Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছতে অভিষেকের গণভোট সামলাচ্ছেন কারা? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছতে অভিষেকের গণভোট সামলাচ্ছেন কারা? প্রশ্ন শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি কর্মীদের অপব্যবহারের অভিযোগে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রায় সরকারি কর্মীদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করলেন শুভেন্দু। ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করে ট্যুইটারে শুভেন্দু লিখেছেন, ‘আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে, প্রাথমিকভাবে প্রার্থী বাছাইয়ের জন্য শুধু পুলিশ নয় সরকারি কর্মীদেরও ব্যবহার করছেন পিসি’।

    শুভেন্দুর প্রশ্ন

    বুধবার একটি তালিকা প্রকাশ করে শুভেন্দু দাবি করেন, ‘পিসি-ভাইপো’র দলের প্রাথমিক প্রার্থী নির্বাচনের জন্য সরকারি কর্মীদের কাজে লাগানো হচ্ছে। একদিকে ডিএ না পেয়ে সরকারি কর্মীরা আন্দোলন করছেন, তাঁদের বদলি করা হচ্ছে। অন্যদিকে, দলের ফান অ্যান্ড গেমের জন্য সরকারি কর্মীদের পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ করা হচ্ছে। কী আশ্চর্য সমাপতন। পঞ্চায়েত ভোটে দলের প্রার্থী বাছতে জেলায় জেলায় গণভোট করাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই ভোট সামলাচ্ছেন কারা? প্রশ্ন শুভেন্দুর।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত, তৃণমূলের প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ায় পুলিশি ব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে আগেই সরব হয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজ্য পুলিশের ডিজি মনোজ মালব্যকে এই নিয়ে একটি দুই পাতার চিঠিও লিখেছেন তিনি। চিঠিতে শুভেন্দুর দাবি, তৃণমূলের এই প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়ার সঙ্গে ‘পাবলিক ইনটারেস্টের’ কোনও যোগ নেই। তাহলে কোন আইনে বা কোন নিয়মে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হচ্ছে? এই পুলিশ বাহিনী যে জনগণের সরকারি টাকায় গঠিত, সেই কথাও চিঠিতে স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন তিনি। বুধবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিযোগ করেছেন, তৃণমূলের গণভোটের দায়িত্ব পালন করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারেরই বিভিন্ন বিভাগের কর্মচারীদের। বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘‘পঞ্চায়েত ভোটের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রাথমিক ভোটাভুটির জন্য এখন শুধু পুলিশকেই নয়, সরকারি কর্মচারীদেরও ব্যবহার করছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল।’’

    শুভেন্দু তাঁর অভিযোগের প্রমাণ হিসাবে একটি হোয়াট্‌সঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট এবং সেই কথোপকথনে থাকা একটি তালিকা শেয়ার করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জলপাইগুড়ি সংগঠন শীর্ষক ৪৯ জনের একটি তালিকা দিয়ে বলা হয়েছে, তালিকাভুক্ত কর্মীদের ‘‘মাননীয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিবিরে প্রিসাইডিং অফিসার হিসাবে ডিউটি করতে হবে।’’ এর সঙ্গে কোথায় কবে ঠিক ক’টার সময় ওই কর্মচারীদের ‘ডিউটি’ করতে হবে, তার বিশদও জানানো হয়েছে ওই হোয়াট্‌সঅ্যাপ বার্তায়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Calcutta High Court: ময়নায় নিহত বিজেপি কর্মীর দেহের ফের ময়নাতদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়নার (Moyna) নিহত বিজেপি (BJP) কর্মীর দেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কলকাতার কমান্ড হাসপাতালে হবে ময়নাতদন্ত। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। তাঁর নির্দেশ, বিশেষ দল গঠন করে ময়নাতদন্ত করবে কমান্ড হাসপাতাল। ময়নাতদন্তের সময় উপস্থিত থাকতে পারবেন রাজ্যের দুই ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ। পরিবার চাইলেও উপস্থিত থাকতে পারবেন ময়নাতদন্তের সময়। তাঁর নির্দেশ, কমান্ড হাসপাতাল ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেবে পরিবার ও ময়না থানাকে।

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ…

    বিচারপতি মান্থার নির্দেশ, এখন তমলুক হাসপাতালে পরিবারকে দেহ দেখিয়ে অবিলম্বে রাজ্য পুলিশের নিরাপত্তায় দেহ কলকাতায় নিয়ে আসতে হবে এবং ময়নাতদন্তের পর আবার ফেরত নিয়ে যেতে হবে। চার সপ্তাহের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তায় থাকবে পরিবার। সোমবারের মধ্যে রাজ্যকে এই ঘটনার রিপোর্ট দিতে হবে বলেও নির্দেশ বিচারপতি মান্থার। আদালতের আরও নির্দেশ, তফশিলি জাতি-উপজাতি সংক্রান্ত সংশ্লিষ্ট ধারা সহ বাকি উপযুক্ত ধারা এফআইআরে যুক্ত করতে হবে। মঙ্গলবার আদালতে (Calcutta High Court) রাজ্য জানায়, মাথায় গুলি লেগেই মৃত্যু হয়েছে বিজয়কৃষ্ণের।

    দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তে কোনও আপত্তি নেই রাজ্যের। বিচারপতি মান্থার মন্তব্য, এই মুহূর্তে আমার কাছে যে জিনিসগুলি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলি হল, কীভাবে ওই বিজেপি কর্মী নিখোঁজ হলেন, আর কীভাবে তাঁর মৃত্যু হল। পুলিশের কাজের পদ্ধতি ও সত্য খোঁজার পদ্ধতি, নিহতের পরিবারের নিরাপত্তা, যাঁদের নামে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাঁদের বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে। এই প্রসঙ্গেই তিনি জানান, দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের প্রয়োজন রয়েছে। এই মামলার প্রথম বাহাত্তর ঘণ্টা খুব গুরুত্বপূর্ণ বলেও জানান তিনি।

    আরও পড়ুুন: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশ প্রসঙ্গে নিহত বিজয়কৃষ্ণের স্ত্রী বলেন, কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা দেওয়ায় আমি খুশি। রাজ্য পুলিশের কাজে আমি খুশি নই। পুলিশের পায়ে ধরে আমি বলেছি, স্বামীকে বাঁচান। আমার ছেলেও বলেছে বাবাকে বাঁচাতে। কিন্তু পুলিশ কিছু করেনি। কোনও অভিযোগ নেয়নি। প্রসঙ্গত, ময়নার বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয়। অভিযোগের তির তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের দিকে। ওই ঘটনায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Tamluk: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    Tamluk: তমলুক, কাঁথিতে আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা, রাজ্যপালকে চিঠি তৃণমূল সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) নেতাকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। এহেন আবহে তমলুক (Tamluk) ও কাঁথির আইনশৃঙ্খলার অব্যবস্থা নিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে (CV Ananda Bose) চিঠি লিখলেন তমলুকের সাংসদ তৃণমূলের দিব্যেন্দু অধিকারী (Dibyendu Adhikari)। রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে তৃণমূল। সেই প্রেক্ষিতে এক তৃণমূল সাংসদের এহেন অভিযোগে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে তমলুকের সাংসদ লিখেছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তমলুকের নির্বাচিত সাংসদ হিসেবে আমার লোকসভা কেন্দ্রের বেশ কিছু এলাকায় বিশেষ করে ময়না, নন্দীগ্রাম এবং খেজুরি, হেঁড়িয়া, ভগবানপুর, পটাশপুরের মতো এলাকায় আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে দেখছি। আমার পাশের কেন্দ্র কাঁথিতেও একই অবস্থা। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আপনার কাছে আমার আর্জি সাধারণ মানুষের প্রাণ বাঁচাতে এবং এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে আপনি যথাযথ পদক্ষেপ করুন।

    কেন চিঠি লিখলেন তমলুকের (Tamluk) সাংসদ?

    প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে ময়নার (Tamluk) বাকচা পঞ্চায়েতের গোরামহল এলাকায় বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে অপহরণ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। অভিযোগের তির তৃণমূলের দুষ্কৃতীদের দিকে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে সোমবার রাতভর ময়না থানা ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকেও রাজ্য সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। এদিন মৃত বিজেপি কর্মীর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী। ১২ ঘণ্টার ময়না বনধের ডাকও দেওয়া হয়।

    দলীয় কর্মীকে অপহরণ করে খুনের ঘটনার পরে পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেছিলেন, পরিকল্পনা করেছেন ডাকাত এসপি অমরনাথ। আর মমতার থেকে ৬০ থেকে ৭০ জন জেহাদি খুন করেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকে খুন করিয়েছে। পুলিশ খুনিদের হাত থেকে দেহ নিয়েছে। তাঁর প্রশ্ন, পশ্চিমবঙ্গে এ রকম ঘটনা আগে হয়েছে কি? শুভেন্দু বলেন, এই ঘটনায় আমরা সিবিআই তদন্ত চাই। আর মমতার হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হবে না। ময়নাতদন্ত হবে কেন্দ্রীয় সরকারি হাসপাতালে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে (Tamluk) দিব্যেন্দু এও লিখেছেন, সামনেই পঞ্চায়েত ভোট। তার আগেই তাঁর লোকসভা কেন্দ্র ও লাগোয়া এলাকায় আইনশৃঙ্খলার এই অবস্থা। তাই রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে তিনি যেন পদক্ষেপ করেন। প্রসঙ্গত, ময়নার ঘটনা নিয়ে এখনও রাজভবন কোনও বিবৃতি দেয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ মানুষ দেখে নিয়েছে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের মানুষ মমতার রক্ত-পিপাসু রূপ দেখে নিয়েছে, তাই প্রধানমন্ত্রী তো দূরের কথা, তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের চাপরাশিও হতে পারবেন না, ভোট পরবর্তী হিংসার দু বছর পূর্তিতে এমনই মন্তব্য করলেন, রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে এদিনই পশ্চিম মেদিনীপুরের ময়নায় বিজেপির বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পশ্চিমবঙ্গে বেড়ে চলা রাজনৈতিক হিংসার ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বালুরঘাটের সাংসদ পুলিশ-তৃণমূল যৌথ সন্ত্রাসের তত্ত্বকে সামনে আনেন এদিন, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সুরেই তিনি বলেন, ময়নায় খুন হওয়া বিজেপি কর্মীর দেহ পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছে আততায়ীরাই।

    দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূল নেতার টাকা নেওয়ার ভিডিও

    অন্যদিকে অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির দিনই দক্ষিণ দিনাজপুরে তৃণমূলের ব্লক নেতার টাকার বদলে চাকরি দেওয়ার একটি ভিডিও ভাইরাল হয় (মাধ্যম এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি), যা নিয়ে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্যনীতি। প্রসঙ্গত, সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) এই জেলা থেকেই সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এনিয়েও তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তোলাবাজিকে উৎসাহিত করার জন্যই চলছে নবজোয়ার কর্মসূচি, এমনই মন্তব্য করেন বালুরঘাটের সাংসদ। ওই ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক যুবক দু-হাতে টাকার ব্যাগ তুলে দিচ্ছে, তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অনাদি লাহিড়ীকে। সিভিক থেকে কনস্টেবল পদে উন্নীত হওয়ার জন্যই নাকি এই ঘুষ নেওয়া হচ্ছিল, এমনটাই দাবি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিজেপির। এই ভাইরাল ভিডিওটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত মজুমদার, তাতে তিনি লেখেন, নবজোয়ারের নামে বস্তা বস্তা টাকা তুলতেই জেলায় জেলায় ঘুরছেন যুবরাজ। তাঁর আরও সংযোজন, খোদ অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের নির্দেশে এই টাকা তোলা হচ্ছিল কিনা তা একবার খোঁজ নেওয়া দরকার।

    পর্ব ১: গলায় সিসিটিভি-র তার পেঁচিয়ে, পাথর দিয়ে থেঁতলে খুন করা হয়েছিল অভিজিৎ সরকারকে!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Moyna BJP Bandh: বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন‍্‍ধ! সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ

    Moyna BJP Bandh: বিজেপি নেতা খুনের প্রতিবাদে ময়নায় ১২ ঘণ্টা বন‍্‍ধ! সকাল থেকে থমথমে পরিবেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়াকে নৃশংসভাবে খুনের অভিযোগে আজ, বুধবার বিজেপির ডাকে ১২ ঘণ্টার বন‍্‍ধ পূর্ব মেদিনীপুরের (East Midnapur) ময়নায় (Moyna BJP Bandh)। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মঙ্গলবারই এই বন‍্‍ধ-এর কথা ঘোষণা করেন।

    থমথমে পরিবেশ

    বুধবার সকাল থেকেই ময়নায় বন্ধ দোকানপাট (Moyna BJP Bandh)।বন‍্‍ধ সফল করতে রাস্তায় নেমেছে বিজেপি। ময়নার অন্নপূর্ণা বাজারে বন‍্‍ধ ঘিরে বিজেপির পিকেটিং চলছে। বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে ফেলা হয়েছে। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি কর্মীরা। অন্যদিকে, অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে প্রস্তুত রয়েছে পুলিশও। রাস্তায় রাস্তায় মোতায়েন বিশাল পুলিশ বাহিনী। মজুত রয়েছে জলকামানও। বলাইপণ্ডা বাজারে রাস্তায় মিছিল করে বিজেপি। রাজনৈতিক হিংসা ও সন্ত্রাস বন্ধের জন্য মানবিকতার খাতিরে সকলকে দোকান বন্ধ রাখার আর্জি জানানো হয়। কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

    আরও পড়ুন: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    পঞ্চায়েত ভোটের মুখে পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাগচায় বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতিকে অপহরণ করে খুনের অভিযোগ ঘিরে উত্তাল হয় পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না। বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের (TMC) বিরুদ্ধে। এ নিয়ে মঙ্গলবার সারাদিন উত্তপ্ত ছিল ময়না। সেই ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ মিছিল করেন বিজেপি কর্মীরা। পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগও তুলেছে মৃতের পরিবার। ৩৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। গতকাল ময়নায় উপস্থিত হন শুভেন্দু অধিকারীও। সিবিআই তদন্তের দাবি জানান বিরোধী দলনেতা। সঙ্গে বনধ (Moyna BJP Bandh) ও পথ অবরোধের ডাক দেন তিনি। 

    নিষ্ক্রিয় পুলিশ

    এদিকে, নিহত বিজেপি নেতার স্ত্রী লক্ষ্মী ভূঁইয়া জানান, ‘আমাদের নদীর পাড়ে একটা বাড়ি আছে, সেখানে আমি আর আমার স্বামী গিয়েছিলাম। তারপর ঘরে আসার জন্য বাঁধে উঠছিলাম। সেইখানেই ধরে নিয়েছিল। কাঠ দিয়ে, রড দিয়ে কী মার মেরেছিল। বন্দুক নিয়ে, ছুরি নিয়ে খুব মার মেরেছিল। আমি পায়ে ধরে কেঁদেছি তাও ছাড়েনি। তৃণমূলের লোক ধরে নিয়ে যাচ্ছে ক্যাম্পে পুলিশের পায়ে ধরে কেঁদেছি। পুলিশ বলে আমাদের থানা থেকে কোনও অর্ডার নেই। এখন যেতে পারব না।’ সিবিআই তদন্তের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ময়নায় নিহত বিজেপি নেতার ছেলে। কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনস্থ কোনও হাসপাতালে ময়নাতদন্তের দাবিও জানিয়েছে পরিবার (Moyna BJP Bandh)। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Balurghat TMC: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    Balurghat TMC: অভিষেক যেতেই প্রশাসনিক পদ থেকে অপসৃত তৃণমূল নেত্রী, এত সময় লাগল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডি-কাণ্ডের জেরে আগেই দলীয় পদ থেকে সরানো হয়েছিল প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে (Balurghat TMC)। এবার প্রশাসনিক পদ থেকেও সরানো হল তৃণমূল নেত্রীকে। দণ্ডি-কাণ্ডে যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল, সেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরানোর নোটিস দেওয়া হল। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে অভিযোগকারী তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন তিনি। কড়া পদক্ষেপ করার কথাও বলেছিলেন তিনি। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই নোটিস দেওয়া হল। পুরসভার আইন মেনে এই পদ থেকে সরানো হয়েছে বলে নোটিসে উল্লেখ করা হয়েছে। ২ মে অর্থাৎ মঙ্গলবার থেকেই এই নোটিস কার্যকর হচ্ছে।

    ঘটনাস্থলে অভিষেক

    মঙ্গলবার নিজে বালুরঘাটে গিয়ে সেই মহিলাদের সঙ্গে বসে চা খান অভিষেক। পরে তাঁদের সঙ্গে একান্তে কথাও বলেন। তাঁদের কথা শোনেন। পরে বেরিয়ে অভিষেক ব্যানার্জি জানিয়েছিলেন, দলগতভাবে ও প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিষেকের সঙ্গে ছিলেন বিপ্লব মিত্র, অর্পিতা ঘোষ প্রমুখ। এই সাক্ষাতের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এই নোটিস নেত্রীকে (Balurghat TMC)।

    অভিযুক্তের বক্তব্য পাওয়া গেল না

    প্রদীপ্তা চক্রবর্তী বালুরঘাট পুরসভার ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা ভাইস চেয়ারপার্সন (Balurghat TMC) ছিলেন। তাঁকে সরানোর কথা জেলাশাসক থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে এদিনই। এই বিষয়ে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও কোনও মন্তব্য পাওয়া যায়নি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীর।

    পদক্ষেপ নাকি সস্তা জনপ্রিয়তা?

    প্রশ্ন উঠেছে, এতবড় একটা কাণ্ডে অভিযুক্তর (Balurghat TMC) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এতখানি সময় লাগলো কেন? বিরোধীরা বিষয়টিকে আদৌ ভালো চোখে দেখছে না। তাদের বক্তব্য, মূল অভিযুক্তকে প্রশাসনিক পদ থেকে সরানোর জন্য অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হল? এই ঘটনাই প্রমাণ করে, এ ধরনের কত অভিযোগ ধামাচাপা দেওয়া অবস্থায় পড়ে থাকে। অনেকে আবার এই ঘটনাকে সস্তায় জনপ্রিয়তা কুড়নো বলেও মনে করছেন। তাদের বক্তব্য, ‘যুবরাজ’ যখন ছুটে এসেছেন, তখন কিছু তো একটা করতেই হয়। তাই ওই পদক্ষেপ। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘ভোট-রঙ্গে’ বিশৃঙ্খলা, ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা সুকান্ত  

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের ‘ভোট-রঙ্গে’ বিশৃঙ্খলা, ‘বৈজ্ঞানিক’ ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির অধ্যাপক নেতা সুকান্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের গা থেকে কেলেঙ্কারির ময়লা ঝেড়ে ফেলতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নবজোয়ার যাত্রা করছেন তৃণমূল (TMC) নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর এই রাজ্য সফরে জনতার নাড়িও বুঝতে চান তৃণমূলের দু নম্বর ব্যক্তিত্ব। কর্মসূচি শুরু হয় কোচবিহার থেকে। পঞ্চায়েতে দলীয় প্রার্থী বাছাই করতে পুরোদস্তুর ভোটের ব্যবস্থা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দল। তবে কোচবিহার থেকে এখনও পর্যন্ত যেসব জায়গায় ‘ভোট-রঙ্গ’ হয়েছে, সেখানেই দেখা গিয়েছে বিশৃঙ্খলা। লুঠ হচ্ছে ব্যালট পেপার, ছিনতাই হচ্ছে ব্যালট বাক্স। যার জেরে বারংবার অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে রাজ্যের শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। কী কারণে এমনটা হচ্ছে? এ প্রশ্নের জব্বর ব্যাখ্যা দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, জীবন বিজ্ঞানের প্রতিবর্ত তত্ত্বের কারণেই এই গোলমাল। 

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় অশান্তি…

    একুশের বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হয়েছিল ২ মে। তখন থেকে রাজ্যে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন, এই অভিযোগ তুলে মঙ্গলবার (Abhishek Banerjee) ধর্মতলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে বিজেপি। এই সমাবেশেই ভাষণ দিতে গিয়ে বিজেপির অধ্যাপক নেতা বলেন, জীবন বিজ্ঞানে প্রতিবর্ত ক্রিয়া পড়ানো হয়। একটি নির্দিষ্ট সময়ে ঘণ্টা বাজিয়ে কোনও কুকুরকে দিনের পর দিন খেতে দেওয়ার পর ঘণ্টা না বাজালেও ওই সময় কুকুরের মুখ থেকে লালা পড়তে থাকে। তৃণমূল কর্মীদেরও একই অবস্থা। ব্যালট বাক্স দেখলেই লুঠ করতে ইচ্ছা করে। সত্যি ভোট না কি দলীয় ভোট সেই হুঁশ থাকে না।

    আরও পড়ুুন: ‘‘শাসকদলের মিছিলে অসুবিধা হয় না?’’ ডিএ আন্দোলনকারীদের নবান্ন অভিযানে অনুমতি হাইকোর্টের

    রাজ্যের শাসক (Abhishek Banerjee) দলকে এই পরিস্থিতি থেকে বেরনোর পথও বাতলে দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, অভিষেকবাবুকে বলব, দুজন কর্মীকে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের মতো পোশাক পরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখুন। তবে আর ব্যালট বা ব্যালট বাক্স লুঠ হবে না। তৃণমূলের কর্মীরা কেবল কেন্দ্রীয় বাহিনীকেই ভয় পায়। প্রসঙ্গত, ২৫ এপ্রিল নবজোয়ার যাত্রা কর্মসূচি পালনের সূচনার দিনই ব্যালট নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ধুন্ধুমার লড়াই হয়েছিল কোচবিহারের গোঁসানিমারি ও সাহেবগঞ্জে। উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক অশান্তি হয়। নেতা-কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতিও হয়। হাপ্তিয়াগাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের বুথে তো আবার তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলাতে নামানো হয় র‌্যাফ। একই ঘটনা ঘটে হরিরামপুরেও।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • TMC: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! ভাইরাল ভিডিও, জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল নেতা! ভাইরাল ভিডিও, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচিতে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যোগ দেন। তার ঠিক আগেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এক তৃণমূল নেতার টাকা নেওয়ার ভিডিও ভাইরাল হওয়াকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জানা গিয়েছে, ওই তৃণমূল নেতার নাম অনাদি লাহিড়ী। তিনি তপন বিধানসভার গঙ্গারামপুর ব্লক তৃণমূলের সভাপতি। যদিও ভাইরাল হওয়া ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    একটি ঘরের মধ্যেই ওই তৃণমূল (TMC) নেতাকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূল (TMC) নেতা দাঁড়িয়ে ফোনে একজনের সঙ্গে কথা বলছেন। আর যে ব্যক্তি ওই তৃণমূল নেতাকে টাকা দিতে এসেছেন, তিনি খাটে বসে রয়েছেন। আর তিনিই সমস্ত ভিডিওটি তুলছেন। তৃণমূল নেতা ফোন রাখার পর একজন ব্যাগ থেকে ৫০০ টাকার কয়েকটি বাণ্ডিল বের করে তৃণমূল (TMC) নেতার হাতে তুলে দেন। এরপর ওই ব্যক্তি তৃণমূল নেতার কাছে জানতে চান, পঞ্চায়েত ভোটের পর ছাড়া হবে। তৃণমূল নেতা বলেন, পঞ্চায়েতের আগেও হয়ে যেতে পারে। কত টাকা আর পাবেন ওই তৃণমূল নেতা জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, সাড়ে চার পেয়েছি। এখনও আরও দুই পাব। তবে, পরিমাণ কত সেটা তিনি বলেননি। পাশ থেকে একজন বলেন, এখন চাকরি নিয়ে যা হচ্ছে ভয়ে কেউ টাকা দিচ্ছে না। কনস্টেবলের চাকরি কেউ টাকা দিয়ে ভয়ে নিতে চাইছে না। তৃণমূল নেতা তাঁকে থামিয়ে দিয়ে বলেন, কিছু সমস্যা হলেও অরিজিনাল চাকরিও হচ্ছে। এদিকে ভাইরাল ওই ভিডিও নিয়ে ট্যুইট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আজ জেলায় অভিষেক এসেছে। আর তার আগেই দলের নেতার তোলাবাজি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে। বোঝা যাচ্ছে, অভিষেক তাঁর দলের লোকেদের বলে রেখেছেন, চাকরির নাম করে টাকা তোলার জন্য। দলীয় নেতারা সেই কাজই করছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    এ ধরনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ায় অস্বস্তিতে পড়েছে জেলা তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, একটি ভিডিও দেখেছি তবে তার সত্যতা যাচাই করে দেখতে হবে। যদি সত্যতা থাকে তবে দল উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে। সংবাদমাধ্যম ওই তৃণমূল নেতা অনাদি লাহিড়ীকে ফোন করা হলে তিনি ফোন না ধরায় এই বিষয়ে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে কাল ময়নায় ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক শুভেন্দুর, জেলা জুড়ে অবরোধ

    Suvendu Adhikari: বিজেপি কর্মী খুনের প্রতিবাদে কাল ময়নায় ১২ ঘণ্টা বনধের ডাক শুভেন্দুর, জেলা জুড়ে অবরোধ

    মাধ্যমে নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতা খুনের প্রতিবাদে ১২ ঘণ্টা বনধ ডাকল বিজেপি। মঙ্গলবার ময়নায় এসে একথা জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, আগামীকাল বুধবার ময়নায় ১২ ঘণ্টা বনধ পালিত হবে। আর জেলায় ১০০টি জায়গায় পথ অবরোধ করা হবে। বৃহস্পতিবার নিহত দলীয় কর্মীকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন এবং খুনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে ১৫ হাজার কর্মীকে নিয়ে মিছিল হবে। প্রসঙ্গত, সোমবার রাতে দলীয় কর্মীকে বাড়ির সামনে থেকে অপহরণ করে নৃশংশভাবে খুন করা হয়। সোমবার রাতেই বিজেপি কর্মীরা থানায় বিক্ষোভ দেখান। মঙ্গলবার সকাল থেকেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করেন। পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে অবরোধকারীদের বচসা হয়। প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলে। যার জেরে রাস্তায় ব্যাপক যানজট তৈরি হয়। পুলিশ বহু চেষ্টা করেও অবরোধ তুলতে ব্যর্থ হয়। পরে, শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এসে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলার ব্যবস্থা করেন। তিনি বলেন, নন্দীগ্রামসহ বহু এলাকা ঠান্ডা করেছি। এই এলাকা ঠান্ডা করে ছাড়ব। এর শেষ দেখে ছাড়ব। 

    দলীয় কর্মী খুন নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেছেন, এই দলীয় কর্মী খুন বিচ্ছিন্ন কোনও ঘটনা নয়। গত কয়েক মাস ধরে অলোক বেড়া, সম্রাটের মতো নেতাকে জোর করে পুলিশ দলবদল করিয়েছে। সম্রাট ফিরে এসেছে। অলোক বেড়া এখনও ওদের কাছে আছে। এটা বড় ষড়ষন্ত্র। ময়নার বাকচা ফেলতে পারলে ময়না ব্লকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলকে আবার প্রতিষ্ঠা করতে পারবে। ২০১৮-তে তৃণমূল জেতেনি। আপনাদের নমিনেশন আটকে দিয়ে গায়ের জোরে ওরা জিতেছে। এই পরিকল্পনা করেছে মমতার তিন পুলিশ অমরনাথ, হাসান আর প্রাক্তন ওসি গোপালা। আর উস্কানিদাতা সৌমেন মহাপাত্র, সংগ্রাম দোলুই, শেখ শাহজাহান, উত্তম বারিখ, মনোরঞ্জন হাজরা। আর এই ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করেছে পরিবার ও এলাকার মানুষ। তিনি আরও বলেন, আর এক যুব কর্মী সঞ্জয় তাঁতি। তাঁকেও তুলে নিয়ে গিয়েছিল ওরা। কীভাবে রক্তাক্ত করেছে তাঁকে। এদের অপরাধ এরা বিজেপি করে। ময়নার বাকচাতে ২০১৮ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। হাজারের বেশি বিজেপি কর্মী বিভিন্ন সময়ে জেল খেটেছে গত পাঁচ বছরে। প্রসেনজিতের মতো পঞ্চায়েত সদস্য জেলে রয়েছেন।

    মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    দলীয় কর্মী খুনের ঘটনায় শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) যে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছেন তা তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে প্রকাশ পাচ্ছিল। এদিন তিনি বলেন, এর আগে উত্তর দিনাজপুরের কালিয়াগঞ্জে রাজবংশী যুবককে মমতার পুলিশ গুলি করে খুন করেছে। এদিন বিজয়বাবুকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে খুন করা হল। তিনি নমশূদ্র। দলিতরা তৃণমূলকে ভোট দেয়নি বলেই বেছে বেছে তাদের খুন করা হচ্ছে। খুনি মমতা এসব করছে। এর শেষ দেখে ছাড়ব।

    বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, মমতার পুলিশ অমরনাথ ও হাসান নামের এক অ্যাডিশন্যাল পুলিশের নেতৃত্বে আমাদের দলীয় কর্মীর নিথর দেহ উদ্ধার করে ময়না দিয়ে না এসে চোরের মতো নালা পেরিয়ে তমলুকের মর্গে রেখেছে। এ লজ্জা রাখার নয়। পশ্চিমবঙ্গে এই প্রথম কোথাও খুনিদের কাছ থেকে দেহ সংগ্রহ করল মমতা পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: স্ত্রী, ছেলের সামনে ময়নার বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: স্ত্রী, ছেলের সামনে ময়নার বিজেপি নেতাকে অপহরণ করে খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তির দিনই এক বিজেপি (BJP) নেতাকে স্ত্রী, ছেলের সামনেই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দৃষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। পরে, ওই নেতাকে অপহরণ করে খুন করা হয়। সোমবার রাতে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা এলাকা। পুলিশ ও বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া। তিনি বিজেপির বুথ সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনায় সঞ্জয় তাঁতি নামে আরও এক বিজেপি কর্মীর খোঁজ মিলছিল না। পরে, গভীর রাতে তাঁকে পুলিশ উদ্ধার করে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    সোমবার রাতে বিজেপি-র (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়বাবু ও তাঁর স্ত্রী ও ছেলের উপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মনোরঞ্জন হাজরার নেতৃত্বে হামলা হয়েছে বলে অভিযোগ। স্ত্রী, ছেলের সামনেই বিজেপি নেতাকে বেধড়ক মারধর করা হয়। বিজেপি নেতার চিত্কার শুনে পাড়ার লোকজন ছুটে এলে আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে বিজয়বাবুকে তুলে নিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। এলাকায় বোমাবাজিও করা হয় বলে অভিযোগ। পরে, রাতেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়।

    দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে রাস্তা অবরোধ বিজেপি-র (BJP)

    সোমবার ঘটনার পরই বিজেপি (BJP) কর্মীরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। রাতেই বিজেপি বিধায়ক অশোক দিন্দা মঙ্গলবার ময়নার তিনমাথা মোড়ে পথ অবরোধের ডাক দিয়েছিলেন। বিধায়কের নির্দেশ মতো এদিন সকালেই বিজেপি কর্মীরা রাস্তায় হাজির হন। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা অবরোধ করেন। বিক্ষোভের নেতৃত্ব দেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। এদিন অবরোধ তুলতে এলে পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বচসা হয়। অবিলম্বে দলীয় কর্মী খুনে অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভ করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন, বিজেপির বুথ সভাপতির পাশাপাশি তাঁর স্ত্রী ও ছেলেকে মারধর করা হয়। দলীয় নেতার ছোট ছেলে পাড়ার লোকজনকে ডাকতে গেলে দুষ্কৃতীরা বাইকে করে বিজয়বাবুকে তুলে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে, তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কোথায় দেহ উদ্ধার হয়েছে পুলিশ কিছু জানায়নি। তমলুক হাসপাতালে দেহ রয়েছে। রাজ্যের হাসপাতালে ময়না তদন্তে আমাদের বিশ্বাস নেই। তাই, হাইকোর্টের নির্দেশে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালিত হাসপাতালে বিজেপি নেতার দেহ ময়না তদন্ত করা হবে। তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়কের নেতৃত্বে এই হামলা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    ময়নার প্রাক্তন বিধায়ক সংগ্রাম দলুই বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে শাসক দল কোনওভাবে জড়িত নয়। দোকান বা পারিবারিক বিবাদের কারণেই ওই বিজেপি (BJP) নেতাকে খুন করা হয়েছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোরঞ্জন হাজরা বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। তবে, ঘটনা ঘটার পর দেখা গেল বিজেপি কর্মীরা আমাদের কর্মীদের বাড়ি, ঘর ভাঙচুর করে লুঠপাট চালায়। সমস্ত বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share