Tag: tmc

tmc

  • Jyotipriya Mallick: ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, রায় শুনেই আদালতে জ্ঞান হারালেন জ্যোতিপ্রিয়

    Jyotipriya Mallick: ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, রায় শুনেই আদালতে জ্ঞান হারালেন জ্যোতিপ্রিয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের। শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে। এদিনই তোলা হয় আদালতে। ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনেই আদালতে জ্ঞান হারান মন্ত্রীমশাই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তুলে বসানো হয় একটি চেয়ারে। সেখানে সামান্য বমিও করে ফেলেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার এই নেতা।

    হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় 

    এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে। এমতাবস্থায় ইডি হেফাজতের মেয়াদ পুনর্বিবেচনা ও মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির দাবি তুলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবীরা। এর মধ্যে মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে কাছে ডেকে নেন জ্যোতিপ্রিয়। বাবার মাথায় জল দেন তিনি। পরে (Jyotipriya Mallick) কিছুটা সুস্থ বোধ করেন। এর পরেই আদালতের নির্দেশে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে যাওয়া হয় কমান্ড হাসপাতালে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে মন্ত্রীর চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ কমান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক। মন্ত্রীকে বাড়ির খাবার দেওয়া যাবে বলেও জানিয়েছে আদালত। বিচারকের নির্দেশ, প্রত্যেক দিন এক ঘণ্টা করে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন জ্যোতিপ্রিয়।

    নিজেকে নির্দোষ দাবি মন্ত্রীর 

    এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি বলেন, “আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” রায়দানের সময় বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, “২০১৫ সালে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে তা ৬ কোটি হল কী করে?”

    আরও পড়ুুন: বড় পদক্ষেপ এথিক্স কমিটির, কেন্দ্রের থেকে চাওয়া হল মহুয়ার বিদেশযাত্রার তথ্য

    আদালতে ইডির দাবি, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে সরাসরি যোগ রয়েছে মন্ত্রীর। অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরিতে ‘বালুদা’ (জ্যোতিপ্রিয়র ডাক নাম বালু) নামের উল্লেখ রয়েছে। ইডির দাবি, তিনটি ভুয়ো সংস্থা খুলে ১২ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। বাড়ির রাঁধুনির নামেও ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিলেন তিনি। ইডির কটাক্ষ, “মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) অনেকটা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের মতো আচরণ করছেন। স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি স্বামীকে দেখাচ্ছেন। আর স্বামীকে প্রশ্ন করলে স্ত্রীকে দেখাচ্ছেন। এ তো পুরো মানিক ভট্টাচার্যের মতো ব্যাপার। সবাই এক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

      

  • Mahua Moitra: “মহুয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কী দিইনি গাড়ি,  ফ্ল্যাট”, বিস্ফোরক দাবি ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির

    Mahua Moitra: “মহুয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কী দিইনি গাড়ি, ফ্ল্যাট”, বিস্ফোরক দাবি ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক সুবিধা নিয়ে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহুয়া মুম্বইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির (Darshan Hiranandani) ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে, সংসদে গৌতম আদানি ও আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লাগাতার প্রশ্ন তুলে গেছেন। মামলা সিবিআই ও সংসদের এথিক্স কমিটি পর্যন্ত গড়িয়েছে দেখে, দর্শন হীরানন্দানি একপ্রকার রাজসাক্ষী হয়ে গেলেন।

    হলফনামায় কী বললেন দর্শন

    দর্শন দাবি করেছেন, মহুয়া (Mahua Moitra) অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী। দ্রুত নাম করতে চেয়েছিলেন। সে জন্যই নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষুরধার আক্রমণ করাকে সহজ রাস্তা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন মহুয়া। মোদিকে নিশানা করার জন্যই গৌতম আদানি ও আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘হাত ধুয়ে’ লেগে পড়েন মহুয়া।  স্বাক্ষর করা ‘হলফনামা’য় হিরানন্দানি কার্যত মহুয়া ও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। মহুয়া মৈত্র অবশ্য দর্শন হিরানন্দানির হলফনামার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘লোকসভার এথিক্স কমিটিতে জমা করা ওই হলফনামা আসলে একটি লেটারহেড ছাড়া সাদা কাগজ। আর সংবাদমাধ্যমে লিক হওয়া ছাড়া এই হলফনামার কোনও উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

    মহুয়ার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ

    দুবাই-কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী হীরানন্দানির থেকে নেওয়া অর্থ ও উপহারের বিনিময়ে মহুয়া লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন এমন অভিযোগ তুলে গত রবিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠান বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। স্পিকারের কাছে মহুয়াকে (Mahua Moitra) সাংসদ পদ থেকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার আর্জিও জানিয়েছেন নিশিকান্ত। আবার আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই মহুয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে সিবিআই প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন। এবার দর্শনের হলফনামা সামনে আসায় আরও বিপাকে পড়লেন মহুয়া। 

    জোর খাটাতে পারেন মহুয়া

    দর্শনের দাবি, মহুয়ার সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপ হয় কলকাতায়। সে সময়ে কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আয়োজন করা বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট চলছিল। ওই সম্মেলনে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। সে সময়ে মহুয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও ফোন নম্বর বিনিময় হয়। এর পর থেকে প্রায়ই তাঁদের ফোন কথা চলতে থাকে। মুম্বই, দিল্লি ও দুবাইতে তাঁদের সামাজিক অনুষ্ঠানে বহুবার দেখা হয়। তার পর বন্ধু সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়। এতটাই যে এক সময় তাঁদের রোজ কথা হত। দর্শন হীরানন্দানি হলফনামায় লিখেছেন, মহুয়া ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে খুবই জোর খাটাতে পারেন। কোনও কিছু তাঁর চাই মানে তক্ষুণি চাই। সব কাজ ফেলে রেখে তাঁর ব্যাপারটায় নজর দিতে হবে। তাঁর কাজ মানেই জরুরি ব্যাপার। 

    আরও পড়ুন: কাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য

    সংসদের লগ-ইন আইডি দিয়েছিলেন মহুয়া

    হীরানন্দানি ‘হলফনামা’য় স্বীকার করেছেন যে তিনি মহুয়াকে (Mahua Moitra) ব্যবহার করে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কিত প্রশ্ন তুলেছেন সংসদে। মহুয়া শিল্পপতিকে সংসদের লগ-ইন আইডি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন নিশিকান্ত। সেটাও স্বীকার করেছেন হীরানন্দানি। মহুয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপহার নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তাতেও মান্যতা দেওয়া হয়েছে হীরানন্দানির ‘হলফনামা’য়। বলা হয়েছে, মাঝেমাঝেই নানা আব্দার করা হত। দাবি থাকত বিলাসবহুল সামগ্রী, দিল্লির সরকারি বাসভবন সংস্কার করিয়ে দেওয়া, ছুটি কাটানো বা বেড়ানোর খরচের জন্যও দাবি করা হত। সেটা যেমন দেশের বিভিন্ন জায়গায়, তেমন বিদেশেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই”, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Murshidabad: “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই”, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ বুধাসপাড়া ফ্রেন্ড একাদশ ক্লাবের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দেবী দুর্গার পায়ে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করেন এবং প্রদীপ প্রজ্বলন করে রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামানা করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি পুজো মণ্ডপ থেকে, সন্দেশখালির এক দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলের গেরুয়া কাপড় খোলা প্রসঙ্গে, তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Murshidabad)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ করে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বলেন, “বাংলাদেশে দুর্গা পুজোর মধ্যে যেমন আক্রমণ হয়, ঠিক তেমনি তৃণমূল কোম্পানি এখানে আক্রমণ করেছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে পুজোর উপর আক্রমণ নতুন কিছু নয়। সন্দেশখালিতে গিয়ে দেখে আসুন, সেখানে রাজবাড়ি বলে একটি পুজো কমিটির পুজো হয়। সেই পুজোর প্যান্ডেল গেরুয়া কাপড় দিয়ে করা হয়েছিল বলে, সেই কাপড় খুলতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। কিন্তু এই গেরুয়া কাপড় তো বিজেপির কাপড় নয়, গেরুয়া হল স্বামী বিবেকান্দের কাপড়। গেরুয়া কাপড় ত্যাগের প্রতীক, শৌর্যের প্রতীক এবং সনাতনের প্রতীক। এই কাপড়খুলে সবুজ কাপড় লাগিয়েছে তৃণমূলের প্রধান জিয়ারুদ্দীন মোল্লা। সেই সঙ্গে এই তৃণমূলের নেতা হুমকি দিয়ে বলেছেন, দিদি তোদের টাকা দিয়েছে আর তোরা গেরুয়া কাপড় লাগিয়েছিস কেন? খুলে ফেল। এই তৃণমূল নেতাকে জেলে যেতেই হবে।”

    আর কী বলেন?

    রাজ্যের দুর্নীতির প্রসঙ্গে লালবাগে (Murshidabad) শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল সরকারের পুরসভা দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া দরকার। বিচারপতিরা অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। সঠিক ভাবে তদন্ত হোক এবং সব চোরেরা জেলে যাক। বেকাররা চাকরি পাক।” আবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচারকদের হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। মালিকের রক্ষী যদি ২০০ কোটি টাকার মালিক হন, তাহলে মালিক কত টাকার মালিক বলে প্রশ্ন করেন তিনি।”

    মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মন্ডল এই দিন উপস্থিত ছিলেন পুজো মণ্ডপে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক। ধৃতের নাম কৌশিক মাজি। তিনি ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা। সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ সেন নামে একজনকে। তাঁকে জেরা করে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় কৌশিককে।   

    বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    গত মাসে ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থার যে দুই আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৌশিকও। তাঁদের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক সহ বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কৌশিকের বাড়ি হাওড়ার দাশনগরে। এর আগে তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। এবার করা হল গ্রেফতার।

    ‘অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন’

    নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Case) উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই অন্যতম অংশীদার কৌশিক। সোমবার দুপুরে এই সংস্থার কর্মী পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পার্থই কেলেঙ্কারির মূল চাবিকাঠি। এদিন আলিপুর আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ওএমআর শিটের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পার্থ সরাসরি যুক্ত। তিনিই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। সেই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজনের চাকরিও হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

    আরও পড়ুুন: এমাসেও দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বাকিবুরের! উদ্ধার হওয়া খাতায় কী পেল ইডি?

    আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৭ সালে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থীর একটি তালিকা তৈরি হয়েছিল এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিতে। পার্থই সেই তালিকা তৈরি করেছিলেন। সেই তালিকা থেকে একটি ডিজিটাল তালিকা তৈরি হয়েছিল। পরে সেই তালিকা মেইল করে পাঠানো হয় পর্ষদ অফিসে। সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকার মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী পরে চাকরিও পেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০০৭ সাল থেকে ওএমআর শিট তৈরির ওই সংস্থায় চাকরি করছেন পার্থ। তাঁর মেয়ে ও জামাই দুজনেই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের আরও কয়েকজন ছোট বড় দরের নেতা। এবার গ্রেফতার হলেন পার্থ, কৌশিক। এঁদের পর কাদের হাতে পড়বে হাতকড়া, সেটাই প্রশ্ন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন! কাঠগড়ায় তৃণমূলের মহুয়া

    Mahua Moitra: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন! কাঠগড়ায় তৃণমূলের মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি পাঠালেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।

    মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আইনজীবীরও

    আইনজীবী অনন্ত দেহাদরিও মহুয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছেন সিবিআই প্রধানকে। নিশিকান্ত ও অনন্ত দু’জনেরই অভিযোগ, ব্যবসায়ী দর্শন হিরনানদানির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম জড়িয়েছেন মহুয়া।

    স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ

    রবিবার স্পিকারকে (Mahua Moitra) দেওয়া চিঠিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গ ও সংসদের অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্তর দাবি, ব্যবসায়ী হিরনানদানির স্বার্থ দেখতে নগদ টাকা ও উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রায় ৫০টি প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। তাঁর দাবি, বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন শোনার পর সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাংসদ সৌগত রায়ের নামও উল্লেখ করেছেন গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।

    ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বরের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন নিশিকান্ত। তিনি লিখেছেন, চতুর্দশতম লোকসভায় ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ উঠলে তৎকালীন স্পিকার একটি  তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। তদন্তের পরে মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে লোকসভার ১০ সাংসদকে অপসারিত করা হয়েছিল। মহুয়াকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ‘রাম মন্দির’ উদ্বোধনে অমিত শাহ, সাজো সাজো রব

    এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া (Mahua Moitra) বলেন, “যে কোনও তদন্তের জন্য প্রস্তুত।” তাঁর সংযোজন, সিবিআইকেও স্বাগত জানাচ্ছি। তারা আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করতে পারে। কিন্তু তার আগে আদানির সমস্ত অর্থ কোন পথে সমুদ্রের ওপারে পৌঁছচ্ছে, সেটাও তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্বামী গিয়ে নথি জমা দিয়েছিলেন ইডিকে। আর পরের দিন সকালে ইডির দফতরে হাজির হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার সকাল সাড়ে ১০-১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এদিন ১১টা বাজার মিনিট কয়েক আগেই ইডির দফতরে চলে আসেন রুজিরা।

    ইডির দফতরে রুজিরা

    এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। চার দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল যান চলাচল। ১১টা নাগাদ একটি সাদা ইনোভা গাড়ি করে চলে আসেন অভিষেক-পত্নী। গাড়ি থেকে নেমে কোনও দিকে না তাকিয়ে হনহনিয়ে ঢুকে পড়েন ইডির দফতরে।

    অভিষেক-জায়া ইডির মুখোমুখি হয়েছেন আগেও

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ইডির মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক-জায়া (Rujira Banerjee)। মাস চারেক আগেই কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান ও এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেবার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছিল টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা। ২০২২ সালের জুন মাসেও শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন রুজিরা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হামাসের ধাঁচে হামলা ভারতে’’! যুদ্ধের আবহে হাওয়া গরমের চেষ্টা খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের

    তবে এবার যে রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব করা হয়েছে, তা নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সিইও অভিষেক। সংস্থার ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংস্থারই অধিকর্তা ছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। এই চারজনকেই তলব করেছিল ইডি। যদিও রুজিরা বাদে বাকি তিনজনই এড়িয়েছেন হাজিরা। মঙ্গলবার মধ্য রাতের কিছু আগে গিয়ে ইডিকে নথি দিয়ে আসেন অভিষেক।

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় রুজিরার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল লুক আউট নোটিশও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরে অবশ্য সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে ইডি। জানা গিয়েছে, এদিন ইডির তিন আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রুজিরাকে। এঁদের মধ্যে  রয়েছেন এক মহিলা আধিকারিকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: অভিষেকদের আশ্বাস দিয়েই দিল্লির উড়ান ধরলেন রাজ্যপাল, মিলতে পারে বড় খবর

    CV Ananda Bose: অভিষেকদের আশ্বাস দিয়েই দিল্লির উড়ান ধরলেন রাজ্যপাল, মিলতে পারে বড় খবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চারদিন ধর্না শেষে সোমবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করেই ফের দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সোমবার সন্ধের বিমানেই দিল্লি রওনা দিচ্ছেন তিনি।

    রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০জন প্রতিনিধির একটি দল যায় রাজভবনে। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে সাতজন ‘বঞ্চিত’ও ছিলেন বলে দাবি তৃণমূলের। ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাজ্যপালের গোচরে আনতে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক হয়েছে মিনিট কুড়ির। বৈঠক শেষে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপাল পদক্ষেপ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন। এর পরেই জানা যায়, দিল্লির উড়ান ধরতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।

    হাই সিকিউরিটি জোনে ধর্না

    প্রসঙ্গত, ৫ অক্টোবর থেকে রাজভবনের (CV Ananda Bose) সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন চত্বর রাজ্যের অন্যতম হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে সব সময়ই জারি থাকে ১৪৪ ধারা। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজভবনের সামনে তৃণমূল ধর্নায় বসেছে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মঞ্চ বেঁধে ধর্না চলছে, সে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফেও। 

    আরও পড়ুুন: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    তার পরেও সোমবার পর্যন্ত চলেছে তৃণমূলের ধর্না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা ও একশো দিনের প্রকল্পের টাকা দিল্লি থেকে আদায় করতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণেই চলছিল ধর্না। তৃণমূল যেদিন রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিল, সেদিন রাজভবনে ছিলেন না তিনি। রাজ্যপাল গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। পরে কলকাতায় ফিরে এদিন দেখা করেন অভিষেকের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে। পরে রওনা দেন (CV Ananda Bose) দিল্লির উদ্দেশে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে তৃণমূলের ধর্না কীভাবে? নবান্নে চিঠি রাজভবনের  

    Abhishek Banerjee: ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে তৃণমূলের ধর্না কীভাবে? নবান্নে চিঠি রাজভবনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের গেটের বাইরে রয়েছে ১৪৪ ধারা। তার পরেও কীভাবে তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) রাজভবনের গেটের সামনে ধর্নায় বসার পর এমনই প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতিও ১৪৪ ধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এবার একই প্রশ্ন তুলে নবান্নকে চিঠি পাঠাল রাজভবন।

    নবান্নকে চিঠি রাজভবনের

    চিঠি লেখা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার আগেই রাজভবনের তরফে চিঠি গেল নবান্নে। চিঠিতে মূলত তিনটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এক, ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে এমন এলাকায় মঞ্চ বেঁধে ধর্নার অনুমতি কি কলকাতা পুলিশ দিয়েছিল? দুই, যদি দেওয়া হয়, তবে কে দিলেন এবং কোন আইন বলে? তিন, যদি অনুমতি ছাড়াই ধর্নামঞ্চ বাঁধা হয়ে থাকে এবং তিনদিন ধরে বিক্ষোভ জমায়েত চলতে থাকে তাহলে পুলিশ এর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে? প্রশ্নগুলি পাঠিয়ে দ্রুত জবাব চেয়েছে রাজভবন।

    কী বললেন সুকান্ত? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এ রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য যে সব বেআইনি কাজই আইন, তা বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশের ভূমিকা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভারতীয় সংবিধানের কাছে তিনি নেংটি ইঁদুর ছাড়া আর কিছুই নন।” প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বঞ্চনা ও আবাস যোজনা ইস্যুতে রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চাশ থেকে একশো মিটারের মধ্যেই চলছে সেই অবস্থান বিক্ষোভ। উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রীরা।

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক প্রধান রূপে ২২ বছর পূর্ণ, প্রধানমন্ত্রী পদে রেকর্ড তৈরির পথে নরেন্দ্র মোদি

    কয়েকদিন ধরে চলা এই বিক্ষোভ নিয়েই এবার কড়া মনোভাব পোষণ করল রাজভবন। শনিবার সন্ধ্যায় দার্জিলিংয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন রাজ্যাপালের সঙ্গে। রবিবার তিনি কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যার বিমানে বাগডোগরা থেকে কলকাতা আসার কথা। তার ঠিক আগেই রাজভবনের তরফে চিঠি গেল নবান্নে। প্রসঙ্গত, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় রবিবার সিবিআই হানা দেয় কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে। এদিনই সিবিআই হানা দিয়েছে মদন মিত্রের বাড়িতেও। এহেন আবহে রাজভবনে ফিরছেন (Abhishek Banerjee) রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারদের পার্টি নয়, বিজেপি প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার দল। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে তৃণমূলের কটাক্ষকে এই ভাষাতেই জাবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। শনিবার সকালে ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন তিনি। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা বিজেপি কার্যালয়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। তারপরই সুকান্ত-শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে কড়া আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। 

    ওদের সঙ্গে দেখা করতেই দিল্লি আসি

    এদিন তিনি বলেন, ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এটা কোনও স্বৈরতন্ত্র নয়। এখানে যা ইচ্ছে তাই করা বা যা ইচ্ছে তাই বলা যায় না, বলে দাবি করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan Jyoti)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সামনে বাধ্য হয়ে আসতে হল আমাকে। দুদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। কেন্দ্রীয় সরকার বৈমাত্রেয় সূলভ আচরণ করছে জানিয়ে দেখা করতে চান। শুধু ওদের সঙ্গে দেখা করতেই আমি দিল্লি এসেছিলাম। প্রথমে ওরা বলেছিলেন ৫ জন প্রতিনিধি দেখা করবেন। তারপর আমার পিএসের কাছে বলেন ১০ জন দেখা করবেন। আমি বললাম আপত্তি নেই। তারপর বলেন, সমস্ত জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি বলি, সচিব সহ অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার জন্য। তারপর সাড়ে ৭টায় বলেন সব সাংসদ দেখা করবেন। আমি সেটারও ব্যবস্থা করি। তারপর মহুয়া মৈত্র বলেন, একা দেখা করবেন। আমি তারপর বলি কারও সঙ্গে একা দেখা করব না। ডেলিগেট টিমের সঙ্গে দেখা করব। তারপর ৮টায় বলা হয় সব সাংসদরা আসবেন। আমি বলি সেটাই করুন। কিন্তু ৮টা ২০তে আবার বলেন জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে আগে। আমি বলি, আগে আপনাদের ডেলিগেটের সঙ্গে দেখা করব। তারপর জনতার সঙ্গে দেখা করব। যেভাবে আমার নামে মিথ্যা বলেছেন, আমাকে ভিডিয়ো করতে হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি নাকি পিছনের গেট দিয়ে চলে গিয়েছি। আমি ৪ নম্বর গেট দিয়েই বরাবর যাতায়াত করি। আমার মনে হচ্ছে মিথ্যাটাই এই সরকারের বুনিয়াদ।” 

    ইউপিএ জমানার তুলনায় বেশি বরাদ্দ

    তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলকে জমিদারদের পার্টি বলা হচ্ছে। আমাদের দল জমিদারদের দল নয়, প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার পার্টি হল বিজেপি। আমাদের সরকার গরিব মানুষকে সব দিয়েছে। আর আমাকে বলছে, আমি মিথ্যেবাদী? মহুয়া মৈত্র, যে দলে তুমি আছো মিথ্যার ভিত্তিভূমি থেকে তার উৎপত্তি’। শনিবার কলকাতায় এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। দাবি করেন, ইউপিএ জমানার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে কয়েক গুণ বেশি বরাদ্দ দিয়েছে মোদি সরকার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাধ্বী জানান, “২০১৪-র পর ৪৫ লক্ষ বাড়ি আমরা দিয়েছি আবাস যোজনায়। ইন্দিরা আবাস যোজনায় অ্যাপ্রুভ হওয়া ১০ লক্ষের বেশি ঘর আমরা তৈরি করেছি। কোভিডের পর থেকে এই রাজ্যের ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চাল দিয়ে আসা হচ্ছে। ৩৯,৭১০০টন চাল দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী (Sadhvi Niranjan Jyoti)  জানান, “আমি আজ কলকাতায় এসেছি। ওরা যেখানে বলবে সেখানে কথা বলতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু ওদের কথা বলার কেউ নেই। আসলে মুখুমুখি বসলে চুরি ধরা পড়ে যাবে।” তাঁর কথায়, “মনরেগায় ঘোটালা হয়েছে। মনরেগার টাকা আটকালে তো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও আটকানো হত। ৫৪০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর সময়। আর মোদী সরকার ১১০০০ কোটি দিয়েছে গত ৯ বছরে। মহিলাদের মাত্র ৬০০ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর আমলে। আর মোদী সরকারের সময়, ৭৪০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ১১ লক্ষ  বাংলার মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করছেন মোদী সরকারের সময়। এই সব কারণেই ওরা আলোচনা করার বদলে পালিয়ে যান। কারণ দুর্নীতি ছাড়া কথা বলার আর কোনও বিষয় ছিল না। আমি আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম। আজও এসেছি। আমি ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম? তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সচিবকে নিয়ে আসুন। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না। কথা দিচ্ছি। কিন্তু ভুয়ো জব কার্ড যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তো বের করতেই হবে।” 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের বাউন্ডারির বাইরে ১৫০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা। সেখানে কীভাবে তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে অবস্থান করছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। আঞ্চলিক দল তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের এক একটি স্তম্ভকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে, বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “পুলিশের সহযোগিতায় তারা ১৪৪ ধারা জারি থাকা চত্বরে শুধু মিছিলই করেনি, একইসঙ্গে সেখানে ক্যাম্পও বানিয়ে ফেলেছে।”এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, রাজ্যপালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এই সস্তার রাজনৈতিক নাটকের জন্য। আর পুলিশ এই কাজে সাহায্য করছে।” প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে এখন ‘জমিদারি’ শব্দটি নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। তৃণমূলের মুখে শোনা যাচ্ছে ‘জমিদারি’, রাজ্যপালের বিবৃতিতেও ব্যবহার হচ্ছে ‘জমিদারি’। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ‘জমিদারি’ নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্যের শাসক শিবিরকে।

    অভিষেকদের এই আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজধানী দিল্লি থেকে রাজভবন চলোর ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গতকাল রাজভবনে ছিলেন না রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি চলে যান উত্তরবঙ্গে। সম্প্রতি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ঘোষণা করেন রাজ্যপাল যতক্ষণ না তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন ততক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ চলবে । সূত্রের খবর দিল্লিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share