Tag: tmc

tmc

  • Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত (Calcutta High Court) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের করা সেই মন্তব্যের জন্য মামলাকারীকে বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করার পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বিচারপতিকে নিয়ে অভিষেকের পৃথক একটি মন্তব্যের মামলা চলছে বৃহত্তর বেঞ্চে। সোমবার সেই বেঞ্চেই আবেদনের পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি।

    রুল জারির দাবি

    এদিন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও শাক্য সেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেকের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করুক। রুল জারি করুক। এদিন অভিষেকের নাম না করে আইনজীবীরা বলেন, “ওঁর বক্তব্য হাইকোর্ট খুনিদের রক্ষাকবচ দিচ্ছে। হাইকোর্টের জন্যই নির্বাচনে এত রক্তারক্তি। তিনি কার্যত বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এর আগেও তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।”

    বেলাগাম অভিষেক! 

    আদালত (Calcutta High Court) অবশ্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার দাবি মানেনি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। শুক্রবার এসএসকেএমে জখম তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপিকে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “আমি বারবার বলছি বিচার ব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। …সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।”

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এও বলতে শোনা যায়, “কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একজন বিচারপতির জন্য গোটা বিচার ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি সাধারণ মানুষকে চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছে, তবু পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। ওই বিচারপতি শুভেন্দুকে এমন রক্ষাকবচ দিয়েছেন যে আগামী দিনেও ওঁর কোনও অপরাধের জন্য পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারবে না।” বিচার ব্যবস্থার প্রতি একজন সাংসদের এহেন মন্তব্য কতটা সমীচিন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজ্যজুড়ে। এদিন আদালতে বিকাশ বলেন, “ওই বিচারপতির বাড়িতে আগেও পোস্টার সাঁটা হয়েছে। তা নিয়ে হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিল। শাসক দলের নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ না হলে মর্যাদা হানি হবে হাইকোর্টের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

    Howrah: আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটে গেলেও এখনও পর্যন্ত জেলায় জেলায় অশান্তি থামেনি। বৃহস্পতিবারই উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যে কোনও ধরনের অশান্তি ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই গভীর রাতে হাওড়ার (Howrah) আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। গণনার পর থেকেই আমতার ওই এলাকা উত্তপ্ত ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল। এমনকী শাসক দলের নেতারা হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিরোধী দলের। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সোমা রায় সহ ৬ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক বৃদ্ধা অগ্নিদগ্ধ হন। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ছাড়া আর কেউ এ কাজ করতে পারে না।

    ভয়াবহ সেই ঘটনার (Howrah) বিবরণ

    আমতা (Howrah) বিধানসভার অন্তর্গত আমড়াগোড়ি অঞ্চলের কাঁকরোল গ্রামে বিজেপির গ্রামসভার প্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আতঙ্কে গ্রামছাড়া এলাকার একাধিক পরিবার। বিজেপির আরও অভিযোগ, ঘরগুলোতে বাইরে থেকে শিকল লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবশীরাই তাদের দরজার শিকল খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। এই ঘটনায় কোনওক্রমে বাড়ির বাসিন্দারা বেরোতে পারলেও আগুনে পুড়ে মরেছে হাঁস, মুরগি সহ গবাদি পশু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জয়পুর থানার পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। অভিযোগ, ভোটে বিজেপির হয়ে দাঁড়ানোর পর থেকেই হুমকি আসছিল। তৃণমূলের নেতারা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু তারা তৃণমূলের হুমকি উপেক্ষা করেই সেখানে বসবাস করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল সত্যিই যে ঘরদোর জ্বালিয়ে দেবে, তাঁরা তা বুঝে উঠতে পারেননি।

    কী বলছে বিজেপি প্রার্থীর পরিবা (Howrah) ?

    ভূদেব রায় ও স্বপন রায় দুই ভাই। ভূদেবের স্ত্রী কল্পনা রায় ও স্বপনের স্ত্রী ঝুমা রায়। দুই জা বিজেপির হয়ে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অমরাগড়ি এলাকার ৪৩ ও ৩৭ নম্বর দুটি বুথ থেকে দুজনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। স্বপন রায় বলেন, স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা আমাদের ভোটে দাঁড়াতে বারণ করেছিল। আমরা তাদের বারণ উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। তারপর থেকেই আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু সত্যিই যে তারা আমাদের ঘরে (Howrah) পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেবে, তা আমরা বুঝতে পারিনি।

    তীব্র নিন্দা শুভেন্দু অধিকারীর

    হাওড়া গ্রামীণের বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন অধিকারী বলেন, পুলিশ ওদের দলদাস। মনোনয়ন থেকে দেখছি, পুলিশ ওদের কথা মতো চলছে। বিজেপি বারবার আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কিছু করছে না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমা রায়ের বাড়ি (Howrah) কীভাবে পুড়েছে, সেই ছবি তিনি ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন। তাঁর দাবি, গ্রামাঞ্চলে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার কয়েক হাজার বিরোধী দলের কর্মী। তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে গ্রামছাড়া করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

    কী বলছে তৃণমূল?

    যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আমতা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেলিমুল আলম জানান, যে জায়গায় ঘরগুলি আগুনে পুড়ে গেছে সেই জায়গা নিয়ে আইনি জটিলতা চলছিল। আইনি জটিলতা কাটাতে ইচ্ছে করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc: ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী! সেই বুথেও ফের ভোটের নির্দেশ

    Tmc: ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী! সেই বুথেও ফের ভোটের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোছা গোছা ব্যালট পেপার ছিঁড়ে, মুখে পুরে দিয়ে রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তৃণমূলের (Tmc) এক প্রার্থী। দিনভর আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনিই। ভোটে জিততে যে কত রকমের ছলাকলার আশ্রয় নেওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের ওই প্রার্থী। কিন্তু সেদিন যেমন শেষ রক্ষা হয়নি, ফলাফল ঘোষণার পরও তা হল না। ওই কেন্দ্রে ফের ভোট করানোর নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশন মোট ২০টি বুথে পুনরায় নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে। তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি বুথ রয়েছে হাওড়া জেলার সাঁকরাইলে, ১৫ টি। এরপরই স্থান উত্তর ২৪ পরগনার। সেখানে পুনরায় ভোট হবে ৪ টি বুথে। এছাড়া ভোট হবে সিঙ্গুরের একটি বুথে।

    কী হয়েছিল সেদিন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সিপিআইএম প্রার্থীকে হারাতেই ব্যালট পেপার চিবিয়ে খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Tmc) ওই প্রার্থী। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের অশোকনগর সেক্রেটারি বয়েজ হাই স্কুলের। জানা গিয়েছে, গণনার শেষে ৪ ভোটে জয়ী হন সিপিআইএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। অভিযোগ, এরপর গণনা কেন্দ্রে ঢুকে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহাদেব মাটি। তারপর তিনি সিপিএম প্রার্থীর ৪টি ব্যালট ছিঁড়ে খেয়ে নেন এবং বাকি ব্যালট ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এর পর প্রায় ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল ওই কেন্দ্রের গণনা।

    সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ৪ ভোটে জেতার পর জয় নিশ্চিত করার আগে ফের গণনা হওয়ার কথা ছিল। এমনটা তাঁকে জানানোও হয়েছিল। তখন সেখানে এসে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী। এজেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর সোজা ব্যালটের দিকে এগিয়ে গিয়ে ২৫ টা ব্যালটের তোড়া হাতে তুলে নিয়ে তা ছিঁড়ে অর্ধেক মুখে পুরে খেয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী (Tmc)। আর বাকিটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেন।

    কোন ২০ টি বুথে ফের ভোট?

    কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে মোট ওই ২০টি বুথে ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল সাঁকরাইলের মানিকপুর ২৪৭ থেকে ২৫৪ নম্বর পর্যন্ত মোট ন’টি বুথ, সারেঙ্গার ২৬৭, ২৬৮ (দু’টি), ২৭১ (দু’টি) এবং ২৭৭ নম্বর বুথ। সিঙ্গুরের বেরাবেরির ১৩ নম্বর বুথ এবং হাবড়া ২-এর ভুরকুণ্ডার ১৮ নম্বর বুথ (দু’টি), ৩১ নম্বর বুথ এবং গুমা পঞ্চায়েত কেন্দ্রের ১২০ নম্বর বুথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: সিপিএমকে হারাতে ব্যালট ছিঁড়ে খেয়ে শাসক দলের প্রার্থী আলোচনার কেন্দ্রে

    Panchayat Election 2023: সিপিএমকে হারাতে ব্যালট ছিঁড়ে খেয়ে শাসক দলের প্রার্থী আলোচনার কেন্দ্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) তৃণমূলের নানা কীর্তিকলাপের সাক্ষী থেকেছে। ভোটে জিততে যে কত রকমের ছলাকলার আশ্রয় নেওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। সর্বত্র একই চিত্র। যখনই তৃণমূল প্রার্থীরা দেখতে পাচ্ছেন, তাঁর হার অবধারিত, তখনই তাঁরা কোথাও ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড় দিয়েছেন, কোথাও ব্যালট বাক্স থেকে ব্যালট বের করে তাতে জল ঢেলে দিয়েছেন। তাতেও শান্তি হয়নি। ফের সেই জল ঢেলে দেওয়া ব্যালটে ঢেলে দিয়েছেন কালি। তবে হাবড়ার এক তৃণমূল প্রার্থী যা করলেন, তাতে সবাই তাজ্জব। তাঁর কীর্তি এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। অনেকেই হাসাহাসি করে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন, তৃণমূল কি সর্বভূক হয়ে গেল?

    কী ঘটনা ঘটেছে (Panchayat Election 2023)?

    জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সিপিআইএম প্রার্থীকে হারাতেই ব্যালট পেপার চিবিয়ে খেয়ে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের অশোকনগর সেক্রেটারি বয়েজ হাই স্কুলে। জানা গিয়েছে, গণনার শেষে ৪ ভোটে জয়ী হন সিপিআইএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। অভিযোগ, এরপর গণনা কেন্দ্রে ঢুকে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহাদেব মাটি। তারপর তিনি সিপিএম প্রার্থীর ৪টি ব্যালট ছিঁড়ে খেয়ে নেন এবং বাকি ব্যালট ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এর পর প্রায় ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল ওই কেন্দ্রের গণনা।

    কী বললেন সিপিএম প্রার্থী?

    সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার জানিয়েছেন, ৪ ভোটে (Panchayat Election 2023) জেতার পর জয় নিশ্চিত করার আগে ফের গণনা হওয়ার কথা ছিল। এমনটা তাঁকে জানানোও হয়েছিল। তখন সেখানে এসে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী। এজেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর সোজা ব্যালটের দিকে এগিয়ে গিয়ে ২৫ টা ব্যালটের তোড়া হাতে তুলে নিয়ে তা ছিঁড়ে অর্ধেক মুখে পুরে খেয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী। আর বাকিটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেন। গোটা ঘটনার জেরে গণনা কেন্দ্রে থাকা সকলেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন বলেই দাবি করেছেন সিপিএম প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rajya Sabha Polls: রাজ্যসভার ৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল, তালিকায় কারা জানেন?

    Rajya Sabha Polls: রাজ্যসভার ৬ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল তৃণমূল, তালিকায় কারা জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভোটের ঢাকে পড়ল কাঠি। এবারের নির্বাচনে অবশ্য অংশগ্রহণ করতে হবে না জনগণকে। এবার যাঁরা ভোট দেবেন (যদি নির্বাচন হয়), তাঁরা জনগণের দ্বারা নির্বাচিত প্রতিনিধি। (তবে এবার ভোট হচ্ছে না।) ২৪ জুলাই রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)। পশ্চিমবঙ্গ, গোয়া এবং গুজরাট মিলিয়ে নির্বাচন হবে ১০টি আসনে। সোমবার রাজ্যে চলছে পুনর্নির্বাচন। সেদিনই রাজ্যের ৬টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করে দিল তৃণমূল।

    প্রার্থী তালিকায় চমক

    প্রার্থী তালিকায় রয়েছে চমক। যে পাঁচজনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে, তাঁদের মধ্যে তিনজনই ফের প্রার্থী হচ্ছেন। এঁরা হলেন, রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ ব্রায়েন, উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায় এবং তৃণমূল নেত্রী দোলা সেন। আগামী বছর লোকসভা নির্বাচন। তাই বাকি তিনটি আসনে অনেক অঙ্ক কষেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। উত্তরবঙ্গে জয়জয়কার বিজেপির। তাই ভোটের কথা মাথায় রেখে মনোনয়ন (Rajya Sabha Polls) দেওয়া হয়েছে প্রকাশ চিক বরাইককে। মুসলমানদের মন পেতে এবার প্রার্থী করা হয়েছে বঙ্গ সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি সামিরুল ইসলামকে।

    প্রার্থী সেই সাকেতকেও

    মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে আরটিআই কর্মী সাকেত গোখলেকেও। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরোর ছেড়ে যাওয়া আসনে হবে উপনির্বাচন। তবে ওই আসনে কে প্রার্থী হবেন, তা এখনও ঘোষণা করা হয়নি। বিধানসভায় যেহেতু তৃণমূলের বিধায়ক সংখ্যা বেশি, তাই পাঁচটি আসনে জয় নিশ্চিত শাসক দলের। উপনির্বাচনেও জিতবে তৃণমূল। এবার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকায় অন্যতম চমক হল সুস্মিতা দেবকে বাদ দেওয়া। প্রয়াত কংগ্রেস নেতা সন্তোষ মোহন দেবের কন্যা সুস্মিতাও কংগ্রেস নেত্রী ছিলেন।

    আরও পড়ুুন: “পঞ্চায়েত নির্বাচন প্রহসন”, কটাক্ষ শুভেন্দুর, দিলেন ‘প্রমাণ’ও

    দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পুরস্কার হিসেবে দলবদলু সুস্মিতাকে দেওয়া হয় অর্পিতা ঘোষের ছেড়ে যাওয়া রাজ্যসভার (Rajya Sabha Polls) সদস্যপদ। বছর দেড়েক রাজ্যসভার সদস্য ছিলেন সুস্মিতা। এবার আর তালিকায় ঠাঁই হয়নি তাঁর। বাদ গিয়েছেন শান্তা ছেত্রীও। রাজনৈতিক মহলের মতে, সাকেতকে প্রার্থী করে বিজেপিকে একটা ধাক্কা দেওয়ার চেষ্টা করলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কারণ তথ্যের অধিকার আইন নিয়ে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে বারংবার সরব হয়েছেন সাকেত। ভুয়ো খবর ছড়ানোর (Rajya Sabha Polls) অভিযোগে একাধিকবার গ্রেফতার করা হয়েছিল তাঁকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: অশান্তি থামছে না দিনহাটায়, ভোটের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, আহত দুই

    Panchayat Election 2023: অশান্তি থামছে না দিনহাটায়, ভোটের মধ্যেই গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মীর মৃত্যু, আহত দুই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) ঘিরে কার্যত অগ্নিগর্ভ হয়ে রইল দিনহাটা। প্রিসাইডিং অফিসার ও বিরোধী প্রার্থীর মাথায় বন্দুক তাক করে যেখানে চলেছে অবাধ ভোট লুট। যদিও কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশ দেখেই চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিনহাটার অচিনতলায় ১৮০ ও ১৮১ নম্বর বুথে ছাপ্পা ভোটের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দিনহাটায় তিন বিজেপি কর্মী গুলিবিদ্ধ, এর মধ্যে মৃত ১, বাকি দুজন হাসপাতালে। আরেকটি ঘটনায় বিজেপি কর্মীকে মারধরও করা হয়। 

    গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী

    শনিবার সকাল দশটা নাগাদ দিনহাটা ১ নম্বর ব্লকের ভাংগি পার্ট ১ এলাকায় বিজেপির দুই কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়। অপরদিকে দিনহাটার ঘুঘুমারিতেও গুলি চলার ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক বিজেপি কর্মী আহত হয়েছেন এছাড়াও আহত হয়েছেন আরও এক ব্যক্তি। শনিবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ নিউ গিতালদহ সংলগ্ন এলাকায় গুলিবিদ্ধ রেজাউল করিম নামে এক বিজেপি কর্মী এবং গুরুতর আহত বিজেপি প্রার্থীর স্বামী গৌতম সরকার। একদল দুষ্কৃতী এসে তাদের এক কর্মীকে এলোপাথাড়ি মারধর করে ও গুলি চালায়। গুলিবিদ্ধ বিজেপি কর্মী চিরঞ্জিত কার্জির মৃত্যু হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “মেরে ফেলবে, বুথ থেকে সরান”, সুকান্তর কাছে আর্জি রাজ্যের এক পুলিশকর্মীর

    বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বুথে (Panchayat Election 2023) ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। বাধা দেওয়ায় বিজেপি কর্মীদের উপর চড়াও হয় তারা। বুথের মধ্যেই গুলি চলে। বিজেপি নেতারা দাবি করেন, তৃণমূল আশ্রিত দু্কৃতীদের মারে তাঁদের বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীও জখম হন। দিনহাটা হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। আহত রাধিকা বর্মনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন বিজেপি নেতারা। তারা বলেন, “দিনহাটা ভিলেজ ওয়ানের ওই বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট পড়ছিল। পুরো ভোটকেন্দ্র চলে গিয়েছিল দুষ্কৃতীদের দখলে।”

    নির্দল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি

    শুধু বিজেপি কর্মীরাই আক্রান্ত নন, এদিন সকালে কোচবিহারের দিনহাটায় নির্দল প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। গুলিবিদ্ধ পুঁটিমারি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল প্রার্থী ভোলা বর্মনকে কোচবিহারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর পেটে গুলি লাগে। নির্দল প্রার্থীর এক অনুগামীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি, আরেক সমর্থকের হাত ভেঙে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ অস্বীকার করেছে শাসকদল।

    তৃণমূল বনাম বিক্ষুব্ধ তৃণমূল

    অন্যদিকে এই কোচবিহারের দিনহাটার খাটামারির ১৯১ নম্বর বুথে দেদার ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে তুলকালাম বেঁধে যায়। এখানে আবার শাসকদল ও তার বিক্ষুব্ধদের মধ্যে সংঘর্ষ।  তৃণমূল ও বিক্ষুব্ধ তৃণমূলের সংঘর্ষে ভয়ঙ্কর চেহারা নিল বুথ। অভিযোগ, প্রিসাইডিং অফিসারকে বেধড়ক মারধর করে ছাপ্পা ভোট দেয় বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা। পাল্টা তৃণমূল কর্মীরা এসে ব্যালট পেপার ফেলে দেয়। বুথ ভাঙচুর করে। বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের মেরে তাড়ানো হয় বলে অভিযোগ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’, তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি!

    Panchayat Election 2023: হাতিয়ার ‘দুর্নীতি’, তৃণমূলকে টক্কর দেবে বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023)। নির্বাচন হবে ৬১ হাজারেরও বেশি আসনে। শাসক দল তৃণমূলকে বিনা যুদ্ধে সুচ্যগ্র মেদিনীও ছাড়তে রাজি নয় বিজেপি। তবে ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এবার তৃণমূল আর একতরফা খেলতে পারবে না বলেই দাবি বিরোধীদের। রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে যে সমানে সমানে টক্কর হবে, তা মেনে নিয়েছে শাসক ও বিরোধী উভয়পক্ষই। আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি ও কোচবিহারে জেলা পরিষদে তৃণমূলকে যথেষ্ট বেগ দেবে বিজেপি। দক্ষিণবঙ্গের মুর্শিদাবাদ, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পূর্ব মেদিনীপুরেও তৃণমূলকে টক্কর দেবেন বিরোধীরা। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ত্রিস্তরে বিজেপি জিতেছিল ৬ হাজারের কাছাকাছি আসনে। এবার তাদের লক্ষ্য ১৫ হাজার আসনে জয়। বাম-কংগ্রেস জোটের আশা, মুর্শিদাবাদ ও পুরুলিয়ায় ভাল ফল করবে তারা।

    জেলা পরিষদে লড়াই

    রাজ্যে জেলা (Panchayat Election 2023) পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ৯২৮টি। শাসক দল ১৬টিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যাওয়ায় নির্বাচন হচ্ছে ৯১২টিতে। এর সবকটিতেই প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল। বিজেপি লড়ছে ৮৯৭টি আসনে। কংগ্রেস প্রার্থী দিয়েছে ৬৪৪টি আসনে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলা পরিষদের মোট আসন সংখ্যা ছিল ৮২৫টি। তার মধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল জিতেছিল ২০৩টি আসনে। তবে এবার আর তা হচ্ছে না। তাই খেলা হবে! বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে যে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে, তার জেরেই রাজ্যবাসী উচিত শিক্ষা দেবে শাসক দলকে।

    ভোট চায় জনতা

    এদিকে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় (Panchayat Election 2023) গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪২৯০টি আসনে, পঞ্চায়েত সমিতির ৬৬৫টি আসনে এবং জেলা পরিষদের ৭০টি আসনে লড়াই হচ্ছে। এই জেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৬২টি ও পঞ্চায়েত সমিতির ২টি আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। বিষয়টিকে ভাল চোখে দেখছেন না ভোটাররা। তাঁদের বক্তব্য, লড়াই হোক। সেখানেই নির্ধারিত হোক জয়- পরাজয়। তাঁদের মতে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ে আদতে বঞ্চিত করা হয় ভোটারদেরই। তাই প্রতিটি আসনেই লড়াই হওয়া উচিত। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক ভোটারেরই প্রশ্ন, উন্নয়ন করে থাকলে নির্বাচনে কেন অনীহা শাসকের? কেন ভয় দেখিয়ে দাবিয়ে রাখতে হবে বিরোধীদের?

    আরও পড়ুুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে বিতর্ক, চাঞ্চল্য অন্ডালে

    Asansol: তৃণমূল জেলা পরিষদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে পোস্টার ঘিরে বিতর্ক, চাঞ্চল্য অন্ডালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই রাজ্যে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট। এরই মাঝে তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর বিরুদ্ধে চঞ্চল্যকর দাবী করে কিছু পোস্টার দেখা গেল। এরপর থেকে পোস্টারকে ঘিরে খনি অঞ্চলের রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগল শুরু হয়েছে। ঘটনাটি রানীগঞ্জ বিধানসভার (Asansol) অন্ডাল ব্লকে ঘটেছে। 

    কার বিরুদ্ধে পোস্টার (Asansol)?

    শুক্রবার অন্ডালের (Asansol) দিগনালা ও অন্ডাল বাজার এলাকায় বিভিন্ন জায়গায় অন্ডাল ব্লকের তৃণমূল ব্লক সভাপতি তথা এবারের পঞ্চায়েত ভোটে এলাকার জেলা পরিষদ প্রার্থী কালবরণ মন্ডলের নামে বেশ কিছু পোস্টার নজরে আসে। পোস্টারে লেখা ‘তৃণমূল ব্লক সভাপতি কালবরণ মন্ডল নানান অসামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত, এলাকায় জমি-কয়লা-বালির অবৈধ কার্যকলাপ করেন।” দীর্ঘদিন তিনি শাসকদলের পঞ্চায়েত সমিতি ও ব্লক সভাপতির পদে ছিলেন। কিন্তু এতদিনেও সাধারণ মানুষের চেয়ে নিজের স্বার্থসিদ্ধির কথাই বেশি ভেবেছেন বলে পোস্টারে উল্লেখ রয়েছে।

    তৃণমূল প্রার্থীর বক্তব্য

    পোস্টার প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি (Asansol) কালবরণ মণ্ডল বলেন, ভোটের ঠিক একদিন আগেই এই ধরনের পোস্টার তাঁর বিরুদ্ধে বিরোধীদের চক্রান্ত। পাশাপাশি কালবরণ মণ্ডল নাম না করে দলের অভ্যন্তরে তাঁর বিরোধীদের দিকেও পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করেন। যদিও কালবরণ মণ্ডল এই ধরনের পোস্টারকে কোনও রকম আমল দিতে নারাজ। তিনি বলেন, এলাকার মানুষ জানেন তাঁর ব্যক্তিত্ব কেমন, আর তার প্রতিফলন আগামী ৮ই জুলাই মানুষ ভোট বাক্সে দেখিয়ে দেবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডালের (Asansol) বিজেপির ব্লক সভাপতি সোহন রাবনী বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস বেশ কয়েকটি গোষ্ঠীতে বিভক্ত অন্ডালে। এই ধরনের পোস্টার তারই বহিঃপ্রকাশ মাত্র। বিজেপি নেতা আরও দাবি করেন, পোস্টারে যে সকল জিনিস কালবরণের বিরুদ্ধে লেখা আছে, তা সবই সত্য। পোস্টারটিতে একেবারে নিচে লেখা, অন্ডাল সিনিয়র সিটিজেন ফোরাম। এই পোস্টারে সাধারণ মানুষের কাছে আবেদন করা আছে যে, এই ধরনের ব্যক্তিত্বকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যেন ভোট না দেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: কুলপিতে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪

    Panchayat Vote: কুলপিতে খুনের ঘটনায় ধৃত তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কুলপির দৌলতপুরের কংগ্রেসের বুথ সভাপতি আলফাজ হালদারের খুনের ঘটনায় এবার তৃণমূল প্রার্থীর ২ ছেলে সহ ৪ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে কুলপির দৌলতপুরে নির্দল প্রার্থী গৌতম ব্যানার্জির প্রচারে (Panchayat Vote) বেরিয়েছিলেন আলফাজ হালদার। সেই সময় চুনফুলির মোড়ের কাছে তৃণমূল সমর্থকদের সঙ্গে বচসা শুরু হয় আলফাজের। স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ওই বুথেই এবারে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী নুরউদ্দিন হালদার।

    আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন আলফাজ

    স্থানীয় মানুষদের দাবি, নুরউদ্দিনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের একটা পারিবারিক বিবাদ ছিল এবং আলফাজ এলাকায় একজন ভালো কংগ্রেস কর্মী বলেই পরিচিত ছিল। সেই রাত্রে তৃণমূল প্রার্থী নুর উদ্দিন হালদারের নির্দেশেই তৃণমূল কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথাড়ি কোপ মারা হয় আলফাজকে। ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়। বৃহস্পতিবার কলকাতার হাসপাতালে মৃত্যু হয় আলফাজ হালদারের। ঘটনার জেরে উত্তেজনা ছড়াতে পারে এই আশঙ্কায় এলাকায় মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতৃত্ব।

    আরও পড়ুুন: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    গ্রেফতার খুনীরা…

    বৃহস্পতিবার আলফাজের মৃত্যুর পরে রাতেই কুলপি থেকে ৪ জনকে গ্রেফতার করে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। ধৃতরা খাজমুর হালদার, আম্মাদুল্লা হালদার, আমিরুল হালদার, মনোয়ার হোসেন হালদার। দৌলতপুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুক্রবার পুলিশি হেফাজতে চেয়ে ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। অন্যদিকে নিহত কংগ্রেস নেতা আলফাজ হালদারের দেহ আজ ময়না তদন্তের পর দৌলতপুর গ্রামে নিয়ে আসা হবে।

    আরও পড়ুন: রাত পোহালেই পঞ্চায়েত নির্বাচন, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় বাহিনী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    Birbhum: ভোট কিনতে প্রকাশ্যে টাকা বিলি! দেওয়া হচ্ছে শাড়ি, কাপড়! অভিযুক্ত তৃণমূল প্রার্থী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কিনতে আদিবাসীদের দেওয়া হচ্ছে নগদ টাকা। বিলি করা হচ্ছে নতুন শাড়ি, কাপড়। নির্বাচনী বিধি ভেঙে ভোটারদের টাকা ও শাড়ি দিতে দেখা গেল তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে। ভোটের আগে কেন এই ভাবে নিয়ম ভেঙে, ভোট কেনার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগে সরব বিরোধীরা। ভোটের ঠিক একদিন আগে এই ঘটনায় বীরভূম (Birbhum) জেলায় তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে।

    কী ঘটেছে (Birbhum)?

    ঘটনাটি বীরভূমের (Birbhum) মুরারই এক নম্বর ব্লকের মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলগড়িয়া গ্রামে ঘটেছে। ওই আসনের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন হুমায়ুন কবীর। তাঁর স্ত্রী বদরুন্নেসা খাতুন মহুরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতেরই তৃণমূল কংগ্রেসের বিদায়ী প্রধান ছিলেন। গতকাল বিকেলে হুমায়ুন কবীর তাঁর নির্বাচনী এলাকা বেলগড়িয়া গ্রামে আদিবাসী ভোটারদের টাকা ও শাড়ি বিলি করেছেন।এই বিলি করার ছবি ও ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সামজিক মাধ্যমে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ভিডিওতে মহিলাদের শাড়ি দেওয়া হচ্ছে এবং পুরুষদের খাবারের জন্য হাতে করে পাঁচশো টাকার নোট দিতে দেখা গেছে। যদিও টাকা ও শাড়ি বিলি করার ঘটনা অস্বীকার করেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হুমায়ুন কবীর। তিনি বলেন, এমন কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি যুক্ত নন, বিরোধীদের অপপ্রচার মাত্র। 

    বিরোধীদের বক্তব্য

    স্থানীয় (Birbhum) সঞ্জীব বর্মন সিপিএম নেতা বলেন, টাকা বিলি এবং কাপড় শাড়ি বিতরণের বিষয়টি একদম সত্য। ঘটনা সর্বত্র ভাইরাল হয়েছে। যাঁরা টাকা দিচ্ছেন, তাঁরা সকলেই শাসক দলের লোক। নির্বাচনের আচরণ বিধিকে অমান্য করে এই অনৈতিক আচরণ করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে চোরেদের চুরি সম্পর্কে সকলে জেনে গেছে। তাই শাসক দল হারের সম্ভাবনাকে বুঝতে পেরেই এইভাবে টাকা বিলি করছে। নির্বাচন অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ হলে তৃণমূলকে সাধারণ মানুষ বহিষ্কার করবে। তিনি আরও বলেন, এইভাবে ভোটারদের প্রভাবিত করার বিষয় নিয়ে নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share