Tag: tmc

tmc

  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম বাংলা ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায় রয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের (TMC) অনেকেই। সেই সূত্রেই এবার সিবিআই তলব করল তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে। ৩১ অগাস্ট বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের তরফে ইতিমধ্যেই সুজিতকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    সিবিআইয়ের তল্লাশি

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সূত্রেই ডেকে পাঠানো হয়েছে সুজিতকে। কারণ মন্ত্রী হওয়ার আগে সুজিত (TMC) ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান। ২০১৬ সালে ওই পদে ছিলেন তিনি। সেই সময় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অনুমান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের।

    সিবিআইকে কী জানালেন অয়ন?

    ১৯ মার্চ গ্রেফতার হন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানেও খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি। বহাল থাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে তা সফল করেছি’’, বললেন মোদি

    এদিকে, সম্প্রতি ফের (TMC) নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। সোম ও মঙ্গলবার তারা হানা দিয়েছিল নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে। ইডির দাবি, এই সংস্থার সিইও ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিরেক্টর ছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়ের মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিবিরহাটের সাজুয়া এলাকায় প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের শামিমা শেখের স্বামী ও তৃণমূল নেতা রমজান শেখের আবাসন প্রকল্পেও হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    PM Modi: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার এই সম্মেলনে মোদির মুখে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শোনা গেল বাংলার শাসকদলের কড়া সমালোচনা। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে গত ৮ জুলাই শুধু খুনোখুনি, ভোটলুট এবং বিরোধীদের উপর অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মোদি।

    বাংলার বিজেপি কর্মীদের কুর্নিশ

    শনিবার বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ’ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কার্যকর্তারা ভারতমাতার জন্য, পশ্চিমবঙ্গের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, পশ্চিমবঙ্গের ভাইবোনের জন্য সংঘর্ষ করছেন, তা এক প্রকার সাধনার সমান। নিজেদের তিল তিল করে নিংড়ে যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের পুরনো বৈভব ফেরানোর চেষ্টা করছেন, তা কুর্নিশযোগ্য।’’ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা (Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের কর্মীদের ক্ষমতা ও কাজের এক্তিয়ার বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  বলেন, “জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ রাজ্যের ক্য়াবিনেটের থেকেও বেশি ক্ষমতা রাখেন, অনেক কাজ করতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    ভোট প্রহসন তূণমূলের

    প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতেও দেওয়া হয়নি। হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে পঞ্চায়েত স্তরের বিজেপি নেতা-কর্মীদের। ভয়ে কেউ কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘শুধু যে বিজেপি কার্যকর্তাদের ধমকেছে এমন নয়, ভোটারদেরও ভয় দেখিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের যে সমর্থক এবং তাঁদের আত্মীয় আছেন, তাঁদেরও বাঁচা মুশকিল করে দেওয়া হয়েছে। আর তার পর ভোটের সময় ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। তখন তোলাবাজদের ফৌজ ছাপ্পাবাজের ফৌজ হয়ে যায়। সব গুন্ডাদের ভাড়া করা হয়, কী ভাবে এবং কোন কোন বুথ কে দখল করবেন তা ঠিক করে ফেলা হয়। তার পর ভোটের মেশিন নিয়ে পালানো… এবং এখানেই শেষ নয়। ভোটগণনার সময়েও বিজেপির কার্যকর্তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের গণনাকেন্দ্রের কাছে থাকতে না দেওয়া— এত জুলুমের পরেও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছেন।’’ 

    শনিবারই জি২০-র দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতি সম্পদের ব্যবহারকে প্রভাবিত করে। বাজারকে বিকৃত করে। পরিষেবা সরবরাহকে প্রভাবিত করে এবং শেষ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের রোষের মুখে পড়ল তৃণমূল (TMC) কার্যালয়। বুধবার দুপুরে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের মিছিলকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তির অভিযোগ। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিল আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের সদস্যরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার ভবানীপুর-১ নম্বর অঞ্চলের শ্যামনগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঝাড়গ্রামের মঞ্চে আদিবাসী সমাজের কল্যাণে বক্তব্য রাখছেন, ঠিক সেই সময় ডেবরার শ্যামনগর গ্রামে আদিবাসী সমাজের মানুষেরা আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে একটি মিছিলের আয়োজন করেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল পার্টি অফিসে বেশ কয়েকজন তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থক বসেছিলেন। পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে আদিবাসীদের মিছিল যাওয়ার সময় পার্টি অফিসে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা মিছিলে যোগ দেওয়া আদিবাসীদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেন। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিছিলে থাকা আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই তৃণমূল কর্মীরা পার্টি অফিসে ছেড়ে দৌড়ে পালান। পরে, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে।

    কী বললেন আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের নেতা?

    আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের তারাপদ সিং বলেন, এদিন আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আদিবাসী সমাজের মানুষ শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের (TMC) ওই কার্যালয় থেকে কয়েকজন আদিবাসীর নাম করে নানা কটূক্তি করেন। যা আমাদের সমাজের সদস্যদের চরম অসন্মান করা হয়। এতেই কিছু সদস্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ওই কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে, আগুন ধরিয়ে দেয়। যে বা যারা আমাদের উদ্দেশ্য করে নানা কটূক্তি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের বিরুদ্ধে যতদূর যেতে হয় তা আমরা যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri Byelection: ধূপগুড়ির উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর, ঘোষণা করল কমিশন

    Dhupguri Byelection: ধূপগুড়ির উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর, ঘোষণা করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর কয়েকদিনের মধ্যে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (Dhupguri byelection) দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গত ২৫ জুলাই ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হয়। জানানো হয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের গণনা। ১৭ অগাস্ট ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমার শেষ দিন।

    উপনির্বাচনের খুঁটিনাটি

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় এসে অসুস্থ হন বিজেপি বিধায়ক  বিষ্ণুপদ রায়। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ওই আসনে ফের উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। অবশেষে সেই তারিখ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে ওই আসনে। ৮ তারিখ বেরোবে ফলাফল।

    নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৭ অগাস্টের মধ্যে নমিনেশন ফাইল করা যাবে উপনির্বাচনে (Dhupguri byelection) দাঁড়াতে হলে। নমিনেশন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ২১ অগাস্ট। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৭৭ জন বিধায়ককে পেয়েছিল বিজেপি। এটাই বাংলায় বিজেপির সর্বোচ্চ বিধায়ক প্রাপ্তির রেকর্ড ছিল। বিষ্ণুপদ রায় গত বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি থেকে জয়ী হয়েছিলেন ৪৩৫৫ ভোটে। এই আসন ধরে রাখার বিষয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। সদ্যই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন যে ধূপগুড়িতে বিষ্ণুপদ রায়ের স্ত্রীকেই প্রার্থী করতে আগ্রহী দল। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    মঙ্গলবার, কমিশনের তরফে ৬ রাজ্যে ৭ টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়। যে সমস্ত রাজ্যে এই উপনির্বাচন (Dhupguri byelection) ঘোষণা হয়েছে, সেই রাজ্যগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, কেরলা, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড। ওই একই দিনে উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর, উত্তর প্রদেশের ঘোসি, ত্রিপুরার বক্সানগর, ধানপুর, কেরলের পুথুপল্লী, ঝাড়খণ্ডের ডুমরিতে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেদিন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার ধানপুর আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ছিলেন বিধায়ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার নেওয়ার আগে তিনি আসনটি ছেড়ে দেন। তারফলে সেই আসনেও হতে চলেছে উপনির্বাচন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Behala Road Accident: শিশুমৃত্যুর জের! বেহালা চৌরাস্তাকে হকারমুক্ত করতে নামল বুলডোজার 

    Behala Road Accident: শিশুমৃত্যুর জের! বেহালা চৌরাস্তাকে হকারমুক্ত করতে নামল বুলডোজার 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেহালা চৌরাস্তায় ট্রাকের ধাক্কায় শিশু মৃত্যুর (Behala accident) পর রাতারাতি বদলে গিয়েছে বেহালার রাস্তার চিত্র। রাস্তায় জায়গায় জায়গায় বসেছে পুলিশি পাহারা, বসানো হয়েছে ড্রপগেট। তার পাশাপাশি এবার রাস্তার দুপাশের হকারদের সরিয়ে দিয়ে রাস্তা চওড়া করার কাজও শুরু হল (Behala Hawker eviction)।  রবিবার রাত থেকেই বেহালা চৌরাস্তায় নেমেছে বুলডোজার। ইতিমধ্যেই দু’ফুট করে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে রাস্তায় বসা হকারদের। বহু গুমটি তুলে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অনেক গুমটি মালিকের খোঁজ না মেলায় বুলডোজার দিয়ে সেগুলি তুলে নেওয়া হয়েছে। রাতভর চলেছে এই কাজ।

    বেহালার রাস্তায় বুলডোজার

    গত শুক্রবার বেহালা চৌরাস্তা এলাকায় পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে সাত বছরের শিশু সৌরনীল সরকার। তারপর নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। এতদিন তাদের চোখ বন্ধ ছিল বলে দাবি, স্থানীয়দের।  ফুটপাথের দু’পাশ থেকে বেআইনি নির্মাণ এবং দোকান ইত্যাদি ভাঙার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জনসাধারণের চলাচলের পরিসর প্রশস্ত করার জন্য। সেই মর্মে প্রশাসনিক পদক্ষেপও করা হচ্ছে। সূত্রের খবর, প্রশাসনিক পদক্ষেপের এই পর্যায়ে ভাঙা পড়তে পারে ‘বেআইনি ভাবে’ তৈরি ফুটপাথ লাগোয়া পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ‘এসি রুম’। 

    ভাঙা পড়তে চলেছে পার্থের কার্যালয়

    তার মৃত্যুতে বেহালার জনতার ক্ষোভের আঁচ পৌঁছেছে চরমে। সেই ক্ষোভ প্রশমিত করতে উঠেপড়ে লেগেছে প্রশাসন।গত কয়েক দিনের ঘটনাক্রম তেমনই বলছে। কলকাতা পুলিশ এবং কলকাতা পুরসভা একযোগে বেহালার ডায়মন্ড হারবার রোডের ফুটপাথ লাগোয়া অংশে বেআইনি ভাবে তৈরি যাবতীয় নির্মাণ ভাঙতে উদ্যোগী হচ্ছে। সেই সূত্রেই বেহালা ম্যান্টনের কাছের ফুটপাথে বিধায়ক তথা প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থের বসার যে বাতানুকূল ঘরটি রয়েছে, সেটি নজরে এসেছে প্রশাসনের। তার পরেই সেটি ভাঙার বিষয়ে ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে প্রশাসন। 

    আরও পড়ুন: “নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট যেত মুখ্যমন্ত্রীর কাছে”! আদালতে বোমা ফাটালেন পার্থ

    ২০২২ সালের জুলাইয়ে শেষ বার নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে এসে ওই বাতানুকূল ঘরটিতেই বসেছিলেন তিনি। ২০২২ সালের ২৩ জুলাই পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর বিধায়ক কার্যালয় খোলা হলেও ওই ঘরটি আর খোলা হয়নি। তবে সেটি পরিচ্ছন্ন রাখা হত। এ প্রসঙ্গে বিজেপি নেত্রী রাখী চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, ‘‘শাসকদলের এত বড় একজন নেতা হয়ে দিনের পর দিন বেআইনি কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বেহালার আইন সচেতন মানুষ সকলেই জানতেন, তাঁর ওই বসার জায়গাটি বেআইনি ভাবে তৈরি। এ ছাড়াও বেহালা ম্যান্টনের ওই ফুটপাথ এবং ডায়মন্ড হারবার রোডের বড় একটা অংশ পার্থবাবু ও তাঁর অনুগামীদের জন্য গার্ড রেল দিয়ে ঘিরে রাখতে পুলিশ। ক্ষমতায় আছেন বলে কেউ মুখ খুলত না। এ সব কাজ দিনের পর দিন হয়েছে বেহালার মানুষের চোখের সামনে। আমরা সবাই তখন চোখ বুজে ছিলাম। গরিব মা-বাবার সন্তানকে প্রাণ দিয়ে আমাদের চোখ খোলাতে হয়েছে। এটা আমাদের মতো বেহালাবাসীদের কাছে লজ্জার। এমন আরও অনেক কাজ পার্থবাবু বেহালায় করে গিয়েছেন, যা দিনে দিনে প্রকাশ পাবে।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    Abhishek Banerjee: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জড়াল অভিষেকের নাম, শিরোনামে তৃণমূল কর্তার সংস্থাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে সরাসরি নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee)। শুক্রবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকুর বিরুদ্ধে ইডি যে চার্জশিট পেশ করেছে, তাতে নাম রয়েছে তৃণমূল নেত্রীর ভাইপোর। কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে টাকা গিয়েছে বলেও চার্জশিটে জানিয়েছে ইডি।

    ইডির স্ক্যানারে অভিষেকের সংস্থা

    জানা গিয়েছে, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বাবা-মা পরিচালিত তিনটি সংস্থা বর্তমানে বহু কোটি টাকার কয়লা চোরাচালান কেলেঙ্কারির তদন্তে ইডির স্ক্যানারে রয়েছে। এই তিন সংস্থায়ই তাঁরা পরিচালক কিংবা মনোনীত অংশীদার হিসেবে যুক্ত। এই তিনটি সংস্থা হল, লিপস অ্যন্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেড, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ইনফ্রা কনসালট্যান্টস প্রাইভেট লিমিটেড এবং লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস ম্যানেজমেন্ট সার্ভিসেস এলএলপি। এই তিনটি সংস্থাই নিবন্ধিত একই ঠিকানায়। ঠিকানাটি হল, পি ৭৩৩, ব্লক পি, নিউ আলিপুর, কলকাতা, পশ্চিমবঙ্গ ৭০০০৫৩।

    শেল কোম্পানি হিসেবে ব্যবহার 

    ইডি সূত্রে খবর, কয়লা কেলেঙ্কারির চাঁই অনুপ মাঝি ওরফে লালার মালিকানাধীন একটি রিয়েল এস্টেট কোম্পানি থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করা হয়েছে ৪.৩৭ কোটি টাকা। শেল কোম্পানি হিসেবে এই সংস্থাগুলিকে টাকা সরানোর জন্য ব্যবহার করা হতে পারে বলে অনুমান তদন্তকারীদের। কেন্দ্রীয় কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রকের অধীনে রেজিস্ট্রার অফ কোম্পানিজের রেকর্ড অনুসারে ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে পর্যন্ত অভিষেক (Abhishek Banerjee) নিজেই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস প্রাইভেট লিমিটেডের একজন পরিচালক ছিলেন। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ায় কোম্পানি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কোম্পানির সঙ্গে যুক্ত অভিষেকের মা লতা। অভিষেকের বাবা অমিত যোগ দিয়েছিলেন ২ জানুয়ারি, ২০১৪।

    আরও পড়ুুন: “ইন্ডিয়া নয়, বিরোধী জোটকে ডাকুন ঘমন্ডিয়া নামে”, এনডিএ সাংসদদের বৈঠকে পরামর্শ মোদির

    ২০১৩ সালেই এই কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের দিকে আঙুল তুলেছিলেন সিপিএম নেতা গৌতম দেব। পরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকে নিশানা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও তাক করেছেন অভিষেকের ওই সংস্থাকে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। চার্জশিটে ইডিরও অভিযোগ, কালীঘাটের কাকুর সংস্থা থেকে টাকা গিয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে।

    ২০২০ সালে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি সংস্থার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের একটি চুক্তি হয়। এরপর সুজয়কৃষ্ণের সংস্থা থেকে অভিষেকের সংস্থায় প্রায় এক কোটি টাকা পাঠানো হয় বলে জানানো হয়েছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিস থেকেই এসডি কনসালটেন্সির কাজকর্ম পরিচালনা করার পাশাপাশি তার বিনিময়ে বিপুল অঙ্কের টাকা লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে গিয়েছে বলেও দাবি ইডির। ইডি সূত্রে খরব, কলকাতার লি রোডে মেয়ে-জামাইকে আড়াই কোটি মূল্যের একটি ফ্ল্যাট কিনে দিয়েছিলেন কালীঘাটের কাকু।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন নুসরতের নাম জড়ানো সংস্থার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’রা

    Suvendu Adhikari: শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করলেন নুসরতের নাম জড়ানো সংস্থার মাধ্যমে ‘প্রতারিত’রা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট বিক্রির নাম করে অগ্রিম টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে। যাঁরা এই অভিযোগ তুলেছেন, সেই সব প্রবীণ সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর সঙ্গে বৈঠকের পর অনেকটাই আশ্বস্ত প্রতারণার অভিযোগ তোলা প্রবীণ নাগরিকরা। প্রায় ৩০-৫০ জন শুভেন্দুর সঙ্গে দেখা করেন। 

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    অভিযোগকারীদের বক্তব্য, এতদিন ধরে সংস্থার কর্তারা তাঁদের শুধুই ঘুরিয়ে গিয়েছেন। এর পাশাপাশি সংস্থার তরফে ২২২ জনকে টাকা ফেরত দেওয়ার যে দাবি করা হচ্ছে, সেটাও পুরোটা ফেরত দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। এখন দশ বছর পেরিয়ে সেই টাকা সুদে-আসলে অঙ্কটা অনেকটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতারিত অভিযোগকারীরা চাইছেন, সেই সুদ-সহ টাকা ফেরত পেতে। যাঁরা তাঁদের সঙ্গে এই প্রতারণা করেছেন বলে অভিযোগ, তাঁদেরও উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রবীণ নাগরিকরা।

    আরও পড়ুুন: বাফার জোন টপকে এলোপাথাড়ি গুলি মণিপুরে, সংঘর্ষে মৃত ৩, পুড়ে খাক ঘরবাড়ি

    পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি শুভেন্দুর

    কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশে নয়, মানবিকতার খাতিরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বৈঠক শেষে শুভেন্দু অধিকারী বলছেন, ‘মোট ৪১৫ জন প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগ। মোট টাকার অঙ্ক ২৩ কোটি। ৩৩০ জন মিলে একটি ফোরাম তৈরি করেছেন। আমি ওনাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথাবার্তা বলেছি। ওনারা চান, প্রতারকদের শাস্তি হোক এবং ওনাদের মেহনতের টাকা অন্তন্ত ব্যাঙ্কের সুদ-সহ যাতে ওনারা ফেরত পান।’ বিরোধী দলনেতা জানান, আইনি লড়াই প্রবীণ নাগরিকরা যেভাবে চালাচ্ছেন, সেভাবে চালাবেন। তিনিও বিরোধী দলনেতা হিসেবে দেখবেন যাতে তাঁদের সেই আইনি লড়াইয়ের পথ সুগম হয়। শুভেন্দুর কথায়, ‘‘প্রতারিত’দের আইনি লড়াইয়ে বিজেপি সব রকম ভাবে সাহায্য করবে। এখনও পর্যন্ত যা যা পদক্ষেপ করেছেন, সবই আমার নজরে রয়েছে। যোগাযোগও রাখছি। শাসকদলের হাতে যাঁরা অত্যাচারিত, তাঁদের পাশে বিশ্বাসযোগ্য বিরোধী দল হিসাবে দাঁড়াবে বিজেপি।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের লোকেরা ব্যালট খেতে পারে, ইভিএম পারবে না’’, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে ইভিএম হ্যাক করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি (Bharatiya Janata Party), সম্প্রতি এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। শুক্রবার এর পাল্টা দাবি করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘যে মুখ্যমন্ত্রী পুরসভা-কর্পোরেশন ভোট ভিভিপ্যাট ছাড়াই ইভিএমে করেন তাঁর মুখে এসব মানায় না। তিনি নিজেই পুরসভা-কর্পোরেশনে ইভিএমে ভোট করেন। সেখানে ভিভিপ্যাট ছিল না। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানেন, তাঁর লোকেরা ব্যালট খেয়ে ফেলতে পারে, ইভিএম খেয়ে ফেলতে পারবেন না। এত বড়ো লিভার, এত বড়ো পেট কারও নেই।’’

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার মমতা বলেন, ‘‘ওরা (বিজেপি) এখন থেকে প্ল্যানিং করছে। ইভিএম হ্যাক করার চেষ্টা করছে বলে শুনেছি। আমরাও কিছু প্রমাণ পেয়েছি। কিছু খুঁজছি। এটা নিয়ে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে আলোচনা হবে।’’ এরপরই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর এই অভিমত। সম্প্রতি রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট কারচুপি, ব্যালট পেপার চুরির অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা। শুভেন্দু অধিকারী এও বলেন, ‘‘ক্রমাগত বদলাতে থাকা রাজনৈতিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব ভীত ও সন্ত্রস্ত। রাজ্যে তৃণমূলের সীমাহীন বেলাগাম দুর্নীতির আঁচ মানুষ করতে পেরেছে। মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিচ্ছে। তাই নানান কথা বলা হচ্ছে।’’

    আরও পড়ুন: ‘‘পুলিশের কাজ ভোট লুট, টাকা তোলা’’, বেহালার ঘটনায় মমতাকেই দুষলেন শুভেন্দু

    কয়েকদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, তৃণমূলের থেকে সংখ্যালঘুরাও মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘সাগরদিঘি বিধানসভা উপনির্বাচনে অপ্রত্যাশিত হারের পরে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ক্রমশ লম্বা হতে থাকে। প্রায় ৬৭ শতাংশ সংখ্যালঘু অধ্যুষিত কেন্দ্রে যেখানে ২০২১ সালে শাসক দল ৫০,০০০ ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল, সেইখানে উপনির্বাচনে ২৩,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজয় তৃণমূলের সব হিসেব উল্টে দিয়েছে। এর পরে বিগত কয়েক মাস ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে সংখ্যালঘু রাজনৈতিক কর্মীদের শাসক দল ত্যাগ করা, দলবদল করা এবং সর্বশেষে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এত হিংসা, এত ছাপ্পা, রিগিং ও ভোট লুঠ সত্ত্বেও যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছেন, সেখানেও বহু জায়গায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ এবার তৃণমূলকে বর্জন করেছেন।’’

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    Nusrat Jahan: “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে দফায় দফায়, সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট নুসরতের”, দাবি বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ খারিজ করতে আজ, বুধবার ডেকেছিলেন সাংবাদিক বৈঠক। সাংবাদিকরা আগেভাগে হাজির হলেও, তৃণমূলের (TMC) নায়িকা সাংসদ নুসরত জাহান (Nusrat Jahan) এলেন নির্ধারিত সময়ের প্রায় পঁচিশ মিনিট পরে। নুসরতের উদ্দেশে প্রশ্নবাণ ধেয়ে আসতেই খানিক পরে মেজাজ হারান বসিরহাটের সাংসদ। সাংবাদিক বৈঠক মাঝপথে ফেলেই বেরিয়ে গেলেন। তার আগে অবশ্য তৃণমূল নেত্রী বললেন, “ঋণ নিয়েছিলাম, সুদ সহ ফেরত দিয়েছি।”

    নুসরতের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    প্রসঙ্গত, ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা নিয়েও ফ্ল্যাট না দিয়ে, ওই টাকায় নিজের নামে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ উঠেছে নুসরতের বিরুদ্ধে। তার জেরে অভিযোগকারীদের নিয়ে ইডির দ্বারস্থ হয়েছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। এরই জবাব দিতে এদিন সাংবাদিক বৈঠক নুসরতের। তৃণমূল নেত্রী (Nusrat Jahan) অভিযোগ অস্বীকার করলে কী হবে, চেক নম্বর দিয়ে শঙ্কুদেবের দাবি, “প্রতারণার টাকা সাইফন হয়েছে, দফায় দফায়। সেই টাকায়ই ফ্ল্যাট কিনেছেন নুসরত। ফ্ল্যাটের দলিলে কবে, কত টাকা নিয়েছেন, তাও জানিয়েছেন নুসরত।” নুসরতের গ্রেফতারির দাবিও জানিয়েছে পদ্ম শিবির।

    প্রতারণার নয়া ছক

    বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ, “এটাই প্রতারণার নয়া ছক। টাকা তুলব, সংস্থা থেকে ইস্তফা দেব, এভাবেই প্রতারণা।” বিজেপির প্রশ্ন, “অভিযোগ মিথ্যে হলে কেন আদালতে যাচ্ছেন না বসিরহাটের সাংসদ?” বিজেপির অভিযোগ, “ নুসরতের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছে, অথচ তাঁকে আড়াল করছে পুলিশ। এখন বলছেন ঋণ নিয়েছেন! নিজের সংস্থা থেকে নিজেই ঋণ নিয়েছেন! মামলা না করার জন্য অভিযোগকারীদের ওপর চাপ দেওয়া হচ্ছে কেন? কেন নথি দেখাতে পারলেন না?  কে ঋণ মঞ্জুর করল?  কোথায় সিদ্ধান্ত হয়েছে?”  

    আরও পড়ুুন: জাল নথি দিয়ে সেনায় চাকরি! পাক নাগরিক নিয়োগ মামলায় তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    নুসরত (Nusrat Jahan) প্রভাবশালী বলেই অভিযোগকারীরা টাকা ফেরত পাচ্ছেন না  বলে অভিযোগ। শঙ্কুদেবের অভিযোগ, “দফায় দফায় ৫ লক্ষ, ১১ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২৫ লক্ষ, ২০ লক্ষ, ৩৭ লক্ষ টাকা নিয়েছেন নুসরত। ১ কোটি ৯৮ লক্ষ টাকার ট্রানজাকশন হয়েছে। অথচ বলছেন ১ কোটি ১৬ লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন! কীভাবে?” বিজেপির দাবি, বকলমে সংস্থা নিয়ন্ত্রণ করেছেন বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    Sujay Krishna Bhadra: কালীঘাটে তৃণমূলের দফতরে বসেই চাকরি বিক্রি করতেন ‘কালীঘাটের কাকু’! দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালীঘাটে তৃণমূলের (TMC) পার্টি অফিসে বসেই চাকরি বিক্রির চক্র চালাতেন স্কুলে নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’ (Sujay Krishna Bhadra)। অন্তত এমনই অভিযোগ করা হয়েছে ইডির (ED) চার্জশিটে। সম্প্রতি দায়ের করা ইডির ওই চার্জশিটে দাবি করা হয়েছে, কালীঘাটের পার্টি অফিস থেকে যে চাকরি বিক্রির চক্র চলত, তদন্তকারীদের জেরায় তা কবুল করেছেন সুজয়কৃষ্ণ স্বয়ং।

    সুজয়কৃষ্ণের প্রতিপত্তি

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে জেল হেফাজতে থাকা প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতাও ছিল সুজয়কৃষ্ণের। সুজয়কৃষ্ণ (Sujay Krishna Bhadra) তদন্তকারীদের এও জানিয়েছেন যে, মূলত তাঁর সুপারিশেই ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে টিকিট পেয়েছিলেন মানিক। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে লেখা চিঠিও মিলেছে সুজয়কৃষ্ণের কাছে। নদিয়ার নাকাশিপাড়া থেকে মানিককে প্রার্থী করার অনুরোধ জানিয়ে অভিষেককে চিঠি লেখেন তৃণমূল কর্মীরা। সেই চিঠি তাঁরা পাঠান সুজয়কৃষ্ণের কাছে। কেবল মানিক নন, জেলা পরিষদে তৃণমূলের জ্ঞানানন্দ সামন্তকেও প্রার্থী করতে তদ্বির করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ।

    সুজয়কৃষ্ণের হাত দিয়েই হত চাকরি!

    ইডির চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণ বলেছেন, তাঁর কাছে চাকরি প্রার্থীরা কেউ সরাসরি আসতেন, কেউ বা নেতার মাধ্যমে চিঠি পাঠাতেন। ইডির দাবি, চাকরিপ্রার্থীরা জানতেন সুজয়কৃষ্ণের সঙ্গে অভিষেকের সম্পর্ক কেমন। তাই তাঁরা সমস্যার সমাধানের জন্য দ্বারস্থ হতেন সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra)। ইডির আরও অভিযোগ, কালীঘাটের তৃণমূল অফিসে বসেই বাঁকা পথে আসা চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতেন সুজয়কৃষ্ণ। নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের প্রাক্তন দুই যুব নেতা কুন্তল ঘোষ ও শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বেসরকারি কলেজ সংগঠনের নেতা তাপস মণ্ডলের সঙ্গে কালীঘাটের ওই পার্টি অফিসে বসেই বৈঠকও করেছেন তিনি। ইডির তদন্তকারীদের দাবি, কুন্তল ও তাপসের মাধ্যমে ২০১২-১৪ সালের টেট চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা তিনিই পাঠিয়েছিলেন মানিককে।

    আরও পড়ুুন: “চুরি আটকান, তাহলে রাজ্যের বরাদ্দ আদায়ে এক সঙ্গে দিল্লি যাব”, বললেন শুভেন্দু

    সুজয়কৃষ্ণের (Sujay Krishna Bhadra) মোবাইল থেকে বেশ কিছু ভয়েস-মেসেজ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। এগুলি আদালতে প্রামাণ্য নথি হিসেবে পেশ করতে গেলে সুজয়কৃষ্ণের গলার স্বরের নমুনা প্রয়োজন। এই নমুনা দিতে রাজি হননি সুজয়। তদন্তকারীদের অভিযোগ, সেই কারণেই অসুস্থতার বাহানা দিয়ে সময় নষ্ট করছেন কালীঘাটের কাকু। কেবল চাকরি বিক্রি নয়, ইডির চার্জশিটে বলা হয়েছে, সুজয়কৃষ্ণের আরও একাধিক বেআইনি ব্যবসা রয়েছে। বিভিন্ন ভুয়ো বিল তৈরি করা হয়েছে। প্রভাব খাটিয়ে চাপ দিয়ে ব্যবসায়ীদের শেয়ারও তিনি কিনিয়েছেন বলে অভিযোগ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share