Tag: tmc

tmc

  • TMC Agitation: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

    TMC Agitation: লুট হয়েছে ১০০ দিনের কাজের টাকা, চোর না ধরে দিল্লিতে ধর্নায় তৃণমূল!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একপ্রস্ত নাটক দিল্লিতে! ঘাসফুলের ব্যানারে এ (কু)নাট্যরঙ্গের কুশীলব অবশ্যই তৃণমূল নেতাকর্মীরা। সোমবার শুরু হওয়া এই নাট্যানুষ্ঠান (TMC Agitation) চলবে দু দিন ধরে। তৃণমূলের দাবি, একশো দিনের কাজে টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। প্রশ্ন হল, কেন দিচ্ছে না? এক কথায় এর পাল্টা উত্তর পেয়েছে রাজ্যের শাসক দল। বলা হয়েছে, ‘চোর ধরো, জেল ভরো’ কর্মসূচি পালন করলেই মিলবে টাকা!

    টাকা পাওয়ার শর্ত

    একশো দিনের প্রকল্পে কেন্দ্র টাকা দেওয়ার আগে একটি শর্ত দিয়েছিল। সেটি হল, একশো দিনের যে টাকা পাঠানো হচ্ছে, তার প্রতিটি পাই-পয়সা জনগণের কাছে পৌঁছানো প্রয়োজন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তা তো হচ্ছেই না, অথচ নেপোয় মারছে দই। এই নেপোদের ধরে ধরে জেলে ভরতে বলা হয়েছিল। অভিযোগ, কেন্দ্রের সেই শর্ত না মেনে দুর্নীতিবাজদের প্রশ্রয় দিয়ে দিল্লি অভিযানে গিয়েছে তৃণমূল। দলীয় কর্মীদের এই ঝাঁকের কইয়ের মাঝে রয়েছেন সেই কালপ্রিটরাও, যাঁরা জনগণের অর্থ ভোগ করছেন নির্লজ্জের মতো। সোমবার তৃণমূলের কর্মসূচির পাল্টা জবাবে সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, লকেট চট্টোপাধ্যায়, সৌমিত্র খাঁ এবং জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।

    কী অভিযোগ বিজেপির?

    বিজেপির অভিযোগ, গত বছর সেন্ট্রাল টিমের ভিজিটে (TMC Agitation) যে দুর্নীতিগুলো উঠে এসেছিল, তার রিকভারি অ্যামাউন্ট তারা ঠিক করে দিয়েছিল। কোনও পঞ্চায়েত এখনও সেই অর্থ জমা করেনি। আর্থমুভার দিয়ে পুকুর কাটিয়ে ভুয়ো মাস্টাররোল তৈরি করে টাকা তোলা হয়েছে একশো দিনের কাজে। দলের পেটোয়া কর্মীদের নামে বানানো ওই মাস্টাররোল থেকে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। নামেই একশো দিনের কাজ। অভিযোগ, জবকার্ড হোল্ডারদের সিংহভাগই কাজ পেয়েছেন, কেউ ১০ দিন, কেউবা ২০ দিন, কেউ আবার ৩০ দিন। হাতে গোণা দলীয় কর্মীদের মধ্যে যাঁরা একশো দিনই কাজ পেয়েছেন, তাঁদের থেকেও জোর করে কেড়ে নেওয়া হয়েছে একটা মোটা অঙ্কের টাকা। আধার জবকার্ড সিডিং হওয়ার আগে একই শ্রমিককে বিভিন্ন জব কার্ডে ঢুকিয়েও অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।

    একশো দিনের কাজ প্রকল্পে একটি পরিবারের একটি মাত্র জব কার্ড থাকা বাধ্যতামূলক। অথচ দেখা যাচ্ছে, একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে জবকার্ড তৈরি করে লুটে নেওয়া কাঁড়ি কাঁড়ি হয়েছে টাকা। যেখানে কাজ (TMC Agitation) হয়েছে, সেখানে স্থায়ী ডিসপ্লে বোর্ড নেই। সেন্ট্রাল টিম রাজ্যে এলেই তড়িঘড়ি লাগানো হচ্ছে ডিসপ্লে বোর্ড। চাষযোগ্য জমিকে পুকুরে পরিণত করা হয়েছে একশো দিনের কাজে। যদিও সরকারি নিয়ম অনুযায়ী জমির চরিত্র বদল করা হয়নি। একশো দিনের আইবিএস স্কিমগুলি কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতের গ্রাম সভায় আলোচনা কিংবা বেনিফিশিয়ারি কমিটি তৈরি না করেই দলীয় কর্মীদের জায়গায় স্কিমগুলি করা হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    শুধু তাই নয়, গ্রাম পঞ্চায়েতে যে কনট্রাকচুয়াল ওয়ার্কাররা কাজ করেন, তাঁদের কন্ট্রাক্ট পরের বছর পুনর্নবিকরণ না করার ভয় দেখিয়ে কেন্দ্রের বিভিন্ন স্কিমে দুর্নীতি করতে বাধ্য করা হয়। সর্বোপরি, একশো দিনের কাজ প্রকল্পে ডেভেলপমেন্ট মিটিংয়ে সরকারি আধিকারিকরা গ্রাম পঞ্চায়েত কর্মীদের অপমান, মাইনে বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি, চোখ রাঙানি ইত্যাদি হাতিয়ার ব্যবহার করে তৈরি করতে বলেছেন শ্রম দিবস। এঁদের দিয়েই ভুয়ো মাস্টাররোল বানিয়ে এবং কর্মদিবস সৃষ্টি করে লুটে নেওয়া হয়েছে সরকারি অর্থ।

    এত অভিযোগ সত্ত্বেও (TMC Agitation) দলীয় কর্মীদের দিল্লিতে নিয়ে গিয়ে ধর্নায় বসিয়ে ভোটের আগে সস্তা জনপ্রিয়তা কুড়োনোর ফিকির কতটা কাজে দেবে, তা বলবে সময়। তবে দুর্নীতি থেকে জনগণের দৃষ্টি ঘোরানোর যে ফন্দি তৃণমূল কর্তারা এঁটেছেন, তাতে চমক আছে বইকি!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: “মন্ত্রী-মেয়র জোড়া পদে থেকে কি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?” চিঠি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: “মন্ত্রী-মেয়র জোড়া পদে থেকে কি আর্থিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ?” চিঠি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার খোদ মৌচাকেই ঢিল মারলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)! ‘মন্ত্রী এবং মেয়র দুই পদে থেকেই কি আর্থিক দিক থেকে লাভবান হচ্ছেন ফিরহাদ হাকিম?’ প্রশ্ন তুলে দিলেন রাজ্যপাল। কলকাতা পুরসভা এলাকায় ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। এমতাবস্থায় রাজ্যপালের এহেন প্রশ্ন-বাণে বিব্রত রাজ্য সরকার। রাজ্যপালের অভিযোগ, ডেঙ্গিতে মৃত অনেকের পরিবার পুরসভায় ফোন করেও মেয়রের খোঁজ পাচ্ছেন না।

    কী বলছেন রাজ্যপাল?

    রাজ্য সরকারকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “পুরসভায় ফোন করলে তাঁদের বলা হচ্ছে মেয়র নবান্নে আছেন। আবার নবান্নে খোঁজ নিলে বলা হচ্ছে, পুরমন্ত্রী কলকাতা পুরসভায় রয়েছেন। …রাজভবনের পিস রুমে এনিয়ে অনেক অভিযোগ এসেছে। কলকাতায় মেয়র নিখোঁজ বলে বিজ্ঞাপনও দিতে চাইছেন অনেকে।”

    কোন অঙ্কে মন্ত্রী-মেয়র পদে ফিরহাদ?

    তৃণমূলের সংখ্যালঘু মুখ ফিরহাদ। তৃণমূল নেত্রীর খুব কাছের (CV Ananda Bose) মানুষ হিসেবে পরিচিত। মুসলমান ভোট যাতে ঘাসফুলের ঝুলিতেই পড়ে, তা নিশ্চিত করতে ফিরহাদকে করা হয় মন্ত্রী। আবার কলকাতা পুরসভা এলাকার মধ্যেই পড়ে খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, রাজাবাজারের মতো সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকা। অতএব, ভোট কুড়োতে প্রয়োজন সংখ্যালঘু মুখের। রাজনৈতিক মহলের একটা বড় অংশের মতে, সেই কারণেই ফিরহাদকে একই সঙ্গে বসানো হয়েছে মন্ত্রী এবং মেয়র পদে।

    রাজভবন সূত্রে খবর, রাজ্যকে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল জানতে চেয়েছেন একজন ব্যক্তি কীভাবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ দুটি পদ সামলাচ্ছেন? রাজ্যপালের প্রশ্ন, “এখানে কি অফিস অফ প্রফিটের কোনও বিষয় আছে?”  রাজ্য সরকারের তরফে এ বিষয়ে কোনও উত্তর এখনও মেলেনি। যদিও ফিরহাদ জানান, তিনি এখন দিল্লিতে রয়েছেন। কলকাতায় ফিরে সাংবাদিক বৈঠক করে সবটা জানাবেন। তিনি বলেন, “আমি কীভাবে মেয়র এবং মন্ত্রী তা আমার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানলেই হবে।”

    আরও পড়ুুন: মাথার দাম ৩ লক্ষ! দিল্লিতে গ্রেফতার ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ আইএস জঙ্গি

    শেষ বর্ষায় রাজ্যে (CV Ananda Bose) ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গির দাপট। গত এক সপ্তাহে দক্ষিণবঙ্গের ১৭টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলায় নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৬১৩ জন। সব মিলিয়ে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৬ হাজার ১৪০ জন। আক্রান্তের পাশাপাশি দীর্ঘায়িত হচ্ছে মৃতের তালিকাও। কলকাতায়ও বাড়ছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। সূত্রের খবর, এমতাবস্থায় মেয়র-মন্ত্রী গিয়েছেন তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচিতে যোগ দিতে।

    জনসেবার চেয়ে পার্টিসেবাই অগ্রাধিকারের তালিকায় ঠাঁই পেল ফিরহাদের!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘তৃণমূলের ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে’’! চাঞ্চল্যকর দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের বঞ্চনার বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান চলছে দিল্লিতে। ধরনা নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। বিরোধীদের দাবি, ব্লক স্তরের নেতাদেরও প্লেনে করে উড়িয়ে আনা হয়েছে দিল্লিতে। এছাড়া ১০০টি ভল্ভো বাসে করে কর্মীদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে রাজধানীর উদ্দেশে। রাজ্যের শাসক দলের এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উৎস ঠিক কী! তা নিয়েও চলছে জোর চর্চা। অন্যদিকে দিল্লিতে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচি নিয়ে তোপ দাগলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম ধনী দল বলেও মন্তব্য করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর মতে ৮০০ কোটি টাকা রয়েছে তৃণমূলের।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী 

    রবিবারই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তৃণমূলের অবস্থান কর্মসূচিকে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর মতে, “যন্তর মন্তরে যা খুশি করুন এপাং ওপাং ঝপাং! আমরা সবাই কোলা ব্যাঙ! যন্তর মন্তরের বাইরে কিছু করতে যাবেন না। ওখানে কিন্তু বিনীত গোয়েল নেই! অমিত শাহের পুলিশ, লাঠির সাইজ ৬ ফুট।” শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন “তৃণমূল কংগ্রেস তো ভারতের তৃতীয় ধনীতম দল। বর্তমানে তাদের তহবিলের পরিমাণ প্রায় ৮০০ কোটি টাকা। সেই টাকা দিয়ে ২০-২৫টা চার্টার্ড ফ্লাইট বুক করে তো ওরা কর্মীদের সরাসরি দিল্লি নিয়ে যেতে পারত। একেকটা বড় বিমানে ২৫০-৩০০ লোক যেতে পারতেন।”

    ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ শাসক দলের বিরুদ্ধে

    সোমবারই তৃণমূলের পাল্টা কর্মসূচি হিসেবে দিল্লি এবং কলকাতায় দু’ জায়গাতেই কর্মসূচি রয়েছে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। দিল্লিতে সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে সাংসদদের দল যাবেন পঞ্চায়েত দফতরের মন্ত্রীর কাছে ডেপুটেশন জমা দিতে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা নয়ছয়-এর প্রতিবাদে কলকাতার সড়কে ধরনা অবস্থান করবেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। প্রসঙ্গত, ১০০ দিনের কাজে বারংবারই দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয়েছে বিরোধীরা। বেশ কয়েক মাস আগে উত্তর দিনাজপুরের একটি মামলাতে দেখা যায় তৃণমূলের নেতারা যেখানে পুকুর খননের কাজ দেখিয়েছেন, সেখানে রয়েছে আস্ত একটি ভুট্টার খেত। এই ঘটনায় রীতিমতো আশ্চর্য হয়ে যায় কলকাতা হাইকোর্ট পর্যন্ত। অভিযোগ, কাজ না করেও মেলে ১০০ দিনের কাজের টাকা, সরাসরি অ্যাকাউন্টে ঢুকে যায়। এছাড়াও বিভিন্ন ভুয়ো প্রকল্পের মাধ্যমেও চলে একশ দিনের কাজের টাকা নয়ছয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গ অভিষেক, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Abhishek Banerjee: প্রসঙ্গ অভিষেক, তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পারলে আমাকে আটকান”, শুক্রবার ইডির তলব প্রসঙ্গে কথাগুলি বলেছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। এমতাবস্থায় ইডিকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ, ৩ অক্টোবরের তদন্ত বা অনুসন্ধান যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তার জন্য যে কোনও পদক্ষেপ করা যাবে। এই তদন্তে যুক্ত ইডির সহকারী ডিরেক্টর মিথিলেশকুমার মিশ্রকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশও দিয়েছেন বিচারপতি। তিনি ইডিকে জানান, আত্মবিশ্বাসের অভাব থাকায় মিথিলেশকুমারকে সরিয়ে ৩ অক্টোবর তদন্তে উপযুক্ত অফিসারকে পদক্ষেপ করতে হবে।

    ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় নাম জড়িয়েছে নিউ আলিপুরের ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নামে একটি সংস্থার। এই সংস্থার সিইও তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো অভিষেক (Abhishek Banerjee)। ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেকের মা ও বাবা। এই তিনজনকেই তলব করা হয়েছে আগামী সপ্তাহে। অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে ৩ অক্টোবর, বেলা সাড়ে ১০টায়। ঘটনাচক্রে ওই দিন দলীয় এক কর্মসূচিতে তাঁর দিল্লিতে থাকার কথা।

    “পারলে আমাকে আটকান”

    অভিষেক জানান, ঘোষিত কর্মসূচি ধরে ধরে তাঁকে ডেকে পাঠাচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। এদিন এ নিয়ে সমাজমাধ্যমে একটি পোস্টও করেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক। শেষে লেখেন, “স্টপ মি ইফ ইউ ক্যান।” বাংলা তর্জমা করলে দাঁড়ায়, “পারলে আমাকে আটকান।” অভিষেক লেখেন, “আমি আগামী ২ এবং ৩ অক্টোবর দিল্লিতে থাকব বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার জন্য।” আদালতে প্রসঙ্গটি উত্থাপন করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “৩ অক্টোবরের মধ্যে তদন্ত বা অনুসন্ধান যেন কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। তদন্তের স্বার্থে যে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি।”

    আরও পড়ুুন: “পশ্চিমবঙ্গ থেকে চোরেদের লিডার দিল্লি যাচ্ছেন” অভিষেককে তীব্র আক্রমণ সুকান্তর

    এই মামলায়ই ২৫ সেপ্টেম্বর ইডিকে ভর্ৎসনা করেছিলেন বিচারপতি সিনহা। ইডি আদালতকে অভিষেকের সম্পত্তির যে খতিয়ান দিয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নিয়ে গত আট মাস ধরে ইডি যে তদন্ত করেছে, তার নিট ফল শূন্য। এ বিষয়ে ইডিকে বিশদে তথ্য জমা দেওয়ার নির্দেশও দেন বিচারপতি সিনহা। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি, সে প্রশ্নও তোলেন। এর পরেই অভিষেকের মা ও বাবাকে তলব করে ইডি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    Abhishek Banerjee: তৃণমূল নেত্রীর ঘরেই ইডির সমন! অভিষেকের পাশাপাশি তাঁর মা-বাবাকেও তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার তৃণমূল সুপ্রিমোর ঘরেই চলে এল ইডির সমন! যার জেরে ক্রমেই বিপাকে পড়ছে তৃণমূল! তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) তলব করেছিল ইডি। এবার কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থা ডেকে পাঠাল অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য নিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁদের।

    ইডির তলব অভিষেককে

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসকাণ্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিষেককে সিজিও কমপ্লেক্সে ৩ অক্টোবর হাজির হতে বলেছে ইডি। ওই সপ্তাহেই কোনও একদিন অমিত ও লতাকেও সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হতে বলা হয়েছে ইডির তরফে। শিক্ষক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় বর্তমানে ইডির হেফাজতে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু। দিন কয়েক আগে তাঁর মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাট সহ তিন জায়গায় তল্লাশি চালায় ইডি। নিউ আলিপুরের লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস (Abhishek Banerjee) কোম্পানিতেও হানা দেয় ইডি। টানা প্রায় ১৮ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। এই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর ছিলেন অমিত ও লতা। এই সংস্থায় তাঁদের ভূমিকা ঠিক কী ছিল, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, তাঁদের আয়-ব্যয় সংক্রান্ত নথিপত্রও নিয়ে আসতে বলা হয়েছে।

    অভিষেকের গর্জন!

    এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ইডি তলব করেছিল অভিষেককে (Abhishek Banerjee)। টানা ৯ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করেন তদন্তকারীরা। তিনিই লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও। সেদিনই সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে অভিষেক ইডিকে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন, “প্রমাণ থাকলে ইডি আমাকে গ্রেফতার করুক। আমি চাই আমাকে গ্রেফতার করুক। তাহলে আমার বয়ান ওদের কোর্টে জমা দিতে হবে। সবাই দেখতে পাবে আমি কী বলেছি। তাহলেই সবাই বুঝতে পারবে আসল ঘটনা।” এদিকে, ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে অভিষেক সহ লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সমস্ত ডিরেক্টর ও কর্মীর যাবতীয় তথ্য জমা দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ফের অভিষেককে সমন ইডির! দিল্লিতে ঘেরাও কর্মসূচির দিনই তলব সাংসদকে

    লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস কোম্পানিতে অনেক টাকা ঢুকেছে বলে দিন কয়েক আগে দাবি করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন, “আমি অনেক নথি জমা দিয়েছি। ওই কোম্পানিতে জেট এয়ারওয়েজের টাকা ঢুকেছে। সুভাষ আগরওয়ালের হাত দিয়ে কয়লার টাকা ঢুকেছে। বৈদিক ভিলেজের মালিক দেড় কোটি টাকা ঢুকিয়েছে। এগুলির প্রামাণ্য নথি রয়েছে। কোম্পানির সঙ্গে জড়িতদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে জমা দিতে বলা হয়েছে। তা জমা দিলেই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ (Abhishek Banerjee) হবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    Suvendu Adhikari: ‘‘করোনার থেকেও ভয়াবহ ডেঙ্গি পরিস্থিতি’’! স্বাস্থ্যভবনে শুভেন্দুর বিক্ষোভ, পুলিশের বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে স্বাস্থ্য ভবনে বিক্ষোভ দেখালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বেলার দিকে বিজেপি বিধায়কদের একাংশকে নিয়ে স্বাস্থ্যভবনের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। ‘ডেঙ্গির সরকার, আর নেই দরকার’ প্ল্যাকার্ড নিয়ে স্লোগানও দেন বিজেপি বিধায়কেরা। স্বাস্থ্যভবনে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বিরোধী দলনেতাকে। 

    শুভেন্দুর অভিযোগ

    এদিন শুভেন্দুর নেতৃত্বে স্বাস্থ্য ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন ২২ জন বিজেপি বিধায়ক। বিরোধী দলনেতাকে গেটে আটকে দেয় পুলিশ। স্বাস্থ্য ভবনের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাঁদের স্মারকলিপি দিতে বাধা দেওয়া হয়। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিকে ‘ভয়াবহ’ বলে উল্লেখ করেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে রাজ্যে একশো জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর কাছে সমস্ত তথ্য রয়েছে বলেও জানান তিনি। শুভেন্দু বলেন, “দেশের বাকি সব রাজ্য ডেঙ্গি সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিলেও পশ্চিমবঙ্গ তথ্য লুকোচ্ছে।” 

    স্মারকলিপি দিতেও বাধা

    শুভেন্দুর অভিযোগ, করোনার থেকেও ভয়াবহ রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি। তাঁর কথায়, “কেন ডেঙ্গি মোকাবিলায় উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হয়নি? কেন চিকিৎসকেরা ডেঙ্গি লিখতে ভয় পাচ্ছেন? এই সব জিজ্ঞাসা করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করতেই স্বাস্থ্যভবনে গিয়েছিলাম।” সরকারের ডেঙ্গি নিয়ে বৈঠককে আইওয়াশ বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু। এদিন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘আমরা সচিবের কাছে যাচ্ছি না। স্মারকলিপি রিসিভ করিয়ে চলে যেতাম। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর কাছে ডেঙ্গির ভয়াবহতার এই খবর পৌঁছে দিতে চাই। এটা মমতার, তৃণমূলের স্বাস্থ্য ভবন নয়। বিধায়কদের মমতার পুলিশ কীভাবে আটকাতে পারে?’

    আরও পড়ুন: চাপের মুখে ডেঙ্গি-তথ্য প্রকাশ রাজ্যের! ভয় ধরাচ্ছে পরিসংখ্যান, কী আছে তাতে?

    বিজেপির প্রতিবাদ

    এদিনই বিজেপির পক্ষে  কাল থেকে আগামী ৭ দিন রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। ডেঙ্গি পরিস্থিতির (Dengue Scare) অবনতির প্রতিবাদে এবার রাজ্যজুড়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। একসঙ্গে আন্দোলনে নামছে বিজেপি যুব মোর্চা, টিচার সেল, ডক্টর সেল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা সেল। বিভিন্ন পুরসভা ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের (Health Centres) সামনে চলবে বিজেপির প্রতিবাদ। ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে গেরুয়া শিবিরের পক্ষ থেকে। ডেঙ্গিতে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে আক্রান্ত ৪০ হাজার ছুঁইছুঁই।

    ফের ডেঙ্গি আক্রান্তের মৃত্যু

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই বাঙুর হাসপাতালে মৃত্যু হল ডেঙ্গি আক্রান্ত ২৮ বছরের এক তরুণীর। তিনি নেতাজি নগরের বাসিন্দা। মৃতার নাম প্রিয়া রায়। সোমবার সঙ্কটজনক অবস্থায় তাঁকে বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছিল। সিসিইউতে রাখা হয়েছিল তাঁকে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ওই তরুণীকে সঙ্কটজনক অবস্থায় আনা হয়েছিল। ডেঙ্গি শক সিনড্রোমও ছিল। তাতেই মৃত্যু হয়েছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, এবারও অনুব্রতর পুজো কাটবে তিহাড় জেলেই?

    Anubrata Mondal: বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ, এবারও অনুব্রতর পুজো কাটবে তিহাড় জেলেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরও তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) পুজোটা কেটেছিল তিহাড় জেলের ছোট্ট কুঠুরিতে। এবারও বোধহয় পুজোয় আনন্দ করা হবে না তাঁর। অথচ ফি বারের মতো এ বছরও হয়তো মহালয়ার দিন থেকেই বিভিন্ন মণ্ডপের ফিতে কেটে বেড়াবেন অনুব্রতর দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেড রোডে সুসজ্জিত মঞ্চে বসে পুজো কার্নিভাল দেখে যারপরনাই প্রীত হবেন তিনি। আর অনুব্রত তখনও জেলের প্রায়ান্ধকার ঘরে বসে গুণবেন মুক্তির দিন।

    বাড়ল জেল হেফাজতের মেয়াদ 

    গরু পাচার মামলায় গত বছর গ্রেফতার হন অনুব্রত। তারপর থেকে তিনি বন্দি রয়েছেন দিল্লির তিহাড় জেলে। এই জেলেই বন্দি রয়েছেন তাঁর মেয়ে সুকন্যাও। বুধবার দিল্লির আদালত অনুব্রতর জেল হেফাজতের মেয়াদ বাড়িয়ে করেছে ৩০ অক্টোবর। আর সুকন্যার জেল হেফাজতের মেয়াদ জানুয়ারি পর্যন্ত। অনুব্রতর প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন এবং এই মামলায় অন্যতম চক্রী এনামুল হককেও ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত থাকতে হবে জেল হেফাজতে। এদিন অবশ্য জামিন পেয়েছেন অনুব্রতর (Anubrata Mondal) হিসাবরক্ষক মনীশ কোঠারি।

    অনুব্রতর পুজোয় নেই সেই জাঁক

    তবে এখনও আশা ছাড়েননি অনুব্রত ঘনিষ্ঠরা। কারণ কলকাতা হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছিলেন অনুব্রত। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে। পরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন তৃণমূল নেতা। তাই আশার আলো দেখছেন অনুব্রতর অনুগামীরা। অনুব্রতর বাড়িতেও দুর্গাপুজো হয়। তিনি যখন জেলের বাইরে ছিলেন, তখন সেই পুজোর জাঁক ছিল দেখার মতো। পুজোর দিনগুলি সপরিবারে অনুব্রত কাটাতেন গ্রামেই। ‘দাদা’র পুজো দেখতে ভিড় করতেন দূর-দুরান্তের লোকজন। মন্ত্রী-সাংসদ-বিধায়করাও আসতেন গাড়ি হাঁকিয়ে। ভিআইপির ঠেলায় গ্রামের মানুষরাই যেতেন সিঁটিয়ে।

    আরও পড়ুুন: লোকসভা নির্বাচনের আগে ‘রামধাক্কা’! তৃণমূলকে নিরাশ করে এনডিএ শিবিরে ভিড়ল কুমারস্বামীর দল

    গত বছর পুজোর আগে আগে আয়োজনের অজুহাতেই জামিনের আবেদন করেছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি (Anubrata Mondal)। যদিও তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। তবে পুজো হয়েছে। যদিও উচ্ছ্বাসের অভাব ছিল। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, “গত বছর অনুব্রত গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই ফিকে হয়েছে পুজোর জাঁক।” অনুব্রত না থাকায় এখন পুজোর আয়োজন করেন তাঁর আত্মীয়-স্বজনের পাশাপাশি ঘনিষ্ঠ বৃত্তের কয়েকজন। এবারও তাঁরা পুজোর আয়োজন করবেন। পাঁচদিন ধরে অনুব্রতর ঘর আলো করে থাকবেন মহামায়া। ধুপ-ধুনোর গন্ধে ম ম করবে তল্লাট। অনুব্রত নাকে তখন হয়তো শুধুই স্যাঁতসেঁতে কুঠুরির ভ্যাপসা গন্ধ!

    এক সময় চড়াম চড়াম ঢাক বাজাতে চেয়েছিলেন অনুব্রত। এখন কে যে বাজায় সেই ঢাক!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    Suvendu Adhikari: লগ্নি ধরতে ১১ দিনের বিদেশ সফর মমতার, খরচ কত? জানতে চেয়ে আরটিআই শুভেন্দুর   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশ বছরের প্রধানমন্ত্রিত্বের কার্যকালে যা করেননি নরেন্দ্র মোদি, এক যুগের মুখ্যমন্ত্রিত্বে তাই করে দেখালেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! টানা এগারো দিন ধরে করলেন বিদেশ সফর। মমতার এই বিদেশ সফরে লগ্নি কত আসবে, তা বলবে সময়। তবে তাঁর এই সফরে যে জনগণের টাকার আদ্যশ্রাদ্ধ হয়েছে, তা বলতে শুরু করেছেন নিন্দুকরা।

    আরটিআই শুভেন্দুর   

    মুখ্যমন্ত্রীর চলতি সফরে কত খরচ হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আরটিআই করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর সফরসঙ্গী কারা, কোন মানদণ্ডে তাঁদের নির্বাচন করা হয়েছে, তাও জানতে চেয়েছেন শুভেন্দু। সোশ্যাল সাইটে শুভেন্দু লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে শিল্পায়নের লক্ষ্যে ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ দিনের জন্য সংযুক্ত আরব আমিরশাহী ও স্পেন সফরে গিয়েছেন। ওঁর এই সফর নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনে যথেষ্ট বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। ওঁর সফরসঙ্গী  কারা এবং কোন পদাধিকার বলে ওঁরা এই সফরে সঙ্গী হয়েছেন? কিছু বিশেষ ব্যক্তির একাধিক পরিচয় থাকায়, পশ্চিমবঙ্গের জনগণের মনের মধ্যে ধন্দ সৃষ্টি হয়েছে যে, এই সফরে ওঁরা ঠিক কোন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন এবং কী বিশেষ যোগদান রাখলেন?”

    ‘রাজ্যের কী লাভ হল?’

    বিজেপি নেতা (Suvendu Adhikari) লিখেছেন, “মুখ্যমন্ত্রী প্রায় সব জায়গায়ই গত বেশ কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন যে তাঁর সরকারের কাছে অর্থ নেই। যে কারণে তিনি সরকারি কর্মচারীদের ন্যায্য মহার্ঘ ভাতাটুকুও দিতে পারছেন না। এমতাবস্থায় মুখ্যমন্ত্রীর এই ১১ দিনের বিদেশ সফরের খরচের পরিমাণ কত? মুখ্যমন্ত্রীর সফরসঙ্গীদের জন্য কত ব্যয় করা হয়েছে সরকারি কোষাগার থেকে ? কোন কোন খাতে খরচ করা হয়েছে? ইত্যাদি…” তিনি লিখেছেন, “এই সফরে কত টাকা খরচ করা হল এবং তা থেকে রাজ্যের কী লাভ হল, তার মূল্যায়ন করার অধিকার নিশ্চয়ই পশ্চিমবঙ্গের জনগণের রয়েছে। তাই রাজ্যের দায়িত্বশীল বিরোধী দলনেতা হিসেবে আমি তথ্য জানার অধিকার আইন ২০০৫ এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির আধিকারিকদের কাছে এই তথ্যগুলি জানতে চেয়েছি, যার প্রতিলিপি এখানে দিলাম।”

    আরও পড়ুুন: পার্থর বিরুদ্ধে চার্জশিটের অনুমোদন রাজ্যপালের, ক্রমেই শক্ত হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীর দুর্নীতির ফাঁস!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘ডাউনলোড হওয়া ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের?’’ প্রশ্ন আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালতের নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানির সিইও, ডিরেক্টর সহ একাধিক আধিকারিকের সম্পত্তির খতিয়ান জমা দিল ইডি। এই মামলায় সিনেমা জগতের একজনের নামও জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যা দেখে বিস্ময় প্রকাশ করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। এদিকে, ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইল নিয়ে পুলিশের এত আগ্রহ কীসের, সেই প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি সিনহা।

    কজন চিত্রতারকার নাম?

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িত চিত্রতারকাদের নাম ও তাঁদের সম্পত্তির খতিয়ান ইডিকে জমা দিতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। বৃহস্পতিবার সেই খতিয়ান জমা দেয় ইডি। একটি মুখবন্ধ খামে এক টলি অভিনেতার নাম রয়েছে বলে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এর পরেই বিচারপতির (Calcutta High Court) প্রশ্ন, “এতদিনে মাত্র একজনের নাম পেলেন?” ইডির আইনজীবী জানান, আরও অনেক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাই আরও একটু সময় দেওয়া হোক। 

    অভিষেক ও তাঁর মা-বাবার সম্পত্তির হিসেব

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জড়িয়েছে তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোম্পানি ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসে’র নাম। এই কোম্পানির পদাধিকারীদের সম্পত্তির খতিয়ান আদালতে পেশের নির্দেশও দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিন ওই কোম্পানির সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, কোম্পানির ডিরেক্টর অভিষেকের বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় এবং মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পত্তির খতিয়ানও আদালতে জমা দিয়েছে ইডি।

    আরও পড়ুুন: ভোট পেতে কুলি সাজলেন রাহুল গান্ধী! সস্তার রাজনীতিতে চিঁড়ে ভিজবে কি?

    এদিনের শুনানিতে ওই কোম্পানির ১৬টি ফাইলের প্রসঙ্গও ওঠে। আদালতে (Calcutta High Court) ইডির দাবি, হাইকোর্টে ১৬টি ফাইল সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। এফআইআর না করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছিল। তার পরেও অফিসারদের বিরুদ্ধে জিডি করা হচ্ছে। তখনই রাজ্য পুলিশের উদ্দেশে বিচারপতি সিনহা বলেন, “জিডি কেন করেছেন? এটা কোনও ক্রিমিনাল কেস নয়। বিচারাধীন বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবেন না আপনারা।” সরকারি আইনজীবীর দাবি, ইডির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হচ্ছে না। কেবল একটা স্ক্যামের তদন্ত করছে পুলিশ। এর পরেই বিচারপতি সিনহা বলেন, “আশা করব আপনার অফিসাররা রাজ্যের সব কেসেই এমন সুপার অ্যাকটিভ হয়ে দায়িত্ব পালন করবেন। এক্ষেত্রে এত উৎসাহী হওয়ার কারণ আছে কি?” ইডির আইনজীবী মন্তব্য, “আসলে ঝুলি থেকে বিড়াল বেরিয়ে পড়েছিল!”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    BJP: ‘‘রাজনীতি করা বন্ধ করুন…’’! মহিলা বিলের কৃতিত্ব দাবি করায় সোনিয়াকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদের বিশেষ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে পেশ হয়েছে মহিলা সংরক্ষণ বিল। তার পরেই ক্রেডিট নিতে শুরু করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই তালিকায় রয়েছে কংগ্রেসও। তাই বুধবার কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

    প্রসঙ্গ গীতা মুখার্জি ও সুষমা স্বরাজ

    গেরুয়া শিবিরের সাংসদ নিশিকান্ত দুবে বলেন, “যখন সোনিয়া গান্ধী ভাষণ দিচ্ছিলেন, আমি ভেবেছিলাম রাজনীতির উর্ধ্বে উঠে তিনি বলবেন। কারণ তিনিই বিরোধীদের কণ্ঠস্বর। মহিলারা যাঁরা এই বিলের স্বপক্ষে গলা ফাটিয়েছিলেন তাঁরা হলেন বাংলার গীতা মুখোপাধ্যায় এবং বিজেপির সুষমা স্বরাজ। তাঁরা না থাকলে আমরা এই বিলটি দেখতে পেতাম না। কিন্তু সোনিয়া গান্ধী এঁদের কারও নামই উচ্চারণ করলেন না। এটা কী ধরনের রাজনীতি? তিনি (সোনিয়া) এই বিলের ক্রেডিট নিতে চাইলেন। কিন্তু এটা আপনাদের বিল নয়।”

    ‘বিল এনেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী’

    তিনি (BJP) বলেন, “আমাদের প্রধানমন্ত্রী (নরেন্দ্র মোদি) এবং আমাদের দল এই বিলটি এনেছিল। এটাই সহ্য হচ্ছে না বিরোধীদের।” বিজেপি সাংসদ বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বারংবার বলেছেন এই হল সময়, এটাই উপযুক্ত সময়। এবং এটি (মহিলা সংরক্ষণ বিল) উপযুক্ত সময়েই নিয়ে আসা হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই হাউসেই ২০১২ সালে যখন ভি নারায়ণস্বামী এসসি/এসটিদের জন্য কোটা বাড়ানোর বিল পেশ করছিলেন, তখন সমাজবাদী পার্টির যশবীর সিংহ তাঁর হাত থেকে বিলটি ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। এবং সেটিকে ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলেছিলেন। এই সংসদে তখন সোনিয়া গান্ধীজি ম্যাডাম এগিয়ে এসে তাঁর জামার কলার ধরেছিলেন। সেই সময় আমি তাঁকে বলেছিলাম, আপনি আমাদের ডিক্টেটর নন, রানিও নন। আপনি হিংসায় ইন্ধন জোগাতে পারেন না। মুলায়ম সিংহ নিজেই বলেছিলেন, বিজেপি সাংসদরা না থাকলে সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা বেঁচে ফিরতেন না। আপনি ওই সাংসদদের হত্যা করতে চেয়েছিলেন।”

    আরও পড়ুুন: “গার্হস্থ্য হিংসায় বাংলা এক নম্বরে”, তৃণমূল সরকারকে নিশানা অগ্নিমিত্রার

    ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করেছে তৃণমূলও। মহিলা সংরক্ষণ বিল তাঁদের ভাবনা বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ শানান বিজেপির (BJP) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। তিনি বলেন, “যমালয়ে জীবন্ত মানুষে এক বিধবা ভেবেছিলেন একাদশীর দিন খাবার খাবেন। তাই পাপ হয়েছিল। সেরকম তৃণমূল অনেক কিছুই ভাবে, করে না কিছুই।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share