Tag: tmc

tmc

  • TMC: তৃণমূলের মদতেই কুলটিতে মন্দিরের জমি হাতানোর চেষ্টা জমি মাফিয়াদের

    TMC: তৃণমূলের মদতেই কুলটিতে মন্দিরের জমি হাতানোর চেষ্টা জমি মাফিয়াদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্দিরের জমিও দখল করে নিচ্ছে জমি মাফিয়ারা। আর এসব বেআইনি কারবারে মদত রয়েছে তৃণমূলের (TMC)। শাসকদলের দৌলতে জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ম্য শুরু হয়েছে পশ্চিম বর্ধমানের কুলটি বিধানসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের ডুবুর্ডিহি নিচুবস্তির মহাকাল শিবমন্দির এলাকায়। আর এই শিবমন্দিরের পাশে থাকা জমি অবৈধভাবে দখল করছে জমি মাফিয়ারা বলে অভিযোগ মন্দির কমিটির মানুষদের। মন্দিরের পাশে বন দফতরের পক্ষ থেকে লাগানো হয়েছিল গাছ, সেইসব গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। মন্দিরের কিছুটা দূরে জমি প্লট করে বিক্রি করার কাজ চলছে। এবার জমি মাফিয়াদের নজর পড়েছে শিবমন্দির লাগোয়া জমির উপর।

    জমি মাফিয়াদের হয়ে কেন কথা বলতে গেলেন তৃণমূল (TMC) নেতা?

    মন্দিরের জমি দখল করার চেষ্টা হওয়ায় ক্ষুব্ধ মন্দির কমিটির কর্মকর্তারা। জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে সরব হওয়ায় স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মোহিত মণ্ডল মন্দির কমিটির সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে যান। মন্দিরের জমি ছেড়ে জমি প্লট করার কথা বলা হয়। কিন্তু, প্রশ্ন উঠেছে, জমি মাফিয়াদের হয়ে তৃণমূল নেতা কেন কথা বলতে যায়? তৃণমূলের মদতেই কি মন্দিরের জমি দখল করার চেষ্টা চলছিল। কারণ, জমি মাফিয়াদের এত ক্ষমতা হল কী করে। শাসক দলের একাংশের মদতেই জমি মাফিয়ারা সক্রিয় হয়ে উঠেছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের (TMC) কুলটি ব্লক যুব কংগ্রেসের সভাপতি বিমান দত্ত বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি। প্রশাসনকেও বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য অনুরোধ করব। যদি কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন করব। এই বিষয়ে আসানসোল পৌরনিগমের ১৬নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মুনমুন মুখোপাধ্যায় বলেন, বিষয়টি আসানসোল পৌরনিগম ও প্রশাসনকে জানানো হবে। কারণ আসানসোল পৌরনিগমের নির্দেশ রয়েছে কোনও অনৈতিক বা আইন বিরুদ্ধে কাজ মানা হবে না।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে বিজেপি নেতা টিঙ্কু বর্মা বলেন, তৃণমূলের (TMC) মদত ছাড়া এই ধরনের বেআইনি কারবার কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়। শাসক দলের পিছনে হাত রয়েছে বলেই জমি মাফিয়াদের এত সাহস। শিব মন্দিরের জমিও দখল করার চেষ্টা করছে। বিষয়টি প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার আবেদন করব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘মারো আর ২ লাখ টাকা দিয়ে দাও’! বিরোধী জোটকে কটাক্ষ, রাজ্যে হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

    Dilip Ghosh: ‘মারো আর ২ লাখ টাকা দিয়ে দাও’! বিরোধী জোটকে কটাক্ষ, রাজ্যে হিংসা নিয়ে বিস্ফোরক দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যারা হায় গণতন্ত্র বলে সাড়া দেশ ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাদের রাজ্যে গণতন্ত্র মাটি চাপা পড়ে গিয়েছে। কোর্টে যেতে হয় গণতন্ত্র খুঁজতে। বিস্ফোরক মন্তব্য বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও সন্ত্রাসের প্রতিবাদে বুধবার পথে নামছে বিজেপি। যদিও এই মিছিলে পুলিশের অনুমতি মেলেনি। এ প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, ‘পুলিশ নিজেই অশান্তি করছে। আমরা আমাদের কর্মসূচি বহাল রাখব। পুলিশের অনুমতি না মিললেও, মহা মিছিল হবে। আমরা আমাদের কাজ করব, পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। সাড়া দেশে গণতন্ত্রের জন্য দৌড়চ্ছেন আর রাজ্যে যে গণতন্ত্র মাটির তলায় চলে গিয়েছে। চশমার দোষ আছে।’  বিজেপির দাবি, পঞ্চায়েত ভোটে ১১জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছেন। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে ৩ হাজার কর্মী।  তাঁদের মধ্যে ৬৫০ জন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। পঞ্চায়েত ভোটে ১২ হাজার ৪৯২টি বুথ দখল হয়েছেএবং ২১ হাজার বুথে ভোটই না হওয়ার অভিযোগ তুলছে বিজেপি। 

    ভাঙড় অশান্তি

    ভাঙড়-অশান্তি নিয়েও মুখ খুলেছেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শান্তি চান না, তাই ভাঙড়ে শান্তি ফিরছে না। ওঁরা হস্তক্ষেপ বন্ধ করলে ভাঙড়ে নিজে থেকেই শান্তি ফিরে আসবে। নওশাদকে তো আটকে দিয়েছে। ঢুকতেই পারেনি। ওখানে মানুষ যাকে জিতিয়েছে, তাকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। কোনও কর্মসূচি করতে দেওয়া হচ্ছে না। সাধারণ মানুষ গণতান্ত্রিক ভাবে যাদের হারিয়েছে, তারাই ওখানে নির্বাচিত প্রতিনিধিকে ঢুকতে দিচ্ছে না। বাইরে থেকে গুন্ডা মস্তান পাঠিয়ে ওখানে বোমা-গুলি-সন্ত্রাস কায়েম করেছে। অন্য জায়গার বিধায়ক ওখানে ঢুকে বসে আছে। আর ওখানকার বিধায়ককে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দোষটা কার? যদি তৃণমূল মনে করে ওটা মুক্তাঞ্চল এবং ওখানে ওরাই দাপিয়ে বেড়াবে, তাহলে তো প্রতিরোধ হবেই। ”

    আরও পড়ুন: বন্যায় বিপর্যস্ত অসম! জীবন বাঁচাতে বন্য প্রাণীরা লোকালয়ে, আতঙ্কিত বাসিন্দারা

    মোদি-বিরোধী নয়া জোট

    মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে টিপ্পনি করে তিনি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটুতেই হাওয়া খেয়ে যান। কখনও অরবিন্দ কেজরিওয়াল, কখনও নীতীশ কুমার, কখনও বা সনিয়া গান্ধী ওনাকে হাওয়া দিচ্ছেন”। দিলীপের (Dilip Ghosh) কথায়, “ওঁরা চাইছেন মমতাকে নেতা বানিয়ে নরেন্দ্র মোদির সামনে ছুঁড়ে দিতে। কেউ এরিনায় ঢুকে খেলতে চাইছেন না। যারা ঢুকেছে, তাদের অত্যন্ত দূরাবস্থা। অনেকে আর সাংসদ নেই। তাই কেউ মোদির সামনে যাবে না।”

    মোদির সঙ্গে ইন্ডিয়ার লড়াই

    দিলীপ (Dilip Ghosh) বলেন, “ভারতের সঙ্গে ইন্ডিয়ার লড়াই। মোদির সঙ্গে না। ইন্ডিয়া বিদেশি ভাবধারার একটা ভাবাদর্শ। যারা এতদিন ভারতকে গোলাম করে রেখেছিলেন, যাদের লোকেরা মনের দিক থেকে এতদিন গোলাম হয়ে থেকেছেন, তারা ইন্ডিয়ার প্রতিনিধি। আমরা তো ভারত মাতার জয় বলে শুরু করেছি। তাতে ওদের অসুবিধা হচ্ছে। ভারতের সঙ্গে এখন মোদির নাম জড়িয়ে আছে। দেশে বিদেশে সম্মান আসছে। দেশ তার নিজের আদর্শে এগোচ্ছে। তাই ভারতের জয় হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    Nawsad Siddique: ভাঙড়ে ঢুকতে বাধা! রাজ্যপাল-মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি নওশাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় জারি ১৪৪ ধারা। ভাঙড়ে প্রবেশ করতে পারছেন না সেখানকার বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি (Nawsad Siddique)। তবে বিনা যুদ্ধে জমি ছাড়তে নারাজ তিনি। বললেন, ‘‘এ ভাবে বিপ্লব আটকানো যায় না।’’ভাঙড়ের পরিস্থিতি জানিয়ে, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী ও বিধানসভার স্পিকারকে চিঠি দিলেন তিনি। জানালেন, প্রয়োজনে কেন্দ্রেও অভিযোগ জানাবেন। 

    ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠাই লক্ষ্য

    মঙ্গলবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্ত ১২ জন আইএসএফ সমর্থককে স্বাগত জানাতে যান নওশাদ সিদ্দিকি। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে নওশাদ সিদ্দিকি বলেন, ‘‘১৪৪-এর অজুহাতে আমাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। আমাকে আটকে রাখতে পারবে না। আমি ইতিমধ্যেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছি। আদালতের মাধ্যমে আমি সেখানে ছাড়পত্র পাব।’’ নওশাদের কথায়, ‘‘আমায় ১৪৪ ধারার কথা বলে যে ভাবে আটকাচ্ছে (পুলিশ), তাতে আমি রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী, স্পিকার স্যার (বিধানসভার স্পিকার)— সমস্ত দফতরকে জানিয়েছি। এর পর যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মেনে আমি কেন্দ্রের দ্বারস্থ হব। আমার লক্ষ্য, ভাঙড়ে শান্তিপ্রতিষ্ঠা করা।’’ ভাঙড়ের পরিস্থিতি সম্পর্কে বলতে গিয়ে নওশাদ বলেন,‘‘ভাঙড়ের মানুষকে যে ভাবে অশান্তির মধ্যে রাখার চেষ্টা হচ্ছে সেটাকে প্রতিহত করে, সুস্থ স্বাভাবিক জীবন যাপন যাতে ভাঙড়বাসী করতে পারেন সেটা ব্যবস্থা করব আমি। যারা শান্ত ভাঙড়বাসীকে অশান্তির মধ্যে রেখেছিল, আতঙ্কের মধ্যে রেখেছিল, যারা ভাঙড়কে রাজনৈতিক উত্তাপের শিরোনামে নিয়ে গেল, সেই সমস্ত রাজনীতির কারবারীদের আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ঘুমোতে দেব না।’’

    নওশাদের রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি

    অন্যদিকে, মঙ্গলবারই ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকির রক্ষাকবচের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল। আগামী ২৭ জুলাই পর্যন্ত ওই রক্ষাকবচ বৃদ্ধি করা হয়েছে। মঙ্গলবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের ডিভিশন বেঞ্চ। অর্থাৎ, ২৭ জুলাইয়ের আগে পর্যন্ত নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেরর মামলায় কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। উল্লেখ্য, পঞ্চায়েত ভোটের তিন দিন আগে, ৫ জুলাই নিউ টাউন থানায় ফুরফুরা শরিফের পিরজাদা নওশাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের অভিযোগ দায়ের করেন এক তরুণী। তাঁকে ‘সহায়তা’ করেছিলেন সল্টলেক পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূলের তরফে ভাঙড়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল নেতা সব্যসাচী দত্ত। ওই অভিযোগকে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেন নওশাদ। পরে জানা যায়, ডোমকল শহরে তৃণমূলের সর্বশেষ যে কমিটি ঘোষিত হয়েছিল, তাতে মোট পাঁচ জনকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছিল। তার চার নম্বরে নাম ছিল নওশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগকারিণী তরুণীর। 

  • BJP: অনুমতি নেই পুলিশের! বুধবার কলকাতার পথে মিছিলে অনড় বিজেপি 

    BJP: অনুমতি নেই পুলিশের! বুধবার কলকাতার পথে মিছিলে অনড় বিজেপি 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে হিংসা ও অশান্তির প্রতিবাদে আজ, বুধবার পথে নামবে বিজেপি। তবে এদিন  মিছিলের অনুমতি দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পুলিশের অনুমতি না মিললেও মিছিল হবেই, বলে দাবি গেরুয়া শিবিরের। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার এবং দলের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের এই মিছিলে উপস্থিত থাকার কথা। পাশাপাশি দলের সাংসদ, বিধায়কদেরও মিছিলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    কেন অনুমতি নেই

    পঞ্চায়েত ভোটে হিংসার প্রতিবাদে বুধবার কলেজ স্কয়ার থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিল করার কথা ঘোষণা করে বিজেপি। কিন্তু সেই মিছিলে অনুমতি দেয়নি পুলিশ। শুক্রবার, ২১ জুলাই ধর্মতলায় তৃণমূলের সমাবেশ। শহর জুড়ে তার প্রস্তুতিও শুরু করে দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল। ধর্মতলায় ভিক্টোরিয়া হাউসের সামনে ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে জোর কদমে। এর মধ্যেই সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে আজ কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছে বিজেপি। অর্থাৎ, তৃণমূলের নির্মীয়মাণ মঞ্চের অদূরেই শেষ হওয়ার কথা বিজেপির মিছিলের। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতেই পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেয়নি বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: পাচার হওয়া ১০৫টি প্রাচীন মূর্তি ভারতের হাতে তুলে দিল মার্কিন প্রশাসন

    বিরোধী-কণ্ঠ রোধের চেষ্টা

    রাজ্য বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘পুলিশ মিছিলের অনুমতি দেবে, এমন আশাও আমাদের ছিল না। কারণ, আমরা জানি, তৃণমূল প্রতিহিংসাপরায়ণ দল। ভোট লুট, গণনায় কারচুপির পরে ওরা বিরোধীদের কণ্ঠস্বর বন্ধ করতে চাইছে। তবে আমাদের মিছিল হবেই।’ পঞ্চায়েত ভোটে বেনজির হিংসার সাক্ষী থেকেছে বাংলা। মহিলাদের উপরও অত্যাচার করা হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন মহিলারা। এই অভিযোগ ইতিমধ্যেই রাজ্যে প্রতিনিধি দল পাঠিয়েছে বিজেপি। আজ হাওড়ার পাঁচলায় বিজেপির ‘তথ্যানুসন্ধানী মহিলা প্রতিনিধি দল’-এর যাওয়ার কথা। একইসঙ্গে হিংসার প্রতিবাদে আজ পথেও নামছে বিজেপি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    Panchayat Election 2023: পঞ্চায়েতে নারী নির্যাতন! সত্য সন্ধানে ৫ মহিলা সাংসদকে রাজ্যে পাঠাচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) ভোট পর্বে মহিলাদের উপরেও অত্যাচার (Violence on Women) হয়েছে। এ ব্যাপারে পাওয়া বেশ কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখতে বাংলায় আরও একটি ‘তথ্যানুসন্ধান দল’ পাঠাতে চলেছে বিজেপি। পাঁচ মহিলা সাংসদের ওই দল রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে শুধু মহিলাদের সঙ্গেই কথা বলবেন। পঞ্চায়েত পর্বে হওয়া নানারকম হিংসার ঘটনা এবং তার জেরে হওয়া সমস্যার কথা জানতে চাইবেন তাঁরা। তার পর তাঁরা রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডাকে। 

    হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ

    বিজেপি কেন্দ্রীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এই পাঁচ মহিলা সাংসদকে বাংলায় মহিলাদের (Violence on Women) উপর হওয়া হিংসার চিত্র পরিদর্শন করার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্য পরিদর্শন করে যাওয়ার পর জেপি নাড্ডাকে রিপোর্ট জমা দেবেন তাঁরা। রাজ্যে আসছেন সাংসদ সরোজ পাণ্ডে, রমা দেবী, ওড়িশার সাংসদ অপরাজিতা সারঙি, কবিতা পাতিদার, সাংসদ সন্ধ্যারাজ।এর আগে দিল্লিতে রাজ্যের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয় বলেই খবর। এরপর পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিনেই চার সদস্যের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠায় বিজেপি। 

    আরও পড়ুন: বিশ্বের প্রথম হোমিওপ্যাথিক মিউজিয়াম হবে কলকাতায়, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনে ঘোষণা

    কী করবে ওই দল

    রাজ্যে যে মহিলা দল আসছে, তার মাথায় রয়েছেন সরোজ পাণ্ডে। রাজ্যসভার সাংসদ সরোজ এর আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023)  হিংসার ঘটনায় বাদ যায়নি মহিলারাও বলে দাবি বিজেপির। অনেক জায়গায় মহিলা প্রার্থীদের অশান্তির ঘটনার শিকার হতে হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচন মহিলা প্রার্থীদের জন্য আসন সংরক্ষিত থাকায় অনেক জায়গাতেই মহিলা প্রার্থীদের সরাসরি শাসক দলের হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে বলে দাবি বিজেপির। সেই কারণে পরিস্থিতি চাক্ষুষ করতেই মহিলা সাংসদদের রাজ্যে পাঠানো হচ্ছে বলে মত রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের। সোমবার বিজেপির তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে এ কথা বলা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে ওই দলটির আসার দিন ক্ষণ না জানালেও মনে করা হচ্ছে, মঙ্গলবার না হলে বুধবার ওই দল রাজ্যে আসবে। উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখবে ওই দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh : ‘পাটনায় পিকনিকের পর, বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে’, কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh : ‘পাটনায় পিকনিকের পর, বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে’, কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার বেঙ্গালুরুতে ফের বসছে বিরোধী জোটের বৈঠক (Opposition Party Meet)। থাকবে তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিরোধী জোটের বৈঠকে যোগ দিতে যাচ্ছেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক নিয়ে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শ্লেষাত্মক বাক্যে তিনি বলেন, ‘ক’দিন আগে বিরোধী জোটের বৈঠক ঘিরে পাটনায় পিকনিক হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে হবে ব্যাঙ্কয়েট।’ একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘ইউপিএ চাইছে পরিধি আরও বড় হোক। এনডিএ’ও তাই চাইছে। কিন্তু ইউপিএ’র বৈঠকে কারা যোগ দিচেছ? কী শক্তি আছে তাদের? পাটনায় পিকনিক হয়েছিল। এবার বেঙ্গালুরুতে ব্যাঙ্কয়েট হবে। সব দেখে মনে হচ্ছ, কংগ্রেস হয়তো এই এবারের বৈঠকে বিজয়োৎসব পালন করতে চাইছে। এটাই ওদের কাছে সান্ত্বনা।’

    লোকসভা নিয়ে আশাবাদী

    আর পাঁচটা দিনের মতোই সোমবারও নিউটাউনে ইকোপার্কে মর্নিংওয়াকে গিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। সেখানেই তিনি আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রাজ্য বিজেপির সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতির কথায়, ‘আগের চেয়ে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির সংগঠন অনেক মজবুত হয়েছে। তার বড় প্রমাণ এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আমরা ৪৭ হাজার প্রার্থী দিতে পেরেছি। আগেরবার মাত্র ২১ হাজার দিতে পেরেছিলাম। এতে স্পষ্ট, রাজ্যে সংগঠন মজবুত হচেছ। বিজেপির উপর মানুষের আস্থা বাড়ছে। তাই আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনে আমরা খুব ভালো লড়াই দিতে পারব শাসক দলকে। আমার বিশ্বাস, গতবারের তুলনায় আরও এক ডজন সিট ছিনিয়ে নিতে পারব।’

    আরও পড়ুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    লোকসভা নির্বাচনের আগে সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধিতে রাজ্য বিজেপি বিশেষ জোর দিচ্ছ। যাদবপুরকে আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দিতে চলেছে গেরুয়া শিবির। এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, ‘আগেই ঠিক হয়েছিল লোকসভা আসন ভিত্তিক সাংগঠনিক জেলা হবে। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা ভোটে লড়াই করার ক্ষেত্রে। তাই যাদবপুরের পাশাপাশি মুর্শিদাবাদাকেও আলাদা সাংগঠনিক জেলার স্বীকৃতি দেওয়া হচেছ।’

    পুননির্বাচনে বিরোধীদের জয়

    সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে নজিরবিহীন সন্ত্রাস নিয়েও তৃণমূল সরকারকে তুলোধনা করেছেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, ‘আমরা যত প্রার্থী দিয়েছিলাম সেই মতো ফল হয়নি। তার বড় কারণ ভোট লুঠ। তা শুধু ভোটের দিন হয়নি, গণনাতেও হয়েছে। ইতিমধ্যেই ছ’হাজার বুথে ভোটে কারচুপির অভিযোগে মামলা করা হয়েছে হাইকোর্টে। আশা করছি, সুবিচার পাবে বিরোধীরা। কারণ, ১০ জুলাই যে ৬৯৬টি বুথে পুননির্বাচন হয়েছে, সেখানে বিরোধীরা জিতেছে ৬৫০ আসন। যা থেকে স্পষ্ট, নিয়ম মেনে ভোট পরিচালনা হলে তৃণমূল অর্ধেক আসনও জিততে পারত না।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: বিচার ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে মামলার অনুমতি হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদালত (Calcutta High Court) নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডের করা সেই মন্তব্যের জন্য মামলাকারীকে বৃহত্তর বেঞ্চে আবেদন করার পরামর্শ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম। বিচারপতিকে নিয়ে অভিষেকের পৃথক একটি মন্তব্যের মামলা চলছে বৃহত্তর বেঞ্চে। সোমবার সেই বেঞ্চেই আবেদনের পরামর্শ দিলেন প্রধান বিচারপতি।

    রুল জারির দাবি

    এদিন আইনজীবী বিকাশ ভট্টাচার্য ও শাক্য সেন প্রধান বিচারপতি শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চে অভিষেকের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। তাঁদের দাবি, ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে আদালত স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করুক। রুল জারি করুক। এদিন অভিষেকের নাম না করে আইনজীবীরা বলেন, “ওঁর বক্তব্য হাইকোর্ট খুনিদের রক্ষাকবচ দিচ্ছে। হাইকোর্টের জন্যই নির্বাচনে এত রক্তারক্তি। তিনি কার্যত বিচার ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এর আগেও তিনি এমন মন্তব্য করেছেন।”

    বেলাগাম অভিষেক! 

    আদালত (Calcutta High Court) অবশ্য স্বতঃপ্রণোদিত মামলা করার দাবি মানেনি। প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি আইপি মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাসের বিশেষ বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে খবর। শুক্রবার এসএসকেএমে জখম তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন অভিষেক। সেখানে নির্বাচনোত্তর হিংসা নিয়ে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান বিজেপিকে। বিচার ব্যবস্থার প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতেও দেখা যায় তাঁকে। অভিষেককে বলতে শোনা যায়, “আমি বারবার বলছি বিচার ব্যবস্থার একাংশ বিজেপিকে মদত দিচ্ছে। …সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে, যা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক।”

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী হিংসা, বিজেপির জয়ী প্রার্থীরা আশ্রয় নিলেন অসমে

    তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকে এও বলতে শোনা যায়, “কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) একজন বিচারপতির জন্য গোটা বিচার ব্যবস্থা কলুষিত হচ্ছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গাড়ি সাধারণ মানুষকে চাপা দিয়ে চলে যাচ্ছে, তবু পদক্ষেপ করা যাচ্ছে না। ওই বিচারপতি শুভেন্দুকে এমন রক্ষাকবচ দিয়েছেন যে আগামী দিনেও ওঁর কোনও অপরাধের জন্য পুলিশ পদক্ষেপ করতে পারবে না।” বিচার ব্যবস্থার প্রতি একজন সাংসদের এহেন মন্তব্য কতটা সমীচিন, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে রাজ্যজুড়ে। এদিন আদালতে বিকাশ বলেন, “ওই বিচারপতির বাড়িতে আগেও পোস্টার সাঁটা হয়েছে। তা নিয়ে হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ গঠন করেছিল। শাসক দলের নেতাদের এই ধরনের মন্তব্য বন্ধ না হলে মর্যাদা হানি হবে হাইকোর্টের।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

    Howrah: আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়িতে ভাঙচুর, আগুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট মিটে গেলেও এখনও পর্যন্ত জেলায় জেলায় অশান্তি থামেনি। বৃহস্পতিবারই উচ্চ আদালত নির্দেশ দিয়েছে, যে কোনও ধরনের অশান্তি ঘটলে কেন্দ্রীয় বাহিনী সরাসরি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ব্যবস্থা নিতে পারে। কিন্তু তার পরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশ দেওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরেই গভীর রাতে হাওড়ার (Howrah) আমতায় একের পর এক বিজেপি সমর্থকের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটল। গণনার পর থেকেই আমতার ওই এলাকা উত্তপ্ত ছিল। বৃহস্পতিবার রাতে কয়েকটি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘটনায় এলাকা আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠল। এমনকী শাসক দলের নেতারা হুমকি দিচ্ছে বলেও অভিযোগ বিরোধী দলের। বৃহস্পতিবার রাতে বিজেপির গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী সোমা রায় সহ ৬ বিজেপি কর্মীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এক বৃদ্ধা অগ্নিদগ্ধ হন। বিজেপির দাবি, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী ছাড়া আর কেউ এ কাজ করতে পারে না।

    ভয়াবহ সেই ঘটনার (Howrah) বিবরণ

    আমতা (Howrah) বিধানসভার অন্তর্গত আমড়াগোড়ি অঞ্চলের কাঁকরোল গ্রামে বিজেপির গ্রামসভার প্রার্থী সোমা রায়ের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাত আড়াইটে নাগাদ দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আতঙ্কে গ্রামছাড়া এলাকার একাধিক পরিবার। বিজেপির আরও অভিযোগ, ঘরগুলোতে বাইরে থেকে শিকল লাগিয়ে দেওয়া হয়। প্রতিবশীরাই তাদের দরজার শিকল খুলে ঘর থেকে বেরিয়ে আসতে সাহায্য করে। এই ঘটনায় কোনওক্রমে বাড়ির বাসিন্দারা বেরোতে পারলেও আগুনে পুড়ে মরেছে হাঁস, মুরগি সহ গবাদি পশু। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে জয়পুর থানার পুলিশ, কেন্দ্রীয় বাহিনী জওয়ানরা। অভিযোগ, ভোটে বিজেপির হয়ে দাঁড়ানোর পর থেকেই হুমকি আসছিল। তৃণমূলের নেতারা বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়ে এলাকা ছাড়া করার হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু তারা তৃণমূলের হুমকি উপেক্ষা করেই সেখানে বসবাস করছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার রাতে তৃণমূল সত্যিই যে ঘরদোর জ্বালিয়ে দেবে, তাঁরা তা বুঝে উঠতে পারেননি।

    কী বলছে বিজেপি প্রার্থীর পরিবা (Howrah) ?

    ভূদেব রায় ও স্বপন রায় দুই ভাই। ভূদেবের স্ত্রী কল্পনা রায় ও স্বপনের স্ত্রী ঝুমা রায়। দুই জা বিজেপির হয়ে এবারে পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। অমরাগড়ি এলাকার ৪৩ ও ৩৭ নম্বর দুটি বুথ থেকে দুজনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। স্বপন রায় বলেন, স্থানীয় তৃণমূলের নেতারা আমাদের ভোটে দাঁড়াতে বারণ করেছিল। আমরা তাদের বারণ উপেক্ষা করে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করি। তারপর থেকেই আমাদের হুমকি দিয়ে আসছিল। কিন্তু সত্যিই যে তারা আমাদের ঘরে (Howrah) পেট্রোল ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেবে, তা আমরা বুঝতে পারিনি।

    তীব্র নিন্দা শুভেন্দু অধিকারীর

    হাওড়া গ্রামীণের বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক দ্বিজেন অধিকারী বলেন, পুলিশ ওদের দলদাস। মনোনয়ন থেকে দেখছি, পুলিশ ওদের কথা মতো চলছে। বিজেপি বারবার আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও পুলিশ কিছু করছে না। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমা রায়ের বাড়ি (Howrah) কীভাবে পুড়েছে, সেই ছবি তিনি ট্যুইটারে পোস্ট করেছেন। তাঁর দাবি, গ্রামাঞ্চলে ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার কয়েক হাজার বিরোধী দলের কর্মী। তাঁদের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে গ্রামছাড়া করা হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু।

    কী বলছে তৃণমূল?

    যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। আমতা কেন্দ্র তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সেলিমুল আলম জানান, যে জায়গায় ঘরগুলি আগুনে পুড়ে গেছে সেই জায়গা নিয়ে আইনি জটিলতা চলছিল। আইনি জটিলতা কাটাতে ইচ্ছে করে ঘরে আগুন লাগিয়ে দিয়ে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc: ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী! সেই বুথেও ফের ভোটের নির্দেশ

    Tmc: ব্যালট খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী! সেই বুথেও ফের ভোটের নির্দেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোছা গোছা ব্যালট পেপার ছিঁড়ে, মুখে পুরে দিয়ে রাতারাতি খবরের শিরোনামে উঠে এসেছিলেন তৃণমূলের (Tmc) এক প্রার্থী। দিনভর আলোচনার কেন্দ্রে ছিলেন তিনিই। ভোটে জিততে যে কত রকমের ছলাকলার আশ্রয় নেওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের ওই প্রার্থী। কিন্তু সেদিন যেমন শেষ রক্ষা হয়নি, ফলাফল ঘোষণার পরও তা হল না। ওই কেন্দ্রে ফের ভোট করানোর নির্দেশ দিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার কমিশন মোট ২০টি বুথে পুনরায় নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে। তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি বুথ রয়েছে হাওড়া জেলার সাঁকরাইলে, ১৫ টি। এরপরই স্থান উত্তর ২৪ পরগনার। সেখানে পুনরায় ভোট হবে ৪ টি বুথে। এছাড়া ভোট হবে সিঙ্গুরের একটি বুথে।

    কী হয়েছিল সেদিন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সিপিআইএম প্রার্থীকে হারাতেই ব্যালট পেপার চিবিয়ে খেয়ে নিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের (Tmc) ওই প্রার্থী। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের অশোকনগর সেক্রেটারি বয়েজ হাই স্কুলের। জানা গিয়েছে, গণনার শেষে ৪ ভোটে জয়ী হন সিপিআইএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। অভিযোগ, এরপর গণনা কেন্দ্রে ঢুকে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহাদেব মাটি। তারপর তিনি সিপিএম প্রার্থীর ৪টি ব্যালট ছিঁড়ে খেয়ে নেন এবং বাকি ব্যালট ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এর পর প্রায় ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল ওই কেন্দ্রের গণনা।

    সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার জানিয়েছিলেন, ৪ ভোটে জেতার পর জয় নিশ্চিত করার আগে ফের গণনা হওয়ার কথা ছিল। এমনটা তাঁকে জানানোও হয়েছিল। তখন সেখানে এসে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী। এজেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর সোজা ব্যালটের দিকে এগিয়ে গিয়ে ২৫ টা ব্যালটের তোড়া হাতে তুলে নিয়ে তা ছিঁড়ে অর্ধেক মুখে পুরে খেয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী (Tmc)। আর বাকিটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেন।

    কোন ২০ টি বুথে ফের ভোট?

    কমিশন যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে মোট ওই ২০টি বুথে ভোট বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে। এগুলি হল সাঁকরাইলের মানিকপুর ২৪৭ থেকে ২৫৪ নম্বর পর্যন্ত মোট ন’টি বুথ, সারেঙ্গার ২৬৭, ২৬৮ (দু’টি), ২৭১ (দু’টি) এবং ২৭৭ নম্বর বুথ। সিঙ্গুরের বেরাবেরির ১৩ নম্বর বুথ এবং হাবড়া ২-এর ভুরকুণ্ডার ১৮ নম্বর বুথ (দু’টি), ৩১ নম্বর বুথ এবং গুমা পঞ্চায়েত কেন্দ্রের ১২০ নম্বর বুথ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: সিপিএমকে হারাতে ব্যালট ছিঁড়ে খেয়ে শাসক দলের প্রার্থী আলোচনার কেন্দ্রে

    Panchayat Election 2023: সিপিএমকে হারাতে ব্যালট ছিঁড়ে খেয়ে শাসক দলের প্রার্থী আলোচনার কেন্দ্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) তৃণমূলের নানা কীর্তিকলাপের সাক্ষী থেকেছে। ভোটে জিততে যে কত রকমের ছলাকলার আশ্রয় নেওয়া যায়, তা দেখিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থীরা। সর্বত্র একই চিত্র। যখনই তৃণমূল প্রার্থীরা দেখতে পাচ্ছেন, তাঁর হার অবধারিত, তখনই তাঁরা কোথাও ব্যালট বাক্স নিয়ে দৌড় দিয়েছেন, কোথাও ব্যালট বাক্স থেকে ব্যালট বের করে তাতে জল ঢেলে দিয়েছেন। তাতেও শান্তি হয়নি। ফের সেই জল ঢেলে দেওয়া ব্যালটে ঢেলে দিয়েছেন কালি। তবে হাবড়ার এক তৃণমূল প্রার্থী যা করলেন, তাতে সবাই তাজ্জব। তাঁর কীর্তি এখন লোকের মুখে মুখে ফিরছে। অনেকেই হাসাহাসি করে প্রশ্ন ছুড়ে দিচ্ছেন, তৃণমূল কি সর্বভূক হয়ে গেল?

    কী ঘটনা ঘটেছে (Panchayat Election 2023)?

    জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election 2023) সিপিআইএম প্রার্থীকে হারাতেই ব্যালট পেপার চিবিয়ে খেয়ে নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়া ২ নম্বর ব্লকের অশোকনগর সেক্রেটারি বয়েজ হাই স্কুলে। জানা গিয়েছে, গণনার শেষে ৪ ভোটে জয়ী হন সিপিআইএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার। অভিযোগ, এরপর গণনা কেন্দ্রে ঢুকে যান তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মহাদেব মাটি। তারপর তিনি সিপিএম প্রার্থীর ৪টি ব্যালট ছিঁড়ে খেয়ে নেন এবং বাকি ব্যালট ছড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যান। এর পর প্রায় ১৫ মিনিট বন্ধ ছিল ওই কেন্দ্রের গণনা।

    কী বললেন সিপিএম প্রার্থী?

    সিপিএম প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ মজুমদার জানিয়েছেন, ৪ ভোটে (Panchayat Election 2023) জেতার পর জয় নিশ্চিত করার আগে ফের গণনা হওয়ার কথা ছিল। এমনটা তাঁকে জানানোও হয়েছিল। তখন সেখানে এসে পৌঁছন তৃণমূল প্রার্থী। এজেন্টের সঙ্গে কথা বলার পর সোজা ব্যালটের দিকে এগিয়ে গিয়ে ২৫ টা ব্যালটের তোড়া হাতে তুলে নিয়ে তা ছিঁড়ে অর্ধেক মুখে পুরে খেয়ে নেন তৃণমূল প্রার্থী। আর বাকিটা ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেন। গোটা ঘটনার জেরে গণনা কেন্দ্রে থাকা সকলেই তাজ্জব হয়ে গিয়েছিলেন বলেই দাবি করেছেন সিপিএম প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share