Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: তৃণমূল নেতার পাশে ছত্রধর পুলিশ! ভিডিও পোস্ট করে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আবার প্রশ্ন তুললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত নির্বাচনে  এই অভিযোগে বারবারই সরব বিরোধী দলনেতা। এবার তিনি দেখালেন ছত্রধর পুলিশের ছবি। মঞ্চে বক্তৃতা করছেন তৃণমূল নেতা তথা পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ প্রভাত চট্টোপাধ্যায়। বৃষ্টির মধ্যে তাঁর মাথায় ছাতা ধরে আছেন উর্দিপরা এক পুলিশকর্মী। বৃহস্পতিবার এমন একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন শুভেন্দু।

    ছত্রধর পুলিশ

    কাঁকসার তৃণমূল (TMC) নেতার মাথায় পুলিশকর্মীর ছাতা ধরে থাকার ভিডিও পোস্ট করে বিরোধী দলনেতা ট্যুইটে লেখেন, ‘আরও এক উদাহরণ, যাতে বোঝা যাচ্ছে মমতা পুলিশ কতটা পক্ষপাতদুষ্ট। কিছু আধিকারিক আঞ্চলিক দল তৃণমূলের রাজনৈতিক মিছিলে অংশগ্রহণ করছেন, মনোনয়ন প্রত্যাহার না করায় কিছু জন বিজেপি প্রার্থীদের মারধর করছেন এবং মঞ্চে তৃণমূল নেতা বক্তব্য রাখার সময় কেউ দাসের মতো ছাতা ধরে থাকছেন।’শুভেন্দু আরও লেখেন ‘ভিডিওতে দেখুন, একজন পুলিশকর্মী ছাতা ধরে আছেন, যখন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা ব্লকের টিএমসি ট্রেড ইউনিয়ন নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চে রাজনৈতিক ভাষণ দিচ্ছেন। ‘

    শুভেন্দু অধিকারী কলকাতা বা রাজ্য পুলিশকে ডাকেন মমতা পুলিশ হিসেবে। এদিন ভিডিও শেয়ার করে তিনি লিখেছেন, মমতা পুলিশ যে নিরপেক্ষতা বজায় রাখে না তা আবার সামনে আনল এই ঘটনা। শুভেন্দু লিখেছেন, ‘এ সবই হচ্ছে যখন রাজ্যে জারি রয়েছে নির্বাচনী আচরণবিধি। আশা রাখব, আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট ও রাজ্য পুলিশ বাংলার সর্বত্র অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন সুনিশ্চিত করবে।’

    আরও পড়ুন: ১১ ঘণ্টা ইডির জেরা! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বুধবার ফের তলব সায়নীকে

    বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি চন্দ্রশেখর বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “মমতা-পুলিশের কাজ, তৃণমূলকে রোদ, জল, ঝড় থেকে বাঁচানো আর ছাপ্পা ভোট করানো।” রাজ্যের এই পরিস্থিতিতে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন যে সম্ভব নয়, তা নিয়ে একমত বিরোধীরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Saayoni Ghosh: সব সম্পত্তির হিসেব চায় ইডি! সিজিও-তে হাজিরা দিলেন সায়নী

    Saayoni Ghosh: সব সম্পত্তির হিসেব চায় ইডি! সিজিও-তে হাজিরা দিলেন সায়নী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দু’দিন ধরে জল্পনা চলছিল। ছিল বিস্তর কৌতুহলও। বঙ্গ রাজনীতির অলিন্দে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। ইডি তলবে কি হাজিরা দেবেন তৃণমূলের যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)? অবশেষে আজ, শুক্রবার নির্ধারিত সময়ের কিছু পরেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হলেন সায়নী। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। এদিন ১১টা ২০ মিনিট নাগাদ সিজিও-তে আসেন অভিনেত্রী। 

    ঠিক কী কারণে সায়নীকে তলব?

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে আজ তৃণমূল যুব নেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নি ঘোষকে (Saayoni Ghosh) তলব করেছিল ইডি। এই মর্মে বুধবার তাঁকে নোটিশ পাঠিয়েছিল ইডি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত ধৃত কুন্তল ঘোষের সম্পত্তি সংক্রান্ত তদন্তে উঠে আসে সায়নী ঘোষের নাম। এই সম্পত্তি কেনাবেচাতেও নাম জড়িয়েছে সায়নীর। সম্পত্তি কেনাবেচার সূত্রে আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেয়েছেন গোয়েন্দারা। এই সংক্রান্ত নথি চাওয়া হয় অভিনেত্রীর কাছে। ইডি সূত্রে খবর, শুক্রবার অভিনেত্রীকে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সহ আর্থিক লেনদেনের যাবতীয় নথি নিয়ে হাজির হতে বলা হয়েছিল। 

    গত ৪৮-ঘণ্টা কোথায় ছিলেন?

    কিন্তু কোথায় ছিলেন সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)? ইডি নোটিস পাওয়ার পর থেকেই যোগাযোগ-বিচ্ছিন্ন হন সায়নী। দলীয় কর্মসূচি তো দূরের কথা, বাড়িতেও দেখা পাওয়া যাচ্ছিল না তাঁর। বুধবার নোটিস পাওয়ার পর থেকে দলীয় কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাঁকে। জানা যায়, বুধবার সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বের হন। তার পর রাতে ফেরেননি। বৃহস্পতিবার গোটা দিনও তাঁর কোনও খোঁজ ছিল না। এমনকি, তিনি কোথায়, সেই উত্তর দিতে পারেননি তাঁর দলের নেতারাও। তাঁকে ফোনে পাওয়া যায়নি। হোয়াটস অ্যাপেও সক্রিয় ছিলেন না তিনি। এসব নিয়েই বুধবার থেকে রাজ্য রাজনীতিতে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছিল, যা তুঙ্গে ওঠে বৃহস্পতিবার। 

    প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন সায়নী!

    কুন্তল ঘোষ গ্রেফতার হওয়ার পর সায়নী (Saayoni Ghosh) বলেছিলেন, ‘ইডি ডাকলে যাব।’ কিন্তু ইডি ডাকার পর সায়নী কার্যত বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন। সায়নীর তরফে কোনও আইনজীবীও ইডি-র সঙ্গে যোগাযোগ করেনি বলেই সূত্রের খবর। ভোটের কাজে ব্যস্ত থাকার কারণ দেখিয়ে সম্প্রতি হাজিরা এড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মলয় ঘটকরা। সায়নীও কি সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন? এমনও প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছিল। তাই তিনি আদৌ হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে তৈরি হয়েছিল ধোঁয়াশা। অবশেষে জল্পনা, সব ধোঁয়াশার অবসান ঘটিয়ে সিজিও কমপ্লেক্সে ‘উদয়’ হলেন সায়নী। এসেই বললেন, ‘‘আমি প্রচারের কাজে ব্যস্ত ছিলাম। আমাকে ৪৮ ঘণ্টার নোটিসে ইডি ডেকেছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়েছি। আমি তদন্তে ১০০ শতাংশ সহযোগিতা করব।’’

    আরও পড়ুন: ২০ জন তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এফআইআর মৃত বিজেপি কর্মীর স্ত্রী-র

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    Panchayat Election 2023: সৌদি আরবে থেকেও মনোনয়ন পেশ! তৃণমূলের সেই নেতার প্রার্থীপদ খারিজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) পেশ-পর্ব শুরুর চারদিন আগেই তিনি চলে গিয়েছিলেন মক্কা। হজ করতে। সেখান থেকেই তিনি নাকি মিনাখাঁর প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। এনিয়ে সরব হন বিরোধীরা। আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা। কীভাবে মক্কা থেকেই মনোনয়ন, স্ক্রুটিনি? ওঠে প্রশ্ন। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও ওঠে প্রশ্ন। শেষ পর্যন্ত বাতিল হয়ে গেল তৃণমূলের (TMC) ওই প্রার্থীর প্রার্থীপদ।

    মইনউদ্দিনের কীর্তি!

    জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁ ব্লকের কুমারজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রভাবশালী নেতা মইনউদ্দিন গাজি। তৃণমূলের ওই নেতা ৪ জুন দেশের বাইরে চলে যান। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব শুরু হয় তারও চারদিন পরে। অথচ দেখা যায়, কুমারজুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ঘাসফুলের প্রতীকে মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) পেশ করেছেন তিনি। তার পরেই তাঁর মনোনয়নকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। 

    আদালতে বিরোধীরা

    বিমান সংক্রান্ত তথ্যের উল্লেখ করে আবেদনকারী আদালতে জানান, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই দেশ ছেড়ে চলে গিয়েছেন মইনউদ্দিন। তাই তাঁর পক্ষে সশরীরে গিয়ে মনোনয়নপত্র পেশ করা সম্ভব নয়। যদিও আশ্চর্যজনকভাবে দেখা যায়, বিডিও অফিসে মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন তিনি। তাঁর মনোনয়নপত্র গৃহীতও হয়েছে। আবেদনকারীর বক্তব্য ছিল, মনোনয়নপত্র পেশ পর্বে কোথাও অনিয়ম হয়েছে। মামলার (Panchayat Election 2023) দ্রুত শুনানির পাশাপাশি আদালতে ওই প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের আবেদনও করেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    এর আগে ওই মামলার শুনানিতে বিস্ময় প্রকাশ করে আদালত বলে, যেখানে প্রার্থীরা সশরীরে গিয়েও মনোনয়ন জমা দিতে পারছেন না, তাঁদের ওপর আক্রমণ নেমে আসছে বলে অভিযোগ উঠছে, সেখানে একজন প্রার্থী বিদেশে থেকে কীভাবে মনোনয়ন জমা দিলেন? এটা কীভাবে সম্ভব? রাজ্যের আইনজীবী অবশ্য যুক্তি দিয়েছিলেন, আইন মেনে ওই প্রার্থীর প্রস্তাবক মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। প্রশ্ন ওঠে, ওই ব্যক্তি যখন বিদেশ রয়েছেন, তখন তাঁর সই কে করলেন? এসব বিষয় কমিশনকে জানানোর নির্দেশ দেয় আদালত। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছেও ওই ব্যক্তির বিদেশে থাকা সংক্রান্ত রিপোর্ট তলব করা হয়। শুক্রবারও কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে শুনানি হওয়ার কথা ওই মামলার। তার আগেই এদিন রাজ্য নির্বাচন কমিশন খারিজ করে দেয় মইনউদ্দিনের প্রার্থীপদ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Singur: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    Singur: তৃণমূলের সমবায়ে কোটি কোটি টাকা তছরুপ! গ্ৰেফতার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিঙ্গুরের খাসেরচক চকগোবিন্দ সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে অর্থ তছরুপের ঘটনায় সংস্থার ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারকে গ্ৰেফতার করেছে পুলিশ। ডেপুটি রেজিস্ট্রার অফ কো-অপারেটিভ সোসাইটির (DRCS) পক্ষ থেকে করা লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে সমবায়ের (Singur) ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হুগলি জেলা গ্ৰামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ। ধৃতদের বিরুদ্ধে সমবায়ের প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ রয়েছে। অন্যদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিজেপি ও তৃণমুলের মধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।

    কীভাবে ক্ষোভ পরিণত হল বিক্ষোভে?

    উল্লেখ্য, সিঙ্গুরের ওই সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতি লিমিটেডে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকরা তাঁদের জমানো টাকা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। তার পরেই সমবায়ে কোটি টাকা তছরুপের ঘটনা সামনে আসে। তৃণমুল পরিচালিত সমবায়ের (Singur) পরিচালন সমিতির সেক্রেটারি অশোককুমার দাস ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ারের বিরুদ্ধে অর্থ তছরুপের অভিযোগ তোলেন। তারপর সমবায়ের ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার অর্থ তছরুপের জন্য একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোপালনগর এলাকায় ক্রমেই মানুষের মধ্যে ক্ষোভ বাড়তে থাকে। গরিব মানুষের অর্থ ফিরিয়ে দেবার দাবিতে সমবায় চত্বরে পোস্টার লাগায় বাম কৃষক সংগঠন। পাশাপাশি কয়েকদিন আগে হুগলির সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় সমবায় এলাকায় গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে তাঁদের হয়রানির কথা শোনেন।

    কীভাবে অবশেষে গ্রেফতার?

    ডেপুটি  রেজিস্ট্রার অফ কো অপারেটিভ সোসাইটি গত ১৬ ই জুন সিঙ্গুর থানায় সমবায়ের ওই দুর্নীতি নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে পুলিশ সমবায়ের ম্যানেজার সুখেন্দু দাস ও ক্যাশিয়ার কৌশিক অধিকারীকে গ্রেফতার করে ২৭ শে জুন চুঁচুড়া স্পেশাল আদালতে পাঠায়। পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে আদালত চার দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। বর্তমানে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে অভিযুক্তদের জিজ্ঞাসাবাদ করে এই ঘটনায় আর কে কে যুক্ত আছে, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এ বিষয়ে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার আমন দীপ জানান, ডিআরসিএস থেকে একটা অভিযোগ করা হয় সমবায়ের (Singur) ম্যানেজার ও ক্যাশিয়ার প্রায় ২ কোটি ২৯ লক্ষ টাকার একটা গরমিল করেছেন। তার প্রেক্ষিতে থানায় আইপিসি ৪০৬ ও ৪২০ ধারায় একটি কেস শুরু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। কিভাবে তারা এত টাকা গরমিল করল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনায় আর কেউ যুক্ত আছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ভোট সামনে বলেই গ্রেফতার? প্রশ্ন বিজেপির

    অন্যদিকে সমবায়ের এই ঘটনা নিয়ে সরাসরি রাজ্যের শাসক দলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি রাজ্যের গেরুয়া শিবির। সিঙ্গুরের বিজেপি নেতা মধুসূদন দাস বলেন, এত বড় ঘটনায় শুধু ম্যানেজার আর ক্যাশিয়ার জড়িত, এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। তৃণমূল পরিচালিত বোর্ড। একটা সিস্টেমে কাজ হয় সমবায়ে। বোর্ডের অনুমতি ছাড়া কোনও কিছু পাশ হয় না। ভোট এসে গেছে বলে এদের গ্রেফতার করে দেখানো হচ্ছে, আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আছি। তাহলে এতদিন অ্যারেস্ট করা হয়নি কেন? এই ঘটনায় আরও যারা পিছনে আছে, সেই  সমস্ত রাঘববোয়ালদের সামনে আনতে হবে। যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের (Singur) টাকা ফেরত দিতে হবে।

    কী বলছে তৃণমূল?

    বিজেপির অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সিঙ্গুর (Singur) ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস কমিটির সভাপতি গোবিন্দ ধারা বলেন, পরিচালন সমিতিকে অন্ধকারে রেখেই এইসব তছরুপ করা হয়েছে। এর সাথে বোর্ড কোনও ভাবে যুক্ত নয়। তদন্তে আইনি পথে যদি বোর্ডের কেউ জড়িত প্রমাণ হয়, তখন সে সাজা পাবে। দল কোনও অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar : ‘‘পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন’’! প্রভু জগন্নাথের কাছে প্রার্থনা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার উল্টোরথ থেকেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে নামল বিজেপি। এদিন বরানগরের নোয়াপাড়ায় রথযাত্রার অনুষ্ঠানে এসে পরোক্ষে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘রাহু’ বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন মহামণ্ডলেশ্বর আশ্রমের উল্টো রথ যাত্রায় অংশ নেন তিনি। 

    তৃণমূলকে আক্রমণ

    উল্টো রথের দিন নিজের হাতে আরতি করা থেকে নিষ্ঠা ভরে জগন্নাথ দেবের আরাধনা করেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে সাংবিদকরদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে প্রহসন হচ্ছে। বিরোধীদের আটকানো হচ্ছে, কোথাও কোথাও শোনা যাচ্ছে ফেক ব্যালট পেপার তৈরি করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী মাইক্রোস্কোপ দিয়েও খুঁজে পাচ্ছি না। আপনারা দেখলে আমাদের জানাবেন। এই পরিস্থিতির মধ্যে ভোট হচ্ছে। ভোট হবে না ঘোঁট হবে সেটা ভোটের দিন বোঝা যাবে।’

    রাহু-মুক্তির প্রার্থনা

    শীতলকুচিতে ফের হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেখানে যাবেন সেখানেই গুলি চলবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ওখানে গিয়ে ইনস্টিগেট করে এসেছেন ভায়োলেন্স। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাওয়া মানেই ওখানে অশান্তি হবে।’ সব শেষে জগন্নাথের কাছে কি প্রার্থনা করলেন সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রভু জগন্নাথ পশ্চিমবঙ্গকে এই রাহু থেকে উদ্ধার করুন, মুক্তি দিন।’

    আরও পড়ুন: অনুমোদন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত জাতীয় গবেষণা সংস্থা

    প্রধানমন্ত্রীর কথা প্রসঙ্গে

    রাজ্যে দুর্নীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণ, প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোনও মিথ্যে কথা বলেননি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এত বড় বড় কথা বলছেন। কই বিজেপি-র তো কোনও মন্ত্রী জেলে নেই। তার প্রাক্তন মন্ত্রী, শিক্ষা মন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রী জেলে। অথচ মুখ্যমন্ত্রীর লজ্জা লাগে না, লজ্জা পান না। পার্থ নামটা মুখে একবারও আনেন না। তার নামটা নিয়ে এসে বলুন, পার্থ খুব ভালো ছেলে ছিল।’

    রাজ্যপাল সংবিধানের কাস্টডিয়ান

    রাজ্যপালকে বারবার আক্রমণ করছে তৃণমূল। সে প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘ভালো কাজ যিনি করবেন তাঁকেই তৃণমূল আক্রমণ করবে। রাজ্যপাল যেখানে যেতে চান সেখানে যাবেন। রাজ্যপালের পদক্ষেপ সংবিধানসম্মত, উনি সংবিধানের কাস্টডিয়ান। সংবিধান আমাদের সকলকে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে অংশগ্রহণ করার অধিকার দিয়েছে। সেই অধিকার রক্ষা করার জন্য কারোর যদি প্রাণ যায়, কেউ যদি আহত হন, তাঁকে দেখতে রাজ্যপাল যেতে পারেন। তিনি উচিত কাজই করছেন বলে আমাদের মনে হয়।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    Panchayat Election 2023: ১০ দিন ধরে বঙ্গ বিজেপির মেগা প্রচার! উল্টো রথেই পথে শুভেন্দু, সুকান্তরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) উপলক্ষে মঙ্গলবার সংকল্প পত্র প্রকাশ করেছে বিজেপি। আজ, বুধবার উল্টো রথের দিন থেকেই প্রচারের উদ্দেশে পথে নামছে বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার ডাকে আজ পটাশপুরে জনসভা দিয়ে নিজের জেলায় কর্মসূচি শুরু করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ২২ টি জেলাতেই পদযাত্রা করবেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। থাকবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, দলের সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল,দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়।

    আজ কোথায়, কোথায় সভা

    এদিন, পটাশপুর দু’নম্বর ব্লকের মথুরাতে জনসভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শুভেন্দু অধিকারী। এরপর দ্বিতীয় জনসভা রামনগরে। রামনগরের দু’নম্বর ব্লকের কানপয়রা হাটেও পঞ্চায়েত ভোটে দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভায় বক্তব্য রাখবেন শুভেন্দু। বুধবার তৃতীয় কর্মসূচি পদযাত্রা। খেজুরির এক নম্বর ব্লকের হেঁড়িয়া থেকে পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেবেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তাঁর সঙ্গে থাকবেন দলের সাধারণ সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পাল। বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন হাওড়ায় পদযাত্রা করবেন রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক লকেট চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পদযাত্রা (Panchayat Election 2023) হওয়ার কথা ঝাড়গ্রামে। সেই কর্মসূচিতে অংশ নেবেন রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। ওইদিনই হুগলিতে হবে আরও একটি পদযাত্রা। যেখানে হাঁটবেন শুভেন্দু অধিকারী ও লকেট চট্টোপাধ্যায়ের। আবার বৃহস্পতিবারই নদিয়ায় কর্মসূচিতে থাকবেন সুকান্ত মজুমদার ও জগন্নাথ সরকার। ৩০ জুন, শুক্রবার দলের সর্ব ভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ পূর্ব বর্ধমানে যাবেন বলে সূত্রের খবর। তাঁর সঙ্গে থাকবেন বিজেপি নেতা তথা দলের সাংস্কৃতিক শাখার আহ্বায়ক রুদ্রনীল ঘোষ। ওই দিন শুভেন্দু, বাঁকুড়ার সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার, বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও পুরুলিয়ার সাংসদ জ্যোতির্ময় সিংহ মাহাতোকে নিয়ে বড় পদযাত্রার আয়োজন করা হয়েছে বাঁকুড়ায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    Panchayat Election 2023: ‘ভোট এলেই কেন পায়ে আঘাত মুখ্যমন্ত্রীর?’ প্রশ্ন সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারে (Panchayat Election 2023) গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কপ্টার দুর্ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ‘ভোট এলেই কেন বারবার পায়ে আঘাত পান মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee Injury)? বার বার পায়ে আঘাত মানেই শুভ লক্ষণ নয়,’ কটাক্ষ সুকান্তর। উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গ সফরের শেষদিনে কপ্টার দুর্যোগের মুখে পড়ায় পা এবং কোমরে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী।

    সুকান্তের মত

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের হাইভোল্টেজ লড়াইয়ের সময়ও আঘাত পেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। নির্দিষ্ট করে বললে, ২০২১ সালের ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে আহত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মঙ্গলবার, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election 2023) প্রচার সেরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তি থেকে বাগডোগরার উদ্দেশ্য়ে রওনা হন মুখ্যমন্ত্রী। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই গাজোলডোবার কাছে পৌঁছে আকাশ কালো করে প্রবল ঝড়-বৃষ্টি শুরু হয়। সেবক এয়ারবেসে কপ্টারটির জরুরি অবতরণ করানো হয়। জরুরি অবতরণের কারণে কোনও সিঁড়ির ব্যবস্থা ছিল না। কপ্টার থেকে নামতে গিয়ে কোমর ও পায়ে চোট পান মুখ্যমন্ত্রী। এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেও কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। সুকান্ত বলেন,  “প্রধানমন্ত্রী যা বলেছেন, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উচ্চ রক্তচাপ বাড়ার কথা ছিল।” 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিপিএম-তৃণমূল সংঘর্ষ, চারদিন ধরে পুরুষশূন্য গ্রাম

    মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী সুস্থ ভাবে ফিরে এসেছেন, রাজ্যবাসী হিসেবে এটা আমাদের জন্য সুখবর।’’ তবে, দুর্ঘটনা নিয়ে আর বিশেষ কিছু বলতে চাননি তিনি। এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি শুধু বলেছেন, ‘‘আমি চিকিৎসার বিষয়ে কিছু বলব না। কে কোথায় কীভাবে চোট পেয়েছে, সেটা আমার বলার বিষয় নয়। এটা ডাক্তার বাবুরা দেখবেন। রাজ্যে বড় বড় হাসপাতাল রয়েছে, সেখানকার চিকিৎসকরা এই বিষয়ে বলবেন।’’ সূত্রের খবর, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করে খোঁজ নেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কী হয়েছে বিশদে জানেন। তবে আপাতভাবে মুখ্যমন্ত্রী ঠিক আছেন দেখে, নিশ্চিত হন তিনি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ‘‘ভোট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Panchayat Election 2023: ‘‘ভোট নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে’’! বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে ভোট প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে নবান্নের ১৪ তলা থেকে। ভোটের নামে প্রহসন হতে চলেছে রাজ্যে। নির্বাচনের ইস্তেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে শাসক দলকে তুলোধনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মঙ্গলবার বিকেলে পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) নির্বাচনের ইস্তাহার প্রকাশ করল বঙ্গ বিজেপি (Bengal BJP)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপির সর্বভারতীয় সহসভাপতি দিলীপ ঘোষ তিনজনই ছিলেন মঞ্চে। 

    শুভেন্দুর তোপ

    এদিনই রাজ্য বিজেপির মুখপত্র কমল বার্তা আবার নবরূপে প্রকাশিত হল। একইসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) আগে বিজেপি ইস্তেহার ‘সংকল্পপত্র’ প্রকাশ করা হল। এদিনের অনুষ্ঠানে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে শুভেন্দু বলেছেন, এরকম ভোট কখনও দেখেনি রাজ্য। কোথাও কেউ মনোনয়ন দিতে পারছেন না। মনোনয়ন প্রত্যাহারের জন্য ভয় দেখাচ্ছে পুলিশ।  নির্বাচন কমিশন শাসক দলের শাখা সংগঠনে পরিণত হয়েছে। শাসক দলের হয়ে কাজ করছে। সেকারণে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনে আপত্তি জানিয়েছিল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেওয়ার পাশাপাশি প্রাক্তন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডের প্রশংসা করেছেন শুভেন্দু।  তিনি বলেছেন মীরা পাণ্ডে বুঝেছিলেন যে ভোট লুঠ হতে পারে। সেকারণেই তিনি আগে থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়েছিলেন। 

    আরও পড়ুুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    বিজেপির সংকল্পপত্র

    পঞ্চায়েত (Panchayat Election 2023) স্তরে রাজ্যে যে বিস্তর বেনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠে এসেছে, তা নিয়ে ফের একবার শাসক শিবিরকে বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষও। মুখ্যমন্ত্রীর পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচার নিয়েও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সুকান্ত।  বিজেপির পঞ্চায়েতের সংকল্পপত্রে মোট ৯টি ইস্যুকে হাতিয়ার করে এবার গ্রাম বাংলায় প্রভাব বিস্তারের কথা বলা হয়েছে। প্রথম ইস্যু, দুর্নীতিমুক্ত পঞ্চায়েত গঠন। দ্বিতীয় ইস্যু, কৃষকদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। তৃতীয় ইস্যু, অসংগঠিত ক্ষেত্রের মানুষদের উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এছাড়া স্বাস্থ্য, নারী কল্যাণ, আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা, গ্রামীণ পরিকাঠামো, সুশাসন ও সর্বোপরি রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নের মতো ইস্যুগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে বিজেপির সংকল্পপত্রে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলবে না বাংলা’’! মধ্যপ্রদেশের সভায় মন্তব্য মোদির

    Narendra Modi: ‘‘তৃণমূলের দুর্নীতি ভুলবে না বাংলা’’! মধ্যপ্রদেশের সভায় মন্তব্য মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার নাম করে তৃণমূলের দূর্নীতির কথা জনসমক্ষে তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে তৃণমূল শাসিত বাংলায় নানা দুর্নীতি চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। ভোটমুখী মধ্য প্রদেশে এদিন সকালে রেলের এক কর্মসূচীতে অংশ নেন নরেন্দ্র মোদি। পাঁচটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর, ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির প্রধানদের এক জনসভায় অংশ নিয়েছেন তিনি। শুধু মধ্য প্রদেশের বিজেপির বুথ সমিতির প্রধানরা নন, গোটা দেশের বুথ কমিটির প্রধানরাই অংশ নেন এই সভায়।

    মোদির মন্তব্য

    এদিন কড়া ভাষায় তৃণমূলের সমালোচনা করলেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের বিরুদ্ধে ২৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। রোজ ভ্যালি দুর্নীতি, সারদা দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচার চলছে। বাংলার মানুষ কখনও এই দুর্নীতি ভুলতে পারবে না।’’ চলতি মাসেই দিল্লিতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘রোজগার মেলা’ কর্মসূচিতে পশ্চিমবঙ্গ এবং তৃণমূলের নাম না করে, নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, ‘‘সম্প্রতি আপনারা একটি রাজ্য থেকে পাওয়া খবরে দেখেছেন কী ভাবে ‘ক্যাশ ফর জব’ (টাকার বিনিময়ে চাকরি)-এর ঘটনা ঘটেছে। রেস্তরাঁয় রেট কার্ডের মতোই সেই রাজ্যে বিভিন্ন স্তরের সরকারি চাকরির বিভিন্ন ‘দর’ রয়েছে।’’এদিন সরাসরি তৃণমূলের নাম করে নিশানা করলেন মোদি।

    বিরোধীদের নিশানা

    সামনে লোকসভা ভোট। ২০২৪ ভোটের আগে দলের কর্মীদের উদ্দেশে মোদি বলেন, “পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশে মূল্যবৃদ্ধির অবস্থা মানুষের সামনে তুলে ধরুন। মানুষকে বোঝান, করোনা মহামারি সত্ত্বেও ভারতের অর্থনীতি বেশ ভাল অবস্থায় আছে। মোবাইল ডেটা, আয়ুষ্মান ভারতের মতো আমাদের বিভিন্ন নীতির ফলে মানুষের অনেক টাকা বেঁচেও যাচ্ছে। বিজেপি যে যে রাজ্যে ক্ষমতায় আছে, সব রাজ্যেই জ্বালানির দাম ১০০ টাকার নীচে রয়েছে। অবিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন জ্বালানির দাম ১০০-র বেশি? মানুষের সামনে এই প্রশ্ন তুলুন।”

    আরও পড়ুন: “পাকিস্তান, বাংলাদেশে তিন তালাক নেই কেন?” মধ্যপ্রদেশের জনসভায় প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

    শুধু তৃণমূল নয়, গত ২৩ মে পটনায় নীতীশ কুমারের ডাকা বিজেপি বিরোধী বৈঠকে হাজির বিভিন্ন দলকে নিশান করেন প্রধানমন্ত্রী। মোদির কথায়, “দিন কয়েক আগে বিরোধী দলের নেতারা ছবি তোলার একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছিল। সেখানে যারা ছিলেন, তাদের সব মিলিয়ে ২০ লক্ষ কোটি টাকার দুর্নীতি রয়েছে। বিরোধীরা যারা একজোট হওয়ার চেষ্টা করছে, তাদের উপর রাগ নয়, দয়া করুন। এর আগে ২০১৯ সালেও আমরা শুনেছিলাম বিরোধী জোটের কথা। এবার একটু বেশি লাফালাফি করছে ওরা। আসলে এছাড়া ওদের কোনও উপায় নেই। ২০২৪ সালে আরও বেশি আসন জিতে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশটাই চোর’’, ভোটপ্রচারে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    Suvendu Adhikari: ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশটাই চোর’’, ভোটপ্রচারে শুভেন্দুর নিশানায় মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির আরামবাগ মহকুমার পুরশুড়ার পশ্চিমপাড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শাসক দল তৃণমূলকে একহাত নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পাশাপাশি নাম করে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশকে চোর বলে তীব্র কটাক্ষ করেন।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার মঞ্চ থেকে তিনি বলেন, ‘‘জেলাশাসককে কাজে লাগিয়ে আরামবাগ লোকসভা ভোটে কারচুপি করে জিতেছে তৃণমূল। চুরি করা ওদের অভ্যাস। গোটা পরিবারটাই চোর। ভাইপো চোর, ভাইপোর বউ চোর, ভাইপোর শালি চোর, ভাইপোর বাবা চোর, ভাইপোর মা চোর, গরু চোর, কয়লা চোর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বংশ চোর।’’ 

    শুভেন্দু অধিকারী আরও বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লজ্জা নেই। ওনার পুলিশ রাজবংশী মৃত্যুঞ্জয় বর্মনকে মাঝ রাত্রে গুলি করে খুন করেছে। উনি একবারও শোক প্রকাশ করেননি। তাই ওনার লজ্জা থাকা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় বাহিনী সম্পর্কে বলছেন, গুলি চললে সরকার ও পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। গুন্ডাদের মতো কথাবার্তা। জেন্ডার চেঞ্জ করে কি বলা যায়, গুন্ডিদের মতো কথাবার্তা।’’

    তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, যাকে ইচ্ছা চড়থাপ্পড় মেরে দেবেন। আমি বলছি, কেষ্টর মতো অবস্থা হবে। কেষ্টকে বলেছিল আমি (পড়ুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) আছি। যারা অপকর্ম করবে তাদের অবস্থা কেষ্টর মতো হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর ভাইপো ছাড়া কারও জন্য নয়। আমি এই কথা বলে দিলাম।’’ 

    এদিন কংগ্রসে-সিপিএমকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “ডোমজুড়ে গুলি-বোমার লড়াই। রাজ্য জুড়েই সন্ত্রাস, গুলি, বোমা চলছে। কংগ্রেস ও সিপিএমের নেতা রাহুল গান্ধী ও সীতারাম ইয়েচুরি যোগাযোগ করুক। পাটনায় শান্তি চুক্তি পড়েও কেন বোমা গুলি চলছে?’’

    নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকতকে সাদা পায়রা ওড়ানোর পরামর্শ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    ভাঙড়ে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লাকে সাদা পতাকা ও সাদা পায়রা নিয়ে গ্ৰামে গ্ৰামে মিছিল করার পরামর্শ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় এক জনসভায় এসে নওশাদ সিদ্দিকি ও শওকত মোল্লার সৌজন্য সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে একথা বললেন বিজেপি নেতা ।

    পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। আইএসএস ও শাসকদলের সংঘর্ষে মারা গেছে দু পক্ষেরই বেশ কয়েকজন কর্মী। শান্তির রফাসূত্র খুঁজতে ইতিমধ্যেই ভাঙড় পরিদর্শন করেছেন রাজ্যপাল। আইএসএফ প্রধান নওশাদ সিদ্দিকি ও তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা ভাঙড়ের সংঘর্ষ নিয়ে একাধিকবার পরস্পর বিরোধী অভিযোগ ও পাল্টা অভিযোগ করেছেন। এই পরিস্থিতিতে সোমবার বিধানসভায় বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি ও বিধায়ক শওকত মোল্লা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে হাসিমুখে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন তৈরি করেছে।।

    এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন জাঙ্গিপাড়ার এক সভামঞ্চ থেকে। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এই উদ্যোগটা ভালো। তবে দুজনে যদি ভাঙড়ের গ্ৰামে গ্ৰামে গিয়ে  শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তাহলে ভালো হয়। ঠান্ডা ঘরে বসে, নিরাপদ জায়গায় বসে এটা করবেন না। কারণ দু পক্ষের লোকই মারা গেছে। সব গরীব মানুষ।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share