Tag: tmc

tmc

  • Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    Calcutta High Court: অভিষেক-কুন্তলকে কেন ৫০ লক্ষ টাকার জরিমানা করল হাইকোর্ট? এই হল আসল কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় জুড়ে গিয়েছে তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে অভিষেক এবং প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের মোট ৫০ লক্ষ টাকা জরিমানা করেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহা। দুজনকেই দিতে হবে ২৫ লক্ষ করে টাকা। অভিষেকদের ওই টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে।

    কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জরিমানা কেন?

    প্রশ্ন হল, কী কারণে জরিমানা গুণতে হবে অভিষেক এবং কুন্তলকে? কলকাতা হাইকোর্ট সূত্রে খবর, আদালতের মূল্যবান সময় নষ্ট করার জন্যই গুণাগার দিতে হবে অভিষেক ও কুন্তলকে। বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহার রায়ে বলা হয়েছে, আদালতের নির্দেশ পুনর্বিবেচনা বা প্রত্যাহারের যে আবেদন অভিষেক করেছিলেন, তার কোনও সারপত্তা খুঁজে পাওয়া যায়নি। সেই কারণেই জরিমানা। 

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিনহার বেঞ্চে। বিচারপতি সিনহাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    আরও পড়ুুন: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মামলার সারবত্তা না থাকলে জরিমানা করা হয় আদালতে। জরিমানা দিতে হয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। নন্দীগ্রাম বিধানসভার রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন মমতা। মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে। মুখ্যমন্ত্রী এজলাস বদলের আর্জি জানান। তাঁর সেই অনুরোধ রাখেন বিচারপতি চন্দ। তবে এজলাসে আস্থা না রাখার জন্য ৫ লক্ষ টাকা জরিমানাও করা হয়।

    সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছেন অভিষেক?

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের (Calcutta High Court) প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন অভিষেক। এদিন বিচারপতি সিনহা নির্দেশ দেন, কুন্তল ঘোষের চিঠি মামলায় তৃণমূল নেতা অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি এবং সিবিআই। তার প্রেক্ষিতেই দেশের শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন অভিষেক। বর্তমানে দলীয় কর্মসূচি উপলক্ষে আসানসোলে রয়েছেন অভিষেক। সেখান থেকেই কথা বলেন আইনজীবীদের সঙ্গে। ঠিক হয়, রায়ের প্রতিলিপি হাতে পাওয়ার পর তা খতিয়ে দেখা হবে। তার পরেই আবেদন জানানো হবে সুপ্রিম কোর্টে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    Calcutta High Court: হাইকোর্টে ধাক্কা অভিষেকের! জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে সিবিআই-ইডি, সঙ্গে বিপুল জরিমানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহু চেষ্টা করেও ইডি-সিবিআইয়ের নাগাল এড়াতে পারলেন না তৃণমূলের (TMC) সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)! কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিন্‌হার নির্দেশ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। বস্তত, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পূর্ববর্তী নির্দেশই বহাল রইল বিচারপতি সিন্‌হার এজলাসে। যার জেরে খারিজ হয়ে গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের আবেদন। একই সঙ্গে দুজনকে অবিলম্বে ২৫ লক্ষ টাকা করে জরিমানা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এবার আর অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদের কোনও বাধা রইল না ইডি-সিবিআইয়ের।

    বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ কী?

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। গ্রেফতার হওয়ার পরেই তাঁকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। পরে তিনি দাবি করেন, তদন্তকারীরা তাঁর মুখ দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছেন। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতের পাশাপাশি হেস্টিংস থানায়ও চিঠি দিয়েছিলেন কুন্তল। ওই চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি (Calcutta High Court) অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইডি কিংবা সিবিআই প্রয়োজনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারে। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক। সেখান থেকে আবার হাইকোর্টে ফেরে মামলাটি। পরে অন্য একটি ঘটনার জেরে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে এ সংক্রান্ত মামলা বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চ থেকে সরিয়ে পাঠানো হয় বিচারপতি সিন্‌হার বেঞ্চে। বিচারপতি সিন্‌হাও জানিয়ে দেন, ইডি-সিবিআই চাইলে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে অভিষেককে।

    অভিষেককে কেন রক্ষাকবচ দেয়নি আদালত?

    গত শুক্রবারও কুন্তলের চিঠি সংক্রান্ত মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court) রক্ষাকবচ দেয়নি অভিষেককে। অবশ্য ওই দিন শুনানিতে অভিষেকের আইনজীবী হাইকোর্টের পুরানো নির্দেশ পুনর্বিবেচনা করার আর্জি জানান। অভিষেককে অন্তর্বর্তী রক্ষাকবচ দেওয়ার আর্জিও জানানো হয়। এই সময়ের মধ্যে ইডি কিংবা সিবিআই যাতে চরম পদক্ষেপ নিতে না পারে, সেই আবেদনও করেছিলেন অভিষেকের আইনজীবী। এ প্রসঙ্গে বিচারপতি সিন্‌হা বলেন, আদালতের দরজা ৭ দিন ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে যখন খুশি আসবেন। কিন্তু কোনও রক্ষাকবচ নয়। বিচারপতি সিন্‌হার নির্দেশ, কুন্তল ও অভিষেককে মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে ইডি-সিবিআই। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে সোমবার।

    আরও পড়ুুন: ‘‘আরএসএস দ্বেষ নয়, দেশপ্রেম শেখায়’’, মত সুনীল আম্বেকরের

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘আপনার দলকে বোমা সাপ্লাই দিত ভানু’! এগরাকাণ্ডে মমতার পদত্যাগ দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণকাণ্ডের জন্য পুলিশমন্ত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবি করলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার তিনি এগরার খাদিকুল গ্রামে যান। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। তাঁদের পাশে থাকার তিনি আশ্বাস দেন। খাদিকুলে বিস্ফোরণস্থল ঘুরে দেখে বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘বগটুই থেকে এখনও পর্যন্ত যে সব ঘটনা ঘটেছে তারজন্য রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী দায়ী। তাই, পুলিশমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করছি। আর এই ঘটনার এনআইএ তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেছি। দু-তিনদিনের মধ্যেই এই দাবিতেই এগরায় ২৫ হাজার কর্মী নিয়ে মহা-মিছিল করা হবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীকে বলি, শুধু বাজি কারখানাই নয়, পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে আপনার পার্টিকে বোমা সাপ্লাই (সরবরাহ) করার জন্য এই কারখানা তৈরি হয়েছিল। আর আপনার পুলিশ প্রতি মাসে এখান থেকে ৫০ হাজার টাকা করে নিয়ে যেতেন।’’

    পুলিশকে মাসোহারা নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    এদিন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘বাজি কারখানার মালিক কৃষ্ণপদ বাগ তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য। তাঁর বউমাকে ২০১৮ সালে ভোটে দাঁড় করিয়েছিলেন। এই বাজি কারখানার মালিক প্রতিমাসে এগরা আইসি-কে ৫০ হাজার টাকা করে পাঠাতেন। বিশ্বজিৎ নামে এক এএসআই এই টাকা নিয়ে যেতেন। সব হিসেব হবে। তোলাবাজ পুলিশের ওপর আমাদের কোনও আস্থা নেই। পুলিশ দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করা হলে সমস্ত তথ্য তারা লোপাট করে দেবে। তাই, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে ন্যাশনাল ফরেনসিক টিম দিয়ে তদন্ত করতে হবে।’’

    ক্ষতিপূরণ নেওয়া নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছে, সেটা ন্যাশনাল ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের টাকা। প্রত্যেক নিহত ব্যক্তিদের ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।’’ এদিকে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: এগরায় বিস্ফোরণ হওয়া সেই বাজি কারখানার মালিক তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য

    এনআইএ-র দাবিতে শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) মামলা হাইকোর্টে

    এগরায় বোমা বিস্ফোরণ কাণ্ডের ঘটনায় আগাগোড়াই এনআইএ তদন্তের দাবিতে সরব বিজেপি নেতারা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি দিয়ে ইতিমধ্যেই সেই দাবির কথা জানিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এবার ওই একই দাবিতে হাইকোর্টে প্রধান বিচারপতি পি এস শিবজ্ঞানমের বেঞ্চে মামলা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ফলে সাম্প্রতিক ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার মতো এগরা কাণ্ডের জলও গড়ালো আদালতে। শুভেন্দুর আর্জি আদালতে গৃহীত হয়েছে। খুব সম্ভবত বৃহস্পতিবারই এই মামলার শুনানি হতে পারে বলে হাইকোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে। উল্লেখ্য, বেকায়দায় পড়ে ইতিমধ্যেই এনআইএ-র দাবিতে সহমত পোষণ করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    Dilip Ghosh: ‘কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই এনআইএ মেনে নিয়েছেন’, মমতাকে কটাক্ষ দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের এগরায় (Egra) তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে বেআইনি বাজি কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৯ জনের। বিস্ফোরণের অভিঘাতে মৃতদেহ ছিটকে গিয়ে পড়েছিল পুকুর ও রাস্তায়। এলাকাবাসীর দাবি, বাজি কারখানার আড়ালে তৈরি হত বোমা। তৃণমূলের ওই প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান যে বাজি কারখানাটি অবৈধভাবে চালাচ্ছিলেন, তা জানিয়ে দিয়েছেন খোদ জেলা পুলিশ সুপার। বিস্ফোরণকাণ্ডে এনআইএ (NIA) তদন্তের দাবি তুলেছে বিজেপি। অমিত শাহকে এ ব্যাপারে চিঠিও দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। এর পরেই তড়িঘড়ি মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দেন, এনআইএ তদন্ত করলে আপত্তি নেই।

    দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ-বাণ…

    এই প্রসঙ্গেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ-বাণ হেনেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তিনি বলেন, ‘‘ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে। মুখ্যমন্ত্রী জানেন, এটা নিয়ে কেউ না কেউ কোর্টে যাবে। কোর্ট সঙ্গে সঙ্গে এনআইএ তদন্তের নির্দেশ দেবেই। তাই কানমলা খাওয়ার আগে উনি নিজেই মেনে নিয়েছেন, এনআইএ হলে আপত্তি নেই। তিনি বলেন, যদি উনি সত্যিই চান, তাহলে নিজে থেকে এনআইএ তদন্ত চাইছেন না কেন? ওঁরই উচিত কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি লেখা।’’

    বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, সেখানে বিজেপির পঞ্চায়েত। আগে বিজেপির পঞ্চায়েত ছিল না। ওঁদের পঞ্চায়েত ছিল। মানুষ খেপে গিয়ে সেই পঞ্চায়েত ভেঙে দিয়েছে। এখন সেখানে নির্দল প্রধান। এই সমাজবিরোধী ও দেশ বিরোধী কাজে পুলিশ যুক্ত। না হলে কমপ্লেন করার পরেও পুলিশ কিছু করে না কেন? তার মানে পুলিশের ওপর পলিটিক্যাল প্রেসার রয়েছে। তাই আক্রমণের শিকার পুলিশ।’’

    আরও পড়ুুন: ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের নোটিশের জবাব দিল রাজ্য, কী বলল?

    মেদিনীপুরের সাংসদ (Dilip Ghosh) বলেন, ‘‘রাজ্যের একাধিক জায়গায় বিস্ফোরণ আগেও হয়েছে। আমি তার মধ্যে কয়েকটা জায়গায় গিয়েছি। কয়েক বছর আগে পিংলায়ও একই ঘটনা ঘটেছিল। তখন বাড়ির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। দেহগুলি ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এবারও তাই হয়েছে। ওখানে প্রায় ২২ জন কাজ করছিল। তারা নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে। কজনকে পাওয়া গিয়েছে বা যায়নি, নিশ্চিত নয়।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • TMC: পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ককে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা

    TMC: পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ককে বেধড়ক মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল যুবনেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েতের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টকে (নির্বাহী সহায়ক) মারধরের অভিযোগ উঠল প্রধানের ঘনিষ্ঠ তৃণমূল (TMC) নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা-২ নম্বর ব্লকের বান্দিপুর এক গ্রাম পঞ্চায়েতে। সুবিচারের আশায় মঙ্গলবার নির্বাহী সহায়করা একত্রিত হয়ে নিরাপত্তার দাবিতে বিডিও র দ্বারস্থ হয়েছেন। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ব্লক প্রশাসনের তরফ থেকে বেশ কয়েকজনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কয়েকদিন ধরেই কাজের টেন্ডার প্রক্রিয়াকে কেন্দ্র করে একটা ঝামেলা চলছিল। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় ১৩ মে টাকা জমা নেওয়ার শেষদিন ছিল। আর সেই দিন প্রধান গ্রাম পঞ্চায়েতে উপস্থিত ছিলেন না। তাই বিডিওর নির্দেশেই টাকা জমা নিতে গিয়েছিলেন এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট জিয়ারুল রহমান। এতেই প্রধানের রোষের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। এই নিয়ে ১৫ মে গ্রাম পঞ্চায়েত কার্যালয়ে প্রধান অনুগামীদের ক্ষোভের মুখে পড়েন জিয়ারুলসাহেব। এমনকী সেই ঘটনার কথা জানতে পেরে বিডিওর উদ্যোগে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে পুলিশ পর্যন্ত পাঠাতে হয়। সেই রাগেই জিয়ারুলসাহেব বাড়ি ফেরার সময় বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের কদমতলা গ্রামে তাঁকে একা পেয়ে প্রধান অনুগামী তথা ব্লক তৃণমূলের (TMC) যুবনেতা তাপস দোলই তাঁর ওপর চড়াও হয়। প্রকাশ্যেই তাঁকে ব্যাপক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। যদিও অভিযুক্ত ব্লক তৃণমূলের (TMC) যুবনেতা তাপস দোলই হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেন। অন্যদিকে, বিডিওর নির্দেশে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। তৃণমূলীদের এই হামলার প্রতিবাদে এবং নিরাপত্তার দাবিতে জিয়ারুলের পাশে দাঁড়ান ব্লকের সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়কেরা। মঙ্গলবার বিকেলে বিডিওর কাছে গিয়ে সকলেই স্মারকলিপি জমা দেন।

    কী বললেন আক্রান্ত পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক?

    নির্বাহী সহায়ক জিয়ারুল রহমান বলেন, সরকারি নিয়ম মেনেই আমি কাজ করেছি। সেটা হামলাকারীদের পছন্দ হয়নি। তাই কাজ শেষে অফিস থেকে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে মারধর করেছে ওরা। তৃণমূল (TMC) নেতা তাপস দোলুইয়ের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে। আমরা বিডিও-র কাছে সমস্ত বিষয়টি লিখিতভাবে জমা দিয়েছি।

    কী বললেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং পঞ্চায়েত প্রধান?

    চন্দ্রকোণা-২ পঞ্চাশ সমিতির সভাপতি হীরালাল ঘোষ বলেন, হামলা চালানোর ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। প্রধানই চরম দুর্নীতিগ্রস্ত। হামলার বিরুদ্ধে আইনানুক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। এই বিষয়ে বান্দিপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান নমিতা কোটাল বলেন, নির্বাহী সহায়ক বিডিও-র নির্দেশে টেন্ডার প্রক্রিয়া জমা নিয়ে ভুল করেছে। তবে, মারধরের ঘটনা নিয়ে তিনি কিছু বলতে চাননি।

    কী বললেন বিডিও?

    চন্দ্রকোণা- ২ নম্বর ব্লকের বিডিও অমিত ঘোষ বলেন, টেন্ডারের টাকা জমা দেওয়া নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। আমি জানতে পেরে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছিলাম। এদিন নির্বাহী সহায়করা ডেপুটেশন দিয়েছেন। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    Bolpur: অনুব্রত ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলারের ওয়ার্ডেই পুরসভার পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রত মণ্ডল (Bolpur) ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলারের ওয়ার্ডে পুকুর ভরাট করার অভিযোগ ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এই পুকুরের জমি বাংলার ভূমি অ্যাপ রেকর্ডে জলাশয় বলে চিহ্নিত রয়েছে। তা সত্ত্বেও বাস্তুতন্ত্র নষ্ট করে জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি-বালি ফেলে ভরাট করা হচ্ছে সেই জলাশয়। ২০২০ সাল থেকে এই মর্মে ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসকের কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও নিশ্চুপ প্রশাসন।

    অভিযুক্ত ব্যক্তি অনুব্রত ঘনিষ্ঠ

    গরুপাচার মামলায় জেল হেফাজতে রয়েছেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তাঁর ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের কাউন্সিলার ওমর শেখকে গরুপাচার মামলায় একাধিকবার ডেকে জেরা করেছে সিবিআই ও ইডি৷ অর্থাৎ, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে বোলপুর (Bolpur) পৌরসভার ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার। সেই ওয়ার্ডেই দীর্ঘদিনের একটি জলাশয় বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। জলাশয়টি ভরাট করে বহুতল নির্মাণ করা হবে৷ তাই দিনরাত জেসিবি মেশিন দিয়ে মাটি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে জলাশয়টি৷ মাটি ভরাটের ফলে বর্তমানে দেখে মনেই হবে না যে এটি একটা নিত্যব্যবহার্য জলাশয় ছিল।

    ভরাটের ফলে সমস্যা

    পুরসভার (Bolpur) জলাভূমি, পুকুর ইত্যাদি বন্ধ করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ৷ এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হয়, বাস্তুতন্ত্র নষ্ট হয়৷ বোলপুরের ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পুকুর এলাকায় এই পুকুরটিতে এক সময় স্থানীয় মানুষজন স্নান করা, জামাকাপড় কাচা, বাসন ধোয়ার কাজ নিত্যদিন করতেন৷ এছাড়াও এলাকার বৃষ্টির অতিরিক্ত জল জমা হত এই পুকুরেই। প্রতিমা নিরঞ্জনও হত এই পুকুরে। কিন্তু এইসব কাজ এখন বন্ধ। সেটি ব্যবহার করতে না পেরে এলাকার মানুষের অভিযোগ, পুকুর ভরাট করে আবাসন নির্মাণ করে টাকা কামানোর রাস্তা করেছেন শাসকদলের নেতারা। প্রশাসন জেনেও চুপ রয়েছে।

    সাধারণ মানুষের অভিযোগ

    এলাকার বাসিন্দা (Bolpur) সমীর ভট্টাচার্য বলেন, আমি এই পুকুর ভরাট নিয়ে অভিযোগ করেছিলাম। জমির দাগ নম্বর এবং রেকর্ড অনুযায়ী এটা জলাশয়৷ তিনি আরও বলেন, অভিযোগের পর জেলাশাসক আমাকে জানিয়েছিলেন, বিষয়টি দেখবেন৷ এমনকী জেলাশাসক স্বয়ং বলেন, প্রশাসনের কোনও আধিকারিক যদি এই বিষয়ে পদক্ষেপ না নেয়, আমি যেন জানাই৷ আবার দেখছি পুকুরটি ভরাট করে দেওয়া হচ্ছে৷ ২০২০ সাল থেকে স্থানীয় বাসিন্দা তথা সিপিআইএমের প্রবীণ নেতা সমীর ভট্টাচার্য এই বিষয়ে জেলা, ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, বোলপুর মহকুমা শাসক, জেলাশাসকের কাছে একাধিকবার লিখিত অভিযোগ করেছিলেন। কিন্তু অভিযোগের জেরে মাঝে কিছুদিন সেই কাজ বন্ধ থাকলেও ফের বহুতল নির্মাণের জন্য জেসিবি মেশিন দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে পুকুরটি। যা নিয়ে নিশ্চুপ প্রশাসন৷

    প্রশাসন এবং ঠিকাদারের প্রতিক্রিয়া

    বোলপুর (Bolpur) ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক সঞ্জয় রায় বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি কী হয়েছে৷ আর এই মুহূর্তে এর থেকে বেশি কিছু আর বলতে পারব না। আবার কাজের সঙ্গে যুক্ত ঠিকাদার অরূপকুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি পুকুর ভরাটের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেন৷ এখন এই সমস্যার সমাধান প্রশাসন কবে করবে, সেটাই দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: রোড শোয়ে তৃণমূল কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় নবজোয়ার যাত্রায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) একাধিক সভায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী যুবরাজের সামনেও ব্যালট লুঠ হওয়ার ঘটনার সাক্ষী রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। মালদহে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন অভিষেক। সেই জের কাটতে না কাটতেই দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। সোমবার পূর্ব বর্ধমান জেলার ভাতারে অভিষেকের রোড শো ছিল। রাস্তার দুধারে কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হয়েছিলেন। রোড শো চলাকালীন অভিষেককে দেখে তৃণমূল কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। অভিষেকের (Abhishek Banerjee) রোড শোয়ের সামনে দলীয় কর্মীদের বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee)  রোড শো ঘিরে বিক্ষোভ?

    গত দুদিন ধরে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রয়েছেন অভিষেক। জামালপুর, মন্তেশ্বর, রায়নাসহ একাধিক ব্লকে নবজোয়ার কর্মসূচি করা হয়। যদিও এই সব এলাকায় ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে দলেরই একাংশ। এদিন বিকেলে ভাতার বিধানসভায় অভিষেকের রোড শো ছিল। সেখানে বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী ও তাঁর অনুগামীরা প্রাধান্য পেয়েছেন। প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক বনমালী হাজরা ও তাঁর অনুগামীদের বিষয়টি জানানো হয়নি। ফলে, এদিন রোড শো শুরু হতেই কর্মী-সমর্থকরা জমায়েত হন। ভাতার থানার মোড়ের কাছে অভিষেকের রোড শো আসতেই বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীরা তাঁকে দেখে চিত্কার করে বলেন, পুরানো কর্মীদের সন্মান দিতে হবে। এলাকার বিধায়ক তোলাবাজি করছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। দলীয় কর্মীদের মুখে এসব শুনে বেশ বিড়ম্বনায় পড়েন অভিষেক। যদিও তিনি বিষয়টি না শোনার ভান করেই হাত নেড়ে তিনি সেখান থেকে চলে যান। তবে, কর্মীদের চিত্কারে তৃণমূল বিধায়ক অনুগামীরা বেশ চাপে পড়ে যান।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, আমরা জন্মলগ্ন থেকে তৃণমূল করছি। যারা আগে সিপিএম, বিজেপি করত, তারা এখন দলের নেতা। এলাকায় তোলাবাজি করছে। শান্তনু কোনার আগে অন্য দল করত। দল করতে গিয়ে ওর বিরুদ্ধে আমরা লড়াই করেছি। এখন ও আমাদের নেতা। আমরা তা মেনে নিতে পারব না। অন্য দল থেকে আসা লোকজনকে নিয়ে বিধায়ক এখন মাতামাতি করছেন। আমাদের মতো পুরানো কর্মীদের কোনও গুরুত্ব নেই।

    কী বললেন তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক?

    তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক বনমালী হাজরা বলেন, আমাকে দলের এই কর্মসূচির বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। দলের নেতা অভিষেক (Abhishek Banerjee) আমার এলাকায় এসেছে বলে আমরা এসেছি। আর যারা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন তাঁরা সকলেই পুরানো কর্মী। নিজেদের ক্ষোভের কথা দলের নেতার সামনে তাঁরা তুলে ধরেছেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    NIA: দাড়িভিটে এনআইএ তদন্তে প্রকৃত সত্য উদঘাটন হবে, ফের বেসুরো আব্দুল করিম চৌধুরী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বিধায়ক আব্দুল করিম চৌধুরী। মান, অভিমান ভুলে একসঙ্গে কাজ করার কথা বলেও ছিলেন করিমসাহেব। কিন্তু, মনের মধ্যে দলের একাংশের প্রতি তাঁর রাগ যে কোনও অংশে কমেনি তা আবারও প্রমাণিত হল তাঁর ফের বেসুরো মন্তব্যে। এনআইএ (NIA) তদন্তের তিনি প্রশংসা করেছেন। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল বিধায়ক?

    উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরে নবজোয়ার কর্মসূচি পালিত হলেও করিমসাহেবকে সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। এমনকী অভিষেকের বাড়িতে তাঁর আসার কথা থাকলেও তিনি যাননি। দলীয় কর্মী-সমর্থকদের সামনে বারে বারে এভাবে অপমান আর তিনি মেনে নিতে না পেরে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন। দলের বিরুদ্ধে তাঁর অবস্থান তিনি স্পষ্ট করেছিলেন। এমনকী অভিষেকের ডাকা বৈঠকে তিনি যোগ দেননি। পরে, অভিষেকের নির্দেশে দলের জেলা সভাপতির সঙ্গে বৈঠকের পর দুদিন চুপচাপ থেকে ফের বেসুরো করিমসাহেব। তিনি দলীয় কর্মসূচিতে গিয়ে বলেন, নেতাদের উপস্থিত বুদ্ধির অভাবে দাড়িভিট হাইস্কুলের প্রাক্তন দুই ছাত্রের অকাল মৃত্যু হয়েছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত হলে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন হবে। প্রবীণ তৃণমূল বিধায়কের মুখে এই ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইসলামপুর বিধানসভা কেন্দ্রে ১১ বারের বিধায়ক তিনি। ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেস প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে পরাজিত হয়েছিলেন। ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পর কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছিল দল। লোকসভা প্রার্থী হওয়ায় কানাইয়ালাল আগরওয়াল বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন। এই সামান্য কয়েকটা বছর তিনি ইসলামপুরের বিধায়ক ছিলেন না। সেই সময়েই দাড়িভিট হাইস্কুলে আন্দোলনরত দুই ছাত্রের গুলিবিদ্ধ হয়ে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, আমি বিধায়ক থাকলে হয়তো এমন ঘটনা ঘটত না। সরকার সি আই ডি তদন্ত দিল, মৃতের পরিবার সেই তদন্তে রাজি হননি। হাইকোর্ট এন আই এ (NIA) র হাতে তদন্তভার তুলে দিয়েছে। তারাই প্রকৃত ঘটনা সামনে আনবে বলে তিনি দাবি করেন।

    কী বললেন মন্ত্রী?

    রাজ্যের মন্ত্রী তথা গোয়ালপোখরের বিধায়ক গোলাম রব্বানি বলেন, আমি তৎকালীন ইসলামপুরের বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে নিয়ে গিয়ে এলাকার স্বজনহারা পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। তাদের ক্ষতিপূরনসহ চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই প্রস্তাব তারা মেনে নেয়নি। তবে হারা এম এল এ ওই এলাকায় যাননি বলে নাম না করে করিম চৌধুরীকে তিনি খোঁচা দেন। সি আই ডি এই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছে। এন আই এ (NIA) তদন্ত নিয়ে আমাদের কিছু বলার নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: নবজোয়ারে নতুন নাটক! অভিষেকের কাছে সঙ্ঘের পোশাকে হাজির তৃণমূল কর্মী

    RSS: নবজোয়ারে নতুন নাটক! অভিষেকের কাছে সঙ্ঘের পোশাকে হাজির তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সমালোচকরা বলছেন, ‘‘যুবরাজের নবজোয়ারে ভেসে যাচ্ছে দলীয় শৃঙ্খলা!’’ কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি, মারামারি, ব্যালট ছিনতাই তো চলছেই। এবার নতুন নাটক ধরা পড়ল পূর্ব বর্ধমানের রায়নায়। তা নিয়ে আবার ঘটা করে ট্যুইটও করতে দেখা গেছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ট্যুইটার পেজে। নিজেদের দলের কর্মীকেই এদিন সঙ্ঘের (RSS) গণবেশে সাজিয়ে তৃণমূল হাজির করে অভিষেকের সামনে।

    ঘটনা…

    রবিবার ভরদুপুরে পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় হঠাৎই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ির কাছে চলে যায় এক যুবক। পরনে তার সঙ্ঘের (RSS) গণবেশ। ফুল হাতা সাদা জামা, মাথায় কালো টুপি। নিজেকে স্বয়ংসেবক পরিচয় দিয়ে সে বলতে থাকে, ‘‘আমাদের এলাকার পথে আলো জ্বলে না। বিডিও অফিসে জানিয়েছি কাজ হয়নি। বিজেপি নেতারাও বলেছেন, তারপরও সমাধান হয়নি সমস্যার। এ সমস্যা ৫-৬ বছর ধরে চলে আসছে।’’ তৃণমূলের পোস্ট করা ওই ভিডিওতে সমাধানের আশ্বাস দিতে দেখা যাচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

    বিশেষজ্ঞ মহল এনিয়ে অনেকগুলো প্রশ্ন তুলছে। সারাবছর সঙ্ঘের (RSS) নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম বা অনুষ্ঠান ছাড়া গণবেশ পরার রীতি যে নেই, তা প্রত্যেক স্বয়ংসেবক (RSS) মাত্রই জানেন। তাহলে ওই যুবক ইউনিফর্ম পরে কীভাবে গেল অভিষেকের কাছে? কোনও বিশিষ্টজনের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও সঙ্ঘের গণবেশ পরার নিয়ম নেই। রাজ্যে একাধিক কর্মসূচিতে হাজির হন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত, তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাওয়ার সময়ও স্বয়ংসেবকদের গণবেশ পরতে দেখা যায়না। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) গরিমাকে খাটো করতেই এই দুর্বল চিত্রনাট্য সাজিয়েছে তৃণমূল।

    যুবকের পরিচয়…

    সূত্র মারফত জানা গেছে, ওই যুবকের নাম উজ্জ্বল খাঁ। বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের জোতশ্রী গ্রামে। এলাকার সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলেই পরিচিত সে। সঙ্ঘের সঙ্গে কস্মিনকালেও তার যোগাযোগ ছিলনা বলেই জানা যাচ্ছে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, বড়োই দুর্বল চিত্রনাট্য সাজিয়েছে তৃণমূল। নাটকের মূল চরিত্র উজ্জ্বলের মানসিক বিকৃতিও রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Abhishek Banerjee: পুলিশি বাধায় নবজোয়ারে ভোট দিতে পারলেন না বহু তৃণমূল কর্মী, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। পঞ্চায়েতে যোগ্য প্রার্থী ঠিক করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) নির্দেশে নবজোয়ার কর্মসূচিতে ভোট দিতে এসেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। কিন্তু, তৃণমূলের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্দেশে পুলিশি বাধার মুখে পড়ে বহু ভোটার ভোট দিতে পারলেন না। রবিবার এই ঘটনার সাক্ষী থাকল পূর্ব বর্ধমান জেলার রায়না-২ ব্লকের গোতান এলাকার মানুষ। এর আগে এই জেলার জামালপুরেই ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। মন্তেশ্বর ব্লকেও একই ঘটনা ঘটেছিল। এবার রায়না-২ ব্লকে পুলিশকে দিয়ে ভোটদানে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল ফের প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নবজোয়ার কর্মসূচিতে রায়না-২ ব্লকে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য ভোটগ্রহণের ব্যবস্থা করা হয়। এই ব্লকের গোতান সহ একাধিক অঞ্চলের হাজার হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে আসেন। অভিযোগ, যারা প্রকৃত ভোটার, যাদের তালিকায় নাম নথিভুক্ত আছে তারা ভোট প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারছে না। পুলিশ দিয়ে তাদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের অন্য গোষ্ঠীর লোকজন বেআইনিভাবে প্রকৃত ভোটারদের জায়গায় ভোট দিয়ে দিচ্ছেন। পরিস্থিতি আঁচ করে বঞ্চিতরা যাতে ফোনে ভোট দিতে পারেন তারজন্য একটি নম্বর দিয়েছেন অভিষেক। সেখানে তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের মতামত জানাতে পারবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতারা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেকের (Abhishek Banerjee) নির্দেশ মতো আমরা প্রায় আড়াই হাজার কর্মী-সমর্থক ভোট দিতে এসেছিলাম। কিন্তু, আমরা ভোট দিতে পারিনি। তৃণমূলের পদাধিকারীদের নির্দেশে পুলিশ আমাদের ভোট দিতে বাধা দেয়। সাহেব আলি খান নামে এক বিক্ষুব্ধ কর্মী বলেন, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার জন্যই প্রতিটি বুথ থেকে দেড়শো জন করে কর্মী এখানে এসেছিল। কাউকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক (Abhishek Banerjee) একটি ফোন নম্বর দিয়েছেন, সেই নম্বরে যোগাযোগ করে এখন ভোট দেব। তবে, কর্মীরা এসে ভোট দিতে না পেরে হতাশ হয়েছেন।

    কী বললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি অসিত মাল বলেন, দলের নির্দেশ মত এবং দলের নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী ভোট প্রক্রিয়া চলছে। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট হয়েছে। পুলিশ কী বাধা দিয়েছে তা জানা নেই। জেলা তৃণমূলের সম্পাদক সৈয়দ কলিমুদ্দিন বলেন, সামান্য একটু গণ্ডগোল হয়েছিল। এখন তা মিটে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে কে কী বলল তা আমাদের জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share