Tag: tmc

tmc

  • Mahua Moitra: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন! কাঠগড়ায় তৃণমূলের মহুয়া

    Mahua Moitra: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন! কাঠগড়ায় তৃণমূলের মহুয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যবসায়ীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে লোকসভায় প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠল কৃষ্ণনগরের সাংসদ তৃণমূলের মহুয়া মৈত্রের (Mahua Moitra) বিরুদ্ধে। বিষয়টি জানিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে চিঠি পাঠালেন সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবে। মহুয়ার সাংসদ পদ কেড়ে নেওয়ার আবেদনও জানানো হয়েছে।

    মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আইনজীবীরও

    আইনজীবী অনন্ত দেহাদরিও মহুয়ার বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে চিঠি দিয়েছেন সিবিআই প্রধানকে। নিশিকান্ত ও অনন্ত দু’জনেরই অভিযোগ, ব্যবসায়ী দর্শন হিরনানদানির কাছ থেকে অর্থ নিয়ে আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে কথা বলেছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ। এর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নাম জড়িয়েছেন মহুয়া।

    স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ

    রবিবার স্পিকারকে (Mahua Moitra) দেওয়া চিঠিতে মহুয়ার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গ ও সংসদের অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়েছে। ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ নিশিকান্তর দাবি, ব্যবসায়ী হিরনানদানির স্বার্থ দেখতে নগদ টাকা ও উপহারের বিনিময়ে লোকসভায় প্রায় ৫০টি প্রশ্ন তুলেছেন মহুয়া। তাঁর দাবি, বিষয়টি ফৌজদারি অপরাধ। তৃণমূল সাংসদের প্রশ্ন শোনার পর সরব হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সাংসদ সৌগত রায়ের নামও উল্লেখ করেছেন গোড্ডা লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ।

    ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বরের একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করেছেন নিশিকান্ত। তিনি লিখেছেন, চতুর্দশতম লোকসভায় ২০০৫ সালের ১২ ডিসেম্বর অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ উঠলে তৎকালীন স্পিকার একটি  তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন। তদন্তের পরে মাত্র ২৩ দিনের মধ্যে লোকসভার ১০ সাংসদকে অপসারিত করা হয়েছিল। মহুয়াকে অবিলম্বে সাসপেন্ড করার আর্জি জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: সোমবার সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয় ‘রাম মন্দির’ উদ্বোধনে অমিত শাহ, সাজো সাজো রব

    এক্স হ্যান্ডেলে মহুয়া (Mahua Moitra) বলেন, “যে কোনও তদন্তের জন্য প্রস্তুত।” তাঁর সংযোজন, সিবিআইকেও স্বাগত জানাচ্ছি। তারা আমার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান করতে পারে। কিন্তু তার আগে আদানির সমস্ত অর্থ কোন পথে সমুদ্রের ওপারে পৌঁছচ্ছে, সেটাও তাদের খুঁজে বের করতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    Rujira Banerjee: ইডির দফতরে হাজিরা রুজিরার, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে চলছে জিজ্ঞাসাবাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার মধ্যরাতে স্বামী গিয়ে নথি জমা দিয়েছিলেন ইডিকে। আর পরের দিন সকালে ইডির দফতরে হাজির হলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rujira Banerjee)। বুধবার সকাল সাড়ে ১০-১১টায় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে তলব করেছিল ইডি। এদিন ১১টা বাজার মিনিট কয়েক আগেই ইডির দফতরে চলে আসেন রুজিরা।

    ইডির দফতরে রুজিরা

    এদিন সকাল থেকেই সিজিও কমপ্লেক্সের বাইরে ব্যাপক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল। চার দিকে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছিল যান চলাচল। ১১টা নাগাদ একটি সাদা ইনোভা গাড়ি করে চলে আসেন অভিষেক-পত্নী। গাড়ি থেকে নেমে কোনও দিকে না তাকিয়ে হনহনিয়ে ঢুকে পড়েন ইডির দফতরে।

    অভিষেক-জায়া ইডির মুখোমুখি হয়েছেন আগেও

    এই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ইডির মুখোমুখি হয়েছেন অভিষেক-জায়া (Rujira Banerjee)। মাস চারেক আগেই কয়লা পাচার মামলায় রুজিরাকে সমন পাঠিয়েছিল ইডি। দুটি বিদেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন, একটি সংস্থার আর্থিক লেনদেনের খতিয়ান ও এক হিসাবরক্ষকের বয়ানের ভিত্তিতে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। সেবার জিজ্ঞাসাবাদ-পর্ব চলেছিল টানা সাড়ে তিন ঘণ্টা। ২০২২ সালের জুন মাসেও শিশুপুত্রকে কোলে নিয়ে ইডির দফতরে হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন রুজিরা।

    আরও পড়ুুন: ‘‘হামাসের ধাঁচে হামলা ভারতে’’! যুদ্ধের আবহে হাওয়া গরমের চেষ্টা খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের

    তবে এবার যে রুজিরাকে (Rujira Banerjee) তলব করা হয়েছে, তা নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায়। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়ায় ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র। এই সংস্থার সিইও অভিষেক। সংস্থার ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই সংস্থারই অধিকর্তা ছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা। এই চারজনকেই তলব করেছিল ইডি। যদিও রুজিরা বাদে বাকি তিনজনই এড়িয়েছেন হাজিরা। মঙ্গলবার মধ্য রাতের কিছু আগে গিয়ে ইডিকে নথি দিয়ে আসেন অভিষেক।

    প্রসঙ্গত, এই মামলায় রুজিরার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল লুক আউট নোটিশও। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পরে অবশ্য সেই নোটিশ প্রত্যাহার করে ইডি। জানা গিয়েছে, এদিন ইডির তিন আধিকারিক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রুজিরাকে। এঁদের মধ্যে  রয়েছেন এক মহিলা আধিকারিকও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: অভিষেকদের আশ্বাস দিয়েই দিল্লির উড়ান ধরলেন রাজ্যপাল, মিলতে পারে বড় খবর

    CV Ananda Bose: অভিষেকদের আশ্বাস দিয়েই দিল্লির উড়ান ধরলেন রাজ্যপাল, মিলতে পারে বড় খবর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা চারদিন ধর্না শেষে সোমবার তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজভবন সূত্রে খবর, অভিষেকদের সঙ্গে দেখা করেই ফের দিল্লি যাচ্ছেন রাজ্যপাল। সোমবার সন্ধের বিমানেই দিল্লি রওনা দিচ্ছেন তিনি।

    রাজভবনে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল

    এদিন বিকেল ৪টে নাগাদ অভিষেকের নেতৃত্বে ৩০জন প্রতিনিধির একটি দল যায় রাজভবনে। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকে সাতজন ‘বঞ্চিত’ও ছিলেন বলে দাবি তৃণমূলের। ২০ লক্ষেরও বেশি চিঠি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল রাজ্যপালের গোচরে আনতে। তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজ্যপালের বৈঠক হয়েছে মিনিট কুড়ির। বৈঠক শেষে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যপাল পদক্ষেপ করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। রাজভবনের তরফে জারি করা বিবৃতিতেও বলা হয়েছে, রাজ্যপাল তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ ও কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের আশ্বাস দিয়েছেন। এর পরেই জানা যায়, দিল্লির উড়ান ধরতে যাচ্ছেন রাজ্যপাল।

    হাই সিকিউরিটি জোনে ধর্না

    প্রসঙ্গত, ৫ অক্টোবর থেকে রাজভবনের (CV Ananda Bose) সামনে ধর্নায় বসেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন চত্বর রাজ্যের অন্যতম হাই সিকিউরিটি জোন। এখানে সব সময়ই জারি থাকে ১৪৪ ধারা। তা সত্ত্বেও কীভাবে রাজভবনের সামনে তৃণমূল ধর্নায় বসেছে, সে প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও কীভাবে মঞ্চ বেঁধে ধর্না চলছে, সে প্রশ্নের উত্তর চেয়ে রাজ্যকে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজভবনের তরফেও। 

    আরও পড়ুুন: “রাজভবনের সামনে ধর্না হলে নব মহাকরণের সামনে কেন নয়?”, প্রশ্ন আদালতের

    তার পরেও সোমবার পর্যন্ত চলেছে তৃণমূলের ধর্না। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনা ও একশো দিনের প্রকল্পের টাকা দিল্লি থেকে আদায় করতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ দাবি করেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই কারণেই চলছিল ধর্না। তৃণমূল যেদিন রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছিল, সেদিন রাজভবনে ছিলেন না তিনি। রাজ্যপাল গিয়েছিলেন উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি দেখতে। পরে কলকাতায় ফিরে এদিন দেখা করেন অভিষেকের নেতৃত্বাধীন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে। পরে রওনা দেন (CV Ananda Bose) দিল্লির উদ্দেশে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে তৃণমূলের ধর্না কীভাবে? নবান্নে চিঠি রাজভবনের  

    Abhishek Banerjee: ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে তৃণমূলের ধর্না কীভাবে? নবান্নে চিঠি রাজভবনের  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের গেটের বাইরে রয়েছে ১৪৪ ধারা। তার পরেও কীভাবে তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে? তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) রাজভবনের গেটের সামনে ধর্নায় বসার পর এমনই প্রশ্ন তুলেছিল বিজেপি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতিও ১৪৪ ধারা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এবার একই প্রশ্ন তুলে নবান্নকে চিঠি পাঠাল রাজভবন।

    নবান্নকে চিঠি রাজভবনের

    চিঠি লেখা হয়েছে রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। রবিবার সন্ধ্যায় কলকাতায় ফিরছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তার আগেই রাজভবনের তরফে চিঠি গেল নবান্নে। চিঠিতে মূলত তিনটি প্রশ্ন তোলা হয়েছে। এক, ১৪৪ ধারা কার্যকর রয়েছে এমন এলাকায় মঞ্চ বেঁধে ধর্নার অনুমতি কি কলকাতা পুলিশ দিয়েছিল? দুই, যদি দেওয়া হয়, তবে কে দিলেন এবং কোন আইন বলে? তিন, যদি অনুমতি ছাড়াই ধর্নামঞ্চ বাঁধা হয়ে থাকে এবং তিনদিন ধরে বিক্ষোভ জমায়েত চলতে থাকে তাহলে পুলিশ এর বিরুদ্ধে কী কী ব্যবস্থা নিয়েছে? প্রশ্নগুলি পাঠিয়ে দ্রুত জবাব চেয়েছে রাজভবন।

    কী বললেন সুকান্ত? 

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এ রাজ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য যে সব বেআইনি কাজই আইন, তা বুঝিয়ে দিয়েছে পুলিশের ভূমিকা। কিন্তু মনে রাখতে হবে, ভারতীয় সংবিধানের কাছে তিনি নেংটি ইঁদুর ছাড়া আর কিছুই নন।” প্রসঙ্গত, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে বঞ্চনা ও আবাস যোজনা ইস্যুতে রাজভবনের নর্থ গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। পঞ্চাশ থেকে একশো মিটারের মধ্যেই চলছে সেই অবস্থান বিক্ষোভ। উপস্থিত রয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সহ দলের বিভিন্ন স্তরের নেতানেত্রীরা।

    আরও পড়ুুন: প্রশাসনিক প্রধান রূপে ২২ বছর পূর্ণ, প্রধানমন্ত্রী পদে রেকর্ড তৈরির পথে নরেন্দ্র মোদি

    কয়েকদিন ধরে চলা এই বিক্ষোভ নিয়েই এবার কড়া মনোভাব পোষণ করল রাজভবন। শনিবার সন্ধ্যায় দার্জিলিংয়ে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন রাজ্যাপালের সঙ্গে। রবিবার তিনি কলকাতায় ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যার বিমানে বাগডোগরা থেকে কলকাতা আসার কথা। তার ঠিক আগেই রাজভবনের তরফে চিঠি গেল নবান্নে। প্রসঙ্গত, পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় রবিবার সিবিআই হানা দেয় কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বাড়িতে। এদিনই সিবিআই হানা দিয়েছে মদন মিত্রের বাড়িতেও। এহেন আবহে রাজভবনে ফিরছেন (Abhishek Banerjee) রাজ্যপাল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    Sadhvi Niranjan Jyoti: ‘‘চুরি ধরা পড়ে যাবে বলে মুখোমুখি বসেনি’’, কলকাতায় এসে তৃণমূলকে নিশানা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জমিদারদের পার্টি নয়, বিজেপি প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার দল। ঝটিকা সফরে কলকাতায় এসে তৃণমূলের কটাক্ষকে এই ভাষাতেই জাবাব দিলেন কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। শনিবার সকালে ঝটিকা সফরে কলকাতায় আসেন তিনি। এদিন সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে সোজা বিজেপি কার্যালয়ে চলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। বৈঠক করেন সুকান্ত মজুমদার, শুভেন্দু অধিকারীদের সঙ্গে। তারপরই সুকান্ত-শুভেন্দুকে পাশে বসিয়ে কড়া আক্রমণ করেন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে। 

    ওদের সঙ্গে দেখা করতেই দিল্লি আসি

    এদিন তিনি বলেন, ভারত একটা গণতান্ত্রিক দেশ, এটা কোনও স্বৈরতন্ত্র নয়। এখানে যা ইচ্ছে তাই করা বা যা ইচ্ছে তাই বলা যায় না, বলে দাবি করেন সাধ্বী নিরঞ্জন (Sadhvi Niranjan Jyoti)। কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের সামনে বাধ্য হয়ে আসতে হল আমাকে। দুদিন আগে তৃণমূলের প্রতিনিধি দল আমার সঙ্গে দেখা করতে চান। কেন্দ্রীয় সরকার বৈমাত্রেয় সূলভ আচরণ করছে জানিয়ে দেখা করতে চান। শুধু ওদের সঙ্গে দেখা করতেই আমি দিল্লি এসেছিলাম। প্রথমে ওরা বলেছিলেন ৫ জন প্রতিনিধি দেখা করবেন। তারপর আমার পিএসের কাছে বলেন ১০ জন দেখা করবেন। আমি বললাম আপত্তি নেই। তারপর বলেন, সমস্ত জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে। আমি বলি, সচিব সহ অন্যান্যদের সঙ্গে দেখা করে আলোচনার জন্য। তারপর সাড়ে ৭টায় বলেন সব সাংসদ দেখা করবেন। আমি সেটারও ব্যবস্থা করি। তারপর মহুয়া মৈত্র বলেন, একা দেখা করবেন। আমি তারপর বলি কারও সঙ্গে একা দেখা করব না। ডেলিগেট টিমের সঙ্গে দেখা করব। তারপর ৮টায় বলা হয় সব সাংসদরা আসবেন। আমি বলি সেটাই করুন। কিন্তু ৮টা ২০তে আবার বলেন জনতার সঙ্গে দেখা করতে হবে আগে। আমি বলি, আগে আপনাদের ডেলিগেটের সঙ্গে দেখা করব। তারপর জনতার সঙ্গে দেখা করব। যেভাবে আমার নামে মিথ্যা বলেছেন, আমাকে ভিডিয়ো করতে হয়েছে। বলা হয়েছে, আমি নাকি পিছনের গেট দিয়ে চলে গিয়েছি। আমি ৪ নম্বর গেট দিয়েই বরাবর যাতায়াত করি। আমার মনে হচ্ছে মিথ্যাটাই এই সরকারের বুনিয়াদ।” 

    ইউপিএ জমানার তুলনায় বেশি বরাদ্দ

    তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দলকে জমিদারদের পার্টি বলা হচ্ছে। আমাদের দল জমিদারদের দল নয়, প্ল্যাটফর্মের চা বিক্রেতার পার্টি হল বিজেপি। আমাদের সরকার গরিব মানুষকে সব দিয়েছে। আর আমাকে বলছে, আমি মিথ্যেবাদী? মহুয়া মৈত্র, যে দলে তুমি আছো মিথ্যার ভিত্তিভূমি থেকে তার উৎপত্তি’। শনিবার কলকাতায় এই সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যকে দেওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের খতিয়ান তুলে ধরেন নিরঞ্জন জ্যোতি (Sadhvi Niranjan Jyoti)। দাবি করেন, ইউপিএ জমানার তুলনায় পশ্চিমবঙ্গকে কয়েক গুণ বেশি বরাদ্দ দিয়েছে মোদি সরকার। পরিসংখ্যান তুলে ধরে সাধ্বী জানান, “২০১৪-র পর ৪৫ লক্ষ বাড়ি আমরা দিয়েছি আবাস যোজনায়। ইন্দিরা আবাস যোজনায় অ্যাপ্রুভ হওয়া ১০ লক্ষের বেশি ঘর আমরা তৈরি করেছি। কোভিডের পর থেকে এই রাজ্যের ৬ কোটি ২ লক্ষ মানুষকে বিনামূল্যে চাল দিয়ে আসা হচ্ছে। ৩৯,৭১০০টন চাল দেওয়া হয়েছে।”

    আরও পড়ুন: “নিজেকে বাঁচাতে পরিবারকে চোর সাজাচ্ছেন”, অভিষেককে খোঁচা শুভেন্দুর

    ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম

    কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী (Sadhvi Niranjan Jyoti)  জানান, “আমি আজ কলকাতায় এসেছি। ওরা যেখানে বলবে সেখানে কথা বলতে আমি প্রস্তুত। কিন্তু ওদের কথা বলার কেউ নেই। আসলে মুখুমুখি বসলে চুরি ধরা পড়ে যাবে।” তাঁর কথায়, “মনরেগায় ঘোটালা হয়েছে। মনরেগার টাকা আটকালে তো প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকাও আটকানো হত। ৫৪০০ কোটি দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর সময়। আর মোদী সরকার ১১০০০ কোটি দিয়েছে গত ৯ বছরে। মহিলাদের মাত্র ৬০০ কোটি ঋণ দেওয়া হয়েছিল ইউপিএর আমলে। আর মোদী সরকারের সময়, ৭৪০০০ কোটি টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে। ১১ লক্ষ  বাংলার মহিলা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিয়ে কাজ করছেন মোদী সরকারের সময়। এই সব কারণেই ওরা আলোচনা করার বদলে পালিয়ে যান। কারণ দুর্নীতি ছাড়া কথা বলার আর কোনও বিষয় ছিল না। আমি আড়াই ঘণ্টা বসেছিলাম। আজও এসেছি। আমি ভয় পেলে কলকাতায় কেন আসতাম? তথ্যপ্রমাণ নিয়ে সচিবকে নিয়ে আসুন। বাংলার মানুষকে বঞ্চিত হতে দেব না। কথা দিচ্ছি। কিন্তু ভুয়ো জব কার্ড যাদের দেওয়া হয়েছে, তাঁদের তো বের করতেই হবে।” 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: “রাজভবনের বাইরে ১৪৪ ধারা থাকার কথা”, অভিষেকের ধর্নাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজভবনের বাউন্ডারির বাইরে ১৫০ মিটার পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা। সেখানে কীভাবে তৃণমূল মঞ্চ বেঁধে অবস্থান করছে, তা নিয়েই প্রশ্ন তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের এই কর্মসূচিকে ‘সস্তার রাজনীতি’ বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি। আঞ্চলিক দল তৃণমূল পশ্চিমবঙ্গে গণতন্ত্রের এক একটি স্তম্ভকে পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করছে, বলেও দাবি করেন শুভেন্দু।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা

    সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “পুলিশের সহযোগিতায় তারা ১৪৪ ধারা জারি থাকা চত্বরে শুধু মিছিলই করেনি, একইসঙ্গে সেখানে ক্যাম্পও বানিয়ে ফেলেছে।”এক্স হ্যান্ডেলে বিরোধী দলনেতা  শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান, রাজ্যপালের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হচ্ছে এই সস্তার রাজনৈতিক নাটকের জন্য। আর পুলিশ এই কাজে সাহায্য করছে।” প্রসঙ্গত, রাজ্য রাজনীতিতে এখন ‘জমিদারি’ শব্দটি নিয়ে ব্যাপক চর্চা হচ্ছে। তৃণমূলের মুখে শোনা যাচ্ছে ‘জমিদারি’, রাজ্যপালের বিবৃতিতেও ব্যবহার হচ্ছে ‘জমিদারি’। এবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও ‘জমিদারি’ নিয়ে খোঁচা দিলেন রাজ্যের শাসক শিবিরকে।

    অভিষেকদের এই আন্দোলনকে অগণতান্ত্রিক বলে কটাক্ষ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজধানী দিল্লি থেকে রাজভবন চলোর ডাক দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গতকাল রাজভবনে ছিলেন না রাজ্যপাল। উত্তরবঙ্গ এবং সিকিমের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে তিনি চলে যান উত্তরবঙ্গে। সম্প্রতি তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড ঘোষণা করেন রাজ্যপাল যতক্ষণ না তাঁদের সঙ্গে দেখা করছেন ততক্ষণ অবস্থান বিক্ষোভ চলবে । সূত্রের খবর দিল্লিতে আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    CV Ananda Bose: ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়’’, তৃণমূলের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘জমিদারি’ কটাক্ষের জবাব দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। রাজ্যপালের কথায়, ‘‘মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। গ্রামে গ্রামে পৌঁছে যাওয়ার অর্থ তৃণ মূলে পৌঁছে যাওয়া। তৃণমূল কি তাহলে অন্যদের তৃণ মূলে পৌঁছতে বাধা দিতে চায়? কিসের ভয় তাদের? তারা কি নিজেদের জমিদারি হারানোর ভয় পাচ্ছে?’’

    রাজ্যপালের কড়া জবাব

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার বিশাল মিছিল করে আজ রাজভবন অভিযান করেছে তৃণমূল। রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) তখন ঘুরে দেখেছেন উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস দিল্লিতে কাজে ব্যস্ত থাকলেও, রাজ্যের মানুষের কষ্টের কথা শুনেই বাংলায় ফিরেছেন। উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে দিল্লি থেকে সোজা সেখানে যান তিনি। বন্যা দুর্গতদের পাশে দাঁড়িয়ে ফের দিল্লি ফিরে যান তিনি। রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাজধানীতে তাঁর কর্মসূচি রয়েছে। রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক রাজ্যপালের (CV Ananda Bose) উত্তরবঙ্গ সফরকে কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘বন্যাবিধ্বস্ত এলাকায় রাজ্যপাল পর্যটক হিসাবে যাচ্ছেন।’’ সেচমন্ত্রীর প্রতি রাজ্যপালের উত্তর, ‘‘মানুষ যেখানে কষ্ট পাচ্ছেন, আমি সেখানে যাব। উনি অন্তত পর্যটক হিসাবে হলেও এখানে থাকতে পারতেন। এখানে এলে উনি বুঝতেন, এখানে রাস্তা নেই। রাস্তা সব ভেসে গিয়েছে। আমি যখনই শুনেছি আমার লোকেরা বন্যায় কষ্ট পাচ্ছে, আমি সঙ্গে সঙ্গে বিমানে চেপে যত দ্রুত সম্ভব সেখানে পৌঁছে গিয়েছি। সেদিক থেকে দেখতে গেলে, হ্যাঁ আমি উড়ে গিয়েছি সেখানে।’’

    আরও পড়ুন: সীমাহীন দুর্নীতি একশো দিনের কাজে, ২৫ লাখ ভুয়ো জব কার্ডে কত টাকা আত্মসাৎ?

    নব্যজমিদারি অভিমত বোসের

    অভিষেকের কটাক্ষের জবাবে রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) বলেন, ‘‘জমিতে বা মাটির কাছাকাছি পৌঁছনো জমিদারি নয়। বরং, জমিতে না নেমে শহরের বিলাসী আস্তানায় বসে কৃষকদের নিয়ন্ত্রণ করা হল নব্যজমিদারি। রাজ্যপালের কাছে এই মাটি এবং তার মানুষ পবিত্র।’’ আর তৃণমূলের এই বিক্ষোভের বিরোধিতা করে রাজ্যপাল বোসের বার্তা, ‘ঘেরাও নয়, ঘরে আসুন’। বরাবরই আলোচনা করে সমস্যা সমাধানের পক্ষপাতী রাজ্যপাল। 

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    Mohan Bhagwat: মোহন ভাগবতের উপস্থিতিতে কেশব ভবনে বিক্ষোভ তৃণমূলের, রিপোর্ট চাইল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) প্রধান। সংগঠনের কাজে এসেছিলেন কলকাতায়। ছিলেন আরএসএসের দফতর কেশব ভবনে। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্বের হেনস্থার প্রতিবাদে রাত ১২টা নাগাদ বিক্ষোভ দেখানো হয় কেশব ভবনের সামনে। এখানেই তখন ছিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। খবর পেয়ে দ্রুত পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সংক্রান্ত রিপোর্ট পাঠানো হল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্ত্রকে।

    কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ

    সোম ও মঙ্গলবার কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে ধর্না দেয় তৃণমূল। সেখানে অভিষেক সহ তৃণমূলের শীর্ষ নেতাদের আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় মুখার্জিনগর থানায়। তার জেরে বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয় কেশব ভবনের সামনেও। মোহন ভাগবত (যে ঘটনার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগ ছিল না) যেখানে রয়েছেন, সেই কেশব ভবনে বিক্ষোভের খবর পৌঁছায় কলকাতায় থাকা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকদের কাছে। দ্রুত রিপোর্ট তলব করে অমিত শাহের মন্ত্রক।

    দ্রুত রিপোর্ট তলব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সেই নির্দেশে বলা হয়, ওই রাতেই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে রিপোর্ট পাঠাতে হবে। নির্দেশ পেয়ে রাতেই গোয়েন্দা আধিকারিকদের কয়েকজন চলে যান কেশব ভবনে। খতিয়ে দেখেন পরিস্থিতি। কেশব ভবনের দায়িত্বে থাকা কর্তাব্যক্তিদের সঙ্গে তাঁরা যেমন কথা বলেন, তেমনি কথা বলেন রাজ্য প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গেও। রাতেই দিল্লিতে পাঠানো হয় বিস্তারিত রিপোর্ট। উল্লেখ্য, হাতে গোণা য়ে কয়েকজন ভিভিআইপির নিরাপত্তা নিয়ে সর্বদা সতর্ক থাকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক, তাঁদেরই একজন হলেন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। ওই রাতে ভাগবতের নিরাপত্তাজনিত কোনও সমস্যা দেখা দিয়েছিল কিনা, তা খতিয়ে দেখতে রাতেই তলব করা হয়েছিল রিপোর্ট। 

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালকে ‘পর্যটক’ খোঁচা তৃণমূলের, পাল্টা খেললেন আনন্দ বোস, কী বললেন জানেন?

    প্রসঙ্গত, জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়ে থাকেন ভাগবত। তা সত্ত্বেও কীভাবে মধ্য রাতে কেশব ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হল, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমাদের রাজ্যে কোনও রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিক্ষোভ অথবা হামলা হলে আমরা প্রতিরোধ করব। কোনও বিশৃঙ্খলা হলে তার দায় তৃণমূলের। রাজনৈতিক কার্যালয়ে হামলা কিংবা বিক্ষোভ প্রদর্শন রাজনৈতিক শিষ্টাচারের পরিপন্থী (Mohan Bhagwat)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বাংলায়’’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘‘স্বাধীনতার পর সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বাংলায়’’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে দিল্লিতে প্রতিবাদ-আন্দোলনে করছে তৃণমূল কংগ্রেস। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙার চেষ্টা চালাচ্ছে তৃণমূল, দাবি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর কথায়, “মনরেগা প্রকল্পে ইউপিএ আমলে বাংলা পেয়েছিল ১৪ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। আর এনডিএ আমলে সেই বরাদ্দ বেড়ে হয়েছে ৫৪ হাজার কোটি টাকা।” কেন্দ্রের মঞ্জুর করা এত টাকা কোথায় গেল? প্রশ্ন শুভেন্দুর। নানান তথ্য সামনে রেখে তিনি দাবি করেন, “তৃণমূল নেতা-কর্মীদের পকেটেই গিয়েছে অধিকাংশ টাকা।” 

    স্বাস্থ্যসাথী ও জব কার্ড নিয়ে শুভেন্দু

    কেন্দ্রের বিরুদ্ধে রাজ্যে মিথ্যা প্রচার করা হয়, বলে জানান বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)তোপ, “আয়ুষ্মান ভারত বাংলায় চলতে দেওয়া হয় না। রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড দেশের অন্যান্য হাসপাতালে কাজ করে না। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য প্রকল্প নিয়ে রাজনীতি হয়।” ভুয়ো জব কার্ড নিয়েও রাজ্য সরকারকে চাঁচাছোলা আক্রমণ করেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “৩ কোটি ৮৮ লক্ষ জবকার্ড ইস্যু হয়েছিল। তার মধ্যে বাতিল হয়েছে ১ কোটি ৩২ লক্ষের বেশি ভুয়ো জব কার্ড। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় সবচেয়ে বেশি ভুয়ো জবকার্ড। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে, নয়ছয় হয়েছে টাকা। মনরেগা প্রকল্পের সেকশন ২৭ অনুযায়ী কেন্দ্র কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে।”  

    আবাস যোজনায় দুর্নীতি

    শুভেন্দুর দাবি, “সব রাজ্যের মতো, পশ্চিমবঙ্গেও আবাস যোজনার টাকা পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকায় অসংখ্য ভুয়ো নাম রয়েছে। এই ভুয়ো নামের তালিকা আমি কৃষি ও গ্রামন্নোয়ন দফতরে পাঠিয়েছি। তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানদের সঙ্গে প্রশাসনিক প্রধানদের আঁতাঁতে এই দুর্নীতি হয়েছে।”

    ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতি

    এদিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে নানান তথ্য তুলে ধরে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকে বাংলায় সবচেয়ে বড় দুর্নীতি হয়েছে তৃণমূলের আমলে। ১০০ দিনের কাজে দেশ সবচেয়ে বড় দুর্নীতির হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাবেন বলে জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দুর অভিযোগ, “বিদেশে পাচার হয়েছে দুর্নীতির টাকা। বাংলার শাসকদলের তিনটি এজেন্ডা পরিবারতন্ত্র-দুর্নীতি-তোষণ।” 

    মিথ্যার রাজনীতি তৃণমূলের

    এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের আগে হারিয়ে যাওয়া জনসমনর্থন ফিরে পেতে এই নাটক করছে তৃণমূল। দিল্লিতে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। আঞ্চলিক দল তৃণমূল দেশের রাজধানীতে মিথ্যা দাবি নিয়ে রাজনৈতিক কর্মসূচি করছে। জাতীয় স্তরে ওদের এই আন্দোলনের কোনও প্রভাব পড়েনি। প্রভাব পড়েনি পশ্চিমবঙ্গেও। মিথ্যা অভিযোগ নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: ‘‘আজ তলবে সাড়া দেবেন না, ইডিকে আগে জানাননি কেন?’’ অভিষেকের আইনজীবীকে প্রশ্ন হাইকোর্টের

    এদিন সন্ধেয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করবেন শুভেন্দু। বাংলার রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে শাহকে তথ্য দেবেন তিনি। কয়লামন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশীর সঙ্গেও বৈঠক রয়েছে। তৃণমূল যেমন কৃষিভবনের উদ্দেশে রওনা দেবে, শুভেন্দুও কৃষি ভবনে গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন সেখানে। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে অনিয়মের অভিযোগে সাধ্বী নিরঞ্জনকে স্মারকলিপি দেবেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    Delhi Police: লাঠি উঁচিয়ে দিল্লি পুলিশ! তড়িঘড়ি রাজঘাট ছাড়লেন অভিষেক ও তাঁর দলবল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় বঞ্চনার প্রতিবাদে বাজার গরম করতে রাজঘাটে ধরনায় বসে ছিলেন তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অবস্থান কর্মসূচির কোনও লিখিত অনুমতি ছিল না, তাই ধরনার মাঝপথেই লাঠি উঁচিয়ে তেড়ে এল দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। আর এতেই বেআইনি জমায়েত ছত্রভঙ্গ হল তৃণমূলীদের। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে এদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী এসে তৃণমূল কর্মীদের সরানোর তোড়জোড় শুরু করে, তখনই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় রাজ্যের শাসক দলের কর্মীদের। সেই সময়ে বাধ্য হয়ে জায়গা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

    লাঠি উঁচিয়ে পুলিশ

    তৃণমূল দাবি করছে যে সাংবাদিক বৈঠকও করতে দেওয়া হয়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তার আগেই জোর করে গাড়িতে তুলে রাজঘাট থেকে নাকি বের করে দিয়েছে তাঁকে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। শাসকদলের নেতৃত্বের এহেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘বাংলার বাঘ দিল্লিতে ইঁদুর।’’ এ নিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড দিন কমান্ডের বক্তব্য, ‘‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবেই ধরনায় বসে ছিলাম কিন্তু পুলিশ (Delhi Police) এসে আমাদের এখান থেকে উঠে যেতে বলে। অনুমতি ছাড়া যে রাজঘাট এভাবে অবরোধ করে রাখা যায়না, তা কি জানেনা রাজ্যের শাসক দল! প্রশ্ন বিভিন্ন মহলের। দিল্লির পুলিশ এবং সিআরপিএফ অবশ্য তৃণমূল নেতৃত্বকে বলতে থাকে যে রাজঘাটে এভাবে ধরনায় বসার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। তাতেও কর্ণপাত না করাতে এই সক্রিয় হয় প্রশাসন।

    শুভেন্দু অধিকারীর কটাক্ষ

    কলকাতাতে বিজেপির কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন শুভেন্দু। সাংবাদিকরা তৃণমূলের দলীয় কর্মসূচি নিয়ে প্রশ্ন করতেই নন্দীগ্রামের বিধায়কের জবাব, ‘‘বিক্ষোভ করতে গিয়েছিল ওরা। ২০ মিনিট পরই লাঠি উঁচিয়েছে সিআইএসএফ আর দিল্লি পুলিশ (Delhi Police)। সকলে চলে গিয়েছে। ওরা বাংলায় বাঘ, সিংহ। দিল্লিতে লাঠি দেখাতেই ইঁদুর।’’ শুভেন্দুর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা ব্যানার্জী টাকা চুরি করেছে, তাই যাননি। প্রশ্ন তুলুন ১ কোটি ৩০ লাখ ভুয়ো জবকার্ডগুলো কোথায়?’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share