Tag: tmc

tmc

  • TMC: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    TMC: পঞ্চায়েতের টিকিট ১ লক্ষ টাকায়, তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে প্রধান-উপপ্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠছিল তৃণমূল (TMC) নেতাদের বিরুদ্ধে। এবার প়ঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাইয়ে টাকার খেলা চলছে। এক লক্ষ টাকা দিলেই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী তালিকায় নাম উঠছে। এমনই অভিযোগ মালদার মালতীপুর বিধানসভার গৌরহণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতে। আর এই অভিযোগ তুলে তৃণমূলের প্রধান ডলি মণ্ডল ও উপপ্রধান পঞ্চানন দাস বিজেপিতে যোগদান করলেন। তাঁদের সঙ্গে প্রায় ৫০০ জন কর্মী, সমর্থক নাম লেখালেন গেরুয়া শিবিরে।

    কী বললেন দলত্যাগী নেতানেত্রীরা?

    গৌরহণ্ড পঞ্চায়েতের প্রধান ডলি মণ্ডল বলেন, গত ৫ বছরে আমি কতটা কাজ করেছি, তার উপর ভিত্তি করে আমায় প্রার্থী করা উচিত ছিল। কিন্তু, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তৃণমূল (TMC) নেতারা লক্ষ লক্ষ টাকা চাইছে। অত টাকা দিয়ে প্রার্থী হওয়ার ইচ্ছা নেই। উন্নয়নমূলক কাজ করতেও এই দল টাকা দাবি করে।  উপ প্রধান পঞ্চানন দাস বলেন, একসময় আমি বিজেপি করতাম। পরে, তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলাম। কিন্তু, দলটা করতে পারছিলাম না। ভাল মানুষ কখনও তৃণমূল দল করতে পারবে না। যারা দুর্নীতিগ্রস্ত, তোলাবাজ তারা এই পার্টির সম্পদ।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের চাঁচল-২ নম্বর ব্লক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হাই বলেন,তৃণমূলে স্বচ্ছভাবমূর্তির মানুষদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে। টিকিট পাবে না বলেই দল ছেড়েছেন তাঁরা। বিজেপি টিকিটের প্রলোভন দেখিয়ে যোগদান করিয়ে ভোটের বাজার গরম করাচ্ছে। তাঁদের দলত্যাগে তৃণমূলে কোনও প্রভাব পড়বে না।

    ফের তৃণমূলে (TMC) ভাঙন?

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূল কংগ্রেসে বড়সড় ভাঙন মানিকচকে। মালদা জেলা পরিষদের তৃণমূল (TMC) সদস্য, তৃণমূল পরিচালিত মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ, তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান, বর্তমান পঞ্চায়েত সদস্য সহ প্রায় ৪০০ জন তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগদান করেন। সোমবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ কংগ্রেসের দলীয় কার্যালয়ে  মালদা জেলা কংগ্রেসের নেতা মোত্তাকিন আলমের নেতৃত্বে এই যোগদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। যোগদান করেন মালদা জেলা পরিষদের সদস্যা সাবিনা ইয়াসমিন, মানিকচক পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল কর্মাধ্যক্ষ আশারুজ্জামানের‌ মতো নেতারা।

     কী বললেন দলত্যাগী নেতা?

    দলত্যাগী নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আমাকে দল তাড়িয়ে দেয়নি বা লিখিতভাবে সাসপেন্ডও করেনি। তবে আমি ষড়যন্ত্রের শিকার। নাম না উল্লেখ করলেও তিনি যে বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রের রোষের মুখে পড়েছেন তা তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    মানিকচক ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতি মহাফিজুর রহমান বলেন, যারা আজ তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন, তাঁরা আসলে লোভী। তাঁরা বুঝতে পেরেছেন, তৃণমূলে টিকিট পাওয়া যাবে না। তাই টিকিট পাওয়ার লোভে তাঁরা কংগ্রেসের যোগ দিয়েছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: নন্দীগ্রামে শাসক দলের বিবাদ চরমে! ক্ষোভ উগরে দিলেন সেখ সুফিয়ান

    Panchayat Election: নন্দীগ্রামে শাসক দলের বিবাদ চরমে! ক্ষোভ উগরে দিলেন সেখ সুফিয়ান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) ঘোষণা হতেই শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। জেলায় জেলায় তৃণমূল ছাড়তে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের। সোমবার গোষ্ঠীকোন্দলের ছবি ধরা পড়ল নন্দীগ্রামে। ২০০৭ থেকেই এই নন্দীগ্রাম শাসক দলের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নন্দীগ্রাম আন্দোলনই তৃণমূলকে ক্ষমতা দেয় ২০১১ সালে। নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের আহ্বায়ক সেখ সুফিয়ান পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলেরই বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন।

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    কেন অসন্তুষ্ট  সেখ সুফিয়ান?

    পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) পরিচালনার জন্য দলের নির্বাচন কমিটিতে নাম না থাকায় ক্ষোভ উগরে দিলেন ২০২১ বিধানসভা ভোটের মমতার ইলেকশান এজেন্ট সেখ সুফিয়ান। পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election) আগে নন্দীগ্রামে এই  গোষ্ঠী কোন্দল অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল। জানা গিয়েছে, নন্দীগ্রাম এক নম্বর ব্লকে যে নির্বাচন কমিটি গঠন করা হয়েছে সে কমিটি থেকে বাদ পড়েছেন সেখ সুফিয়ান সহ তার অনুগামী অনেক নেতা। তারপরেই ক্ষোভ উগড়ে দেন সেখ সুফিয়ান। তার অভিযোগ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির হয়ে কাজ করে যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে হারিয়েছে তারাই আজকে নির্বাচন কমিটির পদে রয়েছে। গতকালই নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতৃত্বের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়ে দলেরই একাংশ একটি নির্দল মঞ্চ গঠন করেছিল। তারপরে সোমবার এই ঘটনায় তৃণমূল অস্বস্তিতে পড়েছে।

    কী বললেন সেখ সুফিয়ান?

    দলের বর্তমান নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগের দিয়ে সুফিয়না বলেন, ‘‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনের মধ্য দিয়েই তৃণমূলের উত্থান। শাসক দলের প্রদীপ যখন নিভে গেছিল তখন আমি নন্দীগ্রামের হাল ধরেছিলাম। গত বিধানসভা নির্বাচনে যারা তলায় তলায় বিজেপি করতো, এখন তাদেরকেই নন্দীগ্রামের দায়িত্বে আনা হয়েছে’’। এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। গেরুয়া শিবির বলছে, ‘‘সংগঠন যারা করতে জানে, সেই সমস্ত নেতাদের গুরুত্ব নেই তৃণমূলে।’’

     

    আরও পড়ুন: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী! প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে নির্দল দাঁড়ানোর হঁশিয়ারি তৃণমূলের একাংশের

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করছেন ব্লক সভাপতি”, অবস্থানে বসে কী দাবি জানালেন তৃণমূল নেতারা?

    TMC: “টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করছেন ব্লক সভাপতি”, অবস্থানে বসে কী দাবি জানালেন তৃণমূল নেতারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ  উঠল বাঁকুড়ার মেজিয়ার ব্লক তৃণমূলের (TMC) সভাপতির বিরুদ্ধে। তবে, এটা কোনও বিরোধীদের অভিযোগ নয়। এই ধরনের চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছে তৃণমূলের কর্মীরা। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে শাসক দল।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    রাজ্যে বেজে গিয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা। ইতিমধ্যেই মনোনয়নপত্র জমা করার কাজ শুরু হয়েছে। বিরোধী দল মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়ার কাজে এগিয়ে থাকলেও শাসক দল এখনও মনোনয়নপত্র জমা করেনি বাঁকুড়ার মেজিয়ায়। এবার এই ব্লকে টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের (TMC) মেজিয়া ব্লকের সভাপতি জন্মেজয় বাউরির বিরুদ্ধে। এমনকী বাঁকুড়ার জেলা তৃণমূলের সভাপতিও এই কাজের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এই অভিযোগ তুলে পথে নামল তৃণমূলের একটা অংশ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো ব্যানার তৈরি করে তাঁরা অবস্থানে বিক্ষোভে বসেন। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, যোগ্য তৃণমূল কর্মীদের প্রার্থী করা হচ্ছে না। যারা অযোগ্য তাঁদের টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে। তাই, মেজিয়ার ব্লক সভাপতি এবং বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতির অপসারণের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) মেজিয়া ব্লকের সভাপতি জন্মেজয় বাউরি বলেন, এখনও প্রার্থী চূড়ান্ত হয়নি। রাজ্য নেতৃত্ব এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে। আর প্রার্থী ঠিক করার বিষয়ে আমার কোনও হাত নেই। ফলে, আমার বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন। কেউ অভিযোগ করতেই পারে। কিন্তু, প্রমাণ দিতে হবে। কেউ প্রমাণ দিতে পারলে আমি পদ ছেড়ে দেব। আসলে কিছু মানুষ দলকে ব্যবহার করে রোজগার করত। তারাই এই ধরনের দল বিরোধী কাজ করছেন।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    অন্যদিকে, এনিয়ে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস কে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপি। বিজেপির মেজিয়ার মণ্ডল সভাপতি বিপদতারণ বাউরি বলেন, তৃণমূল দলটা নিজের কর্মীদের বিশ্বাস করে না, তারা কী করে সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করবে। আর যারা পঞ্চায়েতে ত্রিপল বিক্রি করতে পারে, তাদের প্রার্থী ঠিক করার জন্য টাকা নেবে এটা স্বাভাবিক ঘটনা। মানুষ এর যোগ্য জবাব দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী! প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে নির্দল দাঁড়ানোর হঁশিয়ারি তৃণমূলের একাংশের

    TMC: টাকার বিনিময়ে প্রার্থী! প্রতিবাদে জলপাইগুড়িতে নির্দল দাঁড়ানোর হঁশিয়ারি তৃণমূলের একাংশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হতেই শাসকদলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল তুঙ্গে উঠেছে। জেলায় জেলায় তৃণমূল ছাড়তে দেখা গিয়েছে তৃণমূলের পুরনো কর্মীদের। রবিবার একই ঘটনা সামনে এল জলপাইগুড়ি জেলায়। অভিষেক ব্যানার্জীর গাইডলাইন না মেনে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হলে, তারা নির্দল হয়ে মনোনয়ন পেশ করবেন, এমনই হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গেল জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের বিক্ষুব্ধ  তৃণমূল কর্মীদের। আর এতেই প্রার্থী নিয়ে রাজগঞ্জে  প্রকাশ্যে এল তৃনমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।

    টাকার বিনিময়ে প্রার্থীর অভিযোগ

    গত ২২ মে যৌথভাবে সাংবাদিক সম্মেলন ডেকেছিলেন তৃণমূলের (TMC) এসসি, এসটি এবং ওবিসি সেলের সদস্যরা। উপস্থিত রাজগঞ্জে তৃণমূল নেতা জাফিরুল হক। সেইদিন তাঁদের অভিযোগ ছিল, জলপাইগুড়ি জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচি চলাকালীন যে ভোটের আয়োজন করা হয়েছিল, তাতে যারা জিতেছিল তাদেরকে মান্যতা না দিয়ে আলাদা বৈঠক করে টাকার বিনিময়ে প্রার্থী করা হচ্ছে। এরপর প্রায় দু সপ্তাহের বেশি সময় অতিক্রম হয়েছে। জেলা এবং রাজ্য নেতৃত্বের কাছ থেকে কোনও রকম সদুত্তর না পেয়ে এবার নিজেরাই আলাদা করে ভোটে লড়ার চুড়ান্ত প্রস্তুতি নিতে দেখা গেল বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের। 

    সোমবার আলাদাভাবে মনোনয়ন পেশ করার কথা বিক্ষুব্ধ তৃণমূল  নেতাদের

    রবিবার বিকেলে কুকুরযান অঞ্চলে এক গোপন ডেরায় বৈঠকের পর তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ নেতা কর্মীদের সাফ বক্তব্য সোমবার তারা নিজেদের মতো করে মনোনয়ন পেশ করবেন। এই ঘটনায়  আদি ও নব্য তৃণমূল কর্মীদের বিবাদ প্রকাশ্যে চলে এল। দলের পুরনো কর্মী বসিরুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘অভিষেক ব্যানার্জীর নির্দেশ আমরা অক্ষরে অক্ষরে মেনে আমাদের এখানে প্রার্থীকে জিতিয়েছি। এবার তাদের নাম যদি প্রার্থী তালিকায় না থাকে তবে আমরা নির্দল হয়ে মনোনয়ন জমা দেব।’’ বর্ষীয়ান তৃণমূল (TMC) কর্মী রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমাদের এখানে জ্যোৎস্না বেগম ৬-২ ভোটে জিতেছে। আমাদের আশঙ্কা তাকে প্রার্থী না করে টাকার বিনিময়ে অন্য কাউকে প্রার্থী করা হচ্ছে, যা আমরা কোন ভাবেই মেনে নেব না। আমরা আগামীকাল মনোনয়ন দাখিল করবো।’’ ঘটনায় তৃনমূলের রাজগঞ্জের ব্লক সভাপতি অরিন্দম ব্যানার্জী জানিয়েছেন আমরা মমতা ব্যানার্জী আর অভিষেক ব্যানার্জীর ছবি নিয়ে রাজনীতি করি। তাই আমাদের মধ্যে কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ নেই। দল যেভাবে বলবে সেই ভাবেই প্রার্থী দেওয়া হবে। 

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বাইক থেকে নামিয়ে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মেরে হাত ভেঙে দিল তৃণমূল

    BJP: বাইক থেকে নামিয়ে বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মেরে হাত ভেঙে দিল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে। রবিবার বিকেলে এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামে। পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন  জমা দেওয়া শুরু হতেই আউশগ্রামের জঙ্গল মহলে রাজনৈতিক আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে। আউশগ্রামের বিজেপি (BJP) নেতা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মেরে তাঁর হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই হামলা চালানো হয়েছে অভিযোগ বিজেপির। ঘটনায় নাম জড়ায় আউশগ্রাম অঞ্চল তৃণমূল সভাপতি ইমদাদুল শেখের।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি (BJP) নেতা?

    আউশগ্রামের বাসিন্দা চন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির আউশগ্রাম বিধানসভার আহ্বায়কের পদে রয়েছেন। তিনি বলেন, রবিবার বিকেলে বংশধর গোপ নামে এক দলীয় কর্মীর সঙ্গে মোটর বাইকে করে আমি আউশগ্রাম বাসস্ট্যাণ্ডের দিকে যাচ্ছিলাম। তখন আমাদের রাস্তায় আটকে বাইক থেকে ফেলে ইমদাদুল শেখের নেতৃত্বে ৭-৮ জন লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর চড়াও হয়ে ব্যাপক মারধর করে। পঞ্চায়েত ভোটে আউশগ্রামে বিজেপির (BJP) প্রার্থীদের মনোনয়নে আমি তদারকি করছিলাম। সেকারণেই পরিকল্পিতভাবে আমার ওপর হামলা করা হয়েছে। পঞ্চায়েতের আগে তৃণমূল সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। জানা গিয়েছে, স্থানীয় কয়েকজন গ্রামবাসী গিয়ে ওই বিজেপিকে নেতাকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে আউশগ্রাম থানা। থানায় খবর গেলে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এরপর চন্দ্রনাথবাবু থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁকে চিকিৎসার জন্য  বননবগ্রাম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। যদিও এই ঘটনার পর পর পুলিশ ভুলু বাগদি এবং নজরুল খান নামে দুজনকে গ্রেফতার করেছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, এই মারধরের ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের কোন যোগ নাই। পুলিশ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। সুতরাং প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিয়েছে। তৃণমূল কেন আক্রমণ করতে যাবে? বরং, পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে রাজনৈতিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেস লড়াই করবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্য ও অপদার্থতার নিদর্শন তুলে ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: রাজ্যে পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্য ও অপদার্থতার নিদর্শন তুলে ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে ফের সরব পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। “পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ প্রশাসনের বৈষম্য ও অপদার্থতার নিদর্শন” – সোশ্যাল মিডিয়ায় এই শীর্ষক একটি দীর্ঘ পোস্ট করেন তিনি। রবিবার ভিডিও ফুটেজ সহ ‘নজিরবিহীন’ ঘটনার কথা সামনে আনেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। 

    শুভেন্দুর ট্যুইটে বর্ণিত প্রথম ঘটনা

    দীর্ঘ পোস্টে দুটি ঘটনার ছবি তুলে ধরেছেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি লিখেছেন, “চিত্র ১: রাজেশ মাহাতো, শিবাজী মাহাতো-সহ কুড়মি আন্দোলনের ৯ নেতা-কর্মীকে বিনা অপরাধে, তথ্য প্রমাণ না থাকা সত্ত্বেও, শুধুমাত্র ভাইপোকে (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে) তুষ্ট করার উদ্দেশ্যে এবং হেফাজতে নিয়ে ওনাদের ওপর অকথ্য মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার করার লক্ষ্যে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। ঝাড়গ্রাম বিশেষ দায়রা আদালত সিআইডি হেফাজতে নেওয়ার আবেদন খারিজ করে দেন।”

    শুভেন্দুর ট্যুইটে বর্ণিত দ্বিতীয় ঘটনা

    এরপর দ্বিতীয় ঘটনার কথা উল্লেখ করেন তিনি। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) লেখেন, “চিত্র ২: মুর্শিদাবাদের ডোমকলে পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্বের দ্বিতীয় দিনে সমাজবিরোধীদের একত্রিত করে, গুন্ডামি করে তৃণমূল ৷ সেই উত্তেজক পরিস্থিতির মধ্যেই তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বশির মোল্লার কোমর থেকে প্রকাশ্যেই পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ ৷ তৃণমূল নেতার কোমর থেকে আগ্নেয়াস্ত্র বের করে নেওয়ার ভিডিও সংবাদমাধ্যমে দেখা যায়৷” এই ঘটনার কথা উল্লেখ করে শুভেন্দু জানান, “কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার, বশির মোল্লাকে বলছেন; “পালিয়ে যাননি কেন, আমার সামনে ধরা পড়েছেন যখন আর কিছু করার নেই।”

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, “আমার ধারণা এই দৃশ্য সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরায় ধরা না পড়লে, বশির মোল্লাকে পুলিশ এমনিই ছেড়ে দিত আগ্নেয়াস্ত্র সহ। আদালতে সরকারি আইনজীবী বশির মোল্লার পুলিশি হেফাজতের আবেদনই জানাননি। অর্থাৎ অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করতে বাধ্য হলেও, বশির মোল্লাকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করার প্রয়োজনই বোধ করল না পুলিশ। এই বেআইনি অস্ত্র বশির মোল্লা জোগাড় করলো কোথা থেকে?” শুভেন্দুর কথায়, “তা জানার আগ্রহ নেই পুলিশের এবং তার অস্ত্রভাণ্ডারে এই রকম আর কত অস্ত্র মজুত রয়েছে তার খোঁজও চালাতে নারাজ পুলিশ! আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশি হেফাজতকে, তদন্তের স্বার্থে ব্যবহার না করে হিটলারের নাৎসি জমানার গ্যাস চেম্বারে পরিণত করেছেন, সরকার বিরোধী যে কোনও গণতান্ত্রিক আওয়াজের কণ্ঠরোধ করার জন্য। তা সে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদেরই হোক অথবা কোনও সামাজিক সংগঠনের নেতা কর্মীদেরই হোক।” 

    শুভেন্দুর আশা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আশা, “মহামান্য উচ্চ আদালত, নিম্ন আদালতে নিত্যদিন ঘটে চলা পুলিশ ও সরকারি আইনজীবদের এই দ্বৈত ভূমিকা নিজেদের পর্যবেক্ষণে আনবেন৷”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dilip Ghosh: ‘মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন’, দাবি দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন’, দাবি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন যত ফুরিয়ে আসবে, ততই বাড়বে তৃণমূলের (TMC) মধ্যে দ্বন্দ্ব, মারামারি।” রবিবার নিউ টাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে এ কথা বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বৃহস্পতিবার রাজ্যে ঘোষণা হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন। ভোট হবে ৮ জুলাই। মনোনয়নপত্র পেশ-পর্ব শুরু হয়েছে শুক্রবার থেকে। চলবে ১৫ জুন পর্যন্ত।

    ‘তৃণমূল নিজেরা মারামারি করছে’

    দিলীপ বলেন, “তৃণমূল তো এখন নিজেরা মারামারি করছে। কাল (সোমবার) থেকে যখন ব্যাপকভাবে মনোনয়নপত্র জমা শুরু হয়ে যাবে, তখন আরও গন্ডগোল হবে। তৃণমূলের কে টিকিট নেবে, তা-ই নিয়ে মারামারি, কে মনোনয়নপত্র জমা দেবে, তা-ই নিয়ে মারামারি। একাধিক মনোনয়ন হবে, নির্দল প্রার্থী দেবে, মারামারি চলতে থাকবে। তার সঙ্গে বিরোধীদেরও মারবে ওরা। বীরভূম, উত্তর দিনাজপুর, মালদহ, মুর্শিদাবাদ এই সব জেলা উপদ্রুত অঞ্চল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থেকে বিস্তীর্ণ এলাকা উপদ্রুত। এই সব অঞ্চলে কখনওই আইনশৃঙ্খলা ঠিক থাকে না। আর রাজনীতিটা সমাজবিরোধীরাই করে। সেটাই হচ্ছে এখন।”

    ব্যাপক গন্ডগোলের আশঙ্কা

    মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার দিন যত শেষ হয়ে আসবে, অশান্তি ততই বাড়বে বলে মনে করেন দিলীপ। তিনি (Dilip Ghosh) বলেন, “সোমবার থেকে ব্যাপক মনোনয়নপত্র জমা হবে। ব্যাপক গন্ডগোলও হবে। পুলিশের ক্ষমতা নেই তা আটকানোর। চটি পরা, লাঠি হাতে সিভিকরাও আটকাতে পারবে না। মমতা চাইছেন গন্ডগোল হোক, সেই ফাঁকে তাঁরা জিতে যাবেন।”

    আরও পড়ুুন: অনুব্রতর গড়ে ভাঙন ধরাল বিজেপি! দলত্যাগ তৃণমূল প্রধান সহ কয়েকশো কর্মীর

    ভাঙড়ে আইএসএফকে মনোনয়ন ফর্ম দেওয়া হয়েছে বলে এক সরকারি আধিকারিককে মারধর করা হয়েছে। অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, “এমনিতে রোজই মারামারি হয়, প্রতিদিনই বম্ব পড়ে ওখানে। এবারও তাই হয়েছে। জেলায় যে কটা তৃণমূলের নেতা হয়েছে, তারা তো অ্যান্টি-সোশ্যাল। তাদের নাম দেখুন। ১০ বছর, ১২ বছর, ১৫ বছর ধরে শুনছি কেউ বামেদের ছিল। তখন থেকে অ্যান্টি-সোশ্যাল। তো সেখানে আর কিছু আশা করা যায় না।”

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হতেই রক্তাক্ত হয়েছে বাংলা। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে খুন হয়েছেন এক কংগ্রেস কর্মী। কাঠগড়ায় তৃণমূল। রাজ্যের আরও কয়েকটি জেলা থেকেও অশান্তির খবর এসেছে। সব কটি ক্ষেত্রেই অভিযোগের আঙুল তৃণমূলের দিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: মনোনয়ন জমা দিতে এসে নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থী, অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    South 24 Parganas: মনোনয়ন জমা দিতে এসে নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থী, অপহরণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুপুর দেড়টা নাগাদ কাকদ্বীপ (South 24 Parganas) বিডিও অফিসের ভিতর থেকে সিপিএম প্রার্থীরা বাইরে বের হতে গেলে, বিডিও অফিসের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা পুলিশের উপস্থিতিতেই সিপিএম প্রার্থীদের উপর হামলা চালায়। এমনকি রাস্তায় ফেলে দিয়ে মারধর করে জামা ছিঁড়ে দেয় বলে অভিযোগ করে সিপিএম। অশান্তি এখানেই থেমে থাকেনি, বিডিও অফিস থেকে ফেরার সময় এক সিপিএম প্রার্থী নিখোঁজ হয়েছেন বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগও করা হয়েছে বলে জানা গেছে এইদিন। 

    দক্ষিণ চব্বিশ (South 24 Parganas) পরগণায় কী হয়েছে?

    কাকদ্বীপে (South 24 Parganas) আজকে দুপুর বারোটার সময়, স্বামী বিবেকানন্দ গ্রাম পঞ্চায়েত বসন্তপুর এলাকার ১২৩ নম্বর বুথের সিপিএম প্রার্থী শান্তনু দাস বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে ঢোকেন। এরপরই তৃণমূলের কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে বিডিও অফিস থেকে তুলে নিয়ে যায় বলে জানা যায়। প্রথমে বিডিও অফিসের কাছে রঞ্জিত হাতির বাড়িতে নিয়ে যায় এবং তারপরে সেখান থেকে অন্যত্র নিয়ে চলে যায় বলে সিপিএমের অভিযোগ। এখনও পর্যন্ত ওই সিপিএম প্রার্থীর ফোন সুইচ অফ আছে, কোনও যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। সিপিএমের পক্ষ থেকে বিডিও এবং কাকদ্বীপ আইসিকে অভিযোগ জানানো হয়। এরপর থেকে প্রশাসনের আধিকারিকরা ওই সিপিএম প্রার্থীর খোঁজ চালাচ্ছে, কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সন্ধান মেলেনি বলে জানা গেছে।

    কী বললেন সিপিএম নেতা?

    কাকদ্বীপের (South 24 Parganas) সিপিএম নেতা রাম দাস বলেন, প্রথম থেকেই বিরোধীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয়। আমাদের অনেকেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু বিডিও অফিস থেকে সকলে ফিরে এলেও শান্তনু দাসকে আর সঙ্গে নিয়ে ফিরতে পারেননি। শান্তনুকে বিডিও অফিস থেকে তুলে নিয়ে গেছে বলে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, আমরা আমাদের প্রার্থীর নিখোঁজের বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার (South 24 Parganas) তৃণমূলের সুন্দরবন সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি বাপি হালদার বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে ঘিরে সিপিএম একটা সাজানো ঘটনা রচনা করছে। তিনি আরও বলেন, সিপিএম চাইছে ঝামেলা পাকিয়ে, হাইকোর্টে গিয়ে কেস করে, ভোট প্রক্রিয়াকে বন্ধ করে দিতে কিন্তু সিপিএমের এই আশা পূর্ণ হবে না।

    নিখোঁজ সিপিএম প্রার্থীকে পুলিশ কবে উদ্ধার করে বাড়িতে ফেরাবে, তাই এখন দেখার।  

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: বিডিও অফিসে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! মনোনয়ন দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    Panchayat Election: বিডিও অফিসে তৃণমূলীদের তাণ্ডব! মনোনয়ন দিতে পারলেন না বিজেপি প্রার্থীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) বিজেপিকে মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-১ নম্বর ব্লকে। ব্লক অফিসে এসেও বিজেপি প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিডিও অফিসের ভিতরেই হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বেশ কয়েকজন কর্মী জখম হন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন ছিল। বিজেপির পক্ষ থেকে ২০ জন গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিতে বিডিও অফিসে যান। অফিস কর্মীরা প্রস্তুত নয় বলে তাঁদের কয়েক ঘণ্টা বসিয়ে রাখা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে এসে বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকে বিজেপি প্রার্থীদের বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মানিক রায়কে রাস্তায় ফেলে পেটানো হয়। হামলার জেরে বিজেপি প্রার্থীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। পরে, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। পরে, বিজেপি প্রার্থীরা ফের মনোনয়ন জমা দিতে গেলে সময় পেরিয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলার সাধারণ সম্পাদক মানিক রায় বলেন, বিডিও অফিসের ভিতরে ঢুকে তৃণমূল তাণ্ডব চালিয়েছে। আমাদের বেশ কয়েকজন কর্মী সমর্থক জখম হয়েছে। ব্লক প্রশাসনের অসহযোগিতা আর তৃণমূলের বাধায় আমরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারিনি। বিজেপিকে যে ওরা ভয় পেয়ে গিয়েছে, এই ঘটনা তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Election) হলে মানুষ আমাদের পক্ষে রায় দেবে।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    সিপিএম নেতা অপূর্ব চট্টোপাধ্যায় বলেন, নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসনের উচিত এই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া। যাতে সব দলই তাদের প্রার্থী পদ দাখিল করতে পারে। তবে, আমরা প্রস্তুত আছি। বাধা দিলে আমরাও প্রতিরোধ গড়ে তুলব।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    এই বিষয়ে জেলাশাসক প্রিয়াংকা সিংলা বলেন, কোথাও কোনও অশান্তির খবর আসেনি। কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটে থাকলে আমাদের কাছে অভিযোগ জমা করুক। আমরা সবরকম ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করুক। শুধুমাত্র অভিযোগ করলে তো হবে না। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) আগে এসবই গল্প কথা ছাড়া আর কিছু নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘দিদিকে বলো’র ফোন নম্বর কেন ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’ কর্মসূচিতে? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নির্বাচনে জিততে চালু হয়েছিল ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি। দলনেত্রীর মুখ ব্যবহার করে সে যাত্রায় উতরে গিয়েছিল তৃণমূল (TMC)। সম্প্রতি তৃণমূলের গায়ে লেগেছে একাধিক কেলেঙ্কারির কালি। অথচ দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। এমতাবস্থায় ভরসা ফের সেই তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে এবার কর্মসূচির নাম ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। এ পর্যন্ত অবশ্য কোনও সমস্যা নেই। গোল বেঁধেছে একই ফোন নম্বর দুটি কর্মসূচিতে ব্যবহার করায়।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি, সেবারও যে ফোন নম্বর ব্যবহার করা হয়েছিল, এবারও সেই নম্বরই দেওয়া হয়েছে। ট্যুইট-বার্তায় তাঁর প্রশ্ন, একটি রাজনৈতিক দলের কাজে ব্যবহৃত ফোন নম্বর কীভাবে সরকারি কাজে ব্যবহার করা হয়?

    গুচ্ছ প্রশ্ন

    বৃহস্পতিবারই শুরু হয়েছে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি। সেখানে যে ফোন নম্বরটি দেওয়া হয়েছে, সেটি হল, 9137091370. ছুটির দিন ছাড়া ওই নম্বরে সকাল ৯টা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত অভাব-অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যবাসী। এই নম্বর নিয়েই আপত্তি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)। তাঁর প্রশ্ন, আইপ্যাক (ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা) কি নবান্নের দখল নিয়ে নিয়েছে, নাকি আইপ্যাক এখন রাজ্য সরকারের অধীনে চলে এসেছে?

    একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে ব্যবহার করা ফোন নম্বর সরকারি কাজে মানুষের অভাব-অভিযোগ শোনার জন্য ব্যবহারের সিদ্ধান্ত কে নিলেন? আর এই অভিযোগগুলি কে শুনবেন? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আরও প্রশ্ন, এই ফোন নম্বরটি কি পশ্চিমবঙ্গ সরকার অধিগ্রহণ করেছে? করা হলে তা কীভাবে হয়েছে? নম্বরটি কি স্থানান্তরিত হয়েছে, নাকি এটি এখনও পূর্ববর্তী মালিকের নামেই রয়েছে? এই কর্মসূচির জন্য সরকার কি নতুন কোনও পরিকাঠামো তৈরি করেছে, নাকি দিদিকে বলোর পরিকাঠামো দিয়েই এই কাজ করা হবে?

    আরও পড়ুুন: ‘মনোনয়নের সময়সীমা পর্যাপ্ত নয়, পুনর্বিবেচনা করা হোক’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ, তৃণমূল কংগ্রেসের ফোন নম্বর দিয়ে রাজ্য সরকারের তরফে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর প্রচার করা হচ্ছে। যার খরচ তৃণমূল নয়, বহন করছে রাজ্য সরকার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share