Tag: tmc

tmc

  • Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    Tapas Saha: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে এবার তাপসকে তলব সিবিআইয়ের, হাজিরা বুধেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে (Recruitment Scam) সিবিআইয়ের (CBI) আতস কাচের তলায় ছিলেন নদিয়ার তেহট্টের বিধায়ক তৃণমূলের (TMC) তাপস সাহা (Tapas Saha)। দিন কয়েক আগে তাঁর বাড়ি ও কার্যালয়ে টানা তল্লাশি চালিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। সিবিআই সূত্রে খবর, তল্লাশিতে উদ্ধার হয়েছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি। তার জেরেই বুধবার তাপসকে নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে তলব করা হয়েছে। কেবল সিবিআই নয়, তাপসের দিকে নজর রয়েছে আর এক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডিরও। সিবিআইয়ের এফআইআরের সূত্র ধরেই তাপসের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করতে পারে ইডিও। যদিও সিবিআই তল্লাশির পর এই তৃণমূল নেতা জানিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে তল্লাশিতে কিছুই পায়নি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    তৃণমূল নেতা তাপস সাহার (Tapas Saha) দাবি…

    তিনি এও দাবি করেছিলেন, তৃণমূলেরই একাংশ বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি কোনও টাকা নেননি বলেও দাবি করেছিলেন তেহট্টের বিধায়ক। তাঁর বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর পর দলীয় কর্মীরা যাতে তাঁর পাশ থেকে সরে না যান সেজন্য তদন্তকারীরা চলে যাওয়ার পরেই বাড়িতে দলীয় কর্মীদের মহাভোজ দিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা তাপস। দলের নেতা-কর্মীদের ডেকে খাইয়েছিলেন মাংসভাত। এহেন তৃণমূল নেতাকেই এবার দফতরে হাজিরা দেওয়ার নোটিশ পাঠাল সিবিআই।

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাজ্যের ৯০ শতাংশ মুসলিম বাংলা-ভাষী, তাও কেন হিন্দিতে ভাষণ’’, মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন শুভেন্দুর

    প্রসঙ্গত, নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তাপসেরও (Tapas Saha)। তাঁর বিরুদ্ধেও চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। এ ব্যাপারে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পরে তাপসের বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই। টানা প্রায় ১৫ ঘণ্টা ধরে চলে তল্লাশি। সেই সময় তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ জেরাও করেছিলেন তদন্তকারীরা। পরে তেহট্টের বিধায়কের মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করে সিবিআই। বাজেয়াপ্ত করা হয় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথিও। বেঙ্গালুরুতে ফ্ল্যাট রয়েছে তাপসের ছেলের। সেই ফ্ল্যাটেও তল্লাশি চালান সিবিআইয়ের আধিকারিকরা। তাপসের বাড়িতে তল্লাশির পর তাঁর প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক প্রবীর কয়াল ও তাপসের ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতেও তল্লাশি চালায় সিবিআই।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি কাণ্ডে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের তিন বিধায়ক। এঁদের মধ্যে রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও। বর্তমানে তিনজনেই রয়েছেন গরাদ-বন্দি। এবার তাপসকে (Tapas Saha) ডাকল সিবিআই। তাহলে কি তাঁরও পরিণতি হবে দলীয় তিন বিধায়কের মতোই? উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    Sukanta-Suvendu-Abhishek: সরকারি অর্থের অপচয়! অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ সুকান্ত-শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) জনসংযোগ যাত্রাকে কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সুকান্ত বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ কেমন দেখতে উনি আগে কোনওদিন দেখেননি। তাই এসি বাস, এসি তাঁবু দেখতে যাচ্ছেন’। শুভেন্দুর দাবি, সরকারি অর্থ অপচয় করে এই যাত্রার ডাক দেওয়া হচ্ছে।

    তৃণমূলের নব জোয়ার যাত্রা

    সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। আজ, মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ‘তৃণমূলের নব জোয়ার’ যাত্রা। টানা ২ মাস ধরে, কোচবিহার থেকে সাগর….জনসংযোগ যাত্রা (Trinamoole Nabo Jowar) করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তৃণমূলের জনসংযোগ যাত্রায় অভিষেক যেখানে রাত্রিবাস করবেন, তার মধ্যে রয়েছে এমন ১৩টি বিধানসভা, যেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি জিতেছে। যেমন কোচবিহারের মাথাভাঙা, তুফানগঞ্জ, আলিপুরদুয়ার, মালদা, জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ি, দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর, বীরভূমের দুবরাজপুর, বাঁকুড়ার কোতুলপুর, ছাতনা, পুরুলিয়ার কাশিপুর, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, হুগলির গোঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ দক্ষিণ। অভিষেকের কথায়, ‘এত বড় একটা কর্মসূচি কোনওদিন ভারতবর্ষে কেউ নেয়নি, বাংলা তো ছেড়ে দিন।’

    শুভেন্দুর কটাক্ষ

    অভিষেকের এই দাবিকে উড়িয়ে দিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ‘এই কর্মসূচির সঙ্গে মানুষের কোনও সম্পর্ক নেই’ বলে মত শুভেন্দুর। বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কটাক্ষ, ‘প্রথমত বিপুল সরকারি অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে এই প্রচারে। ডিসি পদমর্যাদার ৫ জন পুলিশ আধিকারিককে নিয়োগ করা হয়েছে যাতে, কয়লা ভাইপোকে চোর স্লোগান শুনতে না হয়।’ অভিষেককে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি ‘গাড়ির স্পিড একশোর নিচে নামাবেন না, তাহলেই চোর স্লোগান শুনতে হবে।’

    সুকান্তর অভিমত

    সোমবার অভিষেকের প্রচার-যাত্রাকে কটাক্ষ করেই, পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী বাছাই করতে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য ও জেলা স্তরে কমিটি গঠন প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) মত, ‘তার মানে এতদিন গ্রামের মানুষের মতামত না নিয়ে চলেছেন। তারা গ্রামের মানুষের মতামত কোথা থেকে নেবেন, গ্রামের মানুষের মতামত দেওয়ার সাহস নেই তৃণমূল কংগ্রেসের সম্বন্ধে। তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা যে ধরনের গুন্ডামি করেন কোনও মানুষ সাহস দেখাতে পারবেন না। এক সে এক চোর বসে আছে তৃণমূল কংগ্রেসে’। 

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    পুরসভার নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে সিবিআই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘আমরা স্বাগত জানাবো এই নির্দেশকে। প্রত্যেকটি পুরসভায় তদন্ত হওয়া উচিত। তাহলে আরও বেশ কিছু চোর এই পশ্চিমবঙ্গ থেকে বেরোবে এবং জেলে থাকবে’। মমতা-নীতীশ বৈঠক প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘আবার জোট পাকানোর চেষ্টা হচ্ছে। আগেরবার চেষ্টা হয়েছিল নীতিশ কুমার একবার ধোঁকা দিয়েছে এনডিএ-কে। আরও একবার দিল। নীতিশ কুমারের রাজত্ব বিহার থেকে শেষ হবে। পশ্চিমবঙ্গ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজত্ব শেষ করব’।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Drinking Water: চেয়েছিলেন জল, মিলল তৃণমূল নেতার অকথ্য ভাষায় হুমকি? ভাইরাল অডিও ক্লিপ

    Drinking Water: চেয়েছিলেন জল, মিলল তৃণমূল নেতার অকথ্য ভাষায় হুমকি? ভাইরাল অডিও ক্লিপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁর দোষ, পানীয় জলের (Drinking Water) পরিষেবা না পেয়ে অভিযোগ করেছিলেন। আর তার জেরেই অভিযোগকারী ওই উপভোক্তাকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ঘটনার কেন্দ্রবিন্দু নানুরের বাসাপাড়া। সেখানে একটি ওয়াটার এটিএম পরিষেবা চালু করা হয়েছে। যেখানে টাকার বিনিময়ে জল মেলে৷ কিন্তু টাকা দিয়েও পর্যাপ্ত জল মিলছে না বলে অভিযোগ করেন এক বাসিন্দা। এরপরেই বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ আব্দুল কেরিম খান অভিযোগকারীকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় হুমকি দেন এবং গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন বলে অভিযোগ।

    পানীয় জল নিয়ে মূল সমস্যা কী?

    নানুর ব্লকের বাসাপাড়ায় বছর দুই আগে সরকারি টাকায় তৈরি হয়েছে ওই ওয়াটার এটিএম। এটি আধুনিক মানের, যা সাধারণত থাকে এয়ারপোর্ট, মডেল রেল স্টেশন বা মেট্রো স্টেশনগুলিতে। এই ওয়াটার এটিএম থেকে ২ টাকার বিনিময়ে মেলে ২ লিটার পরিশ্রুত পানীয় জল (Drinking Water)৷ কিন্তু অভিযোগ, কয়েক দিন ধরে এই পরিষেবা ঠিকমতো পাওয়া যাচ্ছিল না৷ ২ টাকা দিলে এই ওয়াটার এটিএম থেকে অল্প জল বের হচ্ছিল৷ যিনি এই ওয়াটার এটিএমের দায়িত্বে ছিলেন, সেই ব্যক্তিকে ফোন করে অভিযোগ করেন সুশান ভৌমিক নামে এক ব্যক্তি৷ তাঁর বাড়ি নানুরের রামকৃষ্ণপুর গ্রামে৷ কিন্তু ওই ব্যক্তি জানিয়ে দেন, তিনি সেটির দায়িত্বে নেই।  

    কার ফোন থেকে কী হুমকি দেওয়া হলো?

    সুশান ভৌমিকের কাছ থেকে জানা গিয়েছে, জল (Drinking Water) পরিষেবা নিয়ে অভিযোগ করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এক ব্যক্তির ফোন থেকে ফোন আসে৷ ফোনে কথা বলেন বীরভূম জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা নানুরের তৃণমূল নেতা আব্দুল কেরিম খান। এই কথোপকথনের একটি অডিও প্রকাশ্যে এসেছে (যার সত্যতা ‘মাধ্যম’ যাচাই করেনি)। এই অডিও ক্লিপে শোনা যাচ্ছে, অভিযোগকারী ব্যক্তিকে অকথ্য ভাষায় হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূল নেতা আব্দুল কেরিম খান। শুধু হুমকি নয়, পুলিশকে দিয়ে তুলে এনে মারধর করার হুমকিও দিতে শোনা যাচ্ছে৷ 

    কে এই তৃণমূল নেতা?

    প্রসঙ্গত, পানীয় জল (Drinking Water) নিয়ে হুমকি দেওয়া ওই নেতা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ। এই নেতা গরু পাচার মামলায় ইডি ও সিবিআইয়ের নজরে রয়েছেন। ইতিমধ্যে তাঁর নানুরের বাড়িতে হানা দিয়ে দীর্ঘ তল্লাশি চালিয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। এমনকী, তাঁকে কলকাতার নিজাম প্যালেস ও দিল্লিতে ডেকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে ফের বৈঠকে মমতা-নীতীশ, দোসর তেজস্বী

    Nitish Kumar: বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে ফের বৈঠকে মমতা-নীতীশ, দোসর তেজস্বী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমাদের মধ্যে কোনও ইগো নেই। আমরা সবাই এক। সোমবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) ও উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে বৈঠক শেষে একথা বললেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি বলেন, আমরা সবাই এক সঙ্গে আছি। আমি নীতীশজিকে বলেছি, সব বিরোধী দলকে নিয়ে বিহারে একটি বৈঠক ডাকতে। তিনি বলেন, প্রচার, সভা সেসব তো পরে হবে, আগে একটা ঘরোয়া বৈঠক করে বার্তা দিতে হবে যে সবাই এক সঙ্গে রয়েছি।

    নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) বলেন…

    তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, নীতীশজিকে আমি বলেছি, আমি চাই বিজেপি শুধু শূন্যে নেমে যাক, আর কিছু চাই না। এখানে ব্যক্তিগত কোনও ইগোর লড়াই নেই। দেশের মানুষ বিজেপির সঙ্গে লড়বে। সব দল এক সঙ্গে লড়বে। শুধু মিথ্যে প্রচার, ভিডিও বানিয়ে হিরো হয়ে আছে। নীতীশ (Nitish Kumar) বলেন, সব দলের একজোট হয়ে আগামী লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া উচিত। নিজেদের মধ্যে কথা বলা উচিত, যাতে দেশের ভাল হয়। তিনি বলেন, যাঁদের হাতে এখন ক্ষমতা রয়েছে, দেশের ভালয় তাঁদের কিছু যায় আসে না। এখন দেশের উন্নয়ন কিছু হচ্ছে না। নীতীশ বলেন, আজ খুব ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। এর পরে প্রয়োজন অনুযায়ী আমরা অন্য দলগুলির সঙ্গেও আলোচনায় বসব।

    আরও পড়ুুন: এবার পাকিস্তানি নাগরিকের কণ্ঠে শোনা গেল ‘মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়’ স্লোগান

    এর আগেও একাধিকবার বিজেপিকে হারাতে একজোট হওয়ার চেষ্টা করেছেন বিরোধীরা। প্রতিবারই তা ভেঙে গিয়েছে নেতৃত্ব কে দেবেন, সেই প্রশ্নে। তৃণমূল নেত্রী মমতাও বারংবার চেষ্টা করেছেন বিরোধীদের এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার। নবীন পট্টনায়েক, অখিলেশ যাদবদের সঙ্গে বৈঠকও করেছেন তিনি। তার পরেও দানা বাঁধেনি বিরোধী জোটের ধারণা। মমতার পরে বিজেপি বিরোধী জোট গড়তে উদ্যোগী হয়েছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশও (Nitish Kumar)। দিল্লিতে গিয়ে বৈঠক করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গেও। এদিন মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর উত্তর প্রদেশের লখনউয়ে গিয়ে সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদবের সঙ্গেও বৈঠক করার কথা রয়েছে নীতীশের। তবে নীতীশের নেতৃত্ব মেনে বিরোধীরা একজোট হবেন কিনা, তা বলবে সময়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aparupa Poddar: অপরূপার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির, মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের 

    Aparupa Poddar: অপরূপার বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির, মামলা দায়েরের অনুমতি হাইকোর্টের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এতদিন নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে (Recruitment Scam) নাম জড়িয়েছিল তৃণমূলের (TMC) কয়েকজন বিধায়কের। তাঁদের মধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন জনা তিনেক। এবার নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল তৃণমূলের এক সাংসদেরও। তিনি হুগলির আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার (Aparupa Poddar)। অভিযোগ, সাংসদের লেটার হেডে গ্রুপ সি নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের সুপারিশ করা হয়েছে। অপরূপার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে এবং সিবিআই তদন্ত চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন বিজেপি নেতা তথা আইনজীবী তরুণজ্যোতি তিওয়ারি। সেই মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।

    অপরূপা পোদ্দারের (Aparupa Poddar) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    শুক্রবারই নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তাঁর নাম জড়িয়ে কালিমালিপ্ত করার অভিযোগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের সাংসদ বিজেপির শুভেন্দু অধিকারী ও তরুণজ্যোতিকে মানহানির নোটিশ পাঠিয়েছিলেন অপরূপা। তাঁদের বিরুদ্ধে শ্রীরামপুর থানায় দায়ের করেন অভিযোগও। শুভেন্দু ও তরুণজ্যোতি অবিলম্বে ক্ষমা না চাইলে আদালতে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন অপরূপার আইনজীবী।  

    এসবের রেশ পুরোপুরি মিলিয়ে যাওয়ার আগেই এবার তরুণজ্যোতির আবেদনে সাড়া দিল কলকাতা হাইকোর্ট। তরুণজ্যোতির দাবি, গ্রুপ সি নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে আরামবাগের তৃণমূল সাংসদের (Aparupa Poddar)। সাংসদের লেটারহেডে অযোগ্য প্রার্থীদের চাকরির সুপারিশ করেছিলেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই হাইকোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন বিজেপির আইনজীবী নেতা। বুধবার হতে পারে ওই মামলার শুনানি। অপরূপা বলেন, আগামী বুধবার হাইকোর্টে শুনানি হবে। হাইকোর্ট ও বিচার ব্যবস্থার প্রতি সম্পূর্ণ আস্থা রয়েছে।

    আরও পড়ুুন: নেই আংটি, সুতোর তাগা, অতীতের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে পার্থর আঙুল, হাত

    অপরূপার (Aparupa Poddar) পাঠানো মানহানির নোটিশের প্রেক্ষিতে বিজেপির আইনজীবী নেতা তরুণজ্যোতি বলেন, আফরিন আলি (অপরূপা পোদ্দার) ম্যাডাম, আপনার নোটিশ পেলে নিশ্চয়ই উত্তর দেব। তার আগে আপনি তৈরি হন সিবিআইকে উত্তর দেওয়ার জন্য। সংস্কৃতির কথা আপনার বা আপনার পরিবারের কারও মুখে মানায় না। আপনার স্বামীর সেই বিখ্যাত ভিডিওটা এখনও সংবাদমাধ্যমে খুঁজলেই পাওয়া যাবে। নারদ নিয়ে না হয় নতুন করে না-ই বা বললাম।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee: নেই আংটি, সুতোর তাগা, অতীতের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে পার্থর আঙুল, হাত  

    Partha Chatterjee: নেই আংটি, সুতোর তাগা, অতীতের স্মৃতি বয়ে বেড়াচ্ছে পার্থর আঙুল, হাত  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ পর্যন্ত রক্ষাকবচ হিসেবে হাতে ছিল দুটি আংটি। খুলে ফেলতে হয়েছে তাও। সোমবার শূন্য হাতেই দেখা গেল তৃণমূলের (TMC) সাসপেন্ডেড মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। অথচ প্রেসিডেন্সি জেলে আসার আগে পর্যন্ত পার্থের হাতের দশ আঙুলে ছিল অন্তত ৮টি আংটি। সেগুলির সিংহভাগই সোনায় বাঁধানো কোনও না কোনও মূল্যবান পাথরের। বাকি পাথরগুলি রূপোয় মোড়ানো। সম্প্রতি সেই আংটির সংখ্যা কমে হয়েছিল দুই।

    পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)…

    সোমবার দেখা গেল পার্থর হাতে শোভাবর্ধনকারী সেই আংটি দুটিও নেই। হাতে আংটি থাকায় গত সপ্তাহেই বিচারকের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন পার্থ। ভার্চুয়াল মাধ্যমে শুনানির সময় সেগুলি নজরে পড়ে বিচারকের। তার পরেই তাঁকে ভর্ৎসনা করেন বিচারক। সেই সময় বিচারককে পার্থ জানিয়েছিলেন, তাঁর হাতে যে দুটি আংটি রয়েছে, সেগুলি শারীরিক সুস্থতার কারক। তাই তিনি পরে রয়েছেন। আংটি নিয়ে ইডির আইনজীবী পার্থকে প্রভাবশালী বলে কটাক্ষ করেন। তার পরেই সে দুটি খুলে ফেলেন তৃণমূল নেতা পার্থ। তার পর এদিনই প্রথম পার্থকে দেখা গেল আংটিবিহীন অবস্থায়।

    নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলায় জুলাই মাসে গ্রেফতার করা হয় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থকে (Partha Chatterjee)। পরে তাঁকে পাঠানো হয় প্রেসিডেন্সি জেলে। এখনও রয়েছেন সেখানেই। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে পার্থর ‘কপাল’ যত খুলেছে, ততই আঙুল হয়েছে রত্নখচিত। বাঁ হাতে ছিল কালো ব্যান্ডের দামি ঘড়ি। ডান হাতে নানা রংয়ের সুতোর তাগা। গ্রেফতার হওয়ার পরেও বেশ কয়েকবার পার্থকে দেখা গিয়েছে ঘড়ি-আংটি-তাগা শোভিত হয়ে। সময় যত গড়িয়েছে, ততই পুড়েছে পার্থর কপাল। একে একে খুইয়েছেন ঘড়ি, তাগা, আংটি… সব।

    আরও পড়ুুন: তন্ত্রসাধনায় নিজের ভাইঝিকে নরবলি দেওয়ার চেষ্টা! তারাপীঠে গ্রেফতার মহিলা সন্ন্যাসী

    এদিন আলিপুরে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে হাজিরা ছিল পার্থর (Partha Chatterjee)। এসেওছিলেন। তখনই তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, পার্থদা, আংটি পরলেই প্রভাবশালী?  জবাবে কোনও কথা বলেননি রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। কেবলই মৃদু হেসেছেন। নেড়েছেন আংটিবিহীন শূন্য হাত। যে হাতের আট আঙুলে তখনও রয়ে গিয়েছে আংটি পরার দাগ, অতীতের স্মৃতি চিহ্ন হয়ে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    BJP: তৃণমূলের যুব কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ার! প্রশ্ন তুলতেই বিজেপি নেতাকে হুমকি থানার আইসি-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ আসলে শাসকের দলদাস! বিরোধীদের এই অভিযোগকেই কার্যত মান্যতা দিল খোদ তৃণমূলের পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নেতৃত্ব! এগরায় যুব তৃণমূলের ব্লক কমিটিতে উঠে এল সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম। ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছে যুব তৃণমূলের ওই তালিকা। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই জোর বিতর্ক শুরু হয়েছে জেলায়। এগরা-২ এর বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডাকে এগরা থানার পুলিশ আধিকারিক ফোনে ধমক ও গ্রেফতার করার হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ। আর সেই ফোনালাপের অডিও ( ফোনালাপের অডিও যাচাই করেনি মাধ্যম) ভাইরাল হতেই বিতর্ক আরও জোরালো হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে?

    সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্র ১৭ জনের কমিটির নাম প্রকাশ করেন। তাতেই ১৬ নম্বরে রয়েছে সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির নাম। তারপরেই নতুন করে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। যদিও বিষয়টি জানতে বিজেপি-র (BJP) মণ্ডল সভাপতি দেবকুমার পণ্ডা এগরা থানার আইসি মৌসম চক্রবর্তীকে ফোন করেছিলেন। ফোনে আইসি বলেন,আপনি কি আমাকে প্রশ্ন করতে পারেন? ভবিষ্যতে আপনি সতর্ক থাকবেন। বক্তব্য থাকলে থানায় এসে বলবেন। আপনি আপনার মতো রাজনীতি করুন, এইভাবে প্রশ্ন করতে পারেন না। পরবর্তী দিনে কোনও ফল্ট পেলে আপনাকে গ্রেফতার করে নেব তিনি হুমকি দেন।

    যুব তৃণমূল কমিটিতে নাম নিয়ে কী বললেন সিভিক ভলান্টিয়ার?

    যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক কমিটিতে থাকা সিভিক ভলান্টিয়ার সনাতন গিরির দাবি, ‘‘বিষয়টি আমারও জানা ছিল না। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই দেখলাম, আমার নাম ও মোবাইল নম্বর রয়েছে। আমার নাম দলীয় কমিটিতে রাখার কোনও প্রশ্নই নেই। সেই নাম বাতিল করা হয়েছে বলে শুনেছি।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে এগরা-২ ব্লকের যুব তৃণমূলের সভাপতি স্বপন পাত্রের সাফাই, ‘‘যুব তৃণমূল কমিটিতে সিভিক ভলান্টিয়ারের নাম থাকার বিষয়টি জানা ছিল না। আসলে বুথ কমিটি থেকে নাম এসেছিল, সেটি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। পরে ভুল বুঝতে পেরে আমরা শুধরে নিচ্ছি৷ ’’পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার যুব সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি বলেন, প্রশাসনের কাজ নিরপেক্ষভাবে হওয়া দরকার। পুলিশকে নিরপেক্ষ হতে হবে। কর্মরত অবস্থায় সক্রিয় রাজনীতি করা উচিত নয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এমন পরিস্থিতিকে হাতিয়ার করে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে ফের বড় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব। বিজেপি-র (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক তন্ময় হাজরা বলেন, “রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতির পর্দা ফাঁস হচ্ছে। সিভিক ভলান্টিয়ার আসলে যে তৃণমূলেরই ক্যাডার, সেটা এঘটনা থেকে স্পষ্ট। এদেরকে দিয়েই পঞ্চায়েতে ভোটের নামে প্রহসনের পরিকল্পনা করছে তৃণমূল। বিজেপির রাজ্য এক্সিকিউটিভ কমিটির সদস্য অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “নিন্দনীয় কাজ। আমরা পুলিশের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে এগরা থানার আইসি’র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাচ্ছি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বাংলায় নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে, নাম না করে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য জুড়ে তোলপাড় চলছে। ইতিমধ্যেই পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানিক ভট্টাচার্যের পর তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা গ্রেফতার হয়েছে। তাপস সাহাকে সিবিআই জেরা করেছে। যদিও সিবিআই ফিরে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়কের উদ্যোগে ভুরি ভোজের আয়োজন করা হয়। এই প্রসঙ্গে রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে সাংগঠনিক কাজে যোগ দিতে এসে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, দুর্নীতিতে শুধু তাপস সাহাই নয় তৃণমূলের এমন কোনও বিধায়ক নেই যে নিজের প্যাডে লিখে চাকরির জন্য সুপারিশ করেননি। আজ না হয় কাল সেই চিঠি সিবিআইয়ের হাতে পৌঁছাবে। সমস্ত চিঠি নিয়ে ১৪ তলায় একটি কম্পিউটারে কমপাইলেশন করা হয়েছিল। আমরা সেই নামটাও জানি। রাজনীতির যারা খবর রাখেন, তাঁরাও সেই নামটা জানেন। এই মাথারাও ধরা পড়বে। আর সিবিআই চলে যাওয়ার পর তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার মাংস ভাত খাওয়ানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ছাগল বলি হওয়ার আগে প্রচুর শাকপাতা খায়। এ যাত্রায় বেঁচে গেলেও পরের যাত্রায় বাঁচবেন কিনা গ্যারান্টি নেই। সবসময় ভয়ে ভয়ে থাকতে হবে, এই বুঝি সিবিআই খপাৎ করে ধরল। এই ভয়ে ভয়ে থাকুন কিছুদিন।

     অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসংযোগ যাত্রাকে কী বললেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)?

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রবিবার শ্রীরামপুর দলীয় কার্যালয়ে আসেন। সেখানে কর্মীদের সঙ্গে সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। পরে, উত্তরপাড়া পার্টি অফিসেও তিনি কর্মীদের সঙ্গে বৈঠক করেন। অভিষেকের আগামী জনসংযোগ যাত্রা নিয়ে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, নজর ঘোরানো তো বটেই, তার সঙ্গে সঙ্গে আমার মনে হয়, বাংলার জনগণকে তিনি চেনেনও না, জানেনও না। প্যারাসুট নিয়ে নেমেছেন। বাংলার মাটি কি, কোনওদিন দেখেননি। গ্রামেও যাননি, এখন যাচ্ছেন। এই জনসংযোগ যাত্রায় কোটি কোটি টাকা খরচ করে বাস ভাড়া হবে। কোটি কোটি টাকা খরচ করে প্যান্ডেল হবে, তাঁবু হবে। ফাইভ স্টার তাঁবু হবে। তাঁর এইসব কর্মকান্ড দেখে লিবিয়ার বেদুইন নেতা মহম্মদ গদ্দাফির কথা মনে পড়ছে। গদ্দাফি একসময় এরকম তাঁবু করে গ্রামে গঞ্জে থাকতেন। কারণ, তিনি হোটেলে থাকতে পারতেন না, যেহেতু বেদুইন ছিলেন। যাক নতুন গদ্দাফি তৈরি হচ্ছে বাংলায়।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • SSC Scam: তাপস সাহা ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে সিবিআই! জানেন কে তিনি?

    SSC Scam: তাপস সাহা ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে সিবিআই! জানেন কে তিনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার ‘ঘনিষ্ঠ’ তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। শনিবার সকালে তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের একটি দল। সূত্রের খবর, ইতি স্থানীয় পঞ্চায়েতের সদস্য। আজ, শনিবার সকালেই আসতুল্লানগরে ওই তৃণমূল নেত্রীর বাড়িতে পৌঁছন সিবিআই গোয়েন্দারা। ইতি তৃণমূল কংগ্রেসের তেহট্ট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি। এদিন সিবিআই টিম তাপসের বাড়ি থেকে চলে যায় তাঁর প্রাক্তন আপ্তসহায়ক প্রবীর কয়ালের বাড়িতে। প্রবীরের হাওড়ার বাড়িতে শুক্রবার গিয়েছিল সিবিআই। শনিবার যায় তেহট্টের বাড়িতে। তারপর কেন্দ্রীয় এজেন্সি যায় ইতি সরকারের বাড়িতে।

    কে এই ইতি

    স্থানীয় সূত্রে খবর, ইতি সরকার স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। তৃণমূল কংগ্রেসের তেহট্ট এক নম্বর ব্লকের সভাপতি। স্থানীয় একটি স্কুলে চাকরি করেন।  সরকারি ওই স্কুলের পোশাক সরবরাহ এবং পোশাক তৈরির কাজের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এই এতকিছুর সঙ্গে জড়িয়ে থাকার জন্যই সিবিআইয়ের নজর পড়েছে নেত্রীর উপর। তাই তাঁর বাড়িতে হানা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ বলেই ইতি সরকারের বাড়িতে তল্লাশি করতে যান সিবিআই অফিসাররা। এখান থেকে কোনও লেনদেনের তথ্য পাওয়া যায় কিনা খতিয়ে দেখছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: চাকরি বিক্রির টাকার অঙ্ক কত জানাল ইডি! পার্থ-অর্পিতা-মানিকের সম্পত্তির রিপোর্ট পেশ আদালতে

    সূত্রের খবর, তদন্তে একাধিকবার উঠে এসেছে তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারের নাম। সিবিআইয়ের দাবি, ইতি একাই ১৩টি সরকারি স্কুলে ইউনিফর্ম বিলির বরাত পান, একইসঙ্গে ওই স্কুলগুলিতে বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণও দিতেন ইতি। তাপস সাহার ঘনিষ্ঠ হওয়ার সুবাদে প্রভাব খাটিয়ে তৃণমূল নেত্রী ইতি সরকারকে সরকারি স্কুলে কাজ পাইয়ে দেওয়া হয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে সিবিআই। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, পারিবারিক অনুষ্ঠান হলে ইতির বাড়িতে আসতেন বিধায়ক তাপস সাহা। প্রবীর কয়ালের বাড়িতে প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়েছিল সিবিআই। এখন দেখার ইতির বাড়িতে তল্লাশিতে কখন ইতি টানে এজেন্সি। শনিবার তাপসের পুত্র সাগ্নিককেও বেঙ্গালুরুতে জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই-এর একটি দল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSC Scam:  ‘দল পাশে নেই, তবে লড়াই ছাড়ব না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’! বিস্ফোরক তাপস সাহা

    SSC Scam: ‘দল পাশে নেই, তবে লড়াই ছাড়ব না, আমার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হয়েছে’! বিস্ফোরক তাপস সাহা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Scam) তাঁর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে আসা সিবিআই আধিকারিকরাও না কি তাঁকে এমনটা বলেছেন, দাবি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক তাপস সাহার। কাঁদতে কাঁদতেই তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করা হলেও তিনি দল ছাড়বেন না। মোকাবিলা করবেন রাজনৈতিক ভাবে।

    রাজনৈতিক চক্রান্ত

    শুক্রবার বিকেল থেকে বিধায়কের বাড়িতে শুরু হয় কেন্দ্রীয় সংস্থার তল্লাশি অভিযান। একটানা জিজ্ঞাসাবাদ চলে তৃণমূল বিধায়কের। বাড়ি থেকে কার্যালয়, কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে রাতভর তল্লাশি চালান সিবিআই আধিকারিকরা। শনিবার সকালে বেরিয়ে যান আধিকারিকরা। নথি সংগ্রহের জন্য বিধায়কের বাড়িতে ল্যাপটপ ও প্রিন্টার নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। প্রচুর নথিপত্র উদ্ধার হয়েছে বলে সূত্রের খবর। তল্লাশি শেষে তাপস সাহার অভিযোগ,‘আমি চক্রান্তের শিকার’, কার চক্রান্ত? তাপস বলেন, ‘বিজেপিও চক্রান্ত করেছে, তৃণমূলও করেছে। আমি লড়াই করা মানুষ। দল ছাড়ব না। এটাকেই তো রাজনীতি বলে। যাঁরা চক্রান্ত করেছে তাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই জারি থাকবে।’ দলের কেউ কেউ যে তাঁর নাম বলেছেন, সে কথা নাকি শোনা গিয়েছে সিবিআই-এর মুখেও। তিনি জানান, এখনও পর্যন্ত দল তাঁর পাশে দাঁড়ায়নি। দলের কোনও নেতা কথাও বলেননি তাঁর সঙ্গে।  

    তদন্তে সহযোগিতা

    তৃণমূল বিধায়কের কথায়, ‘তদন্তে পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। প্রয়োজনে যা জানতে চাইবেন তাই বলব।’ তবে তাঁর দু’টি ফোন এবং তাঁর ছেলের কিছু নথি সিবিআই আধিকারিকরা সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছেন বলেও তাপস জানিয়েছেন। নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর স্কুলশিক্ষিকা ভাইঝিরও কিছু নথি। সেই প্রসঙ্গে তাপস বলেন, ‘‘আমি সম্পূর্ণ ভাবে সহযোগিতা করেছি সিবিআইকে। আমার দু’টো ফোন নিয়ে গিয়েছে। আমার ছেলের কাগজ নিয়ে গিয়েছে। আমার মেজ দাদার মেয়ের নথি নিয়ে গিয়েছে। আমার মেজ দাদার মেয়ে নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: সাড়ে ১৪ ঘণ্টার ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ! সকালে তাপসের বাড়ি থেকে বেরোল সিবিআই

    দল প্রসঙ্গে তাঁর মত,’রাজ্যের নেতারা নামেই নেতা। মমতা-অভিষেক ছাড়া কাউকে বলে লাভ হয় না। তৃণমূল রাজ্য নেতৃত্বকে বলে লাভ হয় না। মমতা-অভিষেকের কাছে চিঠি পাঠালেও পৌঁছয় না।’ তিনি আরও দাবি করেন, ‘পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় দুর্নীতি করেননি। মানিক ভট্টাচার্য করেছেন। দলের পরিস্থিতি ভালো না। ৪ বছরে টিনা সাহা ৪০ কোটির মালিক হয়েছেন।’ এমনকি তেহট্টের তৃণমূল বিধায়ক এও বলেন যে, ‘মানুষের সবসময় দিন সমান যায় না। টাকা পয়সা ধার করতে হয়। আমিও করেছি। সবার শোধ করতে পারিনি।’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share