Tag: tmc

tmc

  • Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ইডি-র সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন সুকন্যা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই ইডি-র সঙ্গে অসহযোগিতা করেছেন সুকন্যা, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে অসহযোগিতা করেছিল অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল। বৃহস্পতিবার কেষ্ট গড়ে একটি অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগ দিতে আসেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে একটি প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী এর আগে সুকন্যার বাবা অনুব্রতকে ডুবিয়েছিলেন। একজন বিধায়ক, সাংসদ না হয়েও এই জেলার তাকে সম্রাট তৈরি করে দেওয়া হয়েছিল। জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের কেষ্টর কথা শোনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ ছিল। দুর্নীতির তদন্তে সুকন্যা সহযোগিতা করলে কেন্দ্রীয় এজেন্সি তাঁকে নিয়ে হয়তো ভাবনা চিন্তা করত। আসলে তিনি তা করেননি। তিনি বাবার কাছে থাকতে চেয়েছিলেন, তাঁর ইচ্ছা পূর্ণ হল। তবে, এটা বলতে পারি, সুকন্যার ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখলে বোঝা যাবে, মুখ্যমন্ত্রী নিজে বা ফিরহাদ হাকিম, রানা সিংহ, বিকাশ রায়চৌধুরীকে দিয়ে হোক কেন্দ্রীয় এজেন্সির কাছে না যাওয়ার জন্য সুকন্যাকে বলেছিলেন। নিজে তো ডুববেন, অন্যদের তিনি এভাবে ডুবিয়ে ছাড়বেন। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, বাবার পাপের ফল মেয়েকে ভুগতে হচ্ছে। আসলে দুর্নীতির জন্য মানিক ভট্টাচার্য এবং অনুব্রত মণ্ডলের গোটা পরিবার জেলে রয়েছেন। রাজ্যে এই ধরনের সংস্কৃতি নতুন। এই লজ্জা রাখার জায়গা নেই।

    সন্ন্যাসীর মৃত্যু নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    কয়েকদিন আগেই বীরভূমের সিউড়ির পুরন্দরপুরে বাহিরি কালীতলা এলাকায় ভুবন ব্রহ্মচারী নামে এক সন্ন্যাসীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরে, ময়না তদন্তের রিপোর্টে ওই সন্ন্যাসী আত্মহত্যা করেছে বলে উল্লেখ রয়েছে। যদিও গ্রামবাসীরা ওই সন্ন্যাসী আত্মহত্যা করেছে বলে মানতে নারাজ। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্যের একাধিক মঠের মহারাজ, সন্ন্যাসীরা বৃহস্পতিবার হাজির হন। প্রতিবাদ মিছিল করেন। সেই কর্মসূচিতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা সামিল হয়েছিলেন। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, যে ভাবে তাঁর দেহ ঝুলছিল তাতে তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হয় না। আমরা তাঁর ওই মৃত্যুর নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি। এদিন একজন সনাতনী হিসেবে ওই সন্ন্যাসীকে শ্রদ্ধা জানাতেই এখানে হাজির হয়েছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Suvendu Adhikari: ‘এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে’, জামালপুরের সভায় বললেন শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে’, জামালপুরের সভায় বললেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী এক বছরের মধ্যে রাজ্যে দুটো নির্বাচন। মোকাবিলা করতে হবে। এই চোরদের হাত থেকে বাংলাকে বাঁচাতে হবে। জামালপুরের জনসভায় এ কথা বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, এক বছরের মধ্যেই পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচন। আর ২০১৮ সালের মতো লুঠ নয়। এবার গণতান্ত্রিক পরিবেশে, মানুষের পঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যে, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। তিনি বলেন, এ রাজ্যে বিজেপিই একমাত্র বিরোধী দল। সেই বিরোধী দল হিসাবেই আমরা বাংলাজুড়ে কাজ করছি। দলের প্রত্যেক নেতা-কর্মী জেলায় জেলায় নির্বাচনের আগে লাগাতার আন্দোলন চালাবেন। বিজেপির মিটিং-মিছিল টানা চলবে।

    পিসি-ভাইপো সম্পর্কে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)…

    শুভেন্দু বলেন, পিসি-ভাইপোর দুর্নীতির আঁতুড়ঘর ভেঙে দিতে হবে। সিপিএমের প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, জামালপুরে ২০১৬ সালে সিপিএমের প্রার্থীকে আপনারা জিতিয়েছিলেন। তৃণমূলকে হারিয়েছিলেন। সূর্যকান্ত মিশ্র হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা। সেই সময় বিরোধী দল সিপিএমের ভূমিকা ও বর্তমানে ৭৭টি সিট জেতা রাজ্যের আসল বিরোধী দল বিজেপির ভূমিকা আপনারা বলুন। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ওটা ছিল সেটিং অপজিশন। শুভেন্দু বলেন, তৃণমূলের সঙ্গে সেটিং করে একেবারে ঘরে ঢুকে গিয়েছিল। এখন মাঝেমধ্যে ঝান্ডা হাতে বেরিয়ে পড়ে। দুনিয়ার মজদুর এক হও বলে গলা ছাড়ে। শুভেন্দু বলেন, ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। রাষ্ট্রবাদী ডবল ইঞ্জিন সরকার ছাড়া পশ্চিমবঙ্গের পরিত্রাণ নেই। কারণ ৩৪ বছরের সিপিএম নিজেদের কর্মী-সমর্থকদের চাকরি দিয়েছে। আর প্রতি মাসে আড়াই শতাংশ করে লেভি নিয়েছে। তৃণমূল চাকরি নিয়ে বেচে দিচ্ছে। এখন শুধু পচা দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে।

    আরও পড়ুুন: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত

    পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল যে ভয় পেয়েছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি (Suvendu Adhikari) বলেন, ২০০-র বেশি আসন নিয়েও ভীত তৃণমূল। তাই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর প্রাসাদের মতো বাস নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। সেখানে আবার ব্যালটবাক্স উল্টে দিয়েছে এক দল। তিনি বলেন, ভাইপো ব্যালটবাক্স নিয়ে গিয়েছিল। সিতাই ও সাহেবগঞ্জে ব্যালটবাক্স ভেঙে দিয়েছে। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, মোদিজি বাংলায় ৫০ লক্ষ বাড়ি দিয়েছে। যতক্ষণ না হিসেব দেবে রাজ্য, ততক্ষণ পর্যন্ত ভারত সরকার টাকা দেবে না। তিনি বলেন, ধেড়ে ইঁদুর, জনজোয়ার যাত্রা হবে না, হবে তিহাড় যাত্রা। কয়লা ঝেড়ে শেষ তৃণমূল। তাই তো তৃণমূল ভয় পেয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত  

    Anubrata Mondal: ‘তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূলের নয়া ইউনিট টিটিএমসি’, ফের বললেন সুকান্ত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কেলেঙ্কারিতে (Cattle Smuggling Scam) যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। বুধবার ওই মামলায়ই গ্রেফতার হয়েছেন কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা। প্রত্যাশিতভাবেই খুশি বিরোধীরা। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, আগেই ভবিদ্ব্যাণী করেছিলাম। বলেছিলাম, শুধু সময়ের অপেক্ষা। তিনি বলেন, এবার তিহাড়েই নয়া ইউনিট খুলবে তৃণমূল।

    অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal ) সম্পর্কে ভবিষ্যদ্বাণী…

    সাংবাদিক বৈঠকে সুকান্ত বলেন, আগেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলাম। বলেছিলাম, শুধু সময়ের অপেক্ষা। কারণ বারবার ইডি, সিবিআই ডাকলেও তিনি যাননি। তাঁর কাছ থেকে কোনওরকম সহযোগিতা পাননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। বিশেষত ইডি। বারবার উচ্চ আদালতে গিয়ে সেটাকে বাইপাস করার চেষ্টা করেছেন। ফলে ইডি এখন বাধ্য হয়েছে তাঁকে গ্রেফতার করতে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, তাঁর নামে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। যদিও ব্যক্তিগত জীবনে তিনি একজন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা। খুব অল্প বয়স্কা। ফলে তাঁর এত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি থাকতে পারে না। তিনি বলেন, অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) রোজগারের কোনও হদিশ আমরা পাইনি। যদিও সম্পত্তির হদিশ পেয়েছি। আয়ের দিক থেকে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি কোথা থেকে এল, তাঁকে উত্তর দিতে হবে।

    সুকান্ত বলেন, অনুব্রত মণ্ডল একজন জেলা সভাপতি। একজন জেলা সভাপতির পক্ষে এত বড় পাচারের মতো ঘটনা, গরু পাচার বা কয়লা পাচারের মতো বিষয়কে পুরোপুরি সামলানো সম্ভব নয়। স্বাভাবিকভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের কালীঘাটের নেতাদের সঙ্গে এর যোগাযোগ রয়েছে। তাই ততক্ষণ পর্যন্ত এই বৃত্ত সম্পূর্ণ হচ্ছে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত এই মাথাগুলো ধরা পড়ে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, খুব তাড়াতাড়ি এই রাঘব বোয়ালরা ধরা পড়বে। তিহাড় জেলে তৈরি হবে তৃণমূল কংগ্রেসের নতুন ইউনিট টিটিএমসি।

    আরও পড়ুুন: কালিয়াগঞ্জে পুলিশের গুলিতে মৃত্যু রাজবংশী যুবকের! ‘‘দায় নিতে হবে মমতাকে’’, ট্যুইট শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় ইডি  গ্রেফতার করে সুকন্যাকে। এই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত (Anubrata Mondal)। তার পর থেকেই সুকন্যাকে তলব করা হচ্ছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরে নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত-কন্যাকে। চলে টানা জেরা। সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন সুকন্যা। তাই করা হয়েছে গ্রেফতার।

    বিজেপি নেতা তথা দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাহুল সিনহা বলেন, এই গ্রেফতার একদম সঠিক গ্রেফতার। এর মাধ্যমে আরও অনেক তথ্য বেরিয়ে আসবে। এই দুর্নীতির মূলোচ্ছেদ সারা বাংলার মানুষ চাইছেন। যত এজেন্ট আছে, গ্রেফতার হোক। আর এদেজেন্টদের নেতাও গ্রেফতার হোক। এটাই বাংলার মানুষের আকাঙ্খা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: এবার গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল

    Anubrata Mondal: এবার গরু পাচার মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার অনুব্রত-কন্যা সুকন্যা মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাবা গ্রেফতার হয়েছিলেন আগেই। এবার গ্রেফতার হলেন অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ে সুকন্যা (Sukanya Mondal)। বুধবার সন্ধ্যায় ইডি (ED) গ্রেফতার করে তাঁকে। এই মামলায় আট মাস আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তার পর থেকেই সুকন্যাকে তলব করা হচ্ছিল। প্রথমবার হাজিরা দিলেও, পরে নানা অছিলায় হাজিরা এড়িয়ে যান সুকন্যা। বুধবার সকালেই ডেকে পাঠানো হয় অনুব্রত-কন্যাকে। চলে টানা জেরা। তার পর সন্ধ্যায় গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, জিজ্ঞাসাবাদের সময় অসহযোগিতা করছিলেন সুকন্যা।

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়েকে জেরা…

    কেন্দ্রীয় এই তদন্তকারী সংস্থার দাবি, বিপুল সম্পত্তি সম্পর্কে সুকন্যাকে প্রশ্ন করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যদিও তিনি কোনও সদুত্তর দেননি। সুকন্যা জানিয়ে দেন, ওই সব প্রশ্নের উত্তর তাঁর বাবা ও হিসাবরক্ষক মণীশ কোঠারিই দিতে পারবেন। ইডি সূত্রে খবর, সেই কারণেই অনুব্রত (Anubrata Mondal) ও সুকন্যাকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সুকন্যা পেশায় প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা। আয়ের সঙ্গে মিল নেই তাঁর বিপুল সম্পত্তির। এর পরেই প্রশ্ন ওঠে, তবে কি সুকৌশলে গরু পাচারের টাকা রাখা হচ্ছিল সুকন্যার ভাণ্ডারে? কেবল অনুব্রত নন, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই মামলায় একে একে গ্রেফতার করে অনুব্রতর সঙ্গীদের। অনুব্রতর (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকেও গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার করা হয় অনুব্রতর হিসাবরক্ষক মণীশকে। এবার গ্রেফতার করা হয় কেষ্ট-কন্যাকে।

    আরও পড়ুুন: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    এদিকে, বাবা-মেয়ে দুজনেই গ্রেফতার হয়ে যাওয়ায় খাঁ খাঁ করছে বীরভূমে অনুব্রতর (Anubrata Mondal) বাড়ি। বাড়ির প্রহরায় রয়েছেন রাজ্য পুলিশের কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী। কিছুদিন আগেই দলীয় কর্মীদের সুকন্যার খোঁজ-খবর নিতে বলেছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পার্টির কেউ পাশে না থাকায় ঘনিষ্ঠ মহলে দুঃখ প্রকাশ করেছিলেন সুকন্যা। এবার তিনিও চলে গেলেন গারদের অন্তরালে। পার্টির লোকজন কি তবে বিপদ আঁচ করে আগেই কেটে পড়ে ছিলেন?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: অভিষেকের ‘এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক এক রাতের তাঁবু তৈরির খরচ ৯২ লক্ষ টাকা। বুধবার তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি সম্পর্কে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এই কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব যে বাস ব্যবহার করছেন, সে প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, বিলাসবহুল সেই বাস পাঁচতারা হোটেলকেও হার মানাবে। ওই বাসে যা যা ব্যবস্থা আছে, তা অনেক পাঁচতারা হোটেলেও থাকে না।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলীয় কর্মীদের ক্ষোভের আগুনে ধামাচাপা দিতে জনসংযোগ যাত্রায় বেরিয়েছেন অভিষেক। জনসংযোগ এই যাত্রার পোশাকি নাম নবজোয়ার। মঙ্গলবার কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছে এই কর্মসূচি। সেই কর্মসূচি পালন করতে গিয়েই লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিরোধীদের একাংশের অভিযোগ, এই টাকার সিংহভাগ অংশ খরচ করছে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতর। ফান্ডের অভাবে যেখানে সরকারি কর্মচারিদের বকেয়া ডিএ দেওয়া যাচ্ছে না, সেখানে কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা খরচ করে জনসংযোগ যাত্রা কর্মসূচি পালনের মানে কি? প্রশ্ন তাঁদের।

    শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) কটাক্ষ…

    অভিষেকের নবজোয়ার কর্মসূচিকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, ও (অভিষেক) যত ঘুরবে, ততই লাভ হবে বিজেপির। ভোট বাড়বে বিজেপির। অতীতেও হয়েছে, আগামী দিনেও হবে। তিনি বলেন, তাই এ ব্যাপারে বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। এদিন মুখ্যমন্ত্রীকেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, খুব খেলা হবে, খেলা হবে বলছিলেন। এখন উল্টো খেলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী রাজ্য সরকার। তিনি বলেন, কালিয়াগঞ্জ যাবেন নাকি? আপনি তো পুলিশমন্ত্রী, যান না একবার ঘুরে আসুন।

    আরও পড়ুুন: মমতার ঘাড়ে দিল্লির ‘ভূত’! মালদহকাণ্ডে বিজেপির চক্রান্ত দেখছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    এদিকে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) গড়ে নবজোয়ার কর্মসূচি পালন করতে আসছেন অভিষেক। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তিনি থাকবেন চারদিন। তার ঠিক আগে আগেই কার্যত ধস নামল ঘাসফুল শিবিরে। মঙ্গলবার সকালে পটাশপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে পদত্যাগ করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি, বুথ সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারী। পটাশপুর ২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, প্রধান হিসেবে আমি একা পদত্যাগ করিনি। অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্যই পদত্যাগ করেছেন। ব্লকের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও দ্বিচারিতার জন্যই পদত্যাগ করলাম। কোনও সিদ্ধান্ত আলোচনা না করেই আমাদের ওপর চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ব্লক নেতৃত্বের নির্দেশে পুলিশকে দিয়ে আমাদের পদাধিকারীরাই দলের কর্মীদের গ্রেফতার করাচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    TMC: তৃণমূলের প্রধান, অঞ্চল সভাপতি সহ ৩০ জন পদাধিকারীর গণ ইস্তফা! কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠী কোন্দল তত প্রকাশ্যে চলে আসছে। ঘর গোছাতে যখন উত্তরবঙ্গে নবজোয়ার যাত্রায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যস্ত, তখন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর-২ ব্লকে তৃণমূলের (TMC) গোষ্ঠীকোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে। যার জেরে দলীয় নেতা থেকে শুরু করে পঞ্চায়েতের পদাধিকারীরা গণ ইস্তফা দিলেন।

    কতজন গণইস্তফা দিয়েছেন?

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে দলীয় কর্মীদের কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের (TMC) শীর্ষস্থানীয় নেতারা। সেই সব নির্দেশকে তোয়াক্কা না করেই তৃণমূলের একদল নেতা, পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান, অঞ্চল তৃণমূলের সভাপতি, অঞ্চল যুব সভাপতি, পঞ্চায়েত সদস্য, তৃণমূলের (TMC) বুথ কমিটির সভাপতি সহ মোট ৩০ জন তৃণমূলের পদাধিকারী ইস্তফা দিয়েছেন। এই পটাশপুর-২ ব্লকের মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা ভগবানপুর বিধানসভার মধ্যে পড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    গণইস্তফা প্রসঙ্গে কী বললেন পঞ্চায়েত প্রধান?

    দলের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করে এই গণইস্তফা বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মূলত পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলা, ব্লক, অঞ্চল ও বুথ স্তর থেকে নেতৃত্বে রদবদল এনেছে তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব। সেই মতোই বিভিন্ন অঞ্চলের পাশাপাশি মথুরা পঞ্চায়েত এলাকায় অঞ্চল কমিটি ঘোষণা করা হয়। সেই কমিটিতে জায়গা না পেয়ে ব্লক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দলবাজির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং সেই সঙ্গে পদত্যাগ করেছেন। মথুরা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অমিত মণ্ডল বলেন, ব্লক স্তরে দলীয় কোন্দল এবং দ্বিচারিতার জন্যই আমরা পদত্যাগ করেছি। তবে, আমি প্রধান হিসেবে একা নই, অধিকাংশ পঞ্চায়েত সদস্য পদত্যাগ করেছেন।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    কাঁথি সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের (TMC) সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, দলকে ভালোবাসতে গিয়ে কর্মীরা অনেক আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন। তাই কিছু কর্মী এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। পদ থেকে পদত্যাগ করা কোনও সমাধান নয়। বরং, সকলে মিলে জোটবদ্ধ হয়ে বিজেপিকে বাংলা থেকে উত্খাত করতে হবে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    গণ ইস্তফার বিষয়টিকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপিও। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি স্বপন রায় বলেন, আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে পরাজয় নিশ্চিত, বুঝে গেছে তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের নীচু তলার নেতা কর্মীরা। তাই এই গণ ইস্তফার সিদ্ধান্ত।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    TMC: এবার মাথাভাঙাতেও অভিষেকের সভায় ব্যালট বক্স ছিনতাই! গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে মাথা ফাটল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোচবিহারে অভিষেকের সভায় বিশৃঙ্খলা চলছেই। মঙ্গলবার দুপুরে সাহেবগঞ্জ, গোঁসাইমারির পরে রাতে মাথাভাঙার কলেজে শুরু হয় দলেরই দুই গোষ্ঠীর মারামারি। একগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যালটবক্স ছিনতাইয়ের অভিযোগ তোলে অপর গোষ্ঠী। গণ্ডগোলের জেরে মাথা ফেটে যায় এক কর্মীর। পাশাপাশি, টি-শার্ট বিতরণকে কেন্দ্র করেও দলীয় কর্মী সমর্থকদের মধ্যে তুমুল কাড়াকাড়ি, মারামারিতে হুলুস্থুল কাণ্ড বেঁধে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে আসরে নামতে হয় স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে। বিরোধী মহলের কটাক্ষ, দলের ব্যালটই যখন ছিনতাই হয়ে যাচ্ছে, তখন সেখান থেকেই স্পষ্ট বার্তা পাওয়া যাচ্ছে পঞ্চায়েত ভোটে শাসক দল কী করতে চলেছে!

    কী ঘটল মাথাভাঙায়?

    জানা গেছে, মাথাভাঙা ও পচাগর গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এই গণ্ডগোল বেঁধে যায়। একে ওপরকে লক্ষ্য করে চলতে থাকে চেয়ার ছোড়াছুড়ি, এমনকী হাতাহাতিও হয়। বেশ কিছুক্ষণ ধরে চলে এই খণ্ডযুদ্ধ। ব্যালট বক্স ভেঙে দেওয়ার ফলে আর ভোট হয়নি। মঙ্গলবার দুপুরে মাথাভাঙায় সভা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এর পর শুরু হয় প্রার্থী বাছাই প্রক্রিয়া। আর তাকে ঘিরেই চরম বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। তৃণমূল নেতারা একে অপরের বিরুদ্ধে ভোট না দিতে দেওয়ার অভিযোগ তোলেন। দেখা যায় ব্যালট বাক্সের পাশেই জ্ঞান হারিয়ে পড়ে রয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী (TMC)। সব কিছু মিলিয়ে দলীয় ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থগিত হয়ে যায়।

    অভিষেকের হুঁশিয়ারিই সার!

    তৃণমূলের (TMC) নবজোয়ার কর্মসূচিতে দফায় দফায় মারামারি, হাতাহাতির ঘটনা ঘটেই চলেছে। অভিষেক বন্দোপাধ্যায়ের ঘোষণা অনুযায়ী, ভোটের মাধ্যমে দল প্রার্থী ঠিক করবে! আর সেখানেই যত বিপত্তি। সকালে সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারির ঘটনার পর এদিন রাতেও মাথাভাঙার ঘটনা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল যে অভিষেকের সতর্কবার্তার পরেও কোনও কাজ হয়নি। এবার অভিষেক তথা জেলার তৃণমূল নেতারা কী ব্যবস্থা নেন, সেই দিকেই নজর রয়েছে সকলের। একের পর এক বিশৃঙ্খলায় বিরোধী দলগুলি যে অক্সিজেন পেয়ে যাচ্ছে, একথাও চুপিসারে স্বীকার করছেন শাসক দলের বেশ কিছু নেতা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    Abhishek Banerjee: তৃণমূলের ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচিতে ব্যাপক গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, মারামারি, ছেঁড়া হল ব্যালট   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayet Polls) আগে ঘর গুছোতে ‘নবজোয়ার’ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে তৃণমূল (TMC)। মঙ্গলবার কোচবিহারে শুরু হয়েছে সেই কর্মসূচি। তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) জানিয়েছিলেন ‘গ্রাম বাংলা মতামত’ কর্মসূচির আওতায় গোপন ব্যালটে ভোট নিয়ে হবে চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা। সেই কর্মসূচিকে ঘিরেই এদিন কোচবিহারে দেখা গেল চরম বিশৃঙ্খলা। তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারামারি, হুড়োহুড়ি মায় ব্যালট বাক্স ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটল। ঘটনায় যারপরনাই বিব্রত তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। শেষমেশ অভিষেক ঘোষণা করলেন, কেন এই ঘটনা ঘটল, তা তদন্ত করে দেখতে বলা হয়েছে জেলাশাসককে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ জানান, বুধবার ওই জায়গায়ই ফের ভোট হবে প্রার্থী বাছাইয়ের।

    অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সভায় বিশৃঙ্খলা…

    এদিন সাহেবগঞ্জ ও গোঁসানিমারি এলাকায় জনসভা করেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। পঞ্চায়েতে কারা প্রার্থী হবেন, তা জানতে গোপন ব্যালটে ভোট দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেন এই তৃণমূল নেতা। প্রথমে তিনি সভা করেন সাহেবগঞ্জে। পরে যান গোঁসানিমারি হাইস্কুল মাঠের সভায়। বক্তৃতার শেষে অভিষেক জানান, মঞ্চে ব্যালট বাক্স রেখে যাচ্ছেন। উপস্থিত তৃণমূল নেতা-কর্মী-সমর্থকরা যেন নিজেদের প্রার্থী বাছাই শুরু করেন। বক্তৃতা শেষ করে শীতলখুচির উদ্দেশে রওনা দেন অভিষেক। তার পরেই শুরু হয় ব্যাপক বিশৃঙ্খলা। হুড়োহুড়ি করে যে যেখানে ছিলেন মঞ্চে ওঠার চেষ্টা করেন। কয়েকজন ব্যালট বাক্স নিয়ে পালানোর চেষ্টাও করেন। কয়েকজন আবার তাঁদের বাধা দেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    ব্যালট বাক্স নিয়ে দু পক্ষে কার্যত চলতে থাকে দড়ি টানাটানি খেলা। কয়েকজনকে আবার ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলতে দেখা যায়। শুরু হয় ধাক্কাধাক্কি, মারামারি। ব্যালট বাক্স ভেঙে ফেলাও হয়েছে বলে অভিযোগ। বাক্স থেকে কয়েকজনকে ব্যালট পেপার বের করে ফেলতেও দেখা যায়। হট্টগোল পরিস্থিতির মোকাবিলায় পুলিশ মঞ্চ থেকে ঠেলে নামিয়ে দেয় তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। মঞ্চের নিচে পুলিশের সামনেই ফের একপ্রস্ত মারামারি শুরু হয় তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে।

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Abhishek Banerjee) রাজ্যের সিংহভাগ আসনেই বিরোধীদের প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। পরে অবশ্য অবাধ পঞ্চায়েত নির্বাচনের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে রাজ্যের শাসক দলের পক্ষ থেকে। এমতাবস্থায় দলীয় প্রার্থী নির্বাচন নিয়েই ঘটে গেল ব্যালট পেপার ছিনতাই, ব্যালট বাক্স ভাঙচুরের মতো ঘটনা। প্রত্যাশিতভাবেই অশনি সংকেত দেখছেন বিরোধীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার! জেলা জুড়ে শোরগোল

    TMC: ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূল নেতার! জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ত্রিপল কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূলের (TMC) অঞ্চল সভাপতির। বন্যা, দুর্গতদের জন্য বরাদ্দ সরকারি ত্রিপল নিজের বাড়িতে মজুত করে রেখে ভোটের আগে বিলি করছে বলে অভিযোগ। মঙ্গলবার বিষয়টি জানাজানি হতেই মালদহের মানিকচকের বালুটোলা জিসারটোলা এলাকায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি সহ কয়েকজনের থানায় অভিযোগও হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ত্রিপলের মধ্যে বিশ্ব বাংলা লোগো রয়েছে। সরকারি স্ট্যাম্প রয়েছে। এই ধরনের ত্রিপল সাধারণত ব্লক প্রশাসনের পক্ষ থেকে বন্যা দুর্গতদের বিলি করা হয়। সেই ত্রিপল মজুত রয়েছে তৃণমূলের (TMC)  গোপালপুর অঞ্চলের সভাপতি মহম্মদ নাসিরের বাড়িতে। মঙ্গলবার জিসারটোলা এলাকায় সরকারি ত্রিপল তৃণমূল (TMC) নেতা বিলি করছিল বলে অভিযোগ। স্থানীয় তৃণমূল নেতা আসিদুর রহমানের বাড়ি থেকে সরকারি সিলমোহর লাগানো ত্রিপল বিলি করা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ ত্রিপল চাইতে গেলে তাঁদের ত্রিপল দেওয়া হয়নি। এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয় বচসা। পরে, এলাকাবাসীদের একাংশ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

    ত্রিপল বিলি নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী ?

    স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ ইফতাজুল বলেন, বন্যার সময় ত্রিপল বিলি হয়। এখন তো বন্যা নেই, তাহলে ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে কেন? আসলে জিসারটোলা এলাকায় প্রার্থী হওয়ার জন্য সরকারি ত্রিপল বিলি করা চলছিল। আমরা একটি ত্রিপলের নমুনা সংগ্রহ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। রাকেশ আলি অন্য এক বাসিন্দা বলেন, তৃণমূলে (TMC) ভোট দেওয়ার কথা কেউ বললেই তার হাতে ত্রিপল তুলে দেওয়া হচ্ছিল। আমরা গিয়ে প্রতিবাদ করি। এনিয়ে আমাদের সঙ্গে বচসা হয়। আমরা থানায় তৃণমূল (TMC) নেতাদের নামে অভিযোগ দায়ের করেছি। জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতা মহম্মদ নাসির, আসিদুর রহমান, আজাহার আলী সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে মানিকচক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

    কী বললেন তৃণমূল (TMC)  নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের (TMC) গোপালপুর অঞ্চলের সভাপতি নাসির সেখ বলেন,বিরোধীরা কোনও ইস্যু পাচ্ছে না বলে এসব রটাচ্ছে। এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। ত্রিপল বিলি হচ্ছে এমন ঘটনা আমার জানা নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতা?

    বিজেপি নেতা গৌর মণ্ডল বলেন, বন্যার সময় সাধারণ মানুষ ত্রিপল পাননি। আর সেই ত্রিপল এখন বিলি করে মানুষের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল (TMC)। সরকারি ত্রিপল নিয়ে ওরা রাজনৈতিক ফয়দা তোলার চেষ্টা করছে। আমরা তা ভাবতে পারছি না। এই ঘটনার আমরা তীব্র নিন্দা করছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukul Roy: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    Mukul Roy: মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার করবে না বিজেপি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুকুল রায়ের (Mukul Roy) বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে আবেদন করেছিল বিজেপির (BJP) পরিষদীয় দল। তৃণমূল (TMC) ঘুরে বিজেপিতে ফিরতে মরিয়া মুকুল দিল্লিতে পড়ে রয়েছেন হত্যে দিয়ে। যদিও বিজেপির কোনও শীর্ষ নেতা দেখা করেননি মুকুলের সঙ্গে। এমতাবস্থায় পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের যে আবেদন করা হয়েছিল, তা ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।

    মুকুল রায়ের (Mukul Roy) ভোলবদল…

    দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বিরোধের জেরে বছর কয়েক আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন মুকুল রায়। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর উত্তরে তাঁকে প্রার্থী করে পদ্মশিবির। তৃণমূল প্রার্থীকে পরাজিত করে পদ্ম চিহ্ন নিয়ে ওই আসনে হইহই করে জিতে যান মুকুল (Mukul Roy)। এর পর ১১ জুন, ছেলে শুভ্রাংশুকে নিয়ে তৃণমূল ভবনে গিয়ে যোগ দেন ঘাসফুল শিবিরে। সপুত্র মুকুলের ঘর ওয়াপসির অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং এবং তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলবদলের পুরস্কার স্বরূপ মুকুলকে দেওয়া হয় পিএসি-র চেয়ারম্যানের পদ।

    এর পরেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের দাবিতে চিঠি দেন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। পরে বিষয়টি নিয়ে শুভেন্দু দ্বারস্থ হন কলকাতা হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টের। স্পিকার তাঁর রায় ঘোষণা করলেও, আদলতে বিচারাধীন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার আবেদন। এহেন আবহে গত ১৭ এপ্রিল আচমকাই ‘নিখোঁজ’ হয়ে যান মুকুল। বীজপুর থানা এবং দমদমের এয়ারপোর্ট থানায় মিসিং ডায়েরি করেন শুভ্রাংশু। পরে জানা যায়, মুকুল গিয়েছেন দিল্লিতে। সেখানেই রয়েছেন। এর পর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুকুল বলেন, তিনি বিজেপিতেই রয়েছেন। কোনওদিন তৃণমূলে ছিলেন না। তিনি এও জানিয়েছিলেন, বিজেপির সঙ্গে থেকেই কাজ করতে চান। তাই বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লিতে এসেছেন।

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মুকুলের (Mukul Roy) বিজেপিতে ফেরার প্রসঙ্গে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, মুকুল যখন দলত্যাগ করেছিলেন, তখন তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সভাপতি ছিলেন। তাই তাঁর বিষয়ে সিদ্ধান্ত যা নেওয়ার তা নেবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্বই। মুকুলের বিধায়ক পদ খারিজের আবেদন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার দফতর জানিয়েছে, আবেদন প্রত্যাহারের কোনও প্রশ্নই নেই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share