Tag: tmc

tmc

  • TMC: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    TMC: ‘উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম, পিছিয়ে পড়া মনে হয়’, একী বললেন তৃণমূলের মেয়র গৌতম দেব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের ১৩ বছরের রাজত্বে উত্তরবঙ্গ যে বঞ্চিত তা কার্যত স্বীকার করে নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র তথা রাজ্যের প্রাক্তন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী গৌতম দেব। সোমবার শিলিগুড়ি জার্নালিস্ট ক্লাবে প্রখ্যাত টেবিল টেনিস খেলোয়াড় অর্জুন মান্তু ঘোষের উপর একটি গানের অ্যালবাম প্রকাশ করেন তিনি। এখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘সবসময় আমাদের উত্তরবঙ্গের প্রতি ফোকাসটা কম। উত্তরবঙ্গ হলেই কেমন যেন পিছিয়ে পড়া-পিছিয়ে পড়া মনে হয় বিভিন্ন ক্ষেত্রে।ֹ’ 

    উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে তৃণমূলের (TMC) দাবিকে ধাক্কা দিলেন গৌতম দেব

    মেয়রের এই বক্তব্যে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কারণ, তৃণমূলের (TMC) নেতা, মন্ত্রীরা সব সময় দাবি করেন, রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর উত্তরবঙ্গ আর অবহেলিত নয়। প্রচুর উন্নতি হয়েছে। সেখানে এদিন গৌতম দেবের এই বক্তব্য তৃণমূলের সেই দাবিকে ধাক্কা দিচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূলের রাজ্য নেতা মুখে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা শুনে বিরোধীরা সরব হয়েছে।

    গৌতম দেবকে কেন ধন্যবাদ জানালেন বিজেপি বিধায়ক?

    বিজেপি মনে করে, উত্তরবঙ্গের প্রতি তৃণমূল (TMC) সরকারের বঞ্চনা নিয়ে তাদের অভিযোগে এদিন  সীলমোহর দিলেন গৌতম দেব। তাঁর এই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে শিলিগুড়ির বিধায়ক বিজেপির শঙ্কর ঘোষ বলেন, আমি শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে ধন্যবাদ জানাই। কেননা তৃণমূলের অনেক নেতাই প্রকাশ্যে না হলেও নিজেদের মধ্যে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বলেন। এদিন সরাসরি সেটা স্বীকার করে নিলেন শিলিগুড়ির মেয়র।

    বিতর্ক শুর হতেই ঢোক গিললেন গৌতম দেব

    তাঁর বক্তব্যে নিয়ে বিতর্ক শুরু হতেই ঢোক গেলেন গৌতম দেব। এদিন অনুষ্ঠানের পর শিলিগুড়ি পুরসভায় সাংবাদিকরা এনিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি খেলার ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গের প্রতি বঞ্চনার কথা বলেছি। ঋদ্ধিমান সাহা, মান্তু ঘোষ দিনের পর দিন ভাল পারফরম্যান্স করে যাওয়ার পরও জাতীয় ক্ষেত্রে সেই গুরুত্ব পাননি, বঞ্চিত হয়েছেন। এদিন আমার ওই বক্তব্যে রাজনীতি বা রাজ্য সরকারের বঞ্চনার কোনও বিষয় নেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ‘শ্লীলতাহানি’! বিজেপির দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি পাহারায় বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট গ্রহণ ও গণনার দিন তাঁদের দুই মহিলা প্রার্থীর শ্লীলতাহানি (two molested BJP women) করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিল বিজেপি। সোমবার, ওই দুই প্রার্থী কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের এজলাসেও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের পুলিশ এসকর্ট দিয়ে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ দিল প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে ডিভিশন বেঞ্চ। 

    হাইকোর্টের নির্দেশ

    ওই দুই মহিলা প্রার্থীর হয়ে আদালতে এদিন সওয়াল করেছিলেন বিজেপি নেত্রী তথা আইনজীবী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এদিন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের পর প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, আদালতের নির্দেশকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। মহামান্য বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছেন, দুই মহিলা প্রার্থীকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে বাড়িতে পৌঁছে দিতে হবে। তাঁদের উপর যেন কোনও হামলা না হয়। রাজ্যে শান্তি কায়েম রাখতে হবে। বিজেপির দুই প্রার্থীর মধ্যে একজন এদিন কোর্ট চত্বরে দাঁড়িয়ে সংবাদমাধ্যমকে জানান, তিনি হাওড়া জেলার একটি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। ভোটের দিন ও গণনার দিন তৃণমূলের অনেকে বুথের মধ্যে ও গণনার মধ্যে ঢুকে পড়েছিল। একটা সরু প্যাসেজ দিয়ে বুথে ঢুকতে হচ্ছিল। সেখানে তৃণমূলের কয়েক জন কর্মী তাঁর গায়ে হাত দিয়েছেন বলে তাঁর অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে আরও ১০ দিন থাকবে কেন্দ্রীয় বাহিনী, জানাল হাইকোর্ট

    মমতাকে কটাক্ষ

    রবিবার সকালে পাঁচ তফসিলি সাংসদের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম (BJP Fact Finding Team) বাংলায় পাঠিয়েছে বিজেপি। এ দিন তারা হুগলির তারকেশ্বর এবং আরামবাগে ভোটে আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তাঁরা। সোমবার, এই দলের সদস্য সাংসদ এস মুনিস্বামী জানিয়েছেন, ‘গতকাল যা দেখে এসেছি, তাতে স্পষ্ট, নামে মমতা হলেও মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্মে আর নামমাত্র মমত্ব অবশিষ্ট নেই। এই রাজ্যের দায়িত্ব অবিলম্বে রাজ্যপালের হাতে তুলে দেওয়া হোক। মুখ্যমন্ত্রী স্বেচ্ছায় ইস্তফা দিন’। যার নেতৃত্বে এই ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম সফর করছে, সেই সাংসদ বিনোদ সোনকারের দাবি, ‘মমতা ব্যানার্জি ভয় পেয়েছেন। তাই আর এই আচরণ’। ৫ সদস্যের এই টিমে আছেন বিনোদ সোনকার, সুরেশ কাশ্যপ, এস মুনিস্বামী, মনোজ রাজোরিয়া এবং বিনোদ ছাবড়া। তাঁরা দিল্লি ফিরে গিয়ে, এই রাজ্যের সন্ত্রাস-এর আবহ নিয়ে বিস্তারিত আকারে  রিপোর্ট জমা দেবেন, বলে জানান। এরই মধ্যে 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: অভিষেকের ‘বিজেপির বাড়ি ঘেরাও’ কর্মসূচি নিয়ে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপিকে এই নির্দেশ দিয়েছে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে তৃণমূল কংগ্রেসের বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। 

    কেন মামলা

    গত শুক্রবার ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সভামঞ্চ থেকে ‘বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘোরও’-এর ডাক দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মন্তব্যের জেরেই দায়ের হয়ে এফআইআর। পরে তার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূল নেত্রী এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের ওই মন্তব্যে হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বিজেপি। বিজেপির আইনজীবী সূর্যনীল দাস সোমবার আদালতকে বলেন, এই ধরনের কর্মসূচি একজন নাগরিকের মৌলিক অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে। এই মর্মেই আদালতে মামলা রুজু করার অনুমতি চান তাঁরা। একই সঙ্গে মামলর দ্রুত শুনানির অনুরোধও করেন। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ প্রথম আর্জিটি মেনে নিলেও দ্বিতীয় আবেদনটি খারিজ করে দেয়।

    আরও পড়ুন: ‘কেন্দ্রীয় এজেন্সি ডাকলেই আন্দোলন কেন?’ ধনখড়ের নিশানা কাদের দিকে

    বিজেপির দাবি

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর বক্তব্য অনুযায়ী বিজেপির নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে আগামী ৫ অগাস্ট। মূলত, কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ স্বরূপ বিজেপি নেতা-কর্মীদের বাড়ি ঘেরাও করার নতুন কর্মসূচি গ্রহণ করে তৃণমূল কংগ্রেস। এই কর্মসূচির উপর স্থগিতাদেশ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিষয়টি আইন শৃঙ্খলার অবনমন এবং বিজেপি নেতা, কর্মীদের সুরক্ষার দিক থেকে যথেষ্ট বিপজ্জনক বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। এরকম কর্মসূচি আরও বিপদ ডেকে আনবে বলেই মনে করছেন তাঁরা। প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে মানুষের সুরক্ষা প্রশ্নের মুখে তুলে দিচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস বলে দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘নাচগান-পাগলু ড্যান্সের মঞ্চ, সঙ্গে ডিম-ভাত’’! তৃণমূলের সমাবেশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নাচগান-পাগলু ড্যান্সের মঞ্চ, সঙ্গে ডিম-ভাত’’! তৃণমূলের সমাবেশকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একুশের মঞ্চ এক কাটমানির মঞ্চ। পাগলু ডান্সের মঞ্চ। ওখানে যাওয়ার জন্য সকাল-দুপুর-রাত তিনবেলা শুধু ডিম-ভাত।” ২১ জুলাই উপলক্ষে ধর্মতলায় তৃণমূল আয়োজিত সমাবেশকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবার ফের একবার চিটফান্ডকাণ্ডে তিনি নিশানা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    মুখ্যমন্ত্রীকে গ্রেফতারের দাবি

    শুভেন্দু বলেন, “চিটফান্ডকাণ্ডে গ্রেফতার সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুণ্ডুরা মুখ্যমন্ত্রীর ফান্ডে টাকা দিতেন। একমাত্র উপেন বিশ্বাস ছাড়া তৃণমূলের সব বিধায়ককেই ২০ লক্ষ করে টাকা দেওয়া হয়েছিল। তার ভিত্তিতেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, মুকুল রায়কে জেরা করা উচিত।” চিটফান্ডকাণ্ডে মেইন বেনিফিসিয়ারি হিসেবে তৃণমূল সুপ্রিমোকে গ্রেফতারির দাবিও জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহাকরণের সামনে থেকে যে অ্যাম্বুলেন্স উদ্বোধন করেছিলেন, তার টাকা কোথা থেকে এল, ডেলোর বৈঠকে কী হয়েছিল, এই সব তথ্য প্রমাণ আমি সিবিআইকে দিয়েছি।”

    ‘ইটিং ফিটিং সিটিং’

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “একুশের মঞ্চ মানে তৃণমূলের মঞ্চ, জনগণের নয়। একুশে জুলাইয়ের আন্দোলন যুব কংগ্রেসের আন্দোলন, তৃণমূলের কিছু নয়। আর গুলি করেছিল সিপিএম। অর্থাৎ ২১ জুলাই যদি কিছু হয়ে থাকে তাহলে কংগ্রেসের সমাবেশ করা উচিত। যদিও এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষায় জগাই-মাধাই-বিদায় তিনজন বেঙ্গালুরুতে বসে ইটিং ফিটিং সিটিং সব করে ফেলেছে। ফলে কে কার সঙ্গে আছেন, বলা মুশকিল।”

    আরও পড়ুুন: ‘ভোট-সন্ত্রাস’-এর তদন্তে ফের রাজ্যে বিজেপির প্রতিনিধি দল

    চিটফান্ড সংস্থা সারদা কেলেঙ্কারিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জড়িত বলে একাধিকবার দাবি করেছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর কাছে এ ব্যাপারে প্রমাণও রয়েছে বলে দাবি করেছিলেন তিনি। সেই তথ্য প্রমাণ তিনি সিবিআইয়ের কাছে জমা দেবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। এবার সারদাকাণ্ডে মুখ্যমন্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার দাবি জানিয়ে সিবিআইয়ের অধিকর্তাকে চিঠি দিলেন তিনি। শুক্রবার এক সাংবাদিক সম্মেলনে যোগ দিয়ে শুভেন্দু বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে ওই চ্যানেলকে (একটি বেসরকারি চ্যানেলের নাম উল্লেখ করেন) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা দিতেন। টাকা দিতেন সুদীপ্ত সেন, গৌতম কুন্ডুরাও। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: তৃণমূলের মদতেই কুলটিতে মন্দিরের জমি হাতানোর চেষ্টা জমি মাফিয়াদের

    TMC: তৃণমূলের মদতেই কুলটিতে মন্দিরের জমি হাতানোর চেষ্টা জমি মাফিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দিরের জমিও দখল করে নিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। আর এসব বেআইনি কারবারে মদত রয়েছে তৃণমূলের (TMC)। শাসকদলের দৌলতে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি বিধানসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডুবুর্ডিহি নিচুবস্তির মহাকাল শিবমন্দির এলাকায়। আর এই শিবমন্দিরের পাশে থাকা জমি অবৈধভাবে দখল করছে জমি মাফিয়ারা বলে অভিযোগ মন্দির কমিটির মানুষদের। মন্দিরের পাশে বন দফতরের পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছিল গাছ, সেইসব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মন্দিরের কিছুটা দূরে জমি প্লট করে বিক্রি করার কাজ চলছে। এবার জমি মাফিয়াদের নজর পড়েছে শিবমন্দির লাগোয়া জমির উপর।

    জমি মাফিয়াদের হয়ে কেন কথা বলতে গেলেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    মন্দিরের জমি দখল করার চেষ্টা হওয়ায় ক্ষুব্ধ মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মোহিত মণ্ডল মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে যান। মন্দিরের জমি ছেড়ে জমি প্লট করার কথা বলা হয়। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে, জমি মাফিয়াদের হয়ে তৃণমূল নেতা কেন কথা বলতে যায়? তৃণমূলের মদতেই কি মন্দিরের জমি দখল করার চেষ্টা চলছিল। কারণ, জমি মাফিয়াদের এত ক্ষমতা হল কী করে। শাসক দলের একাংশের মদতেই জমি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের (TMC) কুলটি ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দত্ত বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রশাসনকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করব। যদি কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করব। এই বিষয়ে আসানসোল পৌরনিগমের ১৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মুনমুন মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আসানসোল পৌরনিগম ও প্রশাসনকে জানানো হবে। কারণ আসানসোল পৌরনিগমের নির্দেশ রয়েছে কোনও অনৈতিক বা আইন বিরুদ্ধে কাজ মানা হবে না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপি নেতা টিঙ্কু বর্মা বলেন, তৃণমূলের (TMC) মদত ছাড়া এই ধরনের বেআইনি কারবার কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। শাসক দলের পিছনে হাত রয়েছে বলেই জমি মাফিয়াদের এত সাহস। শিব মন্দিরের জমিও দখল করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার আবেদন করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘মারো আর ২ লাখ টাকা দিয়ে দাও’! বিরোধী জোটকে কটাক্ষ, রাজ্যে হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh: ‘মারো আর ২ লাখ টাকা দিয়ে দাও’! বিরোধী জোটকে কটাক্ষ, রাজ্যে হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা হায় গণতন্ত্র বলে সাড়া দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের রাজ্যে গণতন্ত্র মাটি চাপা পড়ে গিয়েছে। কোর্টে যেতে হয় গণতন্ত্র খুঁজতে। বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বুধবার পথে নামছে বিজেপি। যদিও এই মিছিলে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘পুলিশ নিজেই অশান্তি করছে। আমরা আমাদের কর্মসূচি বহাল রাখব। পুলিশের অনুমতি না মিললেও, মহা মিছিল হবে। আমরা আমাদের কাজ করব, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। সাড়া দেশে গণতন্ত্রের জন্য দৌড়চ্ছেন আর রাজ্যে যে গণতন্ত্র মাটির তলায় চলে গিয়েছে। চশমার দোষ আছে।’  বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে ১১জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার কর্মী।  তাঁদের মধ্যে ৬৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে ১২ হাজার ৪৯২টি বুথ দখল হয়েছেএবং ২১ হাজার বুথে ভোটই না হওয়ার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। 

    ভাঙড় অশান্তি

    ভাঙড়-অশান্তি নিয়েও মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি চান না, তাই ভাঙড়ে শান্তি ফিরছে না। ওঁরা হস্তক্ষেপ বন্ধ করলে ভাঙড়ে নিজে থেকেই শান্তি ফিরে আসবে। নওশাদকে তো আটকে দিয়েছে। ঢুকতেই পারেনি। ওখানে মানুষ যাকে জিতিয়েছে, তাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক ভাবে যাদের হারিয়েছে, তারাই ওখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাইরে থেকে গুন্ডা মস্তান পাঠিয়ে ওখানে বোমা-গুলি-সন্ত্রাস কায়েম করেছে। অন্য জায়গার বিধায়ক ওখানে ঢুকে বসে আছে। আর ওখানকার বিধায়ককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দোষটা কার? যদি তৃণমূল মনে করে ওটা মুক্তাঞ্চল এবং ওখানে ওরাই দাপিয়ে বেড়াবে, তাহলে তো প্রতিরোধ হবেই। ”

    আরও পড়ুন: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    মোদি-বিরোধী নয়া জোট

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে টিপ্পনি করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটুতেই হাওয়া খেয়ে যান। কখনও অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কখনও নীতীশ কুমার, কখনও বা সনিয়া গান্ধী ওনাকে হাওয়া দিচ্ছেন”। দিলীপের (Dilip Ghosh) কথায়, “ওঁরা চাইছেন মমতাকে নেতা বানিয়ে নরেন্দ্র মোদির সামনে ছুঁড়ে দিতে। কেউ এরিনায় ঢুকে খেলতে চাইছেন না। যারা ঢুকেছে, তাদের অত্যন্ত দূরাবস্থা। অনেকে আর সাংসদ নেই। তাই কেউ মোদির সামনে যাবে না।”

    মোদির সঙ্গে ইন্ডিয়ার লড়াই

    দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “ভারতের সঙ্গে ইন্ডিয়ার লড়াই। মোদির সঙ্গে না। ইন্ডিয়া বিদেশি ভাবধারার একটা ভাবাদর্শ। যারা এতদিন ভারতকে গোলাম করে রেখেছিলেন, যাদের লোকেরা মনের দিক থেকে এতদিন গোলাম হয়ে থেকেছেন, তারা ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি। আমরা তো ভারত মাতার জয় বলে শুরু করেছি। তাতে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে এখন মোদির নাম জড়িয়ে আছে। দেশে বিদেশে সম্মান আসছে। দেশ তার নিজের আদর্শে এগোচ্ছে। তাই ভারতের জয় হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ে প্রবেশ করতে পারছেন না সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। তবে বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ তিনি। বললেন, ‘‘এ ভাবে বিপ্লব আটকানো যায় না।’’ভাঙড়ের পরিস্থিতি জানিয়ে, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন তিনি। জানালেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রেও অভিযোগ জানাবেন। 

    ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠাই লক্ষ্য

    মঙ্গলবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে স্বাগত জানাতে যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘১৪৪-এর অজুহাতে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে আমি সেখানে ছাড়পত্র পাব।’’ নওশাদের কথায়, ‘‘আমায় ১৪৪ ধারার কথা বলে যে ভাবে আটকাচ্ছে (পুলিশ), তাতে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার স্যার (বিধানসভার স্পিকার)— সমস্ত দফতরকে জানিয়েছি। এর পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব। আমার লক্ষ্য, ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা।’’ ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেন,‘‘ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন সেটা ব্যবস্থা করব আমি। যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছিল, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছিল, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের শিরোনামে নিয়ে গেল, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঘুমোতে দেব না।’’

    নওশাদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত ওই রক্ষাকবচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, ২৭ জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেরর মামলায় কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের তিন দিন আগে, ৫ জুলাই নিউ টাউন থানায় ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। তাঁকে ‘সহায়তা’ করেছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। ওই অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন নওশাদ। পরে জানা যায়, ডোমকল শহরে তৃণমূলের সর্বশেষ যে কমিটি ঘোষিত হয়েছিল, তাতে মোট পাঁচ জনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। তার চার নম্বরে নাম ছিল নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী তরুণীর। 

  • BJP: অনুমতি নেই পুলিশের! বুধবার কলকাতার পথে মিছিলে অনড় বিজেপি 

    BJP: অনুমতি নেই পুলিশের! বুধবার কলকাতার পথে মিছিলে অনড় বিজেপি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও অশান্তির প্রতিবাদে আজ, বুধবার পথে নামবে বিজেপি। তবে এদিন  মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না মিললেও মিছিল হবেই, বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা। পাশাপাশি দলের সাংসদ, বিধায়কদেরও মিছিলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কেন অনুমতি নেই

    পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রতিবাদে বুধবার কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। কিন্তু সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার, ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ। শহর জুড়ে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। এর মধ্যেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আজ কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ, তৃণমূলের নির্মীয়মাণ মঞ্চের অদূরেই শেষ হওয়ার কথা বিজেপির মিছিলের। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাচার হওয়া ১০৫টি প্রাচীন মূর্তি ভারতের হাতে তুলে দিল মার্কিন প্রশাসন

    বিরোধী-কণ্ঠ রোধের চেষ্টা

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেবে, এমন আশাও আমাদের ছিল না। কারণ, আমরা জানি, তৃণমূল প্রতিহিংসাপরায়ণ দল। ভোট লুট, গণনায় কারচুপির পরে ওরা বিরোধীদের কণ্ঠস্বর বন্ধ করতে চাইছে। তবে আমাদের মিছিল হবেই।’ পঞ্চায়েত ভোটে বেনজির হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। মহিলাদের উপরও অত্যাচার করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন মহিলারা। এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে বিজেপি। আজ হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপির ‘তথ্যানুসন্ধানী মহিলা প্রতিনিধি দল’-এর যাওয়ার কথা। একইসঙ্গে হিংসার প্রতিবাদে আজ পথেও নামছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) ভোট পর্বে মহিলাদের উপরেও অত্যাচার (Violence on Women) হয়েছে। এ ব্যাপারে পাওয়া বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় আরও একটি ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ পাঠাতে চলেছে বিজেপি। পাঁচ মহিলা সাংসদের ওই দল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে শুধু মহিলাদের সঙ্গেই কথা বলবেন। পঞ্চায়েত পর্বে হওয়া নানারকম হিংসার ঘটনা এবং তার জেরে হওয়া সমস্যার কথা জানতে চাইবেন তাঁরা। তার পর তাঁরা রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে। 

    হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ

    বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই পাঁচ মহিলা সাংসদকে বাংলায় মহিলাদের (Violence on Women) উপর হওয়া হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য পরিদর্শন করে যাওয়ার পর জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। রাজ্যে আসছেন সাংসদ সরোজ পাণ্ডে, রমা দেবী, ওড়িশার সাংসদ অপরাজিতা সারঙি, কবিতা পাতিদার, সাংসদ সন্ধ্যারাজ।এর আগে দিল্লিতে রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয় বলেই খবর। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনেই চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায় বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    কী করবে ওই দল

    রাজ্যে যে মহিলা দল আসছে, তার মাথায় রয়েছেন সরোজ পাণ্ডে। রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)  হিংসার ঘটনায় বাদ যায়নি মহিলারাও বলে দাবি বিজেপির। অনেক জায়গায় মহিলা প্রার্থীদের অশান্তির ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মহিলা প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকায় অনেক জায়গাতেই মহিলা প্রার্থীদের সরাসরি শাসক দলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। সেই কারণে পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতেই মহিলা সাংসদদের রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে মত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। সোমবার বিজেপির তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ওই দলটির আসার দিন ক্ষণ না জানালেও মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার না হলে বুধবার ওই দল রাজ্যে আসবে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে ওই দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh : ‘পাটনায় পিকনিকের পর, বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে’, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh : ‘পাটনায় পিকনিকের পর, বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ফের বসছে বিরোধী জোটের বৈঠক (Opposition Party Meet)। থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শ্লেষাত্মক বাক্যে তিনি বলেন, ‘ক’দিন আগে বিরোধী জোটের বৈঠক ঘিরে পাটনায় পিকনিক হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে হবে ব্যাঙ্কয়েট।’ একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘ইউপিএ চাইছে পরিধি আরও বড় হোক। এনডিএ’ও তাই চাইছে। কিন্তু ইউপিএ’র বৈঠকে কারা যোগ দিচেছ? কী শক্তি আছে তাদের? পাটনায় পিকনিক হয়েছিল। এবার বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে। সব দেখে মনে হচ্ছ, কংগ্রেস হয়তো এই এবারের বৈঠকে বিজয়োৎসব পালন করতে চাইছে। এটাই ওদের কাছে সান্ত্বনা।’

    লোকসভা নিয়ে আশাবাদী

    আর পাঁচটা দিনের মতোই সোমবারও নিউটাউনে ইকোপার্কে মর্নিংওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানেই তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, ‘আগের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। তার বড় প্রমাণ এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ৪৭ হাজার প্রার্থী দিতে পেরেছি। আগেরবার মাত্র ২১ হাজার দিতে পেরেছিলাম। এতে স্পষ্ট, রাজ্যে সংগঠন মজবুত হচেছ। বিজেপির উপর মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে আমরা খুব ভালো লড়াই দিতে পারব শাসক দলকে। আমার বিশ্বাস, গতবারের তুলনায় আরও এক ডজন সিট ছিনিয়ে নিতে পারব।’

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে রাজ্য বিজেপি বিশেষ জোর দিচ্ছ। যাদবপুরকে আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘আগেই ঠিক হয়েছিল লোকসভা আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা হবে। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা ভোটে লড়াই করার ক্ষেত্রে। তাই যাদবপুরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদাকেও আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দেওয়া হচেছ।’

    পুননির্বাচনে বিরোধীদের জয়

    সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজিরবিহীন সন্ত্রাস নিয়েও তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা যত প্রার্থী দিয়েছিলাম সেই মতো ফল হয়নি। তার বড় কারণ ভোট লুঠ। তা শুধু ভোটের দিন হয়নি, গণনাতেও হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছ’হাজার বুথে ভোটে কারচুপির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে। আশা করছি, সুবিচার পাবে বিরোধীরা। কারণ, ১০ জুলাই যে ৬৯৬টি বুথে পুননির্বাচন হয়েছে, সেখানে বিরোধীরা জিতেছে ৬৫০ আসন। যা থেকে স্পষ্ট, নিয়ম মেনে ভোট পরিচালনা হলে তৃণমূল অর্ধেক আসনও জিততে পারত না।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share