Tag: tmc

tmc

  • Sukanta Majumdar: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না! দুর্নীতি থেকে নজর সরাতে অপপ্রচার তৃণমূলের, দাবি সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যত বড়ই নেতা হোক না কেন দুর্নীতি করলে ছাড় পাবেন না। হুঁশিয়ারি রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। পূর্বস্থলীর সভা মঞ্চ থেকে একই সঙ্গে বাংলাকে ভাগ হতে দেবেন না বলেও জানান সুকান্ত। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে (JP Nadda) পাশে বসিয়ে রাজ্যে শাসক দলের একাধিক নেতাকে বিঁলেন সুকান্ত।

    বাংলা-ভাগ প্রসঙ্গ

    এদিন সুকান্ত বললেন, “অভিষেক উত্তরবঙ্গে গিয়ে বলছে বিজেপি উত্তরবঙ্গকে না কি ভাগ করতে চায়। আমরা না কি বাংলাকে ভাগ করতে চাই। আমি বিজেপির রাজ্য সভাপতি হিসাবে এই মঞ্চ থেকে সর্ব-ভারতীয় সভাপতিকে সামনে রেখে ঘোষণা করছি বিজেপির ঘোষিত নীতি ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় যে রূপে বাংলাকে রাখতে চেয়েছেন আমরা সেই রূপেই রাখব। বাংলাকে খণ্ডিত হতে দেব না। বাংলাকে ভাগ হতে দেব না।” যা নিয়ে নতুন করে শোরগোল বাংলার রাজনৈতিক মহলে। 

    দুর্নীতি ভরা

    সুকান্তর সাফ দাবি, রাজ্যজোড়া দুর্নীতি থেকে চোখ ঘোরাতেই এত নাটক করছে তৃণমূল। কয়েকদিন আগে দক্ষিণ কলকাতার বালিগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া দেড় কোটি টাকা নিয়েও তোপ দাগেন তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এমনকী মঞ্জিত সিং নামে যে ব্যক্তির কাছ থেকে ওই টাকা পাওয়া গিয়েছে তার সঙ্গে তৃণমূলের শীর্ষস্তরের বহু নেতার যোগাযাগ রয়েছে বলেও দাবি সুকান্তর। আর এসব থেকে নজর ঘোরাতেই বারবার বাংলাভাগের প্রসঙ্গ তুলে আম-আদমির নজর ঘোরাতে চাইছেন তৃণমূল নেতারা,এমনটাই দাবি সুকান্তর। 

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা    

    নাম ধরে নেতাদের আক্রমণ

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত অভিযোগ করেন, শস্যভান্ডার বলে পরিচিত বর্ধমানে চাষিরা আলুর দাম পাচ্ছেন না। হিমঘরের দরজায় তৃণমূলের লোকজনকে টাকা দিলে বন্ড পাওয়া যায়। সভায় আসা জনতার উদ্দেশ্যে সুকান্তের দাবি, ‘‘আপনাদের জেলাও কম যায় না।’’ এর পরেই তিনি বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাসের বিরুদ্ধে ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে ধর্মীয় বিভাজনের চেষ্টা, বালি কারবারের অভিযোগ তোলেন। ইডি-সিবিআই তাঁর দরজায় কড়া নাড়বে বলেও হুঁশিয়ারি সুকান্তের। তাঁর আরও দাবি, ‘‘রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় না কি ভাল নেই। ভয়ে কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেলেন। এখনও ভয় পাচ্ছেন। প্রচুর সম্পত্তিও না কি করেছেন। ঠিক করে হিসাব রাখছেন তো?’’ দাঁইহাটের প্রাক্তন পুরপ্রধান শিশির মণ্ডলের বিরুদ্ধে ওঠা ফোনে অশালীন প্রস্তাবের ঘটনাও স্মরণ করিয়ে দেন সুকান্ত। তাঁর দাবি, ‘‘তাঁকে শুধু সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিজেপির কেউ এমন কাজ করলে জেলে ঢুকিয়ে দেওয়া হত।’’  এভাবেই পূর্বস্থলীর সভা থেকে একের পর এক তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    Suvendu Adhikari: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল যোগ নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু, কী লিখলেন ট্যুইটে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গে তৃণমূলের সম্পর্ক নিয়ে এবার বিস্ফোরক ট্যুইট করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। ট্যুইটে বেশ কয়েকটি সম্পত্তি হস্তান্তরের দাবি করেছেন তিনি।

    সম্প্রতি বালিগঞ্জ থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে (Suvendu Adhikari)। ঘটনায় কয়লা পাচার-যোগের প্রমাণ মিলেছে। এই মামলায় দুই ব্যবসায়ীর নাম উঠে এসেছে। তাঁদের মধ্যে একজন গজরাজ গ্রুপের কর্ণধার বিক্রম সাকারিয়া। ইতিমধ্যেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি। আগামী বুধবার, নথি-সহ দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালকে। তিনি  একটি গেস্ট হাউসের মালিক ও ধাবা ব্যবসায়ী। এই মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের সঙ্গেই তৃণমূল-যোগ নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করেছেন শুভেন্দু। মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর ভাই কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের ছবি আগেই প্রকাশ করেছিলেন তিনি। এবার ট্যুইটারে আরও একটি ছবি প্রকাশ করেছেন বিরোধী দলনেতা। তাতে বেশ কিছু নাম, দলিল ও জমি হস্তান্তরের দাবি করে লেখা হয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়কে চ্যালেঞ্জ! ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা        
     
    উল্লেখ্য, ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডে, হরিশ মুখার্জি রোডের ২০৪ নম্বর প্লটে যে সম্পত্তি কেনা হয়েছে, তার প্রস্তাবিত মূল্য ১ কোটি ৮৯ লক্ষ ৩০ হাজার ১ টাকা। ডিড নম্বর ০৭০৭৭/২০১০। বিক্রেতার নাম মায়া সেন, ইন্দ্রজিৎ সেন এবং শুভ্রা মিত্র। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং মনজিৎ সিং। দ্বিতীয় সম্পত্তির ঠিকানা, ১৩৫-এ, হরিশ মুখার্জি রোড। প্রস্তাবিত মূল্য ১৯ লক্ষ ৬০ হাজার ৩ টাকা। ডিড নম্বর ০৫২২৪/২০১৬। বিক্রেতার নাম তন্ময় সরকার। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি এবং দলজিৎ কউর। ১৭ টার্ফ রোডে, তৃতীয় সম্পত্তির প্রস্তাবিত মূল্য ১৫ লক্ষ ৫৯ হাজার ৮২৫ টাকা। ডিড নম্বর, ০৫৫৪৫/২০১৭। বিক্রেতা মহম্মদ রফি খোন্দকার অলিউল ইসলাম। ক্রেতা কাজরী ব্যানার্জি, মনজিৎ সিং এবং অমরজিৎ সিং।

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) ট্যুইটে লেখেন, ‘সিজারের স্ত্রীকে সন্দেহের ঊর্ধ্বে রাখতেই হবে, কিন্তু তার সঙ্গে কার্তিক-জায়াকেও রেহাই দিতে হবে। শুধুমাত্র তিনি সম্রাজ্ঞীর আত্মীয় বা তোলামূল কাউন্সিলর বলে? “কে জানি না” থেকে শুরু করে ”হিন্দি সেলের নেতা”, তারপর ”শুধুই পরিচিত” থেকে ”পুরনো বন্ধু” আর এখন ”ব্যবসায়িক সঙ্গী” থেকে ”অপরাধের সঙ্গী”?’

    আরও একটি ট্যুইটে তিনি লেখেন, “কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা – সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতোই ধোঁয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো।”

     

    রহস্যময়ীর খোঁজে ইডি 

    এদিকে বালিগঞ্জ কাণ্ডে যুক্ত এক প্রভাবশালী (Suvendu Adhikari) এক মহিলাকে খুঁজছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। টাকা উদ্ধারের সঙ্গে এক মহিলার জড়িত থাকার প্রমাণ পেয়েছে ইডি। জানা গিয়েছে, এই মহিলার সঙ্গে আমলাদের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। এই রহস্যময়ীর খোঁজ পেলেই তদন্ত অনেকটা এগিয়ে যাবে বলে মনে করছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তদন্তকারীদের দাবি, শরৎ বোস রোডের গেস্ট হাউস বিক্রির ‘ডিল’ করার ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল ওই মহিলার। এমনকী অনেকের কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছেন তিনি। এখন সেই মহিলাকেই হন্যে হয়ে খুঁজছে ইডি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     
     
  • J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    J P Nadda: ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, লেনেওয়ালা নেই, এটাই বিকাশ, জানালেন নাড্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন। বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। রবিবার বাংলার জোড়া সভায় এক ঢিলে দুই পাখিই মারলেন বিজেপির (BJP) সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (J P Nadda)। এদিন পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর ও পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীতে সভা করেন নাড্ডা। দুই সভায়ই রাজ্য সরকারের সমালোচনার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে নাড্ডা বলেন, এখানে আইনের শাসন নেই। কেন্দ্র এ রাজ্যের জন্য অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্প রূপায়ন করার উদ্যোগ নিয়েছে। তবে রাজ্য সরকারের জন্য তা সম্ভব হচ্ছে না। তিনি বলেন, আমরা রাজ্যবাসীকে চাল, গম দিচ্ছিলাম। কিন্তু তৃণমূল কর্মীরা রেশন সামগ্রী চুরি করছে।

    নাড্ডা উবাচ…

    রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করার পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসাও করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ৯২ শতাংশ মোবাইল ফোন আসত চিন থেকে। এখন দেশের ৯৭ শতাংশ মোবাইল ফোন ভারতেই তৈরি হয়। কখনও যদি অ্যাপলের মোবাইল হাতে আসে, তাহলে দেখবেন লেখা রয়েছে মেড ইন ইন্ডিয়া। তিনি (J P Nadda) বলেন, মোদিজির জমানায় দেশে সুশাসন ফিরেছে। মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। মহিলা, যুব, কৃষকরা শক্তিশালী হয়েছেন। দলিত ও আদিবাসীরা যদি শক্তিশালী হয়ে থাকে, তাহলে সেই কাজ করেছেন মোদিজি। নাড্ডা বলেন, আপনারা মাস্ক পরা মার্কিন রাষ্ট্রপতির ছবি দেখেছেন। আর এখানে জনসভায় এত লোক বসে রয়েছেন, কারও মুখে মাস্ক নেই। এর কারণ মোদিজি দেশের ১৪০ কোটি মানুষকে করোনার ডবল ডোজ দিয়েছেন।

    আরও পড়ুুন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জঙ্গলরাজেরও অবসান ঘটবে, বর্ধমানের সভায় ঘোষণা নাড্ডার

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, আপনারা জানলে খুশি হবেন, এখন ভারত দুনিয়ার ১০০ দেশকে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে। মোট ৪৮টি দেশকে বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছে ভারত। তিনি বলেন, ভারত দেনেওয়ালা হয়ে গিয়েছে, আর লেনেওয়ালা নেই। এটাই হল বিকাশ। নাড্ডা (J P Nadda) বলেন, জল জীবন মিশনের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু এই রাজ্যে সেই প্রকল্পও ঠিক মতো করা হচ্ছে না। তিনি বলেন, মোদিজির স্বপ্ন কেউ ঝুপড়িতে থাকবেন না। সেই জন্য প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শুরু করেছেন মোদিজি। কিন্তু তাও বাংলা আবাস যোজনা বানিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোনও অর্থ না দিয়ে কেন্দ্রের প্রকল্প চুরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • National Anthem: অভিষেকের মঞ্চে ‘ভুল’ জাতীয় সঙ্গীত! ‘ভাইপো’-কে কটাক্ষ শুভেন্দু-সুকান্তর

    National Anthem: অভিষেকের মঞ্চে ‘ভুল’ জাতীয় সঙ্গীত! ‘ভাইপো’-কে কটাক্ষ শুভেন্দু-সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন রাজ্যের শাসকদলের নেতারা, তাও আবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সামনেই। ভরা মঞ্চে সেই ভুল গানের সঙ্গে গলা মেলাতেও দেখা গেল অভিষেককে। এদিন আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙায় সভা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েত ভোটকে সামনে রেখে দলের স্থানীয় নেতৃত্বকে বার্তা দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। আর সেখানেই ঘটে গেল বিপত্তি। ভরা মঞ্চে গাইলেন জাতীয় সঙ্গীত, আর সেটিতে অজস্র ভুল। নেই সঠিক শব্দ, নেই কোনও সুর। এই ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হতে শুরু হয়েছে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার অভিষেককে কটাক্ষ করে ট্যুইট করেছেন।

    জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    এইবারের ঘটনাই প্রথম নয়, এর আগেও একাধিকবার ভুল গেয়ে জাতীয় সঙ্গীতের অবমাননা করতে দেখা গিয়েছে শাসকদলের নেতা-নেত্রীদের। গত বছর পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথির সাংগঠনিক জেলার যুব তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে কাঁথি শহরে সভা করেছিল তৃণমূল। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি, জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস, জেলা সাধারণ সম্পাদক তরুণ জানা ও যুব তৃণমূল জেলা সভাপতি সুপ্রকাশ গিরি সহ কাঁথি পুরসভার কাউন্সিলর এবং জেলা নেতৃত্ব বৃন্দ। সেই মঞ্চেই উঠেছিল জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা করার অভিযোগ।  সভা শেষে জাতীয় সঙ্গীত শুরু করেছিলেন রিনা দাস।

    আর আজও ঘটল সেই একই ঘটনা। আজ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাথাভাঙা সফর। মাথাভাঙা কলেজ ময়দানে সভা ছিল অভিষেকের। সেখানেই সভা শেষে শুরু হয় ভুলে ভরা জাতীয় সঙ্গীত। ‘তব শুভ নামে জাগে’- এই কথার পরিবর্তে দুবার বলা হয়েছে ‘তব শুভ আশিষ মাগে’। আবার ‘জনগণমঙ্গলদায়ক’-এর পরিবর্তে বলা হয়েছে ‘জনগণমঙ্গলনায়ক’। ফলে যেমন শব্দে ভুল রয়েছে, তেমনি নেই কোনও সুর। যেখানে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্যের ভুল ধরতে এগিয়ে থাকেন, অন্যের টিপ্পনি করতে ছাড়েন না, সেখানে তিনি কীভাবে নির্দ্বিধায় ভুল জাতীয় সঙ্গীত গাইলেন ও তার অবমাননা করলেন, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    শুভেন্দুর কটাক্ষ ‘ভাইপো’-কে

    এদিন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া নিয়ে কটাক্ষ করেন। তিনি বলেন, এদিন মাথাভাঙায় জাতীয় সঙ্গীত ভুল গেয়েছেন। তিনি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেন, “ওকে বলুন আগামী একমাস জাতীয় সঙ্গীত পড়তে আর আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে তা বলতে। তারপরেই তিনি যেন রাজনৈতিক সভায় যান।”

    সুকান্ত মজুমদারের ট্যুইট

    মাথাভাঙায় এই ঘটনার পর কটাক্ষ করতে ছাড়েননি রাজ্যের বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি ট্যুইট করে লেখেন, “আপনি জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করতে এবং সঠিকভাবে গাইতেও পারেন না! এটি লজ্জার।”  

  • Suvendu Adhikari: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব’, আলিপুরদুয়ারে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বের করব। শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের এক জনসভায় এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির (BJP) শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এদিন বিএম ক্লাব থেকে প্রতিবাদ মিছিল বের করে বিজেপি। এই মিছিলে যোগ দেন শুভেন্দু। আলিপুরদুয়ার শহরে রেলের ফ্লাইওভারের পাশে রেলের মাঠে হয় প্রতিবাদ সভা। সেখানেই রাজ্য সরকারের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ারের দলবদলু বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকেও একহাত নেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, একটি বোলেরো গাড়ি আর কিছু টাকার জন্য আপনি দল বদল করেছেন। ওই টাকা আপনি রাখতে পারবেন না। মাটির নীচে টাকা রাখলেও, তা খুঁড়ে বার করব।

    শুভেন্দু উবাচ…

    বিজেপি রাজ্য ভাগের পক্ষে বলে প্রচার করছে তৃণমূল। এদিন তারও উত্তর দিয়েছেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দু বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি কোনও দিন রাজ্য ভাগের কথা বলেনি। কেউ যদি এই বিষয়ে কিছু বলে থাকেন, তাহলে তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। এটা আমরা বারবার বলেছি।

    বিজেপির এই প্রতিবাদ সভায় জেলাশাসকদেরও একহাত নিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার হাইওয়ে তৈরির জন্য জমি অধিগ্রহণের জন্য টাকা দিচ্ছে। আর সেই টাকার সুদ জেলাশাসকরা মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরের মোচ্ছবে খরচ করছেন। শুভেন্দু বলেন, আমি এই মঞ্চ থেকে জেলাশাসকদের হুঁশিয়ারি দিয়ে যাচ্ছি, এভাবে আপনারা এই টাকা খরচ করতে পারেন না।

    আরও পড়ুুন: বীরভূমে জাল স্লিপ দিয়ে তোলা হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, সিবিআই তদন্তের দাবি

    আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের দল বদলে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার নেপথ্যে জেলাশাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনার হাত রয়েছে বলেও মনে করেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন, সুরেন্দ্র কুমার মিনা তৃণমূলের আসল জেলা সভাপতি। সুমন কাঞ্জিলালের সঙ্গে গত এক মাসে কতবার মিটিং করেছেন, তার সিসিটিভি ফুটেজ আমার কাছে আছে। সুমনের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে গত এক মাসে এসপি আর ডিএম কী কী করেছে, সব তথ্য নিয়ে আমি কথা বলছি। নন্দীগ্রামের বিধায়ক বলেন, তিনি (সুরেন্দ্র কুমার মিনা) কত পাথর, কত বালি তুলেছে, কত চন্দন কাঠ পাচার করেছেন, তার সব হিসেব আমাদের কাছে আছে। সুষ্ঠুভাবে পঞ্চায়েত ভোটের লক্ষ্যে দলীয় কর্মীদের জেলাশাসককে ঘেরাও করার নির্দেশও দেন এই বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, ডিএম অফিস ঘেরাও করতে হবে। আমি নেতৃত্ব দেব। সুরেন্দ্র মিনাকে ২৪ ঘণ্টা আটকে রাখলে তৃণমূলের ক্ষমতা অপব্যবহার করে গণতন্ত্র ধ্বংস করার কাজ অচিরেই বন্ধ হবে এবং পঞ্চায়েত ভোট গ্রামের মানুষের ভোট হবে। নিজের ভোট নিজেরাই দিতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Sukanta Majumdar: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    Sukanta Majumdar: ‘ইডি একেবারে মমতার পরিবারের কাছে পৌঁছে গিয়েছে’, সুকান্ত কেন বললেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনে হচ্ছে, ইডি (ED) একেবারে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে! এবার খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে। কলকাতায় এক ব্যবসায়ীর বাড়ি থেকে ১ কোটি ৪০ লক্ষ উদ্ধারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীকে এই ভাষায়ই নিশানা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন একটি ট্যুইটও করেন সুকান্ত। তাতে লেখেন, ইডির রেইডে কোটি কোটি, সব খেয়েছে হাওয়াই চটি! শোনা যাচ্ছে, কয়লাকাণ্ডে যে বাড়িতে তল্লাশি হয়েছে, সেই বাড়ির মালিক নাকি মনজিৎ সিং গেরেওয়াল। যিনি আবার দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূলের হিন্দি সেলের সভাপতি। দুর্নীতিকে আশ্রয় না দিলে মাননীয়া দিদি কি হিন্দি শেখার জন্য তাঁকে নিযুক্ত করেছিলেন?

    দেড় কোটি টাকা উদ্ধার…

    বৃহস্পতিবার প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনাকে কটাক্ষ করে বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) বলেন, ইডির পারফরমেন্সে আমি হতাশ। দেড় কোটি নয়, বাংলা দেড়শো কোটি টাকা উদ্ধারের জায়গা। সুকান্তের অভিযোগ, এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় মনজিৎ সিং গেরেওয়ালের নাম উঠে আসছে। যাঁকে জিট্টি ভাই বলে সবাই ডাকে। তাঁর অফিস থেকে এবং তাঁর পরিচিত লোকজনদের কাছ থেকে টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে ইডির দাবি।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির প্রশ্ন, এই লোকটির সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবারের নিবিড় যোগাযোগ কেন? কী ধরনের লেনদেন হয় তাঁর সঙ্গে ? সুকান্ত বলেন, সমস্যায় পড়লে মুখ্যমন্ত্রী নিজের পরিবারের লোককেও চিনতে পারেন না। এর পরেই তিনি বলেন, মনে হচ্ছে, ইডি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের সদস্যদের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। এবার খুব শীঘ্রই মুখ্যমন্ত্রীর পালা আসতে চলেছে।

    আরও পড়ুুন: বালিগঞ্জের পর গড়িয়াহাট! গাড়ি থেকে উদ্ধার ‘টাকার পাহাড়’, গ্রেফতার ২

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) আরও বলেন, শুনলাম, এই ভদ্রলোকের সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক ভাইয়ের নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। কার্তিক, গণেশ অনেকেই আছেন। এই বিষয়ে আমরা নিরপেক্ষ তদন্ত চাইছি। ইডি যেমন তদন্ত করছে করুক। কিন্তু আদালত দেখুক, ঠিকভাবে তদন্ত চলছে কিনা। তৃণমূল নেত্রীকে সুকান্তের পরামর্শ, সময় আসছে আপনারও। তাই হরি দিন তো গেল সন্ধে হল, পার কর আমারে এই গান করতে করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bankura: বাঁকুড়া থেকে অনায়াসে পৌঁছনো যাবে হাওড়া, জানুন নয়া রুট সম্পর্কে

    Bankura: বাঁকুড়া থেকে অনায়াসে পৌঁছনো যাবে হাওড়া, জানুন নয়া রুট সম্পর্কে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সরাসরি বাঁকুড়া (Bankura) থেকে হাওড়া (Howrah) জুড়তে চলেছে রেলপথে। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই বাঁকুড়ার বাসিন্দারা সরাসরি ট্রেনে চেপে আসতে পারবেন হাওড়ায়। এই খবরে খুশি বাঁকুড়া ও পূর্ব বর্ধমান জেলার দক্ষিণ দামোদর এলাকার বাসিন্দারা। তাঁরা চাইছেন, যত দ্রুত সম্ভব রেল এই পরিষেবা চালু করুক। তাহলে কেবল সাধারণ মানুষই নয়, উপকৃত হবেন দুই জেলার কৃষকরাও।

    মসাগ্রাম…

    প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী জমানায় রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হন। তার পরেই ন্যারো গেজের এই রেলপথটিকে ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ শুরু করে পূর্ব রেল। ২০০০ সাল থেকে শুরু হয় সেই কাজ। বাঁকুড়া (Bankura) থেকে হাওড়া-বর্ধমান কর্ড শাখার মসাগ্রাম পর্যন্ত রেলপথ তৈরি করা হয়। মসাগ্রামকে জংশন স্টেশনে পরিণত করা হয়। নয়া এই রেলপথের উদ্বোধন হয় ২০০৫ সালে। এর পর শুরু হয় বাঁকুড়া থেকে মসাগ্রাম পর্যন্ত ১১৮ কিলোমিটার ব্রডগেজ রেল পথের বৈদ্যুতিকরণের কাজ। ২০২১ সালের প্রথম দিকে সেই কাজ শেষ হয়। এবার এই রেলপথ দিয়েই যাত্রিবাহী ট্রেন যাবে বাঁকুড়া থেকে হাওড়া।

    আরও পড়ুুন: রাজ্যপালের বক্তৃতার মাঝেই ‘চোর ধরো’ স্লোগান, উত্তপ্ত বিধানসভা, ওয়াকআউট বিজেপির

    সূত্রের খবর, পুরো কাজটি করবে পূর্ব রেল। ১০ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, লাইন সংযুক্তিকরণ কাজের জন্য খরচ হবে প্রায় ৩৯ কোটি টাকা। বিজেপির (BJP) জেলা সহ সভাপতি সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গোটা দেশের মানুষের বিকাশের কথা ভাবে। তাই বাংলার মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নতির কথা ভেবে কেন্দ্রের রেল দফতরও বাঁকুড়া ও বর্ধমান দুই জেলার মানুষের দাবিকেই মান্যতা দিয়েছে। তিনি বলেন, এখন যেমন বাংলার রেলপথ দিয়ে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন ছুটছে, তেমনই আর কয়েক মাস পর জঙ্গলমহল বলে পরিচিত এলাকার মানুষজন এক ট্রেনে চেপেই বাঁকুড়া থেকে সোজা পৌঁছে যাবেন হাওড়া। বর্ধমান পূর্বের সাংসদ তৃণমূলের (TMC) সুনীল মণ্ডল বলেন, বাঁকুড়া থেকে হাওড়া পর্যন্ত ট্রেন চলাচল শুরু হয়ে গেলে চাষের সবজি নিয়ে চাষিরা হাওড়া ও কলকাতার বাজারে বিক্রি করতে যেতে পারবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে! সংসদে বিস্ফোরক সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল সরকারের তুলোধনা করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। সংসদের অধিবেশনে নাম না করে কটাক্ষ করলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।

    সুকান্ত যা বললেন

    লোকসভায় বাজেট অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলার শিক্ষকরা একসময় গোটা বিশ্বে শিক্ষা প্রদান করতেন। আজ বাংলায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করা হচ্ছে।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “শিক্ষামন্ত্রী জেলে, উপাচার্য জেলে, আরও অনেককে যেতে হবে।” সুকান্তর দাবি,”তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ডকেও জেলে যেতে হবে। মোদি সরকারের আমলে দুর্নীতি করলে শাস্তি হবেই।” লোকসভায় হুঁশিয়ারির সুরে বলেন বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। মঙ্গলবার থেকেই সংসদে মহুয়া মৈত্রর  অসংসদীয় মন্তব্য নিয়ে তোলপাড় সংসদ। মহুয়া ক্ষমা চান, চাইছেন বিজেপি নেতারা। এই পরিস্থিতিতে মহুয়ার মন্তব্য নিয়ে আক্রমণ শানান সাংসদ সুকান্ত মজুমদারও।

    উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে প্রশ্ন

    সুকান্তর অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গে শিক্ষাব্যবস্থার করুণ অবস্থা। তিনি বলেন, “আজ রাজ্যপালের উপরে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। বলা হচ্ছে, রাজ্যের সরকারের বিরোধিতা করছেন রাজ্যপাল। কেন বিরোধিতা করা হবে না?” সুকান্ত জানান, বিশ্ববিদ্যালয় রাজ্যের হলেও তাঁর আচার্য রাজ্যপাল। অথচ, তাঁকে না জানিয়েই ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করা হয়েছে। এমনকি, উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে ইউজিসি-র নিয়ম মানা হয়নি বলেও দাবি করেন বিজেপি সাংসদ।

    আরও পড়ুন: ওএমআর শিটে ‘গুপ্ত সঙ্কেত’-এর মাধ্যমে চলত দুর্নীতি! মানিক-কুন্তলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ইডি

    নিয়ম অনুযায়ী, কোনও অধ্যাপক ১০ বছর বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করলে, তবেই তিনি উপাচার্য হওয়ার যোগ্যতা লাভ করেন। পাশাপাশি, উপাচার্য হতে হলে তাঁর একাধিক গবেষণাপত্র থাকাও বাধ্যতামূলক। অথচ, সুকান্তর অভিযোগ, কলেজের প্রিন্সিপালকেই উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করে দেওয়া হচ্ছে। মানা হচ্ছে না কোনও নিয়ম নীতি। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Rail Projects: বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ, অথচ জমি জটে আটকে রেল প্রকল্প, খরচ কীভাবে?

    Rail Projects: বাজেটে রেকর্ড বরাদ্দ, অথচ জমি জটে আটকে রেল প্রকল্প, খরচ কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টাকা দিচ্ছে না বলে নানা সময় কেন্দ্রীয় সরকারের মুণ্ডপাত করে বাংলার তৃণমূল (TMC) পরিচালিত রাজ্য সরকার। অথচ টাকা মিললেও, যে খরচ করতে পারে না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সরকার, তা জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানিও। বাংলার জন্য এবারের বাজেটে রেলে (Rail Projects) রেকর্ড পরিমাণ বরাদ্দ হয়েছে। রাজ্য পেয়েছে ১১ হাজার ৯৭০ কোটি টাকা। ট্রেন হোক কিংবা মেট্রো বিগত বছরগুলির তুলনায় এ বছর বাজেট বরাদ্দ পাওয়ার ক্ষেত্রে রেকর্ড করেছে পশ্চিমবঙ্গ। অন্তত এমনই ঘোষণা করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বনী বৈষ্ণব। রেলমন্ত্রকেরও দাবি, ইউপিএ জমানার চেয়ে এবার তিনগুণ বেড়েছে বরাদ্দ অর্থরাশির পরিমাণ। তবে বরাদ্দ মিললেই হবে না, অভিযোগ, রেল প্রকল্পের জন্য জমি অধিগ্রহণে সহযোগিতা করছে না রাজ্য।

    বিজেপি…

    রাজ্যকে কাঠগড়ায় তুলে এ প্রসঙ্গে বিজেপি (BJP) নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, শুধু রেল নয়, এখানে বিএসএফ পোস্ট তৈরি করতে পারছে না। যেখানে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্ন আছে, সেখানেও তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সহযোগিতা নেই। তৃণমূল কংগ্রেসের সরকার ৩ হাজার ২১৭ কোটি টাকা তাঁদের কোষাগারে ফেলে রেখেছে, খরচ করতে পারছে না। কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারও দাবি করেন, জমি জট (Rail Projects) কাটাতে রাজ্য সরকারের তরফে কোনও প্রচেষ্টাই করা হয়নি। তাঁর অভিযোগ, এ বিষয়ে রাজ্য সরকারকে বহুবার জানানো হলেও, কোনও সদর্থক উত্তর মেলেনি।

    আরও পড়ুুন: ‘ক্ষমা চান, না হলে নবান্ন অভিযান হবে’, মতুয়া বিতর্কে মুখ্যমন্ত্রীকে হুঁশিয়ারি পরিষদের

    জানা গিয়েছে, রাজ্যে রেলের মোট ৪৪টি প্রকল্প আটকে রয়েছে। সব মিলিয়ে আটকে থাকা প্রকল্পের মোট আয়তন ১ হাজার ২৯ কিলোমিটার। পূর্ব রেলের জেনারেল ম্যানেজার অরুণ অরোরা জানান, জমি জটের কারণেই আটকে রয়েছে প্রকল্প। তাঁর দাবি, এ ব্যাপারে রাজ্যকে চিঠিও দেওয়া হয়েছে। তার পরেও সমস্যা মেটেনি। আরও জানা গিয়েছে, জমি জটে আটকে রয়েছে শান্তিপুর-নবদ্বীপ ব্রডগেজ লাইন। অথচ অনুমোদনের পর কেটে গিয়েছে ১৪ বছর। থমকে রয়েছে তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেল প্রকল্পের কাজও। ভাবাদিঘির ৫২ বিঘা জলাশয় বাঁচানোর আন্দোলনের জেরে আটক রয়েছে এই রেল প্রকল্পও।

    রেলমন্ত্রী (Rail Projects) বলেন, শতাংশের নিরিখে বৃদ্ধি পাওয়া বাজেটের পরিমাণ ১৭৩। প্রধানমন্ত্রী সবকা সাথ, সবকা বিকাশ ও সবকা প্রয়াসের কথা বলেন। তাই রাজ্য সরকারের কাছে আমার অনুরোধ যে তারাও যেন এই প্রকল্পগুলিকে বাস্তবায়িত করার জন্য পূর্ণ সহযোগিতা করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নাম করে অভিযোগ করলেই মানহানির মামলা করব! মমতাকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    Suvendu Adhikari: নাম করে অভিযোগ করলেই মানহানির মামলা করব! মমতাকে শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম উল্লেখ করে কোনও মন্তব্য করা হলেই মানহানির মামলা করবেন বলে জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। চলতি বছরের মে মাসেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে রাজ্যে চলছে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ। এই আবহে বুধবার বীরভূমে এক সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) বলেছেন, ‘কেউ কেউ সরকারে থেকে সবথেকে বেশি চুরি করেছে, সবথেকে বেশি গদ্দারি করেছে। তাঁদের মুখে এখন আবার কালো টাকার গল্প শুনি। শুনলেও হাসি পায়।’ যদিও এদিন সরাসরি কারও নাম উল্লেখ করেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

    মমতা যা বলেছিলেন

    মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য প্রসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) প্রশ্ন করা হলে তিনি জানতে চান তাঁর নাম উল্লেখ করা হয়েছে কি না। জানিয়ে দেন, যদি তাঁর নাম উল্লেখ করে কোনও মন্তব্য করা হয়, তাহলে তিনি মানহানির মামলা করবেন। শুভেন্দুর সংযোজন, ‘ওনাকে প্রমাণ করতে হবে। উনি আমার বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছেন।’ বুধবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে একটি সভায় উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। 

    আরও পড়ুন: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে ত্রিমুখী লড়াই! বিজেপির প্রার্থী দিলীপ সাহা

    শুভেন্দুর পাল্টা

    পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে জেলা সফর শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে জনসভা করছেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা। বীরভূমের ওই অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি তো খুশি কয়েকটা ডাকাত গদ্দার আমার দল থেকে বিদায় নিয়েছে। পুরুলিয়ার ছেলেমেয়ের চাকরির কোটাটাই তো কেটে দিয়েছিল।’ প্রকাশ্যে মুখ্যমন্ত্রীর করা এই মন্তব্য প্রসঙ্গে শিশির পুত্র শুভেন্দু ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন সভামঞ্চ থেকে মালদার গাজোলে মমতার সেই মন্তব্য নিয়ে শুভেন্দুর পাল্টা চ্যালেঞ্জ, ‘কাকে বলছেন? নাম ধরে বলুন। আমি যদি ডাকাত বা গদ্দার হই, বিধানসভায় ডেকেছিলেন কেন?’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

LinkedIn
Share