Tag: tmc

tmc

  • Tribal People: দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের গ্রামে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি, সরব বিজেপি

    Tribal People: দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতাদের গ্রামে গেলেন তৃণমূলের আদিবাসী সেলের রাজ্য সভাপতি, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ দণ্ডিকাণ্ডে কার্যত ব্যাকফুটে তৃণমূল। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষ যাতে মুখ ফিরিয়ে না নেয়, তারজন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে শাসক দল। বুধবার দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাদ সনকইর এলাকার মিশনপাড়া গ্রামে দণ্ডি কাণ্ডের তিন আদিবাসী মহিলাদের সঙ্গে দেখা করতে যান তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেব টুডু। সঙ্গে ছিলেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তথা তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর ললিতা টিগ্গা, জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা সন্তোষ হাঁসদা, বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কু এবং তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের জেলা সভাপতি স্নেহলতা হেমব্রম। দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলাদের বাড়িতে গিয়ে তাঁরা দেখা করেন।

    কী বললেন দণ্ডিকাণ্ডে নির্যাতিতা মহিলা?

    বিজেপি করার অপরাধে কয়েকদিন আগে তিন আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে বালুরঘাটে ডেকে দণ্ডিকাটার নিদান দিয়েছিলেন তত্কালীন মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রী প্রদীপ্তা চক্রবর্তী। আর বিষয়টি জানাজানি হতেই আদিবাসী (Tribal People) সমাজ কার্যত বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। তাঁরা নির্যাতিতাদের পাশে থাকার পাশাপাশি রাস্তায় নেমে আন্দোলন করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ঘটনা জানাজানি হওয়ার একদিনের মধ্যেই প্রদীপ্তাকে পদ থেকে সরিয়ে স্নেহলতা হেমব্রম নামে এক আদিবাসী (Tribal People) মহিলাকে মহিলা তৃণমূলের জেলা সভানেত্রীর পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। বুধবার দণ্ডিকাণ্ডে এক নির্যাতিতা বলেন, তৃণমূলের পক্ষ থেকে পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়ায় আমি খুশি। আর ওই নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ভাল লাগছে।

    কী বললেন তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি?

    দণ্ডিকাণ্ডের বিষয়টি জানাজানি হতেই জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব নির্যাতিতাদের বাড়িতে যান। অভিযুক্ত নেত্রীকে পদ থেকে সরিয়ে দেন। তাতেও আদিবাসী (Tribal People) সমাজের বরফ গলেনি। মঙ্গলবারও সংগঠনের পক্ষ থেকে আন্দোলন করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে এবার আদিবাসী (Tribal People) নেতাদের গ্রামে পাঠিয়ে মন জয়ের চেষ্টা করলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তৃণমূলের আদিবাসী (Tribal People) সেলের রাজ্য সভাপতি দেবু টুডু বলেন, আদিবাসী যে মহিলাদের সঙ্গে অন্যায় হয়েছিল, তাদের সঙ্গে দেখা করলাম। তাঁদের সবসময় পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছি। দোষীদের শাস্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অভিযুক্ত নেত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তৃণমূল সুপ্রিমো তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিয়েছে। এখন বিজেপি ঘোলা জলে মাছ ধরতে চাইছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। আদিবাসীরা (Tribal People) সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে রয়েছে।

    কী বলল বিজেপি নেতৃত্ব?

    ঘটনাটি জানাজানি হতেই বিজেপি নেতৃত্ব আন্দোলন শুরু করেন। জেলা জুড়ে প্রতিটি থানায় বিক্ষোভ দেখান। জেলা প্রশাসনিক অফিস ঘেরাও করে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার প্রতিবাদ সভা করেন। ফলে, বিজেপির লাগাতার আন্দোলনে তৃণমূল কোণঠাসা হয়ে পড়ে। বিজেপি-র জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, আদিবাসী (Tribal People) মহিলাদের সঙ্গে গুরুতর অন্যায়ের বিষয়টি ধামাচাপা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে তৃণমূল। এসব করে কোনও লাভ হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    ECL: ইসিএলের রাস্তা দখল করে পাঁচিল তুলল তৃণমূল কাউন্সিলার! ভাঙলেন এলাকাবাসী, কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বাজারে যাওয়ার রাস্তা। সকলেই ইসিএলের (ECL) জমি হিসেবেই জানেন। বাজারে যাওয়ার জন্য এই রাস্তা এলাকার মানুষ ব্যবহার করেন। এবার সেই রাস্তা দখল করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কাউন্সিলারের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার কুলটি ডিসেরগড়ের সাঁকতোড়িয়া বাজার এলাকায়। আর রাস্তা দখল করে আসানসোল পুরসভার ১০৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল রাতারাতি পাঁচিল দিয়েছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে এলাকায় শোড়গোল পড়ে গিয়েছে।

    রাস্তা ঘিরে পাঁচিল তৈরি করায় কী করলেন স্থানীয় বাসিন্দারা?

    সাঁকতোড়িয়া বাজারের ছোট-বড় প্রায় শ’খানেক দোকান রয়েছে। এই বাজারে আসতে এলাকার বাসিন্দারা ইসিএলের (ECL) রাস্তা ব্যবহার করেন। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল দেওয়ার বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকাবাসী ক্ষোভে ফেটে পড়েন। সকলেই জোটবদ্ধ হয়ে পাঁচিল ভেঙে দেন। কাউন্সিলারের লোকজন এসে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু, কোনও লাভ হয়নি। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেন।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সাঁকতোড়িয়া বাজার প্রায় একশো বছরের পুরানো। এই বাজারের জমির মালিক ইসিএল (ECL)। সকলেই এই জমি রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করেন। সেই জমি কী করে কাউন্সিলার দখল করে নেয়। কারণ, এটা সম্পূর্ণ বেআইনি। নিজের ক্ষমতাকে ব্যবহার করে ওরা এসব করেছে। ভুয়ো কাগজপত্র দেখিয়ে বলছে, ইসিএলের (ECL) জমির মালিক এখন কাউন্সিলর। আমরা তা মেনে নিইনি। এদিন আমরা সকলেই এসে রাস্তার উপর তৈরি হওয়া পাঁচিল ভেঙে দিয়েছি। পুলিশ প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করেছে। ঘটনার পর পরই স্থানীয় তৃণমূল নেতা চন্দন আচার্য ঘটনাস্থলে যান। তিনি বলেন, এটা তো রাস্তা। সেই রাস্তা দখল করে পাঁচিল তোলা চলবে না। আমরা মেনে নেব না। তাই, এলাকার মানুষ বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। আমরা তাঁদের সঙ্গে রয়েছি।

    কী বললেন অভিযুক্ত কাউন্সিলার?

    দলের নেতাই কাউন্সিলারের এই অপকর্ম নিয়ে সরব হয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাঁচিল ভাঙা প্রসঙ্গে কাউন্সিলার অঞ্জন মণ্ডল বলেন, কাউন্সিলর হয়ে আমি কোনও বেআইনি কাজ করিনি। আমি আমার জমিতে পাঁচিল দিয়েছি। সেটা ওরা ভেঙে দিয়েছে। সকলের নামে আদালতে মামলা করব।

    রাস্তা দখল করা নিয়ে কী বললেন বিজেপি নেতা?

    এই বিষয়ে স্থানীয় বিজেপি নেতা অভিজিৎ আচার্য বলেন, এলাকার তৃণমূল কাউন্সিলার জমি দখল করছে, দলেরই আরেক নেতা এই অভিযোগ করছেন। এতে বোঝাই যাচ্ছে তৃণমূল নেতাদের পরিস্থিতি। সব জায়গাতেই তারা দুর্নীতিতে লিপ্ত। ইসিএলের (ECL) জমিও ওরা নিজের বলছে। এর আগে ইসিএলের বহু জমি ওই তৃণমূল নেতা বিক্রি করে দিয়েছে। এবারও সেই চেষ্টা করেছিল। এলাকার মানুষের বাধাতে আর সেটা করতে পারেনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    Sukanta Majumdar: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব সুকান্ত! মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুর পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। পুরসভায় নির্বাচনের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে দুর্গাপুর শহরে মিছিল করে বিজেপি। পরে, পথসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, “ছয়মাস পার হয়ে গেলেও দুর্গাপুর পুরসভায় নির্বাচন হয়নি। এক কাউন্সিলরের পদ চলে যাওয়ার পর সে নিজে গিয়ে পুরসভায় চাকরি নিয়েছেন।” দুর্গাপুর পুরসভায় চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। পুরসভা থেকে ভ্যাকসিন চুরি নিয়ে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “কুকুরের ভ্যাকসিন চুরি করে খাচ্ছে চোরেরা। রাস্তায় তৃণমূল নেতারা ঘুরলে আর কুকুরে কামড়ে দিলে কুকুরের কোনও দোষ থাকবে না। তৃণমূল নেতাদের দোষ থাকবে। আসলে এরা জানে আজ না হয় কাল কুকুর কামড়াবে, তাই আগে থেকেই ভ্যাকসিন লুকিয়ে রাখছে।”

    মন্ত্রী মলয় ঘটককে নিয়ে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    দলীয় সভা থেকে তৃণমূল নেতা তথা রাজ্যের মন্ত্রী মলয় ঘটকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, কয়লা পাচার কাণ্ডে সিবিআইয়ের খাতায় ইতিমধ্যেই মলয় ঘটকের নাম উঠে গিয়েছে। “কয়লা ঘটক নামে এই জেলাকে এখন চেনা হয়। সিবিআইয়ের ডাক পেয়েছে, ঘটক বলছে যাব না। দিল্লিতে আজ না হয় কাল কয়লা ঘটককে যেতেই হবে।”

    রাজু ঝা-কে নিয়ে কী বললেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    ইতিমধ্যেই রাজু ঝা-কে খুন করার ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। কীভাবে তাঁকে দুষ্কৃতীরা পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে খুন করেছে তা ভিডিও-তে দেখা যাচ্ছে। সেই ভিডিও পুলিশের হাতে এসেছে, তারপরও দুষ্কৃতীরা অধরা। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “বড় মাথার হাত আছে। রাজু ঝায়ের হাতে থাকা তথ্য সিবিআইয়ের কাছে গেলে অনেক রাঘব বোয়াল ধরা পড়ত। আন্দাজ করছি, ঘটনায় বড়সড় চক্রান্ত আছে।”

    তৃণমূলের জাতীয় দল হারানো প্রসঙ্গে কী বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)?

    এদিন তিনি তৃণমূলের জাতীয়দলের তকমা হারানো প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “কাক পেখম লাগালেই ময়ূর হয় না। তৃণমূল জাতীয় দল হলে, কাঁঠালের আমসত্ত্ব হবে। সোনার পাথরবাটি হবে। তৃণমূল কখনই জাতীয় দল ছিল না, জাতীয় দল সেজে ছিল। কাঁঠালের আমসত্ব হবে না। সোনার পাথর বাটি সম্ভব নয়। তৃণমূল জাতীয় দল হবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    Tribal Movement: দণ্ডি-কাটা ইস্যুতে আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের বিক্ষোভ-মিছিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদিবাসী মহিলাদের দণ্ডি কেটে তৃণমূলে যোগদানের ঘটনায় মঙ্গলবার আদিবাসীদের আটটি সংগঠনের যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ-মিছিল (Tribal Movement) করা হল। আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে এদিন বিকেলে বালুরঘাট হাইস্কুল ময়দান থেকে ওই মিছিল বের করা হয়। এই মিছিল পরিক্রমা করে সারা শহর। পরে জেলাশাসকের দফতরের সামনে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। 

    ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না, ঘোষণা সংগঠনের

    সংগঠনের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়, এই ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনা আদিবাসী সমাজ মেনে নেবে না। তারই প্রতিবাদে এদিন জেলাশাসকের দফতরের সামনে বিক্ষোভ (Tribal Movement) দেখানো হচ্ছে। তাদের দাবি, পুলিশের খাতায় যেভাবে অজ্ঞাত দুষ্কৃতী লেখা হয়েছে, তা অন্যায়। কারণ, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে প্রধান সংবাদমাধ্যম, সব জায়গাতেই এটা পরিষ্কার দেখানো হয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত কে। এমনকী তৃণমূল দল মেনে নিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে প্রদীপ্তা চক্রবর্তী যুক্ত আছেন এবং সেই কারণেই তাকে দলের সমস্ত দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এরপরেও পুলিশ কেন বিষয়টি বুঝতে পারছে না, তা অজানা।

    বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি

    আগামী দিনে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নিলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনের (Tribal Movement) হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় সংগঠনের পক্ষ থেকে। পাশাপাশি এই বিষয়টি নিয়ে পুলিশ-প্রশাসন আইনি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে বলে জানান জেলার পুলিশ সুপার রাহুল দে। সংগঠনের পক্ষ থেকে বিক্ষোভকারীরা বালুরঘাট থানার সামনে এসে প্রায় এক ঘন্টা পথ অবরোধ করেন। এরপর আদিবাসী যৌথমঞ্চের পক্ষ থেকে একটি প্রতিনিধিদল জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করে। অবিলম্বে এই ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানানো হয়। এদিন পুলিশ-প্রশাসনের পক্ষ থেকে তপন ব্লকের গোফানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাতশংকর এলাকার পুলিশ ক্যাম্প বসানো হয়েছে।

    উল্লেখ্য, দণ্ডি কাটিয়ে সংগঠনে যোগদানের ঘটনাকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল সমর্থন করেনি। এমনকী সংগঠনের সমস্ত পদ থেকে প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরানো হয়েছে। রাজ্য পার্টির নির্দেশে জেলা মহিলা তৃণমূলের নতুন সভাপতি হিসাবে একজন আদিবাসী মহিলাকে তুলে এনেছে দল। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেলার আদিবাসী সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাতে না যায়, সেজন্যই এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মনে করছে জেলার রাজনৈতিক মহল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    Scam: চাকরি দুর্নীতিতে নাম জড়াল তৃণমূল বিধায়ক অভিনেতা চিরঞ্জিতের! ঠিক কী অভিযোগ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল তৃণমূলের তারকা বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে বাঁকা পথে চাকরি পাইয়ে দেওয়া হয়েছে তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে। অভিযোগ, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও চাকরি বিক্রির নামে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ টাকার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর পরিবারকে। বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীর এই অভিযোগ ঘিরে শোরগোল পড়ে গিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার জেলা সদর বারাসতে। যদিও সমস্ত অভিযোগ তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী অস্বীকার করেছেন।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০১৪-১৫ সালে গ্রুপ-সি এবং গ্রুপ-ডি কর্মী নিয়োগের জন্য বারাসত পুরসভায় বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। নিয়ম মেনে তাতে আবেদন করেছিলেন বারাসতের উত্তর কাজিপাড়ার বাসিন্দা কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। পুরসভা সূত্রে খবর, এই চাকরির জন্য সাতশো-র বেশি আবেদনপত্র জমা পড়েছিল। ২০১৪ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পরীক্ষার দিনক্ষণও ধার্য করা হয়েছিল। লিখিত পরীক্ষার পর ইন্টারভিউও হয়। ইন্টারভিউয়ের সুযোগ পেয়েছিলেন কাজী আজিজ হোসেন হায়দার। তাঁর দাবি, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত ওই প্রার্থীর কপালে জোটেনি পুরসভার স্থায়ী কর্মী পদের চাকরি। অভিযোগ, তাঁর পরিবর্তে চাকরি পেয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর নিরপত্তারক্ষীর মেয়ে পায়েল ইন্দু (মণ্ডল)। আর এই নিয়োগে দুর্নীতি (Scam) হয়েছে বলে বঞ্চিত প্রার্থীর দাবি। এরপরই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, কীভাবে একজন যোগ্য প্রার্থীকে বঞ্চিত করে সেই চাকরি পাইয়ে দেওয়া হল তৃণমূল বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়েকে! তাহলে কি কোথাও বিধায়কের প্রভাব কাজ করেছে এক্ষেত্রে? যোগ‍্যতার মাপকাঠি বিচার না করেই পুরসভার চেয়ারম্যান ঘুরপথে চাকরি দিয়েছেন।

    কী বললেন বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী?

    বঞ্চিত চাকরি প্রার্থী কাজী আজিজ হোসেন হায়দার বলেন, “ওই নিয়োগ পরীক্ষায় মেরিট লিস্টে আমার নাম ছিল তিন নম্বরে। এরপর ইন্টারভিউয়ে সবকিছু ঠিকঠাক ভাবেই উত্তর দিয়েছিলাম। কিন্তু, পরে শুনলাম সেই চাকরি পেয়েছেন বিধায়কের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে। আমার বিষয়টি দেখার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে বার বার অনুরোধ করেছিলাম। যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও আমাকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি ।”

    কী বললেন পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা বর্তমান কাউন্সিলর?

    বিতর্কিত এই নিয়োগের সময় বারাসত পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন সুনীল মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এই অভিযোগ ঠিক নয়। সমস্ত নিয়োগ স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছিল। আসলে যে অভিযোগ করছে তিনি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছেন।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী বলেন, আমি কোনও দুর্নীতি (Scam) করিনি। আর কারও জন্য সুপারিশ করেছি বলে মনে নেই। আর এই ধরনের অভিযোগ করা হলে প্রমাণ দিতে হবে। আমার বিরুদ্ধে আঙুল তুললে হবে না। কারণ, আমি জানি এই ধরনের কোনও কাজ আমি করিনি। এই বিষয়ে আমি স্বচ্ছ রয়েছি।

    নিয়োগ নিয়ে কী বললেন পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান?

    পুরসভার বর্তমান চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় বলেন, আমার কাছে এই ধরনের কোনও অভিযোগ হয়নি। এটুকু বলতে পারি, আগে বোর্ডে যা নিয়োগ হয়েছে কোথাও কোনও দুর্নীতি (Scam) হয়নি। স্বচ্ছতার সঙ্গে হয়েছে। আর নিয়োগ নিয়ে কোনও দুর্নীতির (Scam) অভিযোগ আসলে আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখব।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Attack: শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত, উত্তেজনা কাঁথিতে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    TMC Attack: শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত, উত্তেজনা কাঁথিতে, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়ার শিবপুর এবং হুগলির রিষড়ায় রামনবমীর মিছিলে হামলা চালানোর ঘটনা নিয়ে রাজ্য-রাজনীতি তোলপাড়। রামনবমীর শোভাযাত্রায় গিয়ে বহু ভক্ত আক্রান্ত হয়েছিলেন। এবার শিবের মাথায় জল ঢালতে গিয়ে আক্রান্ত (TMC Attack) হলেন বেশ কয়েকজন। সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দক্ষিণ কাঁথি বিধানসভা কেন্দ্রে। ঘটনাস্থল কাঁথি-১ নম্বর ব্লকের দুলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হামির মহল গ্রাম। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে এই নির্মম অত্যাচারের ঘটনায় সাধারণ মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে এলেও ভবিষ্যতে যে ফের হামলা হবে না, এমন আশ্বস্ত হতে পারছেন না অনেকেই।

    ঠিক কী ঘটেছিল? 

    সোমবার রাতে এই গ্রামের শিবভক্তরা চন্দনেশ্বর থেকে জল নিয়ে যখন পাকা রাস্তা ছেড়ে গ্রামে প্রবেশ করেন, তখন বাবার মাথায় ঢালতে গেলেই শুরু হয় গণ্ডগোল। সেই সময় ভক্তদের উপর চড়াও হয় (TMC Attack) তৃণমূলের বেশ কিছু দুষ্কৃতী, অভিযোগ এমনটাই। গণ্ডগোলের খবর পেয়ে গ্রামে পৌঁছয় পুলিশ। পুলিশি তৎপরতায় রাতেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। তারপর ভক্তরা শিবের মাথায় জল ঢালেন। আহতরা বেশিরভাগ মাজনা ও কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তাঁদের চিকিৎসা চলছে। গ্রামবাসীদের বক্তব্য, রাজনৈতিক হানাহানি তো আছেই। কিন্তু এর মধ্যে ধর্মাচরণে এভাবে কেন আঘাত হানা হচ্ছে, তা তাঁরা বুঝে উঠতে পারছেন না। গ্রামের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ এবং প্রশাসনকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি তাঁরা জানিয়েছেন। পুলিশ দাবি করেছে, পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে।

    পুলিশকে সক্রিয় হওয়ার আবেদন বিজেপির

    শিবভক্তদের এভাবে আক্রান্ত (TMC Attack) হওয়ার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেছে বিজেপি। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি অসীম মিশ্র পুলিশকে দ্রুত সক্রিয় হওয়ার আবেদন জানিয়েছেন।

    প্রতিক্রিয়া দিলেন না তৃণমূল নেতা

    একটা গণ্ডগোল হয়েছিল। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে। এ বিষয়ে এখনই কোনও প্রতিক্রিয়া দেব না। বললেন কাঁথি এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা প্রদীপ গায়েন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    Complain: অয়ন শীলের বিরুদ্ধে চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ! প্রতারিত চাকরি প্রার্থীর পাশে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত অয়ন শীলের বিরুদ্ধে এবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করলেন প্রতারিত এক চাকরি প্রার্থী। তাঁর নাম চয়নিকা আঢ্য। বাড়ি চুঁচুড়ার ষন্ডেশ্বর তলায়। দুর্নীতির অভিযোগে ইডি-র (ED) হাতে অয়ন শীল গ্রেফতার হওয়ার পর চয়নিকা তাঁর প্রতারণার কথা সংবাদ মাধ্যমের সামনে তুলে ধরেছিলেন। যোগ্যতা থাকার পরও টাকা না দেওয়ায় অয়ন চাকরি দেয়নি বলে তিনি অভিযোগ তুলেছিলেন। তবে, পুলিশ প্রশাসনের কাছে এই প্রথম অয়নের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন। পাশাপাশি টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরীর বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) দায়ের করা হয়েছে।

    অয়ন শীলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ (Complain)?

    চয়নিকা আঢ্য নামে ওই চাকরি প্রার্থী ২০১৯ সালে টিটাগড় পুরসভার গ্রুপ ডি পদে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ, সেই চাকরিতে যোগ দিতে গেলে অয়ন শীল ৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দিতে পারায় নিজের যোগ্যতায় পাওয়া চাকরি করতে পারেননি চয়নিকা। টিটাগড় পুরসভায় প্রায় এক সপ্তাহ তিনি কাজও করেছিলেন। জিরো ব্যালেন্সে ব্যাংকের স্যালারি অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হয়। এটিএম কার্ডও দেওয়া হয়। তারপরও চাকরি হয়নি তাঁর। পুরসভায় জানতে গেলে টাকা না দিলে চাকরি হবে না বলে জানানো হয়।

    এতদিন পর অয়নের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ (Complain) নিয়ে কী বললেন চয়নিকা?

    ১ লা এপ্রিল বিজেপি আইনজীবী সেলের এক প্রতিনিধি দল চয়নিকার বাড়িতে গিয়ে আইনি সাহায্য দেওয়ার আশ্বাস দেয়। এরপরই সোমবার চুঁচুড়া থানায় অভিযোগ (Complain) দায়ের করেন চয়নিকা। সঙ্গে ছিলেন বিজেপি আইনজীবী সেলের সদস্যরা। অয়ন শীল ছাড়া আরও তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ (Complain) করা হয়। জানা গিয়েছে, যে পুলিশ কর্মী অয়ন শীলের বার্তা নিয়ে চয়নিকার বাড়িতে গিয়েছিলেন সেই মানস সেন, টিটাগড় পুরসভার তৎকালীন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং টিটাগড় পুরসভার বড়বাবু শঙ্কর কুমার সিং-এর বিরুদ্ধেও অভিযোগ (Complain) করা হয়েছে। চয়নিকা বলেন, পরীক্ষা দিয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছিলাম। অয়ন শীলের এই চক্রের জন্য সেই চাকরি করতে পারিনি। আমার হকের চাকরি ফেরত চাই। অভিযুক্তের শাস্তি চাই। আর অয়ন শীলের লোকজন হুমকি দিত বলে এতদিন থানায় অভিযোগ (Complain) করতে পারিনি। এখন পাশে অনেকে রয়েছে, তাই সাহস করে থানায় অভিযোগ (Complain) জানালাম।

    কী বললেন বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য?

    চয়নিকার আইনজীবী তথা বিজেপি-র আইনজীবী সেলের সদস্য শিবাজি দাস বলেন, চয়নিকার কাছে যে তথ্য প্রমাণ রয়েছে, তার ভিত্তিতে চাকরি ফিরে পেতে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা না। তাই, এদিন এফ আই আর করা হয়েছে। পুলিশ কি ব্যবস্থা নেয় তা দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Scam: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    Scam: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি! তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দুর্নীতি (Scam) নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। দুর্নীতিতে (Scam) জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একের পর এক রাঘববোয়ালরা জেলে যাচ্ছে। এবার চাকরি দুর্নীতিতে (Scam) নাম জড়াল আরামবাগের এক তৃণমূল নেতার ভাগ্নের। মামা তৃণমূলের আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান। আর তাঁকে ভাঙিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ হাজরা। তার বাড়ি হুগলি জেলার আরামবাগ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে। সে আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভান্ডারির ভাগ্নে। লক্ষ লক্ষ টাকা দেওয়ার পর চাকরি না হওয়ায় প্রতারিতরা সোমবার রাতে তৃণমূল নেতার ভাগ্নের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান বলে অভিযোগ। বিক্ষোভকারীরা অভিযুক্তের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর সময় ঘর ছেড়ে চম্পট দেয় সে।

    ঠিক কী অভিযোগ বিক্ষোভকারীদের?

    বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালসহ স্বাস্ব্য দফতরের বিভিন্ন জায়গায় চাকরি দেওয়ার নাম করে তৃণমূল নেতার ভাগ্নে অভিজিৎ হাজরা টাকা তোলে। স্বাস্থ্য দফতরের পদ অনুযায়ী টাকা নেওয়া হত। ২০ হাজার থেকে শুরু করে ৭০ হাজার টাকা পর্যন্ত একজন চাকরিপিছু প্রার্থীর কাছে টাকা নেওয়া হত। প্রায় ১৫০ – ২০০ জন চাকরি প্রার্থীর কাছ থেকে সবমিলিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করে চেয়ারম্যানের গুনধর ভাগ্নে। তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি মতো সোমবার হাওড়া থেকে কালিকাপুরে বেশ কয়েকজন চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যান। সেখানে গিয়ে প্রতারণার শিকার হন চাকরি প্রার্থীরা। কারণ, সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সবই ভুয়ো। কেউ কোথাও নেই। প্রতারিত হয়ে তাঁরা সকলে তৃণমূল নেতার ভাগ্নেকে ফোন করেন। কিন্তু, সে ফোন তোলেননি। এরপরই সকলে জোটবদ্ধ হয়ে আরামবাগে তার বাড়িতে এসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। এই বিষয়ে আশিস মাঝি নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, হাসপাতালে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা চেয়েছিল। পুরসভার চেয়ারম্যানের ভাগ্নে বলে টাকা দিয়েছি। আট নয় মাস হয়ে গেল কোনও চাকরি পাইনি। আর টাকাও ফেরত দেয়নি। আমার মতো এই এলাকায় বহু মানুষ প্রতারিত হয়েছেন।

    ভাগ্নেকে বাঁচাতে পুরসভার চেয়ারম্যান কী করলেন?

    দুর্নীতিগ্রস্ত (Scam)  ভাগ্নে বিপদে পড়েছে বুঝতে পেরে আসরে নামে তৃণমূলের আরামবাগ পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারি। রাতেই ভাগ্নের বাড়িতে এসে তিনি বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে বরফ গলানোর চেষ্টা করেন। আর, সংবাদ মাধ্যম প্রতিক্রিয়া নিতে গেলে তিনি রীতিমতো রেগে যান। সংবাদ মাধ্যমের সামনে গুণধর ভাগ্নের অপকীর্তি বলার মতো তিনি সাহস দেখাননি। তবে বিক্ষোভকারীদের দাবি, দুর্নীতিতে (Scam) জড়িত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Party: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    National Party: জাতীয় থেকে আঞ্চলিক! জানেন কী কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন আর তারপর লোকসভা। তার আগেই জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারাল তৃণমূল (TMC Loses National Party Status)। পশ্চিমবঙ্গের বাইরে অন্য রাজ্যে একাধিক বিধানসভা নির্বাচনে শোচনীয় ফলের জেরে এই তকমা হারাল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। চার রাজ্যে ‘স্থানীয় দলে’র তকমা না থাকায়, তৃণমূলের জাতীয় দলের মর্যাদা প্রত্যাহার করে নিল নির্বাচন কমিশন। ফলে বাংলার শাসক দল এখন থেকে শুধুই আঞ্চলিক দল।

    কী সুবিধা হারাল তৃণমূল কংগ্রেস?

    জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারানোর পর একাধিক সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে তৃণমূলকে এমনই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। যেমন—

    ১. জাতীয় দলের তকমা হারানোয় ইভিএম অথবা ব্যালট পেপারে প্রতিদ্বন্দ্বী দলের তালিকায় প্রথম দিকে দেখা যাবে না তৃণমূলের প্রতীক চিহ্ন। 

    ২. দলের নামের আগে আর ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবে না জোড়াফুল শিবির।

    ৩. নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনও বিষয়ে জাতীয় দলগুলিকে আমন্ত্রণ জানাতে হয়। এ বার থেকে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানাতে বাধ্য থাকবে না নির্বাচন কমিশন। 

    ৪. নির্বাচনের দিনক্ষণ ঠিক করা বা নির্বাচনী বিধি তৈরির ক্ষেত্রে মতামত দিতে পারে জাতীয় দলগুলি। তৃণমূল সেই সুযোগ পাবে না।

    ৫. তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিমবঙ্গের বাইরে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে, তবে তার প্রতীক স্থির থাকবে না।

    ৬. জাতীয় দলের স্বীকৃতি হারানোয়, আর্থিক অনুদানেও বড় ধরনের ফারাক লক্ষ্য করা যেতে পারে। অর্থের জোগান কমলে, দল চালাতে সমস্যা হবে।

     

    আরও পড়ুন: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    কেন হারাল তকমা?

    জাতীয় দলের (National Party) স্বীকৃতি হারিয়ে তৃণমূল যদিও আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে। নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাবে দল এমনই তৃণমূল সূত্রে খবর। ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তৃণমূল কংগ্রেসকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। কিন্তু পরবর্তীকালে ২০২১-এ বাংলায় বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এলেও, মণিপুর ও অরুণাচল প্রদেশের বিধানসভা ভোটে শোচনীয় ফল হয় তৃণমূলের। এই দুটি রাজ্যেই রাজ্য দলের তকমা হারায় মমতার দল। ত্রিপুরা বিধানসভার নির্বাচনেও শোচনীয় হাল হয়। তৃণমূলের প্রাপ্ত ভোট শতাংশ ছিল ০.৮৮ শতাংশ, যা নোটার থেকেও কম। গোয়া বিধানসভা ভোটে একটিও আসনে জিততে পারেনি তৃণমূল। মাত্র ৫.২ শতাংশ ভোট পায় তারা। ফলে জাতীয় স্বীকৃতি হারাতে হল তৃণমূলকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • National Party: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    National Party: ‘‘সর্বভারতীয় শব্দটি কবে মুছবে?’’ প্রশ্ন শুভেন্দুর, তৃণমূলকে কটাক্ষ সুকান্ত-দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জাতীয় দল (National Party) হিসাবে আর গণ্য করা যাবে না তৃণমূল কংগ্রেসকে। নির্বাচন কমিশন-এর এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ট্যুইটে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সর্বভারতীয়’ তকমা নিয়ে মন্তব্য করেন শুভেন্দু। ট্যুইট বার্তায় শুভেন্দু অধিকারীর প্রশ্ন, তৃণমূলের নাম থেকে ‘সর্বভারতীয়’ শব্দটি কবে মুছবে? 

    শুভেন্দুর ট্যুইট

    তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোর ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক রাজীব কুমারকে ট্যুইট করে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানানোর পাশাপাশি শুভেন্দু লেখেন, ‘‘ত্রিপুরা ভোটের ফলাফলের পরপরই আমি তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় তকমা কেড়ে নেওয়ার ব্যাপারে সরব হয়েছিলাম।’’

    ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডের বিধানসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর পরই তৃণমূলকে নিশানা করে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে ভোটে লড়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল। ত্রিপুরায় একটি আসনেও জিততে পারেনি জোড়াফুল শিবির। ট্যুইট করে শুভেন্দু অধিকারী সম্প্রতি দাবি করেছিলেন, নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী কোনও রাজনৈতিক দলকে জাতীয় দলের স্বীকৃতি পেতে হলে যে সমস্ত শর্ত পূরণ করতে হয়, তৃণমূল কংগ্রেস তা করতে ব্যর্থ। এই কারণে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছ থেকে জাতীয় দলের তকমা কেড়ে নেওয়া হোক।

    সুকান্তর ট্যুইট

    তৃণমূল কংগ্রেস জাতীয় দলের তকমা হারানোয় তীব্র কটাক্ষ করেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ট্যুইটে লেখেন, ‘তৃণমূল জাতীয় দলের মর্যাদা হারিয়ে এখন আঞ্চলিক দল। মানুষ জানে তৃণমূল সরকার সবথেকে দুর্নীতিগ্রস্ত। তোষণ ও সন্ত্রাসের সরকার তৃণমূলের। তাই তৃণমূলের বিস্তারে দিদির আকাঙ্খা বাস্তবায়িত হল না। এখন সরকারের পতনও সময়ের অপেক্ষা। মানুষ বেশিদিন আর এই সরকারকে বরদাস্ত করবে না’।

    দাবি-পাল্টা দাবি

    বঙ্গ বিজেপির অপর নেতা তথা রাজ্য বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনের জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করেছিল। কিন্তু, তাদের সর্বভারতীয় তকমাই ধরে রাখতে পারল না।’

    আরও পড়ুন: জাতীয় দলের তকমা হারাল তৃণমূল, কুয়োর ব্যাঙে পরিণত মমতার দল!

    তৃণমূল নেতা সৌগত রায় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁরা আইনিভাবে এই তকমা হারানোর জবাব নির্বাচন কমিশনকে দেবেন। পার্টির তরফে সৌগত রায়ের দাবি, ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই কাজ করছে কমিশন।’ 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share