Tag: tmc

tmc

  • Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামপুর (Murshidabad) থানার অন্তর্গত হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় বিশ্বনাথ মণ্ডল নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফাটে এবং অরবিন্দ মণ্ডল নামে আরও এক কংগ্রেস কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগের দিন এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন।

    কী অভিযোগ (Murshidabad)?

    পরিবারের (Murshidabad) অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূলের লোকেরা অরবিন্দেরকে মারধর করে, সেকারণেই শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। আর সেজন্যই গন্ডগোলের খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে মারা গিয়েছেন। একই কথা বলে হত্যাকে অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু নিহত পরিবারের লোক মানতে নারাজ, তাঁরা বলেছেন শাসকদলের লোকেদের হাতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলের স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডল (Murshidabad) বলেন, আমরা কংগ্রেস দল করি, শুধু মাত্র কংগ্রেস করবার জন্যই আমার স্বামীকে বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড তৃণমূল দুষ্কৃতীরা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত থেকেই ঝামেলা শুরু হয়েছে, রাতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রশান্তের নেতৃত্বে প্রথমে আক্রমণ করে। আর তারপর আজ সকালে, বাড়ির উঠানের সামনে ২০ জন দুষ্কৃতী প্রাশান্তের নেতৃত্বেই লাঠি-বাঁশ দিয়ে প্রচণ্ড পেটায় আর তারপরেই আরবিন্দবাবুর মৃত্যু হয় বলে জানান অন্নপূর্ণাদেবী। মৃত অরবিন্দ বাবুর মেয়ে বলেন, এই ভোটের জন্য আমার বাবাকে কেন রাজনৈতিক হত্যার শিকার হতে হল?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Murshidabad) এক তৃণমূলের নেতা বলেন বলন এই হত্যা কাণ্ডের পেছেনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে কংগ্রেসের কর্মীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আজ আমরা থানায় আক্রমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।

    হিংসা এবং হত্যা নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধরির মন্তব্য

    কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাত করে ভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। অথচ, মা মাটি মানুষের সরকারের শাসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ চলছে! সমস্ত পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আইসি অফিসাররা কংগ্রেস কর্মীদের বার বার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশে বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে? পর্যবেক্ষকরা কীভাবে কাজ করছে? তা আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।” তিনি আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য প্রশাসনকে ভোটের পূর্বে ঘটা এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রচারের শেষদিনে নির্দলদের পাশে হুমায়ুন, তোপ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকে

    Murshidabad: প্রচারের শেষদিনে নির্দলদের পাশে হুমায়ুন, তোপ তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কান্দি (Murshidabad) ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে শেষ দিনের প্রচারে নির্দলদের পাশেই দেখা গেল ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর পঞ্চায়েত সমিতির নির্দল সদস্য, গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্দল সদস্য এবং জেলা পরিষদের নির্দল সদস্যদের নিয়ে মিছিল করেন। তাই নিয়ে জেলায় তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বে ফের শোরগোল। 

    কীভাবে প্রচার করলেন (Murshidabad)?

    বৃহস্পতিবার বিকেলে সালার (Murshidabad) বাস স্ট্যান্ড থেকে কাজীপাড়া, দফাদার পাড়া ঘুরে বিধায়কের দলীয় কার্যালয় পর্যন্ত প্রায় দেড় কিলোমিটার ভোটের প্রচার করেন। সাথে ছিলেন তৃণমূলের জেলা স্তরের নেতা নেত্রীরা। নির্দলদের প্রচারে ইতিমধ্যেই তৃণমূল দল নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এমনকি বহু নির্দল প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিন্তু ব্যতিক্রম ভরতপুর বিধানসভা। কিন্তু তারপরেও সালারের নির্দল প্রার্থীদের প্রচারে অটল থাকলেন হুমায়ুন কবীর।

    কী বললেন হুমায়ূন কবীর?

    নির্বাচনী প্রচার শেষে সাংবাদিকদের হুমায়ুন পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, “এই নির্দলদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য একমাত্র দায়ী জেলা তৃণমূল সভানেত্রী (Murshidabad) সাওনী সিংহ রায়। তাঁর অপসারণ আমার মুখ্য দাবি। তাঁর জন্যই আজ তৃণমূলের প্রকৃত সৈনিকরা নির্দল হয়ে দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছেন। যাঁরা নির্দল দাঁড়িয়েছেন ভরতপুর বিধানসভা এলাকায়, তাঁরা সকলেই তৃণমূলের সক্রিয় সৈনিক। হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, “নির্দল হলেও এই প্রার্থীরা প্রকৃতই দলেরই কর্মী-সৈনিক। তাঁদের পাশে আমি রয়েছি, সব সময় তাঁদের জয়লাভ করানো আমাদের লক্ষ্য। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ণ এবং উন্নয়ণের কান্ডারী এই নির্দল প্রার্থীদেরই ভোট দেবে।”

    তৃণমূলের সভানেত্রী কী বললেন?

    অপরদিকে বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী সাওনী সিংহ রায় বলেছেন, “কে কী বলছেন আর কে কী করছেন, আমার তাতে কী আসে যায়! আমি কিছু বলবো না। সমস্তটাই রাজ্য নেতৃত্ব দেখতে পাচ্ছেন। দল নজরে রেখেছেন বিষয়টি। যদি কেউ মনে করে থাকেন, রাজ্য নেতৃত্ব বিষয়টি খবর রাখে না, তাহলে সে ভুল করছে! ভুল ভাবছে! রাজ্যের চোখে সবকিছুই ধরা পড়ছে। আমি কোনও অন্যায় করিনি। দলের কাজ করেছে দল। তিনি আরও বলেন, হুমায়ুন কবীরকে (Murshidabad) সংশোধন করার সময় দিয়েছে দল। যদি সংশোধন করেন ভালো! দলের প্রতি আমাদের সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে। কারণ দলের কর্মীদের পরিশ্রম বৃথা যাবে না। ভোটের পরে বিষয়টি নিয়ে দল নিশ্চয়ই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: ফের উত্তপ্ত দিনহাটা! গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি কর্মী, আহত আরও ১

    BJP: ফের উত্তপ্ত দিনহাটা! গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি কর্মী, আহত আরও ১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহার। বৃহস্পতিবার রাতে দিনহাটায় গুলিবিদ্ধ ৩ বিজেপি (BJP) কর্মী, আহত ১ জন। জানা গিয়েছে, গুলি চালনার ঘটনা ঘটেছে বামনহাট-২ অঞ্চলের কালমাটির  ১০১ নম্বর বুথে। প্রসঙ্গত, ভোট ঘোষণার পর থেকেই বারে বারে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে কোচবিহার। সম্প্রতি রাজ্যপাল সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন কথা বলেন আক্রান্তদের সঙ্গেও। বিরোধীদের অভিযোগ, পুলিশের মদতে শাসক দল লাগামছাড়া সন্ত্রাস চালাচ্ছে কোচবিগার জুড়ে

    আরও পড়ুন: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা ব্যানার্জি”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    ঘটনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ

    রাত পোহালেই পঞ্চায়েত ভোট। এরই মাঝে পরপর বোমাবাজি ও গুলি চলার ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল দিনহাটা ২ নম্বর ব্লক। পরপর বোমা বিস্ফোরণ এবং গুলি চলার ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক দশটা নাগাদ স্থানীয় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা প্রচার শেষে প্রার্থীর বাড়ির বাইরে বসে ছিলেন। ঠিক সেই সময় একদল দুষ্কৃতী বাইকে করে আসে এবং আচমকাই তাদের উপর চড়াও হয়। ঘটনায় বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে চারজন আহত হয়েছেন। চারজনের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর আশঙ্কাজনক বলে জানা গিয়েছে।

    কী বলছেন স্থানীয় বিজেপি (BJP) কর্মী?

    বিজেপি কর্মী পীযুষ বর্মন বলেন, ‘‘আমাদের তিন কর্মী মিলন বর্মন, চন্দ্র বর্মন,অর্জুন বর্মন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং হিরো বর্মন নামের একজন আহত হয়েছেন।’’ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় সুরক্ষা বাহিনী। তারা দ্রুত ৪ জনকেই উদ্ধার করে বামনহাট ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করায় চিকিৎসার জন্য। তার পর স্থানান্তরিত করা হয় দিনহাটা মহকুমার হাসপাতালে। এই ঘটনায় এক দুষ্কৃতীকে আটক করেন স্থানীয় বাসিন্দারা এবং তাকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘তৃণমূল সমাজবিরোধীদের ভোটে দাঁড় করাচ্ছে’, বিস্ফোরক সুকান্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চান মমতা”, আশঙ্কা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিন নন্দীগ্রামে সন্ত্রাস হতে পারে, পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ দিনের প্রচারে এমনই আশঙ্কা প্রকাশ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ৮ জুলাই পঞ্চায়েত ভোট। এবারেও রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ নন্দীগ্রাম। তাই শেষ প্রচারে শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার শেষ দিনের প্রচারে নন্দীগ্রাম ১ ও ২ নং ব্লকে বুথ পরিক্রমা করলেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    তৃণমূলের কোন পরিকল্পনা ফাঁস করলেন?

    শেষ প্রচারে শুভেন্দু বুথ পরিক্রমা করার সময় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, নন্দীগ্রামে আর একটা ১৪ মার্চ ঘটাতে চায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, জলপথে কেন্দামারি থেকে শওকত মোল্লা ও শাহজাহানের বাহিনীকে আনার ব্যবস্থা করা হয়েছে নন্দীগ্রামে। সেই সঙ্গে তিনি আরও বলেন, পশ্চিমবাংলায় জঙ্গলের রাজত্ব চালাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। বিধানসভা ভোটেও চেষ্টা করেছিল তৃণমূল। এবারেও করবে এলাকায় সন্ত্রাস চালানোর জন্য। কর্মীদের সতর্ক করে শুভেন্দু বলেন, আপনারা তৈরি থাকবেন। বাইক বাহিনী দেখলেই জলে ফেলে দেবেন। আমিও নন্দীগ্রামে থাকব। ভোটের দিন যেমন সতর্ক থাকতে বললেন, পাশাপাশি স্ট্রং রুম পাহারার কথাও বলেন শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার সকাল বেলা নন্দীগ্রাম ২ নং ব্লক থেকে প্রচার শুরু করে বিরোধী দলনেতা শেষ করেন নন্দীগ্রাম ১ নং ব্লকের টেঙ্গুয়াতে।

    শেষ দিনে প্রচারে ‘মমতাও’

    অন্যদিকে, প্রচারে মমতাও। না মমতা মানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং নয়। যাত্রা ও সিনেমাতে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী তৃণমূলের হয়ে প্রচার করলেন। ২০২১ এর বিধানসভা ভোটের শেষ প্রচারেও নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৩ এর পঞ্চায়েত ভোটেও শেষ প্রচারে শুভেন্দু ও মমতা। তবে হ্যাঁ শুভেন্দু অধিকারী নিজে থাকলেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেই। আছে তাঁর চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী রুমা চক্রবর্তী। সেই  সাদা শাড়ি পায়ে চটি, নির্বাচনী মঞ্চে মমতার সাজে রুমা। তৃণমূলের ভোট চাইলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে পর পর গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য

    BJP: বিজেপির জেলা সভাপতির গাড়িতে পর পর গুলি, প্রাণে বাঁচলেন অল্পের জন্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি জেলার বিজেপির সভাপতি বাপি গোস্বামীর গাড়িতে গুলি করল দুষ্কৃতীরা। জলপাইগুড়ি সদর ব্লকের বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। বুধবার রাতে ভোটের প্রচার সেরে বাড়ি ফিরছিলেন বাপি গোস্বামী। তখনই তাঁর গাড়ি লক্ষ্য করে পর পর দুটি গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য প্রাণে বাঁচেন জেলা বিজেপি সভাপতি। গাড়িতে মোট তিনটি ক্ষতচিহ্ন পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দুটি চিহ্ন গুলির। বাকি একটি চিহ্ন পাথর বা ভারী কিছু বস্তু দিয়ে গাড়ির পিছনে কাচে আঘাত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা বিজেপি (BJP) সভাপতি। 

    আতঙ্কের সেই ঘটনার বিবরণ

    বুধবার রাত প্রায় ১২টা নাগাদ বাপি গোস্বামী তাঁর মণ্ডল সভাপতিকে সঙ্গে নিয়ে বাহাদুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে ভোট প্রচার শেষ করে বাড়ি ফিরছিলেন। বাপি গোস্বামী গাড়ির সামনে চালকের পাশের সিটে বসেছিলেন। অন্ধকার রাস্তায় আসতেই আচমকা গাড়িতে বিকট শব্দ হয়। এর পরেই বাপি গোস্বামীর সিটের পাশের কাচে একটি গুলি করা হয়। তার পর গাড়ির সামনের কাচে আরও একটি গুলি করা হয় বলে জানিয়েছেন বাপি গোস্বামী। একটি মোটর সাইকেলে চেপে দুজন এসেছিল। তাদের মাথায় হেলমেট ছিল। সেই কারণেই দুষ্কৃতীদের চেহারা দেখতে পারেননি তিনি। কোনও প্রকারে ওই এলাকা থেকে দ্রুত গতিতে গাড়িটিকে নিয়ে বাপিবাবু ৩১ নং জাতীয় সড়কে উঠে পড়েন। সেখান থেকে সোজা কোতোয়ালি থানায় চলে আসেন৷ কোতোয়ালি থানার পুলিশ গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ভিতর থেকে একটি গুলির খোল উদ্ধার করে। রাত প্রায় ৩ টে ১৫ নাগাদ বাপিবাবু কোতোয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷ পুলিশ গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি জেলা সভাপতির (BJP) গাড়িটি আপাতত থানায় রেখে দিয়েছে পুলিশ।

    দিলীপ ঘোষের (BJP) সভার আগেই হামলা!

    বৃহস্পতিবার সকালে বাহাদুর এলাকায় বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের একটি নির্বাচনী সভা রয়েছে। তার আগে জেলা সভাপতির গাড়িতে গুলির ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।বাপি গোস্বামীর (BJP) অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীদের মাথার উপর শাসক দলের নেতাদের হাত না থাকলে তারা এই ঘটনা ঘটাতে পারত না। ওই এলাকা এখন সমাজ বিরোধীদের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। গোটা ঘটনার তদন্তে নেমেছে জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানার পুলিশ। তবে কে বা কারা এই ঘটনা ঘটাল, তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে এমনটাই জানানো হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপি প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: বিজেপি প্রার্থীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ, বন্দুকের বাঁট দিয়ে বেধড়ক মার, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রধান বিরোধী দল বিজেপি (BJP) যে মস্তবড় ফ্যাক্টর তা গেরুয়া বাহিনীর উপর তৃণমূলীদের লাগাতার সন্ত্রাস তার জ্বলন্ত প্রমাণ। দুদিন আগেই প্রচার থেকে বাড়ি ফেরার পর বিজেপি প্রার্থীকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। হামলার হাত থেকে রেহাই পাননি স্ত্রীও। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার অশোকনগর থানার বিড়া রাজীবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১২ নম্বর বুথে। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থীর নাম শ্যামল দাস। তাঁকে বারাসত জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    বুধবার রাতে প্রচার সেরে বাড়ি ফেরেন শ্যামল দাস। পরে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আচমকা তাঁর বাড়ি চড়াও হয়। মারধর করা হয় বিজেপি (BJP) প্রার্থীর স্ত্রীকেও। বন্দুকের বাঁট দিয়ে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বিজেপি প্রার্থীর। নগ্ন অবস্থায় ছুটে পালান তিনি। অভিযোগ, বারবার এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি অশোকনগর থানার পুলিশ। রাতেই তাঁকে বিজেপি প্রার্থীকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আক্রান্ত বিজেপি প্রার্থী শ্যামলবাবু বলেন, তৃণমূলের লোকজন বন্দুকের বাঁট দিয়ে হামলা চালানোর পাশাপাশি ধারাল অস্ত্র দিয়ে কোপায়। আমি ছুটে পলিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই।

    কী বললেন বিজেপির (BJP) জেলা নেতৃত্ব?

    যদিও এই ঘটনায় বারাসত সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তাপস মিত্র বলেন, বিজেপি (BJP) শক্তিশালী হওয়ার জন্য শাসকদল ভয় পাচ্ছে। তাই,  বিরোধী দলের কর্মীদের উপর আক্রমণ নেমে আসছে। পাশাপাশি নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা নিয়েও এদিন প্রশ্ন তোলেন তিনি।  বারবার অভিযোগ জানানোর পরেও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনের গ্রেফতারের দাবিও জানান তিনি।

    কী তৃণমূল নেতৃত্ব?

    অশোকনগরের তৃণমূল বিধায়ক নারায়ণ গোস্বামী বলেন, বিজেপির (BJP) পায়ের তলায় মাটি নেই। হেরে যাওয়ার ভয়ে ওরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযেীগ করছে। বুধবার রাতে যে গণ্ডগোল হয়েছে তা বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে।  এরসঙ্গে তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Elections 2023: বিধিভঙ্গ করছেন রাজ্যপাল! একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

    Panchayat Elections 2023: বিধিভঙ্গ করছেন রাজ্যপাল! একগুচ্ছ অভিযোগ নিয়ে কমিশনকে চিঠি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী বিধি (Panchayat Elections 2023) মানছেন না, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন, এমনই সব অভিযোগ তুলে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচন কমিশনে চিঠি লিখলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি। সাধারণ মানুষের রক্ত দিয়ে ‘রাজনৈতিক হোলি’ খেলা বন্ধ করার বার্তা দিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জেলায় জেলায় ঘুরছেন রাজ্যপাল (C V Ananda Bose)। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে গিয়ে হিংসা বন্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমাও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তারপরই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কমিশনে চিঠি দিলেন সুব্রত বক্সি। 

    সম্মুখ সমরে নামল তৃণমূল ভবন ও রাজভবন

    নিজেকে ‘গ্রাউন্ড জিরো গভর্নর’ বলে মন্তব্য করে রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C V Ananda Bose) এখন বাংলার গ্রামে গ্রামে ঘুরছেন। কে হিংসার শিকার, কারা ছড়াচ্ছে সন্ত্রাস? তা জানতে ময়দানে নেমেছেন তিনি নিজেই। এই আবহে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য নির্বাচনে কমিশনে গেল তৃণমূল। তাদের দাবি, ভোট ঘোষণার পর আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করছেন বোস।

    তৃণমূলের অভিযোগ

    প্রথম অভিযোগই হল, সরকারি ভবনে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করছেন রাজ্যপাল, যা আদর্শ নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করছে বলেই দাবি তৃণমূলের। সার্কিট হাউস বা গেস্ট হাউসে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে বলে অভিযোগ। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলাও প্রত্যাশিত নয় বলে উল্লেখ করেছে তৃণমূল। ম্প্রতি রাজ ভবনে খোলা হয়েছে একটি কন্ট্রোল রুম, যেখানে অভিযোগ জানাতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই কন্ট্রোল রুম নিয়েও চিঠিতে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে তৃণমূল। অভিযোগ, রাজ্যপাল নির্বাচন কমিশনের কাজে হস্তক্ষেপ করছেন। যেভাবে বিডিওদের কাছ থেকে রিপোর্ট সংগ্রহ করছেন, পুলিশের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করছেন, তা ঠিক নয় বলেই অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    রাজ্যপালের যুক্তি, হিংসা বন্ধের আর্জি

    পঞ্চায়েত ভোটের বাকি মাত্র আর চার দিন। এরই মধ্যে রাজ্যে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা ক্যানিং, ভাঙড়, বাসন্তী, কোচবিহার, দিনহাটা, সিতাই, শিলিগুড়ির বেশ কয়েকটি জায়গা ঘুরে দেখেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি বলেন, ‘‘মানুষের রক্ত নিয়ে রাজনৈতিক হোলি খেলা বন্ধ করতে হবে। আমি হিংসাদীর্ণ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেছি। আমি দোষ খুঁজতে নয়, প্রকৃত তথ্য জানতে ওই সব এলাকা ঘুরেছি।’’

    আরও পড়ুন: কোর্টের গুঁতো! স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা ১৮৯ থেকে দাঁড়াল কয়েক হাজারে

    রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর আস্থা রেখে তিনি বলেন, “আমার সহকর্মী রাজ্য নির্বাচন কমিশনার আমায় জানিয়েছেন রাজ্যের কিছু কিছু জায়গায় এই অশান্তি হচ্ছে। আমিও সেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকগুলিতে যাচ্ছি। কেন এই অশান্তি হচ্ছে তা বোঝার জন্য। রাজনৈতিক অশান্তি কেন হচ্ছে, কারা আছে এই অশান্তির পিছনে, সেগুলি খুঁজে বার করে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। এই রাজনৈতিক সন্ত্রাসের মধ্যে পড়ে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি হচ্ছে। এটা বন্ধ করতে হবে। ভোটের জন্য আর এক বিন্দু রক্ত যাতে না পড়ে সেটা নিশ্চিত করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘আরে ও নন্দলাল…’’! সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘আরে ও নন্দলাল…’’! সবজির অগ্নিমূল্য নিয়ে মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সবজির বাজারে রীতিমতো আগুন। এনিয়ে স্যোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা রকমের মিম। কোথাও কোথাও লঙ্কা মিলছে ৪০০ টাকা কেজিতে। বাকি ৩০-৪০ টাকায় যে সবজি পাওয়া যেত তা সবই ১০০ ছাড়িয়েছে। সবজির এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এবার মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ শানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) নিজের ট্যুইটারে লেখেন, ‘‘আরে ও নন্দলাল, গরীব মানুষের পাতে কি জুটবে শুধু নুনের সাথে মোদিজির দেওয়া বিনা পয়সার চাল?” প্রসঙ্গত দিন কয়েক আগেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কটাক্ষ করে বলেছিলেন, ‘‘আরে ও নন্দলাল ১২০০টাকার গ্যাসে ফুটবে বিনা পয়সার চাল!’’ এদিন তারই প্রত্যুত্তর দিলেন শুভেন্দু। নন্দীগ্রামের বিধায়ক আরও বলেন, “আগুনে বাজার! এক মাস পূর্বের বাজার দরের সঙ্গে বর্তমান বাজার দরের তফাৎ করলে বোঝা যাবে যে হাটবাজারে আগুন লেগেছে। চড়া দামের ছ্যাঁকায় বাঙালি নাজেহাল। অনাজের দাম নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত এমনকি উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারের ও নাগালের বাইরে। এমনকি এ কথা বললে মোটেও বাড়াবাড়ি হবে না যে সব্জির দাম এই মুহূর্তে সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গে দিয়েছে।”

    শুভেন্দুর আরও অভিযোগ, “জুন মাসের গোড়ায় যেখানে বেশিরভাগ সব্জির দাম চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ টাকার মধ্যে ছিল তা আজ অবিশ্বাস্য ভাবে বেড়ে গেছে। টমেটোর প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ – ৩৫ টাকার মধ্যে। আদার প্রতি কেজির দাম ছিল ২৫০ টাকার আশেপাশে। বেগুনের দাম ছিল প্রতি কেজি ৪০-৫০ টাকা। পটলের কেজি প্রতি দাম ছিল ২৫-৩০ টাকা। উচ্ছের দাম ছিল ৫০ টাকার আশেপাশে। পেঁপের দাম ছিল ২৫ টাকা কেজি। কাঁচা লঙ্কার দাম ছিল ৬০-৭০ টাকা কেজি। পালং শাকের এক আঁটির দাম ছিল ১০ টাকা মত।”

    প্রশাসনকে নিশানা বিরোধী দলনেতার

    প্রশাসনকে নিশানা করে তিনি আরও বলেন, “রুই-কাতলা (কাটা) মাছের প্রতি কেজিতে দাম পড়ছিল ২০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে। মুরগি মাংসের দাম প্রতি কেজিতে ১৮০-২০০ টাকার মধ্যে ওঠানামা করছিল। প্রশাসনের তরফে যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়ার ফলেই আজ আনাজের দাম মাত্রা ছড়িয়ে গিয়েছে। আনাজের দাম নিয়ন্ত্রণ করার জন্য মুখ্যমন্ত্রী অনেক ঢাক ঢোল পিটিয়ে “টাস্ক ফোর্স” গঠন করেছিলেন, যার উদ্দেশ্য ছিল হঠাৎ করে বাজার হাটে শাক-সব্জির দাম বেড়ে গেলে তা নিয়ন্ত্রণ করা। কিন্তু আদতে এর প্রতিফলন কখনোই দেখা যায় না।” 

     

    আরও পড়ুুন: কে পুলিশ, কে রাজীব, আর কে তৃণমূল? চেনা মুশকিল! বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোটিপতি প্রার্থী, সরগরম হিলি

    Dakshin Dinajpur: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের কোটিপতি প্রার্থী, সরগরম হিলি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোটিপতি এবারে পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী! হ্যাঁ শুনতে অবাক লাগলেও, দক্ষিন দিনাজপুরের হিলির (Dakshin Dinajpur) দুর্গ ধরে রাখতে এবারে এমনই এক কোটিপতিকে প্রার্থী করল তৃণমূল। জেলাপরিষদের ১৩ নম্বর আসন থেকে নির্বাচনে দাঁড়ানো ওই তৃণমূল প্রার্থীর নাম কৌশিক মাহাতো ওরফে ডাকু।

    কোথায় (Dakshin Dinajpur) প্রার্থী হলেন এই তৃণমূল কর্মী?

    হিলির জামালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সিধাই এলাকার বাসিন্দা হলেও এবারের নির্বাচনে ১৩ নম্বর জেলাপরিষদ আসন থেকেই লড়ছেন তিনি। হিলি ব্লকের ধলপাড়া ও বিনশিরা এই দুটি গ্রাম পঞ্চায়েত নিয়ে তৈরি হওয়া নতুন দক্ষিণ জেলা পরিষদের আসনটিতে প্রার্থী হওয়া কৌশিক মাহাতো, নির্বাচন কমিশনকে যে তথ্য দিয়েছেন, তাতে তাঁর ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা সম্পত্তি ও নগদ অর্থের পরিমান প্রায় এক কোটি টাকা। যা জেলার প্রায় সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরই পিছনে ফেলে দিয়েছে। আচমকা তৃণমূল এমন কোটিপতিকে ভোটে দাঁড় করিয়ে দেওয়াতেই, এখন জোর চর্চা দক্ষিন দিনাজপুর জেলা জুড়ে।

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য

    নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী কোটিপতি ওই তৃণমূল প্রার্থীর (Dakshin Dinajpur) কাছে নগদ অর্থ রয়েছে ৫০ হাজার টাকা। ব্যাঙ্কে গচ্ছিত রয়েছে ১০ লক্ষ টাকা। স্ত্রীর ব্যাঙ্ক একাউন্টে দুলক্ষ টাকা এবং নগদ ২৫ হাজার টাকা রয়েছে। প্রার্থীর নিজস্ব দুই ভরি সোনার গহনা এবং স্ত্রীর রয়েছে সাতভরি সোনার গহনা। বাড়ি ও জমি হিসাবে প্রায় ৭০ লক্ষ টাকার সম্পত্তি রয়েছে কৌশিক বাবুর। এছাড়াও অন্য বিনিয়োগ হিসাবে আট লক্ষ টাকা দেখিয়েছেন এই তৃণমূল প্রার্থী। রয়েছে একটি মোটর সাইকেল ও একটি চার চাকা গাড়িও। নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া তথ্যে ওই তৃণমূল প্রার্থী জানিয়েছেন তাঁর বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকা, যেখানে তিনি নিজেকে একজন এক্সপোর্টার ও মদের ব্যবসায়ী হিসাবে দাবি করেছেন। এছাড়া তাঁর একটি গেস্ট হাউসও রয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন। আর নির্বাচন কমিশনকে দেওয়া এই হিসাবই জেলার সমস্ত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদেরকে ছাপিয়ে গিয়েছে। খোদ তৃণমূলের জেলা সভাপতি, যুব সভাপতিরা নির্বাচনে লড়াই করলেও, কৌশিক মাহাতোর সম্পত্তির ধারেপাশে পৌঁছাতে পারেনি কোনও প্রার্থীই।

    প্রার্থীর বক্তব্য

    তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক মাহাতো (Dakshin Dinajpur) বলেন, এই এলাকার মানুষ উন্নয়নের পক্ষেই রয়েছেন। জেতার ব্যাপারে তিনি একশো শতাংশ আশাবাদী। বিপক্ষ হিসাবে বিজেপিকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি, কেননা বামদের তেমন কিছু নেই বলেও দাবি করেছেন তিনি। নিজের জয়ের ব্যাপারে একশো শতাংশ আশা বাদী তৃণমূল প্রার্থী কৌশিক মাহাতো।

    বিরোধীদের বক্তব্য

    হিলির ১৩ নম্বর জেলা পরিষদ (Dakshin Dinajpur) আসনের বিজেপি প্রার্থী বাপি সরকার বলেন, রাজনীতির লড়াইয়ে কোটিপতি, লাখোপতি বলে কোন ব্যাপার নেই। সেখানে লড়াই শুধুমাত্র রাজনৈতিক। সিপিএম প্রার্থী শিবতোষ চ্যাটার্জী বলেন, কোটিপতি প্রার্থী টাকা ছিটিয়ে পিকনিক, মিষ্টির প্যাকেট বিলি করলেও ভোটারদের কিনতে পারবেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    Purba Bardhaman: হাঁটু সমান কাদায় হেঁটে দেখুন বিধায়ক, কেমন লাগে? কেন বললেন ভাতারের গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চাইতে এসে বিপাকে এলাকার বিধায়ক। এক হাঁটু কাদায় নামিয়ে হাঁটালেন গ্রামবাসীরা। ভাতারের (Purba Bardhaman) বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারীকে এমনই ভাবে এলাকার উন্নয়নের চিত্র পরিদর্শন করালেন। বেশ কয়েক মিটার ভাঙা রাস্তা হাঁটলেন বিধায়ক নিজে। গ্রামবাসীরা বললেন, হাঁটু কাদায় বিধায়ক হেঁটে দেখুক কেমন লাগে?

    কী হয়েছে ঘটনা (Purba Bardhaman )?

    গ্রামবাসীদের অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই গ্রামের মূল রাস্তার বেহাল দশা। ইতিমধ্যেই দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা ঢুকে গেছে, পঞ্চায়েত ভোটে প্রচার ও জোর কদমে চলছে। শনিবার সকালে, ভাতারের (Purba Bardhaman) কালুরচট্ট গ্রামের প্রচারে যান বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী। এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির ৯ নম্বর আসনের প্রার্থী আব্দুর রউকের সমর্থনে মূলত প্রচার করতে যান। গ্রামের মানুষের কাছে ভোট চাইতে গেলে তিনি বিপত্তিতে পড়েন বলে জানা গেছে। গ্রামবাসীরা বলেন, আজকে এই মুহূর্তে এই এক হাঁটু কাঁদার রাস্তায় আপনাকে হাঁটতে হবে! আর তাতেই বেহাল কাদামাখা রাস্তায় হাঁটতে হল বিধায়ককে। কার্যত স্বীকার করে নিলেন বিধায়ক যে রাস্তা খারাপ! তিনি তারপর বলেন – ভোটের জন্য কাজ দেরি হচ্ছে, ভোটের পরেই শুরু হবে রাস্তা তৈরীর কাজ। বর্ষা এলে কাদা ও জলে হাঁটা দায় হয়ে ওঠে এলাকাবাসীদের। গ্রামবাসীরা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখায়। অবিলম্বে এই রাস্তা মেরামত করতে হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন বিধায়ক।

    বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও তৃণমূল বিধায়ক (Purba Bardhaman) মানগোবিন্দ অধিকারী গ্রামবাসীদের ক্ষোভের প্রসঙ্গে বলেন, “তৃণমূল বলেই এটা সম্ভব, গ্রামের রাস্তা নিয়ে মানুষের ক্ষোভ ছিল। আজ প্রচারে ওই গ্রামে যাওয়ায় মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে আমায় হেঁটে যেতে বলেন। আমরা মানুষকে সঙ্গে নিয়েই, মানুষের জন্য রাজনীতি করি। সুবিধা, অসুবিধা শুনি, দেখি আবার সমাধানও করি। গ্রামের মানুষের আবদার মেনেই জল কাদা রাস্তায় হেঁটেছি। ভোট মিটলেই এই রাস্তা পঞ্চায়েত থেকে তৈরি করে দেওয়ার কথা দিয়েছি। তাতেও যদি না হয়, আমি আমার বিধায়ক তহবিল থেকে এই রাস্তা তৈরি করে দেবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share