Tag: tmc

tmc

  • CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জমিদারি’ কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার অর্থ তৃণ মূলে পৌঁছে যাওয়া। তৃণমূল কি তাহলে অন্যদের তৃণ মূলে পৌঁছতে বাধা দিতে চায়? কিসের ভয় তাদের? তারা কি নিজেদের জমিদারি হারানোর ভয় পাচ্ছে?’’

    রাজ্যপালের কড়া জবাব

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিশাল মিছিল করে আজ রাজভবন অভিযান করেছে তৃণমূল। রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) তখন ঘুরে দেখেছেন উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লিতে কাজে ব্যস্ত থাকলেও, রাজ্যের মানুষের কষ্টের কথা শুনেই বাংলায় ফিরেছেন। উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে দিল্লি থেকে সোজা সেখানে যান তিনি। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের দিল্লি ফিরে যান তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাজধানীতে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় রাজ্যপাল পর্যটক হিসাবে যাচ্ছেন।’’ সেচমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যপালের উত্তর, ‘‘মানুষ যেখানে কষ্ট পাচ্ছেন, আমি সেখানে যাব। উনি অন্তত পর্যটক হিসাবে হলেও এখানে থাকতে পারতেন। এখানে এলে উনি বুঝতেন, এখানে রাস্তা নেই। রাস্তা সব ভেসে গিয়েছে। আমি যখনই শুনেছি আমার লোকেরা বন্যায় কষ্ট পাচ্ছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চেপে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে পৌঁছে গিয়েছি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, হ্যাঁ আমি উড়ে গিয়েছি সেখানে।’’

    আরও পড়ুন: সীমাহীন দুর্নীতি একশো দিনের কাজে, ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডে কত টাকা আত্মসাৎ?

    নব্যজমিদারি অভিমত বোসের

    অভিষেকের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, ‘‘জমিতে বা মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। বরং, জমিতে না নেমে শহরের বিলাসী আস্তানায় বসে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করা হল নব্যজমিদারি। রাজ্যপালের কাছে এই মাটি এবং তার মানুষ পবিত্র।’’ আর তৃণমূলের এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করে রাজ্যপাল বোসের বার্তা, ‘ঘেরাও নয়, ঘরে আসুন’। বরাবরই আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী রাজ্যপাল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান। সংগঠনের কাজে এসেছিলেন কলকাতায়। ছিলেন আরএসএসের দফতর কেশব ভবনে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্বের হেনস্থার প্রতিবাদে রাত ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখানো হয় কেশব ভবনের সামনে। এখানেই তখন ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকে।

    কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ

    সোম ও মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্না দেয় তৃণমূল। সেখানে অভিষেক সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জিনগর থানায়। তার জেরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় কেশব ভবনের সামনেও। মোহন ভাগবত (যে ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ ছিল না) যেখানে রয়েছেন, সেই কেশব ভবনে বিক্ষোভের খবর পৌঁছায় কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে। দ্রুত রিপোর্ট তলব করে অমিত শাহের মন্ত্রক।

    দ্রুত রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই নির্দেশে বলা হয়, ওই রাতেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নির্দেশ পেয়ে রাতেই গোয়েন্দা আধিকারিকদের কয়েকজন চলে যান কেশব ভবনে। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। কেশব ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা যেমন কথা বলেন, তেমনি কথা বলেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও। রাতেই দিল্লিতে পাঠানো হয় বিস্তারিত রিপোর্ট। উল্লেখ্য, হাতে গোণা য়ে কয়েকজন ভিভিআইপির নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদা সতর্ক থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তাঁদেরই একজন হলেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই রাতে ভাগবতের নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাতেই তলব করা হয়েছিল রিপোর্ট। 

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালকে ‘পর্যটক’ খোঁচা তৃণমূলের, পাল্টা খেললেন আনন্দ বোস, কী বললেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন ভাগবত। তা সত্ত্বেও কীভাবে মধ্য রাতে কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিক্ষোভ অথবা হামলা হলে আমরা প্রতিরোধ করব। কোনও বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় তৃণমূলের। রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা কিংবা বিক্ষোভ প্রদর্শন রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বাংলায়’’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বাংলায়’’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে প্রতিবাদ-আন্দোলনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর কথায়, “মনরেগা প্রকল্পে ইউপিএ আমলে বাংলা পেয়েছিল ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর এনডিএ আমলে সেই বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা।” কেন্দ্রের মঞ্জুর করা এত টাকা কোথায় গেল? প্রশ্ন শুভেন্দুর। নানান তথ্য সামনে রেখে তিনি দাবি করেন, “তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পকেটেই গিয়েছে অধিকাংশ টাকা।” 

    স্বাস্থ্যসাথী ও জব কার্ড নিয়ে শুভেন্দু

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যে মিথ্যা প্রচার করা হয়, বলে জানান বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)তোপ, “আয়ুষ্মান ভারত বাংলায় চলতে দেওয়া হয় না। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেশের অন্যান্য হাসপাতালে কাজ করে না। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি হয়।” ভুয়ো জব কার্ড নিয়েও রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “৩ কোটি ৮৮ লক্ষ জবকার্ড ইস্যু হয়েছিল। তার মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ কোটি ৩২ লক্ষের বেশি ভুয়ো জব কার্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ভুয়ো জবকার্ড। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে, নয়ছয় হয়েছে টাকা। মনরেগা প্রকল্পের সেকশন ২৭ অনুযায়ী কেন্দ্র কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে।”  

    আবাস যোজনায় দুর্নীতি

    শুভেন্দুর দাবি, “সব রাজ্যের মতো, পশ্চিমবঙ্গেও আবাস যোজনার টাকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় অসংখ্য ভুয়ো নাম রয়েছে। এই ভুয়ো নামের তালিকা আমি কৃষি ও গ্রামন্নোয়ন দফতরে পাঠিয়েছি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে প্রশাসনিক প্রধানদের আঁতাঁতে এই দুর্নীতি হয়েছে।”

    ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি

    এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে নানান তথ্য তুলে ধরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে বাংলায় সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে তৃণমূলের আমলে। ১০০ দিনের কাজে দেশ সবচেয়ে বড় দুর্নীতির হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, “বিদেশে পাচার হয়েছে দুর্নীতির টাকা। বাংলার শাসকদলের তিনটি এজেন্ডা পরিবারতন্ত্র-দুর্নীতি-তোষণ।” 

    মিথ্যার রাজনীতি তৃণমূলের

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে হারিয়ে যাওয়া জনসমনর্থন ফিরে পেতে এই নাটক করছে তৃণমূল। দিল্লিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। আঞ্চলিক দল তৃণমূল দেশের রাজধানীতে মিথ্যা দাবি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। জাতীয় স্তরে ওদের এই আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়েনি। প্রভাব পড়েনি পশ্চিমবঙ্গেও। মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    এদিন সন্ধেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন শুভেন্দু। বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শাহকে তথ্য দেবেন তিনি। কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে। তৃণমূল যেমন কৃষিভবনের উদ্দেশে রওনা দেবে, শুভেন্দুও কৃষি ভবনে গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন সেখানে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে সাধ্বী নিরঞ্জনকে স্মারকলিপি দেবেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বাজার গরম করতে রাজঘাটে ধরনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান কর্মসূচির কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না, তাই ধরনার মাঝপথেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। আর এতেই বেআইনি জমায়েত ছত্রভঙ্গ হল তৃণমূলীদের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তৃণমূল কর্মীদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করে, তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ

    তৃণমূল দাবি করছে যে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার আগেই জোর করে গাড়িতে তুলে রাজঘাট থেকে নাকি বের করে দিয়েছে তাঁকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। শাসকদলের নেতৃত্বের এহেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড দিন কমান্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (Delhi Police) এসে আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলে। অনুমতি ছাড়া যে রাজঘাট এভাবে অবরোধ করে রাখা যায়না, তা কি জানেনা রাজ্যের শাসক দল! প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে থাকে যে রাজঘাটে এভাবে ধরনায় বসার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তাতেও কর্ণপাত না করাতে এই সক্রিয় হয় প্রশাসন।

    শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ

    কলকাতাতে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিকরা তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের জবাব, ‘‘বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Agitation: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

    TMC Agitation: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একপ্রস্ত নাটক দিল্লিতে! ঘাসফুলের ব্যানারে এ (কু)নাট্যরঙ্গের কুশীলব অবশ্যই তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সোমবার শুরু হওয়া এই নাট্যানুষ্ঠান (TMC Agitation) চলবে দু দিন ধরে। তৃণমূলের দাবি, একশো দিনের কাজে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। প্রশ্ন হল, কেন দিচ্ছে না? এক কথায় এর পাল্টা উত্তর পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বলা হয়েছে, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ কর্মসূচি পালন করলেই মিলবে টাকা!

    টাকা পাওয়ার শর্ত

    একশো দিনের প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা দেওয়ার আগে একটি শর্ত দিয়েছিল। সেটি হল, একশো দিনের যে টাকা পাঠানো হচ্ছে, তার প্রতিটি পাই-পয়সা জনগণের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা তো হচ্ছেই না, অথচ নেপোয় মারছে দই। এই নেপোদের ধরে ধরে জেলে ভরতে বলা হয়েছিল। অভিযোগ, কেন্দ্রের সেই শর্ত না মেনে দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিয়ে দিল্লি অভিযানে গিয়েছে তৃণমূল। দলীয় কর্মীদের এই ঝাঁকের কইয়ের মাঝে রয়েছেন সেই কালপ্রিটরাও, যাঁরা জনগণের অর্থ ভোগ করছেন নির্লজ্জের মতো। সোমবার তৃণমূলের কর্মসূচির পাল্টা জবাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

    কী অভিযোগ বিজেপির?

    বিজেপির অভিযোগ, গত বছর সেন্ট্রাল টিমের ভিজিটে (TMC Agitation) যে দুর্নীতিগুলো উঠে এসেছিল, তার রিকভারি অ্যামাউন্ট তারা ঠিক করে দিয়েছিল। কোনও পঞ্চায়েত এখনও সেই অর্থ জমা করেনি। আর্থমুভার দিয়ে পুকুর কাটিয়ে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করে টাকা তোলা হয়েছে একশো দিনের কাজে। দলের পেটোয়া কর্মীদের নামে বানানো ওই মাস্টাররোল থেকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। নামেই একশো দিনের কাজ। অভিযোগ, জবকার্ড হোল্ডারদের সিংহভাগই কাজ পেয়েছেন, কেউ ১০ দিন, কেউবা ২০ দিন, কেউ আবার ৩০ দিন। হাতে গোণা দলীয় কর্মীদের মধ্যে যাঁরা একশো দিনই কাজ পেয়েছেন, তাঁদের থেকেও জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে একটা মোটা অঙ্কের টাকা। আধার জবকার্ড সিডিং হওয়ার আগে একই শ্রমিককে বিভিন্ন জব কার্ডে ঢুকিয়েও অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    একশো দিনের কাজ প্রকল্পে একটি পরিবারের একটি মাত্র জব কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ দেখা যাচ্ছে, একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে জবকার্ড তৈরি করে লুটে নেওয়া কাঁড়ি কাঁড়ি হয়েছে টাকা। যেখানে কাজ (TMC Agitation) হয়েছে, সেখানে স্থায়ী ডিসপ্লে বোর্ড নেই। সেন্ট্রাল টিম রাজ্যে এলেই তড়িঘড়ি লাগানো হচ্ছে ডিসপ্লে বোর্ড। চাষযোগ্য জমিকে পুকুরে পরিণত করা হয়েছে একশো দিনের কাজে। যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জমির চরিত্র বদল করা হয়নি। একশো দিনের আইবিএস স্কিমগুলি কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভায় আলোচনা কিংবা বেনিফিশিয়ারি কমিটি তৈরি না করেই দলীয় কর্মীদের জায়গায় স্কিমগুলি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    শুধু তাই নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতে যে কনট্রাকচুয়াল ওয়ার্কাররা কাজ করেন, তাঁদের কন্ট্রাক্ট পরের বছর পুনর্নবিকরণ না করার ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রের বিভিন্ন স্কিমে দুর্নীতি করতে বাধ্য করা হয়। সর্বোপরি, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ডেভেলপমেন্ট মিটিংয়ে সরকারি আধিকারিকরা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের অপমান, মাইনে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি, চোখ রাঙানি ইত্যাদি হাতিয়ার ব্যবহার করে তৈরি করতে বলেছেন শ্রম দিবস। এঁদের দিয়েই ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে এবং কর্মদিবস সৃষ্টি করে লুটে নেওয়া হয়েছে সরকারি অর্থ।

    এত অভিযোগ সত্ত্বেও (TMC Agitation) দলীয় কর্মীদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ধর্নায় বসিয়ে ভোটের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োনোর ফিকির কতটা কাজে দেবে, তা বলবে সময়। তবে দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর যে ফন্দি তৃণমূল কর্তারা এঁটেছেন, তাতে চমক আছে বইকি!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মন্ত্রী-মেয়র জোড়া পদে থেকে কি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?” চিঠি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মন্ত্রী-মেয়র জোড়া পদে থেকে কি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?” চিঠি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার খোদ মৌচাকেই ঢিল মারলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)! ‘মন্ত্রী এবং মেয়র দুই পদে থেকেই কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম?’ প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল। কলকাতা পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। এমতাবস্থায় রাজ্যপালের এহেন প্রশ্ন-বাণে বিব্রত রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অভিযোগ, ডেঙ্গিতে মৃত অনেকের পরিবার পুরসভায় ফোন করেও মেয়রের খোঁজ পাচ্ছেন না।

    কী বলছেন রাজ্যপাল?

    রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “পুরসভায় ফোন করলে তাঁদের বলা হচ্ছে মেয়র নবান্নে আছেন। আবার নবান্নে খোঁজ নিলে বলা হচ্ছে, পুরমন্ত্রী কলকাতা পুরসভায় রয়েছেন। …রাজভবনের পিস রুমে এনিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। কলকাতায় মেয়র নিখোঁজ বলে বিজ্ঞাপনও দিতে চাইছেন অনেকে।”

    কোন অঙ্কে মন্ত্রী-মেয়র পদে ফিরহাদ?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ। তৃণমূল নেত্রীর খুব কাছের (CV Ananda Bose) মানুষ হিসেবে পরিচিত। মুসলমান ভোট যাতে ঘাসফুলের ঝুলিতেই পড়ে, তা নিশ্চিত করতে ফিরহাদকে করা হয় মন্ত্রী। আবার কলকাতা পুরসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজারের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। অতএব, ভোট কুড়োতে প্রয়োজন সংখ্যালঘু মুখের। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, সেই কারণেই ফিরহাদকে একই সঙ্গে বসানো হয়েছে মন্ত্রী এবং মেয়র পদে।

    রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন একজন ব্যক্তি কীভাবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ সামলাচ্ছেন? রাজ্যপালের প্রশ্ন, “এখানে কি অফিস অফ প্রফিটের কোনও বিষয় আছে?”  রাজ্য সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনও উত্তর এখনও মেলেনি। যদিও ফিরহাদ জানান, তিনি এখন দিল্লিতে রয়েছেন। কলকাতায় ফিরে সাংবাদিক বৈঠক করে সবটা জানাবেন। তিনি বলেন, “আমি কীভাবে মেয়র এবং মন্ত্রী তা আমার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানলেই হবে।”

    আরও পড়ুুন: মাথার দাম ৩ লক্ষ! দিল্লিতে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আইএস জঙ্গি

    শেষ বর্ষায় রাজ্যে (CV Ananda Bose) ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। গত এক সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৭টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৪০ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃতের তালিকাও। কলকাতায়ও বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় মেয়র-মন্ত্রী গিয়েছেন তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে।

    জনসেবার চেয়ে পার্টিসেবাই অগ্রাধিকারের তালিকায় ঠাঁই পেল ফিরহাদের!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান চলছে দিল্লিতে। ধরনা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, ব্লক স্তরের নেতাদেরও প্লেনে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে দিল্লিতে। এছাড়া ১০০টি ভল্ভো বাসে করে কর্মীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর উদ্দেশে। রাজ্যের শাসক দলের এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস ঠিক কী! তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা। অন্যদিকে দিল্লিতে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ধনী দল বলেও মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মতে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে তৃণমূলের।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী 

    রবিবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, “যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন এপাং ওপাং ঝপাং! আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ! যন্তর মন্তরের বাইরে কিছু করতে যাবেন না। ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই! অমিত শাহের পুলিশ, লাঠির সাইজ ৬ ফুট।” শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন “তৃণমূল কংগ্রেস তো ভারতের তৃতীয় ধনীতম দল। বর্তমানে তাদের তহবিলের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে ২০-২৫টা চার্টার্ড ফ্লাইট বুক করে তো ওরা কর্মীদের সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারত। একেকটা বড় বিমানে ২৫০-৩০০ লোক যেতে পারতেন।”

    ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    সোমবারই তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে দিল্লি এবং কলকাতায় দু’ জায়গাতেই কর্মসূচি রয়েছে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সাংসদদের দল যাবেন পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়-এর প্রতিবাদে কলকাতার সড়কে ধরনা অবস্থান করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে বারংবারই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বেশ কয়েক মাস আগে উত্তর দিনাজপুরের একটি মামলাতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতারা যেখানে পুকুর খননের কাজ দেখিয়েছেন, সেখানে রয়েছে আস্ত একটি ভুট্টার খেত। এই ঘটনায় রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, কাজ না করেও মেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়ো প্রকল্পের মাধ্যমেও চলে একশ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গ অভিষেক, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গ অভিষেক, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারলে আমাকে আটকান”, শুক্রবার ইডির তলব প্রসঙ্গে কথাগুলি বলেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এমতাবস্থায় ইডিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ৩ অক্টোবরের তদন্ত বা অনুসন্ধান যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে। এই তদন্তে যুক্ত ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি ইডিকে জানান, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকায় মিথিলেশকুমারকে সরিয়ে ৩ অক্টোবর তদন্তে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে হবে।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে নিউ আলিপুরের ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে একটি সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)। ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেকের মা ও বাবা। এই তিনজনকেই তলব করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে। অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে ৩ অক্টোবর, বেলা সাড়ে ১০টায়। ঘটনাচক্রে ওই দিন দলীয় এক কর্মসূচিতে তাঁর দিল্লিতে থাকার কথা।

    “পারলে আমাকে আটকান”

    অভিষেক জানান, ঘোষিত কর্মসূচি ধরে ধরে তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টও করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। শেষে লেখেন, “স্টপ মি ইফ ইউ ক্যান।” বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “পারলে আমাকে আটকান।” অভিষেক লেখেন, “আমি আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে থাকব বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য।” আদালতে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত বা অনুসন্ধান যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    এই মামলায়ই ২৫ সেপ্টেম্বর ইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। ইডি আদালতকে অভিষেকের সম্পত্তির যে খতিয়ান দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নিয়ে গত আট মাস ধরে ইডি যে তদন্ত করেছে, তার নিট ফল শূন্য। এ বিষয়ে ইডিকে বিশদে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি সিনহা। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন। এর পরেই অভিষেকের মা ও বাবাকে তলব করে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    Abhishek Banerjee: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘরেই চলে এল ইডির সমন! যার জেরে ক্রমেই বিপাকে পড়ছে তৃণমূল! তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছিল ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠাল অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    ইডির তলব অভিষেককে

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ৩ অক্টোবর হাজির হতে বলেছে ইডি। ওই সপ্তাহেই কোনও একদিন অমিত ও লতাকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে ইডির তরফে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বর্তমানে ইডির হেফাজতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। দিন কয়েক আগে তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট সহ তিন জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। নিউ আলিপুরের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Abhishek Banerjee) কোম্পানিতেও হানা দেয় ইডি। টানা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন অমিত ও লতা। এই সংস্থায় তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথিপত্রও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

    অভিষেকের গর্জন!

    এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি তলব করেছিল অভিষেককে (Abhishek Banerjee)। টানা ৯ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তিনিই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও। সেদিনই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে অভিষেক ইডিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, “প্রমাণ থাকলে ইডি আমাকে গ্রেফতার করুক। আমি চাই আমাকে গ্রেফতার করুক। তাহলে আমার বয়ান ওদের কোর্টে জমা দিতে হবে। সবাই দেখতে পাবে আমি কী বলেছি। তাহলেই সবাই বুঝতে পারবে আসল ঘটনা।” এদিকে, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে অভিষেক সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টর ও কর্মীর যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ফের অভিষেককে সমন ইডির! দিল্লিতে ঘেরাও কর্মসূচির দিনই তলব সাংসদকে

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে অনেক টাকা ঢুকেছে বলে দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, “আমি অনেক নথি জমা দিয়েছি। ওই কোম্পানিতে জেট এয়ারওয়েজের টাকা ঢুকেছে। সুভাষ আগরওয়ালের হাত দিয়ে কয়লার টাকা ঢুকেছে। বৈদিক ভিলেজের মালিক দেড় কোটি টাকা ঢুকিয়েছে। এগুলির প্রামাণ্য নথি রয়েছে। কোম্পানির সঙ্গে জড়িতদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। তা জমা দিলেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ (Abhishek Banerjee) হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। 

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের স্মারকলিপি দিতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” 

    স্মারকলিপি দিতেও বাধা

    শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আটকাতে পারে?’

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    বিজেপির প্রতিবাদ

    এদিনই বিজেপির পক্ষে  কাল থেকে আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতির (Dengue Scare) অবনতির প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। একসঙ্গে আন্দোলনে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা, টিচার সেল, ডক্টর সেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল। বিভিন্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Centres) সামনে চলবে বিজেপির প্রতিবাদ। ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।

    ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দা। মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share