Tag: tmc

tmc

  • School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    School: দণ্ডিকাণ্ডে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্কুল পরিচালন কমিটিতে, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বালুরঘাটের কবিতীর্থ স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগী সদস্যের তালিকায় দণ্ডিকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতার নাম। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। জানা গিয়েছে, ৪ এপ্রিল বালুরঘাট শহরের ১০টি স্কুলের পরিচালন সমিতির সভাপতিদের নামের তালিকা এসেছে। ওই তালিকাতে তৃণমূল নেতা ও বেশিরভাগ ব্যবসায়ীদের নাম মনোনীত করা হয়েছিল। যা নিয়েও ক্ষোভ ছিল শিক্ষামহলে। এবারে বালুরঘাট ও হিলির ১৫টি স্কুলের পরিচালন কমিটির শিক্ষানুরাগীদের নাম এসেছে। ওই কমিটিতে একটি স্কুলে সভাপতি, দুইজন করে শিক্ষানুরাগী ও অভিভাবক, মেডিক্যাল অফিসার, এসআই সহ অনেকেই থাকবে। জেলার ১৫টি স্কুলের পরিচালন সমিতির শিক্ষানুরাগী সদস্যের বেশিরভাগই তৃণমূল নেতা বলেই পরিচিত। তার মধ্যে একটি স্কুলের শিক্ষানুরাগী সদস্য হিসেবে আনন্দ রায়ের নাম প্রকাশিত হয়েছে। আনন্দ রায় তৃণমূলের যুব নেতা বলেই পরিচিত। সম্প্রতি আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। যদিও সে এখন জামিনে মুক্ত। তাই ওই যুব নেতার নাম ঘিরেই শোরগোল শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি?

    এবিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কাটানোর মত একটা বড় অপরাধের সঙ্গে যুক্ত ওই তৃণমূল নেতা। তাকে তৃণমূল শিক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় দায়িত্ব দিয়েছে। আদিবাসীদের প্রতি এমন নির্যাতনের পরেও তৃণমূলের মধ্যে কোন অনুশোচনা নেই।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এবিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, আনন্দ রায় তৃণমূলের, তা অস্বীকার করার জায়গা নেই। তবে স্কুলের (School) পরিচালন কমিটির এই তালিকায় তার নাম মাস চারেক আগেই শিক্ষা দফতরে গেছিল। যা সম্প্রতি ঘোষণা হয়েছে। দণ্ডিকাণ্ডে তার নাম আসার পর আমরা এবিষয়ে চিন্তাভাবনা করেছি। এই নাম পরিবর্তনের জন্য রাজ্য শিক্ষা দফতরের কাছে আর্জি জানাব। এবিষয়ে তৃণমূল নেতা আনন্দ রায়কে বহুবার ফোন ও মেসেজ করলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

    কী বললেন স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক?

    ওই কবিতীর্থ স্কুলের (School) ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সন্তু রায় বলেন, কারা এই তালিকায় থাকবে, তা আমাদের জানা ছিল না। তবে এই তালিকায় নাম যুক্ত বা বাতিলের বিষয় আমাদের হাতে নেই। সম্পূর্ণ বিষয় রাজ্য শিক্ষা দফতরের হাতে রয়েছে।

    এনিয়ে স্কুল (School) পরিদর্শকের কী বক্তব্য?

    এবিষয়ে মাধ্যমিক স্কুল শিক্ষা দফতর স্কুল (School) পরিদর্শক মৃন্ময় ঘোষ বলেন, রাজ্য থেকে ওই তালিকা এসেছে, সেই তালিকা আমরা স্কুলগুলিকে পাঠিয়েছি। যা করার রাজ্য থেকেই করে। বাকি বিষয়ে জানা নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    Suvendu Adhikari: রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন শুভেন্দু, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিরাপত্তা পাচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। অথচ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সোমবারই ডিজিকে চিঠি দেবেন বলে নন্দীগ্রামে মন কি বাত কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে একথা জানান তিনি।

    রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দেওয়া নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছে। রাজ্যে যেভাবে প্রতিদিন কালিয়াচক, কালিয়াগঞ্জের মতো ঘটনা ঘটছে, তারই প্রেক্ষিতে আমি রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে জানতে চাইব, তৃণমূলের পার্টি ভোটের জন্য যে পুলিশ মোতায়েন করেছে, তাতে কত টাকা তৃণমূল ট্রেজারিতে দিয়েছে? অভিষেকের সভা থেকে ফেরার পথে গাড়ি উলটে পুলিশ কর্মীরা জখম হয়েছেন। গোটা রাজ্য থেকে পুলিশ নিয়ে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাইপোর সেবায় ব্যবহার করা হচ্ছে। আর রোজ রোজ রাজ্যে সাধারণ মানুষ খুন হচ্ছে। বর্ধমানে এক মাসের মধ্যে তিনজন খুন হয়েছে। রানিগঞ্জে আমাদের দলের নেতা রাজেন্দ্র সাউকে খুন করা হল। আমরা নিরাপত্তা পাই। কিন্তু, সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কে দেবে?

    ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী

    রবিবার দেশের পাশাপাশি এই রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে প্রধানমন্ত্রীর ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর কথা শুনতে কয়েক হাজার মানুষ জমায়েত হয়েছিল। গত বিধানসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) জয়ী করেছিলেন নন্দীগ্রামবাসী। স্বাভাবিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর মন কি বাত অনুষ্ঠান ঘিরে সাজ সাজ রব ছিল নন্দীগ্রাম। প্রধানমন্ত্রী নন্দীগ্রামবাসীর সঙ্গে কথাও বলেছেন। এই প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, প্রায় ১০ হাজার মানুষ মন কি বাত অনুষ্ঠান শুনেছেন। আর মন কি বাতে নন্দীগ্রামের মানুষের সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই।

    অভিষেককে নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)?

    অভিষেক ব্যানার্জীর নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, অভিষেক ব্যানার্জীকে হরি দাস পাল ব্যানার্জী বলে কটাক্ষ করেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, “পিসি ছাড়া জিরো! দু হাজার পুলিশ নিয়ে বের হয়। চার কোটি টাকার বাস। আগে বলেছিল না, অমিত শাহজি নাটক করতে খেতে যায়। কালকে কি করছিল ? নাটক করছিল ? কয়লা, বালি খাচ্ছিল?”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    Mukul Roy: শেষমেশ দিল্লি থেকে কলকাতায় ফিরলেন ‘নিঃস্ব’ মুকুল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় ১১ দিন দিল্লিতে ছিলেন কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়ক মুকুল রায় (Mukul Roy)। শেষমেশ রাজধানী থেকে ফিরলেন শূন্য হাতেই। সূত্রের খবর, বিজেপির (BJP) শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মুকুল দেখা করার চেষ্টা করলেও, তাঁর সঙ্গে কেউই দেখা করেননি। যদিও কলকাতা বিমানবন্দরে নেমে মুকুল দাবি করেন, সবার সঙ্গে দেখা হয়েছে তাঁর। প্রয়োজন পড়লে ফের দিল্লি (Delhi) যাবেন বলেও জানান বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ। তবে তাঁর এবারের দিল্লি সফরে কার কার সঙ্গে দেখা হয়েছে জানতে চাইলে স্পষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি মুকুল।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ঘরওয়াপসি…

    তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে ঘাসফুল শিবির ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। কৃষ্ণনগর উত্তরে পদ্ম চিহ্নে প্রার্থী হন তিনি। বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় বিপুল ভোটে জয়ীও হন মুকুল। বিধানসভা নির্বাচনের পরে পরেই পদ্ম শিবির ছেড়ে ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। তৃণমূল ভবনে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ঘরওয়াপসি হয় মুকুলের। পুরস্কার স্বরূপ জুটে যায় পিএসির চেয়ারম্যানের পদ। প্রথা অনুযায়ী যে পদ পাওয়ার কথা বিরোধীদের। এর পরেই মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানায় বিজেপি।

    গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই দিল্লি উড়ে যান মুকুল (Mukul Roy)। থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। তাঁর দাবি, মুকুলকে ভুল বুঝিয়ে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাঁর মানসিক অবস্থা যে ভাল নয়, সেই ইঙ্গিতও দেন মুকুল-পুত্র। দিল্লিতে গিয়ে মুকুল দাবি করেন, কেউ তাঁকে জোর করে দিল্লিতে আনেননি। তিনি স্বেচ্ছায় এসেছেন। তাঁর দাবি, তিনি বিজেপিতেই ছিলেন, তৃণমূলে ছিলেন না। দিল্লিতে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতেই যে তিনি দিল্লি এসেছেন, জানান তাও।

    আরও পড়ুুন: রেড রোডে দলের সংখ্যালঘু সেলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে বিঁধলেন শুভেন্দু! কী বললেন?

    এদিন বিমানবন্দরে নেমে মুকুল (Mukul Roy) ফের বলেন, আমি তো বিজেপিতেই আছি। নিজের ইচ্ছেতেই দিল্লি গিয়েছিলাম। আমার কিছু কাজ ছিল। সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তবে ঠিক কার কার সঙ্গে মুকুলের কথা হয়েছে, সে ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। এদিন আবারও মুকুল বলেন, আমাকে কেউ জোর করে দিল্লিতে নিয়ে যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    BJP: টুইটারে বিজেপি বিধায়ককে খুনের হুমকি! কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কালিয়াগঞ্জকাণ্ডের প্রতিবাদ করায় শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সম্প্রতি কালিয়াগঞ্জে দ্বাদশ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের পর গোটা রাজ্য তোলপাড় হয়। মৃতদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা নিয়ে রাজ্য জুড়ে সমালোচিত হয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে সম্প্রতি শিলিগুড়ির বিজেপি (BJP) বিধায়ক তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে প্রতিবাদ জানান। তাঁর সেই প্রতিবাদের জন্য বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে তাঁকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক। এনিয়ে শনিবার তিনি শিলিগুড়ি থানায় এফআইআরও করেছেন।

    টুইটারে কী লিখেছিলেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    শঙ্করবাবু তাঁর টুইটার হ্যান্ডেলে লিখেছিলেন, হীরক রানির রাজ্যে এভাবেই ধর্ষিতা কন্যাদের মৃতদেহ সম্মান পায়। সঙ্গে একটি কার্টুন ছবিও তিনি তুলে ধরেন, যেখানে একজন নির্যাতিতাকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তা দেখানো হয়েছে। তাঁর এই টুইটারের প্রতিবাদ জানাতে গিয়ে বিপ্লব নামে একটি অ্যাকাউন্ট থেকে শঙ্কর ঘোষকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়।

    কী বললেন বিজেপি (BJP) বিধায়ক?

    বিজেপি (BJP) বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, এই ঘটনার পিছনে আমি তৃণমূলের যুক্ত থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছি। কেননা আমাকে গ্রেফতার করে মারার কথা বলা হয়েছে। গ্রেফতার কে করবে? পুলিশ, আর পুলিশ তৃণমূল সরকারের। এছাড়াও যে অ্যাকাউন্ট থেকে আমাকে গ্রেফতার করে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে, সেই টুইটার অ্যাকাউন্টে নিয়মিত ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বিষোদগার করা হয়। শুধু তাই নয়, ওই টুইটার অ্যাকাউন্টের সঙ্গে তৃণমূলের নব জোয়ারের ট্যাগ করা রয়েছে। কাজেই আমাকে মারার ক্ষেত্রে তৃণমূলের পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র থাকতে পারে। সে কারণে আমি পুলিশে এফআইআর করেছি।

    কী বলছে তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের দার্জিলিং(সমতল) জেলা কমিটির মুখপাত্র বেদব্রত দত্ত বলেন, তৃণমূল নয়, এ রাজ্যে যাবতীয় অশান্তি পাকাচ্ছেন শঙ্কর বাবু ও তাঁর দল। অপরাধীরা অপরাধ করে এরাজ্যে পার পায় না। শঙ্করবাবু পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে পুলিশ যদি কাউকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করে তাহলে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘নবজোয়ার যাত্রার জোয়ারে তৃণমূলে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হবে’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘‘নবজোয়ার যাত্রার জোয়ারে তৃণমূলে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হবে’’, কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রাই তিহাড় যাত্রার পথ প্রশস্ত করে দেবে তৃণমূল নেতাদের, এমনটাই মত শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari)। তৃণমূলকে নিশানা করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শুক্রবার বাঁকুড়ায় সাফ জানালেন, নবজোয়ার যাত্রা নয়, এই জোয়ারেই তিহাড় যাত্রা নিশ্চিত হবে। তৃণমূলে আর নবজোয়ার আসবে না বলেও এদিন কটাক্ষ করেন তিনি। বলেন, ‘‘বড় মস্তান ছিল লক্ষ্মণ শেঠ বা কেষ্ট মণ্ডল-রা। দেখেছেন তো কী হাল হল তাদের। এবার তৃণমূলের নবজোয়ার আনতে গিয়ে না এই জোয়ারে বাকিদের তিহাড় যাত্রা হয়ে যায়।’’

    ইন্দাসের সভায় শেখ হামিদকে পাল্টা শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় সভা সমাবেশ করছেন শুভেন্দু। শুক্রবার তিনি হাজির ছিলেন বাঁকুড়াতে। বিকেলে ইন্দাসের শাসপুরে দলের এক সভায় বক্তব্য রাখছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। সেই সভা থেকেই তিনি ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদকে একহাত নেন। উল্লেখ্য, সম্প্রতি দলের এক সভায় ইন্দাস ব্লক তৃণমূল সভাপতি শেখ হামিদ শুভেন্দুকে ‘ইতিহাস’ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তার পাল্টা নিজের দলের কর্মীদের খাতা কলমে তা লিখে রাখার নিদান দেন। তিনি বলেন, ২০০৯ সালে আমার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আর আজ হুমকি দিচ্ছেন। তাঁরা একসময় ঘরছাড়া ছিলেন। তাঁদের তেল, নুন আমি দিতাম। এখন সাধারণ হক যদি বন্ধ করা হয়, বিরোধী দলনেতা হিসাবে আমি তাঁর দায়িত্ব নিলাম।

    চাকরি প্রার্থীদের পাশে থাকার বার্তা বিরোধী দলনেতার

    শুভেন্দু বলেন, জাল ওএমআর শিট সব বেরিয়ে এসেছে। কোনো তথ্য ও প্রমাণের পরিবর্তন হবে না। রাজ্যের শিক্ষিত বেকার যুবকদের কথা দিচ্ছি, হকের চাকরি হবে। তার জন্য লড়াই চলছে, লড়াই চলবে। দুর্নীতিগ্রস্তদের পতন হবেই, আর যাঁরা রোদ, ঝড়, জল, মাথায় নিয়ে হকের চাকরির দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন, তাঁদের লড়াই বৃথা হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • John Barla: অভিষেকের তাঁবু খাটিয়ে জনসংযোগকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা

    John Barla: অভিষেকের তাঁবু খাটিয়ে জনসংযোগকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল দলটাই চোর লুটেরায় ভরে গিয়েছে। মানুষ এখন হাড়ে হাড়ে তা বুঝতে পারছেন। আলিপুরদুয়ারে এসে একথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Jhon Barla)। তিনি বলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তৃণমূল বিধায়করা জেলে যাচ্ছেন। এখনও অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তৃণমূল এখন চোরেদের দলে পরিণত হয়েছে। এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে মানুষ বিজেপিকে সমর্থন করবে।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Jhon Barla) কী বললেন?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লা (Jhon Barla) বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যতই আলিপুরদুয়ারে এসে তাঁবু খাটিয়ে জনসংযোগ করুক না কেন, কোনও লাভ হবে না। ওরা (তৃণমূল) বলছে টাকা নেই, আর এদিকে উৎসব চলছে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে যেভাবে প্যান্ডেল করা হয়েছে, ওই টাকা যদি গরিব মানুষদের মধ্যে বিলি করা হত, তাহলে বুঝতাম যুবরাজ জনগণের মানুষ। সাধারণের বাড়িতে রাত কাটালে বুঝতাম ওদের (তৃণমূল) সঙ্গে লোক আছে। যুবরাজের তো আবার এসি লাগবে। কয়েকদিন আগেই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জন বার্লার (Jhon Barla) সমালোচনা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন নিয়ে কেন্দ্রীয়মন্ত্রী কেন উচ্চ পর্যায়ের কেন্দ্রীয় কমিটি আনতে পারেননি? যদিও অভিষেকের সেই অভিযোগকে কটাক্ষ করে জন বার্লা (Jhon Barla) বলেন, রাজ্য সরকার এমনকী জেলা প্রশাসন আমাদের কোনওরকমভাবে সহযোগিতা করছে না। জেলার উন্নয়ন করতে হলে কেন্দ্রীয় এবং রাজ্যের সমন্বয় দরকার। কেন্দ্রের ইচ্ছা থাকলেও রাজ্যের অসহযোগিতায় কোন উন্নয়নমূলক কাজ এই এলাকার মানুষের জন্য করা যাচ্ছে না। অথচ অন্যান্য রাজ্যগুলো এগিয়ে আসছে। আমাদের রাজ্য এক সময় দেশের মধ্যে সব দিক থেকেই শীর্ষে ছিল, সেই রাজ্য আজকে অন্যান্য অনেক রাজ্যের থেকে পিছিয়ে পড়ছে।  

    চা শ্রমিকদের নিয়ে কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Jhon Barla)?

    জন বার্লা বলেন, ১৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আদিবাসীরা চা বাগানে রয়েছেন। কয়েক পুরুষ ধরে বসবাস করলেও তারা চা বাগানের এক ইঞ্চি জমিতে বাড়ি বানাতে পারছেন না, রাজ্য সরকার জমির পাট্টা দেয়নি। আমি তো জোর করে বাড়ি বানিয়েছি। আমার চার পুরুষ ওই জমিতে বসবাস করছে, আমি কেন বাড়ি বানাতে পারবো না? আমাকে দেখে সবাই বাড়ি বানাবেন, এই জমি আমরা ছাড়তে পারবো না, পারলে আমাকে উঠিয়ে দিক। ১৫০ বছর হয়ে গেছে আমরা জমির অধিকার পাইনি। রোহিঙ্গারা এসে জমি বাড়ি পেয়ে যাবে, আমরা এই দেশের আদিবাসী বাসিন্দা হয়ে কেন জমি বাড়ি পাব না?

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে শাসকদলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিকবড়াইক বলেন, আলিপুরদুয়ারের মানুষ এতদিন তাঁকে খুঁজে পাননি। তাই নিজেকে বাঁচাতে তিনি ওইসব আবোল তাবোল বকে যাচ্ছেন। রাজ্য সরকার চা শ্রমিকদের জমির পাট্টা দিচ্ছে। চা সুন্দরীর ঘর করে দিচ্ছে। তিনি ওই সব উন্নয়নের কাজ দেখতেও পান না, শুনতেও পান না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: উদাসীন রাজ্য,  জল পাচ্ছেন না গ্রামের গরিব মানুষ, কেন্দ্রকে চিঠি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একটা বড় অংশ পানীয় জল সংকটে ভুগছে। আমাদের রাজনৈতিকভাবে অনুপ্রাণিত আমলাতন্ত্র, বিশেষ করে উচ্চস্তরের আমলাতন্ত্রের একটি অংশ গ্রামের দরিদ্র মানুষের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখাচ্ছে। ফলে যাঁরা হর ঘর জলের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছে। এই ভাষায়ই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াতকে চিঠি লিখলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে নিজের দত্তক নেওয়া গ্রামে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিধায়ক সুকান্ত মজুমদার। সেখানে জল নিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তার ঠিক পরের দিনই কেন্দ্রীয় জলশক্তি মন্ত্রীকে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

    হর ঘর নলসে জল…

    ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করতে গিয়ে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ বলেছিলেন, ‘হর ঘর নলসে জল’ প্রকল্পে ৬০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর ফলে উপকৃত হবে ৩.৮ কোটি পরিবার। প্রতি ঘরে নলবাহিত পানীয় জল প্রকল্পে (Suvendu Adhikari) ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে ৩.৮ কোটি পরিবারের জন্য বিপুল বরাদ্দ করা হল। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসার পর থেকে দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন সাধনে সব রকমভাবে নজর দিয়েছে সরকার। এমন সব কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে, যা আবাসন, বিদ্যুৎ, রান্নার গ্যাস এবং পানীয় জলের পরিষেবা প্রদান করেছে। প্রতি ঘরে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে ইতিমধ্যেই সফলতা এসেছে।

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম প্রসাদে সাধারণ মানুষের অভাব অভিযোগ শুনতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে রাস্তা ও পানীয় জলের দাবি জানান। তাঁদের অভিযোগ, এলাকায় কল থাকলেও, তা দিয়ে জল (Suvendu Adhikari) পড়ে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, যেহেতু আমার দত্তক নেওয়া গ্রাম, তাই এর পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী   

    DA: ‘ডিএ দিতে গেলে বন্ধ হয়ে যাবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী’, বেফাঁস কৃষিমন্ত্রী   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট কিনতে সরকারি টাকা ব্যয় হচ্ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো খয়রাতি প্রকল্পে। তাই ডিএ (DA) দিতে পারছে না রাজ্য সরকার। বিভিন্ন সময় এমনই দাবি করেছে তৃণমূল (TMC)-বিরোধী নানা দল। এবার প্রকাশ্য জনসভায় এক প্রকার ঘুরিয়ে সেকথাই স্বীকার করে নিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় (Sovandeb Chattopadhyay)। উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ পাতুলিয়া পঞ্চায়েত এলাকায় ‘দিদির সুরক্ষা কবচ’ অনুষ্ঠানে এসে তিনি বলেন, ডিএ দিতে গেলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কন্যাশ্রীর টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। বুকে হাত রেখে বাড়ি গিয়ে ভাববেন, শোভনদেববাবু যে কথাটা বললেন।

    ডিএ (DA) নিয়ে শোভনদেবের মন্তব্য…

    তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরিবের কথাটা ভাববেন না কি যে লোকটা ইতিমধ্যেই পাচ্ছেন (সরকারি কর্মীরা), তাঁকে একটু বেশি পয়সা দেবেন। কোনটা ঠিক বিচার করে নেবেন। রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যে শুরু হয়েছে বিতর্ক। এদিনের সভায় সিপিএমকেও একহাত নেন শোভনদেব (Sovandeb Chattopadhyay)। রাজ্যের এক সময়কার শাসকদলকে তিনি চালাক চোর আখ্যা দেন। শোভনদেব বলেন, আসুক কে আছে সিপিএমের আমার সামনে, আমি প্রমাণ দেব তারা কত অধ্যাপককে চাকরি দিয়েছে। সিপিএম হচ্ছে চালাক চোর। যে লোকটাকে চাকরি দিয়েছে, সারা জীবন তাঁর বেতন পাওয়ার আগে পার্টি অফিস থেকে কেটে নিয়ে যাবে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সমলিঙ্গ বিয়েতে কে বাবা, কে মা?’’ সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্ন তুষার মেহতার

    শোভনদেবের সাফাই, দেখতে গেলে ওরা আমাদের লোকদের থেকে বেশি টাকা নিয়েছে। তবে যারা চুরি করেছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিও দাবি করেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের লোকগুলো যারা চোর, চুরি করছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। যাতে আর কেউ সাহস না করে চুরি করার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তাঁর এই বিস্ফোরক মন্তব্য (ডিএ নিয়ে) (DA) ব্যুমেরাং হতে পারে ভেবে এদিন সেন্টিমেন্ট তাস খেলে দেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ (Sovandeb Chattopadhyay)। তিনি বলেন, বাংলার ১০ কোটি মানুষকে চাল দিয়ে খাওয়াচ্ছে, সেটা অন্যায়? কেন তিন লাখ লোক ডিএ পাচ্ছে না, সেটা অপরাধ। তিনি বলেন, ডিএ না পেলে আমার খাওয়া বন্ধ হয়ে যাবে না। কিন্তু ডিএ দিলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বন্ধ হয়ে যেতে পারে, স্বাস্থ্যসাথী বন্ধ হয়ে যেতে পারে। কন্যাশ্রীর টাকাটা বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

    রাজ্যের কৃষিমন্ত্রীর এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব বলেন, রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। ভোট কিনতে রাজ্য সরকারি কর্মীদের হকের টাকা ব্যবহার করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ (DA) কড়ায় গণ্ডায় মিটিয়ে দেবে বলেও জানান তাঁরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Titagarh Shoot-out: ভরদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা, ফের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন

    Titagarh Shoot-out: ভরদুপুরে প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে ঝাঁঝরা, ফের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীরা প্রায়শই অভিযোগ করেন, বারুদের স্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে আছে বাংলা। যখন তখন গুলি-বোমা নিয়ে হামলা, ধর্ষণ করে খুন ইত্যাদি ঘটনা ঘটেই চলেছে। এবার কলকাতার কাছেই প্রকাশ্য দিবালোকে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যু হল। ফলে আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে উদ্বেগের জায়গাটা আরও একবার সামনে চলে এল। ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরছিলেন। প্রকাশ্য রাস্তায় দুষ্কৃতীদের গুলিতে (Titagarh Shoot-out) ঝাঁঝরা হয়ে গেল শরীর। ঘটনাটি ঘটেছে টিটাগড় থানার জি সি রোড নয়াবস্তি এলাকায়। এটি বারাকপুর পৌরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত। নিহতের নাম আনোয়ার আলি (৫০)। তৃণমূলের দাবি, নিহত ব্যক্তি তাদের দলের কর্মী। রাজনৈতিক নাকি অন্য কোনও কারণে তাঁকে গুলি করে খুন করা হল, সে ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব কিছু জানায়নি। ব্যারাকপুর পুরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাস ওই কর্মীকে দেখতে গিয়েছিলেন হাসপাতলে। সেখানে তিনি বলেন, কী কারণে এই গুলি, তা তাঁরা এখনও জানতে পারেননি। পুলিশকে তদন্ত করে দোষীদের খুঁজে বের করতে বলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা এসেছিল মোটরবাইকে। আনোয়ারকে গুলি করেই তারা এলাকা ছেড়ে চম্পট দেয়।

    এলাকায় চাঞ্চল্য, আতঙ্ক

    ভর দুপুরে প্রকাশ্যে রাস্তায় এইভাবে গুলি চালানোর ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণ মানুষ কিছুটা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গুলিবিদ্ধ (Titagarh Shoot-out) হওয়ার পর ওই তৃণমূল কর্মীকে বারাকপুর বি এন বসু মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক থাকায় তাকে কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানে শেষ রক্ষা হয়নি। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই ব্যক্তির নিজস্ব ব্যবসা ছিল। একই সঙ্গে তিনি সমাজসেবার নানা কাজেও যুক্ত ছিলেন। আনোয়ার আলির এক বন্ধু জানান, ওর ডাক নাম ছিল গুড্ডু। এখানে একটা সাইবার ক্যাফে ছিল। জমিজমার ব্যবসাও করত। সাড়ে ১২ টা থেকে ১ টার মধ্যে এই ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি জানিয়েছেন। ভালো ছেলে ছিল বলেই তিনি জানিয়েছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ‘‘তুমি আসবে বলে…’’! ‘যুবরাজ’-এর আসার পথ মসৃণ করতে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতি

    Abhishek Banerjee: ‘‘তুমি আসবে বলে…’’! ‘যুবরাজ’-এর আসার পথ মসৃণ করতে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ কর্মসূচিতে আগামিকাল, শনিবার শিলিগুড়িতে আসছেন। শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জে তাঁর দলীয় কর্মসূচি রয়েছে। যুবরাজের আগমনের পথ মসৃণ করতে শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ি ডেভেলপমেন্ট অথরিটি (এসজেডিএ) ফুলবাড়ির বেহাল ক্যানাল রোড মেরামতির কাজ যুদ্ধকালীন তৎপরতায় শুরু করেছে। কেননা এই রাস্তা দিয়েই যাবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনের জন্যই যে ফুলবাড়িতে এই ক্যানাল রোড এসজেডিএ সংস্কার করছে, তা কবুল করেছেন এসজেডিএ-র সদ্য প্রাক্তন চেয়ারম্যান, তৃণমূল নেতা সৌরভ চক্রবর্তী। গত বৃহস্পতিবার এসজেডিএ-র প্রেস হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সৌরভ চক্রবর্তী ওই রাস্তা সংস্কারের কাজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, “সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আগমনে রাস্তার কাজ চলছে ফুলবাড়িতে।” সংবাদমাধ্যমকেও সৌরভবাবু একই কথা বলেছেন। 

    বাসিন্দারা বলছেন, ভাগ্যিস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন

    জাতীয় সড়ক থেকে গ্রাম হয়ে শিলিগুড়ি শহরের সঙ্গে সংযোগের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা এই ফুলবাড়ি ক্যানাল রোড। এহেন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। পিচ উঠে গিয়ে খানাখন্দে ভরে গিয়েছিল। ভারী ভারী লরি চলাচল করত ঝুঁকি নিয়ে। স্থানীয় বাসিন্দারাও নিত্যদিনের কাজে, রুজি-রোজগারের জন্য এই রাস্তা দিয়ে যেতেন হাতে প্রাণ নিয়ে। রাস্তা বেহাল হওয়ার কারণে মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটত। বৃহস্পতিবার এই রাস্তা সংস্কারের কাজ শুরু হওয়াতে স্থানীয় বাসিন্দারা খুশি। তবে তাঁদের প্রশ্ন রয়েছে। এলাকার বাসিন্দারা বলছেন, ভাগ্যিস অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন, তাই আমাদের দীর্ঘদিনের দাবিমতো এই রাস্তা অবশেষে মেরামত হচ্ছে। রাস্তা সংস্কারের দাবিতে অনেক আন্দোলন হয়েছে। পথ অবরোধ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তবুও প্রশাসনের ঘুম ভাঙেনি। আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আসছেন বলে তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নিয়েছে এসজেডিএ। তাতে প্রশ্ন উঠেছে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) সাংসদ হলেও রাজ্য সরকারের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কী। আর তিনি আসছেন দলীয় কর্মসূচিতে। তাহলে তাঁর সফরের জন্য কেন সরকারি অর্থে রাস্তা মেরামত করা হবে? এই প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। নরেন বর্মন, ফুলমণি বর্মনদের মতো বাসিন্দারা বলছেন, রাস্তা হচ্ছে আমরা খুশি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তড়িঘড়ি রাস্তা মেরামত করা হচ্ছে। তাহলে প্রতিদিনই যুবরাজের মতো তৃণমূল নেতারা আমাদের এলাকায় আসুন। তাহলেই সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। কেননা সাধারণ মানুষের কথা শোনে না তৃণমূল সরকারের প্রশাসন। 

    তাঁকে ও তাঁর পিসি মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে প্রশাসন তৎপর, কটাক্ষ বিজেপির

    বিজেপির শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও মাটিগাড়া-নকশালবাড়ির বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, যুবরাজ শিকারে বেরিয়েছেন। তাই রাজ্য প্রশাসন তাঁর শিকার সফরকে সফল করতে ঝাঁপিয়ে পড়েছে। এটা প্রত্যাশিত। কেননা রাজ্যের তৃণমূল সরকার সারা বছর সাধারণ মানুষের কথা ভাবে না। সেই কারণেই এই রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল হয়ে পড়েছিল। যুবরাজ আসছেন। তাই তাঁকে (Abhishek Banerjee) ও তাঁর পিসি মুখ্যমন্ত্রীকে খুশি করতে প্রশাসন যে তৎপর, সেটাই প্রমাণ হচ্ছে রাতারাতি ফুলবাড়িতে রাস্তা মেরামতের কাজ শুরু করায়। তৃণমূলের পরিবারতন্ত্র রাজনীতির কারণেই আজ রাজ্য ডুবতে বসেছে। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতিতে এই রাজ্যকে শেষ করে দিয়েছে তৃণমূল। তাই এধরনের কাজ তারা করতে পারে। এতে বিস্মিত নই। কিন্তু সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবিকে উপেক্ষা করে থাকার পর হঠাৎ দলীয় নেতার সফরকে মসৃণ করতে প্রশাসনের ঝাঁপিয়ে পড়ার ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। 

    কী বলছে এসজেডিএ?

    সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, এই রাস্তার কাজ আমরা আগেই হাতে নিয়েছিলাম। কিছুদিন বাদেই এর কাজ শুরু হত। কিন্তু অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) এই রাস্তা দিয়ে আসবেন। তাই সেই কাজ এগিয়ে আনা হল। তাহলে এই বক্তব্যের জন্যই কি চেয়ারম্যান পদ থেকে সরতে হল সৌরভ চক্রবর্তীকে। সেকারণেই কি শুক্রবার সকালে তাঁকে সরিয়ে শিলিগুড়ির মেয়র গৌতম দেবকে আবার এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান করা হল? এই প্রশ্ন সব মহলের। কিন্তু তৃণমূলের কেউ এনিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share