছেন সেই বিষয়ে তিনি নিজেই স্বীকার করেছেন। বিধায়ক অবশ্য জানিয়েছেন যে গত দুই বছরে আয়ব্যয় সংক্রান্ত রিপোর্ট বিষয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলে দফতরে পাঠাবেন।

    সাগর দিঘিরবিধায়কেও তাল্লাশি চালায় আয়কর

    কংগ্রেসের হয়ে সাগরদিঘিতে জয়লাভ করেছিলেন বায়রন বিশ্বাস। এরপর তিনি নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেকের হাত ধরে তৃণমূলের যোগদান করে ছিলেন। কয়েকদিন আগেই বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর। তৃণমূল অবশ্য এই তাল্লশিকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথা বলে ছিল। একই ভাবে পটাশপুরের (Purba Medinipur) বিধায়কে তলবের বিষয়কেও পালটা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কথাই বলা হয়। প্রতিক্রিয়া দিয়ে বিজেপি জানিয়েছে, একদিন তৃণমূলের গোটা দলটাই জেলের ভিতরে ঢুকে যাবে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূল নেত্রীর গাড়িতে নীলবাতি! চলছে দিব্যি ঘোরাঘুরি, শহরজুড়ে ব্যাপক শোরগোল

    Siliguri: তৃণমূল নেত্রীর গাড়িতে নীলবাতি! চলছে দিব্যি ঘোরাঘুরি, শহরজুড়ে ব্যাপক শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের গাড়িতে নীলবাতির আলো জ্বালিয়ে দিব্যি বুক চিতিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী। এই তৃণমূল নেত্রী হলেন শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি। এই গাড়িতে করেই শিলিগুড়িতে নানান বৈঠক করছেন তিনি। কিন্তু এই ভাবে নীল আলো জ্বালিয়ে কি সহকারী সভাধিপতি গাড়ি করে ঘোরাঘুরি করতে পারেন? আর এই নিয়েও ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। অবশ্য মহকুমা পরিষদের সভাধিপতি অরুণ ঘোষের বক্তব্য “এই বিষয়ে কিছু জানা নেই।”

    নাম কী এই সহকারী সভাধিপতির (Siliguri)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমা পরিষদের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে আদিবাসী সমাজ থেকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন অভিনেত্রী রোমা রেশমি এক্কা। এই মহকুমার বেশীর ভাগ এলাকায় আদিবাসী মানুষের বসবাস। তিনি আঞ্চলিক ভাষার সিনেমায় কাজ করেছেন। তাঁর জনপ্রিয়তাকে কাজে লাগিয়ে দলের টিকিট দিয়ে ভোটে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। কিন্তু এই ভাবে সহকারী সভাধিপতি কীভাবে নীল বাতি গাড়িতে ব্যবহার করতে পারেন, তাই নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধেও উঠেছে প্রশ্ন। রোমার অবশ্য বক্তব্য, “নীলবাতি লাগালে প্রশাসনিক কাজে ব্যাপক সুবিধা হয়। রাস্তায় যানজট থাকলে জরুরি বৈঠককে যেতে অসুবিধা হয়। ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা লোকজনের চোখে পড়ে না। ফলে নীলবাতি থাকলে সুবিধা হয়।”

    সরকারী নিয়ম কী?

    সরকারী নিয়মে বলা হয়েছে, যাঁরা মূলত আইন শৃঙ্খলার কাজ করেন তাঁদের মধ্যে উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের গাড়িতে নীলবাতি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। পাশাপাশি জরুরি বা আপৎকালীন পরিষেবা দিতে এমন গাড়ির ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু তৃণমূল নেত্রী এমন কোনও পরিধির মধ্যে নেই। কিন্তু তবুও নীলবাতি! বিরোধীদের অবশ্য অভিযোগ শাসক দলের নেতা-নেত্রীরাই সব থেকে বেশি বেআইনি কাজ করে থাকেন। অবশ্য দার্জিলিং (Siliguri) জেলা শাসক প্রীতি গয়াল বলেন, “বিষয়ে খোঁজ নিয়ে বলব”।

    বিজেপির বক্তব্য

    মহকুমার (Siliguri) বিজেপি কিসান মোর্চার সাধারণ সম্পাদক অনিল ঘোষের বক্তব্য,“অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা, ওঁর কোনও ধারণা নেই। কে লালবাতি আর কে নীলবাতি নিয়ে ঘুরতে পারে সেই সম্পর্কে বিন্দু মাত্র বোধ নেই। বিডিও, এসডিও, ডিএমের মতো উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা নীলবাতি লাগাতে পারেন। যিনি শুধু জন প্রতিনিধি তাঁর পক্ষে এই বাতি ব্যবহার করা নিয়মের বাইরে। আসলে মানুষের অভাব অভিযোগের কথা যাতে না শুনতে হয় তাই নীলবাতি লাগিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তৃণমূলের নেত্রী।” মহকুমার সভাধিপতি অরুণ ঘোষের বক্তব্য অবশ্য রোমার গাড়িতে এমন বাতি লাগানো আছে কিনা জানা নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    Hooghly: বলাগড়ে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী! অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিভি দেখতে এসে ধর্ষণের শিকার এক কিশোরী। ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের এক তৃণমূল নেতার ছেলে। এলাকায় জানাজানি হতেই উত্তেজিত জনতা অভিযুক্তের বাড়িতে খোঁজ করে না পেলে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। পাশাপাশি ধর্ষণের প্রতিবাদে এলাকার বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী অভিযুক্তের বিরুদ্ধে শাস্তি চাইলেন। ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল। 

    মূল অভিযোগ কী(Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৫ ডিসেম্বর সোমাবার ১৩ বছরের এক নাবালিকা, পাশের এক প্রতিবেশীর বাড়িতে টিভি দেখতে যায়। সেই সময় এক যুবক ওই নাবালিকাকে জোর করে হাত ধরে তুলে নিয়ে যায় এলাকার একটি নির্মীয়মাণ পাকা বাড়িতে। এরপর ওই নির্জন বাড়িতে শারীরিক নিগ্রহ করে বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনার সময় এক প্রতিবেশী দেখে ফেলেন, কিন্তু অভিযুক্ত যুবককে আটকানোর চেষ্টা করলে উলটে হুমকি দেয় যুবক। এরপর গত মঙ্গলবার ঘটনা জানাজানি হতেই অভিযুক্তের বাড়িতে চড়াও হয় এলাকার মানুষ। কিন্তু তার আগেই অভিযুক্ত যুবক বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যায়।

    অভিযুক্তের বাবা তৃণমূলনেতা

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবকের বাবা তৃণমূলের নেতা। এরপর আজ বুধবার তৃণমূল নেতার বাড়িতে এলাকার মানুষ গিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে। ইতিমধ্যে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গেলে এলাকার তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীও পৌঁছান। তিনি বলেন, “১৩ বছরের মেয়েকে ধর্ষণকরা হয়েছে। অভিযুক্ত আবার হুমকি দিয়ে গেছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অপরাধীকে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। দুস্কৃতীরা দলের নাম ভাঙিয়ে খারাপ কাজ করে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে নিজদের উদ্দেশ্যকে পূরণ করে।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    এলাকার স্থানীয় (Hooghly) অঞ্জনা দাস বলেন, “অভিযুক্তরা চার ভাই, ওরা পাড়ায় একদম ভালো ব্যবহার করেনা।” আবার অভিযুক্তের বাবা বলেছেন, “আমার পরিবার রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার হচ্ছে। আমি আগে কংগ্রেস করতাম, ১৯৯৮ সাল থেকে তৃণমূল করি। দলের সব কাজে থাকি। আমার ছেলে অন্য রাজ্যে কাজ করে। এখন বাড়িতে এসেছে। একটা ব্যবসার কাজে যুক্ত। ওর সামনেই বিয়ে। চক্রান্ত করে ওকে ফাঁসানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর তৃণমূল মন্ত্রীপুত্রের হামলা, শোরগোল

    Cooch Behar: বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর তৃণমূল মন্ত্রীপুত্রের হামলা, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের মন্ত্রী, নেতা-নেত্রী এবং কর্মীরা বিরোধী দলের সমর্থকদের উপর আক্রমণ হামলার ঘটনার কথা বার বার সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছে। রাজ্যে যে বিরোধীদের মত প্রকাশ এবং গণতন্ত্রর অধিকার নেই এই বিষয়ে বারবার অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে সায়ন্তন এলাকার বিজেপির মণ্ডল সভাপতির উপর হামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে। বিজেপির পক্ষ থেকে কোচবিহার (Cooch Behar) পুলিশের কাছে মন্ত্রীপুত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তৃণমূলের অবশ্য দাবি ঘটনার সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্তনন মন্ত্রীপুত্র।

    ঘটনা কীভাবে ঘিটেছে (Cooch Behar)?

    গত শুক্রবার দিনহাটার (Cooch Behar) ঝুড়িপাড়ায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের একটি দল বিজেপির নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করে। জানা গিয়েছে, বিজেপি মণ্ডল সভাপতি ঈশ্বর দেবনাথের বাড়িতে বৈঠক চলাকালীন সেখানে আচমকা হামলা করে তৃণমূলের গুন্ডারা। এরপর মণ্ডল সভাপতিকে ছুরি দিয়ে আঘাত করা হয়। এই হামলার পিছনে প্রত্যক্ষ নেতৃত্ব দেন মন্ত্রীপুত্র। অবশ্য জেলা কোচবিহারের পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, “অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির তরফ থেকে জেলা (Cooch Behar) বিজেপির সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় বলেন, “মন্ত্রীপুত্র সায়ন্তন এই ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষ ভাবে জড়িত। একই ভাবে আমাকেও মারধর করা হয়। ঈশ্বর দেবনাথের স্ত্রী তৃণমূলের মন্ত্রী পুত্র সহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার কথা অস্বীকার করে মন্ত্রী উদয়ন গুহ (Cooch Behar) বলেন, “আমাকে হেনস্থা করতেই এই অভিযোগ। ছেলেকে এলাকার প্রত্যেকেই চেনে। পুলিশ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করুক।” আবার ঘটনায় বিজেপির সমালোচনা করে তৃণমূল মন্ত্রী উদয়ন গুহের ছেলে সায়ন্তন গুহ বলেন, “আমার বাবাকে নানা ভাবে বিব্রত করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা। তবে এইভাবে তৃণমূল কর্মীদের আটকে রাখা যাবনা। বিজেপি তৃণমূলকে বদনাম করার চেষ্টা করছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে তৃণমূলের মহুয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    Mahua Moitra: বাংলো নিয়ে তৃণমূলের মহুয়ার মামলায় স্থগিতাদেশ দিল্লি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ পদ খুইয়েছেন। তাই ছাড়তে হবে দিল্লির সরকারি বাংলো। এই মর্মে কেন্দ্রের তরফে নোটিশও পান তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। ৭ জানুয়ারির মধ্যে বাংলো ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। কেন্দ্রের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেন তৃণমূল নেত্রী।

    মহুয়ার আবেদন

    রিট পিটিশন দাখিল করে মহুয়ার আবেদন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা পর্যন্ত যাতে তিনি ওই বাংলোয় থাকতে পারেন, সেই নির্দেশ দিক আদালত। মঙ্গলবার এই মামলায় স্থগিতাদেশ দিল দিল্লি হাইকোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে সংঘাত এড়াতেই এই নির্দেশ বলে জানান বিচারপতি সুব্রহ্মণ্যম প্রসাদ। বিচারপতি প্রসাদের পর্যবেক্ষণ, “মহুয়া (Mahua Moitra) লোকসভা থেকে তাঁর বহিষ্কারকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করেছেন সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি এখনও হয়নি। তাই এখন সরকারি বাংলো নিয়ে হাইকোর্ট যদি কোনও নির্দেশ দেয়, তবে বাধাপ্রাপ্ত হবে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপ্রক্রিয়া। তাই আপাতত ওই মামলায় স্থগিতাদেশ দেওয়া হল।

    কী বললেন বিচারপতি?

    তৃণমূলের বহিষ্কৃত সাংসদের উদ্দেশে বিচারপতি প্রসাদের মন্তব্য, “আপনি একটি রিট পিটিশন দায়ের করে সরকারি নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। আবার অন্য মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। যদি শীর্ষ আদালত সেই মামলায় স্থগিতাদেশ দেয়, তাহলে এই বিষয়টির শুনানি হতে পারে।” প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে পিছিয়ে গিয়েছে মহুয়ার মামলার শুনানি। এই মামলার শুনানি হতে পারে ৩ জানুয়ারি। ওই দিন পর্যন্ত মহুয়ার বাংলো মামলায় স্থগিতাদেশ দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট। তাই ৪ জানুয়ারি মামলাটি শুনবেন বিচারপতি প্রসাদ। এই সময়ের মধ্যে কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দিতেও অস্বীকার করেছে দিল্লি হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুুন: উপরাষ্ট্রপতিকে ‘মিমিক’ কল্যাণের, ‘মুর্খো কা সর্দারে’র আচরণে ধিক্কার নেটিজেনদের

    ঘুষ নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে অভিযুক্ত হন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। অভিযোগ, নগদ টাকা ও দামি দামি উপহার নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন তিনি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগের ভিত্তিতে সংসদের এথিক্স কমিটি তলব করে মহুয়াকে (Mahua Moitra)। এথিক্স কমিটির বৈঠক ছেড়ে মাঝপথে বেরিয়ে যান মহুয়া। তাঁকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে এথিক্স কমিটি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Jalpaiguri: বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, ভাঙল বুকের পাঁজর!

    Jalpaiguri: বিজেপি কর্মীকে ব্যাপক মারধর তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, ভাঙল বুকের পাঁজর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মীকে মারধর করে বুকের পাঁজর ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, এই বছরেই গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের দৌরাত্ম্য, হামলা, মারধর, অত্যাচার এমনকি খুনের অভিযোগের সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম হয়ে উঠেছিল। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে তৃণমূলের আক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে রাজ্যের বিরোধীদল বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। সামনেই আবার লোকসভার ভোট ফলে রাজনৈতিক উত্তাপের আবহ যে শুরু হয়ে গিয়েছে একথা রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Jalpaiguri)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মী এফাজুদ্দিন। তাঁর বাড়ি হল ধূপগুড়ি ব্লকের মাগুরমারি ১ নং গ্রাম পাঞ্চায়েতের ঝাড় মাগুরমাড়ির পাইক পাড়া এলাকায়। আজ তিনি বাড়িতেই ছিলেন। বাড়িতে কাজ চলছিল। পাশেই শ্রমিক ডাকতে গিয়েছিলেন। কিন্তু হঠাৎ আচমকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে তাঁর উপর। আক্রমণকারীদের মধ্যে ছিল এলাকার তৃণমূল নেতা মহম্মদ আজাদ ও মহম্মদ রাজু নামক দুই দুষ্কৃতী। রীতিমতো দুইজন মিলে তাঁকে মাটিতে ফেলে লাথি, চড়, ঘুষির আঘাতে ব্যাপক ভাবে আহত করে। এরপর তাঁকে প্রথমে ধূপগুড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। চিকিৎসকরা দেখে প্রাথমিক অনুমান করেন, তাঁর বুকের পাঁজর ভেঙে গিয়ে থাকতে পারে।

    আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর বক্তব্য

    জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) বিজেপি কর্মী এফাজুদ্দিন বলেন, “আমি বাড়িতে কাজের জন্য শ্রমিকে আনতে গেলে আমাকে আজাদরা আচমকা হামলা করে। এলাকায় কেবল মাত্র বিজেপি করার জন্য আমাকে ব্যাপক মারধর করে। আমি থানায় অভিযোগ জানাবো।” পালটা তৃণমূলের এক স্থানীয় নেতা রাজেশ লাকরা বলেন, “আক্রান্তের পাশে আছি, অভিযুক্তদের শাস্তি চাই। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share