Tag: tmc

tmc

  • ED: ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি মামলায় এবার ইডির তলব নুসরতকে, আরও বিপাকে তৃণমূল

    ED: ফ্ল্যাট কেলেঙ্কারি মামলায় এবার ইডির তলব নুসরতকে, আরও বিপাকে তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার বসিরহাটের সাংসদ তৃণমূলের (TMC) নুসরত জাহানকে তলব করল ইডি (ED)। ফ্ল্যাট দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার মামলায় তৃণমূলের এই নেত্রীকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আগামী মঙ্গলবার হাজির হতে বলা হয়েছে তাঁকে। নুসরতের সঙ্গে সঙ্গে তলব করা হয়েছে সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের আর এক ডিরেক্টর রাকেশ সিংহকেও। তাঁকেও হাজিরা দিতে হবে মঙ্গলবার।

    প্রতারণার অভিযোগ

    প্রবীণ নাগরিকদের ফ্ল্যাট বিক্রি করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ২০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল সেভেন সেন্সেস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের বিরুদ্ধে। ২০১৪-’১৫ সালে ৪০০-রও বেশি প্রবীণ নাগরিক ওই সংস্থায় সাড়ে ৫ লক্ষ করে টাকা দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল তাঁদের প্রত্যেককে এক হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট দেওয়া হবে। অভিযোগ, তাঁরা ফ্ল্যাট পাননি, ফেরত পাননি টাকাও। ইডি সূত্রে খবর, সংস্থার বিরুদ্ধে যখন প্রতারণার অভিযোগ ওঠে, তখন অন্যতম ডিরেক্টর পদে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী নুসরত। সেই কারণেই নুসরতকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চায় ইডি। ইডির তরফে এ নিয়ে পৃথক একটি ইসিআইআর (ECIR) দায়ের করা হতে পারে।

    আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নুসরত

    নুসরতের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের হয়েছিল মামলা। বিজেপির অভিযোগ, শমন পেয়েও হাজিরা দেননি তৃণমূলের তারকা নেত্রী। প্রতারণার টাকায় নুসরত পাম অ্যাভেনিউয়ে ফ্ল্যাট কেনেন বলেও অভিযোগ। ফ্ল্যাট বিক্রি নিয়ে প্রতারণার এই মামলায় ইডি (ED) তাঁকে ডাকবে না বলেই আত্মবিশ্বাসী ছিলেন নুসরত। এক পার্টিতে অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের পাশে দাঁড়িয়ে সে কথা জোর দিয়ে জানিয়েওছিলেন তৃণমূল নেত্রী। নিয়োগ কেলেঙ্কারির একটি মামলার সূত্রে এর আগে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে কিছু দিন আগে তলব করেছিল ইডি। এবার ডাক পড়ল তৃণমূলের আরও এক নেত্রীর। যার জেরে যথেষ্ট বিব্রত রাজ্যের শাসক দল।

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর ‘এক দেশ এক নির্বাচন’-এর সুরে গলা মেলালেন পিকেও, এ কীসের ইঙ্গিত?

    অভিযোগ ওঠার পরে পরেই সাংবাদিক সম্মেলনে নুসরত বলেছিলেন, “আমি দুর্নীতির সঙ্গে কোনওভাবেই জড়িত নই। বলা হচ্ছে, আমি দুর্নীতির টাকা নিয়ে নিজের বাড়ি কিনেছি, এই অভিযোগ মিথ্যে। আমি ওই সংস্থা থেকে একটি ঋণ নিয়েছিলাম। সুদ সমেত সেই ঋণ শোধ করে দিয়েছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Dhupguri By Election: সকাল থেকেই লম্বা লাইন! কড়া নিরাপত্তায় ধূপগুড়ি বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন

    Dhupguri By Election: সকাল থেকেই লম্বা লাইন! কড়া নিরাপত্তায় ধূপগুড়ি বিধানসভায় চলছে উপনির্বাচন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্দিষ্ট সময় মেনেই ধূপগুড়িতে শুরু হল বিধানসভার উপনির্বাচন (Dhupguri By Election)। মঙ্গলবার ভোর থেকেই ভোটদাতাদের লম্বা লাইন দেখতে পাওয়া গিয়েছে। ভোটগ্রহণ চলবে  সন্ধ্যে সাড়ে ছটা পর্যন্ত। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাহারায় শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছে। পাহাড় লাগোয়া এই কেন্দ্রে লড়াই এবার ত্রিমুখী। লড়াইয়ে তৃণমূল, বিজেপি ও বাম-কংগ্রেস জোট। ধুপগুড়ি বিধানসভার উপনির্বাচনে মোট প্রার্থী সংখ্যা সাত জন যার মধ্যে পুরুষ পাঁচজন ও মহিলা দুইজন।

    শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ

    দু’টি ব্লক এবং একটি পুরসভায় ২৬০টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে মোট ২,৬৯,৪১৬ জন ভোটদাতা এদিন রায়দান করবেন। ভোটের কাজে মোট ১,০২৪ জন ভোটকর্মী নিযুক্ত থাকছেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা। এ ছাড়া অতিরিক্ত কর্মী মিলিয়ে মোট সংখ্যাটা প্রায় ১,২০০। ২০৫টি জায়গায় ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলি রয়েছে। সেখানে মোট ৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। এছাড়া রাজ্য পুলিশের কর্মীরাও মোতায়েন আছেন। কিছু জায়গায় ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার পুলিশ রয়েছে। মোট ২৬০ টি বুথে মধ্যে ৭২ টি বুথকে স্পর্শ কাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

    ভোটমেশিন বিকল

    ধূপগুড়ি উচ্চ বিদ্যালয়ের তিনটি বুথের মধ্যে একটি বুথে দীর্ঘ ক্ষণ ভোটপর্ব বন্ধ রয়েছে, বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বুথের বাইরে লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন ভোটারেরা। সেখানে ইভিএম মেশিন অকেজো হয়ে পড়েছে। প্রথমে কয়েক জন ভোট দেওয়ার পরেই ওই মেশিন বিকল হয়ে যায় বলে অভিযোগ। ধূপগুড়ির ২৪৬ নং বুথে বিজেপি প্রার্থী তাপসী রায় অভিযোগ জানিয়েছেন, পুলিশ বুথের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী, তাদের ২০০ মিটার দূরে থাকার কথা। পুলিশকে দেখে ভোটারেরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ বিজেপির। এ বিষয়ে কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।

    অন্য রাজ্যেও ভোটগ্রহণ

    ধূপগুড়ি ছাড়াও এদিন ৬ রাজ্য় উত্তরপ্রদেশ (ঘোসি),পশ্চিমবঙ্গ (ধূপগুড়ি), ত্রিপুরা (ধনপুর, বক্সনগর), কেরল (পুথুপল্লী), উত্তরাখণ্ড (বাগেশ্বর), ঝাড়খণ্ড (ডুমরি)- ৭ বিধানসভা কেন্দ্রে উপ নির্বাচন। কেরলের পুথুপল্লীতেও জোরকদমে এগিয়ে চলছে উপনির্বাচন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    Jhalda Municipality: তৃণমূল ক্ষমতাচ্যুত, বন্ধ টাকা! হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঝালদার ৭ কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাতছাড়া হওয়া ঝালদা পুরসভা ছিনিয়ে আনতে মরিয়া তৃণমূল। বিরোধীদের জব্দ করতে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা এমনই অভিযোগ। পুরসভা শাসক দলের হাতছাড়া হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন স্কিমের টাকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেসের। সেই টাকা পেতেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন ঝালদার ৭ কাউন্সিলর। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল।

    বিরোধীদের অভিযোগ

    জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা ঝালদার বাসিন্দা নেপাল মাহাতোর অভিযোগ, ‘‘স্রেফ বিরোধী দলের পুরসভা বলেই বিভিন্ন অছিলায় রাজ্য সরকার ঝালদা পুরসভার ‘হাউজ ফর অল প্রকল্প’-সহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্পের তহবিল আটকে রেখেছে। সুবিচার পেতে তাই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে যাচ্ছি।’’ ঝালদা পুরভবন সূত্রে খবর, ‘হাউজ ফর অল প্রকল্পে’ বাড়ি তৈরির জন্য পুরসভায় মোট ৩ কোটি টাকা এসেছিল। গত বছরের শেষে বিরোধীদের ডাকা অনাস্থার জেরে তৃণমূল পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল পদ থেকে সরে যাওয়ার কিছু দিনের মাথায় ২ কোটি ৮৭ লক্ষ টাকা পুরসভার তহবিল থেকে ফেরত নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। ঝালদার উপপুরপ্রধান পূর্ণিমার দাবি, ‘‘আবেদন-নিবেদনের পরেও সেই টাকা মেলেনি। সুবিচার পেতে মামলা করা করা ছাড়া গতি নেই।’’

    আরও পড়ুন: চড়া রোদে হেঁটেই বাড়ি বাড়ি প্রচারে সুকান্ত, ‘চোরেদের’ না আনার আহ্বান

    মামলাকারীদের দাবি

    মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি এদিন আদালতে জানান, শাসক দলের হাত থেকে পুরসভা চলে যাওয়ার পর থেকেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না। এ কথা শুনে বিচারপতি প্রশ্ন করেন, তবে পুরসভা চলছে কীভাবে? আইনজীবী জানান, পুরসভার তরফ থেকে একাধিকবার টাকা দেওয়ার জন্য আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু রাজ্য কোনও উত্তর দেয়নি। টাকা প্রত্যাহার করার কোনও নথি আছে কি না, তা দেখতে চান বিচারপতি সিনহা। উল্লেখ্য, গত পুরসভা নির্বাচনের পর পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার কংগ্রেসের পুরপ্রতিনিধি তপন কান্দুকে গুলি করে খুন করা হয়। এরপর উপ পুরপ্রধান হন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু। তারপরও ওই পুরসভার ক্ষমতা ফিরে পেতে বারবার বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়েছে তৃণমূল। এমনই অভিযোগ কংগ্রেসের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: তিলকে আপত্তি মমতার! ভিডিও পোস্ট করে ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে খোঁচা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভিডিও পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেকি ধর্মনিরপেক্ষতার প্রশ্নে বিঁধলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও বিজেপির রাজ্য সভাপতির পোস্ট করা ওই ভিডিও-এর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপালে তিলক এঁকে দিতে যাচ্ছেন এক মহিলা। কিন্তু দ্রুত মাথা সরিয়ে নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাত তুলে ইঙ্গিত দিচ্ছেন যে আমি লাগাবো না তিলক। এমনটাই দেখা যাচ্ছে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পোস্ট করা ওই ভিডিওতে।

    সুকান্ত মজুমদারের পোস্ট করা ভিডিও 

    এই নিয়ে খোঁচা দিতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। তিনি তাঁর ট্যুইটার (অধুনা এক্স) হ্যান্ডেলে লিখছেন, ‘‘তৃণমূল সুপ্রিমো লম্বা-চওড়া বক্তব্য রাখেন তাঁর নিজস্ব ব্র্যান্ড ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে। আর সম্মানীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sukanta Majumdar) নমাজের সময় মাথায় ঢাকতে পারেন কিন্তু টিকা নিতে পারেন না। এতে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই যে তিনি রাজবংশীদের সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যকে অপমান করেছেন।’’

    প্রতিক্রিয়া বিভিন্ন নেটিজেনদের 

    সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) পোস্ট করা এই ভিডিওতে নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়াও সামনে এসেছে। একজন লিখছেন, ওনার মাথায় হিজাব ভালো লাগে। আর একজন লিখছেন, গেরুয়া তিলকে কেমন বিজেপি বিজেপি গন্ধ আছে, ওসব কপালে পরলে রাষ্ট্রবাদের রোগ হয়ে যাবে। আর একজন লিখছেন, ওসব কপালে পরলে কী করে পশ্চিম বাংলাদেশ বানাবেন বাংলাকে? আর প্রধানমন্ত্রীই  বা হবেন কীভাবে স্বাধীন পশ্চিম বাংলাদেশের?

    আরও পড়ুুন: তৃণমূল সমাবেশে বেফাঁস মন্তব্য, চটে লাল রাজবংশী, মতুয়ারা, মমতাকে নিশানা শুভেন্দুরও

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • West Bengal: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

    West Bengal: জানেন কোন ২১ জন বিধায়ক পশ্চিমবঙ্গকে পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত করতে চেয়েছিলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিটি বাঙালির কাছে ২০ জুন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন বঙ্গীয় আইন পরিষদে (West Bengal) (অবিভক্ত বাংলার প্রাদেশিক আইনসভা) অখণ্ড বাংলা ভাগের বিষয়টি উত্থাপিত হয়। বাংলাভাগের পক্ষে বড় অংশের ভোট পড়ায় দু’টুকরো হয় বাংলা। এই ভোটাভুটির ফলাফলের ভিত্তিতেই পশ্চিমবাংলা (West Bengal) ভারতের অংশ হয়, পূর্ব বাংলা (যদিও প্রথমে তা পূর্ব পাকিস্তান ও পরে বাংলাদেশ হয়) যুক্ত হয় পাকিস্তানের সঙ্গে।

    দেশভাগের প্রকৃত কারণ ভুলিয়ে দিতে চান মুখ্যমন্ত্রী!

    বিজেপির দাবি, তোষণের রাজনীতির কারণেই দেশভাগের সেই যন্ত্রণাদায়ক দিন ২০ জুন ১৯৪৭ কে  ভুলিয়ে দিতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবারই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ (West Bengal) কোন দিন হওয়া উচিত তা নিয়ে নবান্নে সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দল বিজেপি ওই বৈঠক বয়কট করেছে। ইতিমধ্যে বৈঠকে যোগ না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠিও লিখেছেন সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বিজেপির রাজ্য সভাপতি লেখেন, ‘‘আপনি লিখেছেন (যোগদানপত্রে) কোনও ২০ জুন তারিখে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে আমরা কোথাও কিছু পড়িনি বা শুনিনি। আপনার বক্তব্যেই স্পষ্ট যে, খোলা মনে আলোচনা করার জন্য এই বৈঠক ডাকা হয়নি। কিছু পূর্ব পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য এই বৈঠককে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছেন। আপনার আগেই নিয়ে ফেলা সিদ্ধান্তে সিলমোহর দিতে আমি বা আমার দলের কোনও প্রতিনিধি সর্বদলীয় বৈঠকে যেতে অপারগ। তাই বিজেপি এই বৈঠকে যোগ দেবে না।’’

    কী বলছেন ইতিহাসবিদরা?

    ইতিহাসবিদরা অবশ্য বিজেপির দাবিতেই সিলমোহর দিয়েছেন। তাঁদের মতে, ১৯৪৭ সালের ২০ জুন আমাদের রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) জন্ম হয়। একই সঙ্গে সামনে এসেছে তৎকালীন ২১ জন বিধায়কের নাম এবং বিধানসভাক্ষেত্র যাঁরা সেদিন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) তৈরির বিপক্ষে ভোট দিয়েছিলেন, অর্থাৎ তাঁরা চেয়েছিলেন গোটা বাংলাটাই পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক।

    ২১ জন বিধায়ক যাঁরা চেয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) পাকিস্তানের অন্তর্ভুক্ত হোক

    ১) আব্দুল আহাদ 

    ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর – লবশা, সাতক্ষীরা, খুলনা 
    বিধানসভা আসন: সাতক্ষীরা

    ২) এ এফ এম আব্দুর রহমান 

    ঠিকানা: ১৮/১/এ পীতাম্বর ঘটক লেন, আলিপুর 
    বিধানসভা আসন: উত্তর-পূর্ব ২৪ পরগণা 

    ৩) আব্দুস সবুর খান

    ঠিকানা: লোয়ার যশোর রোড, খুলনা
    বিধানসভা আসন: খুলনা

    ৪) আবুল হাশেম

    ঠিকানা: গ্রাম – কাঁসাড়া, ডাকঘর – কাশেমনগর, বর্ধমান 
    বিধানসভা আসন: বর্ধমান 

    ৫) হুসন আরা বেগম

    ঠিকানা: ১১ বি তিলজলা রোড, কলিকাতা 
    বিধানসভা আসন: কলিকাতার মহিলা সংরক্ষিত আসন

    ৬) ইলিয়াস আলি মোল্লা

    ঠিকানা: ১ নং, জগন্নাথ নগর, ডাকঘর – বাটানগর, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা (সাধারণ)

    ৭) এম এ এইচ ইস্পাহানি

    ঠিকানা: ৫ হ্যারিংটন স্ট্রিট, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: মুসলিম শিল্প ও বাণিজ্য সংঘ

    ৮) জসীমউদ্দিন আহমেদ

    ঠিকানা: রামচন্দ্রপুর, ডাকঘর – শিরাকোল, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা (দক্ষিণ)

    ৯) মোহাম্মদ শরীফ খান

    ঠিকানা: ২৫৬ বেহস রোড, হাওড়া 
    বিজয়ী আসন: হুগলী তথা হাওড়া পুরসভা

    ১০) মোজাম্মেল হোসেন

    ঠিকানা: বাগেরহাট, খুলনা 
    বিজয়ী আসন: বাগেরহাট

    ১১) মোহাম্মদ ইদ্রিস 

    ঠিকানা: গ্রাম – বাউকুল, ডাকঘর – জগৎবল্লভ পুর, হাওড়া 
    বিজয়ী আসন: হাওড়া 

    ১২) মোহাম্মদ কমরুদ্দিন

    ঠিকানা: কাকিনাড়া, ২৪ পরগণা 
    বিজয়ী আসন: ব্যারাকপুর পুরসভা

    ১৩) মোহাম্মদ রফিক

    ঠিকানা: ১৯, জাকারিয়া স্ট্রিট, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: কলিকাতা (উত্তর) 

    ১৪) সৈয়দ মোহাম্মদ সিদ্দিক

    ঠিকানা: গ্রাম ও ডাকঘর – রোল, বাঁকুড়া 
    বিজয়ী আসন: বাঁকুড়া

    ১৫) মুসারফ হুসেন 

    (নবাব খান বাহাদুর), জলপাইগুড়ি নগর 
    বিজয়ী আসন: জলপাইগুড়ি তথা দার্জিলিং 

    ১৬) কে  নুরুদ্দিন

    ঠিকানা: ২৪ চৌরঙ্গী রোড, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: কলিকাতা দক্ষিণ

    ১৭) সিরাজুদ্দিন আহমেদ

    ঠিকানা: গ্রাম – কৃষ্ণপুর, ডাকঘর – সন্দ্বীপ, মেদিনীপুর 
    বিজয়ী আসন: মেদিনীপুর

    ১৮) এইচ এস সুরাবর্দী

    ঠিকানা: থিয়েটার রোড, কলিকাতা 
    বিজয়ী আসন: ২৪ পরগণা পৌরসভা অঞ্চল

    ১৯) এ এম এ জামান

    ঠিকানা: গ্রাম – ইলামদি, ডাকঘর – সুলতানসাদি, ঢাকা 
    বিজয়ী আসন: হুগলী তথা শ্রীরামপুরের নথিবদ্ধ কারখানাগুলি (শ্রমিক)

    ২০) মুদাসীর হুসেন 

    ঠিকানা: রামপুরহাট, বীরভূম 
    বিজয়ী আসন: বীরভূম 

    ২১) আব্দুল ওয়াহিদ সরকার 

    বিজয়ী আসন: হুগলী

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand Police: ঝাড়খণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত রাজ্যের ৭, আটক ২ গাড়ি, উদ্ধার তৃণমূলের ব্যাজ, উত্তরীয়

    Jharkhand Police: ঝাড়খণ্ডে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত রাজ্যের ৭, আটক ২ গাড়ি, উদ্ধার তৃণমূলের ব্যাজ, উত্তরীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঝাড়খণ্ড পুলিশের (Jharkhand Police) হাতে আটক পশ্চিমবঙ্গের দুটি গাড়ি। যেখানে উদ্ধার পিস্তল, ধারালো অস্ত্র। জানা গিয়েছে, ভুয়ো ভিজিলেন্স অফিসার সেজে এই গ্যাং ডাকাতি করতো। পাশাপাশি ওই গাড়ির ভিতরেই রাখা ছিল তৃণমূলের উত্তরীয় এবং ব্যাজ। যা নিয়ে রাজনৈতিক আঁচ দেখা গিয়েছে আসানসোলে। শুরু হয়েছে বিজেপি-তৃণমূলের চাপানউতোর। পুলিশ (Jharkhand Police) সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার ঝাড়খণ্ডের নিরসা থানার (Jharkhand Police) গোপালগঞ্জ এলাকাতে পুলিশ দুটি গাড়ি আটক করে। 

    ভুয়ো অফিসার সেজে তোলাবাজি করতো এই গ্যাং

    গাড়িতে থাকা কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময়ই পুলিশের (Jharkhand Police) সন্দেহ হয়। এরপর গাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের আধিকারিকরা। উদ্ধার হয়, পিস্তল, ছুরি এবং নগদ টাকা। শুধু তাই নয় গাড়ি দুটির সামনে লেখা, ‘‘সোশ্যাল জাস্টিস ফর ইন্টারন্যাশনাল সিভিল রাইট কাউন্সিল’’ এবং ‘‘অ্যান্টি কোরাপশন ফাউন্ডেশন অফ ইন্ডিয়া’’। জানা গিয়েছে, যে গাড়ি দুটি আটক করা হয়েছে পুলিশ সূত্রে খবর তাদের বিরুদ্ধে অনেক দিন ধরেই অভিযোগ জমা হচ্ছিল। পশ্চিমবঙ্গ ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন থানা (Jharkhand Police) এলাকায় এই অভিযোগ আসছিল। ভারী পণ্যবাহী লরিগুলিকে আটক করে তারা সেখান থেকে তোলাবাজি করতো। কীভাবে চলতোস তোলাবাজি? পুলিশ (Jharkhand Police) জানাচ্ছে, ধৃতরা ভুয়ো ভিজিল্যান্স অফিসার সেজে জাতীয় সড়কে গাড়িগুলিকে আটকাতো এবং মোটা টাকা দাবি করত। তাদের পোশাক এবং গাড়ি দেখে লরির মালিকরা তা দিয়েও দিত। অনেকদিন ধরেই এই কাজকর্ম চলার পরে লরি চালকরা নিরসা থানাকে খবর দেয়। তারপর থেকেই এই গ্যাংকে ধরতে সক্রিয় হয়ে ওঠে পুলিশ (Jharkhand Police)।

    ছবি-সংগ্রহীত

    মোট গ্রেফতার ৭ জন

    জানা গিয়েছে, এই দলের বিরুদ্ধে আরপিএফ এর কাছেও ইতিমধ্যে বেশ কয়েকবার অভিযোগ গিয়েছে। এদিনই ধৃত ৭জনকে ধানবাদ আদালতে তোলা হয়। মোট সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ঝাড়খণ্ড পুলিশ (Jharkhand Police) সূত্রে জানা গিয়েছে। এদিনই এ নিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করেন ঝাড়খণ্ড পুলিশের (Jharkhand Police) উচ্চ পদস্থ আধিকারিক অমর পাণ্ডে। এবং তিনি বলেন যে অভিযুক্তরা প্রত্যকেই পশ্চিম বর্ধমান জেলার বাসিন্দা। অমর পান্ডে আরও বলেন, ধৃত যুবকদের কাছ থেকে পিস্তল ছাড়াও চাকু, নগদ টাকা, আইফোন বাজেয়াপ্ত হয়েছে তাদেরকে জেরা করে ডাকাতির প্রমাণও মিলেছে।

    শুরু তৃণমূল-বিজেপি তরজা

    এদিকে, এই ঘটনায় শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা। বিজেপি-র জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল আর দুষ্কৃতী সমর্থক। ঝাড়খণ্ডে তোলাবাজি করছিল সাত যুবক। তাঁরা আসলে আসানসোলের। আসলে ভিন রাজ্যে ছিল বলেই ধরা পড়েছে।” অন্যদিকে, তৃণমলের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসনের সাফাই, “দুষ্কৃতী ধরা পড়েছে শুনেছি। তৃণমূলের ব্যাজ, উত্তরীয় পাওয়া গিয়েছে, সেটাও শুনেছি। কিন্তু এগুলো তো বাজারেই কিনতে পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্ত করে দেখুক।” পাশাপাশি, ধৃতদের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

    TMC: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের তলব তৃণমূল নেতা সুজিত বসুকে, ফাঁসতে পারেন মন্ত্রী?

    মাধ্যম বাংলা ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সিবিআইয়ের আতস কাচের তলায় রয়েছেন রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের (TMC) অনেকেই। সেই সূত্রেই এবার সিবিআই তলব করল তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে। ৩১ অগাস্ট বেলা ১১টা নাগাদ নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে। এ ব্যাপারে সিবিআইয়ের তরফে ইতিমধ্যেই সুজিতকে নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    সিবিআইয়ের তল্লাশি

    পুর নিয়োগ কেলেঙ্কারির তদন্তে নেমে রাজ্যের একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। তাতে বেশ কিছু নথি উদ্ধার হয়েছে বলে খবর। নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে গ্রেফতার করা হয়েছে অয়ন শীলকে। তাঁর বাড়ি থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ১৪টি পুরসভায় তল্লাশি চালায় সিবিআই। সেই সূত্রেই ডেকে পাঠানো হয়েছে সুজিতকে। কারণ মন্ত্রী হওয়ার আগে সুজিত (TMC) ছিলেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার উপপ্রধান। ২০১৬ সালে ওই পদে ছিলেন তিনি। সেই সময় নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছিল বলে অনুমান সিবিআইয়ের তদন্তকারী আধিকারিকদের।

    সিবিআইকে কী জানালেন অয়ন?

    ১৯ মার্চ গ্রেফতার হন অয়ন। ইডির দাবি, অয়নের সল্টলেকের অফিসে তল্লাশি চালিয়ে রাজ্যের একাধিক পুরসভার বিভিন্ন পদে চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট উদ্ধার হয়। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় অয়ন তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, বিভিন্ন পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে তিনি মোট ২০০ কোটি টাকা তুলেছিলেন। পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারির শেকড়ে পৌঁছতে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেখানেও খারিজ হয়ে যায় রাজ্যের আর্জি। বহাল থাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সিবিআই তদন্তের নির্দেশই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আমরা পৃথিবীতে সংকল্প নিয়েছি, আর চাঁদে তা সফল করেছি’’, বললেন মোদি

    এদিকে, সম্প্রতি ফের (TMC) নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করেছে ইডি। সোম ও মঙ্গলবার তারা হানা দিয়েছিল নিউ আলিপুরে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অফিসে। ইডির দাবি, এই সংস্থার সিইও ছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডিরেক্টর ছিলেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। সুজয়ের মেয়ে-জামাইয়ের ফ্ল্যাটেও চালানো হয়েছে তল্লাশি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিবিরহাটের সাজুয়া এলাকায় প্রাক্তন জেলা সভাধিপতি তৃণমূলের শামিমা শেখের স্বামী ও তৃণমূল নেতা রমজান শেখের আবাসন প্রকল্পেও হানা দিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    PM Modi: “সারা দেশ দেখেছে রক্তের খেলা”! বাংলায় পঞ্চায়েত ভোটে হিংসা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত রাজ সম্মেলনের মঞ্চ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শনিবার এই সম্মেলনে মোদির মুখে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত শোনা গেল বাংলার শাসকদলের কড়া সমালোচনা। বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে গত ৮ জুলাই শুধু খুনোখুনি, ভোটলুট এবং বিরোধীদের উপর অত্যাচার হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন মোদি।

    বাংলার বিজেপি কর্মীদের কুর্নিশ

    শনিবার বিজেপির ‘পশ্চিমবঙ্গ ক্ষেত্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ’ সম্মেলনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ভিডিয়ো কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির কার্যকর্তারা ভারতমাতার জন্য, পশ্চিমবঙ্গের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য, পশ্চিমবঙ্গের ভাইবোনের জন্য সংঘর্ষ করছেন, তা এক প্রকার সাধনার সমান। নিজেদের তিল তিল করে নিংড়ে যে ভাবে পশ্চিমবঙ্গের পুরনো বৈভব ফেরানোর চেষ্টা করছেন, তা কুর্নিশযোগ্য।’’ ভার্চুয়াল মাধ্যমে এই সম্মেলনে যোগ দিয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা (Poll Violence) নিয়ে সরব হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। তিনি বলেন, “বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে খুনের খেলা খেলেছে তৃণমূল কংগ্রেস।” পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদের কর্মীদের ক্ষমতা ও কাজের এক্তিয়ার বোঝাতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি  বলেন, “জেলা পরিষদের অধ্যক্ষ রাজ্যের ক্য়াবিনেটের থেকেও বেশি ক্ষমতা রাখেন, অনেক কাজ করতে পারেন।”

    আরও পড়ুন: মধ্যপ্রদেশে মোদির বড় চমক, আজ সন্ত রবিদাসের ১০০ কোটির মন্দিরের শিলান্যাস

    ভোট প্রহসন তূণমূলের

    প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ, বাংলার পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে বাড়ি বাড়ি প্রচার করতেও দেওয়া হয়নি। হুমকি দেওয়া হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে পঞ্চায়েত স্তরের বিজেপি নেতা-কর্মীদের। ভয়ে কেউ কেউ বাড়ি থেকে বেরোতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘‘শুধু যে বিজেপি কার্যকর্তাদের ধমকেছে এমন নয়, ভোটারদেরও ভয় দেখিয়েছে। বিজেপি কর্মীদের যে সমর্থক এবং তাঁদের আত্মীয় আছেন, তাঁদেরও বাঁচা মুশকিল করে দেওয়া হয়েছে। আর তার পর ভোটের সময় ছাপ্পা দেওয়া হয়েছে। তখন তোলাবাজদের ফৌজ ছাপ্পাবাজের ফৌজ হয়ে যায়। সব গুন্ডাদের ভাড়া করা হয়, কী ভাবে এবং কোন কোন বুথ কে দখল করবেন তা ঠিক করে ফেলা হয়। তার পর ভোটের মেশিন নিয়ে পালানো… এবং এখানেই শেষ নয়। ভোটগণনার সময়েও বিজেপির কার্যকর্তাদের তুলে নিয়ে যাওয়া, তাঁদের গণনাকেন্দ্রের কাছে থাকতে না দেওয়া— এত জুলুমের পরেও পশ্চিমবঙ্গের জনগণ বিজেপিকে আশীর্বাদ করেছেন।’’ 

    শনিবারই জি২০-র দুর্নীতি বিরোধী মন্ত্রিসভার বৈঠকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কড়া বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতি সম্পদের ব্যবহারকে প্রভাবিত করে। বাজারকে বিকৃত করে। পরিষেবা সরবরাহকে প্রভাবিত করে এবং শেষ পর্যন্ত মানুষের জীবনযাত্রার মানকে হ্রাস করে।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    TMC: মিছিলকে লক্ষ্য করে কটূক্তি, তৃণমূলের পার্টি অফিসে আগুন দিলেন আদিবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসীদের রোষের মুখে পড়ল তৃণমূল (TMC) কার্যালয়। বুধবার দুপুরে আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠানের মিছিলকে উদ্দেশ্য করে কটুক্তির অভিযোগ। তৃণমূলের পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন জ্বালিয়ে দিল আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের সদস্যরা। তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় পশ্চিম মেদিনীপুরের ডেবরার ভবানীপুর-১ নম্বর অঞ্চলের শ্যামনগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ঝাড়গ্রামের মঞ্চে আদিবাসী সমাজের কল্যাণে বক্তব্য রাখছেন, ঠিক সেই সময় ডেবরার শ্যামনগর গ্রামে আদিবাসী সমাজের মানুষেরা আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসকে সামনে রেখে একটি মিছিলের আয়োজন করেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূল পার্টি অফিসে বেশ কয়েকজন তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থক বসেছিলেন। পার্টি অফিসের সামনে দিয়ে আদিবাসীদের মিছিল যাওয়ার সময় পার্টি অফিসে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীরা মিছিলে যোগ দেওয়া আদিবাসীদের উদ্দেশ্য করে কটুক্তি করেন। এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন মিছিলে থাকা আদিবাসী সমাজের মানুষেরা। রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিসে ভাঙচুর চালায়। পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই তৃণমূল কর্মীরা পার্টি অফিসে ছেড়ে দৌড়ে পালান। পরে, দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোন প্রতিক্রিয়া মেলেনি তৃণমূলের তরফে।

    কী বললেন আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের নেতা?

    আদিবাসী জনকল্যাণ মঞ্চের তারাপদ সিং বলেন, এদিন আমরা সংগঠনের পক্ষ থেকে আদিবাসী সমাজের মানুষ শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলাম। কিন্তু, তৃণমূলের (TMC) ওই কার্যালয় থেকে কয়েকজন আদিবাসীর নাম করে নানা কটূক্তি করেন। যা আমাদের সমাজের সদস্যদের চরম অসন্মান করা হয়। এতেই কিছু সদস্য ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা ওই কার্যালয়ে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালায়। পরে, আগুন ধরিয়ে দেয়। যে বা যারা আমাদের উদ্দেশ্য করে নানা কটূক্তি করেছে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি হবে। না হলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব। এই ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের বিরুদ্ধে যতদূর যেতে হয় তা আমরা যাব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri Byelection: ধূপগুড়ির উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর, ঘোষণা করল কমিশন

    Dhupguri Byelection: ধূপগুড়ির উপনির্বাচন ৫ সেপ্টেম্বর, ঘোষণা করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি বিধায়কের মৃত্যুর কয়েকদিনের মধ্যে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের (Dhupguri byelection) দিনক্ষণ ঘোষণা করল নির্বাচন কমিশন। ৫ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। গত ২৫ জুলাই ধূপগুড়ির বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যু হয়। জানানো হয়েছে, ৮ সেপ্টেম্বর ধূপগুড়ি বিধানসভা উপনির্বাচনের গণনা। ১৭ অগাস্ট ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমার শেষ দিন।

    উপনির্বাচনের খুঁটিনাটি

    প্রসঙ্গত, গত ২৫ জুলাই বিধানসভার অধিবেশনে যোগ দিতে কলকাতায় এসে অসুস্থ হন বিজেপি বিধায়ক  বিষ্ণুপদ রায়। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়ার পরে মৃত্যু হয় তাঁর। ফলে ওই আসনে ফের উপনির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। অবশেষে সেই তারিখ ঘোষণা করে দিল নির্বাচন কমিশন। তারা বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে, ৫ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচন হবে ওই আসনে। ৮ তারিখ বেরোবে ফলাফল।

    নির্বাচন কমিশনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১৭ অগাস্টের মধ্যে নমিনেশন ফাইল করা যাবে উপনির্বাচনে (Dhupguri byelection) দাঁড়াতে হলে। নমিনেশন প্রত্যাহার করার শেষ তারিখ ২১ অগাস্ট। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বাংলা থেকে ৭৭ জন বিধায়ককে পেয়েছিল বিজেপি। এটাই বাংলায় বিজেপির সর্বোচ্চ বিধায়ক প্রাপ্তির রেকর্ড ছিল। বিষ্ণুপদ রায় গত বিধানসভা নির্বাচনে ধূপগুড়ি থেকে জয়ী হয়েছিলেন ৪৩৫৫ ভোটে। এই আসন ধরে রাখার বিষয়ে আশাবাদী গেরুয়া শিবির। সদ্যই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী জানিয়েছিলেন যে ধূপগুড়িতে বিষ্ণুপদ রায়ের স্ত্রীকেই প্রার্থী করতে আগ্রহী দল। 

    আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য! নিয়োগ না মেলায় ফের আদালতে ৬২ জন চাকরিপ্রার্থী

    মঙ্গলবার, কমিশনের তরফে ৬ রাজ্যে ৭ টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের তারিখ ঘোষিত হয়। যে সমস্ত রাজ্যে এই উপনির্বাচন (Dhupguri byelection) ঘোষণা হয়েছে, সেই রাজ্যগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, কেরলা, ত্রিপুরা, উত্তরাখণ্ড। ওই একই দিনে উত্তরাখণ্ডের বাগেশ্বর, উত্তর প্রদেশের ঘোসি, ত্রিপুরার বক্সানগর, ধানপুর, কেরলের পুথুপল্লী, ঝাড়খণ্ডের ডুমরিতে উপনির্বাচন হতে চলেছে সেদিন। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার ধানপুর আসনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রতিমা ভৌমিক ছিলেন বিধায়ক। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার নেওয়ার আগে তিনি আসনটি ছেড়ে দেন। তারফলে সেই আসনেও হতে চলেছে উপনির্বাচন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share