Tag: tmc

tmc

  • Cash For Query Case: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের চাপ! মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন মহুয়া, কী প্রতিক্রিয়া নিশিকান্তের?

    Cash For Query Case: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের চাপ! মাঝপথেই বেরিয়ে গেলেন মহুয়া, কী প্রতিক্রিয়া নিশিকান্তের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এথিক্স কমিটির প্রশ্নবাণের (Cash For Query Case) মুখে পড়ে জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের মাঝ পথে বেরিয়ে গেলেন তৃণমূল (TMC) নেত্রী তথা বাংলার সাংসদ মহুয়া মৈত্র। টাকা নিয়ে প্রশ্নকাণ্ডে ২ নভেম্বর তাঁকে তলব করেছিল এথিক্স কমিটি। বৃহস্পতিবার বেলা এগারোটা নাগাদ এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন তিনি। প্রথম দফায় মহুয়াকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে। কিছুক্ষণের বিরতির পর ফের শুরু হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব।

    দুটি প্রশ্ন

    সূত্রের খবর, মহুয়ার কাছে মূলত দুটি প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা করা হয়। এক, ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকে তিনি সংসদের লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন কিনা, আর দুই, বিদেশ থেকে মোট ৪৭ বার ওই আইডি-পাশওয়ার্ড দিয়ে লগ-ইন করা হয়েছে কিনা। কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ব্যবসায়ী হীরানন্দানির কাছে টাকা ও দামি দামি উপহার নিয়ে (Cash For Query Case) সংসদে প্রশ্ন করেছিলেন তিনি। সাংসদ নিশিকান্ত দুবের অভিযোগ, মহুয়া তাঁর সংসদের আইডি দিয়েছিলেন হীরানন্দানিকে। এ প্রসঙ্গে এথিক্স কমিটির প্রধান বিনোদ সোনকর বলেন, “সংসদের লগ-ইন আইডি সাংসদ বাদ দিয়ে অন্য কারও ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ। যে অভিযোগ উঠেছে, সংসদের ইতিহাসে তা নজিরবিহীন।”

    ২ লাখি ব্যাগ মহুয়ার

    এদিন লাল শাড়ি, চোখে দামি সানগ্লাস এবং তিনটি ব্যাগ নিয়ে এথিক্স কমিটির সামনে হাজির হন মহুয়া। এগুলির মধ্যে একটি ছিল ‘লুই ভ্যুতো’র মতো নামী ব্র্যান্ডের ব্যাগ। একটি ল্যাপটপ ব্যাগও ছিল। ‘লুই ভ্যুতো’র এই হাতব্যাগটির দাম ভারতীয় টাকায় ২ লক্ষেরও বেশি। এই ব্যাগটি নিয়ে একবার সংসদেও এসেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। একবার মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে যখন সংসদে সরব হয়েছিলেন তৃণমূলেরই কাকলি ঘোষদস্তিদার, তখন দামী ওই হাতব্যাগটি লুকিয়ে ফেলেছিলেন মহুয়া। বিজেপির দাবি, সেদিন নামী ব্র্যান্ডের মূল্যবান ওই ব্যাগটি লজ্জায় লুকিয়ে ফেলেছিলেন সাংসদ।

    এদিকে, এথিক্স কমিটি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদ-পর্বের (Cash For Query Case) দ্বিতীয়ার্ধে চেয়ারম্যানের প্রশ্নের মুখে পড়ে বেরিয়ে চলে যান মহুয়া। পড়ে যান সাংবাদিকদের সামনে। সাংবাদিকদের প্রশ্নে মেজাজ হারান কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এভাবে এথিক্স কমিটির বৈঠকে ছেড়ে বেরিয়ে আসার ঘটনা নজিরবিহীন বলেও ধারণা সংশ্লিষ্ট মহলের।

    আরও পড়ুুন: ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনে টিকিট বিক্রি করেছে দল’, বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহা

    নিশিকান্ত বলেন, “দর্শন হীরানন্দানি তাঁর হলফনামায় যে অভিযোগ এনেছেন, লোকসভার এথিক্স কমিটিকে তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই হত মহুয়াকে। অভিযোগের সব প্রমাণ আমি দিয়েছি। কোনও শক্তিই মহুয়াকে রক্ষা করতে পারবে না।” বৈঠক ছেড়ে মহুয়ার বেরিয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একজন অনগ্রসর নেতা এথিক্স কমিটির নেতৃত্ব দেওয়ায় বিরোধী সাংসদরা অসন্তুষ্ট। তাই এমনটা করেছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “টাটাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে, না হলে আন্দোলন”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “টাটাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে, না হলে আন্দোলন”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “টাটা গোষ্ঠীকে ক্ষতিপূরণ সাধারণ মানুষের ট্যাক্সের টাকায় নয়, দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে।” মঙ্গলবার এমনই দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে নির্বাচনী বন্ডে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে। এর মধ্যে ৩০০ কোটি টাকা দিয়েছে ডিয়ার লটারি। সেই টাকা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিতে হবে। ওরা ডিএ-র মতো উচ্চ আদালতে যাবে। কিন্তু কিছু লাভ হবে না।”

    আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    টাটাকে ক্ষতিপূরণের টাকা তৃণমূলের ফান্ড থেকে দেওয়া না হলে বিধানসভার ভিতরে-বাইরে আন্দোলন হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু বলেন, “এই আজকে উনি (মুখ্যমন্ত্রী) নবান্ন যাচ্ছেন। পুজোয় মদ বিক্রি করে যে ৬০০ কোটি টাকা পেয়েছেন, তা এভাবেই বেরিয়ে যাবে।” তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারকেও নিশানা করেছেন শুভেন্দু। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, “তৃণমূল ফাঁকা হয়ে যাবে। ৭০ জন চেয়ারম্যান ও ১৪ জন বিধায়ক সব ডুবে দুর্নীতিতে। বাংলায় বর্তমান সরকারের মন্ত্রী থেকে জনপ্রতিনিধিরা যেভাবে চুরির সঙ্গে যুক্ত, তা ইডি ও সিবিআই প্রকাশ্যে আনছে। শিক্ষা থেকে খাদ্য প্রাক্তন মন্ত্রী ও তৃণমূল নেতৃত্ব যেভাবে ইডি ও সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হচ্ছেন, তাতে বর্তমান সরকারের সমালোচনা বেড়ে চলেছে। সামনে ২৪ লোকসভা নির্বাচন। তাতে কতটা প্রভাব পড়বে, তা বলবে সময়।”

    রাজ্যকে বাণ লকেটেরও

    সিঙ্গুর ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে নিশানা করেছেন হুগলির সাংসদ বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “শিল্প তাড়িয়ে দেওয়ার অভিশাপ পেতে হচ্ছে বাংলার মানুষকে। এই রায়ে প্রায় ১৭০০ কোটি টাকা রাজ্যকে দিতে হবে। এদিকে না হয়েছে শিল্প, না জমি ফেরত পেল কৃষকরা। সরকার এই টাকা কীভাবে দেবে? দিতে হলে তারা জনগণের কাছ থেকে টাকা নিয়ে দেবে। রাজ্যের ক্ষমতায় থাকা প্রত্যেকটা দল যেমন সিপিএম নিজের মতো করে রাজনীতি করে গিয়েছে। এরপর তৃণমূল নিজের মতো করে রাজনীতি করছে। কিন্তু আখেরে রাজ্যের কোনও লাভ হয়নি। জমি ফেরত দেওয়ার নামে এরা শিল্পটাকে বন্ধ করেছে (Suvendu Adhikari)।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘এত বড় শিল্পপতিকে ওখান থেকে সরানো ঠিক হয়নি’’, সিঙ্গুর ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া দিলীপের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয় সুস্থই, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন কবে? ইডি হেফাজতই বা কবে থেকে?

    Ration Scam: জ্যোতিপ্রিয় সুস্থই, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন কবে? ইডি হেফাজতই বা কবে থেকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের রায় শুনে জ্ঞান হারিয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Ration Scam)। তড়িঘড়ি তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। বাইপাসের ধারের ওই বেসরকারি হাসপাতাল সূত্রে খবর, হাসপাতালে ভালই আছেন মন্ত্রীমশাই। হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ড সূত্রে খবর, উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতাকে আর হাসপাতালে রাখার প্রয়োজন নেই। তবে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষই। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, বেসরকারি ওই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরেই শুরু হবে মন্ত্রীর ইডি হেফাজত।

    মন্ত্রীর স্বাস্থ্য

    হাসপাতাল সূত্রে খবর, বর্তমানে মন্ত্রীর (Ration Scam) শরীরে ইউরিয়া ক্রিয়েটিনিনের মাত্র সাধারণ মানুষের চেয়ে সামান্য বেশি। তবে চিকিৎসকদের মতে, যেহেতু আগে থেকেই তাঁর কিডনির সমস্যা ছিল, তাই মন্ত্রীর ক্ষেত্রে এটাই স্বাভাবিক। তাই এ ব্যাপারে উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। যেহেতু আগেই সব পরীক্ষা নিরীক্ষা হয়ে গিয়েছে, তাই নতুন করে আর মন্ত্রীর কোনও পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। সেই কারণে রবিবার রাতেই জ্যোতিপ্রিয়কে সিসিইউ থেকে স্থানান্তরিত করা হয়েছে ৩৭৪ নম্বর কেবিনে। ওই রাতেই রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ধৃত মন্ত্রীর শারীরিক পরিস্থিতি সংক্রান্ত রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়েছে ইডির হাতে।

    স্পিকটি নট সতীর্থরা

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে দলীয় মন্ত্রী গ্রেফতার হওয়ায় মুখে কুলুপ এঁটেছেন জ্যোতিপ্রিয়র সতীর্থরা। শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার হয়েছিলেন তিনি। সোমবার বিজয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করতে বিধানসভায় এসেছিলেন তৃণমূলের অনেক বিধায়ক, মন্ত্রী। তবে জ্যোতিপ্রিয় সম্পর্কে সবাই স্পিকটি নট।

    আরও পড়ুুন: সিঙ্গুরে ন্যানো কারখানা না হওয়ায় টাটাকে দিতে হবে গুণাগার, টাকার পরিমাণ জানেন?

    তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের গায়ে গ্রেফতারির কলঙ্ক লেগেছে অনেক আগেই। জ্যোতিপ্রিয়র আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তাঁর মন্ত্রিত্ব খোয়া গিয়েছে। ঘরে পড়েছে তালা। জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হয়েছেন শুক্রবার। তাঁর ঘরেও পড়েছে তালা। তবে তাঁর অবশ্য চেয়ার যায়নি। মন্ত্রিত্ব খোয়া যাওয়ার পর খুলে নেওয়া হয়েছে পার্থর ঘরের সামনে থেকে নামফলক। জ্যোতিপ্রিয়র নাম ফলক অবশ্য জ্বলজ্বল করছে। কতদিন (Ration Scam) করবে, কে জানে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক! আজই কি ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়?

    Jyotipriya Mallick: স্বাস্থ্য পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক! আজই কি ইডি হেফাজতে জ্যোতিপ্রিয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেমন আছেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)? আজ, সোমবার আদালতে বালুর স্বাস্থ্যের রিপোর্ট দেবে ইডি।  হাসপাতাল সূত্রে খবর, জ্যোতিপ্রিয়র সমস্ত পরীক্ষার রিপোর্ট স্বাভাবিক। আজও তাঁর হৃদ্‌যন্ত্রের কিছু পরীক্ষা করা হতে পারে। ইডি সূত্রে দাবি, রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত জ্যোতিপ্রিয় এবং বাকিবুর রহমানের ‘ঘনিষ্ঠ’ অনেকের বাড়িতে তল্লাশি করে বেশ কিছু তথ্য হাতে এসেছে। আপাতত গোয়েন্দাদের আতশ কাচের তলায় রয়েছে অন্তত দু’ডজন মোবাইল ফোন এবং এক ডজন সংস্থা!

    কী বলছে মেডিক্যাল বুলেটিন

    হাসপাতালের তরফে মেডিক্যাল বুলেটিনে জানানো হয়েছে, রবিবার মন্ত্রীর হল্টার মনিটরিং শেষ হয়েছে। তাতে হদযন্ত্রের কোনও সমস্যা মেলেনি। জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্ট ইডিকে পাঠিয়েছে হাসপাতাল। এদিন জ্যোতিপ্রিয়র জন্য আনা হয়েছিল মনোরোগ বিশেষজ্ঞ। মন্ত্রী দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বলে মত মনোরোগ বিশেষজ্ঞের। রেশন দুর্নীতিতে ধৃত মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে রবিবারই আইসিইউ থেকে জেনারেল কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এদিন ফের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে অ্যাপোলো হাসপাতালে যায় ইডি-র টিম। আজ, বিকেল ৩টেয় মন্ত্রীর জন্য বৈঠকে বসবে মেডিক্যাল টিম। তখনই তাঁকে ছাড়া নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    উদ্বিগ্ন মন্ত্রী

    গত ২৭ অক্টোবর ইডির হাতে গ্রেফতার হন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। সেদিন ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়। যা শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন মন্ত্রী। এরপর থেকে বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন বালু। কিন্তু তাঁর সব রকম শারীরিক পরীক্ষা করা হলেও কোনওরকম অস্বাভাবিক কিছু পাওয়া যায়নি। এর পর একজন মনরোগ বিশেষজ্ঞকে জ্যোতিপ্রিয়কে পরীক্ষা করতে পাঠায় মেডিক্যাল বোর্ড। তিনি জানিয়েছেন, জ্যোতিপ্রিয় তাঁর ও তাঁর পরিবারের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগে ভুগছেন। যার জেরে নানা উপসর্গের অভিযোগ করছেন তিনি। যার কোনও বাস্তবতা নেই।

    আরও পড়ুন: ‘‘ভাই-ভাইপো, বাড়ির কুকুর-বিড়াল দুর্নীতিতে যুক্ত’’, মমতাকে নিশানা দিলীপের

    ইডির জাল

    রেশন দুর্নীতি মামলায় জ্যোতিপ্রিয় (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতার হতেই তদন্ত আরও জোর কদমে শুরু করেছে ইডি। বনমন্ত্রী ঘনিষ্ঠদের ২০টির বেশি মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছেন গোয়েন্দারা। মোবাইল ডি-কোড করে তথ্যের সন্ধান করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি। এই মোবাইলের ভিতরেই লুকিয়ে থাকতে পারে দুর্নীতির চাবিকাঠি। এমনটাই মনে করছেন গোয়েন্দারা। রেশন ‘দুর্নীতি’র অন্যতম মূল চক্রী বাকিবুরের বয়ানের ভিত্তিতে মন্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ছাড়াও ইডির তদন্তকারীরা মন্ত্রীর বর্তমান আপ্ত-সহায়ক অমিত দে এবং প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। ইডি সূত্রের দাবি, ওই দু’জন ছাড়াও মন্ত্রী-ঘনিষ্ঠ আরও কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: সময় দেওয়া হল মহুয়াকে, তবে ২ নভেম্বর হাজিরার চিঠি ধরাল এথিক্স কমিটি

    Mahua Moitra: সময় দেওয়া হল মহুয়াকে, তবে ২ নভেম্বর হাজিরার চিঠি ধরাল এথিক্স কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন বিতর্কে সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) ফের তলব করল এথিক্স কমিটি। ২ নভেম্বর সকাল ১১টায় সংসদের এথিক্স কমিটির ঘরে হাজিরা দিতে হবে বাংলার সাংসদকে। এর আগে যেদিন ডাকা হয়েছিল, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি থাকায় সেদিন তিনি উপস্থিত হতে পারবেন না বলে জানিয়েছিলেন মহুয়া। এথিক্স কমিটিকে তিনি জানিয়েছিলেন, ৫ নভেম্বরের পর যে কোনও দিন হাজিরা দিতে পারবেন তিনি। তবে পাঁচ নভেম্বরের আগেই তাঁকে তলব করল এথিক্স কমিটি। এবার মহুয়াকে তলব করা হল ২ নভেম্বর।

    মহুয়ার চিঠি

    এথিক্স কমিটিকে লেখা চিঠিতে মহুয়া জানিয়েছিলেন, ৩০ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত তাঁর লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন এলাকায় বিজয়া সম্মেলন রয়েছে। সেগুলি আগে থেকে ঠিক করা। সেখানে তাঁকে উপস্থিত থাকতেই হবে। তাই তিনি ৩১ তারিখ দিল্লিতে এথিক্স কমিটিতে হাজিরা দিতে পারছেন না। ৫ নভেম্বরের পর কমিটির সুবিধা অনুযায়ী যে কোনও দিন, যে কোনও সময় ডাকা হলে হাজির হবেন তিনি। তিনি যে নিজের বক্তব্য কমিটির সামনে বলতে আগ্রহী, তাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন তৃণমূল নেত্রী।

    রমেশ বিধুরির প্রসঙ্গ উল্লেখ

    এথিক্স কমিটিকে লেখা চিঠিতে মহুয়া রাজস্থানের সাংসদ বিজেপির রমেশ বিধুরির প্রসঙ্গ উত্থাপন করেছেন। তিনি লিখেছেন, রমেশ রাজস্থানে তাঁর লোকসভা কেন্দ্রে পূর্ব পরিকল্পিত কর্মসূচির কথা জানিয়ে লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির কাছে সময় চেয়েছিলেন। সেই সময় তাঁকে মঞ্জুরও করা হয়েছিল। বাংলার সাংসদের (Mahua Moitra) আবেদন, একইভাবে তাঁকেও যেন সময় মঞ্জুর করা হয়।

    চিঠিতে মহুয়া লিখেছেন, দুবাইয়ের ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানিকেও যেন তলব করে কমিটি। তাঁর বক্তব্যও এ ক্ষেত্রে শোনা জরুরি। কারণ হীরানন্দানি ইতিমধ্যেই একটি চ্যানেলে জানিয়েছেন, কমিটির সামনে হাজির হতে আপত্তি নেই তাঁর। কমিটির সামনে তাঁকে ও হীরানন্দানিকে মুখোমুখি বসিয়ে প্রশ্ন করতে দেওয়া হোক। তিনি তথ্যপ্রমাণ সহকারে বলুন, কী কী উপহার তিনি দিয়েছেন (Mahua Moitra)।

    আরও পড়ুুন: মুছে গেল ‘ইন্ডিয়া’, রেলের ‘ভারত’ নামের প্রস্তাবে সিলমোহর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার

                                

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ration Distribution Scam: রাত ১২টার পর ঘোরে খেলা, তার জেরেই কাকভোরে গ্রেফতার হয়েছিলেন বালু!

    Ration Distribution Scam: রাত ১২টার পর ঘোরে খেলা, তার জেরেই কাকভোরে গ্রেফতার হয়েছিলেন বালু!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা কুড়ি ঘণ্টা ধরে চলেছিল তল্লাশি। রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী তৃণমূলের জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে নাগাড়ে জেরাও করেছিলেন ইডির তদন্তকারী (Ration Distribution Scam) আধিকারিকরা। ইডির জেরায় উত্তর ২৪ পরগনার এই তৃণমূল নেতা বারবার অসলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন বলে ইডি সূত্রে খরব। তার পরেও রাজ্যের বনমন্ত্রীকে গ্রেফতার করার ব্যাপারে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন ইডির আধিকারিকরা।

    জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি

    এভাবেই মধ্যরাত পেরিয়ে ভোর হয়ে যায়। তখনও ইডির আধিকারিকদের প্রশ্নবাণ সামলাচ্ছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। এর আগে অবশ্য মন্ত্রীমশাইয়ের আপ্ত সহায়ক অমিত দে-র বাড়িতেও তল্লাশি চালায় ইডি। সেখানেই মেলে বেশ কিছু তথ্য। এই তথ্যের ভিত্তিতেই ফের শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব। ইডি আধিকারিকদের দাবি, এই পর্বেও তদন্তে অসহযোগিতা করছিলেন জ্যোতিপ্রিয়। রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন ব্যবসায়ী বাকিবুর রহমান। তাঁর সম্পর্কে জানার চেষ্টা করা হলে, রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী কখনও জানান তিনি ওই ব্যক্তিকে চিনতেন না, কখনও আবার বলেন, চিনতেন, তবে ঘনিষ্ঠ নন। জ্যোতিপ্রিয়র কথায় অসঙ্গতি খুঁজে পেয়ে এই পয়েন্টেই জোর দেন তদন্তকারীরা।

    কাকভোরে গ্রেফতার

    তাঁরা নিশ্চিত ছিলেন, বাকিবুরের এই সম্পত্তি থেকে শুরু করে এই দুর্নীতির সমস্ত কাজ তৎকালীন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানতেন এবং তাঁকেই সমস্ত কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল জেনেবুঝেই। যদিও এ ব্যাপারে প্রশ্ন করতেই রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জানান, এ রকম কোনও বিষয় (Ration Distribution Scam) নেই। এর পরেই জ্যোতিপ্রিয় যে তদন্তে অসহযোগিতা করছেন, তা জানানো হয় দিল্লিতে ইডির সদর দফতরে। সেখান থেকে সবুজ সঙ্কেত মেলায় গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। ততক্ষণে ডেকে উঠেছে ভোরের কাক। প্রসঙ্গত, শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার করা হয় জ্যোতিপ্রিয়কে। এদিনই আদালতে তোলা হলে জ্যোতিপ্রিয়কে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক।

    আরও পড়ুুন: “তৃণমূলের ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়েছে, খুন হতে পারেন বালু”, আশঙ্কা দিলীপের

    এদিকে, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে ধৃত বাকিবুরের অন্তত ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পেয়েছে ইডি। এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি রয়েছে নামে-বেনামে-আত্মীয়দের নামে। তদন্তকারীদের অনুমান, কালো টাকা সাদা করতেই এই পন্থা অবলম্বন করা হয়েছিল। তদন্তকারীরা জেনেছেন, অন্তত ৬টি সংস্থায় শেয়ার রয়েছে বাকিবুরের। নিউ টাউন, রাজারহাট মায় পার্কস্ট্রিটেও তাঁর একাধিক ফ্ল্যাট রয়েছে। রয়েছে একাধিক পানশালা, হোটেল। সম্পত্তি রয়েছে বিদেশেও (Ration Distribution Scam)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mallick: ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, রায় শুনেই আদালতে জ্ঞান হারালেন জ্যোতিপ্রিয়

    Jyotipriya Mallick: ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ, রায় শুনেই আদালতে জ্ঞান হারালেন জ্যোতিপ্রিয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারি মামলায় ধৃত তৃণমূল নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick) ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ ব্যাঙ্কশাল কোর্টের। শুক্রবার কাকভোরে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের বনমন্ত্রী তথা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়কে। এদিনই তোলা হয় আদালতে। ৬ নভেম্বর পর্যন্ত ইডি হেফাজতের নির্দেশ শুনেই আদালতে জ্ঞান হারান মন্ত্রীমশাই। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে তুলে বসানো হয় একটি চেয়ারে। সেখানে সামান্য বমিও করে ফেলেন তৃণমূলের উত্তর ২৪ পরগনার এই নেতা।

    হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয় 

    এর পর তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে। এমতাবস্থায় ইডি হেফাজতের মেয়াদ পুনর্বিবেচনা ও মন্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তির দাবি তুলে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন জ্যোতিপ্রিয়র আইনজীবীরা। এর মধ্যে মেয়ে প্রিয়দর্শিনীকে কাছে ডেকে নেন জ্যোতিপ্রিয়। বাবার মাথায় জল দেন তিনি। পরে (Jyotipriya Mallick) কিছুটা সুস্থ বোধ করেন। এর পরেই আদালতের নির্দেশে পুলিশ অ্যাম্বুলেন্সে করে জ্যোতিপ্রিয়কে নিয়ে যাওয়া হয় কমান্ড হাসপাতালে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে মন্ত্রীর চিকিৎসা শুরু করার নির্দেশ কমান্ড হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে দেন ব্যাঙ্কশাল কোর্টের বিচারক। মন্ত্রীকে বাড়ির খাবার দেওয়া যাবে বলেও জানিয়েছে আদালত। বিচারকের নির্দেশ, প্রত্যেক দিন এক ঘণ্টা করে আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাবেন জ্যোতিপ্রিয়।

    নিজেকে নির্দোষ দাবি মন্ত্রীর 

    এদিন আদালতে নিজেই সওয়াল করেন জ্যোতিপ্রিয়। তিনি বলেন, “আমি নির্দোষ। আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” রায়দানের সময় বিচারক তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, “২০১৫ সালে জ্যোতিপ্রিয়র স্ত্রী মণিদীপার সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৪৫ হাজার টাকা। ২০১৬ সালে তা ৬ কোটি হল কী করে?”

    আরও পড়ুুন: বড় পদক্ষেপ এথিক্স কমিটির, কেন্দ্রের থেকে চাওয়া হল মহুয়ার বিদেশযাত্রার তথ্য

    আদালতে ইডির দাবি, রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে সরাসরি যোগ রয়েছে মন্ত্রীর। অভিজিৎ দাসের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া মেরুন ডায়েরিতে ‘বালুদা’ (জ্যোতিপ্রিয়র ডাক নাম বালু) নামের উল্লেখ রয়েছে। ইডির দাবি, তিনটি ভুয়ো সংস্থা খুলে ১২ কোটি কালো টাকা সাদা করা হয়েছে। বাড়ির রাঁধুনির নামেও ভুয়ো কোম্পানি খুলেছিলেন তিনি। ইডির কটাক্ষ, “মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) অনেকটা নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের মতো আচরণ করছেন। স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে তিনি স্বামীকে দেখাচ্ছেন। আর স্বামীকে প্রশ্ন করলে স্ত্রীকে দেখাচ্ছেন। এ তো পুরো মানিক ভট্টাচার্যের মতো ব্যাপার। সবাই এক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

      

  • Mahua Moitra: “মহুয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কী দিইনি গাড়ি,  ফ্ল্যাট”, বিস্ফোরক দাবি ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির

    Mahua Moitra: “মহুয়া উচ্চাকাঙ্ক্ষী, কী দিইনি গাড়ি, ফ্ল্যাট”, বিস্ফোরক দাবি ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক সুবিধা নিয়ে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মুখ খোলার গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। অভিযোগ, মহুয়া মুম্বইয়ের শিল্পপতি দর্শন হীরানন্দানির (Darshan Hiranandani) ব্যবসায়িক স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে, সংসদে গৌতম আদানি ও আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লাগাতার প্রশ্ন তুলে গেছেন। মামলা সিবিআই ও সংসদের এথিক্স কমিটি পর্যন্ত গড়িয়েছে দেখে, দর্শন হীরানন্দানি একপ্রকার রাজসাক্ষী হয়ে গেলেন।

    হলফনামায় কী বললেন দর্শন

    দর্শন দাবি করেছেন, মহুয়া (Mahua Moitra) অত্যন্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষী। দ্রুত নাম করতে চেয়েছিলেন। সে জন্যই নরেন্দ্র মোদীকে ক্ষুরধার আক্রমণ করাকে সহজ রাস্তা হিসাবে বেছে নিয়েছিলেন মহুয়া। মোদিকে নিশানা করার জন্যই গৌতম আদানি ও আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ‘হাত ধুয়ে’ লেগে পড়েন মহুয়া।  স্বাক্ষর করা ‘হলফনামা’য় হিরানন্দানি কার্যত মহুয়া ও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ মেনে নিয়েছেন। মহুয়া মৈত্র অবশ্য দর্শন হিরানন্দানির হলফনামার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি বলেন, ‘লোকসভার এথিক্স কমিটিতে জমা করা ওই হলফনামা আসলে একটি লেটারহেড ছাড়া সাদা কাগজ। আর সংবাদমাধ্যমে লিক হওয়া ছাড়া এই হলফনামার কোনও উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি।’

    মহুয়ার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ

    দুবাই-কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী হীরানন্দানির থেকে নেওয়া অর্থ ও উপহারের বিনিময়ে মহুয়া লোকসভায় প্রশ্ন করেছেন এমন অভিযোগ তুলে গত রবিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লাকে চিঠি পাঠান বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। স্পিকারের কাছে মহুয়াকে (Mahua Moitra) সাংসদ পদ থেকে নিলম্বিত (সাসপেন্ড) করার আর্জিও জানিয়েছেন নিশিকান্ত। আবার আইনজীবী জয় অনন্ত দেহাদ্রাই মহুয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে সিবিআই প্রধানকে চিঠি দিয়েছিলেন। এবার দর্শনের হলফনামা সামনে আসায় আরও বিপাকে পড়লেন মহুয়া। 

    জোর খাটাতে পারেন মহুয়া

    দর্শনের দাবি, মহুয়ার সঙ্গে তাঁর প্রথম আলাপ হয় কলকাতায়। সে সময়ে কলকাতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের আয়োজন করা বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট চলছিল। ওই সম্মেলনে তিনি আমন্ত্রিত ছিলেন। সে সময়ে মহুয়ার সঙ্গে তাঁর পরিচয় ও ফোন নম্বর বিনিময় হয়। এর পর থেকে প্রায়ই তাঁদের ফোন কথা চলতে থাকে। মুম্বই, দিল্লি ও দুবাইতে তাঁদের সামাজিক অনুষ্ঠানে বহুবার দেখা হয়। তার পর বন্ধু সম্পর্ক আরও নিবিড় হয়। এতটাই যে এক সময় তাঁদের রোজ কথা হত। দর্শন হীরানন্দানি হলফনামায় লিখেছেন, মহুয়া ব্যক্তিগত সম্পর্কের মধ্যে খুবই জোর খাটাতে পারেন। কোনও কিছু তাঁর চাই মানে তক্ষুণি চাই। সব কাজ ফেলে রেখে তাঁর ব্যাপারটায় নজর দিতে হবে। তাঁর কাজ মানেই জরুরি ব্যাপার। 

    আরও পড়ুন: কাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য

    সংসদের লগ-ইন আইডি দিয়েছিলেন মহুয়া

    হীরানন্দানি ‘হলফনামা’য় স্বীকার করেছেন যে তিনি মহুয়াকে (Mahua Moitra) ব্যবহার করে লোকসভায় আদানি গোষ্ঠী সম্পর্কিত প্রশ্ন তুলেছেন সংসদে। মহুয়া শিল্পপতিকে সংসদের লগ-ইন আইডি দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ তুলেছিলেন নিশিকান্ত। সেটাও স্বীকার করেছেন হীরানন্দানি। মহুয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন উপহার নেওয়ার যে অভিযোগ উঠেছে তাতেও মান্যতা দেওয়া হয়েছে হীরানন্দানির ‘হলফনামা’য়। বলা হয়েছে, মাঝেমাঝেই নানা আব্দার করা হত। দাবি থাকত বিলাসবহুল সামগ্রী, দিল্লির সরকারি বাসভবন সংস্কার করিয়ে দেওয়া, ছুটি কাটানো বা বেড়ানোর খরচের জন্যও দাবি করা হত। সেটা যেমন দেশের বিভিন্ন জায়গায়, তেমন বিদেশেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই”, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Murshidabad: “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই”, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) লালবাগ বুধাসপাড়া ফ্রেন্ড একাদশ ক্লাবের দুর্গাপুজোর উদ্বোধন করলেন, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দেবী দুর্গার পায়ে পুস্পার্ঘ্য নিবেদন করেন এবং প্রদীপ প্রজ্বলন করে রাজ্যবাসীর মঙ্গল কামানা করেন তিনি। সেই সঙ্গে তিনি পুজো মণ্ডপ থেকে, সন্দেশখালির এক দুর্গা পুজোর প্যান্ডেলের গেরুয়া কাপড় খোলা প্রসঙ্গে, তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “বাংলাদেশের সঙ্গে তৃণমূল কোম্পানির কোনও তফাত নেই।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Murshidabad)?

    রাজ্যের বিরোধী দলের নেতা শুভেন্দু তৃণমূলকে আক্রমণ করে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) বলেন, “বাংলাদেশে দুর্গা পুজোর মধ্যে যেমন আক্রমণ হয়, ঠিক তেমনি তৃণমূল কোম্পানি এখানে আক্রমণ করেছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে পুজোর উপর আক্রমণ নতুন কিছু নয়। সন্দেশখালিতে গিয়ে দেখে আসুন, সেখানে রাজবাড়ি বলে একটি পুজো কমিটির পুজো হয়। সেই পুজোর প্যান্ডেল গেরুয়া কাপড় দিয়ে করা হয়েছিল বলে, সেই কাপড় খুলতে বাধ্য করেছে তৃণমূল। কিন্তু এই গেরুয়া কাপড় তো বিজেপির কাপড় নয়, গেরুয়া হল স্বামী বিবেকান্দের কাপড়। গেরুয়া কাপড় ত্যাগের প্রতীক, শৌর্যের প্রতীক এবং সনাতনের প্রতীক। এই কাপড়খুলে সবুজ কাপড় লাগিয়েছে তৃণমূলের প্রধান জিয়ারুদ্দীন মোল্লা। সেই সঙ্গে এই তৃণমূলের নেতা হুমকি দিয়ে বলেছেন, দিদি তোদের টাকা দিয়েছে আর তোরা গেরুয়া কাপড় লাগিয়েছিস কেন? খুলে ফেল। এই তৃণমূল নেতাকে জেলে যেতেই হবে।”

    আর কী বলেন?

    রাজ্যের দুর্নীতির প্রসঙ্গে লালবাগে (Murshidabad) শুভেন্দু বলেন, “তৃণমূল সরকারের পুরসভা দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বচ্ছ তদন্ত হওয়া দরকার। বিচারপতিরা অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছেন। তাঁদের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করেছে। সঠিক ভাবে তদন্ত হোক এবং সব চোরেরা জেলে যাক। বেকাররা চাকরি পাক।” আবার অনুব্রত মণ্ডলের জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিচারকদের হুমকি দিয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি। মালিকের রক্ষী যদি ২০০ কোটি টাকার মালিক হন, তাহলে মালিক কত টাকার মালিক বলে প্রশ্ন করেন তিনি।”

    মুর্শিদাবাদ বিধানসভার বিধায়ক গৌরীশঙ্কর ঘোষ এবং মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সৌমেন মন্ডল এই দিন উপস্থিত ছিলেন পুজো মণ্ডপে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    Recruitment Case: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক, কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় (Recruitment Case) সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার আরও এক। ধৃতের নাম কৌশিক মাজি। তিনি ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানির কর্তা। সোমবার গ্রেফতার করা হয়েছিল পার্থ সেন নামে একজনকে। তাঁকে জেরা করে মঙ্গলবার দুপুরে গ্রেফতার করা হয় কৌশিককে।   

    বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের

    গত মাসে ওএমআর শিট প্রস্তুতকারী সংস্থার যে দুই আধিকারিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই, তাঁদের মধ্যে ছিলেন কৌশিকও। তাঁদের বাড়ি থেকে কম্পিউটারের হার্ড ডিস্ক সহ বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করা হয়। কৌশিকের বাড়ি হাওড়ার দাশনগরে। এর আগে তাঁকে তলব করেছিল সিবিআই। এবার করা হল গ্রেফতার।

    ‘অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন’

    নিয়োগ প্রক্রিয়ার (Recruitment Case) উত্তরপত্র মূল্যায়ন এবং ওএমআর শিট প্রস্তুত করার দায়িত্বে ছিল এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি। এই কোম্পানিরই অন্যতম অংশীদার কৌশিক। সোমবার দুপুরে এই সংস্থার কর্মী পার্থ সেনকে গ্রেফতার করে সিবিআই। পার্থই কেলেঙ্কারির মূল চাবিকাঠি। এদিন আলিপুর আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ওএমআর শিটের মাধ্যমে যে দুর্নীতি হয়েছে, তাতে পার্থ সরাসরি যুক্ত। তিনিই অযোগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রস্তুত করেছিলেন। সেই তালিকায় থাকা বেশ কয়েকজনের চাকরিও হয়েছে বলে দাবি সিবিআইয়ের।

    আরও পড়ুুন: এমাসেও দুবাই যাওয়ার কথা ছিল বাকিবুরের! উদ্ধার হওয়া খাতায় কী পেল ইডি?

    আদালতে সিবিআইয়ের দাবি, ২০১৭ সালে ৭৫২ জন অযোগ্য প্রার্থীর একটি তালিকা তৈরি হয়েছিল এসএন বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানিতে। পার্থই সেই তালিকা তৈরি করেছিলেন। সেই তালিকা থেকে একটি ডিজিটাল তালিকা তৈরি হয়েছিল। পরে সেই তালিকা মেইল করে পাঠানো হয় পর্ষদ অফিসে। সিবিআইয়ের দাবি, ওই তালিকার মধ্যে ৩০০ জনেরও বেশি প্রার্থী পরে চাকরিও পেয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ২০০৭ সাল থেকে ওএমআর শিট তৈরির ওই সংস্থায় চাকরি করছেন পার্থ। তাঁর মেয়ে ও জামাই দুজনেই প্রাথমিক স্কুল শিক্ষক।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Case) মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের আরও কয়েকজন ছোট বড় দরের নেতা। এবার গ্রেফতার হলেন পার্থ, কৌশিক। এঁদের পর কাদের হাতে পড়বে হাতকড়া, সেটাই প্রশ্ন।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share