Tag: tmc

tmc

  • Mamata Banerjee: আমি চোর হতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর নন! কেন বললেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়?

    Mamata Banerjee: আমি চোর হতে পারি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চোর নন! কেন বললেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। দোসর গরু পাচারকাণ্ড। একের পর এক এই সব দুর্নীতির অভিযোগে শাসক দলের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অনুব্রত মণ্ডল সহ একাধিক নেতা এখন জেলের ঘানি টানছেন। ইডি, সিবিআইয়ের নজরে রয়েছে শাসক দলের আরও একাধিক নেতা। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগেই দুর্নীতির অভিযোগে একের পর এক নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনায় বেশ কিছুটা ব্যাকফুটে রয়েছে শাসক দল। এই অবস্থায় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য ঘিরে জোর আলোচনা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়? Mamata Banerjee

    খড়দহের দলীয় সভায় স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, সব দলেই খারাপ লোক আছে। তারজন্য গোটা দল তো নষ্ট হয়ে যেতে পারে না। আমি চোর হতে পারি, কিন্তু, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) চোর নন। তিনি আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee)  খুব কাছ থেকে আমি দেখেছি। তিনি প্রাণ দিয়ে বাংলার জন্য লড়ে যাচ্ছেন। আর এই বাংলাকে দেশের মধ্যে অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাজ্যে পরিণত করেছেন। মমতা ঘনিষ্ঠ এই মন্ত্রীর বক্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বিরোধীদের বক্তব্য, তৃণমূল দলে যে চোর রয়েছে তা মন্ত্রীর বক্তব্যে পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। দুর্নীতিতে জেরবার এই দলে কর্মীরা এখন বিভ্রান্ত হয়ে রয়েছেন। তাই, দলনেত্রী (Mamata Banerjee)  সত্ প্রচার করে কর্মীদের মনোবল চাঙা করার চেষ্টা করছেন। আর বক্তব্যের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেয়েছেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে সরকার জড়িত নয়। আর যারা জড়িত দল তাদের সমর্থন করেনি। বরং বহিষ্কার করেছে।

    দুর্নীতি নিয়ে কী বললেন মন্ত্রীর ছেলে? Mamata Banerjee

    রাস্তাঘাটে সব জায়গায় তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে আলোচনা চলছে। মন্ত্রীর ছেলে সায়নদেব চট্টোপাধ্যায়ের কথাতেই সে কথা স্পষ্ট। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, আপনারা (কর্মীদের উদ্দেশে) মনে করছেন, বাসে ট্রামে কী আলোচনা হচ্ছে। সব কিছুর ভাল, খারাপ রয়েছে। রামায়ণ, মহাভারতেও ভাল, খারাপ ছিল। যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে মহামান্য আদালত। আর দলের কেউ হলে হাইকমান্ড (Mamata Banerjee) ব্যবস্থা নেবে। প্রত্যেকটি মানুষকে নিয়ে এখন মিডিয়া ট্রায়াল শুরু হয়েছে। তাদের পরিবারে লোকজন রয়েছে, সে কথা তারা ভাবছেন না।

    বিরোধীরা জোটবদ্ধভাবে তৃণমূলের দুর্নীতি (Scam) নিয়ে সরব হয়েছে। তার পাল্টা হিসেবে তৃণমূল নেতৃত্ব সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রীর চাকরি সহ একাধিক উদাহরণ তুলে ধরে বাম আমলেও দুর্নীতি হয়েছে বলে হালে পানি পাওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু, তাতে কর্মীদের মনোবল চাঙা হচ্ছে না তা শাসক দলের নেতারা হারে হারে টের পাচ্ছেন। বিরোধীদের ক্রমাগত আক্রমণে কর্মীরা পাল্টা কীভাবে মোকাবিলা করবেন তার রূপরেখা দলের অন্দরেই নেই। এই অবস্থায় মন্ত্রী তাঁর এই বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কর্মীদের চাঙা করতে চেয়েছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Tmc: বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে কর্মী সম্মেলন! কোথায় জানেন?

    Tmc: বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের ব্যানারে কর্মী সম্মেলন! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে শাসক দলের নেতা কর্মীরা সম্মেলন করবেন, এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু, পশ্চিম বর্ধমানের কুলটিতে একটি অনুষ্ঠান ভবনে তৃণমূলের (Tmc) কর্মী সম্মেলন ঘিরে দলের কোন্দল একেবারেই প্রকাশ্যে চলে এসেছে। কারণ, কর্মী সম্মেলনে ব্যানারে লেখা রয়েছে, কুলটি ব্লকের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়পন্থী বঞ্চিত তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেস কর্মী। আসলে শাসক দলের ঝান্ডা নিয়ে বুক চিতিয়ে দল করে যারা দিনের পর দিন অসন্মানিত হয়েছেন, সেই সব বঞ্চিত নেতাদের নিয়ে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এমনই দাবি উদ্যোক্তাদের। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বঞ্চিত এই তৃণমূল (Tmc)  কর্মীদের সম্মেলন করা নিয়ে সরগরম আসানসোলে রাজনৈতিক মহল।

    কাদের নেতৃত্বে হল বঞ্চিত তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সম্মেলন? Tmc

    বিক্ষুব্ধ তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেসের কর্মীদের আলাদা করে কর্মী সম্মেলনকে ঘিরে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। মূলত, তৃণমূলেরই (Tmc) একটি অংশ কুলটিতে বঞ্চিত তৃণমূলের নাম দিয়ে একটি অনুষ্ঠান ভবনে কর্মী সম্মেলন করেন। রবিবার বঞ্চিত কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন কুলটি ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি বিমান আচার্য্য, রাজ্যের প্রাক্তন যুব সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন কুলটি পুরসভায় প্রাক্তন চেয়ারম্যান বাচ্চু রায়, প্রাক্তন কাউন্সিলার রাজা চট্টোপাধ্যায় এবং ব্লকের প্রাক্তন নেতা সহ কয়েকশো কর্মী সমর্থকরা। এদিন কর্মী সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা প্রকাশ্যে বলেন, এখন কুলটি ব্লকের যারা তৃণমূলের (Tmc)  দায়িত্বে আছেন তারা আমাদের মতো পুরোনো কর্মীদের কোনো পাত্তা দেন না। এই কথা জেলার নেতৃত্বদের বার বার বলেও কোনো লাভ হয়নি। এমনকী আমাদের কোনও মিটিং মিছিলে পর্যন্ত ডাকা হয়না। কুলটিতে এখন কিছু চোর ডাকাতদের নিয়ে সংগঠন চলছে। এই নীতি মেনে নেওয়া যাবে না। এই কারণে বারবার কুলটি বিধানসভায় প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে তৃণমূল (Tmc)  কংগ্রেসকে হারতে হয়। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। আর দলের স্বার্থে আগামীদিনে বঞ্চিত কর্মীদের নিয়ে তৃণমূল ভবন এবং নবান্ন অভিযান করা হবে বলে তাঁরা জানান। এমনকী কুলটিতে তৃণমূলের (Tmc)  দলের এই দুর্দশার অবস্থা দলের সুপ্রিমোকে জানানো হবে।

    এই সম্মেলন নিয়ে কী বললেন তৃণমূলের পশ্চিম বর্ধমান জেলার চেয়ারম্যান? Tmc

    বঞ্চিত তৃণমূল (Tmc) কর্মীদের এই সম্মেলনের বিষয়টি দলীয় নেতৃত্ব ভালোভাবে নেননি। কুলটির প্রাক্তন বিধায়ক তথা তৃণমূলের (Tmc) পশ্চিম বর্ধমান জেলার চেয়ারম্যান উজ্জ্বল চট্টোপাধ্যায় বলেন, যারা এসব করছে, তারা সামনে দল করার কথা বললেও পিছনে সব বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে রয়েছে। পুরানো কর্মীদের কাউকে বঞ্চনা করা হয় না। আমরা সব সময় বলছি, সকলে একসঙ্গে মিলে দল করতে চাই। কিন্তু, এভাবে কর্মী সম্মেলন করে দলকে বদনাম করার চেষ্টা হচ্ছে। পরোক্ষে বিরোধীদের হাতকে ওরা শক্ত করছে। এসব না করে ওরা মন দিয়ে তৃণমূল দলটা করুক, আমরা এটা চাই।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake: পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান জাল করে অবাধে চলছে বিক্রি! কোথায় জানেন?

    Fake: পুরসভার বিল্ডিং প্ল্যান জাল করে অবাধে চলছে বিক্রি! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ বিল্ডিং প্ল্যান এর নকশা জাল (Fake) করার অভিযোগকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে পুরুলিয়া পুরসভায়। পুরসভার কর্মীদের একাংশ এই অপকর্মের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশন  এর সদস্যরা  সরব হয়েছেন। সমস্ত তথ্যপ্রমাণ দিয়ে তাঁরা পুরসভার চেয়ারম্যানের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের দাবি, এই ঘটনার তদন্ত করতে হবে। আর এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।

    কীভাবে বিল্ডিং প্ল্যান জাল করা হচ্ছে? Fake

    পুরসভা এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মাধ্যমে বিল্ডিং প্ল্যান তৈরি করা হয়। সংগঠনের সদস্যরা বলেন, বিল্ডিং প্ল্যান করে যারা পুরসভায় জমা দিচ্ছে, সেই প্ল্যানের নথি আলাদা করে কপি করে সেই প্ল্যানে নতুন নাম, প্লট নম্বর দিয়ে জাল (Fake)  প্ল্যান তৈরি করে অন্য ব্যক্তিকে কম টাকায় সেই প্ল্যান বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে।  এমনকী সেই প্ল্যান পুরসভা থেকে পাশও করানো হচ্ছে। আমাদের কাছে তার প্রমাণও রয়েছে। এসব করে পেশাগত কাজে বাধা সৃষ্টি করছে এক শ্রেণীর পুরসভার কর্মীরা। দীর্ঘদিন ধরেই এই বেআইনি কাজ চলছে। কারণ, প্ল্যান পাশ হয়ে যাওয়ার পর সে প্ল্যানের নকশা যখন অ্যাপসে  আপলোড হচ্ছে, তখন দেখা যাচ্ছে তাদের করা নকশা অন্য ব্যক্তির প্ল্যানে পাশ করানো হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বামাপদ পুইতন্ডি বলেন,  পুরসভার কর্মী ছাড়া এই ধরনের জালিয়াতি (Fake) কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।  কারণ, আমাদের তৈরি প্ল্যান পুরসভায় জমা পড়ে। সেই জমা পড়া প্ল্যান থেকে জালিয়াতি করা হচ্ছে। পুরসভার চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। কোনও ব্যবস্থা না নেওয়া হলে আগামীদিনে থানা ও আদালতে যাব।

    কী বললেন পুরসভার বিরোধী দলনেতা? Fake

    এই বিষয়ে পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি কাউন্সিলর প্রদীপ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা থেকে প্ল্যান চুরি হয়ে যাচ্ছে, এটা ভাবা যায় না। পুরসভার প্ল্যান বিভাগে যারা রয়েছেন, তাঁদের সকলকে শোকজ করা দরকার। এই ধরনের বেআইনি কাজের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। পুরসভার বৈঠকে আমরা এই বিষয়টি তুলব।  

    কী বললেন পুরসভার চেয়ারম্যান? Fake

    এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান নবেন্দু মাহালি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। প্ল্যান বিভাগের এক ইঞ্জিনিয়ারকে বিষয়টি দেখার জন্য বলেছি। কারণ, এই ধরনের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত করা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুরসভায় এই ধরনের বেআইনি কাজ কোনওভাবে মেনে নেওয়া হবে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    Bogtui: শুভেন্দুর তোপ, মমতার আক্ষেপ! বগটুই নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের বগটুইয়ের (Bogtui) ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। বগটুইয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানিয়ে, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘শাসক দল খুন করল, আবার তারাই শহিদদের স্মরণ করল। অথচ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বগটুইয়ের (Bogtui) নিহত সংখ্যালঘুদের নিয়ে নীরব থাকলেন।’’ বিরোধী দলনেতার এই বক্তব্যের পরই আক্ষেপ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “কী করিনি ওদের জন্য। চাকরি দিয়েছি, ক্ষতিপূরণ দিয়েছি, সমাজিক প্রকল্পের সুযোগ দিয়েছি। তারপরেও ওরা অন্য দলের সংস্পর্শে যাচ্ছে।”

    শুভেন্দুর দাবি

    প্রসঙ্গত, বীরভূমের বগটুইয়ে (Bogtui) গত বছরের ২১ মার্চ আগুনে ঝলসে মৃত্যু হয় ১০ জনের। ঘটনায় বিতর্কের ঝড় ওঠে রাজ্য রাজনীতিতে। তার এক বছর পার। নিহতদের স্মরণ করতেও রাজনৈতিক টানাপোড়েন। প্রথমে শহিদ বেদি তৈরি করে বিজেপি। তার কাছেই আবার রাতারাতি শহিদ বেদি তৈরি করে তৃণমূলও। পরে সেখানে গিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সুর চড়ান শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাজনীতি করতে এখানে আসিনি। বগটুইয়ে (Bogtui) আমরা বিগত নির্বাচনে মাত্র ১৭টি ভোট পেয়েছিলাম। তা সত্ত্বেও আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি যে আগামী দিনেও নিঃস্বার্থভাবে আপনাদের পাশে থাকব। আপনাদের পরিবারের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষার দায়িত্ব আমার।’’ সেদিনই বগটুই গ্রামের শহিদ বেদি সংলগ্ন মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দেখা যায় অন্যান্য শহিদ পরিবারের সদস্যদেরও। এমনকী নিহতদের পরিবারের সদস্য মিহিলাল শেখকেও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে বিজেপির মঞ্চে দেখা যায়।

    আরও পড়ুন: দায়িত্বপূর্ণ কাজ সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেওয়া যাবে না! নয়া নির্দেশিকা রাজ্য পুলিশের

    মমতার আক্ষেপ

    বীরভূম নিয়ে শুক্রবার কালীঘাটে দলীয় বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তৃণমূল নেতা জানান বগটুই (Bogtui) নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন মমতা। অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, বগটুইয়ের বাসিন্দারা এখন বিজেপির সঙ্গে রয়েছে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাগের কারণ। তিনি আরও বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতিতে যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয় তাহলে বীরভূমের বাসিন্দারা এখনই জবাব দিয়ে দেবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kalighat: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনুর স্ত্রীর নির্মাণ সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ ‘কালীঘাটের কাকু’র!

    Kalighat: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে ধৃত শান্তনুর স্ত্রীর নির্মাণ সংস্থায় বিপুল বিনিয়োগ ‘কালীঘাটের কাকু’র!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ফাঁস নয়া তথ্য। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা (TMC) শান্তনুর (Shantanu Banerjee) স্ত্রী প্রিয়ঙ্কা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্মাণ সংস্থা ডিআইপি ডেভেলপারে বিপুল বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের (Kalighat) কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। হুগলির সত্যপির তলায় বহুতল নির্মাণ করছে ডিআইপি ডেভেলপার। এর অন্যতম অংশীদার প্রিয়ঙ্কা। এই সংস্থার ব্যালেন্স শিট থেকেই জানা গিয়েছে, প্রিয়ঙ্কার সংস্থায় ৪০ লক্ষ টাকা লগ্নি করেছেন কালীঘাটের কাকু। তবে ওই ব্যালেন্স শিটের সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম।

    কালীঘাটের (Kalighat) কাকুর কারবার…

    জানা গিয়েছে, চন্দননগরের জিটি রোডের পাশে কাঠা ছয়েক জমির ওপর বহুতল নির্মাণের চুক্তি হয়। তার নকশা দিয়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে শুরু হয় বুকিংও। তাতেই টাকা ঢেলেছেন কালীঘাটের কাকু। ডিআইপি ডেভেলপারের ব্যালেন্স শিটে দেখা যাচ্ছে ওই সংস্থায় ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের কাকু। ৯৬ লক্ষ টাকার ব্যালেন্স শিটে দেখা যাচ্ছে, শান্তনুকে ১০ লক্ষ ও প্রিয়ঙ্কার ছেলের নামে থাকা সংস্থা ইভান কনট্রেডকে ৪০ লক্ষ টাকা লোন দেওয়া হয়েছে। ডিআইপি ডেভেলপারের অন্যতম অংশীদার ইন্দ্রনীল চৌধুরী জানান, সত্যপির তলার ওই প্রকল্পে তাঁদের তিনজনের বিনিয়োগ রয়েছে। কালীঘাটের কাকুর বিনিয়োগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনি (কালীঘাটের কাকু) দোকান নেবেন বলে অগ্রিম ৪০ লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, সমস্ত তথ্যই তদন্তকারী সংস্থা ইডিকে দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    নিয়োগ কেলেঙ্কারিকাণ্ডে ধৃত কুন্তলকে চেনেন না বলে দাবি করলেও, শান্তনুকে চেনেন বলে দাবি করেছেন কালীঘাটের কাকু। এবার জানা গেল, শান্তনুর স্ত্রীর সংস্থায়ই ৪০ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করেছেন কালীঘাটের কাকু। সূত্রের খবর, চুঁচুড়া, চন্দননগর, হাওড়ার মুন্সিরহাট সহ কয়েকটি জায়গায় রিয়েল এস্টেটে প্রিয়ঙ্কার নামে লগ্নি করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা। নিয়োগ কেলেঙ্কারির কালো টাকা সাদা করতেই কি রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ, উঠছে প্রশ্ন। এদিকে, শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের ১০টি অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে। এর আগে তাঁর ৩০টি অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করেছে ইডি। অয়নের সঙ্গে শান্তনুর কী ধরনের বোঝাপড়া ছিল, তাও খতিয়ে দেখছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

     

  • Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    Dharna: মমতার পাল্টা ধর্নায় বিজেপি, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রয়েছে গুচ্ছ কর্মসূচিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি মেনে বুধ এবং বৃহস্পতিবার কলকাতায় আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তৃণমূল নেত্রী (TMC) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে ধর্নায় বসছেন তিনি। ওই দু দিনই ধর্নায় বসছে বঙ্গ বিজেপিও (BJP)। পদ্ম শিবির সূত্রে খবর, ওই দু দিন তারা ধর্নায় বসবে উত্তর কলকাতার শ্যামবাজারে। বিজেপির ওই কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দক্ষিণবঙ্গের সব বিধায়ককেও ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। থাকতে বলা হয়েছে রাজ্যস্তরের নেতানেত্রীদেরও। পুলিশের অনুমতি না মিললে আদালতে যাবেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    তৃণমূল ও বিজেপির ধর্না (Dharna)…

    বিরোধী ঐক্যে শান দিতে মঙ্গলবার ওড়িশা গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার আগেই তিনি জানিয়েছিলেন, একশো দিনের কাজের বকেয়া সহ নানা বিষয়ে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার অভিযোগ তুলে বুধ ও বৃহস্পতিবার আম্বেডকরের মূর্তির পাদদেশে ধর্নায় (Dharna) বসবেন তিনি। বিজেপির অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে পাওয়া টাকা নয়ছয় করেছে রাজ্য। বিভিন্ন খাতের টাকা প্রকৃত খাতে ব্যয় না করে খরচ করা হয়েছে খয়রাতি প্রকল্পে। পদ্ম শিবিরের দাবি, সেই কারণেই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বরাদ্দ টাকা পাচ্ছে না রাজ্য। তাই কেন্দ্রীয় প্রকল্পে প্রাপ্ত অর্থের হিসেব দিল্লিকে না দেওয়ার অভিযোগে ধর্নায় বসছে বিজেপি।

    গেরুয়া শিবিরের এই কর্মসূচি প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত দশ বছরে পাওয়া কেন্দ্রীয় বরাদ্দের ৫ লক্ষ কোটি টাকার মধ্যে ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার হিসেব দেয়নি রাজ্য। রাজ্যের উচিত অবিলম্বে এই হিসেব দেওয়া। তিনি বলেন, এ নিয়ে আদালতে মামলাও চলছে। সেই সঙ্গে আমরা পথেও নামতে চলেছি। টানা আন্দোলন চলবে। জগন্নাথ বলেন, পুলিশ ওই দিন ধর্নায় (Dharna) বসার অনুমতি না দিলে আমরা আদালতের দ্বারস্থ হব।

    আরও পড়ুুন: সিউড়ি থানার আইসিকে ব্যাঙ্কের নথিসহ তলব ইডির! গরু পাচারকাণ্ডে মিলবে কি নতুন তথ্য?

    তৃণমূলের মোকাবিলায় গুচ্ছ কর্মসূচি পালন করতে চলেছে বঙ্গ বিজেপি। ২৭ মার্চ, সোমবার রাজ্যের সব জেলাশাসকের দফতরে রাজ্য সরকারের দুর্নীতির অভিযোগে স্মারকলিপি দেবে বিজেপি। পরের দিন বিজেপির কিসান মোর্চার নেতৃত্বে কলেজ স্ট্রিট থেকে ধর্মতলা পর্যন্ত হবে মিছিল। বৃহস্পতিবার রামনবমী। এদিন রাজ্যে শোভাযাত্রা করবে একাধিক হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এর উদ্যোক্তা বিজেপি না হলেও, দলের কর্মী-সমর্থকরা যোগ দেবেন ওই সব মিছিলে। এপ্রিলেও একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে পদ্ম শিবির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: পার্থ কী বলবেন তা আলিপুর জেল সুপারের কেবিনে বসেই ঠিক হয়! দাবি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) অভিযুক্ত রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দিকে আঙুল তুলেছিলেন। এবার তার যোগ্য জবাব দিলেন শুভেন্দু। বিরোধী দলনেতার বক্তব্য, ‘খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এই নাটক জেলে থাকা সুদীপ্ত সেনকে দিয়েও লেখানো হয়েছিল। সেখানে বিমানবাবু থেকে শুরু করে আমার নামও ছিল।’ পার্থ কী বলবেন, সেটা বুধবার আলিপুর জেলের সুপারের কেবিনে বসে ঠিক হয় বলেও দাবি শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)।

    শুভেন্দু যা বললেন

    প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারেই বর্তমানে রয়েছেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এই চিত্রনাট্যর প্লট তৈরি হয়েছিল গতকাল। প্রেসিডেন্সির সুপারের দুটি ফোন নম্বরের হোয়াটসঅ্যাপ ও ফেসটাইমে কার কার সঙ্গে কথা হয়েছে, তা খুঁজে বের করার দাবি তুলেছেন তিনি। শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) আরও দাবি, ‘গতকাল বিকেলে দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর আইনজীবী ছিলেন। সেই সময়ের সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হোক।’ বিরোধী দলনেতার দাবি, এগুলি মিলিয়ে দেখলেই স্পষ্ট হবে কীভাবে জেলের ভিতরে থাকা একজনের বক্তব্যের সঙ্গে জেলের বাইরে থাকা একজনের বক্তব্য মিলে যায়। বললেন, ‘এগুলি খুব দুর্বল চিত্রনাট্য। এসব করে কিছু হবে না।’

    যুক্ত জেল সুপারও

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও বলেন, ‘‘দেবাশিস চক্রবর্তীর কেবিনে এক জন মহিলা আইনজীবী ছিলেন। সেই কেবিনে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও আনা হয়েছিল। বিকেল ৪টে থেকে সওয়া ৪টের মধ্যে প্রেসিডেন্সি জেলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখা হোক।’’ এখানেই না থেমে চ্যালেঞ্জের সুরে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বিধানসভার মধ্যেও বলেছিলাম। একটা ফাঁকা কাগজও যদি দেখাতে পারেন, তা হলে মেনে নেব। ২০১৬ সাল থেকে আমি বিধায়ক। তার আগে সাংসদ ছিলাম। এই সময় কালে তাঁর কাছ থেকে চক, ডাস্টার, ব্ল্যাকবোর্ড পর্যন্ত নিইনি। এই লোকটাকে আমি ঘৃণা করি। কারণ, তিনি দুশ্চরিত্র, লম্পট, দুর্নীতিপরায়ণ। আর এই সবের পিছনে রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’’

    আরও পড়ুুন: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) দাবি, ওই চিত্রনাট্য ১৮ মিনিটের ব্যবধানে যাঁরা টুইট করেছেন এবং বলেছেন তাঁরা দু’জনেই ‘জেলখাটা’। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা ৪২ মিনিটে কুণাল টুইট করেন, ‘‘শিক্ষায় নিয়োগ বিতর্ক: দিলীপ ঘোষ, সুজন চক্রবর্তী, শুভেন্দু অধিকারী, শমীক ভট্টাচার্য ও আরও কয়েক জন চাকরির সুপারিশ করেছিলেন কি? তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে অনুরোধ করেছিলেন কি? তদন্ত হোক। কেন্দ্রীয় এজেন্সি একমুখী কাজ না করে নিরপেক্ষ কাজ করুক।’’ এর পরে দুপুর ১২টা নাগাদ আদালত চত্বরে মন্তব্য করেন পার্থ। শুভেন্দুর দাবি, এটা আগে থেকেই ঠিক করা ছিল।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    Mamata Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে একী বললেন মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ নিয়োগ দুর্নীতিতে জেরবার শাসক দল। দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী এখন জেলের ঘানি টানছেন। প্রতিদিন এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে শাসক দলের নেতা বা তাঁদের ঘনিষ্ঠরা ইডির জালে ধরা পড়ছে। এমনকী আদালতের নির্দেশে শয়ে শয়ে চাকরি বাতিল হয়েছে। এই চাকরি বাতিল হওয়ার তালিকায় শাসক দলের নেতার আত্মীয়দের বা তাঁর ঘনিষ্ঠদের নাম রয়েছে। এই অবস্থায় নতুন করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নাম জড়িয়ে চাকরি দেওয়া নিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের মন্তব্য ঘিরে রাজনৈতিক বিতর্ক তৈরি হয়েছে।

    মন্ত্রী ঠিক কী বলেছেন? Mamata Banerjee

    বুধবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী উদয়ন গুহ উত্তর দিনাজপুর জেলায় সার্বিক উন্নয়ন নিয়ে বৈঠক করতে এসেছিলেন। তাঁর সঙ্গে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনও ছিলেন। তিনি এখন উত্তর দিনাজপুর জেলার মাইনোরিটি সেলের দায়িত্ব পেয়েছেন। সরকারি বৈঠক শেষ হওয়ার পর সাংবাদিক বৈঠক করে মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, সিপিআইএমের সময় যারা ঝোলা কাঁধে নিয়ে ঘুরে বেড়াত, তাদেরই চাকরি হয়েছে। তাই তাদেরই চাকরি হবে যে সকাল সন্ধ্যা মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) জিন্দাবাদ বলছে,তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ করছে, সেই তৃণমূল কর্মীকে চাকরি দেওয়ার একশো শতাংশ আমরা চেষ্টা করব। তবে, মেধার ভিত্তিতে সেই চাকরি দেওয়া হবে।”  তিনি আরও বলেন, বছরে আমরা তিনটে করে চাকরি পাই, সেই চাকরি আমরা বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেসের ছেলেদের দেব না। যারা তৃণমূল করে আমরা তাদের সেই চাকরি দেব। সব পার্টি করেছে, আমরাও করব। তবে, যে দলের সঙ্গে বেইমানি করে দুর্নীতি করে নিজেকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে দল তার পাশে থাকবে না। আর দুর্নীতির সঙ্গে আমরা আপোষ করব না। প্রশ্ন উঠছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নেওয়া কী মেধার মাপকাঠি?

    মন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কী বলছেন বিরোধীরা? Mamata Banerjee

    মন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিনের বক্তব্য নিয়ে বিরোধীরা কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। বিজেপির জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, তৃণমূলের হয়ে যারা চাকরি চুরি করে, ধর্ষণ করে, বোমা মারে, বুথ জ্যাম করে সেটাই তৃণমূলের কাছে মেধা। আর সেই মেধার ভিত্তিতে তৃণমূলের লোক চাকরি পাবে, এটাই স্বাভাবিক। এতে নতুন কিছু ব্যাপার নেই। বর্তমানে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা কেউ আছে জেলে, কেউ আছে বেলে, বাকি যারা বাইরে আছে তারাও সময় মত জেলে যাবে। অন্যদিকে, সিপিআইএমের সময় ঝোলা কাঁধে নিয়ে যারা ঘুরেছে তাদেরই চাকরি হয়েছে বলে মন্ত্রী যে মন্তব্য করেন তা নিয়ে  সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য উত্তম পাল বলেন, বর্তামানে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু এবং তৃণমূলের যারা বক্তা রয়েছেন তাদের তো বামফ্রন্টের সময় চাকরি হয়েছে। আর সেই চাকরি বামফ্রন্ট সরকার একটি নিয়ম নীতির মাধ্যমে করেছে। না হলে তাদের চাকরি হত না। তবে, তৃণমূলের কর্মীদের মেধার ভিত্তিতে যে নিয়োগ করা হবে সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন,তা একপ্রকার সোনার পাথর বাটি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Partha Chatterjee:  ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    Partha Chatterjee: ‘এই চোর পার্থ’! স্লোগানের পাশাপাশি সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতার ফাঁসিও চাইল জনতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার চোর, চোর স্লোগান শুনলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী তথা সাসপেন্ডেড তৃণমূল (TMC) নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। নিয়োগ কেলেঙ্কারি (Recruitment Scam) মামলায় বৃহস্পতিবার পার্থকে তোলা হয় আদালতে। গাড়ি থেকে পার্থ নামতেই উপস্থিত জনতা স্লোগান দেয়, চোর, চোর। ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত।

    এই পার্থ (Partha Chatterjee) চোর…
    নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে এদিন আলিপুর সিবিআই আদালতে শুনানি ছিল পার্থ সহ সাতজনের। পার্থকে আদালতে নিয়ে আসা হয় আলাদা একটি গাড়িতে করে। গাড়ি থেকে চেক কাটা পাঞ্জাবি পরা পার্থ নামতেই জনতা স্লোগান দিতে থাকে, এই পার্থ চোর, এই চোর পার্থ। মাথা নিচু করে হেঁটে পার্থ (Partha Chatterjee) সোজা ঢুকে যান আদালতে। এই সময় জনতার একাংশকে বলতে শোনা যায়, ওঁকে জ্বালিয়ে দেওয়া উচিত, ওঁর ফাঁসি হওয়া উচিত। অবশ্য এই প্রথম নয়, এর আগেও জোকা ইএসআই হাসপাতালে কিংবা ব্যাঙ্কশাল কোর্ট চত্বরে পার্থকে দেখে চোর স্লোগান দিয়েছিল উপস্থিত জনতা। এদিন আলিপুরও দেখল একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি।

    এদিন জনতার মধ্যে থাকা এক ব্যক্তি পার্থর বিরুদ্ধে বিদেশে টাকা চালান করার অভিযোগও করেন। এর আগে পার্থকে লক্ষ্য করে জুতোও ছোড়া হয়েছিল। অন্যদিন প্রতিক্রিয়া না দিলেও, এদিন দিয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী। ঘনিষ্ঠ মহলে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা (Partha Chatterjee) বলেন, চোর হলে এক জায়গায় পাঁচবার জিততাম না। সৎ না হলে আমাকে মানুষ পাঁচ বার জেতাতেন না। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যাঁরা আমাকে জানেন তাঁরা আমায় চোর বলবেন না। বেহালার মানুষ আমাকে চোর বলতে পারেন না। তিনি বলেন, ভেবেছিলাম, চুপ থাকব। কিন্তু চুপ থাকতে দেবে না।

    আরও পড়ুুন: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    নিয়োগ দুর্নীতির কেলেঙ্কারির দায় এদিন পার্থ (Partha Chatterjee) চাপাতে চেয়েছেন বিরোধীদের ঘাড়ে। উপস্থিত জনতার মুখে চোর স্লোগান শুনে সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা বলেন, আমি দুর্নীতি করতে চাইনি। শুভেন্দু, দিলীপ, সুজন উত্তরবঙ্গে অনেক তদ্বির করেছিলেন। আমি বরং বলেছিলাম, আমি নিয়োগকর্তা নই, কিছু করতে পারব না। এদিন পার্থর সঙ্গেই আদালতে পেশ করা হয় বারাসতের শিক্ষক তথা নিয়োগ কেলেঙ্কারির অন্যতম চাঁই তাপস মণ্ডলকে। অয়ন শীলকে নিয়ে প্রশ্ন করায় তনি বলেন, ম্যাজিশিয়ান কুন্তল ঘোষকে জিজ্ঞেস করুন।ও সব জানে। সুবীরেশ সহ বাকিদেরও এদিন আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

  • Sukanta Majumdar: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বিভিন্ন পুরসভায় নিয়োগ কেলেঙ্কারি, তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র (ED) হাতে গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের (TMC) বহিষ্কৃত নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অয়ন শীল। এই অয়নের সংস্থার মাধ্যমেই রাজ্যের ৬০ পুরসভায় কর্মী নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে বলে স্পষ্ট হয়েছে ইডির তদন্তে। তার জেরে কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে চিঠি দিলেন বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। চিঠিতে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির কেন্দ্রীয় তদন্ত দাবি করেছেন তিনি। অবিলম্বে কেন্দ্রের তহবিলের টাকা দেওয়া বন্ধের দাবিও জানিয়েছেন ওই চিঠিতে। প্রসঙ্গত, এর আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর চিঠি পেয়ে পদক্ষেপ করেছিল কেন্দ্র। মিড-ডে মিল ও আবাস যোজনার কাজ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় দল।

    সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন…

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) জানান, নগরোন্নয়ন মন্ত্রক দেশের পুরসভাগুলিকে টাকা দেয়। এ রাজ্যের পুরসভাগুলিও টাকা পায় কেন্দ্র থেকে। তাই এ ব্যাপারে কেন্দ্রের অবগত থাকা উচিত। সুকান্ত বলেন, ৬০টি পুরসভায় নিয়োগ হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের টাকা না দিয়ে কেউ চাকরি পায়নি, একজনও নয়। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে তদন্ত হওয়া উচিত। কেন্দ্রের কাছে তদন্তের টিম পাঠানোর অনুরোধ জানাচ্ছি।

    অয়নকে গ্রেফতার করার পরেই ইডির হাতে এসেছে পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির তথ্য। ঝাড়ুদার থেকে ক্লার্ক, পুরসভায় চাকরি পাইয়ে দিতে ৪ থেকে ৮ লক্ষ টাকা করে নেওয়া হত। অয়নের সংস্থা এবিএস ইনফোজোনের মাধ্যমে একাধিক পুরসভায় চুক্তি হত বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্রেই অয়নের অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে পুরসভার পরীক্ষার ওএমআর শিট।

    আরও পড়ুুন: ইডির দফতরে হাজিরা শান্তনু ঘনিষ্ঠ আকাশের! আর কী কী তথ্য পেল তদন্তকারীরা?

    অয়নের মামলা চলাকালীন আদালতে ইডি জানিয়েছে, অয়নের সংস্থার মাধ্যমে রাজ্যের ৬০টিরও বেশি পুরসভায় নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। আর সেই সবকটি ক্ষেত্রেই হয়েছে দুর্নীতি। প্রায় ৫ হাজার প্রার্থীর চাকরির ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। কামারহাটি, হালিশহর, পানিহাটি, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম, ডায়মন্ড হারবার সহ বিভিন্ন পুরসভার নাম রয়েছে নিয়োগ কেলেঙ্কারির তালিকায়। প্রশ্ন হল, কলকাতা পুরসভায় নিয়োগেও কি অয়ন প্রভাব খাটিয়েছিল? কারণ, ইডির সিজার লিস্টে উল্লেখ রয়েছে, অয়নের অফিসে তল্লাশির সময় মিলেছে কলকাতা পুরসভাকে দেওয়া একটি চিঠির কপি। চিঠিটি লিখেছেন একজন চাকরিপ্রার্থী। একটি ড্রাফট লেটারও উদ্ধার হয়েছে। প্রণব নামে কেউ একজন ওই চিঠি পাঠিয়েছেন পুরসভার মেয়রকে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
LinkedIn
Share