Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: ‘বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটা অভিশপ্ত দিন’, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে একটা অভিশপ্ত দিন’, ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে ট্যুইট শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট পরবর্তী হিংসা ও সন্ত্রাসের কথা স্মরণ করে তৃতীয় তৃণমূল সরকারের দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে শাসকদলকে কড়া আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটা অভিশপ্ত দিন হিসেবে উল্লেখ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    শুভেন্দুর ট্যুইটবার্তা

    এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ট্যুইটবার্তায় ২০২১ সালের ২ মে তারিখকে স্মরণ করেন। ট্যুইটবার্তায় বিরোধী দলনেতা জানান, ‘২০২১-এর ২ মে, যাঁরা অভূতপূর্ব ভোট-পরবর্তী ভয়াবহ হিংসা ও সন্ত্রাসের শিকার হয়েছিলেন তাঁদের শ্রদ্ধা জানাই। সেই কালো দিনের (Black Day) দ্বিতীয় বর্ষপূর্তি পালন করা হচ্ছে, বর্তমানে আঞ্চলিক দলে পরিণত হওয়া তৃণমূল কংগ্রেস সবরকম নৃশংসতা দেখিয়েছিল। বাংলার গণতন্ত্রের ইতিহাসে এটা অভিশপ্ত, কালো দিন। আমাদের কর্মীদের বলিদান কখনও ভুলব না, তাঁদের সঠিক বিচার দিতে আমরা বদ্ধপরিকর। বাংলার বিজেপি কর্মীদের ওপর সেই অত্যাচারের কথা আমরা যেন ভুলে না যাই।’ 

    রাজ্যজুড়ে কালা দিবস

    আজই রাজ্যজুড়ে কালা দিবস পালনের ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। গঙ্গায় তর্পণ কর্মসূচিও আছে গেরুয়া শিবিরের, জানিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ। বিজেপির দাবি, রাজ্যজুড়ে ভোট-পরবর্তী হিংসায় দলের কর্মীদের অত্যাচারিত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বহুবার। বহু বিজেপি কর্মীকে খুন হতে হয়েছে। বহু কর্মী ঘরছাড়া হয়ে অন্য রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছেন। 

    আরও পড়ুন: ‘‘বাবা-মেয়ে তিহাড়ে গেছে, এবার পিসি-ভাইপোও যাবে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    রাজ্যে আসন্ন পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে, প্রতিদিনই বাড়ছে তৃণমূল-বিজেপির (BJP) দ্বৈরথ। এক দলের নেতা অপর দলের নেতাকে বিঁধে চলেছেন নাগাড়ে। এই পরিস্থিতিতে আগের দিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রায় পুলিশ মোতায়েন নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্য পুলিশের ডিজি-কে চিঠি দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। মনোজ মালব্যকে লেখা চিঠিতে বিরোধী দলনেতা প্রশ্ন তুলেছেন, তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচিতে নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য রাজ্যের কোষাগারে কত টাকা জমা পড়েছে।   

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু  কর্মী

    BJP: অভিষেকের সভার আগেই তৃণমূলে ভাঙন, বিজেপিতে যোগ দিলেন বহু কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগে জেলায় তৃণমূলে ভাঙন ধরাল গেরুয়া শিবির। তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ছেড়ে বহু কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে (BJP)। সোমবার বিকেলে একটি অনুষ্ঠানে সদ্য যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী ও তপনের বিধায়ক বুধরাই টুডু।

    তৃণমূল ছেড়ে কতজন বিজেপিতে (BJP) যোগ দিলেন?

    পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই দলবদলের রাজনীতি চলছে দক্ষিণ দিনাজপুরে। সোমবার বিকেলে কুশমণ্ডি ব্লকের মালিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকারপুরে বিজেপির (BJP) যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই শতাধিক তৃণমূল ও সিপিএমের কর্মী-সমর্থক গেরুয়া শিবিরে যোগদান করেন। যোগদানকারীদের মধ্যে অন্যতম সিপিআইএমের প্রাক্তন উপপ্রধান বৈজন্তী রায় রয়েছেন। পাশাপাশি বহু আদিবাসী পরিবারের সদস্য রয়েছেন। মঙ্গলবার জেলায় আসছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দণ্ডিকাণ্ডের সেই আদিবাসী গ্রামের পাশেই যুবরাজের সভা হওয়ার কথা। তার ঠিক আগের দিন বিজেপির (BJP) যোগদান কর্মসূচি রাজনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলেই রাজনৈতিক মহলের মত।

    দলত্যাগী কর্মীরা কী বললেন?

    তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে দলত্যাগী কর্মীরা বলেন, তৃণমূলে থেকে কোনওরকম সুযোগ সুবিধা পাচ্ছি না। এলাকায় উন্নয়নের বিষয়ে তৃণমূলের কোনও নজর নেই।  তাই নরেন্দ্র মোদির উন্নয়নের যজ্ঞে সামিল হতে বিজেপিতে (BJP) যোগদান করলাম।

    কী বললেন বিজেপি-র (BJP) জেলা সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপি-র (BJP) জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী বলেন, তৃণমূল থেকে সাধারণ মানুষ মুখ ফেরাচ্ছে। ঘর গোছাতে অভিষেক জেলায় আসছে, তার আগেই তৃণমূলের বহু কর্মী আমাদের দলে যোগ দিলেন। আসলে এই পরিবারগুলি মঙ্গলবার অভিষেকের সভায় থাকতে চান না। এর কিছুদিন আগে জেলার তপন থানা এলাকায় প্রায় ২০০ জন তৃণমূল কর্মী-সমর্থক ছেড়ে আমাদের দলে যোগ দেন।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এদিকে যোগদান নিয়ে তৃণমূলের জেলা সহ-সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জেলায় আসছেন। এতেই ভয় পেয়েছে বিজেপি (BJP)। তাই ওরা এসব ভুলভাল বলছে। তৃণমূল থেকে কেউ বিজেপিতে যায়নি। উলটে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে আসছে মানুষ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘‘বাবা-মেয়ে তিহাড়ে গেছে, এবার পিসি-ভাইপোও যাবে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘‘বাবা-মেয়ে তিহাড়ে গেছে, এবার পিসি-ভাইপোও যাবে’’! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালি সপরিবারে তীর্থ করতে যেত, এখন তৃণমূলের আমলে নেতারা সপরিবারে জেলে যাচ্ছেন। কটাক্ষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar)। গরু পাচার মামলায় আপাতত তিহাড় জেলে রয়েছেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডল। এই প্রসঙ্গেই সুকান্তর কটাক্ষ, “সবে তো কলির সন্ধ্যে! বাবা-মেয়ে পাশাপাশি তিহাড় জেলে আছে, এরপর পিসি-ভাইপোও যাবে।”

    সপরিবারে তিহাড় যাত্রা

    জনসংযোগ যাত্রায় গিয়ে তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ইডি-সিবিআই-এর সততা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এরই পাল্টা দিলেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, “বিজেপি ভয় দেখাচ্ছে না। সত্যি সামনে আসছে। তাতেই অনেকে ভয় পাচ্ছেন। চুরি করলে অপরাধীকে সাজা পেতেই হবে। কারুর স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে যদি বেহিসেবি টাকা থাকে তাহলে তাঁকেও জেলে যেতে হবে।” এরপরই সুকান্ত বলেন, “আগে তো আমরা সপরিবারে তীর্থে যেতাম, এখন তৃণমূল নেতারা সপরিবারে তিহাড় যাত্রা করেন। আর কদিন পরে অন্য কাউকে দেখবেন। আগে দেখছিলাম নেতাদের সঙ্গে তাঁদের বান্ধবীরা জেলে যাচ্ছেন এখন দেখছি নেতার সঙ্গে তাঁর কন্যাও জেলে গিয়েছেন। এরপর হয়তো পিসি-ভাইপোর পালা।”

    আরও পড়ুন: দেশে বাড়ছে ডেঙ্গি! দ্রুত ভ্যাকসিন আনতে সচেষ্ট গবেষকরা

    তিহাড় কংগ্রেস

    কেষ্টর তিহাড় যাত্রার পরেও জেলা সভাপতি বদল করেনি শাসক দল। সেই বিষয় নিয়েও তৃণমূলের উদ্দেশে কটাক্ষ ছুঁড়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তৃণমূলের সর্বভারতীয় তকমা যাওয়ার পর সুকান্তর সংযুক্তি, “আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন, তৃণমূল কংগ্রেস নাম পরিবর্তন হয়ে তিহাড় কংগ্রেস হয়ে যাবে। তৃণমূল কর্মী মানেই চোর। নব চোর বাছতে এখন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। উনি রোজ নতুন কিছু বলছেন। আজকে দেখুন ব্যালট বাক্সের জায়গায় নতুন কিছু চুরি হয় কিনা। রাজ্যজুড়ে একটা বিশৃঙ্খলা চলছে।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    Abhishek Banerjee: অভিষেক সভা ছাড়তেই ব্যালট লুঠের চেষ্টা, তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে হাতাহাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুরের পর এবার করণদিঘিতে তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ভোটগ্রহণ কেন্দ্র থেকে ব্যালট বাক্স ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। জানা গিয়েছে, রবিবার করণদিঘিতে প্রার্থী বাছাইয়ে ভোটদান চলাকালীন দুটি ভোট গ্রহণ কেন্দ্রে তুমুল ঝামেলা বাঁধে তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে। চাকুলিয়া ব্লকের হপতিয়াগজ গ্রাম পঞ্চায়েত ও গোয়াগাঁও- ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের ভোট দান কক্ষে বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়। করণদিঘির আগে ইসলামপুর কোর্ট ময়দানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। সেই সভা শেষে ব্যালট বাক্সে প্রার্থীর নামের কুপন দিতে গিয়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। যদিও পরে দলীয় নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

    করণদিঘিতে ঠিক কী হয়েছিল?

    রবিবার চোপড়ায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। পরে, সেখান থেকে তিনি ইসলামপুরে সভা করেন। সভা শেষে সেখানেও ব্যালটে ভোট দেওয়া নিয়ে গণ্ডগোল হয়। পরে, বিষয়টি মিটে যায়। সেখান থেকে যুবরাজ চাকুলিয়াতে সভা করেন। পরে, করণদিঘিতে তিনি রাতে থাকেন। করণদিঘিতে অভিষেক (Abhishek Banerjee) পৌঁছানোর পরই ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। তিনি দাঁড়িয়ে থেকে ভোটদান শুরু করে সভাস্থল ছেড়ে চলে যান। এরপরই পুরানো এবং নব্য তৃণমূলের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। যে ব্যালট বাক্সে ভোটদান চলছিল তৃণমূল কর্মীদের একাংশ তা ছিনতাই করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এমনিতেই অভিষেক (Abhishek Banerjee) সভা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর পরই তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব তাঁর সঙ্গে চলে যান। ভোটদান কেন্দ্রে গণ্ডগোল হচ্ছে শুনে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মন্ত্রী গোলাম রব্বানী, জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল ও করণদিঘির বিধায়ক গৌতম পাল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনার জেরে ভোটদান পর্ব বন্ধ করে দেন তৃণমূল নেতৃত্ব।

    ভোটদান নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের কী বক্তব্য?

    এক তৃণমূল কর্মী বলেন, পুরানো কর্মীদের নামের তালিকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁদের কোনও নাম নেই। নতুন যারা এসেছে তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। আসলে তালিকা জমা পড়ার পর তালিকায় কাটছাঁট করা হয়েছে। চোখের সামনেই এসব হচ্ছে। অন্য এক তৃণমূল কর্মী বলেন, ব্যালটে ভোট দেওয়া চলছে। সেটা প্রকাশ্যে হচ্ছে। কোনও গোপনীয়তা নেই। আর তাতেই তৃণমূল কর্মীদের বড় অংশ আপত্তি জানান। ফলে, ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই করতে অভিনব পদক্ষেপ করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। জেলায় জেলায় ঘুরছেন তিনি। সব সভা থেকেই অভিষেক একটাই বার্তা দিচ্ছেন, তৃণমূল পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছাই করবে না। পঞ্চায়েতের প্রার্থী বাছবে মানুষ। অভিষেকের এই উদ্যোগ কার্যকরী করতে গিয়েই বাঁধছে বিপত্তি। জায়গায় জায়গায় ব্যালট বাক্স ভাঙা থেকে লুঠপাটের ঘটনা সামনে আসছে। কোচবিহার ছাড়াও জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি, পাহাড়পুর, রাজগঞ্জ থেকে ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি সব জায়গাতেই ব্যালট পেপার নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এবার উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতেও একই ঘটনা ঘটল। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূলের জেলা নেতৃত্ব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dev: সরকারি বাড়ি পেতে দেবের ভাইকে দিতে হল কাটমানি! পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি

    Dev: সরকারি বাড়ি পেতে দেবের ভাইকে দিতে হল কাটমানি! পোস্টার দিয়ে প্রতিবাদ জানাল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল শহরের পাঁশকুড়া বাস স্ট্যান্ড, ঘাটাল কলেজ, এসডিও অফিস চত্বর সহ সমস্ত জায়গায় পড়েছে পোস্টার। আর এই পোস্টারকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল অভিনেতা দেবের (Dev) সাংসদ এলাকায়। শুধু পোস্টারই নয় দেবের (Dev) পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে গেরুয়া শিবির। এমনকী দেওয়াল লিখনে হাত লাগিয়েছেন খোদ বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট।

    কী লেখা রয়েছে পোস্টারে?

    পোস্টারে লেখা রয়েছে, নিজের দাদা সাংসদ (Dev) থাকা সত্ত্বেও কাটমানি দিতে হয়, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে। ঘরের ছেলে সাংসদ থাকার সত্ত্বেও কেন টাকা নেওয়া হল? দীপক অধিকারী (Dev) জবাব দাও। বিক্রম অধিকারীর আবাস যোজনার টাকা নেওয়া  হল কেন? তৃণমূল বিধায়ক শিউলি সাহা জবাব দাও। আর ঘাটাল শহরের একাধিক জায়গায় পোস্টারে ছয়লাপ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন এই পোস্টার?

    সাংসদ দেবের (Dev) জেঠতুতো ভাই বিক্রম অধিকারী। তিনি থাকেন কেশপুরের মহিষদায়। সরকারি আবাস যোজনায় কাটমানি দিতে হয়েছে তাঁকে। বিক্রম বলেন, আমি নিজে তৃণমূল করি। আমার দাদা সাংসদ বলে কোনও বাড়িতে সুবিধা পাইনি। এখানে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি না দিলে বাড়ি মিলবে না। তাই, ওদের চাহিদা মতো আমি কাটমানি দিয়েছি। তিনি আরও বলেন, পারিবারিক সমস্যা সমাধানে তৃণমূল নেতাদের কাটমানি দিতে হয়। সাংসদের (Dev) ভাই বলে আমাকে অনেক জায়গায় তৃণমূল নেতারা নিয়ে গিয়ে কাটমানি নিয়েছে। আমার বাড়ি বেহাল হয়ে রয়েছে। আমফানে বাড়ির প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু, আমি ক্ষতিপূরণের টাকা পাইনি। আবাস যোজনার বাড়ি পাওয়ার জন্য দেবের (Dev) ভাইকে টাকা দেওয়ার খবর জানাজানি হতেই রীতিমতো তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এবার এই ইস্যুকে হাতিয়ার করেই মাঠে নামে বিজেপি। ঘাটাল শহর জুড়ে তারা পোস্টার দিয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    এই বিষয়ে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “দেবের ভাই বলে খবরটা হয়েছে। এরকম হাজার হাজার মানুষের নাম কেটে দেওয়া হয়েছে। কে অধিকার দিয়েছে ওদের? গরিবের কথা কেউ শোনেনি। আমরা নামগুলো খুঁজে খুঁজে দিল্লি পাঠিয়েছি।”

    পোস্টার নিয়ে কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    যদিও বিজেপিকে পাল্টা নিশানা করেছে শাসক দল তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন, খেই হারিয়েছে বিজেপি। দেব (Dev) কুৎসার জবাব না দিয়ে নিশ্চুপ থাকাতেই পোস্টার রাজনীতি করছে বিজেপি। পোস্টার নিয়ে রাজনীতি না করে বিজেপি মাঠে নেমে রাজনীতি করুক। মানুষ কাদের সঙ্গে রয়েছে তা প্রমাণ হয়ে যাবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের কবিতীর্থ স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্যের তালিকায় দণ্ডিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতার নাম। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল বালুরঘাট শহরের ১০টি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিদের নামের তালিকা এসেছে। ওই তালিকাতে তৃণমূল নেতা ও বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের নাম মনোনীত করা হয়েছিল। যা নিয়েও ক্ষোভ ছিল শিক্ষামহলে। এবারে বালুরঘাট ও হিলির ১৫টি স্কুলের পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগীদের নাম এসেছে। ওই কমিটিতে একটি স্কুলে সভাপতি, দুইজন করে শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক, মেডিক্যাল অফিসার, এসআই সহ অনেকেই থাকবে। জেলার ১৫টি স্কুলের পরিচালন সমিতির শিক্ষানুরাগী সদস্যের বেশিরভাগই তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত। তার মধ্যে একটি স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসেবে আনন্দ রায়ের নাম প্রকাশিত হয়েছে। আনন্দ রায় তৃণমূলের যুব নেতা বলেই পরিচিত। সম্প্রতি আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। যদিও সে এখন জামিনে মুক্ত। তাই ওই যুব নেতার নাম ঘিরেই শোরগোল শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর মত একটা বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। তাকে তৃণমূল শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছে। আদিবাসীদের প্রতি এমন নির্যাতনের পরেও তৃণমূলের মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, আনন্দ রায় তৃণমূলের, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির এই তালিকায় তার নাম মাস চারেক আগেই শিক্ষা দফতরে গেছিল। যা সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে। দণ্ডিকাণ্ডে তার নাম আসার পর আমরা এবিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছি। এই নাম পরিবর্তনের জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে আর্জি জানাব। এবিষয়ে তৃণমূল নেতা আনন্দ রায়কে বহুবার ফোন ও মেসেজ করলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

    কী বললেন স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক?

    ওই কবিতীর্থ স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্তু রায় বলেন, কারা এই তালিকায় থাকবে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে এই তালিকায় নাম যুক্ত বা বাতিলের বিষয় আমাদের হাতে নেই। সম্পূর্ণ বিষয় রাজ্য শিক্ষা দফতরের হাতে রয়েছে।

    এনিয়ে স্কুল (School) পরিদর্শকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা দফতর স্কুল (School) পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, রাজ্য থেকে ওই তালিকা এসেছে, সেই তালিকা আমরা স্কুলগুলিকে পাঠিয়েছি। যা করার রাজ্য থেকেই করে। বাকি বিষয়ে জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অথচ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবারই ডিজিকে চিঠি দেবেন বলে নন্দীগ্রামে মন কি বাত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা জানান তিনি।

    রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে যেভাবে প্রতিদিন কালিয়াচক, কালিয়াগঞ্জের মতো ঘটনা ঘটছে, তারই প্রেক্ষিতে আমি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব, তৃণমূলের পার্টি ভোটের জন্য যে পুলিশ মোতায়েন করেছে, তাতে কত টাকা তৃণমূল ট্রেজারিতে দিয়েছে? অভিষেকের সভা থেকে ফেরার পথে গাড়ি উলটে পুলিশ কর্মীরা জখম হয়েছেন। গোটা রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আর রোজ রোজ রাজ্যে সাধারণ মানুষ খুন হচ্ছে। বর্ধমানে এক মাসের মধ্যে তিনজন খুন হয়েছে। রানিগঞ্জে আমাদের দলের নেতা রাজেন্দ্র সাউকে খুন করা হল। আমরা নিরাপত্তা পাই। কিন্তু, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে?

    ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। গত বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) জয়ী করেছিলেন নন্দীগ্রামবাসী। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব ছিল নন্দীগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, প্রায় ১০ হাজার মানুষ মন কি বাত অনুষ্ঠান শুনেছেন। আর মন কি বাতে নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    অভিষেক ব্যানার্জীর নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, অভিষেক ব্যানার্জীকে হরি দাস পাল ব্যানার্জী বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পিসি ছাড়া জিরো! দু হাজার পুলিশ নিয়ে বের হয়। চার কোটি টাকার বাস। আগে বলেছিল না, অমিত শাহজি নাটক করতে খেতে যায়। কালকে কি করছিল ? নাটক করছিল ? কয়লা, বালি খাচ্ছিল?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১১ দিন দিল্লিতে ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। শেষমেশ রাজধানী থেকে ফিরলেন শূন্য হাতেই। সূত্রের খবর, বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুকুল দেখা করার চেষ্টা করলেও, তাঁর সঙ্গে কেউই দেখা করেননি। যদিও কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে মুকুল দাবি করেন, সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। প্রয়োজন পড়লে ফের দিল্লি (Delhi) যাবেন বলেও জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। তবে তাঁর এবারের দিল্লি সফরে কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে জানতে চাইলে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি মুকুল।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ঘরওয়াপসি…

    তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরে পদ্ম চিহ্নে প্রার্থী হন তিনি। বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন মুকুল। বিধানসভা নির্বাচনের পরে পরেই পদ্ম শিবির ছেড়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল ভবনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘরওয়াপসি হয় মুকুলের। পুরস্কার স্বরূপ জুটে যায় পিএসির চেয়ারম্যানের পদ। প্রথা অনুযায়ী যে পদ পাওয়ার কথা বিরোধীদের। এর পরেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানায় বিজেপি।

    গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল (Mukul Roy)। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, মুকুলকে ভুল বুঝিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর মানসিক অবস্থা যে ভাল নয়, সেই ইঙ্গিতও দেন মুকুল-পুত্র। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল দাবি করেন, কেউ তাঁকে জোর করে দিল্লিতে আনেননি। তিনি স্বেচ্ছায় এসেছেন। তাঁর দাবি, তিনি বিজেপিতেই ছিলেন, তৃণমূলে ছিলেন না। দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেই যে তিনি দিল্লি এসেছেন, জানান তাও।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এদিন বিমানবন্দরে নেমে মুকুল (Mukul Roy) ফের বলেন, আমি তো বিজেপিতেই আছি। নিজের ইচ্ছেতেই দিল্লি গিয়েছিলাম। আমার কিছু কাজ ছিল। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ঠিক কার কার সঙ্গে মুকুলের কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এদিন আবারও মুকুল বলেন, আমাকে কেউ জোর করে দিল্লিতে নিয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের পর গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে সমালোচিত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সম্প্রতি শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানান। তাঁর সেই প্রতিবাদের জন্য বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। এনিয়ে শনিবার তিনি শিলিগুড়ি থানায় এফআইআরও করেছেন।

    টুইটারে কী লিখেছিলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    শঙ্করবাবু তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, হীরক রানির রাজ্যে এভাবেই ধর্ষিতা কন্যাদের মৃতদেহ সম্মান পায়। সঙ্গে একটি কার্টুন ছবিও তিনি তুলে ধরেন, যেখানে একজন নির্যাতিতাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা দেখানো হয়েছে। তাঁর এই টুইটারের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শঙ্কর ঘোষকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার পিছনে আমি তৃণমূলের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। কেননা আমাকে গ্রেফতার করে মারার কথা বলা হয়েছে। গ্রেফতার কে করবে? পুলিশ, আর পুলিশ তৃণমূল সরকারের। এছাড়াও যে অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই টুইটার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তৃণমূলের নব জোয়ারের ট্যাগ করা রয়েছে। কাজেই আমাকে মারার ক্ষেত্রে তৃণমূলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সে কারণে আমি পুলিশে এফআইআর করেছি।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের দার্জিলিং(সমতল) জেলা কমিটির মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, তৃণমূল নয়, এ রাজ্যে যাবতীয় অশান্তি পাকাচ্ছেন শঙ্কর বাবু ও তাঁর দল। অপরাধীরা অপরাধ করে এরাজ্যে পার পায় না। শঙ্করবাবু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে পুলিশ যদি কাউকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘নবজোয়ার যাত্রার জোয়ারে তৃণমূলে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হবে’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নবজোয়ার যাত্রার জোয়ারে তৃণমূলে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হবে’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রাই তিহাড় যাত্রার পথ প্রশস্ত করে দেবে তৃণমূল নেতাদের, এমনটাই মত শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বাঁকুড়ায় সাফ জানালেন, নবজোয়ার যাত্রা নয়, এই জোয়ারেই তিহাড় যাত্রা নিশ্চিত হবে। তৃণমূলে আর নবজোয়ার আসবে না বলেও এদিন কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘‘বড় মস্তান ছিল লক্ষ্মণ শেঠ বা কেষ্ট মণ্ডল-রা। দেখেছেন তো কী হাল হল তাদের। এবার তৃণমূলের নবজোয়ার আনতে গিয়ে না এই জোয়ারে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হয়ে যায়।’’

    ইন্দাসের সভায় শেখ হামিদকে পাল্টা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় সভা সমাবেশ করছেন শুভেন্দু। শুক্রবার তিনি হাজির ছিলেন বাঁকুড়াতে। বিকেলে ইন্দাসের শাসপুরে দলের এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই তিনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদকে একহাত নেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলের এক সভায় ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ শুভেন্দুকে ‘ইতিহাস’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তার পাল্টা নিজের দলের কর্মীদের খাতা কলমে তা লিখে রাখার নিদান দেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আর আজ হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা একসময় ঘরছাড়া ছিলেন। তাঁদের তেল, নুন আমি দিতাম। এখন সাধারণ হক যদি বন্ধ করা হয়, বিরোধী দলনেতা হিসাবে আমি তাঁর দায়িত্ব নিলাম।

    চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা বিরোধী দলনেতার

    শুভেন্দু বলেন, জাল ওএমআর শিট সব বেরিয়ে এসেছে। কোনো তথ্য ও প্রমাণের পরিবর্তন হবে না। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কথা দিচ্ছি, হকের চাকরি হবে। তার জন্য লড়াই চলছে, লড়াই চলবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের পতন হবেই, আর যাঁরা রোদ, ঝড়, জল, মাথায় নিয়ে হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের লড়াই বৃথা হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share