Tag: tmc

tmc

  • Partha Chatterjee: নেই আংটি, সুতোর তাগা, অতীতের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে পার্থর আঙুল, হাত  

    Partha Chatterjee: নেই আংটি, সুতোর তাগা, অতীতের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে পার্থর আঙুল, হাত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত রক্ষাকবচ হিসেবে হাতে ছিল দুটি আংটি। খুলে ফেলতে হয়েছে তাও। সোমবার শূন্য হাতেই দেখা গেল তৃণমূলের (TMC) সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। অথচ প্রেসিডেন্সি জেলে আসার আগে পর্যন্ত পার্থের হাতের দশ আঙুলে ছিল অন্তত ৮টি আংটি। সেগুলির সিংহভাগই সোনায় বাঁধানো কোনও না কোনও মূল্যবান পাথরের। বাকি পাথরগুলি রূপোয় মোড়ানো। সম্প্রতি সেই আংটির সংখ্যা কমে হয়েছিল দুই।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)…

    সোমবার দেখা গেল পার্থর হাতে শোভাবর্ধনকারী সেই আংটি দুটিও নেই। হাতে আংটি থাকায় গত সপ্তাহেই বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন পার্থ। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির সময় সেগুলি নজরে পড়ে বিচারকের। তার পরেই তাঁকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। সেই সময় বিচারককে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর হাতে যে দুটি আংটি রয়েছে, সেগুলি শারীরিক সুস্থতার কারক। তাই তিনি পরে রয়েছেন। আংটি নিয়ে ইডির আইনজীবী পার্থকে প্রভাবশালী বলে কটাক্ষ করেন। তার পরেই সে দুটি খুলে ফেলেন তৃণমূল নেতা পার্থ। তার পর এদিনই প্রথম পার্থকে দেখা গেল আংটিবিহীন অবস্থায়।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে (Partha Chatterjee)। পরে তাঁকে পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। এখনও রয়েছেন সেখানেই। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্থর ‘কপাল’ যত খুলেছে, ততই আঙুল হয়েছে রত্নখচিত। বাঁ হাতে ছিল কালো ব্যান্ডের দামি ঘড়ি। ডান হাতে নানা রংয়ের সুতোর তাগা। গ্রেফতার হওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার পার্থকে দেখা গিয়েছে ঘড়ি-আংটি-তাগা শোভিত হয়ে। সময় যত গড়িয়েছে, ততই পুড়েছে পার্থর কপাল। একে একে খুইয়েছেন ঘড়ি, তাগা, আংটি… সব।

    আরও পড়ুুন: তন্ত্রসাধনায় নিজের ভাইঝিকে নরবলি দেওয়ার চেষ্টা! তারাপীঠে গ্রেফতার মহিলা সন্ন্যাসী

    এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা ছিল পার্থর (Partha Chatterjee)। এসেওছিলেন। তখনই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পার্থদা, আংটি পরলেই প্রভাবশালী?  জবাবে কোনও কথা বলেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কেবলই মৃদু হেসেছেন। নেড়েছেন আংটিবিহীন শূন্য হাত। যে হাতের আট আঙুলে তখনও রয়ে গিয়েছে আংটি পরার দাগ, অতীতের স্মৃতি চিহ্ন হয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ আসলে শাসকের দলদাস! বিরোধীদের এই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল খোদ তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব! এগরায় যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে উঠে এল সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে যুব তৃণমূলের ওই তালিকা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। এগরা-২ এর বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডাকে এগরা থানার পুলিশ আধিকারিক ফোনে ধমক ও গ্রেফতার করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর সেই ফোনালাপের অডিও ( ফোনালাপের অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম) ভাইরাল হতেই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্র ১৭ জনের কমিটির নাম প্রকাশ করেন। তাতেই ১৬ নম্বরে রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির নাম। তারপরেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও বিষয়টি জানতে বিজেপি-র (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডা এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন। ফোনে আইসি বলেন,আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন? ভবিষ্যতে আপনি সতর্ক থাকবেন। বক্তব্য থাকলে থানায় এসে বলবেন। আপনি আপনার মতো রাজনীতি করুন, এইভাবে প্রশ্ন করতে পারেন না। পরবর্তী দিনে কোনও ফল্ট পেলে আপনাকে গ্রেফতার করে নেব তিনি হুমকি দেন।

    যুব তৃণমূল কমিটিতে নাম নিয়ে কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?

    যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটিতে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির দাবি, ‘‘বিষয়টি আমারও জানা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই দেখলাম, আমার নাম ও মোবাইল নম্বর রয়েছে। আমার নাম দলীয় কমিটিতে রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। সেই নাম বাতিল করা হয়েছে বলে শুনেছি।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্রের সাফাই, ‘‘যুব তৃণমূল কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। আসলে বুথ কমিটি থেকে নাম এসেছিল, সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরে ভুল বুঝতে পেরে আমরা শুধরে নিচ্ছি৷ ’’পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, প্রশাসনের কাজ নিরপেক্ষভাবে হওয়া দরকার। পুলিশকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কর্মরত অবস্থায় সক্রিয় রাজনীতি করা উচিত নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এমন পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের বড় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপি-র (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেন, “রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ার আসলে যে তৃণমূলেরই ক্যাডার, সেটা এঘটনা থেকে স্পষ্ট। এদেরকে দিয়েই পঞ্চায়েতে ভোটের নামে প্রহসনের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “নিন্দনীয় কাজ। আমরা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এগরা থানার আইসি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছে। তাপস সাহাকে সিবিআই জেরা করেছে। যদিও সিবিআই ফিরে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়। এই প্রসঙ্গে রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে এসে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুর্নীতিতে শুধু তাপস সাহাই নয় তৃণমূলের এমন কোনও বিধায়ক নেই যে নিজের প্যাডে লিখে চাকরির জন্য সুপারিশ করেননি। আজ না হয় কাল সেই চিঠি সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছাবে। সমস্ত চিঠি নিয়ে ১৪ তলায় একটি কম্পিউটারে কমপাইলেশন করা হয়েছিল। আমরা সেই নামটাও জানি। রাজনীতির যারা খবর রাখেন, তাঁরাও সেই নামটা জানেন। এই মাথারাও ধরা পড়বে। আর সিবিআই চলে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মাংস ভাত খাওয়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাগল বলি হওয়ার আগে প্রচুর শাকপাতা খায়। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের যাত্রায় বাঁচবেন কিনা গ্যারান্টি নেই। সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে, এই বুঝি সিবিআই খপাৎ করে ধরল। এই ভয়ে ভয়ে থাকুন কিছুদিন।

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রাকে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে, উত্তরপাড়া পার্টি অফিসেও তিনি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিষেকের আগামী জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, নজর ঘোরানো তো বটেই, তার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয়, বাংলার জনগণকে তিনি চেনেনও না, জানেনও না। প্যারাসুট নিয়ে নেমেছেন। বাংলার মাটি কি, কোনওদিন দেখেননি। গ্রামেও যাননি, এখন যাচ্ছেন। এই জনসংযোগ যাত্রায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাস ভাড়া হবে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্যান্ডেল হবে, তাঁবু হবে। ফাইভ স্টার তাঁবু হবে। তাঁর এইসব কর্মকান্ড দেখে লিবিয়ার বেদুইন নেতা মহম্মদ গদ্দাফির কথা মনে পড়ছে। গদ্দাফি একসময় এরকম তাঁবু করে গ্রামে গঞ্জে থাকতেন। কারণ, তিনি হোটেলে থাকতে পারতেন না, যেহেতু বেদুইন ছিলেন। যাক নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে বাংলায়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: তাপস সাহা ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে সিবিআই! জানেন কে তিনি?

    SSC Scam: তাপস সাহা ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে সিবিআই! জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। শনিবার সকালে তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একটি দল। সূত্রের খবর, ইতি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। আজ, শনিবার সকালেই আসতুল্লানগরে ওই তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই গোয়েন্দারা। ইতি তৃণমূল কংগ্রেসের তেহট্ট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি। এদিন সিবিআই টিম তাপসের বাড়ি থেকে চলে যায় তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়িতে। প্রবীরের হাওড়ার বাড়িতে শুক্রবার গিয়েছিল সিবিআই। শনিবার যায় তেহট্টের বাড়িতে। তারপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি যায় ইতি সরকারের বাড়িতে।

    কে এই ইতি

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ইতি সরকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেসের তেহট্ট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি। স্থানীয় একটি স্কুলে চাকরি করেন।  সরকারি ওই স্কুলের পোশাক সরবরাহ এবং পোশাক তৈরির কাজের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এই এতকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকার জন্যই সিবিআইয়ের নজর পড়েছে নেত্রীর উপর। তাই তাঁর বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ বলেই ইতি সরকারের বাড়িতে তল্লাশি করতে যান সিবিআই অফিসাররা। এখান থেকে কোনও লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায় কিনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রির টাকার অঙ্ক কত জানাল ইডি! পার্থ-অর্পিতা-মানিকের সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ আদালতে

    সূত্রের খবর, তদন্তে একাধিকবার উঠে এসেছে তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের নাম। সিবিআইয়ের দাবি, ইতি একাই ১৩টি সরকারি স্কুলে ইউনিফর্ম বিলির বরাত পান, একইসঙ্গে ওই স্কুলগুলিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণও দিতেন ইতি। তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারকে সরকারি স্কুলে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে সিবিআই। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পারিবারিক অনুষ্ঠান হলে ইতির বাড়িতে আসতেন বিধায়ক তাপস সাহা। প্রবীর কয়ালের বাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এখন দেখার ইতির বাড়িতে তল্লাশিতে কখন ইতি টানে এজেন্সি। শনিবার তাপসের পুত্র সাগ্নিককেও বেঙ্গালুরুতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই-এর একটি দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam:  ‘দল পাশে নেই, তবে লড়াই ছাড়ব না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’! বিস্ফোরক তাপস সাহা

    SSC Scam: ‘দল পাশে নেই, তবে লড়াই ছাড়ব না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’! বিস্ফোরক তাপস সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসা সিবিআই আধিকারিকরাও না কি তাঁকে এমনটা বলেছেন, দাবি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হলেও তিনি দল ছাড়বেন না। মোকাবিলা করবেন রাজনৈতিক ভাবে।

    রাজনৈতিক চক্রান্ত

    শুক্রবার বিকেল থেকে বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি অভিযান। একটানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে তৃণমূল বিধায়কের। বাড়ি থেকে কার্যালয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাতভর তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার সকালে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। নথি সংগ্রহের জন্য বিধায়কের বাড়িতে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তল্লাশি শেষে তাপস সাহার অভিযোগ,‘আমি চক্রান্তের শিকার’, কার চক্রান্ত? তাপস বলেন, ‘বিজেপিও চক্রান্ত করেছে, তৃণমূলও করেছে। আমি লড়াই করা মানুষ। দল ছাড়ব না। এটাকেই তো রাজনীতি বলে। যাঁরা চক্রান্ত করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।’ দলের কেউ কেউ যে তাঁর নাম বলেছেন, সে কথা নাকি শোনা গিয়েছে সিবিআই-এর মুখেও। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। দলের কোনও নেতা কথাও বলেননি তাঁর সঙ্গে।  

    তদন্তে সহযোগিতা

    তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। প্রয়োজনে যা জানতে চাইবেন তাই বলব।’ তবে তাঁর দু’টি ফোন এবং তাঁর ছেলের কিছু নথি সিবিআই আধিকারিকরা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন বলেও তাপস জানিয়েছেন। নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর স্কুলশিক্ষিকা ভাইঝিরও কিছু নথি। সেই প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘‘আমি সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করেছি সিবিআইকে। আমার দু’টো ফোন নিয়ে গিয়েছে। আমার ছেলের কাগজ নিয়ে গিয়েছে। আমার মেজ দাদার মেয়ের নথি নিয়ে গিয়েছে। আমার মেজ দাদার মেয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ! সকালে তাপসের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই

    দল প্রসঙ্গে তাঁর মত,’রাজ্যের নেতারা নামেই নেতা। মমতা-অভিষেক ছাড়া কাউকে বলে লাভ হয় না। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বকে বলে লাভ হয় না। মমতা-অভিষেকের কাছে চিঠি পাঠালেও পৌঁছয় না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দুর্নীতি করেননি। মানিক ভট্টাচার্য করেছেন। দলের পরিস্থিতি ভালো না। ৪ বছরে টিনা সাহা ৪০ কোটির মালিক হয়েছেন।’ এমনকি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক এও বলেন যে, ‘মানুষের সবসময় দিন সমান যায় না। টাকা পয়সা ধার করতে হয়। আমিও করেছি। সবার শোধ করতে পারিনি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে এবার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    Recruitment Scam: নিয়োগকাণ্ডে এবার তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) তদন্তে এবার সিবিআই (CBI) হানা আরও এক তৃণমূল (TMC) নেতার বাড়িতে। শুক্রবার দুপুরে সিবিআই হানা দেয় নদিয়ার তেহট্টে বিধায়ক তৃণমূলের তাপস সাহার বাড়িতে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা তাঁর মোবাইল ফোনটি জলে ফেলে দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা আসছেন শুনে। তাপসও যাতে সেই একই কাজ করতে না পারেন, তাই প্রথমেই তাঁর মোবাইল ফোনটি সিজ করেন তদন্তাকারীরা। নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় ১৮ এপ্রিল তাপসের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তার জেরে এদিনই তাঁর বাড়িতে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারির (Recruitment Scam) তদন্তে সিবিআই…

    এদিন দুপুরে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ঘিরে ফেলেন তাপসের বাড়ি। তার পরেই বাড়িতে ঢোকেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই সময় বাড়িতেই ছিলেন বিধায়ক। তদন্তকারীরা ভিতরে ঢোকার পরেই বন্ধ করে দেওয়া হয় মূল ফটক। বিধায়কের কার্যালয়ে মোতায়েন করা হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই কার্যালয়ের বিভিন্ন জিনিস দেখেন তদন্তকারীরা। চাকরি (Recruitment Scam) দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূল নেতা তাপস সাহার বিরুদ্ধেও। বিভিন্ন সরকারি দফতরে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি প্রায় ১৬ কোটি টাকা তোলেন বলে অভিযোগ। তদন্ত শুরু করে সিআইডি। পরে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশে সিবিআই তদন্ত শুরু করে তাপসের বিরুদ্ধেও। এদিন তাপসের বাড়িতে যান সিবিআইয়ের ১২জন আধিকারিক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন একজন ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকও।

    আরও পড়ুুন: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    তাপসের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ তুলে চিঠি লেখা হয়েছিল তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মোট তিনটি চিঠি লেখা হয়েছিল। এর একটি পলাশিপাড়া বিধানসভা কেন্দ্র থেকে, একটি তেহট্ট থেকে, আর একটি করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে। আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পর তাপস বলেছিলেন, স্বাভাবিক ও প্রত্যাশিত। তিনি বলেন, আমাদের একটাই অপরাধ যে, আমরা তৃণমূল করি। তিনি বলেছিলেন, আমার দলের দু একজন বিজেপির সঙ্গে যৌথভাবে চক্রান্ত  করে এটা করেছে। আমি তদন্তে সবরকম সহযোগিতা করব।

    এদিন বিধায়ক বলেন, আমার কাছে যা জানতে চাইবে আমি সব বলব। তদন্ত চলছে চলুক, তাতে আমার কোনও আপত্তি নেই। সব রকম সহযোগিতা করছি, করব। প্রসঙ্গত, গত শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে হানা দিয়েছিল সিবিআই। সোমবার গ্রেফতার হন তিনি। আজ, শুক্রবার তাপসের বাড়িতে গেল সিবিআই। এবার কি তাহলে তাপসের পালা?

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Recruitment Scam: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    Recruitment Scam: পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতিতেও এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে সিবিআই। শুক্রবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজন মনে করলে নতুন এফআইআর দায়ের করে তদন্ত করতে পারবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতির। তিনি জানান, চাইলে অয়ন শীলের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া নথির ভিত্তিতে পুরসভা নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ২৮ এপ্রিল এই সংক্রান্ত প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করবে সিবিআই, নির্দেশ বিচারপতির। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে সহযোগিতা করতে ডিজি এবং মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন তিনি। 

    সিবিআইকে নির্দেশ

    নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) অন্যতম অভিযুক্ত অয়ন শীলের বাড়িতে তল্লাশির সময় পুরসভায় নিয়োগ সংক্রান্ত প্রচুর নথি উদ্ধার করে ইডি। এর পর জানা যায়, রাজ্যের অন্তত ৭০টি পুরসভায় নিয়োগে দুর্নীতি (Recruitment Scam) হয়েছে। যার মূল হোতা ছিলেন অয়ন শীল। নিয়োগ দুর্নীতিতে অয়ন শীল ঘনিষ্ঠ শ্বেতা চক্রবর্তীকে জেরা করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও পেয়েছে ইডি। বৃহস্পতিবার সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দেন শ্বেতা। তাঁকে প্রায় ৫ ঘণ্টা জেরা করেন ইডির গোয়েন্দারা। ইডি সূত্রে খবর, জেরায় শ্বেতা চক্রবর্তী অন্তত ৮ জন প্রভাবশালীর নাম বলেছেন যাঁরা নিয়মিত অয়নের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন। বিষয়টি সম্পর্কে সিবিআইকে জানায় ইডি। এর পর এই দুর্নীতির তদন্ত করতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে সিবিআই। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে শুক্রবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, চাইলে তদন্ত করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    বিচারপতির  ভর্ৎসনা

    প্রসঙ্গত, এদিন অয়ন শীলের বাড়িতে উদ্ধার করা নথির তথ্য মুখবন্ধ খামে আদালতে জমা দেয় ইডি। এরপর নির্দিষ্ট কোনও পুরসভা নয়, সামগ্রিকভাবে পুর নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Scam) তদন্তভার-ই সিবিআই-এর হাতে দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে তিনি বলেন, ‘সাধারণ মানুষ মাত্র ১০ হাজার টাকা আয় করতে হিমশিম খাচ্ছেন। ১০ হাজার টাকা উপার্জনের জন্য খেটে মরছেন। আর এক-একজনের কাছে এত এত টাকা!  অর্পিতা মুখোপাধ্যায়েরদের কাছে এত টাকা আসে কোথা থেকে? একাংশ রাজনৈতিক নেতাদের কাছে কোটি কোটি টাকা! আসছে কোথা থেকে? এইসব নেতাদের ছুঁলেই কোটি কোটি টাকা পাওয়া যাচ্ছে। আর সাধারণ মানুষকে ছুঁয়ে দেখুন বাজারে তাদের কত দেনা আছে। সাধারণ মানুষ সব জানা উচিত। যারা এই দেশের মালিক। দুটো, চারটে, পাঁচটা ব্যাবসা থাকলেই কেউ দেশের মালিক হয়ে যায় না। দেশের আসল মালিক তার জনগণ।’ 

    আরও পড়ুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে আরও এক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে হানা সিবিআইয়ের

    ইডির প্রশংসা

    এদিন, ইডির কাজের প্রশংসা করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘তুলনা করলে ইডি সিবিআইয়ের থেকে ভালো ভূমিকা গ্রহণ করছে। ইডি বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ভালো কাজ করছে।’এদিন সিবিআই-কেও শংসাপত্র দেন বিচারপতি। তিনি জানান, শেষ দু’মাসের থেকে এখন সিবিআই ভালো পারফরম্যান্স করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    Sukanta Majumdar: ‘জীবনকৃষ্ণের মোবাইলের তথ্য উদ্ধার হলে তৃণমূল উঠে যাবে’! কেন বললেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের পুলিশি বাধার মুখে বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। দিন কয়েক আগে হাওড়ার শিবপুর যেতে বাধা দেওয়া হয়েছিল সুকান্তকে। পরে ফের বাধা পান রিষড়া যাওয়ার পথে। এবার বাধা দেওয়া হল মুর্শিদাবাদের বড়ঞা যাওয়ার পথে। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) জড়িয়েছে বড়ঞার বিধায়ক তৃণমূলের জীবনকৃষ্ণ সাহার নাম। তদন্তকারীরা আসছেন খবর পেয়েই নিজের মোবাইল পুকুরে ছুড়ে ফেলে দেন জীবন। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, দলের উচ্চতর নেতৃত্বকে বাঁচাতেই ওই কাজ করেছিলেন জীবন। পুকুরে জল ছেঁচে সেই ফোন উদ্ধার করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার বিকেলে সেই পুকুর পরিদর্শনে যাচ্ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তার আগে কান্দিতে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তাঁকে।

    সুকান্ত মজুমদারকে (Sukanta Majumdar) বাধা পুলিশের…

    এই অনুষ্ঠান শেষেই বড়ঞার আন্দি গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। সেখানকার বাসস্ট্যান্ডে বিজেপি নেতাদের পথ আগলায় বড়ঞা থানার পুলিশ। ব্যারিকেড করে আটকানোর চেষ্টা করা হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপি নেতা-কর্মীরা ব্যারিকেড ভেঙে এগনোর চেষ্টা করতেই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় বিজেপি নেতাদের। বিজেপির দাবি, বড়ঞার পশ্চিমপাড়া এলাকায় একটি সভা করার জন্য পুলিশের অনুমতি মিলেছিল। শেষতক সেই অনুমতি প্রত্যাহার করে নেয় পুলিশ। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, ১৪৪ ধারা জারি না থাকলে কোনও জনপ্রতিনিধিকে ভারতের কোনও স্থানে যেতে পুলিশ বাধা দিতে পারে না।

    আরও পড়ুুন: জনসংখ্যা সম্পদ! কিন্তু তা বাড়তি বোঝাও হয়ে দাঁড়ায়, মত মোহন ভাগবতের

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই পুলিশ আমাদের আটকে দিয়েছে। পুলিশ বলেছে পুকুর দেখতে গেলে পুকুরের মালিকের কাছে এনওসি আনতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রথম আমরা দেখলাম, কেউ পুকুর পাড়ে যাবে সেজন্য এনওসি দরকার। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, এরপর আমরা অপেক্ষায় আছি মুখ্যমন্ত্রী নোটিশ বার করবেন পুকুরে কেউ মাছ ধরতে গেলে, বাসন মাজতে গেলে, স্নান করতে গেলে এনওসি আনতে হবে, রাজ্য সরকারের কাছে ৫টাকা জমা দিতে হবে। সুকান্ত বলেন, জীবনকৃষ্ণের মোবাইল ধরা পড়ার পর পুরো রাজ্য প্রশাসন ভয়ে তটস্থ। মুখ্যমন্ত্রী ভয়ে থরথর করে কাঁপছেন। হয় পিসি নয় ভাইপো প্রতিদিন কেউ না কেউ প্রেস কনফারেন্স করছেন। সেই ভয়ের কাঁপুনি এখানেও দেখা যাচ্ছে। তিনি বলেন, জীবন কৃষ্ণ নামের তৃণমূল কংগ্রেসের জীবন ভ্রমরটা এখানেই লুকিয়ে রয়েছে। সুকান্ত বলেন, ওই মোবাইলে এমন কিছু আছে, যেটা বের হয়ে গেলে তৃণমূল কংগ্রেস দলটাই আর থাকবে না।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: বাধা নিরাপত্তা, তাই মমতার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। দায়িত্বশীল বিধায়কও। তাই নিরাপত্তার খাতিরে মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, আপনি মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। নিরাপত্তা সংক্রান্ত অনেক রকম ব্যাপার থাকে। নিরাপত্তার জন্যই আপনার কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনা যায় না। তাই আনছি না।

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    মঙ্গলবার সিঙ্গুরের এক জনসভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা চলে যাওয়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অমিত শাহকে চারবার ফোন করে হাতে পায়ে ধরেছিলেন। শুভেন্দুর সেই দাবিকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে মমতা বলেছিলেন, সত্যি প্রমাণ করতে পারলে মুখ্যমন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেব।

    এদিনই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) দাবি করেছিলেন, বৃহস্পতিবার দুপুরে মমতার কল রেকর্ডিং প্রকাশ্যে এনে সব ফাঁস করবেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দিকটির কথা ভেবে কল রেকর্ড প্রকাশ্যে আনলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও তাঁর দাবি যে নিছক ভুয়ো নয়, তাও জানান শুভেন্দু। তৃণমূলকে চ্যালেঞ্জ করে তিনি বলেন, আপনারা আমার বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন। সেই মামলা করুন। কারণ সে ক্ষেত্রে মামলার সূত্রেই মুখ্যমন্ত্রীর কল রেকর্ডিংয়ের তথ্য প্রকাশ্যে আনতে বাধ্য হবে সংশ্লিষ্ট টেলি যোগাযোগ সংস্থা।

    আরও পড়ুুন: ঈদের জন্য রেড রোড ও ময়দানের প্রস্তুতির যাবতীয় খরচ এবার করছে মমতার সরকার!

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার শুভেন্দুর ওই মন্তব্যের পর বুধবারই তৃণমূলের তরফে একটি চিঠি পাঠানো হয় রাজ্যের বিরোধী দলনেতাকে। সেই চিঠির সারমর্ম হল, শুভেন্দু ওই মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে, তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, আদালতে মামলা হলেই দুধ আর জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। এদিন নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, আপনি প্রশাসনিক কর্ত্রী। আপনার ফোনের ডিটেল, কলের ডিটেল জনসমক্ষে আনা যায় না। আমি তা জনসমক্ষে আনতেও চাই না। একমাত্র আইন বা আদালতের হস্তক্ষেপ ছাড়া তা জনসমক্ষে আসে না।

    তিনি বলেন, আপনি মামলা করুন। ট্রাইকেও (TRAI) আমি পার্টি করব। ৪ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল আপনার দুটি ল্যান্ড ফোনের কল রেকর্ড আদালতের কাছে তারা দিতে বাধ্য হবে। তাহলেই দুধ ও জল স্পষ্ট হয়ে যাবে। শুভেন্দু বলেন, আমি আপনার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম, আপনিও আমার চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করুন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের কমিটিতে চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম! শোরগোল

    TMC: তৃণমূলের কমিটিতে চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম! শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমান জেলায় তৃণমূলের (TMC) যুব এবং ব্লক কমিটিতে চারজন সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম! এদের একজন আবার ব্লক কমিটির সভাপতি, অপর তিনজন ব্লক কমিটির সদস্য। সদ্য প্রকাশিত তৃণমূল জেলা যুব কমিটি এবং মাস কয়েক আগে প্রকাশিত তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে কালনা ২ নম্বর ব্লকের বিভিন্ন অঞ্চলের দায়িত্বে এলাকার চার সিভিক ভলান্টিয়ারের নামের তালিকা প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। এদের মধ্যে তিন সিভিক ভলান্টিয়ার কালনা থানার অধীনে কর্মরত। ওই তিনজন হলেন সঞ্জয় ঘোষ, সৈকত পূজারি এবং রেজাউল মন্ডল। বাকি একজন সৌভিক ঘোষ। ওই এলাকার তৃণমূলের ব্লক সভাপতির দাবি, নাম থাকতেই পারে। এর মধ্যে তিনি অন্যায় কিছু দেখছেন না। তিনি যাই বলুন, দলের কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নাম ওঠায় অস্বস্তিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল। 

    কী বলছে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের বক্তব্য, সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটির পরে রাজনীতি করতেই পারে। আসলে বিরোধীদের কোনও কাজ না থাকায় তারা এই নিয়ে খোঁচাখুঁচি করছে। গণতান্ত্রিক অধিকার তো সব মানুষেরই আছে। রাজনৈতিক দল করারও স্বাধীনতা আছে। যারা সরাসরি রাজ্য বা কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মচারী, তারা রাজনীতি করতে পারে না। কিন্তু সিভিক ভলান্টিয়াররা তো রাজ্য সরকারের কর্মচারী নয়। তারা মাস গেলে একটা ভাতা পায়। এরা শ্রম দেয় এবং তার বিনিময়ে সরকার তাদের কিছু মজুরি দেয়। সংবিধান বা আইনগতভাবে কোনও বাধা আছে বলে আমার মনে হয় না। বিজেপির তো পায়ের তলায় মাটি নেই। তাই যতটা সম্ভব বিব্রত করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।

    তীব্র সমালোচনায় বিজেপি

    স্থানীয় বিজেপি নেতা বলেন, ঘটনাটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। দল এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। এরা তো প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত। তাহলে তৃণমূল (TMC) দলের পদাধিকারী হয়ে তারা কী করে নিরপেক্ষভাবে পঞ্চায়েত ভোট পরিচালনা করবে? এই ধরনের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই আমরা দাবি করেছি, পঞ্চায়েত নির্বাচনে কোনও সিভিক ভলান্টিয়ারকে কাজে লাগানো যাবে না। সিভিক ভলান্টিয়ারদের দিয়ে সরকার যে আসলে পার্টির কাজ করায়, এই ঘটনায় সেটা প্রমাণ হয়ে গেল। আসলে ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে বিরোধী দলের কোন নেতা কী করছেন, কোথায় যাচ্ছেন, সেই সমস্ত খবরাখবর নেওয়া হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share