Tag: tmc

tmc

  • Mahua Moitra: সোমবারই লোকসভায় পেশ এথিক্স কমিটির রিপোর্ট! কী হবে মহুয়ার ভবিষ্যৎ?

    Mahua Moitra: সোমবারই লোকসভায় পেশ এথিক্স কমিটির রিপোর্ট! কী হবে মহুয়ার ভবিষ্যৎ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশসম্বলিত রিপোর্ট লোকসভায় জমা পড়তে চলেছে আগামী সোমবার। টাকার বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন উত্থাপনের অভিযোগে মহুয়ার বিরুদ্ধে রিপোর্ট তৈরি করেছে লোকসভার এথিক্স কমিটি। লোকসভার সচিবালয় থেকে যে অ্যাজেন্ডা পেপার প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে বলা হয়েছে, এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদকুমার সোনকর প্যানেলের প্রথম রিপোর্ট জমা পড়বে সোমবার।

    মহুয়া মৈত্রর ভবিষ্যৎ

    শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনই স্পষ্ট হয়ে যেতে পারে সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) ভবিষ্যৎ। তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে এথিক্স কমিটির সুপারিশ-সহ গোটা রিপোর্ট লোকসভায় পেশ করা হবে। লোকসভার সচিব তথা এথিক্স কমিটির চেয়ারপার্সন বিনোদ কুমার সোনকর মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সেই রিপোর্ট স্পিকারের কাছে পেশ করবেন। তারপর এথিক্স কমিটির সুপারিশ গ্রাহ্য করা হবে কি না সেটা আলোচনার ভিত্তিতে স্থির করবেন স্পিকার। ‘হিরানন্দানি গ্রুপের থেকে টাকা নিয়ে আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রশ্ন’ কাণ্ডে গত ৯ নভেম্বর মহুয়া মৈত্রের সাংসদ পদ খারিজের সুপারিশ দিয়ে একটি রিপোর্ট দেয় এথিক্স কমিটি। ৬:৪ ভোটে এই সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন” সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে কেন বললেন মানিক?

    মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে রিপোর্ট

    সোমবার, সংসদের নিম্নকক্ষে সেই রিপোর্ট জমা পড়লেই মহুয়ার (Mahua Moitra) সাংসদ পদ খারিজ হয়ে যাবে না। মহুয়ার সাংসদপদ খারিজ তখনই হবে, যখন লোকসভায় এথিক্স কমিটির সুপারিশের পক্ষে ভোট দেবে সংসদের নিম্নকক্ষ। লোকসভা যদি মহুয়ার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দেয়, তাহলে পাঁচ বছরের মেয়াদ পূরণ হওয়ার আগেই সাংসদ পদ হারাবেন মহুয়া। বর্তমানে লোকসভায় বিজেপি তথা এনডিএর যত জন সাংসদ রয়েছেন, তার নিরিখে রিপোর্টের পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করা সহজ হবে বলেই বিশ্বাস। ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে কৃষ্ণনগর থেকে জিতেছিলেন মহুয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অম্বেডকর মূর্তির তলায় মমতার বিক্ষোভ, গঙ্গাজল দিয়ে সেই স্থান ধুলেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ ছিল ২৯ নভেম্বর। সেদিনই বিধানসভায় অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল বিধায়করা। কালো পোশাক পরে তৃণমূলের এই বিক্ষোভে সমাবেশে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে এই বিক্ষোভ হলেও ধর্মতলার সভামঞ্চ থেকেই রীতিমত পরিসংখ্যান পেশ করে তৃণমূলের এই মিথ্যা দাবিকে নস্যাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এবার শুক্রবার অম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশ গঙ্গা জল দিয়ে ধুতে দেখা গেল বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari)। তাঁর কথায়, ‘‘চোরেরা বসে ওই স্থান অপবিত্র করেছে। তাই গঙ্গাজল দিয়ে তা ধুতে হবে।’’ এদিন মাথায় কলসি নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) গঙ্গা জল আনতেও দেখা যায়। তারপরে তিনি সেই জল ঢালেন এবং পরে নিজে গামছা দিয়ে মোছেন।

    ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের পাল্টা ধরনা বিজেপির 

    প্রসঙ্গত, ২৯ নভেম্বর তৃণমূলের এই ধর্না কর্মসূচির মধ্যেই বিধানসভায় পাল্টা অবস্থান-বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি বিধায়করা। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নেতৃত্বে স্লোগান উঠতে থাকে ‘পিসি চোর ভাইপো চোর, তৃণমূলের সবাই চোর’। বিরোধী বিধায়কদের বিরুদ্ধে থানায় এফআইআরও করে শাসক দল। শুক্রবার পলিথিনের জারে করে প্রথমে গঙ্গা জল নিয়ে আসা হয়, তারপর তা পিতলের কলসিতে ভরা হয়। সেই জল দিয়েই অম্বেডকর মূর্তির পাদদেশ পরিষ্কার করা হয়।

    রাস্তা থেকে বিধানসভা প্রতিবাদে সামিল বিজেপি বিধায়করা

    শুভেন্দুর এই অম্বেডকর-এর মূর্তি শুদ্ধিকরণ নিয়ে চাপানউতোর শুরু হয়েছে বিধানসভার অন্দরে। বিধানসভায় এদিন স্পিকার আবার ডেকে পাঠান মার্শালকে। কিভাবে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এই কর্মসূচি পালন করলেন, তা জানতে চান তিনি। বিধানসভা চত্বরে যাবতীয় ধর্না বিক্ষোভ তথা প্রতিবাদ কর্মসূচির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। স্পিকার জানিয়ে দেন, এ বার থেকে বিধানসভা চত্বরে কোনও রকম প্রতিবাদ কর্মসূচি, বিক্ষোভ বা মিটিং, মিছিল করা যাবে না। যদিও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেন, বিজেপি বিধায়কদের প্রতিবাদ থামাতেই স্পিকার এমন ঘোষণা করেছেন। নির্দেশের কপি হাতে পেলে তিনি এ বিষয়ে যা করণীয়, তাই করবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘‘তৃণমূল তো ভয়ে বিধানসভার বাইরে বেরোতেই পারছে না…”! কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকালই অমিত শাহের হাইভোল্টেজ জনসভার সাক্ষী থেকেছে তিলোত্তমা। সভায় উপচে পড়া ভিড় ভেঙে দিয়েছে অতীতের সমস্ত রেকর্ড। অমিত শাহের কলকাতা আসার দিনেই বিক্ষোভ দেখায় তৃণমূল পরিষদীয় দল। সেই মতো বিধানসভাতে গতকাল কালো পোশাক পরে বিক্ষোভ দেখান শাসক দলের বিধায়করা। তৃণমূল নেত্রীর নেতৃত্বে চলতে থাকে বিক্ষোভ। যানিয়ে কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবারই সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে বের হন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূল তো বিধানসভার বাইরে বের হতেই পারছে না। বিজেপি এবং মানুষের ভয়ে তাদেরকে বিধানসভায় ঢুকে যেতে হয়েছে। দিদিমণি এখন ওখান থেকেই ভাষণ দিচ্ছেন। বাইরে বেরিয়ে সভা করুক না একটা। তৃণমূল সারা বছর ধরে অর্থ এবং প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে একটা সভা করে (২১ জুলাই)। দুমাস আগে থেকে জেলায় জেলায় গেট করে, ফ্রি বাস, ট্রেনে করে লোক আনে। তারা ব্রিগেডে কেন করে না সভা? কত বছর আগে শেষবারের মতো ব্রিগেডে সভা করেছে! একটা করে দেখাক। আমরা তো বাৎসরিক ব্রিগেড করি।’’

    ওয়ার্ম আপ ম্যাচ

    অন্যদিকে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ গতকালের বিজেপির সমাবেশকে কটাক্ষ করেন। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘ধর্মতলার এদিনের সভা ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছিল।’’ তৃণমূলের অন্দরের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ক্রমশই প্রকাশ্যে চলে আসছে। এ নিয়েও কটাক্ষ করতে শোনা যায় মেদিনীপুরের সাংসদকে। তাঁর (Dilip Ghosh) কথায়, ‘‘আমি জানি না কে কি করেছে? কে চোর? সেটা পাবলিক ঠিক করবে। চোরের মায়ের বড় গলা! নেতাদের মধ্যে হিম্মত নেই জনসভা করার। মুখ্যমন্ত্রীর সভা করার হিম্মত নেই। খোকাবাবু তো হারিয়ে গিয়েছেন। ছন্নছাড়া অবস্থা আজকে। তারাই আবার পার্টির মধ্যে আওয়াজ তুলছে বুড়োদের সরিয়ে যুবকদের আনো। আগে নিজেদের পার্টির ভিতরের ব্যাপারটা তারা ঠিক করে নিক। পার্টি থাকবে কিনা সেটাও আগামী দিনে বোঝা যাবে।’’

    প্রসঙ্গ নাগরিকত্ব আইন

    গতকালই অমিত শাহের বক্তব্যে উঠে আসে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় থেকে গোপাল মুখোপাধ্যায়ের (যিনি গোপাল পাঁঠা নামেই প্রসিদ্ধ) কথা। প্রসঙ্গত, জনসঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। ১৯৫১ সালে দেশের সাধারণ নির্বাচনে দক্ষিণ কলকাতা আসনটি থেকে জয়লাভও করেন তিনি। অন্যদিকে, ১৯৪৬ সালের গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং-এর সময় কলকাতার রক্ষাকর্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন গোপাল মুখোপাধ্যায়। এই দুজনকে সম্মান জানান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এ নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘বাঙালি জাত্যাভিমান কি তুলে ধরবেন! শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কে ছিলেন? বাঙালি ছিলেন। বাঙালির হাতেই ভারতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠা হয়েছে, জনসঙ্ঘের। এটা ঠিক যে মানুষকে মনে করাতে হয়। বাঙালি খুব ভুলে যায়। দেশ ভাগ হয়েছে, বাঙালি নির্যাতিত হয়েছে। মা বোনেদের সম্মান গেছে। কোটি কোটি লোক উদ্বাস্তু হয়েছে। আজকের যুব সমাজ যদি এগুলো ভুলে যায় তাহলে আবার উদ্বাস্তু হতে হবে। তাই উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য সিএএ তৈরি করা হয়েছে। সেটাই উনি মনে করিয়ে দিয়েছেন। আমরাই সিএএ ইম্প্লিমেন্ট করব। সবই সময়ে হয়।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে ২ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্ত ও দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় দুর্নীতির শিকড়ে (Recruitment Scam) পৌঁছতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান। তৃণমূলের বিধাননগর পুরসভার কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর বাড়িতে পৌঁছছে সিবিআই। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তের বাড়িতেও অভিযান চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআই সূত্রে খবর, রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তের অঙ্গ হিসাবেই তল্লাশি চালানো হচ্ছে ওই দুই কাউন্সিলরের বাড়িতে।  

    পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য

    পাটুলিতে কলকাতা পুরসভার ১০১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বাপ্পাদিত্য দাশগুপ্তর বাড়িতে এদিন হানা দিয়েছে সিবিআই। পার্থ-ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর হিসাবেই পরিচিত তিনি। এর পাশাপাশি তিনি পুরসভায় তৃণমূলের মুখ্য সচেতকও বটে। বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে ৯টা নাগাদ বাপ্পাদিত্যের বাড়ির সামনে পৌঁছন বেশ কয়েক জন সিবিআই আধিকারিক। তাঁরা বাড়ির সদর দরজার সামনে কড়া নাড়েন। বেশ কয়েক মিনিট অপেক্ষা করার পর নিজেই দরজা খুলে দেন বাপ্পাদিত্য। সিবিআই আধিকারিকেরা নিজেদের পরিচয় দিয়ে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন। সিবিআই আধিকারিকদের সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরাও।

    অভিষেক ঘনিষ্ঠ দেবরাজ

    এদিন সকাল ৯টা ১০ নাগাদ বিধাননগর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীর রাজারহাটের বাড়িতে পৌঁছয় সিবিআইয়ের একটি দল। তখন দেবরাজ বাড়িতে ছিলেন না। যদিও কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বাড়ি পৌঁছে যান। সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ভিতরে ঢুকে যান। দেবরাজ তৃণমূল বিধায়ক অদিতি মুন্সীর স্বামী। এর আগেও তাঁকে একটি মামলায় তলব করেছিল সিবিআই। রাজনৈতিক মহলে তাঁকে অনেকেই চেনেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ বলে।

    আরও পড়ুন: শক্তিশালী সাইক্লোনের রূপ নেবে ‘মিগজাউম’! শনি-রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা

    সিবিআই তল্লাশি মুর্শিদাবাদ, কোচবিহারেও

    সকাল থেকেই নতুন করে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সক্রিয় তদন্তকারীরা। মুর্শিদাবাদ এবং কোচবিহারেও চলছে সিবিআই তল্লাশি। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয়েছে তল্লাশি। তাঁর বাড়ি ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রসঙ্গত, গরু পাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। ডোমকলের পাশাপাশি বড়ঞাতেও চলছে তল্লাশি। সেখানে ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই। আবার বড়ঞাতে বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝণ্টু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছে সিবিআই আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumder: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি”, শাহি-মঞ্চে বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি।” বুধ-দুপুরে ‘শাহি’ মঞ্চে কথাগুলি বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder)। ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে এদিন সভা ছিল বিজেপির। সভার প্রধান আকর্ষণ ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

    ঠিক কী বললেন সুকান্ত?

    শাহি-ভাষণের আগে বক্তব্য রাখতে ওঠেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, “অমিত শাহের ভয়ে ঘর থেকে বের হচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপো। ভয় পাচ্ছেন। ভাবছেন, ধরে নিয়ে যাবে। পুলিশ-প্রশাসন বাধা দিয়েছে। এদের চিনে রাখুন। ঝান্ডা আর ডাণ্ডাকে ঠান্ডা করবে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে অমিত শাহের ৩৫ লক্ষ্যমাত্রা পার করব। এই বার, ৩৫ পার।” সুকান্ত (Sukanta Majumder) বলেন, “আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ৩৫টি জিতবে বিজেপি। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ফের কেন্দ্রে সরকার গড়বে বিজেপি। ২০২৬ সালে রাজ্য বিধানসভা নির্বাচনেও এ রাজ্যের ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    শাহি-বচন 

    বাংলায় বিজেপি সরকার গড়ার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। তিনি বলেন, “২০২৬ সালে বাংলায় বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর এ রাজ্যে সিএএ চালু হবে। কারণ কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করতে চাইলেও, তৃণমূল সরকার তা করতে দিচ্ছে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ভোট-হিংসা সব চেয়ে বেশি হয় বাংলায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে পারেননি। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পার্লামেন্ট চলতে দেননি, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার কার্ড করে দিচ্ছেন। বাংলায় অনুপ্রবেশকারীদের আধার কার্ড করে দেওয়া হচ্ছে। তাও আবার রীতিমতো সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে।”

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    বিজেপির সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “এক সময় যে বাংলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শোনা যেত, এখন সেখানে কেবলই শোনা যায় বোমার শব্দ। আমি গুজরাটে কোনও নেতার বাড়ি থেকে এত টাকা উদ্ধার হতে দেখিনি। যে বাংলা এক সময় গোটা দেশকে নেতৃত্ব দিত, সেই বাংলাকে ধ্বংস করে দিয়েছেন দিদি।” তিনি বলেন, “মোদিজির পাঠানো টাকা আত্মসাৎ করেছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট। বিজেপি কর্মীদের খুন করেছেন। ভোট দিয়ে বিজেপি কর্মীরা বদলা নেবেন এই প্রতিটি রাজনৈতিক হত্যার।” শাহ বলেন, “মোদিজিকে উন্নয়ন করতে (Sukanta Majumder) দিচ্ছেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    Suvendu Adhikari: তৃণমূলের ‘নিস্তরঙ্গ’ আন্দোলনে ‘সুনামি’ আনলেন শুভেন্দু, দিলেন “মমতা চোর” স্লোগানও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে যখন সরগরম বিজেপির ধর্মতলার সভামঞ্চ, ঠিক তখনই রাজ্যবাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে বিধানসভা চত্বরে ধরনায় বসল তৃণমূল। তাঁদের অভিযোগ আবার কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের এই ‘নিস্তরঙ্গ’আন্দোলনে ‘সুনামি’আনলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ধর্মতলার সভা শেষ করে তিনি সটান চলে যান বিধানসভা চত্বরে। সেখানে ঢুকেই ‘মমতা চোর’স্লোগান দিতে থাকেন।

    বিজেপির সভা

    বিস্তর কাঠখড় পোড়ানোর পরে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা করে বিজেপি। সভামঞ্চ আলোকিত করেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বঙ্গ বিজেপির একঝাঁক নেতার উপস্থিতিও জৌলুস বাড়িয়েছিল পদ্ম-সভার। বিজেপির এই সভার উদ্দেশ্য ছিল, কীভাবে তৃণমূল বিরোধী মানুষদের বঞ্চিত করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধা থেকে। কীভাবে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা লুটেপুটে খেয়েছেন তৃণমূলের এক শ্রেণির নেতা-কর্মী। সভা উপলক্ষে এদিন আক্ষরিক অর্থেই যখন অল রোডস লিড টু ধর্মতলা, ঠিক তখনই কালো পোশাক পরে শাসক দলের বিধায়করা বসেছিলেন বিধানসভা চত্বরের ধর্নায়। ধর্নায় যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবে তাতে যে আদতে বিশেষ লাভ হয়েছে, তা মনে করছেন না রাজনীতির কারবারিরাও। তাঁদের মতে, এদিন তামাম রাজ্যের ফোকাসে ছিলেন অমিত শাহ। তিনিই কেড়ে নিয়েছিলেন প্রচারের (Suvendu Adhikari) সবটুকু আলো। তাই হালে পানি পাননি মুখ্যমন্ত্রীর ধরনা।

    শুভেন্দুর আগমনে উঠল ঢেউ 

    এই ধর্নায়ই অবশ্য হাজার ক্যামেরার ফ্ল্যাশ বাল্ব ঝলসে উঠল রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর আগমনের পর। সভা শেষের পর দলীয় বিধায়কদের নিয়ে ‘জায়ান্ট কিলার’ (নন্দীগ্রামে তৃণমূলের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারানোর পর রাজ্যবাসী তাঁকে চেনেন এই নামেই) চলে আসেন বিধানসভা চত্বরে। ‘চোর’, ‘চোর’স্লোগান দিতে দিতে তিনি চলে আসেন নাট্য-রঙ্গের মূল দৃশ্যে। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘চোর’, ‘চোর’, ‘মমতা চোর’। ‘চাকরি চোর মমতা’, ‘ডিএ চোর মমতা’। তাঁর সতীর্থরা ধ্বনি দিতে থাকেন, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’। পরে বিধানসভার প্রধান প্রবেশদ্বারের মুখে বসে পড়েন গেরুয়া বিধায়করা। পদ্ম ও ঘাসফুল শিবিরের স্লোগান ও পাল্টা স্লোগানে সরগরম বিধানসভা চত্বর। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “এই সরকার চোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর। তিনিই সব দুর্নীতির মাথা। আমরা তাঁর শাস্তি চাই।”

    আরও পড়ুুন: “কোটি কোটি টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র, লুটছে তৃণমূলের সিন্ডিকেট-রাজ, বঞ্চিত গরিবরা”, তোপ শাহের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     
  • Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘‘কলকাতার ‘প্রতিবাদ সভা’য় যোগ দেওয়ার অপেক্ষায়…’’, ট্যুইট-বার্তায় অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন’ বছর পর কলকাতার ওয়াই চ্যানেলে বিজেপির সভায় যোগ দিচ্ছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এর আগে শাহ যখন এখানে সভা করেছিলেন, তখন তিনি ছিলেন বিজেপির জাতীয় সভাপতি। আর আজ, বুধবার যখন সমাবেশে যোগ দিচ্ছেন, তখন তাঁর পরিচয়, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দীর্ঘ এই ন’ বছরের ব্যবধানে গঙ্গা দিয়েছে গড়িয়েছে কিউসেক কিউসেক জল।

    শাহি-বার্তা

    তবে ন’ বছর আগের মতোই এবারও শাহের অস্ত্র হতে চলেছে তৃণমূলের দুর্নীতি। কলকাতার এই সভায় যোগ দিতে তিনি যে মুখিয়ে রয়েছেন, এদিন এক্স হ্যান্ডেলে তা জানিয়েছেন শাহ স্বয়ং। তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজির নেতৃত্বে বিজেপি এখন বাংলার মানুষের প্রথম পছন্দের রাজনৈতিক দল। আগামী নির্বাচনে বিজেপির জয় এবং মমতা দিদির তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। আজ কলকাতায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখার দিকেই এখন তাকিয়ে রয়েছি।”

    শাহের তুণীরে কোন শর? 

    জানা গিয়েছে, এদিন বেলা ২টো নাগাদ ভাষণ দেবেন অমিত শাহ। লোকসভা নির্বাচনের আগে তাঁর এই সফর নিঃসন্দেহে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে রাজ্য বিজেপিকে। ন’ বছর আগে যখন এই ধর্মতলায় শাহি সমাবেশ হয়েছিল, তখন এ রাজ্যে বিজেপির পায়ের নীচের মাটি তেমন শক্ত ছিল না। আর আজ, ন’ বছর পরে এ রাজ্যে বিজেপির বুনিয়াদ যথেষ্ট মজবুত। কেলেঙ্কারির পঙ্কিল আবর্তে ঘুরছেন তৃণমূলের অনেক নেতাই। এহেন আবহে রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাই তাঁর তুণীরে কোন শর রাখা আছে, তা জানতে মুখিয়ে বঙ্গ বিজেপিও।

    এদিকে, বেলা ১২টা বাজতেই ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে সভা শুরু হয়েছে বিজেপির। ইতিমধ্যেই সভায় হাজির হয়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। হাওড়া ও শিয়ালদহ থেকেও সভাস্থলের দিকে আসছে ‘বঞ্চিত’ জনতার মিছিল। অন্যান্যবার বিজেপির সমাবেশে আসার পথে কর্মী-সমর্থকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এবার এখনও তেমন কোনও অভিযোগ ওঠেনি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “জেলা থেকে ট্রেনে-বাসে করে কলকাতায় আসছেন আমাদের কর্মী-সমর্থকরা। বাধা দিলে পরিণাম ভাল হবে না। আজ তৃণমূল কর্মীরা বাধা দিলে আমাদের কর্মীরাও উচিত শিক্ষা দেবে। আজ এই কলকাতা থেকে ট্রেলার শুরু। তৃণমূলকে উৎখাতের ডাক দেবেন অমিত শাহ (Amit Shah)।”

    সবে ট্রেলর! পিকচার আভি ভি বাকি হ্যায়?

    আরও পড়ুুন: হাওড়া-শিয়ালদায় খাওয়া-দাওয়া সেরে ‘শাহি’ সমাবেশের পথে জনতা, রাজপথে ‘গৈরিক সুনামি’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Jyotipriya Mallick: আচমকাই বাড়ল রক্তচাপ, আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হল জ্যোতিপ্রিয়কে

    Jyotipriya Mallick: আচমকাই বাড়ল রক্তচাপ, আইসিইউতে নিয়ে যাওয়া হল জ্যোতিপ্রিয়কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হঠাৎই চড়ল রক্তচাপ। তাই সোমবার রাতে এসএসকেএমের আইসিইউয়ের ১২ নম্বর বেডে নিয়ে যাওয়া হল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick)। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমুলের জ্যোতিপ্রিয় ভর্তি ছিলেন ওই হাসপাতালেরই ৫ নম্বর কেবিনে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, আচমকাই রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় কেবিন থেকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়েছে মন্ত্রীকে। আপাতত তিনি রয়েছেন হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের পর্যবেক্ষণে।

    মেডিকেল টিম গঠন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা। তাঁকে রাখা হয়েছিল প্রেসিডেন্সি জেলে। অসুস্থ বোধ করায় গত মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রীকে (Jyotipriya Mallick) ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। সেই থেকে তিনি ছিলেন কেবিনে। এসএসকেএম সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসার জন্য যে মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে তাতে রয়েছেন মেডিসিন, স্নায়ু, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা। রয়েছেন কিডনি এবং ইউরোলজি বিশেষজ্ঞরাও। জ্যোতিপ্রিয় সুগারের রোগী। গ্রেফতারির সময়ই সে কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তবে তাতে বিশেষ কাজ হয়নি। জ্যোতিপ্রিয়কে ছাড়া হয়নি।

    জ্যোতিপ্রিয় অসুস্থ হয়েছিলেন আগেও

    গ্রেফতারির পর প্রথম যেদিন জ্যোতিপ্রিয়কে আদালতে তোলা হয়, সেদিনই ১০ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনে এজলাসেই জ্ঞান হারিয়েছিলেন মন্ত্রিমশাই। সামান্য বমিও করেছিলেন। ততক্ষণাৎ তাঁকে ভর্তি করা হয় বাইপাসের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে ছাড়া পাওয়ার পর ইডি হেফাজতে নেয় তৃণমূলের এই নেতাকে। ইডি হেফাজত শেষে মন্ত্রীর ঠাঁই হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। জেলেই অসুস্থ হয়ে পড়ায় গত মঙ্গলবার রাতে তাঁকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএমে।

    অসুস্থ থাকায় ১৬ নভেম্বর নিম্ন আদালতে ভার্চুয়ালি হাজিরা দিয়েছিলেন মন্ত্রিমশাই। সেদিনই তিনি বলেছিলেন, “আমার সাড়ে তিনশোর বেশি সুগার, হাত-পা কাজ করছে না। আমায় বাঁচতে দিন।” বিচারক তাঁকে বলেছিলেন, “অসুবিধা থাকলে আপনি সেলে চলে যেতে পারেন।” এর পরের দিনই কাশি, শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় মন্ত্রীকে (Jyotipriya Mallick) ভর্তি করানো হয় রাজ্যের সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: ‘কোড’ নামের আড়ালেই চলত পুর নিয়োগ দুর্নীতি! ইডির নজরে ফের কোন মন্ত্রী?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর তেজস চড়াকে কটাক্ষ! শান্তনু সেনের কথার তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    PM Modi: প্রধানমন্ত্রীর তেজস চড়াকে কটাক্ষ! শান্তনু সেনের কথার তীব্র প্রতিবাদ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুদ্ধ বিমান সফর নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন তৃণমূল কংগ্রস সাংসদ শান্তনু সেন। বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা শান্তনুর মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির তেজস বিমানে চড়া নিয়ে কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ। বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কার্যত ‘অপয়া’ বলেছিলেন শান্তনু। 

    কী বলেছিলেন শান্তনু

    দেশে তৈরি চতুর্থ প্রজন্মের যুদ্ধবিমান তেজসের নয়া সংস্করণে শনিবার সওয়ার হন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই প্রথম কোনও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ওড়ালেন তেজস যুদ্ধবিমান। তারপরই শান্তনু একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, “নরেন্দ্র মোদির সফরের পরই ইসরো ফেল করেছে। কঙ্গনা রানাউত মোদির সঙ্গে দেখা করার পরই তাঁর ছবি সুপার ফ্লপ হয়েছে। বিরাট কোহলি মোদির সঙ্গে হাত মেলানোর পর টানা তিন বছর কোনও সেঞ্চুরি করতে পারেননি। বিশ্বকাপে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পরে মোদি স্টেডিয়ামে যাওয়াতেই ভারত ফাইনালে হেরে যায়। আর সেই কারণে মোদি তেজসে সওয়ার হওয়ার পরই যুদ্ধবিমানটি বিধ্বস্ত হতে পারে।’

    আরও পড়ুন: মানসিক সমস্যায় ভুগছেন কালীঘাটের ‘কাকু’! এসএসকেএম-এর রিপোর্ট মানতে নারাজ ইডি

    বিজেপির প্রতিক্রিয়া

    শান্তনুর এই মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। দলের জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস এদিন সমন্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। তৃণমূল মোদির ওপর ঘৃণা বর্ষণ করার জন্য ভারতীয় সেনা বাহিনীর সদস্যদের মৃত্যু কামনা করছে। কারণ মোদি তেজস যুদ্ধ বিমানের জন্য এই বিমান ক্র্যাশ করতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। সেনা বাহিনীকেও ছেড়ে কথা বলে না তৃণমূল কংগ্রেস। পুলওয়ামা হামলা, সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের পরেও তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে। পুলওয়ামাকে ফেক বলেও বর্ণনা করেছিল তৃণমূল। এই দলের সাংসদ এরকম মন্তব্য করতেই পারে। এর জবাব চায় বিজেপি।” তৃণমূল সূত্রে খবর,  শান্তনুর এই মন্তব্যকে অসংবেদনশীল বলা হয়েছে। দলের তরফে তাঁকে জানানো হয়েছে, তিনি যেন মিডিয়ায় আর কোনও মন্তব্য না করেন। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: জাকির হোসেন কে? প্রশ্ন ব্লক তৃণমূলের সভাপতির, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Murshidabad: জাকির হোসেন কে? প্রশ্ন ব্লক তৃণমূলের সভাপতির, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলায় তৃণমূলের কোন্দল আরও প্রকট হয়ে উঠছে। ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের সঙ্গে জেলা নেতৃত্বের বিরোধ বার বার প্রকাশ্যে এসেছে। এবার একই ঘটনা ঘটল তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলায়। তৃণমূলের জেলার চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের নির্দেশকে ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    গত সপ্তাহে জাকিরকে জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন জেলা কমিটির উদ্যোগে যোগদান সভা ডাকা হয়েছিল। সেখানেই মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সূতি ১ ব্লকে তৃণমূলের সভাপতি সিরাজুল ইসলামকে তাঁর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন জঙ্গিপুরে তৃণমূলের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন। জঙ্গিপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতি খলিলুর রহমানকে পাশে বসিয়ে সূতি ১ ব্লক কমিটি ভেঙে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন তিনি। আপাতত আট জনের কমিটি করে সূতি ১ ব্লকে দলের সংগঠন চালানো হবে। ওই ব্লক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সূতির বিধায়ক ইমানি বিশ্বাসের অনুগামী। ইমানি এবং জাকিরের বিরোধ দীর্ঘদিনের। এবার ইমানির অনুগামীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার কারণে রাজ্যের শাসক দলের দুই বিধায়কের বিরোধ আরও বাড়বে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    নাম না করে জাকিরকে তোপ দাগলেন ইমানি

    তৃণমূলের ওই সভায় আমন্ত্রণ জানানো হয়নি বিধায়ককে ইমানি বিশ্বাসকে। এ নিয়ে তিনি বলেন, তৃণমূল কারও পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। দলে শেষ কথা বলবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কে, কোথায়, কী ঘোষণা করলেন, তাতে কিছু যায় আসে না। রাজ্য কমিটির নির্দেশ ও জেলা সভাপতির ঘোষণা ছাড়া সূতি ১ ব্লকের দায়িত্বে যিনি ছিলেন তিনিই থাকবেন।

    জাকির কে? প্রশ্ন ব্লক সভাপতির

    সূতি-১ ব্লকের সভাপতি  সিরাজুলের ইসলাম বলেন, জাকির কে ব্লক সভাপতি বদল করার? রাজ্য কমিটি নির্দেশ দিয়েছে কি? জেলা সভাপতির অনুমোদন আছে? কোথাকার বিধায়ক, কী বললেন, তা মানি না। আমি ব্লক সভাপতি আছি, থাকব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share