Tag: tmc

tmc

  • Parliament: মহুয়াকাণ্ডের জের! এবার থেকে সংসদে প্রশ্ন করতে হবে স্বয়ং সাংসদদেরই?

    Parliament: মহুয়াকাণ্ডের জের! এবার থেকে সংসদে প্রশ্ন করতে হবে স্বয়ং সাংসদদেরই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র। এমনই অভিযোগ ওঠায় মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলের সুপারিশ করেছিল সংসদের (Parliament) এথিক্স কমিটি। এমতাবস্থায় সাংসদের আপ্ত সহায়ক কিংবা অন্য কেউ আর প্রশ্ন করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে লোকসভার সচিবালয়। সংসদের অধিবেশনে কোনও প্রশ্ন করতে হলে তা করতে হবে স্বয়ং সাংসদকেই। সূত্রের খবর, আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেই এই নিয়ম লাগু করা হতে পারে।

    সংসদের শীতকালীন অধিবেশন

    ৪ ডিসেম্বর শুরু হবে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। জানা গিয়েছে, এই অধিবেশনেই প্রশ্ন করার অধিকারের নিয়মে আনা হচ্ছে বদল। এবার থেকে আর সাংসদদের আপ্ত-সহায়করা অনলাইনে প্রশ্ন জমা দিতে পারবেন না। আপ্ত-সহায়কদের এই অধিকার প্রত্যাহার করে নেওয়া হচ্ছে অনির্দিষ্টকালের জন্য। প্রশ্ন করতে হলে সাংসদদের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকেই তা করতে হবে। এবং তা করতে হবে স্বয়ং সাংসদকেই। বিষয়টি নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসেছিল লোকসভার (Parliament) সচিবালয়। তবে অদূর ভবিষ্যতে আপ্ত-সহায়কদের অ্যাকাউন্ট পরিচালনার অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে কিনা, সে বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি ওই বৈঠকে।

    মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ঘুষের বদলে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। এও অভিযোগ উঠেছিল, মহুয়া তাঁর সাংসদ অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী হিরানন্দানিকে। হিরানন্দানির কাছ থেকে এজন্য ২ কোটি টাকা ও নানাবিধ দামি উপহার নিয়েছিলেন মহুয়া। তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পৌঁছায় লোকসভার এথিক্স কমিটির কাছে। এথিক্স কমিটি তলব করে কৃষ্ণনগরের সাংসদকে। কমিটির বৈঠক চলাকালীন মাঝপথে বেরিয়ে চলে আসেন মহুয়া। কমিটি মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিলের সুপারিশ করে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট গৃহীত হয় এথিক্স কমিটির বৈঠকেও।

    আরও পড়ুুন: জয়নগরে তৃণমূল নেতা খুনে নদিয়া থেকে গ্রেফতার ‘মাস্টারমাইন্ড’

    জানা গিয়েছে, রিপোর্টে মহুয়ার সাংসদ পদ বাতিল করা ও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সরকারি তদন্ত করার সুপারিশও করা হয়েছে। সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে স্পিকার ওম বিড়লা সংসদে (Parliament) পেশ করতে পারেন এথিক্স কমিটির রিপোর্ট। সেটি পেশ করা হলে সর্বতোভাবে সমর্থন জানাবে বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: “আমাকে বাঁচতে দিন”, আদালতে আর্জি বালুর, ‘‘সেলে ফিরে যান’’, জবাব বিচারকের

    Jyotipriya Mallick: “আমাকে বাঁচতে দিন”, আদালতে আর্জি বালুর, ‘‘সেলে ফিরে যান’’, জবাব বিচারকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন”। আদালতে কাতর আর্জি রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick)। অসুস্থতার কথা শোনার পর মন্ত্রীমশাইকে সেলে ফিরে যেতে বলেন বিচারক। এদিনও ফের খাট ও টেবিল দেওয়ার আর্জি জানান রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।

    “আমাকে বাঁচতে দিন”

    বৃহস্পতিবার সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা ছিল জ্যোতিপ্রিয়র। অসুস্থতার কারণে এদিন সশরীরে আদালতে হাজিরা দিতে পারেননি তিনি। ভার্চুয়ালি হাজিরা দেন মন্ত্রী। তখনই জ্যোতিপ্রিয়কে কুশল সংবাদ জিজ্ঞাসা করেন বিচারক। তখনই মন্ত্রিমশাইয়ের কাতর আবেদন, “আমাকে বাঁচতে দিন।” তার পরেই তাঁকে সেলে ফিরে যেতে বলেন বিচারক। জ্যোতিপ্রিয় নিজেকে আইনজীবী দাবি করায় বিচারক জানান, তিনি নিশ্চয়ই জেল ও কোর্টের বিষয়ে অবগত।

    প্রেসিডেন্সি জেলে জ্যোতিপ্রিয় 

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ২৬ অক্টোবর রাতে ইডি গ্রেফতার করেছিল জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick)। আদালতে তোলা হলে দশ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনে জ্ঞান হারান মন্ত্রিমশাই। ভর্তি করা হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। পরে জ্যোতিপ্রিয় সুস্থ বলে ছেড়ে দেয় হাসপাতাল। এবার হেফাজতে নেয় ইডি। বর্তমানে উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। এই জেলেই রয়েছেন রাজ্যের আর এক প্রাক্তন মন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও।

    আরও পড়ুুন: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    এদিন ভার্চুয়ালি জ্যোতিপ্রিয়কে তোলা হয় আদালতে। শুনানি শুরু হতেই বিচারক প্রশ্ন করেন, “কী সমস্যা হচ্ছে আপনার? যেখানে আপনি বসে রয়েছেন, আপনার কী সমস্যা হচ্ছে? সমস্যা হলে ওঁকে নিয়ে যেতে পারেন।” এর পরেই জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “৩৫০ সুগার। হাত-পা কাজ করছে না। বাঁচতে দিন।” আইনজীবী পরিচয় দিয়ে জ্যোতিপ্রিয় বলেন, “আমি আইনজীবী। হাইকোর্ট ও ব্যাঙ্কশাল কোর্টের সদস্য। পায়ের সমস্যা হচ্ছে। ৩৫০-র বেশি সুগার। হাত-পা কাজ করছে না। স্যর, আমাকে বাঁচতে দিন।” তখনই তাঁকে তাঁর এক্তিয়ারের কথা স্মরণ করিয়ে দেন বিচারক। তিনি বলেন, “আপনার অসুবিধা হলে সেলে চলে যেতে পারেন।” জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) খাট ও টেবিল দেওয়ার আবেদনের প্রত্যুত্তরে বিচারক বলেন, “সেটা জেলের এক্তিয়ার।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Jyotipriya Mallick: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    Jyotipriya Mallick: বালিশ-চাদরের পর এবার মোবাইল দাও! বালুর বায়নাক্কায় অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি যে জেলবন্দি, তা বোধহয় ভুলেই গিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)! তাই বালিশ-চাদরের পর এবার মন্ত্রিমশাই বায়না করছেন মোবাইল ফোনের। প্রেসিডেন্সি জেল সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতার মোবাইলের আবদারে অতিষ্ঠ জেল কর্তৃপক্ষ। বিরোধীদের একাংশের মতে, বন্দি হলেও, তিনি যে মন্ত্রী, জ্যোতিপ্রিয় বোধহয় তাই বোঝাতে চাইছেন জেল কর্তৃপক্ষকে।

    পার্থর সঙ্গে দেখা করতে রাজি নন

    এই প্রেসিডেন্সি জেলেই বন্দি রয়েছেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তৃণমূলের পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূল নেতা মানিক ভট্টাচার্য। জ্যোতিপ্রিয়র সঙ্গে একই ওয়ার্ডে রয়েছেন পার্থ। তবে দলীয় এই সতীর্থদের সঙ্গে দেখা করতে চাইছেন না রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে ধৃত জ্যোতিপ্রিয়। সূত্রের খবর, আদালতের নির্দেশে শোয়ার জন্য খাট পেয়েছেন পার্থ। আর মেঝেতে ঘুমোতে হচ্ছে জ্যোতিপ্রিয়কে (Jyotipriya Mallick)। প্রথম প্রথম তো রাতে ঘুমোতেই পারছিলেন না মন্ত্রী। এখন অবশ্য মানিয়ে নিয়েছেন পরিস্থিতির সঙ্গে।

    জ্যোতিপ্রিয়র আবদার 

    প্রেসিডেন্সি সংশোধানাগারের সুপার জানান, মন্ত্রী কখনও মোবাইল ফোন চাইছেন, কখনও আবার চাইছেন বালিশ-চাদর। গত রবিবার জ্যোতিপ্রিয় জানিয়েছিলেন, তাঁর শারীরিক অবস্থা ভাল নয়, তিনি মৃত্যু পথযাত্রী। বাঁদিক প্যারালাইসিস হয়ে গিয়েছে। মন্ত্রী এসব দাবি করলেও, চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, দিব্যি সুস্থ রয়েছেন জ্যোতিপ্রিয়। জ্যোতিপ্রিয় প্রথমে আপত্তি জানিয়েছিলেন পয়লা বাইশ ওয়ার্ডে  ঢুকতে। অনেক বুঝিয়ে-সুঝিয়ে তাঁকে রাখা হয় ওই ওয়ার্ডের সাত নম্বর সেলে। জেলে ঢোকানোর সময় তিনি চিৎকার করে বলেছিলেন, “আমি এই সেলে থাকব? আমি রাজ্যের মন্ত্রী। জেল রাজ্য সরকারের আওতায়। আমি এই সেলে থাকব না। আমার শরীরের বাঁদিক পক্ষাঘাতগ্রস্ত হয়ে যাচ্ছে। আমাকে এসএসকেএমে পাঠিয়ে দেওয়া হোক।”

    আরও পড়ুুন: ফের এক গোল চিনকে! স্কুল শিক্ষায় বেজিংকে পিছনে ফেলল মোদির ভারত?

    শেষমেশ অনেক বোঝানোর পর তিনি ঢুকে পড়েন সেলে। মোবাইল ফোন পেতে রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীর নাম নেন জ্যোতিপ্রিয়। প্রভাব খাটাতেই তিনি এটা করছেন বলে জেল সূত্রের খবর। তবে মন্ত্রীর এসব ‘কৌশল’ কাজে লাগেনি। মন্ত্রিমশাইকে দিন কাটাতে হচ্ছে মোবাইল ছাড়াই। জেল সূত্রে খবর, বুধবার রাতের দিকে ফের একপ্রস্ত নাটক করতে দেখা যায় সাত নম্বর সেলের বন্দিকে। রাত ৯টা নাগাদ তাঁকে বলা হয় খাবার খেয়ে নিতে। প্রথমে রাজি হননি মন্ত্রিমশাই। শেষমেশ রাত আড়াইটে নাগাদ খাবার এবং ওষুধ খান জোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bivas Adhikari: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস অধিকারী, জল্পনা তুঙ্গে

    Bivas Adhikari: শিক্ষক নিয়োগ মামলায় নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস অধিকারী, জল্পনা তুঙ্গে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় সিবিআই দফতরে বুধবারে হাজিরা দিলেন বীরভূমের প্রাক্তন তৃণমূল নেতা বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari), যদিও আগেই তাঁকে সিবিআই কয়েকবার নোটিস দিলেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কয়েকবার তাঁর বাড়িতে গিয়ে সিবিআই তল্লাশি চালিয়েছিল। সূত্রে জানা গিয়েছে যে ধৃত তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন বিভাস। আরও জানা গিয়েছে যে বীরভূমের তাবড় তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক ছিল তাঁর।

    নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিলেন বিভাস (Bivas Adhikari)

    বীরভূমের নলহাটির ২ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন তৃণমূল সভাপতি ছিলেন বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari)। তিনি নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়ে জানান, ‘কিছু নথি দেওয়ার কথা বলেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাই হাজিরা দিতে এসেছি।” শিক্ষক দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিশেষ পরিচয় ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। বেসরকারি বিএড এবং ডিএলএড কলেজ সংগঠনের প্রাক্তন সভাপতি ছিলেন বিভাস। ২ থেকে ৩ টি বিএড কলেজের মালিক বলেও জানা গিয়েছে। মানিক ভট্টাচার্যের গ্রেফতারের পরেই এই বিভাস অধিকারীর নাম উঠে এসেছিল। অনেক দিন ধরে তাঁর বিষয় নিয়ে খুব একটা সংবাদ আসেনি। বুধবারে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিতে গেলে ফের একবার জল্পনা শুরু হয়েছে।

    উল্লেখ্য তাঁর নলহাটির বাড়ি, কলকাতার ফ্ল্যাটে তল্লাশি করেছিল সিবিআই অফিসাররা। জানা গিয়েছে তিনি নিজেকে অনুকূল ঠাকুরের ঋত্বিক বলে দাবিও করেন। নিজের আশ্রমকে ঢাল করে দুর্নীতির ব্যবসা চালাতেন বলে অভিযোগ উঠেছিল।

    কী বললেন বিভাস অধিকারীর বক্তব্য

    স্কুল শিক্ষক নিয়োগের মামলায় অভিুযুক্ত বিভাস অধিকারী (Bivas Adhikari) বলেন, “২০১৯ সালে দুর্ঘটনায় আমি অসুস্থ হয়ে পরি। গোপাল দলপতিকে আমি চিনি না। কুন্তলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই, চোর ডাকাতরা বাঁচার জন্য অনেকের নাম নিচ্ছে। সেটা তাঁদের ব্যক্তিগত বিষয়।” কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তদন্তের জন্য আমি সবরকম সহযোগিতা করবো। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমিও চাই প্রকৃতি সত্য ঘটনা উঠে আসুক। ১০০ বার ডাকলে ১০০ বার আসব। আমাকে ডেকে নথি চাওয়া হয়েছিল, সব দিয়েছি। অবৈধ কোনও বিষয় আমার কাছে নেই।”   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সহ অসমে বিজেপিতে যোগ ১৫০ নেতা-কর্মীর

    BJP: তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক সহ অসমে বিজেপিতে যোগ ১৫০ নেতা-কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচনে বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ইন্ডিয়া। সেই জোটের আয়ু লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কিনা, তা জানা যাবে উৎসবের মরশুম শেষ হলেই। তবে তার আগে বিরোধীদের জোটকে ঝটকা দিল অসম বিজেপি।

    বিজেপিতে যোগ

    বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ১৫০ সদস্য দলীয় পতাকা ছেড়ে যোগ দিলেন বিজেপিতে। এর মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলের অসম রাজ্য সাধারণ সম্পাদকও। বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতাও রয়েছেন এই দলবদলুদের দলে। শনিবার তাঁরা হাতে তুলে নেন বিজেপির ঝান্ডা। পদ্ম শিবিরে তাঁদের স্বাগত জানান অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। তিনি বলেন, “বিজেপিই (BJP) একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা দেশের স্বার্থে কাজ করে, পরিবারতন্ত্রের স্বার্থে নয়।”

    হিমন্তর বার্তা 

    এক্স হ্যান্ডেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আমি সব সময় বলেছি যে, যাঁরা ভারত এবং অসমের জন্য কাজ করতে চান, তাঁদের পরিবারতন্ত্র এবং পরিবারকেন্দ্রিক দলে জায়গা হবে না। কেবলমাত্র ভারতীয় জনতা পার্টিই দেশের স্বার্থে কাজ করতে পারে।” বিজেপিতে যোগ দেওয়া ওই ১৫০ জন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন বলেও জানান হিমন্ত। তিনি বলেন, “ভারতী মায়ের সেবার লক্ষ্যে যাঁরা কাজ করবেন বলে আজ বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, আমি তাঁদের স্বাগত জানাই।”

    তিনি লিখেছেন, “নাগাঁও জেলা কংগ্রেসের সভাপতি সুরেশ বোরা, অসম যুব কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি পরিতোষ রায় এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ শর্মা তাদের পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। তাঁরা একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এঁরা আজ বিজেপিতে যোগ দেবেন। ইন্ডি জোটের বিরুদ্ধে এঁরাও সুর চড়িয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: “লোকসভা নির্বাচন এলেই গুন্ডাদের জেলে ঢুকিয়ে দেবো”, চ্যালেঞ্জ সুকান্ত মজুমদারের

    পুরো ঘটনাটি দলের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছে বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র বলেন, “এদিন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের সিংহভাগই জেলা ও ব্লকস্তরের কর্মী। তাঁরা যে কোনও রাজনৈতিক দলের মেরুদণ্ড। আমরা তাঁদের বিজেপিতে (BJP) স্বাগত জানিয়েছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • South 24 Parganas: কালীপুজোর আগের দিনেই বিজেপির উপর হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, উত্তপ্ত ক্যানিং

    South 24 Parganas: কালীপুজোর আগের দিনেই বিজেপির উপর হামলা তৃণমূল দুষ্কৃতীদের, উত্তপ্ত ক্যানিং

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীপুজোকে ঘিরে বিজেপির উপর হামলা চালালো তৃণমূলের গুন্ডারা। কালীপুজোর ঠিক একদিন আগেই শাসকদলের দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের উপর আক্রমণ করেছে বলে অভিযোগে উত্তাল হয়ে উঠল ক্যানিং (South 24 Parganas)। বিজেপি কর্মীদের বাড়ি, দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আরও অভিযোগ, ঘটনায় চলেছে কয়েক রাউন্ড গুলিও। শাসক দলের দৌরাত্ম্যে রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে ফের একবার সরব বিজেপি।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (South 24 Parganas)?

    কালীপুজোর আগের দিন শনিবার সকালে ক্যানিংয়ের (South 24 Parganas) ইটখোলা গ্রাম পাঞ্চায়েতের হরিপদ মোড় নামক জায়গায় এই হামলার ঘটনা ঘটে বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে অনেকেই তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দ্বারা ভীষণ ভাবে আহত হন। ইট, কাঠ, বাঁশ, রড ইত্যাদি দিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও দুষ্কৃতীদের দ্বারা কয়েক রাউন্ড গুলি চালানোর অভিযোগও জানা গিয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। আহতদের দ্রুত নিকটবর্তী স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের অবশ্য বক্তব্য, কালীপুজোকে কেন্দ্র করে এই আক্রমণের সূত্রপাত। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন ক্যানিং থানার আইসি সৌগত ঘোষ।

    বিজেপির বক্তব্য

    কালীপুজোর পরিচালনা নিয়ে আক্রমণ হয় বলে জানা গিয়েছে। গ্রামের বিজেপি কর্মীরা জানিয়েছেন যে এলাকায় তাঁরা বহুদিন ধরে এই কালীপুজো করে আসছেন। কিন্তু এইবার জোর করে তৃণমূল দখল করতে চেয়েছিল। আর তার প্রতিবাদ করলে বহিরাগত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রমণ করা হয়। মূল অভিযোগ স্থানীয় (South 24 Parganas) তৃণমূল নেতা ইন্দ্রজিৎ সর্দার এবং অনুগামীদের বিরুদ্ধে। প্রথমে বচসা হলেও ক্রমেই মারামারি করতে শুরু করে তৃণমূলের গুন্ডারা। অভিযোগ আরও যে দুষ্কৃতীরা এলাকায় গুলি চালায়। এলাকায় বিজেপির দলীয় কার্যালয় এবং বাড়িঘরে ব্যাপক ভাবে ভাঙচুর চালায়।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ক্যানিং (South 24 Parganas) স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা বলেন, ‘বিজেপি ইচ্ছে করে নিজেই তৃণমূলের উপর আক্রমণ করলে গোলমালের সুত্রপাত হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “মিছিলে এত লোক ভোট বাক্সে কই?” প্রকাশ্য মঞ্চে তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্ন শতাব্দীর

    Birbhum: “মিছিলে এত লোক ভোট বাক্সে কই?” প্রকাশ্য মঞ্চে তৃণমূল কর্মীদের প্রশ্ন শতাব্দীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের রামপুরহাটে কাজ করেও তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায় ভোট পাচ্ছেননা বলে কর্মীদের অভিযোগ করলেন। তাঁর স্পষ্ট প্রশ্ন “মিছিলে এত লোক ভোট বাক্সে কই?” প্রশ্ন করে হতাশা ব্যক্ত করলেন তিনি। দলীয় কর্মীদের বিজয়া সম্মেলনের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই প্রশ্ন তোলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। বীরভূমের (Birbhum) উন্নয়ন তাহলে কোথায় গেল? উল্লেখ্য ২০১৯ সালের লোকসভার ভোটে এই এলাকায় বিজেপি থেকে শতাব্দী অনেক ভোটে পিছিয়ে ছিলেন। একাধিকবার জেলায় ভোটের প্রচারে গেলে, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার ঘর দেওয়া হয়নি বলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছিল শতাব্দীকে। ‘এলাকার ভোট কোথায় যায়?’ বলে সাংসদ শতাব্দী, দলের কর্মীদের কাছে প্রশ্ন করে বিড়ম্বনায় ফেলেন। অপরদিকে বিজেপি, ভোট না পাওয়ার পিছনে তৃণমূলকে দুর্নীতিকে দায়ী করেছে। 

    কী বললেন শতাব্দী?

    এলাকার (Birbhum) বিধানসভা ভোটের পরিসংখ্যান তুলে ধরে এদিন শতাব্দী রায় বলেন, “কাজের পর কাজ হয়েছে, বড় বড় মিছিল বেরোনোর পরেও ভোট বাক্সে ভোটটা কোথায় যায়? আমার জানতে ইচ্ছে করছে। রামপুরহাট শহরের লোক আমাকে ভোট দেয়নি। আপনাদের কোনও অভিযোগ বা পরামর্শ থাকলে জানাবেন। সংশোধন করার চেষ্টা করবো।” উল্লেখ্য শতাব্দী রায় যখন কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে তাঁর আক্ষেপের কথা বলছিলেন, তখন মঞ্চে বসে ছিলেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশীষ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।

    রামপুরহাটে ভোটে পিছিয়ে থাকে তৃণমূল (Birbhum)

    রামপুরহাটে (Birbhum) এত কাজ এত বড় বড় মিছিল-মিটিং, সেই সঙ্গে তৃণমূল কর্মী থাকার পরও ভোট বাক্সের ভোটটা কোথায় যায়? দলের কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূল কংগ্রেসের বীরভূমের সাংসদ শতাব্দী রায়। আজ বীরভূমের রামপুরহাটে একটি সরকারি স্কুলে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজয়া সম্মেলন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় কর্মীদের উদ্দ্যেশ্যে মাইকে এই কথাগুলি বলেন তিনি। গত তিনবার বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হন তিনি। তাঁর সময়কালে এলাকায় তিনবার বিধানসভা নির্বাচন হয়েছে। আর সবকটি নির্বাচনেই রামপুরহাট শহর এলাকায় ভোটে পিছিয়ে থেকেছেন শতাব্দী। তাই কর্মীদের কারণ জানতে চেয়ে প্রশ্ন করলেন এদিন তিনি।

    বিজেপির বক্তব্য

    জেলার (Birbhum) বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলা হয়, রাজ্য জুড়ে এত সন্ত্রাস চালিয়েও মানুষের মত প্রকাশের অধিকারকে আটকাতে পারেনি তৃণমূল। দুর্নীতিগ্রস্ত তৃণমূলের নেতাদের আচরণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। আগামী দিনে লোকসভার ভোটে তৃণমূলের সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজেপিকেই জয়ী করবে রামপুরহাটের মানুষ।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের ,  এবং Google News পেজ।

  • Ausgram: তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে খুনের চক্রান্ত করছেন দলেরই বিধায়ক! অভিযোগ গড়াল থানায়

    Ausgram: তৃণমূলের জেলা সভাপতিকে খুনের চক্রান্ত করছেন দলেরই বিধায়ক! অভিযোগ গড়াল থানায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআর  করলেন দলেরই নেতা। তৃণমূলের জেলা সভাপতিতে খুন করার চক্রান্ত করছে বিধায়ক। এমনই অভিযোগ জানিয়েছেন দলেরই ওই কর্মী। পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের (Ausgram) এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে আসে। যা নিয়ে দলেরই অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম-২ ব্লকের তৃণমূল সহ- সভাপতি উজ্জ্বল পাল বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছেন। আর এই ঘটনা নিয়ে স্থানীয় লোকজন নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি শুরু করেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Ausgram)

    ঘটনার সূ্রপাত গত ৫ নভেম্বর। আউশগ্রামের (Ausgram) বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারের আহ্বানে গুসকরার একটি লজে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী হয়। সেখানে আউশগ্রাম- ১, আউশগ্রাম- ২ ব্লক তৃণমূলের নেতৃত্ব এবং গুসকরা শহর তৃণমূল কমিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে এক নেতা বক্তব্য রাখার সময় বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দারকে তাঁর পাশে বসে থাকা দলীয় এক নেতা আব্দুল লালনের সঙ্গে ফিসফিস করে কিছু কথা বলতে দেখা যায়।  সাংবাদিক বৈঠকের সময় অভেদানন্দ এবং তৃণমূল নেতা আব্দুল লালনের কথাবার্তা তাঁদের সামনে রাখা বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের বুম এবং বিধায়কের জামার কলারে লাগানো মাইক্রোফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। তাতে বিধায়ক বেশ কিছু বিতর্কিত মন্তব্য করতে শোনা যায়। এমনকী, দলের এক সাংসদ অসিত মালের খাবারে ‘লঙ্কার গুঁড়ো মিশিয়ে মেরে দেওয়ার কথাও বলতেও শোনা যায়। বস্তুত, হাসতে হাসতেই এই কথাগুলো বলছিলেন আউশগ্রামের বিধায়ক। কিন্তু দলের এক গোষ্ঠী একে মোটেই হাল্কা ভাবে নিচ্ছে না। এই ঘটনার জেরে অস্বস্তিতে পড়েছেন বিধায়ক।

    বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    আউশগ্রাম-২ ব্লকের (Ausgram) তৃণমূল সহ- সভাপতি উজ্জ্বল পাল বলেন, দলেরই নেতাদের মেরে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে। আমারও জীবনহানির আশঙ্কা রয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়কে মেরে দেওয়ার চক্রান্ত করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আউশগ্রাম থানার পুলিশ তদন্তও শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূলের জেলা সভাপতি উজ্বলবাবুকে সমর্থন করেছেন।  

    বিধায়ক কী বললেন?

    আউশগ্রামের (Ausgram) বিধায়কের  বক্তব্য, সামান্য ঠাট্টা ইয়ার্কিকে যে ভাবে অন্য মাত্রা দেওয়া হচ্ছে, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। আমার বিরুদ্ধে কয়েক জন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথাও হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এ নিয়ে বিজেপির আউশগ্রামের (Ausgram) নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, গোষ্ঠী কোন্দলের আরেক নাম তৃণমূল। দলের বিধায়কের উপর দলেরই স্থানীয় নেতৃত্বের আস্থা নেই। এরা নিজেদের দল ঠিকমতো করে চালাতে পারছে না। দল চালাবে কী করে?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: পক্ষাঘাতের ‘বুলি’ আওড়াচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়, কপালের লিখন পড়তে পেরেছেন মন্ত্রীমশাই?

    Jyotipriya Mallick: পক্ষাঘাতের ‘বুলি’ আওড়াচ্ছেন জ্যোতিপ্রিয়, কপালের লিখন পড়তে পেরেছেন মন্ত্রীমশাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পয়সা দিয়ে যেখানে স্বাস্থ্য পরিষেবা কিনতে গিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick), সেই বেসরকারি হাসপাতাল বলছে মন্ত্রী সুস্থই। যদিও মন্ত্রীর দাবি, অবনতি হয়েছে তাঁর স্বাস্থ্যের। বাঁ হাত এবং বাঁ পায়ে ব্যথা বেড়েছে। পক্ষাঘাতের মতো হয়ে যেতে পারে। বৃহস্পতিবার ইডি হেফাজত থেকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তৃণমূলের এই নেতাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কমান্ড হাসপাতালে। যাওয়ার পথে তাঁর এহেন মন্তব্যে রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা!

    মমতার হুমকি!

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে পক্ষকালের কিছু বেশি আগে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয়। সতীর্থ গ্রেফতার হতেই মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তড়িঘড়ি সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তিনি বলেছিলেন, “বালুর (জ্যোতিপ্রিয়কে এই নামেই ডাকেন মমতা) মৃত্যু হলে দায়ী থাকবে ইডি।” এর পর কেটে গিয়েছে এতগুলো দিন। মন্ত্রিমশাইকে যখন আদালতে পেশ করা হয়, তখন ১০ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনে এজলাসেই জ্ঞান হারান জ্যোতিপ্রিয়। বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, মন্ত্রী সুস্থই রয়েছেন।

    পরীক্ষায় ধরা পড়েনি রোগ

    হাসপাতালের কথা যে নিছক হেলাফেলার নয়, তার প্রমাণ মন্ত্রী (Jyotipriya Mallick) নিজেই। গ্রেফতার হওয়ার পর ১৫ দিনেরও বেশি কেটে গেলেও, তাঁর শরীরে কোনও রোগের উপসর্গ দেখা দেয়নি। শারীরিক পরীক্ষায়ও ধরা পড়েনি বড় ধরনের কোনও ত্রুটি। প্রশ্ন হল, তাহলে মন্ত্রিমশাই কেন পক্ষাঘাতের বুলি আওড়ালেন? সেটা কি তাহলে তাঁর আইনজীবীর শেখানো বুলি? রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, কেলেঙ্কারির যে ফাঁদে পড়েছেন মন্ত্রী, সেখান থেকে সহজে নিষ্কৃতি মিলবে না। তাঁকে দীর্ঘদিন থাকতে হবে কারান্তরালে। এটা ভালই বুঝেছেন মন্ত্রী। সেই কারণেই শারীরিক সমস্যার বুলি আওড়াচ্ছেন মন্ত্রী। গ্রেফতার হওয়ার পর যে বুলি আওড়েছিলেন তাঁরই দলীয় সহকর্মী অনুব্রত মণ্ডল, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সেই স্বরই শোনা গেল জ্যোতিপ্রিয়র গলায়ও। গ্রেফতার হওয়ার পরে পরে উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা বলতেন, “শীঘ্রই ফিরে আসব, আমি মুক্ত।” সেই জ্যোতিপ্রিয়ই এবার খাড়া করতে চাইলেন পক্ষাঘাতের তত্ত্ব।

    তবে কি কপালের লিখন পড়তে পেরেছেন মন্ত্রীমশাই (Jyotipriya Mallick)!

    আরও পড়ুুন: “রাঘব বোয়ালদের ছুঁয়ে দেখা হল না কেন?”, সিবিআইকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Suvendu Adhikari: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”, নাম না করে মহুয়াকে নিশানা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এই ধরনের জালিয়াত সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সময়ের অপেক্ষা ছিল। বাংলার মানুষ চান, তাঁকে জেলে ঢোকানো হোক। আমরাও চাই এই জালিয়াত সাংসদ জেলে যান।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিষ্ণুপুরে নাম না করে মহুয়াকে জেলে ঢোকানোর দাবি তোলেন তিনি।

    কাঠগড়ায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ

    ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার অভিযোগে কাঠগড়ায় কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া। তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিলেন সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। এর পরেই সংসদের এথিক্স কমিটি তলব করে তৃণমূলের এই নেত্রীকে। সেখানে প্রশ্ন-বাণের মুখে পড়ে মাঝ পথে কমিটির সামনে থেকে বেরিয়ে চলে যান তৃণমূল নেত্রী। নিশিকান্তর ওই অভিযোগের প্রেক্ষিতে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল। আর এথিক্স কমিটি জানিয়েছে, মহুয়ার বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা ও দামি উপহার নেওয়ার যে অভিযোগ রয়েছে, তার প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করুক সরকার। মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশও করেছে এথিক্স কমিটি। ৪ ডিসেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেই পেশ হতে পারে এথিক্স কমিটির সুপারিশপত্রটি।

    “জালিয়াত সাংসদ জেলে যান”

    এহেন আবহে এদিন বিষ্ণুপুরে শুভেন্দু বলেন, “এই ধরনের জালিয়াত সাংসদের সাংসদ পদ খারিজ হওয়া সময়ের অপেক্ষা ছিল। বাংলার মানুষ চান, তাঁকে জেলে ঢোকানো হোক। আমরাও চাই এই জালিয়াত সাংসদ জেলে যান (Suvendu Adhikari)।” গত মাসে মহুয়াকে নিশানা করে শুভেন্দু বলেছিলেন, “লোকসভার এথিক্স কমিটির যত দ্রুত সম্ভব যথাযথ পদক্ষেপ করা উচিত। মা কালীর অভিশাপ পড়েছে। এই লোভী সাংসদ মা কালী মদ খায় আর সিগারেট খায় বলেছিল। প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মা কালী আর সনাতনের দেবদেবীদের কুরচিকর ভাষায় খারাপ কথা বললে তার পরের জন্মে নয়, এজন্মেই ধ্বংস হবে।“ প্রসঙ্গত, দিন দুই আগে মহুয়ার বিরুদ্ধে বাড়িতে অনুপ্রবেশের অভিযোগ তুলে থানায় গিয়েছিলেন তাঁরই প্রাক্তন ‘প্রেমিক’ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই। দায়ের করা অভিযোগে দেহাদ্রাই জানিয়েছিলেন, ভয় দেখানোর উদ্দেশ্যেই তাঁর বাড়িতে ‘অনুপ্রবেশ’ করেছিলেন মহুয়া। সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবীর অভিযোগ, ৫ ও ৬ নভেম্বর না জানিয়েই তাঁর বাড়িতে এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে দিল্লি থানায় দায়ের করা অভিযোগপত্রে দেহাদ্রাই লিখেছেন, গত ৫ নভেম্বর সকাল ১১টা নাগাদ ও ৬ নভেম্বর সকাল ৯টা নাগাদ সাংসদ মহুয়া মৈত্র কাউকে কিছু না জানিয়েই আমার বাড়িতে আসেন। এভাবে (মহুয়া) মৈত্রর আমার বাড়িতে আসার কারণ হিসেবে মনে হচ্ছে, তিনি আমার বিরুদ্ধে আবার কোনও ভুয়ো প্রতারণামূলক অভিযোগ দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ, তাঁকে ভয় দেখানোর অভিপ্রায় নিয়েই তাঁর বাড়িতে অনুপ্রবেশ করেছিলেন মহুয়া (Mahua Moitra)। তাঁর সংযোজন, “মহুয়া মৈত্রর প্রতারণামূলক ও মিথ্যে অভিযোগ সম্পর্কে আমি আগেই দিল্লির পুলিশ (Suvendu Adhikari) কমিশনারকে জানিয়েছি। তবে তাঁর এই অনুপ্রবেশে ভয় পেয়েছেন আমার বাড়ির কর্মীরা।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share