Tag: tmc

tmc

  • BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    BJP: অনুব্রতর গড়ে ফের ভাঙন, তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অনুব্রত মণ্ডলের খাসতালুকে তৃণমূলে ভাঙন ধরাল বিজেপি (BJP)। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিলের কাজ বৃহস্পতিবারই শেষ হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের মনোনয়ন দাখিলের শেষ পর্বে দেখা যায় বিভিন্ন দলের টিকিট বন্টন নিয়ে দলীয় কর্মীদের মধ্যে রয়েছে চাপা ক্ষোভ। প্রতিবাদ জানাতে অনেকেই ভোট ময়দানে সামিল হয়েছেন দলীয় গোঁজ প্রার্থী হিসেবে। অনেকে আবার দলবদল করে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের সরাসরি বিরোধিতা করতে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ অসিত মালের ভাইপো রূপেস মাল শুক্রবার  বিজেপির রামপুরহাটে শাখায় যোগদান করলেন। অন্যদিকে, এদিন সকালে বীরভূমের  ময়ূরেশ্বর-১ নম্বর ব্লকের মল্লারপুর-২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন বুথ সভাপতি বিকাশ পত্রধর বিজেপিতে যোগদান করলেন। তিনি ময়ূরেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক অভিজিৎ রায়ের ছায়া সঙ্গী হিসেবেই পরিচিত ছিলেন। তবে, তিনি একা দলবদল করেছেন এমন নয়,  তাঁর সঙ্গে এলাকার আরও প্রায় ৩০০ জন কর্মী সমর্থক নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন। বিকাশ পত্রধরের  হাতে পতাকা তুলে দেন রাজ্য কমিটির সদস্য অর্জুন সাহা। পাশপাশি উপস্থিত ছিলেন মণ্ডল সভাপতি সহ অনান্যরা। বিধায়ক এবং দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে বিজেপিতে যোগদান বলে জানিয়েছেন বিকাশবাবু।

    কী বললেন দলত্যাগী নেতা?

    রাজ্যজুড়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল বারবার প্রকাশ্যে এসেছে সাম্প্রতিককালে। তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যে সেই কোন্দল আরও প্রকট হয়েছে। বিশেষ করে অনুব্রত গড় বীরভূম জেলায় তৃণমূলের ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। কখনও তৃণমূল কর্মীরা দল ছেড়ে যোগদান করছেন সিপিএমে, কখনও আবার বিজেপিতে (BJP), কখনও আবার কংগ্রেসে। তবে বেশিরভাগ সময় দেখা গিয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে যোগদানের সংখ্যা বেশি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এভাবে শাসকদল ভেঙে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা গেরুয়া শিবিরকে নির্বাচনের আগে বাড়তি অক্সিজেন জোগাবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূল সাংসদের ভাইপো রূপেশ মাল বলেন তৃণমূল দলে তিনি যথাযথ সম্মান পাচ্ছিলেন না, তাছাড়া তৃণমূল যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত করে অযোগ্য ব্যক্তিদের পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রার্থী মনোনীত করে টিকিট দিয়েছে। এজন্যই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। অন্যদিকে, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বিকাশ পত্রধর বলেন, আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করতাম। এখন দলটা দুর্নীতিতে ভরে গিয়েছে। দুর্নীতি মুক্ত পঞ্চায়েত গড়তেই তৃণমূল ছেড়েছি। কয়লা, গরু, পাথর খাদানের টাকা সব ভাইপোর (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) কাছে যায়। এই টাকায় রাজ্যের অনেক উন্নয়ন হত।  স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক এখন চোরদের নিয়ে ঘোরে। এই দলটা আর করা যায় না। এখন এই এলাকায় বিজেপির জনজোয়ার। ময়ুরেশ্বর পঞ্চায়েত সমিতি দখল করবে বিজেপি।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি ধ্রুব সাহা বলেন  তৃণমূলের নবজোয়ার শেষ হতে না হতেই দেখা দিয়েছে ভাটা। আজকে তৃণমূল সাংসদদের নিজের ভাইপো বিজেপিতে যোগদান তারই জ্বলন্ত প্রমাণ। অন্যদিকে, বিজেপি (BJP) নেতা অর্জুন সাহা বলেন, বিকাশ এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় নেতা। ভালো সংগঠক। তাঁর নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী সমর্থক আমাদের দল যোগ দিলেন। এতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের সংগঠন অনেকটাই মজবুত হল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা পরিষদের কো মেন্টর ধীরেন্দ্রনাথ ব্যানার্জি বলেন বিকাশ পত্রধর এখন তৃণমূলে নেই। সে কোন দল করবে, না করবে সেটা ওর ব্যাপার তৃণমূলের কোনও কিছু যায় আসে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    Panchayat Election 2023: পুলিশ নিয়ে মনোনয়ন দিতে গিয়েও আক্রান্ত বিজেপি, লাঠি, বাঁশ, রড নিয়ে হামলা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) মনোনয়নের শেষ দিনেও উত্তাল রাজ্য। চোপড়ায় গুলিতে মৃত্যু হয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক দলের দুই কর্মীর। ভাঙড় ২ তে যেসব প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা করতে পারেননি, হাইকোর্টের নির্দেশে তাঁদের পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। একই ঘটনা ঘটে মিনাখাঁতে। হাইকোর্টের নির্দেশে বিজেপি প্রার্থীদের পুলিশ নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করতে নিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় তাঁদের উপর আক্রমণ করে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। রাজ্যে গণতন্ত্রের পরিবেশ নেই বলে মনে করছে বিরোধী দলগুলি।

    কী হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে (panchayat election 2023) উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটের হাড়োয়ায় বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা না করতে পারলে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, রাজ্য পুলিশ তাঁদের নিরাপত্তা দিয়ে মনোনয়ন করাতে নিয়ে যাবে। রাজ্য পুলিশ মোট ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে গাড়িতে করে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নিয়ে যায়। সেই সময় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আক্রমণ করে। গাড়ির কাচ ভাঙা হয়। বিজেপির অভিযোগ, হাইকোর্টের নির্দেশকে অমান্য করে এবং আইনের শাসনকে উপেক্ষা করে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা করতে দিল না রাজ্যর শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

    বিজেপির জেলা ইনচার্জের বক্তব্য

    উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বিজেপির ইন চার্জ কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আমরা ১১ জন বিজেপি প্রার্থীকে থানা থেকে পুলিশ প্রোটেকশন নিয়ে মিনাখাঁ বিডিও অফিসে নমিনেশন (panchayat election 2023) দিতে যাচ্ছিলাম। ঠিক সেই সময় হঠাৎই আমাদের গাড়ি লক্ষ্য করে ইট মারা হয়। এর ফলে গাড়ির কাচ ভেঙে চূর্ণ-বিচূর্ণ হয়ে যায়। তারপর বেশ কিছু দুষ্কৃতী এসে কয়েকজন বিজেপি কর্মীকে মারধর করে। বেশ কিছু মহিলা বিজেপি কর্মী ছিলেন। তাঁদেরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। তৃণমূল দুষ্কৃতীদের সংখ্যা ছিল প্রায় দেড়শোর বেশি। দুষ্কৃতীদের হাতে লাঠি, বাঁশ, রড ইত্যাদি ছিল। বিজেপি কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি গাড়িতে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় তারা। কৃষ্ণেন্দু মুখার্জি বলেন, পুরো জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ ছিল যে জীবন সঙ্কটের কারণে আর বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দেওয়া সম্ভবপর হয়নি। এই ঘটনার প্রতিবাদে ইতিমধ্যে হাড়োয়া থানায় বিজেপির পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

    Panchayat Election 2023: অগ্নিগর্ভ ভাঙড়, পুলিশি এসকর্টে চলল গুলি, আইএসএফ কর্মী সহ মৃত ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের অগ্নিগর্ভ ভাঙড়! তৃণমূল (TMC)-আইএসএফের (ISF) মধ্যে বোমা-গুলির লড়াই। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল আইএসএফের এক কর্মীর এবং তৃণমূলের এক কর্মীর। সংঘর্ষে জখম (Panchayat Election 2023) হয়েছেন তৃণমূলের এক কর্মীও। পরিস্থিতি আয়ত্ত্বে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী। অশান্তির দায় আইএসএফের ঘাড়ে চাপিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    হাইকোর্টের নির্দেশে পুলিশ এসকর্ট

    কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে এদিন পুলিশ এসকর্ট করে মনোনয়ন দিতে নিয়ে যাচ্ছিলেন বিরোধীদের ৮২ জন প্রার্থীকে। ভাঙড়ের সোনপুর বাজারের কাছে তাঁদের ওপর হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। গুলিতে মৃত্যু হয় আইএসএফের এক কর্মীর। মৃতের নাম মহম্মদ মহিউদ্দিন মোল্লা। আইএসএফের অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা যখন বিরোধী প্রার্থীদের ওপর হামলা চালায়, তখন কার্যত দর্শকের ভূমিকায় ছিল পুলিশ। পরের পর গুলি চালায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বোমা পড়তে থাকে মুড়ি মুড়কির মতো। ধোঁয়ায় ঢেকে যায় গোটা তল্লাট।

    অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগ

    আইএসএফের অভিযোগ (Panchayat Election 2023) অস্বীকার করে তৃণমূলের দাবি, তাঁদের কর্মীদের লক্ষ্য করে বোমাবাজি করেছে আইএসএফ। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে রশিদ মোল্লা নামে এক তৃণমূল কর্মীরও। তিনি জীবনতলার বাসিন্দা। এর পরেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বিজয়গঞ্জ বাজারে। দ্রুত বিশাল বাহিনী গিয়ে নিয়ন্ত্রণে আনে পরিস্থিতি। তার আগে ছোড়া হয় কাঁদানে গ্যাসের সেল। এলাকায় চলছে পুলিশি টহলদারি।

    ভাঙড়ে অশান্তির জন্য আইএসএফকেই দায়ি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যারা বিরোধী আছে ওখানে, নতুন জিতেছে, তারাই প্রথম করেছে পরশুদিন (মঙ্গলবার)। ভাঙচুর করেছে, মানুষকে বিপথে চালিত করে, সাম্প্রদায়িক স্লোগান দিয়ে সবাইকে জোগাড় করে ওখানে ভাঙচুর, লুঠতরাজ, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমাদের তরফে কালকে (বুধবার) একটা প্রতিবাদ হয়েছে। যেটা আমি সত্য বলব।”

    আরও পড়ুুন: কোন্দলে ভাঙন শাসক দলে, বিজেপিতে যোগদান ৩০০ তৃণমূল কর্মীর

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর থেকেই মনোনয়নপত্র পেশ-পর্বকে কেন্দ্র করে অশান্তির খবর এসেছে বিভিন্ন জেলা থেকে। আইএসএফ এবং তৃণমূলের মধ্যে মারামারিও হয়েছে ভাঙড়ে। মঙ্গলবার কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় ভাঙড়ের বিজয়গঞ্জ বাজার এলাকা। বোমাবাজির পাশাপাশি চলে গুলিও। জখম হন বেশ কয়েকজন। তার পর থেকেই থমথমে ছিল এলাকা। বৃহস্পতিবার বাঁধে ফের সংঘর্ষ। সংঘর্ষের বলি তরতাজা দুই প্রাণ।

    প্রশাসনের ঘুম ভাঙবে কবে?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের চার বিধায়ক

    Panchayat Election: প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন তৃণমূলের চার বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) ঘোষণা হতেই রাজ্য জুড়ে শাসক দলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। বুধবারই ক্যানিং-এ তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলে গুলিবিদ্ধ হন একজন। কোথাও নেতাদের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, তো কোথাও সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন শাসক দলের বিক্ষুব্ধ নেতানেত্রীরা। দুর্নীতিগ্রস্ত লোকদের টিকিট দেওয়া হয়েছে, এই অভিযোগে এবার মুর্শিদাবাদ জেলার চার তৃণমূল বিধায়ক ক্ষোভ প্রকাশ করলেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নের শেষ দিনে বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙ্গাতে সাংবাদিক বৈঠক করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দলেরই চার বিধায়ক। ভরতপুর বিধানসভা কেন্দ্রের হুমায়ুন কবীর, নওদার বিধায়ক শাহিনা মমতাজ বেগম, রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরী ও জলঙ্গীর বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক দলেরই বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, রাজ্য জুড়ে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে গ্রেফতার হয়েছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীদের একাংশ। গরু চুরি মামলায় জেলে রয়েছেন অনুব্রত। এই অবস্থায় এমনিতেই ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। তারপর দলের অন্দরে এমন গোষ্ঠী দ্বন্দের  ফল নিশ্চিতভাবে পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) পড়বে। 

    কী বললেন হুমায়ুন কবীর? 

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি ও চেয়ারম্যান অপূর্ব সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে হুমায়ুন বলেন, ‘‘কান্দি ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি বাগবুল হোসেন মাত্র পাঁচ শতাংশ টিকিট বিলি করতে পেরেছেন। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে অপূর্ব সরকার সব থেকে বেশি আসনে টিকিট বন্টন করেছেন। অন্যদিকে একজন হেরে যাওয়া বিধায়িকা লালবাগ ও ডোমকলের নিজের মনের প্রার্থী নির্বাচন করছেন।’’

    কী বললেন রবিউল আলম?

    এদিন রবিউল আলম দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতে যেভাবে দুর্নীতিগ্রস্তদের টিকিট দেওয়া হল, এর ফল কিন্তু লোকসভা ভোটে পড়বে। মুর্শিদাবাদে কোনও দিন সেই অর্থে শক্তিশালী ছিল না তৃণমূল। বিগত কয়েক বছর ধরে আমাদের মতোই কংগ্রেস ত্যাগী নেতারা এখানে শাসক দলকে শক্তিশালী করেছি। টিকিট বিলি নিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কিছু জায়গায় তৃণমূল ছাড়ার হিড়িক পড়েছে বলেও শুনছি।’’

    আরও পড়ুুন: মণিপুরে জ্বলছে গ্রাম, জঙ্গলে বাসিন্দারা! তল্লাশি অভিযান শুরু সেনার

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমায় সাহায্য করবে পুলিশ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ভাঙড়ের আইএসএফ প্রার্থীদের মনোনয়ন জমায় সাহায্য করবে পুলিশ, নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইএসএফের (ISF) তিন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র পেশের জন্য পুলিশকে সাহায্য করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। এজন্য কাশীপুর ও ভাঙড় থানাকে পদক্ষেপ করার নির্দেশও দেন বিচারপতি। বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা এই নির্দেশ দেন। তিনি জানান, রাজ্যের অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রেও একই অভিযোগ এলে পদক্ষেপ করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। আদালতের নির্দেশ, কমিশনের ওই নির্দেশ কার্যকর করতে বিভিন্ন জেলার এসপি ও কমিশনারদের বলবেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। প্রসঙ্গত, মনোনয়নপত্র পেশ করাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় অশান্ত হয়ে উঠেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়। তৃণমূলের সঙ্গে আইএসএফের সংঘর্ষও হয়। পর পর তিন দিন উত্তপ্ত ছিল ভাঙড়ের পরিস্থিতি।

    নবান্নে হাজির ভাঙড়ের বিধায়ক

    এদিকে, এদিন আচমকাই নবান্নে হাজির হন ভাঙড়ের (Calcutta High Court) বিধায়ক আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। দুপুর ৩টে নাগাদ নবান্নে যান তিনি। যদিও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে শেষমেশ ফিরে যান তিনি। বিধায়ক বলেন, “ভাঙড়ের বিডিও অফিস চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও ঘিরে রাখা হয়েছে। বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারছে না। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী আমাদের রাজ্যের অভিভাবিকা। তাই আমার মনে হয়েছে, ওঁকে জানানো উচিত। তাই জানাতে এসেছিলাম। তার আগে দেখা করব জানিয়ে মেলও করেছিলাম। কিন্তু আমার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর সময় হয়ে ওঠেনি। আজ আবেদন জানিয়ে গেলে হয়তো আগামী কয়েক দিনের মধ্যে দেখা করতে পারব। কিন্তু আগামিকালই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষ হয়ে যাবে। পরে কখনও প্রয়োজন হলে আবার আসব।”

    ভাঙড়ের বিধায়কের বক্তব্য 

    তিনি (Calcutta High Court) বলেন, “আমি সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলাম। যাতে তাঁর নজর আলাদা করে ভাঙড়ের দিকে থাকে। আমি জনপ্রতিনিধি। সাধারণ মানুষ ভাঙড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাঁরা যে দলেরই হন না কেন। আমি মানুষের জন্য ছুটে এসেছি।” অন্য দিকে, উত্তর ২৪ পরগনার মিনাখাঁয় মনোনয়নপত্র পেশের সময় প্রার্থীর ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে গিয়েছিল সিপিএম-ও। বুধবার ওই ঘটনায় বসিরহাটের পুলিশ সুপারের রিপোর্ট তলব করেছে আদালত। আগামী সপ্তাহে শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা এই মামলার।

    আরও পড়ুুন: অপরূপার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে, সিবিআইকে হাইকোর্ট

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: অপরূপার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে, সিবিআইকে হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: অপরূপার বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে, সিবিআইকে হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নারদ মামলায় ৪ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার জন্য সিবিআইকে (CBI) নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। নারদ মামলার এফআইআর থেকে তাঁর নাম বাদ দেওয়ার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আরামবাগের সাংসদ তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দার। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতেই বুধবার আদালতের নির্দেশ, অপরূপার বিরুদ্ধে সিবিআইকে তদন্ত শেষ করতে হবে ৪ মাসের মধ্যে।

    নারদ স্টিং অপারেশন

    ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে আগে প্রকাশ্যে আসে নারদ স্টিং অপারেশন। অপারেশন চালিয়েছিলেন ম্যাথু স্যামুয়েল। ফুটেজে দেখা যায়, তৃণমূলের প্রথম সারির বহু নেতা ঘুষ নিচ্ছেন। মামলায় জড়িয়ে পড়েন এই নেতারা। এঁদের মধ্যে সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ প্রয়াত হয়েছেন। কেউ আবার অন্য দলে চলে গিয়েছেন। মামলায় নাম জড়ায় আরামবাগের সাংসদ তৃণমূলের অপরূপা পোদ্দারের। কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অপরূপা জানান, ২০১৪ সালের ঘটনা। চার্জশিটেও তাঁর নাম নেই। সিবিআই তাঁকে অযথা হেনস্থা করছে। এই মামলায়ই সিবিআইকে বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, ৪ মাসের মধ্যে শেষ করতে হবে তদন্ত।

    অপরূপার দাবি

    প্রসঙ্গত, কয়েক সপ্তাহ আগে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়ে অপরূপা জানিয়েছিলেন, সিবিআইকে চিঠি দিয়ে বলেছেন, তাঁর নাম এই মামলা থেকে প্রত্যাহার করা হোক। গত ৮ বছরে তাঁর বিরুদ্ধে কোনও তথ্য মেলেনি বলেও দাবি তৃণমূল নেত্রীর। এদিন আদালতে অপরূপা বলেন, সিবিআই এখনও সেই চিঠির কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    নারদকাণ্ডে (Calcutta High Court) যাঁদের ঘুষ নিতে দেখা গিয়েছিল, তাঁরা হলেন মুকুল রায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ, শুভেন্দু অধিকারী, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র, ইকবাল আহমেদ, ফিরহাদ হাকিম, পুলিশ আধিকারিক এমএইচ আহমেদ মির্জা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পরে পরেই নারদকাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করে তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: একজন সাংসদের জন্য কেন প্রতিদিন কোটি কোটি সরকারি টাকা খরচ? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: একজন সাংসদের জন্য কেন প্রতিদিন কোটি কোটি সরকারি টাকা খরচ? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিকে ঘিরে গত রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ঠাকুরনগর। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সেখানে পৌঁছতেই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভ। তিনি ঠাকুরনগর থেকে বেরিয়ে আসার পর মতুয়াদের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হন। আহতদের সঙ্গে দেখা করতেই মঙ্গলবার ঠাকুরনগরে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এর পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর ও বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    ঠাকুরনগরে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) তৃণমূল সম্পর্কে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “মন্দিরে প্রবেশ করার আগে তাদের ঠাকুরবাড়ি থেকে লিখিত অনুমোদন নেওয়া উচিত ছিল”। তিনি আরও বলেন, “একজন লোকসভার সাংসদের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। তার কী পরিণতি, তা পুলিশ বুঝতে পারবে”। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে শান্তনু ঠাকুরকে নির্বাচনে হারিয়ে দেবেন বলে মন্তব্য করেছেন, এই ব্যাপারে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “উনি আজ পর্যন্ত যাঁকে যাঁকে হারিয়ে দেবেন বলেছেন, তাঁরা সকলেই জিতেছেন”।

    নবজোয়ার সম্পর্কে বক্তব্য

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও অভিযোগ করেন, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচির জেরেই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল ঠাকুরবাড়িতে। এর ফলে ঠাকুরবাড়ির পবিত্র মাটিকে অপমান করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এদিন পুরো ঘটনা সবিস্তারে শুনেছেন। ঘটনার দিন মতুয়া সম্প্রদায়ের যে তিনজন আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে ২ জন মহিলাও ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতির খবর নেন শুভেন্দু। মতুয়াদের ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। শুভেন্দু সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আরও বলেন, সাগরদিঘির মতো যদি পঞ্চায়েত ভোট হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। এরপর বলেন, আমি আগের দিন হাওড়া জেলা হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানকার অবস্থা খুবই খারাপ। গন্ধময় চারদিক। পরিকাঠামো নেই, অথচ একজন সাংসদের জন্য রাজ্যের কোষাগার থেকে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকা খরচ করা হচ্ছে।

    ঠাকুরবাড়িতে ঘটনার দিনই তীব্র নিন্দা করে ট্যুইট করেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে বিশেষ দৃষ্টি আকর্ষণের আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘রক্ত দেব, তৃণমূলকে কোনও জায়গা দেব না’’! হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েতে তৃণমূলের নির্বাচনী কমিটিতে ঠাঁই না হওয়ায় শেখ সুফিয়ান ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আন্দোলনের মাটি নন্দীগ্রামে শাসকদলের ছন্নছাড়া অবস্থা। মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বিজেপি প্রার্থীরা বিক্ষিপ্তভাবে বাধার মুখে পড়েছেন। দলীয় প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করলেন ভূমিপুত্র তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu adhikari)।

    নন্দীগ্রামের মাটিতে দাঁড়িয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu adhikari)?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে রেয়াপাড়া ব্লকের বিজেপির মনোনীত প্রার্থীদের নিয়ে মনোনয়ন জমা করতে যাওয়ার পথে ঠাকুরচক থেকে  রেয়াপাড়া পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)। তিনি বলেন, “রক্ত দেব, তবু নন্দীগ্রামে তৃণমূল চোরেদের জায়গা দেব না। “নন্দীগ্রামে বিজেপি কতগুলি গ্রাম পঞ্চায়েতে ক্ষমতা দখল করবে, তার পরিসংখ্যান দিয়ে দেন তিনি। তিনি বলেন, “নন্দীগ্রামের ১৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১২ টি আমরা দখল করব। বাকি ৫ টি পঞ্চায়েতে ত্রিশঙ্কু হবে। সেটা পরে আমরা দখল করবো।” এদিন বাদ্যযন্ত্র সহকারে বিজেপির মিছিল বের হয়। মিছিলে দলীয় প্রার্থীদের পাশাপাশি কর্মী-সমর্থকদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রেয়াপাড়া ব্লক অফিসের আগে পর্যন্ত মিছিল যায়। তার পর নিয়ম মেনে বিজেপির মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন দিতে যান।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu adhikari) আরও  বলেন, “যেখানেই ভোট হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হারবে। নো ভোট টু মমতায় আস্থা রাখছে সাধারণ মানুষ।” রেয়াপাড়া ব্লকে মোট ৭ টি অঞ্চল রয়েছে। এই সাতটি অঞ্চলে মোট ১১৪ জন গ্রাম পঞ্চায়েতর প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। পাশাপাশি ২১ জন পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেবে্ন। দুটি জেলা পরিষদের আসনে আগামী কাল তাঁরা মহকুমা শাসকের অফিসে মনোনয়নপত্র জমা দেবেন। ২০২১ বিধানসভা ভোটে রাজ্য রাজনীতির পাখির চোখ ছিল নন্দীগ্রাম। এবারেও ২০২৩ পঞ্চায়েত নির্বাচনে পাখির চোখ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে এই নন্দীগ্রামেরই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ২৭৩ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জরুরি নির্দেশিকা কমিশনের

    Panchayat Election 2023: ২৭৩ জন পর্যবেক্ষক নিয়োগ! পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে জরুরি নির্দেশিকা কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) দামামা বেজে গিয়েছে। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে কারা প্রার্থী হতে পারবেন, তা নিয়ে স্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। একই সঙ্গে ভোট পরিচালনার জন্য মোট ২৭৩ জন পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সোমবার রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে কর্মরত আধিকারিকদের এই পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। 

    পঞ্চায়েত ভোটে ৮ দফা নির্দেশিকা

    পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election 2023) প্রার্থী হওয়ার জন্য ৮ দফা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কমিশনের তরফে বিভিন্ন জেলার ইলেকশন অফিসারদের ব্যাখ্যা দিয়ে জানানো হয়েছে প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা ও মাপকাঠি। ১০০ দিনের গ্রামীণ প্রকল্পের অধীনে থাকা প্রোগ্রাম অ্যাসিস্ট্যান্ট, কম্পিউটার অ্যাসিস্ট্যান্ট, টেকনিক্যাল অ্যাসিস্ট্যান্টরা প্রার্থী হতে পারবেন না। মিড ডে মিল প্রকল্পের অধীনে যারা ডাটা এন্ট্রি অপারেটর , লাইব্রেরিয়ান এবং কল্যাণী স্পিনিং মিলের যাঁরা প্রাক্তন কর্মী, শ্রম দফতরের অধীনে যাঁরা চুক্তিভিত্তিক এটেন্ডেড হিসেবে কাজ করবেন, তাঁরাও প্রার্থী হতে পারবেন না। তবে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর অধীনে থাকা প্রকল্প সহায়করা প্রার্থী হতে পারবেন। 

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    পঞ্চায়েত ভোটে পর্যবেক্ষক নিয়োগ

    এরই মধ্যে ভোট (Panchayat Election 2023) পর্যবেক্ষকও নিয়োগ করল কমিশন। প্রত্যেক পর্যবেক্ষককে একটি করে ব্লকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গণনাপর্ব সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত এই সমস্ত আধিকারিক সংশ্লিষ্ট ব্লকের ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন লত এ বারের ভোটের দায়িত্বে পাঠানো হয়েছে বিশেষ সচিব পর্যায়ের আধিকারিকদের। মঙ্গলবার থেকে পর্যবেক্ষকদের প্রশিক্ষণ পর্ব শুরু হচ্ছে। ২৭৩ জন আধিকারিক প্রশিক্ষণ নিলেও ১৬ জন আধিকারিককে ‘রিজা়র্ভ’-এ রাখা হয়েছে। এই ১৬ জন আধিকারিককে ‘রিজা়র্ভ’-এ রাখার কারণ প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে, ভোট পরিচালনার ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতি তৈরি হলেই এই আধিকারিকদের ব্যবহার করা হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিধায়কের নির্বাচনী কমিটি থেকে বাদ ব্লক সভাপতি, প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    Panchayat Election: বিধায়কের নির্বাচনী কমিটি থেকে বাদ ব্লক সভাপতি, প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election)  ভরতপুর- ২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতিকে কোণঠাসা করতে ফের আসরে নামলেন বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। তারসঙ্গে যোগদান করলেন ভরতপুর- ২ ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি আজহারউদ্দিন সিজার। ৪১ জনের নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করলেন বিধায়ক। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    কী বললেন বিধায়ক?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) দিন ঘোষণা হওয়ার পরও মুর্শিদাবাদের ভরতপুরে-২ ব্লকে কমতেই চাইছে না তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল। জেলায় বিতর্কিত নেতা হিসেবে হুমায়ুনের নাম রয়েছে। ভোট ঘোষণা হওয়ার পরও সেই বিতর্ক তাঁর পিছু ছাড়তে চাইছে না। ব্লক সভাপতিকে ছাড়াই মুর্শিদাবাদ জেলার সালারে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দলীয় কমিটি ঘোষণা করলেন বিধায়ক। নির্বাচনী কমিটি ঘোষণা করার পর কার্যত নিজের দলেরই ব্লক সভাপতিকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন তিনি। তিনি বলেন, ৪৩ হাজার ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। তারপরও ব্লক সভাপতি বলছেন আমার বুথে কোনও লোক নেই। এরকম ব্লক সভাপতিকে আমি মানি না। সালারের উন্নয়ন, সালারের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য যা পদক্ষেপ গ্রহণ করা দরকার তা আমি করব। ব্লক সভাপতি হয়ে তাঁর দশটা হাত হয়ে গিয়েছে। নিজেকে তিনি বিশাল কিছু ভাবছেন। তাই, তাঁরসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয়। তাই, আমরা আমাদের মতো করে কমিটি গঠন করে নির্বাচনে লড়াই করব। হুমায়ুনের বিরোধী গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ছিল সিজার। সেই সিজার এবার বিধায়কের সঙ্গে হাত মেলালেন। স্বাভাবিকভাবে বিধায়ক গোষ্ঠীর দিকে কিছুটা হলেও পাল্লা ভারী হল। তৃণমূল নেতা সিজার সাহেব বলেন, বিধায়কের সঙ্গে কিছু বিষয়ে মতানৈক্য থাকতে পারে। তবে,  উন্নয়নের প্রশ্নে আমরা সকলেই এক। ঐক্যবদ্ধ হয়ে আমরা লড়াই করব।

    কী বললেন ব্লক সভাপতি?

    ভরতপুর-২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, “কিছু স্বার্থান্বেষী মানুষ আছে যারা ভোটের রাজনীতিটা করেন। সারাবছর মানুষের সঙ্গে থাকেন না। ভোট (Panchayat Election)  আসার জন্য তাঁরা অপেক্ষা করে থাকেন। স্বার্থপূরণ হলে তৃণমূল করে। আর তা নাহলে বিজেপি, কংগ্রেসে নাম লেখায়।” তবে পঞ্চায়েত নির্বাচনে কি বিরোধী বনাম শাসকের বদলে ঘাসফুল বনাম তৃণমূলের লড়াই দেখবে মুর্শিদাবাদবাসী সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share