Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। 

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের স্মারকলিপি দিতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” 

    স্মারকলিপি দিতেও বাধা

    শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আটকাতে পারে?’

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    বিজেপির প্রতিবাদ

    এদিনই বিজেপির পক্ষে  কাল থেকে আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতির (Dengue Scare) অবনতির প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। একসঙ্গে আন্দোলনে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা, টিচার সেল, ডক্টর সেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল। বিভিন্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Centres) সামনে চলবে বিজেপির প্রতিবাদ। ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।

    ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দা। মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, এবারও অনুব্রতর পুজো কাটবে তিহাড় জেলেই?

    Anubrata Mondal: বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, এবারও অনুব্রতর পুজো কাটবে তিহাড় জেলেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরও তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পুজোটা কেটেছিল তিহাড় জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে। এবারও বোধহয় পুজোয় আনন্দ করা হবে না তাঁর। অথচ ফি বারের মতো এ বছরও হয়তো মহালয়ার দিন থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপের ফিতে কেটে বেড়াবেন অনুব্রতর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে সুসজ্জিত মঞ্চে বসে পুজো কার্নিভাল দেখে যারপরনাই প্রীত হবেন তিনি। আর অনুব্রত তখনও জেলের প্রায়ান্ধকার ঘরে বসে গুণবেন মুক্তির দিন।

    বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ 

    গরু পাচার মামলায় গত বছর গ্রেফতার হন অনুব্রত। তারপর থেকে তিনি বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। এই জেলেই বন্দি রয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যাও। বুধবার দিল্লির আদালত অনুব্রতর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে করেছে ৩০ অক্টোবর। আর সুকন্যার জেল হেফাজতের মেয়াদ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন এবং এই মামলায় অন্যতম চক্রী এনামুল হককেও ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকতে হবে জেল হেফাজতে। এদিন অবশ্য জামিন পেয়েছেন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি।

    অনুব্রতর পুজোয় নেই সেই জাঁক

    তবে এখনও আশা ছাড়েননি অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। কারণ কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। তাই আশার আলো দেখছেন অনুব্রতর অনুগামীরা। অনুব্রতর বাড়িতেও দুর্গাপুজো হয়। তিনি যখন জেলের বাইরে ছিলেন, তখন সেই পুজোর জাঁক ছিল দেখার মতো। পুজোর দিনগুলি সপরিবারে অনুব্রত কাটাতেন গ্রামেই। ‘দাদা’র পুজো দেখতে ভিড় করতেন দূর-দুরান্তের লোকজন। মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়করাও আসতেন গাড়ি হাঁকিয়ে। ভিআইপির ঠেলায় গ্রামের মানুষরাই যেতেন সিঁটিয়ে।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘রামধাক্কা’! তৃণমূলকে নিরাশ করে এনডিএ শিবিরে ভিড়ল কুমারস্বামীর দল

    গত বছর পুজোর আগে আগে আয়োজনের অজুহাতেই জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal)। যদিও তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে পুজো হয়েছে। যদিও উচ্ছ্বাসের অভাব ছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গত বছর অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ফিকে হয়েছে পুজোর জাঁক।” অনুব্রত না থাকায় এখন পুজোর আয়োজন করেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ বৃত্তের কয়েকজন। এবারও তাঁরা পুজোর আয়োজন করবেন। পাঁচদিন ধরে অনুব্রতর ঘর আলো করে থাকবেন মহামায়া। ধুপ-ধুনোর গন্ধে ম ম করবে তল্লাট। অনুব্রত নাকে তখন হয়তো শুধুই স্যাঁতসেঁতে কুঠুরির ভ্যাপসা গন্ধ!

    এক সময় চড়াম চড়াম ঢাক বাজাতে চেয়েছিলেন অনুব্রত। এখন কে যে বাজায় সেই ঢাক!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকালে যা করেননি নরেন্দ্র মোদি, এক যুগের মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাই করে দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! টানা এগারো দিন ধরে করলেন বিদেশ সফর। মমতার এই বিদেশ সফরে লগ্নি কত আসবে, তা বলবে সময়। তবে তাঁর এই সফরে যে জনগণের টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ হয়েছে, তা বলতে শুরু করেছেন নিন্দুকরা।

    আরটিআই শুভেন্দুর   

    মুখ্যমন্ত্রীর চলতি সফরে কত খরচ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আরটিআই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সফরসঙ্গী কারা, কোন মানদণ্ডে তাঁদের নির্বাচন করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ দিনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও স্পেন সফরে গিয়েছেন। ওঁর এই সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনে যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ওঁর সফরসঙ্গী  কারা এবং কোন পদাধিকার বলে ওঁরা এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন? কিছু বিশেষ ব্যক্তির একাধিক পরিচয় থাকায়, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনের মধ্যে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে যে, এই সফরে ওঁরা ঠিক কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং কী বিশেষ যোগদান রাখলেন?”

    ‘রাজ্যের কী লাভ হল?’

    বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সব জায়গায়ই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন যে তাঁর সরকারের কাছে অর্থ নেই। যে কারণে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য মহার্ঘ ভাতাটুকুও দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ১১ দিনের বিদেশ সফরের খরচের পরিমাণ কত? মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের জন্য কত ব্যয় করা হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে ? কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে? ইত্যাদি…” তিনি লিখেছেন, “এই সফরে কত টাকা খরচ করা হল এবং তা থেকে রাজ্যের কী লাভ হল, তার মূল্যায়ন করার অধিকার নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গের জনগণের রয়েছে। তাই রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫ এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের কাছে এই তথ্যগুলি জানতে চেয়েছি, যার প্রতিলিপি এখানে দিলাম।”

    আরও পড়ুুন: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির সিইও, ডিরেক্টর সহ একাধিক আধিকারিকের সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিল ইডি। এই মামলায় সিনেমা জগতের একজনের নামও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিকে, ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি সিনহা।

    কজন চিত্রতারকার নাম?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িত চিত্রতারকাদের নাম ও তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই খতিয়ান জমা দেয় ইডি। একটি মুখবন্ধ খামে এক টলি অভিনেতার নাম রয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই বিচারপতির (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “এতদিনে মাত্র একজনের নাম পেলেন?” ইডির আইনজীবী জানান, আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই আরও একটু সময় দেওয়া হোক। 

    অভিষেক ও তাঁর মা-বাবার সম্পত্তির হিসেব

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র নাম। এই কোম্পানির পদাধিকারীদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিন ওই কোম্পানির সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ানও আদালতে জমা দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    এদিনের শুনানিতে ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইলের প্রসঙ্গও ওঠে। আদালতে (Calcutta High Court) ইডির দাবি, হাইকোর্টে ১৬টি ফাইল সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এফআইআর না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও অফিসারদের বিরুদ্ধে জিডি করা হচ্ছে। তখনই রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, “জিডি কেন করেছেন? এটা কোনও ক্রিমিনাল কেস নয়। বিচারাধীন বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবেন না আপনারা।” সরকারি আইনজীবীর দাবি, ইডির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কেবল একটা স্ক্যামের তদন্ত করছে পুলিশ। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “আশা করব আপনার অফিসাররা রাজ্যের সব কেসেই এমন সুপার অ্যাকটিভ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে এত উৎসাহী হওয়ার কারণ আছে কি?” ইডির আইনজীবী মন্তব্য, “আসলে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছিল!”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    BJP: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। তার পরেই ক্রেডিট নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই তালিকায় রয়েছে কংগ্রেসও। তাই বুধবার কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

    প্রসঙ্গ গীতা মুখার্জি ও সুষমা স্বরাজ

    গেরুয়া শিবিরের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “যখন সোনিয়া গান্ধী ভাষণ দিচ্ছিলেন, আমি ভেবেছিলাম রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে তিনি বলবেন। কারণ তিনিই বিরোধীদের কণ্ঠস্বর। মহিলারা যাঁরা এই বিলের স্বপক্ষে গলা ফাটিয়েছিলেন তাঁরা হলেন বাংলার গীতা মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপির সুষমা স্বরাজ। তাঁরা না থাকলে আমরা এই বিলটি দেখতে পেতাম না। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী এঁদের কারও নামই উচ্চারণ করলেন না। এটা কী ধরনের রাজনীতি? তিনি (সোনিয়া) এই বিলের ক্রেডিট নিতে চাইলেন। কিন্তু এটা আপনাদের বিল নয়।”

    ‘বিল এনেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী’

    তিনি (BJP) বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) এবং আমাদের দল এই বিলটি এনেছিল। এটাই সহ্য হচ্ছে না বিরোধীদের।” বিজেপি সাংসদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বারংবার বলেছেন এই হল সময়, এটাই উপযুক্ত সময়। এবং এটি (মহিলা সংরক্ষণ বিল) উপযুক্ত সময়েই নিয়ে আসা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই হাউসেই ২০১২ সালে যখন ভি নারায়ণস্বামী এসসি/এসটিদের জন্য কোটা বাড়ানোর বিল পেশ করছিলেন, তখন সমাজবাদী পার্টির যশবীর সিংহ তাঁর হাত থেকে বিলটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এবং সেটিকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন। এই সংসদে তখন সোনিয়া গান্ধীজি ম্যাডাম এগিয়ে এসে তাঁর জামার কলার ধরেছিলেন। সেই সময় আমি তাঁকে বলেছিলাম, আপনি আমাদের ডিক্টেটর নন, রানিও নন। আপনি হিংসায় ইন্ধন জোগাতে পারেন না। মুলায়ম সিংহ নিজেই বলেছিলেন, বিজেপি সাংসদরা না থাকলে সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা বেঁচে ফিরতেন না। আপনি ওই সাংসদদের হত্যা করতে চেয়েছিলেন।”

    আরও পড়ুুন: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেছে তৃণমূলও। মহিলা সংরক্ষণ বিল তাঁদের ভাবনা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপির (BJP) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “যমালয়ে জীবন্ত মানুষে এক বিধবা ভেবেছিলেন একাদশীর দিন খাবার খাবেন। তাই পাপ হয়েছিল। সেরকম তৃণমূল অনেক কিছুই ভাবে, করে না কিছুই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Woman Reservation Bill: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    Woman Reservation Bill: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারীর ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে সংসদে পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল (Woman Reservation Bill)। এমতাবস্থায় পশ্চিমবঙ্গে এখনও গার্হস্থ্য হিংসার শিকার হচ্ছেন মহিলারা। এনিয়ে তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকে নিশানা করলেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল। তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী কিংবা তাঁর দল মহিলাদের সামনের সারিতে নিয়ে এলেও, বাংলার মহিলারা আজ সুরক্ষিত নন। গার্হস্থ্য হিংসায় আমাদের বাংলা আজ এক নম্বরে। এগিয়ে মহিলা পাচারের পরিসংখ্যানেও।”

    ‘তৃণমূলের মহিলা সমাজ চোখ বুজে রয়েছে…’

    অগ্নিমিত্রা বলেন, “যারা কন্যাশ্রী প্রকল্প পাচ্ছে, তারা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। কোনও বিচার হচ্ছে না। তৃণমূলের মহিলা সমাজ সব দেখে শুনেও চোখ বুজে রয়েছে।” বিজেপি বিধায়ক বলেন, “ভারতীয় জনতা পার্টির একজন মহিলা বিধায়ক হিসেবে আমি আজ গর্বিত। শুধু আমি নই, ভারতের সব মহিলা যাঁরা নিজেদের কথা বলতে চান। যাঁরা নিজেদের সমাজের কথা বলতে চান, তাঁরা প্রত্যেকেই খুশি। ধন্যবাদ জানাই প্রধানমন্ত্রীকে। বিরোধীরা অনেক কথাই বলছে। কিন্তু বিজেপি কিংবা প্রধানমন্ত্রী যেটা বলেন, সেটা করে দেখান। ধর্ষণ হলে মৃত্যুদণ্ড হবে।”

    তৃণমূলকে নিশানা সুকান্তের 

    তিনি বলেন, “বাংলা তথা গোটা দেশের মহিলারা দেখছেন প্রধানমন্ত্রী মহিলাদের সুরক্ষার বিষয়ে কী কী পদক্ষেপ নিচ্ছেন। আগামিদিনে আরও মহিলা নেত্রী রাজনীতিতে উঠে আসবেন। একজন মহিলার দুঃখ-কষ্ট-বঞ্চনা সহ বিভিন্ন বিষয় যেগুলো মহিলারা বুঝবেন, একজন পুরুষের পক্ষে তা বোঝা সম্ভব নয়।” মহিলা সংরক্ষণ বিল আগের বলে দাবি করেছে তৃণমূল। এদিন তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও।

    আরও পড়ুুন: ‘‘প্ররোচনার উদ্দেশ্য ছিল না’’, ভারত চাপ দিতেই খালিস্তান নিয়ে সুর বদল কানাডার

    তিনি বলেন, “যমালয়ে জীবন্ত মানুষে এক বিধবা ভেবেছিলেন একাদশীর দিন খাবার খাবেন। তাই পাপ হয়েছিল। সেরকম তৃণমূল অনেক কিছুই ভাবে, করে না কিছুই।” ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ২০১৪ সালে ৩৩ শতাংশ মহিলা সাংসদ ছিল। তৃণমূলের এহেন দাবি প্রসঙ্গে সুকান্ত বলেন, “২০১৪ সালে ছিল, এখন নেই কেন? একটা দলের ভিতরের নিয়ম। আর একটা আইন। দু’টো আলাদা। যেমন, এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনে গিয়ে পিয়ানো বাজাচ্ছেন, এরপর জার্মানিতে গিয়ে বাজাবেন। আর সারা বছর বাজাবেন বাংলার মানুষ।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, বুধবারই দিতে হবে লিখিত জবাব, জানাল আদালত

    Calcutta High Court: ফের হাইকোর্টে ধাক্কা খেলেন অভিষেক, বুধবারই দিতে হবে লিখিত জবাব, জানাল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ধাক্কা খেলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে লিখিতভাবে বক্তব্য জমা দিতে আরও তিনদিন সময় চেয়েছিলেন অভিষেক। আদালত তা মঞ্জুর করেনি। মঙ্গলবার বিচারপতি  তীর্থঙ্কর ঘোষের মন্তব্য, “আজকের মধ্যে সব পক্ষের লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার কথা ছিল। আরও তিন দিন অতিরিক্ত সময় দেওয়া যাবে না। বুধবারের মধ্যে বক্তব্য জানাতে হবে অভিষেককে।”

    বক্তব্য জমা দিয়েছে ইডি

    এদিন অবশ্য আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছে ইডি। বুধবার বিকেল সাড়ে ৪টেয় হবে এই মামলার শুনানি। প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। গ্রেফতারির আশঙ্কায় রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক। আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, ইডি আগেই এ ব্যাপারে মৌখিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে। তাই নতুন করে কোনও রক্ষাকবচের প্রয়োজন তাঁর নেই।

    কী বলেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী? 

    প্রসঙ্গত, আদালতে (Calcutta High Court) অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ১০ সেপ্টেম্বর অভিষেককে সমন পাঠিয়েছে ইডি। বুধবার তাঁকে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়। এর আগেও একবার সমন পাঠানো হয়েছিল অভিষেককে। কিন্তু মামলা বিচারাধীন থাকাকালীন কীভাবে ইডি নতুন করে সমন পাঠাতে পারে? সেক্ষেত্রে ধরে নিতে হবে, ইডি নিজের পদক্ষেপকেই চ্যালেঞ্জ করেছে। অভিষেকের বিরুদ্ধে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। কেবল লোক দেখানো তদন্তের জন্য সমন পাঠানো হয়েছে। তাই অভিষেককে রক্ষাকবচ দেওয়া হোক।

    আরও পড়ুুন: “ভগবান হয়তো আমাকেই বেছে নিয়েছেন”, মহিলা বিল পেশ করে বললেন প্রধানমন্ত্রী

    সওয়ালে ইডির আইনজীবী জানিয়েছিলেন, এখানে গ্রেফতারির প্রশ্নই উঠছে না। অভিষেককে সমন পাঠানো হয়েছে। তদন্তের প্রয়োজনে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অনেককেই তো সমন পাঠানো হয়, সবাইকে কি গ্রেফতার করা হয়? ওই দিনই বিচারপতি জানিয়েছিলেন, ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব পক্ষ আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিতে পারবে। তখনই সময় চান অভিষেক। যে সময় তাঁকে দেননি বিচারপতি (Calcutta High Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    Birbhum: “যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে”, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে পঞ্চায়েতরাজ সম্মেলনের সভা থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন। তিনি বলেন, তৃণমূল আমাদের জয়ী প্রার্থীদের ১ কোটি টাকার লোভ দেখিয়ে দল ভাঙানোর চেষ্টা করছে। নাম না করে তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন শুভেন্দু। বীরভূমের বালি, পাথর, কয়লা, মাটি পাচারের টাকা কালীঘাটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। এদিন এই সম্মেলন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুবরাজপুরের বিধায়ক অনুপ সাহা, বীরভূমের জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সহ জেলার অন্যান্য নেতারা।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Birbhum)?

    বীরভূমের (Birbhum) সিউড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা রাজ্যের শাসকদলের সমালোচনা করে বলেন, “তৃণমূলে যোগদান করার জন্য জয়ী প্রার্থীদের ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার প্রলোভন দেখানো হচ্ছে। বোঝাই যাচ্ছে, তৃণমূল আর থাকবে না। যেদিন ভাইপো কেষ্টর সঙ্গে যাবে, সেদিন থেকে তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে। তৃণমূল বলে কিছুই থাকবে না। বীরভূমের বালি, পাথর, কয়লা সব পাচার হচ্ছে। পাচারের টাকা যাচ্ছে কয়লা ভাইপোর কাছে। গত দেড় বছরে আমি এই জেলায় ১৭ বার এসেছি। তৃণমূলের কোনও দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা জেলের বাইরে থাকবে না। এই জেলায় কেষ্ট মণ্ডল নেই বটে, কিন্তু সবটাই পরিচালিত হচ্ছে কাজল শেখের মাধ্যমে। আর কাজল শেখের গুরু হলেন কয়লা ভাইপো। মানুষ বদলে গেলেও সিস্টেমটা একই রয়েছে। সরকারের ব্যবস্থা একই রকম ভাবে দুর্নীতির কাজ চালিয়ে যাচ্ছে জেলায়। শাসক দলের নেতারা বারবার বিজেপি কর্মীদের মিথ্যা কেস দিচ্ছে। শাসক দলের সঙ্গে রাজনীতির মতভেদ হলে, তৃণমূলের গুন্ডারা আক্রমণ করছে বাড়িতে গিয়ে। তবে আমি সকলকে বলব, ব্যবস্থার বদল অবশ্যই ঘটবে।”

    জেলা সভাপতির বক্তব্য

    বীরভূমের (Birbhum) জেলা বিজেপি সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন, রাজ্যের শাসক দলের তীব্র হিংসার মধ্যেও আমরা আমাদের রাজনৈতিক লড়াই চালিয়ে যাচ্ছি। আজ আমরা সিউড়িতে পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলন করছি, এটাও আমাদের বড় সাফল্য। আমাদের জয়ী প্রার্থীদের তৃণমূলের পক্ষ থেকে টাকার লোভ দেখানো হচ্ছে। চোখে চোখ রেখে আমরা তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। এই জেলার সনাতনী হিন্দুদের সংস্কৃতিকে বাঁচানোর শপথ নিয়েছি আমরা। তিনি আরও বলেন, যদি আপনারা বীরভূমের জেলা পরিষদের দফতরে যান, দেখবেন সেটা সরকারি দফতর না হজ হাউস, কিছুই বুঝতে পারবেন না।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    Indi Alliance: লেগেছে ঠোকাঠুকি, আগমনীর আগেই বিসর্জনের সুর ইন্ডি জোটে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁধেছিল পদ্ম-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের (Indi Alliance) নাম হয়েছিল ‘ইন্ডিয়া’। সেই জোটকে ‘ঘমন্ডিয়া’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এবার সেই জোটের অন্দরেই বেঁধেছে বড় গোল।

    কটাক্ষ সেলিমের

    দিন দুই আগে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের দিল্লির বাসভবনে সমন্বয় কমিটির বৈঠক বসেছিল ইন্ডি জোটের। কমিটির ১৪ নম্বর জায়গাটি ফাঁকা রাখা হয়েছিল সিপিএমের জন্য। যদিও সিপিএম জানিয়ে দিয়েছে, জোটে থাকলেও, তৃণমূল থাকায় সমন্বয় কমিটিতে থাকছে না তারা। ইডির তলব পাওয়ায় সমন্বয় কমিটির বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠকে একটি চেয়ার ফাঁকা রাখা হয়েছিল তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর জন্য। তাতেও বেজায় চটেছিল সিপিএম। করেছিল কড়া সমালোচনাও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের কটাক্ষ, “অভিষেক জেলে গেলেও পাকাপাকিভাবে আসন ফাঁকা থাকবে কি?”

    চোরেদের ধরার দাবি অধীরের

    ইন্ডি জোটে রয়েছে কংগ্রেস (Indi Alliance)। তবে অভিষেককে ইডির তলব প্রসঙ্গে বেসুরো বঙ্গ কংগ্রেস। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “এই তদন্তের দাবি পশ্চিমবঙ্গের বঞ্চিত, নিপীড়িত, নির্যাতিত মানুষ করেছে। আমরা চেয়েছি সিবিআই তদন্ত হোক, চোরেদের ধরা হোক, দুর্নীতিগ্রস্তদের ধরা হোক।” দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের হাত থেকে তৃণমূল ঝালদা পুরসভার রাশ ‘কেড়ে’ নিয়েছে বলে অভিযোগ। নির্দল সহ কংগ্রেসের প্রতীকে জয়ী চার কাউন্সিলর যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। তার জেরে ওই পুরসভায় গরিষ্ঠতা হারায় কংগ্রেস। ইন্ডি জোটের শরিক তৃণমূলের এহেন ‘আগ্রাসনে’র জেরে যারপরনাই ক্ষুব্ধ বঙ্গ কংগ্রেস। যদিও হাইকমান্ডের নির্দেশ তারা মানছেন সাপের ছুঁচো গেলার মতো।

    আরও পড়ুুন: “কান্নাকাটির জন্য অনেক সময় পাবেন”, অধিবেশন শুরুর আগেই বিরোধীদের বার্তা প্রধানমন্ত্রীর

    প্রায় একই অবস্থা বঙ্গ সিপিএমেরও। তৃণমূল বিরোধিতাই যাদের রাজনীতির অভিমুখ, ঘাসফুলের সঙ্গে একাসনে বসতে তাদের যে আপত্তি থাকবে, তা বলাই বাহুল্য। বঙ্গ সিপিএমের সঙ্গে তৃণমূলের যেমন অহিনকুল সম্পর্ক, কেরল সিপিএমের ক্ষেত্রে আবার শত্রু হল কংগ্রেস (Indi Alliance)। তাই সে রাজ্যের সিপিএম চায় না কংগ্রেসের সঙ্গে বিশেষ মাখামাখি করুক দল। দুই রাজ্যের এহেন বাধ্যবাধকতায় সিপিএমের পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত অনেকটা ধরি মাছ না ছুঁই পানির মতো। তাই পলিটব্যুরোর সিদ্ধান্ত,  জোটে থাকলেও, সমন্বয় কমিটিতে থাকবে না সিপিএম। জোটের অন্দরে অশান্তির চোরাস্রোত বয়ে যাওয়ায় ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) যে প্রথম জনসভা হওয়ার কথা ছিল, তাও বাতিল হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী বোধহয় খুব একটা ভুল বলেননি!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Abhishek Banerjee: টানা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে অভিষেক, অফিস থেকে বেরিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    Abhishek Banerjee: টানা ইডির প্রশ্নবাণের মুখে অভিষেক, অফিস থেকে বেরিয়ে এ কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ৯ ঘণ্টা ধরে ইডির প্রশ্নবাণের ধাক্কা সামলালেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। বুধবার সকালে সল্টলেকে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান তৃণমূল নেত্রীর ভাইপো। শুরু হয় ম্যারাথন জেরা। যদিও তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড বলেন, “আমাকে ছিয়ানব্বই ঘণ্টা জেরা করেও কিছু হবে না।”

    এ কী বললেন তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো?

    বিজেপিকে রুখতে জোট বেঁধেছে বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডিয়া’। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসের মতো সর্বভারতীয় দল। কিছু দিন আগেও তৃণমূলের গায়ে সর্বভারতীয় তকমা সেঁটে দিয়েছিলেন দলীয় নেত্রী। সেই তকমাও মুছে গিয়েছে। তবে এদিন ইডির দফতর থেকে বেরিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমোর ভাইপো যা বললেন, তাতে ‘ইন্ডিয়া’র ভবিষ্যৎ নিয়েই প্রশ্ন উঠে গেল। ঘাসফুল শিবিরের এই নেতা বলেন, “সব দল ছেড়ে ইডি বেছে বেছে আমাকে নোটিশ দিয়েছে। দিয়েছে ভাল করেছে। কিন্তু হাজিরার জন্য ডাকল, যেদিন বৈঠক রয়েছে। ৪টের সময় দিল্লিতে বৈঠক ছিল।”

    তিনি বলেন, “বৈঠকে যদি আমি অংশগ্রহণ করতে চাই, তাহলে ২টোর মধ্যে আমাকে দিল্লিতে পৌঁছতে হবে। আর আমাকে একই দিনে কলকাতার ইডি অফিসে ডাকা হল সকাল সাড়ে ১১টায়। আজকের আগে-পরে ডাকলে আমি (Abhishek Banerjee) বৈঠকে থাকতে পারতাম। আজকে ডাকার ফলে এটা স্পষ্ট, ভারতীয় জনতা পার্টি বেছে বেছে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিকে আটকেছে। তাই ইন্ডি বা বিরোধী জোট গঠনে তৃণমূল কংগ্রেসের ভূমিকা কী সেটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূলকেই যে এরা আটকাতে চায়, এটা আর একবার আজ স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “আমাকে জেলে ঢোকানোর চেষ্টায় রাজ্য খরচ করেছে ২৯৫ কোটি টাকা”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মৌখিক রক্ষাকবচ পেয়েই ইডির দফতরে অভিষেক!

    প্রসঙ্গত, এর আগে রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। মঙ্গলবার শুনানি হয়। অভিষেকের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বুধবার তাঁর (অভিষেকের) বিশেষ একটি বৈঠক রয়েছে। তিনি এও বলেছিলেন, “এটা বিদ্বেষপূর্ণ আচরণ। কাল তাঁকে গ্রেফতারও করা হতে পারে। এই ধরনের হয়রানির মানে কি?” তার প্রেক্ষিতে ইডির আইনজীবী বলেছিলেন, “সমন পাঠানো মানে কড়া পদক্ষেপ নয়। তিনি অভিযুক্ত নন। ইডির কিছু প্রশ্ন রয়েছে। তাই তাঁকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। সমন পাঠানোর ক্ষেত্রে আমাদের কোনও বাধা নেই। গ্রেফতার করতে আমাদের কোনও সমনের দরকার নেই। আমরা যখন ইচ্ছা গিয়ে গ্রেফতার করতে পারি। গ্রেফতারির জন্য সমন পাঠানো হয়েছে এই আশঙ্কা অমূলক।”

    তিনি বলেন, “এই আদালতের অন্য এজলাসেও মামলা চলছে। সেখানে আমাদের রিপোর্ট দিতে হবে। তাই জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।” ওয়াকিবহাল মহলের মতে, গ্রেফতার করা হবে না এই আশ্বাস পেয়েই এদিন ইডির মুখোমুখি হন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share