Tag: tmc

tmc

  • BJP: ফের অশান্তি ময়নায়! শুভেন্দুর সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    BJP: ফের অশান্তি ময়নায়! শুভেন্দুর সভা সেরে বাড়ি ফেরার পথে আক্রান্ত দুই বিজেপি কর্মী, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের উত্তপ্ত ময়না। বৃহস্পতিবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা শেষ হতেই নতুন করে অশান্তি তৈরি হয়। সভা থেকে বাড়ি ফেরার সময়ে আক্রান্ত হন দুই বিজেপি (BJP) কর্মী। তাঁদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এমনিতেই বিজেপির (BJP) বুথ সভাপতি বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়া খুন হওয়ার পর পরই প্রায় পাঁচ ঘণ্টা রাস্তা অবরোধ করে বিজেপি কর্মীরা অবস্থান বিক্ষোভে সামিল হন। ময়নায় এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ৪মে দলীয় কর্মী খুনের সিবিআই তদন্ত এবং খুনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে ধিক্কার মিছিলের আয়োজন করেছিলেন।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    বৃহস্পতিবার ধিক্কার ও পদযাত্রায় পা মেলান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন গোবরাদন গ্রামের বিজেপি কর্মী তরুন দাস ও ঝন্টু মণ্ডল। সভা শেষ করে বাড়ি ফেরার পথে ওই দু’জন বিজেপি কর্মীকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয় বাসিন্দারা জড়ো হয়ে গেলে দুই বিজেপি (BJP) কর্মীকে রাস্তায় ফেলে চম্পট দেয় অভিযুক্তরা। রক্তাক্ত অবস্থায় জখম দুই বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য তমলুক হাসপাতালে পাঠান স্থানীয় বাসিন্দারা। ঘটনার খবর পেয়ে হাজির হয় এলাকার বিজেপি নেতৃত্ব। স্থানীয় বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা হাসপাতালে গিয়ে জখম কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব?

    ময়নার বিজেপি (BJP) বিধায়ক অশোক দিন্দা বলেন, সভা থেকে ফেরার পথে আমাদের দু’জন কর্মীর ওপর তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। তাদেরকে রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে ও পা ভেঙে দেয়। তৃণমূলের পায়ের তলায় মাটি সরে গিয়েছে। তাই, এভাবে আমাদের কর্মীদের খুন, হামলা চালিয়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের রাজ্য মুখ্যপাত্র তন্ময় ঘোষ বলেন, তৃণমূলের কেউ বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর করেনি। আসলে ওদের দলের কোন্দলের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এখন বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার জন্যই ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। আসলে বিজেপি এসব নাটক করে মানুষের সমর্থন আদায়ের মরিয়া চেষ্টা করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ধরতে হবে ময়নাকাণ্ডের মূল মাস্টার মাইন্ডকে, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ধরতে হবে ময়নাকাণ্ডের মূল মাস্টার মাইন্ডকে, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ময়না-কাণ্ডে প্রথম গ্রেফতারি হয়েছে গতকাল বৃহস্পতিবার। নিহত বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার পরিবারের তরফ থেকে দায়ের করা এফআইআরে ২৬ নম্বরে নাম থাকা, তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য মিলন ভৌমিককে তাঁর মেয়ের বাড়ি থেকে ভোররাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। এ প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মত, অভিযুক্ত যেখানে ৩০ থেকে ৩৫ জন সেখানে ১ জনকে গ্রেফতার করে কিছু হবে না। আসল মাস্টার মাইন্ডকে খুঁজে বের করতে হবে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচিতে বিশৃঙ্খলা চলছেই, কখনও দলীয় ভোটে ব্যালট লুঠ তো কখনও তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ! এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বালুরঘাটের সাংসদ। ছোট চোরেরা বড় চোরের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছে এমনই মন্তব্য করেন তিনি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার তৃণমূলের একাংশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘিরে দলের নেতাদের বিরুদ্ধে চুরি ও দুর্নীতির অভিযোগ এনেছিল।

    আরও পড়ুন: আজ বুদ্ধ পূর্ণিমা, বছরের প্রথম চন্দ্রগ্রহণও! কোন কোন বিধি মেনে চলতে হবে?

    ময়নাকাণ্ড…

    সল্টলেকে দলীয় কার্যালয়ে সুকান্ত এদিন বলেন, ময়নার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ পুলিশ-প্রশাসন। পুলিশ প্রথম থেকেই দুষ্কৃতিদের আড়াল করতে সচেষ্ট বলেও এদিন তোপ দাগেন তিনি। সুকান্তর (Sukanta Majumdar) অভিযোগ, বাকচার দুটো পুলিশ ক্যাম্পই আসলে দুষ্কৃতীদের ঘাঁটি। পুলিশের মদতেই সেখানে তারা মজুত করে রাখে বোমা আর সন্ত্রাস করে এলাকায়।

    অভিষেকের নবজোয়ার প্রসঙ্গ…

    নবজোয়ার কর্মসূচিতে এদিন মালদায় ছিলেন, তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড। সেখানে স্থানীয় বিনোদপুর পঞ্চায়েতে একদল তৃণমূল কর্মী তাঁর গাড়ি আটকে দলেরই পঞ্চায়েত প্রধানের চুরি ও দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়। এ প্রসঙ্গে সুকান্তর কটাক্ষ, ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। তৃণমূলের এমন কেউ আছে নাকি যে চুরি ও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নয়?

    আরও পড়ুুন: লাদেনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন মোদিকে, ভারত সফরে এলেন সেই বিলাওয়াল

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: এবার মালদহ! অভিষেক চলে যেতেই প্রার্থী বাছাই ঘিরে তুুমুল বিশৃঙ্খলা, প্রকাশ্যে কোন্দল

    Abhishek Banerjee: এবার মালদহ! অভিষেক চলে যেতেই প্রার্থী বাছাই ঘিরে তুুমুল বিশৃঙ্খলা, প্রকাশ্যে কোন্দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুরের পর এবার মালদহের ইংরেজবাজার। এই জেলায় নবজোয়ার কর্মসূচির শেষ দিনে ইংরেজবাজারের সুস্থানী এলাকায় ব্যালট পেপার দিয়ে প্রার্থী বাছাই-এর প্রক্রিয়া শুরু হতেই তুমুল বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। পঞ্চায়েতে প্রার্থী বাছাই নিয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। পরে, তাঁরা হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) চলে যাওয়ার পর পরই ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ব্যাপক গণ্ডগোল হয়। এই ঘটনার আগেই বৃহস্পতিবার দুপুরে ইংরেজবাজার থানার বিনোদপুর অঞ্চলের সাতটারি এলাকায় অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘিরে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ এনে এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই প্রার্থী বাছাই নিয়ে গণ্ডগোলের জেরে তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এল।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    এদিন অভিষেক (Abhishek Banerjee) সভা করার পর ইংরেজবাজার ব্লকের সব বুথে প্রার্থী বাছাইয়ের কাজ শুরু হয়। যদিও এই কর্মসূচি শুরু করে দিয়ে অভিষেক (Abhishek Banerjee) চলে যান। জেলা নেতৃত্বের উপস্থিতিতে চলছিল ভোটদান পর্ব। অভিযোগ, ইংরেজবাজার ব্লকের কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের নওদা বাজার এলাকার ৪৬ নম্বর বুথের সভাপতি তাহির মহালদারের নাম বুথ কমিটির তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। জনসংযোগ যাত্রায় ভোট দান করতে গিয়ে অঞ্চল সভাপতি দেখেন লিস্টে বুথ সভাপতির নাম নেই। বিষয়টি জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত তৃণমূল কর্মীরা। ভোটদান প্রক্রিয়া বন্ধ রেখেই দুপক্ষের মধ্যে বচসা চলে। পরে, হাতাহাতি হয়। জেলা নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়। গণ্ডগোলের জেরে এই বুথের প্রার্থী বাছাইয়ের প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীরা?

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মীদের বক্তব্য, নিয়ম মেনে সব কিছু হওয়ার দরকার। এলাকার মানুষ বুথের সভাপতিকে প্রার্থী হিসেবে চেয়েছিলেন। কিন্তু, ভোট দেওয়ার সময় দেখা যায় বুথ সভাপতির নাম তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। আসলে মালদহ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ ষড়যন্ত্র করে এই কাজ করেছে। এরপরই আমরা ক্ষোভে ফেটে পড়ি।

    কী বললেন জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ?

    যদিও এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ প্রতিভা সিংহ। তিনি বলেন, কারও নাম বাদ দেওয়া হয়নি। আর তালিকায় একাধিক নাম থাকতেই পারে। কোনও গণ্ডগোল হয়নি। আসলে যাদের সঙ্গে কোনও মানুষ নেই, তারা এই ধরনের অভিযোগ করছে। এসব করে কোনও লাভ নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    TMC: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত সেই তৃণমূল নেত্রীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল (TMC) নেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে আইনি নোটিশ পাঠাল পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে দেখা করতে বলা হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার সাতদিনের মধ্যে দেখা করতে বলা হয়েছে তাঁকে। এপ্রিল মাসের প্রথমদিকে তিন আদিবাসী মহিলাকে প্রায় ১ কিলোমিটার পথ দণ্ডি কেটে এসে যেভাবে তৃণমূলে (TMC) যোগ দিতে হয়, সেই ঘটনায় প্রদীপ্তার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেই অভিযোগ করেছিল বিরোধীরা। দলও যে বিষয়টি ভালভাবে নেয়নি, তা প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল। দণ্ডিকাণ্ডের প্রায় এক মাস পর পুলিশি প্রক্রিয়ায় যুক্ত হতে চলেছেন অভিযুক্ত এই নেত্রী। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন আদিবাসী মহিলার গোপন জবানবন্দি নেওয়া হয়। এরপর দণ্ডিকাণ্ডে দু’জনকে গ্রেফতারও করা হয়। পরবর্তীতে ভিডিয়ো ফুটেজ সংগ্রহ করে চলে তদন্ত। এবার আরও কিছুটা বিপাকে পড়লেন তিনি। দলীয় পদ খোয়ানোর পর এবার আইনি নোটিশ পাঠানো হল তাঁকে। ভিডিয়ো ফুটেজের ভিত্তিতে এই আইনি নোটিস পাঠাল পুলিশ। বৃহস্পতিবারই পুলিশের তরফে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে বলে সূত্রের খবর। যদিও এনিয়ে জেলা পুলিশ সুপার রাহুল দে বলেন, বিচারাধীন বিষয় হওয়ায় এনিয়ে আমি কোনও মন্তব্য করব না।

    কী বললেন তৃণমূলের (TMC) জেলা নেতৃত্ব?

    সম্প্রতি দক্ষিণ দিনাজপুরে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে দণ্ডিকাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে বালুরঘাট পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, আগেই তৃণমূলের (TMC) দক্ষিণ দিনাজপুর সাংগঠনিক জেলার মহিলা সভানেত্রী পদ খোয়ান তিনি। পুলিশি নোটিশ পাঠানো নিয়ে তৃণমূলের (TMC) জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, এটাই তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিন পুলিশ আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে। পুলিশ ভাল ভাবে কাজ করছে। দলকে সাধুবাদ জানাবো। আগামী দিনও দলের ঊর্ধ্বে গেলে পরে তাঁর বিরুদ্ধে এমনই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    কী বললেন বিজেপি-র জেলা নেতৃত্ব

    এনিয়ে সরব হয়েছেন বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র আইনি নোটিশ পাঠানো নয়, অভিযুক্তকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে। পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে এসসি-এসটি আইন লাগু করতে হবে। তৃণমূল (TMC) নেতার নির্দেশ ছাড়া পুলিশ কোন কাজ করে না, সেটা আবারও প্রমাণিত হল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা, কী মিলল?

    CBI: অভিষেক ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে সিবিআই হানা, কী মিলল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের বাড়িতে বৃহস্পতিবার সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা অভিযান চালান। জয়দীপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ নেতা হিসেবে পরিচিত। টানা প্রায় ৬ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে চলে তল্লাশি। জানা গিয়েছে, সকাল ন’টায় ওই নেতার বাড়িতে আসে সিবিআই (CBI)। বিকেল তিনটে নাগাদ তাঁরা বেরিয়ে যান। তবে, সংবাদমাধ্যমের সামনে তাঁরা কোনও কথা বলতে চাননি।

    কী বললেন তৃণমূলের কাউন্সিলর?

    সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা চলে যাওয়ার পর জয়দীপ দাস বলেন, ঘুম থেকে উঠেই দেখি বাড়িতে সিবিআই (CBI) এসেছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত সূত্র ধরেই তারা এদিন আমার বাড়িতে এসেছিল। আসলে তৃণমূল করি বলেই এসব হচ্ছে। আমি সমস্তরকমভাবে তাদের সহযোগিতা করেছি। আমার বাড়িতে এবং অফিসে ওরা তল্লাশি চালায়। সমস্ত কাগজপত্র খতিয়ে দেখেন। আমার দুটি ফোন আর আমার স্ত্রীর একটি ফোন তারা খতিয়ে দেখেছে। আর বাড়ি থেকে দুটি কাগজ নিয়ে গিয়েছে। তাতে পাড়ার দুজনের বায়োডেটা ছিল। এর বেশি কিছু তারা নিয়ে যায়নি।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের বাড়িতে সিবিআই (CBI) হানা

    অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সকালে নিউ বারাকপুরের দক্ষিণ মাসুন্দার জগদীশ বসু রোডে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের বাড়িতেও সিবিআই (CBI) হানা হয়। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআইয়ের এই হানা বলে এই সূত্রে জানা গিয়েছে। সিবিআই বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালানোর সময় সুকান্তবাবু বাড়িতেই ছিলেন। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে সুপারিশ নথি সহ বিভিন্ন কাগজপত্র সিবিআই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখেন। সকাল থেকে তাঁকে ম্যারাথন জেরা করা হয়। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর আড়াইটে পর্যন্ত সিবিআই তল্লাশি চালায়। তাঁর আয়-ব্যয়ের হিসাব সম্পত্তির পরিমাণ সহ একাধিক বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির অন্যতম সদস্য সুকান্ত আচার্যকে। এর আগেও দুর্নীতিকাণ্ডে নিজাম প্যালেসে ইডি হেফাজতে একাধিকবার জেরা করা হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের প্রাক্তন এই আপ্ত সহায়ককে। সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা সুকান্তবাবুর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে চলে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সামনে কোনও কিছু বলতে চাননি। সুকান্তবাবুর পরিবারের এক সদস্য বলেন, সিবিআইকে (CBI) সবরকম সহযোগিতা করা হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, কেন জানেন?

    Abhishek Banerjee: অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ গ্রামবাসীদের, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নবজোয়ার যাত্রায় উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলায় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় ব্যালট ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এমনকী যুবরাজের সামনেও ব্যালট লুঠ হওয়ার সাক্ষী রয়েছেন উত্তরবঙ্গবাসী। তার জের কাটতে না কাটতেই এবার গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন অভিষেক। তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান এবং ব্লক সভাপতির বিরুদ্ধে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ তুলে অভিষেকের কনভয় আটকে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। কনভয় থেকে নেমে দলীয় নেতাদের অপকর্মের কথা যুবরাজকে হজম করতে হল। বৃহস্পতিবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে ইংলিশবাজার থানার বিনোদপুর অঞ্চলের সাতটারি এলাকায়। মুখ্যমন্ত্রীর মালদা সফরের মধ্যেই অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    কেন অভিষেকের (Abhishek Banerjee) কনভয় ঘিরে বিক্ষোভ?

    বৃহস্পতিবার মোথাবাড়িতে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) সভা ছিল। এদিন দুপুরে ইংলিশবাজার ব্লকের সাতটারি এলাকা দিয়ে তাঁর কনভয় মোথাবাড়ির জনসভার উদ্দেশে যাচ্ছিল। ঠিক সেই সময় সাতটারি এলাকায় অভিষেকের কনভয় আটকে এলাকাবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে অভিষেক (Abhishek Banerjee) গাড়ি থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। কী কারণে তাঁরা রাস্তায় নেমে এভাবে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তা তিনি জানতে চান। মূলত জেলা পরিষদের সদস্যা, ব্লক তৃণমূলের সভাপতি, পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে, এই অভিযোগ তুলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অভিষেকের কাছে বিক্ষোভকারীরা দরবার করেন।

    কী বললেন বিক্ষোভকারীরা?

    এলাকাবাসী বিক্ষোভ দেখানোর সময় অভিষেক (Abhishek Banerjee) এক গ্রামবাসীর সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন। পরে, অভিষেক চলে যাওয়ার পর ওই গ্রামবাসী জানান, ১০০ দিনের কাজে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের প্রধান, উপপ্রধান, অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি এর সঙ্গে জড়িত। জেলা পরিষদের সদস্যা প্রতিভা সিংহ এলাকায় এসে আমাদের পুলিশের ভয় দেখিয়ে মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। এলাকায় ৬ কোটি টাকার কাজ হয়েছে। এলাকাবাসী কাজ করেও কোনও টাকা পাননি। এলাকায় কোনও উন্নয়ন হচ্ছে না। প্রতিভা সিংহ সহ সব পঞ্চায়েতের পদাধিকারীদের এবার টিকিট দেওয়া যাবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সব কিছু শুনে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National SC Commission: “পুলিশের নেতৃত্বেই খুন”! ময়নায় বিস্ফোরক জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান

    National SC Commission: “পুলিশের নেতৃত্বেই খুন”! ময়নায় বিস্ফোরক জাতীয় এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নায় পরিদর্শনে এসে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন জাতীয় এসসি কমিশনের (National SC Commission) ভাইস চেয়ারম্যান অরুণ হালদার। উল্লেখ্য বিজেপি কর্মী বিজয়কৃষ্ণ ভুঁইয়ার খুনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখানকার পরিস্থিতি এখনও উত্তপ্ত। হাইকোর্ট ইতিমধ্যেই মৃতদেহের দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। বিজেপির নেতৃত্বে এখানে পালিত হয়েছে বনধ। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীও রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এরকম একটা প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার সেখানে পৌঁছন এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান। 

    কী বললেন এসসি কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান?

    এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছেই জেলার ডিএম এবং এসপিকে না দেখতে পেয়ে ক্ষোভ উগরে দেন তিনি। সেখানে তখন উপস্থিত ছিলেন ময়না থানার ওসি। তাঁকে ধমক দিয়ে তিনি (National SC Commission) বলেন, আগে থেকেই আমি খবর দিয়েছিলাম এবং এসপিকে ঘটনাস্থলে থাকতে বলেছিলাম। কিন্তু উনি আসেননি। এরকম একটা ঘটনায় উনারা কেন এলেন না? সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, সবার সঙ্গে কথা বলার পর একটা জিনিস পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে যে, পুলিশের নেতৃত্বেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে। তিনি বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, এরকম একটি মর্মান্তিক ঘটনায় আমি দিল্লি থেকে ছুটে আসতে পারলাম, অথচ জেলার এসপি নিজে না এসে পাঠিয়ে দিলেন থানার আইসিকে। পুলিশ এভাবে যে তাঁকে কার্যত অপমান করেছে, সে কোথাও তিনি জানিয়ে দেন। তাঁর আশঙ্কা, কালিয়াগঞ্জের মতো এখানেও পুলিশ কোনও কিছু গোপন করতে চাইছে।

    একই অভিজ্ঞতা হয়েছিল কালিয়াগঞ্জেও

    উল্লেখ্য কালিয়াগঞ্জের ঘটনাতেও দিল্লি থেকে ছুটে এসেছিলেন অরুণ হালদার। তখনও তাঁকে একই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তারপরে তিনি (National SC Commission) ক্ষুব্ধ হয়ে জেলাশাসক এবং পুলিশ সুপারকে দিল্লিতে হাজির হওয়ার জন্য নোটিশ পাঠান। ময়নার ঘটনাতেও তিনি একাধিক প্রশ্ন তোলেন। তাঁর অভিযোগ, নিহত বিজেপি কর্মীর দেহ উদ্ধারের পর আনুষঙ্গিক তথ্যপ্রমাণ রেখে দেওয়ার জন্য পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকী দেহ উদ্ধারের পর খবর দেওয়া হয়নি তাঁর পরিবারের লোকজনকেও। এদিনের ঘটনার পরও তিনি পুলিশ-প্রশাসনের আধিকারিকদের দিল্লিতে তলব করবেন বলে জানিয়ে দেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?  

    Partha Chatterjee: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ একাধিক নেতা, আমলার বাড়িতে তল্লাশি সিবিআইয়ের, কেন জানেন?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সংবাদের শিরোনামে কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বৃহস্পতিবার তাঁর দুটি বাড়িতে হানা দিল সিবিআই (CBI)। সিবিআইয়ের অন্য একটি দল তল্লাশি অভিযান চালায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত বেহালার ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তৃণমূলের (TMC) পার্থ সরকার ওরফে ভজার বাড়িতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, দুজনের বাড়িতেই নিয়োগ কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত মামলার তদন্তের রেশ ধরেই চালানো হয়েছে তল্লাশি অভিযান।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) ‘ঘনিষ্ঠ’ আমলার বাড়িতেও হানা…

    এর পাশাপাশি সন্তু গঙ্গোপাধ্যায় নামে বেহালার এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। বারাকপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়দীপ দাসের বাড়িতেও চলছে তল্লাশি। সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে নিউটাউনের একটি ফ্ল্যাটেও। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক সুকান্ত আচার্যের বাড়িতেও হানা দিয়েছে সিবিআই। তিনি সরকারি আমলা। পার্থর দফতরে স্পেশাল ডিউটি অফিসার হিসেবেও নিযুক্ত ছিলেন। তাঁর বাড়ি নিউ বারাকপুরের জগদীশচন্দ্র রোডে। বৃহস্পতিবার সেখানেই হানা দেন সিবিআইয়ের আধিকারিকরা।

    সিবিআইয়ের এই হানার আগে ইডি অভিযান চালিয়েছিল সুকান্তর বাড়িতে। একাধিকবার ইডির তলব পেয়ে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে এবং সিবিআইয়ের ডাকে নিজাম প্যালেসে হাজিরা দিয়েছেন তিনি। এবার তাঁর বাড়িতেই অভিযান চালাল সিবিআই। পার্থকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নয়া তথ্য হাতে এসেছে সিবিআইয়ের। তার পরেই হানা সুকান্তর বাড়িতে। এদিন সকালে সিবিআই একযোগে অভিযান চালায় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। একটি দল যায় কালীঘাটের কাকুর বাড়িতে। এই কালীঘাটের কাকুর কথা প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত তাপস মণ্ডল।

    আরও পড়ুুন: এবার শুভেন্দুর দুটি মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি মান্থা

    এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) ঘনিষ্ঠ ভজার বাড়িতেও হানা দেয় সিবিআই। তদন্ত চলাকালীন একাধিকবার উঠে এসেছে এই তৃণমূল নেতার নাম। লোকনাথ আবাসনে তাঁর একটি ফ্ল্যাটেও এদিন সকাল থেকে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় প্রাক্তন তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চার্জশিট পেশ করে ইডি। ওই চার্জশিটে নাম ছিল আমলা সুকান্তের। নাম ছিল শিক্ষাসচিব, আইএএস মণীশ জৈনেরও। চার্জশিটে ইডির অভিযোগ, শিক্ষাক্ষেত্রে পাকা চাকরির আশ্বাস দিয়ে অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদাভাবে ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা করা হত। আর সেটা করা হত শুধু টাকা নেওয়ার জন্য। ইডির আরও অভিযোগ, মূলত পার্থর নির্দেশেই সেই ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করতেন মণীশ, সুকান্তর মতো আধিকারিকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • IPL Ticket: আইপিএল-এর টিকিট জাল করার অভিযোগে ধৃত নদিয়ার তৃণমূল নেতা

    IPL Ticket: আইপিএল-এর টিকিট জাল করার অভিযোগে ধৃত নদিয়ার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার, কয়লা পাচার, নিয়োগ দুর্নীতির পর এবার আইপিএলের টিকিট (IPL Ticket) জাল করার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। আর এই টিকিট জাল করেই সে লক্ষাধিক টাকা কামিয়েছে। ইতিমধ্যেই কলকাতার ময়দান থানায় তার বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়েছে। তদন্তে নেমে কলকাতা পুলিশের গুন্ডা দমন শাখা অভিযান চালিয়ে ওই তৃণমূলের ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম বিক্রম সাহা। তার বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর এলাকায়। তাহেরপুর থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    গত ২৩ এপ্রিল ইডেন গার্ডেন্সে কলকাতা নাইট রাইডার্স বনাম মহেন্দ্র সিং ধোনির চেন্নাই সুপার কিংসের খেলা ছিল, যা নিয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বাস ছিল শহরবাসীর মধ্যে। ইডেনে আইপিএলের টিকিট (IPL Ticket) নিয়ে হাহাকার তৈরি হয়। মাঠে বল গড়ানোর আগেই শেষ হয়ে যায় একের পর এক ম্যাচের টিকিট। ওই ম্যাচে টিকিটের (IPL Ticket) চাহিদা ছিল তুঙ্গে। আবার ম্যাচের অনলাইন টিকিট কাটতেও সমস্যা হচ্ছিল। সেই সুযোগে আইপিএল টিকিটের (IPL Ticket) মতো হুবহু নকল টিকিট তৈরি করে মোটা টাকায় বিক্রম তা বিক্রি করেন বলে অভিযোগ। শুধু টিকিট বিক্রি করেই তিনি লক্ষাধিক টাকা কামিয়েছেন। টিকিট নিয়ে মাঠে খেলা দেখতে গিয়ে জাল টিকিটের বিষয়টি জানাজানি হয়। প্রতারিত হয়ে অনেকে ময়দান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সেই মতো পুলিশ অভিযুক্তের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে তাঁকে পাকড়াও করে।

    কে এই বিক্রম?

    স্থানীয় সূত্রে খবর, বিক্রম তাহেরপুর শহর টিএমসিপি-র প্রাক্তন সভাপতি। পরে রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলেন। বর্তমানে কোনও পদে না থাকলেও দল ছাড়েননি তিনি। এলাকায় তিনি তৃণমূলের ছাত্র নেতা হিসেবেই পরিচিত। এই বিষয়ে তৃণমূলের রানাঘাট জেলার সভাপতি দেবাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, আইন আইনের পথে চলবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি-র স্থানীয় নেতা অমলেন্দু ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘এর-ওর কাছে তৃণমূলের ওই ছাত্র নেতা টাকা নিলেও তা ফেরত দিত না। এক সময় সে ফ্লেক্স তৈরির ব্যবসা করত। আগাম টাকা নিয়েও নির্দিষ্ট সময়ে ফ্লেক্স সে দিতে পারত না। প্রতারণা করার বিষয়টি অনেক আগেই সে শিখেছিল। তাই, ওর নামে এতবড় অভিযোগ শুনে আমি অবাক হয়নি।’’ বিজেপির রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, ‘‘বালি, কয়লার পর এখন টিকিটও (IPL Ticket) চুরি করছে তৃণমূল। আর কী বাকি থাকল। এই দলটা কতটা দুর্নীতিগ্রস্ত তা এই সব নেতাদের দেখলেই বোঝা যায়।’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গেও লড়াই করব”! ময়না-কাণ্ডে সরব সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: “সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গেও লড়াই করব”! ময়না-কাণ্ডে সরব সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে গণতন্ত্র ফেরাতে, ও সংবিধান প্রতিষ্ঠা করতে প্রয়োজনে পুলিশের সঙ্গেও লড়াই করতে প্রস্তুত, বলে জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। ময়নায় বিজেপি নেতা খুনের ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে সরব হলেন সুকান্ত। তিনি বলেন, “পুলিশের অপদার্থতার কারণেই এই খুন হয়েছে। এই সব কিছুর পর পুলিশ হামলার শিকার হলে আমাদের দায়ী করতে পারবেন না।”

    নিষ্ক্রিয় পুলিশ

    ময়নায় নিহত কর্মীর বাড়িতেও গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দলের তরফে নিহত নেতার পরিবারের হাতে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন সুকান্ত। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের একজন বুথ সভাপতি, বড় মাপের কর্মীকে হারালাম। আমরা লড়াই ছাড়ছি না। সৌমেন মহাপাত্র, সংগ্রাম দলুই, যেই হোক না কেন, এখান থেকে বিজেপির পতাকা নামাতে পারবেন না। আমরা একজনকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিলাম। তাকেও গ্রেফতার দেখানো হয়নি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে জানাব, এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার জন্য।’’ সুকান্ত আরও বলেন, “পুলিশ চাইলে তিন মিনিটে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই কর্মীকে বাঁচাতে পারতো। কিন্তু পুলিশ যায়নি।”

    আরও পড়ুন: ‘‘সিআরপিসি, আইপিসি-র অপব্যবহার রুখতে কঠোর পদক্ষেপ করতে চলেছে কেন্দ্র’’! দাবি শুভেন্দুর

    ভাইপো বাঁচাও কর্মসূচি

    অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “তৃণমূল ভাইপো বাঁচাও কর্মসূচি নিয়েছে! তবে ভাইপো বাঁচবেন কি না সন্দেহ আছে! কেননা পুরো কেস জমে ক্ষীর হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বাঁচার সম্ভাবনা নেই। এবার তাঁকে শাস্তি পেতে হবে।” বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় একা পারছেন না নবজোয়ার কর্মসূচি সামলাতে। তাই তিনি আরেকজনকে ডেকে নিয়েছেন। আসলে যুবরাজের এত বাইরে ঘোরার অভ্যাস নেই তো! তৃণমূলে জোয়ার কোথায়, এখন তো ভাটা দেখতে পাচ্ছি।” সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না নবজোয়ার কর্মসূচিকে। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ময়দানে নামতে হচ্ছে। তিনি বলেন, যাঁরা ব্যালট লুঠ করছেন, তাঁরা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিষ্য।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share